বাংলা ভাষায় হাদিস এক্সপ্লোরার مكتشف الحديث باللغة الإنجليزية
       

 
Hadith   58   الحديث
الأهمية: نَحَرْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ الله -صلى الله عليه وسلم- فَرَسًا فَأَكَلْنَاهُ
থিম: আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাললাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একটি ঘোড়া নহর করলাম এবং সেটি খেলাম।

عن أَسْمَاء بِنْت أَبِي بَكْرٍ-رضي الله عنهما- قالت: �نَحَرْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ الله-صلى الله عليه وسلم- فَرَسًا فَأَكَلْنَاهُ�. وَفِي رِوَايَةٍ �وَنَحْنُ بِالْمَدِينَةِ�.

আসমা বিনত আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাললাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একটি ঘোড়া নহর করলাম এবং সেটি খেলাম।� অন্য বর্ণনায় রয়েছে, �তখন আমরা মদীনায় ছিলাম।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
تُخبِرُ أَسْمَاءُ بِنْت أبي بكر الصديق -رضي الله عنهما- أنهم نَحَرُوا فَرَساً عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- وَأَكَلُوهُ، وفي ذلك دَلَالَةٌ عَلَى جَوَازِ أَكْلِ لُحُومِ الخَيْلِ، ولا يَتَوَهَم أَحَدٌ مَنْعَ أَكْلِهَا لاقْتِرَانِهَا مَعَ الحَمِيرِ والْبِغَالِ في الآية، وهي قوله تعالى: (وَالْخَيْلَ وَالْبِغَالَ وَالْحَمِيرَ لِتَرْكَبُوهَا وَزِينَةً وَيَخْلُقُ مَا لا تَعْلَمُونَ)، [ النحل : 8 ].
থিম: আসমা বিনত আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা সংবাদ দিয়েছেন যে, তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাললাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একটি ঘোড়া নহর করেছিলেন এবং সেটি ভক্ষণ করেছেন। এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, ঘোড়ার গোস্ত খাওয়া জায়েয। সুতরাং আল-কুরআনে গাধা ও খচ্চরের সাথে ঘোড়ার কথা উল্লেখ করায় এটি খাওয়া নিষিদ্ধ হওয়ার সন্দেহ করা যাবে না। আল্লাহ বলেছেন, �আর (তিনি সৃষ্টি করেছেন) ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা, তোমাদের আরোহণ ও শোভার জন্য এবং তিনি সৃষ্টি করেন এমন কিছু, যা তোমরা জান না।� [সূরা আন-নাহাল, আয়াত: ৮]
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3000

 
Hadith   59   الحديث
الأهمية: نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَمْشِيَ إلَى بَيْتِ الله الْحَرَامِ حَافِيَةً، فَأَمَرَتْنِي أَنْ أَسْتَفْتِيَ لَهَا رَسُولَ الله-صلى الله عليه وسلم- فَاسْتَفْتَيْتُهُ، فَقَالَ: لِتَمْشِ وَلْتَرْكَبْ
থিম: আমার বোন পায়ে হেঁটে হাজ্জ করার মানত করেছিল। আমাকে এ বিষয়ে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে ফাতাওয়া আনার নির্দেশ করলে আমি নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, পায়ে হেঁটেও চলুক, সাওয়ারও হোক।

عن عُقْبَة بْن عَامِرٍ -رضي الله عنه- قال: �نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَمْشِيَ إلَى بَيْتِ الله الْحَرَامِ حَافِيَةً، فَأَمَرَتْنِي أَنْ أَسْتَفْتِيَ لَهَا رَسُولَ الله-صلى الله عليه وسلم- فَاسْتَفْتَيْتُهُ، فَقَالَ: لِتَمْشِ وَلْتَرْكَبْ�.

�উকবাহ ইব্নু �আমির রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, �আমার বোন পায়ে হেঁটে হাজ্জ করার মানত করেছিল। আমাকে এ বিষয়ে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে ফাতাওয়া আনার নির্দেশ করলে আমি নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, পায়ে হেঁটেও চলুক, সাওয়ারও হোক�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
مِنْ طَبِيعَةِ الإنسَان أنَّه يَنْدَفِعُ أحياناً فَيُوجِبُ على نفسه مَا يَشُقُّ عليه، وقد جاء شَرْعُنا بالاعتدَال، وعدمِ المشَقَّة عَلى النَّفس في العِبادة حتى تَسْتَمِر، وفي هذا الحدِيثِ طلبت أخت عقبة بن عامر منه، أن يسأل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أنها نذرت أن تذهب إلى البيت الحرام ماشية حافية، فرَأَى النَّبي -صلى الله عليه وسلم- أنَّ هذه المرأة تُطِيقُ شَيئاً مِن المشي، فَأمَرَها أَنْ تَمشِي مَا أَطَاقَت المشي، وأَنْ تَرْكَبَ إذا عَجَزَت عَن المشي.
মানুষের স্বভাব হলো কখনো কখনো সে আবেগ প্রবণ হয়ে তার নিজের ওপর এমন কিছু ওয়াজিব করে যা তার ওপর কষ্টকর হয়, অথচ আমাদের শরী�আত এসেছে মধ্যমপন্থা ও ইবাদত করতে গিয়ে আত্মাকে কষ্ট না দেওয়ার নীতি নিয়ে যেন তা (কিয়ামত পর্যন্ত) অব্যাহত থাকে। এ হাদীসটিতে উকবা ইবন আমেরের বোন তার কাছে চাইল, সে যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করে যে, তিনি বাইতুল্লায় খালি পায়ে হেঁটে যাওয়ার মান্নত করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন এ মহিলা কিছু পথ হাঁটতে পারবে। তাই তিনি তাকে যতক্ষণ হাঁটতে সক্ষম ততক্ষণ হাঁটা এবং যখন অক্ষম হবে তখন সাওয়ার হওয়ার নির্দেশ দিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3001

 
Hadith   60   الحديث
الأهمية: نَهَى رَسُولُ الله عَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ إلاَّ مَوْضِعَ أُصْبُعَيْنِ، أَوْ ثَلاثٍ، أَوْ أَرْبَعٍ
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন; তবে দুই, তিন কিংবা চার অঙ্গুলি পরিমাণ ছাড়া।

عن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- أَنَّ رَسُولَ الله -صلى الله عليه وسلم- �نهى عن لُبُوسِ الحَرِيرِ إلا هكذا، ورَفَعَ لنا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أُصْبُعَيْهِ: السَّبَّابَةَ، والوُسْطَى�.
ولمسلم �نهى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن لُبْس ِالحَرِيرِ إلا مَوْضِعَ أُصْبُعَيْنِ، أو ثلاثٍ، أو أربعٍ�.

উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন, তবে এতটুকুই ছাড়া। (বর্ণনাকারী বলেন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে তাঁর মধ্যমা ও শাহাদাত অঙ্গুলি উঠান।
মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন, তবে দুই, তিন কিংবা চার অঙ্গুলি পরিমাণ।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- نهى الذكور عن لبس الحرير إلا ما استثني، والمستثنى في الحديث المتفق عليه أصبعين، وفي رواية مسلم أو ثلاث أو أربع، فيؤخذ بالأكثر؛ فلا بأس من مقدار أربعة أصابع من الحرير في اللباس.
নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষকে রেশমী পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। তবে যেটুকু তিনি বাদ দিয়েছেন। মুত্তাফাকুন আলাইহি হাদীসে বাদ দেওয়ার পরিমাণ দুই আঙ্গুল পরিমাণ। সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় তিন কিংবা চার অঙ্গুলি পরিমাণ। সুতরাং সর্বাধিক পরিমাণ গ্রহণ করা হবে, তাই চার আঙ্গুল পরিমাণ রেশমী কাপড় পরিধান করলে কোনো দোষ নেই।
দেখুন তা�সীসুল আহকাম।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3002

 
Hadith   61   الحديث
الأهمية: أن النبيَّ -صلى الله عليه وسلم- نَهَى عن لُحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ، وأذن في لحوم الخيل
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহপালিত গাধার গোস্ত খেতে নিষেধ করেছেন এবং ঘোড়ার গোস্ত খাওয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন।

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما-: (أن النبي -صلى الله عليه وسلم- نهى عن لحوم الحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ، وأَذِنَ في لحوم الخيل).
ولمسلم وحده قال: (أكلنا زمن خيبر الخيل وحُمُرَ الوَحْشِ، ونهى النبي -صلى الله عليه وسلم- عن الحمار الأَهْلِيِّ).
عن عبد الله بن أبي أوفى -رضي الله عنه- قال: (أصابتنا مجاعة ليالي خيبر، فلما كان يوم خيبر: وقعنا في الحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ فانْتَحَرْنَاهَا، فلما غَلَتِ بها القُدُورُ: نادى مُنَادِي رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أن أَكْفِئُوا القُدُورَ، وربما قال: ولا تأكلوا من لحوم الحُمُرِ شيئا).
عن أبي ثعلبة -رضي الله عنه- قال: (حَرَّمَ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لحوم الحُمُر الأَهْلِيَّةِ).

থিম: জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহপালিত গাধার গোস্ত খেতে নিষেধ করেছেন এবং ঘোড়ার গোস্ত খাওয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন। সহীহ মুসলিমের একক বর্ণনায় বর্ণিত: আমরা খাইবারের বছর জঙ্গলি গাধা ও ঘোড়ার গোস্ত খেয়েছি। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের গৃহ পালিত গাধার গোস্ত খাওয়া থেকে নিষেধ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবন আবূ আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: খাইবারের রাতে আমাদের ক্ষুধা পেল। যখন দিন হলো আমরা গৃহ পালিত গাধার ওপর লুটে পড়লাম। যখন পাতিলসমূহ উতরানো আরম্ভ করল তখন রাসূলের আহ্বানকারী বলল, তোমরা পাতিলসমূহ উল্টে ফেল। হয়তো বা বলল, তোমরা গাধার গোস্ত থেকে কিছুই ভক্ষণ করো না। সা�লাবা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহপালিত গাধার গোস্ত নিষিদ্ধ করেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يُخبرُ جابرُ بنُ عبدالله -رضي الله عنهما- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- نهَى عن لحُومِ الحُمُرِ الأهْلِيةِ، أي: نَهَى عَنْ أَكْلِهَا، وَأَنَّه أبَاحَ وأَذِنَ في لُحُومِ الْخَيلِ والْحِمَارِ الوَحْشِي، ويُخبر عبدالله بن أبي أوفى -رضي الله عنهما- بأنَّهم حَصَلَتْ لهم مَجَاعَةٌ في لَيَالي مَوْقِعَةِ خَيْبَر، ولما فُتِحَت انْتَحَرُوا مِنْ حُمُرِها، وأَخَذُوا مِنْ لَحْمِها وطَبَخُوهُ، ولما طَبَخُوه أَمَرَهُم النبي -صلى الله عليه وسلم- بكفْئ ِالقدورِ أي قلبها، وعَدَمِ الأَكل من ذلك اللحم.
জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সংবাদ দেন যে, গৃহপালিত গাধার গোস্ত খেতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি ঘোড়া ও গাধার গোস্ত খাওয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন। আর আব্দুল্লাহ ইবন আবূ আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সংবাদ দেন যে, খাইবারে ঘটনার রাতে তাদের ক্ষুধা পেয়েছিল। যখন খাইবার জয় হলো, তারা তার গাধা যবেহ করলেন এবং তার গোস্ত নিলেন এবং রান্না করা আরম্ভ করলেন। তারপর যখন তারা তা রান্না করা শেষ করলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের পাতিলসমূহ উল্টে ফেলা এবং এ গোস্ত থেকে কোন কিছু না খাওয়ার নির্দেশ দিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3003

 
Hadith   62   الحديث
الأهمية: يا عبدَ الرحمَنِ بْنَ سَمُرَةَ، لا تَسْأَلْ الإِمَارَةَ؛ فَإِنَّكَ إن أُعْطِيتَها عن مسأَلَةٍ وُكِّلْتَ إليها
থিম: হে আব্দুর রহমান ইবন সামুরাহ! তুমি সরকারী পদ চেয়ো না। কারণ যদি তুমি তা চাওয়ার কারণে পাও, তাহলে তার প্রতি তোমাকে সঁপে দেওয়া হবে।

عن عَبْد الرَّحْمَنِ بْن سَمُرَةَ -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال له: �يا عبد الرحمن بن سَمُرَة، لا تَسْأَلِ الإِمَارَةَ؛ فإنك إن أُعْطِيتَها عن مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إليها، وإن أُعْطِيتَهَا عن غير مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عليها، وإذا حَلَفْتَ على يمينٍ فرأيتَ غيرها خيرًا منها، فَكَفِّرْ عن يمينك، وَأْتِ الذي هو خير�.

আব্দুর রহমান ইবনে সামুরাহ �রাদিয়াল্লাহু <�আনহু� বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, �হে আব্দুর রহমান ইবন সামুরাহ! তুমি সরকারী পদ চেয়ো না। কারণ যদি তুমি তা চাওয়ার কারণে পাও, তাহলে তার প্রতি তোমাকে সঁপে দেওয়া হবে। (এবং তাতে আল্লাহর সাহায্য পাবে না।) আর যদি তা তোমাকে চাওয়া ব্যতিরেকে দেওয়া হয় তাহলে তাতে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর যখন তুমি কোন কসম খাবে, অতঃপর তা থেকে অন্য কাজ উত্তম মনে করবে, তখন উত্তম কাজটা কর এবং তোমার কসমের কাফ্ফারা দিয়ে দাও�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
نهى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن سؤال الإمارة؛ لأنَّ مَن أعطيها عن مسألةٍ خُذِلَ وتُرِكَ لِرَغْبَتِه في الدنيا وتفضيلها على الآخرة، وأن من أُعْطِيَها عَنْ غَيْرِ مسألةٍ أعانَهُ اللهُ علَيها، وأنَّ الحَلف على شيء لا يكون مانعًا عن الخير، فإن رأى الحالفُ الخيرَ في غيرِ الحلف فلَه التَّخَلُص من الحلف بالكفارة ثم يأت الخير.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সরকারী পদ চেয়ে নেওয়া থেকে নিষেধ করেছেন। কারণ, যাকে পদ চাওয়ার কারণে তা দেওয়া হয়, লাঞ্চিত হয় এবং দুনিয়ার প্রতি আগ্রহী হওয়া এবং আখিরাতের ওপর তাকে প্রাধান্য দেওয়ার কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর যদি না চাওয়া সত্বেও তা দেওয়া হয় আল্লাহ তার ওপর তাকে সাহায্য করেন। কোন কিছুর ওপর সপথ করা কোনো কল্যাণকর কাজের জন্য বাধা হবে না। যদি কোন ব্যক্তি সপথ ভিন্ন অন্য কিছুতে কল্যাণ দেখে, তখন সে কাফফারা আদায়ের মাধ্যমে সপথ থেকে রেহাই নিবে এবং কল্যাণকর কাজটি করবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3004

 
Hadith   63   الحديث
الأهمية: ألا أُخْبِرُكُم عن النَّفَرِ الثلاثة: أما أحدهم فأَوَى إلى الله فآوَاهُ الله إليه، وأما الآخر فاسْتَحْيا فاسْتَحْيَا الله منه، وأما الآخر، فأعْرَضَ، فأعرضَ اللهُ عنه
থিম: আমি কি তোমাদেরকে তিন ব্যক্তি সম্পর্কে সংবাদ দেব ? তাদের একজন আল্লাহর দিকে এগিয়ে এসেছে, তাই আল্লাহ তাকে স্থান দিয়েছেন। অন্যজন (ভীড় ঠেলে অগ্রসর হতে অথবা ফিরে যেতে) লজ্জাবোধ করেছেন। তাই আল্লাহও তার থেকে লজ্জাবোধ করেছেন অর্থাৎ আল্লাহ তাকে রহমত থেকে বঞ্চিত করতে লজ্জাবোধ করেছেন। আর অপরজন (মজলিসে হাজির হওয়া থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই আল্লাহও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

عن أبي واقد الحارث بن عوف -رضي الله عنه- أنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بينما هو جالس في المسجد، والناس معه، إذ أقبل ثلاثَةُ نَفَرٍ، فأقبل اثنان إلى رسول الله، -صلى الله عليه وسلم- وذهب واحد، فوقفا على رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، فأما أحدهما فرأى فُرْجَةً في الْحَلْقَةِ فجلس فيها، وأما الآخر فجلس خلفهم، وأما الثالث فأدْبَر ذاهبٍا، فلما فرغ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: �ألا أُخْبِرُكُم عن النَّفَرِ الثلاثة: أما أحدهم فأَوَى إلى الله فآوَاهُ الله إليه، وأما الآخر فاسْتَحْيا فاسْتَحْيَا الله منه، وأما الآخر، فأعْرَضَ، فأعرضَ اللهُ عنه�.

আবূ ওয়াক্বেদ হারেস ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে বসেছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে কিছু লোকও ছিল। ইতোমধ্যে তিনজন লোক আগমন করল। তাদের মধ্যে দু�জন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে উপস্থিত হল এবং একজন চলে গেল। নবাগত দু�জন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাশে দাঁড়িয়ে রইল। তাদের একজন সভার মধ্যে ফাঁক দেখে সেখানে বসে পড়ল। আর অপরজন সভার পিছনে বসে গেল। আর তৃতীয় ব্যক্তি পিঠ ঘুরিয়ে প্রস্থান করল। যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবসর পেলেন, তখন বললেন, ��তোমাদেরকে তিন ব্যক্তি সম্পর্কে বলব না কি? তাদের একজন তো আল্লাহর কাছে আশ্রয় গ্রহণ করল, ফলে আল্লাহ তাকে আশ্রয় দান করলেন। আর দ্বিতীয়জন সে [সভার মধ্যে ঢুকে বসতে] লজ্জাবোধ করল, বিধায় আল্লাহও তাঁর ব্যাপারে লজ্জাশীলতা প্রয়োগ [করে তাকে রহম] করলেন। আর তৃতীয়-জন মুখ ফিরিয়ে নিলো, বিধায় আল্লাহও তার দিক থেকে বিমুখ হয়ে গেলেন।��

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في الحديث أنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كان جالسا في المسجد، والناس معه، إذ أقبل ثلاثَةُ رجال، فأقبل اثنان إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وذهب واحد؛ فوقفا عند حلقة رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، فأما أحدهما فرأى مكاناً فارغاً في الْحَلْقَةِ فجلس فيها، والحلقة رجال جالسون على شكل دائرة أمام النبي -صلى الله عليه وسلم- وأما الآخر فجلس خلفهم، وأما الثالث فرجع وانصرف، فلما فرغ وانتهى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- من حديثه الذي كان فيه، قال للصحابة ألا أُخْبِرُكُم عن الرجال الثلاثة: أما أحدهم فأَوَى إلى الله فآوَاهُ الله إليه أي جلس في المكان الفارغ يستمع ذكر الله فأكرمه الله بفضيلة ذلك المجلس المبارك، وأما الآخر فاسْتَحْيا فاسْتَحْيَا الله منه أي امتنع من المزاحمة؛ فجلس خلف الحلقة فلم يُمنع من بركة المجلس، وأما الآخر فأعْرَضَ، فأعرضَ اللهُ عنه أي ذهب بلا عذر فمُنع بركة المجلس.
এ হাদীসে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকজন নিয়ে মসজিদে বসেছিলেন। ইতিমধ্যে তিনজন লোক আসলেন। তন্মধ্যে দুজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিকে এগিয়ে এলেন এবং একজন চলে গেলেন। তারা দুজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের হালকায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। এরপর তাদের একজন হালকার মধ্যে কিছুটা জায়গা দেখে সেখানে বসে পড়লেন। আর হালকা হলো নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে লোকজনের গোলাকার হয়ে বসা। অন্যজন তাদের পেছনে বসলেন। আর তৃতীয় ব্যক্তি ফিরে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলোচনা শেষে সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বললেন, �আমি কি তোমাদেরকে তিন ব্যক্তি সম্পর্কে সংবাদ দেব? তাদের একজন আল্লাহর দিকে এগিয়ে এসেছে, তাই আল্লাহ তাকে স্থান দিয়েছেন। অর্থাৎ সে আল্লাহর বাণী শুনতে খালি জায়গায় বসেছেন। ফলে এ বরকমতময় মজলিশের ফযীলত দ্বারা আল্লাহ তাকে মর্যাদাবান করেছেন। অন্যজন লজ্জাবোধ করেছেন। তাই আল্লাহও তার থেকে লজ্জাবোধ করেছেন অর্থাৎ সে ভীড় ঠেলে অগ্রসর হতে লজ্জাবোধ করেছেন, তাই সে হালকার পিছনে বসেছেন। ফলে সে মজলিশের বরকত থেকে বঞ্চিত হয় নি। আর অপরজন (মজলিসে হাজির হওয়া থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই আল্লাহও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অর্থাৎ সে বিনা ওযরে মজলিশে না বসে চলে গেছে, ফলে সে মজলিশের বরকত থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3005

 
Hadith   64   الحديث
الأهمية: قال قل: اللهم فاطِرَ السماوات والأرض عالم الغيبِ والشهادة؛ ربَّ كُلِّ شَيءٍ ومَلِيكَه، أَشْهد أن لا إله إلا أنت، أعوذ بك من شرِّ نفسي وشرِّ الشيطان وشِرْكِهِ
থিম: তিনি বলেন, �বল, হে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকর্তা, উপস্থিত ও অনুপস্থিত পরিজ্ঞাতা, প্রত্যেক বস্তুর প্রতিপালক ও অধিপতি আল্লাহ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি আমার আত্মার মন্দ হতে এবং শয়তানের মন্দ ও শির্ক হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن أبا بكر الصديق -رضي الله عنه- قال: يا رسول الله مُرني بكلمات أقُولُهُنَّ إذا أصبَحتُ وإذا أمسَيتُ، قال: �قل: اللهم فاطِرَ السماوات والأرض عالم الغيبِ والشهادة، ربَّ كُلِّ شَيءٍ ومَلِيكَه، أَشْهد أن لا إله إلا أنت، أعوذ بك من شرِّ نفسي وشرِّ الشيطان وشِرْكِهِ وأن أقترف على نفسي سوءًا أو أجرُّه إلى مسلم� قال: �قلها إذا أصبحت، وإذا أمسيت، وإذا أخذْتَ مَضْجَعَك�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, আবূ বাকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বললেন, �হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে কিছু বাক্য বাতলে দিন, যেগুলি সকাল-সন্ধ্যায় আমি পড়তে থাকব।� তিনি বললেন, �বল, হে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকর্তা, উপস্থিত ও অনুপস্থিত পরিজ্ঞাতা, প্রত্যেক বস্তুর প্রতিপালক ও অধিপতি আল্লাহ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি আমার আত্মার মন্দ হতে এবং শয়তানের মন্দ ও শির্ক হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এটি সকাল-সন্ধ্যা ও শোবার সময় পাঠ করো।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذا الذكر من الأذكار التي تقال في الصباح والمساء، والذي علَّمها النبي -صلى الله عليه وسلم- أبا بكر -رضي الله عنه- حيث قال: علمني.
   فعلمه النبي -صلى الله عليه وسلم- ذكرًا ودعاءً يدعو به كلما أصبح وكلما أمسى، وأمره أن يقول: (اللهم فاطر السماوات والأرض) يعني: يا الله يا فاطر السماوات والأرض وفاطرهما، يعني أنه خلقهما عز وجل على غير مثال سبق، بل أبدعهما وأوجدهما من العدم على غير مثال سبق.
(عالم الغيب والشهادة) أي: عالم ما غاب عن الخلق وما شاهدوه؛ لأن الله تعالى يعلم الحاضر والمستقبل والماضي.
(رب كل شيء ومليكه)، يعني: يا رب كل شيء ومليكه، والله تعالى هو رب كل شيء وهو مليك كل شيء.
(أشهد أن لا إله إلا أنت): أعترف بلساني وقلبي أنه لا معبود حق إلا أنت، فكل ما عبد من دون الله فإنه باطل لا حق له في العبودية ولا حق في العبودية إلا لله وحده -عز وجل-.
قوله: أ(عوذ بك من شر نفسي)؛ لأن النفس لها شرور كما قال -تعالى-: (وما أبرئ نفسي إن النفس لأمارة بالسوء إلا ما رحم ربي)، فإذا لم يعصمك الله من شرور نفسك فإنها تضرك وتأمرك بالسوء، ولكن الله إذا عصمك من شرها وفقك إلى كل خير.
وختم النبي -عليه الصلاة والسلام- بقوله: (ومن شر الشيطان وشِرْكه) وفي لفظ وشَرَكه، يعني: تسأل الله أن يعيذك من شر الشيطان ومن شر شِركه، أي: ما يأمرك به من الشِّرك أو شَرَكه، والشَرَك: ما يصاد به الحوت والطير وما أشبه ذلك؛ لأن الشيطان له شرَك يصطاد به بني آدم إما شهوات أو شبهات أو غير ذلك، (وأن أقترف على نفسي سوءًا)، أي: أجر على نفسي سوءًا (أو أجره إلى مسلم).
فهذا الذكر أمر النبي -صلى الله عليه وسلم- أبا بكر أن يقوله إذا أصبح وإذا أمسى وإذا أخذ مضجعه.
এ যিকিরটি হলো সকাল-সন্ধ্যা পাঠ করার যিকিরসমূহের একটি যিকির। আর এটি এমন একটি যিকির যেটিকে রাসূলুল্লাহ সা. আবূ বকরকে শিখিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাকে শেখান। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এমন একটি যিকির ও দো�আ শিখিয়ে দিলেন যার দ্বারা সে প্রত্যেক সকাল ও বিকাল দো�আ করবেন। তাকে এ বলতে নির্দেশ দেন যে, �বল, হে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকর্তা, অর্থাৎ, হে আল্লাহ আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি কর্তা অর্থাৎ, তিনি এ দুটিকে পূর্বে অতিবাহিত কোন দৃষ্টান্ত ছাড়া সৃষ্টি করেছেন বরং আবিষ্কার করেছেন এবং অস্তিত্ব দান করেছেন পূর্বের কোন দৃষ্টান্ত ছাড়া। উপস্থিত ও অনুপস্থিতর পরিজ্ঞাতা, অর্থাৎ মাখলুক থেকে অনুপুস্থিত এবং তারা যা প্রত্যক্ষ করে তিনি সবকিছুরই পরিজ্ঞাতা। কারণ, আল্লাহ বর্তমান ভবিষ্যৎ ও অতীত সবই জানেন। প্রত্যেক বস্তুর রব ও অধিপতি আল্লাহ! অর্থাৎ হে প্রতিটি বস্তুর রব ও অধিপতি। আল্লাহ তা�আলা প্রতিটি বস্তুর রব ও প্রতিটি বস্তুর অধিপতি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি আমার মুখ ও অন্তর দ্বারা স্বীকার করছি যে, তুমি ছাড়া আর কোন সত্যিকার উপাস্য নেই। তোমাকে বাদ দিয়ে যত উপাস্যের ইবাদত করা হয় তা বাতিল তার জন্য উবুদিয়্যাতের কোন অধিকার নেই এবং একক আল্লাহ ছাড়া আর কারো জন্য উবুদিয়্যাতের কোন হক নেই। তার বাণী: �আমি আমার আত্মার মন্দ হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি� কারণ, আত্মার জন্য রয়েছে খারাবীসমূহ। যেমন, আল্লাহ তা�আলা বলেন, �আমি আমার আত্মাকে নির্দোষ বলছি না, কারণ আত্মা অবশ্যই খারাপ কর্মের প্রতি আদেশকারী তবে যাকে আমার রব অনুগ্রহ করে�। যখন আল্লাহ তোমাকে তোমার আত্মার খারাবী থেকে রক্ষা না করবেন তখন তা অবশ্যই তোমার ক্ষতি করবে এবং তোমাকে মন্দ কাজের আদেশ দেবে। কিন্তু যখন আল্লাহ তার অনিষ্ট থেকে তোমাকে রক্ষা করবেন তোমাকে যাবতীয় কল্যাণের তাওফীক দান করবেন। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বলে শেষ করলেন যে, এবং শয়তানের মন্দ ও শির্ক হতে অর্থাৎ তুমি আল্লাহর নিকট চাইবে যে, তিনি যেন তোমাকে শয়তানের অনিষ্ট হতে সাহায্য করে এবং তার শির্কের খারাবী হতে সাহায্য করে। অর্থাৎ সে তোমাকে শির্ক করার যে আদেশ দেয়। আর শারাক হলো যা দ্বারা মাছ ও পাখি শিকার করা হয়। কারণ, শয়তানের রয়েছে শারাক যা দ্বারা সে আদম সন্তানদেরকে শিকার করে। তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এটি সকাল-সন্ধ্যা ও শোবার সময় পাঠ করো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ যিকিরটি আবূ বকরকে বলতে নির্দেশ দিয়েছেন যখন সে সকাল করে, বিকাল করে এবং যখন ঘুমাতে যায়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3006

 
Hadith   65   الحديث
الأهمية: خرج معاوية -رضي الله عنه- على حَلْقَةٍ في المسجد، فقال: ما أَجْلَسَكم؟ قالوا: جلسنا نذكر الله
থিম: মু�আবিয়া রাদিয়াল্লাহু <�আনহু মসজিদে একটি হালকায় আসলেন। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কিসে তোমাদের এখানে বসিয়েছে? তারা বলল, আমরা আল্লাহর যিকির করতে বসেছি।

عن أبي    سعيد الخدري �رضي الله عنه- قال: خرج معاوية -رضي الله عنه- على حَلْقَةٍ في المسجد، فقال: ما أَجْلَسَكم؟ قالوا: جلسنا نذكر الله، قال: آلله ما أجْلَسَكُم إلا ذاك؟ قالوا: ما أجلسنا إلا ذاك، قال: أما إنّي لم استَحْلِفْكُم تُهْمَةً لكم، وما كان أحد بمنزلتي من رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أقَلَّ عنه حديثاً مِنِّي: إنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- خَرَجَ على حَلْقَةٍ من أصحابه فقال: �ما أَجْلَسَكم؟� قالوا: جلسنا نذكر الله ونَحْمَدُهُ على ما هَدَانا للإسلام؛ ومَنَّ بِهِ علينا، قال: �آلله ما أجْلَسَكُم إلا ذاك؟� قالوا: والله ما أجلسنا إلا ذاك، قال: �أما إنّي لم أستحلفكم تُهْمَةً لكم، ولكنه أتاني جبريل فأخبرني أن الله يُبَاهِي بكم الملائكة�.

আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুআবিয়াহ রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার মসজিদে [কিছু লোকের] এক হালকায় [গোল বৈঠকে] এসে বললেন, �তোমরা এখানে কি উদ্দেশ্যে বসেছ?� তারা বলল, �আল্লাহর যিকির করার উদ্দেশ্যে বসেছি।� তিনি বললেন, �আল্লাহর কসম! তোমরা একমাত্র ঐ উদ্দেশ্যেই বসেছ?� তারা জবাব দিল, �[হ্যাঁ,] আমরা একমাত্র ঐ উদ্দেশ্যেই বসেছি।� তিনি বললেন, �শোন! তোমাদেরকে [মিথ্যাবাদী] অপবাদ আরোপ করে কসম করাইনি। [মনে রাখবে] কোন ব্যক্তি এমন নেই, যে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আমার সমমর্যাদা লাভ করেছে এবং আমার থেকে কম হাদিস বর্ণনা করেছে। নিঃসন্দেহে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [একবার] স্বীয় সহচরদের এক হালকায় উপস্থিত হয়ে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, ��তোমরা এখানে কি উদ্দেশ্যে বসেছ?�� তাঁরা জবাব দিলেন, �উদ্দেশ্য এই যে, আমরা আল্লাহর যিকির করব এবং তাঁর প্রশংসা করব যে, তিনি আমাদেরকে ইসলামের পথ দেখিয়েছেন ও তার মাধ্যমে আমাদের প্রতি বড় অনুগ্রহ করেছেন।� এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ��আল্লাহর কসম! তোমরা একমাত্র এ উদ্দেশ্যেই এখানে বসেছ?�� তাঁরা বললেন, �আল্লাহর কসম! আমরা কেবল এ উদ্দেশ্যেই বসেছি।� তিনি বললেন, ��শোন! আমি তোমাদেরকে এ জন্য কসম করাইনি যে, আমি তোমাদেরকে মিথ্যাবাদী ভেবে অপবাদ আরোপ করছি। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার এই যে, জিবরীল আমার কাছে এসে বললেন, �আল্লাহ তোমাদেরকে নিয়ে ফেরেশতাদের সামনে গর্ব করছেন!��

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذا الحديث من الأحاديث التي تدل على فضيلة الاجتماع على ذكر الله -عز وجل-، وهو ما رواه أبو سعيد الخدري عن معاوية -رضي الله عنهما- أنه خرج على حلقة في المسجد فسألهم على أي شيء اجتمعوا، فقالوا: نذكر الله، فاستحلفهم -رضي الله عنه- أنهم ما أرادوا بجلوسهم واجتماعهم إلا الذكر، فحلفوا له، ثم قال لهم: إني لم أستحلفكم تهمة لكم وشكًّا في صدقكم، ولكني رأيت النبي -صلى الله عليه وسلم- خرج على قوم وذكر مثله، وأخبرهم أن الله -عز وجل- يباهي بهم الملائكة، فيقول مثلا: انظروا إلى عبادي اجتمعوا على ذكري، وما أشبه ذلك، مما فيه المباهاة، ولكن ليس هذا الاجتماع أن يجتمعوا على الذكر بصوت واحد، ولكن يذكرون أي شيء يذكرهم بالله -تعالى- من موعظة وذكرى أو يتذكرون نعمة الله عليهم بما أنعم عليهم من نعمة الإسلام وعافية البدن والأمن، وما أشبه ذلك، فإن ذكر نعمة الله من ذكر الله -عز وجل-، فيكون في هذا دليل على فضل جلوس الناس ليتذاكروا نعمة الله عليهم.
আল্লাহর যিকিরের উদ্দেশ্যে একত্রিত হওয়ার ফযীলত সম্পর্কে যেসব হাদীস বর্ণিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে এ হাদীসটি অন্যতম। আবূ সা�ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু মু�আবিয়া রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি মসজিদে একটি হালকায় বের হলেন। তখন তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, কি কারণে তারা একত্র হয়েছে? তারা বলল, আমরা আল্লাহর যিকর করতে বসেছি। তিনি তাদেরকে আল্লাহর কসম করে বলতে বললেন যে, তারা আল্লাহর যিকির ব্যতীত আর কোন উদ্দেশ্যে এখানে বসে নি ও জড়ো হয়নি। তারা কসম করল। অতঃপর তিনি তাদের বললেন, আমি তোমাদের অপবাদ দেওয়া বা তোমাদের সততার ব্যাপারে সন্দেহ করে তোমাদের কসম করতে বলি নি, কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি তিনি সাহাবীদের একটি হালকায় প্রবেশ করলেন এবং তিনি এ রকমই জিজ্ঞেস করলেন (যেভাবে আমি তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করেছি) এবং তিনি তাদেরকে সংবাদ দিলেন যে, মহান আল্লাহ ফিরিশতাগণের কাছে তাদের নিয়ে গর্ববোধ করেন। যেমন তিন বলেন, তোমরা আমার বান্দাগণকে দেখো, তারা আমার যিকির করতে একত্রিত হয়েছে। এ ধরণের আরো কথা যাতে গর্বোবোধ ও অহংকারবোধ রয়েছে। তবে আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, উক্ত জমায়েত হওয়া সমস্বরে একই আওয়াজে জোরে জোরে যিকির করা নয়। তবে তারা আল্লাহর যে কোন যিকির করছিলো, সদুপদেশ ও নসিহতের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করছিলো অথবা আল্লাহ তাদেরকে ইসলামে দীক্ষিত করে যে নি�আমত দান করেছেন সে নি�আমতের স্মরণ করে, শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তার নি�আমত ইত্যাদি স্মরণ করে পরস্পর আল্লাহকে স্মরণ করছিলেন। কেননা আল্লাহর নি�আমতের স্মরণ করা মানে মহান আল্লাহকেই স্মরণ করা (অর্থাৎ তার জিকির করা)। সুতরাং আল্লাহর নি�আমতের কথা স্মরণ করতে লোকজন একত্রিত হওয়ার ফযীলত সম্পর্কে এ হাদীসে দলীল রয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3007

 
Hadith   66   الحديث
الأهمية: كان نبي الله -صلى الله عليه وسلم- إذا أمسى قال: أمسينا وأمسى الملك لله، والحمد لله، لا إله إلا الله وحده لا شريك له
থিম: আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভ্যাস ছিল: সন্ধ্যায় উপনীত হলে বলতেন: (অর্থ) আমরা ও সারা রাজ্য আল্লাহর জন্য সন্ধ্যায় উপনীত হলাম। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই।

عن عبد الله بن مسعود-رضي الله عنه- قال: كان نبي الله -صلى الله عليه وسلم- إذا أمسى قال: �أمسينا وأمسى الملك لله، والحمد لله، لا إله إلا الله وحده لا شريك له� قال الراوي: أَرَاهُ قال فِيهِنَّ: �له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير، ربِّ أسألك خير ما في هذه الليلة وخير ما بعدها، وأعوذ بك من شر ما في هذه الليلة وشر ما بعدها، رب أعوذ بك من الكسل، وسُوءِ الكِبَرِ، رب أعوذ بك من عذاب في النار، وعذاب في القبر�، وإذا أصبح قال ذلك أيضا �أصبحنا وأصبح الملك لله�.

ইবনে মাসঊদ রাদয়িাল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভ্যাস ছিল: সন্ধ্যায় উপনীত হলে বলতেন: (অর্থ) �আমরা ও সারা রাজ্য আল্লাহর জন্য সন্ধ্যায় উপনীত হলাম। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই�।


বর্ণনাকার বলেন, আমার মনে হয় এর সাথে তিনি আরো বলেছেন: �তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই জন্য যাবতীয় প্রশংসা এবং তিনি সকল বস্তুর উপর সর্ব শক্তিমান। হে আমার রব! আমি তোমার নিকট এই রাতে যে কল্যাণ নিহিত আছে তা এবং তার পরে যে কল্যাণ আছে তাও প্রার্থনা করছি। আর আমি তোমার নিকট এই রাত্রে যে অকল্যাণ আছে তা এবং তারপরেও যে অকল্যাণ আছে তা হতে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আমার রব! আমি তোমার নিকট অলসতা এবং বার্ধক্যের মন্দ হতে পানাহ চাচ্ছি। হে আমার রব! আমি তোমার নিকট জাহান্নামের এবং কবরের সকল প্রকার আযাব হতে আশ্রয় চাচ্ছি। তিনি যখন সকালে উঠতেন তখনও এই দু�আ পাঠ করতেন; বলতেন �আসবাহনা ও আসবাহাল মুলকু লিল্লাহ------   ।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان من هديه -عليه الصلاة والسلام- عند دخول الصباح والمساء أن يقول هذه الأدعية المباركة، فقوله: (أمسينا وأمسى الملك لله) أي :دخلنا في المساء ودام الملك فيه لله مختصًا به، (والحمد لله) أي: جميع الحمد لله، أي: أمسينا وعرفنا فيه أن الملك لله وأن الحمد لله لا لغيره، (ولا إله إلا الله) أي: منفردًا بالألوهية.
قوله: (رب أسألك من خير هذه الليلة) أي ذاتها وعينها (وخير ما فيها) أي: من خير ما ينشأ ويقع ويحدث فيها وخير ما يسكن فيها، (وأعوذ بك من شرها وشر ما فيها) أي من الليالي وما فيها من شر يلحق الدين والدنيا.
(اللهم إني أعوذ بك من الكَسَل) أي التثاقل في الطاعة مع الاستطاعة، ويكون ذلك لعدم انبعاث النفس للخير مع ظهور الاستطاعة.
(وسوء الكِبَر) بمعنى الهرم والخرف وكبر السن المؤدي إلى تساقط بعض القوى وضعفها وهو الرد إلى أرذل العمر؛ لأنه يفوت فيه المقصود بالحياة من العلم والعمل، لما يورثه كبر السن من ذهاب العقل، واختلاط الرأي والتخبط فيه، والقصور عن القيام بالطاعة وغير ذلك مما يسوء الحال، وروي بإسكان الباء بمعنى البطر أي الطغيان عند النعمة والتعاظم على الناس، (وعذاب القبر) أي من نفس عذابه أو مما يوجبه.
(وإذا أصبح) أي دخل -صلى الله عليه وسلم- في الصباح (قال ذلك) أي: ما يقول في المساء (أيضًا) أي لكن يقول بدل "أمسينا وأمسى الملك لله" (أصبحنا وأصبح الملك لله) ويبدل اليوم بالليلة فيقول: اللهم إني أسالك من خير هذا اليوم، ويذكر الضمائر بعده.
সকাল সন্ধ্যায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ছিল, এ সব বরকতপূর্ণ দো�আ পড়া। তার বাণী (আমরা এবং সারা রাজ্য আল্লাহর জন্য সন্ধ্যায় উপনীত হলাম।) অর্থাৎ, আমরা সন্ধ্যায় প্রবেশ করলাম। সন্ধ্যার রাজ্য আল্লাহর জন্যই এবং তার সাথেই খাস। (আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর), আমরা এবং যাবতীয় প্রশংসা তার জন্য। অর্থাৎ, আমরা জানলাম যে, রাজ্য কেবল আল্লাহর আর প্রশংসা কেবল আল্লাহর। তিনি ছাড়া আর কারো জন্য নয়। (আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই,) ইলাহ হিসেবে তিনি একক। তার বাণী: (হে আমার রব! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি এই রাতের কল্যাণ) অর্থাৎ স্বয়ং রাতের (এবং যে কল্যাণ নিহিত আছে তাতে) অর্থাৎ এই রাতে যে কল্যাণ সৃষ্টি করা হয় ও নাযিল হয় এবং রাতে বসবাসকারীর কল্যাণ। (এবং আমি তোমার নিকট এই রাত্রে যে অকল্যাণ আছে তা এবং তারপরেও যে অকল্যাণ আছে তা হতে আশ্রয় চাচ্ছি।) অর্থাৎ, দীন ও দুনিয়ার সাথে সম্পৃক্ত রাতসমূহের যাবতীয় অনিষ্ট থেকে। (হে আমার রব! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি অলসতা থেকে) অর্থাৎ, সক্ষম হওয়া সত্বেও আনুগত্যে অলসতা করা। আর এটি সাধারণত হয়ে থাকে সক্ষমতা থাকা সত্বেও আত্মা ভালো কর্মের প্রতি তৎপর না হওয়ার কারণে। (এবং বার্ধক্যের মন্দ হতে পানাহ চাচ্ছি।) বার্ধক্য যাতে মানুষ শক্তি হারা হয় এবং দূর্বল হয়। আর তার অর্থ নিকৃষ্ট বয়সে ফিরে যাওয়া। কারণ, তখন জীবনের মুল লক্ষ্য ইলম ও আমল ছুটে যায়। (হে আমার রব! আমি তোমার নিকট জাহান্নামরে এবং কবরের সকল প্রকার আযাব হতে আশ্রয় চাচ্ছি।) সরাসরি আযাব থেকে। অথবা যা আযাবকে অবধারিত করে। (তিনি যখন সকালে উঠতেন) অর্থাৎ, সকালে প্রবেশ করতেন। (তখনও এই দু�আ পাঠ করতেন) অর্থাৎ, সন্ধ্যায় যা বলতেন। তবে তিনি আমসাইনার যায়গায় বলতেন �আসবাহনা ও আসবাহাল মুলকু লিল্লাহ আর আল-লাইলাই এর জায়গায় আল-ইয়াওম বলতেন------   ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3008

 
Hadith   67   الحديث
الأهمية: بينما الناس بقباء في صلاة الصبح إذ جاءهم آت، فقال: إن النبي -صلى الله عليه وسلم- قد أنزل عليه الليلة قرآن، وقد أمر أن يستقبل القبلة، فاستقبلوها
থিম: একদা লোকেরা কুবা নামক স্থানে ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় তাদের নিকট এক ব্যক্তি এসে বললেন যে, এ রাতে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ হয়েছে। আর তাঁকে কা�বামুখী হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই তোমারা কা�বার দিকে মুখ কর।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- قال: �بَينَمَا النَّاس بِقُبَاء في صَلاَة الصُّبحِ إِذْ جَاءَهُم آتٍ، فقال: إِنَّ النبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- قد أُنزِل عليه اللَّيلةّ قرآن، وقد أُمِرَ أن يَستَقبِل القِبْلَة، فَاسْتَقْبِلُوهَا، وكانت وُجُوهُهُم إلى الشَّام، فَاسْتَدَارُوا إِلى الكَّعبَة�.

�একদা লোকেরা কুবা নামক স্থানে ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় তাদের নিকট এক ব্যক্তি এসে বললেন যে, এ রাতে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ হয়েছে। আর তাঁকে কা�বামুখী হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই তোমারা কা�বার দিকে মুখ কর। তখন তাঁদের চেহারা ছিল শামের (বায়তুল মুকাদ্দাসের) দিকে। একথা শুনে তাঁরা কা�বার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
خرج أحد الصحابة إلى مسجد قباء بظاهر المدينة، فوجد أهله لم يبلغهم نسخ القبلة، ولا زالوا يصلون إلى القبلة الأولى، فأخبرهم بصرف القبلة إلى الكعبة، وأنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- قد أُنزل عليه قرآن في ذلك -يشير إلى قوله تعالى:{ قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ}، [البقرة: 144] وأنه -صلى الله عليه وسلم- استقبل الكعبة، فمن فقههم وسرعة فهمهم وصحته استداروا عن جهة بيت المقدس -قبلتهم الأولى- إلى قبلتهم الثانية، الكعبة المشرفة.
কোন এক সাহাবী মদীনার প্রান্তে কুবা মসজিদে গেল। তখন তিনি দেখতে পেলেন যে তাদের নিকট কিবলা পরিবর্তনের সংবাদ পৌঁছেনি। তারা প্রথম কিবলার দিকেই সালাত আদায় করছে। তখন তিনি তাদের কা�বার দিকে কিবলা পরিবর্তন হওয়ার সংবাদ দিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর এ বিষয়ে কুরআন নাযিল করা হয়েছে। তিনি ইঙ্গিত করছেন আল্লাহর নিম্নের বাণীর প্রতি : �আকাশের দিকে তোমার বার বার মুখ ফিরানো আমি অবশ্যই দেখছি। অতএব আমি অবশ্যই তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরাব, যা তুমি পছন্দ কর। সুতরাং তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকেই তোমাদের চেহারা ফিরাও। আর নিশ্চয় যারা কিতাবপ্রাপ্ত হয়েছে, তারা অবশ্যই জানে যে, তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য এবং তারা যা করে, সে ব্যাপারে আল্লাহ গাফিল নন�। [আল-বাকারা: ১৪৪] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও কা�বাকে কিবলা বানিয়েছেন। তাদের জ্ঞানের গভীরতা, দ্রুত বুঝ ও সংবাদের বিশুদ্ধতার কারণে তারা সাথে সাথে তাদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে ঘুরে দ্বিতীয় কিবলা কা�বা শরীফের দিকে ঘুরে যায়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3009

 
Hadith   68   الحديث
الأهمية: مر النبي -صلى الله عليه وسلم- بقبرين، فقال: إنهما ليعذبان، وما يعذبان في كبير؛ أما أحدهما: فكان لا يستتر من البول، وأما الآخر: فكان يمشي بالنميمة
থিম: একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটো কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন এবং বললেন, �ঐ দুই কবরবাসীর আযাব হচ্ছে। অবশ্য ওদেরকে কোন বড় ধরনের অপরাধ (বা কোন কঠিন কাজের) জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না।� ওদের একজন পেশাবের ছিটা থেকে বাচত না, আর অপর জন লোকের) চুগলী ক�রে বেড়াত।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- قال: مر النبي -صلى الله عليه وسلم- بقبرين، فقال: �إنهما ليُعذَّبان، وما يُعذَّبان في كبير؛ أما أحدهما: فكان لا يستتر من البول، وأما الآخر: فكان يمشي بالنميمة�.

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: �একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটো কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন এবং বললেন, �ঐ দুই কবরবাসীর আযাব হচ্ছে। অবশ্য ওদেরকে কোন বড় ধরনের অপরাধ (বা কোন কঠিন কাজের) জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না।� ওদের একজন পেশাবের ছিটা থেকে বাচত না, আর অপর জন লোকের) চুগলী ক�রে বেড়াত�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
مرَّ النبي -صلى الله عليه وسلم-، ومعه بعض أصحابه بقبرين، فكشف الله -سبحانه وتعالى- له عن حالهما، وأنهما يعذبان، فأخبر أصحابه بذلك؛ تحذيراً لأمته وتخويفاً، فإنَّ صاحبي هذين القبرين، يعذَّب كل منهما بذنب    تركُه والابتعادُ عنه يسيرٌ على من وفقه الله لذلك.
فأحَدُ المعذَّبَيْن كان لا يحترز من بوله عند قضاء الحاجة، ولا يتحفّظ منه، فتصيبه النَجاسة فتلوث بدنه وثيابه ولا يستتر عند بوله، والآخر يسعى بين الناس بالنميمة التي تسبب العداوة والبغضاء بين الناس، ولاسيما الأقارب والأصدقاء، يأتي إلى هذا فينقل إليه كلام ذاك، ويأتي إلى ذاك فينقل إليه كلام هذا؛ فيولد بينهما القطيعة والخصام. والإسلام إنما جاء بالمحبة والألفة بين الناس وقطع المنازعات والمخاصمات.
ولكن الكريم الرحيم -صلى الله عليه وسلم- أدركته عليهما الشفقة والرأفة، فأخذ جريدة نخل رطبة، فشقَّها نصفين، وغرز على كل قبر واحدة، فسأل الصحابة النبي -صلى الله عليه وسلم- عن هذا العمل الغريب عليهم، فقال: لعل الله يخفف عنهما بشفاعتي ما هما فيه في العذاب، ما لم تيبس هاتان الجريدتان، أي مدة بقاء الجريدتين رطبتين، وهذا الفعل خاص به -صلى الله عليه وسلم-.

থিম: একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ক�জন সাথীসহ দুটো কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। আল্লাহ তা�আলা তার জন্য তাদের দুই জনের অবস্থা খুলে দিলেন যে, তাদের দুইজনকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তারপর তিনি উম্মতকে সতর্ক করা এবং ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে তার সাথীদের বিষয়টি জানালেন। কারণ, এ দুই কবরবাসীর প্রত্যেককে সামান্য গুনাহ যার থেকে দূরে থাকে নাই তার কারণে আযাব দেওয়া হচ্ছে। তাদের একজন এমন ছিল, সে প্রয়োজন পুরো করার সময় পেশাব থেকে বেচে থাকতো না এবং তার থেকে আত্মরক্ষা করতো না। ফলে পেশাব তার শরীর কাপড় ইত্যাদিতে লেগে তা নাপাক করে দিত এবং পেশাবের সময় গোপনীয়তা রক্ষা করতো না। আর তাদের অপর ব্যক্তি মানুষের মাঝে চোগলী করে বেড়াত। যা মানুষের মাঝে দুশমনি ও রেশারেশির কারণ হতো। বিশেষ করে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মাঝে। সে এক বন্ধুর কাছে আসে তারপর সে তার কাছে অপর বন্ধুর কথা বলে। আবার তার কাছে গিয়ে এ বন্ধুর কথা বলে। ফলে উভয়ের মাঝে দূরত্ব এবং বিবাদ সৃষ্টি হয়। ইসলাম এসেছে মানুষের মাঝে মিল মুহাব্বত সৃষ্টি করতে এবং জগড়া বিবাদ দূর করতে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্তরে তাদের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ সৃষ্টি হলো, তিনি একটি তাজা খেজুরের ডাল নিলেন এবং দুই ভাগ করলেন। তারপর প্রতিটি টুকরাকে প্রত্যেক কবরের ওপর পুঁতে দিলেন। সাহাবীগণ এ অপরিচিত কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তিনি বললেন, হতে পারে আল্লাহ তা�আলা আমার সুপারিশের কারণে তারা যে আযাবের মধ্যে রয়েছে তা কিছুটা লাগব হবে যতক্ষণ না এ ডাল দুটি না শুকায়। অর্থাৎ, এ দুটি ডাল তাজা থাকা পর্যন্ত। এ কর্মটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বৈশিষ্ট্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3010

 
Hadith   69   الحديث
الأهمية: إذا أراد الله بالأمير خيرا، جعل له وزير صدق، إن نسي ذكره، وإن ذكر أعانه، وإذا أراد به غير ذلك جعل له وزير سوء، إن نسي لم يذكره، وإن ذكر لم يعنه
থিম: যখন আল্লাহ কোন শাসকের মঙ্গল চান, তখন তিনি তার জন্য সত্যনিষ্ঠ (শুভাকাঙ্খী) একজন মন্ত্রী নিযুক্ত ক�রে দেন। শাসক (কোন কথা) ভুলে গেলে সে তাকে তা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে। আর যখন আল্লাহ তার অন্য কিছু (অমঙ্গল) চান, তখন তার জন্য মন্দ মন্ত্রী নিযুক্ত ক�রে দেন। শাসক বিস্মৃত হলে সে তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় না এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে না।

عن عائشة -رضي الله عنها- مرفوعًا: �إِذَا أَرَادَ اللهُ بِالأمِيرِ خَيرًا، جَعَلَ لَهُ وَزِيرَ صِدقٍ، إِنْ نَسِيَ ذَكَّرَهُ، وَإِنْ ذَكَرَ أَعَانَهُ، وَإِذَا أَرَادَ بِهِ غَيرَ ذَلِكَ جَعَلَ لَهُ وَزِيرَ سُوءٍ، إِنْ نَسِيَ لَمْ يُذَكِّرهُ، وَإِنْ ذَكَرَ لَمْ يُعِنْهُ�.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আন্হা থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �যখন আল্লাহ কোন শাসকের মঙ্গল চান, তখন তিনি তার জন্য সত্যনিষ্ঠ (শুভাকাঙ্খী) একজন মন্ত্রী নিযুক্ত ক�রে দেন। শাসক (কোন কথা) ভুলে গেলে সে তাকে তা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে। আর যখন আল্লাহ তার অন্য কিছু (অমঙ্গল) চান, তখন তার জন্য মন্দ মন্ত্রী নিযুক্ত ক�রে দেন। শাসক বিস্মৃত হলে সে তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় না এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে না।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يبين رسول الله -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث أنّ الله تعالى: "إذا أراد    بالأمير خيراً"، وفسِّرت هذه الخيرية لمن وُفِّق لوزير صدق من الأمراء بخيرية التوفيق لخيري الدارين، كما فسرت هذه الخيرية بالجنة.
وقوله: "جعل له وزير صدق" أي في القول والفعل، والظاهر والباطن، وأضافه إلى الصدق؛ لأنَّه الأساس في الصُحبة وغيرها.
فــ"إن نسي" أي: هذا الأمير، فإن نسي ما يحتاج إليه -والنسيان من طبيعة البشر-، أو ضلّ عن حكم شرعي، أو قضية مظلوم، أو مصالح لرعية، "ذكَّره" أي: هذا الوزير الصادق وهداه.
"وإن ذكر" الأمير ذلك، "أعانه" عليه بالرأي والقول والفعل.
وأما قوله: "وإذا أراد به غير ذلك" أي: غير الخير، بأن أراد به شرّاً، كانت النتيجة "جعل له وزير سوء" والمراد: وزير سوء في القول، والفعل، نظير ما سبق في ضده.
"إن نسي" أي: ترك مالا بد منه "لم يذكِّره" به؛ لأنه ليس عنده من النور القلبي ما يحمله على ذلك.
"وإن ذكر لم يعنه" بل يسعى في صرفه عنه؛ لشرارة طبعه، وسوء صنعه.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন আল্লাহ আমীরের ভালো চান। এখানে এরাদা (অর্থাৎ চাওয়া) দ্বারা উদ্দেশ্য ইরাদায়ে কাওনী. কাদারী (অর্থাৎ পার্থিব স্বার্থ সংশ্লিষ্ট তাকদীর)। এ কারণেই তাতে�এই চাওয়াতে� ভালো ও মন্দ একাধিক বিষয় রয়েছে। কারণ, আল্লাহ কখনো এই এরাদাকে মহব্বত করে এবং কখনো তাকে ঘৃণা করেন। ফলে এই ইরাদাহ ব্যাপকতার কারণে ইরাদায়ে শর�ঈয়াহ যাকে আল্লাহ মহব্বত করেন তাকও সামিল করে। আর এ কল্যাণকে এ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, আমীরের জন্য একজন সত্যবাদী ওযীরের তাওফীক দেওয়া যাতে দুনিয়া আখিরাত উভয় জাহানে তার কল্যাণ হয়। এমনিভাবে এর ব্যখ্যা জান্নাত দ্বারাও করা হয়ে থাকে। তার বাণী: �সত্যবাদী মন্ত্রী নিয়োজিত করেন� আল্লাহ তা�আলা তার কথা, কাজে, প্রকাশ্যে ও গোপনে একজন সত্যবাদী মন্ত্রী নিযুক্ত করেন। এখানে তাকে সততার দিকে নিসবত করা হয়েছে। কারণ, সাথী হওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে সততাই মূল। �যদি আমীর ভুলে যায়��ভুলে যাওয়া মানুষের স্বভাব�অর্থাৎ, যদি আমীর প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ভুলে যায় অথবা শর�ঈ কোন বিধানের বিষয়ে অজ্ঞ থাকে অথবা কোন অত্যাচারিত লোকের ফায়সালা অথবা জন কল্যাণকর কোন বিষয় ভুলে গেছে তা এ সৎ মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেয় এবং তাকে দিক নির্দেশনা দেয়। আর যদি আমীরের স্মরণ থাকে, তবে সে তাকে কথা, কাজ বা মতামত দিয়ে সাহায্য করে। আর যদি তার সাথে অন্য কিছু অর্থাৎ অমঙ্গল ইচ্ছা করেন, এভাবে ব্যক্ত করা দ্বারা খারাপ কর্ম থেকে বিরত থাকার প্রতি ইশারা করা হয়েছে। কারণ, যখন সে খারাপ কর্ম ঘৃণিত বা মন্দ হওয়ার কারণে তার নাম নেওয়া থেকেই বিরত থাকে, তাহলে খারাপ কর্ম থেকে বিরত থাকা আরও অধিক শ্রেয়। আর এখানে ইসম ইশারাহ যালিকা যা দূরের অর্থ বুঝায় নিয়ে আসা দ্বারা, ভালো কর্ম মহান, তার মর্যাদা উচ্চ হওয়া এবং তা তালাশ করা ও লাভ করতে স্বচেষ্ট হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদানের ইশারা করা হয়েছে। ফলাফল হল, �তার জন্য অসৎ মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়�। অর্থাৎ, কথা কর্মে উল্লেখিত গুণের বিপরীত। যদি সে ভুলে যায় তখন সে প্রয়োজনীয় বিষয় ছেড়ে দেয়। সে তা তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় না। কারণ, তার অন্তরে নূর নেই যা তাকে তার ওপর উঠাবে। আর যদি স্মরণ থাকে তাকে সাহায্য করে না। বরং তার স্বভাব ও কর্ম খারাপ হওয়ার কারণে তাকে তা থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3011

 
Hadith   70   الحديث
الأهمية: ما بعث الله من نبي، ولا استخلف من خليفة إلا كانت له بطانتان: بطانة تأمره بالمعروف وتحضه عليه، وبطانة تأمره بالشر وتحضه عليه
থিম: আল্লাহ যখনই কোন নবী প্রেরণ করেন এবং কোন খলীফা নির্বাচিত করেন, তখনই তাঁর জন্য দু�জন সঙ্গী নিযুক্ত করে দেন। একজন সঙ্গী তাঁকে ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর দ্বিতীয়জন সঙ্গী তাঁকে মন্দ কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর রক্ষা পান কেবলমাত্র তিনিই, যাকে আল্লাহ রক্ষা করেন।

عن أبي سعيد الخدري وأبي هريرة -رضي الله عنهما- مرفوعاً: "ما بعث الله من نبي ولا اسْتَخْلَفَ من خليفة إلا كانت له بطانتان: بطانة تأمره بالمعروف وتَحُضُّهُ عليه، وبطانة تأمره بالشر وتَحُضُّهُ عليه، والمعصوم من عصم الله".

আবূ সা�ঈদ ও আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ��আল্লাহ যখনই কোন নবী প্রেরণ করেন এবং কোন খলীফা নির্বাচিত করেন, তখনই তাঁর জন্য দু�জন সঙ্গী নিযুক্ত করে দেন। একজন সঙ্গী তাঁকে ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর দ্বিতীয়জন সঙ্গী তাঁকে মন্দ কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর রক্ষা পান কেবলমাত্র তিনিই, যাকে আল্লাহ রক্ষা করেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر النبي -عليه الصلاة والسلام- أن الله ما بعث من نبي ولا استخلف من خليفة إلا كان له بطانتان: بطانة خير تأمره بالخير وتحثه عليه، وبطانة سوء تدله على السوء وتأمره به، والمحفوظ من تأثير بطانة الشر هو من حفظه الله -تعالى-.
থিম: নবী �আলাইহিস সালাম বলেছেন যে, আল্লাহ যাকেই নবী হিসাবে প্রেরন করেন এবং খলীফা হিসাবে নিযুক্ত করেন, তার জন্য দু�জন করে (একান্ত) সঙ্গী থাকে। একজন ভালো সঙ্গী যে তাকে ভালো কাজের নির্দেশ দেয় এবং তাকে তৎপ্রতি অনুপ্রাণিত করে। আর একজন খারাপ সঙ্গী যে তাকে মন্দ কাজের পরামর্শ দেয় এবং তৎপ্রতি উৎসাহিত করে। অকল্যাণকর সঙ্গী থেকে সেই নিষ্পাপ থাকে যাকে আল্লাহ রক্ষা করেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3012

 
Hadith   71   الحديث
الأهمية: إذا سمعتم المؤذن فقولوا مثل ما يقول
থিম: যখন তোমরা মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাও, তখন তোমরা তাই বল যা সে বলে।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �إِذَا سَمِعتُم المُؤَذِّن فَقُولُوا مِثلَ مَا يَقُول�.

আবদুল্লাহ ইবন �আমর ইবনুল �আস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: যখন তোমরা মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাও, তখন তোমরা তাই বল যা সে বলে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
إذا سمعتم المؤذن للصلاة فأجيبوه، بأن تقولوا مثل ما يقول، جملة بجملة، فحينما يكبر فكبروا بعده، وحينما يأتي بالشهادتين، فأتوا بهما بعده، فإنه يحصل لكم من الثواب ما فاتكم من ثواب التأذين الذي حازه المؤذن، والله واسع العطاء، مجيب الدعاء.
يستثنى من الحديث لفظ: (حي على الصلاة، حي على الفلاح) فإنه يقول بعدها: لا حول ولا قوة إلا بالله.
যখন তোমরা সালাতের আযান শোন তখন তোমরা তার উত্তর দাও। যেমন সে যা বলে তোমরা একটি একটি বাক্য করে তাই বলবে। যখন মুয়াজ্জিন তাকবীর বলে তারপর তোমরা তাকবীর বল। আর যখন শাহাদাতাইন বলে তার শাহাদাতাইন বলার পর তোমরা শাহাদাতাইন বলবে। কারণ, তাতে মুয়াজ্জিন আযান দেওয়ার কারণে যে সাওয়াবের লাভ করবে তুমি আযান না দিতে পেরে সে ছুটে যাওয়া সাওয়াব হাসিল করবে। আল্লাহ তা�আলা প্রসস্থ দাতা এবং দো�আ কবুলকারী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3013

 
Hadith   72   الحديث
الأهمية: كنت مع النبي -صلى الله عليه وسلم- في سفر، فأهويت لأنزع خفيه، فقال: دعهما؛ فإني أدخلتهما طاهرتين، فمسح عليهما
থিম: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে কোন এক সফরে ছিলাম। (উযূ করার সময়) আমি তাঁর মোজা দু�টি খুলতে চাইলে তিনি বললেন, �ও দু�টো থাক, আমি পবিত্র অবস্থায় এ দু�টি পরেছিলাম�। (এই বলে) তিনি তার উপর মাস্হ করলেন।

عن المغيرة بن شعبة -رضي الله عنه- قال: ((كُنت مع النبيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- في سَفَر، فأهْوَيت لِأَنزِع خُفَّيه، فقال: دَعْهُما؛ فإِنِّي أدخَلتُهُما طَاهِرَتَين، فَمَسَح عليهما)).
থিম: মুগীরাহ ইবন শু�বা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, �আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে কোন এক সফরে ছিলাম। (উযূ করার সময়) আমি তাঁর মোজা দু�টি খুলতে চাইলে তিনি বললেন, �এ দু�টো থাক, আমি পবিত্র অবস্থায় এ দু�টি পরেছিলাম�। (এই বলে) তিনি তার উপর মাস্হ করলেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان المغيرة -رضي الله عنه- مع النبي -صلى الله عليه وسلم- في أحد أسفاره -وهو سفره في غزوة تبوك-، فلما شرع النبي -صلى الله عليه وسلم- في الوضوء، وغسل وجهه ويديه، ومسح رأسه، أهوى المغيرة إلى خفي النبي -صلى الله عليه وسلم- لينزعهما؛ لغسل الرجلين، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم- اتركهما ولا تنزعهما، فإني أدخلت رجلي في الخفين وأنا على طهارة، فمسح النبي -صلى الله عليه وسلم- على خفيه بدل غسل رجليه.
وكذلك الجوارب ونحوها تأخذ حكم الخفين.
মুগীরাহ ইবন শু�বা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে ছিলেন�আর সেটি ছিল তাবুক যুদ্ধ�রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উযু করা আরম্ভ করলেন, তখন তিনি চেহারা ও দুই হাত ধুইলেন এবং মাথা মাসেহ করলেন তখন মুগীরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর মোজা দু�টি খুলতে চাইলে তিনি বললেন, �এ দু�টো রেখে দাও এবং এ দুটো খুলো না, কারণ, আমি আমার পা দু�টিকে মোজা দুটিতে প্রবেশ করিয়েছি যে অবস্থায় আমি পবিত্র ছিলাম। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই পা ধোয়ার পরিবর্তে দুই মোজার ওপর মাসেহ করেন। অনুরূপভাবে জাওরাব ইত্যাদির ক্ষেত্রেও দুই মোজার মতোই বিধান।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম), তবে শব্দ সহীহ বুখারীর।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3014

 
Hadith   73   الحديث
الأهمية: إن بلالا يؤذن بليل، فكلوا واشربوا حتى تسمعوا أذان ابن أم مكتوم
থিম: বিলাল রাতে আযান দেয়, তোমরা খেতে ও পান করতে থাকবে যে পর্যন্ত ইবনে উম্মে মাকতূমের আযান না শুনবে।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنه- مرفوعاً: �إنَّ بِلالاً يُؤَذِّن بِلَيلٍ، فَكُلُوا واشرَبُوا حتَّى تَسمَعُوا أَذَان ابنِ أُمِّ مَكتُوم�.

ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �বিলাল রাতে আযান দেয়, তোমরা খেতে ও পান করতে থাকবে যে পর্যন্ত ইবনে উম্মে মাকতূমের আযান না শুনবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان للنبي -صلى الله عليه وسلم- مؤذنان: بلال بن رباح وعبد الله بن أم مكتوم -رضي الله عنهما- وكان ضريرًا، فكان بلال يؤذن لصلاة الفجر قبل طلوع الفجر؛ لأنها تقع وقت نوم ويحتاج الناس إلى الاستعداد لها قبل دخول وقتها، فكان -صلى الله عليه وسلم-    يُنَبِّه أصحابه إلى أن بلالًا -رضي الله عنه- يؤذن بليل، فيأمرهم بالأكل والشرب حتى يطلع الفجر، ويؤذن المؤذن الثاني وهو ابن أم مكتوم -رضي الله عنه- لأنه كان يؤذن مع طلوع الفجر الثاني، وذلك لمن أراد الصيام، فحينئذ يكف عن الطعام والشراب ويدخل وقت الصلاة، وهو خاص بها، ولا يجوز فيما عداها أذان قبل دخول الوقت، واختلف في الأذان الأول لصلاة الصبح، هل يكتفي به أو لابد من أذان ثان لدخول الوقت؟ وجمهور العلماء على أنه مشروع ولا يكتفى به.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুয়াজ্জিন ছিল দুইজন। বিলাল ইবন রিবাহ ও অন্ধ সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতুম। বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু ফজর উদয়ের পূর্বে ফজরের সালাতের আযান দিতেন   । কারণ, তখন ঘুমের সময় হওয়ার ফলে ওয়াক্ত প্রবেশের পূর্বেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। তাই রাসূলুল্লাহ তার সাহাবীগণকে সতর্ক করেন যে, বিলাল রাতে আযান দেয় তাই তাদেরকে তিনি খেতে ও পান করতে নির্দেশ দেন যাবত না ফজর উদয় হওয়া ও দ্বিতীয় মুয়াজ্জিন ইবন মাকতুম আযান দেয়, কারণ তিনি দ্বিতীয় ফজর উদয় হওয়ার পর আযান দিতেন। এটা সিয়াম পালনকারীর জন্যে ছিল। কারণ তখন সে খানা ও পান করা বন্ধ করে দিত ও ফজরের সালাতের সময় হতো। সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া ফজরের সাথেই খাস। এ ছাড়া অন্য সালাতে সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া বৈধ নয়। ফজরের সালাতের প্রথম আযান নিয়ে মত প্রার্থক্য রয়েছে যে, তা সালাতের জন্য যথেষ্ট হবে নাকি ওয়াক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়াবার আযান দিতে হবে? জমহুর আলেমদের মত হলো দ্বিতীয়বার আযান দিতে হবে প্রথম আযানে যথেষ্ট করবে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3015

 
Hadith   74   الحديث
الأهمية: ينام الرجل النومة فتقبض الأمانة من قلبه، فيظل أثرها مثل الوكت، ثم ينام النومة فتقبض الأمانة من قلبه، فيظل أثرها مثل أثر المجل
থিম: মানুষ এক ঘুম ঘুমাবে আর তার অন্তর থেকে আমানত তুলে নেওয়া হবে। তখন একটি বিন্দুর মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। পুনরায় এক ঘুম ঘুমাবে। আবারো তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেওয়া হবে। তখন আগুনের আঙ্গারার মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে।

عن حذيفة بن اليمان -رضي الله عنه- قال: حَدَثَنا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حدِيثَين قَد رَأَيتُ أَحَدَهُما وأنا أنتظر الآخر: حدثنا أنَّ الأمَانة نَزَلَت في جَذر قُلُوب الرِّجال، ثمَّ نزل القرآن فَعَلِموا مِن القرآن، وعَلِمُوا مِن السُنَّة، ثمَّ حدَّثنا عن رفع الأمانة، فقال: �يَنَامُ الرَّجُلُ النَّومَة فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ، فَيَظَلُّ أَثَرُهَا مِثلَ الوَكْتِ، ثُمَّ يَنَامُ النَّومَةَ فَتُقبَض الأَمَانَة مِن قَلْبِه، فَيَظَلُّ أَثَرُها مِثل أَثَر المَجْلِ، كَجَمْرٍ دَحْرَجْتَهُ عَلى رِجْلِكَ فَنَفِطَ، فَتَرَاهُ مُنْتَبِراً وَلَيس فِيه شَيء�، ثم أَخَذ حَصَاةً فَدَحْرَجَه على رجله �فَيَصبَح النَّاس يَتَبَايَعُون، فَلاَ يَكَاد أَحَدٌ يُؤَدِّي الأَمَانَةَ حَتَّى يُقَال: إِنَّ فِي بَنِي فُلاَن رَجُلاً أَمِيناً، حَتَّى يُقَال للرَّجُل: مَا أَجْلَدَهُ! مَا أَظْرَفَه! مَا أَعْقَلَه! وَمَا فِي قَلبِه مِثْقَالُ حَبَّة مِن خَرْدَل مِنْ إيمان�، ولَقَد أتى عَلَيَّ زَمَان وما أُبَالي أَيُّكُم بَايعت: لئِن كان مُسلِمًا لَيَرُدَنَّه عَلَيَّ دِينه، وَإِن كان نصرانيا أو يهوديا ليَرُدنَّه عَلَيَّ سَاعِيه، وأَمَّا اليوم فَمَا كُنت أَبَايِعُ مِنكُم إِلاَّ فُلاَنا وفُلاَناً�.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দু�টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার একটি আমি দেখেছি আর অপরটির অপেক্ষা করছি। তিনি আমাদেরকে বলেছেন যে, আমানত মানুষের অন্তরের অন্তঃস্তলে অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, ফলে তারা কুরআন থেকে জ্ঞানার্জন করেছে এবং হাদীস থেকেও জ্ঞানার্জন করেছে। এরপর তিনি আমাদেরকে আমানত তুলে নেওয়া সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, �মানুষ এক ঘুম ঘুমাবে আর তার অন্তর থেকে আমানত তুলে নেওয়া হবে। তখন একটি বিন্দুর মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। পুনরায় এক ঘুম ঘুমাবে। আবারো তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেওয়া হবে। তখন আগুনের আঙ্গারার মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে, যেমন একটি আঙ্গারা তোমার পা দিয়ে মাড়িয়েছ আর তার ফলে ফোস্কা পড়েছে। তুমি ফোস্কাটি ফোলা দেখবে; কিন্তু বাস্তবে তাতে কিছুই থাকবে না।� অতঃপর (উদাহরণ স্বরূপ) তিনি একটি কাঁকর নিয়ে নিজ পায়ে গড়িয়ে দিলেন। (তারপর বলতে লাগলেন,) �সে সময় লোকেরা বেচা-কেনা করবে কিন্তু প্রায় কেউই আমানত আদায় করবে না। এমনকি লোকে বলাবলি করবে যে, অমুক বংশে একজন আমানতদার লোক আছে। এমনকি (দুনিয়াদার) ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করা হবে, সে কতই না অদম্য! সে কতই না বিচক্ষণ! সে কতই না বুদ্ধিমান! অথচ তার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও থাকবে না।� (হুযাইফা বলেন,) ইতিপূর্বে আমার উপর এমন যুগ অতিবাহিত হয়ে গেছে, যখন কারো সাথে বেচাকেনা করতে কোন পরোয়া করতাম না। কারণ সে মুসলিম হলে তার দ্বীন তাকে আমার (খিয়ানত থেকে) বিরত রাখবে। আর খ্রিষ্টান অথবা ইয়াহুদী হলে তার শাসকই আমার হক ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা হচ্ছে এই যে, আমি অমুক অমুক ছাড়া বেচা-কেনা করতে প্রস্তুত নই।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يوضح الحديث أنَّ الأمانة تزول عن القلوب شيئاً فشيئا، فإذا زال أول جزء منها زال نوره وخلفه ظلمة كالوَكْت وهو أعراض لون مخالف اللون الذي قبله، فإذا زال شيء آخر صار كالمجل وهو أثر محكم لا يكاد يزول إلا بعد مدة، وهذه الظلمة فوق التي قبلها ثم شبَّه زوال ذلك النور بعد وقوعه في القلب وخروجه بعد استقراره فيه واعتقاب الظلمة إيَّاه بجمر يدحرجه على رجله حتى يؤثر فيها ثم يزول الجمر ويبقى النفط؛ وأخذه الحصاة ودحرجته إياها أراد به زيادة البيان والإيضاح.
(فيصبح الناس) بعد تلك النومة التي رفع فيها الأمانة (يتبايعون فلا يكاد) أي: يقارب (أحد) منهم (يؤدي الأمانة) فضلاً عن أدائها بالفعل.
(حتى يقال) لعزة هذا الوصف وشهرة ما يتصف به.
(إن في بني فلان رجلاً أميناً) ذا أمانة.
(حتى يقال للرجل ما أجلده) على العمل (ما أظرفه) من الظرف (ما أعقله) أي: ما أشد يقظته وفطانته (وما في قلبه مثقال حبة من خردل من إيمان) فضلاً عن الأمانة التي هي من شعبه.
(ولقد أتى عليّ زمان وما أبالي أيكم بايعت) أي: لا أبالي بالذي بايعته لعلمي بأن الأمانة لم ترتفع وأن في الناس وفاء بالعهد، فكنت أقدم على مبايعة من لقيت غير باحث عن حاله وثوقاً بالناس وأمانتهم.
(وأما اليوم) فقد ذهبت الأمانة إلا القليل فلذا قال:
(فما كنت أبايع منكم إلا فلاناً وفلاناً) يعني أفراداً أعرفهم وأثق بهم.
হাদীসটি স্পষ্ট করে যে, আমানত ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে। যখন তার প্রথম অংশ দূর হবে তখন তার অন্তরের নূর দূর হয়ে যাবে। আর তার পরিবর্তে রেখে যাবে বিন্দুর ন্যায় অন্ধকার। এটি হচ্ছে পূর্বের রং এর বিপরীত রং। তারপর যখন আরো কিছু আমানত দূর হবে, তখন আঙ্গারার ন্যায় হয়ে যাবে। এটি কঠিন দাগ যা সহজে দূর হবে না। তবে অনেক সময় পর। এটি তার পূর্বে অন্ধকার থেকে অধিক অন্ধাকার। অন্তরে নূর ডেলে দেওয়ার পর তা দূর হয়ে যাওয়া এবং স্থান করে নেওয়ার পর তা বের হয়ে যাওয়া এবং তারপর তাতে অন্ধকার জায়গা করে নেওয়াকে তুলনা করেছেন একটি জ্বলন্ত অগ্নি কয়লার সাথে যা পায়ে পড়ে তাতে ফোস্কা সৃষ্টি করল তারপর কয়লা দূর হলো এবং ফোস্কা অবশিষ্ট থাকল। অতঃপর (উদাহরণ স্বরূপ) তিনি একটি কাঁকর নিয়ে নিজ পায়ে গড়িয়ে দিলেন। এ দ্বারা বর্ণনাটি অধিক ও স্পষ্ট করতে চাইলেন।
�সে সময় লোকেরা সে ঘুম থেকে ভোর করবে যে ঘুমের ঘরে আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে। তারা বেচা-কেনা করবে কিন্তু তাদের কেউই আমানত আদায় করার কাছাকাছি থাকবে না, বাস্তবিকপক্ষে আদায় করবে দূরের কথা।
এমনকি এ গুনটি কম হওয়া ও তার প্রসিদ্ধির কারণে লোকেরা বলাবলি করবে যে, অমুক বংশে একজন আমানতদার লোক আছে।
এমনকি (দুনিয়াদার) ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করা হবে, সে কতই না অদম্য! সে কতই না বিচক্ষণ! সে কতই না বুদ্ধিমান! অথচ যে আমানতদারিতা ইমানের আলামত তাতো দূরের কথা তার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও থাকবে না।�
(হুযাইফা বলেন,) ইতিপূর্বে আমার উপর এমন যুগ অতিবাহিত হয়ে গেছে, যখন কারো সাথে বেচাকেনা করতে কোন পরোয়া করতাম না। অর্থাৎ কারো সাথে বেচা-কেনা করতে পরওয়া করতাম না কারণ আমরা জানতাম যে, আমানত তুলে নেওয়া হয়নি। মানুষের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার প্রচলন ছিল। তাই মানুষের প্রতি ভরসা রেখে এবং তাদের আমানত দারিতার প্রতি লক্ষ্য করে তার অবস্থা সম্পর্কে অনুসন্ধান না করে তার সাথে বেচা-কেনায় অগ্রসর হতাম। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা হচ্ছে এই যে, আমি অমুক অমুক ছাড়া বেচা-কেনা করতে প্রস্তুত নই। অর্থাৎ কতক লোক যাদের আমি চিনি এবং তাদের প্রতি আস্থা রাখি। আল্লামা কিরমানি বলেন, যদি বলি আমানত তুলে নেওয়া রাসূলের যামায় প্রকাশ পেয়েছিল।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3016

 
Hadith   75   الحديث
الأهمية: إذا أحب الرجل أخاه فليخبره أنه يحبه
থিম: যখন কোনো মানুষ তার ভাইকে ভালোবাসে, তখন সে যেন তাকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে ভালোবাসে।

عن أبي كريمة المقداد بن معد يكرب -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: �إِذَا أَحَبَّ الرَّجُلُ أَخَاهُ، فَلْيُخْبِرْهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ�.

আবূ কারীমা মিকদাদ ইবন মা�দী কারিব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মার�ফু হিসেবে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যখন কোন মানুষ তার ভাইকে ভালোবাসে, তখন সে যেন তাকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে ভালোবাসে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
دعت أحاديث كثيرة إلى التحابب في الله -تعالى-، وأخبرت عن ثوابه، وهذا الحديث يشير إلى معنى مهم يُحْدِث الأثر الأكبر في علاقة المؤمنين بعضهم ببعض، كما    ينشر المحبة، وهو أن يخبر أخاه أنه يحبه، وهذا يفيد المحافظة على البناء الاجتماعي من عوامل التفكك والانحلال؛ وهذا من خلال إشاعة المحبة بين أفراد المجتمع الإسلامي، وتقوية الرابطة الاجتماعية بالأخوة الإسلامية، وهذا كله يتحقق بفعل أسباب المحبة كتبادل الإخبار بالمحبة بين المتحابين في الله -تعالى-.
থিম: অসংখ্য হাদীস আল্লাহর জন্য পরস্পরকে ভালোবাসার দাওয়াত দিয়েছে ও তার সাওয়াবের সংবাদ প্রদান করেছে। আর এ হাদীসিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত দেয়, যা মু�মিনদের একে অপরের সম্পর্কের মাঝে বড় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, যেমন মহব্বতকেও ছড়িয়ে দেয়। আর তা হলো, সে তার ভাইকে জানিয়ে দিবে যে, সে তাকে মুহাব্বত করে। এটি ইসলামী সমাজের মানুষের মধ্যে মহব্বত ছড়িয়ে দিয়ে ও ইসলামী ভ্রাতৃত্ব দ্বারা সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী করে সামাজিক ভিত্তিকে ফাটল ও বিচ্ছিন্নতা থেকে রক্ষা করার নির্দেশ দেয়। আর এসব বাস্তবায়িত হয়, মহব্বতের উপকরণসমূহ বাস্তবায়ন করার দ্বারা। যেমন, আল্লাহর জন্যে একে অপরকে মহব্বতকারীর মাঝে মহব্বতের বিষয়টি জানাজানি করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3017

 
Hadith   76   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يعجبه التيمن في تنعله، وترجله، وطهوره، وفي شأنه كله
থিম: �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত কাজে (যেমন) ওযূ করা, মাথা আঁচড়ানো ও জুতা পরা (প্রভৃতি ভাল) কাজে ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: �كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يعجبه التيمُّن في تَنَعُّلِّه, وترجُّلِه, وطُهُورِه, وفي شَأنه كُلِّه�.

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত কাজে (যেমন) ওযূ করা, মাথা আঁচড়ানো ও জুতা পরা (প্রভৃতি ভাল) কাজে ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
تخبرنا عائشة -رضي الله عنها- عن عادة النبي -صلى الله عليه وسلم- المحببة إليه، وهى تقديم الأيمن في لبس نعله، ومشط شعره، وتسريحه، وتطهره من الأحداث، وفى جميع أموره التي من نوع ما ذكر كلبس القميص والسراويل، والنوم، والأكل والشرب ونحو ذلك.
كل هذا من باب التفاؤل الحسن وتشريف اليمين على اليسار.
وأما الأشياء المستقذرة فالأحسن أن تقدم فيها اليسار؛ ولهذا نهى النبي -صلى الله عليه وسلم- عن الاستنجاء باليمين، ونهى عن مس الذكر باليمين، لأنها للطيبات، واليسار لما سوى ذلك.
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পছন্দনীয় অভ্যাস সম্পর্কে সংবাদ দেন। আর তা হলো জুতা পরিধান করা, চুল আচড়ানো ও ছড়ানো এবং নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জন সহ যাবতীয় কাজেই তিনি ডানকে পছন্দ করেন। এ ধরনের আরও কর্ম যেমন জামা, পায়জামা পরিধান করা, ঘুম যাওয়া, খানা ও পান করা ইত্যাদি। এ গুলো সবই হলো ভালো কর্ম এবং তাতে বামের ওপর ডানকে সম্মান দেখানোই শ্রেয়। আর যে সব কর্ম ঘৃণিত তাতে উত্তম হলো বামকে অগ্রাধিকার দেওয়া। এ কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডান হাতে পবিত্রতা অর্জন করতে না করেছেন এবং ডান হাত দিয়ে লিঙ্গ স্পর্শ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ, ডান হলো পবিত্র বস্তুসমূহের জন্য আর বাম হলো অন্য বস্তুর জন্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3018

 
Hadith   77   الحديث
الأهمية: كانت يد رسول الله -صلى الله عليه وسلم- اليمنى لطهوره وطعامه، وكانت اليسرى لخلائه وما كان من أذى
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ডান হাত তাঁর ওযূ ও আহারের জন্য ব্যবহার হত এবং বাম হাত তাঁর পেশাব-পায়খানা ও কষ্টদায়ক বস্তু স্পর্শ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হত।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: "كَانَت يَدُ رسُولِ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- اليُمنَى لِطُهُورِهِ وطَعَامِهِ، وكَانَت اليُسْرَى لِخَلاَئِهِ، ومَا كَانَ مِنْ أَذَى".
عن حفصة -رضي الله عنها- "أَنَّ رَسُولَ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- كَانَ يَجْعَلُ يَمِينَهُ لِطَعَامِهِ وَشَرَابِهِ وَثِيَابِهِ، وَيَجْعَلُ يَسَارَهُ لِمَا سِوَى ذَلِك".

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ডান হাত তাঁর ওযূ ও আহারের জন্য ব্যবহার হত এবং বাম হাত তাঁর পেশাব-পায়খানা ও কষ্টদায়ক বস্তু স্পর্শ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হত।� হাফসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানাহার ও কাপড় পরার ক্ষেত্রে স্বীয় ডান হাত কাজে লাগাতেন এবং তাছাড়া অন্যান্য (নোংরা স্পর্শ ইত্যাদি) কাজে বাম হাত লাগাতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
بيَّنت عائشة -رضي الله عنها-، ما كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يستعمل فيه اليمين، وما كان يستعمل فيه اليسار، فذكرت أن الذي يستعمل فيه اليسار ما كان فيه أذى؛ كالاستنجاء، والاستجمار، والاستنشاق، والاستنثار، وما أشبه ذلك، كل ما فيه أذى فإنه تقدم فيه اليسرى، وما سوى ذلك؛ فإنه تقدم فيه اليمنى؛ تكريمًا لها؛ لأن الأيمن أفضل من الأيسر.
   وهذ الحديث داخل في استحباب تقديم اليمنى فيما من شأنه التكريم فقولها -رضي    الله عنها-.
قولها: "لطهوره": يعني إذا تطهر يبدأ باليمين، فيبدأ بغسل اليد اليمنى قبل اليسرى، وبغسل الرجل اليمنى قبل اليسرى، وأما الأذنان فإنهما عضوٌ واحدٌ، وهما داخلان في الرأس، فيمسح بهما جميعًا إلا إذا كان لا يستطيع أن يمسح إلا بيد واحدة، فهنا يبدأ بالأذن اليمنى للضرورة.
قولها: "وطَعَامِهِ": أي تناوله الطعام.
"وكانت يده اليسرى لخلائه": أي لما فيه من استنجاء وتناول أحجار وإزالة أقذار.
"وما كان من أذى" كتنحية بصاق ومخاط وقمل ونحوها.
وحديث حفصة مؤكد لما سبق من حديث عائشة، الذي جاء في بيان استحباب البداءة باليمين فيما طريقه التكريم، وتقديم اليسار فيما طريقه الأذى والقذر؛ كالاستنجاء والاستجمار وما أشبه ذلك.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব কর্মে ডান হাত এবং যে সব কর্মে বাম হাত ব্যবহার করেন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তার বর্ণনা দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, যাতে নোংরামী রয়েছে যেমন ইস্তেনজা, ঢিলা কুলুপ নাক পরিষ্কার ও মুখ পরিষ্কার ইত্যাদিতে তিনি বামকে ব্যবহার করতেন। যত কর্মে আবর্জনা রয়েছে তাতে তিনি বামকে ব্যবহার করতেন। আর বাকী সব কর্মে তিনি ডানের সম্মানার্থে ডানকে সামনে বাড়াতেন। কারণ, ডান বাম থেকে উত্তম। আর এ হাদীসটি যে সব কর্ম সম্মানিত তাতে ডান হাত বাড়িয়ে দেওয়া মুস্তাহাব হওয়ার অন্তভুর্ক্ত। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বাণী: �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ডান হাত তাঁর ওযূ ও আহারের জন্য ব্যবহার হত এবং বাম হাত তাঁর পেশাব-পায়খানা ও নোংরা বস্তু স্পর্শ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হত। তার বাণী: পবিত্রতা জন্য: অর্থাৎ, যখন উযূ করবে তখন ডান হাত দিয়ে শুরু করবে। বাম হাতের আগে ডান হাত ধুইবে আর বাম পায়ের আগে ডান পা ধুইবে। আর দুই কান একটি অঙ্গ যা মাথার অর্ন্তভুক্ত। তাই উভয় কানকে একসাথে মাসেহ করবে। তবে যদি একসাথে দুই কান এক হাত ছাড়া মাসেহ করতে সক্ষম না হয়, তখন ডান কান দিয়ে মাসেহ করা আরম্ভ করবে। আর তার বাণী: আহার, অর্থাৎ আহার করার সময়। আর বাম হাত পেশাব-পায়খানার জন্য। অর্থাৎ, যেহেত তাতে রয়েছে পবিত্রতা অর্জন, ঢিলা ব্যবহার এবং ময়লা দূর করা। আর যাতে রয়েছে নোংরামী। যেমন, থুথু সরানো, নাকের ময়লা এবং মাথার উকুন ইত্যাদি পরিষ্কারে। হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীস পূর্বে উল্লেখিত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু <�আনহার হাদীসের সমর্থক। যাতে সম্মানসূচক কর্মে ডানকে বাড়িয়ে দেওয়া মুস্তাহাব হওয়া এবং যে সব কর্ম নোংরামী বা আবর্জনাযুক্ত রয়েছে সে সব কর্মে বামকে বাড়িয়ে দেওয়ার বর্ণনা রয়েছে। যেমন পবিত্রতা অর্জন করা, ঢিলা ব্যবহার করা এবং এ ধরনের আরো যে সব কর্ম রয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3019

 
Hadith   78   الحديث
الأهمية: يا رسول الله، أيرقد أحدنا وهو جنب؟ قال: نعم، إذا توضأ أحدكم فليرقد
থিম: হে আল্লাহর রাসূল আমাদের কারো ওপর যখন গোসল ফরয হয় সে ঘুমাতে পারে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যখন তোমাদের কেউ ওযূ করবে তখন সে ঘুমাবে।

عن عبد الله بنِ عمر -رضي الله عنهما- أن عمرَ بْن الخطاب -رضي الله عنه- قال: ((يا رسول الله، أّيَرقُدُ أَحَدُنا وهو جُنُب؟ قال: نعم، إِذَا تَوَضَّأ أَحَدُكُم فَليَرقُد)).
থিম: আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহ �আনহুমা থেকে বর্ণিত, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু �আনহু বলেন, �হে আল্লাহর রাসূল আমাদের কারো ওপর যখন গোসল ফরয হয় সে ঘুমাতে পারে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যখন তোমাদের কেউ ওযূ করবে তখন সে ঘুমাবে�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سأل عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- النبي -صلى الله عليه وسلم-: إن أصابت أحدهم الجنابة من أول الليل، بأن جامع امرأته ولو لم ينزل أو احتلم، فهل يرقد أي ينام وهو جنب؟ فأذن لهم -صلى الله عليه وسلم-    بذلك، على أن يخفف هذا الحدث الأكبر بالوضوء الشرعي؛ وحينئذ لا بأس من النوم مع الجنابة.
উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন যে, যখন রাতের প্রথমাংশে কেউ অপবিত্র হয়, যেমন স্ত্রীর সাথে সহবাস করল যদিও বীর্যপাত হয়নি অথবা স্বপ্নদোষ হলো সে কি নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে পারবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শর�ঈ ওযূ করে এ নাপাকীকে হালকা করার শর্তে তাকে ঘুমানের অনুমতি দিলেন। তখন নাপাক হওয়া সত্বেও ঘুমানোতে কোন অসুবিধা নেই।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3021

 
Hadith   79   الحديث
الأهمية: أنَّ رسول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- دخل مكة من كداء، من الثنية العليا التي بالبطحاء، وخرج من الثنية السفلى
থিম: নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাত্হায় অবস্থিত সানিয়্যা �উলয়ার কাদা নামক স্থান দিয়ে মাক্কায় প্রবেশ করেন এবং সানিয়্যা সুফলার দিক দিয়ে বের হন।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- �أنَّ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- دَخَل مكَّة مِن كَدَاٍء، مِن الثَنِيَّة العُليَا التِّي بالبَطحَاءِ، وخرج من الثَنِيَّة السُفلَى�.

আব্দুল্লাহ ইব্নু �উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাত্হায় অবস্থিত সানিয়্যা �উলয়ার কাদা নামক স্থান দিয়ে মাক্কায় প্রবেশ করেন এবং সানিয়্যা সুফলার দিক দিয়ে বের হন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حجَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- حجة الوداع، فبات ليلة دخوله بـ"ذي طوى" لأربع خلون من ذي الحجة، وفي الصباح دخل مكة من الثنية العليا؛ لأنه أسهل لدخوله؛ لأنه أتى من المدينة، فلما فرغ من مناسكه خرج من مكة إلى المدينة من أسفل مكة، وهي الطريق التي تأتي على "جرول"، ولعل في مخالفة الطريقين تكثيرا لمواضع العبادة، كما فعل -صلى الله عليه وسلم-    في الذهاب إلى عرفة والإياب منها، ولصلاة العيد والنفل، في غير موضع الصلاة المكتوبة؛ لتشهد الأرض على عمله عليها يوم تحدث أخبارها، أو لكون مدخله ومخرجه مناسبين لمن جاء من المدينة، وذهب إليها. والله أعلم.
নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায়ী হজ করেন। তিনি যে রাত মক্কায় প্রবেশ করেন সে রাতে যী-তুয়া নামী স্থানে যিল হজ মাসের চার তারিখে রাত যাপন করেন। আর সকালে তিনি সানিয়্যা �উলয়ার কাদা নামক স্থান দিয়ে মাক্কায় প্রবেশ করেন। কারণ, প্রবেশের জন্য এটিই সহজ। কারণ, তিনি মদীনা থেকে এসেছেন। আর যখন তিনি হজ কর্ম সম্পন্ন করেন মক্কা থেকে মদীনার দিকের রওয়ানা করেন মক্কার নিম্ন এলাকা দিয়ে বের হন। আর সেটি হলো জারওয়ালের পথ। রাস্তা পরিবর্তনের হিকমত এও হতে পারে যে, ইবাদতের স্থান বাড়ানো। যেমনটি তিনি আরাফায় যাওয়া আসা, সালাতুল ঈদে যাওয়া আসা এবং নফল সালাত ফরয আদায়ের ভিন্ন জায়গায় আদায় করার ক্ষেত্রে করে থাকেন। যাতে যেদিন যমীন তার সংবাদ প্রকাশ করবে সেদিন যেন সে তার উপর কৃত আমল সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়। অথবা যে ব্যক্তি মদীনা থেকে আসবে তার জন্য প্রবেশ করা ও বের হওয়ার জন্য এ পথ দুটি মুনাসিব হওয়ার কারণে তিনি সে পথ দিয়ে যান। আল্লাহই ভালো জানেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3022

 
Hadith   80   الحديث
الأهمية: رَقِيت يومًا على بيت حفصة، فرأيت النبي -صلى الله عليه وسلم- يقضي حاجته مستقبل الشام، مستدبر الكعبة
থিম: আমি একদিন হাফসাহর ঘরের ছাদে উঠলাম। তখন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে শাম-এর দিকে মুখ করে তাঁর প্রয়োজন পুরণ করছেন।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- قال: ((رَقيت يومًا على بيت حفصة، فرَأَيتُ النبيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم-يَقضِي حاجته مُسْتَقبِل الشام، مُسْتَدبِر الكعبة)).
وفي رواية: ((مُسْتَقبِلا بَيتَ المَقدِس)) .

থিম: আবদুল্লাহ্ ইব্নু �উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, �আমি একদিন হাফসাহর ঘরের ছাদে উঠলাম। তখন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে শাম-এর দিকে মুখ করে তাঁর প্রয়োজন পুরণ করছেন�। অপর বর্ণনায় এসেছে: �বায়তুল মাকদিসের দিকে মুখ করে�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
ذكر ابن عمر -رضي الله عنهما-: أنه جاء يوماً إلى بيت أخته حفصة، زوج النبي -صلى الله عليه وسلم-، فصعد فوق بيتها، فرأى النبي -صلى الله عليه وسلم-، يقضى حاجته وهو متَجه نحو الشام، ومستدبر القبلة.
وكان ابن عمر -رضي الله عنه- قال ذلك ردًّا على من قالوا: إنه لا يستقبل بيت المقدس حال قضاء الحاجة، ومن ثمَّ أتى المؤلف بالرواية الثانية: مستقبلا بيت المقدس.
فإذا استقبل الإنسان القبلة داخل البنيان فلا حرج.
ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা উল্লেখ করেন যে, তিনি একদিন তার বোন হাফসা রাসূলের স্ত্রীর বাড়িতে আসেন এবং তার বাড়ির ছাদে উঠেন। তিনি দেখলেন রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শামের দিকে মুখ করে এবং কিবলাকে পিছনে দিয়ে তার প্রয়োজন পুরণ করছেন। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এ কথা তাদের কথার উত্তরে বলতেন যারা বলেন, প্রয়োজন পুরণের সময় বাইতুল মুকাদ্দাসকে সামনে রাখা যাবে না। এ কারণেই লেখক, দ্বিতীয় বর্ণনা নিয়ে এসেছেন, যাতে বলা হয়েছে, বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3023

 
Hadith   81   الحديث
الأهمية: أنه جاء إلى الحجر الأسود، فقبَّله، وقال: إني لأعلم أنك حجر، لا تضر ولا تنفع، ولولا أني رأيت النبي -صلى الله عليه وسلم- يقبلك ما قبلتك
থিম: তিনি হাজরে আসওয়াদে এসেছেন ও তাকে চুম্বন করেছেন। আর তিনি বললেন, আমি অবশ্যই জানি তুমি একটি পাথর না উপকার করতে পার, আর না অপকার? আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তোমাকে চুম্বন করতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না।

عن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- �أنَّه جَاء إِلى الحَجَر الأَسوَدِ، فَقَبَّلَه، وقال: إِنِّي لَأَعلَم أَنَّك حَجَرٌ، لا تَضُرُّ ولا تَنفَعُ، ولَولاَ أَنِّي رَأَيتُ النبيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- يُقَبِّلُك مَا قَبَّلتُك�.

উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, �তিনি হাজরে আসওয়াদে এসেছেন ও তাকে চুম্বন করেছেন। আর তিনি বললেন, আমি অবশ্যই জানি তুমি একটি পাথর না উপকার করতে পার, আর না অপকার? আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তোমাকে চুম্বন করতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الأمكنة والأزمنة وغيرها من الأشياء، لا تكون مقدسة معظمة تعظيم عبادةٍ لذاتها، وإنَّما يكون لها ذلك بشرع؛ ولهذا جاء عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- إلى الحجر الأسود وقبله بين الحجيج، الذين هم حديثو عهد بعبادة الأصنام وتعظيمها، وبين أنَّه ما قبل هذا الحجر وعظمه من تلقاء نفسه، أو لأن الحجر يحصل منه نفع أو مضرة؛ وإنما هي عبادة تلقَّاها من المشرِّع -صلى الله عليه وسلم-    فقد رآه يقبله فقبله؛ تأسيا واتباعا، لا رأيا وابتداعا.
শরী�আতের অনুমোদন ছাড়া সরাসরি আল্লাহর ইবাদত হিসেবে কোন স্থান বা সময় ইত্যাদি কখনোই পবিত্র বা সম্মানিত হতে পারে না। এ কারণেই উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হাজরে আসওয়াদের নিকট এসে তাকে এমন সব হাজীগণের সামনে চুম্বন করলেন যারা এখনো মুর্তি পুজা ও সম্মানের সাথে পরিচিত। আর তিনি বর্ণনা করলেন যে, তিনি এ পাথরকে তার নিজের পক্ষ থেকে চুম্বন বা সম্মান করেননি অথবা এ জন্য করেননি যে তার দ্বারা কোন উপকার বা ক্ষতি হবে। বরং তা করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি শরী�আত প্রণেতা তার পক্ষ থেকে ইবাদত হিসেবে। তিনি তাকে চুম্বন করতে দেখেছেন তাই তার অনুসরণ ও অনুকরণে তাকে চুম্বন করলেন। নিজের মতামত বা আবিষ্কার হিসেবে করেননি।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3024

 
Hadith   82   الحديث
الأهمية: طاف النبي في حجة الوداع على بعير، يستلم الركن بمحجن
থিম: বিদায় হাজ্জে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের পিঠে আরোহণ করে তাওয়াফ করেন। তিনি লাঠির দ্বারা হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করতেন।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- قال: �طَافَ النبيُّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ على بَعِير، يَستَلِم الرُّكنَ بِمِحجَن�.

ইব্নু �আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের পিঠে আরোহণ করে তাওয়াফ করেন। তিনি লাঠির দ্বারা হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
طاف النبي -صلى الله عليه وسلم- في حجة الوداع، وقد تكاثر عليه الناس: منهم من يريد النظر إلى صفة طوافه، ومنهم من يريد النظر إلى شخصه الكريم؛ فازدحموا عليه، ومن كمال رأفته بأمته ومساواته بينهم: أن ركب على بعير، فأخذ يطوف عليه؛ ليتساوى الناس في رؤيته، وكان معه عصا محنية الرأس، فكان يستلم بها الركن، ويقبل العصا كما جاء في رواية مسلم لهذا الحديث.
বিদায়ী হজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাওয়াফ করেছেন এমতাবস্থায় যে, লোকেরা তার ওপর ভিড় করতেছিল। কেউ তার তাওয়াফের প্রদ্ধতি দেখতেছিল আর কেউ তাকে স্বচক্ষে দেখতেছিল। যার ফলে তারা তার আশপাশে ভিড় জমাতে লাগল। উম্মতের প্রতি তার দয়াদ্রতা ও তাদের মাঝে সমতা বঝায় রাখার জন্য তিনি একটি উটের ওপর আরোহণ করলেন। যাতে লোকেরা তাকে সমানভাবে দেখতে পায়। তার হাতে একটি লাঠি ছিল যার মাথা বাঁকা। তিনি সেটি দিয়ে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করেন এবং লাঠিকে চুম্বন করেন। যেমনটি সহীহ মুসলিমে এ হাদীসের বর্ণনায় এসেছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3025

 
Hadith   83   الحديث
الأهمية: لم أر النبي -صلى الله عليه وسلم- يستلم من البيت إلا الركنين اليمانيين
থিম: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দুই রুকনে ইয়ামনি ছাড়া বাইতুল্লাহর আর কোন অংশকে স্পর্শ করতে দেখিনি।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- قال: �لَمْ أَرَ النبِيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم يَستَلمُ- منَ البيتِ إِلا الرُّكنَينِ اليَمَانِيَينِ�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দুই রুকনে ইয়ামনি ছাড়া বাইতুল্লাহর আর কোন অংশকে স্পর্শ করতে দেখিনি।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لم يكن النبي -صلى الله عليه وسلم- يستلم من الأركان الأربعة للكعبة إلا الركن الأسود والركن اليماني، فللبيت أربعة أركان، فللركن الشرقي منها فضيلتان:
1. كونه على قواعد إبراهيم.
2. وكون الحجر الأسود فيه. والركن اليماني له فضيلة واحدة، وهو كونه على قواعد إبراهيم.
وليس للشامي والعراقي شيء من هذا، فإن تأسيسهما خارج عن أساس إبراهيم حيث أخرج الحجر من الكعبة من جهتهما؛ ولهذا فإنه يشرع استلام الحجر الأسود وتقبيله، ويشرع استلام الركن اليماني بلا تقبيل، ولا يشرع في حق الركنين الباقيين استلام ولا تقبيل، والشرع مبناه على الاتباع، لا على الإحداث والابتداع، ولله في شرعه حكم وأسرار.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা�বার চার কোণের মধ্যে একমাত্র রুকনে ইয়ামনী ও রুকনে আসওয়াদ ছাড়া আর কোন কিছুকে স্পর্শ করতেন না। বাইতুল্লাহর রয়েছে চারটি রুকন। পূর্বের রুকনের রয়েছে দুটি ফযীলত: এক: ইব্রাহীমের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকা। দুই: তাতে হাজরে আসওয়াদ স্থাপিত থাকা। আর রুকনে ইয়ামনির একটি ফযীলত। ইব্রাহীমি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকা। আর শামী ও ইরাকী রুকনের এ ধরনের কোন ফযীলত নেই। কারণ, এ দুটির ভিত্তি ইব্রাহীমি ভিত্তির অন্তর্ভুক্ত যার কারণে কা�বা থেকে হাজরে আসওয়াদ পাথরকে এ দুই দিক দিয়ে বের করা হয়। এ কারণেই হাজরে আসওয়াকে স্পর্শ করা ও চুমু দেওয়া উভয়টি শরী�আত সম্মত। আর রুকনে ইয়ামনী শুধু স্পর্শ করা যাবে চুমু দেওয়া ছাড়া। আর বাকী দুই রুকনকে চুমু দেওয়া স্পর্শ করা কোনটিই শরী�আত সম্মত নয়। আর শরী�আতের ভিত্তি হলো অনুকরণের ওপর নতুন কিছু আবিষ্কার করা বা বিদআতের ওপর নয়। আল্লাহর শরী�আতে রয়েছে প্রজ্ঞা ও রহস্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3026

 
Hadith   84   الحديث
الأهمية: إني أحبك في الله، فقال: أحبك الذي أحببتني له
থিম: হে আল্লাহর রসূল! নিঃসন্দেহে আমি একে ভালবাসি।� (এ কথা শুনে) নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, �তুমি কি (এ কথা) তাকে জানিয়েছ?� সে বলল, �না।� তিনি বললেন, �তাকে জানিয়ে দাও।� সুতরাং সে (দ্রুত) তার পিছনে গিয়ে (তাকে) বলল, �আমি আল্লাহর ওয়াস্তে তোমাকে ভালবাসি।� সে বলল, �যাঁর ওয়াস্তে তুমি আমাকে ভালবাস, তিনি তোমাকে ভালবাসুন।�

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- أنَّ رَجُلاً كَانَ عِند النَبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- فَمَرَّ رَجُلٌ بِهِ، فقال: يا رسول الله، أنِّي لَأُحِبُّ هَذَا، فَقَال لَهُ النَبِيُّ -صلى الله عليه وسلم-: �أَأَعْلَمْتَهُ؟� قال: لا. قال: �أَعْلِمْهُ�، فَلَحِقَهُ، فقال: إِنِّي أُحِبُّك فِي الله، فقال: أّحَبَّك الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ.

আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত: এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট (বসে) ছিল। অতঃপর এক ব্যক্তি তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করল। (যে বসেছিল) সে বলল, �হে আল্লাহর রসূল! নিঃসন্দেহে আমি একে ভালবাসি।� (এ কথা শুনে) নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, �তুমি কি (এ কথা) তাকে জানিয়েছ?� সে বলল, �না।� তিনি বললেন, �তাকে জানিয়ে দাও।� সুতরাং সে (দ্রুত) তার পিছনে গিয়ে (তাকে) বলল, �আমি আল্লাহর ওয়াস্তে তোমাকে ভালবাসি।� সে বলল, �যাঁর ওয়াস্তে তুমি আমাকে ভালবাস, তিনি তোমাকে ভালবাসুন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جاء هذا الحديث النبوي الشريف تطبيقا لأمره -صلى الله عليه وسلم- بأن يُعلِم الإنسان أخاه إذا أحبَّه، لَمَّا قال له رجلٌ جالسٌ عنده: إنِّي أحب هذا الرجل. يقصد رجلًا آخر مرَّ بهما، فقال له -صلى الله عليه وسلم-: " أأعلمته" فدل هذا على أنه من السنَّة إذا أحبَّ المسلم شخصا أن يقول له: إني أحبك، وذلك لما في هذه الكلمة من إلقاء المحبة في قلبه؛ لأنَّ الإنسان إذا علم من أخيه أنَّه يحبه أحبَّه، مع أن القلوب لها تعارف وتآلف وإن لم تنطق الألسن.
وكما قال النبي -عليه الصلاة والسلام-: "الأرواح جنود مجندة ما تعارف منها ائتلف، وما تناكر منها اختلف" لكن إذا قال الإنسان بلسانه، فإن هذا يزيده محبة في القلب فيقول: إني أحبك في الله.
হাদীসটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ�কেউ যদি কাউকে ভালোবাসে সে যেন তা তাকে জানিয়ে দেয়�এর বাস্তবায়ন। এটি রাসূলুল্লাহ ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাঝে কথোপকথন। তিনি যখন বললেন, আমি এ লোকটিকে ভালোবাসি, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি কি তাকে বিষয়টি জানিয়েছ? এটি প্রমাণ করে যে, সুন্নাত হলো যখন কোন মুসলিম কোন ব্যক্তিকে ভালোবাসে সে যেন তাকে বলে, আমি তোমাকে ভালোবাসী। কারণ, এ বাক্যের মধ্যে নিহিত রয়েছে তার অন্তরেও মহব্বত ডেলে দেওয়া। কারণ, যখন কোন মানুষ জানবে যে, তার কোন ভাই তাকে মহব্বত করে সেও তাকে মহব্বত করবে। যদিও মুখে কোন কিছু না বলা সত্বেও একটি অন্তর অপর অন্তরের প্রতি ভালোবাসা ও পরিচিতি রয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রুহসমূহ সংঘটিত সৈন্য দলের মতো। যাকে চিনবে তার সাথে মহব্বত সৃষ্টি হবে আর যাকে চিনবে না তার সাথে বিরোধ করবে। কিন্তু যদি মানুষ মুখে বলে, তখন তা অন্তরে মহব্বতকে বাড়িয়ে দেয়। তখন সে বলবে, আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3028

 
Hadith   85   الحديث
الأهمية: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يدخل الخلاء، فأحمل أنا وغلام نحوي إداوة من ماء وعنزة؛ فيستنجي بالماء
থিম: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানায় যেতেন তখন আমি ও আমার একটি ছেলে পানির পাত্র এবং �আনাযা� (এমন লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে) নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা শৌচকার্য করতেন।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: ((كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يدخل الخلاء، فأحمل أنا وغلام نَحوِي إِدَاوَةً مِن ماء وَعَنَزَة؛ فيستنجي بالماء)).
থিম: আনাস ইব্নু মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, �আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানায় যেতেন তখন আমি ও আমার একটি ছেলে পানির পাত্র এবং �আনাযা� (এমন লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে) নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা শৌচকার্য করতেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يذكر خادم النبي -صلى الله عليه وسلم- وهو أنس بن مالك -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- حينما يدخل موضع قضاء الحاجة، كان يجيء هو وغلام معه بطهوره، الذي يقطع به الأذى، وهو ماء في جلد صغير، وكذلك يأتيان بما يستتر به عن نظر الناس، وهو عصا قصيرة في طرفها حديدة، يغرزها في الأرض، ويجعل عليها شيئًا مثل: الرداء أو نحوه يقيه من نظر المارين، ويستتر به أيضًا إذا أراد أن يصلي.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খাদেম আনাস ইব্নু মালিক রাদিয়াল্লাহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানায় যেতেন তখন তিনি এবং তার সাথে একটি ছেলে তার পবিত্রতা যার দ্বারা সে নাপাকী দূর করবেন তা নিয়ে আসতেন। আর পবিত্রতা দ্বারা উদ্দেশ্য চামড়ার পাত্রে কিছু পানি। এ ছাড়া তারা নিয়ে আসত এমন কিছু যা দ্বারা সে নিজেকে মানুষের দৃষ্টি থেকে আড়াল করতে পারে। আর তা হলো �আনাযা� বা এমন ছোট লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে। তাকে মাটিতে পুঁতে তার ওপর কোন চাদর বা তার মতো কোন কিছু রাখে যা তাকে অতিক্রমকারীদের দৃষ্টি থেকে আড়াল করে রাখে এবং যখন সালাতের ইচ্ছা করে তখনও তার দ্বারা তিনি আড়াল হন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3030

 
Hadith   86   الحديث
الأهمية: سووا صفوفكم، فإن تسوية الصفوف من تمام الصلاة
থিম: তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা করে নিবে, কেননা, কাতার সোজা করা সলাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �سَوُّوا صُفُوفَكُم، فإِنَّ تَسوِيَة الصُّفُوف من تَمَام الصَّلاَة�.

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা কর, কেননা, কাতার সোজা করা সালাতের পূর্ণতার অংশ।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يرشد النبي -صلى الله عليه وسلم- أمته إلى ما فيه صلاحهم وفلاحهم، فهو -هنا- يأمرهم بأن يسووا صفوفهم، بحيث يكون سمتهم نحو القبلة واحدا، ويسدوا خلل الصفوف، حتى لا يكون للشياطين سبيل إلى العبث بصلاتهم، وأرشدهم -صلى الله عليه وسلم- إلى بعض الفوائد التي ينالونها من تعديل الصف، وذلك أن تعديلها علامة على تمام الصلاة وكمالها، وأن اعوجاج الصف خلل ونقص فيها.
যে সব কর্মে কল্যাণ ও কামিয়াবী রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতকে সে সব কর্মের দিকে দিক নির্দেশা ও পথ দেখান। আর এখানে তিনি তাদেরকে কাতার সোজা করার নির্দেশ দেন যাতে তাদের সবাইর মুখ এক কিবলার দিকে হয়। আর ফাকাগুলো পুরণ করার নির্দেশ দেন যাতে শয়তানের জন্য তাদের সালাত নিয়ে খেল-তামাশা করার সুযোগ না থাকে। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাতার সোজা করার কতক উপকারিতার কথা বলেন। আর তা হলো কাতার সোজা করা সালাত সম্পন্ন হওয়া ও পরিপূর্ণতার আলামত। আর কাতার বক্র হওয়া সালাতে দূর্বলতা ও অসম্পূর্ণতা পাওয়া যাওয়ার আলামত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3031

 
Hadith   87   الحديث
الأهمية: إن من إجلال الله -تعالى-: إكرام ذي الشيبة المسلم، وحامل القرآن غير الغالي فيه، والجافي عنه، وإكرام ذي السلطان المقسط
থিম: আল্লাহ তাআলাকে সম্মান করার এক প্রকার হচ্ছে: পাকা চুলওয়ালা বয়স্ক মুসলিম, সীমালঙ্ঘন ও অতিরঞ্জন পরিহারকারী কুরআনের বাহক (হাফেয ও আলেম) এবং ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর সম্মান করা।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- قَالَ: قالَ رسول اللَّه -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم-: �إِنَّ مِنْ إِجْلاَلِ الله -تَعَالَى-: إِكْرَامَ ذِي الشَّيْبَةِ المُسْلِمِ، وَحَامِلِ القُرْآنِ غَيرِ الغَالِي فِيه، وَالجَافِي عَنْه، وَإِكْرَام ذِي السُّلْطَان المُقْسِط�.

আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �আল্লাহ তাআলাকে সম্মান করার এক প্রকার হচ্ছে: পাকা চুলওয়ালা বয়স্ক মুসলিম, সীমালঙ্ঘন ও অতিরঞ্জন পরিহারকারী কুরআনের বাহক (হাফেয ও আলেম) এবং ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর সম্মান করা।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أفاد هذا الحديث أن مما يحصل به إجلال الله -سبحانه- وتعظيمه وتوقيره أمور ذكرت في هذا الحديث وهي:
(إكرام ذي الشيبة المسلم): أي تعظيم الشيخ الكبير في الإسلام بتوقيره في المجالس والرفق به والشفقة عليه ونحو ذلك، وكل هذا من كمال تعظيم الله لحرمته عند الله.
(وحامل القرآن): أي وإكرام حافظه وسماه حاملا لأنه محمول في صدره ولما تحمل من مشاق كثيرة تزيد على الأحمال الثقيلة، ويدخل في هذا الإكرام المشتغل بالقرآن قراءة وتفسيرا.
وحامل القرآن الذي جاء ذكره في هذا الحديث النبوي، جاء تمييزه بوصفين:
(غير الغالي): والغلو التشديد ومجاوزة الحد، يعني غير المتجاوز الحد في العمل به وتتبع ما خفي منه واشتبه عليه من معانيه وفي حدود قراءته ومخارج حروفه. وقيل الغلو: المبالغة في التجويد أو الإسراع في القراءة بحيث يمنعه عن تدبر المعنى.
(والجافي عنه): أي وغير المتباعد عنه المعرض عن تلاوته وإحكام قراءته وإتقان معانيه والعمل بما فيه، وقيل في الجفاء: أن يتركه بعد ما علمه لا سيما إذا كان نسيه تساهلا وإعراضا.
وآخر ما جاء الذكر النبوي بالاشتغال بإكرامه (ذي السُّلطان المقسط): أي صاحب السلطة والمنصب الذي اتصف بالعدل، فإكرامه لأجل نفعه العام وإصلاحه لرعيته.
এ হাদীসটি থেকে জানা যায় যে, আল্লাহর মহত্ব, বড়ত্ব ও সম্মান প্রকাশ পায় কয়েকটি বিষয় দ্বারা যা এ হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। সে গুলো হলো: সাদা চুল ওয়ালা মুসলিমের সম্মান করা। অর্থাৎ ইসলামের মধ্যে কোন মজলিসে বুড়োদের সম্মান করা, তার সাথে নম্র ব্যবহার করা এবং তার ওপর অনুগ্রহ করা। আর এ সবই আল্লাহকে সম্মান করার নামান্তর। কারণ, সে আল্লাহর নিকট সম্মানী। দুই: কুরআন ওয়ালা: অর্থাৎ, কুরআনের সংরক্ষণকারীর সম্মান করা। আর বহনকারী বলার কারণ হলো, কুরআন তার বক্ষে বহন-কৃত এবং তাকে অনেক কষ্ট বহন করতে হয় যা একটি ভারি বোঝা থেকেও কঠিন। এ সম্মানের অন্তর্ভুক্ত হবে যে কুরআন তিলাওয়াত ও ব্যাখ্যা প্রদানে ব্যস্ত থাকে সেও। আর কুরআন বহনকারী যার আলোচনা নববী হাদীসে এসেছে। তাকে দুইটি গুণ দ্বারা বিশেষিত করা হয়েছে: বাড়াবাড়ি কারী নয়: বাড়াবাড়ি হলো কঠোরতা অবলম্বন ও সীমা অতিক্রম করা। অর্থাৎ, আমলে এবং অস্পষ্ট ও মুতাশাবেহ আয়াতের অর্থ অনুসন্ধানে এবং কুরআনের অক্ষরের উচ্চারণে ও কুরআনের তিলাওয়াতে সীমা অতিক্রমকারী না হওয়া। আর কেউ কেউ বলেন, বাড়াবাড়ি অর্থ: তাজবীদ বিষয়ে অতিরঞ্জন করা অথবা খুব দ্রুত তিলাওয়াত করা যাতে তার অর্থ সম্পর্কে চিন্তা ফিকির করার সুযোগ না থাকে। আর �কুরআনের ব্যাপারে অবজ্ঞাকারী নয়�। অর্থাৎ, কুরআন থেকে দূরত্ব বজায়কারী নয়, যেমন কুরআন তিলাওয়াত, কুরআনের তিলাওয়াত ও তার অর্থকে সুদৃঢ় করা ও তদনুযায়ী আমল করা থেকে বিমুখ নয়। আর কেউ কেউ অবজ্ঞা সম্পর্কে বলেন, কুরআন শেখার পর তা ছেড়ে দেওয়া। বিশেষ করে যখন অলসতার কারণে সে তা ভুলে যায় বা মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর সর্বশেষ যার সম্মান দেখানোর আলোচনা হাদীসে করা হয়েছে তা হলো ন্যায় পরায়ণ বাদশাহর সম্মান করা। অর্থাৎ, যে ক্ষমতাশীল বা উপরস্থ কর্মকর্তা ইনসাফের গুণে গুণান্বিত তার সম্মান করা। কারণ তার উপকার ব্যাপক এবং তিনি স্বীয় প্রজাদের অবস্থা সংশোধন করেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান]    ← →    এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3032

 
Hadith   88   الحديث
الأهمية: إذا توضأ أحدكم فليجعل في أنفه ماء، ثم لينتثر، ومن استجمر فليوتر، وإذا استيقظ أحدكم من نومه فليغسل يديه قبل أن يدخلهما في الإناء ثلاثا، فإن أحدكم لا يدري أين باتت يده
থিম: তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উযূ করে তখন সে যেন তার নাকে পানি দিয়ে ঝাড়ে। আর যে শৌচকার্য করে সে যেন বিজোড় সংখ্যায় ঢিলা ব্যবহার করে। আর তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগে তখন সে যেন উযূর পানিতে হাত ঢুকানোর পূর্বে তা ধুয়ে নেয়; কারণ তোমাদের কেউ জানে না যে, ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কোথায় থাকে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: �إذا توضَّأ أحدُكُم فَليَجعَل في أنفِه ماءً، ثم ليَنتَنْثِر، ومن اسْتَجمَر فَليُوتِر، وإذا اسْتَيقَظَ أَحَدُكُم من نومِه فَليَغسِل يَدَيه قبل أن يُدْخِلهُما في الإِنَاء ثلاثًا، فإِنَّ أَحدَكُم لا يَدرِي أين بَاتَت يده�.
وفي رواية: �فَليَستَنشِق بِمِنْخَرَيه من الماء�.
وفي لفظ: �من توضَّأ فَليَسْتَنشِق�.

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত: তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উযূ করে তখন সে যেন তার নাকে পানি দিয়ে ঝাড়ে। আর যে শৌচকার্য করে সে যেন বিজোড় সংখ্যায় ঢিলা ব্যবহার করে। আর তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগে তখন সে যেন ওযূর পানিতে হাত ঢুকানোর পূর্বে তা ধুয়ে নেয়; কারণ তোমাদের কেউ জানে না যে, ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কোথায় থাকে। অপর বর্ণনায় এসেছে: �সে যেন পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে�। অপর শব্দে এসেছে: �যে ওযু করে সে যেন নাক পরিষ্কার করে�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يشتمل هذا الحديث على ثلاث فقرات، لكل فقرة حكمها الخاص بها.
1.فذكر أن المتوضىء إذا شرع في الوضوء أدخل الماء في أنفه، ثم أخرجه منه وهو الاستنشاق والاستنثار المذكور في الحديث؛ لأن الأنف من الوجه الذي أُمِر المتوضىء بغسله، وقد تضافرت الأحاديث الصحيحة على مشروعيته؛ لأنه من النظافة المطلوبة شرعًا.
2.ثم ذكر أيضا أن من أراد قطع الأذى الخارج منه بالحجارة، أن يكون قطعه على وتر، أقلها ثلاث وأعلاها ما ينقطع به الخارج، وتنقي المحل إن كان وترًا، وإلا زاد واحدة، توتر أعداد الشفع.
3.وذكر أيضًا أن المستيقظ من نوم الليل لا يُدْخِلُ كفَّه في الإناء، أو يمس بها رطبًا، حتى يغسلها ثلاث مرات؛ لأن نوم الليل -غالبًا- يكون طويلا، ويده تطيش في جسمه، فلعلها تصيب بعض المستقذرات وهو لا يعلم، فشرع له غسلها للنظافة المشروعة.
হাদীসটি তিনটি অংশে বিভক্ত। প্রতিটি অংশের রয়েছে বিশেষ বিধান। এক: এতে বলা হয়, ওযূকারী যখন ওযূ করা আরম্ভ করবে তখন সে তার নাকের মধ্যে পানি প্রবেশ করাবে অতঃপর পানি বের করবে। এটি হলো হাদীসে উল্লিখিত ইন্তেনশাক ও ইস্তেনসার। কারণ, নাক চেহারারই অর্ন্তভুক্ত যাকে ধোয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর প্রচলনের বিষয়ে বিশুদ্ধ হাদীস অনেক। কারন, শর�ঈ বিধান অনুযায়ী এটি সেই পরিচ্ছন্নতা যা শরী�আতের কাম্য। দুই: তারপর উল্লেখ করেন, যে ব্যক্তি তার থেকে নির্গত নাপাকী পাথর দ্বারা পরিষ্কার করে সে যেন বেজোড় পাথর দিয়ে করে। আর তার কম সংখ্যা হলো তিনটি সবোর্চ্চ হলো যার দ্বারা বের হওয়া নাপাকী দূর হয় এবং জায়গা পরিস্কার হয় যদিও তা বেজোড় হয়। অন্যথায় একটি বৃদ্ধি করবে এবং জোড়কে বেজোড় বানাবে। তিন: যে ব্যক্তি ঘুম থেকে উঠে সে তার হাতকে তিনবার না ধোয়া পর্যন্ত পাত্রে প্রবেশ করাবে না বা ভিজা হাত দিয়ে তা ধরবে না। কারণ, রাতের ঘুম সাধারণত দীর্ঘ হয়। তার হাত তার সারা শরীরে চলাচল করে। হতে পারে অজান্তে তা অনেক সময় নাপাকীর স্থানে যেতে পারে। তাই শরী�আত সিদ্ধ পবিত্রতার জন্য তা ধোয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3033

 
Hadith   89   الحديث
الأهمية: يا أيها الناس، عليكم بالسكينة، فإن البر ليس بالإيضاع
থিম: তিনি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে আরাফার দিনে (মুযদালিফায়) ফিরছিলেন। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছন থেকে (উটকে) কঠিন ধমক ও মারধর করার এবং উঁটের (কষ্ট) শব্দ শুনতে পেলেন। তৎক্ষণাৎ তিনি তাদের দিকে আপন চাবুক দ্বারা ইশারা ক�রে বললেন, �হে লোক সকল! তোমরা ধীরতা ও স্থিরতা অবলম্বন কর। কেননা, দ্রুত গতিতে বাহন দৌড়ানোতে পুণ্য নেই।�

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- قال: دَفَعَ النبيُّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- يومَ عَرَفَة فَسَمِعَ النبيُّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- وَرَاءَهُ زَجْرًا شَدِيدًا وَضَربًا وَصَوتًا لِلإِبِل، فَأَشَارَ بِسَوطِهِ إِلَيهِم، وقال: �يَا أَيُّهَا النَّاسُ، عَلَيكُم بِالسَّكِينَةِ، فَإِنَّ البِرَّ لَيسَ بِالإيضَاعِ�.

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে আরাফার দিনে (মুযদালিফায়) ফিরছিলেন। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছন থেকে (উটকে) কঠিন ধমক ও মারধর করার এবং উঁটের (কষ্ট) শব্দ শুনতে পেলেন। তৎক্ষণাৎ তিনি তাদের দিকে আপন চাবুক দ্বারা ইশারা ক�রে বললেন, �হে লোক সকল! তোমরা ধীরতা ও স্থিরতা অবলম্বন কর। কেননা, দ্রুত গতিতে বাহন দৌড়ানোতে পুণ্য নেই।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- أفاض من عرفة فسمع وراءه صوتًا شديدًا وضربًا وزجرًا للإبل وأصواتًا للإبل، وكان هذا المشهد من الناس نتيجة ما تعودوه زمن الجاهلية؛ لأنهم كانوا في أيام الجاهلية إذا دفعوا من عرفة أسرعوا إسراعًا عظيمًا يبادرون النهار قبل أن يظلم الجو، فكانوا يضربون الإبل ضربًا شديدًا، فأشار النبي -صلى الله عليه وسلم- إليهم بسوطه، وقال: أيها الناس الزموا الطمأنينة والهدوء، فإن البر والخير ليس بالإسراع والإيضاع وهو نوع من السير سريع.
নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফা থেকে ফেরার পথে তার পিছনে একটি বিকট আওয়াজ এবং উটকে প্রহার করা ও উটের চিৎকার শুনতে পান। এ দৃশ্যটি জালিলিয়্যাতের যুগের অভ্যাসেরই ফলাফল। বস্তুত এটি মানুষেরা জাহিলি যুগে যার অভ্যস্ত হয়েছিল তারই এক দৃশ্য ছিল। কারণ, তারা জাহিলিয়্যাতের যুগে যখন আরাফা থেকে ফিরতো তখন পরিবেশ অন্ধকার হয়ে যাওয়ার আগে দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে দ্রূত চলত। ফলে তারা উটকে খুব প্রহার করত। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন চাবুক দ্বারা ইশারা ক�রে বললেন, �হে লোক সকল! তোমরা ধীরতা ও স্থিরতা অবলম্বন কর। কেননা, দ্রুত গতিতে বাহন দৌড়ানোতে পুণ্য নেই।�
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3034

 
Hadith   90   الحديث
الأهمية: ما أبكي أن لا أكون أعلم أن ما عند الله -تعالى- خير لرسول الله -صلى الله عليه وسلم-، ولكن أبكي أن الوحي قد انقطع من السماء، فهيجتهما على البكاء، فجعلا يبكيان معها
থিম: আমি এ জন্য কান্না করছি না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য আল্লাহর নিকট যা রয়েছে, তা অধিকতর উত্তম সে কথা আমি জানি না। কিন্তু আমি এজন্য কাঁদছি যে, আসমান হতে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেল।� উম্মে আইমান (তাঁর এ দুঃখজনক কথা দ্বারা) ঐ দুইজনকে কাঁদতে বাধ্য করলেন। ফলে তাঁরাও তাঁর সাথে কাঁদতে লাগলেন।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: قَال أَبُو بَكر لِعُمَر-رضي الله عنهما- بَعْدَ وَفَاةِ رَسُول الله -صلى الله عليه وسلم-: انْطَلِق بِنَا إِلَى أُمِّ أَيمَنَ -رَضِي الله عنها- نَزُورُهَا كَمَا كَانَ رَسول الله -صلى الله عليه وسلم- يَزُورُها، فَلَمَّا انتَهَيَا إِلَيهَا، بَكَت، فَقَالاَ لَهَا: مَا يُبكِيك؟ أَمَا تَعْلَمِين أَنَّ ما عِنْد الله خَيرٌ لِرَسول الله -صلى الله عليه وسلم-؟ فَقَالَت: مَا أَبْكِي أَنْ لاَ أَكُون أَعلَم أَنَّ مَا عِندَ الله -تعالى- خَيرٌ لِرَسُول الله -صلى الله عليه وسلم-، وَلَكِن أَبكِي أَنَّ الوَحي قَدْ انْقَطَع مِنَ السَّمَاء؛ فَهَيَجَتْهُمَا عَلَى البُكَاء؛ فَجَعَلاَ يَبْكِيَان مَعَهَا.

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনাবসানের পর আবূ বাকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-কে বললেন, �চলুন, আমরা উম্মে আইমানের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাই, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে যেতেন।� সুতরাং যখন তাঁরা উম্মে আইমানের কাছে পৌঁছলেন, তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। অতঃপর তাঁরা তাঁকে বললেন, �তুমি কাঁদছ কেন? তুমি কি জানো না যে, আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য (দুনিয়া থেকে) অধিক উত্তম? তিনি উত্তর দিলেন, �আমি এ জন্য কান্না করছি না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য আল্লাহর নিকট যা রয়েছে, তা অধিকতর উত্তম সে কথা আমি জানি না। কিন্তু আমি এজন্য কাঁদছি যে, আসমান হতে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেল।� উম্মে আইমান (তাঁর এ দুঃখজনক কথা দ্বারা) ঐ দুইজনকে কাঁদতে বাধ্য করলেন। ফলে তাঁরাও তাঁর সাথে কাঁদতে লাগলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان الصحابة -رضي الله عنهم- أحرص الناس على متابعة الرسول -صلى الله عليه وسلم- في كل صغيرة وكبيرة، حتى إنهم يتتبعون ممشاه في حياته، ومجلسه، وموطئه، وكل فعل علموا أنه فعله.
وهذا الحديث يُؤَكِّد ذلك، ويحكي قصة أبي بكر وعمر، حيث زارا امرأة كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يزورها، فزاراها من أجل زيارة النبي -صلى الله عليه وسلم- إياها.
فلما جلسا عندها بكت، فقالا لها: ما يبكيك؟ أما تعلمين أن ما عند الله -سبحانه وتعالى- خير لرسوله؟ أي: خير له من الدنيا.
فقالت: إني لا أبكي لذلك ولكن لانقطاع الوحي؛ لأن النبي -صلى الله عليه وسلم- لما مات انقطع الوحي، فلا وحي بعد رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، ولهذا أكمل الله شريعته قبل أن يتوفى، فقال -تعالى- {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا}، فجعلا يبكيان؛ لأنها ذكرتهما بما كانا قد نسياه.
ছোট বড় সব বিষয়ে সাহাবীগণ রাসূলের অনুসরনের ওপর অধিক আগ্রহী ছিলেন। এমনকি তারা তার চলা ফেরা উঠবস শয়ন এবং প্রতিটি কর্ম যা তারা জেনেছেন যে, তিনি করেছেন। এ হাদীসটি এটিকেই প্রমাণ করে। এখানে আবূ বকর এবং উমার রাদিয়াল্লাহুমার একটি ঘটনা আলোচনা করা হয়। তারা দুইজন একজন মহিলাকে দেখতে যান যে মহিলাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখতে যেতেন। তারা দুইজন এ জন্য দেখতে গেলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। যখন তাঁরা নিকট বসলেন তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। অতঃপর তাঁরা তাঁকে বললেন, �তুমি কাঁদছ কেন? তুমি কি জানো না যে, আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য (দুনিয়া থেকে) অধিক উত্তম? তখন সে বলল, �আমি এ জন্য কান্না করছি না। কিন্তু আমি এজন্য কাঁদছি যে, আসমান হতে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেল।� কারণ, আল্লাহর রাসূল যখন মারা গেল তখন অহী বন্ধ হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহর পর আর কোন অহী নেই। এ কারণেই আল্লাহ তা�আলা তার মৃত্যুর পূর্বে তার শরী�আতকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তা�আলা বলেছেন, আজকের দিন আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পরিপূর্ণ করেছি। আর আমি তোমাদের ওপর নে�আমতসমূহকে পূর্ণতা দান করেছি। আর তোমাদের জন্য ইসলামকে মনোনীত করেছি। [সূরা মায়েদাহ, আয়াত: ৩] তারপর তারা দু�জন কাঁদতে আরম্ভ করল। কারণ, সে তাদের এমন একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিল যা তারা ভূলে গিয়েছিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3035

 
Hadith   91   الحديث
الأهمية: جاء أعرابي فبال في طائفة المسجد
থিম: একদা জনৈক বেদুঈন এসে মাসজিদের এক পাশে পেশাব করে দিল। তা দেখে লোকজন তাকে ধমক দিতে লাগল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম তাদের নিষেধ করলেন। সে তার পেশাব করা শেষ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশে এর উপর এক বালতি পানি ঢেলে দেয়া হল।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه-قال: �جاء أعرابِيُّ، فبَالَ في طَائِفَة المَسجد، فَزَجَرَه النَّاسُ، فَنَهَاهُمُ النبِيُّ -صلى الله عليه وسلم- فَلمَّا قَضَى بَولَه أَمر النبي -صلى الله عليه وسلم- بِذَنُوب من ماء، فَأُهرِيقَ عليه�.

আনাস ইবন মালিক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা জনৈক বেদুঈন এসে মাসজিদের এক পাশে পেশাব করে দিল। তা দেখে লোকজন তাকে ধমক দিতে লাগল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম তাদের নিষেধ করলেন। সে তার পেশাব করা শেষ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশে এর উপর এক বালতি পানি ঢেলে দেওয়া হল।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
من عادة الأعراب، الجفاء والجهل، لبعدهم عن تعلم ما أنزل الله على رسوله -صلى الله عليه وسلم-.
فبينما كان النبي -صلى الله عليه وسلم- في أصحابه في المسجد النبوي، إذ جاء أعرابي وبال في أحد جوانب المسجد، ظناً منه أنه كالفلاة، فعظم فعله على الصحابة -رضي الله عنهم- لعظم حرمة المساجد، فنهروه أثناء بوله، ولكن صاحب الخلق الكريم، الذي بعث بالتبشير والتيسير نهاهم عن زجره، لما يعلمه من حال الأعراب، لئلا يُلوث بقعاً كثيرة من المسجد، ولئلا يلوث بدنه أو ثوبه، ولئلا يصيبه الضرر بقطع بوله عليه، وليكون أدعى لقبول النصيحة والتعليم حينما يعلمه النبي -صلى الله عليه وسلم-، وأمرهم أن يطهروا مكان بوله بصب دلو من ماء عليه.
গ্রাম্য লোকদের স্বভাবে ছিল অজ্ঞতা ও মূর্খতা। কারণ, রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর যা নাযিল হয়েছে তা শেখা থেকে তারা ছিল দূরে। একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের নিয়ে মসজিদে উপস্থিত ছিলেন। এ মুহুর্তে একজন গ্রাম্য লোক আসল এবং সে মসজিদের এক পাশে পেশাব করে দিল। তার ধারণা ছিল যে এটি একটি খালি জায়গার মতই। মসজিদের সম্মানের কারণে তার কর্মটি সাহাবীদের কাছে আশ্চর্য রকম মনে হলো। তখন তারা তার পেশাব করার মাঝখানে তাকে ধমক দিল। কিন্তু মহান চরিত্রের অধিকারী যাকে সু-সংবাদ ও সহজীকরণ নিয়ে পাঠানো হয়েছে তিনি তাদেরকে ধমক দিতে না করলেন। কারণ, তিনি গ্রামের লোকদের অবস্থা জানতেন। এ ছাড়াও যাতে মসজিদের অধিক জায়গায় পেশাব ছড়িয়ে না পড়ে এবং তার পেশাব বন্ধ করার কারণে তার ক্ষতি না হয় এবং যেন সে নসীহত ও তা�লীম সহজেই গ্রহণ করে নেয় যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম তাকে শিক্ষা দেবেন। আর তিনি তাদের নির্দেশ দিলেন যে, তার পেশাবের উপর এক বালতি পানি ডেলে দিয়ে তার পেশাবের জায়গাটি যেন পবিত্র করে নেয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3036

 
Hadith   92   الحديث
الأهمية: إذا دخل الرجل بيته، فذكر الله -تعالى- عند دخوله وعند طعامه قال الشيطان لأصحابه: لا مبيت لكم ولا عشاء، وإذا دخل فلم يذكر الله -تعالى- عند دخوله، قال الشيطان: أدركتم المبيت والعشاء
থিম: কোন ব্যক্তি যখন নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় ও আহারের সময় আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে; অর্থাৎ, (�বিসমিল্লাহ� বলে) তখন শয়তান তার অনুচরদেরকে বলে, �আজ না তোমরা এ ঘরে রাত্রি যাপন করতে পারবে, আর না খাবার পাবে।� অন্যথায় যখন সে প্রবেশ কালে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ না করে (অর্থাৎ �বিসমিল্লাহ� না বলে), তখন শয়তান বলে, �তোমরা রাত্রি যাপন করার স্থান পেলে।�

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما- مرفوعاً: �إِذَا دَخَل الرَّجُل بَيتَه، فَذَكَرَ اللهَ -تَعَالَى- عِندَ دُخُولِهِ، وَعِندَ طَعَامِهِ، قَالَ الشَّيطَانُ لِأَصْحَابِهِ: لاَ مَبِيتَ لَكُم وَلاَ عَشَاءَ، وَإِذَا دَخَلَ فَلَم يَذْكُر الله -تَعَالَى- عِندَ دُخُولِهِ، قَالَ الشَّيطَان: أَدْرَكْتُمُ المَبِيت؛ وَإِذا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ -تَعَالَى- عِندَ طَعَامِه، قالَ: أَدرَكتُم المَبِيتَ وَالعَشَاءَ�.

জাবের রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �কোন ব্যক্তি যখন নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় ও আহারের সময় আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে; অর্থাৎ, (�বিসমিল্লাহ� বলে) তখন শয়তান তার অনুচরদেরকে বলে, �আজ না তোমরা এ ঘরে রাত্রি যাপন করতে পারবে, আর না খাবার পাবে।� অন্যথায় যখন সে প্রবেশ কালে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ না করে (অর্থাৎ �বিসমিল্লাহ� না বলে), তখন শয়তান বলে, �তোমরা রাত্রি যাপন করার স্থান পেলে।�� আর যখন আহার কালেও আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ না করে (অর্থাৎ, �বিসমিল্লাহ� না বলে), তখন সে তার চেলাদেরকে বলে, �তোমরা রাত্রিযাপন স্থল ও নৈশভোজ উভয়ই পেয়ে গেলে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث جابر -رضي الله عنه- جاء في موضوع أدب الطعام، حيث أخبر -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: "إذا دخل الرجل بيته فذكر الله -تعالى- عند دخوله وعند طعامه قال الشيطان لأصحابه لا مبيت لكم ولا عشاء"؛ ذلك لأن الإنسان ذكر الله.
وذِكر الله -تعالى- عند دخول البيت أن يقول: "بسم الله ولجنا، وبسم الله خرجنا، وعلى الله ربِّنا توكلنا، اللهم إني أسألك خير المولج وخير المخرج"، كما جاء في حديث في إسناده انقطاع، وأما الذكر عند العشاء فأن يقول: "بسم الله".
فإذا ذكر الله عند دخوله البيت، وذكر الله عند أكله عند العشاء، قال الشيطان لأصحابه: "لا مبيت لكم ولا عشاء"؛ لأن هذا البيت وهذا العشاء حُمِيَ بذكر الله -عز وجل-، حماه الله -تعالى- من الشياطين.
وإذا دخل فلم يذكر الله -تعالى- عند دخوله قال الشيطان: "أدركتم المبيت"، وإذا قُدِّم إليه الطعام فلم يذكر الله -تعالى- عند طعامه قال: "أدركتم المبيت والعشاء"، أي: أن الشيطان يشاركه المبيت والطعام؛ لعدم التحصُّن بذكر الله.
   وفي هذا حث على أن الإنسان ينبغي له إذا دخل بيته أن يذكر اسم الله، وكذلك عند طعامه.
জাবের রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীস খাওয়ার আদবের আলোচনা আনা হয়েছে। তিনি জানান যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কোন ব্যক্তি যখন নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে এবং প্রবেশ ও আহারের সময় আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে; অর্থাৎ, (�বিসমিল্লাহ� বলে) তখন শয়তান তার অনুচরদেরকে বলে, �আজ না তোমাদের এ ঘরে রাত্রি যাপন আছে, আর না খাবার আছে।� কারণ, লোকটি আল্লাহর নাম স্মরণ করেছে এবং স্বীয় ঘরে প্রবেশের সময় সে বলেছে, আল্লাহর নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহর নামে বের হলাম। আর রাতের খাবারের যিকির যেমন সে বলল, �বিছমিল্লাম�। ঘরে প্রবেশ ও রাতের খাওয়ার সময় যখন আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন শয়তান তার সাথীদের বলে, �আজ না তোমাদের এ ঘরে রাত্রি যাপন আছে, আর না খাবার আছে।� কারণ, তখন ঘরটি এবং রাতের খাবার আল্লাহর যিকিরের দ্বারা সংরক্ষিত হলো। আল্লাহ তা শয়তান থেকে হেফাযত করলেন। আর যখন ঘরে প্রবেশ করল, আর প্রবেশের সময় আল্লাহর স্মরণ করল না, তখন বলে, �তোমরা রাত্রি যাপন করার স্থান পেলে।� আর যখন আহার তার সামনে আনা হয় এবং সে আল্লাম নাম স্মরণ না করে, তখন সে বলে, �তোমরা রাত্রিযাপন স্থল ও নৈশভোজ উভয়ই পেয়ে গেলে। অর্থাৎ, আল্লাহর যিকির দ্বারা তা সংরক্ষণ না করার কারণে শয়তান রাত যাপন ও আহার উভয়টিতে তার সাথে শরীক হলো। এ হাদীসটিতে মানুষের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয় যে, একজন মানুষ যখন ঘরে প্রবেশ করবে সে যেন আল্লাহর নাম স্মরণ করে। এ বিষয়ে বর্ণিত দো�আ যেমন:"بسم الله ولجنا، وبسم الله خرجنا، وعلى الله ربِّنا توكلنا، اللهم إني أسألك خير المولج وخير المخرج" আল্লাহর নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহর নামে বের হলাম। হে আমাদের রব আমরা ভরসা করলাম। হে আল্লাহ আমরা উত্তম প্রবেশদ্বার এবং উত্তম বের হওয়ার পথ আপনার কাছে চাই।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3037

 
Hadith   93   الحديث
الأهمية: ما يمنعك أن تزورنا أكثر مما تزورنا؟
থিম: আপনি যতটা আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার চেয়ে বেশী সাক্ষাৎ করতে কিসে আপনাকে বাঁধা দেয়?

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ -رضي الله عنهما- قال: �قال النبي -صلى الله عليه وسلم- لجبريل: �مَا يَمْنَعُك أَنْ تَزُورَنَا أَكْثَر مِمَّا تَزُورَنَا؟� فنزلت: (وَمَا نَتَنَزَّل إِلاَّ بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُ مَا بَيْنَ أَيدِينَا وَمَا خَلْفَنَا وَمَا بَينَ ذَلِك ).
থিম: ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �একদা নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিব্রাঈলকে বললেন, �আপনি যতটা আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার চেয়ে বেশী সাক্ষাৎ করতে কিসে আপনাকে বাঁধা দেয়?� ফলে এ আয়াত অবতীর্ণ হল, �(জিব্রাঈল বললেন,) আমরা তোমার প্রতিপালকের আদেশ ব্যাতিরেকে অবতরণ করি না। যা আমাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে এবং উভয়ের মধ্যস্থলে রয়েছে সে সকলই তাঁর মালিকানাধীন।<� [সূরা মারয়্যাম, আয়াত: ৬৪]

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يحكي الحديث شوق النبي -صلى الله عليه وسلم-    لجبريل -عليه السلام-؛ لأنَّه يأتيه من الله -عز وجل-، حيثُ أبطأ جبريل في النزول أربعين يوما فقال له النبي -صلى الله عليه وسلم- يا جبريل: (ما يمنعك أن تزورنا)؟، أي: ما نزلت حتى اشتقت إليك، وأوحى الله إلى جبريل قل له: (وما نتنزل إلا بأمر ربك) أي قال الله -سبحانه- قل يا جبريل ما نتنزل في أوقات متباعدة إلا بإذن الله على ما تقتضيه حكمته، فهو سبحانه: (له ما بين أيدينا) أي: أمامنا من أمور الآخرة، (وما خلفنا): من أمور الدنيا، وتمام الآية "وما بين ذلك" أي: ما يكون من هذا الوقت إلى قيام الساعة، أي: له علم ذلك جميعه وما كان ربك نسيا أي: ناسيا يعني تاركا لك بتأخير الوحي عنك.
فالحاصل أن هذ الحديث يدل على أنه ينبغي للإنسان أن يصطحب الأخيار، وأن يزورهم ويزوروه لما في ذلك من الخير.
হাদীসটি রাসূলের স্বীয় ভাই জিবরীলের প্রতি তার আগ্রহ বর্ণনা করছে। কারণ, সে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে আসত। একবার সে চল্লিশ দিন পর্যন্ত দেরী করে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন হে জিবরীল! আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে তোমাকে কিসে বাঁধা দেয় ? অর্থাৎ তোমার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহী না হতে তুমি আস নি। তখন জিবরীল বললেন, আমিও তোমার প্রতি আগ্রহী, তবে আমি আদিষ্ট। আল্লাহ জিবরীলকে ওহী করলেন, তুমি মুহাম্মাদকে বল: �আমরা তোমার প্রতিপালকের আদেশ ব্যাতিরেকে অবতরণ করি না।� অর্থাৎ, আল্লাহ বলেন, হে জিবরীল তুমি বল, আমি দীর্ঘ সময় পর তোমার কাছে কেবল আল্লাহর আদেশেই তার হিকমত অনুযায়ী অবতীর্ণ হয়ে থাকি। �তার জন্য রয়েছে যা আমাদের সম্মুখে� আখিরাতের বিষয়গুলো আমাদের সামনে। �ও পশ্চাতে� দুনিয়াবী বিষয়সমূহ। আর পূর্ণাঙ্গ আয়াতের অর্থ হচ্ছে : �এবং যা উভয়ের মধ্যস্থলে রয়েছে� অর্থাৎ, বর্তমান থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যা হবে। অর্থাৎ তার সবটুকুর ইলম তার রয়েছে। আর তোমার ভুলে যান না অর্থাৎ তোমাকে ওহী প্রেরণে দেরী করে তিনি তোমাকে ত্যাগ করেন না। মোট কথা এ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, মানুষের জন্য উচিত হলো সে যেন ভালো লোকদের সাথে থাকে এবং সে যেন তাদের যিয়ারত করে ও তারাও যেন তার যিয়ারত করে। কারণ, এতে রয়েছে কল্যাণ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3038

 
Hadith   94   الحديث
الأهمية: رأيتك تصلي لغير القبلة؟ فقال: لولا أني رأيت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يفعله ما فعلته
থিম: আমি তো আপনাকে দেখলাম কিবলাহ বিহীন দিকে সালাত আদায় করছেন? তিনি বললেন, যদি আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমন করতে না দেখতাম, তবে আমিও তা করতাম না।

عن أنس بن سيرين قال: �اسْتَقبَلنَا أَنَسًا حِين قَدِم مِن الشَّام، فَلَقِينَاه بِعَينِ التَّمرِ، فَرَأَيتُهُ يُصَلِّي على حِمَار، وَوَجهُهُ مِن ذَا الجَانِب -يعني عن يَسَارِ القِبلَة- فقلت: رَأَيتُك تُصَلِّي لِغَيرِ القِبلَة؟ فقال: لَولاَ أنِّي رَأيتُ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يَفْعَلُه ما فَعَلتُه�.

আনাস ইব্নু সীরীন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস ইব্নু মালিক যখন সিরিয়া হতে ফিরে আসছিলেন, তখন আমরা তাঁকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিলাম। আইনুত্ তামর (নামক) স্থানে আমরা তাঁর সাক্ষাৎ পেলাম। তখন আমি তাঁকে দেখলাম গাধার পিঠে (আরোহী অবস্থায়) পার্শ্ব ফিরে সালাত আদায় করছেন। অর্থাৎ ক্বিবলাহর বা দিকে। তখন তাঁকে আমি প্রশ্ন করলাম, �আমি তো আপনাকে দেখলাম কিবলাহ বিহীন দিকে সালাত আদায় করছেন? তিনি বললেন, যদি আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমন করতে না দেখতাম, তবে আমিও তা করতাম না�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
قدم أنس بن مالك الشام، ولجلالة قدره وسعة علمه، استقبله الناس، وهكذا رواية مسلم (قدم الشام) ولكن معناها: تلقيناه في رجوعه حين قدم الشام، وإنما حذف ذكر الرجوع؛ للعلم به؛ لأنهم خرجوا من البصرة للقائه حين قدم من الشام.
فذكر الراوي -وهو أحد المستقبلين- أنَّه رآه يصلى على حمار، وقد جعل القبلة عن يساره، فسأله عن ذلك، فأخبرهم أنه رأى النبي -صلى الله عليه وسلم- يفعل ذلك، وأنه لو لم يره يفعل هذا، لم يفعله.
আনাস ইবন মালেক সিরিয়ায় আগমন করলে তার মর্যাদার মহত্ত্ব ও ইলমের গভীরতার কারণে সিরিয়াবাসী তাকে সংবর্ধনা দিলেন। বর্ণনাকারী যিনি একজন সংবর্ধনাকারীও উল্লেখ করছেন যে, তিনি দেখলেন যে সে কিবলাকে বামে রেখে একটি গাধার উপর সালাত আদায় করছেন। তারপর সে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে সংবাদ দেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমন করতে দেখেছেন। আর যদি তিনি তাকে এমন করতে না দেখতেন তাহলে সে নিজে এ কাজ করতেন না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3039

 
Hadith   95   الحديث
الأهمية: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كان يخرج من طريق الشجرة، ويدخل من طريق المعرس، وإذا دخل مكة، دخل من الثنية العليا، ويخرج من الثنية السفلى
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মদীনা থেকে বাইরে গমনকালে) শাজারা নামক জায়গার রাস্তা ধরে বের হতেন এবং ফিরার সময় (যুল হুলাইফার) মুআর্রাস মসজিদের পথ ধরে (মদীনায়) প্রবেশ করতেন। অনুরূপ যখন তিনি মক্কায় প্রবেশ করতেন তখন আস্-সানিয়াতুল উল্ইয়ার পথ হয়ে। আর যখন বের হতেন তখন আস্-সানিয়াতুস সুফলার পথ হয়ে বের হতেন।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- "أَنَّ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- كَانَ يَخرُجُ مِنْ طَرِيقِ الشَّجَرَةِ، وَيَدْخُلُ مِنْ طَرِيقِ الْمُعَرَّس، وَإِذَا دَخَلَ مَكَّةَ دَخَلَ مِنَ الثَنِيَّةِ العُلْيَا، وَيَخْرُجُ مِنَ الثَنِيَّةِ السُّفْلَى".

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মদীনা থেকে বাইরে গমনকালে) শাজারা নামক জায়গার রাস্তা ধরে বের হতেন এবং ফিরার সময় (যুল হুলাইফার) মুআর্রাস মসজিদের পথ ধরে (মদীনায়) প্রবেশ করতেন। অনুরূপ যখন তিনি মক্কায় প্রবেশ করতেন তখন আস্-সানিয়াতুল উল্ইয়ার পথ হয়ে। আর যখন বের হতেন তখন আস্-সানিয়াতুস সুফলার পথ হয়ে বের হতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- في موضوع استحباب مخالفة الطريق في العيد والجمعة وغيرها من العبادات.
ومعنى مخالفة الطريق: أن يذهب المسلم إلى العبادة من طريق ويرجع من الطريق الآخر؛ فمثلًا يذهب من الجانب الأيمن ويرجع من الجانب الأيسر، وهذا ثابت عن النبي -صلى الله عليه وسلم- في العيدين، كما رواه جابر -رضي الله- عنه كان النبي -صلى الله عليه وسلم- إذا كان يوم عيد خالف الطريق؛ يعني خرج من طريق ورجع من طريق آخر، وكذلك في الحديث الذي معنا.
وتنوعت أقوال العلماء في الحكمة في المخالفة في الطريق على أقوال أشهرها:
1. ليشهد له الطريقان يوم القيامة؛ لأن الأرض يوم القيامة تشهد على ما عمل فيها من خير وشر، فإذا ذهب من طريق ورجع من آخر؛ شهد له الطريقان يوم القيامة بأنه أدى صلاة العيد.
2. من أجل إظهار الشعيرة، شعيرة العيد؛ حتى تكتظ الأسواق هنا وهناك، فإذا انتشر في طرق المدينة صار في هذا إظهار لهذه الشعيرة؛ لأن صلاة العيد من شعائر الدين، والدليل على ذلك أن الناس يؤمرون بالخروج إلى الصحراء؛ إظهارًا لذلك، وإعلانًا لذلك.
3. إنما خالف الطريق من أجل المساكين الذين يكونون في الأسواق، قد يكون في هذا الطريق ما ليس في هذا الطريق، فيتصدق على هؤلاء وهؤلاء.
ولكن الأقرب والله أعلم أنه: من أجل إظهار تلك الشعيرة، حتى تظهر شعيرة صلاة العيد بالخروج إليها من جميع سكك البلد.
أما في الحج كما جاء في الحديث الذي معنا، فإن الرسول -صلى الله عليه وسلم- خالف الطريق في دخوله إلى مكة دخل من أعلاها، وخرج من أسفلها، وكذلك في ذهابه إلى عرفة، ذهب من طريق ورجع من طريق آخر.
واختلف العلماء أيضا في هذه المسألة، هل كان النبي -صلى الله عليه وسلم- فعل ذلك على سبيل التعبُّد؛ أو لأنُّه أسهل لدخوله وخروجه؟ لأنه كان الأسهل لدخوله أن يدخل من الأعلى ولخروجه أن يخرج من الأسفل.
فمَنْ قال من العلماء قال بالأول قال: إنه سنة أن تدخل من أعلاها: أي أعلى مكة وتخرج من أسفلها، وسنة أن تأتي عرفة من طريق وترجع من طريق آخر.
ومنهم من قال: إن هذا حسب تيسر الطريق، فاسلك المتيسر سواء من الأعلى أو من الأسفل.
وعلى كل حال إن تيسر للحاج والمعتمر أن يدخل من أعلاها ويخرج من أسفلها فهذا طيب؛ فإن كان ذلك عبادة فقد أدركه، وإن لم يكن عبادة لم يكن عليه ضرر فيه، وإن لم يتيسر فلا يتكلف ذلك كما هو الواقع في وقتنا الحاضر، حيث إن الطرق قد وجهت توجيهًا واحدًا، ولا يمكن للإنسان أن يخالف ولي الأمر والحمد لله الأمر واسع.
ঈদ, জুমু�আসহ বিভিন্ন ইবাদতে রাস্তা পরিবর্তন করা মুস্তাহাব হওয়া সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস। রাস্তা পরিবর্তন করার অর্থ হলো, একজন মুসলিম ইবাদত পালনে যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে যাবে আর ফিরে আসার সময় অপর রাস্তা দিয়ে আসবে। যেমন যাওয়ার সময় ডান পাশ দিয়ে যাওয়া আর আসার সময় বাম পাশ দিয়ে আশা। এটি দুই ঈদের সালাতে রাসূলুল্লাহ থেকে প্রমাণিত। যেমনটি বর্ণনা করেছেন, যাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু। ঈদের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাস্তা পরিবর্তন করতেন। অর্থাৎ এক রাস্তা দিয়ে বের হতেন এবং অপর রাস্তা দিয়ে ফিরতেন। অনুরূপভাবে আমাদের সাথে যে হাদীসটি আছে তাতেও বর্ণিত। রাস্তা পরিবর্তনের হিকমত সম্পর্কে উলামাগণের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। প্রসিদ্ধ মত হলো�এক, কিয়ামতের দিন রাস্তা যাতে তার জন্য সাক্ষী দেয়। কারণ, যমীনের ওপর ভালো ও মন্দ যা করা হয় কিয়ামতের দিন যমীন সাক্ষী দেবে। যখন এক রাস্তা দিয়ে যাবে এবং অপর রাস্তা দিয়ে আসবে তখন উভয় রাস্তা সাক্ষী দেবে যে লোকটি ঈদের সালাত আদায় করছিল। দুই�ঈদের নির্দশন প্রকাশ করার জন্য। যাতে বাজারের অলি গলি ভরে যায়। শহরের রাস্তায় যখন বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে তখন তাতে ঈদ যে একটি নিদর্শন তা প্রকাশ পাবে। কারণ, ঈদের সালাত দীনের নির্দশন। এর প্রমাণ হলো মানুষকে মাঠে বের হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে এ দ্বারা নিদর্শনসমূহের প্রচার ও ঘোষণা হয়। গরীব মিসকীন যারা শহরে অবস্থান করে তাদের প্রতি লক্ষ্য করে রাস্তা পরিবর্তন করেন। তারা কতক এ রাস্তায় আবার কতক অন্য রাস্তায় থাকে। ফলে রাস্তা পরিবর্তন দ্বারা সব রাস্তার গরীবরা উপকৃত হয়। তবে সঠিকের কাছাকাছি হলো-আল্লাহই ভালো জানেন-এটি এ নিদর্শনকে সমুন্নত রাখার জন্য করা হয়ে থাকে। যাতে ঈদের সালাতে বের হওয়ার এ নির্দশনটি শহরের প্রতিটি রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। আর হজের ক্ষেত্রে রাস্তা পরিবর্তন করা, যেমন আমাদের এ হাদীসে এসেছে� আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় প্রবেশ এবং বের হওয়াতে রাস্তা পরিবর্তন করেছেন। তিনি যখন প্রবেশ করেন তখন উঁচা জায়গা দিয়ে এবং বের হওয়ার সময় নিম্ন অঞ্চল দিয়ে বের হন। অনুরূপভাবে আরাফায় যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে যান আর ফেরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরেন। এ মাসআলার ক্ষেত্রেও আলেমগণ একাধিক মতামত পেশ করেছেন। এটি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবাদত হিসেবে করছেন নাকি প্রবেশ করা ও বের হওয়া সহজ হওয়া হিসেবে করেছেন। কারণ, মক্কায় উঁচা এলাকা দিয়ে প্রবেশ করা এবং নিচু এলাকা দিয়ে বের হওয়া সহজ। কোন কোন আলেম বলেছেন, মক্কায় উঁচা এলাকা দিয়ে প্রবেশ করা এবং নিচু এলাকা দিয়ে বের হওয়া সুন্নাত। আর আরাফায় এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং অপর রাস্তা দিয়ে ফেরা সুন্নাত। আর তাদের কেউ কেউ বলেছেন এটি রাস্তা সহজ হওয়া হিসেবে ইবাদত হিসেবে নয়। তাই তুমি তোমার জন্য যেটি সহজ হয় সেটি অবলম্বন করবে। যদি উপর দিয়ে সহজ হয় সেটি অবলম্বন করবে এবং যদি নিম্ন অঞ্চল দিয়ে সহজ হয় সেটি গ্রহণ করবে। সুতরাং হজ ও উমরা পালনকারীর জন্য উঁচা এলাকা থেকে প্রবেশ করা এবং নীচু এলাকা দিয়ে বের হওয়া সহজ হয়। ফলে তারা তাই করবে। তবে যদি তা ইবাদত হয়ে থাকে সে তাও পেয়ে যাবে। আর যদি ইবাদত না হয় তাতে তার কোন অসুবিধা হবে না। আর যদি সুযোগ না হয় তাকে এ বিষয়ে বাধ্য করা হবে না। যেমনটি বর্তমানের বাস্তবতা হলো রাস্তা সব একমুখী। ইচ্ছা করলেও দায়িত্বশীলদের বিরোধিতা করে রাস্তা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আলহামদু লিল্লাহ বিষয়টি অবকাশযোগ্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3040

 
Hadith   96   الحديث
الأهمية: ارقبوا محمدًا -صلى الله عليه وسلم- في أهل بيته
থিম: তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারবর্গের মাধ্যমে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর।

عن أبي بكر الصديق -رضي الله عنه- قال: ارْقَبُوا محمَّدًا -صلَّى اللهُ عليهِ وسلَّم- فِي أَهلِ بَيتِهِ.

আবূ বাকার সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত করেন, তিনি বলেছেন, �তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারবর্গের মাধ্যমে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في أثر أبي بكر -رضي الله عنه- دليل على معرفة الصحابة -رضي الله عنهم- بحق أهل بيت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وتوقيرهم واحترامهم، فمن كان من أهل البيت مستقيما على الدين مُتَّبِعًا لِسنَّة رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فله حقان: حق الإسلام وحق القرابة من رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، وفيه أن أبا بكر والصحابة كانوا يحبون آل البيت ويوصون بهم خيرًا.
আবূ বাকার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু আসারে (হাদীস) এ কথা প্রমান করে যে, সাহাবীগণ রাসূলের পরিবারের ইজ্জত, সম্মান ও তাদের অধিকার সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন। আহলে বাইত থেকে যে ব্যক্তি দীনের ওপর অবিচল থাকবে এবং রাসূলের সুন্নাতের অনুসারী হবে তার জন্য দুটি অধিকার রয়েছে। ইসলামের হক এবং রাসূলের আত্মীয় হওয়ার হক। এতে আরও প্রমান হয় যে, আবূ বাকার ও সাহাবীগণ আহলে বাইতকে মহব্বত করতেন এবং তাদের বিষয়ে ভালো অসিয়ত করতেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3041

 
Hadith   97   الحديث
الأهمية: من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليكرم ضيفه جائزته
قالوا: وما جائزته؟ يا رسول الله، قال: يومه وليلته، والضيافة ثلاثة أيام، فما كان وراء ذلك فهو صدقة عليه

থিম: যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই মেহমানের পারিতোষিকসহ তার সম্মান করে। লোকেরা বলল, �তার পারিতোষিক কী? হে আল্লাহর রাসূল!� তিনি বললেন, �একদিন ও একরাত (উত্তমভাবে পানাহারের ব্যবস্থা করা)। আর সাধারণতঃ মেহমানের খাতির তিন দিন পর্যন্ত। তিনদিনের অতিরিক্ত হবে মেহমানের ওপর সাদকাহ স্ব�রূপ।

عن أبي شُريح خُويلد بن عمرو الخزاعي عن النبي -صلى الله عليه وسلم- أنه قال: �مَنْ كَان يُؤمِن بِاللهِ وَاليَومِ الآخِرِ فَلْيُكْرِم ضَيفَه جَائِزَتَه�، قَالوا: وما جَائِزَتُهُ؟ يَا رسول الله، قال: �يَومُهُ ولَيلَتُهُ، والضِّيَافَةُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ، فَمَا كَانَ وَرَاءَ ذَلك فَهُوَ صَدَقَةٌ عَلَيه�.
وفي رواية: �لا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يُقِيمَ عِنْدَ أَخِيهِ حَتَّى يؤْثِمَهُ� قالوا: يَا رَسول الله، وَكَيفَ يُؤْثِمَهُ؟ قال: �يُقِيمُ عِندَهُ ولاَ شَيءَ لَهُ يُقرِيهِ بهِ�.

আবূ শুরাইহ খুয়াইলিদ ইবনে আমর আল খুযায়ী নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, �যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই মেহমানের পারিতোষিকসহ তার সম্মান করে।� লোকেরা বলল, �তার পারিতোষিক কী? হে আল্লাহর রাসূল!� তিনি বললেন, �একদিন ও একরাত (উত্তমভাবে পানাহারের ব্যবস্থা করা)। আর সাধারণতঃ মেহমানের খাতির তিন দিন পর্যন্ত। তিনদিনের অতিরিক্ত হবে মেহমানের ওপর সাদকাহ স্ব�রূপ।� মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, �কোন মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের নিকট এতটা থাকা বৈধ নয়, যাতে সে তাকে গোনাহগার করে ফেলে।� লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, �হে আল্লাহর রাসূল! তাকে কিভাবে গোনাহগার করে ফেলে?� উত্তরে তিনি বললেন, �মেহমান মেযবানের কাছে অবস্থান করতে থাকে, অথচ ওর এমন কিছু থাকে না, যার দ্বারা সে মেহমানের খাতির করতে পারে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث أبي شريح الخزاعي -رضي الله عنه- يدل على إكرام الضيف وقراه، فلقد جاء عنه أنَّ النبي -صلى الله عليه وسلَّم- قال: "من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليكرم ضيفه"، وهذا من باب الحث والإغراء على إكرام الضيف، يعني أنَّ إكرام الضيف من علامة الإيمان بالله واليوم الآخر، ومن تمام الإيمان بالله واليوم الآخر.
ومما يحصل به إكرام الضيف: طلاقة الوجه، وطيب الكلام، والإطعام ثلاثة أيام، في الأول بمقدوره وميسوره، والباقي بما حضره من غير تكلف، ولئلا يثقل عليه وعلى نفسه، وبعد الثلاثة يُعد من الصدقات، إن شاء فعل وإلا فلا.
وأما قوله: "فليكرم ضيفه جائزته يوما وليلة والضيافة ثلاثة أيام" قال العلماء في معنى الجائزة: الاهتمام بالضيف في اليوم والليلة، وإتحافه بما يمكن من بر وخير، وأما في اليوم الثاني والثالث فيطعمه ما تيسر ولا يزيد على عادته، وأما ما كان بعد الثلاثة فهو صدقة ومعروف إن شاء فعل وإن شاء ترك.
وفي رواية مسلم "ولا يحل له أن يقيم عنده حتى يؤثمه" معناه: لا يحل للضيف أن يقيم عنده بعد الثلاث حتى يوقعه في الإثم؛ لأنه قد يغتابه لطول مقامه، أو يعرض له بما يؤذيه، أو يظن به مالا يجوز، وهذا كله محمول على ما إذا أقام بعد الثلاث من غير استدعاء من المضيف.
ومما ينبغي أن يعلم أن إكرام الضيف يختلف بحسب أحوال الضيف، فمن الناس من هو من أشراف القوم ووجهاء القوم، فيكرم بما يليق به، ومن الناس من هو من متوسط الحال فيكرم بما يليق به، ومنهم من هو دون ذلك.
আবূ শুরাইহ খুয়াইলিদ ইবনে আমর আল খুযায়ী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীস মেহমানের সম্মান ও মেহমানদারি করার প্রমাণ। তার থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই মেহমানের পারিতোষিকসহ তার সম্মান করে।� এটি মেহমানের সম্মান করার ওপর উৎসাহ প্রদান ও উদ্বুদ্ধ করনের পদ্ধতি থেকে। অর্থাৎ, মেহমানের সম্মান করা আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমানের আলামত এবং আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমানের পরিপূর্ণতা। যে সব কর্ম দ্বারা মেহমানের সম্মান করা হয় যেমন: হাসি মুখ, সুন্দর কথা, তিনদিন খাওয়ানো। প্রথম দিন তার সাধ্য অনুযায়ী। আর বাকী দিন কোন প্রকার কৃত্রিমতা ছাড়া যা উপস্থিত থাকে তা দ্বারা যাতে তার ওপর এবং আত্মার ওপর বোঝা না হয়ে যায়। আর তিনদিন পর হবে সাদকা স্বরূপ, ইচ্ছা করলে করবে না হয় করবে না। আর তার বাণী: �সে যেন অবশ্যই মেহমানের পারিতোষিকসহ তার সম্মান করে। আর মেহমানদারি তিনদিন।� উলামাগণ পারিতোষিকের অর্থ সম্পর্কে বলেন, একদিন এক রাত মেহমানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া সম্ভাব্য কল্যাণকামি পদর্শন ও সৎ ব্যবহার করা। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন তাকে তাই খেতে দেবে যা তার জন্য সহজ হয়। তার সাধারণ খাদ্যের ওপর বাড়তি করতে হবে না। আর তিনদিন পর তা হবে সাদকাহ স্বরূপ ও হিতকামনা, যদি চায় করবে আর যদি না চায় করবে না। মুসলিমের বর্ণনায় বর্ণিত: �কোন মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের নিকট এতটা থাকা বৈধ নয়, যাতে সে তাকে গোনাহগার করে ফেলে�। এর অর্থ, মেহমানের জন্য তার নিকট তিনদিনের বেশি অবস্থান করা ঠিক হবে না যাতে তাকে গুনাহে ফেলে দেয়। কারণ, অনেক সময় সে লম্বা সময় অবস্থানের কারণে তার সমালোচনা করবে, তার থেকে এমন কিছু প্রকাশ পাবে যা তাকে কষ্ট দেয় অথবা তার প্রতি এমন ধারণা করবে যা অবৈধ। এ গুলো সবই তখন হয় যখন মেজবানের আকাংখা ছাড়া তিনদিনের বেশি অবস্থান করে। জানা থাকা দরকার যে, মেহমানের অবস্থা অনুযায়ী তার সম্মান করা বিভিন্ন হয়ে থাকে। কতক মানুষ আছে কাওমের সরদার এবং মুখপাত্র, তখন তার মেহমানদারি তার অবস্থান অনুযায়ী হবে। আবার কতক আছে মধ্যবৃত্ত তখন তার মেহমাদারি তার অবস্থান অনুযায়ী আবার কতক আছে নিম্ন তাকে তার অবস্থান অনুযায়ী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3042

 
Hadith   98   الحديث
الأهمية: إني قد رأيت الأنصار تصنع برسول الله -صلى الله عليه وسلم- شيئًا آليت على نفسي أن لا أصحب أحدًا منهم إلا خدمته
থিম: আমি আনসারগণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (অনেক) কিছু করতে দেখেছি। তাই আমি শপথ করেছি যে, তাঁদের মধ্যে যাঁরই সঙ্গী হব, তাঁরই খিদমত করব।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: خَرَجتُ معَ جَرِير بنِ عَبدِ الله البَجَلِي -رضي الله عنه- في سَفَرٍ، فَكَانَ يَخْدُمُنِي، فقُلتُ لَهُ: لا تفْعَل، فقَال: إِنِّي قَدْ رَأَيتُ الأَنْصَارَ تَصْنَعُ بِرَسُولِ الله -صلى الله عليه وسلم- شَيئًا آلَيتُ عَلَى نَفْسِي أَنْ لاَ أَصْحَبَ أَحدًا مِنْهُم إِلاَّ خَدَمْتُه.

আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, একদা আমি জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-এর সাথে সফরে বের হলাম। (আমার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়া সত্তেও) তিনি আমার খিদমত করতেন। সুতরাং আমি তাঁকে বললাম, �আপনি এমন করবেন না।� তিনি বললেন, �আমি আনসারগণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (অনেক) কিছু করতে দেখেছি। তাই আমি শপথ করেছি যে, তাঁদের মধ্যে যাঁরই সঙ্গী হব, তাঁরই খিদমত করব।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث جرير بن عبد الله البجلي -رضي الله عنه- فيه أنه -رضي الله عنه- كان في سفر فجعل يخدم رفقته وهم من الأنصار، ومنهم أنس -رضي الله عنه- وهو أصغر سنًّا منه، فقيل له في ذلك، يعني: كيف تخدمهم وأنت صاحب رسول الله -صلى الله عليه وسلم-؟
فقال: إني رأيت الأنصار تصنع برسول الله -صلى الله عيه وسلم- شيئًا؛ حلفت على نفسي ألا أصحب أحدا منهم إلا خدمته، وهذا من إكرام من يكرم النبي -صلى الله عليه وسلم-، فإكرام أصحاب الرجل إكرام للرجل، واحترامهم احترام له، ولهذا جعل -رضي الله عنه- إكرام هؤلاء من إكرام النبي -صلى الله عليه وسلم-.

থিম: জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীসে বলা হয়, একদা তিনি এক সফরে ছিলেন তখন তিনি তার সাথীদের খিদমত করতেছিলেন। তারা ছিল আনসারী সাহাবীগণ। তাদের মধ্যে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন যিনি ছিলেন বয়সের দিক দিয়ে সবার ছোট। তখন তাকে বলা হলো, আপনি কীভাবে তাদের খিদমত করেন অথচ আপনি রাসূলের সাহাবী? তিনি বললেন, �আমি আনসারগণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (অনেক) কিছু করতে দেখেছি। তাই আমি আমার আত্মার ওপর শপথ করেছি যে, তাঁদের মধ্যে যাঁরই সঙ্গী হব, তাঁরই খিদমত করব। এটি হলো সম্মান তাদের প্রতি যারা রাসূলকে সম্মান করত। কোন মানুষের সাথীদের সম্মান করা মানে লোকটিকেই সম্মান করা। আর তাদের ইজ্জত করা মানে তাঁরই ইজ্জত করা। এ কারণেই তিনি রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের সম্মান করাকে রাসূলের সম্মান করা বলে গণ্য করেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3043

 
Hadith   99   الحديث
الأهمية: الكبائر: الإشراك بالله، وعقوق الوالدين، وقتل النفس، واليمين الغموس
থিম: কাবীরাহ গোনাহ হচ্ছে : আল্লাহর সাথে শির্ক করা, মাতা-পিতার অবাধ্যাচরণ করা, কোনো প্রাণ হত্যা করা ও মিথ্যা কসম খাওয়া।

عن عبد الله بن عمرو بن العاص -رضي الله عنهما- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: �الكبائر: الإشراك بالله، وعُقُوق الوالدين، وقتل النفس، واليمين الغَمُوس�.

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবন �আস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �কাবীরাহ গোনাহ হচ্ছে আল্লাহর সাথে শির্ক করা, মাতা-পিতার অবাধ্যাচরণ করা, কোনো প্রাণ হত্যা করা ও মিথ্যা কসম খাওয়া।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يتناول هذا الحديث عددًا من الذنوب التي وصفت بأنها من الكبائر، وسميت بذلك لضررها الكبير على فاعلها وعلى الناس في الدنيا والآخرة.
فأولها "الإِشرَاكُ بِالله": أي: الكفر بالله بأن، يعبد معه غيره ويجحد عبادة ربه.
   وثانيها "عُقُوقُ الوَالِدَينِ": والعقوق حقيقته: أن يفعل مع والديه أو مع أحدهما، ما يتأذى به عرفاً، كعدم احترامهما وسبهما وعدم القيام عليهما ورعايتهما عند حاجتهم إلى الولد.
وثالثها "قَتْل النَّفْس": بغير حق كالقتل ظلماً وعدواناً، أما إذا استحق الشخص القتل بحق من قصاص وغيره فلا يدخل في معنى هذا الحديث.
ثم خُتِم الحديث بالترهيب من "اليَمِين الغَمُوسُ": وسُمِيت بالغموس لأنَّها تغمس صاحبها في الإِثم أو في النار؛ لأنه حلف كاذباً على علم منه.
এ হাদীসটিতে কয়েকটি গুনাহ উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলোকে কবীরাহ বলে বিশেষিত করা হয়েছে। এই নামকরণ করার কারণ হলো, তার ক্ষতি গুনাহকারী ব্যক্তি ও সকল মানুষের উপর দুনিয়া ও আখিরাতে অনেক বড় হয়।
প্রথমটি হলো আল্লাহর সাথে শরীক করা, অর্থাৎ আল্লাহর সাথে কুফরি করা, যেমন তার সাথে অন্য কাউকে ইবাদত করা ও স্বীয় রবের ইবাদতকে অস্বীকার করা।
দ্বিতীয়টি হলো �মাতা-পিতার নাফরমানী করা�। অর্থাৎ, মাতা-পিতা বা তাদের যে কোনো একজনের সাথে এমন কোনো কর্ম করা যা তাকে কষ্ট দেয়। যেমন, তাদের সম্মান না করা, তাদের গাল দেওয়া, তাদের অধিকার আদায় না করা এবং সন্তানদের প্রতি যখন মুখাপেক্ষী হয় তখন তাদের যত্ন না নেয়া।
তৃতীয়টি হলো �নফসকে হত্যা করা� অন্যায়ভাবে ও সীমালঙ্ঘন করে। তবে কোনো ব্যক্তি যদি কাসাস ও অন্য কোনো কারণে হত্যার উপযুক্ত হয় সে এ হাদীসের অর্থের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
তারপর মিথ্যা শপথ থেকে ভয় দেখানোর মাধ্যমে হাদীসটি শেষ করা হয়। আর গুমূস (ডুবে যাওয়া) দ্বারা নামকরণ করার কারণ মিথ্যা কসমকারী পাপে অথবা জাহান্নামের আগুনে ডুবে যাবে, কারণ সে জানা স্বত্বেও মিথ্যা শপথ করেছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3044

 
Hadith   100   الحديث
الأهمية: أفضل الجهاد كلمة عدل عند سلطان جائر
থিম: অত্যাচারী বাদশাহর নিকট হক কথা বলা সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- عن النبيِّ -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم- قَالَ: �أفضل الجهاد كلمة عَدْلٍ عند سُلْطَانٍ جَائِر�.

আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �অত্যাচারী বাদশাহর নিকট হক কথা বলা সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يبين النبي -صلى الله عليه وسلم- أن أعظم جهاد المرء أن يقول كلمة حق عن صاحب سلطة ظالم؛ لأنه ربما ينتقم منه بسببها ويؤذيه أو يقتله، فالجهاد يكون باليد كقتال الكفار، وباللسان كالإنكار على الظلمة، وبالقلب كجهاد النفس.
নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন যে, অত্যাচারী বাদশাহর নিকট হক কথা বলা সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ। কারণ হতে পারে এ কারণে সে তার থেকে প্রতিশোধ নেবে এবং তাকে কষ্ট দেবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3045

 
Hadith   101   الحديث
الأهمية: أن أم حبيبة استحيضت سبع سنين، فسألت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن ذلك؟ فأمرها أن تغتسل
থিম: উম্মু হাবীবাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহা সাত বছর পর্যন্ত ইস্তিহাযাহায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি তাঁকে গোসলের নির্দেশ দিলেন। তিনি (আয়েশা) বলেন, অতঃপর উম্মে হাবিবা প্রতি সলাতের জন্য গোসল করতেন।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: "إن أم حبيبة اسْتُحِيضَتْ سبع سنين، فسألت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن ذلك؟ فأمرها أن تغتسل، قالت: فكانت تغتسل لكل صلاة".

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের-এর স্ত্রী �আয়িশাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহা থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহা সাত বছর পর্যন্ত ইস্তিহাযাহায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি তাঁকে গোসলের নির্দেশ দিলেন। আয়েশা বলেন, অতঃপর তিনি প্রতি সলাতের জন্য গোসল করতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أمر النبي -صلى الله عليه وسلم- أم حبيبة حين سألته عن ما يلزمها في استحاضتها أن تغتسل، فكانت تغتسل لكل صلاة، وقد كانت استحيضت سبع سنين، والاستحاضة أمر عارض قليل في النساء، والأصل هو الحيض الذي يكون في أيام معدودة في الشهر وتصحبه علامات يعرفها النساء.
وكانت تغتسل لكل صلاة تطوعًا منها.
উম্মে হাবীবাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহা যখন রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তার ইস্তেহাযাতে করনীয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন তখন তিনি তাকে গোসল করার নির্দেশ দেন। তখন সে প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য গোসল করতেন। আর সাত বছর ধরে সে ইস্তেহাযায় আক্রান্ত ছিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3046

 
Hadith   102   الحديث
الأهمية: لا يبولن أحدكم في الماء الدائم الذي لا يجري، ثم يغتسل منه
থিম: তোমাদের কেউ যেন স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে পেশাব না করে। (সম্ভবত) পরে সে আবার তাতে গোসল করবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: "لا يَبُولَنَّ أحَدُكم في الماء الدَّائِم الذي لا يجْرِي, ثمَّ يَغتَسِل مِنه".
   وفي رواية: "لا يغتسل أحدكُم في الماء الدَّائم وهو جُنُب".

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �তোমাদের কেউ যেন স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে পেশাব না করে। (সম্ভবত) পরে সে আবার তাতে গোসল করবে।� অপর বর্ণনায় বর্ণিত: �তোমাদের কেউ যেন স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে কখনো পেশাব না করে, যে অবস্থায় সে অপবিত্র।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
نهى النبي -صلى الله عليه وسلم- عن البول في الماء الراكد الذي لا يجري؛ لأن ذلك يقتضي تلوثه بالنجاسة والأمراض التي قد يحملها البول فتضر كل من استعمل الماء، وربما يستعمله البائل نفسه فيغتسل منه، فكيف يبول بما سيكون طهورًا له فيما بعد.
كما نهى عن اغتسال الجنب في الماء الراكد؛ لأن ذلك يلوث الماء بأوساخ وأقذار الجنابة.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। কারণ, এতে পানি নাপাক এবং পেশাবের জীবাণুর সাথে মিশে যাওয়ার ফলে যে এ পানি ব্যবহার করবে তার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় পেশাবকারী নিজেই তা ব্যবহার করবে, যেমন তাতে গোসল করবে। যে জিনিস তার জন্য একটু পরে পবিত্রকারী হবে তাতে সে কীভাবে পেশাব করে। যেমনিভাবে তিনি নিষেধ করেছেন স্থির পানিতে বড় নাপাকী থেকে পবিত্রার জন্য ফরয গোসল করতে। কারণ, তাতে পানির সাথে অপবিত্রতার ময়লা ও আবর্জনার সংমিশ্রণ ঘটে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3047

 
Hadith   103   الحديث
الأهمية: استوصوا بالنساء خيرا؛ فإن المرأة خلقت من ضلع، وإن أعوج ما في الضلع أعلاه، فإن ذهبت تقيمه كسرته، وإن تركته، لم يزل أعوج، فاستوصوا بالنساء
থিম: �তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও। কারণ নারীকে পাঁজরের (বাঁকা) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের সবচেয়ে বেশী বাঁকা হল তার উপরের অংশ। যদি তুমি এটাকে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে তো বাঁকাই থাকবে। তাই তোমরা নারীদের জন্য মঙ্গলকামী হও।�

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �اسْتَوْصُوا بالنِّساءِ خَيْرًا؛ فَإِنَّ المرأة خُلِقَتْ مِن ضِلعٍ، وَإنَّ أعْوَجَ مَا في الضِّلَعِ أعْلاهُ، فَإنْ ذَهَبتَ تُقيمُهُ كَسَرْتَهُ، وإن تركته، لم يزل أعوج، فاستوصوا بالنساء�.
وفي رواية: �المرأة كالضِّلَعِ إنْ أقَمْتَهَا كَسَرْتَهَا، وَإن اسْتَمتَعْتَ بها، استمتعت وفيها عوَجٌ�.
وفي رواية: �إنَّ المَرأةَ خُلِقَت مِنْ ضِلَع، لَنْ تَسْتَقِيمَ لَكَ عَلَى طَريقة، فإن استمتعت بها استمتعت بها وفيها عوج، وإنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهَا كَسَرْتَها، وَكَسْرُهَا طَلاَقُهَا�.

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও। কারণ নারীকে পাঁজরের (বাঁকা) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের সবচেয়ে বেশী বাঁকা হল তার উপরের অংশ। যদি তুমি এটাকে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে তো বাঁকাই থাকবে। তাই তোমরা নারীদের জন্য মঙ্গলকামী হও।� অন্য এক বর্ণনায় আছে, �মহিলা পাঁজরের হাড়ের মত। যদি তুমি তাকে সোজা করতে চাও, তবে তুমি তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তুমি তার দ্বারা উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা অবস্থাতেই হতে হবে।� অপর এক বর্ণনায় আছে, �মহিলাকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সে কখনই একভাবে তোমার জন্য সোজা থাকবে না। এতএব তুমি যদি তার থেকে উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা অবস্থাতেই হতে হবে। আর যদি তুমি তা সোজা করতে চাও, তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর তাকে ভেঙ্গে ফেলা হল তালাক দেওয়া।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر أبو هريرة -رضي الله عنه- في معاشرة النساء أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: اقبلوا هذه الوصية التي أوصيكم بها، وذلك أن تفعلوا خيرًا مع النساء؛ لأن النساء قاصرات في العقول، وقاصرات في الدين، وقاصرات في التفكير، وقاصرات في جميع شؤونهن، فإنهن خلقن من ضلع.
وذلك أن آدم -عليه الصلاة والسلام- خلقه الله من غير أب ولا أم، بل خلقه من تراب، ثم قال له كن فيكون، ولما أراد الله -تعالى- أن يبث منه هذه الخليقة، خلق منه زوجه، فخلقها من ضلعه الأعوج، فخلقت من الضلع الأعوج، والضلع الأعوج إن استمتعت به استمتعت به وفيه العوج، وإن ذهبت تقيمه انكسر.
فهذه المرأة أيضا إن استمتع بها الإنسان استمتع بها على عوج، فيرضى بما تيسر، وإن أراد أن تستقيم فإنها لن تستقيم، ولن يتمكن من ذلك، فهي وإن استقامت في دينها فلن تستقيم فيما تقتضيه طبيعتها، ولا تكون لزوجها على ما يريد في كل شيء، بل لابد من مخالفة، ولابد من تقصير، مع القصور الذي فيها، فإن ذهبت تقيمها كسرتها وكسرها طلاقها، ومعناه أنك إن حاولت أن تستقيم لك على ما تريد فلا يمكن ذلك، وحينئذ تسأم منها وتطلقها.
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের সাথে লেন-দেন করা বিষয়ে বলেছেন, আমি তোমাদের যে অসিয়ত করি তা তোমরা কবুল করো। আর তা হলো তোমরা নারীদের কল্যাকামী হও। কারণ, নারীরা জ্ঞানে দুর্বল, দীনের বিষয়ে দুর্বল, চিন্তায় দূর্বল এবং যাবতীয় সব বিষয়ে তারা দুর্বল। কারণ, তাদেরকে পাঁজরের হাঁড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তা এভাবে যে, আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে পিতা মাতা ছাড়া মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি কুন বলেছেন আর হয়ে গেছেন। আর আল্লাহ যখন তার থেকে এ সৃষ্টিকে বিস্তৃত করতে চাইলেন, তার থেকে তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করলেন। তিনি তাকে তার পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর বাঁকা হাড়ের অবস্থা হলো যদি তুমি তা থেকে বাঁকা অবস্থায় রেখে উপকার লাভ করতে চাও করতে পারবে, আর যদি তাকে তুমি সোজা করতে যাও তা ভেঙ্গে যাবে। এ সব নারীরাও তাই। বাঁকা অবস্থায় যদি মানুষ তাদের উপভোগ করতে চায়, উপভোগ করবে; যা সহজ হয় তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে। আর যদি সোজা করতে চায়, তবে তা সোজা হবে না এবং তা সম্ভব নয়। সে যদিও দীনের বিষয়ে সোজা হবে, তবে সে তার স্বভাবে চাহিদা বিষয়ে সোজা হবে না। সে প্রতিটি বিষয়ে কখনো তার স্বামী ইচ্ছা অনুযায়ী হবে না। বরং তার থেকে অনিয়ম, ও ত্রুটি হবেই। তাতে যে ত্রুটি রয়েছে তুমি তা নিয়েই তার সাথে থাকবে। তুমি যদি তাকে ঠিক করতে যাও, তাকে তুমি ভেঙ্গে ফেলবে। আর তার ভেঙ্গে ফেলা হলো তাকে তালাক দেওয়া। এর অর্থ হলো, যদি তোমার চাওয়া অনুযায়ী তাকে সংশোধন করার ইচ্ছা করো, তা সম্ভব হবে না। তখন তুমি তার কাছ থেকে কষ্ট পাবে এবং তাকে তালাক দেবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3049

 
Hadith   104   الحديث
الأهمية: أن رسول الله    -صلى الله عليه وسلم- رأى رجلًا معتزلًا، لم يصل في القوم، فقال: يا فلان، ما منعك أن تصلي في القوم؟ فقال: يا رسول الله أصابتني جنابة، ولا ماء، فقال: عليك بالصعيد، فإنه يكفيك
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন যে, এক ব্যক্তি আলাদা দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি লোকদের সাথে সলাত আদায় করেন নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে অমুক! তোমাকে লোকদের সাথে সালাত আদায় করতে কিসে বিরত রাখলো? তিনি বললেন, আমার উপর গোসল ফরয হয়েছে। অথচ পানি নেই। তিনি বললেন, পবিত্র মাটি নাও (তায়াম্মুম কর), এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট।

عن عمران بن حصين -رضي الله عنهما- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- رأى رجلًا مُعتزلًا، لم يُصَلِّ في القوم، فقال: (يا فلان، ما منعك أن تصلي في القوم؟) فقال: يا رسول الله أصابتني جنابةٌ، ولا مَاءَ، فقال: (عليك بالصَّعِيدِ، فإنه يَكْفِيَكَ).
থিম: ইমরান ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন যে, এক ব্যক্তি আলাদা দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি লোকদের সাথে সলাত আদায় করেন নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে অমুক! তোমাকে লোকদের সাথে সালাত আদায় করতে কিসে বিরত রাখলো? তিনি বললেন, আমার উপর গোসল ফরয হয়েছে। অথচ পানি নেই। তিনি বললেন, পবিত্র মাটি নাও (তায়াম্মুম কর), এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
صلى النبي -صلى الله عليه وسلم- بالصحابة صلاة الصبح، فلما فرغ من صلاته رأى رجلا لم يصل معهم، فكان من كمال لطف النبي -صلى الله عليه وسلم-، وحسن دعوته إلى الله، أنه لم يعنفه على تخلفه عن الجماعة، حتى يعلم السبب في ذلك، فقال: يا فلان، ما منعك أن تصلى مع القوم؟، فشرح عذره -في ظنه- للنبي -صلى الله عليه وسلم- بأنه قد أصابته جنابة ولا ماء عنده، فأخر الصلاة حتى يجد الماء ويتطهر، فقال -صلى الله عليه وسلم- إن الله تعالى قد جعل لك -من لطفه- ما يقوم مقام الماء في التطهر، وهو الصعيد، فعليك به، فإنه يكفيك عن الماء.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করেন। যখন তিনি সালাত শেষ করলেন দেখেন এক ব্যক্তি তাদের সাথে সালাত আদায় করেনি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আল্লাহর দিকে দা�ওয়াতের সৌন্দর্য্য ও দয়াদ্রতার পরিপূর্ণতা স্বরূপ ছিল তিনি এর কারণ সম্পর্কে না জেনে তাকে জামা�আত থেকে বিরত থাকার ওপর কটাক্ষ করেননি। তাই তিনি বলেন, হে অমুক। তোমাকে জামা�আতে সালাত আদায়ে কোন জিনিষ না করেছে? তারপর সে -তার ধারণা অনুযায়ী-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পারগতার ব্যখ্যা দিয়ে বলেন যে, তার ওপর গোসল ফরয হয়েছে। তার কাছে পানি না থাকার কারণে পানি পেয়ে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত সে সালাতকে বিলম্ব করছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বললেন, আল্লাহ তা�আলা স্বীয় মেহেবানিতে পবিত্রতা অর্জনে তোমার জন্য পানির স্থলাবিষিক্ত নির্ধারণ করেছেন। আর তা হলো পবিত্র মাটি। তোমার ওপর আবশ্যক হলো তা গ্রহণ করা। কারণ, তা পানির পরিবর্তে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3051

 
Hadith   105   الحديث
الأهمية: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أتى منى، فأتى الجمرة فرماها، ثم أتى منزله بمنى ونحر، ثم قال للحلاق: خذ، وأشار إلى جانبه الأيمن، ثم الأيسر، ثم جعل يعطيه الناس
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনায় এসে সর্বপ্রথম জামরায় গেলেন এবং তাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন। অতঃপর তিনি মিনায় তার মানযিলে (অবস্থান করার তাবুতে) গেলেন এবং কুরবানী করলেন। অতঃপর তিনি তার মাথার প্রথমে ডানদিকে ও পরে বামদিকে ইঙ্গিত করে নাপিতকে বললেন, ধর (চুল কাটো)। অতঃপর তিনি তা (চুল) লোকদের দিতে লাগলেন।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أتى مِنَى، فأتى الجَمْرَةَ فرماها، ثم أتى منزله بمِنَى ونحر، ثم قال للحلاق: �خُذْ� وأشار إلى جانبه الأيمن، ثم الأيسر، ثم جعل يعطيه الناسَ.
وفي رواية: لما رمى الجَمْرَةَ، ونحر نُسُكَهُ وحلق، ناول الحلاق شِقَّهُ الأيمن فحلقه، ثم دعا أبا طلحة الأنصاري -رضي الله عنه- فأعطاه إياه، ثم ناوله الشِّقَّ الأَيْسَرَ، فقال: �احْلِقْ�، فحلقه فأعطاه أبا طلحة، فقال: �اقْسِمْهُ بين الناس�.

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনায় এসে সর্বপ্রথম জামরায় গেলেন এবং তাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন। অতঃপর তিনি মিনায় তার মানযিলে (অবস্থান করার তাবুতে) গেলেন এবং কুরবানী করলেন। অতঃপর তিনি তার মাথার প্রথমে ডানদিকে ও পরে বামদিকে ইঙ্গিত করে নাপিতকে বললেন, ধর (চুল কাটো)। অতঃপর তিনি তা (চুল) লোকদের দিতে লাগলেন।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম (কুরবানীর দিন) জামরায় কঙ্কর মারলেন, কুরবানীর পশুগুলো যবেহ করলেন এবং মাথা মুণ্ডন করলেন। প্রথমে তিনি তার মাথার ডান দিক নাপিতের দিকে এগিয়ে দিলেন, সে তা মুণ্ডন করল। তিনি আবূ তালহা আনসারী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুকে ডেকে চুলগুলো তাকে দিলেন। তারপর তিনি তাঁর মাথার বাম দিক বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, মুণ্ডন করো এবং সে (নাপিত) তা মুণ্ডন করল। তারপর তিনি কাটা চুল আবূ তালহা রাদিয়াল্লাহু <�আনহুকে দিয়ে বললেন, �যাও (এ চুলগুলো) লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দাও।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لما أتى النبي -صلى الله عليه وسلم- في حجة الوداع إلى منى يوم العيد رمى الجمرة، ثم ذهب إلى منزله ونحر هديه، ثم دعا بالحلاَّق فحلق رأسه؛ وأشار -صلى الله عليه وسلَّم- إلى الشق الأيمن فبدأ الحلاَّق بالشقِّ الأيمن، ثم دعا أبا طلحة -رضي الله عنه الأنصاري- وأعطاه شعر الشق الأيمن كله، ثم حلق بقية الرأس، ودعا أبا طلحة وأعطاه إياه، وقال: "اقسمه بين الناس" فقسمه، فمن الناس من ناله شعرة واحدة، ومنهم من ناله شعرتان، ومنهم من ناله أكثر حسب ما تيسر؛ وذلك لأجل التبرك بهذا الشعر الكريم؛ شعر النبي -صلى الله عليه وسلم-.
وهذا جائز وخاص بآثاره -صلى الله عليه وسلم-.

থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিদায় হজে ঈদের দিন মিনায় আসলেন তখন জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন। অতপর তিনি মিনায় তার মানযিলে (অবস্থান করার তাবুতে) গেলেন এবং তার হাদীগুলো যাবেহ করলেন। অতপর তিনি নাপিত ডেকে মাথা মুণ্ডন করলেন। প্রথমে তিনি তার মাথার ডান দিক নাপিতের দিকে এগিয়ে দিলেন, সে তা মুণ্ডন করল। তিনি আবূ তালহা আনসারী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুকে ডেকে তাকে ডান পাশের চুলগুলো দিলেন। তারপর তিনি তাঁর মাথার অবশিষ্ট চুল মণ্ডন করলেন। তারপর তিনি কাটা চুল আবূ তালহাকে দিয়ে বললেন, এ চুলগুলো লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দাও। ফলে তিনি তা মানুষের মাঝে বণ্টন করে দিলেন। কেউ একটি চল পেল, কেউ আবার দু�টো, কেউ আবার সুযোগ মতো অনেকগুলো চুল পেলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের চুলের দ্বারা বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যে লোকজন এগুলো সংগ্রহ করলেন।
আর এটি শুধু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিদর্শনের সাথেই খাস।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম তার দুই রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3052

 
Hadith   106   الحديث
الأهمية: إن الدنيا حُلوة خَضِرَة، وإن الله مستخلفكم فيها فينظر كيف تعملون، فاتقوا الدنيا واتقوا النساء؛ فإن أول فتنة بني إسرائيل كانت في النساء
থিম: দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা�আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন যেন তিনি দেখেন তোমরা কিভাবে আমল কর। অতএব তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে। কারণ বুন ইসরাইলের প্রথম ফিতনা ছিল নারীদের ভেতর।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- عن النبيِّ -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم- قَالَ: �إن الدنيا حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ، وإن الله مُسْتَخْلِفُكُمْ فيها فينظرَ كيف تعملون، فاتقوا الدنيا واتقوا النساء؛ فإن أول فتنة بني إسرائيل كانت في النساء�.

আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা�আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন যেন তিনি দেখেন তোমরা কিভাবে আমল কর। অতএব তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে। কারণ বুন ইসরাইলের প্রথম ফিতনা ছিল নারীদের ভেতর।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
شبَّه النبي -صلى الله عليه وسلم- الدنيا بالفاكهة الحلوة الخضرة، للرغبة فيها والميل إليها، وأخبر أن الله جعلنا خلفاء يخلف بعضنا بعضا فيها؛ فإنها لم تصل إلى قوم إلا بعد آخرين، فينظر الله -تبارك وتعالى- كيف نعمل فيها هل نقوم بطاعته أم لا.
ثم أمرنا النبي -صلى الله عليه وسلم- أن نحذر فتنة الدنيا وأن لا نغتر بها ونترك أوامر الله -تعالى- واجتناب مناهيه فيها.
ولما كان للنساء النصيب الأوفر في هذا الافتتان، نبَّه -صلى الله عليه وسلم- إلى خطورة الافتتان بهن وإن كان داخلا في فتن الدنيا؛ وأخبر أن أول فتنة بني إسرائيل كانت بسبب النساء، وبسببهن هلك كثير من الفضلاء.
দুনিয়ার প্রতি আগ্রহ ও ঝুকে যাওয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াকে মিষ্টি তাজা ফলের সাথে তুলনা করেছেন। আর তিনি জানান যে, আল্লাহ আমাদের কতককে কতকের পরে প্রতিনিধি করবেন এ দুনিয়াতে। কারণ, যে সম্প্রদায়ই দুনিয়াতে আসবে তারা অবশ্যই অন্য সম্প্রদায়ের পরেই আসবেন। আল্লাহ দেখবেন যে, আমরা কেমন কর্ম করি। আমরা কি তার অনুকরণ করি, না করি না। তারপর তিনি আমাদের নির্দেশ দেন যে, আমরা যেন দুনিয়ার ফিতনা থেকে সতর্ক থাকি এবং দুনিয়ার কারণে ধোকায় না পড়ি। আমরা যেন আল্লাহর নির্দেশসমূহ ছেড়ে না দেই এবং তার নিষিদ্ধ কর্মসমূহ থেকে বিরত থাকি। যেহেতু ধোকায় পড়ার ক্ষেত্রে নারীদের ভুমিকা বেশি তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের দ্বারা ফিতনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়াবহতার প্রতি বিশেষভাবে সতর্ক করেন। যদিও তারা দুনিয়ার ফিতনাসমূহের অন্তভূর্ক্ত। আর তিনি জানান যে, বনী ঈসরাইলের মধ্যে সর্ব প্রথম ফিতনা নারীদের কারণে হয়। তাদের কারণে অসংখ্য ভালো ব্যক্তি ধ্বংস হয়েছেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3053

 
Hadith   107   الحديث
الأهمية: من حلف على يمين ثم رأى أتقى لله منها فليأت التقوى
থিম: যে ব্যক্তি কোন বিষয়ের উপর কসম খেল অতঃপর তার চেয়ে বেশী তাকওয়ার বিষয় দেখল (কসম ভঙ্গ করাতে), তার উচিত তাকওয়ার বিষয় গ্রহণ করা।�

عن أبي طَرِيف عدي بن حاتم -رضي الله عنه- مرفوعاً: �مَن حَلَف على يَمِين ثم رأى أَتقَى لله مِنها فَلْيَأت التَّقوَى�.

আবূ তারীফ আদী ইবনে হাতেম রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �যে ব্যক্তি কোন বিষয়ের উপর কসম খেল অতঃপর তার চেয়ে বেশী তাকওয়ার বিষয় দেখল (কসম ভঙ্গ করাতে), তার উচিত তাকওয়ার বিষয় গ্রহণ করা।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في الحديث: أنَّ من حلَف على ترك شيء، أو فعله فرأى مخالفة ذلك خيرًا من الاستمرار على اليمين وأتقى، ترك يمينه وفعل ما هو خير، على الاستحباب والندب، فإن كان المحلوف عليه مما يجب فعله أو تركه كأن حلف ليتركنّ الصلاة أو ليشربنّ المسكر، وجب عليه الحنث والإتيان بما هو التقوى من فعل المأمور به، وترك المنهيّ عنه.
যে ব্যক্তি কোন কর্ম করা বা ছাড়ার শপথ করল। তারপর সে দেখল, তার বিপরীত করা শপথের ওপর অনড় থাকা অপেক্ষা উত্তম ও তাকওয়া। তখন তার মুস্তাহাব ও উত্তম হলো, শপথ ছাড়া এবং যে কর্মটি উত্তম তাই করা। যদি যার ওপর শপথ করেছে তা যদি এমন হয় যে, তা করা অথবা ছাড়া ওয়াজিব যেমন শপথ করল, সালাত ছাড়বে অথবা মদ পান করবে, তখন তার ওপর ওয়াজিব হলো শপথ ভঙ্গ করা এবং যে সব কর্ম করতে এবং ছাড়তে আদিষ্ট তাই পালন করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3054

 
Hadith   108   الحديث
الأهمية: الحياء لا يأتي إلا بخير
থিম: লজ্জা মঙ্গলই বয়ে আনে।

عن عمران بن حصين -رضي الله عنهما- قَالَ: قَالَ رسولُ اللَّه -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم-: �الحَيَاءُ لاَ يَأْتِي إِلاَّ بِخَيرٍ�.
وفي رواية : �الحَيَاءُ خَيرٌ كُلُّهٌ� أو قال: �الحَيَاءُ كُلُّهُ خَيرٌ�.

ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �লজ্জা মঙ্গলই বয়ে আনে।� অন্য বর্ণনায় আছে, �লজ্জার সবটুকু মঙ্গলই মঙ্গল।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الحياء صفة في النفس تحمل الإنسان على فعل ما يجمل ويزين، وترك ما يدنس ويشين، فلذلك لا يأتي إلا بالخير، وسبب ورود الحديث أن رجلًا كان ينصح أخاه في الحياء، وينهاه عن الحياء، فقال له النبي -صلى الله عليه وسلم- هذا الكلام.
লজ্জা হলো মানুষের আত্মার একটি গুণ যা মানুষকে সুন্দর ও রুচীশীল কাজ করা এবং অশ্লীল ও ঘৃণিত কাজ ছাড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। ফলে সে ভালো কর্ম ছাড়া আর কোন কর্ম করে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3055

 
Hadith   109   الحديث
الأهمية: اللهم لك أسلمت، وبك آمنت، وعليك توكلت، وإليك أنبت، وبك خاصمت، اللهم أعوذ بعزتك لا إله إلا أنت أن تضلني، أنت الحي الذي لا يموت، والجن والإنس يموتون
থিম: হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার নিকট সমর্পণ করলাম, আপনার প্রতি ঈমান আনলাম, আপনারই উপর তাওয়াক্কুল করলাম, আপনারই কাছে প্রত্যাবর্তন করলাম, আপনারই জন্য (দুশমনের বিরুদ্ধে) বিবাদ করলাম। হে আল্লাহ! আপনার ইজ্জতের অসীলায় আমি আশ্রয় চাচ্ছি, আপনি ব্যতীত কোনো (সত্য) ইলাহ নেই, আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করবেন না। আপনি সেই চিরঞ্জীব, যে কখনো মরবে না এবং জিন ও মানবজাতি সকলেই মারা যাবে।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان يقول: �اللهم لك أَسْلَمْتُ، وبك آمنتُ، وعليك توكلتُ، وإليك أَنَبْتُ، وبك خَاصَمْتُ، اللهم أعوذ بِعِزَّتِكَ لا إله إلا أنت أن تُضِلَّنِي، أنت الحيُّ الذي لا يموتُ، والجِنُّ والإِنْسُ يموتون�.

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, �হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার নিকট সমর্পণ করলাম, আপনার প্রতি ঈমান আনলাম, আপনারই উপর তাওয়াক্কুল করলাম, আপনারই কাছে প্রত্যাবর্তন করলাম, আপনারই জন্য (দুশমনের বিরুদ্ধে) বিবাদ করলাম। হে আল্লাহ! আপনার ইজ্জতের অসীলায় আমি আশ্রয় চাচ্ছি, আপনি ব্যতীত কোনো (সত্য) ইলাহ নেই, আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করবেন না। আপনি সেই চিরঞ্জীব, যে কখনো মরবে না এবং জিন ও মানবজাতি সকলেই মারা যাবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يلتجئ النبي -صلى الله عليه وسلم- إلى ربه ويتقرب إليه في الدعاء، فيخبر -صلى الله عليه وسلم- أنه إلى ربه انقاد، وأنه فوَّض أمره كله لله ولم يعتمد على غيره، وأنه قد رجع إليه مقبلا عليه بقلبه، وأنه بقوة الله ونصره وإعانته إياه حاجج أعداء الله بما آتاه من البراهين والحجج، ثم يستعيذ النبي -صلى الله عليه وسلم- بغلبة الله ومنعته أن يهلكه بعدم التوفيق للرشاد والهداية والسداد، ويؤكد ذلك بقوله لا إله إلا أنت؛ فإنه لا يستعاذ إلا بالله، ثم يخبر النبي -صلى الله عليه وسلم- أن لربه الحياة الحقيقية التي لا يأتيها الموت بحال، وأما الإنس والجن فيموتون، وخصهما بالذكر؛ لأنهما المكلفان المقصودان بالتبليغ فكأنهما الأصل.
নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু�আয় তাঁর রবের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন এবং তাঁর নৈকট্য লাভের প্রত্যাশা করতেন। তাই নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি তাঁর রবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন, তিনি তাঁর সমস্ত ব্যাপার আল্লাহর কাছে সোপর্দ করেছেন, তিনি ব্যতীত কারো ওপর নির্ভর করেন না। তিনি তাঁর রবের কাছে সত্যিকারার্থে আন্তরিকভাবে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তিনি আল্লাহর শক্তি, সাহায্য ও সহযোগিতায় এবং আল্লাহ তাঁকে যে দলিল-প্রমাণ দান করেছেন তার দ্বারা আল্লাহর দুশমনের বিরুদ্ধে বিবাদ করেন। অতপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও অপ্রতিদ্বন্দ্বীতার অসীলা দিয়ে তাঁর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন যে, তিনি যেন তাঁকে সৎপথের নির্দেশনা, হিদায়েত ও সঠিক পথ না দেখিয়ে পথভ্রষ্ট না করেন। তিনি তাঁর এ কথা বলে তার দু�আকে শক্তিশালী করেছেন যে, তিনি (আল্লাহ) ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই। সুতরাং তিনি ব্যতীত আর কারো আর কাছে আশ্রয় প্রার্থনার করার নেই। অতপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, একমাত্র তাঁর রবের রয়েছে প্রকৃত জীবন যার কখনোই কোনো মৃত্যু নেই। অন্যদিকে মানবজাতি ও জিন সকলেই মারা যাবে। তিনি জিন ও ইনসানকে বিশেষভাবে উল্লেখ করার কারণ হলো একমাত্র তারাই শরী�আতের বিধান পালনে আদিষ্ট, তারাই দীনের দাওয়াতের উদ্দিষ্ট। সুতরাং তারাই আলোচনার মূল হওয়ায় নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3056

 
Hadith   110   الحديث
الأهمية: اللهم إني أسألك الهدى والتقى والعفاف والغنى
থিম: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়াত, পরহেযগারী, অশ্লীলতা হতে পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।

عن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- قال: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: �اللهم ِإنِّي أَسأَلُك الهُدَى، والتُّقَى، والعَفَاف، والغِنَى�.

আব্দুল্লাহ ইবন মাস�ঊদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু�আ করতেন, �হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে হিদায়েত, তাকওয়া, বিপদমুক্ততা এবং অভাবমুক্ততা প্রার্থনা করছি।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سأل النبي -صلى الله عليه وسلم- ربه العلمَ والتوفيق للحق، وأن يُوفِّقه إلى امتثال ما أمر به وترك ما نهى عنه، وأن يعفه عن كل ما حرَّم عليه فيما يتعلق بجميع المحارم التي حرَّمها -عز وجل-، وسأله كذلك الغنى عن الخلق، بحيث لا يفتقر إلى أحد سوى ربَّه -عز وجل-.
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রবের কাছে ইলম ও হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফিক প্রার্থনা করেছেন। তিনি যেন তাঁকে তাঁর আদেশ মান্য করতে ও নিষেধাজ্ঞা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করেন। তিনি যেন তাঁকে সমস্ত হারাম থেকে মুক্ত রাখেন, যা তিনি হারাম করেছেন। এমনিভাবে সৃষ্টির কাছ থেকে অভাবমুক্তির প্রার্থনা করেছেন যে, তিনি যেন তাঁর মহান রব ব্যতীত অন্য কারো কাছে অভাবী না থাকেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3057

 
Hadith   111   الحديث
الأهمية: أستودع الله دينك، وأمانتك، وخواتيم عملك
থিম: তোমার দীন, তোমার সততা এবং তোমার আমলের পরিণাম আল্লাহকে সঁপে দিলাম।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كَانَ ابنُ عمرَ -رضِيَ الله عنهما- يَقُول لِلرَّجُل إِذَا أَرَادَ سَفَرًا: ادْنُ مِنِّي حَتَّى أُوَّدِعَكَ كَمَا كَان رسولُ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- يُوَدِّعُنَا، فَيقُول: �أَسْتَوْدِعُ الله دِينَكَ، وَأَمَانَتَكَ، وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ�.
وعن عبد الله بن يزيد الخطمي رضي الله عنه- قال: كَانَ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- إِذَا أَرَادَ أَنْ يُوَدِّعَ الجَيشَ، قال: �أَسْتَودِعُ الله دِينَكُم، وَأَمَانَتَكُم، وخَوَاتِيمَ أَعْمَالِكُم�.

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার -রাদিয়াল্লাহু আনহুমা- সফরের ইচ্ছাকারী ব্যক্তিকে বলতেন, আমার নিকটবর্তী হও, তোমাকে ঠিক সেইভাবে বিদায় দেব, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বিদায় দিতেন। সুতরাং তিনি বলতেন, �আস্তাউদিউল্লা-হা দীনাকা অআমা-নাতাকা অখাওয়াতীমা আমালিক।� অর্থাৎ, তোমার দীন, তোমার সততা এবং তোমার কাজের পরিণাম আল্লাহকে সঁপে দিলাম। সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে য়্যাযীদ খাতমী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সেনাবাহিনীকে বিদায় জানাতেন, তখন এই দু�আ বলতেন, অর্থাৎ, তোমাদের দীন, তোমাদের আমানত এবং তোমাদের কর্মসমূহের পরিণাম আল্লাহকে সঁপে দিলাম।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كَانَ ابنُ عمرَ -رضِيَ الله عنهما- يَقُول لِلرَّجُل إِذَا أَرَادَ سَفَرًا: ادْنُ مِنِّي حَتَّى أُوَّدِعَكَ كَمَا كَان رسولُ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- يُوَدِّعُنَا، وهذا من ابن عمر بيان لكمال حرص الصحابة -رضي الله عنهم- على التزام هدي رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، وقوله: (إذا ودع رجلا) أي مسافرا، (أخذ بيده فلا يدعها): وهذا ما جاء في بعض الروايات، أي: فلا يترك يد ذلك الرجل من غاية التواضع ونهاية إظهار المحبة والرحمة.
   ويقول -صلى الله عليه وسلم-: أي للمودع: "أستودع الله دينك" أي أستحفظ وأطلب منه حفظ دينك.
   و"أمانتك" أي حفظ أمانتك، وهي شاملة لكل ما استحفظ عليه الإنسان من حقوق الناس وحقوق الله من التكاليف، ولا يخلو الرجل في سفره ذلك من الاشتغال بما يحتاج فيه إلى الأخذ والإعطاء والمعاشرة مع الناس، فدعا له بحفظ الأمانة والاجتناب عن الخيانة، ثم إذا انقلب إلى أهله يكون مأمون العاقبة عما يسوءه في الدين والدنيا.
وكان هذا من هديه أيضاً -صلى الله عليه وسلم- إذا أراد توديع الجماعة الخارجة للقتال في سبيل الله    يودعهم بهذا الدعاء الجامع ليكون أدعى إلى إصابتهم التوفيق والسداد والتغلب على الأعداء والحفاظ على فرائض الله في الغزو.
কোনো ব্যক্তি সফরের ইচ্ছা করলে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলতেন, আমার নিকটবর্তী হও, তোমাকে ঠিক সেইভাবে বিদায় দেব, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বিদায় দিতেন। ইবন উমারের এ আমল সাহাবীগণের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শকে জরুরীভাবে গ্রহণ করার আগ্রহের নমুনা। আর তার বাণী: �যখন কোন ব্যক্তি বিদায় দিতেন� অর্থাৎ কোন মুসাফিরকে। �সে তার হাত ধরতো এবং তা ছাড়তো না�। এটি এসেছে কতক বর্ণনায়। অর্থাৎ সবোর্চ্চ বিনয়, সর্বাধিক মহব্বত ও অনুগ্রহ প্রকাশার্থে তিনি লোকটির হাত ছাড়তেন না।
সুতরাং সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায়ী ব্যক্তিকে বলতেন, �আস্তাউদিউল্লা-হা দীনাকা অআমা-নাতাকা অখাওয়াতীমা আমালিক।� অর্থাৎ, তোমার দীন, অর্থাৎ, তার থেকে তোমার দীনের হিফাযত কামনা করি।
�তোমার আমানত� অর্থাৎ তোমার আমানতের হিফাযত। এটি শামিল করে মানুষের ও আল্লাহর সকল হক ও বিধান।
ব্যক্তি সফরে অবশ্যই প্রয়োজনীয় কাজে ব্যস্ত হওয়া, কারো সাথে লেন-দেন করা ও মানুষের সাথে মু�আশারা না করে পারে না, তাই তার আমানতের হিফাযত এবং খিয়ানত থেকে বিরত থাকার দো�আ করেন। তারপর যখন সে তার পরিবারের নিকট ফিরে আসে দীন ও দুনিয়াতে যা কিছু তাকে কষ্ট দেয় তা থেকে সে নিরাপদ থাকবে।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লামের একই আদর্শ যখন তিনি কোন জামা�আতকে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য বিদায় জানাতেন। তখন তাদেরও এ দো�আর দ্বারা বিদায় জানাতেন, যাতে তা তাদের সঠিক ও নির্ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছা, দুশমনদের ওপর বিজয়ী হওয়া এবং যুদ্ধের ময়দানে আল্লাহর ফরযসমূহের ওপর অধিক সংরক্ষণকারী হওয়া বিষয়ে আরও অধিক কার্যকর হয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3058

 
Hadith   112   الحديث
الأهمية: ارجعوا إلى أهليكم، فأقيموا فيهم، وعلموهم ومروهم، وصلوا صلاة كذا في حين كذا، وصلوا كذا في حين كذا، فإذا حضرت الصلاة فليؤذن لكم أحدكم وليؤمكم أكبركم
থিম: তোমরা তোমাদের পরবিারের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের মাঝেই বসবাস কর । তাদেরকে শিক্ষা দান কর এবং তাদেরকে (ভাল কাজের) আদেশ দাও। অমুক সালাত অমুক সময়ে পড়। অমুক সালাত অমুক সময়ে পড়। সুতরাং যখন সালাতের সময় হবে তখন তোমাদের মধ্যে কেউ একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে।

عن أبي سليمان مالك بن الحويرث -رضي الله عنه- قال: أَتَينَا رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- ونَحنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُون، فَأَقَمْنَا عِندَهُ عِشْرِينَ لَيلَةً، وَكَان رَسُولُ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- رَحِيمًا رَفِيقًا، فَظَنَّ أَنَّا قَدْ اشْتَقْنَا أَهْلَنَا، فَسَألَنا عمَّنْ تَرَكْنا مِنْ أَهلِنا، فأَخبَرنَاه، فقال: �ارْجِعُوا إلى أَهْلِيكُم، فَأَقِيمُوا فيهم، وَعَلِّمُوهُم وَمُرُوهُم، وَصَلُّوا صَلاَةَ كَذَا في حِينِ كذَا، وصَلُّوا كَذَا في حِينِ كَذَا، فَإِذا حَضَرَتِ الصلاةُ فَلْيُؤذِّن لكم أَحَدُكُم وَلْيَؤُمَّكُم أكبركم�.
زاد البخاري في رواية له: �وصَلُّوا كَمَا رَأَيتُمُونِي أُصَلِّي�.

আবূ সুলায়মান মালেক ইবনে হুওয়াইরিস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে রর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা প্রায় সমবয়স্ক কতিপয় নব যুবক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বেশি দিন অবস্থান করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত দয়ালু ও স্নেহ পরবশ ছিলেন। তাই তিনি ধারণা করলেন যে, আমরা আমাদের পরবিারের কাছে ফিরিয়ে যাবার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছি সেহেতু তিনি আমাদেরকে প্রশ্ন করলেন যে, আমরা আমাদের পরিবারের কাকে ছেড়ে এসেছি? সুতরাং আমরা তাঁকে জানালে তিনি বললনে, �তোমরা তোমাদের পরবিারের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের মাঝেই বসবাস কর । তাদেরকে শিক্ষা দান কর এবং তাদেরকে (ভাল কাজের) আদেশ দাও। অমুক সালাত অমুক সময়ে পড়। অমুক সালাত অমুক সময়ে পড়। সুতরাং যখন সালাতের সময় হবে তখন তোমাদের মধ্যে কেউ একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে।� বুখারীর বর্ণনায় এরূপ বাড়তি আছে যে, �আমাকে তোমরা যেভাবে নামায পড়তে দেখেছ, ঠিক সেইভাবেই নামায পড়।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
قال مالك -رضي الله عنه-: "أتينا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- ونحن شببة متقاربون"، وهذا في عام الوفود في السنة التاسعة من الهجرة، وكانوا شبابا فأقاموا عند النبي -صلى الله عليه وسلم- عشرين ليلة.
جاءوا من أجل أن يتفقهوا في دين الله، قال مالك: "وكان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- رحيما رفيقا فظن أنا قد اشتقنا أهلنا" يعني اشتقنا إليهم، "فسألنا عمن تركنا من أهلنا فأخبرناه فقال: ارجعوا إلى أهليكم فأقيموا فيهم وعلموهم ومروهم وصلوا صلاة كذا في حين كذا، فإذا حضرت الصلاة فليؤذن لكم أحدكم وليؤمكم أكبركم" زاد البخاري "وصلوا كما رأيتموني أصلي".
فدل هذا أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان مشهورا بالرحمة والرفق، فكان أرحم الناس بالناس، وكان أرفق الناس بالناس -عليه الصلاة والسلام- رحيما رفيقا، فلما رأى أنهم اشتاقوا إلى أهلهم وسألهم من خلَّفوا وراءهم وأخبروه، أمرهم أن يرجعوا إلى أهليهم.
   "وليؤمكم أكبركم" دليل على تقديم الكبير في الإمامة، وهذا لا ينافي قوله -عليه الصلاة والسلام-: "يؤم القوم أقرؤهم لكتاب الله"؛ لأن هؤلاء الشباب كلهم وفدوا في وقت واحد، والظاهر أنه ليس بينهم فرق بيِّن في قراءة القرآن، وأنهم متقاربون ليس بعضهم أقرأ من بعض؛ ولهذا قال: "وليؤمكم أكبركم" لأنهم متساوون في القراءة أو متقاربون، فإذا تساووا في القراءة والسنة والهجرة، فإنه يرجع إلى الأكبر سنا ويقدمونه.
وفي قوله -صلى الله عليه وسلم-: "صلوا كما رأيتموني أصلي" وهذا مؤكد لما كان عليه الهدي النبوي من تعليم الناس بالقول وبالفعل.
فعلَّم الذي صلَّى بغير طمأنينة بالقول قال: "إذا قمت إلى الصلاة فأسبغ الوضوء، ثم استقبل القبلة، فكبر، ثم اقرأ ما تيسر معك من القرآن، ثم اركع" إلى آخره.
   أما هؤلاء الشباب فعلمهم بالفعل.
মালেক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, আমরা প্রায় সমবয়স্ক কতিপয় নব যুবক দীন জানার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলাম। এটি ছিল নবম হিজরী ওয়াফদের বছর। তারা সবাই যুবক ছিল। তারা বিশ দিন অবস্থান করল। মালেক বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দয়াপরবশ ও নম্র। তাই তিনি ধারণা করলেন যে, আমরা আমাদের পরবিারের কাছে ফিরে যাবার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছি সেহেতু তিনি আমাদেরকে প্রশ্ন করলেন যে, আমরা আমাদের পরিবারে কাকে ছেড়ে এসেছি? সুতরাং আমরা তাঁকে জানালে তিনি বললনে, �তোমরা তোমাদের পরবিারের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের মাঝেই বসবাস কর । তাদেরকে শিক্ষা দান কর এবং তাদেরকে (ভাল কাজের) আদেশ দাও। অমুক সালাত অমুক সময়ে পড়। অমুক সালাত অমুক সময়ে পড়। সুতরাং যখন সালাতের সময় হবে তখন তোমাদের মধ্যে কেউ একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে�। ইমাম বুখারী এ কথা বাড়ান যে, আর তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছ সেভাবে সালাত আদায় কর। এ হাদীসটি প্রমান করে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রহমত ও নম্রতায় প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি মানুষের প্রতি সবচেয়ে বেশি দয়ালু ও নমনীয় ছিলেন। তাই তিনি যখন দেখতে পেলেন যে, তারা তাদের পরিবারের প্রতি উদগ্রীব হয়ে আছেন, তাই তিনি বাড়িতে তারা কাদেরকে রেখে এসেছেন তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন এবং তারা তাকে সে সম্পর্কে অবহিত করলে তিনি তাদের নির্দেশ দেন যে, তারা যেন তাদের পরিবারে ফিরে যায়। �আর তোমাদের মধ্যে যিনি বড় তিনি যেন তোমাদের ইমামতি করেন�। এতে প্রমাণিত হয় যে, বয়সে যারা বড় তারা ইমামতিতে প্রাধান্য পাবে। এটি রাসূলের বাণী�আল্লাহর কিতাবের কারীগণ কাওমের ইমামতি করবেন�এর পরিপন্থী নয়। কারণ, এ যুবকগুলো সবাই রাসূলের নিকট একই সময় উপস্থিত হয়েছিল। ফলে স্পষ্টত বুঝা যাচ্ছে যে, কুরআনের কারী হওয়ার ব্যাপারে তাদের মধ্যে স্পষ্ট কোন প্রার্থক্য ছিল না। তারা সবাই সম পর্যায়ের ছিল। তাদের কেউ অপরের চেয়ে অধিক কুরআন ওয়ালা ছিল না। এ কারণেই তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যিনি বড় তিনি তোমাদের ইমামতি করবেন। কারণ তারা কুরআনের ব্যাপারে সবাই সমান বা কাছাকাছি। অনুরূপভাবে তারা সবাই যদি ক্বিরাত, সুন্নাহ ও হিজরত বিষয়ে সমান হয়, তাহলে বয়সের দিক দেখবে এবং যিনি বয়স্ক তাকে অগ্রাধিকার দেবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী��তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখেছ, সেভাবে সালাত আদায় কর।� এটি রাসূলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যে, তিনি মানুষকে কথা ও কর্ম উভয়ের মাধ্যমে শিক্ষা দান করতেন। তাই তিনি যে ব্যক্তি স্থীরতা ছাড়া সালাত আদায় করল, তাকে মৌখিকভাবে শিক্ষা দিলেন, বললেন, যখন তুমি সালাতে দাঁড়াও তুমি পরিপূর্ণ ওযূ কর। অতঃপর তুমি কিবলা মুখী হও, তাকবীর বল, তারপর তুমি তোমার নিকট যে কুরআন রয়েছে তা থেকে যা তোমার জন্য সহজ হয় পড়, অতঃপর তুমি রুকু কর...। আর এ সব যুবকদেরকে তিনি কর্মের মাধ্যমে বাস্তবিক শিক্ষা দান করেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3059

 
Hadith   113   الحديث
الأهمية: ما رأيت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- مستجمعًا قط ضاحكًا حتى ترى منه لهواته، إنما كان يتبسم
থিম: �নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কখনো এমন উচ্চ হাস্য হাসতে দেখিনি, যাতে তাঁর আলজিভ দেখতে পাওয়া যেত। আসলে তিনি মুচকি হাসতেন।�

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: مَا رَأَيتُ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- مُسْتَجْمِعًا قَطُّ ضَاحِكًا حَتَّى تُرَى مِنْهُ لَهَوَاتُهُ، إِنَّمَا كَانَ يَتَبَسَّم.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আন্হা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, �নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কখনো এমন উচ্চ হাস্য হাসতে দেখিনি, যাতে তাঁর আলজিভ দেখতে পাওয়া যেত। আসলে তিনি মুচকি হাসতেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث عائشة -رضي الله عنها- يصور بعض جوانب الهدي النبوي في خُلُق الوقار والسكينة فقالت -رضي الله عنها-: "مَا رَأَيتُ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- مُسْتَجْمِعًا قَطُّ ضَاحِكًا حَتَّى تُرَى مِنْهُ لَهَوَاتُهُ، إِنَّمَا كَانَ يَتَبَسَّم": تعني ليس يضحك ضحكًا فاحشًا بقهقهة، يفتح فمَه حتى تبدو لهاته، ولكنه -صلى الله عليه وسلم- كان يبتسم أو يضحك حتى تبدو نواجذه، أو تبدو أنيابه، وهذا من وقار النبي -صلى الله عليه وسلم-.
থিম: আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আন্হার হাদীস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাবগাম্ভীর্যতা ও আত্মমর্যাদা বিষয়ে রাসূলুল্লাহর আদর্শের কতক দিককে চিত্রায়িত করেন। তিনি বলেন, �নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কখনো এমন উচ্চ হাস্য হাসতে দেখিনি, যাতে তাঁর আলজিভ দেখতে পাওয়া যেত। আসলে তিনি মুচকি হাসতেন।� অর্থাৎ তিনি কখনো অট্ট হাঁসি দিতেন না যাতে তার মুখ খোলা হতো এবং তার আলা জিহ্বা প্রকাশ পেত। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হাসতেন বা সাধারণ হাসি হাসতেন যাতে তার দাঁতগুলো প্রকাশ পেত। এটি রাসূলের ভাবগাম্ভীর্যতারই অন্তর্ভুক্ত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3060

 
Hadith   114   الحديث
الأهمية: بايعنا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- على السمع والطاعة في العسر واليسر، والمنشط والمكره، وعلى أثرة علينا، وعلى أن لا ننازع الأمر أهله
থিম: আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এই মর্মে বাইয়াত করলাম যে, দুঃখে-সুখে, আরামে ও কষ্টে এবং আমাদের উপর (অন্যদেরকে) প্রাধান্য দেওয়ার অবস্থায় আমরা তাঁর পূর্ণ আনুগত্য করব। আর রাষ্ট্র নেতার বিরুদ্ধে তার নিকট থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার লড়াই করব না।

عن عبادة بن الصامت -رضي الله عنه- قال: بَايَعْنَا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- على السَّمع والطَّاعَة في العُسْر واليُسْر، والمَنْشَطِ والمَكْرَه، وعلَى أَثَرَةٍ عَلَينا، وعلى أَن لاَ نُنَازِعَ الأَمْر أَهْلَه إِلاَّ أَن تَرَوْا كُفْراً بَوَاحاً عِندَكُم مِن الله تَعَالى فِيه بُرهَان، وعلى أن نقول بالحقِّ أينَما كُنَّا، لا نخافُ فِي الله لَوْمَةَ لاَئِمٍ.

উবাদাহ ইবন সামেত রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এই মর্মে বাইয়াত করলাম যে, দুঃখে-সুখে, আরামে ও কষ্টে এবং আমাদের উপর (অন্যদেরকে) প্রাধান্য দেওয়ার উপর আমরা তাঁর পূর্ণ আনুগত্য করব। আর রাষ্ট্র নেতার বিরুদ্ধে তার নিকট থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার লড়াই করব না; যতক্ষণ না তোমরা (তার মধ্যে) প্রকাশ্য কুফরী দেখ, যে ব্যাপারে তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে দলীল রয়েছে। আর আমরা সর্বদা সত্য কথা বলব এবং আল্লাহর ব্যাপারে কোনো নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করব না।

 
Penjelasan Hadits بيان الحديث
 
الأهمية: بايعنا) أي بايع الصحابة -رضي الله عنهم- الرسول -صلى الله عليه وسلم- على السمع والطاعة؛ لأن الله -تعالى- قال: (يا أيها الذين آمنوا أطيعوا الله وأطيعوا الرسول وأولي الأمر منكم)، وبعده -صلى الله عليه وسلم- أولو الأمر طائفتان: العلماء والأمراء، لكن العلماء أولياء أمر في العلم والبيان، وأما الأمراء فهم أولياء أمر في التنفيذ والسلطان.
يقول: بايعناه على السمع والطاعة، وقوله: "في العسر واليسر" يعني سواء كانت الرعية معسرة في المال أو كانت موسرة، يجب على جميع الرعية أغنياء كانوا أوفقراء أن يطيعوا ولاة أمورهم ويسمعوا لهم في المنشط والمكره، يعني سواء كانت الرعية كارهين لذلك لكونهم أمروا بما لا تهواه ولا تريده أنفسهم أو كانوا نشيطين في ذلك؛ لكونهم أُمِروا بما يلائمهم ويوافقهم.
"وأثرة علينا" أثرة يعني استئثارًا علينا، يعني لو كان ولاة الأمر يستأثرون على الرعية بالمال العام أو غيره، مما يرفهون به أنفسهم ويحرمون من ولاهم الله عليهم، فإنه يجب السمع والطاعة.
ثم قال: "وألا ننازع الأمر أهله" يعني لا ننازع ولاة الأمور ما ولاهم الله علينا، لنأخذ الإمرة منهم، فإن هذه المنازعة توجب شرًّا كثيرًا، وفِتَنًا عظيمةً وتفرقًا بين المسلمين، ولم يدمر الأمة الإسلامية إلا منازعة الأمر أهله، من عهد عثمان -رضي الله عنه- إلى يومنا هذا.
قال: " إلا أن تروا كفرًا بواحًا عندكم فيه من الله برهان" هذه أربعة شروط، فإذا رأينا هذا وتمت الشروط الأربعة فحينئذ ننازع الأمر أهله، ونحاول إزالتهم عن ولاية الأمر، والشروط هي:
الأول: أن تروا، فلابد من علم، أما مجرد الظن، فلا يجوز الخروج على الأئمة.
الثاني: أن نعلم كفرًا لا فسقًا، الفسوق، مهما فسق ولاة الأمور لا يجوز الخروج عليهم؛ لو شربوا الخمر، لو زنوا، لو ظلموا الناس، لا يجوز الخروج عليهم، لكن إذا رأينا كفرًا صريحًا يكون بواحًا.
الثالث: الكفر البواح: وهذا معناه الكفر الصريح، البواح الشيء البين الظاهر، فأما ما يحتمل التأويل فلا يجوز الخروج عليهم به، يعني لو قدرنا أنهم فعلوا شيئا نرى أنه كفر، لكن فيه احتمال أنه ليس بكفر، فإنه لا يجوز أن ننازعهم أو نخرج عليهم، ونولهم ما تولوا، لكن إذا كان بواحا صريحا، مثل: لو اعتقد إباحة الزنا وشرب الخمر.
الشرط الرابع: "عندكم فيه من الله برهان"، يعني عندنا دليل قاطع على أن هذا كفر، فإن كان الدليل ضعيفًا في ثبوته، أو ضعيفًا في دلالته، فإنه لا يجوز الخروج عليهم؛ لأن الخروج فيه شر كثير جدا ومفاسد عظيمة.
وإذا رأينا هذا مثلا فلا تجوز المنازعة حتى يكون لدينا قدرة على إزاحته، فإن لم يكن لدى الرعية    قدرة فلا تجوز المنازعة؛ لأنه ربما إذا نازعته الرعية وليس عندها قدرة يقضي على البقية الصالحة، وتتم سيطرته.
فهذه الشروط شروط للجواز أو للوجوب -وجوب الخروج على ولي الأمر- لكن بشرط أن تكون القدرة موجودة، فإن لم تكن القدرة موجودة، فلا يجوز الخروج؛ لأن هذا من إلقاء النفس في التهلكة؛ لأنه لا فائدة في الخروج.

থিম: সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে শোনা এবং আনুগত্য করার ওপর বাইয়াত গ্রহণ করেন। কারণ, আল্লাহ বলেন, �হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর আর রাসূল ও ক্ষমতাশীলদের আনুগত্য কর�। [সূরা নিসা, আয়াত: ৫৯] আর রাসূলের পরে কর্তৃত্বকারী দ্বারা দুটি জামাত উদ্দেশ্য। আলেমগণ ও শাসকগণ। তবে আলেমগণ ইলম ও বয়ানের অভিভাবক আর শাসকগণ বাস্তবায়ন ও ক্ষমতা প্রয়োগের অভিভাবক। তিনি বলেন, আমরা শ্রবণ ও আনুগত্য করার ওপর বাইয়াত করি। আর তার বাণী: আরামে ও কষ্টে। অর্থাৎ চাই জনগণ সম্পদশালী হোক বা অভাবী এবং ফকীর হোক বা ধনী হোক সকল জনগণের ওপর ওয়াজিব হলো তারা তাদের ক্ষমতাশীলদের আনুগত্য করবে এবং তাদের কথা মানবে। অনুরুপভাবে আগ্রহে ও অনাগ্রহে। অর্থাৎ, জনগণ সেটা অপছন্দ করুক যেহেতু তাদেরকে এমন বিষয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যা তারা চায় না ও পছন্দ করে না অথবা তারা সেটা সাদরে গ্রহণ করে নিক যেহেতু তাদেরকে তাদের পছন্দ ও ইচ্ছার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। �আমাদের উপর (অন্যদেরকে) প্রাধান্য দেওয়ার অবস্থায় আমরা তাঁর পূর্ণ আনুগত্য করব�। অর্থাৎ ক্ষমতাশীলগণ যদি প্রজাদের ওপর রাষ্টীয় সম্পদ ইত্যাদিতে নিজেদের প্রাধান্য দেয় এবং তার দ্বারা তারা নিজেরা আনন্দ-ফুর্তি করে আর যাদের ওপর তাদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তাদেরকে বঞ্চিত করে, তবুও তাদের কথা শোনা ও আনুগত্য করা ওয়াজিব। তারপর বলেন, �রাষ্ট্র নেতার বিরুদ্ধে তার নিকট থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার লড়াই করব না�। অর্থাৎ, আল্লাহ ক্ষমতাশীলদের আমাদের ওপর যে ক্ষমতা দিয়েছেন তাদের থেকে সে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা জগড়া করবো না। কারণ, এ ধরনের বিবাদ বড় বির্পয়, মহাফিতনা এবং মুসলিমদের মাঝে বিভক্তি নিয়ে আসবে। উম্মতে মুসলিমাহ উসমান রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর যুগ থেকে আজ পর্যন্ত ক্ষমতাশীলদের সাথে বিবাদ করার কারণেই ধ্বংস হয়েছে। তিনি বলেন, যতক্ষণ না তোমরা (তার মধ্যে) প্রকাশ্য কুফরী দেখ, যে ব্যাপারে তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে দলীল রয়েছে। চারটি শর্ত যখন আমরা দেখতে পাব এবং চারটি শর্ত যখন পূর্ণ হবে তখন আমরা তাদের বিরোধিতা করব এবং তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করব। প্রথম শর্ত: তাদের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে জানা, শুধু ধারণার বসবতী হয়ে তাদের আনুগত্য থেকে বের হওয়া বৈধ নয়। দ্বিতীয় শর্ত: তাদের থেকে কুফর সম্পর্কে অবগত হওয়া ফাসেকী নয়। শাসকদের থেকে ফাসেকী পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বৈধ নয়। যদিও তারা মদ পান করে, ব্যভিচার করে এবং মানুষের ওপর জুলুম অত্যাচার করে। তবে যদি তাদের থেকে কোন সুস্পষ্ট ও প্রকাশ্য কুফরী পাওয়া যায় তখন বিদ্রোহ করা যাবে। তৃতীয় শর্ত: স্পষ্ট কুফর। তবে যদি কোন ব্যাখ্যা বা বর্ণনার সম্ভাবনা থাকে তখন তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বৈধ হবে না। অর্থাৎ যদি দেখি তারা এমন কোন কর্ম করেছে যাকে আমরা কুফর বিবেচনা করছি; অথচ তাতে কুফর না হওয়ারও সম্ভাবনা আছে, তখন তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বা তাদের সাথে বিবাদ করা বৈধ নয়। কিন্তু যদি তা সু স্পষ্ট কুফর হয় যেমন, সে জনগণের জন্য ব্যভিচার করা ও মদ পান করাকে বৈধ করল। চতুর্থ শর্ত: তোমাদের নিকট আল্লাহ পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট দলীল রয়েছে। আমাদের নিকট অকাট্য প্রমাণ রয়েছে যে, তা কুফর। তবে যদি প্রমান সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্র দুর্বল হয় বা বুঝার ক্ষেত্র দুর্বল হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বৈধ নয়। কারণ, শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করাতে অনেক খারাবী ও অনিষ্টতা আছে। আর যখন আমরা তাদের থেকে এ সব দেখতে পাবো, তখন যতক্ষণ পর্যন্ত তা দূর করার ক্ষমতা আমাদের না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরোধিতা করা যাবে না। আর যদি আমাদের কোন ক্ষমতা না থাকে তবে তাদের বিরোধিতার করা বৈধ নয়। কারণ, হতে পারে জনগণ যখন তাদের বিরোধিতা করবে; অথচ তাদের হাতে কোন ক্ষমতা নেই, তখন সে অবশিষ্ট ভালোর অপর ক্ষমতা চালাবে। তখন তার ক্ষমতা আরও পূর্ণতা লাভ করবে। সক্ষমতা থাকার শর্তে শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার উপরোক্ত শর্তগুলোর ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বের হওয়া জায়েয অথবা ওয়াজিব। যদি সক্ষমতা না থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা জায়েয নেই। কারণ, এটি হবে আত্মঘাতী�নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া। কারণ, তখন বিদ্রোহ করে কোন লাভ নেই।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3061

 
Hadith   115   الحديث
الأهمية: صليت مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- ركعتين قبل الظهر، وركعتين بعدها، وركعتين بعد الجمعة، وركعتين بعد المغرب، وركعتين بعد العشاء
থিম: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে দু� রাকআত যোহরের (ফরযের) আগে, দু� রাকআত তার পরে এবং দু� রাকআত জুমআর পরে, দু� রাকআত মাগরেব বাদ, আর দু� রাকআত নামায এশার (ফরযের) পরে পড়েছি।

عن عبد الله بن عمر-رضي الله عنهما- قال: �صَلَّيتُ معَ رسول الله -صلَّى الله عليه وسلم- رَكعَتَين قَبل الظُّهر، وَرَكعَتَين بَعدَها، ورَكعَتَين بعد الجُمُعَةِ، ورَكعَتَينِ بَعدَ المَغرِب، وَرَكعَتَينِ بَعدَ العِشَاء�.
وفي لفظ: �فأمَّا المغربُ والعشاءُ والجُمُعَةُ: ففي بَيتِه�.
وفي لفظ: أنَّ ابنَ عُمَر قال: حدَّثَتنِي حَفصَة: أنَّ النبِيَّ -صلَّى الله عليه وسلم-: �كان يُصَلِّي سَجدَتَين خَفِيفَتَينِ بَعدَمَا يَطلُعُ الفَجر، وكانت سَاعَة لاَ أَدخُلُ على النبيَّ -صلَّى الله عليه وسلم- فِيهَا�.

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আমি দু� রাকআত যোহরের (ফরযের) আগে, দু� রাকআত তার পরে এবং দু� রাকআত জুমআর পরে, দু� রাকআত মাগরেব বাদ, আর দু� রাকআত নামায এশার (ফরযের) পরে পড়েছি। অপর শব্দে বর্ণিত: �মাগরিব, এশা ও জুমু�আহ নিজ গৃহে�। অপর শব্দে বর্ণিত: ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, আমাকে হাফসা বলেছেন: �ফজর উদয় হওয়ার পর তিনি দুই রাকা�আত সংক্ষিপ্ত সালাত আদায় করতেন। আর তখন সময়টি এমন ছিল যে, তাতে রাসূলুল্লাহর নিকট প্রবেশ করতাম না�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في هذا الحديث بيان للسنن الراتبة للصلوات الخمس، وذلك أن لصلاة الظهر أربع ركعات، ركعتين قبلها، وركعتين بعدها، وأن لصلاة الجمعة ركعتين بعدها، وأن للمغرب ركعتين بعدها، وأن لصلاة العشاء ركعتين بعدها وأن راتبتي صلاتي الليل، المغرب والعشاء، وراتبة الفجر والجمعة كان يصليها الرسول -صلى الله عليه وسلم- في بيته.
وكان لابن عمر -رضي الله عنهما- اتصال ببيت النبي -صلى الله عليه وسلم-؛ لمكان أخته "حفصة" من النبي -صلى الله عليه وسلم-، فكان يدخل عليه وقت عباداته، ولكنه يتأدَّب فلا يدخل في بعض الساعات، التي لا يُدخل على النبي -صلى الله عليه وسلم- فيها، امتثالا لقوله -تعالى-: "يا أيها الذين آمنوا ليستأذنكم الذين ملكت أيمانكم والذين لم يبلغوا الحلم منكم ثلاث مرات من قبل صلاه الفجر" الآية، فكان لا يدخل عليه في الساعة التي قبل صلاة الفجر، ليرى كيف كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يصلي، ولكن -من حرصه على العلم- كان يسأل أخته "حفصة" عن ذلك، فتخبره أنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- كان يصلى سجدتين خفيفتين بعدما يطلع الفجر، وهما سنة صلاة الصبح.
এ হাদীসটির মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নিয়মিত সুন্নাতসমূহের আলোচনা করা হয়েছে। আর তা হলো, যোহরের সালাতে চার রাকা�আত, দুই রাকাত তার পূর্বে ও দুই রাকাত তার পরে; জুমু�আর সালাতের পরে দুই রাকা�আত; মাগরিবের সালাতের পরে দুই রাকা�আত; এশার সালাতের পরে দুই রাকা�আত। রাতের দুই সালাত মাগরীব, এশা এবং ফজর ও জুমু�আর সালাতের নিয়মিত সুন্নাত তিনি তার ঘরে আদায় করতেন। রাসূলের ঘরের সাথে ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর সম্পৃক্ততা ছিল। কারণ, তার বোন হাফসা রাদিয়াল্লাহু <�আনহা ছিল রাসূলের স্ত্রী। তাই তিনি তার ইবাদাতের সময় তার ঘরে প্রবেশ করত। তবে তিনি আদব রক্ষা করতেন। ফলে যে সময়গুলোর মধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট প্রবেশ করা যায় না সে সময়গুলোতে তিনি তার নিকট প্রবেশ করতেন না। আল্লাহর নির্দেশ পালন করার লক্ষ্যে। আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ডান হাত যাদের মালিক এবং যারা এখনো প্রাপ্ত বয়স্ক হয় নাই তারা যেন তোমাদের নিকট তিনবার অনুমতি প্রার্থনা করে। ফজরের পূর্বে। তাই তিনি ফজরের সালাতের পূর্বে তার নিকট কীভাবে সালাত আদায় করেন তা দেখার জন্য প্রবেশ করতেন না। কিন্তু জানার প্রতি অধিক আগ্রহ থাকার কারণে, সে বিষয়ে তিনি তার বোন হাফসাকে জিজ্ঞাসা করতেন। ফলে তিনি তাকে জানান যে, ফজর উদয় হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই রাকা�আত সংক্ষিপ্ত সালাত আদায় করতেন। আর এ দুটি ছিল ফজরের সালাতের সুন্নাত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    তার সকল বর্ণনা মুত্তাফাকুন �আলাইহি।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3062

 
Hadith   116   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- إذا قام من الليل يشوص فاه بالسواك
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে (সালাতের জন্য) উঠতেন তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন।

عن حذيفة بن اليمان -رضي الله عنهما- قال: �كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- إِذَا قَام من اللَّيل يُشُوصُ فَاهُ بِالسِّوَاك�.

হুযায়ফাহ ইবনুল ইয়ামন (রাদিয়াল্লাহু <�আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে (সালাতের জন্য) উঠতেন তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
من محبة النبي -صلى الله عليه وسلم- للنظافة وكراهته للرائحة الكريهة أنه كان إذا قام من نوم الليل الطويل الذي هو مظنة تغير رائحة الفم دلك أسنانه -صلى الله عليه وسلم- بالسواك، ليقطع الرائحة، ولينشط بعد مغالبة النوم على القيام؛ لأنَّ من خصائص السواك أيضا التنبيه والتنشيط.
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি রাসূলের ভালোবাসা ও দুর্গন্ধের প্রতি তার ঘৃণা থেকে তিনি যখন দীর্ঘ রাতে ঘুম থেকে উঠতেন যা মুখকে দুর্গন্ধযুক্ত করে তখন তিনি মিসওয়াক দ্বারা তার দাঁতগুলো পরিষ্কার করতেন। যাতে দুর্গন্ধ দূর হয় এবং ঘুমের চাপের পর কর্মের প্রতি তৎপরতা সৃষ্টি হয়। কারণ, মিসওয়াক করার বৈশিষ্ট্য হলো সচেতন ও উদ্যমী করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3063

 
Hadith   117   الحديث
الأهمية: شكي إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- الرجل يخيَّل إليه أنه يجد الشيء في الصلاة، فقال: لا ينصرف حتى يسمع صوتًا، أو يجد ريحًا
থিম: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হল, তার মনে হয় সে সালাতে কিছু একটা অনুভব করে। তিনি বললেন, সে (সালাত) ছেড়ে যাবে না, যতক্ষণ না শব্দ শোনে বা দুর্গন্ধ পায়।

عن عبد الله بن زيد بن عاصم المازني -رضي الله عنه- قال: (شُكِيَ إلى النبيِّ -صلى الله عليه وسلم- الرَّجلُ يُخَيَّلُ إِليه أنَّه يَجِد الشَّيء في الصَّلاة، فقال: لا ينصرف حتَّى يَسمعَ صَوتًا، أو يَجِد رِيحًا).
থিম: আব্দুল্লাহ ইবন যায়েদ ইবন আছেম আল-মাযিনী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: �আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হল, তার মনে হয় সে সালাতে কিছু একটা অনুভব করে। তিনি বললেন, সে (সালাত) ছেড়ে যাবে না, যতক্ষণ না শব্দ শোনে বা দুর্গন্ধ পায়�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذا الحديث- كما ذكر النووي -رحمه الله- من قواعد الإسلام العامة وأصوله التي تبنى عليها الأحكام الكثيرة الجليلة، وهي أن الأصل بقاء الأشياء المتيقنة على حكمها، فلا يعدل عنها لمجرد الشكوك والظنون، سواء قويت الشكوك، أو ضعفت، مادامت لم تصل إلى درجة اليقين أو غلبة الظن، وأمثلة ذلك كثيرة لا تخفى، ومنها هذا الحديث، فما دام الإنسان متيقنا للطهارة، ثم شك في الحدث فالأصل بقاء طهارته، وبالعكس فمن تيقن الحدث، وشك في الطهارة فالأصل بقاء الحدث، ومن هذا الثياب والأمكنة، فالأصل فيها الطهارة، إلا بيقين نجاستها، ومن ذلك عدد الركعات في الصلاة، فمن تيقن أنه صلى ثلاثًا مثلًا، وشك في الرابعة، فالأصل عدمها، وعليه أن يصلي ركعة رابعة، ومن ذلك من شك في طلاق زوجته فالأصل بقاء النكاح، وهكذا من المسائل الكثيرة التي لا تخفى.
এ হাদীসটি �যেমনটি ইমাম নববী রহ. উল্লেখ করেছেন� ইসলামের সর্বজনীন নিয়ম ও মূলনীতিসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম ও মূলনীতি যার ওপর অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ বিধান নির্ভর করে থাকে। আর তা হলো �সমস্ত নিশ্চিত বস্তুর মধ্যে আসল হলো তার নিজস্ব বিধানের ওপর বাকী থাকা।� সন্দেহ শক্তিশালী হোক বা দূর্বল হোক, শুধু সন্দেহ বা ধারণার কারণে কোন বস্তুকে তার আসল বিধান থেকে ফেরানো যাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তা বিশ্বাসের স্তরে বা প্রবল ধারণায় না পৌঁছবে। এর অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে যা কারো নিকটই অস্পষ্ট নয়। যেমন, এ হাদীস। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন মানুষ তার পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকবে তারপর যদি অপবিত্র হওয়ার ব্যাপারে তার সন্দেহ হয়, তখন আসল হলো সে তার পবিত্রতার ওপর বাকী থাকবে। আর এর বিপরীতে যে ব্যক্তি তার অপবিত্রতা বিষয়ে নিশ্চিত কিন্তু পবিত্রতা বিষয়ে সন্দিহান তখন আসল হলো সে অপবিত্র হিসেবে পরিগণিত হবে। একই নিয়ম কাপড় বা স্থানসমূহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ সবের মধ্যে আসল হলো পবিত্রতা তবে যদি তার অপবিত্র হওয়া নিশ্চিত হওয়া যায়। অনুরূপভাবে সালাতে রাাকা�আতের সংখ্যা। যেমন কোন ব্যক্তি নিশ্চিত যে, সে তিন রাকা�আত সালাত আদায় করেছে এবং চতুর্থ রাকা�আত সম্পর্কে তার সন্দেহ। তখন আসল হলো সন্দেহ না ধরা। তার ওপর জরুরি হলো চতুর্থ রাকা�আত পড়ে নেওয়া। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর তালাক বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে তখন আসল হলো বিবাহ বাকী থাকা তালাক না হওয়া। এ ধরনের অসংখ্য মাসআলা রয়েছে যা কারো নিকটই গোপন নয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3064

 
Hadith   118   الحديث
الأهمية: أمرني رسول الله    -صلى الله عليه وسلم- أن أقوم على بدنه، وأن أتصدق بلحمها وجلودها وأجلتها، وأن لا أعطي الجزار منها شيئًا
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তার উট পরিচালনা করার নির্দেশ দেন। আর তিনি নির্দেশ যে, আমি যেন তার গোস্ত, চামড়া, জীনপোষ সাদকা করে দিই এবং কসাইকে বিনিময় হিসেবে তা থেকে কোন কিছু না দেই।

عن علي بن أبي طالب -رضي الله عنه- قال: �أَمَرَنِي رَسُول اللَّهِ -صلَّى الله عليه وسلَّم- أَن أَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ، وَأَن أَتَصَدَّقَ بِلَحمِهَا وَجُلُودِهَا وَأَجِلَّتِهَا، وَأَن لا أُعْطِيَ الجَزَّارَ مِنهَا شَيْئًا�.

আলী ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত: �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তার উট পরিচালনা করার নির্দেশ দেন। আর তিনি নির্দেশ যে, আমি যেন তার গোস্ত, চামড়া, জীনপোষ সাদকা করে দিই এবং কসাইকে বিনিময় হিসেবে তা থেকে কোন কিছু না দেই�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
قَدِمَ النبي -صلى الله عليه وسلم- مكة في حجة الوداع ومعه هديه وقدم علي بن أبى طالب -رضي الله عنه- من اليمن، ومعه هدي، وبما أنها صدقة للفقراء والمساكين، فليس لمهديها حق التصرف بها، أو بشيء منها على طريقة المعاوضة، فقد نهاه أن يعطي جازرها منها، معاوضة له على عمله، وإنما أعطاه أجرته من غير لحمها وجلودها وأجلتها.
বিদায়ী হজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় আগমণ করেন। তার সাথে ছিল তার হাদী। আর আলী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু ইয়ামান থেকে আগমণ করেন এবং তার সাথেও তার হাদী ছিল। যেহেতু হাদীর জন্তু কেবলই ফকীর ও মিসকীনদের হক তাই হাদী প্রেরণকারীর জন্য তাতে কোন প্রকার কর্তৃত্ব করা বা বিনিময় হিসেবে কাউকে দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই কসাইকে তার কাজের বিনিময় হিসেবে তা থেকে কোন কিছু প্রদান করতে নিষেধ করেছেন। তাকে গোস্ত, চামড়া ও জীনপোষ ভিন্ন অন্য কিছু দিয়ে বিনিময় প্রদান করবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3065

 
Hadith   119   الحديث
الأهمية: إذا أُقِيمت الصلاة وحضر العَشاء فابدأوا بالعَشاء
থিম: যখন রাতের খাবার উপস্থিত হয় এবং সলাতের ইকামতও শুরু হয়ে যায় তখন তোমরা আগে আহার করো।

عن عائشة وعبد الله بن عمر وأنس بن مالك -رضي الله عنهم- مرفوعاً: �إِذَا أُقِيمَت الصَّلاَة، وحَضَرَ العَشَاء، فَابْدَءُوا بِالعَشَاء�.

�আয়িশাহ রাদিয়াল্লাহু �আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �যখন রাতের খাবার উপস্থিত হয় এবং সলাতের ইকামতও শুরু হয়ে যায় তখন তোমরা আগে আহার করো।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
إذا أقيمت الصلاة، والطعام أو الشراب حاضر، فينبغي البداءة بالأكل والشرب حتى تنكسر نهمة المصلي، ولا يتعلق ذهنه به، ويقبل على الصلاة، وشرط ذلك عدم ضيق وقت الصلاة، ووجود الحاجة والتعلق بالطعام، وهذا يؤكد كمال الشريعة ومراعاتها لحقوق النفس مع اليسر والسماحة.
যখন সালাতের ইকামত দেওয়া হলো অথচ খাওয়া ও পানীয় উপস্থিত তার জন্য উচিত হলো খাওয়া ও পান করার কর্ম আগে সেরে নেবে। যাতে মুসল্লীর চাহিদা দূর হয় এবং তার মন তার সাথে সম্পৃক্ত না হয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    তার সকল বর্ণনা মুত্তাফাকুন �আলাইহি।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3066

 
Hadith   120   الحديث
الأهمية: نزلت آية المتعة -يعني متعة الحج- وأمرنا بها رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، ثم لم تنزل آية تنسخ آية متعة الحج، ولم ينه عنها رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حتى مات
থিম: মুতআর আয়াত �অর্থাৎ হজ্জে তামাত্তুর আয়াত নাযিল হলো। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করার জন্য আমাদের আদেশ দিলেন। তারপর এমন কোন আয়াত নাযিল হয়নি যা হজ্জে তামাত্তকে রহিত করে। এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমৃত্যু তা থেকে নিষেধ করেননি।

عن عمران بن حصين -رضي الله عنهما- قال: �أُنْزِلَت آيَةُ المُتْعَةِ في كتاب اللَّه -تعالى-، فَفَعَلْنَاهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-، وَلَم يَنْزِلْ قُرْآنٌ يُحَرِّمُهَا، وَلَم يَنْهَ عَنهَا حَتَّى مات، قال رجل بِرَأْيِهِ مَا شَاءَ�، قال البخاري: �يقال إنه عمر�.
وفي رواية: � نَزَلَت آيَةُ المُتْعَةِ -يَعْنِي مُتْعَةَ الحَجِّ- وَأَمَرَنا بِهَا رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-، ثُمَّ لَم تَنْزِل آيَةٌ تَنْسَخُ آيَةَ مُتْعَةِ الْحَجِّ، وَلَمْ يَنْهَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- حَتَّى مَاتَ�. ولهما بمعناه.

ইমরান ইবন হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আল্লাহর কিতাবে মুত�আর আয়াত নাযিল হলো। আমরা তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে আঞ্জাম দিলাম আর তা নিষিদ্ধ করে কুরআনের কোন আয়াত নাযিল হয়নি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনিও তার থেকে নিষেধ করেননি। একজন তার মতামত অনুযায়ী যা চাইল তাই বললেন। বুখারী বলেন, বলা হয়ে থাকে তিনি হলেন উমার।
অপর এক বর্ণনায় বর্ণিত: মুতআর আয়াত �অর্থাৎ হজ্জে তামাত্তুর আয়াত নাযিল হলো। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করার জন্য আমাদের আদেশ দিলেন। তারপর এমন কোন আয়াত নাযিল হয়নি যা হজ্জে তামাত্তকে রহিত করে। এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমৃত্যু তা থেকে নিষেধ করেননি। আর তাদের উভয়ের জন্য রয়েছে একই অর্থের হাদীস।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
ذكر عمران بن حصين -رضي الله عنهما- المتعة بالعمرة إلى الحج، فقال: إنها شرعت بكتاب الله وسنة رسوله -صلى الله عليه وسلم-، فأما الكتاب، فقوله -تعالى-: {فمن تمتع بالعمرة إلى الحج فما استيسر من الهدي}. وأما السنة: ففعل النبي -صلى الله عليه وسلم- لها، وإقراره عليها، ولم ينزل قرآن يحرمها، ولم ينه عنها رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، وتوفي النبي -صلى الله عليه وسلم-، وهي باقية لم تنسخ بعد هذا، فكيف يقول رجل برأيه وينهى عنها؟ يشير بذلك إلى نهي عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- عنها في أشهر الحج؛ اجتهادا منه ليكثر زوار البيت في جميع العام؛ لأنهم إذا جاءوا بها مع الحج، لم يعودوا إليه في غير موسم الحج، وليس نهي عمر -رضي الله عنه- للتحريم أو لترك العمل بالكتاب والسنة، وإنما هو منع مؤقت للمصلحة العامة.
ইমরান ইবন হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা উমরা করে হজ্জ করার মুত�আ বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ইহা আল্লাহর কিতাব ও সুন্নাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত দ্বারা সাব্যস্ত। কুরআন যেমন, আল্লাহ তা�আলার বাণী: �যে ব্যক্তি উমরার পর হজ সম্পাদনপূর্বক তামাত্তু করবে, তবে যে পশু সহজ হবে, তা যবেহ করবে�। আর সুন্নাত হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কর্ম, তার ওপর তার স্বীকৃতি, তা নিষিদ্ধ করে কুরআনের কোন আয়াত নাযিল হয়নি এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিষেধ করেননি। নবী সাল্লাল্লাহুু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন অথচ তা বিদ্যমান ছিল। তারপর থেকে তা রহিত হয়নি। সুতরাং একজন মানুষ স্বীয় মতামত থেকে কীভাবে বলে এবং তা থেকে নিষেধ করে? এ কথা দ্বারা হজের মাসসমূহে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় ইজতিহাদ দ্বারা তা থেকে নিষেধ করার বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তার নিষেধ করার কারণ হলো যাতে সারা বছর বাইতুল্লাহর যিয়ারতকারীর সংখ্যা বাড়ে। কারণ, তারা যদি হজের সাথে ওমরা নিয়ে আসে, হজের মৌসুমের পর তারা আর তার দিকে ফিরে আসবে না। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিষেধ করা হারাম ঘোষণা করার জন্য বা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী আমল ছেড়ে দেয়ার জন্য নয়। জন সাধারণের কল্যাণের জন্য তা হলা সাময়িক নিষেধাজ্ঞা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3067

 
Hadith   121   الحديث
الأهمية: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بعث بعثا إلى بني لحيان من هذيل، فقال: لينبعث من كل رجلين أحدهما، والأجر بينهما
থিম: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুযাইল বংশের প্রসিদ্ধ শাখা বনূ লাহইয়ান গোত্রাভিমুখে (যখন তারা অমুসলিম ছিল) একটি বাহিনী প্রেরণ করলেন এবং বললেন, �প্রতি দু�জনের মধ্যে একজন লোক (ঐ বাহিনীতে) যোগদান করবে, আর সওয়াব দু�জনের মধ্যে সমান হবে।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- أنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بَعَث بَعْثاً إلى بني لحيان من هُذَيل، فقال: �لِيَنْبَعِث مِن كُلِّ رَجُلَين أَحَدُهُما، والأَجْرُ بَينهُما�.

আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, (একবার) নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুযাইল বংশের প্রসিদ্ধ শাখা বনূ লাহইয়ান গোত্রাভিমুখে (যখন তারা অমুসলিম ছিল) একটি বাহিনী প্রেরণ করলেন এবং বললেন, �প্রতি দু�জনের মধ্যে একজন লোক (ঐ বাহিনীতে) যোগদান করবে, আর সওয়াব দু�জনের মধ্যে সমান হবে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جاء في حديث أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه-، أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أراد أن يبعث جيشاً إلى بني لحيان، وهم من أشهر بطون هذيل.
واتفق العلماء على أن بني لحيان كانوا في ذلك الوقت كفاراً، فبعث إليهم بعثاً يغزوهم، (فقال) لذلك الجيش: (لينبعث من كل رجلين أحدهما)، مراده من كل قبيلة نصف عددها، (والأجر) أي: مجموع الأجر الحاصل للغازي والخالف له بخير (بينهما)، فهو بمعنى قوله في الحديث قبله: �ومن خلف غازياً فقد غزا�، وفي حديث مسلم: �أيكم خلف الخارج في أهله وماله بخير كان له مثل نصف أجر الخارج�، بمعنى أن النبي -صلى الله عليه وسلم- أمرهم أن يخرج منهم واحد، ويبقى واحد يخلف الغازي في أهله، فيقوم على شؤونهم واحتياجاتهم، ويكون له نصف أجره؛ لأنَّ النصف الثاني للغازي.
আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীসে এসেছে�রাসূলুল্লাহ   সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনু লাহয়ান গোত্রের নিকট একটি সৈন্য দল প্রেরণ করার ইচ্ছা করলেন। তারা ছিল হুযাইল বংশের প্রসিদ্ধ শাখা। উলামাগণ এ বিষয়ে একমত যে, বনু লাহইয়ান ঐ সময় কাফির ছিল। তাদের নিকট একটি সৈন্যদল পাঠালো যারা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। তারপর তাদেরকে বললেন, �প্রতি দু�জনের মধ্যে একজন লোক (ঐ বাহিনীতে) যোগদান করবে, তার উদ্দেশ্য প্রত্যেক গোত্র থেকে তাদের সংখ্যার অর্ধেক। আর সওয়াব অর্থাৎ যোদ্ধার জন্য উপার্জিত বিনিময় এবং তাকে সাহায্যকারী সাওয়াব দু�জনের মধ্যে সমান হবে। এটিই পূর্বের হাদীদের অর্থ যাতে বলা হয়, �যে ব্যক্তি কোন যোদ্ধাকে সাহায্য করল যেন সে নিজেই যুদ্ধ করল।� সহীহ মুসলিমের হাদীসে বর্ণিত: �তোমাদের মধ্য হতে যে ব্যক্তি যুদ্ধে বের হওয়া ব্যক্তির পরিবার-পরিজন ও ধন-সম্পদে কল্যাণের সাথে প্রতিনিধিত্ব করে, তার জন্য যোদ্ধার সাওয়াবের অর্ধেক সাওয়াব মিলবে।� অতএব হাদীসটির অর্থ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের থেকে একজনকে যুদ্ধে যেতে নির্দেশ দেন আর অপর জনকে যুদ্ধে না গিয়ে যিনি যুদ্ধে গেলেন তার পরিবার-পরিজনের সহযোগীতা করা, তাদের দায়িত্ব পালন করা এবং তাদের প্রয়োজন মেটানোর নির্দেশ দেন। ফলে তার জন্য অর্ধেক সাওয়াব লাভ হবে আর বাকী অর্ধেক যোদ্ধার জন্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3068

 
Hadith   122   الحديث
الأهمية: فعن معادن العرب تسألوني؟ خيارهم في الجاهلية خيارهم في الإسلام إذا فقهوا
থিম: তাহলে তোমরা কি আমাকে আরবের বংশাবলী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছ? (তবে শোন!) তাদের মধ্যে যারা জাহেলী যুগে ভালো, তারা ইসলামেও ভালো; যদি দ্বীনী জ্ঞান শিখে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قِيلَ: يا رسُول الله، مَن أَكرم النَّاس، قال: اتقاهم، فقالوا: لَيس عن هذا نَسأُلُك، قال: �فَيُوسُفُ نَبِيُّ الله ابنُ نَبِيِّ الله ابنِ نَبِيِّ الله ابنِ خَلِيلِ اللهِ� قالوا: لَيس عَن هذا نَسأَلُك، قال: �فعَن مَعَادِن العَرَب تسأَلُوني؟ خِيَارُهُم في الجاهِليَّة خِيَارُهُم في الإِسلام إذا فَقُهُوا�.

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হল যে, �হে আল্লাহর রাসূল! মানুষের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি কে?� তিনি বললেন, �তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে আল্লাহ-ভীরু।� অতঃপর তাঁরা (সাহাবীরা) বললেন, �এ ব্যাপারে আমরা আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি না।� তিনি বললেন, �তাহলে ইউসুফ (সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি), যিনি স্বয়ং আল্লাহর নবী, তাঁর পিতা নবী, পিতামহও নবী এবং প্রপিতামহও নবী ও আল্লাহর বন্ধু।� তাঁরা বললেন, �এটাও আমাদের প্রশ্ন নয়।� তিনি বললেন, �তাহলে তোমরা কি আমাকে আরবের বংশাবলী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছ? (তবে শোন!) তাদের মধ্যে যারা জাহেলী যুগে ভালো, তারা ইসলামেও ভালো; যদি দ্বীনী জ্ঞান শিখে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في الحديث أنَّ أكرم الناس من حيث النسب والمعادن والأصول، هم الخيار في الجاهلية، لكن بشرط إذا فقهوا، فمثلا بنو هاشم من المعروف هم خيار قريش في الإسلام، لكن بشرط أن يفقهوا في دين الله، وأن يتعلموا أحكامه، فإن لم يحصل لهم الفقه في الدين، فإنَّ شَرَف النَّسب لا يشفع لصاحبه، وإن عَلاَ نسبه وكان من خيار العرب نسبا ومعدِنا، فإنَّه ليس مِن أكرم الخلق عند الله، وليس مِن خيار الخلق، وعليه فالإنسان يشرف بنسبه، لكن بشرط الفقه في الدين.
বংশ, মূল ও গোড়ার দিক বিবেচনায় সম্মানিত ব্যক্তি হলো যারা জাহিলিয়্যাতের যুগে সম্মানি। তবে শর্ত হলো যখন তারা দীন সম্পর্কে জানবে। যেমন, বনু হাশেম সম্পর্কে এ কথা প্রসিদ্ধ যে তারা ইসলামের কুরাইশদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানি। তবে শর্ত হলো তারা আল্লাহর দীন ব্যাপারে জ্ঞাত এবং দীনের বিধানাবলী জানতে হবে। যদি দীনের বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান না থাকে তবে বংশীয় মর্যাদা তার কোন উপকারে আসবে না। যদিও সে উচ্চ বংশের এবং আরবদের মধ্যে বংশীয় ও শিকড়ের দিক দিয়ে অনেক উচ্চ হয়ে থাকে। সে আল্লাহর নিকট সম্মানি কোন ব্যক্তি নন এবং সে কোন উত্তম ব্যক্তিও নন। সুতরাং মানুষ তার বংশের কারণে সম্মানের অধিকারী হবেন। তবে শর্ত হলো তার কাছে দীনের জ্ঞান থাকতে হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3069

 
Hadith   123   الحديث
الأهمية: يعمد أحدكم فيجلد امرأته جلد العبد، فلعله يضاجعها من آخر يومه
থিম: তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীকে দাসদের মত প্রহার করে। অতঃপর সম্ভবতঃ দিনের শেষে তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হবে।

عن عبد الله بن زمعة -رضي الله عنه- أنّه سمع النبي -صلى الله عليه وسلم- يخطب، وذكر الناقة والذي عقرها، فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �إذِ انبَعَثَ أشقاها: انْبَعَثَ لَهَا رجل عزِيز، عَارِم منيع في رَهطِه�، ثم ذكر النساء، فوعظ فيهنَّ، فقال: �يَعمِد أحدكم فيجلد امرأته جلد العبد، فلعلَّه يُضَاجِعُهَا من آخر يومه� ثمَّ وعظهم فِي ضَحِكِهم من الضَّرطَة، وقال: �لم يضحك أحدكم ممَّا يفعل؟!�.
থিম: আব্দুল্লাহ ইবনে যামআহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুৎবাহ দিতে শুনলেন। তিনি (খুৎবার মাধ্যমে) (সালেহ নবীর) উঁটনী এবং ঐ ব্যক্তির কথা আলোচনা করলেন, যে ঐ উঁটনীটিকে কেটে ফেলেছিল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �যখন তাদের মধ্যকার সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠল। (সূরা শাম্স ১২ আয়াত) (অর্থাৎ) উঁটনীটিকে মেরে ফেলার জন্য নিজ বংশের মধ্যে এক দুরন্ত চরিত্রহীন প্রভাবশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল।� অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের কথা আলোচনা করলেন এবং তাদের ব্যাপারে উপদেশ প্রদান করলেন। তিনি বললেন, �তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীকে দাসদের মত প্রহার করে। অতঃপর সম্ভবতঃ দিনের শেষে তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হবে। (এরূপ উচিত নয়।)� পুনরায় তিনি তাদেরকে বাতকর্মের ব্যাপারে হাসতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, �তোমাদের কেউ এমন কাজে কেন হাসে, যে কাজ সে নিজেও করে?�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان -صلى الله عليه وسلم- يخطب، وسمعه عبد الله بن زمعة، ومن جملة ما خطب أنه سمع النبي ذكر الناقة التي كانت معجزة لنبي الله صالح -على نبينا وعليه أفضل الصلاة والسلام-، وكان من جملة ما ذكره أيضا الذي عقرها، يقال له قُدَار بن سالف والذي كان أشقى القوم، وجاء من أوصافه: أنه قليل المثل، شديد الإفساد، ذو منعة في قومه.
   ثم قال -عليه الصلاة والسلام- في خطبته: "يعمد أحدكم فيجلد امرأته جلد العبد" وهو في العادة ضرب شديد، وفي سياق الحديث استبعاد وقوع الأمرين من العاقل، أن يُبَالِغَ في ضرب امرأته ثم يجامعها من بقية يومه أو ليلته؛ والمجامعة أو المضاجعة إنما تستحسن مع الميل والرغبة في العشرة، والمجلود غالباً ينفر ممن جلده، فوقعت الإشارة إلى ذَمِّ ذلك، وأنه إذا كان ولا بد فليكن التأديب بالضرب اليسير بحيث لا يحصل معه النفور التام، فلا يفرط في الضرب ولا يفرط في التأديب.
ثم (وعظهم) أي: حذَّرهم في (ضحكهم من الضرطة)؛ وذلك لأنه خلاف المروءة، ولما فيه من هتك الحُرمة، وقال في تقبيح ذلك: (لِم يضحك أحدكم مما يفعل؟)؛ وذلك لأنَّ الضحك إنما يكون من الأمر العجيب والشأن الغريب، يبدو أثره على البشرة فيكون التبسم، فإن قوي وحصل معه الصوت كان الضحك، فإن ارتقى على ذلك كانت القهقهة، وإذا كان هذا الأمر معتاداً من كل إنسان فما وجه الضحك من وقوع ذلك ممن وقع منه؟.
আব্দুল্লাহ ইবনে যামআহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু সংবাদ দেন যে, সে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে স্বীয় উষ্টির ওপর খুৎবাহ দিতে শুনলেন। রাসূলের আদর্শ ছিল তিনি অনুপুস্থিতকে তালাশ করতেন না এবং উপস্থিতকে প্রত্যাখ্যান করতেন না যদি তাতে শরী�আতের দৃষ্টিতে কোন অসুবিধা বা সীমালঙ্গন না হতো। রাসূলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন, আর আব্দুল্লাহ ইবন যাম�আহ তা শুনছিলেন। তিনি খুৎবায় যা আলোচনা করলেন তাতে ছিল সালেহ নবীর উঁটনীর কথা যে উঁটনী তার মু�জেযা ছিল এবং তার আলোচনায় ঐ ব্যক্তির কথা ছিল, যে ঐ উঁটনীটিকে কেটে ফেলেছিল। তাকে বলা হতো কুযার। যে লোকটি ছিল তাদের মধ্যকার সর্বাধিক হতভাগা। তার গুণ ছিল তার দৃষ্টান্ত বিরল, কঠিন ফাসাদ সৃষ্টিকারী এবং তার গোত্রের মধ্যে অপ্রতিরোধ্য। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার খুৎবায় (মহিলাদের প্রসঙ্গে) বললেন, �তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীকে দাসদের মত প্রহার করে। এতে প্রমাণিত হয় দাসকে প্রহার করে আদব শেখানো বৈধ। আর নারীদের তার চেয়ে কম প্রহার করে শাস্তি দেওয়া বৈধ। হাদীসটিতে উভয় কর্ম একজন জ্ঞানী থেকে পাওয়া যাওয়ার বিষয়টিকে অসংগত বলা হয়েছে। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি তার স্ত্রীকে খুব মারবে অতঃপর সম্ভবতঃ দিনের শেষে বা সে রাতে তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হবে। (এরূপ উচিত নয়।)� কারণ, সঙ্গম ও সহবাস সাধারণত আগ্রহ ও আকাঙ্খার পছন্দনীয় হয়। কিন্তু যাকে প্রহার করা হলো সে সাধারণত যে তাকে মারল তার থেকে দূরে থাকতে চায়। এতে এটি যে একটি নিন্দনীয় কর্ম তার প্রতি ইঙ্গিত করা হলো। তবে যদি মারতেই হয় তাহলে তা যেন সীমিত আকারে প্রহার করা দ্বারা হয়। যাতে সে পুরোপুরি বদলে না যায়। সুতরাং প্রহার করা ও শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করবে না। পুনরায় তিনি তাদেরকে বাতকর্ম বিষয়ে নসিহত করলেন। অর্থাৎ, বাতকর্ম বিষয়ে তাদের হাঁসি সম্পর্কে সতর্ক করলেন। কারণ, এটি মানবিকতার পরিপন্থী। এ ছাড়াও এতে রয়েছে সম্মানহানি। এর খারাপ দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন �তোমাদের কেউ এমন কাজে কেন হাসে, যে কাজ সে নিজেও করে?� কারণ, হাঁসিতো হবে এমন বিষয় নিয়ে যা আশ্চর্য ও অনাকাঙ্খিত যার প্রভাব চেহারায় প্রকাশ পাবে। তখন সে মুচকী হাসবে। আর যদি তা আরও শক্তিশালী হয় তখন হাঁসিতে আওয়াজ হবে। আর যদি আরও শক্তিশালী হয় তখন তা হবে অট্ট হাঁসি। আর যেহেতু এ বিষয়টি এমন বিষয় যার প্রতি সব মানুষই অভ্যস্থ এ ধরনের একটি বিষয় সংঘটিত হওয়াতে হাঁসির কারণ কি হতে পারে?
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3070

 
Hadith   124   الحديث
الأهمية: لا يفرك مؤمن مؤمنة إن كره منها خلقا رضي منها آخر.
أو قال: غيره

থিম: কোন ঈমানদার পুরুষ কোন ঈমানদার নারী (স্ত্রীকে) ঘৃণা করবে না, যদি সে তার একটি আচরণে অসন্তুষ্ট হয়, তবে অন্য আচরণে সন্তুষ্ট হবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: �لاَ يَفْرَك مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَة إِنْ كَرِه مِنْهَا خُلُقًا رَضِيَ مِنْهَا آخَر�، أو قال: �غَيرُه�.

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �কোন ঈমানদার পুরুষ কোন ঈমানদার নারী (স্ত্রীকে) ঘৃণা করবে না, যদি সে তার একটি আচরণে অসন্তুষ্ট হয়, তবে অন্য আচরণে সন্তুষ্ট হবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث أبي هريرة -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: "لا يفرك مؤمن مؤمنة، إن كره منها خلقًا رضي منها خلقًا آخر" معناه: لا يبغضها لأخلاقها، إن كره منها خلقا رضي منه خلقا آخر.
الفرك: يعني البغضاء والعداوة، يعني لا يعادي المؤمن المؤمنة كزوجته مثلا، لا يعاديها ويبغضها إذا رأى منها ما يكرهه من الأخلاق، وذلك لأن الإنسان يجب عليه القيام بالعدل، وأن يراعي المعامل له بما تقتضيه حاله، والعدل أن يوازن بين السيئات والحسنات، وينظر أيهما أكثر وأيهما أعظم وقعا، فيغلب ما كان أكثر وما كان أشد تأثيرا؛ هذا هو العدل.
আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কোন ঈমানদার পুরুষ কোন ঈমানদার নারী (স্ত্রীকে) ঘৃণা করবে না, যদি সে তার একটি আচরণে অসন্তুষ্ট হয়, তবে অন্য আচরণে সন্তুষ্ট হবে। অর্থাৎ তার স্বভাবের কারণে তাকে ঘৃণা করবে না, যদি তার একটি স্বভাব অপছন্দ করে তবে অন্য স্বভাবে সে সন্তুষ্ট হবে। الفرك: অর্থ ঘৃণা ও দুশমণি করা। অর্থাৎ, মু�মিন পুরুষ কোন মু�মিন নারী যেমন স্ত্রীকে ঘৃণা করবে না যখন তার থেকে এমন কোন আচরণ প্রকাশ পায় যা সে ঘৃণা করে। কারণ, মানুষের ওপর ওয়াজিব হলো সে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে এবং যার সাথে লেন-দেন করে তার অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখবে। আর ইনসাফ হলো ভালো কর্ম ও মন্দ কর্ম উভয়ের মাঝে তুলনা করা। আর দেখবে যে, দুইয়ের কোনটি বেশি এবং কোনটি মহৎ। তখন যেটি বেশি ও যার প্রভাব শক্তিশালী সেটি প্রাধান্য পাবে। একেই বলা হয় ইনসাফ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3071

 
Hadith   125   الحديث
الأهمية: سألت ابن عباس عن المتعة ؟ فأمرني بها، وسألته عن الهدي؟ فقال: فيه جزور، أو بقرة، أو شاة، أو شرك في دم، قال: وكان ناس كرهوها
থিম: ইবন আব্বাসকে মুত�আ (তামাত্তু হজ্জ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম? তিনি তা করতে আমাকে আদেশ দেন। আর আমি তাকে হাদী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম? তিনি বলেন, তাতে উট, অথবা গরু অথবা ছাগল অথবা একটি জন্তুর রক্তে অংশিদার। তিনি বলেন: কতক মানুষ তা অপছন্দ করেছে।

عن أبي جَمرة -نصر بن عمران الضُّبَعي- قال: �سألت ابن عباس عن المُتْعَةِ؟ فأمرني بها، وسألته عن الهَدْيِ؟ فقال: فيه جَزُورُ، أو بقرةٌ، أو شَاةٌ، أو شِرْكٌ في دم، قال: وكان ناس كرهوها، فنمت، فرأيت في المنام: كأن إنسانا ينادي: حَجٌّ مَبْرُورٌ، ومُتْعَةٌ مُتَقَبَّلَةٌ. فأتيت ابن عباس فحدثته، فقال: الله أكبر! سُنَّةُ أبي القاسم -صلى الله عليه وسلم-�.
থিম: আবূ জামরাহ নাসার ইবন ইমরান আদ-দাব�ঈ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ইবন আব্বাসকে মুত�আ (তামাত্তু হজ্জ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম? তিনি তা করতে আমাকে আদেশ দেন। আর আমি তাকে হাদী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম? তিনি বলেন, তাতে উট, অথবা গরু অথবা ছাগল অথবা একটি জন্তুর রক্তে অংশিদার। তিনি বলেন: কতক লোক তা অপছন্দ করল। আমি ঘুমালাম। তখন ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখলাম, যেন এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলছে, মাবরুর হজ ও গৃহিত (মাকবুল) মুত�আ। তারপর আমি ইবন আব্বাসের নিকট আসি তাকে ঘটনাটি বললে তিনি বলেন, আল্লাহু আকবার, আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سأل أبو جمرة ابن عباس -رضي الله عنهما- عن التمتع بالعمرة إلى الحج، فأمره بها، ثم سأله عن الهدي المقرون معها في الآية في قوله -تعالى- {فمن تمتع بالعمرة إلى الحج فما استيسر من الهدي}، فأخبره أنه جزور، وهي أفضله، ثم بقرة، ثم شاة، أو سُبع البدنة أو البقرة، أي: أن يشترك مع من اشتركوا فيهما للهدي أو الأضحية، حتى يبلغ عددهم سبعة.
   فكأن أحدا عارض أبا حمزة في تمتعه، فرأى هاتفا يناديه في المنام "حج مبرور، ومتعه متقبلة" فأتى ابن عباس -رضي الله عنهما-؛ ليبشره بهذه الرؤيا الجميلة، ولما كانت الرؤيا الصالحة جزءا من أجزاء النبوة، فرح ابن عباس    -رضي الله عنهما- بها واستبشر أن وفقه الله -تعالى- للصواب، فقال: الله أكبر، هي سنة أبى القاسم -صلى الله عليه وسلم-.

থিম: আবূ জামরাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে হজের সাথে ওমরাহ করার মুত�আ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি তা করতে তাকে আদেশ দেন। তারপর তিনি আল্লাহ তা�আলার বাণীতে হজের সাথে লাগোয়া হাদী সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি তাকে জানান যে, তা হলা, উট আর এটিই সবচেয়ে উত্তম। তারপর গরু তারপর ছাগল অথবা গরু বা উটের এক সপ্তমাংশ। অর্থাৎ যারা গরু বা উটে অংশগ্রহণ করেছে তাদের সাথে অংশ গ্রহণ করবে যতক্ষণ না তাদের সংখ্যা সাত না হবে।
তখন একজন তামাত্ত�র বিষয়ে আবূ জামরার আপত্তি তুলল। তখন তিনি একজন চিৎকারকারীকে ডাক দিয়ে বলতে স্বপ্নে দেখলেন। তিনি বলছেন, মাবরুর হজ, গৃহিত মুত�আ। তারপর তিনি এ সুন্দর স্বপ্ন বিষয়ে সু সংবাদ দেয়ার জন্য ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমার নিকট আসলেন এবং তাকে ঘটনাটি বললেন। যেহেতু ভালো স্বপ্ন নবুওতের অংশসমূহের একটি অংশ তাই ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু খুশি হলেন। আর তিনি সু সংবাদ গ্রহণ করলেন যে, আল্লাহ তা�আলা তাকে সঠিক বিষয়টি বুঝার তাওফীক দিয়েছেন। ফলে তিনি বললেন, আল্লাহু আকবার, এটি আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3072

 
Hadith   126   الحديث
الأهمية: لأَكُونَنَّ بَوَّابَ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- اليَومَ، فجَاءَ أَبُو بَكر -رضِيَ الله عنْهُ- فَدَفَعَ البَابَ، فقُلتُ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: أَبُو بَكْرٍ، فقُلتُ: عَلَى رِسْلِكَ، ثُمَّ ذَهَبتُ، فَقُلْتُ: يَا رسُولَ الله، هَذَا أبُو بكرٍ يَسْتَأذِنُ، فقَالَ: ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ
থিম: আজ আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের দ্বার রক্ষক হব।� সুতরাং আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু <�আনহু এসে দরজায় ধাক্কা দিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, �আপনি কে?� তিনি উত্তরে বললেন, �আবূ বাকর।� আমি বললাম, �একটু থামুন।� তারপর আমি আল্লাহর রসূল-এর নিকট গিয়ে নিবেদন করলাম, �হে আল্লাহ রসূল! উনি আবূ বাকর, প্রবেশ করার অনুমতি চাচ্ছেন।� তিনি বললেন, �তাকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদও দাও।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- أَنَّهُ تَوَضَّأ في بيتِهِ، ثُمَّ خَرَج، فقَال: لَأَلْزَمَنَّ رسُول الله -صلَّى الله علَيه وسلَّم- ولَأَكُونَنَّ مَعَهُ يَومِي هَذَا، فَجَاءَ الْمَسْجِدَ، فَسَألَ عَنِ النبيِّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- فَقَالُوا وَجَّهَ هَاهُنَا، قال: فَخَرَجْتُ عَلَى أَثَرِهِ أَسأَلُ عنْهُ، حتَّى دخَلَ بِئْرَ أَرِيسٍ، فَجَلَستُ عِندَ البَابِ حتَّى قَضَى رسُولُ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- حَاجَتَهُ وَتَوَضَّأ، فَقُمتُ إِلَيهِ، فَإِذَا هُوَ قَدْ جَلَسَ عَلَى بِئْرِ أَرِيسٍ وَتَوَسَّطَ قُفَّهَا، وكَشَفَ عَنْ سَاقَيهِ وَدلَّاهُمَا فِي البِئرِ، فَسَلَّمتُ علَيه ثُمَّ انْصَرَفْتُ، فَجَلَسْتُ عِند البَابِ، فقُلتُ: لأَكُونَنَّ بَوَّابَ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- اليَومَ، فجَاءَ أَبُو بَكر -رضِيَ الله عنْهُ- فَدَفَعَ البَابَ، فقُلتُ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: أَبُو بَكْرٍ، فقُلتُ: عَلَى رِسْلِكَ، ثُمَّ ذَهَبتُ، فَقُلْتُ: يَا رسُولَ الله، هَذَا أبُو بكرٍ يَسْتَأذِنُ، فقَالَ: �ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ� فَأَقْبَلْتُ حتَّى قُلتُ لَأَبِي بَكْرٍ: ادْخُلْ وَرَسُولُ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- يُبَشِّرُكَ بِالْجَنَّةِ، فَدَخَلَ أَبُو بَكرٍ حَتَّى جَلَسَ عَن يَمِينِ النبيِّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- مَعَهُ فِي القُفِّ، ودَلَّى رِجْلَيهِ فِي البِئْرِ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- وَكَشَفَ عَنْ سَاقَيهِ، ثُمَّ رَجَعْتُ وَجَلَسْتُ، وَقَدْ تَرَكْتُ أَخِي يَتَوَضَّأ وَيَلْحَقُنِي، فَقُلْتُ: إِنْ يُرِدِ اللهُ بِفُلاَنٍ - يُريِدُ أَخَاهُ - خَيرًا يَأتِ بِهِ، فَإِذَا إِنسَانٌ يُحَرِّكُ البَّابَ، فقُلتُ: مَنْ هَذَا؟ فقَالَ: عُمَرُ بن الخَطَّابِ، فقُلتُ: عَلَى رِسْلِكَ، ثُمَّ جِئْتُ إِلَى رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- فَسَلَّمْتُ عَلَيهِ وقُلْتُ: هَذَا عُمَرُ يَسْتَأْذِنُ؟ فَقَال: �ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرْهُ بِالجَنَّةِ� فَجِئْتُ عُمَرَ، فَقُلتُ: أَذِنَ وَيُبَشِّرُكَ رَسُولُ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- بِالجَنَّةِ، فَدَخَلَ فَجَلَسَ مَعَ رسُولِ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- فِي القُفِّ عَنْ يَسَارِهِ وَدَلَّى رِجْلَيهِ فِي البِئْرِ، ثُمَّ رَجَعْتُ فَجَلَسْتُ، فَقُلتُ: إِن يُرِدِ اللهُ بِفُلاَنٍ خَيرًا -يعنِي أَخَاهُ- يَأتِ بِهِ، فَجَاءَ إِنسَانٌ فَحَرَّكَ البَابَ، فقُلتُ: مَنْ هَذَا؟ فقَالَ: عُثمَانُ بنُ عَفَّان، فقُلتُ: عَلَى رِسْلِكَ، وَجِئتُ النبِيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- فَأَخبَرتُهُ، فقَالَ: �ائْذَنْ لَهُ وَبَشِّرهُ بِالجَنَّةِ مَعَ بَلوَى تُصِيبُهُ� فَجِئتُ، فقُلتُ: ادْخُل وَيُبَشِّرُكَ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- بِالجَنَّةِ مَعَ بَلوَى تُصِيبُكَ، فَدَخَلَ فَوَجَدَ القُفَّ قَدْ مُلِئَ، فَجَلَسَ وِجَاهَهُم مِنَ الشِقِّ الآخَرِ.
   قال سعيد بنُ الْمُسَيِّبِ: فَأَوَّلْتُهَا قُبُورَهُم.
   وزاد في رواية: وَأَمَرَنِي رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- بِحفظِ البابِ، وفيها: أنَّ عُثمَانَ حِينَ بَشَّرَهُ حَمِدَ الله -تَعَالَى-، ثُمَّ قَالَ: اللهُ الْمُسْتَعَانُ.

আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত তিনি নিজ বাড়িতে ওযূ করে বাইরে গেলেন। এবং তিনি (মনে মনে) বললেন যে, �আজ আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্যে থাকব।� সুতরাং তিনি মসজিদে গিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। সাহাবীগণ উত্তর দিলেন যে, �তিনি এই দিকে গমন করেছেন।� আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু �আনহু বলেন, আমি তাঁর পশ্চাতে চলতে থাকলাম এবং তাঁর সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করতে থাকলাম। শেষ পর্যন্ত তিনি �আরীস� কুয়ার (বাগানে) প্রবেশ করলেন। আমি (বাগানের) প্রবেশ দ্বারে বসে থাকলাম। শেষ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেশাব-পায়খানা সমাধা করে ওযূ করলেন। অতঃপর আমি উঠে তাঁর দিকে অগ্রসর হলাম। দেখলাম, তিনি �আরীস� কুয়ার পাড়ের মাঝখানে পায়ের নলা খুলে পা দুটো তাতে ঝুলিয়ে বসে আছেন। আমি তাঁকে সালাম দিয়ে আবার ফিরে এসে প্রবেশ-পথে বসে রইলাম। আর মনে মনে বললাম যে, �আজ আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূলের দ্বার রক্ষক হব।� সুতরাং আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু <�আনহু এসে দরজায় ধাক্কা দিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, �আপনি কে?� তিনি উত্তরে বললেন, �আবূ বাকর।� আমি বললাম, �একটু থামুন।� তারপর আমি আল্লাহর রসূল-এর নিকট গিয়ে নিবেদন করলাম, �হে আল্লাহ রসূল! উনি আবূ বাকর, প্রবেশ করার অনুমতি চাচ্ছেন।� তিনি বললেন, �তাকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদও দাও।� সুতরাং আমি আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-এর নিকট এসে বললাম, �প্রবেশ করুন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ জানাচ্ছেন।� আবূ বাকর প্রবেশ করলেন এবং কুয়ার পাড়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ডান দিকে পায়ের নলার কাপড় তুলে পা দুখানি কুয়াতে ঝুলিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মত বসে পড়লেন।
আমি পুনরায় দ্বার প্রান্তে ফিরে এসে বসে গেলাম। আমি মনে মনে বললাম, আল্লাহ যদি অমুকের জন্যে�অর্থাৎ তার ভাইয়ের জন্য�কল্যাণ চান, তাহলে তাকে (এখানে) নিয়ে আসবেন (ফলে সেও জান্নাতের সুসংবাদ পাবে)। হঠাৎ একটি লোক এসে দরজা নড়াল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, �কে?� সে বলল, �উমার বিন খাত্তাব।� আমি বললাম, �একটু থামুন।� অতঃপর আমি রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে নিবেদন করলাম যে, �উনি উমার। প্রবেশ করতে অনুমতি চাচ্ছেন।� তিনি বললেন, �তাকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদও দাও�। সুতরাং আমি উমারের নিকট এসে বললাম, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে প্রবেশ অনুমতি দিচ্ছেন এবং জান্নাতের শুভ সংবাদও জানাচ্ছেন।� সুতরাং তিনি ভিতরে প্রবেশ করলেন এবং কুয়ার পাড়ে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাম পাশে কুয়ায় পা ঝুলিয়ে বসে পড়লেন। আমি আবার সেখানে ফিরে এসে বসে পড়লাম। আর মনে মনে বলতে থাকলাম, আল্লাহ যদি অমুকের জন্যে মঙ্গল চান�অর্থাৎ তার ভাইয়ের জন্যে�তাহলে অবশ্যই তাকে নিয়ে আসবেন। (ইত্যবসরে) হঠাৎ একটি লোক দরজা নড়াল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, �আপনি কে?� সে বলল, �আমি উসমান ইবনে আফ্ফান।� আমি বললাম, �একটু থামুন।� তারপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁর সম্পর্কে অবহিত করলাম। তিনি বললেন, �তাকে অনুমতি দাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও। তবে ওর জীবনে বিপর্যয় আছে।� আমি ফিরে এসে তাঁকে বললাম, �প্রবেশ করুন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ জানাচ্ছেন। তবে আপনার বিপর্যয় আছে।� সুতরাং তিনি সেখানে প্রবেশ ক�রে দেখলেন যে, কুয়ার এক পাড় পূর্ণ হয়েছে ফলে তিনি তাঁদের সামনের অপর পাড়ে গিয়ে বসে গেলেন। সাঈদ ইবনে মুসাইয়েব বলেন যে, �এ ঘটনা দ্বারা আমি বুঝেছি যে, তাঁদের তিনজনের সমাধি একই স্থানে হবে। (আর উসমানের সমাধি অন্য জায়গায় হবে।)� এক বর্ণনায় এ সব শব্দ বাড়তিভাবে এসেছে যে, (আবূ মূসা বলেন,) �আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বার রক্ষার নির্দেশ দিলেন।� আর তাতে এ কথাও আছে যে, যখন তিনি উসমান রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-কে সুসংবাদ (ও বিপর্যয়ের কথা) জানালেন, তখন তিনি �আলহামদু লিল্লাহ� পড়লেন এবং বললেন, �আল্লাহুল মুস্তাআন।� অর্থাৎ আল্লাহই সাহায্যস্থল।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جاء في حديث أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- أنَّه في يوم من الأيام توضَّأ في بيته وخرج يطلب النبي -صلى الله عليه وسلم- ويقول: لألزمن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يومي هذا، أي: أكون معه ذاهبا وآتيا.
   فخرج -رضي الله عنه- يطلب النبي -صلى الله عليه وسلم- فأتى المسجد؛ لأنَّ الرسول عليه الصلاة والسلام إمَّا في المسجد وإمَّا في بيته في مِهنة أهله، وإمَّا في مصالح أصحابه -عليه الصلاة والسلام-، فلم يجده في المسجد فسأل عنه فقالوا: وجَّه هاهنا، وأشاروا إلى ناحية أريس وهي بئر حول قباء، فخرج أبو موسى في إثره حتى وصل إلى البئر، فوجد النبي -صلى الله عليه وسلم- هنالك فلزم باب البستان الذي فيه البئر -رضي الله عنه-.
   فقضى النبي -صلى الله عليه وسلم- حاجته وتوضأ ثم جلس -عليه الصلاة والسلام- متوسطا للقف أي حافة البئر، ودلَّى رجليه، وكشف عن ساقيه، وكان أبو موسى على الباب يحفظ باب البئر كالحارس لرسول الله -صلى الله عليه وسلم-، فاستأذن أبو بكر -رضي الله عنه-، لكن لم يأذن له أبو موسى حتى يخبر النبي -صلى الله عليه وسلم-، فقال للنبي -صلى الله عليه وسلم-: هذا أبو بكر يستأذن، فقال: "ائذن له وبشِّره بالجنة"، فأذن له وقال له: يبشرك رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بالجنة.
وهذه بشارة عظيمة، يبشره بالجنة ثم يأذن له أن يدخل ليكون مع الرسول -صلى الله عليه وسلم-.
فدخل ووجد النبي -صلى الله عليه وسلم- متوسطا القف فجلس عن يمينه؛ لأن النبي -صلى الله عليه وسلم- يعجبه التيامن في كل شيء، فجلس أبو بكر عن يمينه وفعل مثل فعل النبي -صلى الله عليه وسلم-؛ دلَّى رجليه في البئر، وكشف عن ساقيه كراهة أن يخالف النبي -صلى الله عليه وسلم-، في هذه الجلسة.
فقال أبو موسى -وكان قد ترك أخاه يتوضأ ويلحقه- إن يرد الله به خيرا يأت به، وإذا جاء واستأذن فقد حصل له أن يبشر بالجنة، ولكن استأذن الرجل الثاني، فجاء أبو موسى إلى الرسول -عليه الصلاة والسلام- وقال هذا عمر قال: "ائذن له وبشره بالجنة"، فأذن له وقال له: يبشرك رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بالجنة.
فدخل فوجد النبي -صلى الله عليه وسلم- وأبا بكر على القف، فجلس عن يسار الرسول -عليه الصلاة والسلام- والبئر ضيقة، ليست واسعة فهؤلاء الثلاثة كانوا في جانب واحد.
ثم استأذن عثمان وصنع أبو موسى مثل ما صنع من الاستئذان فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: "ائذن له وبشره بالجنة مع بلوى تصيبه"، فأذن له وقال: يبشرك الرسول -صلى الله عليه وسلم- بالجنة مع بلوى تصيبك، فاجتمع في حقه نعمة وبلوى، فقال -رضي الله عنه-: الحمد لله، الله المستعان، على هذه البلوى، والحمد لله على هذه البشرى، فدخل فوجد القف قد امتلأ؛ لأنَّه ليس واسعا كثيرا فذهب إلى الناحية الأخرى تجاههم، وجلس فيها ودلى رجليه وكشف عن ساقيه.
أوَّلها سعيد بن المسيب -أحد كبار التابعين- على أنها قبور هؤلاء؛ لأن قبور الثلاثة كانت في مكان واحد، فالنبي -صلى الله عليه وسلم- أبو بكر وعمر كلهم كانوا في حجرة واحدة، دُفِنُوا جميعا في مكان واحد، وكانوا في الدنيا يذهبون جميعا ويرجعون جميعا، ودائما يقول النبي -صلى الله عليه وسلم-: ذهبت أنا وأبو بكر وعمر، وجئت أنا وأبو بكر وعمر، فهما صاحباه ووزيراه، ويوم القيامة يخرجون من قبورهم جميعا، فهم جميعا في الدنيا والآخرة.
فجلس عثمان -رضي الله عنه- تجاههم، وبشَّره -صلى الله عليه وسلم- بالجنَّة مع بلوى تصيبه، وهذه البلوى هي ما حصل له -رضي الله عنه- من اختلاف الناس عليه وخروجهم عليه، وقتلهم إِيَّاه في بيته -رضي الله عنه-، حيث دخلوا عليه في بيته في المدينة وقتلوه وهو يقرأ القرآن، وكتاب الله بين يديه.
আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীসে এসেছে� তিনি কোন একদিন নিজ বাড়িতে ওযূ করে রাসূলের সন্ধানে বাইরে গেলেন। এবং তিনি (মনে মনে) বললেন যে, �আজ আমি অবশ্যই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্যে থাকব।� অর্থাৎ যাওয়া আসায় তার সাথেই থাকব। সুতরাং তিনি রাসূলের সন্ধানে বের হয়ে মসজিদে উপস্থিত হলেন। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হয় মসজিদে অথবা তার ঘরে পরিবারের কাজে অথবা সাহাবীদের কল্যাণে থাকতেন। তিনি তাকে মসজিদে না পেয়ে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল, তিনি এই দিকে গমন করেছেন।� তারা কুবার পাশে আরীস নামক একটি কুয়ার দিকে ইশারা করল। তখন আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু তাঁর পশ্চাতে চলতে লাগল। শেষ পর্যন্ত তিনি �আরীস� কুয়ার (নিকটবর্তী একটি বাগানের) কাছে পৌঁছল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সেখানে পেল। যে বাগানে কুয়া রয়েছে তার দরজায় অবস্থান করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেশাব-পায়খানা সমাধা করে ওযূ করলেন। অতঃপর তিনি �আরীস� কুয়ার পাড়ের মাঝখানে পায়ের নলা খুলে পা দুটো তাতে ঝুলিয়ে বসে আছেন এবং পায়ের গোছা খুলে রেখেছেন। আর আবূ মূসা কুয়ার দরজায় তা সংরক্ষণের দায়িত্বে অবস্থান করছেন যেন তিনি রাসূলের দ্বার রক্ষক।� সুতরাং আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু <�আনহু এসে অনুমতি চাইলেন। আবূ মূসা রাসূলুল্লাহকে সংবাদ না দিয়ে তাকে অনুমতি প্রদান করলেন না। তাই তিনি রাসূলুল্লাহকে বললেন, আবূ বকর অনুমতি চায়, তখন তিনি বললেন, তাকে অনুমতি দাও। আর তার সাথে জান্নাতের সুসংবাদ জানিয়ে দাও।� তাকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলো এবং তাকে বলল, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ জানাচ্ছেন।� এটি একটি মহান সু সংবাদ যে তাকে জান্নাতের সু খবর দেওয়া হলো। অতঃপর রাসূলের সাথে অবস্থান করার জন্য তাকে অনুমতি প্রদান করেন। তারপর তিনি প্রবেশ করলেন। আর রাসূলুল্লাহকে পেলেন কুপের পাশে। তিনি তার ডান পাশে বসলেন। কারণ, রাসুলুল্লাহ সব বিষয়ে ডানকে পছন্দ করতেন। তাই আবূ বকর তার ডান পাশে বসলেন। তিনি তাই করলেন যেমনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করলেন। পা দুখানি কুয়াতে ঝুলিয়ে দিলেন এবং খুলে দিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বসার বিরোধিতা করতে অপছন্দ করলেন। আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু মনে মনে বলল, তিনি তার ভাইকে ওযূ করা অবস্থায় ছেড়ে এসেছে; (ওযূর পরে) সে আমার পশ্চাতে আসবে।� আল্লাহ যদি তার জন্য কল্যাণ চান, তাহলে তাকে (এখানে) আনবেন। আর যখন সে আসবে এবং অনুমতি চাইবে তার জন্য জান্নাতের সু সংবাদ লাভ হবে। কিন্তু অন্য লোক অনুমতি চাইল। আমি রাসূলুল্লাহকে বললাম উনি উমার। প্রবেশ করতে অনুমতি চাচ্ছেন।� তিনি বললেন, �ওকে অনুমতি দাও এবং ওকেও জান্নাতের সুসংবাদ জানাও।� সুতরাং তাকে অনুমতি দেওয়া হল। এবং তিনি তাকে বললেন, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে জান্নাতের শুভ সংবাদও জানাচ্ছেন।� সুতরাং তিনি ভিতরে প্রবেশ করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে কুয়ার পাশে পেয়ে রাসূলের বাম পাশে বললেন। কুপটি ছিল সংকীর্ণ প্রসস্থ ছিল না। তারা তিনজন এক পাশে ছিল। অতঃপর উসমান অনুমতি চাইলে আবূ মূসা তাই করলেন যেভাবে অনুমতি নিতে হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �ওকে অনুমতি দাও। আর জান্নাতের সুসংবাদ জানাও। তবে ওর জীবনে বিপর্যয় আছে।� তাকে অনুমতি দিলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে জান্নাতের সুসংবাদ জানাচ্ছেন। তবে আপনার বিপর্যয় আছে।� তার জীবনে নিয়ামত ও বিপর্যয় উভয় একত্র হলো। তিনি বললেন, আলহামদু লিল্লাহ আল্লাহই এ বিপদে সাহায্যকারী। সু-সংবাদের জন্য প্রশংসা আল্লাহরই। সুতরাং তিনি সেখানে প্রবেশ ক�রে দেখলেন যে, কুয়ার এক পাড় পূর্ণ হয়ে গেছে। কারণ, সেটি খুব একটা প্রসস্থ নয়। ফলে তিনি তাঁদের সামনের অপর পাড়ে গিয়ে বসে গেলেন। পা দুটি ঝুলিয়ে দিলেন এবং পায়ের নলা খুলে দিলেন। সাঈদ ইবনে মুসাইয়েব যিনি একজন বড় তাবে�ঈ ছিলেন এর ব্যাখ্যা করেন যে, �এ ঘটনা দ্বারা আমি বুঝেছি যে, এটি তাদের কবর। অর্থাৎ, তাঁদের তিনজনের সমাধি একই স্থানে হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা তারা সবাই এক কামরায় ছিলেন এবং তাদের সবাইকে একই স্থানে দাফন করা হয়। দুনিয়াতে তারা একসাথেই যেতেন এবং এক সাথেই ফিরতেন। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই বলতেন, আমি আবূ বকর ও উমার গেলাম এবং আমি আবূ বকর ও উমার আসলাম। তারা দুইজন তার সাথী ও সহযোগী। কিয়ামতের তাদেরকে একসাথে কবর থেকে উঠানো হবে। তারা সবাই দুনিয়া ও আখিরাতে এক সাথেই থাকবে। তারপর উসমান তাদের সামনেই বসলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিপর্যয়ের সাথে জান্নাতের সু সংবাদ দেন। আর সে বিপর্যয়টি ছিল তার সময়ে মানুষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেওয়া এবং তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা এবং তাকে নির্মমভাবে নিজ গৃহে হত্যা করা। বিরোধিরা মদীনায় তার ঘরে প্রবেশ করল এবং তাকে হত্যা করল যখন আল্লাহর কিতাব তার সামনে ছিল এবং তিনি তখন কুরআন তিলাওয়াত করছিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3073

 
Hadith   127   الحديث
الأهمية: المرء مع من أحب
থিম: মানুষ (দুনিয়াতে) যাকে ভালবাসে (কিয়ামতে) সে তারই সাথী হবে।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- مرفوعاً: � المَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ �.
وفي رواية: قِيلَ لِلنبي -صلى الله عليه وسلم-: الرَّجُلُ يُحِبُّ القَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَق بهم؟ قال: � المَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ�.
   عن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- قال: جاء رجل إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال: يا رسول الله، كَيفَ تَقُولُ فِي رَجُلٍ أحَبَّ قَومًا ولم يَلحَق بِهم؟ فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �المَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ�.

আবূ মূসা আল-আশ�আরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �মানুষ (দুনিয়াতে) যাকে ভালবাসে (কিয়ামতে) সে তারই সাথী হবে।�
অন্য বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হল, �কোন ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়কে ভালবাসে, কিন্তু (আমলে) তাদের সমকক্ষ হতে পারেনি। তিনি বললেন, মানুষ যাকে ভালবাসে, সে তারই সাথী হবে।�
ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক বর্ণিত, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করল, �হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়কে ভালবাসে, কিন্তু (আমলে) তাদের সমকক্ষ হতে পারেনি।� রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �মানুষ যাকে ভালবাসে, সে তারই সাথী হবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الإنسان في الآخرة مع من أحبهم في الدنيا.
الحديث فيه الحث على قوة محبَّة الرسل والصالحين، واتباعهم بحسب مراتبهم، والتحذير من محبة ضِدِّهم، فإنَّ المحبَّة دليل على قُوَّة اتصال المحب بمن يحبه، ومناسبته لأخلاقه، واقتدائه به، فهي دليل على وجود ذلك، وهي أيضا باعثة على ذلك، وأيضا من أحب الله تعالى، فإن نفس محبته من أعظم ما يُقرِّبه إلى الله، فإن الله -تعالى- شكور، يعطي المتقرب أعظم من ما بذل بأضعاف مضاعفة.
وكون المحِّب مع من أحب لا يستلزم مساواته له في منزلته وعلوّ مرتبته؛ لأن ذلك متفاوت بتفاوت الأعمال الصالحة والمتَاجِر الرابحة، ذلك أنَّ المعية تحصل بمجرد الاجتماع في شيء ما، ولا تلزم في جميع الأشياء، فإذا اتفق أنَّ الجميع دخلوا الجنَّة صدقت المعية وإن تفاوتت الدرجات، فمن أحب رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أو أحداً من المؤمنين كان معه في الجنة بحسن النية لأنها الأصل، والعمل تابع لها ولا يلزم من كونه معهم كونه في منزلتهم، ولا أن يُجزَى مثل جزائهم من كل وجه.
মানুষ আখিরাতে তাদের সাথে থাকবে দুনিয়াতে সে যাদের ভালো বাসে। হাদীসটিতে রাসূলগণ ও সালেহীনদের ভালোবাসা শক্তিশালী করা এবং তাদের মর্যাদা অনুযায়ী তাদের অনুসরণ করা এবং তাদের প্রতিপক্ষকে মহব্বত করা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহ প্রদান করা হয়। কারণ, মুহাব্বত করা প্রমাণ করে যে, যার প্রতি তার ভালোবাসা রয়েছে তার সাথে তার সম্পর্ক দৃঢ়, তার চরিত্রের সাথে তার সামঞ্জস্যতা রয়েছে এবং সে তার অনুসারী। মহব্বত এগুলোর দলিল, অনুরূপভাবে মহব্বত এসব করতে উদ্বুদ্ধ করে। এ ছাড়াও যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভালোবাসেন মনে রাখতে হবে, তাকে মুহাব্বাত করা তার নৈকট্য লাভের বড় একটি বিষয় ও মাধ্যম। কারণ, আল্লাহ তা�আলা শাকুর; যে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চায়, সে যে পরিমাণ খরচ করে আল্লাহ তাকে তার চেয়ে বহুগুণ বিনিময় দিয়ে থাকেন।
আর যে যাকে ভালোবাসে সে তার সাথী হওয়ায় এ কথাকে বাধ্য করে না যে, তারা উভয় মর্যাদার দিক দিয়ে সমান হতে হবে। কারণ, নেক আমলসমূহের কারণে এবং লাভজনক ব্যবসার কারণে তারা বিভিন্ন স্তরের হতে পারে। ফলে সাথে হওয়া কোন একটি বিষয়ে একত্র হওয়া দ্বারাই সাব্যস্ত হয়, সবকিছুতে একত্র হওয়া জরুরি নয়। যদি সবাই জান্নাতের প্রবেশের সুযোগ লাভ করেন তাহলে একসাথে হওয়া হয়ে গেল। যদিও তাদের স্তর বিভিন্ন হয়ে থাকে। যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালো বাসেন অথবা কোন একজন মু�মিনকে ভালোবাসে তখন সে তার ভালো নিয়তের কারণে তার সাথে জান্নাতে থাকবে। কারণ, নিয়তই আসল এবং আমল নিয়তের অনুসারী। তাদের সাথে থাকা এ কথাকে বাধ্য করে না যে, তাদের সাথে তাদের স্তরে হতে হবে এবং সর্বদিক দিয়ে তাদের সমান বিনিময় হতে হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[উভয় বর্ণনাসহ সহীহ]    ← →    উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3074

 
Hadith   128   الحديث
الأهمية: كنت مع النبي -صلى الله عليه وسلم- فبال، وتوضأ، ومسح على خفيه
থিম: আমি রাসূলুল্লাহর সাথে ছিলাম তারপর তিনি পেশাব করলেন ও অযু করলেন এবং তিনি মোজার উপর মাসাহ করলেন।

عن حذيفة بن اليمان -رضي الله عنهما- قال: �كنتُ مع النبي -صلى الله عليه وسلم- فبَالَ, وتوَضَّأ, ومَسَح على خُفَّيه�.

হুযায়ফা ইবনুল ইয়মান রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহর সাথে ছিলাম তারপর তিনি পেশাব করলেন ও অযু করলেন এবং তিনি মোজার উপর মাসাহ করলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر حذيفة بن اليمان -رضي الله عنه- أنه كان مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، وذلك في المدينة، فأراد النبي -صلى الله عليه وسلم- أن يقضي حاجته، فأتى زبالة قوم خلف حائط، فبال وتوضأ ومسح على خفيه، وكان وضوؤه بعد الاستجمار، أو الاستنجاء، كما هي عادته -صلى الله عليه وسلم-.
থিম: হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু সংবাদ দেন যে, একদিন তিনি মদীনাতে রাসূলুল্লাহর সাথে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেশাব করার ইচ্ছা করলে দেয়ালের পিছনে এক সম্প্রদায়ের ময়লার স্থানের আসলেন। তারপর তিনি পেশাব করলেন, অযু করলেন এবং স্বীয় মোজার উপর মাসাহ করলেন। আর তার অযুটি ছিল পাথর ব্যবহার কিংবা পানি ব্যবহারের পর। যেমন, এটিই ছিল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাধারণ অভ্যাস।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3075

 
Hadith   129   الحديث
الأهمية: كنت جنبا فكرهت أن أجالسك على غير طهارة، فقال: سبحان الله، إن المؤمن لاينجس
থিম: আমি জানাবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করিনি। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! মু�মিন অপবিত্র হয় না।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه-:"أنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- لَقِيَه في بَعض طُرُقِ المدينَة وهو جُنُبٌ، قال: فَانْخَنَسْتُ مِنه، فذهبت فَاغْتَسَلْتُ ثم جِئْتُ، فقال: أين كنت يا أبا هريرة؟ قال: كُنتُ جُنُبًا فَكَرِهتُ أن أُجَالِسَك على غيرِ طَهَارَة، فقال: سبحان الله، إِنَّ المُؤمِنَ لا يَنجُس".

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �তাঁর সাথে মাদীনার কোন একটি পথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এর দেখা হলো। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু তখন জানাবাতের অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, আমি নিজেকে অপবিত্র মনে করে সরে পড়লাম। পরে আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু গোসল করে এলেন। পুনরায় সাক্ষাত হলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, ওহে আবূ হুরায়রাহ! কোথায় ছিলে? আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বললেন, আমি জানাবাতের অবস্থায় আপনার সঙ্গে বসা সমীচীন মনে করিনি। তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! মু�মিন অপবিত্র হয় না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لقي أبو هريرة النبي -صلى الله عليه وسلم- في بعض طرق المدينة، وصادف أنه جنب فكان من تعظيمه للنبي -صلى الله عليه وسلم- وتكريمه إياه، أن كره مجالسته ومحادثته وهو على تلك الحال.
فانسل في خفية من النبي -صلى الله عليه وسلم- واغتسل، ثم جاء إليه.
فسأله النبي -صلى الله عليه وسلم- أين ذهب -رضي الله عنه- فأخبره بحاله، وأنه كره مجالسته على غير طهارة.
فتعجب النبي -صلى الله عليه وسلم- من حال أبي هريرة -رضي الله عنه- حين ظن نجاسة الجنب، وذهب ليغتسل وأخبره: أن المؤمن لا ينجس على أية حال.
মদীনার কোন একটি পথে নবী সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লামের সাথে আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর অপবিত্র থাকা কালীন সাক্ষাত হলো। তখন রাসূলের প্রতি সম্মান পদর্শন এবং মর্যাদার কারণে এ অবস্থায় তার সাথে কথা বলা ও উঠবস করা অপছন্দ করলেন। ফলে সে গোপনে রাসূলুল্লাহ থেকে সরে গিয়ে গোসল করলেন ও ফিরে এলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন যে, আবূ হুরায়ারাহ কোথায়? তখন তাকে সংবাদ দেওয়া হলো যে, সে অপবিত্র অবস্থায় উঠবস করাকে অপছন্দ করল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ হুরায়রার অবস্থায় আশ্চর্য হলেন, যখন আবু হুরায়রা জুনুবির নাপাকি ধারণা করল ও গোসল করতে গেল, তখন তিনি তাকে সংবাদ দিলেন, মু�মিন কোন অবস্থাতেই অপবিত্র হয় না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3076

 
Hadith   130   الحديث
الأهمية: إذا أتيتم الغائط، فلا تستقبلوا القبلة بغائط ولا بول، ولا تستدبروها، ولكن شرقوا أو غربوا
থিম: যখন তোমরা পায়খানা করতে যাও, তখন ক্বিবলার দিকে মুখ করবে না কিংবা পিঠও দিবে না, বরং তোমরা পূর্ব দিকে অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে।

عن أبي أيوب الانصاري -رضي الله عنه- مرفوعاً: "إذا أَتَيتُم الغَائِط, فَلاَ تَستَقبِلُوا القِبلَة بِغَائِط ولا بَول, ولا تَسْتَدْبِرُوهَا, ولكن شَرِّقُوا أو غَرِّبُوا".
   قال أبو أيوب: �فَقَدِمنَا الشَّام, فَوَجَدنَا مَرَاحِيض قد بُنِيَت نَحوَ الكَّعبَة, فَنَنحَرِف عَنها, ونَستَغفِر الله عز وجل� .

থিম: আবূ আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত, �যখন তোমরা পায়খানা করতে যাও, তখন ক্বিবলার দিকে মুখ করবে না কিংবা পিঠও দিবে না, বরং তোমরা পূর্ব দিকে অথবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে। আবূ আইয়ূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, �আমরা যখন সিরিয়ায় এলাম তখন পায়খানাগুলো ক্বিবলামুখী বানানো পেলাম। আমরা কিছুটা ঘুরে বসতাম এবং আল্লাহ তা�আলার নিকট তাওবাহ ইসতিগফার করতাম।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يرشد النبي صلى الله عليه وسلم إلى شيء من آداب قضاء الحاجة بأن لا يستقبلوا القبلة، وهى الكعبة المشرفة، ولا يستدبروها حال قضاء الحاجة؛ لأنها قبلة الصلاة، وموضع التكريم والتقديس، وعليهم أن ينحرفوا عنها قِبَلَ المشرق أو المغرب إذا كان التشريق أو التغريب ليس موجَّها إليها، كقبلة أهل المدينة.
ولما كان الصحابة رضي الله عنهم أسرع الناس قبولا لأمر النبي صلى الله عليه وسلم ، الذي هو الحق، ذكر أبو أيوب رضي الله عنه أنهم لما قدموا الشام إثر الفتح وجدوا فيها المراحيض المعدة لقضاء الحاجة، قد بنيت متجهة إلى الكعبة، فكانوا ينحرفون عن القبلة، ويستغفرون تورعا واحتياطا.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খান ও পেশাবের নিয়ম সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেন যে, তারা যেন পায়খান ও পেশাবের সময় কিবলার দিকে মুখ না করে। আর ক্বিবলা হলো কা�বা ঘর। অনুরূপভাবে ক্বিবলার দিকে পিঠও না দেয়। কারণ, তা সালাতের ক্বিবলা এবং সম্মানিত ও পবিত্র স্থান। তাদের ওপর কর্তব্য হলো তারা পশ্চিম ও পূর্ব দিকে ফিরে বসে, যদি সেদিকে ক্বিবলা না হয়ে থাকে। যেমন, মদীনাবাসীর ক্বিবলা। রাসূলের সাহাবীগণ তার হক নির্দেশ বাস্তবায়নে যেহেতু অতিদ্রুতগামী ছিলেন, আবূ আইউব আনসারী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, তারা যখন জয় লাভ করার পর সিরিয়ায় আগমন করলেন, তারা দেখতে পেলেন এখানে নির্মিত পায়খানাগুলো ক্বিবলার দিক মুখ করে বানানো। তখন তারা ক্বিবলা থেকে ফিরে যেতেন এবং সতর্কতা ও পরহেযগারীর কারণে তারা ক্ষমা চাইতেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3078

 
Hadith   131   الحديث
الأهمية: لا يمسكن أحدكم ذكره بيمينه وهو يبول ولا يتمسح من الخلاء بيمينه ولا يتنفس في الإناء
থিম: যখন তোমাদের কেউ পেশাব করবে তখন সে যেন তার পুরুষাঙ্গ ডান হাত দিয়ে না ধরে, ডান হাত দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করে। আর (পান করার সময়) পানির পাত্রে যেন নিঃশ্বাস না ফেলে।

عن أبي قتادة الأنصاري -رضي الله عنه- مرفوعاً: "لا يُمْسِكَنَّ أَحَدُكُم ذَكَره بَيمِينِه وهو يبول، ولا يَتَمَسَّحْ من الخلاء بيمينه، ولا يَتَنَفَّس في الإناء".

আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মরফূ� হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যখন তোমাদের কেউ পেশাব করবে তখন সে যেন তার পুরুষাঙ্গ ডান হাত দিয়ে না ধরে, ডান হাত দ্বারা ইস্তিঞ্জা না করে। আর (পান করার সময়) পানির পাত্রে যেন নিঃশ্বাস না ফেলে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يأمر النبي -صلى الله عليه وسلم- المسلمَ أن لا يمس ذكره حال بوله، ولا يزيل النجاسة من القبل أو الدبر بيمينه، وينهى كذلك عن التنفس في الإناء الذي يشرب منه لما في ذلك من الأضرار الكثيرة.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদেরকে পেশাব করার সময় পুরুষাঙ্গ ডান হাত দিয়ে স্পর্শ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। পায়খানা বা পেশাব যেন ডান হাত দিয়ে দূর না করে। অনুরূপভাবে যে পাত্রে পানি পান করে সে পাত্রে যেন নিশ্বাস না ফেলে। কারণ, এতে অনেক ক্ষতি রয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3079

 
Hadith   132   الحديث
الأهمية: نهى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن الخذف، وقال: إنه لا يقتل الصيد، ولا ينكأ العدو، وإنه يفقأ العين، ويكسر السن
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বৃদ্ধ ও তর্জনী আঙ্গুল দ্বারা) কাঁকর ছুঁড়তে নিষেধ করেছেন। কেননা, তা দিয়ে শিকার করা যায় না এবং শত্রুকে ঘায়েলও করা যায় না। বরং তাতে চোখ নষ্ট হয় ও দাঁত ভাঙ্গে।

عن عبد الله بن مغفل -رضي الله عنهما- قال: نَهَى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن الخَذْف، وقال: �إِنَّه لاَ يَقتُلُ الصَّيدَ، ولاَ يَنْكَأُ العَدُوَّ، وإِنَّهُ يَفْقَأُ العَيْنَ، ويَكسِرُ السِّنَ�.
وفي رواية: أن قَرِيباً لابن مغفل خَذَفَ فنَهَاه، وقال: إن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- نهى عن الخَذْفِ، وقال: �إِنَّهَا لاَ تَصِيدُ صَيداً� ثم عاد، فقال: أُحَدِّثُك أنَّ رسول الله نهى عنه، ثم عُدتَ تَخذِفُ! لا أُكَلِّمُكَ أَبَداً.

আবূ সাঈদ আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বৃদ্ধ ও তর্জনী আঙ্গুল দ্বারা) কাঁকর ছুঁড়তে নিষেধ করেছেন। কেননা, তা দিয়ে শিকার করা যায় না এবং শত্রুকে ঘায়েলও করা যায় না। বরং তাতে চোখ নষ্ট হয় ও দাঁত ভাঙ্গে। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, ইবনে মুগাফ্ফাল রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-এর এক আত্মীয় দুই আঙ্গুল দিয়ে কাঁকর ছুঁড়ছিল। তা দেখে তিনি তাকে নিষেধ করলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ঐভাবে) কাঁকর ছুঁড়তে নিষেধ করেছেন। কেননা, তা দিয়ে শিকার করা যায় না। কিন্তু সে আবার ঐ কাজ করতে লাগল। তখন তিনি বলে উঠলেন, �আমি তোমাকে বলছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজ করতে নিষেধ করেছেন আবার তুমি ছুঁড়তে লাগলে? যাও! তোমার সাথে আর কথাই বলব না।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر عبد الله بن مغفلٍ ـرضي الله عنه- بأن النبي -صلى الله عليه وسلم- نهى عن الحذف، وقال: (إنه لا يقتل صيداً) وفي لفظ: (لا يصيد صيداً) (ولا ينكأ عدواً، وإنما يفقأ العين ويكسر).
والحذف: قال العلماء: معناه أن يضع الإنسان حصاة بين السبابة اليمنى والسبابة اليسرى أو بين السبابة والإبهام، فيضع على الإبهام حصاة يدفعها بالسبابة، أو يضع على السبابة ويدفعها بالإبهام.
وقد نهى عنه النبي -صلى الله عليه وسلم- وعلَّل ذلك بأنَّه يفقأ العين ويكسر السن إذا أصابه، (ولا يصيد الصيد)؛ لأنه ليس له نفوذ (ولا ينكأ العدو) يعني لا يدفع العدو؛ لأن العدو إنما ينكأ بالسهام لا بهذه الحصاة الصغيرة.
ثم إن قريباً له خذف، فنهاه عن الخذف وأخبره أن النبي -صلى الله عليه وسلم- نهى عن الخذف، ثم إنه رآه مرة ثانية يخذف، فقال له: (أخبرتك أن النبي -صلى الله عليه وسلم- نهى عن الخذف، فجعلت تخذف!! لا أكلمك أبداً) فهجره؛ لأنه خالف نهي النبي -صلى الله عليه وسلم-.

থিম: আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফ্ফাল রাদিয়াল্লাহু <�আনহু সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বৃদ্ধ ও তর্জনী আঙ্গুল দ্বারা) কাঁকর ছুঁড়তে নিষেধ করেছেন। কেননা, তা দিয়ে শিকার করা যায় না এবং শত্রুকে ঘায়েলও করা যায় না। বরং তাতে চোখ নষ্ট হয় ও দাঁত ভাঙ্গে। খাযাফ সম্পর্কে ওলামাগণ বলেন, এর অর্থ হলো, কোন ব্যক্তি একটি পাথর তার ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল এবং বাম হাতের শাহাদাত আঙ্গুলের মাঝে রাখবে অথবা শাহাদাত আঙ্গুল বা বৃদ্ধা আঙ্গুলে মাঝে রাখবে। অর্থাৎ, বৃদ্ধা আঙ্গুলের উপর পাথর রাখবে আর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা নিক্ষেপ করবে। অথবা শাহাদাত আঙ্গুলের উপর রাখবে এবং বৃদ্ধা আঙ্গুল দ্বারা মারবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিষেধ করেছেন। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কেননা, তা চোখে বা দাঁতে লাগলে চোখ নষ্ট করবে এবং দাঁত ভাঙ্গবে। তা দিয়ে শিকার করা যায় না। কারণ, তার কোন ধার নাই। আর তা দ্বারা দুশমণকে প্রতিহত করা যায় না। কারণ, দুশমণকে কেবল তীর দ্বারা প্রতিহত করা যায়। এ সব ছোট পাথর দিয়ে দুশমণকে দমানো সম্ভব নয়। তারপর সে তার এক আত্মীয়কে দুই আঙ্গুল দিয়ে কাঁকর ছুঁড়তে দেখলেন। তিনি তাকে পাথর ছুড়তে নিষেধ করলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ঐভাবে) কাঁকর ছুঁড়তে নিষেধ করেছেন। তারপর তিনি তাকে দ্বিতীয়বার ঐ কাজ করতে দেখেন। তখন তিনি বলে উঠলেন, �আমি তোমাকে বলছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজ করতে নিষেধ করেছেন, আর তুমি আবার পাথর ছুঁড়তে লাগলে? যাও! তোমার সাথে আমি আর কখনোই কথা বলব না।� তিনি তার সাথে সম্পর্ক চিহ্ন করলেন। কারণ, সে রাসূলের নিষেধের বিরোধিতা করছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3080

 
Hadith   133   الحديث
الأهمية: نهى -صلى الله عليه وسلم- عن الصلاة بعد الصبح حتى تطلع الشمس, وبعد العصر حتى تغرب
থিম: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের পর সূর্য উজ্জ্বল হয়ে না উঠা পর্যন্ত এবং �আসরের পর সূর্য অস্তমিত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنه- قال: �شَهِد عِندِي رِجَال مَرْضِيُون - وأَرْضَاهُم عِندِي عُمر- أنَّ النَبِي صلى الله عليه وسلم نَهَى عن الصَّلاة بَعد الصُّبح حتَّى تَطلُعَ الشَّمسُ، وبعد العصر حتَّى تَغرُب�.
وعن أبي سعيد -رضي الله عنه- عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أنه قال: �لا صَلاَة بعد الصُّبح حتَّى تَرتَفِعَ الشَّمسُ، ولا صَلاَة بعد العَصرِ حتَّى تَغِيبَ الشَّمس�.

আব্দুল্লাহ ইব্নু �আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কয়েকজন আস্থাভাজন ব্যক্তি- যাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলেন �উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে বলেছেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের পর সূর্য উজ্জ্বল হয়ে না উঠা পর্যন্ত এবং �আসরের পর সূর্য অস্তমিত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। আবূ সা�ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ফজরের পর সূর্য উপরে না উঠা পর্যন্ত এবং �আসরের পর সূর্য অস্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো সালাত নেই।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
نهى النبي -صلى الله عليه وسلم- في هذين الحديثين عن الصلاة بعد صلاة الصبح حتى تشرق الشمس وترتفع عن خط الأفق في نظر العين بقدر طول رمح مركوز في الأفق، وهذا يقدر ببِضْع دقائق، تفاوت العلماء في تحديدها، من 5 إلى 15 دقيقة.
ونهى أيضا عن الصلاة بعد صلاة العصر حتى تغيب الشمس، أي قبل أذان المغرب بدقائق؛ لأن في الصلاة في هذين الوقتين تشبهًا بالمشركين الذين يعبدونها عند طلوعها وغروبها، وقد نهينا عن مشابهتهم في عباداتهم؛ لأن من تشبه بقوم فهو منهم.
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দুটি হাদীসে ফজরের পর সূর্য উজ্জ্বল না হওয়া ও আপাত দৃষ্টিতে দিগন্তে পুঁতে রাখা তীর পরিমাণ উপরে না উঠা পর্যন্ত সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। আর এটি কয়েক মিনিট দ্বারা নির্ধারণ করা যায়। আলেমগণ তা নির্ধারণে ৫ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত হতে পারে বলে মতানৈক্য করেছেন। অনুরূপভাবে �আসরের পর সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। অর্থাৎ মাগরিবের আযানের কয়েক মিনিট পূর্বে। কারণ, এ দুটি ওয়াক্তে সালাত আদায় করলে সেসব মুশরিকদের সাথে সদৃশ হয় যারা সূর্য উদয় ও অস্ত যাওয়ার সময় তার ইবাদত করে। আর ইবাদতে তাদের সদৃশ অবলম্বন থেকে আমাদের নিষেধ করা হয়েছে। কারণ, যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ে লোকের সাথে সদৃশ অবলম্বন করে সে তাদের অন্তর্ভুক্ত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3081

 
Hadith   134   الحديث
الأهمية: كان ابن مسعود -رضي الله عنه- يذكرنا في كل خميس
থিম: ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু প্রত্যেক বৃহস্পতিবারে আমাদেরকে নসীহত শুনাতেন। একটি লোক তাঁকে নিবেদন করল, �হে আবূ আব্দুর রহমান! আমার বাসনা এই যে, আপনি আমাদেরকে যদি প্রত্যেক দিন নসীহত শুনাতেন (তো ভাল হত)।� তিনি বললেন, �স্মরণে রাখবে, আমাকে এতে বাধা দিচ্ছে এই যে, আমি তোমাদেরকে বিরক্ত করতে অপছন্দ করি। আমি নসীহতের ব্যাপারে তোমাদের প্রতি ঠিক ঐভাবে লক্ষ্য রাখছি, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বিরক্ত হবার আশংকায় উক্ত বিষয়ে আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন।�

عن شقيق بن سلمة -رحمه الله- قال: كان ابن مسعود -رضي الله عنه- يُذَكِّرُنا في كل خميس، فقال له رجل: يا أبا عبد الرحمن، لَوَدِدْتُ أنك ذَكَّرْتَنا كل يوم، فقال: أما إنه يمنعني من ذلك أني أكره أن أُمِلَّكُم، وإني أَتَخَوَّلُكُم بالمَوْعِظَةِ، كما كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يَتَخَوَّلُنَا بها مَخَافَةَ السَّآمَةِ علينا.

আবূ ওয়ায়েল শাকীক ইবনে সালামা-রাহিমাহুল্লাহ- হতে বর্ণিত তিনি বলেন, ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু প্রত্যেক বৃহস্পতিবারে আমাদেরকে নসীহত শুনাতেন। একটি লোক তাঁকে নিবেদন করল, �হে আবূ আব্দুর রহমান! আমার বাসনা এই যে, আপনি আমাদেরকে যদি প্রত্যেক দিন নসীহত শুনাতেন (তো ভাল হত)।� তিনি বললেন, �স্মরণে রাখবে, আমাকে এতে বাধা দিচ্ছে এই যে, আমি তোমাদেরকে বিরক্ত করতে অপছন্দ করি। আমি নসীহতের ব্যাপারে তোমাদের প্রতি ঠিক ঐভাবে লক্ষ্য রাখছি, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বিরক্ত হবার আশংকায় উক্ত বিষয়ে আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر شقيق بن سلمة -رحمه الله- أن ابن مسعود -رضي الله عنه- كان يعظهم كل خميس، فقال له رجل: إننا لنحب أن تعظنا كل يوم، فقال: إن الذي يمنعني من ذلك كراهية أن أوقعكم في الملل والضجر، وإني أتعهدكم بالموعظة وأتفقد حال احتياجكم إليها كما كان يفعل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- معنا، خشية أن يوقعنا في الملالة، إذ لا تأثير للموعظة عند الملالة.
শাকীক ইবনে সালামা-রাহিমাহুল্লাহ- বলেন, ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু �আনহু প্রত্যেক বৃহস্পতিবারে আমাদেরকে নসীহত শুনাতেন। একটি লোক তাঁকে নিবেদন করল, আমরা পছন্দ করি যে, আপনি আমাদেরকে প্রত্যেক দিন নসীহত শুনান। তিনি বললেন, আমাকে এতে যে বিষয়টি বারণ করছে, তা হলো আমি তোমাদেরকে বিরক্তি ও সংকোচে ফেলতে অপছন্দ করি। আমি নসীহতের ব্যাপারে তোমাদের প্রতি ঠিক ঐভাবে লক্ষ্য রাখছি, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বিরক্ত হবার আশংকায় উক্ত বিষয়ে আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন।� কারণ, বিরক্তির সময় নসীহত করা দ্বারা কোন উপকার হয় না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3082

 
Hadith   135   الحديث
الأهمية: ليس منا من لم يرحم صغيرنا، ويعرف شرف كبيرنا
থিম: যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান জানে না সে আমার দলভুক্ত নয়।

عن عبد الله بن عمرو بن العاص -رضي الله عنهما- مرفوعاً: �ليس منا من لم يَرحمْ صغيرنا، ويَعرفْ شَرَفَ كبيرنا�.

আব্দুল্লাহর ইবন �আমর ইবনুল �আস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত �যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান জানে না সে আমার দলভুক্ত নয়।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
ليس من المسلمين المتمسكين بالسنة الملازمين لها من لا يرحم الصغير من المسلمين فيشفق عليه ويحسن إليه ويلاعبه، ومن لا يعرف للكبير ما يستحقه من التعظيم والإجلال، ولفظة (ليس منا) من باب الوعيد والتحذير، ولا يعني خروج الشخص من الإسلام.
মুসলিমদের মধ্যে যারা ছোটদের প্রতি অনুগ্রহ, দয়া এবং তাদের সাথে খেল তামাশা করে না তারা সুন্নাতের অনুসারী এবং সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরেন এমন মুসলিম নন। অনুরূপভাবে যে বড়দের উপযুক্ত ইজ্জত ও সম্মান সম্পর্কে জানে না সেও।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3083

 
Hadith   136   الحديث
الأهمية: لَتُسَوُّنَّ صفوفَكم أو ليخالِفَنَّ اللهُ بين وُجُوهِكم
থিম: তোমরা অবশ্যই তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করবে, নচেৎ তিনি তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দিবেন।

عن النعمان بن بشير -رضي الله عنه- مرفوعاً: �لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُم أو لَيُخَالِفَنَّ الله بين وُجُوهِكُم�.
وفي رواية: �كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يُسَوِّي صُفُوفَنَا، حتى كَأَنَّمَا يُسَوِّي بها القِدَاح، حتَّى إِذَا رأى أَنْ قد عَقَلْنَا عَنهُ، ثم خَرَج يومًا فَقَام، حتَّى إِذَا كاد أن يُكَبِّرُ، فَرَأَى رَجُلاً بَادِيًا صَدرُهُ، فقال: عِبَادَ الله، لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُم أو لَيُخَالِفَنَّ الله بين وُجُوهِكُم�.

নু�মান ইবন বশীর রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত, �তোমরা তোমাদের (সালাতের) কাতার অবশ্যই সোজা কর, নতুবা আল্লাহ তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দিবেন। (অথবা তোমাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে দেবেন।)� অন্য এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাতারসমূহ এমনভাবে সোজা করতেন, যেন তিনি তার দ্বারা তীর সোজা করছেন। যতক্ষণ না তিনি অনুভব করতেন যে, আমরা তাঁর নিকট থেকে এর গুরুত্ব বুঝে নিয়েছি। অতঃপর একদিন তিনি (সালাত পড়ার জন্য) বের হয়ে তিনি (ইমামের জায়গায়) দাঁড়ালেন। এমনকি তিনি তাকবীর বলে সালাত শুরু করতে যাচ্ছেন, এমতাবস্থায় তিনি একটি লোককে দেখলেন যে, সে তার বুক কাতার থেকে বের করে রেখেছে। সুতরাং তিনি বললেন, �হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা অবশ্যই তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করবে, নচেৎ তিনি তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দিবেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أكد -صلى الله عليه وسلم- أَّنَّه إن لم تعدل الصفوف وتسوى فليخالفنَّ الله بين وجوه الذين اعوجت صفوفهم فلم يعدلوها، وذلك بأنه حينما يتقدم بعضهم على بعض في الصف، ويتركون الفرجات بينهم.
وكان -صلى الله عليه وسلم- يعلم أصحابه بالقول ويهذبهم بالفعل، فظل يقيمهم بيده، حتى ظن -صلى الله عليه وسلم- أنهم قد عرفوا وفهموا، وفي إحدى الصلوات رأى واحدا من الصحابة قد بدا صدره في الصف من بين أصحابه، فغضب -صلى الله عليه وسلم- وقال "لتسون صفوفكم أو ليخالفن الله بين وجوهكم".
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুরুত্ব দেন যে, যদি কাতার সোজা না করে তখন আল্লাহ যাদের কাতার বাঁকা তাদের চেহারার মধ্যে পরিবর্তন করে দিবেন। আর এটি তখন হবে যখন তাদের কাতারে একজন আগে পিছে দাঁড়াবে এবং তাদের মাঝে ফাঁকা থেকে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের কথার মাধ্যমে শেখাতেন এবং কাজের মাধ্যমেও দেখাতেন। তিনি তাদের কাতার নিজ হাতে ঠিক করতেন, এক পর্যায়ে তার ধারণা হয় যে, তারা জেনেছেন এবং বুঝেছেন। কোনো এক সালাতে একজন সাহাবীর বুক অন্যান্য সাহাবীদের মধ্যে প্রকাশ পেল। তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্ষুব্ধ হলেন এবং বললেন, তোমরা অবশ্যই তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করবে, নচেৎ তিনি তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দিবেন।�
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3085

 
Hadith   137   الحديث
الأهمية: أما يخشى الذي يرفع رأسه قبل الإمام أن يحول الله رأسه رأس حمار, أو يجعل صورته صورة حمار؟
থিম: তোমাদের কেউ যখন ইমামের আগে মাথা তোলে, তখন তার মনে কি ভয় হয় না যে, মহান আল্লাহ তার মাথা, গাধার মাথায় পরিণত ক�রে দেবেন অথবা তার আকৃতি গাধার আকৃতি ক�রে দেবেন?

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: �أما يخشى الذي يرفع رأسه قبل الإمام أن يُحَوِّلَ الله رأسه رأس حمار، أو يجعل صورته صُورة حمار؟�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �তোমাদের কেউ যখন ইমামের আগে মাথা তোলে, তখন তার মনে কি ভয় হয় না যে, মহান আল্লাহ তার মাথা, গাধার মাথায় পরিণত ক�রে দেবেন অথবা তার আকৃতি গাধার আকৃতি ক�রে দেবেন?�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
إنَّما جعل الإمام في الصلاة ليُقتدى به ويؤتم به، بحيث تقع تنقلات المأموم بعد تنقلاته، وبهذا تحقق المتابعة، فإذا سابقه المأموم، فاتت المقاصد المطلوبة من الإمامة، لذا جاء هذا الوعيد الشديد على من يرفع رأسه قبل إمامه، بأن يجعل الله رأسه رأس حمار، أو يجعل صورته صورة حمار، بحيث يمسخ رأسه من أحسن صورة إلى أقبح صورة، جزاء لهذا العضو الذي حصل منه الرفع والإخلال بالصلاة.
সালাতে অনুকরণ ও অনুসরনের জন্যই ইমাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ইমামের নড়াচড়ার পরেই মুক্তাদীগণ নড়াচড়া করবেন। আর এ দ্বারাই অনুকরণ বাস্তবায়িত হবে। যদি মুক্তাদি ইমামের আগেই কর্ম সম্পাদন করে তবে ইমামতির কাঙ্খিত উদ্দেশ্য ছুটে যাবে। এ কারণেই যে ব্যক্তি ইমামের মাথা উঠানোর পূর্বে মাথা উঠায় তার জন্য কঠিন হুমকি এসেছে যে, আল্লাহ তা�আলা তার মাথাকে গাঁধার মাথায় রুপান্তরিত করে দেবেন। যে অঙ্গ দ্বারা উঠা হলো এবং সালাতে বিঘ্ন ঘটানো হলো সে অঙ্গের শাস্তি হিসেবে তার মাথাকে সুন্দর আকৃতি থেকে কুৎসী আকৃতিতে পরিবর্তন করে দেবেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3086

 
Hadith   138   الحديث
الأهمية: أنت مع من أحببت
থিম: তুমি যাকে ভালবাস, তারই সাথী হবে।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- أنَّ أَعْرَابِيًا قال لرسول الله صلى الله عليه وسلم: مَتَى السَّاعَة؟ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: �مَا أَعْدَدْتَ لَهَا؟� قال: حُبُّ الله ورَسُولِه، قال: �أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ�.

আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, একজন গ্রাম্য ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করল, �হে আল্লাহর রাসূল! কিয়ামত কবে ঘটবে?� তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, �তুমি এর জন্য কি প্রস্তুতি নিয়েছ?� সে বলল, �আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালোবাসা।� তিনি বললেন, �তুমি যাকে ভালোবাস, তারই সাথী হবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سأل الأعرابي (متى الساعة؟) ولو قال له الرسول -صلى الله عليه وسلم-: ما أعلمها، لما شفى نفس الأعرابي، ولكن حكمة الرسول -صلى الله عليه وسلم- مالت عن أصل السؤال إلى إجابته بما يجب عليه دون ما ليس له، وهو ما يسمى بأسلوب الحكيم، فقال الرسول -صلى الله عليه وسلم-: �مَا أَعْدَدْتَ لَهَا؟� وهو سؤال تنبيه، وتذكير بما يجب عليه التفكير فيه، والانشغال به، فقال الأعرابي: "حُبُّ الله ورَسُولِه"، فجاءت إجابة الأعرابي بعفوية تفيض بالمودة والمحبة، والإيمان، والانخلاع عن الاتكال على عمله والرواية الثانية تؤكد هذه المعاني في قول الأعرابي: " مَا أَعْدَدْتُ لَهَا مِنْ كَثِيرِ صَومٍ، ولاَ صَلاَةٍ، وَلاَ صَدَقَةٍ، ولَكِنِّي أُحِبَّ الله ورَسُولَه"؛ فلذا جاء جواب الرسول -صلى الله عليه وسلم-: �أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ�.
   ففي الحديث الحث على قوة محبة الرسل، واتباعهم بحسب مراتبهم، والتحذير من محبة ضدهم، فإن المحبة دليل على قوة اتصال المحب بمن يحبه، ومناسبته لأخلاقه، واقتدائه به.
গ্রাম্য লোকটি জিজ্ঞাসা করলো কিয়ামত কখন? যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা বলতেন, আমি জানি না। তাহলে লোকটির অন্তর তৃপ্তি পেত না। কিন্তু রাসূলের হিকমত ছিল মুল প্রশ্নের জওয়াব দেওয়া থেকে এড়িয়ে গিয়ে তার ওপর যা করা ওয়াজিব তার প্রতি মনোনিবেশ করা। একে প্রজ্ঞাময় পদ্ধতি নাম করণ করা হয়। তাই তিনি বললেন, তুমি তার জন্য কি প্রস্তুত করছ? এটি সতর্কীকরণ প্রশ্ন এবং তার যে বিষয়ে চিন্তা করা এবং যে নিয়ে ব্যস্ত থাকা ওয়াজিব তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। লোকটি বলল, আল্লাহ ও তার রাসূলের মুহাব্বত। লোকটির উত্তর এমনভাবে বেড়িয়ে এসেছে, যা মহব্বত, ভালোবাসা, ইমান এবং আমলের ওপর ভরসা না করার বিষয়টি স্পষ্ট করে। এ অর্থই সাব্যস্ত করে দ্বিতীয় বর্ণনায় গ্রাম্য লোকটির কথা: �আমি তার জন্য অধিক সাওম, সালাত ও সাদকা তৈরি করি নাই। তবে আমি আল্লাহ ও তার রাসূলকে ভালোবাসি�। এ কথার কারণেই রাসূলের উত্তর এসেছে: �তুমি তার সাথে যাকে তুমি ভালোবাস� হাদীসটি রাসূলগণের প্রতি শক্তিশালী মুহাব্বাতের ওপর, তাদের মর্যাদা অনুযায়ী তাদের অনুসরণ করা এবং বিরোধীদের মুহাব্বত থেকে সতর্ক থাকার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। কারণ, মুহব্বাত হলো মুহব্বাতকারী যাকে মুহব্বত করে তার সাথে তার সম্পর্কের দৃঢ়তা, তার চরিত্রের গ্রহণযোগ্যতা ও তার অনুসরণ করার প্রমাণ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3087

 
Hadith   139   الحديث
الأهمية: لا صلاة بحضرة طعام، ولا وهو يدافعه الأخبثان
থিম: খাবার উপস্থিত থাকাকালীন অবস্থায় সালাত নেই, আর পেশাব পায়খানার চাপ সামাল দেওয়ার অবস্থায়ও সালাত নেই।

عن عائِشَة -رضي الله عنها- مرفوعاً: �لا صلاة بِحَضرَة طَعَام، وَلا وهو يُدَافِعُه الأَخبَثَان�.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু �আনহা হতে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, �খাবার উপস্থিত থাকাকালীন সালাত নেই, আর পেশাব পায়খানার চাপ সামাল দেওয়ার অবস্থায়ও সালাত নেই।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يؤكِّد هذا الحديث رغبة الشارع في حضور قلب المكلَّف في الصلاة بين يدي ربِّه، ولا يكون ذلك إلا بقطع الشواغل؛ التي يسبب وجودها عدم الطمأنينة والخشوع؛ لهذا: فإن الشارع ينهي عن الصلاة بحضور الطعام الذي تتوق نفس المصلي إليه، ويتعلق قلبه به، وكذلك ينهى عن الصلاة مع مدافعة الأخبثين، -اللذين هما البول والغائط-؛ لانشغال خاطره بمدافعة الأذى.
হাদীসটি সালাতে আল্লাহর সামনে অবস্থান করার সময় মুসল্লির অন্তর মনোযোগী রাখতে শরীয়তের আগ্রহকে গুরুত্বসহ পেশ করেছে। তবে তা ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হওয়া ছাড়া কখনোই হাসিল হয় না। যে ব্যস্ততা প্রশান্তি ও একাগ্রতার প্রতিন্ধক। এ কারণেই শারে� (শরী�আত প্রণেতা) যে খাবারের প্রতি সালাত আদায়কারীর আগ্রহ রয়েছে এবং তার অন্তর যে খাবারের সাথে সম্পৃক্ত থাকে সে খাবার উপস্থিতিতে সালাত আদায় থেকে নিষেধ করেছেন। অনুরূপভাবে পায়খানা ও পেশাব প্রতিহত করা অবস্থায় সালাত আদায় থেকে নিষেধ করেছেন। কারণ, তখন তার অন্তর কষ্ট দূর করতে ব্যস্ত থাকবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3088

 
Hadith   140   الحديث
الأهمية: أقبلت راكبا على حِمار أَتَانٍ، وأنا يومئذ قد نَاهَزْتُ الاحْتِلامَ، ورسول الله -صلى الله عليه وسلم- يصلِّي بالناس بِمِنًى إلى غير جِدار
থিম: আমি সাবালক হবার নিকটবর্তী বয়সে একদা একটি গাধীর উপর আরোহিত অবস্থায় এলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন মিনায় সালাত আদায় করছিলেন তার সামনে কোন দেয়াল না রেখেই। তখন আমি কোন এক কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলাম এবং গাধীটিকে বিচরণের জন্য ছেড়ে দিলাম। আমি কাতারের ভেতর ঢুকে পড়লাম কিন্তু এতে কেউ আমাকে নিষেধ করেননি।

عن عبد الله بن عَبَّاس -رضي الله عنهما- قال: أقبلْتُ راكبا على حِمار أَتَانٍ، وأنا يومئذ قد نَاهَزْتُ الاحْتِلامَ، ورسول الله -صلى الله عليه وسلم- يصلِّي بالناس بِمِنًى إلى غير جِدار، مررتُ بين يدي بعض الصفّ، فنزلت، فأرسلتُ الأَتَانَ تَرْتَعُ، ودخلتُ في الصفّ، فلم يُنْكِرْ ذلك عليَّ أحد.

�আবদুল্লাহ্ ইব্নু �আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাবালক হবার নিকটবর্তী বয়সে একদা একটি গাধীর উপর আরোহিত অবস্থায় এলাম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন মিনায় সালাত আদায় করছিলেন তার সামনে কোন দেয়াল না রেখেই। তখন আমি কোন এক কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলাম এবং গাধীটিকে বিচরণের জন্য ছেড়ে দিলাম। আমি কাতারের ভেতর ঢুকে পড়লাম কিন্তু এতে কেউ আমাকে নিষেধ করেননি।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- أنه لما كان مع النبي -صلى الله عليه وسلم- في مِنى في حجة الوداع، أقبل راكباً على أَتَان -حمار أنثى- فمرّ على بعض الصف، والنبي -صلى الله عليه وسلم- يصلى بأصحابه ليس بين يديه جِدار، فنزل عن الأَتَان وتركها ترعى، ودخل هو في الصف.
وأخبر -رضى الله عنه- أنه في ذلك الوقت قد قارب البلوغ، يعنى في السن التي ينكر عليه فيها لو كان قد أتى مُنكراً يفسد على المصلين صلاتهم، ومع هذا فلم ينكر عليه أحد، لا النبي -صلى الله عليه وسلم-، ولا أحد من أصحابه.
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা জানান যে, তিনি বিদায় হজে মিনাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে উপস্থিত ছিলেন। ফলে একটি গাধীর ওপর সাওয়ার হয়ে উপস্থিত হয়ে কোন একটি কাতারের সামনে দিয়ে অতিক্রম করেন। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথীদের নিয়ে সালাত আদায় করছেন তার সামনে কোন দেয়াল ছিল না। তারপর তিনি উট থেকে নামেন এবং তাকে চরতে ছেড়ে দেন। আর নিজে কাতারে প্রবেশ করেন। আর জানান যে, ঐ সময় তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কাছাকাছি হন। অর্থাৎ, যে বয়সে বারণ করা হয়। যদি সে কোন অন্যায় কর্ম করত যা মুসল্লীদের সালাতকে নষ্ট করে দেয়, তাহলে অবশ্যই তাকে নিষেধ করা হত। তা সত্বেও কেউ তাকে নিষেধ করেননি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও নয় এবং তার সাথীদের থেকেও কেউ নয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3090

 
Hadith   141   الحديث
الأهمية: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان يرفع يديه حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ إذا افْتَتَحَ الصلاة، وإذا كبّر للرُّكُوعِ، وإذا رفع رأسه من الركوع رَفَعَهُمَا كذلك
থিম: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শুরু করতেন, তখন উভয় হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকূ�তে যাওয়ার জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকূ� হতে মাথা উঠাতেন তখনও একইভাবে দু�হাত উঠাতেন।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان يرفع يديه حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ إذا افْتَتَحَ الصلاة، وإذا كبّر للرُّكُوعِ ، وإذا رفع رأسه من الركوع رَفَعَهُمَا كذلك، وقال: سَمِعَ الله لمن حَمِدَهُ رَبَّنَا ولك الحمد، وكان لا يفعل ذلك في السُّجُودِ.

�আবদুল্লাহ্ ইব্নু �উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাত শুরু করতেন, তখন উভয় হাত তাঁর কাঁধ বরাবর উঠাতেন। আর যখন রুকূ�তে যাওয়ার জন্য তাকবীর বলতেন এবং যখন রুকূ� হতে মাথা উঠাতেন তখনও একইভাবে দু�হাত উঠাতেন এবং سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ বলতেন। কিন্তু সাজদার সময় এমন করতেন না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الصلاة عبادة عظيمة، فكل عضو في البدن له فيها عبادة خاصة.
ومن ذلك، اليدان فلهما وظائف، منها رفعهما عند تكبيرة الإحرام، والرفع زينة للصلاة وتعظيم لله -تعالى-، ويكون رفع اليدين إلى مقابل منكبيه، ورفعهما أيضاً للركوع في جميع الركعات، وإذا رفع رأسه من الركوع، في كل ركعة، وفي هذا الحديث، التصريح من الراوي: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- لا يفعل ذلك في السجود حيث إنه هوي ونزول.
সালাত একটি মহান ইবাদত। সালাতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের আলাদা ইবাদত রয়েছে। তন্মধ্যে দুই হাত উল্লেখ্যযোগ্য, তার জন্যে রয়েছে আলাদা দায়িত্ব। যেমন সালাতের সৌন্দর্য হিসেবে তাকবীরে তাহরীমার সময় দুই হাত তোলা।তাকবীর আল্লাহর ক্ষমতা ও সত্তার উচ্চতাকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর আল্লাহু আকবর আল্লাহর মর্যাদার উচ্চতাকে অন্তভুর্ক্ত করে। আর দুই হাত কাঁধ বরাবর তুলতে হবে। অনুরূপবাবে প্রতি রাকা�আতে রুকুতে যাওয়ার সময় এবং রুকু থেকে উঠার সময় দুই হাত উঠাবে।এ হাদীসটিতে বর্ণনাকারীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয় যে, হাত উঠানোর কাজটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেজদা থেকে উঠা নামার সময় করতেন না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3095

 
Hadith   142   الحديث
الأهمية: عَلَّمَنِي رسولُ الله -صلى الله عليه وسلم- التَّشَهُّد، كفِّي بين كفيه، كما يُعَلِّمُنِي السورة من القرآن
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত তার দুই হাতের মাঝে রেখে আমাকে তাশহহুদ শিখিয়েছেন যেমনিভাবে তিনি কুরআনের সূরা শেখান। অর্থ: �সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক �ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার ওপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।� আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মা�বূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।

عن عبد الله بن مَسْعُود -رضي الله عنه- قال: عَلَّمَنِي رسول الله -صلى الله عليه وسلم- التَّشَهُّد، كَفِّي بين كفيه، كما يُعَلِّمُنِي السورة من القرآن: التَّحِيَّاتُ للَّه, وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ، السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته، السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين، أشهد أن لا إله إلا الله وأشهد أن محمدا عبده ورسوله�.
وفي لفظ: �إذا قعد أحدكم في الصلاة فليقل: التحيات لله...� وذكره، وفيه: �فإنكم إذا فعلتم ذلك فقد سَلَّمْتُمْ على كل عبد صالح في السماء والأرض ...� وفيه: � ... فَلْيَتَخَيَّرْ من المسألة ما شاء�.

আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহ �আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত তার দুই হাতের মাঝে রেখে আমাকে তাশহহুদ শিখিয়েছেন যেমনিভাবে তিনি কুরআনের সূরা শেখান। অর্থ: �সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক �ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার ওপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।� আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মা�বূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল�। অপর বর্ণনায় বর্ণিত, �যখন তোমাদের কেউ সালাতে বসে সে যেন বলে, আততাহিয়্যাতু<� তিনি পুরো তাশাহহুদ উল্লেখ করেন। তাতে আরো রয়েছে: �কেননা, যখন তোমরা এটা বাস্তবায়ন করবে, তখন তোমরা আসমান ও যমীনের সকল নেক বান্দার নিকট সালাম পৌঁছালে।� আর তাতে আরও রয়েছে �সে যা ইচ্ছা আল্লাহর কাছে দো�আ করুক�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يذكر عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- علمه التَّشَهُّد، الذي يقال في جلوس الصلاة الأول والأخير في الصلاة الرباعية، والثلاثية، وفي الجلوس الأخير في الصلاة الثنائية، وأن النبي -صلى الله عليه وسلم- اعتنى بتعليمه التشهد، فجعل يده في يده.
فقد ابتدأت بتعظيم الله -تعالى-، التعظيم المطلق، وأنه المستحق للصلوات وسائر العبادات، والطيبات من الأقوال والأعمال والأوصاف.
وبعد أن أثنى على الله -تعالى- ثنّى بالدعاء للنبي -صلى الله عليه وسلم- بالسلامة من النقائص والآَفات، وسأل الله له الرحمة والخير، والزيادة الكاملة من ذلك، ثم دعا لنفسه والحاضرين من الآدميين والملائكة.
ثم عم بدعائه عباد الله الصالحين كلهم، من الإنس، والجن، والملائكة أهل السماء والأرض، من السابقين واللاحقين، فهذا من جوامع كلمه -صلى الله عليه وسلم-.
ثم شهد الشهادة الجازمة بأنه لا معبود بحق إلا الله، وأن محمداً -صلى الله عليه وسلم- له صفتان:
إحداهما: أنه متصف بصفة العبودية.
والثانية: صفة الرسالة.
وكلا الصفتين، صفة تكريم وتشريف، وتوسط بين الغُلُوِّ والجفاء.
وقد ورد للتشهد صفات متعددة، ولكن أفضلها وأشهرها تَّشَهُّد ابن مسعود الذي ساقه المصنف، ويجوز الإتيان بما صح من باقي الصفات.
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহ �আনহু আলোচনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তাশাহহুদ শিখিয়েছেন। যেটি চার রাকা�আত ও তিন রাকা�আত বিশিষ্ট সালাতে প্রথম বৈঠক ও শেষ বৈঠকে পড়া হয় এবং দুই রাকা�আত বিশিষ্ট সালাতে শেষ বৈঠকে পড়া হয়। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তাশাহুদ শেখাতে গিয়ে অধিক গুরুত্ব প্রদান করেন যার ফলে সে তার হাতকে নিজ হাতের মধ্যে রাখেন। তিনি আল্লাহর মহত্ত্ব দিয়ে আরম্ভ করেন। তিনিই সালাত এবং সমগ্র ইবাদাত�কথা, কর্ম ও যাবতীয় গুনের তিনিই উপযুক্ত হকদার। আল্লাহর প্রসংশা করার পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য দু�আ করা আরম্ভ করেন। তিনি তার জন্য সব ধরেনর বিপদ ও দূর্বলতা থেকে নিরাপত্তা কামনা করেন এবং আল্লাহর নিকট তার রহমত, কল্যাণ ও তার চেয়েও অধিক পরিপূর্ণতা কামনা করেন। তারপর তিনি নিজের জন্য এবং উপস্থিত মানুষ ও ফিরিশতাদের জন্য দো�আ করেন। তারপর তিনি পূর্বের ও পরের (আগত ও অনাগত) এবং আসমান ও যমীনের সকল সৃষ্টিকে যেমন জিন, ইনসান ও ফিরিশতাদেরকে দো�আয় সামিল করেন। এটি কম শব্দে অধিক অর্থবোধক বাক্যসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাক্য। তারপর তিনি অকাট্য সাক্ষ্য দেন যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন ইলাহ নেই। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রয়েছে দুটি গুণ, এক: তিনি বান্দা হওয়ার গুণে গুণান্বিত। দুই: তিনি রিসালাতের গুণে গুণান্বিত। উভয় গুণই সম্মান ও মর্যাদার গুণ। বাড়াবাড়ি ও নমনীয়তার মাঝামাঝি। হাদীসে তাশাহুদের আরও বিভিন্ন ধরণ বর্ণিত আছে। তবে সর্ব উত্তম ও প্রসিদ্ধ হলো ইবনে মাসউদের তাশাহুদ যেটির বর্ণনা লেখক এখানে নিয়ে এসেছেন। আর হাদীসে বর্ণিত সহীহ গুণাগুন বলাতে কোন অসুবিধা নেই। সেগুলোও বৈধ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3096

 
Hadith   143   الحديث
الأهمية: لو يعلم المار بين يدي الْمُصَلِّي ماذا عليه من الإثم، لكان أن يَقِفَ أربعين خيرا له من أن يَمُرَّ بين يديه
থিম: যদি সালাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানত যে, তা তার জন্য কত পাপ, তাহলে সে সালাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে চল্লিশ (দিন/মাস/বছর) দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করত।

عن أبي جُهَيْمِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الصِّمَّةِ الأنصاري -رضي الله عنه- مرفوعاً: �لو يعلم المار بين يدي الْمُصَلِّي ماذا عليه    لكان أن يَقِفَ أربعين خيرا له من أن يَمُرَّ بين يديه�.
قال أَبُو النَّضْرِ: لا أدري: قال أربعين يوما أو شهرا أو سنة.

আবূ জুহাইম ইবনে হারেস ইবনে সাস্মাহ আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু �আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �যদি সালাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানত যে, তা তার জন্য কত পাপ, তাহলে সে সালাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার চেয়ে চল্লিশ (দিন/মাস/বছর) দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করত।� আবু নাদর বলেন, আমি জানি না যে, তিনি চল্লিশ দিন, নাকি চল্লিশ মাস, নাকি চল্লিশ বছর বললেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
المصلي واقف بين يدي ربه يناجيه ويناديه، فإذا مرَّ بين يديه في هذه الحال مارٌّ قطع هذه المناجاة وشوّش عليه عبادته، لذا عَظُم ذنب من تسبب في الإخلال بصلاة المصلي بمروره.
فأخبر الشارع: أنه لو علم ما الذي ترتب على مروره، من الإثم والذنب، لفضل أن يقف مكانه الآماد الطويلة على أن يمر بين يدي المصلي، مما يوجب الحذر من ذلك، والابتعاد منه.
স্বীয় রবের সামনে দাঁড়ানো একজন সালাত আদায়কারী রবের সাথে কথোপকথন করে ও তাকে ডাকে। তাই যখন কোন অতিক্রমকারী তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করে সে তার কথোপকথনে বাধা প্রদান করে এবং তার ইবাদতে বিঘ্ন ঘটায়। এ কারণেই যে ব্যক্তি অতিক্রম করে মুসল্লীর সালাতে বিঘ্ন ঘটানোর কারণ হলো তার গুনাহ খুবই মারাত্মক। তাই শরী�আত প্রণেতা সংবাদ দেন যে, অতিক্রমকারী যদি জানত তার ওপর কি গুনাহ বর্তায়, তাহলে সে মুসল্লীর সামনে দিয়ে অতিক্রম করার পরিবর্তে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত নিজ স্থানে দাড়িয়ে থাকাকে প্রাধান্য দিত। যাতে সে গুনাহ থেকে বাঁচতে ও দূরে থাকতে পারে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3097

 
Hadith   144   الحديث
الأهمية: إذا صلَّى أحدكم إلى شيء يَسْتُرُهُ من الناس، فأراد أحد أن يَجْتَازَ بين يديه فَلْيَدْفَعْهُ، فإن أبى فَلْيُقَاتِلْهُ؛ فإنما هو شيطان
থিম: তোমাদের কেউ যখন কোনো বস্তুর দিকে ফিরে সালাত আদায় করে যা তাকে মানুষকে থেকে আড়াল করে, আর কেউ তার সামনে দিয়ে যেতে চায়, তাহলে সে তাকে বাধা দিবে, সে যদি না মানে, তবে সে ব্যক্তি (মুসল্লী) তার সাথে লড়াই করে, কেননা সে শয়তান।�

عن أبي سعيد الْخُدْرِيِّ -رضي الله عنه- مرفوعًا: (إذا صلَّى أحدكم إلى شيء يَسْتُرُهُ من الناس، فأراد أحد أن يَجْتَازَ بين يديه فَلْيَدْفَعْهُ، فإن أبى فَلْيُقَاتِلْهُ؛ فإنما هو شيطان).
থিম: আবূ সা�ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত: �তোমাদের কেউ যখন কোনো বস্তুর দিকে ফিরে সালাত আদায় করে যা তাকে মানুষকে থেকে আড়াল করে, আর কেউ তার সামনে দিয়ে যেতে চায়, তাহলে সে তাকে বাধা দিবে, সে যদি না মানে, তবে সে ব্যক্তি (মুসল্লী) তার সাথে লড়াই করে, কেননা সে শয়তান।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يأمر الشرع باتخاذ الحزم والحيطة في الأمور كلها، وأهم أمور الدين والدنيا الصلاة، لذا حثَّ الشارع الحكيم على العناية بها واتخاذ السُتْرة لها إذا دخلَ المصلي في صلاته لتستره من الناس، حتى لا ينقصوا صلاته بمرورهم بين يديه، وأقبل يناجي ربه، فإذا أراد أحد أن يجتاز بين يديه، فليدفع بالأسهل فالأسهل، فإن لم يندفع بسهولة ويسر، فقد أسقط حرمته، وأصبح معتدياً، والطريق لوقف عدوانه، المقاتلة بدفعه باليد، فإن عمله هذا من أعمال الشياطين، الذين يريدون إفساد عبادات الناس، والتلبيس عليهم في صلاتهم.
যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শরী�আত আমাদের আত্মরক্ষা ও সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে। দীন ও দুনিয়ার সবচেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সালাত। এ জন্যই প্রজ্ঞাবান শরী�আত প্রণেতা আমাদেরকে সালাতের প্রতি যত্নবান হতে এবং যখন সালাত আরম্ভ করি মানুষ থেকে আড়াল হওয়ার জন্য সুতরা প্রতিস্থাপন করার নির্দেশ দেন। যাতে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করা দ্বারা তার সালাতে�তথা যখন সে তার রবের সাথে মুনাজাত করতে দণ্ডায়মান হয়�কোন বিঘ্ন না ঘটে। যখন কোন ব্যক্তি তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে চায় তখন প্রথমে তাকে হালকাভাবে বাঁধা দেবে যদি সহজ ও হালকাভাবে বাঁধা সে না মানে তখন বুঝতে হবে সে নিজেই তার সম্মানহানি করল এবং সীমালঙ্গনকারী হলো। তখন তার দুশমনকে থামানোর জন্য একমাত্র উপায় হলো তাকে প্রতিহত করতে হাত দ্বারা যুদ্ধ করা। কারণ, তার এটি শয়তানের অপকর্মসমূহের একটি অপকর্ম, যারা মানুষের ইবাদত নষ্ট করে এবং তাদের সালাতে বিঘ্ন ঘটায়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3098

 
Hadith   145   الحديث
الأهمية: أكل المحرم من صيدٍ لم يُصَد لأجله ولا أعان على صيده
থিম: মুহরিম শিকারকৃত জন্তুর গোস্ত ভক্ষণ করল যা তার জন্যে শিকার করা হয়নি এবং শিকার করতে সে সাহায্যও করে নি।

عن أبي    قَتَادَةَ الأنصاري -رضي الله عنه- �أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- خرج حاجًّا، فخرجوا معه، فصرف طائفة منهم -فيهم أبو قَتَادَةَ- وقال: خذوا ساحِل البحر حتى نَلْتَقِيَ. فأخذوا ساحل البحر، فلما انصرفوا أحرموا كلهم، إلا أبا قَتَادَةَ فلم يُحرم، فبينما هم يسيرون إذ رأوا حُمُرَ وَحْشٍ، فحمل أبو قَتَادَةَ على الْحُمُرِ، فَعَقَرَ منْها أَتَانَاً، فنزلنا فأكلنا من لحمها، ثم قلنا: أنأكل لحم صيد، ونحن محرمون؟ فحملنا ما بقي من لحمها فأدركنا رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، فسألناه عن ذلك؟ فقال: منكم أحد أمره أن يحمل عليها، أو أشار إليها؟ قالوا: لا، قال: فكلوا ما بقي من لحمها�، وفي رواية: �قال: هل معكم منه شيء؟ فقلت: نعم، فناولته الْعَضُدَ ، فأكل منها�.

আবূ কাতাদাহ আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু �আলাইহিস সালাম হজে রওয়ানা করলেন তারাও তাঁর সাথে রওয়ানা করল। তাদের থেকে একটি দলকে তিনি অন্য পথে পাঠালেন� তাদের মধ্যে আবূ কাতাদাও ছিলেন� আর তিনি বললেন, �আমাদের পরস্পর সাক্ষাত হওয়া পর্যন্ত তোমারা সমুদ্র তীরের রাস্তা ধরে অগ্রসর হবে। তাই তারা সকলেই সমুদ্র তীরের পথ ধরে চলতে থাকেন। যখন তারা (রাসূলের দিকে) ফিরলেন সবাই ইহরাম বাঁধলেন; কিন্তু আবূ কাতাদা ইহরাম বাঁধলেন না। পথে চলতে চলতে তারা কিছু বন্য গাধা দেখতে পেল। আবূ কাতাদা গাধাগুলোর উপর হামলা করে একটি মাদী হত্যা করে ফেললেন। এরপর একস্থানে অবতরণ করে আমরা সকলেই তার গোস্ত খেলাম। তারপর বললাম, আমরা তো মুহরিম, এ অবস্থায় আমরা কি শিকার জন্তুর গোস্ত খাব? তাই আমরা গাধাটির অবশিষ্ট অংশ উঠিয়ে নিলাম। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পৌঁছে তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কেউ কি এর উপর আক্রমন করতে আদেশ কিংবা তার দিকে ইশারা করেছ? তারা বলল, না, আমার তা করি নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে বাকি গোস্ত তোমরা খেয়ে নাও।� অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কাছে কি তার গোস্ত অবশিষ্ট আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। অতপর তাঁকে বাহুর গোস্ত দিলে তিনি তা থেকে কিছু খেলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
خرج النبي -صلى الله عليه وسلم- عام الْحُدَيْبِيَة، يريد العُمْرة.
وقبل أن يصل إلى محرم المدينة، القريب منها، وهو "ذو الحليفة" بلغه أنَّ عَدُوُّاً أتى من قِبَل ساحل البحر يريده، فأمر طائفة من أصحابه -فيهم أبو قتادة- أن يأخذوا ذات اليمين، على طريق الساحل، ليصدُّوه، فساروا نحوه. فلما انصرفوا لمقابلة النبي -صلى الله عليه وسلم- في ميعاده، أحرموا إلا أبا قتادة فلم يحرم، وفي أثناء سيرهم، أبصروا حُمُر وَحْش، وتمنوا بأنفسهم لو أبصرها أبو قتادة لأنه حلال، فلما رآها حمل عليهاْ فعقر منها أَتاناً، فأكلوا من لحمها.
ثم وقع عندهم شكٌّ في جوازِ أكلهم منها وهم محرمون، فحملوا ما بقي من لحمها حتى لحقوا بالنبي -صلى الله عليه وسلم-، فسألوه عن ذلك فاستفسر منهم: هل أمره أحد منهم، أو أعانه بدلالة، أو إشارة؟ قالوا: لم يحصل شيء من ذلك.
فَطَمْأَن قلوبهم بأنها حلال، إذ أمرهم بأكل ما بقي منها، وأكل هو -صلى الله عليه وسلم- منها تطييبًا لقلوبهم.
নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহিস ওয়াসাল্লম �উমরা পালনের জন্য হুদাইবিয়ার বছর মক্কার উদ্দেশ্যে বের হলেন। তারা মদীনার হারাম সীমান্ত যুলহুলাইফার নিকটবর্তী পৌঁছার পূর্বে তাঁর কাছে এ মর্মে সংবাদ পৌঁছল যে, শত্রুরা সমুদ্র তীরের দিক থেকে আক্রমণ করতে তার দিকে আসছে। ফলে তিনি তাঁর একদল সাহাবীকে -তাদের মধ্যে আবূ কাতাদাহও ছিলেন-প্রতিরোধ করতে সমুদ্র তীরবর্তী ডান পাশের রাস্তা হয়ে অগ্রসরের নির্দেশ দিলেন। ফলে তারা সে পথে রওয়ানা করলেন। যখন তারা নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহিস ওয়াসাল্লামের সাথে নির্দিষ্ট স্থানে মিলিত হতে প্রত্যাবর্তন করছিলেন তখন সবাই ইহরাম বাঁধলেন; কিন্তু আবূ কাতাদা ইহরাম বাঁধলেন না। তাদের চলার পথে তারা কিছু বন্য গাধা দেখতে পেলেন। তারা মনে মনে ইচ্ছা করছিলেন যেনো আবূ কাতাদা গাধাগুলো দেখতে পায়। কেননা তিনি হালাল ছিলেন। অতপর তিনি সেগুলো দেখতে পেয়ে সেগুলোর ওপর হামলা করে একটি মাদী হত্যা করে ফেললেন। অতঃপর তারা সকলেই এর গোস্ত খেলেন। মুহরিম অবস্থায় এ গোস্ত খাওয়া জায়েয কী না সে ব্যাপারে তাদের মনে সন্দেহ হলো। তাই তারা গাধাটির অবশিষ্ট অংশ উঠিয়ে রাখলেন। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পৌঁছে তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তাদের কেউ কি এর ওপর আক্রমণ করতে তাকে আদেশ বা সাহায্য বা ইশারা করেছ? তারা বললেন, এ ধরণের কিছু হয় নি। তাদের অন্তর প্রশান্তি লাভ করল যে, উক্ত গোস্ত তাদের জন্য হালাল ছিলো। যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বাকি গোস্ত খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি নিজেও তাদের অন্তরের শান্তনার উদ্দেশ্যে সে গোস্ত থেকে কিছু খেলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3099

 
Hadith   146   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقرأ في الركعتين الأُولَيَيْنِ من صلاة الظهر بفاتحة الكتاب وسورتين، يُطَوِّلُ في الأولى، و يُقَصِّرُ في الثانية، و يُسْمِعُ الآية أحيانًا
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ যুহরের প্রথম দুই রাকা�আতে সূরা ফাতিহা এবং দুইটি সূরা পড়েন। প্রথম রাকা�আত লম্বা করেন এবং দ্বিতীয় রাকাত সংক্ষেপ করেন। মাঝে মাঝে আয়াত শোনান। আর আসরের সালাতে সূরা ফাতিহা ও দুইটি সূরা পাঠ করেন। প্রথম রাকা�আত লম্বা করেন এবং দ্বিতীয় রাকাত সংক্ষেপ করেন। মাঝে মাঝে আয়াত শোনান।

عن أبي قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ -رضي الله عنه- قال: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقرأ في الركعتين الأُولَيَيْنِ من صلاة الظهر بفاتحة الكتاب وسورتين، يُطَوِّلُ في الأولى، و يُقَصِّرُ في الثانية، و يُسْمِعُ الآية أحيانا، وكان يقرأ في العصر بفاتحة الكتاب وسورتين يُطَوِّلُ في الأولى، و يُقَصِّرُ في الثانية، وفي الركعتين الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الكتاب، وكان يُطَوِّلُ في الركعة الأولى من صلاة الصبح، ويُقَصِّرُ في الثانية.

আবূ কাতাদাহ আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ যুহরের প্রথম দুই রাকা�আতে সূরা ফাতিহা এবং দুইটি সূরা পড়েন। প্রথম রাকা�আত লম্বা করেন এবং দ্বিতীয় রাকাত সংক্ষেপ করেন। মাঝে মাঝে আয়াত শোনান। আর আসরের সালাতে সূরা ফাতিহা ও দুইটি সূরা পাঠ করেন। প্রথম রাকা�আত দীর্ঘ করেন এবং দ্বিতীয় রাকা�আত সংক্ষেপ করেন। আর শেষের দুই রাকাআতে সূরা ফাতিহা পড়েন এবং তিনি ফজরের সালাতের প্রথম রাকা�আতকে দীর্ঘ করেন এবং দ্বিতীয় রাকা�আতকে সংক্ষেপ করেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان النبي -صلى الله عليه وسلم- من عادته أن يقرأ بعد سورة الفاتحة غيرها من القرآن في الركعتين الأُوليين من صلاة الظهر والعصر، ويطول في الأولى عن الثانية، ويسمع أصحابه ما يقرأ أحيانا، ويقرأ في الثالثة والرابعة بالفاتحة فقط، وكان يطول في صلاة الصبح في القراءة ويقصر في الثانية.
لكن لو قرأ الإنسان أحيانًا في الثالثة أو الرابعة بسورة بعد الفاتحة جاز؛ لورود أدلة أخرى بذلك.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভ্যাস ছিল যুহর ও আসরের প্রথম দুই রাকা�আতে সূরা ফাতিহার পর কুরআনের অন্য কোন অংশ তিলাওয়াত করতেন। দ্বিতীয় রাকা�আতের তুলনায় প্রথম রাকা�আতকে দীর্ঘ করতেন। অনেক সময় তিনি যা পড়তেন তা তার সাহাবীদের শোনাতেন। আর তৃতীয় ও চতুর্থ রাকা�আতে তিনি শুধু সূরা ফাতিহা পড়তেন। আর তিনি ফজরের সালাতে প্রথম রাকা�আতে কিরাত দীর্ঘ করতেন এবং দ্বিতীয় রাকা�আতে সংক্ষিপ্ত করতেন। কিন্তু যদি কোন ব্যক্তি তৃতীয় বা চতুর্থ রাকা�আতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য কোন সূরা পড়েন,এ বিষয়ে অন্যান প্রমাণ বর্ণিত থাকার কারণে তা জায়েগ আছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3100

 
Hadith   147   الحديث
الأهمية: إن الشمس والقمر آيتان من آيات الله، يُخَوِّفُ الله بهما عباده، وإنهما لا يَنْخَسِفَان لموت أحد من الناس، فإذا رأيتم منها شيئا فَصَلُّوا، وَادْعُوا حتى ينكشف ما بكم
থিম: নিশ্চয় চন্দ্র ও সুর্য্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু�টি নিদর্শন। এ দুটি দ্বারা আল্লাহ তার বান্দাদের সতর্ক করেন। কোন লোকের মৃত্যুর কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তাই তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হতে দেখবে, তখন সালাত আদায় করবে। আর দো�আ করতে থাকবে যতক্ষণ না দূর হয়ে যায়।

عن أبي مسعود عُقبة بن عَمْرو الأنصاري البَدْري -رضي الله عنه- مرفوعاً: �إن الشمس والقمر آيتان من آيات الله، يُخَوِّفُ الله بهما عباده، وإنهما لا يَنْخَسِفَان لموت أحد من الناس، فإذا رأيتم منها شيئا فَصَلُّوا، وَادْعُوا حتى ينكشف ما بكم�
থিম: আবূ মাস�ঊদ উকবা ইবন আমর আল-আনসারী আল-বাদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফূ হিসেবে বর্ণিত: �নিশ্চয় চন্দ্র ও সুর্য্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দু�টি নিদর্শন। এ দুটি দ্বারা আল্লাহ তার বান্দাদের সতর্ক করেন। কোন লোকের মৃত্যুর কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তাই তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হতে দেখবে, তখন সালাত আদায় করবে। আর দো�আ করতে থাকবে যতক্ষণ না দূর হয়ে যায়�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
بيَّن -صلى الله عليه وسلم- أن الشمس والقمر من آيات الله الدالة على قدرته وحكمته، وأن تغيُّر نظامهما الطبيعي، لا يكون لحياة العظماء أو موتهم كما يعتقد أهل الجاهلية فلا تؤثر فيهما الحوادث الأرضية.
وإنما يكون ذلك لأجل تخويف العباد، من أجل ذنوبهم وعقوباتهم فيجددوا التوبة والإنابة إلى الله تعالى.
ولذا أرشدهم أن يفزعوا إلى الصلاة والدعاء، حتى ينكشف ذلك عنهم وينجلي، ولله في كونه أسرار وتدبير.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন যে, সূর্য্য ও চন্দ্র আল্লাহর নির্দশনসমূহের দুটি নির্দশন যা তার কুদরত ও হিকমতের ওপর সু-স্পষ্ট প্রমাণ। এ দুটির স্বাভাবিক প্রদ্ধতির পরিবর্তন কোন মহা মানবের হায়াত বা মৃত্যুর কারণে হয় না, যেমনটি জাহিলিয়্যাতের যুগের মানুষরা ধারণা করত। সুতরাং যমীনে সংঘটিত কোন ঘটনা তাদের মধ্যে কোন প্রভাব ফেলে না। তবে এটি হয়ে থাকে বান্দার গুনাহের কারণে তাদের ভয় দেখানো ও শাস্তি হিসেবে যাতে তারা তাওবা করে এবং আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। তাই তিনি তাদের নির্দেশনা দেন যে, তারা যেন সালাত ও দোয়ায় লিপ্ত হয়। যাতে তাদের থেকে তা দূর হয় এবং পরিস্কার হয়। আর এ ধরনের ঘটনার মধ্যে আল্লাহর রয়েছে রহস্য ও পরিকল্পনা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3101

 
Hadith   148   الحديث
الأهمية: إن هذه الآيات التي يُرْسِلُهَا الله -عز وجل-: لا تكون لموت أحد ولا لحياته، ولكن الله يُرْسِلُهَا يُخَوِّفُ بها عباده، فإذا رأيتم منها شيئا فَافْزَعُوا إلى ذكر الله ودُعَائِهِ وَاسْتِغْفَارِهِ
থিম: একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইইহ ওয়াসাল্লামের যুগে র্সূযগ্রহণ হল, তখন তিনি ভীত অবস্থায় উঠলনে ও কিয়ামত সংঘটিত হবার ভয় করতে লাগলেন, অবশেষে তিনি মাসজিদে আসেন ও দাঁড়িয়ে যান এবং সবচেয়ে দীর্ঘ কিয়াম ও সাজদা দ্বারা সালাত আদায় করেন। আমি কখনো তাকে তার সালাতে এরূপ করতে দেখেনি। অতঃপর তিনি বললেন, এগুলো হল নিদর্শন যা আল্লাহ্ পাঠিয়ে থাকেন, তা কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। বরং আল্লাহ্ তা�আলা এর মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন। কাজেই যখন তোমরা এর কিছু দেখতে পাবে, তখন ভীত অবস্থায় আল্লাহর যিকির, দু�আ ও ইস্তিগ্ফারের দিকে ধাবিত হবে।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- قال: خَسَفَت الشمس على زمان رسول الله -صلى الله عليه وسلم-. فقام فَزِعًا، ويخشى أن تكون الساعة، حتى أتى المسجد، فقام، فصلى بأطول قيام وسجود، ما رأيته يفعله في صلاته قطُّ، ثم قال: إن هذه الآيات التي يُرْسِلُهَا الله -عز وجل-: لا تكون لموت أحد ولا لحياته، ولكن الله يُرْسِلُهَا يُخَوِّفُ بها عباده، فإذا رأيتم منها شيئا فَافْزَعُوا إلى ذكر الله و دُعَائِهِ وَاسْتِغْفَارِهِ.

আবূ মূসা আল আশ�আরী রাদয়ািল্লাহু আনহু হতে র্বণতি। তিনি বলনে, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইইহ ওয়াসাল্লামের যুগে র্সূযগ্রহণ হল, তখন তিনি ভীত অবস্থায় উঠলনে ও কিয়ামত সংঘটিত হবার ভয় করতে লাগলেন, অবশেষে তিনি মাসজিদে আসেন ও দাঁড়িয়ে যান এবং সবচেয়ে দীর্ঘ কিয়াম ও সাজদা দ্বারা সালাত আদায় করেন। আমি কখনো তাকে তার সালাতে এরূপ করতে দেখেনি। অতঃপর তিনি বললেন, এগুলো হল নিদর্শন যা আল্লাহ্ পাঠিয়ে থাকেন, তা কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। বরং আল্লাহ্ তা�আলা এর মাধ্যমে তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন। কাজেই যখন তোমরা এর কিছু দেখতে পাবে, তখন ভীত অবস্থায় আল্লাহর যিকির, দু�আ ও ইস্তিগ্ফারের দিকে ধাবিত হবে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لما ذهب ضوء الشمس أو شيء منه في عهد النبي -صلى الله عليه وسلم- قام فزعًا، لأن معرفته الكاملة بربه -تعالى- أوجبت له أن يصير كثير الخوف وشديد المراقبة؛ لضلال أكثر أهل الأرض وطغيانهم أو أن ساعة النفخ في الصور حضرت فدخل المسجد، فصلى بالناس صلاة الكسوف، فأطال إطالة لم تعهد من قبلُ إظهارا للتوبة والإنابة، فلما فرغ المصطفى من مناشدته ربه ومناجاته، توجه إلى الناس يعظهم، ويبين لهم أن هذه الآيات يرسلها الله عبرة لعباده، وتذكيرا وتخويفا، ليبادروا إلى الدعاء والاستغفار والذكر والصلاة.
একবার রাসূলের যুগে যখন সূর্যের আলো দূর হয়ে গেল বা কিছু চলে গেল, তিনি ভীত অবস্থায় উঠে দাঁড়ালেন। কারণ, রবের সম্পর্কে তার পুরোপুরি জ্ঞান তাকে বাধ্য করে অধিকাংশ পৃথিবীবাসীর গোমরাহী ও সীমালঙ্ঘনের কারণে রবকে অধিক ভয় পেতে ও কঠিন সতর্ক থাকতে অথবা সিঙ্গায় ফুঁ দেওয়ার সময় এসে গেছে এ আশঙ্কা থেকে তিনি মসজিদে প্রবেশ করলেন। আর লোকদের নিয়ে সূর্য গ্রহণের সালাত আদায় করেন এবং তাওবা ও আল্লাহ মুখীতা প্রকাশ করার লক্ষ্যে দীর্ঘ সালাত আদায় করেন। যখন তিনি তার রবের সাথে মুনাজাত ও কথোপকথন থেকে ফারেগ হন, তিনি মানুষদের ওয়াজ করতে তাদের মুখোমুখি হন এবং তাদেরন জন্যে স্পষ্ট করেন যে, এ ধরনের নিদর্শন আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য প্রেরণ করেন তাদের উপদেশ, স্মরণ করানো ও ভয় পদর্শনের জন্য। যাতে তারা দ্রুত দো�আ, ক্ষমা চাওয়া, যিকির ও সালাতের দিকে অগ্রসর হয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3102

 
Hadith   149   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يدعو: اللَّهُمَّ إني أعوذ بك من عذاب القبر، وعذاب النار، ومن فتنة الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، ومن فتنة الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বলে দু�আ করতেন, হে আল্লাহ আমি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

عن أبي هُرَيْرَةَ -رضي الله عنه- قال: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يدعو: اللَّهُمَّ    إني أعوذ بك من عذاب القبر، وعذاب النار، ومن فتنة الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، ومن فتنة الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ�.
وفي لفظ لمسلم: �إذا تَشَهَّدَ أحدكم فَلْيَسْتَعِذْ بالله من أَرْبَعٍ، يقول: اللهُمَّ إني أعوذ بك من عذاب جَهَنَّم...�. ثم ذكر نحوه.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বলে দু�আ করতেন, �হে আল্লাহ আমি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।�
মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, �তোমাদের কেউ যখন তাশাহহুদ পড়বে সে যেন চারটি জিনিস থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে। সে যেন বলে, হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে জাহান্নামের আযাব থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।� অতপর তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
استعاذ النبي -صلى الله عليه وسلم- بالله من أربع، وأمرنا أن نستعيذ بالله في تشهدنا في الصلاة من تلك الأربع، من عذاب القبر، وعذاب النار، ومن شهوات الدنيا وشبهاتها، ومن فتنة الْمَمَات، استعاذ منها؛ لعظم خطرها، وفتن القبر التي هي سبب عذابه، ومن فتن المحيا فتنة الدَّجَّالين الذين يظهرون على الناس بصورة الحق، وهم متلبسون بالباطل، وأعظمهم فتنة، الذي صحت الأخبار بخروجه في آخر الزمان، وهو المسيح الدَّجَّال؛ ولذلك خصه بالذكر.
নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর কাছে চারটি জিনিস থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। তিনি আমাদেরকে সালাতে তাশাহহুদের সময় উক্ত চারটি জিনিস থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। চারটি জিনিস হলো, কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, দুনিয়ার লোভ-লালসা ও সন্দেহযুক্ত জিনিস থেকে ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে। মৃত্যুর ফিতনা থেকে আশ্রয় চাওয়ার কারণ হলো এটি অত্যন্ত ভয়ংকর। কবরের ফিতনা বলতে যেসব কাজ কবরের আযাবের কারণ সেগুলো থেকে আশ্রয় চাওয়া। আর জীবনের ফিতনা বলতে দাজ্জালদের ফিতনা যারা মানুষের কাছে মিথ্যার মুখোশ পরে সত্যরূপে প্রকাশ পাওয়ার চেষ্টা করবে। আর সবচেয়ে বড় ফিতনা হল, শেষ যমানায় যার বের হওয়ার ব্যাপারে একাধিক সহীহ হাদীস প্রমাণিত হয়েছে, সেটি হচ্ছে মাসীহে দাজ্জাল। এ কারণেই তাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3103

 
Hadith   150   الحديث
الأهمية: يا رسول الله، بأبي أنت وأمي، أَرَأَيْتَ سُكُوتَكَ بين التكبير والقراءة: ما تقول؟ قال: أقول: اللَّهُمَّ باعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب. اللهم نَقِّنِي من خطاياي كما يُنَقَّى الثوب الأبيض من الدَّنَسِ. اللهم اغسلني من خطاياي بالماء والثَّلْجِ وَالْبَرَدِ
থিম: হে আল্লাহর রাসূল! আমার মাতা-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক, তাকবীর ও কিরাআত এর মধ্যে চুপ থাকার সময় আপনি কী পাঠ করেন? তিনি বললেন, এ সময় আমি বলি-�হে আল্লাহ! আমার এবং আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান করে দাও যেমন ব্যবধান করেছ পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ আমাকে আমার গুনাহ হতে এমনভাবে পবিত্র কর যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ আমার গোনাহকে বরফ, পানি ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দাও।�

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- إذا كَبَّرَ في الصلاة سكت هُنَيْهَةً قبل أن يقرأ، فقلت: يا رسول الله، بأبي أنت وأمي، أَرَأَيْتَ سُكُوتَكَ بين التكبير والقراءة: ما تقول؟ قال: أقول: اللَّهُمَّ باعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب. اللهم نَقِّنِي من خطاياي كما يُنَقَّى الثوب الأبيض من الدَّنَسِ. اللهم اغْسِلْني من خطاياي بالماء والثَّلْجِ وَالْبَرَدِ.

আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীরে তাহরীমা ও কিরাআতের মধ্যে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মাতা-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক, তাকবীর ও কিরাআত এর মধ্যে চুপ থাকার সময় আপনি কী পাঠ করেন? তিনি বললেন, এ সময় আমি বলি-�হে আল্লাহ! আমার এবং আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান করে দাও যেমন ব্যবধান করেছ পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ আমাকে আমার গুনাহ হতে এমনভাবে পবিত্র কর যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ আমার গোনাহকে বরফ, পানি ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দাও।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان النبي صلى الله عليه وسلم إذا كبر للصلاة تكبيرة الإحرام، خفض صوته مدة قليلة قبل أن يقرأ الفاتحة.
وكان الصحابة يعلمون أنه يقول شيئاً في هذه السكتة، إما لأن الصلاة كلها ذكر لا سكوت فيها لغير استماع, وإما لحركة من النبي صلى الله عليه وسلم يعلم بها أنه يقرأ، ولحرص أبي هريرة-رضي الله عنه- على العلم والسنة قال: أفديك يارسول الله بأبي وأمي، ماذا تقول في هذه السكتة التي بين التكبير والقراءة؟
فقال: أقول: " اللهم باعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب، اللهم نقني من خطاياي، كما ينقى الثوب الأبيض من الدنس، اللهم اغسلني من خطاياي بالماء والثلج والبرد ".
وهذا دعاء في غاية المناسبة في هذا المقام الشريف، موقف المناجاة، لأن المصلي يتوجه إلى الله-تعالى- في أن يمحو ذنوبه وأن يبعد بينه وبينها إبعاداً لا يحصل معه لقاء، كما لا لقاء بين المشرق والمغرب أبدًا, وأن يزيل عنه الذنوب والخطايا وينقيه منها، كما يزال الوسخ من الثوب الأبيض، وأن يغسله من خطاياه ويبرد لهيبها وحرها، - بهذه المنقيات الباردة؛ الماء، والثلج، والبرد. وهذه تشبيهات، في غاية المطابقة.
   وبهذا الدعاء يكون متخلصا من آثار الذنوب فيقف بين يدي الله عز وجل على أكمل الحالات، والأولى أن يعمل الإنسان بكل الاستفتاحات الصحيحة الواردة، يعمل بهذا تارة، وبهذا تارة، وإن كان حديث أبي هريرة هذا أصحها. والله أعلم.
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের শুরুতে তাকবীরে তাহরীমা বলতেন তখন তাহরীমা ও সূরা ফাতিহা পড়ার মাঝে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতেন। সাহাবীগণ জানতেন যে, এ চুপ থাকাতে রাসূল কি যেন অবশ্যই পড়তেন। কারণ, সালাত হলো যিকির; কোন কিছু শ্রবণ ছাড়া তাতে চুপ থাকার কোন অবকাশ নেই। অথবা রাসূলের মুখ নাড়াচাড়া করা দ্বারা তারা বুঝতেন যে, তিনি অবশ্যই কোন কিছু পড়ছেন। ইলম ও সুন্নাতের প্রতি আবূ হুরায়রার আগ্রহ প্রবল হওয়ার কারণে সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মাতা ও পিতা কুরবান হোক। তাকবীর ও কিরাআত এর মধ্যে চুপ থাকার সময় আপনি কী পাঠ করেন? তিনি বললেন, এ সময় আমি বলি-�হে আল্লাহ! আমার এবং আমার গুনাহের মধ্যে এমন ব্যবধান করে দাও যেমন ব্যবধান করেছ পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ আমাকে আমার গুনাহ হতে এমনভাবে পবিত্র কর যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার হয়। হে আল্লাহ আমার গোনাহকে বরফ, পানি ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দাও। এ মহান মুনাজাতের অবস্থানে এটি এ সময়ের উপযোগী গুরুত্বপূর্ণ দো�আ। কারণ, মুসল্লি তার গুনাহগুলো মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আল্লাহর দিকে মনোযোগী হওয়াই স্বাভাবিক। তিনি কামনা করেন যে, তার মাঝে এবং গুনাহসমূহের মাঝে এমন দূরত্ব হয় যাতে তার সাথে গুনাহের সাক্ষাত না হয়। যেমনিভাবে পশ্চিম প্রান্ত ও পূর্ব প্রান্তের মাঝে সাক্ষাত হওয়া অসম্ভব। আর তিনি যেন তার থেকে গুনাহ ও ভুলত্রুটি দূর করে দেন এবং তা থেকে তাকে পবিত্র করেন যেমনিভাবে সাদা কাপড় থেকে ময়লা দূর করা হয়। আর তাকে গুনাহ থেকে ধুয়ে ফেলা হয় এবং তার তাপ ও উত্তাপকে ঠান্ডা করা হয় পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা। এ গুলো হলো তুলনা। এ দো�আ দ্বারা গুনাহের প্রভাব থেকে মুক্ত হবে। তারপর সে আল্লাহর সামনে পরিপূর্ণ অবস্থায় দাড়াবে। উত্তম হলো মানুষ বিশুদ্ধ বর্ণনায় বর্ণিত সব ইস্তেফতাহর দো�আ পাঠ করবে। কখনো এটি আবার কখনো অন্যটি পড়বে। যদিও এ বিষয়ে আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীসটি অধিক শুদ্ধ। আল্লাহই ভালো জানেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3104

 
Hadith   151   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- إذا قام إلى الصلاة يُكَبِّرُ حين يقوم، ثم يُكَبِّرُ حين يركع، ثم يقول: سَمِعَ اللَّه لِمَنْ حَمِدَهُ، حين يَرْفَعُ    صُلْبَهُ من الرَّكْعَةِ
থিম: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের ইচ্ছা করতেন তখন দাঁড়ানোর সময় তিনি তাকবীর বলতেন। অতঃপর যখন রুকূতে যেতেন তাকবীর বলতেন। অতঃপর যখন রুকূ� হতে মেরু দন্ড সোজা করতেন তখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ   বলতেন।

عن أبي هُرَيْرَةَ -رضي الله عنه- قال: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- إذا قام إلى الصلاة يُكَبِّرُ حين يقوم، ثم يُكَبِّرُ حين يركع، ثم يقول: سَمِعَ اللَّه لِمَنْ حَمِدَهُ، حين يَرْفَعُ    صُلْبَهُ من الرَّكْعَةِ، ثم يقول وهو قائم: ربنا ولك الحمد، ثم يُكَبِّرُ حين يَهْوِي، ثم يُكَبِّرُ حين يَرْفَعُ    رأسه، ثم يُكَبِّرُ حين    يَسْجُدُ، ثم يُكَبِّرُ حين يَرْفَعُ    رأسه، ثم يفعل ذلك في صلاته كلها حتى يقضيها، ويُكَبِّرُ حين يقوم من الثِّنْتَيْنِ    بعد الجلوس،    ثم يقول: أبو هريرة �إني لأشَبَهُكم صلاة برسول الله -صلى الله عليه وسلم-�.
থিম: আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতের ইচ্ছা করতেন তখন দাঁড়ানোর সময় তিনি তাকবীর বলতেন। অতঃপর যখন রুকূতে যেতেন তাকবীর বলতেন। অতঃপর যখন রুকূ� হতে মেরু দন্ড সোজা করতেন তখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ   বলতেন। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় ربنا ولك الحمد বলতেন। তারপর যখন ঝুঁকতেন তাকবীর বলতেন আবার যখন মাথা উঠাতেন তাকবীর বলতেন। অতঃপর সাজদাহ যাওয়ার সময় তাকবীর বলতেন। এবং যখন মাথা উঠাতেন তখনও তাকবীর বলতেন। এভাবেই তিনি পুরো সালাত শেষ না করা পর্যন্ত করতেন। আর দ্বিতীয় রাক�আতের বৈঠক শেষে যখন (তৃতীয় রাক�আতের জন্য) দাঁড়াতেন তখনও তাকবীর বলতেন। অতঃপর আবূ হুরায়রা বলেন, �আমি সালাত আদায়ে রাসূলুল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে তোমাদের চেয়ে বেশি সাদৃশ রাখি�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الصلاة كلها تعظيم لله بالقول والفعل، في هذا الحديث الشريف بيان شعار الصلاة، وهو إثبات الكبرياء لله -سبحانه وتعالى- والعظمة، فما جعل هذا شعارها وسمتها، إلا لأنها شرعت لتعظيم الله وتمجيده.
فحين يدخل فيها، يكبر تكبيرة الإحرام، وهو واقف معتدل القامة.
وبعد أن يفرغ من القراءة ويهوى للركوع يكبر.
فإذا رفع من الركوع، قال: "سمع الله لمن حمده" واستتم قائماً، ثم حمد الله وأثنى عليه في القيام.
ثم يكبر في هُوِيه إلى السجود، ثم يكبر حين يرفع رأسه من السجود، ثم يفعل ذلك في صلاته كلها، حتى يفرغ منها، وإذا قام من التشهد الأول في الصلاة ذات التشهدين، كبر في حال قيامه، فخص الشارع كل انتقال بالتكبير إلا الرفع من الركوع.
সালাত পুরোটাই কথা ও কর্মের মাধ্যমে আল্লাহর মহত্ব ও বড়ত্ব প্রকাশ করার নাম। এ হাদীস শরীফে সালাতের একটি নির্দশনের বর্ণনা রয়েছে। আর তা হলো আল্লাহর জন্যে বড়ত্ব ও মহত্বকে সাব্যস্ত করা। বস্তুত সালাতকে আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ব প্রকাশ করার জন্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেই তাকবীরকে তার একটি নিদর্শন ও আলামত সাব্যস্ত করা হয়েছে।
অতএব যখন সালাতে প্রবেশ করবে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমাহ বলবে, ক্বিরাত থেকে ফারেগ হয়ে যখন রুকুতে ঝুঁকবে তখন তাকবীর বলবে। আর যখন রুকু থেকে দাঁড়াবে, তখন سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ   বলে সম্পূর্ণরূপে দাঁড়াবে। তারপর দাঁড়ানো অবস্থায় আল্লাহর প্রসংশা করবে।
অতঃপর সেজদার জন্যে ঝুঁকাতে তাকবীর বলবে। তারপর যখন সেজদা থেকে মাথা উঠাবে তাকবীর বলবে। এভাবে সে তার পুরো সালাত থেকে ফারেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত করে যাবে। দুই তাশাহুদওয়ালা সালাতে যখন সে প্রথম তাশাহুদ থেকে ফারেগ হবে তখন দাঁড়ানোর সময় তাকবীর বলবে। সুতরাং সালাতের প্রতিটি উঠবসকে তাকবীরের সাথে খাস করা হয়েছে তবে রুকু থেকে উঠার সময় ব্যতিত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3105

 
Hadith   152   الحديث
الأهمية: إذا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا    بالصلاة، فإن شدة الْحَرِّ من فَيْحِ جَهَنَّمَ
থিম: যখন গরমের প্রচণ্ডতা বৃদ্ধি পায়, তখন গরম কমলে সালাত আদায় করবে। কেননা, গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের নিঃশ্বাসের অংশ।

عن عبد الله بن عُمَرَ وأبي هُرَيْرَةَ وأبي ذر -رضي الله عنهم- عن النبي - صلى الله عليه وسلم - أنه قال: �إذا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا    بالصلاة. فإن شدة الْحَرِّ من فَيْحِ جَهَنَّمَ�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার, আবূ হুরায়রাহ ও আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহুম হতে বর্ণিত: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যখন গরমের প্রচণ্ডতা বৃদ্ধি পায়, তখন গরম কমলে সালাত আদায় করবে। কেননা, গরমের প্রচণ্ডতা জাহান্নামের নিঃশ্বাসের অংশ�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أمر النبي -صلى الله عليه وسلم- أن تؤخر صلاة الظهر عند اشتداد الحر -الذي هو من تنفس ووهج جهنم- إلى وقت البرد لئلا يشغله الحر والغم عن الخشوع.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহান্নামের তাপ থেকে উৎপন্ন শক্ত গরমের সময় যোহরের সালাতকে ঠাণ্ডা পর্যন্ত দেরী করে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে গরম ও পেরেশানী মনোযোগ নষ্ট না করে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3106

 
Hadith   153   الحديث
الأهمية: إذا قلت لصاحبك: أَنْصِتْ يوم الجمعة والإمام يَخْطُبُ، فقد لَغَوْتَ
থিম: জুম�আর দিন ইমামের খুতবা প্রদানকালে যখন তুমি তোমার সাথীকে বললে, �চুপ করো� তখন তুমি অনর্থক কাজ করলে।

عن أبي هُريرة -رضي الله عنه- مرفوعًا: �إذا قلتَ لصاحبك: أَنْصِتْ يوم الجمعة والإمام يَخْطُبُ، فقد لَغَوْتَ�.

আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �জুম�আর দিন ইমামের খুতবা প্রদানকালে যখন তুমি তোমার সাথীকে বললে, �চুপ করো� তখন তুমি অনর্থক কাজ করলে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
من أعظم شعائر الجمعة الخطبتان، ومن مقاصدها وعظ الناس وتوجيههم، ومن آداب المستمع الواجبة: الإنصات فيهما للخطيب، ليتدبر المواعظ، ولذا حذر النبي -صلى الله عليه وسلم- من الكلام، ولو بأقل شيء، مثل نهي صاحبه عن الكلام ولو بقوله: " أنصت"، ومن تكلم والإمام يخطب فقد لغا فيحرم من فضيلة الجمعة؛ لأنه أتى بما يشغله ويشغل غيره عن سماع الخطبة.
জুম�আর সালাতের বিশেষ নিদর্শন হলো দুই খুতবা। আর এ খুতবার উদ্দেশ্য হলো মানুষকে ওয়াজ-নসিহত করা ও দিকনির্দেশনা দেওয়া। শ্রোতার ওয়াজিব শিষ্টাচার হলো খুতবা দু�টিতে মনোযোগ দেওয়া ও নসিহতে গভীরভাবে চিন্তা করা। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুম�আর খুতবার সময় কথা বলতে নিষেধ করেছেন; যদিও তা সামান্য পরিমাণে হয়। যেমন স্বীয় সাথীকে কথা থেকে বিরত রাখতে �চুপ করো।� বলা। কাজেই ইমামের খুতবার সময় যদি কেউ কথা বলে তবে সে অনর্থক কাজ করলো। ফলে সে জুম�আর ফযীলত থেকে বঞ্চিত হবে। কেননা. সে এমন কাজ করলো যা তাকে ও অন্যকে খুতবা শোনা থেকে বিরত রাখে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3107

 
Hadith   154   الحديث
الأهمية: اسْتَأْذَنَ الْعَبَّاسُ بن عَبْدِ الْمُطَّلِب رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: أن يبيت بمكة ليالي مِنى، من أجل سِقَايَتِه فأذن له
থিম: হাজীদের পানি পান করানোর আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট মিনার দিনগুলোতে মক্কায় রাত কাটানোর অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি তাকে অনুমতি দিলেন।

عن عبد الله بن عُمَر -رضي الله عنه- قال: �اسْتَأْذَنَ الْعَبَّاسُ بن عَبْدِ الْمُطَّلِب رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: أن يبيت بمكة ليالي مِنى، من أجل سِقَايَتِه فأذن له�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �হাজীদের পানি পান করানোর আব্বাস ইবন আব্দুল মুত্তালিব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট মিনার দিনগুলোতে মক্কায় রাত কাটানোর অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি তাকে অনুমতি দিলেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
المبيت بمِنى ليالي التشريق أحد واجبات الحج التي فعلها النبي -صلى الله عليه وسلم-، فإن الإقامة بـ"منى" تلك الليالي والأيام من الطاعة لله -تعالى- ومن شعائر الحج.
ولما كانت سِقاية الحجيج من القُرَبِ المفضلة، لأنها خدمة لحجاج بيته وأضيافه، رخص -صلى الله عليه وسلم- لعمه العباس في ترك المبيت بـمِنى؛ لكونه قائماً على السقاية، فيقوم بِسَقْي الحجاج، وهي مصلحة عامة، مما دلَّ على أن غيره، ممن لا يعمل مثل عمله وليس له عذر ليس له هذه الرخصة.
আইয়ামুত তাশরীকের দিনগুলোতে মিনায় রাত্রি যাপন করা হজের একটি অন্যতম ওয়াজিব যা নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে করেছেন। কেননা উপরোক্ত দিন ও রাতগুলো মিনাতে যাপন করা আল্লাহর আনুগত্য ও হজের নিদর্শনসমূহের একটি নিদর্শন। অন্যদিকে হাজীদেরকে পানি পান করানোও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি উপায়। কেননা এ কাজটি আল্লাহর ঘরে হজ করতে আসা হাজীগণ ও মেহমানদের খিদমত। তাই নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় চাচা আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুকে মিনায় রাত যাপন না করারা অনুমতি দিয়েছেন যাতে তিনি পান করানোর দায়িত্ব পালন করেন। এটি ছিল সামগ্রিক কল্যাণকর কাজ। যাতে প্রমাণিত হয় অন্য কেউ ছিল না যে তার মতো কাজটি করতে পারবে। আর যার কোন সমস্যা নেই সে এ বিশেষ ছাড় পাবে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3108

 
Hadith   155   الحديث
الأهمية: أَسْرِعُوا بِالْجِنَازَةِ فإنها إن تَكُ صالحة: فخير تُقَدِّمُونَهَا إليه، وإن تَكُ سِوى ذلك: فشرٌ تَضَعُونَهُ عن رِقَابِكُمْ
থিম: জানাযাকে দ্রুত নিয়ে যাও, কেননা যদি সে নেককার হয় তবে তোমরা তাকে তার কল্যাণের দিকে দ্রুত পৌঁছে দিবে। আর যদি সে ভিন্ন কিছু হয় তবে তোমরা একটা অকল্যাণ তোমাদের ঘাড় (দায়িত্বভার) থেকে দ্রুত নামিয়ে দিলে।

عن أبي هُرَيْرَةَ -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �أَسْرِعُوا بِالْجِنَازَةِ فإنها إن تَكُ صالحة: فخير تُقَدِّمُونَهَا إليه. وإن تَكُ سِوى ذلك: فشرٌ تَضَعُونَهُ عن رِقَابِكُمْ�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �জানাযাকে দ্রুত নিয়ে যাবে। কেননা যদি সে নেককার হয় তবে তোমরা তাকে তার কল্যাণের দিকে দ্রুত পৌঁছে দিবে। আর যদি সে ভিন্ন কিছু হয় তবে তোমরা একটা অকল্যাণ তোমাদের ঘাড় (দায়িত্বভার) থেকে দ্রুত নামিয়ে দিলে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أمر الشارع الحكيم بالإسراع بدفن الجنازة، والاحتمال الآخر أن المراد الإسراع في تجهيز الميت، من التغسيل والصلاة والحمل والدفن، وذلك لأنها إذا كانت صالحة، فإنها ستقدم إلى الخير والفلاح، ولا ينبغي تعويقها عنه، وهي تقول: قَدِّموني قدموني، وإن كانت سوى ذلك، فهي شر بينكم، فينبغي أن تفارقوه، وتريحوا أنفسكم من عنائه ومشاهدته، فتخففوا منه بوضعه في قبره.
বিজ্ঞ শরী�আত প্রণেতা জানাযাকে দ্রুত দাফন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে জানাযা দ্বারা আরেকটি অর্থ হতে পারে। তা হলো, মাইয়্যেতকে প্রস্তুত করতে গোসল, জানাযার সালাত আদায়, কবরের বহন করে নেওয়া ও দাফন ইত্যাদি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা। কেননা যদি সে নেককার হয় তবে তাকে তার সফলতা ও কল্যাণের দিকে দ্রুত পৌঁছে গেল। তাকে তার থেকে বিলম্ব করানো উচিত নয়। সে বলতে থাকে, আমাকে দ্রুত এগিয়ে নাও, আমাকে দ্রুত এগিয়ে নাও। আর যদি সে ভিন্ন কিছু হয় তবে সে তোমাদের মাঝে একটি খারাপ লোক। সুতরাং তোমাদের উচিত হবে তাকে দ্রুত তোমাদের থেকে আলাদা করা এবং তার দায়িত্বভার ও তাকে দেখা থেকে তোমাদের নফসকে মুক্তি করা, ফলে তাকে তার কবরে রেখে তোমরা হালকা হও।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3109

 
Hadith   156   الحديث
الأهمية: ألا أحدثكم حديثا عن الدجال ما حدث به نبي قومه! إنه أعور، وإنه يجيء معه بمثال الجنة والنار، فالتي يقول إنها الجنة هي النار
থিম: তোমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে আমি কি এমন কথা বলব না, যা কোন নবীই তাঁর জাতিকে বলেননি? তা এই যে, সে হবে কানা। আর সে নিজের সাথে নিয়ে আসবে জান্নাত ও জাহান্নামের মত কিছু। যাকে সে জান্নাত বলবে, বাস্তবে সেটাই হবে জাহান্নাম।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: ألا أُحَدِّثُكُمْ حديثا عن الدجال ما حدَّثَ به نبيٌّ قومه! إنه أعور، وإنه يَجيءُ معه بمثالِ الجنة والنار.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, �আমি কি তোমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে এমন কথা বলবো না, যা কোন নবীই তাঁর জাতিকে বলেননি? তা এই যে, সে হবে কানা। আর সে নিজের সাথে নিয়ে আসবে জান্নাত ও জাহান্নামের মত কিছু। যাকে সে জান্নাত বলবে, বাস্তবে সেটাই হবে জাহান্নাম।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
ما من نبي من الأنبياء إلا أنذر قومه الدجال الأعور، وأنه لا يأتي إلا في آخر الزمان، أما نبينا -صلى الله عليه وسلم- فهو الذي فصل البيان في الدجال بما لم يقله الأنبياء والمرسلين قبله، وأنه يوهم الناس، ويُلبِّس عليهم فيحسبون أن هذا الذي أطاعه أدخله الجنة، وأن هذا الذي عصاه أدخله النار، والحقيقة بخلاف ذلك.
নবীগণের মধ্যে এমন কোন নবী ছিলেন না যিনি তার উম্মতকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেননি। অথচ সে কেবল শেষ যামানায় আসবে। আর আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাজ্জাল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন যা পূর্বের নবী ও রাসূলগণ আলোচনা করেননি। আর সে মানুষকে বিভ্রান্ত করবে এবং সংশয়ের মধ্যে ফেলবে। ফলে তারা ধারণা করবে, এই যে লোকটি তার অনুসরণ করেছে তাকে সে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছে। আর যে তার অবাধ্য হয়েছে তাকে সে জাহান্নামে প্রবেশ করিয়েছে। অথচ বাস্তবতা হালো তার সম্পূর্ণ বিপরীত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3110

 
Hadith   157   الحديث
الأهمية: اعْتَدِلُوا في السجود، ولا يَبْسُطْ أحدكم ذِرَاعَيْهِ انْبِسَاطَ الكلب
থিম: তোমরা সিজদায় মধ্যপন্থা অবলম্বন করো। তোমাদের কেউ যেন তার বাহুদ্বয় কুকুরের ন্যায় বিছিয়ে না রাখে।

عن أَنَس بن مالك -رضي الله عنه- عَنْ النَّبِيِّ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ: �اعْتَدِلُوا في السجود، ولا يَبْسُطْ أحدكم ذِرَاعَيْهِ انْبِسَاطَ الكلب�.

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �তোমরা সিজদায় মধ্যপন্থা অবলম্বন করো। তোমাদের কেউ যেন তার বাহুদ্বয় কুকুরের ন্যায় বিছিয়ে না রাখে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أمر النبي -صلى الله عليه وسلم- بالاعتدال في السجود، وذلك بأن يكون المصلي على هيئة حسنة في السجود، حيث يجعل كفيه على الأرض، ويرفع ذراعيه ويبعدهما عن جَنْبيه، لأن هذه الحال عنوان النشاط والرغبة المطلوبين في الصلاة، ولأن هذه الهيئة الحسنة تُمكِّن أعضاء السجود كلها من الأخذ بحظها من العبادة.
ونُهِيَ عن بسط الذراعين في السجود؛ لأنه دليل الكسل والملل، وفيه تشبه بالكلب، وهو تشبه بما لا يليق.
নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদায় মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ মুসল্লী সিজদায় সুন্দর আকৃতিতে হবে। সে তার দু�হাতের তালু যমীনের উপর রাখবে, দু�বাহু আগলা করবে এবং বাহুদ্বয়কে দু�পার্শ্ব থেকে দূরে রাখবে। কেননা এ অবস্থা হলো উৎসাহ-উদ্দীপনার ও মনোযোগী হওয়ার আলামত যা সালাতে মুসল্লীদের থেকে কাম্য। এ ছাড়াও এ সুন্দর অবস্থার কারণে সিজদার সমস্ত অঙ্গগুলো তার ইবাদতের অংশ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।
আর সিজদায় বাহুদ্বয় বিছিয়ে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা এটি অলসতা ও বিরক্তির প্রমাণ। এতে রয়েছে কুকুরের সাথে সাদৃশ্য। আর তা এমন একটি সাদৃস্য শোভাযোগ্য নয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3111

 
Hadith   158   الحديث
الأهمية: سألت أنس بن مالك: أكان النبي -صلى الله عليه وسلم- يُصَلِّي في نَعْلَيْهِ؟ قال: نعم
থিম: আমি আনাস ইব্নু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তাঁর না�লাইন (চপ্পল) পরে সালাত আদায় করতেন? তিনি বললেন, হাঁ।

عن مَسْلَمَةَ سَعِيدِ بْنِ يَزِيد قال: سألت أنس بن مالك: أكان النبي -صلى الله عليه وسلم- يُصَلِّي في نَعْلَيْهِ؟ قال: �نعم�.

(আবূ) মাসলামাহ সা�ঈদ ইব্নু ইয়াযীদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস ইব্নু মালিক�রাদিয়াল্লাহু আনহু�কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তাঁর না�লাইন (চপ্পল) পরে সালাত আদায় করতেন? তিনি বললেন, হাঁ।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
من المقاصد الشرعية مخالفة أهل الكتاب، وإزالة كل شيء فيه مشقة وحرج على المسلم، وقد سأل سعيد بن يزيد وهو من ثقات التابعين أنس بن مالك -رضي الله عنه- عن النبي صلى الله عليه وسلم: أكان يصلى في نعليه؛ ليكون له قدوة فيه؟ أو كأنه استبعد ذلك لما يكون فيها من القذر والأذى غالبًا، فأجابه أنس: نعم، كان يصلى في نعليه، وأن ذلك من سنته المطهرة، وهذا ليس خاصًّا بأرض أو زمن معين.
ইসলামের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো কিতাবীদের বিরোধিতা করা এবং যে সব বিষয়ে মুসলিমের ওপর কষ্ট এবং ক্ষতি রয়েছে তা দূর করা। সা�ঈদ ইবন ইয়াযীদ যিনি একজন নির্ভরযোগ্য তাবে�ঈ তিনি আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহুকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কি তার পাদুকাদ্বয়ে সালাত আদায় করতেন, যাতে এ বিষয়ে তিনি তার অনুকরনীয় হোন? অথবা জুতায় সাধারণত ময়লা আর্বজনা থাকার কারণে তিনি বিষয়টি আশ্চর্য মনে করেন? তখন আনাস তাকে হ্যাঁ বলে উত্তর দেন। তিনি তার পাদুকাদ্বয়ে সালাত আদায় করতেন। এটি তার পবিত্র সুন্নাতসমূহের অর্ন্তভুক্ত। এটি কোন ভুখন্ড বা নির্দিষ্ট যামানার সাথে খাস নয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3112

 
Hadith   159   الحديث
الأهمية: والذي نفسي بيده لا تذهب الدنيا حتى يمر الرجل على القبر، فيتمرغ عليه ويقول: يا ليتني كنت مكان صاحب هذا القبر، وليس به الدين، ما به إلا البلاء
থিম: �সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন, ততক্ষণ পর্যন্ত দুনিয়া বিনাশ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো ব্যক্তি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে উক্ত কবরের উপর গড়াগড়ি দেবে আর বলবে, �হায়! হায়! যদি আমি এই কবরবাসীর স্থানে হতাম!� এরূপ উক্তি সে দীন রক্ষার মানসে বলবে না, বরং তা বলবে পার্থিব বালা-মুসীবতে অতিষ্ঠ হওয়ার কারণে।�

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قالَ: قالَ رَسُولُ اللَّه -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم-: �والذي نفسي بيده لا تذهب الدنيا حتى يمر الرجل على القبر، فَيَتَمَرَّغَ عليه ويقول: يا ليتني كنت مكان صاحب هذا القبر، وليس به الدِّينُ، ما به إلا البلاء�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন, ততক্ষণ পর্যন্ত দুনিয়া বিনাশ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো ব্যক্তি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে উক্ত কবরের উপর গড়াগড়ি দিবে আর বলবে, �হায়! যদি আমি এই কবরবাসীর স্থানে হতাম!� এরূপ উক্তি সে দীন রক্ষার মানসে বলবে না, বরং তা বলবে পার্থিব বালা-মুসীবতে অতিষ্ঠ হওয়ার কারণে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا النبي الكريم -صلى الله عليه وسلم- أنه في آخر الزمان يمر الرجل بقبر الرجل فيتقلب في التراب يريد أن يكون مكانه مما أصابه من الأنكاد الدنيوية وكثرة الفتن والمحن، وذلك لاستراحة الميت من نصب الدنيا وعنائها.
وليس في الحديث تمني الموت وإنما هو إخبار عما سيقع في آخر الزمان.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সংবাদ দেন যে, শেষ যামানার অবস্থা এমন হবে যে, এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে উক্ত কবরের মাটিতে গড়াগড়ি দিবে। পার্থিব বালা-মুসীবত, অধিক ফিতনা ও বিভিন্ন পরীক্ষায় অতিষ্ঠ হওয়ার কারণে সে চাইবে এ কবর যেন তার অবস্থান হয়। কারণ, মৃত ব্যক্তি দুনিয়ার কষ্ট-ক্লেশ ও শাস্তি হতে মুক্ত। হাদীসটিতে মৃত্যু কামনাকে সমর্থন করা হয় নি বরং এখানে শেষ যামানায় যা সংঘটিত হবে সে সম্পর্কে শুধু সংবাদ দেওয়া হয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3114

 
Hadith   160   الحديث
الأهمية: لا تقوم الساعة حتى يحسر الفرات عن جبل من ذهب يقتتل عليه، فيقتل من كل مائة تسعة وتسعون
থিম: ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতদিন পর্যন্ত ফুরাত নদী একটি সোনার পাহাড় বের না করবে, যা নিয়ে যুদ্ধ বাঁধবে। ফলে যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেক শ থেকে নিরানব্বই জনই মারা যাবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: �لا تقوم الساعة حتى يحسر الفرات عن جبل من ذهب يُقْتَتَلُ عليه، فَيُقْتَلُ من كل مائة تسعة وتسعون، فيقول كل رجل منهم: لعلي أن أكون أنا أنجو�.
   وفي رواية: �يوشك أن يحسر الفرات عن كنز من ذهب، فمن حضره فلا يأخذ منه شيئا�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �ততদিন পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতদিন পর্যন্ত ফুরাত নদী একটি সোনার পাহাড় বের না করবে, যা নিয়ে যুদ্ধ বাঁধবে। ফলে যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী প্রত্যেক শ থেকে নিরানব্বই জনই মারা যাবে! তাদের প্রত্যেকে বলবে যে, �সম্ভবতঃ আমি বেঁচে যাব।� অন্য এক বর্ণনায় আছে, �অদূর ভবিষ্যতে ফুরাত নদী স্বর্ণের খনি বের করে দিবে। সুতরাং যে সেখানে উপস্থিত হবে, সে তার থেকে কিছুই গ্রহণ করবে না।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا نبينا الكريم -صلى الله عليه وسلم- أن قرب قيام الساعة يكشف نهر الفرات عن كنز من ذهب أو جبل من ذهب بمعنى أن الذهب يخرج جبلا, وأن الناس سيقتتلون عليه لأن ذلك من الفتن, ثم ينهانا -صلى الله عليه وسلم- عن الأخذ منه لمن أدرك ذلك؛ لأنه لا أحد ينجو منه، وربما يتأول بعض من يحضر ذلك هذا الحديث ويصرفه عن معناه ليسوغ لنفسه الأخذ منه، نعوذ بالله من الفتن.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জানিয়ে দিচ্ছেন যে, কিয়ামতের কাছাকাছি সময়ে ফুরাত নদী স্বর্ণের খনি বা স্বর্ণের পাহাড় বের করে দিবে। অর্থাৎ পাহাড়ের ন্যায় স্বর্ণ বের হবে। আর লোকেরা তার জন্য মারামারি করবে। কারণ, এটা ফিতনা। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের যে কেউ সেখানে উপস্থিত থাকবে তাকে তা থেকে গ্রহণ করতে নিষেধ করছেন। কারণ, তার থেকে কেউ নাজাত পাবে না। হতে পারে, যে তখন উপস্থিত থাকবে সে এ হাদীসটির অপব্যাখ্যা করবে ও হাদীসের প্রকৃত অর্থকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করবে; যাতে নিজে সেখান থেকে কিছু গ্রহণ করার সুযোগ পায়। আমরা আল্লাহর কাছে যাবতীয় ফিতনা থেকে আশ্রয় কামনা করছি।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3115

 
Hadith   161   الحديث
الأهمية: يتركون المدينة على خير ما كانت، لا يغشاها إلا العوافي
থিম: মদীনার অবস্থা উত্তম থাকা সত্বেও তার অধিবাসীরা মদীনা ত্যাগ ক�রে চলে যাবে। (সে সময়) সেখানে কেবল বন্য হিংস্র পশু-পাখিতে ভরে যাবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: سمعتُ رسولَ اللهِ - صلى الله عليه وسلم - يقولُ: (يتركون المدينة على خير ما كانت، لا يَغْشَاهَا إلا العَوَافِي يريد -عوافي السِّباع والطير-، وآخِر من يُحْشَرُ راعيان من مُزَيْنَةَ، يُرِيدَانِ المدينةَ يَنْعِقَانِ بغنمهما، فيَجِدَانِها وُحُوشًا، حتى إذا بلغا ثَنِيَّةَ الوَدَاعِ خَرَّا على وُجوههما).
থিম: আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফূ হিসেবে বর্ণিত: �মদীনার অবস্থা উত্তম থাকা সত্বেও তার অধিবাসীরা মদীনা ত্যাগ ক�রে চলে যাবে। (সে সময়) সেখানে কেবল বন্য হিংস্র পশু-পাখিতে ভরে যাবে। সব শেষে যাদের উপর কিয়ামত সংঘটিত হবে, তারা মুযাইনাহ গোত্রীয় দু�জন রাখাল, যারা নিজেদের ছাগলের পাল হাঁকাতে হাঁকাতে মদীনা অভিমুখে নিয়ে যাবে। তারা মদীনাকে হিংস্র জীব-জন্তুতে ঠাসা অবস্থায় পাবে। তারপর যখন তারা (মদীনার উপকণ্ঠে অবস্থিত) �সানিয়্যাতুল্ অদা� নামক স্থানে পৌঁছবে, তখন তারা মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে যাবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا النبي الكريم -ضلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث أن المدينة النبوية زادها الله تشريفا وتعظيما يخرج عنها ساكنوها، ولا يبقى فيها إلا السباع والطيور ليس فيها أحد، وأن هذا سيحصل في آخر الزمان، وأنه سيأتي راعيا غنم من مزينة إلى المدينة يصيحان بغنمهما، فيجدانها ذات وحشة لخلائها، وهما آخر من يحشر، فإذا بلغا ثنية الوداع سقطا ميتين.
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সংবাদ দেন যে, নবীজির মদীনা�আল্লাহ তার সম্মান ও ইজ্জত বৃদ্ধি করুক�তার অধিবাসীরা তা ত্যাগ ক�রে চলে যাবে। (সে সময়) সেখানে কেবল বন্য হিংস্র পশু-পাখি ছাড়া আর কিছু থাকবে না। আর এটি সংঘটিত হবে শেষ যামানায়। মুযাইনাহ গোত্রীয় দু�জন রাখাল, যারা নিজেদের ছাগলের পাল হাঁকাতে হাঁকাতে মদীনা অভিমুখে নিয়ে যাবে। তারা মদীনাকে হিংস্র জীব-জন্তুতে ঠাসা অবস্থায় পাবে। তারা তাদের ছাগলের পাল নিয়ে চিৎকার করবে। তা বিরাণ হওয়ার কারণে তাকে তারা ভীতিকর অবস্থায় পাবে। আর তারা দু�জনই হলো সর্বশেষ লোক। তারপর তারা যখন (মদীনার উপকণ্ঠে অবস্থিত) �সানিয়্যাতুল্ অদা� নামক স্থানে পৌঁছবে, তখন তারা মুখ থুবড়ে মৃত অবস্থায় পড়ে যাবে।�
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3116

 
Hadith   162   الحديث
الأهمية: يكون خليفة من خلفائكم في آخر الزمان يحثو المال ولا يعده
থিম: আখেরী যামানায় তোমাদের খলীফাগণের মধ্যে একজন খলীফা এমন হবেন, যিনি হাত ভর্তি দান করবেন; গণনা করবেন না।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- مرفوعاً: �يكون خليفة من خلفائكم في آخر الزمان يحثُو المالَ ولا يَعُدُّهُ�.

আবূ সা�ঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত, �আখেরী যামানায় তোমাদের খলীফাগণের মধ্যে একজন খলীফা এমন হবেন, যিনি হাত ভর্তি দান করবেন; গণনা করবেন না।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا الرسول الكريم -صلى الله عليه وسلم- أنه في آخر الزمان يقوم خليفة المسلمين بإنفاق المال بلا عدد ولا حساب لكثرة الأموال والغنائم مع سخاء نفسه.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার সংবাদ দিচ্ছেন যে, শেষ যামানায় খলীফাতুল মুসলিমীন এমন হবেন যে, প্রচুর সম্পদ এবং গণীমতের মাল হস্তগত হওয়ার কারণে উদারতার সঙ্গে অগণিত ও হিসাব ছাড়া সম্পদ ব্যয় করবেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3117

 
Hadith   163   الحديث
الأهمية: ليأتين على الناس زمان يطوف الرجل فيه بالصدقة من الذهب فلا يجد أحدا يأخذها منه، ويرى الرجل الواحد يتبعه أربعون امرأة يلذن به من قلة الرجال وكثرة النساء
থিম: লোকেদের উপর এমন একটি সময় অবশ্যই আসবে, যখন মানুষ সোনার যাকাত নিয়ে ঘোরাঘুরি করবে; কিন্তু সে এমন কাউকে পাবে না যে, তার নিকট হতে তা গ্রহণ করবে। আর দেখা যাবে যে, পুরুষের সংখ্যা কম ও মহিলার সংখ্যা বেশী হওয়ার দরুন চল্লিশজন মহিলা একজন পুরুষকে আশ্রয় করে থাকবে।�

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: �لَيَأْتِيَنَّ على الناس زمانٌ يَطُوفُ الرجلُ فيه بالصدقة من الذهب فلا يجد أحدا يأخذها منه، ويُرَى الرجلُ الواحدُ يَتْبَعُهُ أربعون امرأة يَلُذْنَ به من قِلَّةِ الرجال وكَثْرَةِ النساء�.

আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, লোকেদের উপর এমন একটি সময় অবশ্যই আসবে, যখন মানুষ সোনার যাকাত নিয়ে ঘোরাঘুরি করবে; কিন্তু সে এমন কাউকে পাবে না যে, তার নিকট হতে তা গ্রহণ করবে। আর দেখা যাবে যে, পুরুষের সংখ্যা কম ও মহিলার সংখ্যা বেশী হওয়ার দরুন চল্লিশজন মহিলা একজন পুরুষকে আশ্রয় করে থাকবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سيكثر المال بين يدي الناس حتى لا يوجد من يأخذه، وسيقل الرجال ويكثر النساء إما بسبب الحروب الطاحنة وإما لكثرة ولادة النساء، حتى يكون للرجل الواحد أربعون امرأة، من بنات وأخوات وشبههن من القريبات يلتجئن إليه ويستغثن به.
মানুষের সামনে ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। এমনকি তা গ্রহণ করার কোন লোক পাওয়া যাবে না। পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে এবং নারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। হয়তো তা তুমুল যুদ্ধের কারণে হবে অথবা কন্যা সন্তান অধিক হারে জন্ম লাভের কারণে। এমনকি একজন ব্যক্তির জন্য মেয়ে, বোন এবং তাদের মতো নিকটাত্মীয় মিলে চল্লিশজন মহিলা হবে যারা তার কাছে আশ্রয় চাইবে এবং তার কাছে সাহায্য চাইবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3118

 
Hadith   164   الحديث
الأهمية: اشترى رجل من رجل عقارا، فوجد الذي اشترى العقار في عقاره جرة فيها ذهب
থিম: �(প্রাচীনকালে) একটি লোক অন্য লোক হতে একটি জায়গা ক্রয় করল। ক্রেতা ঐ জায়গায় (প্রোথিত) একটি কলসী পেল, যাতে স্বর্ণ ছিল। জায়গার ক্রেতা বিক্রেতাকে বলল, �তোমার স্বর্ণ নিয়ে নাও। আমি তো তোমার জায়গা খরিদ করেছি, স্বর্ণ খরিদ করিনি।� জায়গার বিক্রেতা বলল, �আমি তোমাকে জায়গা এবং তাতে যা কিছু আছে সবই বিক্রি করেছি।� অতঃপর তারা উভয়েই এক ব্যক্তির নিকট বিচার প্রার্থী হল। বিচারক ব্যক্তি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, �তোমাদের সন্তান আছে কি?� তাদের একজন বলল, �আমার একটি ছেলে আছে।� অপরজন বলল, �আমার একটি মেয়ে আছে।� বিচারক বললেন, �তোমরা ছেলেটির সাথে তার মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দাও এবং ঐ স্বর্ণ থেকে তাদের জন্য খরচ কর এবং দান কর।�

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: اشترى رجل من رجل عَقَارًا، فوجد الذي اشترى العَقَارَ في عَقَارِه جَرَّةً فيها ذهب، فقال له الذي اشترى العقار: خذ ذهبك، إنما اشتريت منك الأرض ولم أَشْتَرِ الذهب، وقال الذي له الأرض: إنما بِعْتُكَ الأرض وما فيها، فتحاكما إلى رجل، فقال الذي تحاكما إليه: أَلَكُمَا ولد؟ قال أحدهما: لي غلام، وقال الآخر: لي جارية قال: أنكحا الغلام الجارية، وأنفقا على أنفسهما منه وتَصَدَّقَا.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �(প্রাচীনকালে) একটি লোক অন্য লোক হতে একটি জায়গা ক্রয় করল। ক্রেতা ঐ জায়গায় (প্রোথিত) একটি কলসী পেল, যাতে স্বর্ণ ছিল। জায়গার ক্রেতা বিক্রেতাকে বলল, �তোমার স্বর্ণ নিয়ে নাও। আমি তো তোমার জায়গা খরিদ করেছি, স্বর্ণ খরিদ করিনি।� জায়গার বিক্রেতা বলল, �আমি তোমাকে জায়গা এবং তাতে যা কিছু আছে সবই বিক্রি করেছি।� অতঃপর তারা উভয়েই এক ব্যক্তির নিকট বিচার প্রার্থী হল। বিচারক ব্যক্তি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, �তোমাদের সন্তান আছে কি?� তাদের একজন বলল, �আমার একটি ছেলে আছে।� অপরজন বলল, �আমার একটি মেয়ে আছে।� বিচারক বললেন, �তোমরা ছেলেটির সাথে তার মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দাও এবং ঐ স্বর্ণ থেকে তাদের জন্য খরচ কর এবং দান কর।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا النبي -صلى الله عليه وسلم- أن رجلاً اشترى من رجل أرضا فوجد المشتري بها ذهبا ولشدة ورعه رد هذا الذهب إلى البائع؛ لأنه اشترى الأرض ولم يشتر الذهب الذي أودع فيه، فأبى البائع أيضا أن يأخذه؛ لشدة تحريه وورعه, ولأنه باع الأرض بما فيها، فاختصما وقالا للقاضي: ابعث من يقبضه وتضعه حيث رأيت، فامتنع, فسألهما هل عندهما أولاد؟ فأخبر أحدهما أن عنده غلام، وأخبر الآخر أن عنده جارية، فاقترح عليهما أن يزوج الشاب البنت وينفق عليهما من هذا الذهب وأن يتصدقا منه.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সংবাদ দেন যে, এক লোক অন্য লোক হতে কিছু জায়গা ক্রয় করল। ক্রেতা ঐ জায়গায় (প্রোথিত) কিছু স্বর্ণ পেল। অত্যধিক পরহেজগার হওয়ার কারণে সে স্বর্ণ জমি বিক্রেতাকে ফেরত দিল। কারণ, সে তো জায়গা খরিদ করেছে, তাতে সংরক্ষিত স্বর্ণ খরিদ করেনি।� বিক্রেতাও অধিক সতর্কতা ও পরহেজগারীর কারণে তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করল।কারণ সে জায়গা এবং তাতে যা কিছু আছে সবই বিক্রি করেছে।� অতঃপর তারা উভয়েই বিবাধ করল এবং একজন বিচারকের কাছে গিয়ে বলল, তুমি একজনকে পাঠাও যে তা নিয়ে আসবে এবং তুমি ইচ্ছা মতো যেখানে চাও সেখানে রাখ। সে বিরত থাকলো এবং তাদের জিজ্ঞাসা করল, �তোমাদের সন্তান আছে কি?� তাদের একজন বলল, �আমার একটি ছেলে আছে।� অপরজন বলল, �আমার একটি মেয়ে আছে।� বিচারক তাদের পরামর্শ দিল, ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ে দিয়ে দিতে এবং ঐ স্বর্ণ থেকে তাদের জন্য খরচ করতে ও তা থেকে দান করতে।�
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    বিভিন্ন বর্ণনায় মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3119

 
Hadith   165   الحديث
الأهمية: كانت امرأتان معهما ابناهما، جاء الذئب فذهب بابن إحداهما
থিম: দু�জন মহিলার সাথে তাদের দু�টি ছেলে ছিল। একদা একটি নেকড়ে বাঘ এসে তাদের মধ্যে একজনের ছেলেকে নিয়ে গেল। একজন মহিলা তার সঙ্গিনীকে বলল, �বাঘে তোমার ছেলেকেই নিয়ে গেছে।� অপরজন বলল, �তোমার ছেলেকেই বাঘে নিয়ে গেছে।� সুতরাং তারা দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর নিকট বিচারপ্রার্থিনী হল। তিনি (অবশিষ্ট ছেলেটি) বড় মহিলাটির ছেলে বলে ফায়সালা ক�রে দিলেন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه-: أنه سمع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: كانت امرأتان معهما ابناهما، جاء الذئب فذهب بابن إحداهما، فقالت لصاحبتها: إنما ذهب بابنك، وقالت الأخرى: إنما ذهب بابنك، فتحاكما إلى داود -صلى الله عليه وسلم- فقضى به للكبرى، فخرجتا على سليمان بن داود -صلى الله عليه وسلم- فأخبرتاه، فقال: ائتوني بالسكين أَشُقُّهُ بينهما، فقالت الصغرى: لا تفعل! رحمك الله، هو ابنها، فقضى به للصغرى.

আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �দু�জন মহিলার সাথে তাদের দু�টি ছেলে ছিল। একদা একটি নেকড়ে বাঘ এসে তাদের মধ্যে একজনের ছেলেকে নিয়ে গেল। একজন মহিলা তার সঙ্গিনীকে বলল, �বাঘে তোমার ছেলেকেই নিয়ে গেছে।� অপরজন বলল, �তোমার ছেলেকেই বাঘে নিয়ে গেছে।� সুতরাং তারা দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর নিকট বিচারপ্রার্থিনী হল। তিনি (অবশিষ্ট ছেলেটি) বড় মহিলাটির ছেলে বলে ফায়সালা ক�রে দিলেন। অতঃপর তারা বের হয়ে দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর পুত্র সুলায়মান আলাইহিস সালাম-এর নিকট দিয়ে গেল এবং উভয়ে তাকে ঘটনাটি বর্ণনা করল। তখন তিনি বললেন, �আমাকে একটি চাকু দাও। আমি একে দু টুকরো ক�রে দু�জনের মধ্যে ভাগ ক�রে দেব।� তখন ছোট মহিলাটি বলল, �আপনি এরূপ করবেন না। আল্লাহ আপনাকে রহম করুন। ছেলেটি ওরই।� তখন তিনি ছেলেটি ছোট মহিলার (নিশ্চিত জেনে) ফায়সালা দিলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا نبينا -صلى الله عليه وسلم- عن قصة امرأتين خرجتا بابنين لهما فأكل الذئب ابن واحدة منهما وبقي ابن الأخرى، فقالت كل واحدة منهما إنه لي، فتحاكمتا إلى داود -عليه السلام- فقضى به للكبرى منهما اجتهادا منه؛ لأن الكبرى ربما تكون قد توقفت عن الإنجاب، أما الصغرى شابة وربما تنجب غيره في المستقبل، ثم خرجتا من عنده إلى سليمان -عليه السلام- ابنه، فأخبرتاه بالخبر فدعا بالسكين، وقال: أشقه بينكما نصفين، فأما الكبرى فرحبت وأما الصغرى فرفضت، وقالت هو ابن الكبرى، أدركتها الشفقة والرحمة لأنه ابنها حقيقة فقالت هو ابنها يا نبي الله، فقضى به للصغرى ببينة وقرينة كونها ترحم هذا الولد وتقول هو للكبرى ويبقى حيا أهون من شقه نصفين، فقضى به للصغرى.
আমাদের নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-আমাদেরকে দুইজন মহিলার ঘটনা সম্পর্কে অবগত করেন। তারা দুইজন তাদের দুইজনের ছেলে নিয়ে বের হলো। একটি নেকড়ে বাঘ এসে তাদের মধ্যে একজনের ছেলেকে নিয়ে গেল, আর অপর ছেলেটি থেকে গেল। তারা উভয় বলল, অবশিষ্ট ছেলেটি আমার। সুতরাং তারা দাঊদ আলাইহিস সালাম-এর নিকট বিচারপ্রার্থিনী হল। তিনি স্বীয় ইজতিহাদ দ্বারা (অবশিষ্ট ছেলেটি) বড় মহিলাটির জন্য ফায়সালা ক�রে দিলেন। কারণ, হতে পারে বড় মহিলাটি বন্দা হয়ে গেছে আর সন্তান হবে না। আর ছোট মহিলাটি যুবতী। সে ভবিষ্যতে আরেকটি সন্তান লাভ করতে পারবে। তারপর তারা দুইজন তার নিকট থেকে বের হয়ে তার ছেলে সুলায়মান আলাইহিস সালামের নিকট গেল। এবং তার কাছে ঘটনাটি পুণরায় ব্যক্ত করল। তখন তিনি বললেন, �আমাকে একটি চাকু দাও। আমি একে দু টুকরো ক�রে দু�জনের মধ্যে ভাগ ক�রে দিব।� তখন বড় মহিলাটি খুশি হলো। আর ছোট মহিলাটি প্রত্যাখ্যান করল এবং বলল, ছেলেটি বড় মহিলার। তার অন্তরে দয়া ও রহমতের উদ্রেক হলো। কারণ, বাস্তবে এটি তাঁরই সন্তান ছিল। তাই সে বলল, হে আল্লাহর নবী এটি বড় মহিলার সন্তান। তারপর তিনি দলীল ও আলামত দ্বারা ছেলেটি ছোট মহিলার জন্য ফায়সালা দিলেন। কারণ, তিনি সন্তানটির প্রতি দয়া দেখালেন এবং তাকে বাচানোর জন্য বললেন, সে বড় মহিলার ছেলে। কারণ দুই টুকরা করে তাকে মেরে ফেলার চাইতে বাঁচিয়ে রাখা অনেক উত্তম। ফলে তিনি তাকে ছোট মহিলাটির জন্য ফায়সালা দিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3120

 
Hadith   166   الحديث
الأهمية: يذهب الصالحون الأول فالأول، ويبقى حثالة كحثالة الشعير أو التمر لا يباليهم الله بالةً
থিম: নেককার ব্যক্তিরা একে একে চলে যাবেন। আর যব ও খেজুরের অব্যবহৃত অংশের মতো কেবল নিকৃষ্টরাই পড়ে থাকবে। আল্লাহ এদের প্রতি মোটেই পরোয়া করবেন না।

عن مرداس الأسلمي -رضي الله عنه- قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ -صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ-: �يذهب الصالحون الأول فالأول، ويبقى حُثَالَةٌ كَحُثَالَةِ الشعير أو التمر لا يُبَالِيهُم الله بَالَةً�.

মিরদাস আসলামী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মরফূ হিসেবে বর্ণিত, �নেককার ব্যক্তিরা একে একে চলে যাবেন। আর যব ও খেজুরের অব্যবহার্য অংশের মতো নিকৃষ্ট পড়ে থাকবে। আল্লাহ এদের প্রতি পরোয়া করবেন না।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا النبي الكريم -صلى الله عليه وسلم- أنه في آخر الزمان يقبض الله أرواح الصالحين، ويبقى أناس ليسوا أهلًا للعناية، فلا يرفع الله لهم قدراً ولا يقيم لهم وزناً ولا يرحمهم ولا ينزل عليهم الرحمة وهم شرار الخلق عند الله وعليهم تقوم الساعة.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংবাদ দিচ্ছেন যে, শেষ যামানায় আল্লাহ তাআলা নেককার ব্যক্তিগণের রূহসমূহ উঠিয়ে নিবেন। তারপর এমন কতক মানুষ থাকবে যাদের আল্লাহ কোনো মর্যাদা দিবেন না, তাদের জন্য কোনো ওজন স্থাপন করবেন না, তাদের কোন দয়া করবেন না এবং তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করবেন না। আর তারা হলো আল্লাহ তাআলার নিকট নিকৃষ্ট সৃষ্ট এবং তাদের ওপরই কিয়ামত সংঘটিত হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3121

 
Hadith   167   الحديث
الأهمية: الرجل على دين خليله، فلينظر أحدكم من يخالل
থিম: মানুষ তার বন্ধুর দ্বীনের উপর হয়। অতএব তোমাদের প্রত্যেককে দেখা উচিত কাকে বন্ধু বানাবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أَن النبيَّ -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم- قَالَ: �الرَّجُلُ عَلَى دِينِ خَلِيلِهِ، فَلْيَنْظُر أَحَدُكُم مَنْ يُخَالِل�.

আবু হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক মারফু হিসেবে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �মানুষ তার বন্ধুর দ্বীনের উপর হয়। অতএব তোমাদের প্রত্যেককে দেখা উচিত কাকে বন্ধু বানাবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أفاد حديث أبي هريرة -رضي الله عنه- أنَّ الإنسان على عادة صاحبه وطريقته وسيرته؛ فالاحتياط لدينه وأخلاقه أن يَتَأمَّل وينظر فيمن يصاحبه، فمن رضِي دينه وخلقه صاحبه، ومن لا تجَنَبَه، فإنَّ الطباع سرَّاقة والصُحبَة مُؤثِّرة في إصلاح الحال وإفساده.
فالحاصل أن هذا الحديث يدل على أنه ينبغي للإنسان أن يصطحب الأخيار؛ لما في ذلك من الخير.
আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীস দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, মানুষ তার বন্ধুর অভ্যাস, চরিত্র ও আচার আচরণের ওপর হয়ে থাকে। সুতরাং তার দীন ও আখলাকের ব্যাপারে সতর্কতা হলো, সে যাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করবে। যার দীন ও চরিত্রের ব্যাপারে সে সন্তুষ্ট হবে সে তাকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করবে। আর যার ব্যাপারে সন্তুষ্ট হবে না, তার থেকে দূরে থাকবে। কারণ, (স্বভাব চুম্বুকের ন্যায়) আকষর্ণকারী, আর সঙ্গ মানুষের অবস্থা ভালো বা খারাব করতে খুব ক্রিয়াশীল। ইমাম গায্যালী রহ. বলেন, লোভীর সাথে উঠবস ও মেলামেশা করা মানুষের লোভকে বাড়িয়ে দেয়। আর পরহেযগারের সাথে উঠবস ও মেলামেশা করা দুনিয়া বিমুখ করে। কারণ, স্বভাব তার নিজের অজান্তেই অপরের সাদৃশ গ্রহণ ও অনুকরণে অভ্যস্থ। মোট কথা এ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, একজন মানুষের উচিত ভালো মানুষকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা। কারণ, এতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3122

 
Hadith   168   الحديث
الأهمية: أهدى رسول الله صلى الله عليه وسلم مرة غنمًا
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একবার একটি ছাগল হাদীয়াহ দেওয়া হলো।

عن عائشة رضي الله عنها قالت: �أَهدَى رسول الله صلى الله عليه وسلم مَرَّةً غَنَمًا�.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু <�আনহা থেতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একবার একটি ছাগল হাদীয়াহ দেওয়া হলো।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
تخبر عائشة -رضي الله عنها- عن هدي النبي -صلى الله عليه وسلم-، والهدي هو ما يُهدى إلى مكة من بهيمة الأنعام، تقرباً إلى اللَّه -عز وجل-، ليذبح في الحرم، والهدي إلى مكة سُنة وقربة، وقد أهدى النبي -صلى الله عليه وسلم- غنماً، وأهدى إبلاً, فالسُّنة ذبحها في الحرم تقرباً إلى الله -عز وجل-، وتوزَّع بين الفقراء والمساكين: مساكين الحرم، أما الهدي الذي يجب بالتمتع، والقران، أو بشيء من ترك الواجبات، أو فعل المحرمات، فيُسمَّى فدية وهو هدي واجب، أما هذا الهدي الذي ذكرت عائشة فهو هدي يتطوع به المؤمن من بلاده، أو يشتريه من الطريق ويهديه إلى هناك هدياً بالغ الكعبة يتقرب به إلى الله -عز وجل-.
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ সময় উটকে হাদী হিসেবে প্রেরণ করতেন। কারণ, উট অধিক উপকারী ও সাওয়াবের দিক দিয়েও বেশি। আর আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা উল্লেখ করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা একটি ছাগল হাদী হিসেবে প্রেরণ করেন। আর চতুষ্পদ জন্তু হাদী প্রেরণ করা বৈধ। তবে চতুষ্পদ জন্তুকে প্রেরণ করাতে রয়েছে আল্লাহর নিদর্শনসমূহের বহিঃপ্রকাশ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে রক্ত প্রবাহিত করা। তাতে রয়েছে দুটি ইবাদত: সাদকা এবং মুর্তি ও ভুতের উদ্দেশ্যে রক্তপাত করার পরিবর্তে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রক্ত প্রবাহিত করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3124

 
Hadith   169   الحديث
الأهمية: الخازن المسلم الأمين الذي ينفذ ما أمر به فيعطيه كاملا موفرا طيبة به نفسه فيدفعه إلى الذي أمر له به، أحد المتصدقين
থিম: যে মুসলমান আমানাতদার কোষাধ্যক্ষ মালিকের আদেশ অনুযায়ী কাজ করে এবং সে ভালো মনে তাকে পূর্ণ মাল দেয়, যাকে মালিক দেওয়ার আদেশ করেন, সেও সাদকাহকারীদের মধ্যে একজন গণ্য হয়।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- عن النبيِّ -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم- أَنَّهُ قَالَ: �الخَاِزنُ المسلم الأمين الَّذِي يُنْفِذُ ما أُمِرَ بِهِ فَيُعْطِيهِ كَامِلاً مُوَفَّراً طَيِّبَةً بِهِ نَفسُهُ فَيَدْفَعُه إلى الَّذِي أُمِرَ لَهُ بِهِ، أَحَدُ المُتَصَدِّقِين�.
وفي رواية: �الذي يُعطِي مَا أُمِرَ به�.

আবূ মূসা আল-আশআরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �যে মুসলমান আমানাতদার কোষাধ্যক্ষ মালিকের আদেশ অনুযায়ী কাজ করে এবং সে ভালো মনে তাকে পূর্ণ মাল দেয়, যাকে মালিক দেওয়ার আদেশ করে, সেও সাদকাহকারীদের মধ্যে একজন গণ্য হয়।� অপর বর্ণনায় এসেছে: �যে দেয় যা দিতে তাকে নির্দেশ করা হয়েছে�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الخازن مبتدأ، وأحد المتصدقين خبر، يعني أن الخازن الذي جمع هذه الأوصاف الأربعة: الإسلام، والأمانة، وإنفاذ ما أُمِر بإعطائه، وأن يكون زمن البذل والعطاء منشرح الصدر ظاهر البشاشة والسرور.
فهو مسلم احترازا من الكافر، فالخازن إذا كان كافرا وإن كان أمينا وينفذ ما أمر به ليس له أجر؛ لأن الكفار لا أجر لهم في الآخرة فيما عملوا من الخير، قال الله تعالى: (وقدمنا إلى ما عملوا من عمل فجعلناه هباء منثورا)، وقال تعالى: (ومن يرتدد منكم عن دينه فيمت وهو كافر فأولئك حبطت أعمالهم في الدنيا والآخرة وأولئك أصحاب النار هم فيها خالدون)، أما إذا عمل خيرا ثم أسلم فإنه يسلم على ما أسلف من خير ويعطى أجره.
الوصف الثاني: الأمين يعني الذي أدى ما ائتمن عليه، فحفِظ المال، ولم يفسده، ولم يفرط فيه، ولم يعتد فيه.
الوصف الثالث: الذي ينفذ ما أمر به يعني يفعله؛ لأن من الناس من يكون أمينا لكنه متكاسل، فهذا أمين ومنفذ يفعل ما أمر به، فيجمع بين القوة والأمانة.
الوصف الرابع: أن تكون طيبة به نفسه، إذا نفذ وأعطى ما أمر به أعطاه وهو طيبة به نفسه، يعني لا يمن على المعطَى، أو يظهر أن له فضلا عليه بل يعطيه طيبة به نفسه، فهذا يكون أحد المتصدقين مع أنه لم يدفع من ماله فلسا واحدا.
আবূ মূসা আল-আশ�আরী রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। �যে মুসলিম আমানাতদার কোষাধ্যক্ষ তার প্রতি (মালিকের) আদেশ অনুযায়ী কাজ করে, ফলে সে গ্রহীতাকে পূর্ণ মাল দেয়, এবং নিজের খুশি মনে মালিক যাকে দেওয়ার আদেশ করে তাকে দিয়ে দেয়, সেও সাদকাহকারীদের একজন। মুত্তাফাকুন আলাইহি। আল খাযেন মুবতাদা আর আহাদুল মুতাসাদদিকীন খবর। অর্থাৎ, যে কোষাধ্যক্ষ এ চারটি গুণ অর্জন করবেন�ইসলাম, আমানত, যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন করা এবং খরচা করা ও দান করার সময় হাসিখুশি ও আনন্দিত থাকা। �সে মুসলিম� এ কথা বলে কাফিরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং কোষাধ্যক্ষ যদি কাফির হয়, যদিও সে আমানতদার এবং যা নির্দেশিত হয় তা বাস্তবায়ন করে তার কোন বিনিময় নেই। কারণ, আখিরাতে কাফেরদের ভালো কাজের কোন প্রতিদান নেই। আল্লাহ বলেন, �আর তারা যে কাজ করেছে আমি সে দিকে অগ্রসর হব, অতঃপর তা বিক্ষপ্ত ধূলিকনায় পরিণত করে দেব�। [সূরা ফুরকান: ২৩] তিনি আরো বলেন: �আর তোমাদের থেকে যে তার দীন থেকে মুরতাদ হবে, অতঃপর সে কাফির হয়ে মারা যাবে, তারাই তাদের আমল দুনিয়া ও আখিরাতে বরবাদ করেছে এবং তারাই জাহান্নামবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে�। [সূরা বাকারা:২১৭] কিন্তু যদি সে ভালো কাজ করল অতঃপর ইসলাম গ্রহণ করল, তখন সে পূর্বের ভালো কর্মের ওপর ইসলাম গ্রহণ করল এবং তাকে তার বিনিময় দেওয়া হবে। দ্বিতীয় গুণ: �আমানতদার� অর্থাৎ তার কাছে যে যা আমানত রেখেছে তাই সে আদায় করেছে, সে মাল সংরক্ষণ করেছে, তাতে সীমালঙ্ঘন ও বাড়াবাড়ি করেনি। তৃতীয় গুণ: যা নির্দেশিত হয় তা পালন করে। কারণ, অনেক মানুষ আছে আমানতদার কিন্তু সে অলস। এ ব্যক্তি আমানতদার এবং বাস্তবায়নকারী তাকে যা আদেশ করা হয় তাই করে। সে শক্তি ও আমানতদারী দুটি গুণকে একত্র করল। চতুর্থ গুণ: তাকে যা নির্দেশ করা হয়েছে তা খুশি মনে দেয় ও বাস্তবায়ন করে। অর্থাৎ, যাকে দেওয়া হলো তাকে খোটা দেয় না অথবা তার ওপর কোন কর্তৃত্ব প্রকাশ করে না। বরং খুশি মনেই দেয়। এ লোকটি সাদকাকারীদেরই একজন। অথচ সে তার সম্পদ থেকে একটি পয়সাও দান করেনি। এর দৃষ্টান্ত হলো: এক ব্যক্তির নিকট সম্পদ আছে। এবং সে ছিল সম্পদের হিসাব রক্ষক, মুসলিম আমানতদার, যা তাকে নির্দেশ দেওয়া হয় তাই করে। তার হকদারকে খুশিমনে দান করে। যখন সম্পদের মালিক তাকে বলে হে ভাই এ ফকীরকে দশ হাজার রিয়াল দাও। তখন সে রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহ যেভাবে বলেছেন সেভাবে দান করে। তাহলে সে ঐ ব্যক্তির মত যে দশ হাজার রিয়াল দান করল। তবে দানকারীর সাওয়াব থেকে কোন প্রকার বিনিময় কমানো হবো। কিন্তু তা আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম), তবে শব্দ সহীহ বুখারীর।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3125

 
Hadith   170   الحديث
الأهمية: كان أخوان على عهد النبي -صلى الله عليه وسلم- وكان أحدهما يأتي النبي -صلى الله عليه وسلم- والآخر يحترف، فشكا المحترف أخاه للنبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: لعلك ترزق به
থিম: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে দুই ভাই ছিল। তাদের মধ্যে একজন নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে (দ্বীন শিক্ষার জন্য) আসত আরেকজন কোনো পেশায় নিয়োজিত ছিল। অতঃপর উপার্জনশীল (ভাইটা) নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তার (শিক্ষার্থী) ভাইয়ের (কাজ না করার) অভিযোগ করল। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �সম্ভবতঃ তোমাকে তার কারণেই রুযী দেওয়া হচ্ছে।�

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: كان أخوانِ على عهد النبي -صلى الله عليه وسلم- وكان أحدُهما يأتي النبي -صلى الله عليه وسلم- والآخر يَحتَرِف، فَشَكَا الُمحتَرِف أَخَاه للنبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: �لعَلَّك تُرزَقُ بِهِ�.

আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে দুই ভাই ছিল। তাদের মধ্যে একজন নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে (দ্বীন শিক্ষার জন্য) আসত আরেকজন কোনো পেশায় নিয়োজিত ছিল। অতঃপর উপার্জনশীল (ভাইটা) নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তার (শিক্ষার্থী) ভাইয়ের (কাজ না করার) অভিযোগ করল। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �সম্ভবতঃ তোমাকে তার কারণেই রুযী দেওয়া হচ্ছে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حدَّث أنس -رضي الله عنه- فقال: كان أخوان على زمن رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، فكان أحدهما يأتي مجلس النبي -صلى الله عليه وسلم-    ويلازمه ليتلقى من معارفه ويأخذ من أقواله وأفعاله، وأمَّا الآخر فيحترف الصناعة ويسعى في الكسب، فشكا المحترف أخاه في ترك الاحتراف إلى النبي -صلى الله عليه وسلم-، فقال -صلى الله عليه وسلم- مسليًا له: لعل قيامك بأمره سبب لتيسير رزقك؛ لأن الله في عون العبد ما كان العبد في عون أخيه.
আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহর যামানায় দুই ভাই ছিল। তাদের একজন রাসূলের মজলিসে আসা যাওয়া করত এবং সর্বক্ষণ দরবারে পড়ে থাকত যাতে সে তার কথা ও কর্ম অবলোকন করতে এবং তার থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আর অপর ভাই কাজ কর্ম ও কামাই রুজিতে লিপ্ত থাকত। একবার কর্মঠ ভাইটি রাসূলুল্লাহর নিকট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করল। তখন রাসূলুল্লাহ তাকে সান্তনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বললেন, হতে পারে তার বিষয়টা তোমার আঞ্জাম দেওয়া তোমার রিযিক লাভ করার উপায়। কারণ, আল্লাহ বান্দার সাহায্যে থাকেন যতক্ষণ না সে তার অপর ভাইয়ের সাহায্যে লিপ্ত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3126

 
Hadith   171   الحديث
الأهمية: إنما مثل الجليس الصالح وجليس السوء، كحامل المسك، ونافخ الكير
থিম: সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হল, কস্তুরী বহনকারী (আতরওয়ালা) ও হাপরে ফু দানকারী (কামারের) ন্যায়। কস্তুরী বহনকারী (আতরওয়ালা) হয়তো তোমাকে কিছু দান করবে অথবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু খরিদ করবে অথবা তার কাছ থেকে সুবাস লাভ করবে। আর হাপরে ফু দানকারী (কামার) হয়ত তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- مرفوعًا: �إنما مَثَلُ الجَلِيسِ الصالحِ وجَلِيسِ السُّوءِ، كَحَامِلِ المِسْكِ، ونَافِخِ الكِيرِ، فَحَامِلُ المِسْكِ: إما أنْ يُحْذِيَكَ، وإما أنْ تَبْتَاعَ منه، وإما أن تجد منه رِيحًا طيبةً، ونَافِخُ الكِيرِ: إما أن يحرق ثيابك، وإما أن تجد منه رِيحًا مُنْتِنَةً�.

আবূ মূসা আশ�আরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক মারফু হিসেবে বর্ণিত, �সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হল, কস্তুরী বহনকারী (আতরওয়ালা) ও হাপরে ফু দানকারী (কামারের) ন্যায়। কস্তুরী বহনকারী (আতরওয়ালা) হয়তো তোমাকে কিছু দান করবে অথবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু খরিদ করবে অথবা তার কাছ থেকে সুবাস লাভ করবে। আর হাপরে ফু দানকারী (কামার) হয়ত তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حَثَّ رسولنا -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث المسلم على ضرورة اختيار الصحبة الطيِّبة، فأخبر -عليه الصلاة والسلام- أن مثل الجليس الصالح كحامل المسك: إما يعطيك منه مجانا، وإما أن تشتري منه، وإما أن تجد منه رائحة طيبة، أما الجليس السوء والعياذ بالله فإنه كنافخ الكير: إما أن يحرق ثيابك بما يتطاير عليك من شرر النار، وإما أن تجد منه رائحة كريهة.
আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসটিতে একজন মুসলিমকে ভালো সাথী গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি জানান যে, সৎ সঙ্গীর উদাহরণ হল, কস্তুরী বহনকারীর (আতরওয়ালা) ন্যায়। কস্তুরী বহনকারী (আতরওয়ালা) হয়তো তোমাকে কিছু বিনা মূল্যে দান করবে অথবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু খরিদ করবে অথবা তার কাছ থেকে সুবাস লাভ করবে। আর অসৎ সঙ্গীর দৃষ্টান্ত হল, হাপরে ফু দানকারীর (কামার) মতো। হয়ত সে আগুনের উড়ন্ত অগ্নিকণা দ্বারা তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে।�
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3127

 
Hadith   172   الحديث
الأهمية: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كان يسبح على ظهر راحلته، حيث كان وجهه، يومئ برأسه، وكان ابن عمر يفعله
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বাহনের পিঠে সালাত আদায় করতেন। যেদিকেই তার মুখ হতো সেদিকেই মুখ করতেন। তিনি মাথা দ্বারা ইশারা করতেন। আর ইবন উমার এ কাজটি করতেন।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- �أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كان يُسَبِّحُ على ظَهرِ رَاحِلَتِه حَيثُ كان وَجهُهُ، يُومِئُ بِرَأسِهِ، وكَان ابنُ عُمرَ يَفعَلُهُ�.
وفي رواية: �كان يُوتِرُ على بَعِيرِه�.
ولمسلم: �غَيرَ أنَّه لا يُصَلِّي عَليهَا المَكتُوبَة�.
وللبخاري: �إلا الفَرَائِض�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহ আনহুমা থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বাহনের পিঠে সালাত আদায় করতেন। যেদিকেই তার মুখ হতো সেদিকেই মুখ করতেন। তিনি মাথা দ্বারা ইশারা করতেন। আর ইবন উমার এ কাজটি করতেন। অপর বর্ণায়: তিনি তার উটের ওপর বিতির আদায় করতেন। আর সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় বর্ণিত: তবে তিনি বাহনের উপর ফরয সালাত আদায় করতেন না। আর সহীহ বুখারির বর্ণনায় বর্ণিত: কিন্তু ফরয সালাতসমূহ।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان -صلى الله عليه وسلم- يصلي النافلة فقط على ظهر راحلته حيث توجَّهت به، ولو لم تكن تجاه القبلة، ويومئ برأسه إشارة إلى الركوع والسجود، ولا يتكلف النزول إلى الأرض؛ ليركع ويسجد ويستقبل القبلة، ولا فرق بين أن تكون نفلا مطلقا، أو من الرواتب أو من الصلوات ذوات الأسباب، ولم يكن يفعل ذلك في صلوات الفريضة، وكذلك كان يوتر على بعيره.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার আরোহণের ওপর কেবল নফল সালাত আদায় করতেন। বাহনটি যেদিকে ফিরত তিনি সেদিকে মুখ ফিরাতেন যদিও তা কিবলামুখ নয়। রুকু সেজদা করার জন্য তিনি মাথা ঝুকাতেন এবং ইশারায় আদায় করতেন। রুকু সেজদা ও কিবলামুখ হওয়ার জন্য তিনি যমীন নামার চেষ্টা করতেন না। সাধারণ নফল সালাত বা সুন্নাতে রাতেবাহ বা কারণ বিশিষ্ট্য সালাতসমূহের মধ্যে কোন প্রার্থক্য নেই। কিন্তু তিনি ফরয সালাতসমূহে এ কাজটি করতেন না। অনুরূপভাবে তিনি বিতিরের সালাতও বাহনের ওপর আদায় করতেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3128

 
Hadith   173   الحديث
الأهمية: لقد كنت على عهد رسول الله -صلى الله عليه وسلم- غلامًا، فكنت أحفظ عنه، فما يمنعني من القول إلا أن هاهنا رجالا هم أسن مني
থিম: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে কিশোর ছিলাম। আমি তাঁর কথাগুলি মুখস্থ ক�রে নিতাম। কিন্তু আমাকে কথা বলতে একটাই জিনিস বাধা সৃষ্টি করত যে, সেখানে আমার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ উপস্থিত থাকত।

عن سمرة بن جندب -رضي الله عنه- قال: لقد كنت على عَهْدِ رسولِ الله -صلى الله عليه وسلم- غُلاما، فكنت أحفظ عنه، فما يمنعني من القول إلا أن هاهنا رِجَالًا هم أَسَنُّ مِنِّي.

সামুরাহ ইবনে জুনদুব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, �আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে কিশোর ছিলাম। আমি তাঁর কথাগুলি মুখস্থ ক�রে নিতাম। কিন্তু আমাকে কথা বলতে একটাই জিনিস বাধা সৃষ্টি করত যে, সেখানে আমার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ উপস্থিত থাকত।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر سمرة بن جندب -رضي الله عنه- أنه كان صغير السن في زمن النبي -صلى الله عليه وسلم-، وكان يحفظ بعض أقواله -صلى الله عليه وسلم-، وما كان يمنعه من التحديث بها إلا أن هناك من هو أكبر منه سنا.
সামুরাহ ইবন জুনদব রাদিয়াল্লাহু সংবাদ দেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহর যামানায় কম বয়সী ছিলেন। তিনি রাসূলের অনেক কথাই মুখস্থ করতেন। কিন্তু তাকে সেগুলো বর্ণনা করতে কেউ নিষেধ করত না একমাত্র তার চেয়ে বয়স্ক লোক উপস্থিত থাকা ছাড়া।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3130

 
Hadith   174   الحديث
الأهمية: أراني في المنام أتسوك بسواك، فجاءني رجلان، أحدهما أكبر من الآخر، فناولت السواك الأصغر، فقيل لي: كبر، فدفعته إلى الأكبر منهما
থিম: আমি নিজেকে স্বপ্নে দাঁতন করতে দেখলাম। অতঃপর দু�জন লোক এল, একজন অপরজনের চেয়ে বড় ছিল। আমি ছোটজনকে দাঁতনটি দিলাম, তারপর আমাকে বলা হল, �বড়জনকে দাও।� সুতরাং আমি তাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ লোকটিকে (দাঁতন) দিলাম।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما-    أَنَّ النَّبِيَّ -صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- قَالَ: �أراني في المنام أَتَسَوَّكُ بِسِوَاكٍ، فجاءني رجلان، أحدهما أكبر من الآخر، فَنَاوَلْتُ السِّوَاكَ الأصغرَ، فقيل لي: كَبِّرْ، فَدَفَعْتُهُ إلى الأكبر منهما�.

ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক মারফু হিসেবে বর্ণিত, �আমি নিজেকে স্বপ্নে দাঁতন করতে দেখলাম। অতঃপর দু�জন লোক এল, একজন অপরজনের চেয়ে বড় ছিল। আমি ছোটজনকে দাঁতনটি দিলাম, তারপর আমাকে বলা হল, �বড়জনকে দাও।� সুতরাং আমি তাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ লোকটিকে (দাঁতন) দিলাম।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
رأى النبي -صلى الله عليه وسلم- في النوم أنه كان يَتَسَوَّك بسواك، فجاءه رجلان أحدهما أكبر من الآخر، فأراد أن يعطيه إلى الأصغر منهما، فقيل له: قدم الأكبر في الإعطاء، فأعطاه إلى الكبير منهما.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বপ্নে দেখেন যে, তিনি মিসওয়াক দ্বারা দাঁতন করছেন। অতঃপর দু�জন লোক এল, একজন অপরজনের চেয়ে বড়। তিনি ছোটজনকে দাঁতনটি দিতে চাইলেন। তখন তাকে বলা হলো, �বড়জনকে দাও।� সুতরাং তিনি তাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ লোকটিকে (দাঁতন) দিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী মু�আল্লাক হাদীসরূপে দৃঢ় বাক্য দ্বারা বর্ণনা করেছেন। - এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3131

 
Hadith   175   الحديث
الأهمية: فتلت قلائد هدي رسول الله -صلى الله عليه وسلم- ثم أشعرتها وقلدها -أو قلدتها- ثم بعث بها إلى البيت، وأقام بالمدينة، فما حرم عليه شيء كان له حلًّا
থিম: আমি নিজ হাতে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কুরবানীর পশুর কিলাদা পাকিয়ে দিয়েছি। এরপর আমি সেটি চিহ্নিত করলাম এবং তিনি তাকে কিলাদা পরালেন অথবা আমিই তাকে কিলাদা (মালা) পরালাম তারপর সেটি বায়তুল্লাহে পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি মদিনায় অবস্থান করলেন। তাঁর জন্য যা হালাল ছিল এমন কিছু তিনি হারাম করেননি।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
عائشة -رضي الله عنها- قالت: �فَتَلْتُ قَلَائِدَ هَدْيِ رسولِ الله -صلى الله عليه وسلم-، ثم أَشْعَرْتُها وَقَلَّدَهَا -أو قَلَّدْتُها-، ثم بعث بها إلى البيت، وأقام بالمدينة، فما حَرُمَ عليه شيءٌ كان له حِلًّا�.

�আয়িশাহ্ রাদিয়াল্লাহু �আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, �আমি নিজ হাতে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কুরবানীর পশুর কিলাদা পাকিয়ে দিয়েছি। এরপর আমি সেটি চিহ্নিত করলাম এবং তিনি তাকে কিলাদা পরালেন অথবা আমিই তাকে কিলাদা (মালা) পরালাম তারপর সেটি বায়তুল্লাহে পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি মদিনায় অবস্থান করলেন। তাঁর জন্য যা হালাল ছিল এমন কিছু তিনি হারাম করেননি�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يعظم البيت العتيق ويقدسه، فكان إذا لم يصل إليه بنفسه بعث إليه الهدي؛ تعظيما له، وتوسعة على جيرانه، وكان إذا بعث الهدي أشعرها وقلدها؛ ليعلم الناس أنها هدي إلى البيت الحرام؛ فيحترموها، ولا يتعرضوا لها بسوء، فذكرت عائشة -رضي الله عنها- -تأكيدا للخبر-: أنها كانت تفتل قلائدها. وكان إذا بعث بها -وهو مقيم في المدينة- لا يجتنب الأشياء التي يجتنبها المحرم من النساء، والطيب، ولبس المخيط ونحو ذلك، بل يبقى محلا لنفسه كل شيء كان حلالا له.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর ঘরের সম্মান করতেন। তাই যখন তিনি স্বয়ং তাতে পৌঁছতে পারতেন না তখন তিনি তা সম্মান ও তার প্রতিবেশীর খাদ্য হিসেবে হাদী প্রেরণ করতেন। আর যখন তিনি হাদী প্রেরণ করতেন তখন তাকে হার পরাতেন এবং শি�আর (চিহ্নিত) করতেন যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে, এটি বাইতুল্লাহর হাদী। ফলে তারা তার সম্মান করবে এবং তার প্রতি কোন খারাপ আচরণ করবে না। তাই সংবাদের গুরুত্বের জন্য আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা উল্লেখ করেন যে, তিনি নিজ হাতে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কুরবানীর পশুর কিলাদা (মালা) পাকিয়ে দিয়েছেন। আর হাদী প্রেরণের পর রাসূল মদীনায় অবস্থান কালে একজন মুহরিম যে সব কর্ম থেকে দূরে থাকে যেমন, স্ত্রী, খোশবু, শিলাই যুক্ত কাপড় পরিধান করা ইত্যাদি তা থেকে তিনি বিরত থাকতেন না। বরং তিনি হালাল হিসেবেই থাকতেন এবং নিজের জন্য সবকিছুকেই হালাল জানতেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3132

 
Hadith   176   الحديث
الأهمية: إن الله قد أوجب لها بها الجنة، أو أعتقها بها من النار
থিম: নিশ্চয় আল্লাহ তা�আলা তার জন্য তার এ কাজের বিনিময়ে জান্নাত ওয়াজেব ক�রে দিয়েছেন অথবা তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত ক�রে দিয়েছেন।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: جَاءَتنِي مِسْكِينَة تَحمِل ابنَتَين لها، فَأَطْعَمْتُها ثَلاثَ تَمَرَات، فَأَعْطَت كُلَّ وَاحِدَة مِنْهُما تَمْرَة وَرَفَعت إِلَى فِيهَا تَمْرَة لِتَأكُلَها، فَاسْتَطْعَمَتْها ابْنَتَاهَا، فَشَقَّت التَّمْرَة التي كانت تريد أن تَأْكُلَها بينهما، فَأَعْجَبَنِي شَأْنُهَا، فَذَكَرت الذي صَنَعَتْ لرسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال: �إِنَّ الله قَدْ أَوجَبَ لَهَا بِهَا الجَنَّة، أَو أَعْتَقَهَا بِهَا مِنَ النَّار�.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু <�আনহা কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মিসকীন মহিলা তার দু�টি কন্যাকে (কোলে) বহন ক�রে আমার কাছে এল। আমি তাকে তিনটি খুরমা দিলাম। অতঃপর সে তার কন্যা দু�টিকে একটি একটি ক�রে খুরমা দিল এবং সে নিজে খাবার জন্য একটি খুরমা মুখ-পর্যন্ত তুলল। কিন্তু তার কন্যা দু�টি সেটিও খেতে চাইল। সুতরাং মহিলাটি যে খেজুরটি নিজে খেতে ইচ্ছা করেছিল, সেটিকে দু�ভাগে ভাগ ক�রে তাদের মধ্যে বন্টন ক�রে দিল। সুতরাং তার (এ) অবস্থা আমাকে মুগ্ধ করল। তাই আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট মহিলাটির ঘটনা বর্ণনা করলাম। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �নিশ্চয় আল্লাহ তা�আলা তার জন্য তার এ কাজের বিনিময়ে জান্নাত ওয়াজেব ক�রে দিয়েছেন অথবা তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত ক�রে দিয়েছেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يُصَوِّر حديث عائشة -رضي الله عنها- معلمًا جديدًا من رحمة الكبار بالصغار، حيث قالت: جاءتني مسكينة تحمل ابنتين لها فأطعمتها ثلاث تمرات: أي فأعطتها ثلاث تمرات، فما كان من المرأة المسكينة إلا أن أعطت إحدى البنتين واحدة، والثانيةَ التمرةَ الأخرى، ثم رفعت الثالثة إلى فيها لتأكلها، فاستطعمتاها: يعني أن البنتين نظرتا إلى التمرة التي رفعتها الأم ـ فلم تطعمها الأم بل شقتها بينهما نصفين، فأكلت كل بنت تمرة ونصفا والأم لم تأكل شيئًا. فذكرت عائشة -رضي الله عنها- ذلك للرسول -صلى الله عليه وسلم- وأخبرته بما صنعت المرأة، فأخبرها: "أن الله أوجب لها بها الجنة، أو أعتقها بها من النار" يعني: لأنها لما رحمتهما هذه الرحمة العظيمة أوجب الله لها بذلك الجنة.
ছোটদের প্রতি বড় দয়া ও অনুগ্রহ করার একটি নতুন অধ্যায়কে চিত্রায়িত করল আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীস। তিনি বলেন, আমার কাছে একজন গরীব মহিল দুটি কন্যা সন্তান নিয়ে উপস্থিত হল। আমি তাদেরকে তিনটি খেজুর খাাইতে দিলাম। অর্থাৎ, তিনটি খেজুর দিলাম। গরীব মহিলাটি একটি খেজুর তার এক মেয়েকে দিল। আর একটি অপর মেয়েকে দিল। অতঃপর সে তৃতীয় খেজুরটি নিজে খাওয়ার জন্য মুখের কাছে নিল। তখন মেয়ে দুটি খেজরটির দিকে তাকালো। তখন মা সেটি খেল না। বরং সেটিকে দুই টুকরা করে তাদের দুইজনকে ভাগ করে দিল। তখন প্রতি মেয়ে দেঢ়টি করে খেজুর খেল কিন্তু মা কিছু খেল না। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বিষয়টি রাসূলুল্লাহর নিকট আলোচনা করলেন। মহিলা যা করল তা তিনি তাকে জানালেন। তখন তিনি তাকে জানালেন যে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিলেন। কারণ, সে যখন তাদের দুই জনের প্রতি অনুগ্রহ দেখাল, আল্লাহ এ দ্বারা তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3133

 
Hadith   177   الحديث
الأهمية: الساعي على الأرملة والمسكين، كالمجاهد في سبيل الله
থিম: বিধবা ও মিসকীন-এর জন্য (ভরণ পোষণ যোগাতে) চেষ্টাকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের ন্যায়।

عن أبي هريرة رضي الله عنه مرفوعًا: �السَّاعِي على الأَرْمَلَةِ والمِسْكِينِ، كالمُجَاهِدِ في سبيل الله�. وأَحْسَبُهُ قال: �وكالقائم الذي لا يَفْتُرُ، وكالصائم الذي لا يُفْطِرُ�.

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �বিধবা ও মিসকীন-এর জন্য (ভরণ পোষণ যোগাতে) চেষ্টাকারী ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের ন্যায়�। বর্ণনাকারী ধারণা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �রাত জেগে ক্লান্তহীন ইবাদতকারী ও বিরতিহীন সিয়াম পালনকারীর মতো�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر النبي -صلى الله عليه وسلم- أن الذي يقوم بمصالح المرأة التي مات عنها زوجها، والمسكين المحتاج وينفق عليهم، هو في الأجر كالمجاهد في سبيل الله، وكالقائم في صلاة التهجد الذي لا يتعب من ملازمة العبادة، وكالصائم الذي لا يفطر.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিচ্ছেন যে, বিধবা নারী ও অসহায় মিসকীনের কল্যাণে যিনি কাজ করবে, তার জন্য ব্যয় করবে তিনি সাওয়াবের ক্ষেত্রে আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের ন্যায়, রাত জেগে তাহাজ্জুদ আদায়কারীর ন্যায় যে সার্বক্ষণিক ইবাদত করাতে ক্লান্ত হয় না এবং লাগাতার সিয়াম পালনকারীর মতো।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3135

 
Hadith   178   الحديث
الأهمية: فإني رسولُ الله إليك بأنَّ الله قد أَحَبَّكَ كما أَحْبَبْتَهُ فيه
থিম: আমি তোমার নিকট আল্লাহর সংবাদ বাহক যে, তুমি যেরূপ তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাস সেরূপই আল্লাহ তা�আলা তোমাকে ভালবাসেন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعًا: �أن رجلا زَارَ أخًا له في قرية أخرى، فأَرْصَدَ الله -تعالى- على مَدْرَجَتِهِ مَلَكًا، فلما أتى عليه، قال: أين تريد؟ قال: أريد أخًا لي في هذه القرية، قال: هل لك عليه من نعمةٍ تَرُبُّهَا عليه؟ قال: لا، غيرَ أني أَحْبَبْتُهُ في الله -تعالى-، قال: فإني رسولُ الله إليك بأنَّ الله قد أَحَبَّكَ كما أَحْبَبْتَهُ فيه�.

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �এক ব্যক্তি অন্য কোন গ্রামে তার ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য বের হল। আল্লাহ তা�আলা তার রাস্তায় এক ফিরিশতাকে বসিয়ে দিলেন, তিনি তার অপেক্ষা করতে থাকলেন। যখন সে তাঁর কাছে পৌঁছল, তখন তিনি তাকে বললেন, �তুমি কোথায় যাচ্ছ?� সে বলল, �এ লোকালয়ে আমার এক ভাই আছে, আমি তার কাছে যাচ্ছি।� ফিরিশতা জিজ্ঞেস করলেন, �তোমার প্রতি কি তার কোন অনুগ্রহ রয়েছে, যার বিনিময় দেওয়ার জন্য তুমি যাচ্ছ?� সে বলল, �না, আমি তার নিকট কেবল এই জন্য যাচ্ছি যে, আমি তাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসি।� ফিরিশতা বললেন, �(তাহলে শোনো) আমি তোমার নিকট আল্লাহর দূত হিসাবে (এ কথা জানাবার জন্য) এসেছি যে, আল্লাহ তা�আলা তোমাকে ভালবাসেন; যেমন তুমি তাকে আল্লাহর জন্য ভালবাস।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر النبي -صلى الله عليه وسلم- عن رجل من الأمم السابقة زار أخا له في قرية أخرى؛ فهيأ الله له ملكا في طريقه يحفظه ويراقبه، فسأله الملك أين هو ذاهب؟ فأخبره أنه ذاهب لزيارة أخ له في الله في هذه القرية، فسأله الملك هل هو مملوكك، أو ولدك، أو غيرهما ممن تلزمهم نفقتك وشفقتك، أو لك عنده مصلحة؟ فأخبره أن لا، ولكني أحبه في الله، وأبتغي بزيارتي مرضاة الله، فأخبره الملك بأنه رسول من الله؛ ليخبره أن الله يحبه كما أحب أخاه في الله.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগেকার উম্মাতদের থেকে এক ব্যক্তি সম্পর্কে সংবাদ দেন যে, সে অন্য কোন গ্রামে তার এক ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য বের হল। আল্লাহ তা�আলা তার রাস্তায় এক ফিরিশতাকে বসিয়ে দিলেন, যে তাকে হিফাযত ও পর্যবেক্ষণ করবে। তারপর ফিরিশতা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন �তুমি কোথায় যাচ্ছ?� সে তাকে বলল, �এ লোকালয়ে তার একজন দীনি ভাই আছে, সে তার সাথে দেখা করতে যাচ্ছে।� ফিরিশতা জিজ্ঞেস করলেন, �সে কি তোমার গোলাম বা সন্তান বা এমন কোন লোক যার জন্য খরচা করা বা তার দেখা শোনা করা তোমার ওপর ওয়াজিব বা তাতে তোমার কোন স্বার্থ আছে? যার বিনিময় দেওয়ার জন্য তুমি তার কাছে যাচ্ছ?� সে বলল, �না, আমি তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। আর তার সাক্ষাতে আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করি। তখন ফিরিশতা তাকে জানিয়ে দেন যে, সে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন দূত হিসাবে (এ কথা জানাবার জন্য) এসেছে, যাতে সে তাকে জানিয়ে দেয় যে, আল্লাহ তা�আলা তাকে ভালবাসেন; যেমনিভাবে সে তার ভাইকে আল্লাহর জন্য ভালবাসেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3136

 
Hadith   179   الحديث
الأهمية: ليس المسكين الذي ترده التمرة والتمرتان، ولا اللقمة واللقمتان إنما المسكين الذي يتعفف
থিম: মিসকীন সে নয়, যাকে একটি খেজুর এবং দু�টি খেজুর এবং এক গ্রাস বা� দুই গ্রাস (অন্ন) দেওয়া হয়, বরং মিসকীনতো ঐ ব্যক্তি(অভাব থাকা সত্বেও) চাওয়া থেকে দূরে থাক।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أَنَّ رسُولَ اللَّه -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم- قَالَ: �لَيسَ المِسْكِين الَّذِي تَرُدُّهُ التَّمْرَة والتَّمْرَتَان، وَلا اللُّقْمَةُ واللُّقْمَتَان، إِنَّمَا المِسْكِين الَّذِي يَتَعَفَّف�.

আবূ হুরায়ারা বাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলনে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেনে, �মিসকীন সে নয়, যাকে একটি খেজুর এবং দু�টি খেজুর এবং এক গ্রাস বা� দুই গ্রাস (অন্ন) দেওয়া হয়, বরং মিসকীনতো ঐ ব্যক্তি(অভাব থাকা সত্বেও) চাওয়া থেকে দূরে থাক।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يُوضح هذا الحديث حقيقة المسكنة، وأن المسكين الممدوح من المساكين الأحق بالصدقة والأحوج بها هو المتعفف، وإنما نفى -صلى الله عليه وسلم- المسكنة عن السائل الطوَّاف؛ لأنه تأتيه الكفاية، وقد تأتيه الزكاة فتزول خصاصته، وإنما تدوم الحاجة فيمن لا يسأل ولا يعطف عليه فيعطى.
হাদীসটিতে প্রকৃত দরিদ্রতা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। তাতে বলা হয় প্রশংসিত মিসকীন যে সাদকা পাওয়ার হকদার এবং মুখাপেক্ষী সে হলো ঐ ব্যক্তি যে মানুষের কাছে হাত পাতে না। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ভিক্ষুককে দরিদ্র বলেননি সে হলো ঐ ভিক্ষুক যে, ঘুরে বেড়ায়। কারণ, তার নিকট পর্যাপ্ত খাবার পৌঁছে এবং তাকে যাকাত দেওয়া হয়, ফলে তার অভাব স্থায়ী হয় না। তবে যারা মানুষের কাছে হাত পাতে না এবং ভিক্ষা পাওয়ার উদ্দেশ্য ভানও করে না তাদের অভাবটা স্থায়ী হয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3141

 
Hadith   180   الحديث
الأهمية: يا مقلب القلوب ثبت قلبي على دينك
থিম: হে অন্তরের পরিবর্তনকারী, আমার অন্তরকে আপনার দীনের ওপর স্থির রাখুন।

عن شهر بن حوشب قال: قلت لأم سلمة -رضي الله عنها-، يا أم المؤمنين، ما كان أكثر دعاء رسول الله -صلى الله عليه وسلم- إذا كان عندك؟ قالت: كان أكثر دعائه: �يا مقلب القلوب ثبت قلبي على دينك�.

(শাহর ইবন হাওশাব বলেন,) আমি উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহাকে জিজ্ঞেস করলাম, হে উম্মুল মু�মিনীন! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার কাছে অবস্থানকালে অধিকাংশ সময় কোন দো�আটি পাঠ করতেন? তিনি বললেন, তাঁর অধিকাংশ সময় পাঠকৃত দো�আ ছিল, �হে অন্তর পরিবর্তনকারী, আমার অন্তরকে আপনার দীনের ওপর স্থির রাখুন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان أكثر دعائه -صلى الله عليه وسلم- أن يقول، هذا القول: (يا مقلب القلوب) أي مصرفها تارة إلى الطاعة والإقبال وتارة إلى المعصية والغفلة، (ثبت قلبي على دينك)، أي اجعله ثابتًا على دينك غير مائل عن الدين القويم والصراط المستقيم.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের অধিকাংশ সময় পাঠকৃত দো�আ ছিল। এখানে �আল-ইকসার� থেকে �আকসার� শব্দটি এসেছে। তিনি বলতেন, �হে অন্তর পরিবর্তনকারী<� অর্থাৎ অন্তরকে কখনো আনুগত্য ও একাগ্রতার দিকে আবার কখনো গুনাহ ও অন্যমনা হওয়ার দিকে পরিবর্তনকারী। <�আমার অন্তরকে আপনার দীনের ওপর স্থির রাখুন।� অর্থাৎ সরল সঠিক ও সুদৃঢ় দীন থেকে পরিবর্তন না করে আপনার দীনের ওপর আমার অন্তরকে সুদৃঢ় মজবুত রাখুন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ লিগাইরিহী]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3142

 
Hadith   181   الحديث
الأهمية: الفطرة خمس: الختان، والاستحداد، وقص الشارب، وتقليم الأظفار، ونتف الإبط
থিম: প্রকৃতিগত আচরণ পাঁচটি: খাতনা করা; লজ্জাস্থানের লোম কেটে পরিষ্কার করা; নখ কাটা; বগলের লোম ছিঁড়া ও গোঁফ ছেঁটে ফেলা।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: �الفِطرة خَمْسٌ: الخِتَان, والاسْتِحدَاد, وقَصُّ الشَّارِب, وتَقلِيمُ الأَظفَارِ, ونَتْفُ الإِبِط�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �প্রকৃতিগত আচরণ পাঁচটি: খাতনা করা; লজ্জাস্থানের লোম কেটে পরিষ্কার করা; নখ কাটা; বগলের লোম ছিঁড়া ও গোঁফ ছেঁটে ফেলা।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يذكر أبو هريرة -رضي الله عنه- أنه سمع النبي -صلى الله عليه وسلم- يقول: خمس خصال من دين الإسلام، الذي فطر الله الناس عليه، فمن أتى بها، فقد قام بخصال عظام من الدين الحنيف.
وهذه الخمس المذكورة في هذا الحديث، من جملة النظافة، التي أتى بها الإسلام.
أولها: قطع قُلْفة الذكر، التي يسبب بقاؤها تراكم النجاسات والأوساخ فتحدث الأمراض والجروح.
وثانيها: حلق الشعور التي حول الفرج، سواء أكان قبلا أم دبرا، لأن بقاءها في مكانها يجعلها معرضة للتلوث بالنجاسات، وربما أخلت بالطهارة الشرعية.
وثالثها: قص الشارب، الذي بقاؤه، يسبب تشويه الخلقة، ويكره الشراب بعد صاحبه، وهو من التشبه بالمجوس.
ورابعها:تقليم الأظافر، التي يسبب بقاؤها تجمع الأوساخ فيها، فتخالط الطعام، فيحدث المرض.
وأيضا ربما منعت كمال الطهارة لسترها بعض الفرض.
وخامسها: نتف الإبط، الذي يجلب بقاؤه الرائحة الكريهة.
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন: দীন ইসলামের পাঁচটি স্বভাব রয়েছে, যার ওপর আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। যে ব্যক্তি এ পাঁচটি চরিত্র বাস্তবায়ন করল সে দীনের মহান স্বভাবগুলো বাস্তবায়ন করল। এ হাদীসটিতে উল্লিখিত পাঁচটি চরিত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতারই অংশ যার জন্য ইসলামের আগমন। প্রথম: লিঙ্গের সামনের অংশের চামড়া কেটে ফেলা যা অবশিষ্ট থাকা দ্বারা নাপাকী এবং ময়লা একত্র হওয়ার সম্ভাবনা থাকার ফলে তাতে রোগ জীবাণু দেখা দিতে পারে। দ্বিতীয়: লজ্জাস্থানের আশ পাশে চুল কর্তন করা। চাই তা সামনের রাস্তার হোক বা পিছনের রাস্তার। কারণ, এগুলোকে জায়গা মতো রেখে দেওয়া দ্বারা তা নাপাকীর সাথে সংমিশ্রণ হওয়ার সম্ভাবনা রাখে এবং অনেক সময় তা শরঈ পবিত্রতা অর্জনে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তৃতীয়: গোফ ছেঁটে ফেলা যা লম্বা করাতে আকৃতির পরিবর্তন হয় এবং তার পানের পর যে পান করবে সে তা অপছন্দ করবে। অধিকন্তু তা মাজুসীদের (মূর্তিপুজকরে) সাথে সাদৃস অবলম্বন করা। চার: নখ কাটা। নখ না কাটলে তাতে ময়ল একত্র হয় এবং তা খাদ্যের সাথে মিশে যায় এবং রোগ জীবাণু সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও ফাঁকা জায়গা ডেকে থাকার কারণে অনেক সময় পরিপূর্ণ পবিত্রতা অর্জন বাধাগ্রস্থ হয়। পঞ্চম: বোগলের লোম উপড়ে ফেলা। যা অবশিষ্ট থাকাতে দুর্গন্ধ ছড়ানোর কারণ হয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3144

 
Hadith   182   الحديث
الأهمية: لا إله إلا الله، ويل للعرب من شر قد اقترب، فتح اليوم من ردم يأجوج ومأجوج مثل هذه، وحلق بأصبعيه الإبهام والتي تليها، فقلت: يا رسول الله، أنهلك وفينا الصالحون؟ قال: نعم، إذا كثر الخبث
থিম: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আরবদের জন্য সর্বনাশ, অনিষ্ট ঘনিয়ে এসেছে। আজকে ইয়া�জূজ-মা�জূজের দেওয়াল এতটা খুলে দেওয়া হয়েছে।� এবং তিনি (তার পরিমাণ দেখানোর জন্য) নিজ বৃদ্ধ ও তর্জনী দুই আঙ্গুল দ্বারা (গোলাকার) বৃত্ত বানালেন। আমি বললাম, �হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মাঝে সৎলোক মওজুদ থাকা সত্বেও কি আমরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হব?� তিনি বললেন, �হ্যাঁ, যখন অশ্লীলতা বেশী হবে।�

عن زينب بنت جحش -رضي الله عنها- أنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- دخل عليها فَزِعًا، يقول: �لا إله إلا الله، وَيْلٌ لِلْعَرَبِ مِنْ شَرٍّ قد اقْتَرَب، فُتِحَ اليوم من رَدْمِ يَأْجُوجَ ومَأجُوجَ مثل هذه�، وحلَّق بأُصبُعيه الإبهامِ والتي تَلِيها، فقلت: يا رسول الله، أنَهْلِكُ وفينا الصَّالِحُون؟ قال: �نعم، إِذَا كَثُرَ الخَبَثُ�.

উম্মুল মু�মিনীন যয়নাব বিনতে জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট শঙ্কিত অবস্থায় প্রবেশ করলেন। তিনি বলছিলেন, �লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ� আরবদের জন্য সর্বনাশ, অনিষ্ট ঘনিয়ে এসেছে। আজকে ইয়া�জূজ-মা�জূজের দেওয়াল এতটা খুলে দেওয়া হয়েছে।� এবং তিনি (তার পরিমাণ দেখানোর জন্য) নিজ বৃদ্ধ ও তর্জনী দুই আঙ্গুল দ্বারা (গোলাকার) বৃত্ত বানালেন। আমি বললাম, �হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মাঝে সৎলোক মওজুদ থাকা সত্বেও কি আমরা ধ্বংস হব?� তিনি বললেন, �হ্যাঁ, যখন নোংরামি বেশী হবে।�

عن أم المؤمنين زينب بنت جحش-رضي الله عنها- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- دخل عليها    محمراً وجهه يقول: "لا إله إلا الله" تثبيتا ًللتوحيد وتطمينا ًللقلوب.
   ثم حذَّر العرب فقال: "ويل للعرب من شر قد اقترب"، ثم بين أن هذا الشر هو أنه قد فتحت فتحة صغيرة من سد يأجوج ومأجوج، بقدر الحلقة بين الأصبعين السبابة والإبهام.
قالت زينب: "يا رسول الله، أنهلك وفينا الصالحون؟"، فأخبر أن الصالح لا يهلك، وإنما هو سالم ناج؛ لكن إذا كثر الخبث هلك الصالحون، فإذا كثرت الأعمال الخبيثة السيئة في المجتمع ولو كانوا مسلمين ولم تنكر، فإنهم قد عرضوا أنفسهم للهلاك.

উম্মুল মু�মিনীন যয়নাব বিনতে জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট লাল চেহারা নিয়ে প্রবেশ করলেন। আর তিনি তাওহীদকে সাব্যস্ত করা ও আত্মার স্বস্তির জন্য �লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ� বলছিলেন। তারপর তিনি আরবদের সতর্ক করে বলেন, আরবদের জন্য ঘনিয়ে আসা অনিষ্টের সর্বনাশ। তারপর তিনি বর্ণনা করেন যে, এ অনিষ্ট হলো, ইয়া�জূজ-মা�জূজের দেওয়াল সামান্য অর্থাৎ বৃদ্ধ ও তর্জনী দুই আঙ্গুলকে গোলাকার করে বৃত্ত বানালে যতটুকু পরিমাণ ফাঁকা হয় সে ফাঁকা পরিমান খুলে দেওয়া হয়েছে।� যয়নাব বললেন, �হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মাঝে সৎলোক মওজুদ থাকা সত্বেও কি আমরা ধ্বংস হব?� তিনি বললেন, সৎ লোককে ধ্বংস করা হবে না। তারা মুক্তিপ্রাপ্ত ও নিরাপদ। কিন্তু যখন পাপাচার বেশি হবে, তখন সৎ লোকেরা ধ্বংস হবে। যখন সমাজে অশ্লিল, নোংরা কাজ বেশি হবে এবং মুসলিম হওয়া সত্বেও তারা বাধা না দিবে, তখন তারা অবশ্যই নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিল।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3145

 
Hadith   183   الحديث
الأهمية: دخل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- البيت, وأسامة بن زيد وبلال وعثمان بن طلحة
থিম: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহ-এ প্রবেশ করলেন, আরো প্রবেশ করলেন উসামা ইব্নু যায়দ, বেলাল ও �উসমান ইব্নু ত্বলহা।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- قال: �دخل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- البيت, وأسامة بن زيد وبلال وعثمان بن طلحة، فأغلقوا عليهم الباب فلما فتحوا كنت أولَ من وَلَجَ. فلقيتُ بلالًا, فسألته: هل صلى فيه رسول الله -صلى الله عليه وسلم-؟ قال: نعم , بين العَمُودَيْنِ اليَمَانِيَيْنِ�.

আব্দুল্লাহ ইব্নু �উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইতুল্লাহ-এ প্রবেশ করলেন, আরো প্রবেশ করলেন উসামা ইব্নু যায়দ, বেলাল ও �উসমান ইব্নু ত্বলহা। তাদের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হলো। যখন দরজা খোলা হলো, তখন আমিই প্রথম ব্যক্তি যে ভিতরে প্রবেশ করেছে। আমি বিলালের সাথে দেখা পেয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি ভিতরে সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেন: হ্যাঁ, ডানের দুই খুঁটির মধ্যখানে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لما فتح الله -تبارك وتعالى- مكة في السنة الثامنة من الهجرة، وطهر بيته من الأصنام والتماثيل والصور، دخل -صلى الله عليه وسلم- الكعبة المشرفة، ومعه خادماه، بلال، وأسامة، وحاجب البيت عثمان بن طلحة -رضي الله عنهم-، فأغلقوا عليهم الباب لئلا يتزاحم الناس عند دخول النبي -صلى الله عليه وسلم- فيها ليروا كيف يتعبد، فيشغلوه عن مقصده في هذا الموطن، وهو مناجاة ربه وشكره على نعمه؛ فلما مكثوا فيها طويلا فتحوا الباب.
وكان عبد الله بن عمر حريصا على تتبع آثار النبي -صلى الله عليه وسلم- وسنته، ولذا فإنه كان أول داخل لما فتح الباب، فسأل بلالا: هل صلى فيها رسول الله -صلى الله عليه وسلم-؟ قال بلال: نعم، بين العمودين اليمانيين. وكانت الكعبة المشرفة على ستة أعمدة، فجعل ثلاثة خلف ظهره، واثنين عن يمينه، وواحدا عن يساره، وجعل بينه وبين الحائط ثلاثة أذرع، فصلى ركعتين، ودعا في نواحيها الأربع.
যখন মক্কা বিজয় হয় এবং আল্লাহ তাআলা তার ঘরকে মুর্তি, ভাস্কর্য ও ছবি থেকে পবিত্র করেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা�বায় প্রবেশ করলেন। তার সাথে ছিল তার দুই খাদেম বিলাল ও উসামাহ এবং বাইতুল্লাহর পাহারাদার উসমান ইবন তালহা। তারা প্রবেশ করার পর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হলো যাতে লোকেরা রাসূল কীভাবে ইবাদত করেন তা দেখার জন্য ভিড় না করে। কারণ এমন হলে তারা এ পবিত্র স্থানে তার আসল উদ্দেশ্য আল্লাহর সাথে কথোপকথন এবং তার নি�আমতের শুকরিয়া আদায় করা থেকে তাকে বিরত রাখবে। যখন তারা তাতে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলেন তখন তারা দরজা খুললেন। আব্দুল্লাহ ইবন উমার ছিল রাসূলের পদাঙ্ক অনুসরন করা ও সুন্নাতের অনুসরণ করার প্রতি অধিক আগ্রহী। এ কারণে, দরজা খোলার পর তিনি ছিলেন প্রথম প্রবেশকারী। তারপর তিনি বিলালকে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তাতে সালাত আদায় করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ডানের দুই খুঁটির মধ্যখানে। তখন কা�বা শরীফে ছিল ছয়টি খুঁটি। তিনটি তার পিছনে আর দুটি তার ডানে এবং একটি তার বামে। আর তার মাঝে এবং দেয়ালের মাঝে দূরত্ব ছিল তিন হাত। তিনি দুই রাকা�আত সালাত আদায় করলেন এবং তার চার কোনায় দো�আ করলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3148

 
Hadith   184   الحديث
الأهمية: اللهم إني أعوذ بك من الخبث والخبائث
থিম: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ন ও নারী জিন্ন থেকে আশ্রয় চাই।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- أن النبي صلى الله عليه وسلم    كان إذا دخل الخَلاء قال: ((اللهم إني أَعُوذ بك من الخُبُثِ والخَبَائِث)).
থিম: আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাথরুমে প্রবেশ করার সময় বলতেন: �হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ন ও নারী জিন্ন থেকে আশ্রয় চাই।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يذكر لنا أنس بن مالك -رضي الله عنه- وهو المتشرف بخدمة النبي -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث أدبًا نبويًّا حين قضاء الحاجة، وهو أنه -صلى الله عليه وسلم- من كثرة محبته والتجائه إلى ربه لا يدع ذكره والاستعانة به على أية حال، فهو -صلى الله عليه وسلم- إذا أراد دخول المكان الذي سيقضي فيه حاجته استعاذ بالله، والتجأ إليه أن يقيه الشياطين من ذكور وإناث؛ لأنهم الذين يحاولون في كل حال أن يفسدوا على المسلم أمر دينه وعبادته، وفُسِّر الخبث والخبائث أيضًا بالشر وبالنجاسات.
وسبب الاستعاذة أن بيت الخلاء -وهو ما يسميه بعض الناس بالحمامات أو دورات المياه- أماكن الشياطين، وقد قال -صلى الله عليه وسلم-: "إن هذه الحشوش محتضرة، فإذا دخل أحدكم، فليقل: اللهم إني أعوذ بك من الخبث والخبائث" رواه ابن ماجه وغيره وصححه الألباني، وهناك سبب آخر وهو أن الإنسان يحتاج كشف عورته إذا دخل هذه المواضع، وقد    قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "ستر ما بين الجن وعورات بني آدم إذا دخل الكنيف أن يقول: بسم الله" رواه ابن ماجه وغيره وصححه الألباني أيضًا.
রাসূলের খিদমতে ধন্য আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এ হাদীসে পায়খানা ও পেশাবের সময় রাসূলের শিষ্টাচার কি ছিল তা আমাদের জন্য আলোচনা করেন। আর তা হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় রবের প্রতি অধিক আশ্রয় প্রার্থনা করা সত্বেও কোন অবস্থায় আল্লাহর স্মরণ ও তার সাহায্য প্রার্থনা করার অভ্যাস ছাড়তেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে স্থানে পায়খানা করবেন সেখানে প্রবেশের ইচ্ছা করলে তিনি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইতেন, তার দিকে ফিরে যেতেন, যাতে তিনি তাকে সে সব অনিষ্ট থেকে বাঁচান যা থেকে অপবিত্রতার শুরু এবং তাকে যেন শয়তানগুলো থেকে রক্ষা করেন। যে শয়তানগুলো সর্বাবস্থায় একজন মুসলিম ভাইয়ের দীন ও ইবাদাত নষ্ট করার কাজে ব্যস্ত থাকে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3150

 
Hadith   185   الحديث
الأهمية: أن نبي الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- رأى رجلا يسوق بدنة, فقال: اركبها، قال: إنها بدنة، قال: اركبها
থিম: আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে কুরবানীর উট হাঁকিয়ে নিতে দেখে বললেন, এর পিঠে আরোহণ কর। সে বলল, এ তো কুরবানীর উট। তিনি বললেন, এর পিঠে সওয়ার হয়ে চল। আমি তাকে দেখলাম তার পিঠে সাওয়ার হয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে চলতে ছিলেন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- �أن نبي الله -صلى الله عليه وسلم- رأى رجلا يَسُوقُ بَدَنَةً, فقال: اركبها، قال: إنها بَدَنَةٌ، قال اركبها، فرأيته رَاكِبَهَا, يُسَايِرُ النبي -صلى الله عليه وسلم-�.
وفي لفظ: قال في الثانية، أو الثالثة: �اركبها وَيْلَكَ أو وَيْحَكَ�.

আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে কুরবানীর উট হাঁকিয়ে নিতে দেখে বললেন, এর পিঠে আরোহণ কর। সে বলল, এ তো কুরবানীর উট। তিনি বললেন, এর পিঠে সওয়ার হয়ে চল। আমি তাকে দেখলাম তার পিঠে সাওয়ার হয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে চলতে ছিলেন। অপর শব্দে: তিনি দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারে বললেন, এর পিঠে আরোহণ কর, তোমার সর্বনাশ! অথবা তোমার ধ্বংস।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لما رأى النبي -صلى الله عليه وسلم- رجلًا يسوق بدنة، هو في حاجة إلى ركوبها قال له: اركبها، ولكون الهدي معظما عندهم لا يُتعرض له استفهم الصحابي بأنها بدنة مهداة إلى البيت، فقال: اركبها وإن كانت مهداة إلى البيت، فعاوده الثانية والثالثة، فقال: اركبها، مغلظًا له الخطاب ومبينًا له جواز ركوبها ولو كانت هديًا، فركبها الرجل.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এক ব্যক্তিকে আরোহণ করার প্রয়োজন থাকা সত্বেও কুরবানীর জন্তু নিয়ে পায়ে হেটে যেতে দেখেন, তিনি তাকে বলেন, তুমি তাতে সাওয়ার হও। তাদের নিকট কুরবানীর পশু সম্মানী ছিল-তাকে কোন কষ্ট দেওয়া যায় না। তাই লোকটি বলল, এটি কুরবানীর পশু বাইতুল্লাহর উদ্দেশ্য প্রেরণ করা হয়েছে। তারপর সে বলল, তুমি তাতে সাওয়ার হও যদিও তা বাইতুল্লাহর প্রতি প্রেরিত। কথাটি সে দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার পুণরাবৃত্তি করল, ফলে তিনি তাকে কঠোরভাবে বললেন, তুমি সাওয়ার হও।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3152

 
Hadith   186   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أشد حياءً من العذراء في خدرها
থিম: �আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্তঃপুরবাসিনী কুমারীর চেয়েও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। যখন তিনি কোন জিনিস অপছন্দ করতেন আমরা তাঁর চেহারায় তা বুঝতে পারতাম।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- قال: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أَشَدَّ حياءً من العَذْرَاءِ في خِدْرِهَا، فإذا رأى شيئا يَكْرَهُهُ عرفناه في وجهه.

আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, �আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্তঃপুরবাসিনী কুমারীর চেয়েও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। যখন তিনি কোন জিনিস অপছন্দ করতেন আমরা তাঁর চেহারায় তা বুঝতে পারতাম।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان النبي -صلى الله عليه وسلم- أشد حياء من المرأة التي لم تتزوج وهي أشد النساء حياءً؛ لأنَّها لم تتزوج ولم تعاشر الرجال فتجدها حيية في خدرها، فرسول الله -صلى الله عليه وسلم- أشدُّ حياء منها، ولكنه -صلى الله عليه وسلم- إذا رأى ما يكره وما هو مخالف لطبعه -صلى الله عليه وسلم- عُرف ذلك في وجهه.
অবিবাহিত মেয়ে যারা খুব লজ্জাবতী হয়ে থাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের থেকেও বেশী লজ্জাশীল ছিলেন। কারণ, সে (নারী) এখনো বিবাহ করেনি এবং পুরুষের সাথে মিশেনি ফলে তাকে তুমি তার উড়নার মধ্যে লজ্জালী পাবে। আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ধরনের কুমানি মেয়ের চেয়ে বেশী লজ্জাশীল ছিলেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোনো অপছন্দনীয় বস্তু দেখতেন যা তার স্বভাব বিরোধি সেটা তার চেহারায় জানা যেত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3153

 
Hadith   187   الحديث
الأهمية: اعبدوا الله وحده لا تشركوا به شيئا، واتركوا ما يقول آباؤكم، ويأمرنا بالصلاة، والصدق
থিম: হিরাকল আবূ সুফিয়ানকে বললেন, �তিনি (নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমাদেরকে কী নির্দেশ দেন?� আবূ সুফিয়ান বলেন, আমি বললাম, �তিনি বলেন, �তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর এবং তার সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো না এবং তোমাদের বাপ-দাদা যা বলে সেটা ত্যাগ কর। এবং তিনি আমাদেরকে সালাত আদায় করা ও সত্য বলার আদেশ দেন।�

عن أبي سفيان صخر بن حرب -رضي الله عنه- قال: قال هِرَقل: فماذا يَأمُرُكُم -يعني: النبي صلى الله عليه وسلم- قال أبو سفيان: قلت: يقول: �اعبدُوا الله وَحدَه لاَ تُشرِكُوا بِهِ شَيئًا، وَاترُكُوا ما يَقُول آبَاؤُكُم، ويَأمُرُنَا بِالصَّلاَة، والصِّدق، والعَفَاف، والصِّلَة�.

আবূ সুফিয়ান সখর ইবনে হারব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, (রোম-সম্রাট) হিরাকল বলেন: �তিনি (নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমাদেরকে কী নির্দেশ দেন?� আবূ সুফিয়ান বলেন, আমি বললাম, �তিনি বলেন, �তোমরা এক আল্লাহর ইবাদত কর এবং তার সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো না এবং তোমাদের বাপ-দাদা যা বলে সেটা ত্যাগ কর। এবং তিনি আমাদেরকে সালাত আদায় করা ও সত্য বলার আদেশ দেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذا حديث أبي سفيان صخر بن حرب -رضي الله عنه- المشهور مع هرقل، كان أبو سفيان وقتئذ مشركًا، حيث لم يسلم إلا متأخرًا، فيما بين صلح الحديبية وفتح مكة، قَدِم أبو سفيان ومعه جماعة من قريش إلى هرقل في الشام، وهرقل كان ملك النصارى في ذلك الوقت، وكان قد قرأ في التوراة والإنجيل وعرف الكتب السابقة، وكان ملكًا ذكيًا، فلما سمع بأبي سفيان ومن معه وهم قادمون من الحجاز دعا بهم، وجعل يسألهم عن حال النبي -صلى الله عليه وسلم- وعن نسبه، وعن أصحابه، وعن توقيرهم له، وعن وفائه -صلى الله عليه وسلم-، وكلما ذكر شيئا أخبروه عرف أنه النبي الذي أخبرت به الكتب السابقة، ولكنه - والعياذ بالله- شح بملكه فلم يسلم للحكمة التي أرادها الله -عز وجل-.
وكان فيما سأل أبا سفيان سؤاله عمَّا كان يأمرهم به النبي -صلى الله عليه وسلم- فأخبره بأنه يأمرهم أن يعبدوا الله ولا يشركوا به شيئا، فلا يعبدوا غير الله، لا ملكًا ولا رسولاً، ولا شجرًا ولا حجرًا، ولا شمساً ولا قمرًا، ولا غير ذلك، فالعبادة لله وحده، وهذه دعوة الرسل، فجاء النبي -صلى الله عليه وسلم- بما جاءت به الأنبياء من قبله بعبادة الله وحده لا شريك له.
ويقول: "اتركوا ما كان عليه آباؤكم" وهذا من الصدع بالحق، فكل ما كان آباؤهم من عبادة الأصنام أمرهم النبي -صلى الله عليه وسلم- بتركه، وأما ما كان عليه آباؤهم من الأخلاق الفاضلة؛ فإنه لم يأمرهم بتركه.
وقوله: "وكان يأمرنا بالصلاة" الصلاة صلة بين العبد وبين ربه، وهي آكد أركان الإسلام بعد الشهادتين، وبها يتميز المؤمن من الكافر، فهي العهد الذي بيننا وبين المشركين والكافرين، كما قال النبي -عليه الصلاة والسلام-: "العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة، فمن تركه فقد كفر"
وقوله: "وكان يأمرنا بالصدق" كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يأمر أمته بالصدق، وهذا كقوله -تعالى-: (يا أيها الذين آمنوا اتقوا الله وكونوا مع الصادقين). والصدق خلق فاضل، ينقسم إلى قسمين:
صدق مع الله، وصدق مع عباد الله، وكلاهما من الأخلاق الفاضلة.
وقوله "العفاف" أي: العفة، والعفة نوعان: عفة عن شهوة الفرج، وعفة عن شهوة البطن.
أما العفة الأولى: فهي أن يبتعد الإنسان عما حرم عليه من الزنى ووسائله وذرائعه.
أما النوع الثاني من العفاف: فهو العفاف عن شهوة البطن، أي: عما في أيدي الناس، والتعفف عن سؤالهم، بحيث لا يسأل الإنسانُ أحدًا شيئًا؛ لأن السؤال مذلة، والسائل يده دنيا، سفلى، والمعطي يده عليا، فلا يجوز أن تسأل أحدا إلا ما لابد منه.
أما قوله: "الصلة": فهي أن يصل المرء ما أمر الله به أن يوصل من الأقارب الأدنى فالأدنى، وأعلاهم الوالدان، فإن صلة الوالدين بر وصلة، والأقارب لهم من الصلة بقدر ما لهم من القرب، فالأخ أوكد صلة من العم، والعم أشد صلة من عم الأب، وصلة الرحم تحصل بكل ما تعارف عليه الناس.
এ হাদীসটি হিরাকলের সাথে আবূ সুফিয়ান সাখার ইবন হারবের প্রসিদ্ধ হাদীস। আবূ সুফিয়ান তখন মুশরিক ছিল, কারণ তিনি শেষে ইসলাম গ্রহণ করেছেন হুদাইবিয়্যাহ ও মক্কা বিজয়ের মাঝামাঝি সময়ে। আবূ সুফিয়ান ও তার সাথে কুরাইশের একটি জামাত শিরিয়ায় হিরাকলের নিকট আগমন করে। এ সময়ে হিরাকল ছিল খৃষ্টানদের বাদশাহ। সে তাওরাত ও ইনজিল অধ্যয়ন করে ছিল এবং পূর্বের আসমানী কিতাবসমূহ সম্পর্কে তার জ্ঞান ছিল এবং একজন মেধাবী ও বিচক্ষণ বাদশাহ ছিল। যখন তিনি শুনতে পেলেন যে, আবূ সুফিয়ান ও তার সাথীরা হিজায থেকে আগমন করেছে তখন তিনি তাদের ডেকে পাঠালেন। আর তিনি তাদের রাসূলের অবস্থা, তার বংশ, সাথী ও তার প্রতি তাদের সম্মান এবং প্রতিশ্রুতি পূর্ণতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। সে যখনই কোন কিছু উল্লেখ করে তারা তাকে তা অবহিত করে এবং সে বুঝতে পারে যে, তিনিই সেই নবী যার সম্পর্কে পূর্বের আসমানী কিতাবসমূহ খবর দিয়েছে। কিন্তু সে তার রাজত্ব নিয়েই আঁকড়ে থাকে। ফলে আল্লাহর কোন হিকমতের কারণে সে ইসলাম গ্রহণ করেনি। আবূ সুফিয়ানকে সে যা জিজ্ঞাসা করল তার মধ্যে ছিল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কি বিষয়ে আদেশ করেন। তখন আবু সুফিয়ান তাকে জানান যে, তিনি তাদের আল্লাহর ইবাদত করতে, তার সাথে কাউকে শরীক না করতে ও গায়রুল্লাহের ইবাদত না করতে নির্দেশ দেন। না কোন ফিরিশতা, রাসূল, গাছ, পাথর, সূর্য, চন্দ্র বা অন্য কিছু, ইবাদত কেবল এক আল্লাহর জন্য। আর এটিই হলো রাসূলগণের দাওয়াত। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দাওয়াত নিয়েই এসেছেন যে দাওয়াত নিয়ে তার পূর্বে নবীগণ এসেছিলেন। অর্থাৎ ইবাদত কেবল আল্লাহর ইবাদত করা যিনি একক তার কোন শরীক নেই। আর তিনি বলেন, �তোমরা তোমাদের বাপ দাদাগণ যার ওপর আছে তা পরিত্যাগ কর�। এটিই ছিল সত্যের ঘোষণা। তাদের বাপ দাদা যেসব মুর্তির উপাসনা করত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সেসব ছাড়ার নির্দেশ দেন। আর তাদের বাপ দাদার মধ্যে যে সব উন্নত চরিত্র ছিল তা ছাড়ার তিনি নির্দেশ দেননি। তার বাণী: �তিনি আমাদের সালাতের নির্দেশ দিতেন�।   সালাত হলো বান্দা ও তার রবের মাঝে সম্পর্কের সেতু বন্ধন। শাহাদাতাইনের পর সেটি ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ রুকন। এ দ্বারা একজন মুমিন কাফির থেকে পৃথক হয়। সালাতই হলো আমাদের মাঝে এবং কাফের মুশরিকদের মাঝে চুক্তি। যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন। আমাদের মাঝে ও তাদের মাঝে বন্ধন হলো সালাত যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করল সে কাফের হয়ে গেল। আর তিনি আমাদের সততার নির্দেশ দেন�। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতকে সত্য কথা বলার নির্দেশ দিতেন। এটি আল্লাহর বাণীর মতো, �হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর আর তোমরা সত্যবাদীদের সাথে থাকো�। [সূরা তাওবাহ, আয়াত: ১১৯] সত্য কথা বলা একটি উন্নত চরিত্র। এটি দুই ভাগে বিভক্ত: আল্লাহর সাথে সততা আর আল্লাহর বান্দাদের সাথে সততা। উভয়টিই উন্নত চরিত্র। আর তার বাণী: �পবিত্রতা�। পবিত্রতা দুই প্রকার: লজ্জাস্থানের চাহিদা থেকে পবিত্রতা, আর পেটের চাহিদা থেকে পবিত্রতা। আর প্রথম প্রকার পবিত্রতা যেমন একজন মানুষের যিনা ও উপকরণ যা হারাম করা হয়েছে তা থেকে দূরে থাকা। আর দ্বিতীয় প্রকার পবিত্রতা: আর সেটি হলো পেটের চাহিদা থেকে বিরত থাকা। অর্থাৎ, মানুষের হাতে যা আছে তা থেকে বিরত থাকা ও তাদের নিকট না চাওয়া। যেমন সে কোন মানুষের নিকট কোন কিছু চায় না। কারণ, চাওয়া বেঈজ্জতী। ভিক্ষুকের হাত নিকৃষ্ট ও নিম্ন মানের। আর যে দান করে তার হাত উঁচা ও সম্মানী। সুতরাং নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া কারো কাছে কোন কিছু চাওয়া উচিত নয়। আর পঞ্চম: তার বাণী �আত্মীয়তা রক্ষা� সম্পর্ক। আল্লাহ তা�আলা যে সব আত্মীয়ের সাথে সু সম্পর্ক বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তাদের সাথে সু সম্পর্ক বজায় রাখা। আর তাদের মধ্যে সবোর্চ্চ হলো মাতা-পিতা। কারণ, মাতা-পিতার সাথে সু সম্পর্ক সৎ কর্ম ও সত্যিকার সু-সম্পর্ক। আত্মীয়দের সাথে সু সম্পর্ক যে যতটুকু কাছের সে অনুযায়ী রাখতে হবে। যেমন, ভাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ চাচা থেকে আর চাচা অধিক গুরুত্বপূর্ন বাপের চাচা থেকে। আর আত্মীয়তা বজায় রাখা এমন সব কর্ম দ্বারা বাস্তবায়ন করতে হয় যা মানুষের নিকট পরিচিত ও প্রসিদ্ধ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3154

 
Hadith   188   الحديث
الأهمية: يا أمير المؤمنين، إن الله تعالى قال لنبيه -صلى الله عليه وسلم-: {خذ العفو وأمر بالعرف وأعرض عن الجاهلين} وإن هذا من الجاهلين
থিম: �হে আমীরুল মু�মেনীন! আল্লাহ তা�আলা তাঁর নবীকে বলেন, �তুমি ক্ষমাশীলতার পথ অবলম্বন কর। ভাল কাজের আদেশ প্রদান কর এবং মূর্খদিগকে পরিহার করে চল।� (সূরা আল আ�রাফ, আয়াত: ১৯৮) আর এ একজন মূর্খ।� আল্লাহর কসম! যখন তিনি এই আয়াত পাঠ করলেন, তখন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু একটুকুও আগে বাড়লেন না। আর তিনি আল্লাহর কিতাবের কাছে (অর্থাৎ, তাঁর নির্দেশ শুনে) সাথে সাথে থেমে যেতেন।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- قال: قَدِم عُيَينَة بن حِصنٍ، فَنزَل على ابنِ أَخِيه الحُرِّ بن قَيسٍ، وكان من النَّفَر الذين يُدنِيهِم عمر -رضي الله عنه-، وكان القُرَّاء    أصحاب مَجلِس عُمر -رضي الله عنه- ومُشاوَرَتِه كُهُولا كانوا أو شُبَّانًا، فقال عيينة لابن أَخِيه: يَا ابن أخي، لك وَجْه عند هذا الأمير فَاسْتَأذِن لِي عليه، فَاسْتَأذَن فَأَذِن لَه عُمر، فَلَمَّا دَخَل قال: هي يا ابن الخطَّاب، فَوالله مَا تُعطِينَا الجَزْلَ ولا تَحكُمُ فِينَا بِالعَدلِ، فغضب عمر -رضي الله عنه- حَتَّى هَمَّ أَنْ يُوقِعَ بِه، فقال له الحُرُّ: يا أمير المؤمنين، إنَّ الله تعالى قال لِنَبِيِّه -صلى الله عليه وسلم-: {خذ العفو وأمر بالعرف وأعرض عن الجاهلين}، وإِنَّ هذا مِن الجَاهِلِين، والله مَا جَاوَزَها عُمر حِين تَلاَهَا، وكان وَقَّافًا عند كِتَاب الله -تعالى-.
থিম: আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন যে, উয়াইনাহ ইবনে হিসন এলেন এবং তাঁর ভাতিজা হুর ইবনে কাইসের কাছে অবস্থান করলেন। এই (হুর্র) উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-এর খেলাফত কালে ঐ লোকগুলির মধ্যে একজন ছিলেন যাদেরকে তিনি তাঁর নিকটে রাখতেন। আর কুরআন বিশারদগণ বয়স্ক হন অথবা যুবক দল তাঁরা উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-এর সভাষদ ও পরামর্শদাতা ছিলেন। উয়াইনাহ তাঁর ভাতিজাকে বললেন, �হে আমার ভ্রাতুষ্পুত্র! এই খলীফার কাছে তোমার বিশেষ সম্মান রয়েছে। তাই তুমি আমার জন্যে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি চাও।� ফলে তিনি অনুমতি চাইলেন। সুতরাং উমার তাকে অনুমতি দিলেন। অতঃপর যখন উয়াইনাহ ভিতরে প্রবেশ করলেন, তখন উমার (রাদিয়াল্লাহু <�আনহু)কে বললেন, �হে ইবনে খাত্তাব! আল্লাহর কসম! আপনি আমাদেরকে পর্যাপ্ত দান দেন না এবং আমাদের মধ্যে ন্যায় বিচার করেন না!� (এ কথা শুনে) উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু রাগান্বিত হলেন। এমনকি তাকে মারতে উদ্যত হলেন। তখন হুর্র তাঁকে বললেন, �হে আমীরুল মু�মেনীন! আল্লাহ তা�আলা তাঁর নবীকে বলেন, �তুমি ক্ষমাশীলতার পথ অবলম্বন কর। ভাল কাজের আদেশ প্রদান কর এবং মূর্খদিগকে পরিহার করে চল।� (সূরা আল আ�রাফ, আয়াত: ১৯৮) আর এ একজন মূর্খ।� আল্লাহর কসম! যখন তিনি (হুর্র) এই আয়াত পাঠ করলেন, তখন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু একটুকুও আগে বাড়লেন না। আর তিনি আল্লাহর কিতাবের কাছে (অর্থাৎ, তাঁর নির্দেশ শুনে) তৎক্ষণাত থেমে যেতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يُحدِثُنا الصحابي الجليل عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- عما حصل لأمير المؤمنين عمر بن الخطاب -رضي الله عنه-، حيث قدم عليه عيينة بن حصن -رضي الله عنه-، وكان من كبار قومه، فبدأ كلامه الفض بالتهجُّم والاستنكار، ثم عقَّبه بالمُعاتبة قائلاً: إِنَّك لا تُعطِينا الجزل، ولا تحكم فينا بالعدل، فغضب عمر -رضي الله عنه- غضبا حتى كاد يضربه، ولكن قام بعض القُرَّاء ومنهم ابن أخي عيينة وهو الحر بن قيس مخاطبا الخليفة الراشد -رضي الله عنه-: يا أمير المؤمنين، إن الله -تعالى- قال لنبيه -صلى الله عليه وسلم-: "خذ العفو وأمر بالعرف وأعرض عن الجاهلين" ، وإن هذا من الجاهلين، فوقف عمر عندها وكتم غضبه، ولم يتجاوزها؛ لأنه كان وقَّافا عند كتاب الله -رضي الله عنه وأرضاه-، فوقف وما ضرب الرجل؛ لأجل الآية التي تُلِيت على مسامعه.
فهذا هو أدب الصحابة -رضي الله عنهم- عند كتاب الله؛ لا يتجاوزونه، إذا قيل لهم هذا قول الله وَقَفُوا، مهما كان الأمر.
বিশিষ্ট সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা আমীরুল মু�মিনীন উমার উবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু <�আনুহর ঘটনা আমাদের বর্ণনা করেন। উয়াইনাহ ইবন হিসন যিনি তার সম্প্রদায়ের বয়স্কদের একজন উমার রাদিয়াল্লাহু �আনহুর নিকট আসেন। তিনি প্রথমেই কটু বাক্য,গাল মন্দ ও অশালীন কথা বলেন। তারপর এ বলে তাকে ভৎসণা করেন যে, তুমি আমাদের বেশি বেশি দান করো না এবং আমাদের মাঝে ইনসাফ করো না। তার কথায় তিনি এতো বেশি ক্ষুব্ধ হলেন যেন তিনি তাকে মারার উপক্রম। কিন্তু কতক ক্বারী যাদের মধ্যে রয়েছেন উয়াইনাহর ভাই হুর ইবন কায়েস তারা খলীফাকে সম্বোধন করে বললেন, হে আমীরুল মু�মীনিন, আল্লাহ তা�আলা তার নবীকে বলেছেন, �তুমি ক্ষমাশীলতার পথ অবলম্বন কর। ভাল কাজের আদেশ প্রদান কর এবং মূর্খদিগকে পরিহার করে চল।� (সূরা আল আ�রাফ, আয়াত: ১৯৮) আর এতো মূর্খদের একজন।� তখন উমার রাদিয়াল্লাহু �আনহু একটুকুও আগে বাড়লেন না। কারণ, তিনি আল্লাহর কিতাবের কাছে (অর্থাৎ, তাঁর নির্দেশ শুনে) সঙ্গে-সঙ্গে থেমে যেতেন। তার কানের সামনে আয়াতটির তিলাওয়াত শোনে তিনি সাথে সাথে থেমে গেলেন তাকে কোন প্রকার মারধর করলেন না। আল্লাহর কিতাবের সামনে এটিই ছিল সাহাবীগনের শিষ্টাচার। তারা তার আগে কখনো বাড়তেন না। যদি তাদের বলা হতো এটি আল্লাহর বাণী তাহলো তারা যে অবস্থায় থাকতেন সে অবস্থায় থেমে যেতেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3155

 
Hadith   189   الحديث
الأهمية: إنها ستكون بعدي أثرة وأمور تنكرونها
থিম: আমার পরে অন্যায়ভাবে প্রাধান্য দেওয়া হবে এবং অনেক কাজ হবে যেগুলোকে তোমরা মন্দ জানবে।

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- مرفوعًا: �إِنَّها سَتَكُون بَعدِي أَثَرَة وأُمُور تُنكِرُونَها!� قالوا: يا رسول الله، فَمَا تَأمُرُنَا؟ قال: �تُؤَدُّون الحَقَّ الذي عَلَيكم، وتَسأَلُون الله الذِي لَكُم�.

ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফ� হিসেবে বর্ণিত: �আমার পরে অন্যায়ভাবে প্রাধান্য দেওয়া হবে এবং অনেক কাজ হবে যেগুলোকে তোমরা মন্দ জানবে।� সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, �হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদেরকে কী আদেশ দিচ্ছেন?� তিনি বললেন, �যে দায়িত্ব তোমাদের আছে, তা তোমরা পালন করবে এবং যে অধিকার তোমাদের পাওনা আছে তা তোমরা আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নেবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في الحديث التنبيه على أمر عظيم متعلق بمعاملة الحكام، وهي ظلم الحكام وانفرادهم بالمال العام دون الرعية، حيث أخبر النبي -صلى الله عليه وسلم- أنه سيستولي على المسلمين ولاة يستأثرون بأموال المسلمين يصرفونها كما شاؤوا ويمنعون المسلمين حقهم فيها.
وهذه أثرة وظلم من هؤلاء الولاة، أن يستأثروا بالأموال التي للمسلمين فيها الحق، وينفردوا بها لأنفسهم عن المسلمين، ولكن الصحابة المرضيون طلبوا التوجيه النبوي في عملهم لا فيما يتعلق بالظلمة، فقالوا: ما تأمرنا؟ وهذا من عقلهم، فقال -صلى الله عليه وسلم-: "تودون الحق الذي عليكم"، يعني: لا يمنعكم انفرادهم بالمال عليكم أن تمنعوا ما يجب عليكم نحوهم من السمع والطاعة وعدم الإثارة والوقوع في الفتن، بل اصبروا واسمعوا وأطيعوا ولا تنازعوا الأمر الذي أعطاهم الله، "وتسألون الله الذي لكم" أي: اسألوا الحق الذي لكم من الله، أي: اسألوا الله أن يهديهم حتى يؤدُّوكم الحق الذي عليهم لكم، وهذا من حكمة النبي -صلى الله عليه وسلم-؛ فإنه -صلى الله عليه وسلم- علِم أنَّ النفوس لا تصبر عن حقوقها، وأنها لن ترضى بمن يستأثرعليهم بحقوقهم، ولكنه -صلى الله عليه وسلم- أرشد إلى أمر يكون فيه الخير والمصلحة، وتندفع من ورائه الشرور والفتن، وذلك بأن نؤدي ما علينا نحوهم من السمع والطاعة وعدم منازعة الأمر ونحو ذلك، ونسأل الله الذي لنا.
এ হাদীসটিতে শাসকদের সাথে সম্পৃক্ত একটি মহান বিষয়ের ওপর সতর্ক করা হয়েছে। আর সেটি হলো শাসকদের জুলুম করা ও জনগণকে বাদ দিয়ে সম্পদ আত্মসাৎ করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়ে দেন যে, মুসলিমদের ওপর এমন কতক ক্ষমতাশীল আসবে তারা মুসলিমদের সম্পদকে নিজেদের সম্পদ মনে করবে, যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যয় করবে এবং মুসলিমদেরকে তাদের হক থেকে বিরত রাখবে। এটি হবে এসব শাসকগোষ্ঠী থেকে আত্মসাৎ ও জুলুম। যে সম্পদে মুসলিমদের অধিকার রয়েছে তাতে তারা আত্মসাৎ করবে এবং মুসলিমদের বাদ দিয়ে তাদের সম্পদ তারা নিজেরা এককভাবে ভক্ষণ করে। কিন্তু সন্তুষ্টি-প্রাপ্ত সাহাবীগণ যালিমদের সম্পর্কে নয়, নিজেদের করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা কামনা করেন। তারা বলেন, আপনি আমাদের কি নির্দেশ দেন? এটি তাদের জ্ঞানের পরিচায়ক। রাসূলুল্লাহ বলেন, তোমাদের ওপর যে দায়িত্ব তোমরা তা আদায় করবে। অর্থাৎ, তাদের আত্মসাৎ করা যেন তোমাদের ওপর তাদের কথা শোনা ও মানা, তাদের বিরোধিতা না করা এবং তাদের ক্ষেত্রে ফিতনায় না পড়া ইত্যাদি যে দায়িত্ব রয়েছে তা থেকে যেন তোমরা বিরত না থাক। বরং তোমরা সবর কর, শোন এবং আনুগত্য কর। আল্লাহ তাদের যে ক্ষমতা দিয়েছে তাতে তোমরা বিবাধ করো না। আল্লাহর নিকট চাও যা তোমাদের পাওনা। অর্থাৎ তোমাদের যে হক রয়েছে তা আল্লাহর কাছে চাও। অর্থাৎ, আল্লাহর কাছে দো�আ কর যেন, আল্লাহ তাদের সঠিক বুঝ দান করে যাতে তারা তাদের ওপর তোমাদের যে হক রয়েছে তা আদায় করেন। এটি রাসূলের হিকমত। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম জানতেন নফস তার অধিকার বিষয়ে ছাড় দেয় না। যারা তার অধিকার ছিনিয়ে নেয় তার প্রতি সে কখনো সন্তুষ্ট হয় না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি বিষয়ের প্রতি দিক নির্দেশনা দেন যাতে রয়েছে কল্যাণ এবং যার কারণে দূরীভূত হয় অন্যায় ও খারাবী। আর তা তখনই সম্ভব যখন আমাদের ওপর আনুগত্য করা ও তাদের কথা মানার দায়িত্ব আদায় করব এবং তাদের সাথে বিবাদে লিপ্ত হবো না। আর আমাদের পাওনা আল্লাহর কাছে চাইব।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3156

 
Hadith   190   الحديث
الأهمية: من سأل الله تعالى الشهادة بصدق بلغه منازل الشهداء وإن مات على فراشه
থিম: যে ব্যক্তি সত্য অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট শাহাদাত প্রার্থনা করবে, তাকে আল্লাহ তা�আলা শহীদদের মর্যাদায় পৌঁছাবেন; যদিও তার মৃত্যু নিজ বিছানায় হয়।

عن سهل بن حنيف -رضي الله عنه- مرفوعًا: �مَن سَأَل الله تَعَالى الشَّهَادَة بِصِدق بَلَّغَه مَنَازِل الشُّهَدَاء وإِن مَات عَلَى فِرَاشِه�.

সাহাল ইবনে হুনাইফ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত, �যে ব্যক্তি সত্য অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট শাহাদাত প্রার্থনা করবে, তাকে আল্লাহ তা�আলা শহীদদের মর্যাদায় পৌঁছাবেন; যদিও তার মৃত্যু নিজ বিছানায় হয়�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في الحديث بيان أنَّ صدق النية سبب لبلوغ الأجر والثواب، وأنَّ من نوى شيئاً من عمل البرّ أُثِيب عليه، وإن لم يقدر على عمله، ومن ذلك من دعا وسأل الشهادة في سبيل الله ونصرة دينه صادقاً من قلبه كتب الله له أجر الشهداء وإن لم يعمل عملهم ومات في غير الجهاد.
হাদীসটিতে বলা হয়েছে যে, নিয়্যত সঠিক হওয়াই হলো সাওয়াব ও বিনিময় লাভের কারণ। আর যে ব্যক্তি কোন নেক আমলের নিয়ত করে তাকে তার ওপর সাওয়াব দান করা হবে। যদিও সে আমল করতে সক্ষম হয়নি। যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় শাহাদাত ও তার দীনের সাহায্য করার নিয়ত করে, আল্লাহ তা�আলা তার জন্য শহীদদের সাওয়াব দান করবেন যদিও সে তাদের আমল করেননি।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3157

 
Hadith   191   الحديث
الأهمية: ما يزال البلاء بالمؤمن والمؤمنة في نفسه وولده وماله حتى يلقى الله تعالى وما عليه خطيئة
থিম: মু�মিন পুরুষ ও নারীর জান, সন্তান-সন্ততি ও তার ধনে (বিপদ-আপদ দ্বারা) পরীক্ষা হতে থাকে, পরিশেষে সে আল্লাহ তা�আলার সঙ্গে নিষ্পাপ হয়ে সাক্ষাৎ করবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعًا: �ما يزَال البَلاء بِالمُؤمن والمُؤمِنة في نفسه وولده وماله حتَّى يَلقَى الله تعالى وما عليه خَطِيئَة�.

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �মু�মিন পুরুষ ও নারীর জান, সন্তান-সন্ততি ও তার ধনে (বিপদ-আপদ দ্বারা) পরীক্ষা হতে থাকে, পরিশেষে সে আল্লাহ তা�আলার সঙ্গে নিষ্পাপ হয়ে সাক্ষাৎ করবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الإنسان في دار التكليف معرض للابتلاء بالضراء والسراء، فمتى أصيب الإنسان ببلاء في نفسه أو ولده أو ماله، ثم صبر على استمرار البلاء، فإن ذلك يكون سببًا في تكفير الذنوب والخطايا، أما إذا تسخط فإن من تسخط على البلاء فله السخط من الله -تعالى-.
থিম: মানুষ এ আমলে দুনিয়ায় অবশ্যই ক্ষতি বা আনন্দ উভয় দ্বারাই পরীক্ষার সম্মূখীন হয়। যখনই মানুষ দুনিয়াতে কোন জীবন অথবা সন্তান বা সম্পদ বিষয়ে আক্রান্ত হয়, তারপর সে বিপদের ওপর ধৈর্য ধারণ করে, তা অবশ্যই তার গুনাহ ও ভুলত্রুটি মাপের কারণ হবে। আর যে ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হবে তার জন্য রয়েছে আল্লাহ পক্ষ থেকে নারাজী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান, সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3159

 
Hadith   192   الحديث
الأهمية: إن شئت صبرت ولك الجنة، وإن شئت دعوت الله -تعالى- أن يعافيك
থিম: তুমি যদি চাও সবর কর, তোমার জন্যে জান্নাত রয়েছে। আর যদি চাও তাহলে আমি তোমার রোগ নিরাময়ের জন্য আল্লাহ তা�আলার নিকটে দু�আ করব।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- أنه قال لعطاء بن أبي رباح: ألاَ أُريكَ امرأةً مِن أَهلِ الجَنَّة؟ قال عطاء: فَقُلت: بَلَى، قال: هذه المرأة السَّوداء أَتَت النَّبي -صلى الله عليه وسلم- فقالت: إِنِّي أُصرَع، وإِنِّي أَتَكَشَّف، فَادعُ الله تعالى لِي، قال: �إِن شِئتِ صَبَرتِ ولَكِ الجَنَّةُ، وَإِن شِئْتِ دَعَوتُ الله تعالى أنْ يُعَافِيك� فقالت: أَصبِرُ، فقالت: إِنِّي أَتَكَشَّف فَادعُ الله أَن لاَ أَتَكَشَّف، فَدَعَا لَهَا.

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত: তিনি আতা ইবনে আবু রিবাহকে বললেন, �আমি কি তোমাকে একটি জান্নাতী মহিলা দেখাব না!� আমি বললাম, �হ্যাঁ!� তিনি বললেন, �এই কৃষ্ণকায় মহিলাটি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে বলল যে, আমার মৃগী রোগ আছে, আর সে কারণে আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য দুআ করুন।� তিনি বললেন, �তুমি যদি চাও সবর কর, তোমার জন্যে জান্নাত রয়েছে। আর যদি চাও তাহলে আমি তোমার রোগ নিরাময়ের জন্য আল্লাহ তা�আলার নিকটে দু�আ করব।� স্ত্রীলোকটি বলল, �আমি সবর করব।� অতঃপর সে বলল, �(রোগ উঠার সময়) আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়, সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে দু�আ করুন, যেন আমার দেহ থেকে কাপড় সরে না যায়।� ফলে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য দু�আ করলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جاء في الحديث أن ابن عباس -رضي الله عنهما- قال لتلميذه عطاء بن أبي رباح: "ألا أريك امرأة من أهل الجنة؟ قلت: بلى! قال: هذه المرأة السوداء".
امرأة سوداء لا يؤبه لها ولا يعرفها أكثر الناس، كانت تُصرع وتَنكشف، فأخبرت النبي -صلى الله عليه وسلم- وسألته أن يدعو الله لها بالشفاء من الصرع، فقال لها -صلى الله عليه وسلم-: "إن شئت دعوت الله لك، وإن شئت صبرت ولك الجنة"، فقالت: أصبر، وإن كانت تتألَّم وتتأذى من الصرع، لكنها صبرت من أجل أن تفوز بالجنة، ولكنها قالت: يا رسول الله إني أتكشف، فادع الله أن لا أتكشف، فدعا الله أن لا تتكشف، فصارت تُصرع ولا تتكشَّف.
হাদীসে এসেছে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু তার ছাত্র আতা ইবন আবী রিবাহকে বলেন, আমি কি তোমাকে একটি জান্নাতী মহিলা দেখাব না!� আমি বললাম, �হ্যাঁ!� তিনি বললেন, �এই কৃষ্ণকায় মহিলাটি। যাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না এবং অধিকাংশ মানুষ তাকে চিনে না। সে বেহুশ হয়ে পড়ত এবং তার কাপড় খুলে যেত। তাই তিনি রাসূলকে জানালেন এবং তার কাছে কামনা করলেন যে, তিনি যেন তার জন্য মৃগি রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য দোআ করেন। তিনি বললেন, �তুমি যদি চাও তাহলে সবর কর; এর বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাত রয়েছে। আর যদি চাও তাহলে আমি তোমার রোগ নিরাময়ের জন্য আল্লাহ তা�আলার নিকটে দু�আ করব।� স্ত্রীলোকটি বলল, �আমি সবর করব।� যদিও সে মৃগির কারণে কষ্ট ও ব্যথা পাচ্ছে তবে সে জান্নাত লাভের উদ্দেশ্যে ধৈর্য ধারণ করল। তবে সে বলল, �(রোগ উঠার সময়) আমার দেহ থেকে কাপড় সরে যায়, সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে দু�আ করুন, যেন আমার দেহ থেকে কাপড় সরে না যায়।� ফলে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য দু�আ করলেন যাতে তার কাপড় খুলে না যায়। তারপর সে মৃগি আক্রান্ত হতো কিন্তু তার কাপড় খুলতো না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3160

 
Hadith   193   الحديث
الأهمية: ليس من عبد يقع في الطاعون فيمكث في بلده صابرا محتسبا يعلم أنه لايصيبه إلا ما كتب الله له إلا كان له مثل أجر الشهيد
থিম: যে ব্যক্তি প্লেগ রোগে আক্রান্ত হবে এবং সে নিজ দেশে ধৈর্য সহকারে নেকীর নিয়তে অবস্থান করবে, সে জানবে যে, তাকে তাই স্পর্শ করবে যা আল্লাহ তাআলা তার জন্য লিখে দিয়েছেন, তাহলে সে ব্যক্তির জন্য শহীদের মত পুরস্কার রয়েছে।

عن عائشة -رضي الله عنها- أَنَّها سَأَلَت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن الطَّاعُون، فَأَخبَرَها أَنَّه كَان عَذَابًا يَبعَثُه الله تعالى على من يشاء، فَجَعَلَه الله تعالى رحمَة للمؤمنين، فليس من عبدٍ يقع في الطَّاعُون فَيَمكُث فِي بَلَدِه صَابِرًا مُحتَسِبًا يعلَم أَنَّه لايُصِيبُه إِلاَّ مَا كتَب الله له إلا كان له مِثلُ أجرِ الشَّهيدِ.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহ আন্হা কর্তৃক বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্লেগ রোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি তাঁকে বললেন যে, �এটা আযাব; আল্লাহ তা�আলা যার প্রতি ইচ্ছা করেন এটা প্রেরণ করেন। অতঃপর আল্লাহ তা�আলা একে মু�মিনদের জন্য রহমত বানিয়ে দিলেন। ফলে (এখন) যে ব্যক্তি পেঙ্গগ রোগে আক্রান্ত হবে এবং সে নিজ দেশে ধৈর্য সহকারে নেকীর নিয়তে অবস্থান করবে, সে জানবে যে, তাকে তাই স্পর্শ করবে যা আল্লাহ তাআলা তার জন্য লিখে দিয়েছেন, তাহলে সে ব্যক্তির জন্য শহীদের মত পুরস্কার রয়েছে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في حديث عائشة -رضي الله عنها- أنها سألت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن الطاعون، فأخبرها أن الطاعون عذاب يرسله الله سبحانه وتعالى على من يشاء من عباده.
وسواء كان الطاعون معيناً أم كان وباء عاما مثل الكوليرا وغيرها؛ فإن هذا الطاعون عذاب أرسله الله عز وجل، ولكنه رحمة للمؤمن إذا نزل بأرضه وبقي فيها صابراً محتسباً، يعلم أنه لا يصيبه إلا ما كتب الله له، فإن الله تعالى يكتب له مثل أجر الشهيد، ولهذا جاء في الحديث الصحيح عن عبد الرحمن بن عوف -رضي الله عنه- أنه قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: "إذا سمعتم به بأرض فلا تقدموا عليه، وإذا وقع بأرض وأنتم بها فلا تخرجوا فراراً منه".
إذا وقع الطاعون بأرض فإننا لا نقدم عليها؛ لِأنَّ الإقدام عليها إلقاء بالنفس إلى التهلكة، ولكنه إذا وقع في أرض فإِنَّنا لا نخرج منها فراراً منه، لأنك مهما فررت من قدر الله إذا نزل بالأرض فإن هذا الفرار لن يغني عنك من الله شيئاً؛ لأنه لا مفر من قضاء الله إلا إلى الله.
وأما سر نيل درجة الشهداء للصابر المحتسب على الطاعون: هو أن الإنسان إذا نزل الطاعون في أرضه فإن الحياة غالية عنده، سوف يهرب، يخاف من الطاعون، فإذا صبر وبقي واحتسب الأجر وعلم أنه لن يصيبه إلا ما كتب الله له، ثم مات به، فإنه يكتب له مثل أجر الشهيد، وهذا من نعمة الله -عز وجل-.

থিম: আয়েশা রাদিয়াল্লাহু <�আনহার হাদিসে রয়েছে, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহামারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাকে জানান যে, প্লেগ একটি আযাব; আল্লাহ তা�আলা যার প্রতি ইচ্ছা করেন এটা প্রেরণ করেন। এটি নির্দিষ্ট হোক বা কলেরা ইত্যাদির মতো ব্যাপক হোক তবে তা অবশ্যই আযাব যা আল্লাহ তা�আলা প্রেরণ করেন। তবে তা মু�মিনদের জন্য রহমত, যখন কোন যমীনে তা দেখা যাবে আর সেখানে সে ধৈর্য ধারণ ও সাওয়াবের আশায় অবস্থান করবে এবং এ বিশ্বাস করবে যে, আল্লাহ তার জন্য যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই তার ভাগ্যে জুটবে, তখন আল্লাহ তার জন্য শহীদের সাওয়াব লিপিবদ্ধ করবেন। এ কারণেই বিশুদ্ধ হাদীসে এসেছে�আব্দুর   রহমান ইবন আউফ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত: যখন তোমরা যমীনে তা�উন সম্পর্কে শুনতে পাও, তবে তোমরা তাতে আগমন করো না। আর যদি তুমি নিজ দেশে শুনতে পাও এবং তুমি সেখানে অবস্থান করছ, তাহলে তোমরা তা থেকে পলায়ন করো না। সুতরাং যখন তা�উন কোন দেশে দেখা দেবে আমরা অবশ্যই তাতে আগমন করব না। কারণ, তাতে আগমন করা মানে নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া। কিন্তু যখন আমার নিজের দেশে তা দেখা যায় এবং আমি সেখানে অবস্থান করছি আমি সেখান থেকে পলায়ন করব না। কারণ, যখনই তুমি আল্লাহর নির্ধারিত ভাগ্য থেকে পলায়ন করবে তবে মনে রাখবে এ ধরনের পলায়ন করা তোমাকে আল্লাহর থেকে একটুও উপকারে আসবে না। কারণ, আল্লাহর ফায়সালা থেকে পলায়ন করার কোন সুযোগ নেই। আল্লাহর নিকট ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। তা�উনের ওপর ধৈর্যধারণকারী ও সাওয়াবের আশাকারী শহীদের দরজা লাভের রহস্য হলো: তা�উন যখন কোন ব্যক্তির নিজের এলাকায় দেখা দেয়, তখন তার নিকট বেঁচে থাকা অবশ্যই অতি মুল্যবান। তাই সে তাউনের ভয়ে পলায়ন করছে। কিন্তু যখন সে ধৈর্য ধারণ করবে, নিজ এলাকায় অবস্থান করবে এবং সাওয়াবের আশা করবে আর এ বিশ্বাস করবে যে, তার ভাগ্যে তাই ঝুটবে যা আল্লাহ তার জন্য লিপিবদ্ধ করেছে অত:পর সে মারা গেল তার জন্য অবশ্যই শহীদের সাওয়াব লিপিবদ্ধ করা হবে। এটি আল্লাহর নি�আমত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3161

 
Hadith   194   الحديث
الأهمية: يقول الله -تعالى-: ما لعبدي المؤمن عندي جزاء إذا قبضت صفيه من أهل الدنيا ثم احتسبه إلا الجنة
থিম: আল্লাহ তাআলা বলেন: যখন আমি আমার বান্দার পছন্দনীয় পার্থিব জিনিসকে কেড়ে নিই, অতঃপর সে (তাতে) সাওয়াবের আশা রাখে, তখন তার জন্য আমার নিকট জান্নাত ছাড়া অন্য কোন বিনিময় নেই।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعًا: �يقول الله -تعالى-: ما لِعَبدِي المُؤمن عِندِي جَزَاء إِذَا قَبَضتُ صَفِيَّه مِنْ أَهلِ الدُّنيَا ثُمَّ احْتَسَبَه إِلاَّ الجنَّة�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: মহান আল্লাহ বলেন, �যখন আমি আমার বান্দার পছন্দনীয় পার্থিব জিনিসকে কেড়ে নিই, অতঃপর সে (তাতে) সাওয়াবের আশা রাখে, তখন তার জন্য আমার নিকট জান্নাত ছাড়া অন্য কোন বিনিময় নেই�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر النبي -عليه السلام- في هذا الحديث القدسي، أنَّ من ابتلي بفقد حبيبه من قريب ونحو ذلك إذا صبر الإنسان على قبض من يصطفيه الإنسان ويختاره ويرى أنه ذو صلة منه قوية، من ولد، أو أخ، أو عم، أو أب، أو أم، أو صديق، إذا أخذه الله -عز وجل- ثم احتسبه الإنسان فليس له جزاء إلا الجنة.
এ হাদীসে কুদসীতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিচ্ছেন যে ব্যক্তি নিজের কোন প্রিয় আত্মীয় ইত্যাদি হারানোর বিপদে আক্রান্ত হন, তারপর লোকটি তার পছন্দনীয় ব্যক্তি যেমন তার নিকট আত্মীয় বা সন্তান বা ভাই বা চাচা বা পিতা-মাতা বা বন্ধু ইত্যাদি হারানোর ওপর ধৈর্য ধারণ করে, অতঃপর সে সাওয়াবের আশা করে, তার জন্য জান্নাত ছাড়া আর কোন বিনিময় থাকবে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3162

 
Hadith   195   الحديث
الأهمية: إنَّ المُفْلس مِنْ أُمَّتِي مَن يَأْتِي يَوْمَ القِيَامَةِ بِصَلَاة وَصِيَامٍ وَزَكَاة، وَيَأْتِي وَقَدْ شَتَم هذا، وقَذَفَ هذا، وأَكَل مالَ هذا، وسَفَكَ دَمَ هذا، وضَرَبَ هذا، فَيُعْطَى هَذا مِن حَسَنَاتِهِ، وهذا مِنْ حَسَنَاتِهِ
থিম: আমার উম্মতের ভেতর মুফলিস/গরীব হচ্ছে ওই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন উঠবে অনেক সালাত, সিয়াম ও যাকাত নিয়ে, সে আসবে ঠিকই, অথচ একে গালি দিয়েছে, একে অপবাদ দিয়েছে, এর মাল খেয়েছে, এর রক্ত প্রবাহিত করেছে, একে প্রহার করেছে, ফলে একে তার সাওয়াব থেকে দেওয়া হবে, এবং একে তার সাওয়াব থেকে দেওয়া হবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: �أتدرون من المفلس؟� قالوا: المُفْلِس فينا من لا دِرهَمَ له ولا مَتَاع، فقال: �إن المفلس من أمتي من يأتي يوم القيامة بصلاة وصيام وزكاة، ويأتي وقد شَتَمَ هذا، وقذف    هذا، وأكل مال هذا، وسَفَكَ دم هذا، وضرب هذا، فيعطى هذا من حسناته، وهذا من حسناته، فإن فنيت حسناته قبل أن يُقْضَى ما عليه، أخذ من خطاياهم فَطُرِحتْ عليه، ثم طُرِحَ في النار�.

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ��তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে?�� তাঁরা বললেন, �আমাদের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যার কাছে কোন দিরহাম এবং কোনো আসবাব-পত্র নেই।� তিনি বললেন, ��আমার উম্মতের মধ্যে (আসল) নিঃস্ব তো সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাতের (নেকী) নিয়ে হাযির হবে। (কিন্তু এর সাথে সাথে সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে। কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে, কারো (অবৈধরূপে) মাল ভক্ষণ করেছে। কারো রক্তপাত করেছে এবং কাউকে মেরেছে। অতঃপর এ (অত্যাচারিত)কে তার নেকী দেওয়া হবে, এ (অত্যাচারিত)কে তার নেকী দেওয়া হবে। পরিশেষে যদি তার নেকীরাশি অন্যান্যদের দাবী পূরণ করার পূর্বেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের পাপরাশি নিয়ে তার উপর নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।��

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يسأل النبي -صلى الله عليه وسلم- الصحابة رضوان الله عليهم فيقول: "أتدرون من المفلس". فأخبروه بما هو معروف بين الناس، فقالوا: هو الفقير الذي ليس عنده نقود ولا متاع.
فأخبرهم النبي -صلى الله عليه وسلم- أن المفلس من هذه الامة من يأتي يوم القيامة بحسنات عظيمة، وأعمال صالحات كثيرة من صلاة وصيام وزكاة، فيأتي وقد شتم هذا، وضرب هذا، وأخذ مال هذا، وقذف هذا، وسفك دم هذا، والناس يريدون أن يأخذوا حقهم؛ فما لا يأخذونه في الدنيا يأخذونه في الآخرة، فيقتص لهم منه؛ فيأخذ هذا من حسناته، وهذا من حسناته، وهذا من حسناته بالعدل والقصاص بالحق، فإن فنيت حسناته أخذ من سيئاتهم فطرحت عليه، ثم طرح في النار.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের জিজ্ঞেস করেছেন যে, তোমরা কি জানো মুফলিস তথা অভাবী কে? তারা তাকে সেভাবেই সংবাদ দিল, যা মানুষের ভেতর প্রসিদ্ধ ছিল। তারা বলল, যার নিকট টাকা ও সামগ্রী নেই সেই অভাবী। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে সংবাদ দিলেন, এই উম্মতের মুফলিস হচ্ছে ওই ব্যক্তি যে কিয়ামতের দিন আসবে বড় সাওয়াব ও অনেক সৎকর্ম নিয়ে, যেমন সালাত, সিয়াম ও যাকাত। সে আসবে ঠিকই অথচ একে গালি দিয়েছে, একে প্রহার করেছে, তার সম্পদ ভক্ষণ করেছে, তাকে অপবাদ দিয়েছে, তার রক্ত প্রবাহিত করেছে, আর মানুষেরা তাদের হক নিতে চাইবে, যা তারা দুনিয়ায় নিতে পারেনি সেটা তারা আখিরাতে নিবে। আল্লাহ তাদের জন্য তার থেকে বদলা নিবেন, ফলে এ তার সাওয়াব নিবে, এ তার সাওয়াব নিবে এবং এ তার সাওয়াব নিবে ইনসাফের সাথে এবং বদলা নিবে যুলুম ব্যতীত। এভাবে যদি তার সাওয়াব শেষ হয়ে যায়, তাদের পাপ নিয়ে তার উপর নিক্ষেপ করা হবে এবং তাকে জাহান্নামে ফেলা হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3165

 
Hadith   196   الحديث
الأهمية: والذي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، إنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الجَنَّةِ وذَلِكَ أَنْ الجَنَّةَ لَا يَدْخُلُهَا إلا نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ
থিম: �আবদুল্লাহ্ ইবন মাস�ঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা চল্লিশ জনের মত এক তাঁবুতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি বললেন: �তোমাদের সংখ্যা জান্নাতীদের এক-চতুর্থাংশ হলে তোমরা কি খুশি হবে?� আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি আবার বললেন: �তোমরা জান্নাতীদের এক-তৃতীয়াংশ হলে তোমরা কি খুশি হবে?� আমরা বললাম, হ্যাঁ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: �ঐ সত্ত্বার কসম! যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ। আমি দৃঢ় আশা রাখি যে, তোমরা জান্নাতীদের অর্ধেক হবে। আর জা   ‎ন্নাতে কেবল মুসলিমগণই প্রবেশ করতে পারবে। আর মুশরিকদের তুলনায় তোমাদের অবস্থা, যেমন কাল ষাঁড়ের চামড়ার উপর একটি সাদা পশম অথবা লাল ষাঁড়ের চামড়ার উপর একটি কাল পশম।�

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- قال: كُنَّا مع رسولِ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- في قُبَّةٍ نَحْوًا من أربعينَ، فقال: �أَتَرْضَونَ أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الجَنَّةِ؟� قلنا: نعم. قال: �أَتَرْضَوْنَ أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الجَنَّةِ؟� قلنا: نعم، قال: �والذي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، إنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الجَنَّةِ وذَلِكَ أَنْ الجَنَّةَ لَا يَدْخُلُهَا إلا نَفْسٌ مُسْلِمَةٌ، وما أنتم في أَهْلِ الشِّرْكِ إلا كَالشَّعْرَةِ البَيْضَاء في جِلْدِ الثَّوْرِ الأَسْوَدِ، أو كَالشَّعْرَةِ السَّوْدَاءِ في جِلْدِ الثَّوْرِ الأَحْمَرِ�.

�আবদুল্লাহ্ ইবন মাস�ঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমরা চল্লিশ জনের মত এক তাঁবুতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। তখন তিনি বললেন: �তোমাদের সংখ্যা জান্নাতীদের এক-চতুর্থাংশ হলে তোমরা কি খুশি হবে?� আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি আবার বললেন: �তোমরা জান্নাতীদের এক-তৃতীয়াংশ হলে তোমরা কি খুশি হবে?� আমরা বললাম, হ্যাঁ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: �ঐ সত্ত্বার কসম! যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ। আমি দৃঢ় আশা রাখি যে, তোমরা জান্নাতীদের অর্ধেক হবে। আর জা   ‎ন্নাতে কেবল মুসলিমগণই প্রবেশ করতে পারবে। আর মুশরিকদের তুলনায় তোমাদের অবস্থা, যেমন কাল ষাঁড়ের চামড়ার উপর একটি সাদা পশম অথবা লাল ষাঁড়ের চামড়ার উপর একটি কাল পশম।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جلس النبي -صلى الله عليه وسلم- مع أصحابه في خيمة صغيرة، وكانوا قرابة أربعين رجلاً، فسألهم -صلى الله عليه وسلم-: هل ترضون أن تكونوا ربع أهل الجنة؟ قالوا: نعم، فقال: هل ترضون أن تكونوا ثلث أهل الجنة؟ قالوا: نعم، فأقسم النبي -صلى الله عليه وسلم- بربه ثم قال: إني لأرجو أن تكونوا نصف أهل الجنة، والنصف الآخر من سائر الأمم، فإن الجنة لا يدخلها إلا مسلم فلا يدخلها كافر، وما أنتم في أهل الشرك من سائر الأمم إلا كالشعرة البيضاء في الثور الأسود، أو الشعرة السوداء في الثور الأبيض، والشك من الراوي.
একবার একটি ছোট তাঁবুতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের সঙ্গে বসে ছিলেন, যার সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০ জন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের জিজ্ঞেস করলেন: তোমাদের সংখ্যা জান্নাতীদের এক-চতুর্থাংশ হলে তোমরা কি খুশি হবে? তারা বলল, হ্যাঁ। তিনি আবার বললেন: তোমরা জান্নাতীদের এক-তৃতীয়াংশ হলে তোমরা কি খুশি হবে? তারা বলল, হ্যাঁ। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর শপথ করে বললেন, আমি দৃঢ় আশা রাখি যে, তোমরা জান্নাতীদের অর্ধেক হবে এবং অন্যান্য সকল উম্মত মিলে বাকি অর্ধেক হবে। আর জা   ‎ন্নাতে কেবল মুসলিমগণই প্রবেশ করতে পারবে এবং কাফেররা তাতে প্রবেশ করতে পারবে না। সকল উম্মতের মুশরিকদের ভেতর তোমরা হবে কালো বলদের গায়ে একটি সাদা পশম অথবা সাদা বলদের গায়ে একটি কালো পশমের মত। সন্দেহটি হয়েছে বর্ণনাকারী থেকে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3166

 
Hadith   197   الحديث
الأهمية: أَلِظُّوا بـ ياذا الجلال والإكرام
থিম: তোমরা �ইয়া যাল জালালি ওয়াল-ইকরাম� বাক্যটিকে সর্বদা অধিক হারে বলো।

عن أنس -رضي الله عنه- قَالَ: قَالَ رسُولُ الله -صلى الله عليه وسلم-: �ألِظُّوا بـ (يَاذا الجَلاَلِ والإكْرامِ)�.
থিম: আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �ইয়া যাল জালালি ওয়াল-ইকরাম� বাক্যটিকে তোমরা সর্বদা অধিক হারে বলো।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في الحديث أمر(ألظوا)، بمعنى: الزموا هذه الدعوة وأكثروا منها، فالمراد: داوموا على قولكم ذلك في دعائكم واجعلوه على لسانكم
وقد اشتمل على اسم من أسماء الله قيل إنه الاسم الأعظم، لكونه يشمل جميع صفات الربوبية والألوهية.
হাদীসটিতে (ألظوا) একটি নির্দেশমূলক বাক্য। অর্থাৎ এ দো�আটিকে তোমরা বাধ্যতামূলক কর, বেশি বেশি কর। উদ্দেশ্য হচ্ছে, তোমাদের দো�আয় এ বাক্যটি বেশি বেশি বল এবং তা তোমাদের মুখের বুলিতে পরিণত কর। কারণ, এটি আল্লাহর নামসমূহ থেকে একটি নামকে শামিল করেছে। কেউ কেউ বলেছেন, এটি ইসমে আজম বা বড় নাম। কারণ, এটি রুবুবিয়্যাহ ও উলুহিয়্যার সমস্ত গুণাগুণকে শামিল করেছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3167

 
Hadith   198   الحديث
الأهمية: رَمَقْتُ الصلاة مع محمد -صلى الله عليه وسلم- فوجدت قيامه، فَرَكْعَتَهُ، فاعتداله بعد ركوعه، فسجدته، فَجِلْسَتَهُ بين السجدتين، فسجدته، فَجِلْسَتَهُ ما بين التسليم والانصراف: قريبا من السَّوَاء
থিম: আমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে থেকে তাঁর সালাত আদায় করার নিয়ম-কানুন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। তাঁর দাঁড়ানো (কিয়াম), তাঁর রুকু এবং রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো, তাঁর সিজদা এবং দুই সিজদার মাঝে বসা, অতঃপর তাঁর দ্বিতীয় সিজদা, তাঁর সালাম ফিরানো এবং সালাম ও সালাত শেষ করে চলে যাওয়ার মাঝখানে বসা এর সবই প্রায় সমান (ব্যবধানে) পেয়েছি।

عن الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ -رضي الله عنهما- قال: �رَمَقْتُ الصلاة مع محمد -صلى الله عليه وسلم- فوجدت قيامه، فَرَكْعَتَهُ، فاعتداله بعد ركوعه، فسجدته، فَجِلْسَتَهُ بين السجدتين، فسجدته، فَجِلْسَتَهُ ما بين التسليم والانصراف: قريبا من السَّوَاء�.
وفي رواية: �ما خلا القيام والقعود، قريبا من السَّوَاءِ�.

বারা ইবন �আযিব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �আমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে থেকে তাঁর সালাত আদায় করার নিয়ম-কানুন ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। তাঁর দাঁড়ানো (কিয়াম), তাঁর রুকু এবং রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো, তাঁর সিজদা এবং দুই সিজদার মাঝে বসা, অত:পর তাঁর দ্বিতীয় সিজদা, তাঁর সালাম ফিরানো এবং সালাম ও সালাত শেষ করে চলে যাওয়ার মাঝখানে বসা এর সবই প্রায় সমান (ব্যবধানে) পেয়েছি।�
অন্য বর্ণনায় এসেছে, �সালাতে দাঁড়ানো ও বসা ব্যতীত অন্যান্য আমলসমূহ প্রায় সমান ব্যবধানের ছিলো।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يصف البراء بن عازب -رضي الله عنهما- صلاة النبي -صلى الله عليه وسلم- حيث كان يراقبه بتأمل ليعرف كيف يصلي فيتابعه، فذكر أنها متقاربة متناسبة، فإن قيامه للقراءة، وجلوسه للتشهد، يكونان مناسبين للركوع والاعتدال والسجود فلا يطوَّل القيام مثلاً، ويخفف الركوع، أو يطيل السجود، ثم يخفف القيام، أو الجلوس بل كل ركن يجعله مناسبًا للركن الآخر، وليس معناه: أن القيام والجلوس للتشهد، بقدر الركوع والسجود، وإنما معناه أنه لا يخفف واحدًا ويثقل الآخر.
বারা ইবন �আযিব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের সালাতের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি খুব সূক্ষ্মভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পর্যবেক্ষণ করেছেন যাতে তাঁর সালাত আদায় পদ্ধতি জানেন ও তার অনুসরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, সালাতে তাঁর কাজসমূহ প্রায় সমান ব্যবধানের এবং সামাঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। কেননা কিরাত পাঠ করার জন্য তাঁর দাঁড়ানো ও তাশাহহুদ পাঠ করার জন্য বসা রুকু, রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো ও সিজদার সাথে সমানুপাতিক ছিলো। যেমন তিনি রুকু সংক্ষিপ্ত করে সালাতে দাঁড়ানোর সময় খুব বেশি দীর্ঘ করতেন না অথবা সিজদা দীর্ঘ করে সালাতে দাঁড়ানো বা বসার সময় সংক্ষিপ্ত করতেন না। বরং প্রতিটি রুকুনই অন্য আরেকটি রুকুনের সাথে সমানুপাতিক ও সামাঞ্জস্যপূর্ণ ছিলো।
এর অর্থ এ নয় যে, তাঁর কিরাত পাঠের জন্য দাঁড়ানো ও তাশাহহুদের জন্য বসা রুকু ও সিজদার সমান ছিলো। বরং হাদীসের অর্থ হলো, তিনি একটি কাজকে সংক্ষিপ্ত করে অন্যটি অতিদীর্ঘ করতেন না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3175

 
Hadith   199   الحديث
الأهمية: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان في سفر، فصلى العشاء الآخِرَةَ، فقرأ في إحدى الركعتين بِالتِّينِ وَالزَّيْتُون فما سمعت أحدًا أحسن صوتًا أو قراءة منه
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সফরে এশার সলাতের প্রথম দু� রাক�আতের এক রাক�আতে সূরাহ্ তীন ওযযাইতুন পাঠ করেন। আমি তার ছেয়ে অধিক সুন্দর আওয়াজ ও তিলাওয়াতকাকী আর কাউকে শুনিনি।

عن الْبَرَاء بْن عَازِبٍ -رضي الله عنهما- �أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان في سفر، فصلى العشاء الآخِرَةَ، فقرأ في إحدى الركعتين بِالتِّينِ وَالزَّيْتُون فما سمعت أحدًا أحسن صوتًا أو قراءة منه�.

বারা ইবন আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সফরে এশার সলাতের প্রথম দু� রাক�আতের এক রাক�আতে সূরাহ্ التِّينِ وَالزَّيْتُونِপাঠ করেন। আমি তার ছেয়ে অধিক সুন্দর আওয়াজ ও তিলাওয়াতকাকী আর কাউকে শুনিনি।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
قرأ النبي -صلى الله عليه وسلم- بسورة التين والزيتون في الركعة الأولى في صلاة العِشاء؛ لأنه كان في سفر، والسفر يراعى فيه التخفيف والتسهيل؛ لمشقته وعنائه، ومع كون النبي -صلى الله عليه وسلم- مسافرًا، فإنه لم يترك ما يبعث على الخشوع وإحضار القلب عند سماع القرآن، وهو تحسين الصوت في قراءة الصلاة.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার সলাতের প্রথম দু� রাক�আতের এক রাক�আতে সূরাহ্ التِّينِ وَالزَّيْتُونِপাঠ করেন। কারণ, তিনি ছিলেন সফরে। আর কষ্ট ও ক্লান্তির কারণে সফরে সহজীকরণ ও সংক্ষিপ্তকরণের বিষয়টি বিবেচনা করতে হয়। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসাফির হওয়া সত্বেও কুরআন শোনার সময় অন্তরের উপস্থিতি এবং মনোযোগী হতে উদ্বুদ্ধ করে এমন কিছুই তিনি ছাড়েননি। আর তা হলো সালাতের ক্বিরাতে আওয়াজ সুন্দর করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3177

 
Hadith   200   الحديث
الأهمية: بينما رجل واقف بِعَرَفَةَ، إذ وقع عن راحلته، فَوَقَصَتْهُ -أو قال: فَأوْقَصَتْهُ- فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: اغْسِلُوهُ    بماء وسدر، وكَفِّنُوهُ في ثوبيه، ولا تُحَنِّطُوهُ، ولا تُخَمِّرُوا رأسه؛ فإنه يُبْعَثُ يوم القيامة مُلبِّياً
থিম: এক ব্যক্তি আরাফায় অবস্থান করছিল হটাৎ সে তার উটের পিঠ থেকে পড়ে গেল, ফলে উট তার ঘাড় ভেঙ্গে দিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল দাও, তার দুই কাপড়েই কাফন দাও এবং তার মাথা অনাবৃত রাখ। কারণ, আল্লাহ তা�আলা ক্বিয়ামাতের দিন তাকে তালবিয়াহ পাঠরত অবস্থায় উঠাবেন।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- قال: �بينما رجل واقف بِعَرَفَةَ، إذ وقع عن راحلته، فَوَقَصَتْهُ -أو قال: فَأوْقَصَتْهُ- فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: اغْسِلُوهُ    بماء وسدر، وكَفِّنُوهُ في ثوبيه، ولا تُحَنِّطُوهُ، ولا تُخَمِّرُوا رأسه؛ فإنه يُبْعَثُ يوم القيامة مُلبِّياً�.

আব্দুল্লাহ ইবনু �আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: �এক ব্যক্তি আরাফায় অবস্থান করছিল হটাৎ সে তার উটের পিঠ থেকে পড়ে গেল, ফলে উট তার ঘাড় ভেঙ্গে দিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল দাও, তার দুই কাপড়েই কাফন দাও এবং তার মাথা অনাবৃত রাখ। কারণ, আল্লাহ তা�আলা ক্বিয়ামাতের দিন তাকে তালবিয়াহ পাঠরত অবস্থায় উঠাবেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
بينما كان رجل من الصحابة واقفاً في عرفة على راحلته في حجة الوداع محرمًا إذ وقع منها، فانكسرت عنقه فمات؛ فأمرهم النبي -صلى الله عليه وسلم- أن يغسلوه كغيره من سائر الموتى، بماء، وسدر، ويكفنوه في إزاره وردائه، اللذين أحرم بهما.
وبما أنه محرم بالحج وآثار العبادة باقية عليه، فقد نهاهم النبي -صلى الله عليه وسلم- أن يُطيبوه وأن يغطوا رأسه،
وذكر لهم الحكمة في ذلك؛ وهي أنه يبعثه الله على ما مات عليه، وهو التلبية التي هي شعار الحج.
এক সাহাবী বিদায়ী হজে এহরাম অবস্থায় আরাফায় তার উটের পিঠে অবস্থান করছিল। হঠাৎ সে তা থেকে পড়ে গেল। ফলে তার ঘাড় ভেঙ্গে গেল এবং সে মারা গেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দিলেন যে, তাকে যেন অন্যান্য মৃতের মতো কুল পাতার পানি দিয়ে গোসল দেওয়া হয় এবং তাকে তাকে যেন তার চাদর ও লুঙ্গি যা দ্বারা সে ইহরাম বেঁধেছিল সে দুই কাপড়েই কাফন দেওয়া হয়। কারণ, সে হজের উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধছে এবং ইবাদাতের প্রভাব এখনোও তার সাথে অবশিষ্ট আছে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে খুশবু লাগাতে এবং তার মাথা ডাকতে নিষেধ করেছেন। আর তার হিকমত সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, তিনি যে অবস্থায় মারা গিয়েছেন আল্লাহ তা�আলা ক্বিয়ামাতের দিন তাকে সে অবস্থায় উঠাবেন। আর তা হলো তালবিয়াহ পাঠরত অবস্থা যা হজের নির্দশন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3180

 
Hadith   201   الحديث
الأهمية: أنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- دخل المسجد، فدخل رجل فصلَّى، ثم جاء فسلَّم على النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: ارجع فصلِّ، فإنك لم تُصَلِّ
থিম: আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন একজন সহাবী এসে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি বললেন, ফিরে যাও ও সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। তিনি ফিরে গিয়ে পূর্বের মত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি বললেন, ফিরে গিয়ে সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। এভাবে তিনবার বললেন। সহাবী বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমিতো এর চেয়ে সুন্দর করে সালাত আদায় করতে জানি না। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াবে, তখন তাক্বীর বলবে। অতঃপর কুরআন হতে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে। অতঃপর রুকু�তে যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে রুকূ� করবে। অতঃপর মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। অতঃপর ধীরস্থীরভাবে সাজাদহ করবে ও সাজদাহ্ হতে উঠে স্থির হয়ে বসবে। আর তোমার পুরো সালাতে এভাবেই করবে।

عن أبي هُرَيْرَةَ -رضي الله عنه- �أنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- دخل المسجد، فدخل رجل فصلَّى، ثم جاء فسلَّم على النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: ارجع فصلِّ، فإنك لم تُصَلِّ، فرجع فصلَّى كما صلَّى، ثم جاء فسلَّم على النبي -صلى الله عليه وسلَّم- فقال: ارجع فصلِّ، فإنك لم تُصَلِّ -ثلاثا- فقال: والذي بعثك بالحق لا أُحْسِنُ غيره، فَعَلِّمْنِي، فقال: إذا قُمْتَ إلى الصلاة فَكَبِّرْ، ثم اقرأ ما تيسر من القرآن، ثم اركع حتى تَطْمَئِنَّ راكعا، ثم ارفع حتى تعتدل قائما، ثم اسجد حتى تَطْمَئِنَّ ساجدا, ثم ارفع حتى تطمئن جالسا، وافعل ذلك في صلاتك كلها�.

আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসজিদে প্রবেশ করলেন, তখন একজন সহাবী এসে সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি বললেন, ফিরে যাও ও সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। তিনি ফিরে গিয়ে পূর্বের মত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর এসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তিনি বললেন, ফিরে গিয়ে সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। এভাবে তিনবার বললেন। সহাবী বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমিতো এর চেয়ে সুন্দর করে সালাত আদায় করতে জানি না। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেন, যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াবে, তখন তাক্বীর বলবে। অতঃপর কুরআন হতে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে। অতঃপর রুকু�তে যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে রুকূ� করবে। অতঃপর মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। অতঃপর ধীরস্থীরভাবে সাজাদহ করবে ও সাজদাহ্ হতে উঠে স্থির হয়ে বসবে। আর তোমার পুরো সালাতে এভাবেই করবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
دخل النبي -صلى الله عليه وسلم- المسجد، فدخل رجل من الصحابة، اسمه (خَلاّد بن رافع)، فصلى صلاة خفيفة غير تامة الأفعال والأقوال، فلما فرغ من صلاته، جاء إلى النبي -صلى الله عليه وسلم-، فسلم عليه فرد عليه السلام    ثم قال له: ارجع فَصَلِّ، فإنك لم تصل، فرجع وعمل في صلاته الثانية كما عمل في صلاته الأولى، ثم جاء إلى النبي -صلى الله عليه وسلم-، فقال له: ارجع فَصَلِّ فإنك لم تصل ثلاث مرات، فأقسم الرجل بقوله: والذي بعثك بالحق -وهو الله تعالى- ما أحسن غير ما فعلت فعَلِّمني، فعندما اشتاق إلى العلم، وتاقت نفسه إليه، وتهيأ لقبوله وانتفى احتمال كونه ناسيا بعد طول الترديد قال له النبي -صلى الله عليه وسلم- ما معناه: إذا قمت إلى الصلاة فكبر تكبيرة الإحرام، ثم اقرأ ما تيسر من القرآن، بعد قراءة سورة الفاتحة ثم اركع حتى تطمئن راكعا، ثم ارفع من الركوع حتى تعتدل قائما، وتطمئن في اعتدالك    ثم اسجد حتى تطمئن ساجدا، ثم ارفع من السجود واجلس حتى تطمئن جالسا، وافعل هذه الأفعال والأقوال في صلاتك كلها، ماعدا تكبيرة الإحرام، فإنها في الركعة الأولى دون غيرها من الركعات.
وكون المراد بما تيسر سورة الفاتحة على الأقل مأخوذ من روايات الحديث ومن الأدلة الأخرى.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন খাল্লাদ ইবন রাফে� নামক একজন সাহাবী মসজিদে প্রবেশ করলেন এবং (সালাতের) কথা ও কর্ম অপূর্ণাঙ্গ রেখে সংক্ষিপ্ত সালাত আদায় করলেন। যখন তার সালাত থেকে ফারেগ হলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে তাকে সালাম করলেন। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, ফিরে যাও ও সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। সে ফিরে গিয়ে পূর্বের মত সালাতের মত দ্বিতীয় সালাতও আদায় করল। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসল। তিনি তাকে বললেন, ফিরে যাও ও সালাত আদায় কর। কেননা, তুমি সালাত আদায় করনি। এভাবে তিনবার বললেন। সাহাবী এভাবে কসম খেয়ে বলল, সেই মহান সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আমি এর চেয়ে সুন্দর করে সালাত আদায় করতে জানি না। কাজেই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। যখন সে শেখার আগ্রহ প্রকাশ করল, তার মন ইলমের দিকে ঝুকালো, শিক্ষা কবুল করার জন্য প্রস্তুত হলো এবং বারবার ফিরিয়ে দেওয়ার পর ভুলক্রমে করার সম্ভাবনা দূর হয়ে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, যার অর্থ, যখন তুমি সালাতের জন্য দাঁড়াবে, তখন তুমি তাহরীমার তাকবীর বলবে। অতঃপর সূরা ফাতিহা পড়ার পর কুরআন হতে যা তোমার পক্ষে সহজ তা পড়বে। অতঃপর রুকু�তে যাবে ও ধীরস্থিরভাবে রুকূ� করবে। তারপর তুমি রুকূ হতে উঠে সোজা হয়ে দাড়াবে এবং দাঁড়ানো অবস্থায় তুমি ধীরস্থিরতা অবলম্বন করবে। তারপর তুমি সেজদা করবে এবং ধীরস্থীরতা অবলম্বন করবে। অতঃপর সাজদাহ্ হতে উঠে স্থির হয়ে বসবে। তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া পুরো সালাতে এ কর্ম ও কথাগুলো আদায় করবে। কারণ, তাকবীরে তাহরীমা প্রথম রাকা�আতে অন্য রাকা�আতে নয়। কুরআন থেকে তোমার যা সহজ হয় তা তিলাওয়াত করা দ্বারা উদ্দেশ্য কম পক্ষে সূরা ফাতিহা হওয়ার বিষয়টি হাদীসের বিভিন্ন বর্ণনা ও অন্যান্য দলীল দ্বারা প্রমাণিত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3185

 
Hadith   202   الحديث
الأهمية: قال رجل للنبي -صلى الله عليه وسلم- يومَ أُحُدٍ: أَرَأَيْتَ إن قُتِلْتُ فَأَيْنَ أَنَا؟ قال: "في الجَنَّة"، فأَلْقَى تَمراتٍ كُنَّ في يَدِه، ثم قاتل حتى قُتِلَ
থিম: উহুদের দিন এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললো, আমি যদি আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে যাই, আমার স্থান কোথায় হবে বলুন? তিনি বললেন, জান্নাতে। তারপর সে তার হাতের খেজুর ফেলে দিয়ে যুদ্ধে যোগদান করলো এবং শহীদ হয়ে গেল।

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما- قال رجل للنبي -صلى الله عليه وسلم- يومَ أُحُدٍ: أَرَأَيْتَ إن قُتِلْتُ فَأَيْنَ أَنَا؟ قال: �في الجَنَّةِ� فأَلْقَى تَمراتٍ كُنَّ في يَدِه، ثم قاتل حتى قُتِلَ.

জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত, উহুদের দিন এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললো, আমি যদি আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে যাই, আমার স্থান কোথায় হবে বলুন? তিনি বলেন, জান্নাতে। তারপর সে তার হাতের খেজুর ফেলে দিয়ে যুদ্ধে যোগদান করলো এবং শহীদ হয়ে গেল।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر جابر -رضي الله عنه- أن رجلًا -قيل: اسمه عُمير بن الحُمَام وقيل: غيره- قال للنبي -صلى الله عليه وسلم- يوم غزوة أحد: يا رسول الله! أرأيتَ إن قاتلتُ حتى قُتلتُ، يعني جاهدت المشركين وقتلت في هذه الوقعة ما مصيري؟ قال: "أنت في الجنة"، فألقى تمرات كانت معه، وقال: (إنها لحياة طويلة إن بقيت حتى آكل هذه التمرات) ثم تقدم فقاتل حتى قتل -رضي الله عنه-.
থিম: জাবির ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু সংবাদ দিচ্ছেন, উমায়ের ইবন হুমাম রাদিয়াল্লাহু <�আনহু নামে এক লোক উহুদ যুদ্ধের দিন নবী সাল্লাল্লাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে করতে শহীদ হয়ে যাই, অর্থাৎ এ যুদ্ধে মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি ও শহীদ হয়ে যাই আমার পরিণতি কী হবে? তিনি বললেন, তুমি জান্নাতে যাবে। তারপর সে তার হাতের খেজুর ফেলে দিয়ে বলল, এ খেজুরগুলো খাওয়া পর্যন্ত যদি জীবিত থাকি, তাহলে তা অনেক দীর্ঘ জীবন। অত:পর তিনি অগ্রসর হলেন ও যুদ্ধ করলেন যতক্ষণ না তিনি শহীদ হলেন-রাদিয়াল্লাহু আনহু-
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3194

 
Hadith   203   الحديث
الأهمية: دعوة المرء المسلم لأخيه بظهر الغيب مستجابة، عند رأسه ملك موكل كلما دعا لأخيه بخير قال الملك الموكل به: آمين، ولك بمثل
থিম: কোনো মুসলিম তার ভাইয়ের জন্য তার অবর্তমানে দো�আ করলে কবুল করা হয়। তার মাথার নিকট একজন ফিরিশতা নিয়োজিত থাকেন, যখনই সে তার ভাইয়ের জন্য নেক দো�আ করে, তখনই নিয়োজিত ফিরিশতা বলেন, �আমীন এবং তোমার জন্যও অনুরূপ।

عن أم الدرداء -رضي الله عنها- مرفوعاً: � دعوة المرء المسلم لأخيه بظَهْرِ الغيب مستجابة، عند رأسه مَلَك مُوَكَّلٌ كلما دعا لأخيه بخير قال الملك المُوَكَّلُ به: آمين، ولك بمِثْلٍ�.

উম্মুদ দারদা রাদিয়াল্লাহু <�আনহা থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, কোনো মুসলিম তার ভাইয়ের জন্য তার অবর্তমানে দো�আ করলে কবুল করা হয়। তার মাথার নিকট একজন ফিরিশতা নিয়োজিত থাকেন, যখনই সে তার ভাইয়ের জন্য নেক দো�আ করে, তখনই নিয়োজিত ফিরিশতা বলেন, �আমীন এবং তোমার জন্যও অনুরূপ।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
دعاء المسلم لأخيه وهو غائب عنه لا يعلم مستجاب مقبول عند الله، فإذا دعا لأخيه وقف ملك من الملائكة عند رأسه يقول آمين ولك مثل هذا الخير الذي دعوت به لأخيك.
মুসলিমের দো�আ তার অনুপস্থিত ভাইয়ের জন্য তার অজান্তে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য ও মকবুল। যখন সে তার ভাইয়ের জন্য দো�আ করে তখন একজন ফিরিশতা তার মাথার পাশে দাঁড়িয়ে আমীন বলে এবং বলে, তুমি তোমার ভাইয়ের জন্য যে কল্যাণের দো�আ করছ তোমার জন্যও অনুরূপ কল্যাণ হোক।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3219

 
Hadith   204   الحديث
الأهمية: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان إذا صَلَّى فرّج بين يديه، حتى يبدو بياض إبْطَيْهِ
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাতের সময় উভয় বাহু পৃথক রাখতেন। এমনকি তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা যেতো।

عن عبد الله بن مالك بن    بُحَيْنَةَ -رضي الله عنهم-: �أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان إذا صَلَّى فرّج بين يديه، حتى يَبْدُوَ بياضُ إبْطَيْهِ�.

আবদুল্লাহ ইবন �মালেক ইবন বুহাইনাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহুম হতে বর্ণিত: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাতের সময় উভয় বাহু পৃথক রাখতেন। এমনকি তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখা যেতো।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان النبي -صلى الله عليه وسلم- إذا سجد يباعد عضديه عن جنبيه؛ لتنال اليدان حظهما من الاعتماد والاعتدال في السجود، ومن شدة التفريج بينهما يظهر بياض إبطيه.
وهذا لأنه -صلى الله عليه وسلم- كان إماما أو منفردا، أما المأموم الذي يتأذى جاره بالمجافاة؛ فلا يشرع له ذلك.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সেজদা করতেন তখন তিনি দুই বাহুকে দুই পার্শ্ব থেকে অনেক দূরে রাখতেন যাতে দুই হাত সেজদায় স্বাভাবিক ও যথাস্থানে থাকতে পারে। আর অধিক প্রসস্থতার কারণে তার বগলের পরিচ্ছন্নতা প্রকাশ পেত। আর এটি এ জন্য যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হয় ইমাম ছিল অথবা একা সালাত আদায়কারী ছিল। কিন্তু যারা মুক্তাদি যার ছড়ানো দ্বারা তার পাশের লোক কষ্ট পায় তার জন্য এ ধরনের ছড়ানো বৈধ নয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3220

 
Hadith   205   الحديث
الأهمية: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كان يُصَلِّي وهو حامل أُمَامَةَ    بنت زينب بنت رسول الله -صلى الله عليه وسلم-
থিম: আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমামাহ বিনতে যয়নাব বিনতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বহন করে সালাত আদায় করতনে।

عن أبي    قَتَادَةَ الأَنْصَارِيِّ -رضي الله عنه- قال: �أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كان يُصَلِّي وهو حامل أُمَامَةَ بنت زينب بنت رسول الله -صلى الله عليه وسلم-�.
ولأبي العاص بن الربيع بن عبد شَمْسٍ -رضي الله عنه-: �فإذا سجد وضعها، وإذا قام حملها�.

আবূ কাতাদাহ্ আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবুল আস ইবন রাবী� ইবন আবদে শামছ -রাদিয়াল্লাহু আনহু- এর মেয়ে উমামাহ বিনতে যয়নাব বিনতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বহন করে সালাত আদায় করতেন। যখন তিনি সাজদায় যেতেন তখন তাকে রেখে দিতেন। আর যখন দাঁড়াতেন তখন তাকে তুলে নিতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يحمل بنت ابنته وهي أمامة بنت زينب وهو في الصلاة، حيث يجعلها على عاتقه إذا قام، فإذا ركع أو سجد وضعها في الأرض محبةً وحنانًا.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নাতনী যয়নবের কন্যা উমামাহকে কাঁধে নিতেন যে অবস্থায় তিনি সালাত আদায় করছেন। যখন দাঁড়াতেন তখন তাকে তার কাঁধে তুলে নিতেন। আর তিনি যখন রুকূ বা সাজদায় যেতেন তখন তাকে মাটিতে রেখে দিতেন। এটি করতেন তার প্রতি ভালোবাসা এবং দয়া প্রদর্শনের জন্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3226

 
Hadith   206   الحديث
الأهمية: إني لا آلُو أن أُصَلِّيَ بكم كما كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يُصَلِّي بنا
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যেভাবে সলাত আদায় করতেন তোমাদের নিয়ে সেভাবে সালাত আদায় করতে আমি ত্রুটি করবো না।

عن أنس -رضي الله عنه- أنه قال: �إني لا آلُو أن أُصَلِّيَ بكم كما كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يُصَلِّي بنا، قال ثابت فكان أَنَس يصنع شيئا لا أراكم تصنعونه: كان إذا رفع رأسه من الركوع انْتَصَبَ قائما، حتى يقول القائل: قد نَسِيَ، وإذا رفع رأسه من السَّجْدَةِ مكث، حتى يقول القائل: قد نَسِيَ�.

সাবিত সূত্রে আনাস হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, �নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যেভাবে সলাত আদায় করতেন তোমাদের নিয়ে সেভাবে সালাত আদায় করতে আমি ত্রুটি করবো না। সাবিত বলেন, আনাস এমন কিছু করতেন যা তোমাদের করতে দেখিনা। তিনি রুকূ� হতে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে এত বিলম্ব করতেন যে, কেউ বলত, তিনি (সিজ্দাহ্র কথা) ভুলে গেছেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان أنس -رضي الله عنه- يقول إني سأجتهد فلا أقَصر أن أصلي بكم كما كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يصلى بنا، لتقتدوا به، فتصلوا مثله.
قال ثابت البناني: فكان أنس يصنع شيئا من تمام الصلاة وحسنها، لا أراكم تصنعون مثله،كان يطيل القيَام بعد الركوع، والجلوس بعد السجود، فكان إذا رفع رأسه من الركوع انتصب قائما حتى يقول القائل -من طول قيامه- قد نَسيَ أنه في القيام الذي بين الركوع والسجود، وإذا رفع رأسه من السجدة مكث حتى يقول القائل -من طول جلوسه-: قد نسي أيضا.
আনাস ইব্নু মালিক রাদয়িাল্লাহু আনহু বলতেন, আমি অবশ্যই সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যেভাবে আমাদের নিয়ে সলাত আদায় করতে দেখেছি তোমাদের সেভাবেই সলাত আদায় করে দেখাব, যাতে তোমরা তার অনুসরণ কর এবং তার মতো সালাত আদায় করো।
সাবিত বুনানী বলেন, আনাস ইব্নু মালিক সালাত পুরো করতে এবং সুন্দর করতে এমন কিছু করতেন যা তোমাদের করতে দেখিনা। ফলে তিনি যখন রুকূ� হতে মাথা তুলে দাঁড়াতেন তখন তিনি এত বিলম্ব করতেন যে, দীর্ঘ কিয়ামের কারণে কেউ বলত, তিনি যে রুকু ও সিজদার মাঝে কিয়াম অবস্থায় আছেন তা ভুলে গেছেন। আর যখন তিনি সেজদা থেকে মাথা উঠাতেন এতো সময় অবস্থান করতেন এমনকি দীর্ঘ সময় বসার কারণে কেউ বলত তিনি ভুলে গেছেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3227

 
Hadith   207   الحديث
الأهمية: نُهِينَا عن اتِّبَاعِ الجنائز، ولم يُعْزَمْ علينا
থিম: আমাদেরকে জানাযার অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে, তবে আমাদের ওপর হারাম করা হয়নি।

عن أُمِّ عَطِيَّةَ الأنصارية -رضي الله عنها- قالت: �نُهِينَا عن اتِّبَاعِ الجنائز ولم يُعْزَمْ علينا�.

উম্মে আতিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �আমাদেরকে জানাযার অনুসরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে, তবে আমাদের ওপর হারাম করা হয়নি।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أُمُّ عَطِيَّةَ الأنصارية من الصحابيات الجليلات تفيد أن النبي -صلى الله عليه وسلم- نهى النساء عن اتباع الجنائز؛ لما فيهن من شدة الرقة والرأفة، فليس لديهن صبر الرجال وتحملهم للمصائب؛ فخروجهن يؤدي إلى الهلع والفتنة بما يشاهدن من حال حمل الجنازة والانصراف عنها، ولكن مع هذا فهمت من قرائن الأحوال أن هذا النهي ليس على سبيل العزم والتأكيد؛ فكأنه لا يفيد تحريم ذلك عليهن، والصحيح المنع، وقال ابن دقيق العيد: قد وردت أحاديث أدل على التشديد في اتباع الجنائز أكثر مما يدل عليه هذا الحديث.
উম্মু আতিয়্যাহ আল-আনসারীয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহা একজন বিশিষ্ট মহিলা সাহাবী। তিনি জানান যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের জানাযার সালাতের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ, তাদের মধ্যে দয়া ও কোমলতা বেশি। তাদের মধ্যে পুরুষদের সমান ধৈর্য এবং মুসিবত বরদাশত করার ক্ষমতা নাই। ফলে জানাযা বহন ও তার থেকে ফেরার সময় তারা যে দৃশ্য দেখবে তার থেকে ফিতনা ও বিশৃংখলার সৃষ্টি হতে পারে। এদত সত্বেও সে অবস্থার পেক্ষাপটে বুঝেছেন যে, এ নিষেধ করা অকাট্য বা গুরুত্বসহকারে নয়। সুতরা এটি তাদের ওপর হারাম হওয়াকে বুঝায় না। তবে নিষেধ হওয়ার বিধানই বিশুদ্ধ। ইবনু দাকীকুল ঈদ বলেন, এ হাদীস নারীদের জানাযার অনুসরণের প্রতি যতটুকু নিষেধাজ্ঞা প্রমাণ করে তার চেয়ে বেশী নিষেধাজ্ঞা প্রমাণকারী অনেক হাদীস রয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3228

 
Hadith   208   الحديث
الأهمية: أُمِرَ الناس أن يكون آخر عَهْدِهِمْ بالبيت، إلا أنه خُفِّفَ عن المرأة الحائض
থিম: লোকদেরকে সবশেষে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে বিদায় হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে; তবে ঋতুবতী নারীর জন্য এ তাওয়াফ শিথিল (মাফ) করা হয়েছে।

عن عبد الله بن عبَّاس رضي الله عنهما قال: �أُمِرَ الناس أن يكون آخر عَهْدِهِمْ بالبيت، إلا أنه خُفِّفَ عن المرأة الحائض�.

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকদেরকে সবশেষে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে বিদায় হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে; তবে ঋতুবতী নারীর জন্য এ তাওয়াফ শিথিল (মাফ) করা হয়েছে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لهذا البيت الشريف تعظيم وتكريم؛ فهو رمز لعبادة الله والخضوع والخشوع بين يديه، فكان له في الصدور مهابة، وفِى القلوب إجلال، وتعلق، ومودة.
ولذا أمر النبي -صلى الله عليه وسلم- الحاج قبل السفر أن يكون آخر عهده به، وهذا الطواف الأخير هو طواف الوداع، إلا المرأة الحائض؛ فلكونها تلوث المسجد بدخولها سقط عنها الطواف بلا فداء، وهذا النص في الحج فلا يتناول العمرة.
সম্মানীত এ ঘরের জন্যে রয়েছে সম্মান ও মর্যাদা। এ গৃহটি আল্লাহর ইবাদত এবং তাঁর সমীপে বিনয় ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশের নিদর্শন। ফলে মানুষের বক্ষে এ ঘরের ব্যাপারে রয়েছে ভীতি। অন্তরে রয়েছে সম্মানবোধ, এ ঘরের সাথে সম্পর্ক ও ভালোবাসা।
এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজীদেরকে সবশেষে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে বিদায় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বশেষ এ তাওয়াফটি বিদায়ী তাওয়াফ বলা হয়। কিন্তু হায়েযগ্রস্ত মহিলাদের জন্য এ তাওয়াফ মাফ করা হয়েছে। যেহেতু তারা হায়েয অবস্থায় অপবিত্র থাকায় মসজিদে প্রবেশ করলে তা নোংরা হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তাদের থেকে বিদায়ী তাওয়াফ ফিদিয়া ব্যতীতই মাফ করে দেওয়া হয়েছে। এ বিধানটি হজের ব্যাপারে প্রযোজ্য, উমরার ব্যাপারে নয়।
তাইসীরুল �আল্লাম, 434পৃ; তাম্বীহুল আফহাম, 2/584 ও তা�সীসুল আহকাম, 3/436।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3229

 
Hadith   209   الحديث
الأهمية: أُمِرْتُ أن أسجدَ على سبعةِ أَعْظُم
থিম: আমি সাতটি অঙ্গের দ্বারা সাজদাহ্ করার জন্য নির্দেশিত হয়েছি।

عن عبد الله بن عَبَّاسٍ -رضي الله عنهما- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �أُمِرْتُ أن أَسْجُدَ على سَبْعَةِ أَعْظُمٍ: على الْجَبْهَةِ -وأشار بيده إلى أنفه- واليدين، والرُّكْبَتَيْنِ ، وأطراف القدمين�.

ইব্নু �আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমি সাতটি অঙ্গের দ্বারা সাজদাহ্ করার জন্য নির্দেশিত হয়েছি। কপাল দ্বারা এবং তিনি হাত দিয়ে নাকের প্রতি ইশারা করেন (অর্থাৎ নাক তার অন্তর্ভুক্ত বুঝান), আর দু� হাত, দু� হাঁটু এবং দু� পায়ের আঙ্গুলসমূহ দ্বারা।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أمر الله -تعالى- نبيه محمدًا -صلى الله عليه وسلم- أن يسجد له على سبعة أعضاء، هي أشرف أعضاء البدن وأفضلها؛ ليكون ذله وعبادته لله، وقد أجملها النبي -صلى الله عليه وسلم-، ثم فصلها ليكون أبلغ في حفظها وأشوق في تلقيها:
الأولى منها: الجبهة مع الأنف.
والثاني والثالث: اليدان، يباشر الأرض منهما بطونهما.
والرابع والخامس: الركبتان.
والسادس والسابع: أطراف القدمين، موجهًا أصابعهما نحو القبلة.
আল্লাহ তা�আলা তার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাতটি অঙ্গের ওপর সেজদাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর সেগুলো হলো দেহের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্মানি অঙ্গ। যাতে তার হীনতা ও ইবাদত কেবল আল্লাহর জন্য হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে সংক্ষেপে এবং পরে বিস্তারিত বর্ণনা করেন যাতে তা হেফয করতে এবং শিখতে সহজ হয় এবং আয়ত্ব করতে আগ্রহী হয়। প্রথমটি হলো নাক সহ কপাল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হলো, দুই হাতের তালু দ্বারা যমীনকে স্পর্শ করা। চতুর্থ ও পঞ্চম, হলো দুই হাটু। আর ষষ্ট ও সপ্তম হলো দু� পায়ের আঙ্গুলসমূহ কিবলার দিক ফিরিয়ে রাখার মাধ্যমে সেজদা করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3230

 
Hadith   210   الحديث
الأهمية: لا تدعوا على أنفسكم؛ ولا تدعوا على أولادكم، ولا تدعوا على أموالكم، لا توافقوا من الله ساعة يسأل فيها عطاء فيستجيب لكم
থিম: তোমরা নিজেদের ওপর, নিজেদের সন্তান-সন্ততির ওপর, নিজেদের ধন-সম্পদের ওপর বদ-দো�আ করো না। কেননা হতে পারে তোমরা আল্লাহর এমন একটি সময় তা চাইলে যখন কিছু প্রার্থনা করা হলে তিনি তোমাদের দো�আ কবুল করেন।

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما- مرفوعاً: �لا تدعوا على أنفسكم؛ ولا تدعوا على أولادكم، ولا تدعوا على أموالكم، لا توافقوا من الله ساعة يُسأل فيها عطاءٌ فيستجيب لكم�.

জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �তোমরা নিজেদের ওপর, নিজেদের সন্তান-সন্ততির ওপর, নিজেদের ধন-সম্পদের ওপর বদ-দো�আ করো না। কেননা হতে পারে তোমরা আল্লাহর এমন একটি সময় কোনো কিছু চাইলে, যখন কিছু প্রার্থনা করা হলে তিনি তোমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দিবেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يحذر الرسول -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث وينهى عن الدعاء على النفس والأولاد والأموال؛ لأن الدعاء شأنه عظيم، قد يمضيه الله على العباد، لو وافق ساعة إجابة فيكون ضرره على صاحبه وما يتعلق به من أولاده وماله.
রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসটিতে সতর্ক করেছেন এবং ধন-সম্পদ ও সন্তানদের ওপর বদ-দো�আ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ, দো�আর বিষয়টি বড়ই গুরুত্ববহ। কখনো আল্লাহ সেটা তার বান্দাদের ওপর বাস্তবায়ন ঘটান। যদি সেটা দো�আ কবুলের সময় হয়, তখন তার ক্ষতি দো�আকারী ব্যক্তির ওপর এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট ধন-সম্পদ ও সন্তানের ওপর সংঘটিত হয়ে যাবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3231

 
Hadith   211   الحديث
الأهمية: يستجاب لأحدكم ما لم يعجل: يقول: قد دعوت ربي، فلم يستجب لي
থিম: তোমাদের প্রত্যেকের দো�আ গৃহীত হয়; যাবৎ না সে তাড়াহুড়ো করে; যেমন সে বলে, আমি আমার রবের নিকট দো�আ করেছি, কিন্তু তিনি আমার দো�আ কবুল করেন নি।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: يُستجاب لأحدكم ما لم يَعْجَلْ: يقول: قد دعوت ربي، فلم يستجب لي�.
وفي رواية لمسلم: �لا يزال يُستجاب للعبد ما لم يَدْعُ بإثم، أو قطيعة رحم، ما لم يَسْتَعْجِلْ� قيل: يا رسول الله ما الاستعجال؟ قال: �يقول: قد دعوت، وقد دعوت، فلم أر يستجب لي، فَيَسْتَحْسِرُ عند ذلك ويَدَعُ الدعاء�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �তোমাদের প্রত্যেকের দো�আ গৃহীত হয়; যাবৎ না সে তাড়াহুড়ো করে। যেমন, সে বলে, �আমি আমার রবের নিকট দো�আ করেছি, কিন্তু তিনি আমার দো�আ কবুল করেন নি।� মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, �বান্দার দো�আ ততক্ষণ পর্যন্ত কবূল করা হয়, যতক্ষণ সে গুনাহের জন্য বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দো�আ না করে, আর যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে।� জিজ্ঞাসা করা হলো, �হে আল্লাহর রাসূল! তাড়াহুড়ো মানে কী?� তিনি বললেন, �দো�আকারী বলে, �দো�আ করলাম, আবার দো�আ করলাম, অথচ দেখলাম না যে, তিনি আমার দো�আ কবুল করছেন।� কাজেই সে তখন আফসোস করে এবং দো�আ করা ত্যাগ করে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر -صلى الله عليه وسلم- أنه يستجاب للعبد دعاؤه ما لم يدع بمعصية أو قطيعة رحم، وما لم يستعجل، فقيل: يا رسول الله ما الاستعجال المرتب عليه المنع من إجابة الدعاء، قال: يقول: قد دعوت وقد دعوت، وتكرر مني الدعاء، فلم يستجب لي؛    فيستعجل عند ذلك ويترك الدعاء.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়ে দিচ্ছেন যে, যতক্ষণ না বান্দা পাপের দো�আ, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন ও তাড়াহুড়া না করে, বান্দার দো�আ কবুল করা হয়। জিজ্ঞাসা করা হলো, �হে আল্লাহর রাসূল! তাড়াহুড়ো কী যে কারণে দো�আ কবুল হয় না?� তিনি বললেন, �দো�আকারী বলে, �দো�আ করলাম, দো�আ করলাম, আমার পক্ষ থেকে বার বার দো�আ প্রকাশ পেয়েছে, কিন্তু আমার দো�আ কবুল করা হলো না।� তখন সে তাড়াহুড়া করে আর দো�আ করা ছেড়ে দেয়।�
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3232

 
Hadith   212   الحديث
الأهمية: أي الدعاء أسمع؟ قال: جوف الليل الآخر، ودبر الصلوات المكتوبات
থিম: কোন দো�আ সর্বাধিক শোনা (কবুল করা) হয়?� তিনি বললেন, �রাত্রির শেষভাগের মাঝে এবং ফরয সালাতসমূহের শেষাংশে।

عن أبي أمامة -رضي الله عنه- مرفوعاً: قيل لرسول الله -صلى الله عليه وسلم-: أيُّ الدعاء أسمع؟ قال: �جَوْفَ الليل الآخِر، ودُبُر الصلوات المكتوبات�.

আবূ উমামাহ রাদয়িাল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো, �কোন দো�আ সর্বাধিক শোনা (কবুল করা) হয়?� তিনি বললেন, �রাত্রির শেষভাগের মাঝে এবং ফরয সালাতসমূহের শেষাংশে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سئل النبي صلى الله عليه وسلم: أي الدعاء أقرب للإجابة، فأخبر صلى الله عليه وسلم أنه الدعاء الذي في آخر الليل، والذي في آخر الصلوات المفروضة، والمراد بدبر الصلوات: آخرها قبل التسليم، وهذا وإن كان خلاف المتبادر، لكن يؤيده أن الله جعل ما بعد انتهاء الصلاة ذكراً، والنبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جعل ما بين التشهد والتسليم دعاء.
والمحافظة على الدعاء بعد الفريضة وكذلك النافلة ليس بسنة بل هو بدعة؛ لأن المحافظة عليه يلحقه بالسنة الراتبة سواء كان قبل الأذكار الواردة بعد الصلاة أم بعدها، وأما فعله أحياناً فلا بأس به، وإن كان الأولى تركه؛ لأن الله تعالى لم يشرع بعد الصلاة سوى الذكر لقوله تعالى: (فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ)، ولأن النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لم يرشد إلى الدعاء بعد الصلاة، وإنما أرشد إلى الدعاء بعد التشهد قبل التسليم، وكما أن هذا هو المسموع أثراً فهو الأليق نظراً، لكون المصلي يدعو ربه حين مناجاته له في الصلاة قبل الانصراف.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, কোন দো�আ কবুল হওয়ার বেশি নিকটবর্তী? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়ে দেন যে, শেষ রাতের দো�আ এবং সালাতের শেষাংশের দো�আ। এখানে সালাতের শেষাংশ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, সালামের পূর্বে। বিষয়টি যদিও বাহ্যিক অর্থের পরিপন্থী মনে হয়, কিন্তু আল্লাহ তা�আলা সালাত শেষ করার পর যিকির নির্ধারণ করে দিয়েছেন আর রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরানো ও তাশাহহুদের মাঝে দো�আ করতেন। বস্তুত ফরয সালাতের পর, অনুরূপভাবে নফল সালাতের পরও নিয়মিত দো�আ করা সুন্নাত নয় বরং বিদ�আত। নিয়মিত দো�আ করা, ফরয সালাতের পরে বর্ণিত যিকিরসমূহের আগে হোক বা পরে হোক, সেটা সুন্নাতে রাতিবা (ফরয সালাতের সাথে নিয়মতান্ত্রিক পঠিত সুন্নাাত সালাত) এর সাথে সম্পৃক্ত করে দেয়। তবে মাঝে মধ্যে দো�আ করাতে কোনো দোষ নেই। যদিও ত্যাগ করাই উত্তম। কারণ, আল্লাহ তা�আলা সালাতের পর যিকির ছাড়া আর কিছু বিধিবদ্ধ করেন নি। আল্লাহ বলেন, �অতঃপর যখন তোমরা সালাত সম্পন্ন কর তখন তোমরা আল্লাহর যিকির কর।� অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সালাতের পর দো�আ করার কোনো নির্দেশনা দেন নি, বরং তিনি তাশাহুদের পর ও সালামের পূর্বে দো�আ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এই ব্যাখ্যাটি যেমনিভাবে ভাষ্যে বর্ণিত অমনিভাবে সেটি যৌক্তিকও বটে। কারণ, একজন মুসল্লী সালাত শেষ করার পূর্বে যখন তার রবের সাথে কথোপকথন চালিয়ে যাবে তখনই সে দো�আ করবে এটাই স্বাভাবিক।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3236

 
Hadith   213   الحديث
الأهمية: فارجع إلى والديك، فأحسن صحبتُهما
থিম: তুমি তোমার মাতা-পিতার নিকট ফিরে যাও এবং তাদের সাথে উত্তম সাহচর্য অবলম্বন কর।

عن عبد الله بن عمرو -رضي الله عنهما- قال: أقبَلَ رجل إلى نبي الله -صلى الله عليه وسلم- فقال: أُبَايِعُكَ على الهجرة والجهاد أَبْتَغِي الأجر من الله -تعالى- قال: �فَهَل لَكَ من وَالِدَيك أحد حيٌّ؟� قال: نعم، بل كلاهما، قال: �فتبتغي الأجر من الله تعالى؟� قال: نعم، قال: �فَارْجِع إلى وَالِدَيك، فَأَحْسِن صُحْبَتَهُمَا�.
   وفي رواية لهما: جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم فاستأذنه في الجهاد، فقال: �أَحَيٌّ والداك؟�، قال: نعم، قال: �فَفِيهِمَا فجاهد�.

আবদুল্লাহ ইবন �আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আল্লাহর নবী -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমি হিজরত ও জিহাদের ওপর আপনার হাতে বাই�আত করলাম, যার দ্বারা আমি মহান আল্লাহর কাছে সাওয়াবের আশা করি। তিনি বললেন, �তোমার পিতা-মাতা কেউ জীবিত আছেন কি�? লোকটি বলল, হ্যাঁ, বরং উভয়েই জীবিত। বলল, তুমি আল্লাহর কাছ থেকে সাওয়াব পেতে চাও? বলল, হ্যাঁ, তাহলে তুমি তোমার মাতা-পিতার নিকট ফিরে যাও এবং তাদের সাথে উত্তম সাহচর্য অবলম্বন কর। বুখারী ও মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় এসেছে, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিহাদে যাওয়ার অনুমতি চাইল। তখন তিনি বললেন, তোমার পিতা-মাতা জীবিত আছেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �তবে তুমি তাঁদের খেদমতে জিহাদ কর�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جاء رجل إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- يخبره برغبته وحبه للجهاد والهجرة في سبيل الله -تعالى-، وكان هذا الرجل قد ترك خلفه والداه، وجاء في رواية أبي داود : " يبكيان "، خوفا عليه من الهلاك، فسأله النبي -صلى الله عليه وسلم-:" هل لك من والديك أحد حيٌّ؟" قال: نعم، بل كلاهما، قال: "فتبتغي الأجر من الله تعالى؟" قال: نعم، قال: "فارجع إلى والديك، فأحسن صُحْبتهما"، وفي رواية أبي داود: "ارجع عليهما فأضحكهما كما أبكيتهما".
فرده النبي -صلى الله عليه وسلم- لما هو أولى وأوجب في حقه، وهو الرجوع إلى والديه وأن يحسن صحبتهما، فإن ذلك من مجاهدة النفس في القيام بخدمتهما وإرضائهما وطاعتهما، كما جاء في رواية البخاري ومسلم: " ففيهما فجاهد".
وقد صرح في حديث آخر بأن بر الوالدين وطاعتهما والإحسان إليهم أفضل من الجهاد في سبيل الله كما جاء في رواية عن ابن عمر -رضي الله عنهما- قال: جاء رجل إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فسأله عن أفضل الأعمال فقال: "الصلاة" قال: ثم مه: قال: "الجهاد" قال: فإن لي والدين، فقال: "برك بوالديك خير" أخرجه ابن حبان، فقد دل هذا الحديث على أن بر الوالدين أفضل من الجهاد، إلا إذا كان الجهاد فرض عين، فإنه يُقدم على طاعتهما؛ لتعينه.
এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও হিজরত করার আগ্রহ ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন। লোকটি বাড়িতে তার মাতা-পিতা উভয়কে রেখে এসেছে। আবূ দাউদের বর্ণনায় এসেছে, �তারা দুইজন ক্রন্দন করছিলেন� সন্তানের ধ্বংস হওয়ার আশংকায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, �তোমার মাতা-পিতার মধ্য থেকে কেউ জীবিত আছেন কি?� সে বলল, হ্যাঁ। উভয়েই জীবিত। তিনি বললেন, তুমি কি আল্লাহর কাছে পুরস্কার চাও? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তুমি তোমার মাতা-পিতার নিকট ফিরে যাও এবং তাদের উভয়ের সাথে উত্তম সাহচর্য অবলম্বন কর। আবূ দাউদের বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেছেন, �তাদের নিকট ফিরে যাও যেভাবে তুমি তাদের কাঁদিয়েছ সেভাবে তুমি তাদের মুখে হাসি ফোটাও।� রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য যা করা উত্তম ও জরুরী তা করার জন্যই তাকে ফেরত পাঠালেন। আর তা হলো স্বীয় মাতা-পিতার নিকট ফিরে যাওয়া তাদের খিদমতের জন্য। কারণ, মাতা-পিতাকে সন্তুষ্ট করা, তাদের আনুগত্য করা এবং তাদের খিদমতে নিয়োজিত থাকা আত্মার জিহাদ। যেমনটি সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় আরও স্পষ্ট করা হয়েছে: �তুমি তাদের খিদমতে জিহাদ কর।� অপর একটি হাদীসে এ কথা স্পষ্ট করা হয়েছে যে, মাতা-পিতার সাথে ভালো ব্যবহার করা, তাদের আনুগত্য করা এবং তাদের প্রতি দয়া করা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা থেকে উত্তম। যেমন, আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত একটি বর্ণনায় এসেছে, এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, উত্তরে তিনি বললেন, �সালাত� লোকটি বলল, তারপর কোনটি? রাসূল বললেন, �জিহাদ�। লোকটি বলল, আমার মাতা-পিতা উভয়েই জীবিত। বললেন, তাহলে �তোমার জন্য মাতা-পিতার সাথে ভালো ব্যবহার করাই (জিহাদের চেয়ে) উত্তম কাজ হবে।� বর্ণনায় ইবন হিব্বান। এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মাতা-পিতার খিদমত করা জিহাদ অপেক্ষা উত্তম। তবে জিহাদ যদি ফরযে আইন হয়, তখন জিহাদ করাকেই মাতা-পিতার খিদমতের ওপর প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ তখন তা-ই সুনির্দিষ্ট হয়ে যাবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3260

 
Hadith   214   الحديث
الأهمية: احْتَجَّتِ الجنَّة والنَّار، فقالتِ النَّار: فيَّ الجبَّارون والمُتَكَبِّرُون. وقالتِ الجنَّة: فيَّ ضُعَفَاء الناسِ ومساكِينُهُم
থিম: জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যে তর্ক-বির্তক হলো। জাহান্নাম বললো, যতো স্বৈরাচারী যালিম ও অহংকারীরা আমার মধ্যে প্রবেশ করবে। জান্নাত বলল, ফকীর-মিসকীন ও দুর্বল ব্যক্তিরা আমার মধ্যে প্রবেশ করবে।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- مرفوعاً: �احْتَجَّتِ الجنَّة والنَّار، فقالتِ النَّار: فيَّ الجبَّارون والمُتَكَبِّرُون. وقالتِ الجنَّة: فيَّ ضُعَفَاء الناسِ ومساكِينُهُم، فقضى الله بَيْنَهُمَا: إِنك الجنَّة رحْمَتي أَرحم بك من أشاء، وإِنك النَّار عذابي أُعذب بك من أشاء، ولِكِلَيْكُمَا عليَّ مِلْؤُهَا�.

আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� সনদে বর্ণিত: �জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যে তর্ক-বির্তক হলো। জাহান্নাম বললো, যতো স্বৈরাচারী যালিম ও অহংকারীরা আমার মধ্যে প্রবেশ করবে। জান্নাত বলল, ফকীর-মিসকীন ও দুর্বল ব্যক্তিরা আমার মধ্যে প্রবেশ করবে। আল্লাহ তা�আলা তাদের উভয়ের মাঝে মীমাংসা করে দিবেন। আল্লাহ তা'আলা জান্নাতকে বলবেন, তুমি জান্নাত, তুমি আমার রাহমাত, আমি তোমার দ্বারা যাকে ইচ্ছা দয়া করবো। জাহান্নামকে বলবেন, তুমি আগুন, তুমি আমার আযাব, আমি তোমার দ্বারা যাকে ইচ্ছা শাস্তি দিবো। তোমাদের উভয়কে পরিপূর্ণ করার দায়িত্ব আমার।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
معنى هذا الحديث: أن الجنة والنار تحاجتا فيما بينهما، كل واحدة تدلي بحجتها، وهذا من الأمور الغيبية التي يجب علينا أن نؤمن بها حتى وإن استبعدتها العقول
فالجنة احتجت على النار، والنار احتجت على الجنة، النار احتجت بأن فيها الجبارين والمتكبرين، الجبارون أصحاب الغلظة والقسوة، والمتكبرون أصحاب الترفع والعلو، والذين يغمطون الناس ويردون الحق، كما قال النبي صلى الله عليه وسلم في الكبر: (إنه بطر الحق وغمط الناس).
فأهل الجبروت وأهل الكبرياء هم أهل النار والعياذ بالله، وربما يكون صاحب النار لين الجانب للناس، حسن الأخلاق، لكنه جبار بالنسبة للحق، مستكبر عن الحق، فلا ينفعه لينه وعطفه على الناس، بل هو موصوف بالجبروت والكبرياء ولو كان لين الجانب للناس؛ لأنه تجبر واستكبر عن الحق.
أما الجنة فقالت: إن فيها ضعفاء الناس وفقراء الناس. فهم في الغالب الذين يلينون للحق وينقادون له، وأما أهل الكبرياء والجبروت؛ ففي الغالب أنهم لا ينقادون.
فقضى الله عز وجل بينهما فقال للجنَّة : ( إنك الجنة رحمتي أرحم بك من أشاء ) وقال للنار: ( إنك النار عذابي أعذب بك من أشاء )
ثم قال عز وجل: ( ولكليكما عليَّ ملؤها ) تكفل عز وجل وأوجب على نفسه أن يملأ الجنة ويملأ النار، وفضل الله سبحانه وتعالى ورحمته أوسع من غضبه، فإنه إذا كان يوم القيامة ألقى من يلقى في النار، وهي تقول : هل من مزيد، يعني أعطوني. أعطوني. زيدوا. فيضع الله عليها رجله، وفي لفظ عليها : قدمه، فينزوي بعضها على بعض، ينضم بعضها إلى بعض من أثر وضع الرب عز وجل عليها قدمه، وتقول:    قط قط، يعني: كفاية كفاية، وهذا ملؤها.
أما الجنة فإن الجنة واسعة، عرضها السَّمَوَاتِ والأرض يدخلها أهلها ويبقى فيها فضل زائد على أهلها، فينشئ الله تعالى لها أقواماً فيدخلهم الجنة بفضله ورحمته؛ لأن الله تكفل لها بملئها.
হাদীসটির অর্থ: জান্নাত ও জাহান্নাম উভয়ে পরস্পর বিতর্ক করেছিল। প্রত্যেকে নিজ নিজ পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে। এ বিষয়টি একটি গাইবী বিষয় যার প্রতি ঈমান আনয়ন করা আমাদের ওপর ওয়াজিব, যদিও মানব জ্ঞান ও যুক্তি তা অসম্ভব মনে করে থাকে। জান্নাত জাহান্নামের বিপক্ষে এবং জাহান্নাম জান্নাতের বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে। জাহান্নাম এ বলে যুক্তি পেশ করে যে, তার মধ্যে রয়েছে স্বৈরাচারী, যালিম ও অহংকারীরা। স্বৈরাচারী-যালিম বলতে বুঝানো হয়েছে তাদেরকে যারা শক্ত ও কঠিন স্বভাবের লোকেরা, আর অহংকারী বলতে বুঝানো হয়েছে তাদেরকে যারা উচ্চাভিলাষী, মানুষকে নিকৃষ্ট জ্ঞানকারী ও সত্যকে প্রত্যাখ্যানকারী। যেমন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অহংকার বিষয়ে বলেন, তা হলো, সত্যকে প্রত্যাখ্যান ও মানুষকে ছোট করা। সুতরাং যারা যালিম-স্বৈরাচারী ও অহংকারী তারাই জাহান্নামী। নাউযুবিল্লাহ। কখনো কখনো জাহান্নামীও মানুষের প্রতি নম্র ও ভালো চরিত্রের হয়। কিন্তু সে সত্যকে প্রত্যাখ্যানকারী, হককে অস্বীকারকারী, তার নমনীয়তা ও মানুষের প্রতি দয়া কোনো কাজে আসবে না। বরং মানুষের প্রতি নমনীয় হলেও তারা স্বৈরাচারী ও অহংকারীই বিবেচিত হবে। কারণ, তারা সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে এবং অহংকার করে। আর জান্নাত বলে, ফকীর-মিসকীন ও দুর্বল ব্যক্তিরা রয়েছে তার মধ্যে। এ ধরনের লোক স্বভাবতই হকের অনুগত ও অনুসারী হয়ে থাকে। আর যালিম, স্বৈরাচারীগণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হকের অনুগত হয় না। আল্লাহ তা�আলা উভয়ের মাঝে মীমাংসা করে দেন। তিনি জান্নাতকে বলেন, তুমি জান্নাত,তুমি আমার রহমত, আমি তোমার দ্বারা যাকে ইচ্ছা দয়া করবো। জাহান্নামকে বলেন, তুমি আগুন, তুমি আমার আযাব, আমি তোমার দ্বারা যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেবো। তারপর আল্লাহ তা�আলা বলবেন, �তোমাদের উভয়কে পরিপূর্ণ করার দায়িত্ব আমার।� আল্লাহ তা�আলা জান্নাত ও জাহান্নামকে ভরে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং নিজের ওপর তা ওয়াজিব করে নিয়েছেন। আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত আল্লাহর ক্ষোভের চেয়ে অধিক ব্যাপক। কিয়ামতের দিন আল্লাহ যাদের জাহান্নামে দেয়ার দেবেন। তখন জাহান্নাম বলবে, আরও বেশি আছে কি? অর্থাৎ আমাকে আরো দাও, আমাকে আরও দাও, আরও বাড়িয়ে দাও। তখন আল্লাহ তার পা জাহান্নামের ওপর রাখবেন। আল্লাহর পা রাখার প্রভাবে জাহান্নামের একটি অংশ অপর অংশের সাথে মিশে যাবে। আর জাহান্নাম বলবে, থামো থামো। এ হলো জাহান্নামের পূর্ণতা। আর জান্নাত অনেক প্রশস্ত, তার পরিধি আসমানসমূহ ও জমীনের সমান। জান্নাতীরা জান্নাতে প্রবেশের পর আরও অনেক জায়গা অবশিষ্ট থাকবে। তখন আল্লাহ আরও কতক সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন এবং স্বীয় রহমত ও অনুগ্রহে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। কারণ, আল্লাহ তা�আলা নিজেই তা পুরো করার দায়িত্ব নিয়েছেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3261

 
Hadith   215   الحديث
الأهمية: أتي النبي -صلى الله عليه وسلم- برجل قد شرب خمرًا، قال: �اضربوه�
থিম: একজন মদ পানকারীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট নিয়ে আসলে তিনি বললেন, �তোমরা তাকে প্রহার কর�।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: أُتِي النبي -صلى الله عليه وسلم- برجل قد شَرِب خمرا، قال: �اضربوه�.
   قال أبو هريرة: فمنا الضارب بيده، والضارب بنعله، والضارب بثوبه، فلما انصرف، قال بعض القوم: أخزاك الله، قال: �لا تقولوا هكذا، لا تُعِينُوا عليه الشيطان�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� সনদে বর্ণিত: �একজন মদ পানকারীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট নিয়ে আসলে তিনি বললেন, �তোমরা তাকে প্রহার কর�। তারপর আমাদের কেউ হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে, কেউ কাপড় দিয়ে তাকে প্রহার করল। যখন সে ফিরে যাচ্ছিল তখন উপস্থিত কেউ বলল, আল্লাহ তোমাকে লাঞ্ছিত করুন। রাসূল বললেন, �এমন কথা বলো না, তার বিপক্ষে শয়তানকে সাহায্য করো না।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
معنى الحديث: أن الصحابة -رضي الله تعالى عنهم- جاءوا إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- برجل قد شرب الخمر، فأمر النبي -صلى الله عليه وسلم- بضربه فضربه الصحابة، فبعضهم ضربه بيده دون استعمال أداة أخرى من أدوات الضرب، ومنهم الضارب بنعله وهذا من التنكيل به ومنهم الضارب بثوبه، ولم يستعملوا السوط الذي هو أداة الحد في الضرب، وجاء في رواية أنه أمر عشرين رجلًا فضربه كل رجل جلدتين بالجريد والنعال، وهذا يفسر أن الجلد أربعين، وما جاء عن الخلفاء الراشدين من زيادة على ذلك فهو تعزير راجع للإمام.
ثم لما فرغ الناس من ضربه، دعا عليه بعضهم بقوله : " أخزاك الله" أي: دعا عليه بالخزي، وهو الذل والمهانة والفضيحة بين الناس، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: "لا تقولوا له هكذا لا تعينوا عليه الشيطان"؛ لأنهم إذا دعوا عليه بالخزي ربما استجيب لهم، فبلغ الشيطان مأربه، ونال مقصده ومطلبه، وحتى لا ينفر العاصي وقد حد.
হাদীসের অর্থ: সাহাবীগণ একজন লোককে রাসূলের কাছে নিয়ে আসেন যে মদ পান করেছে। রাসূল তাকে প্রহার করার নির্দেশ দিলে সাহাবীগণ তাকে মারল। কেউ কেউ মারার কোনো হাতিয়ার না নিয়ে হাত দিয়ে মারল, কেউ কেউ তাকে জুতা দিয়ে মারল। যাতে তার দ্বারা অন্যরা উপদেশ গ্রহণ করে। আবার কেউ কেউ কাপড় দিয়ে প্রহার করল। তবে তারা কেউ লাঠি, যা শাস্তি প্রয়োগ করতে ব্যবহার করা হয় তা, ব্যবহার করেনি। অপর একটি বর্ণনায় এসেছে, তিনি বিশ জন লোককে নির্দেশ দিলেন। তাদের প্রত্যেকে খেজুরের ডাল ও জুতা দিয়ে তাকে দুটি করে আঘাত করে। এ দ্বারা এ ব্যাখ্যা করা যায় যে, তার শাস্তি চল্লিশ বেত্রাঘাত। খুলাফায়ে রাশেদীন কর্তৃক আরও বেশি শাস্তির যে বর্ণনা এসেছে, তা হলো ইমামের পক্ষ থেকে তার জন্য অনির্ধারিত শাস্তিস্বরূপ। অতঃপর যখন মানুষ তাকে আঘাত করা শেষ করল, তাদের কেউ কেউ তার জন্য বদ-দো�আ করতে লাগলো এবং অপমান অপদস্থের জন্য দো�আ করল। অর্থাৎ মানুষের মাঝে বে-ইজ্জত হওয়া, লাঞ্ছিত এবং অপদস্থ হওয়ার দো�আ করল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা এমন কথা বলো না। তার বিরুদ্ধে শয়তানকে সাহায্য করো না। কারণ, যখন তারা তার জন্য অপমানের দো�আ করবে হতে পারে তা কবুল হবে। তাতে শয়তান তার টার্গেটে পৌঁছে যাবে, তার উদ্দেশ্য সফল হবে। এমনকি অপরাধী শাস্তি পাওয়া সত্বেও তা থেকে দূরে থাকবে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3262

 
Hadith   216   الحديث
الأهمية: إِنِّي أَرَى ما لا تَرَوْنَ، أَطَّت السَّمَاءُ وَحُقَّ لها أَنْ تَئِطَّ، ما فِيهَا مَوْضِعُ أَرْبَعِ أَصابِعَ إِلَّا ومَلَكٌ وَاضِعٌ جَبْهَتَه سَاجِدًا للهِ -تعالى-
থিম: আমি যা দেখছি তোমরা তা দেখছ না, আসমান চিৎকরে উঠছে, আর চিৎকার করাই তার জন্যে ঠিক আছে। তাতে চার আঙ্গুল পরিমাণ জায়গা এমন নেই যেখানে কোনো ফিরিশতা নিজের মাথা আল্লাহর জন্য সাজদার নিমিত্তে অবনত করে নি।

عن أبي ذر -رضي الله عنه- مرفوعاً: �إني أرى ما لا ترون، أطَّتِ السماء وحُقَّ لها أن تَئِطَ، ما فيها موضع أربع أصابع إلا ومَلَكٌ واضع جبهته ساجدا لله تعالى، والله لو تعلمون ما أعلم، لضحكتم قليلا ولبكيتم كثيرا، وما تلذذتم بالنساء على الفُرُشِ، ولخرجتم إلى الصُّعُداتِ تَجْأَرُون إلى الله تعالى�.

আবূ যার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �আমি যা দেখছি তোমরা তা দেখছ না, আসমান চিৎকরে উঠছে, আর চিৎকার করা তার জন্যে ঠিক আছে। তাতে চার আঙ্গুল পরিমাণ জায়গা এমন নেই যেখানে কোনো ফিরিশতা নিজের মাথা আল্লাহর জন্যে সাজদার নিমিত্তে অবনত করে নি। আল্লাহর কসম, আমি যা জানি যদি তোমরা তা জানতে, অবশ্যই তোমরা কম হাসতে ও অনেক বেশি কাঁদতে, আর নারীদের নিয়ে বিছানায় আরাম করতে না, বরং উচ্চ স্বরে আল্লাহর পানাহ চাইতে চাইতে টিলায় গিয়ে উঠতে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: إني أبصر وأعلم ما لا تبصرون ولا تعلمون، حصل للسماء صوت كصوت الرحْلِ إذا رُكب عليه، ويحق لها ذلك؛ فما فيها موضع أربع أصابع إلا وفيه ملك واضِعٌ جبهته ساجدا لله -تعالى- والله لو تعلمون ما أعلم من عِظَمِ جلال الله -تعالى- وشدة انتقامه، لضحكتم قليلا ولبكيتم كثيرا خوفا من سطوته -سبحانه وتعالى-، وما تلذذتم بالنساء على الفرش من شدة الخوف، ولخرجتم إلى الطرقات ترفعون أصواتكم بالاستغاثة إلى الله -تعالى-.
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �আমি এমন কিছু দেখছি ও জানি তোমরা যা দেখ না ও জান না। উটের পিঠে চড়লে যেমন শব্দ হয় আসমান তেমনই শব্দ করে উঠেছে। আর এই শব্দ করা তার জন্যে ঠিক আছে। কারণ, তাতে চার আঙ্গুল পরিমাণ জায়গা এমন নেই যেখানে কোনো ফিরিশতা নিজের মাথা আল্লাহর জন্যে সাজদার নিমিত্তে অবনত করে নি। আল্লাহর কসম, আমি আল্লাহর বড়ত্ব ও প্রতিশোধ গ্রহণ যেরূপ জানি তোমরা যদি সেরূপ জানতে, অবশ্যই তার শাসনের ভয়ে তোমরা কম হাসতে ও অনেক বেশি কাঁদতে, আর অধিক ভয়ের কারণে নারীদের নিয়ে বিছানায় আরাম করতে পারতে না, বরং উচ্চ স্বরে আল্লাহর পানাহ চাইতে চাইতে টিলায় গিয়ে উঠতে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান লিগাইরিহী]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3265

 
Hadith   217   الحديث
الأهمية: أَفْضَلُ دِينَارٍ يُنْفِقُهُ الرَّجُلُ: دِينَارٌ يُنْفِقُهُ على عِيَالِهِ، ودِينَارٌ يُنْفِقُهُ على دَابَّتِهِ فِي سَبِيلِ اللهِ، ودِينَارٌ يُنْفِقُهُ على أَصْحَابِهِ في سَبِيلِ اللهِ
থিম: ব্যক্তি যেসব দিনার ব্যয় করে তন্মধ্যে সর্বোত্তম দিনার হলো সেসব দিনার যা সে নিজের পরিবারের জন্যে ব্যয় করে, আর সে দিনার যা সে আল্লাহর রাস্তায় নিজের বাহনের জন্যে ও আল্লাহর রাস্তায় তার সাথীদের জন্যে ব্যয় করে।

عن ثوبان - رضي الله عنه- مولى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قَالَ: قَالَ رسولُ اللَّه -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم-: �َأفضل دينار ينُفِقُهُ الرجل: دينار ينفقه على عياله، ودينار ينفقه على دَابَّتِهِ في سبيل الله، ودينار ينفقه على أصحابه في سبيل الله�.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাওলা সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �ব্যক্তি যেসব দিনার ব্যয় করে তন্মধ্যে সর্বোত্তম দিনার হলো সেসব দিনার যা সে নিজের পরিবারের জন্যে ব্যয় করে, আর সে দিনার যা সে আল্লাহর রাস্তায় নিজের বাহনের জন্যে ও আল্লাহর রাস্তায় তার সাথীদের জন্যে ব্যয় করে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أفضل الأموال التي ينفقها الرجل في سبيل الخير، مالٌ ينفقه على عياله، وهم كل من يعوله، أي يتولى معيشته من ابن وبنت وزوجة وخادم وغير ذلك، ومال ينفقه على دابته التي تحمله في طاعة الله -عز وجل- من جهاد وغيره، ومال ينفقه على أصحابه في طاعة الله -عز وجل-، والقول الآخر أن (في سبيل الله) هو الجهاد فقط.
সেসব সম্পদই সর্বোত্তম যা ব্যক্তি কল্যাণের পথে ব্যয় করে, যেমন যে সম্পদ সে নিজের পরিবারের জন্যে খরচ করে এবং যে সম্পদ সে নিজের বাহনের জন্যে খরচ করে, যে বাহন তাকে আল্লাহর আনুগত্যে জিহাদ ও অন্যান্য কাজে নিয়ে যায় এবং যে সম্পদ সে আল্লাহর আনুগত্যে নিজের সাথীদের ওপর খরচ করে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3267

 
Hadith   218   الحديث
الأهمية: والذي نفسُ مُحمَّد بيدِه، لا يسمعُ بي أحدٌ من هذه الأمة يهوديٌّ، ولا نصرانيٌّ، ثم يموتُ ولم يؤمن بالذي أُرْسِلتُ به، إلَّا كان مِن أصحاب النار
থিম: যার হাতে মুহাম্মদের জীবন তার শপথ করে বলছি, এ উম্মাতের যে কেউ চাই সে ইয়াহুদী হোক বা খৃষ্টান হোক আমার আগমনের সংবাদ পাওয়ার পর সে আমাকে যে বিষয়াবলী নিয়ে পাঠিয়েছেন তার প্রতি ঈমান না এসে মারা যায়, সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعًا: �والذي نفسُ مُحمَّد بيدِه، لا يسمعُ بي أحدٌ من هذه الأمة يهوديٌّ، ولا نصرانيٌّ، ثم يموتُ ولم يؤمن بالذي أُرْسِلتُ به، إلَّا كان مِن أصحاب النار�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফূ সনদে বর্ণিত, �যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন তার শপথ করে বলছি, এ উম্মাতের যে কেউ চাই সে ইয়াহুদী হোক বা খৃষ্টান হোক আমার আগমনের সংবাদ পাওয়ার পর সে আমাকে যে বিষয়াবলী নিয়ে পাঠিয়েছেন তার প্রতি ঈমান না এসে মারা যায়, সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يحلف النبي -صلى الله عليه وسلم- بالله أنه �لا يسمع به أحد من هذه الأمة� أي: ممن هو موجود في زمانه وبعده إلى يوم القيامة �يهودي، ولا نصراني، ثم يموت ولم يؤمن بالذي أُرسلتُ به، إلا كان من أصحاب النار� فأي يهودي أونصراني وكذلك غيرهما تبلغه دعوة النبي -صلى الله عليه وسلم- ثم يموت ولا يؤمن به إلا كان من أصحاب النار خالدًا فيها أبدًا.
   وإنما ذَكر اليهودي والنصراني تنبيهًا على من سواهما؛ وذلك لأن اليهود والنصارى لهم كتاب، فإذا كان هذا شأنهم مع أن لهم كتابًا، فغيرهم ممن لا كتاب له أولى، فكلُّهم يجب عليهم الدخول في دينه وطاعته -صلى الله عليه وسلم-.

Esin Hadith Text Arabic


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর শপথ করে বলেন, �এ উম্মাতের যে কেউ তার ব্যাপারে শুনবে� অর্থাৎ যারা তার যামানায় উপস্থিত আছে ও তারপরে কিয়ামত পর্যন্ত দুনিয়াতে আসবে �চাই সে ইয়াহুদী হোক বা খৃষ্টান হোক, অতঃপর সে মারা যাবে কিন্তু আমাকে যে বিষয়াবলী নিয়ে পাঠানো হয়েছে তার প্রতি ঈমান আনবে না সে অবশ্যই জাহান্নামী হবে। অতএব যে কোনো ইয়াহুদী বা খৃষ্টান অনুরূপভাবে তারা ছাড়া যাদের কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াত যাদের কাছে পৌঁছবে তারা যদি তার উপর ঈমান না এনে মারা যায় তবে তারা অবশ্যই জাহান্নামী হবে। তাতে তারা চিরদিন থাকবে। আর এখানে অন্যান্যদের সতর্ক করার জন্যে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেটি হচ্ছে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা হলো আহলে কিতাব। যারা আহলে কিতাব তাদের অবস্থা যদি এমন হয়, অন্যরা যাদের কিতাব নেই তারা জাহান্নামী হওয়ার ব্যাপারে আরো বেশি হকদার। সুতরাং সবার ওপর ওয়াজিব হলো, তার দীনে প্রবেশ করা এবং তার আনুগত্য মেনে নেওয়া।
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3272

 
Hadith   219   الحديث
الأهمية: الإيمانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ أو بِضْعٌ وسِتُونَ شُعْبَةً: فَأَفْضَلُهَا قَوْلُ: لا إله إلا الله، وَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ، وَالحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ
থিম: ঈমানের সত্তর অথবা ষাটের বেশি শাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বোত্তম (শাখা) �লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ� বলা এবং সর্বনিম্ন (শাখা) রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস (পাথর কাঁটা ইত্যাদি) দূরীভূত করা। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: �الإيمانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ أو بِضْعٌ وسِتُّونَ شُعْبَةً: فَأَفْضَلُهَا قَوْلُ: لا إله إلا الله، وَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ، وَالحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنَ الإِيمَانِ�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �ঈমানের সত্তর অথবা ষাটের বেশী শাখা রয়েছে। তার মধ্যে সর্বোত্তম (শাখা) �লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ� বলা এবং সর্বনিম্ন (শাখা) রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস (পাথর কাঁটা ইত্যাদি) দূরীভূত করা। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الإيمان ليس خصلة واحدة، أو شعبة واحدة، ولكنه شعب كثيرة، بضع وسبعون، أو بضع وستون شعبة، ولكن أفضها كلمة واحدة: وهي لا إله إلا الله، وأيسرها إزالة كل ما يؤذي المارين، من حجر، أو شوك، أو غير ذلك من الطريق، والحياء شعبة من الإيمان، فالأعمال من الإيمان عند أهل السنة والجماعة، وهو الحق الذي دلت عليه الأدلة الشرعية وهذه منها.
ঈমান শুধু একটি চরিত্র বা এক শাখার নাম নয়; বরং ঈমান হলো অনেক শাখার নাম। সত্তর বা ষাটের অধিক। কিন্তু সবোর্ত্তম শাখা হলো একটি কালেমা। আর তা হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আর সর্বাধিক সহজ শাখা হলো পথচারীদের জন্যে কষ্টদায়ক প্রত্যেক বস্তুই হটান, হোক সেটি পাথর অথবা কাঁটা ইত্যাদি। আর লজ্জা ঈমানের একটি শাখা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3276

 
Hadith   220   الحديث
الأهمية: أحْفُوا الشَّوَارِبَ وأَعْفُوا اللِّحَى
থিম: তোমরা গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
وعن ابن عمر -رضي الله عنهما- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: �أحْفُوا الشَّوَارِبَ وأَعْفُوا اللِّحَى�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �তোমরা গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
معنى الحديث: أن المُسلم مأمور بالأخذ من شَارِبه ولا يتركه أكثر من أربعين يوما ما لم يَفْحش؛ لما رواه مسلم عن أنس -رضي الله عنه-: "وُقِّت لنا في قَصِّ الشارب، وتقليم الأظفار، ونتف الإبط، وحلق العانة، أن لا نترك أكثر من أربعين ليلة"
وفي رواية أبي داود: "وَقَّتَ لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم حلق العانة وتقليم الأظفار وقصّ الشارب أربعين يومًا مرةً"
وقد وقع عند أحمد والنسائي: "من لم يأخذ من شَارِبه فليس مِنَّا"، وصححه الشيخ الألباني في صحيح الجامع الصغير وزيادته (2/1113) برقم (6533).
فيتأكد الأخذ من الشارب، سواء بِحَفِّه حتى يَبْدُوَ بياض الجلد أو بأخذ ما زاد على الشفه مما قد يَعْلق به الطعام.
" وإعفاء اللحية "واللحية : قال أهل اللغة: إنها شعر الوجه واللحيين يعني: العَوَارض وشَعَر الخَدَّيْنِ فهذه كلها من اللحية.
والمقصود من إعفائها: تركها مُوَفَّرَةٌ لا يتعرض لها بحلق ولا بتقصير، لا بقليل ولا بكثير؛ لأن الإعفاء مأخوذ من الكثرة أو التوفير، فاعفوها وكثروها، فالمقصود بذلك: أنها تترك وتوفر، وقد جاءت الأحاديث الكثيرة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم بالأمر بإعفائها بألفاظ متعددة؛ فقد جاء بلفظ : "وفروا" وبلفظ: " أرخوا " وبلفظ: " أعفوا ".
وكلها تدل على الأمر بإبقائها وتوفيرها وعدم التَعرض لها.
وقد كان من عادة الفرس قص اللحية، فنهى الشرع عن ذلك، كما في البخاري من حديث ابن عمر بلفظ " خالفوا المشركين..".
وهذا الأمر مع تعليله بمخالفة المشركين يدل على وجوب إعفائها، والأصل في التشبه التحريم، وقد قال صلى الله عليه وسلم: (من تشبه بقوم فهو منهم).

থিম: হাদীসটির অর্থ: মুসলিম তার গোঁফ কাটার জন্য আদিষ্ট। চল্লিশ দিনের বেশি রেখে দিবে না, যদি না খারাপ দেখায় (যদি খারাপ দেখায় তো তার আগেই কাটতে হবে)। কারণ, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেন: গোঁফ কাটা, নখ কাটা, বগলের নিচের চুল উপরে ফেলা এবং নাভির নিচের চুল পরিষ্কার করার জন্য আমাদেরকে চল্লিশ দিনের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল; তার বেশি যেন অতিবাহিত না হয়। আবূ দাউদের বর্ণনায় এসেছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, গোঁফ কাটা ও নখ কাটার সময় চল্লিশ দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আহমদ ও নাসাঈতে এসেছে: �যে ব্যক্তি তার গোঁফ কাটবে না, সে আমাদের কেউ নয়।� �সহীহ জামে� সগীর ও যিয়াদাত� গ্রন্থে আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। (২/১১১৩, হাদীস নং ৬৫৩৩)। সুতরাং গোঁফ কাটার বিষয়ে তাগিদ রয়েছে, চাই এমনভাবে কাটুক যাতে ঠোটের সাদা চামড়া দেখা যায় অথবা ঠোটের থেকে বর্ধিত অংশ কাটুক, যার সাথে খাদ্য লেগে থাকে।
আর <�দাড়ি লম্বা করা�, দাড়ি সম্পর্কে আভিধানবিদগণ বলেন, দাড়ি হলো চেহারা ও দুই চোয়ালের চুল। অর্থাৎ চেহারার পাশের ও গালের চুল সবই দাড়ির অন্তর্ভুক্ত। দাড়ি লম্বা করার অর্থ, দাড়িকে আপন অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া, সুতরাং কম বা বেশি হোক দাড়ি কামাবে না এবং ছোটও করবে না। কারণ, �আল-ই�ফা� শব্দটি কাসরত (বাড়ানো) অথবা তাওফীর (পূর্ণ করা) শব্দ থেকে গৃহীত। তাই দাড়িকে বাড়াবে ও পূর্ণ করবে। আর এ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, দাড়িকে ছেড়ে দিবে ও লম্বা করবে। দাড়ি লম্ব করার আদেশটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে একাধিক শব্দে বর্ণিত যেমন, �পুরো কর� অপর শব্দ, �ছেড়ে দাও� অপর শব্দ �লম্বা কর�। সবকটি শব্দই দাড়িতে হাত না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া ও পুরো করা প্রমাণ করে।
পারস্যদের অভ্যাস ছিল দাড়ি ছোট করা। শরী�আত তা থেকে নিষেধ করেছে। যেমনটি ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে সহীহ বুখারীতে এ শব্দে বর্ণিত হয়েছে: �তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর।�
মুশরিকদের বিরোধিতা করার কারণ সম্বলিত এ আদেশটি দাড়ি লম্বা করা ওয়াজিব প্রমাণ বহন করে। বস্তুত অমুসলিমদের সাদৃশ গ্রহণ করার বিধান হচ্ছে হারাম হওয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যে ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বন করল সে তাদের মধ্যে গণ্য হবে।�
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম), তবে শব্দ সহীহ মুসলিমের।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3279

 
Hadith   221   الحديث
الأهمية: إذا توضَّأ العبدُ المسلم، أو المؤمن فغسل وجهه خرج من وجهه كل خطيئة نظر إليها بعينيه مع الماء، أو مع آخر قطر الماء
থিম: কোনো মুসলিম কিংবা কোনো মুমিন বান্দা যখন অযু করে অতঃপর তার চেহারা ধৌত করে,তখন তার চেহারা থেকে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সকল গুনাহ বের হয়ে যায় যার দিকে তার দু�চোখের দৃষ্টি পড়েছিল।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: �إذا توضَّأ العبدُ المسلم، أو المؤمن فغسل وَجهَهُ خرج مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نظر إليها بِعَينَيهِ مع الماء، أو مع آخر قَطْرِ الماء، فإذا غسل يديه خرج من يديه كل خطيئة كان بَطَشَتْهَا يداه مع الماء، أو مع آخِرِ قطر الماء، فإذا غسل رجليه خرجت كل خطيئة مَشَتْهَا رِجْلَاه مع الماء أو مع آخر قطر الماء حتى يخرج نَقِيًا من الذنوب�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� সূত্রে বর্ণিত, �কোনো মুসলিম কিংবা কোনো মুমিন বান্দা যখন অযু করে অতঃপর সে তার চেহারা ধৌত করে, তখন তার চেহারা হতে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সে সকল গুনাহ বের হয়ে যায় যার দিকে তার দু�চোখের দৃষ্টি পড়েছিল। আর যখন সে তার দু�হাত ধৌত করে, তখন দু�হাত থেকে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সেসব গুনাহ বের হয়ে যায় যেগুলো তার দু�হাত করেছিল। অতঃপর যখন সে তার দু�পা ধৌত করে তখন তার দু�পা থেকে পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে সেসব গুনাহ বের হয়ে যায় যেগুলোর দিকে তার দু�পা অগ্রসর হয়েছিল। ফলে (অযুর শেষে) লোকটি সমুদয় গুনাহ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হয়ে যায়�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الوضوء الشرعي تُطهَّر فيه الأعضاء الأربعة: الوجه، اليدان، والرأس، والرجلان.
وهذا التطهير يكون تطهيرًا حسيا، ويكون تطهيرا معنويا، أما كونه تطهيرا حسيا فظاهر؛ لأن الإنسان يغسل وجهه، ويديه، ورجليه، ويمسح الرأس، وكان الرأس بصدد أن يغسل كما تغسل بقية الأعضاء، ولكن الله خفف في الرأس؛ ولأن الرأس يكون فيه الشعر، والرأس هو أعلى البدن، فلو غسل الرأس ولا سيما إذا كان فيه الشعر؛ لكان في هذه مشقة على الناس، ولا سيما في أيام الشتاء، ولكن من رحمة الله -عز وجل- أن جعل فرض الرأس المسح فقط، فإذا توضأ الإنسان لا شك أنه يطهر أعضاء الوضوء تطهيرا حسيا، وهو يدل على كمال الإسلام؛ حيث فرض على معتنقيه أن يطهروا هذه الأعضاء التي هي غالبا ظاهرة بارزة.
أما الطهارة المعنوية، وهي التي ينبغي أن يقصدها المسلم، فهي تطهيره من الذنوب، فإذا غسل وجهه خرجت كل خطايا نظر إليها بعينه، وذكر العين -والله أعلم- إنما هو على سبيل التمثيل، وإلا فالأنف قد يخطئ، والفم قد يخطئ؛ فقد يتكلم الإنسان بكلام حرام، وقد يشم أشياء ليس له حق يشمها، ولكن ذكر العين؛ لأن أكثر ما يكون الخطأ في النظر.
وتكفير الذنوب في الحديث يراد بها الصغائر، أما الكبائر فلا بد لها من توبة.
শরী�আতসম্মত অযু হচ্ছে যাতে চারটি অঙ্গকে পবিত্র করা হয়। সেগুলো হলো, মুখমণ্ডল, দু�হাত, মাথা ও দু�পা। এ পবিত্রতা বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় প্রকারের পবিত্রতাকে শামিল করে। বাহ্যিক পবিত্রতা তো স্পষ্ট। কেননা অযুতে মানুষ তার মুখমণ্ডল, দু�হাত ও দু�পা ধৌত করে এবং মাথা মাসাহ করে। অযুতে অন্যান্য অঙ্গ ধৌত করার মতোই মাথা ধৌত করার বিধানও প্রযোজ্য হওয়ার কথা; তবে আল্লাহ তা�আলা মাথা ধৌত করার বিষয়টি বান্দার জন্য সহজ করেছেন। কেননা মাথায় চুল রয়েছে এবং এটি মানুষের শরীরের একেবারে উপরের অংশ। অতএব মাথা ধৌত করা ফরয হলে- বিশেষ করে এতে চুল থাকলে, মানুষের জন্য কষ্টকর হতো, বিশেষ করে শীতের দিনে আরো বেশি কষ্ট হতো। আল্লাহর অপরিসীম রহমত যে, তিনি মাথা ধৌত করার পরিবর্তে শুধু মাসাহ করা ফরয করেছেন। অতএব, মানুষ যখন অযু করে তখন সে অযুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো বাহ্যিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করে। এটি ইসলামের পরিপূর্ণতা প্রমাণ করে। যেহেতু ইসলামের অনুসারীদের ওপর এমন সব অঙ্গ ধৌত করা ফরয করেছে যেগুলো প্রায়শঃই বাহ্যিকভাবে প্রকাশমান থাকে। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা (প্রত্যেক মুসলিমকে যা অর্জনের ইচ্ছা পোষণ করা উচিৎ আর তা) হলো, গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়া। সুতরাং বান্দা যখন অযুতে মুখমণ্ডল ধৌত করে তখন চোখের দ্বারা সংঘটিত যাবতীয় গুনাহ বের হয়ে যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এখানে চোখের কথা উল্লেখ করেছেন, এ বিষয়ে আল্লাহই অধিক জ্ঞাত- তখন তিনি তা উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করেছেন। অন্যথায় নাকও কখনো কখনো অন্যায় করে, মুখও কখনো কখনো অন্যায় করে। যেমন মানুষ কখনো মুখে হারাম কথা বলে, নাকের দ্বারা কখনো হারাম জিনিসের গন্ধ আস্বাদন করে। তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে চোখের কথা উল্লেখ করেছেন, যেহেতু মানুষ অধিকাংশ গুনাহ চোখের দ্বারাই করে থাকে। হাদীসে গুনাহর কাফ্ফারা বলতে সগীরা গুনাহ বুঝানো হয়েছে। কেননা কবীরা গুনাহ তাওবা ব্যতীত মাফ হয় না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3284

 
Hadith   222   الحديث
الأهمية: إذا رأى أحدكم رؤيا يُحِبُّهَا، فإنما هي من الله تعالى، فليَحْمَد الله عليها، وَلْيُحَدِّثْ بها
থিম: যখন কোন ব্যক্তি এমন স্বপ্ন দেখেন যে স্বপ্ন সে পছন্দ করেন তা অবশ্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে। সে যেন তার ওপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং তা বর্ণনা করে।

عن أبي سعيد الخُدْرِيِّ -رضي الله عنه-: أنه سمع النبي -صلى الله عليه وسلم- يقول: �إذا رأى أحدُكُم رُؤيا يُحِبُّهَا، فإنما هي من الله تعالى، فليَحْمَد الله عليها، وَلْيُحَدِّثْ بها - وفي رواية: فلا يُحَدِّثْ بها إلا من يُحَبُّ- وإذا رأى غير ذلك مِمَّا يَكْرَه، فإنما هي من الشيطان، فَلْيَسْتَعِذْ من شَرِّهَا، ولا يَذْكُرْهَا لأحد؛ فإنها لا تضره�.

আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন: যখন কোন ব্যক্তি এমন স্বপ্ন দেখেন যে স্বপ্ন সে পছন্দ করেন তা অবশ্যই আল্লাহর পক্ষ থেকে। সে যেন তার ওপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং তা বর্ণনা করে। অপর বর্ণনায় বর্ণিত: যাকে মুহাব্বত করে তাকে ছাড়া আর কারো কাছে বলবে না। আর যদি এ ছাড়া এমন স্বপ্ন দেখে যা সে অপছন্দ করে তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তখন তার অনিষ্টতাকে থেকে যেন আশ্রয় চায় আর তা সে কারো কাছে বলবে না। কারণ, তা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
إذا رأى المسلم في منامه ما يسره، فإنما هي بشارة له من الله تعالى فليحمد الله عز وجل على هذه البشارة، ولا يحدث بها إلا من يحب من أهله وجيرانه وأصحابه الصالحين منهم، وإذا رأى غير ذلك مما يكره من الرؤيا القبيحة التي يكره صورتها، أو يكره تأويلها فإنما هي خيالات شيطانية يصورها الشيطان لنفس النائم في منامه، ليخوفه ويحزنه بها، فإذا رأى ذلك فليستعذ بالله من شَرِّها.
যখন কোন ব্যক্তি স্বপ্নে এমন কিছু দেখে যা তাকে খুশি করে, তা অবশ্যই তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সু সংবাদ। সে যেন এ ধরনের সু সংবাদের ওপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং তা কেবল তার পরিবার, প্রতিবেশি ও ভালো বন্ধুদের থেকে যাদের মহব্বত করে তাদের কাছে ছাড়া আর কারো কাছে না বলে। আর যদি স্বপ্নে এমন খারাপ কিছু দেখে, যার চিত্র অপছন্দনীয়, বা তার ব্যাখ্যা মন্দ, তা হলো শয়তানী চিন্তা যেগুলোকে শয়তান খারাপ আকৃতি বানিয়ে ভয় দেখানো এবং দুশ্চিন্তার ফেলার উদ্দেশ্যে ঘুমন্ত ব্যক্তির জন্য তার ঘুমের মধ্যে তুলে ধরে। এ ধরনের স্বপ্নে দেখলে, তার অনিষ্ঠতা থেকে আল্লাহর কাছে যেন আশ্রয় চায়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3285

 
Hadith   223   الحديث
الأهمية: من كظم غيظا، وهو قادر على أن ينفذه، دعاه الله سبحانه وتعالى على رؤوس الخلائق يوم القيامة حتى يخيره من الحور العين ما شاء
থিম: যে ব্যক্তি ক্রোধ সংবরণ করবে অথচ সে তা বাস্তবায়িত করার ক্ষমতা রাখে। আল্লাহ তা�আলা তাকে কিয়ামতের দিন সমস্ত সৃষ্টির সামনে ডেকে হুর থেকে যত ইচ্ছা গ্রহণ করার এখতিয়ার দিবেন।

عن معاذ بن أنس -رضي الله عنه- مرفوعًا: �مَن كَظَمَ غَيظًا، وَهُو قادر على أن يُنفِذَه، دَعَاه الله سبحانه وتعالى على رؤوس الخَلاَئِق يوم القيامة حتَّى يُخَيِّره من الحُور العَين مَا شَاء�.

মুআয ইবনে আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যে ব্যক্তি ক্রোধ সংবরণ করবে অথচ সে তা বাস্তবায়িত করার ক্ষমতা রাখে। আল্লাহ তা�আলা তাকে কিয়ামতের দিন সমস্ত সৃষ্টির সামনে ডেকে হুর থেকে যত ইচ্ছা গ্রহণ করার এখতিয়ার দিবেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في الحديث أن الإنسان إذا غَضِب من شخص وهو قادر على أن يفتك به، ولكنه ترك ذلك ابتغاء وجه الله، وصبر على ما حصل له من أسباب الغيظ فله هذا الثواب العظيم، وهو أنه يدعى على رؤوس الخلائق يوم القيامة ويخيَّر من أي نساء الجنة الحسناوات شاء.
হাদীসে বলা হয় যে, যখন কোন ব্যক্তি কারো প্রতি ক্ষুব্ধ হয় যে অবস্থায় সে তার থেকে বদলা নিতে সক্ষম কিন্তু সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে তাকে ছেড়ে দিল এবং ক্ষোভের কারণসমূহের ওপর ধৈর্য ধারণ করল তার জন্য রয়েছে মহান সাওয়াব। তাকে কিয়ামতের দিন সমগ্র মাখলুকের সামনে ডাকা হবে এবং জান্নাতের সুন্দরী নারীদের থেকে যাকে ইচ্ছা গ্রহণ করার স্বাধীনতা দেওয়া হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান লিগাইরিহী]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3287

 
Hadith   224   الحديث
الأهمية: لم تحل الغنائم لأحد قبلنا، ثم أحل الله لنا الغنائم لما رأى ضعفنا وعجزنا فأحلها لنا
থিম: আমাদের পূর্বে কারো জন্য গণীমতের মাল হালাল ছিল না। পরে আল্লাহ তা�আলা যখন আমাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতা দেখলেন, তখন আমাদের জন্য তা হালাল করে দিলেন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعًا: �غَزَا نَبِيٌّ مِن الأَنبِيَاء -صلوات الله وسلامه عليهم- فقال لقومه: لاَ يَتبَعَنِّي رجُل مَلَك بُضْعَ امرَأَةٍ وَهُوَ يُرِيدُ أنْ يَبنِي بِهَا وَلَمَّا يَبْنِ بِهَا، وَلاَ أحَدٌ بَنَى بُيُوتًا لم يَرفَع سُقُوفَهَا، ولاَ أَحَدٌ اشتَرَى غَنَمًا أو خَلِفَات وهو يَنتظِرُ أَولاَدَها، فَغَزَا فَدَنَا مِنَ القَريَةِ صَلاةَ العَصر أو قَرِيباً مِن ذلك، فَقَال للشَّمسِ: إِنَّك مَأمُورَة وأَنَا مَأمُور، اللَّهُمَّ احْبِسْهَا عَلَينَا، فَحُبِسَتْ حَتَّى فَتَحَ الله عليه، فَجَمَع الغَنَائِم فَجَاءَت -يعني النار- لِتَأكُلَهَا فَلَم تَطعَمها، فقال: إِنَّ فِيكُم غُلُولاً، فَليُبَايعنِي مِنْ كُلِّ قَبِيلَة رجل، فَلَزِقَت يد رجل بِيَدِهِ فقال: فِيكُم الغُلُول فلتبايعني قبيلتك، فلزقت يد رجلين أو ثلاثة بيده، فقال: فيكم الغلول، فَجَاؤوا بِرَأس مثل رأس بَقَرَةٍ من الذَّهَب، فَوَضَعَهَا فجاءت النَّارُ فَأَكَلَتهَا، فَلَم تَحِلَّ الغَنَائِم لأحَدٍ قَبلَنَا، ثُمَّ أَحَلَّ الله لَنَا الغَنَائِم لَمَّا رَأَى ضَعفَنَا وَعَجزَنَا فَأَحَلَّهَا لَنَا�.

আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �নবীদের মধ্যে কোন এক নবী জিহাদের জন্য বের হওয়ার ইচ্ছা করলেন। সুতরাং তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, �আমার সঙ্গে যেন ঐ ব্যক্তি না যায়, যে নতুন বিবাহ করেছে এবং সে তার সাথে বাসর করার কামনা রাখে; কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে তা করেনি। আর সেও নয়, যে ঘর নির্মাণ করেছে; কিন্তু এখনো পর্যন্ত ছাদ ঢালেনি। আর সেও নয়, যে গর্ভবতী ভেড়া-ছাগল কিম্বা উঁটনী কিনেছে এবং সে তাদের বাচ্চা হওয়ার অপেক্ষায় আছে।� অতঃপর সেই নবী জিহাদের জন্য বেরিয়ে পড়লেন। তারপর তিনি আসরের সালাতের সময় অথবা ওর নিকটবর্তী সময়ে ঐ গ্রামে (যেখানে জিহাদ করবেন সেখানে) পৌঁছলেন। অতঃপর তিনি সূর্যকে (সম্বোধন ক�রে) বললেন, �তুমিও (আল্লাহর) আজ্ঞাবহ এবং আমিও (তাঁর) আজ্ঞাবহ। হে আল্লাহ! একে তুমি আঁটকে দাও (অর্থাৎ যুদ্ধের ফলাফল বের না হওয়া পর্যন্ত সূর্য যেন না ডোবে)।� বস্তুতঃ সূর্যকে আটকে দেওয়া হল। এমনকি আল্লাহ তা�আলা (ঐ জনপদটিকে) তাদের হাতে জয় করালেন। অতঃপর তিনি গনীমতের মাল জমা করলেন। তারপর তা গ্রাস করার জন্য (আসমান থেকে) আগুন এল; কিন্তু সে তা খেল না। (এ দেখে) তিনি বললেন, �নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে খিয়ানত আছে (অর্থাৎ তোমাদের কেউ গনীমতের মাল আত্মসাৎ করেছে)। সুতরাং প্রত্যেক গোত্রের মধ্য হতে একজন আমার হাতে �বায়আত� করুক।� অতঃপর (বায়আত করতে করতে) একজনের হাত তাঁর হাতের সঙ্গে লেগে গেল। তিনি বললেন, �তোমাদের মধ্যে খিয়ানত রয়েছে। সুতরাং তোমার গোত্রের লোক আমার হাতে �বায়আত� করুক।� সুতরাং দুই অথবা তিনজনের হাত তাঁর হাতের সঙ্গে লেগে গেল। তিনি বললেন যে, �তোমাদের মধ্যে খিয়ানত রয়েছে।� সুতরাং তারা গাভীর মাথার মত একটি সোনার মাথা নিয়ে এল এবং তিনি তা গনীমতের সাথে রেখে দিলেন। তারপর আগুন এসে তা খেয়ে ফেলল। (শেষ নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে,) আমাদের পূর্বে কারো জন্য গণীমতের মাল হালাল ছিল না। পরে আল্লাহ তা�আলা যখন আমাদের দুর্বলতা ও অক্ষমতা দেখলেন, তখন আমাদের জন্য তা হালাল করে দিলেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر النبي -صلى الله عليه وسلم- عن نبي من الأنبياء -عليهم الصلاة والسلام- أنه غزا قومًا أُمِر بجهادهم، لكنه -عليه الصلاة والسلام- مَنَع كل إنسان عَقَد على امرأة ولم يَدخُل بها، وكل إنسان بنى بيتًا ولم يرفع سقفه، وكل إنسان اشترى غنمًا أو خَلِفَات وهو ينتظر أولادها، وذلك لأَنَّ هؤلاء يكونون مشغولين بما أهمهم، فالرجل المتزوج مشغول بزوجته التي لم يدخل بها، فهو في شوق إليها، وكذلك الرجل الذي رفع بيتًا ولم يُسَقِّفه، هو أيضا مشتغل بهذا البيت الذي يريد أن يسكنه هو وأهله، وكذلك صاحب الخلفات والغنم مشغول بها ينتظر أولادها.
والجهاد ينبغي أن يكون الإنسان فيه مُتَفَرِّغًا، ليس له همٌّ إلا الجهاد، ثم إن هذا النبي غزا، فنَزَل بالقوم بعد صلاة العصر، وقد أَقْبَل اللَّيل، وخاف إن أظلَم اللَّيلُ أن لا يكون هناك انتصار، فجعل يخاطب الشمس يقول: أنت مأمورة وأنا مأمور، لكن أمر الشمس أمر كوني وأما أمره فأمر شرعي.
فهو مأمور بالجهاد والشمس مأمورة أن تسير حيث أمرها الله عز وجل، قال الله: (والشمس تجري لمستقر لها ذلك تقدير العزيز العليم)، منذ خلقها الله عز وجل وهي سائرة حيث أمرت لا تتقدم ولا تتأخر ولا تنزل ولا ترتفع.
قال: "اللهم فاحبسها عنا" فحبس الله الشمس ولم تغب في وقتها، حتى غزا هذا النبي وغنم غنائم كثيرة، ولما غنم الغنائم وكانت الغنائم في الأمم السابقة لا تحل للغزاة، بل حل الغنائم من خصائص هذه الأمة ولله الحمد، أما الأمم السابقة فكانوا يجمعون الغنائم فتنزل عليها نار من السماء فتحرقها إذا كان الله قد تقبلها، فجُمِعَت الغنائم فنزلت النار ولم تأكلها، فقال هذا النبي: فيكم الغلول.
ثم أمر من كل قبيلة أن يتقدَّم واحد يبايعه على أنَّه لا غُلُول، فلمَّا بايعوه على أنَّه لا غلول لَزِقَت يد أحد منهم بيدِ النبي -عليه الصلاة والسلام-، فلمَّا لَزِقَت قال: فيكم الغلول -أي: هذه القبيلة- ثم أمر بأن يبايعه كل واحد على حدة من هذه القبيلة، فلزقت يد رجلين أو ثلاثة منهم، فقال: فيكم الغلول: فجاؤوا به، فإذا هُم قد أخفوا مثل رأس الثور من الذهب، فلمَّا جيء به ووضع مع الغنائم أكلتها النار.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবীদের মধ্যে কোন এক নবীর বিষয়ে সংবাদ দেন। তিনি একটি কাওমের সাথে যুদ্ধ করেন যাদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তার সাথে জিহাদে অংশগ্রহণ করতে ঐ ব্যক্তিকে নিষেধ করেছেন যে নতুন বিবাহ করেছে এবং সে তার সাথে বাসর ঘর করার কামনা রাখে; কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে তা করেনি। আর এমন লোকে নিষেধ করেছেন, যে ঘর নির্মাণ করেছে; কিন্তু এখনো পর্যন্ত ছাদ ঢালেনি। আর এমন লোককে বারণ করেছেন, যে গর্ভবতী ভেড়া-ছাগল কিম্বা উঁটনী কিনেছে এবং সে তাদের বাচ্চা হওয়ার অপেক্ষায় আছে। কারণ, এ ধরনের লোক সাধারণত তাদের ইচ্ছা নিয়ে ব্যস্ত। নতুন বিবাহিত লোকটি তার স্ত্রীকে নিয়ে ব্যস্ত, সে তার সাথে বাসর করতে আগ্রহী অথচ এখনো সে তা করেনি। অনুরূপভাবে যে ঘর বানিয়েছে এবং এখনো ছাদ নির্মাণ করেনি সেও তার ঘর নিয়ে ব্যস্ত যে ঘরে সে ও তার পরিবার থাকার ইচ্ছা করে। অনুরূপভাবে উট ও ছাগলের মালিক সেও ব্যস্ত সে সেগুলোর বাচ্চার অপেক্ষায় আছে। জিহাদের জন্য জরুরী হলো মানুষ এমন হবে তার জিহাদ ছাড়া আর কোন ব্যস্ততা থাকবে না। অতঃপর সেই নবী জিহাদের জন্য বেড়িয়ে পড়লেন। তারপর তিনি আসরের সালাতের পর সন্ধ্যার নিকটবর্তী সময়ে ঐ গ্রামে (যেখানে জিহাদ করবেন সেখানে) পৌঁছলেন। সে আশঙ্কা করল যে, যদি রাত অন্ধকার হয়ে যায় তাহলে বিজয় লাভ হবে না। তাই তিনি সূর্যকে সম্বোধন ক�রে বললেন, �তুমিও (আল্লাহর) আজ্ঞাবহ এবং আমিও (তাঁর) আজ্ঞাবহ। তবে সূর্যের আদিষ্ট হওয়া কাওনী আর তার আদিষ্ট হওয়া শর�ঈ। তিনি জিহাদের জন্য আদিষ্ট আর সূর্য আল্লাহ তাকে যে পথে চলার আদেশ করেছেন সে পথে চলতে আদিষ্ট। আল্লাহ তা�আলা বলেন, আর সূর্য তার সু নির্দিষ্ট কক্ষ পথে চলতে থাকে আর এটি মহা পরাক্রমশীল প্রজ্ঞাবান আল্লাহর নির্ধারণ� [সূরা ইয়াসীন, আয়াত: ৩৮] আল্লাহ তাকে যেদিন থেকে সৃষ্টি করেছেন সেদি থেকে সেটি তার আদেশ অনুযায়ী চলমান। কখনো আগেও যায় না এবং পিছেও যায় না উপরেও ওঠে না এবং নিচেও নামে না। তিনি বলেন, হে আল্লাহ! একে তুমি আঁটকে দাও (অর্থাৎ যুদ্ধের ফলাফল বের না হওয়া পর্যন্ত সূর্য যেন না ডোবে)।� বস্তুতঃ সূর্যকে আটকে দেওয়া হল। যুদ্ধ চলার সময় তা অস্ত যায়নি। এমনকি আল্লাহ তা�আলা (ঐ জনপদটিকে) তাদের হাতে জয় করালেন। অতঃপর তিনি অসংখ্য গনীমতের মাল জমা করলেন। কিন্তু পূর্বের উম্মাতের মধ্যে যুদ্ধাদের জন্য গণীমতের মাল হালাল ছিল না। বরং গণীমতের মাল হালাল হওয়া এ উম্মাতের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহর জন্যই সব প্রশংসা। পূর্বের উম্মতগণ গণীমতের মাল একত্র করত আর আকাশ থেকে আগুন এসে তা গ্রাস করত। যদি আল্লাহ তা�আলা তা কবুল করতেন। কিন্তু তারা গণীমতের মাল একত্র করল কিন্তু আগুন নাযিল হলো না এবং তা খেল না। (এ দেখে) তিনি বললেন, �নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে খিয়ানত আছে (অর্থাৎ তোমাদের কেউ গনীমতের মাল আত্মসাৎ করেছে)। অতঃপর তিনি নির্দেশ দিলেন প্রত্যেক গোত্রের মধ্য হতে একজন সামনে অগ্রসর হবে এবং সে এ বলে বায়�আত করবে যে, তাদের মধ্যে কোন খিয়ানত নেই। তারপর যখন তারা এ বলে বাইয়াত করতে লাগলো যে, তাদের মধ্যে খিয়ানত নেই। তাদের একজনের হাত তাঁর হাতের সঙ্গে লেগে গেল। যখন লেগে গেল তখন তিনি বললেন, �তোমাদের মধ্যে খিয়ানত রয়েছে। অর্থাৎ এ গোত্র। তারপর তিনি সে গোত্রের প্রত্যেক লোককে আলাদা আলাদা তার হাতে �বায়আত� করার নির্দেশ দেন।� সুতরাং দুই অথবা তিনজনের হাত তাঁর হাতের সঙ্গে লেগে গেল। তিনি বললেন যে, �তোমাদের মধ্যে খিয়ানত রয়েছে।�তারা তা নিয়ে আসল। তারা গাভীর মাথার মত একটি সোনার মাথা আত্মসাৎ করেছিল। তারপর যখন তা নিয়ে আসল এবং তিনি তা গনীমতের সাথে রেখে দিলেন। তারপর আগুন এসে তা খেয়ে ফেলল।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3288

 
Hadith   225   الحديث
الأهمية: إنَّ لله ما أخذ وله ما أعطى، وكل شيء عنده بأجل مسمى فلتصبر ولتحتسب
থিম: নিশ্চয় আল্লাহ যা নিয়েছেন ও যা দিয়েছেন সব তারই। তাঁর নিকট সকল কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। কাজেই সে যেন ধৈর্য ধারণ করে এবং সাওয়াবের অপেক্ষায় থাকে।

عن أسامة بن زيد بن حارثة -رضي الله عنهما- قال: أرسلت بنت النبي -صلى الله عليه وسلم- إنَّ ابني قد احتُضِر فاشْهَدنَا، فأرسَل يُقرِىءُ السَّلام، ويقول: �إنَّ لِلَّه ما أَخَذ ولَهُ ما أَعطَى، وكلُّ شَيءٍ عِنده بِأجَل مُسمَّى فَلتَصبِر ولتَحتَسِب�. فأرسلت إليه تُقسِم عَليه لَيَأتِيَنَّها، فقام ومعه سعد بن عبادة، ومعاذ بن جبل، وأبي بن كعب، وزيد بن ثابت، ورجال -رضي الله عنهم- فَرفع إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- الصَّبِي، فأَقعَدَه في حِجرِه ونَفسه تَقَعقَع، فَفَاضَت عينَاه فقال سعد: يا رسول الله، ما هذا؟ فقال: �هذه رَحمَة جَعلَها الله تعالى في قُلُوب عِباده� وفي رواية: �في قلوب من شاء من عباده، وإنَّما يَرحَم الله من عِبَاده الرُّحَماء�.

উসামাহ ইব্নু যায়দ রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈকা কন্যা (যায়নাব) তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের) নিকট লোক পাঠালেন যে, আমার এক পুত্র মরণাপন্ন অবস্থায় রয়েছে, তাই আপনি আমাদের নিকট আসুন। তিনি বলে পাঠালেন, (তাঁকে) সালাম দিবে এবং বলবে, নিশ্চয় আল্লাহ যা নিয়েছেন ও যা দিয়েছেন সব তারই। তাঁর নিকট সকল কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। কাজেই সে যেন ধৈর্য ধারণ করে এবং সাওয়াবের অপেক্ষায় থাকে। তখন তিনি তাঁর কাছে কসম দিয়ে পাঠালেন, তিনি যেন অবশ্যই আগমন করেন। তখন তিনি দণ্ডায়মান হলেন এবং তাঁর সাথে ছিলেন সা�দ ইব্নু উবাদাহ, মু�আয ইব্নু জাবাল, উবাই ইব্নু কা�ব, যাইদ ইব্নু সাবিত রাদিয়াল্লাহু <�আনহুম এবং আরও কয়েকজন। তখন শিশুটিকে রাসূলুল্লাহ্ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তুলে দেয়া হল। তখন সে ছটফট করছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা যে, তিনি এ কথা বলেছিলেন, যেন তার শ্বাস মশকের মত (শব্দ হচ্ছিল)। আর নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দু� চক্ষু বেয়ে অশ্র� ঝরছিল। সা�দ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! একি? তিনি বললেন, এ হচ্ছে রাহমাত, যা আল্লাহ্ তাঁর বান্দার অন্তরে গচ্ছিত রেখেছেন। আর আল্লাহ্ তো তাঁর দয়ালু বান্দাদের প্রতিই দয়া করেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
ذكر أسامة بن زيد -رضي الله عنهما- أن إحدى بنات رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أرسلت إليه رسولاً، تقول له إن ابنها قد احتضر، أي: حضره الموت. وأنها تطلب من النبي -صلى الله عليه وسلم- أن يحضر، فبلَّغ الرسول رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال له النبي -صلى الله عليه وسلم- "مرها فلتصبر ولتحتسب، فإن لله ما أخذ وله ما أعطى، وكل شيء عنده بأجل مسمى".
أمر النبي -عليه الصلاة والسلام- الرجل الذي أرسلته ابنته أن يأمر ابنته -أم هذا الصبي- بهذه الكلمات:
قال: "فلتصبر" يعني على هذه المصيبة "ولتحتسب": أي: تحتسب الأجر على الله بصبرها؛ لأن من الناس من يصبر ولا يحتسب، لكن إذا صبر واحتسب الأجر على الله، يعني: أراد بصبره أن يثيبه الله ويأجره، فهذا هو الاحتساب.
قوله: "فإن لله ما أخذ وله ما أعطى": هذه الجملة عظيمة؛ إذا كان الشيء كله لله، إن أخذ منك شيئاً فهو ملكه، وإن أعطاك شيئاً فهو ملكه، فكيف تسخط إذا أخذ منك ما يملكه هو؟
ولهذا يسن للإنسان إذا أصيب بمصيبة أن يقول "إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ" يعني: نحن ملك لله يفعل بنا ما يشاء، وكذلك ما نحبه إذا أخذه من بين أيدينا فهو له سبحانه له ما أخذ وله ما أعطى، حتى الذي يعطيك أنت لا تملكه، هو لله، ولهذا لا يمكن أن تتصرف فيما أعطاك الله إلا على الوجه الذي أذن لك فيه؛ وهذا دليل على أن ملكنا لما يعطينا الله ملك قاصر، ما نتصرف فيه تصرفا مطلقاً.
ولهذا قال: "لله ما أخذ وله ما أعطى" فإذا كان لله ما أخذ، فكيف نجزع؟ كيف نتسخط أن يأخذ المالك ما ملك سبحانه وتعالى؟ هذا خلاف المعقول وخلاف المنقول!
قال: "وكل شيء عنده بأجل مسمى" كل شيء عنده بمقدار.
"بأجل مسمى" أي: معين، فإذا أيقنت بهذا؛ إن لله ما أخذ وله ماأعطى، وكل شيء عنده بأجل مسمى؛ اقتنعت. وهذه الجملة الأخيرة تعني أن الإنسان لا يمكن أن يغير المكتوب المؤجل لا بتقديم ولا بتأخير، كما قال الله تعالى:    (لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ إِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ فَلا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلا يَسْتَقْدِمُون) ، فإذا كان الشيء مقدراً لا يتقدم ولا يتأخر، فلا فائدة من الجزع والتسخط؛ لأنه وإن جزعت أو تسخطت لن تغير شيئاً من المقدور.
ثم إن الرسول أبلغ بنت النبي -صلى الله عليه وسلم- ما أمره أن يبلغه إياها، ولكنها أرسلت إليه تطلب أن يحضر، فقام -عليه الصلاة والسلام- هو وجماعة من أصحابه، فوصل إليها، فرفع إليه الصبي ونفسه تصعد وتنزل، فبكى الرسول -عليه الصلاة والسلام- ودمعت عيناه. فظن سعد بن عباده أن الرسول -صلى الله عليه وسلم- بكى جزعاً، فقال النبي -عليه الصلاة والسلام-: "هذه رحمة" أي بكيت رحمة بالصبي لا جزعاً بالمقدور.
ثم قال -عليه الصلاة والسلام-: "إنما يرحم الله من عباده الرحماء" ففي هذا دليل على جواز البكاء رحمة بالمصاب.
উসামাহ ইব্নু যায়দ রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা উল্লেখ করেন যে, নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈকা কন্যা (যায়নাব) তাঁর নিকট এ বলে লোক পাঠালেন যে, তার এক পুত্র মরণাপন্ন অবস্থায় রয়েছে, অর্থাৎ তার মৃত্যু উপস্থিত। তিনি চাইলেন যে, রাসূলুল্লাহ যেন সেখানে উপস্থিত হয়। বিষয়টি রাসূলের নিকট পৌঁছলে তিনি তাকে বললেন, তুমি তাকে আদেশ কর যেন সে ধৈর্য ধারণ করে এবং সাওয়াবের আশা করে। কারণ, আল্লাহ যা নিয়ে যান আর যা দান করেন সব তাঁরই মালাকানাধীন। তাঁর নিকট সকল কিছুর একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। যে লোকটিকে তার মেয়ে তার নিকট পাঠিয়েছিল তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ দেন যে, সে যেন বাচ্চার মা অর্থাৎ তাঁর মেয়েকে এ বাক্যগুলো দ্বারা উপদেশ দেয়: �সে যেন ধৈর্য ধারণ করে� অর্থাৎ এ বিপদের ওপর। �আর সাওয়াবের আশা করে� অর্থাৎ, ধৈর্য ধারণ করার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সাওয়াবের আশা করে। কারণ, কতক মানুষ আছে যারা ধৈর্য ধারণ করে তবে সাওয়াবের আশা করে না। কিন্তু যখন সবর করে এবং সাওয়াবের আশা করে অর্থাৎ সে তার সবর দ্ধারা ইচ্ছা করল যে, আল্লাহ তাকে সাওয়াব ও বিনিময় দান করবেন। আর একেই বলে ইহতিসাব। তার বাণী: �আল্লাহর জন্যেই যা কিছু তিনি দিয়েছেন ও যা কিছু তিনি গ্রহণ করেছেন�। এটি একটি মহান বাক্য। যখন সবকিছু আল্লাহর অধিকারে হয় সে যদি তোমার থেকে কিছু নেয় তা তাঁরই অধিকার আর যদি কোন কিছু তোমাকে দান করে তা তাঁরই অধিকার। তাহলে তুমি কীভাবে অসন্তুষ্ট হবে যখন সে তোমার থেকে নেয় এমন বস্তু যার মালিক সে নিজেই। এ কারণেই মানুষের জন্য সুন্নাত হলো যখন সে কোন বিপদে পড়ে সে বলবে, নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য আর তার দিকেই আমাদের ফিরে যাওয়া। অর্থাৎ, আমরা আল্লাহর অধিনস্থ। তিনি আমাদের যা চান করেন। অনুরূপভাবে আমরা যা ভালোবাসি তাও আল্লাহর। যখন তিনি তা আমাদের হাত থেকে নিয়ে যান তা তাঁরই। যা গ্রহণ করেন তাও তার আর যা দান করেন তাও তার। এমনকি তোমাকে তিনি যা দান করেন তুমি তার মালিক নয় তাও আল্লাহর। আর এ কারণেই তোমাকে আল্লাহ যা দান করেছেন তাতে তুমি আল্লাহর দেয়া পদ্ধতি বা অনুমতি ছাড়া তোমার ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যয় করতে পারবে না। এতে প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ আমাদের যা দান করেন তাতে আমাদের মালিকানা দুর্বল। আমরা আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাতে কোন হস্তক্ষেপ করতে পারি না। এ কারণেই তিনি বলেন, আল্লাহর জন্যই যা তিনি নিয়ে যান এবং তিনি যা দেন তাও তার জন্য। সুতরাং যা তিনি নিয়ে যান তা যদি আল্লাহর জন্য হয় তাহলে আমরা কীভাবে হায়হুতাশ করি? আর আমরা কীভাবে অসন্তুষ্ট হই যখন মালিক যা তার মালিকানায় তা নিয়ে যায়?। এটি অযৌক্তিক ও অবাস্তব। তিনি বলেন, �তবে তাঁর নিকট সকল কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় আছে।� প্রতিটি বস্তু তার নিকট নির্দিষ্ট পরিমাণে। যখন তুমি এ কথা বিশ্বাস করবে যে, �আল্লাহরই অধিকারে যা কিছু তিনি নিয়ে যান আর তাঁরই অধিকারে যা কিছু তিনি দান করেন, তাঁর নিকট সকল কিছুরই একটি নির্দিষ্ট সময় আছে� তুমি অবশ্যই সন্তুষ্ট থাকবে। শেষ বাক্যটির অর্থ হলো একজন মানুষের জন্য লিপিবদ্ধ নির্ধারিত সময়কে আগে বা পিছে করে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। যেমন আল্লাহ তা�আলা বলেন, প্রত্যেক উম্মতের রয়েছে নির্দিষ্ট সময়। যখন তাদের সময় এসে যাবে এক মুহুর্তও আগে বা পিছে করা হবে না� [সূরা ইউনুস, আয়াত: ৪৯] যখন সব বস্তুরই নির্ধারিত সময় আছে যা এদিক সেদিক করা যাবে না তাহলে হায় হুতাশ করা এবং কান্নাকাটি করা দ্বারা কোন লাভ নেই। কারণ, সে যতই কান্নাকাটি ও নারাজি প্রকাশ করুক সে তার ভাগ্যের কোন কিছুই পরিবর্তন করতে পারবে না। অতঃপর দূতটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তা তিনি পৌঁছে দিলেন। কিন্তু সে তার নিকট চাইলেন যে সে যেন উপস্থিত হন। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে নিজে এবং এক জামা�আত সাহাবীকে নিয়ে রওয়ানা করলেন এবং তার নিকট পৌঁছলেন। তার নিকট বাচ্চাটি তুলে ধরা হলে তখন সে ছটফট করছিল। আর নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেঁদে দিলেন এবং তার দু� চক্ষু বেয়ে অশ্রু ঝরছিল। সা�দ রাদিয়াল্লাহু �আনহু ধারণা করলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধৈর্য্য হয়ে কাঁদছেন। তাই সে তাকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! একি? তিনি বললেন, এ হচ্ছে রাহমাত, অর্থাৎ, আমি বাচ্চার প্রতি দয়ালু হয়ে কান্নাকাটি করছি ভাগ্যের প্রতি অধৈর্য হয়ে নয়। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আর আল্লাহ্ তো তাঁর দয়ালু বান্দাদের প্রতিই দয়া করেন। এ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, মুসীবতগ্রস্থের প্রতি দয়াদ্র হয়ে কান্নাকাটি করা বৈধ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3290

 
Hadith   226   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يعلمنا الاستخارة في الأمور كلها كالسورة من القرآن
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যাবতীয় কাজের জন্য ইস্তেখারা শিখাতেন। যেভাবে কুরআনের সূরা শেখাতেন। (আর) বলতেন, �যখন তোমাদের কারো কোন বিশেষ কাজ করার ইচ্ছা হয়, তখন সে যেন দু� রাকআত প�ড়ে এই দুআ বলে। অর্থ, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট তোমার ইলমের উসিলায় মঙ্গল প্রার্থনা করছি। তোমার কুদরতের উসিলায় শক্তি প্রার্থনা করছি এবং তোমার বিরাট অনুগ্রহ থেকে ভিক্ষা যাচনা করছি। কেননা, তুমি শক্তি রাখ, আমি শক্তি রাখি না। তুমি জান, আমি জানি না এবং তুমি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। হে আল্লাহ! যদি তুমি জান এই কাজটি আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের শেষ পরিণামে ভালো, তাহলে তা আমার জন্য নির্ধারিত ও সহজ করে দাও। অতঃপর তাতে আমার জন্য বরকত দান কর। আর যদি তুমি জান এই কাজ আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের শেষ পরিণামে মন্দ, তাহলে তা আমার নিকট থেকে ফিরিয়ে নাও এবং আমাকে ওর নিকট থেকে সরিয়ে দাও। আর যেখানেই হোক মঙ্গল আমার জন্য বাস্তবায়িত কর, অতঃপর তাতে আমার মনকে পরিতুষ্ট করে দাও। তিনি বলেন, �সে তার প্রয়োজনের বিষয়টি উল্লেখ করবে।�

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما- قال: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يُعلمنا الاسْتِخَارَةَ في الأمور كلها كالسورة من القرآن، يقول: �إذا هَمَّ أحدُكم بالأمر، فلْيَرْكَعْ ركعتين من غير الفَرِيضَةِ، ثم لْيَقُلْ: اللهم إني أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ، وأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وأَسْأَلُكَ من فَضلك العظيم، فإنك تَقْدِرُ ولا أَقْدِرُ، وتعلمُ ولا أعلمُ، وأنت عَلَّامُ الغُيُوبِ. اللهم إن كنتَ تعلم أن هذا الأمر خيرٌ لي في ديني ومَعَاشِي وعَاقِبَةِ أَمْرِي� أو قال: �عَاجِلِ أَمْرِي وآجِلِهِ، فاقْدُرْهُ لي ويَسِّرْهُ لي، ثم بَارِكْ لي فيه. وإن كنت تعلمُ أن هذا الأمر شرٌّ لي في ديني ومَعَاشِي وعَاقِبَةِ أَمْرِي� أو قال: �عَاجِلِ أَمْرِي وآجِلِهِ؛ فاصْرِفْهُ عَنِّي، واصْرِفْنِي عنه، واقْدُرْ لِيَ الخيرَ حيث كان، ثم أَرْضِنِي به� قال: �ويُسَمِّي حَاجَتَهُ�.

জাবের রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যাবতীয় কাজের জন্য ইস্তেখারা শিখাতেন। যেভাবে কুরআনের সূরা শেখাতেন। (আর) বলতেন, �যখন তোমাদের কারো কোন বিশেষ কাজ করার ইচ্ছা হয়, তখন সে যেন দু� রাকআত প�ড়ে এই দুআ বলে। অর্থ, হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট তোমার ইলমের উসিলায় মঙ্গল প্রার্থনা করছি। তোমার কুদরতের উসিলায় শক্তি প্রার্থনা করছি এবং তোমার বিরাট অনুগ্রহ থেকে ভিক্ষা যাচনা করছি। কেননা, তুমি শক্তি রাখ, আমি শক্তি রাখি না। তুমি জান, আমি জানি না এবং তুমি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। হে আল্লাহ! যদি তুমি জান এই কাজটি আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের শেষ পরিণামে ভালো, তাহলে তা আমার জন্য নির্ধারিত ও সহজ করে দাও। অতঃপর তাতে আমার জন্য বরকত দান কর। আর যদি তুমি জান এই কাজ আমার দ্বীন, দুনিয়া, জীবন এবং কাজের শেষ পরিণামে মন্দ, তাহলে তা আমার নিকট থেকে ফিরিয়ে নাও এবং আমাকে ওর নিকট থেকে সরিয়ে দাও। আর যেখানেই হোক মঙ্গল আমার জন্য বাস্তবায়িত কর, অতঃপর তাতে আমার মনকে পরিতুষ্ট করে দাও। তিনি বলেন, �সে তার প্রয়োজনের বিষয়টি উল্লেখ করবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يحرص على تعليم صحابته كيفية صلاة الاستخارة، كحرصه على تعليمهم السورة من القرآن.
فأرشد النبي -صلى الله عليه وسلم- أن يصلي الإنسان ركعتين من غير صلاة الفريضة ثم بعد السلام يسأل الله أن يشرح صدره لخير الأمرين أو الأمور، فإن الله يعلم كيفيات الأمور وجزئياتها، إذ لا يحيط بخير الأمرين إلا العالم بذلك، وليس ذلك إلا لله، ويسأل من الله القدرة على خير الأمرين، ويسأله من فضله العظيم، فإنه يقدر على كل ممكن تعلقت به إرادته، والإنسان لا يقدر.
والله -عز وجل- يعلم كل شيء كلي وجزئي، والإنسان لا يعلم شيئا من ذلك إلا ما علمه الله؛ فإن الله لا يشذّ عن علمه من الغيوب شيء.
ثم يسأل ربه عز وجل إن كان يعلم أن هذا الأمر الذي عزم عليه �ويسميه- خير ولا يترتب عليه نقص دينيّ ولا دنيوي، أن يقدره له وييسره.
وإن كان يعلم أن هذا الأمر سيترتب عليه نقص دينيّ أو دنيوي، أن يصرفه عنه، ويصرف هذا الأمر عنه، وأن يقدر له الخير حيث كان ثم يجعله راضيا بقضاء الله وقدره به.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীগণকে যেভাবে কুরআনের সূরা শেখানোর প্রতি আগ্রহী ছিলেন এমনিভাবে ইস্তেখারার সালাত শেখানোর প্রতিও আগ্রহী ছিলেন। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন মানুষকে ফরযের বাইরে দুই রাকা�আত সালাত আদায় করার দিক নির্দেশনা দেন। তারপর সে সালামের পর আল্লাহর কাছে কামনা করবে যেন তিনি তার অন্তরকে দুটির মধ্যে বা অনেকগুলোর মধ্যে যেটি তার জন্য কল্যাণকর খুলে দেয়। কারণ, আল্লাহ তা�আলা সমস্ত বিষয়সমূহের পদ্ধতি ও খুটিনাটি জানেন। এ সব বিষয় না জানা ছাড়া দুটি বিষয়ে কোনটি কল্যাণকর তা আয়ত্ব করা সম্ভব নয়। আর এটি কেবল আল্লাহই জানেন। সে আল্লাহর কাছে দুটির মধ্যে যেটি ভালো সেটির সক্ষমতা কামনা করবে এবং তার মহা অনুগ্রহ চাইবে। কারণ, যার সাথে তার ইচ্ছা সম্পৃক্ত হয় এ ধরনের সম্ভাব্য সবকিছুতে তার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু মানুষ অক্ষম। আল্লাহ প্রতিটির বস্তুর সামগ্রিক ও পুঙ্খানুপুঙ্খ জানেন। আর মানুষ তার কিছুই জানে না। তবে আল্লাহ তাকে যা শিখিয়েছেন। কারণ, তার ইলম থেকে অদৃশ্যজগতের কোনো বস্তু অনুপুস্থিত নয়। তারপর সে যে কাজটি করার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞ তার নাম নিয়ে আল্লাহর কাছে চাইবে যে, যদি কাজটি তিনি কল্যাণকর বলে জানেন এবং তার ওপর দুনিয়াবী বা পরকালের কোন ক্ষতি বর্তাবে না তা যেন তাকে করার ক্ষমতা প্রদান করেন এবং তার জন্য সহজ করে দেন। আর যদি জানেন এ কাজের ওপর দুনিয়াবী বা আখিরাতে ক্ষতি বর্তাবে তাহলে তাকে যেন তার থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং কাজটিও যেন দূর করে দেয়। তাকে যেন ভালো কাজের ক্ষমতা প্রদান করে তা যেখানেই হোক। তারপর তাকে যেন আল্লাহর ফায়সালা এবং তার নির্ধারণের ওপর রাজি ও খুশি থাকার তাওফীক দেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3293

 
Hadith   227   الحديث
الأهمية: إنما الصبر عند الصدمة الأولى
থিম: আঘাতের শুরুতে সবর করাটাই হল প্রকৃত সবর।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: مرَّ النَّبي - صلى الله عليه وسلم - بامرَأَة تَبكِي عِند قَبرٍ، فقال: �اتَّقِي الله واصْبِري� فقالت: إليك عَنِّي؛ فَإِنَّك لم تُصَب بِمُصِيبَتِي ولم تَعرِفه، فقِيل لها: إِنَّه النَّبِي - صلى الله عليه وسلم - فأتت باب النبي - صلى الله عليه وسلم - فلم تجد عنده بوَّابِين، فقالت: لم أَعرِفكَ، فقال: �إِنَّما الصَّبرُ عِند الصَّدمَةِ الأُولَى�.
وفي رواية: �تَبكِي على صبِّي لها�.

আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। সে একটি কবরের পাশে বসে কাঁদছিল। তিনি বললেন, �তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্য ধারণ কর।� সে বলল, �আপনি আমার নিকট হতে দূরে সরে যান। কারণ, আমি যে বিপদে পড়েছি আপনি তাতে পড়েননি।� সে তাঁকে চিনতে পারেনি (তাই সে চরম শোকে তাঁকে অসঙ্গত কথা বলে ফেলল)। অতঃপর তাকে বলা হল যে, �তিনি নাবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন।� সুতরাং (এ কথা শুনে) সে নাবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুয়ারের কাছে এল। সেখানে সে দারোয়ানদেরকে পেল না। অতঃপর সে (সরাসরি প্রবেশ করে) বলল, �আমি আপনাকে চিনতে পারিনি।� তিনি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �আঘাতের শুরুতে সবর করাটাই হল প্রকৃত সবর।� মুসলিমের একটি বর্ণনায় আছে, সে (মহিলাটি) তার মৃত শিশুর জন্য কাঁদছিল।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
مر النبي صلى الله عليه وسلم بامرأة وهي عند قبر صبي لها قد مات، وكانت تحبه حبًّا شديدًا، فلم تملك نفسها أن تخرج إلى قبره لتبكي عنده. فلما رآها النبي صلي الله عليه وسلم أمرها بتقوى الله والصبر.
فقالت: ابعد عني فإنك لم تصب بمثل مصيبتي.
ثم قيل لها: إن هذا رسول الله صلى الله عليه وسلم فندمت وجاءت إلى رسول الله، إلى بابه، وليس على الباب بوابون يمنعون الناس من الدخول عليه. فأخبرته وقالت: إنني لم أعرفك، فأخبرها النبي صلى الله عليه وسلم، أن الصبر الذي يثاب عليه الإنسان هو أن يصبر عند أول ما تصيبه المصيبة.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মহিলার পাশ দিয়ে গেলেন, যে তার একটি মৃত বাচ্চার কবরের নিকট অবস্থান করছিল। আর সে বাচ্চাটিকে খুব মহব্বত করত। সে নিজেকে সংবরণ করতে না পেরে ঘর থেকে বের হয়ে কবরের নিকট কাঁদতে চলে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন ও ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দেন। তখন সে বলল, আমার থেকে দূর হও। তুমি আমার মতো বিপদে আক্রান্ত হওনি। অতঃপর তাকে জানানো হলো যে, তিনি ছিলেন আল্লাহর রাসূল। তারপর সে লজ্জিত হলো এবং রাসূলের বাড়ীর দরজায় উপস্থিত হলেন। দরজায় কোন পাহারাদার ছিল না যারা তাকে প্রবেশে বারণ করবে। সে তাকে জানালো যে, আমি আপনাকে চিনতে পারি নাই। তখন রাসূলুল্লাহ তাকে জানালেন, যে ধৈর্যের ওপর মানুষকে সাওয়াব দেওয়া হয় সেটা হচ্ছে মুসিবত স্পর্শ করার শুরুর ধৈর্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3295

 
Hadith   228   الحديث
الأهمية: عجبا لأمر المؤمن إن أمره كله له خير، وليس ذلك لأحد إلا للمؤمن: إن أصابته سراء شكر فكان خيرا له، وإن أصابته ضراء صبر فكان خيرا له
থিম: মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজই তার জন্য ভালো। এটা মু�মিন ব্যতীত অন্য কারো জন্য নয়। যদি তাকে কল্যাণ স্পর্শ করে সে আল্লাহর শোকর আদায় করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর যদি তাকে ক্ষতি স্পর্শ করে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়।

عن صُهيب بن سِنان الرومي -رضي الله عنه- مرفوعاً: �عجَبًا لِأَمر المُؤمِن إِنَّ أمرَه كُلَّه له خير، وليس ذلك لِأَحَد إِلَّا لِلمُؤمِن: إِنْ أَصَابَته سَرَّاء شكر فكان خيرا له، وإِنْ أَصَابته ضّرَّاء صَبَر فَكَان خيرا له�.

আবূ ইয়াহয়া সুহাইব ইবনে সিনান রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক। তার প্রতিটি কাজই তার জন্য ভালো। এটা মু�মিন ব্যতীত অন্য কারো জন্য নয়। যদি তাকে কল্যাণ স্পর্শ করে সে আল্লাহর শোকর আদায় করে। ফলে এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। আর যদি তাকে ক্ষতি স্পর্শ করে সে ধৈর্য ধারণ করে। ফলে এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أظهر الرسول -عليه الصلاة والسلام- العَجَب على وجه الاستحسان لشأن المؤمن؛ لأنه في أحواله وتقلباته الدنيوية لا يخرج عن الخير والنجاح والفلاح، و هذا الخير ليس لأحد إلا المؤمن.
ثم أخبر -صلى الله عليه وسلم- أن المؤمن على كل حال قدَّره الله عليه على خير، إن أصابته الضراء صبر على أقدار الله، وانتظر الفرج من الله، واحتسب الأجر على الله؛ فكان ذلك خيرًا له.
وإن أصابته سراء من نعمة دينية؛ كالعلم والعمل الصالح، ونعمة دنيوية؛ كالمال والبنين والأهل شكر الله، وذلك بالقيام بطاعة الله -عز وجل-، فيشكر الله فيكون خيرا له.
মু�মিনের অবস্থানকে ভালো জেনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিস্ময় প্রকাশ করেন। কারণ, দুনিয়াতে মু�মিনের যাবতীয় উঠবস-পরিবর্তন ও সার্বিক অবস্থা কল্যাণ, কামিয়াবী ও সফলতা থেকে বের হয় না। এটি একমাত্র মু�মিনের জন্যেই। অতঃপর তিনি সংবাদ দেন যে, আল্লাহ মু�মিনের ওপর সর্বাবস্থায় ভালোর ফায়সালা করে রেখেছেন। যদি কোন বিপদ হয় তখন সে আল্লাহর ফায়সালার ওপর ধৈর্য ধারণ করে, তার পক্ষ থেকে বিপদ দূর হওয়ার অপেক্ষায় থাকে এবং তার থেকে সাওয়াবের আশা করে। ফলে এটি তার জন্য কেবলই কল্যাণ হয়। আর যদি কোন দীনি নি�আমত যেমন, ইলম ও নেক আমল বা দুনিয়াবী নি�আমত যেমন সম্পদ, সন্তান ও পরিবার ইত্যাদিতে তার সুখ বা আনন্দ লাভ হয়, তখন সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। আর শোকর আদায় হয় আল্লাহর আনুগত্য করার দ্বারা। যখন সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে তখন তা তার জন্য শুধুই কল্যাণ হয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3298

 
Hadith   229   الحديث
الأهمية: إنكم لتعملون أعمالا هي أدق في أعينكم من الشعر، كنا نعدها على عهد رسول الله صلَّى الله عليه وسلَّم من الموبقات
থিম: তোমরা বহু এমন (পাপ) কাজ করছ, সেগুলো তোমাদের দৃষ্টিতে চুল থেকেও সূক্ষ্ম (নগণ্য)। কিন্তু আমরা সেগুলোকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে বিনাশকারী মহাপাপ বলে গণ্য করতাম।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: �إنكم لتعملون أعمالا هي أَدَقُّ في أعينكم من الشَّعْرِ، كنا نَعُدُّهَا على عهد رسول الله - صلى الله عليه وسلم - من المُوبِقَاتِ�.

আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু (তাঁর যুগের লোকদেরকে সম্বোধন ক�রে) বলেছেন যে, �তোমরা বহু এমন (পাপ) কাজ করছ, সেগুলো তোমাদের দৃষ্টিতে চুল থেকেও সূক্ষ্ম (নগণ্য)। কিন্তু আমরা সেগুলোকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে বিনাশকারী মহাপাপ বলে গণ্য করতাম।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
خاطب الصحابي الجليل أنس بن مالك رضي الله عنه جماعة من المتساهلين في الأعمال قائلا: إنكم تستهينون ببعض المعاصي لعدم نَظَرِكم إلى عظم المعصي بها، فهي عندكم صغيرة جدا، أما عند الصحابة فكانوا يعدونها من المهلكات لعظم من يعصونه، ولشدة خوفهم ومراقبتهم ومحاسبتهم لأنفسهم.
আমলে অলসতাকারী একটি জামাতকে মহান সাহাবী আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু এ বলে সম্বোধন করেন যে, গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে তোমাদের দৃষ্টি না থাকার কারণে তোমরা কতক গুনাহ হালকা করে দেখ। তা তোমাদের নিকট খুব ছোট। আর সাহাবীগণ গুনাহের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতো, তাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় থাকা এবং নিজেদের হিসাব ও আল্লাহর উপস্থিতি অবলোকন করত বলে তারা তাকে ধ্বংস ও হালাক হিসেবে গণনা করত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3300

 
Hadith   230   الحديث
الأهمية: إنكم ستلقون بعدي أثرة فاصبروا حتى تلقوني على الحوض
থিম: তোমরা আমার (মৃত্যুর) পর অগ্রাধিকার দেখবে! সুতরাং ধৈর্য ধারণ করবে; যে অবধি তোমরা হাওযের কাছে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করবে।

عن أسيد بن حضير وأنس بن مالك -رضي الله عنهما- أنَّ رجُلاً من الأنصار، قال: يا رسول الله، ألاَ تَستَعمِلُنِي كما استَعمَلت فُلانًا، فقال: �إِنَّكُم سَتَلقَون بَعدِي أَثَرَة فَاصبِرُوا حَتَّى تَلقَونِي على الحَوض�.

উসাইদ ইবনে হুধাইর ও আনাস ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে বর্ণিত, একজন আনসারী বললেন, �হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আমাকে সরকারী কোন পদ দেবেন না, যেমন অমুক লোককে দিয়েছেন?� তিনি বললেন, �তোমরা আমার (মৃত্যুর) পর অগ্রাধিকার দেখবে! সুতরাং ধৈর্য ধারণ করবে; যে অবধি তোমরা হাওযের কাছে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جاء رجل ٌ إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- وطلب منه أن يجعله عاملاً على منصب من المناصب كبقية الذين ولاهم، فإنّه أخبره النبي -عليه    السلام- بأمر وهو أنه عليه وعلى أصحابه أن يصبروا على ما يلقونه من ظلم وجور في المستقبل من حكام ينفردون بالمال والخيرات دون رعيتهم، فأمرهم بالصبر حتى يردوا عليه حوضه -عليه السلام-.
থিম: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহর নিকট এসে অন্যান্যদের মতো তাকেও কোন একটি পদে দায়িত্বশীল বানানোর জন্যে আবেদন করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে একটি বিষয় জানিয়ে দিলেন। সেটি হলো তার সাহাবীদের করণীয় হলো ভবিষ্যতে জনগনের সম্পদ আত্মসাৎকারী শাসকদের থেকে যে সব জুলুম অত্যাচারের সম্মূখীন হবে তার ওপর ধৈর্য ধারণ করা। সুতরাং তিনি তাদের ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দেন যতদিন না তারা তার হাউযে তার সাক্ষাৎ না করবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3305

 
Hadith   231   الحديث
الأهمية: ليس على أبيك كرب بعد اليوم
থিম: আজকের দিনের পর তোমার পিতার কোন কষ্ট হবে না।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: لمَّا ثَقُل النبي -صلى الله عليه وسلم- جَعَل يَتَغَشَّاه الكَرب، فقالت فاطمة -رضي الله عنها-: واكَربَ أَبَتَاه، فقال: �لَيسَ عَلَى أَبِيك كَرب بعد اليوم�. فلما مات، قالت: يا أَبَتَاه، أجاب ربًّا دَعَاه! يا أبَتَاه، جَنَّة الفِردَوس مَأوَاه! يا أبتاه، إلى جبريل نَنعَاه! فلمَّا دُفِن قالت فاطمة -رضي الله عنها-: أَطَابَت أَنفُسُكُم أَن تَحثُوا عَلَى رسُولِ الله -صلى الله عليه وسلم- التُّراب؟!
থিম: আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, যখন নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লেন এবং তাকে কষ্ট ঘিরে ফেলল, তখন (তাঁর কন্যা) ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আন্হা) বললেন, �হায়! আব্বাজানের কষ্ট!� তিনি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা শুনে বললেন, �আজকের দিনের পর তোমার পিতার কোন কষ্ট হবে না।� অতঃপর যখন তিনি দেহত্যাগ করলেন, তখন ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আন্হা) বললেন, �হায় আব্বাজান! প্রভু যখন তাঁকে আহবান করলেন, তখন তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দিলেন। হায় আব্বাজান! জান্নাতুল ফিরদাউস তাঁর বাসস্থান। হায় আব্বাজান! আমরা জিবরীলকে আপনার মৃত্যু-সংবাদ দেব।� অতঃপর যখন তাঁকে সমাধিস্থ করা হল, তখন ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আন্হা) (সাহাবাদেরকে) বললেন, �আল্লাহর রাসূল-এর উপর মাটি ফেলতে কি তোমাদেরকে ভাল লাগল?!

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يُصوِّر هذا الحديث صبر نبينا -صلى الله عليه وسلم- على سكرات الموت، فلمَّا ثقل في مرضه الذي مات فيه جعل يغشى عليه من الكرب من شدة ما يصيبه؛ لأنه -عليه الصلاة والسلام- يتشدد عليه الألم    والمرض، وهذا لحكمة بالغة: حتى ينال ما عند الله من الدرجات العلى جزاء صبره، فإذا غشيه الكرب تقول فاطمة -رضي الله عنها-: "وأكرب أبتاه" تتوجع له من كربه، لأنها امرأة، والمرأة لا تطيق الصبر.
فقال النبي -عليه الصلاة والسلام-: "لا كرب على أبيك بعد اليوم"؛ لأنه -صلى الله عليه وسلم- لما انتقل من الدنيا انتقل إلى الرفيق الأعلى، كما كان -صلى الله عليه وسلم -وهو يغشاه الموت- يقول "اللهم في الرفيق الأعلى، اللهم في الرفيق الأعلى وينظر إلى سقف البيت -صلى الله عليه وسلم-".
توفي الرسول -عليه الصلاة والسلام-، فجعلت -رضي الله عنها- تندبه، لكنه ندب خفيف، لا يدل على التسخط من قضاء الله وقدره.
وقولها "أجاب ربا دعاه"؛ لأن الله تعالى هو الذي بيده ملكوت كل شيء، وآجال الخلق بيده.
فأجاب داعي الله، وهو أنه -صلى الله عليه وسلم- إذا توفي صار كغيره من المؤمنين، يصعد بروحه حتى توقف بين يدي الله سبحانه فوق السماء السابعة.
وقولها: "وابتاه جنة الفردوس مأواه" -صلى الله عليه وسلم-؛ لأنه -عليه الصلاة والسلام- أعلى الخلق منزلة في الجنة، كما قال النبي -صلى الله عليه وسلم-: "اسألوا الله لي الوسيلة؛ فإنها منزلة في الجنة لا تنبغي إلا لعبد من عباد الله، وأرجو أن أكون أنا هو"، ولا شك أن النبي -صلى الله عليه وسلم- مأواه جنة الفردوس، وجنة الفردوس هي أعلي درجات الجنة، وسقفها الذي فوقها عرش الرب جل جلاله، والنبي -عليه الصلاة والسلام- في أعلى الدرجات منها.
قولها: "يا أبتاه إلى جبريل ننعاه" وقالت: إننا نخبر بموته جبريل لأن جبريل هو الذي كان يأتيه ويدارسه بالوحي زمن حياته، والوحي مرتبط بحياة النبي -عليه الصلاة والسلام-.
ثمَّ لمَّا حُمِل ودفِن، قالت -رضي الله عنها-: "أطابت أنفسكم أن تحثوا على رسول الله -صلى الله عليه وسلم- التراب؟" يعني من شدة حزنها عليه، وحزنها وألمها على فِراق والدها، ومعرفتها بأن الصحابة -رضي الله عنهم- قد ملأ الله قلوبهم محبة الرسول -عليه الصلاة والسلام- سألتهم هذا السؤال، لكن الله سبحانه هو الذي له الحكم، وإليه المرجع، وكما قال الله -تعالى- في كتابة: (إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ).

থিম: হাদীসটিতে মৃত্যু যন্ত্রণার ওপর আমাদের প্রিয় নবীর ধৈর্যকে চিত্রায়িত করা হয়। যে অসুস্থতায় তিনি মারা যান তাতে তিনি ভারি হয়ে, রোগের তীব্রতার কারণে বেহুশ হয়ে যেতেন। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ব্যথা ও অসুস্থতা খুব তীব্র হতো। এটি বিশেষ হিকমত থেকে ঘটত, যাতে তিনি ধৈর্যের বিনিময়ে উচ্চ মর্যাদা লাভ করেন। যখন তাকে মুসিবত ডেকে ফেলত তখন ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলতেন, �হায়! আব্বাজানের কষ্ট!� তার কষ্টের কারণে কান্নাকাটি করত। কারণ, সে ছিল একজন মহিলা। আর মহিলা সাধারণত ধৈর্য ধারণ করতে পারে না। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথা শুনে বললেন, �আজকের দিনের পর তোমার পিতার কোন কষ্ট হবে না।� কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন, তখন তিনি রফীকে আলার দিকে প্রস্থান করেছেন। আর মৃত্যু যন্ত্রনায় বেহুশ হয়ে এ দুআই করতেন, হে আল্লাহ, উচ্চ সাথীর সঙ্গ, হে আল্লাহ, উচ্চ সাথীর সঙ্গ। আর ঘরের ছাদের দিকে তাকাতেন। অতঃপর যখন তিনি দেহত্যাগ করলেন, তখন ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আন্হা) ডেকে বললেন, �হায় আব্বাজান! তবে তিনি নিম্ন স্বরে ডাকেন যা আল্লাহর ফায়সালা ও নির্ধারিত ভাগ্যের প্রতি অরাজিকে প্রমাণ করে না। আর তার বাণী: �প্রভু যখন তাঁকে আহবান করলেন, তখন তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দিলেন�। কারণ, আল্লাহ তা�আলার হাতেই প্রতিটি বস্তুর কর্তৃত্ব এবং তার হাতেই মাখলুকের মৃত্যু। তাই তিনি আল্লাহর আহ্বানকারীর আহবানে সাড়া দিলেন। আর তিনি যখন মারা যান তখন তিনি মু�মিনদের মতোই হয়ে যান। তার রুহ নিয়ে উপরের দিকে উঠে সাত আসমানের ওপর আল্লাহর সামনে অবস্থান করেন। আর তার কথা: �হায় আব্বাজান! জান্নাতুল ফিরদাউস তাঁর বাসস্থান�। কারণ, জান্নাতে মর্যাদার দিক বিবেচনায় তিনিই হবেন সর্বোচ্চ মাখলুক। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আমার জন্য ওয়াসীলা চাও। কারণ, এটি জান্নাতের একটি উন্নত স্তর, তা আল্লাহর বান্দাদের থেকে কেবল একজন বান্দার জন্য প্রযোজ্য। আর আশা করি আমিই হবো সেই ব্যক্তি। রাসূলের অবস্থান যে জান্নাতুল ফিরদাউসে হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আর জান্নাতুল ফিরদাউস হলো জান্নাতের উচ্চ মাকাম। তার উপরের ছাদ আল্লাহর আরশ। আর রাসূলুল্লাহ হবে জান্নাতের উচ্চ স্তরে। তার কথা: �হায় আব্বাজান! আমরা জিবরীলকে আপনার মৃত্যু-সংবাদ দেব�। তিনি বললেন, আমরা জিবরীলকে তার মৃত্যু সংবাদ দেব কারণ, তার দীর্ঘ জীবনে তিনিই তার কাছে ওহী নিয়ে আসতেন এবং তাকে দরস দিতেন। আর ওহী নবীর হায়াতের সাথেই সম্পৃক্ত। অতঃপর যখন তাঁকে বহন ও সমাধিস্থ করা হল, তখন ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আন্হা) (সাহাবাদেরকে) বললেন, �আল্লাহর রাসূল-এর উপর মাটি ফেলতে কি তোমাদেরকে ভাল লাগল?! অর্থাৎ, তার পিতার বিয়োজনে অতি দুঃখ, ব্যথায় এবং এ কথা জানা থাকায় যে, সাহাবীগণের অন্তর রাসূলের মহব্বতে আল্লাহ পূর্ণ করে দিয়েছেন, তিনি তাদের এ প্রশ্ন করলেন। কিন্তু আল্লাহর জন্যইতো যাবতীয় বিধান এবং তার দিকেই ফিরে যাওয়া। যেমন আল্লাহ তা�আলা স্বীয় কিতাবে বলেন, তুমি মরবে আর তারাও মরণশীল।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3306

 
Hadith   232   الحديث
الأهمية: أمر بلال أن يشفع الأذان, ويوتر الإقامة
থিম: বিলালকে আযানের বাক্য দু�বার ও ইক্বামাতের বাক্য একবার করে বলার নির্দেশ দেওয়া হল।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- مرفوعاً: �أُمِر بِلاَل أن يَشفَع الأَذَان، ويُوتِر الإِقَامَة�.

আনাস ইবন মালিক থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �বিলালকে আযানের বাক্য দু�বার ও ইক্বামাতের বাক্য একবার করে বলার নির্দেশ দেওয়া হল�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أمر النبي -صلى الله عليه وسلم- مؤذنه بلالا -رضي الله عنه- أن يشفع الآذان لأنه لإعلام الغائبين، فيأتي بألفاظه مثنى، وهذا عدا (التكبير) في أوله، فقد ثبت تربيعه و(كلمة التوحيد) في آخره، فقد ثبت إفرادها،كما أمر بلالا أيضا أن يوتر الإقامة، لأنها لتنبيه الحاضرين، وذلك بأن يأتي بجملها مرة مرة، وهذا عدا (التكبير)، و"قد قامت الصلاة" فقد ثبت تثنيتهما فيها.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মুয়াজ্জিন বিলালকে আযানের বাক্য দু�বার করে বলার নির্দেশ দেন। কারণ, এটি অনুপুস্থিত লোকদের অবগত করার জন্য। তাই বাক্যগুলো দুইবার করে বলবে। তবে এটি শুরুতে তাকবীর ছাড়া অন্য বাক্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ, শুরুতে তাকবীর চারবার বলা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং শেষে তাওহীদের বাক্য। কারণ, তা একবার বলা প্রমাণিত। যেমনিভাবে তিনি বিলালকে ইকামতে বাক্যগুলো বেজোড় করে বলার নির্দেশ দেন। কারণ, ইকামত হলো উপস্থিত লোকদের সতর্ক করার জন্য। আর এটি তাকবীর ও কাদকামাতিস সালাহ ছাড়া। কারণ, এ দুটি বাক্য দুইবার করে বলা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3307

 
Hadith   233   الحديث
الأهمية: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- حِينَ يَقْدَمُ مكَّة إذا اسْتَلَمَ الرُّكْنَ الأَسْوَدَ -أَول ما يَطُوفُ- يَخُبُّ ثَلاثَةَ أَشْوَاطٍ
থিম: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি যখন তিনি মক্কায় আগমন করেন তাওয়াফের শুরুতে হাজরে আসওয়াদকে চুমু দেন এবং প্রথম তিন চক্করে রমল করেন।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- قال: � تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فِي حَجَّةِ الوَدَاع بالعُمرَة إلى الحج وأهدَى، فَسَاقَ مَعَهُ الهَدْيَ مِن ذِي الحُلَيفَة، وَبَدَأَ رَسول اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- وَأَهَلَّ بالعمرة, ثُمَّ أَهَلَّ بالحج, فَتَمَتَّعَ النَّاس مع رسول اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَأَهَلَّ بالعمرة إلَى الحج, فَكَان مِن النَّاس مَنْ أَهْدَى, فَسَاقَ الهَدْيَ مِن ذي الحُلَيفَة، وَمِنهُم مَنْ لَمْ يُهْدِ، فَلَمَّا قَدِمَ رسول اللَّه -صلى الله عليه وسلم- قَالَ للنَّاس: مَنْ كَانَ مِنكُم أَهْدَى, فَإِنَّهُ لا يَحِلُّ مِن شَيء حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ، وَمَن لَم يَكُن أَهْدَى فَلْيَطُفْ بالبَيت وَبالصَّفَا وَالمَروَة, وَلْيُقَصِّر وَلْيَحْلِل, ثُمَّ لِيُهِلَّ بالحج وليُهدِ, فَمَن لم يجد هَدْياً فَلْيَصُم ثَلاثَةَ أَيَّام فِي الحج وَسَبعة إذَا رَجَعَ إلى أَهلِهِ فَطَافَ رسول اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ، وَاستَلَمَ الرُّكْنَ أَوَّلَ شَيْءٍ, ثُمَّ خَبَّ ثَلاثَةَ أَطْوَافٍ مِنْ السَّبْعِ, وَمَشَى أَربَعَة, وَرَكَعَ حِينَ قَضَى طَوَافَهُ بالبيت عِند المَقَام رَكعَتَين, ثُمَّ انصَرَفَ فَأَتَى الصَّفَا, وطاف بِالصَّفَا وَالمَروَة سَبعَةَ أَطوَاف, ثُمَّ لَم يَحلِل مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ منه حَتَّى قَضَى حَجَّهُ, وَنَحَرَ هَدْيَهُ يوم النَّحرِ، وَأَفَاضَ فَطَافَ بالبيت, ثُمَّ حَلَّ مِن كُلِّ شَيء حَرُمَ مِنهُ, وَفَعَلَ مِثل مَا فَعَلَ رَسول اللَّه -صلى الله عليه وسلم-: مَن أَهدَى وَسَاقَ الهَديَ مِن النَّاسِ�.
�رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- حِينَ يَقْدَمُ مكَّة إذا اسْتَلَمَ الرُّكْنَ الأَسْوَدَ -أَول ما يَطُوفُ- يَخُبُّ ثَلاثَةَ أَشْوَاطٍ�.

ইব্নু �উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জের সময় আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজ্জ ও �উমরাহ একসাথে পালন করেছেন ও কুরবানী করেছেন। তিনি যুল-হুলাইফা হতে কুরবানীর জানোয়ার সাথে নিয়ে নেন। অতঃপর আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে �উমরাহ�র ইহরাম বাঁধেন, এরপর হাজ্জের ইহরাম বাঁধেন। সাহাবীগণ তাঁর সঙ্গে �উমরাহ�র ও হাজ্জের নিয়্যাতে তামাত্তু� করলেন। সাহাবীগণের কতেক যুল হুলাইফা থেকে হাদী সাথে নিয়ে চললেন, আর কেউ কেউ হাদী সাথে নেননি। এরপর নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাক্কাহ্ পৌঁছে সাহাবীগণকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমাদের মধ্যে যারা হাদী সাথে নিয়ে এসেছ, তাদের জন্য হাজ্জ সমাপ্ত করা পর্যন্ত কোন নিষিদ্ধ জিনিস হালাল হবে না। আর তোমাদের মধ্যে যারা হাদী সাথে নিয়ে আসনি, তারা বাইতুল্লাহর এবং সাফা-মারওয়ার তাওয়াফ করে চুল কেটে হালাল হয়ে যাবে। এরপর হাজ্জের ইহরাম বাঁধবে ও কুরবানী করবে, তবে যারা কুরবানী করতে পারবে না তারা হাজ্জের সময় তিনদিন এবং বাড়িতে ফিরে গিয়ে সাতদিন সওম পালন করবে। নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাক্কাহ্ পৌঁছেই তাওয়াফ করলেন। প্রথমে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করলেন এবং তিন চক্কর রামল করে আর চার চক্কর স্বাভাবিকভাবে হেঁটে তাওয়াফ করলেন। বাইতুল্লাহর তাওয়াফ সম্পন্ন করে তিনি মাকামে ইব্রাহীমের নিকট দু�রাক�আত সালাত আদায় করলেন, সালাম ফিরিয়ে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফায় আসলেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাত চক্কর সা�ঈ করলেন। হাজ্জ সমাধান করা পর্যন্ত তিনি যা কিছু হারাম ছিল তা হতে হালাল হয়নি। তিনি কুরবানীর দিনে হাদী কুরবানী করলেন, সেখান হতে এসে তিনি বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করলেন। অতঃপর তাঁর উপর যা হারাম ছিল সে সব কিছু হতে তিনি হালাল হয়ে গেলেন। সাহাবীগণের মধ্যে যাঁরা হাদী সাথে নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা সেরূপ করলেন, যেরূপ আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছিলেন�। <�আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি যখন তিনি মক্কায় আগমন করেন তাওয়াফের শুরুতে হাজরে আসওয়াদকে চুমু দেন এবং প্রথম তিন চক্করে রমল করেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لما خرج النبي -صلى الله عليه وسلم- إلى ذي الحليفة "ميقات أهل المدينة" ليحج حجته التي ودع فيها البيت ومناسك الحج، وودع فيها الناس، وبلغهم برسالته وأشهدهم على ذلك، أحرم -صلى الله عليه وسلم- بالعمرة والحج، فكان قارنا، والقران تمتع، فتمتع الناس مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، فبعضهم أحرم بالنسكين جميعا، وبعضهم أحرم بالعمرة، ناويا الحج بعد فراغه منها، وبعضهم أفرد الحج فقط، فقد خيرهم النبي -صلى الله عليه وسلم- بين الأنساك الثلاثة، وساق -صلى الله عليه وسلم- وبعض أصحابه الهدي معهم من ذي الحليفة، وبعضهم لم يسقه، فلما اقتربوا من مكة حَضَّ من لم يسق الهدي من المفردين والقارنين إلى فسخ الحج وجعلها عمرة، فلما طافوا وسعوا، أكد عليهم أن يقصروا من شعورهم، ويتحللوا من عمرتهم ثم يحرموا بالحج ويهدوا، لإتيانهم بنسكين بسفر واحد، فمن لم يجد الهدي، فعليه صيام عشرة أيام، ثلاثة في أيام الحج، يدخل وقتها بإحرامه بالعمرة، وسبعة إذا رجع إلى أهله.
فلما قدم النبي -صلى الله عليه وسلم- مكة استلم الركن، وطاف سبعة، خب ثلاثة، لكونه الطواف الذي بعد القدوم، ومشى أربعة، ثم صلى ركعتين عند مقام إبراهيم، ثم أتى إلى الصفا، فطاف بينه وبين المروة سبعا، يسعى بين العلمين، ويمشي فيما عداهما، ثم لم يحل من إحرامه حتى قضى حجه، ونحر هديه يوم النحر، فلمَّا خلص من حجه ورمى جمرة العقبة، ونحر هديه وحلق رأسه يوم النحر، وهذا هو التحلل الأول، أفاض في ضحوته إلى البيت، فطاف به، ثم حل من كل شيء حرم عليه حتى النساء، وفعل مثله من ساق الهدي من أصحابه.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনাবাসীর মীকাত যুল-হুলাইফা হজ করার উদ্দেশ্যে বের হলেন, যে হজে তিনি বাইতুল্লাহকে ও হজের মানাসেককে বিদায় জানালেন, লোকদেরকে বিদায় জানালেন আর তাদেরকে তার রিসালাত পৌছালেন এবং তার ওপর সাক্ষ্য গ্রহণ করলেন, তাতে তিনি হজ ও উমরার ইহরাম বাঁধলেন। ফলে তিনি ছিলেন হজ্জে কিরানকারী। আর কিরানকারী মূলত তামাত্তুকারী। লোকেরা রাসূলুল্লাহর সাথে তামাত্তু করলেন। তাদের অনেকেই দুই নুসুকের (হজ ও উমরার) ইহরাম বাঁধলেন। আর কেউ কেউ উমরার ইহরাম বেঁধেছেন তা শেষ করে হজ করার নিয়তে। আবার কতক লোক শুধু হজের ইহরাম বেঁধেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের তিন প্রকার হজের যে কোনটি পালনে স্বাধীনতা দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার কতক সাহাবী যুল হুলাইফাহ থেকে হাদী-কুরবারী জন্তু সাথে নিয়ে গেছেন। আর কিছু লোক কুরবারীর জন্তু সাথে নিয়ে যাননি। যখন তারা মক্কার নিকটে পৌঁছলেন ইফরাত ও কিরানকারীদের থেকে যারা কুরবানীর পশু নিয়ে যাননি তাদেরকে হজ বাতিল করে উমরা সম্পন্ন করতে উৎসাহ প্রদান করেন। তারপর যখন তারা তাওয়াফ ও সা�ঈ করল তাদেরকে তিনি জোর দিলেন যেন তারা চুল কেটে তাদের উমরা থেকে হালাল হয় অতঃপর হজের ইহরাম বাঁধে ও কুরবানীর পশু প্রেরণ করে। কারণ, তারা একই সফরে দুটি মানসেক পালন করতে এসেছে। তবে যারা কুরবানী করতে পারবে না তারা দশদিন সাওম পাল করবে। হাজ্জের সময় তিনদিন, এই সিয়ামের সময় উমরার ইহরাম করার পর থেকে শুরু হয় এবং বাড়িতে ফিরে গিয়ে সাতদিন সওম পালন করবে। নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মাক্কায় পৌঁছলেন, প্রথমে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করলেন এবং সাত চক্কর তাওয়াফ করলেন। তিন চক্কর রামল করলেন। কারণ, এটি ছিল আগমনের পরের তাওয়াফ। আর চার চক্কর স্বাভাবিকভাবে হেঁটে তাওয়াফ করলেন। বাইতুল্লাহর তাওয়াফ সম্পন্ন করে তিনি মাকামে ইব্রাহীমের নিকট দু�রাক�আত সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি সাফায় আসলেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাত চক্কর সা�ঈ করলেন। দুটি আলামতের মাঝে তিনি দৌড়ালেন। আর বাকী অংশ তিনি স্বাভাবিক হাঁটলেন। তারপর হাজ্জ সমাধান করা, নহরের দিন কুরবানী করা আগ পর্যন্ত তিনি তার ইহরাম থেকে হালাল হননি। তারপর যখন তিনি তার হজ শেষ করে, জামরায় পাথর মারলেন, কুরবারীর পশু জবেহ করলেন, নহরের দিন মাথা মুন্ডালেন, এটি হল প্রথম হালাল, তখন সাজ সকালে বাইতুল্লাহর দিকে রওয়ান দিলেন এবং তাওয়াফ করলেন। অতঃপর তাঁর উপর যা হারাম ছিল সে সব কিছু হতে তিনি হালাল হয়ে গেলেন। এমনকি নারীগণও হালাল হয়ে গেল। সাহাবীগণের মধ্যে যাঁরা হাদী সাথে নিয়ে এসেছিলেন তাঁরাও সেরূপ করলেন, যেরূপ আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3309

 
Hadith   234   الحديث
الأهمية: وضعت لرسول الله -صلى الله عليه وسلم- وضوء الجنابة، فأكفأ بيمينه على يساره مرتين -أو ثلاثا- ثم غسل فرجه، ثم ضرب يده بالأرض
থিম: আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জানাবাতের গোসলের জন্যে পানি রাখলাম। তারপর দু�বার বা তিনবার ডান হাত দিয়ে বাম হাতের উপর পানি ঢাললেন এবং তাঁর লজ্জাস্থান ধৌত করলেন। অতঃপর তার হাত মাটিতে ঘষলেন।

عن ميمونة بنت الحارث -رضي الله عنها- قالت: "وَضَعتُ لِرسولِ الله -صلى الله عليه وسلم- وَضُوءَ الجَنَابَة, فَأَكفَأ بِيَمِينِهِ على يساره مرتين -أو ثلاثا- ثم غَسَل فَرجَه, ثُمَّ ضَرَب يَدَهُ بالأرضِ أو الحائِطِ مرتين -أو ثلاثا- ثم تَمَضْمَضَ واسْتَنْشَقَ, وَغَسَلَ وَجهَه وذِرَاعَيه, ثُمَّ أَفَاضَ على رَأسِه الماء, ثم غَسَل جَسَدَه, ثُمَّ تَنَحَّى, فَغَسَل رِجلَيه, فَأَتَيتُه بِخِرقَة فلم يُرِدْهَا, فَجَعَل يَنفُضُ الماء بِيَده".

মাইমূনাহ বিনত হারিস রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন: আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জানাবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলাম। তারপর দু�বার বা তিনবার ডান হাত দিয়ে বাম হাতের উপর পানি ঢাললেন এবং তাঁর লজ্জাস্থান ধৌত করলেন। তারপর তাঁর হাত মাটিতে বা দেয়ালে দু�বার বা তিনবার ঘষলেন। পরে তিনি কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন এবং চেহারা ও দু�হাত ধৌত করলেন। তারপর তাঁর মাথায় পানি ঢাললেন এবং তাঁর শরীর ধুলেন। অতঃপর একটু সরে গিয়ে তাঁর দু� পা ধৌত করলেন। অতঃপর আমি একখণ্ড কাপড় দিলে তিনি তা নিলেন না, বরং নিজ হাতে পানি ঝেড়ে ফেলতে থাকলেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في هذا الحديث تبين أم المؤمنين ميمونة -رضي الله عنها- بنت الحارث كيفية من كيفيات غسل النبي -صلى الله عليه وسلم- من الجنابة حيث وضعت له في المكان المعد لغسله ماء ليغتسل به، فصب بيده اليمنى على اليسرى فغسلهما مرتين أو ثلاثا، ثم غسل فرجه لتنظيفه مما علق به من أثر الجنابة، ثم ضرب الأرض أو الحائط بيده ودلكها مرتين أو ثلاثا، ثم تمضمض واستنشق وغسل وجهه وذراعيه، ثم أفاض الماء على رأسه، ثم غسل بقية جسده، ثم تحول من مكانه فغسل قدميه في مكان ثان حيث لم يغسلهما من قبل، ثم أتته بخرقة ليتنشف بها، فلم يأخذها وجعل يسلت الماء عن جسده بيده.
হাদীসটিতে উম্মুল মু�মিনীন মাইমুনাহ রাদিয়াল্লাহ আনহা বিনতু হারেস আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জানাবাতের গোসলের বিভিন্ন পদ্ধতির একটি পদ্ধতি বর্ণনা করেন। তিনি তার গোসলের জন্য প্রস্তুত করা স্থানে গোসলের পানি রাখলেন। তারপর তিনি দু�বার বা তিনবার ডান হাত দিয়ে বাম হাতের উপর পানি ঢাললেন এবং তারপর সে তাঁর লজ্জাস্থান ধৌত করলেন যাতে তার সাথে সম্পৃক্ত ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। তারপর তাঁর হাত মাটিতে বা দেয়ালে মারলেন এবং দু�বার বা তিনবার ঘষলেন। তারপর তিনি কুলি করলেন ও নাকে পানি দিলেন এবং চেহারা ও দু�হাত ধৌত করলেন। তারপর তাঁর মাথায় পানি ঢাললেন এবং তাঁর অবশিষ্ট শরীর ধুলেন। অতঃপর একটু সরে গিয়ে অপর স্থানে পা ধুলেন, যা ইতিপূর্বে তিনি ধৌত করেননি। অতঃপর সে তার জন্য একখণ্ড কাপড়ের টুকরা নিয়ে আসলেন যাতে তিনি তা দিয়ে শরীর মুছে ফেলেন। কিন্তু তিনি তা নিলেন না, বরং নিজ হাতে পানি ঝেড়ে ফেলতে থাকলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3310

 
Hadith   235   الحديث
الأهمية: يا أبا ذر، إني أراك ضعيفًا، وإني أحب لك ما أحب لنفسي، لا تأمرن على اثنين، ولا تولين مال يتيم
থিম: �হে আবূ যার! আমি তোমাকে দুর্বল দেখছি এবং আমি তোমার জন্য তাই ভালবাসি, যা আমি নিজের জন্য ভালবাসি। (সুতরাং) তুমি অবশ্যই দু�জনের নেতা হয়ো না এবং এতীমের মালের তত্ত্বাবধায়ক হয়ো না।�

عن أبي ذر -رضي الله عنه- قال: قال لي رسول الله -صلى الله عليه وسلم- �يَا أَبَا ذَرٍّ، إِنِّي أَرَاكَ ضَعِيفًا، وَإِنِّي أُحِبُّ لَكَ مَا أُحِبُّ لِنَفْسِي، لاَ تَأَمَّرَنَّ عَلَى اثْنَينِ، وَلاَ تَوَلَّيَنَّ مَالَ يَتِيمٍ�.

আবূ যার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, �হে আবূ যার! আমি তোমাকে দুর্বল দেখছি এবং আমি তোমার জন্য তাই ভালবাসি, যা আমি নিজের জন্য ভালবাসি। (সুতরাং) তুমি অবশ্যই দু�জনের নেতা হয়ো না এবং এতীমের মালের তত্ত্বাবধায়ক হয়ো না।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر أبو ذر -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال له: "إني أراك ضعيفاً وإني أحب لك ما أحب لنفسي فلا تأمرن على اثنين ولا تولين على مال يتيم" هذه أربع جمل بيَّنها الرسول -عليه الصلاة والسلام- لأبي ذر:
الأولى: قال له: "إني أراك ضعيفاً"، وهذا الوصف المطابق للواقع يحمل عليه النصح، فلا حرج على الإنسان إذا قال لشخص مثلا: إن فيك كذا وكذا، من باب النصيحة لا من باب السب والتعيير.
الثانية: قال: "وإني أحب لك ما أحبه لنفسي" وهذا من حسن خلق النبي -عليه الصلاة والسلام-، لما كانت الجملة الأولى فيها شيء من الجرح قال: "وإني أحب لك ما أحب لنفسي" يعني: لم أقل لك ذلك إلا أني أحب لك ما أحب لنفسي.
الثالثة: "فلا تأمرنَّ على اثنين"، يعني: لا تكن أميرًا على اثنين، وما زاد فهو من باب أولى.
والمعنى أن النبي -صلى الله عليه وسلم- نهاه أن يكون أميرًا؛ لأنه ضعيف، والإمارة تحتاج إلى إنسان قوي أمين، قوي بحيث تكون له سلطة وكلمة حادة؛ وإذا قال فعل، لا يكون ضعيفا أمام الناس؛ لأن الناس إذا استضعفوا الشخص لم يبق له حرمة عندهم، وتجرأ عليه السفهاء، لكن إذا كان قويًّا لا يتجاوز حدود الله عز وجل، ولا يقصر عن السلطة التي جعلها الله له فهذا هو الأمير حقيقة.
الرابعة: "ولا تولين مال يتيم" واليتيم هو الذي مات أبوه قبل أن يبلغ، فنهاه الرسول -عليه الصلاة والسلام- أن يتولى على مال اليتيم؛ لأنَّ مال اليتيم يحتاج إلى عناية ويحتاج إلى رعاية، وأبو ذر ضعيف لا يستطيع أن يرعى هذا المال حق رعايته فلهذا قال: "ولا تولين مال يتيم" يعني لا تكن وليا عليه دعه لغيرك.
وليس في هذا انتقاصًا لأبي ذر فقد كان يأمر بالمعروف وينهى عن المنكر بالإضافة للزهد والتقشف، ولكنه ضعف في باب معين وهو باب الولاية والإمارة.
আবূ যার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু সংবাদ দেন, একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, �আমি তোমাকে দুর্বল দেখছি এবং আমি তোমার জন্য তাই ভালবাসি, যা আমি নিজের জন্য ভালবাসি। (সুতরাং) তুমি অবশ্যই দু�জনের নেতা হয়ো না এবং এতীমের মালের তত্ত্বাবধায়ক হয়ো না।� এ চারটি বাক্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ যারকে বলেন, প্রথম: তাকে তিনি বলেন, আমি তোমাকে দুর্বল দেখছি। এ বিশেষণটি ছিল বাস্তব সম্মত, তার ভিত্তিতে তাকে উপদেশ দেওয়া হয়েছে। কোন লোককে এ ধরনের কথা বলাতে কোন অসুবিধা নেই যখন তা হবে কল্যাণের উদ্দেশ্যে খাট করা বা দোষারোপের উদ্দেশ্যে নয়। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাকে দুর্বল দেখছি। দ্বিতীয় বাক্য: তিনি বলেন, আমি তোমার জন্য তাই ভালোবাসি যা আমি আমার নিজের জন্য পছন্দ করি। এটি রাসূলের উত্তম চরিত্রের অংশ। প্রথম বাক্যে যেহেতু সংশোধন ছিল পরের বাক্যে তিনি বলেন, আমি তোমার জন্য তাই ভালোবাসি যা আমি আমার নিজের জন্য পছন্দ করি। অর্থাৎ আমি তোমাকে কথাগুলো এ কারণেই বলছি যে, আমি তোমার জন্য তাই ভালোবাসি যা আমি আমার নিজের জন্য পছন্দ করি। তৃতীয়: তুমি দুইজনের ওপরও আমীর হয়ো না। অর্থাৎ তুমি দুই জনের ওপর আমীর হয়ো না। আর যদি বেশি হয় তাহলে আগেই হবে না। মোট কথা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আমীর হতে নিষেধ করেছেন। কারণ সে দূর্বল। আর আমীর হওয়ার জন্য শক্তিশালী আমানতদার লোক দরকার। যাতে তার কর্তৃত্ব ও শক্ত কথার প্রতিফলণ ঘটে। মানুষের সামনে সে দূর্বল হতে পারবে না। কারণ, যখন মানুষ কাউকে দুর্বল মনে করবে তখন তাদের সামনে তার সম্মান থাকবে না এবং মুর্খরা তার ওপর প্রাধান্য বিস্তার করবে। কিন্তু যখন সে শক্তিশালী হবে আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন না করবে আল্লাহ তাকে যে ক্ষমতা দিয়েছে তাতে কোন কমতি করবে না সেই প্রকৃত আমীর। চতুর্থ: ইয়াতীমের মালের তত্বাবধায়ক হবে না। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পূর্বে যার পিতা মারা যায় তাকে ইয়াতীম বলে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াতীমের মালের তত্বাবধায়ক হতে নিষেধ করেছেন। কারণ, ইয়াতীমের মালের সংরক্ষণ করা ও যত্ন করার প্রয়োজন পড়ে। আর আবূ যার দূর্বল সে এ সম্পদকে যথাযথ সংরক্ষণ করতে পারবে না। এ কারণেই তিনি বলেন, তুমি ইয়াতীমের মালের তত্বাবধায়ক হয়ো না। অর্থাৎ তুমি অভিভাবক হয়ো না, তুমি তা অপরের জন্য ছেড়ে দাও। এতে আবূ যারকে ছোট করে দেখা হয়নি। কারণ, পরহেজগারী ও দীনদারীর সাথে সাথে আবু যার ভালো কাজের আদেশ ও অসৎ কর্ম থেকে নিষেধ করতেন। তবে তিনি একটি ব্যাপারে দুর্বল ছিলেন। আর তা হলো অভিভাবকত্ব ও নেতৃত্ব।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3311

 
Hadith   236   الحديث
الأهمية: من توضأ نحو وضوئي هذا, ثم صلى ركعتين, لا يحدث فيهما نفسه غفر له ما تقدم من ذنبه
থিম: যে ব্যক্তি আমার এই উযুর মত উযূ করবে, অতঃপর দু�রাক�আত সালাত আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোনো খেয়াল করবে না, তার পূর্বের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

عن حمران مولى عثمان أنَّه رأى عثمان دعا بوَضُوء, فأفرَغ على يَدَيه مِن إنائه, فغَسَلهُما ثلاثَ مرَّات، ثمَّ أدخل يَمينَه في الوَضُوء, ثمَّ تَمضمَض واستَنشَق واستَنثَر، ثُمَّ غَسل وَجهه ثَلاثًا, ويديه إلى المرفقين ثلاثا, ثم مسح برأسه, ثمَّ غَسل كِلتا رجليه ثلاثًا, ثمَّ قال: رأيتُ النَّبِي -صلى الله عليه وسلم- يتوضَّأ نحو وُضوئي هذا، وقال: (من توضَّأ نحو وُضوئي هذا, ثمَّ صلَّى ركعتين, لا يحدِّث فِيهما نفسه غُفِر له ما تقدَّم من ذنبه).
থিম: উসমানের সঙ্গী হুমরান হতে বর্ণিত। তিনি �উসমান ইবন আফ্ফান রাদিয়াল্লাহু <�আনহুকে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। অতঃপর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। তারপর তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ও দু�হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। অতঃপর মাথা মাস্হ করলেন। অতঃপর দুই পা টাখনু পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। পরে বললেন, আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যে ব্যক্তি আমার এই উযূর মত উযূ করবে, অতঃপর দু�রাক�আত সালাত আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোনো খেয়াল করবে না, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
اشتمل هذا الحديث العظيم على الصفة الكاملة لوضوء النبي -صلى الله عليه وسلم-.
فإن عثمان -رضي الله عنه- من حسن تعليمه وتفهيمه علمهم صفة وضوء النبي -صلى الله عليه وسلم- بطريقة عملية، ليكون أبلغ تفهُّماً، فإنه دعا بإناء فيه ماء، ولئلا يلوثه، لم يغمس يده فيه، وإنما صب على يديه ثلاث مرات حتى نظفتا، بعد ذلك أدخل يده اليمنى في الإناء، وأخذ بها ماء تمضمض منه واستنشق، ثم غسل وجهه ثلاث مرات، ثم غسل يديه مع المرفقين ثلاثا، ثم مسح جميع رأسه مرة واحدة، ثم غسل رجليه مع الكعبين ثلاثا.
فلما فرغ -رضي الله عنه- من هذا التطبيق والوضوء الكامل أخبرهم أنه رأى النبي -صلى الله عليه وسلم- توضأ مثل هذا الوضوء، وأخبرهم -صلى الله عليه وسلم- أنه من توضأ مثل وضوئه، وصلى ركعتين، خاشعًا مُحْضراً قلبه بين يدي ربه عز وجل فيهما، فإنه- بفضله تعالى يجازيه على هذا الوضوء الكامل، وهذه الصلاة الخالصة بغفران ما تقدم من ذنبه.
এ মহান হাদীসটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উযূর পদ্ধতিকে পরিপূর্ণরূপে শামিল করে। কারণ, উসমান রাদিয়াল্লাহু <�আনহু ভালোভাবে বুঝা এবং সুন্দর শিক্ষা লাভের কারণে তিনি তাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উযূর পদ্ধতি আমলের মাধ্যমে শিক্ষা দেন। যাতে তারা ভালোভাবে বুঝতে পারে। তিনি একটি পানির পাত্র আনান যাতে পানি আছে। পানি যাতে ময়লাযুক্ত না হয় সে জন্য তিনি তাতে হাত ডুবাননি। তিনি কেবল উভয় হাতের তালুতে তিনবার পানি ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন যাতে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। অতঃপর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর তা থেকে কিছু পানি নিয়ে তা দিয়ে কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। তারপর তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ও দু�হাত কনুইসহ তিনবার ধুলেন। অতঃপর একবার মাথা মাসেহ করলেন। অতঃপর দুই পা টাখনু পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন।
তারপর যখন তিনি পরিপূর্ণ ওযূ করলেন, তাদেরকে তিনি জানিয়ে দিলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মতো এ ধরনের উযূ করেন। আর তিনি আরও জানিয়ে দেন যে, �যে ব্যক্তি তার উযূর মতো উযূ করবে, অতঃপর বিনয় ও মনোযোগের সাথে দু�রাক�আত সালাত আদায় করবে, তাকে আল্লাহর অনুগ্রহে এ পরিপূর্ণ ওযূ ও খালেস সালাতের ওপর তার পূর্বের গুনাহ্ ক্ষমা করে তাকে পুরস্কৃত করবেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3313

 
Hadith   237   الحديث
الأهمية: يدخل الجنة أقوام أفئدتهم مثل أفئدة الطير
থিম: জান্নাতে এমন কিছু লোক প্রবেশ করবে যাদের অন্তর হবে পাখীর অন্তরের মতো।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: �يَدخُلُ الجّنَّة أَقْوَام أَفئِدَتُهُم مِثل أًفئِدَة الطَّير�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত: �জান্নাতে এমন কিছু জাতি প্রবেশ করবে যাদের অন্তর হবে পাখীর অন্তরের মত।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر النبي -عليه الصلاة والسلام- عن وصف قوم من أهل الجنة وأن قلوبهم رقيقة فزعة كما تفزع الطير، وذلك    لخوف هؤلاء المؤمنين من ربهم ،كما أن الطير كثيرة الفزع والخوف، وهم أيضاً أكثر الناس توكلاً على الله في طلب حاجاتهم كما تخرج الطير صباحاً لطلب رزقها.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জান্নাতবাসী এক সম্প্রদায়ের বিশেষ সম্পর্কে সংবাদ দেন এবং তাদের অন্তরসমূহ হবে নরম ভীত যেমন পাখি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়। এ সব মু�মিনের তাদের রবের ভয় থেকে এটি হবে। যেমননিভাবে পাখি অধিক ভীত ও আতঙ্কিত হয়, তারাও তাদের প্রয়োজন মেটাতে সব মানুষের চেয়ে আল্লাহর ওপর অধিক ভরসাকারী। যেমন পাখি সকাল বেলা তার রিযিকের সন্ধানে বের হয়ে পড়ে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3314

 
Hadith   238   الحديث
الأهمية: كان كلام رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كلاما فصلا يفهمه كل من يسمعه
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা ছিল পৃথক পৃথক, যারাই তা শুবণ করত বুঝে যেত।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: كَانَ كَلاَمُ رَسُولِ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- كَلاَمًا فَصلاً يَفْهَمُهُ كُلُّ مَنْ يَسْمَعُهُ.

আয়েশা -রাদিয়াল্লাহু আন্হা- থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা ছিল পৃথক পৃথক, যারাই তা শুবণ করত বুঝে যেত।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث عائشة -رضي الله عنها- أنها قالت: إنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- كان كلامه فصلا، معناه أنه كان مفصلا لا يدخل الحروف بعضها على بعض، ولا الكلمات بعضها على بعض، بيِّن ظاهر لكل من سمعه ليس فيه تعقيد ولا تطويل، حتى لو شاء العاد أن يحصيه لأحصاه من شدة تأنيه -صلى الله عليه وسلم- في الكلام؛ وهذا لأنَّ النبيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- أُعْطِيَ جوامع الكلم واختصر له الكلام اختصارا، وجوامع الكلم أن تجمع المعاني الكثيرة في اللفظ القليل.
وهكذا ينبغي للإنسان أن لا يكون كلامه متداخلا بحيث يخفى على السامع؛ لأن المقصود من الكلام هو إفهام المخاطب، وكلما كان أقرب إلى الإفهام كان أولى وأحسن.
ثم إنه ينبغي للإنسان إذا استعمل هذه الطريقة، يعني إذا جعل كلامه فصلا بينا واضحا، وكرَّره ثلاث مرات لمن لم يفهم، ينبغي أن يستشعر في هذا أنه متبع لرسول الله -صلى الله عليه وسلم- حتى يحصل له بذلك الأجر وإفهام أخيه المسلم.
وهكذا جميع السنن اجعل على بالك أنك متبع فيها لرسول -صلى الله عليه وسلم- حتى يتحقق لك الاتباع وثوابه.
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু <�আনহার হাদীস, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা ছিল পৃথক পৃথক। পৃথক থাকার অর্থ হচ্ছে হরফগুলো একটি অপরটির ভেতর অনুরূপভাবে শব্দগুলো একটি অপরটির ভেতর প্রবেশ করত না। এতই স্পষ্ট ও পরিস্কার যে, প্রত্যেক শ্রোতাই তা বুঝতে পারত। তাতে কোন জড়তা বা অহেতুক কথা থাকত না। তার কথার ধীরস্থীরতা কারণে যদি কোন গণনাকারী চাইতো তবে তা গণনা করতে পারত। এটি এ জন্য যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেওয়া হয়েছে কম বাক্যে অধিক অর্থবোধক কথা। তার জন্য কথাকে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। �জাওয়ামিউল কালিম� হচ্ছে অল্প শব্দে অধিক অর্থকে অন্তর্ভুক্ত করা। সুতরাং একজন মানুষের জন্য উচিত হলো তার কথা যেন একটির সাথে অপরটি সন্নিবিষ্ট না হয় যাতে শ্রোতার কাছে অপস্পষ্ট থাকে। কারণ, কথা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শ্রোতাকে বুঝানো। যখনই কথা বুঝতে সহজ হবে তা অবশ্যই উত্তম ও সুন্দর। অতঃপর একজন মানুষ যখন এ পন্থা অর্থাৎ কথা পরিষ্কার, স্পষ্ট এবং যে বুঝেনা তার জন্য তিনবার বলার পদ্ধতি অবলম্বন করবে তার অনুভব করা উচিত যে, সে রাসূলের অনুসরণ করছে, যাতে এ দ্বারা তার জন্য সাওয়াব ও বিনিময় লাভ হয় এবং স্বীয় মুসলিম ভাইকে বুঝাতে সক্ষম হয়। প্রতিটি সুন্নাতের ক্ষেত্রে একই নিয়ম- তুমি তোমার অন্তরে এ চিন্তা করবে যে, তুমি তাতে রাসূলের সুন্নাতেরই অনুসারী যাতে তোমার জন্য ইত্তেবা� ও তার সাওয়াব উভয়টি সাব্যস্ত হয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3321

 
Hadith   239   الحديث
الأهمية: قوموا فلأصلي لكم
থিম: উঠ, তোমাদের নিয়ে আমি সালাত আদায় করি।

عن أَنَس بنِ مَالِكٍ -رضي الله عنه- �أنَّ جَدَّتَهُ مُلَيكَة دَعَت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لِطَعَام صَنَعتُه، فَأَكَل مِنه، ثم قال: قُومُوا فَلِأُصَلِّي لَكُم؟ قال أنس: فَقُمتُ إِلَى حَصِيرٍ لَنَا قد اسوَدَّ من طُولِ مَا لُبِس، فَنَضَحتُه بماء، فقام عليه رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وَصَفَفتُ أنا واليَتِيمُ وَرَاءَهُ، والعَجُوزُ مِن وَرَائِنَا، فَصَلَّى لَنَا رَكعَتَين، ثُمَّ انصَرَف�.
ولمسلم �أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- صلى به وبِأُمِّه فَأَقَامَنِي عن يَمِينِه، وأقام المَرأةَ خَلْفَنَا�.

আনাস ইব্নু মালিক রাদয়িাল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তাঁর দাদী মুলাইকাহ্ আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খাওয়ার দা�ওয়াত দিলেন, যা তাঁর জন্যই তৈরি করেছিলেন। তিনি তা হতে খেলেন, অতঃপর বললেন, উঠ, তোমাদের নিয়ে আমি সালাত আদায় করি। আনাস বলেন, আমি আমাদের একটি চাটাই আনার জন্য উঠলাম, তা অধিক ব্যবহারে কাল হয়ে গিয়েছিল। তাই আমি সেটা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিলাম। তার ওপর আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন। আর আমি এবং একজন ইয়াতীম বালক (যুমাইরাহ) তাঁর পেছনে দাঁড়ালাম আর বৃদ্ধা দাদী আমাদের পেছনে ছিলেন। তিনি আমাদের নিয়ে দু�রাক�আত সলাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি চলে গেলেন। মুসলিমের বর্ণনায় বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাম তাকে ও তার মাকে সাথে নিয়ে সালাত আদায় করেন। তিনি আমাকে তার ডান পাশে এবং মহিলাকে আমাদের পিছনে দাড়া করালেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
دعت مليكة -رضي الله عنها- رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لطعام صنعته، وقد جبله الله تعالى على أعلى المكارم وأسمى الأخلاق، ومنها التواضع الجم، فكان على جلالة قدره وعلو مكانه يجيب دعوة الكبير والصغير، والذكر والأنثى، والغني والفقير، يريد بذلك الأهداف السامية، والمقاصد الجليلة من جبر قلوب البائسين، والتواضع للمساكين، وتعليم الجاهلين، إلى غير ذلك من مقاصده الحميدة، فجاء إلى هذه الداعية، وأكل من طعامها، ثم اغتنم هذه الفرصة ليعلِّم هؤلاء المستضعفين الذين ربما لا يزاحمون الكبار على مجالسه المباركة، فأمرهم بالقيام ليصلي بهم، حتى يتعلموا منه كيفية الصلاة، فعمد أنس إلى حصير قديم، قد اسود من طول المكث والاستعمال، فغسله بالماء، فقام عليه رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يصلى بهم، وصف أنسا، ويتيما معه، صفا واحدا خلف النبي صلى الله عليه وسلم، وصفت العجوز-صاحبة الدعوة- من وراء أنس واليتيم، تصلي معهم، فصلى بهم ركعتين، ثم انصرف -صلى الله عليه وسلم- بعد أن قام بحق الدعوة والتعليم -صلى الله عليه وسلم-، ومنَّ الله علينا باتباعه في أفعاله وأخلاقه.
মুলাইকাহ্ রাদয়িাল্লাহু আনহা নিজের তৈরি খাবারের জন্যে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দা�ওয়াত দিলেন। আল্লাহ তা�আলা তাকে উত্তম চরিত্র ও উন্নত গুনের অধিকারী করে সৃষ্টি করেছেন। তা থেকে একটি হলো অস্বাভাবিক বিনয়। তাই তার সম্মান ও অবস্থান উচ্চ ও মহান হওয়া সত্বেও ছোট, বড়, নারী পুরুষ, ধনী গরীব সবার দাওয়াতে সাড়া দিতেন। এ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, অভাবীদের অন্তরসমূহকে আকৃষ্ট করা, মিসকীনদের প্রতি বিনয় পদর্শন করা, মুর্খদের শিক্ষা দেওয়া সহ ইত্যাদি প্রশংসিত, মহান ও উন্নত উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়ন করা। তিনি দাওয়াতদানকারী এ মহিলার নিকট আসলেন। তিনি তার খাদ্য খেলেন।তারপর তিনি এ সুযোগকে এসব দুর্বলদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য গণীমত মনে করলেন যারা বড়দের সাথে ঠেলাঠেলি করে তার বরকতপূর্ণ মজলিসে হাজির হয় না। তিনি তাদেরকে তার সাথে সালাত আদায় করার জন্যে দাঁড়াতে নির্দেশ দিলেন। যাতে তারা তার থেকে সালাতের পদ্ধতি শিখে নেন। আনাস একটি পুরাতন চাটাই আনার জন্য উঠলেন, যা অধিক ব্যবহার ও অধিক সময় পড়ে থাকার কারণে কালো হয়ে গিয়েছিল। তাই সে সেটাকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করল। অতঃপর আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের জন্যে তার উপর দাঁড়ালেন। আনাস এবং একজন ইয়াতীম বালক (যুমাইরাহ) রাসূলুল্লাহর পেছনে একটি কাতার করে দাঁড়ালো। আর বৃদ্ধা দাদী যিনি দাওয়াত দিয়েছিলেন আনাস এবং ইয়াতীমের পিছনে দাড়িয়ে তাদের সাথে সালাত আদায় করেন। আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিয়ে দু�রাক�আত সালাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি দাওয়াত ও তা�লীমের হক আদায় করার পর চলে গেলেন। আল্লাহ তা�আলা তার কর্মসমূহ ও চরিত্রসমূহে তার অনুকরণ করার সুযোগ করে দিয়ে আমাদের প্রতি ইহসান করেছেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3324

 
Hadith   240   الحديث
الأهمية: إذا استأذنت أحدَكم امرأتُه إلى المسجد فلا يمنعها
থিম: যখন কোন নারী মসজিদে যাওয়ার জন্য অনুমতি চায় তাকে যেন বাধা না দেয়। তিনি বলেন, এ কথা শোনে বিলাল ইবন আব্দুল্লাহ বলল, আল্লাহর কসম আমি তাদের বারণ করব। তিনি বলেন, তারপর আব্দুল্লাহ তার সামনে আসলেন এবং তাকে খুব খারাপ ভাষায় গালি দিলেন। আমি তাকে আর কখনো এ ধরনের গাল দিতে শুনিনি। তিনি বললেন, আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে সংবাদ দিচ্ছি আর তুমি বলছো আল্লাহর কসম আমি তাদের বারণ করব।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- عَنِ النَّبيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: �إذا اسْتَأذَنَت أَحَدَكُم امرَأَتُه إلى المسجِد فَلا يَمنَعهَا، قال: فقال بلال بن عبد الله: والله لَنَمنَعُهُنَّ، قال: فَأَقبَلَ عليه عبد الله، فَسَبَّهُ سَبًّا سَيِّئًا، ما سَمِعتُه سَبَّهُ مِثلَهُ قَطُّ، وقال: أُخبِرُك عن رسول الله صلى الله عليه وسلم وتقول: والله لَنَمنَعُهُنَّ؟�.
وفي لفظ: �لا تَمنَعُوا إِمَاء الله مسَاجِد الله...�.

থিম: আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �যখন কোন নারী মসজিদে যাওয়ার জন্য অনুমতি চায় তাকে যেন বাধা না দেয়। তিনি বলেন, এ কথা শোনে বিলাল ইবন আব্দুল্লাহ বলল, আল্লাহর কসম আমি তাদের বারণ করব। তিনি বলেন, তারপর আব্দুল্লাহ তার সামনে আসলেন এবং তাকে খুব খারাপ ভাষায় গালি দিলেন। আমি তাকে আর কখনো এ ধরনের গাল দিতে শুনিনি। তিনি বললেন, আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে সংবাদ দিচ্ছি আর তুমি বলছো আল্লাহর কসম আমি তাদের বারণ করব?�
অপর শব্দে বর্ণিত: �তোমরা আল্লাহর বাঁদীদেরকে আল্লাহর মসজিদসমূহে গমনে বাঁধা দিবে না।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
رَوى ابن عمر-رضي الله عنهما- أنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: إذا استأذنت أحدكم امرأته إلى المسجد فلا يمنعها؛ لئلا يحرمها فضيلة الجماعة في المسجد، وفيه بيان حكم خروج المرأة إلى المسجد للصلاة، وأنه جائز،
وكان أحد أبناء عبد الله بن عمر حاضرا حين حدث بهذا الحديث، وكان قد رأى الزمان قد تغير عن زمن النبي -صلى الله عليه وسلم- بتوسُّع النساء في الزينة، فحملته الغيرة على صون النساء، على أن قال- من غير قصد الاعتراض على المشرِّع-: والله لنمنعهن، ففَهِم أبُوه من كلامه أنه يعترض- برده هذا- على سنَّة النبي -صلى الله عليه وسلم- فحمله الغضب لله ورسوله، على أن سبَّه سبًّا شديدًا. وقال: أخبرك عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، وتقول: والله لنمنعهن؟

থিম: ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণনা করেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোন নারী তোমাদের নিকট মসজিদে যাওয়ার জন্য অনুমতি চায় তাকে যেন বাধা না দেয়। যাতে সে মসজিদে সালাত আদায়ের কারণে জামা�আতের ফযীলত থেকে বঞ্চিত না হয়। এতে সালাত আদায়ের জন্য নারীদের মসজিদে যাওয়ার বিধানের আলোচনা করা হয়েছে। আর এটি বৈধ। এ হাদীসটি বলার সময় আব্দুল্লাহ ইবন উমারের ছেলেদের থেকে কোন একজন সেখানে উপস্থিত ছিল। সে দেখল যে, নারীগণ অধিক সাজ-সজ্জা অবলম্বন করার কারণে রাসূলের যুগের যামানাহ থেকে বর্তমান যামানার অবনতি হয়েছে। এটি তাকে নারীগণের সুরাক্ষার প্রতি উদ্বুদ্ধ করল। তাই শরীয়ত প্রণেতার ওপর আপত্তি করার ইচ্ছা ছাড়া সে বলল, আল্লাহর কসম আমি তাদের বারণ করব। তার কথা থেকে তার পিতা বুঝতে পারল যে, এভাবে প্রতিউত্তর করে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের ওপর আপত্তি তুলছে। তাই তার কথা তাকে আল্লাহর ও তার রাসূলের জন্য সংক্ষুব্ধ করে তুলল। তাই তিনি তাকে খুব খারাপ ভাষায় গালি দিলেন। আর বললেন, আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষ থেকে সংবাদ দিচ্ছি আর তুমি বলছো আল্লাহর কসম আমি তাদের বারণ করব।?
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3325

 
Hadith   241   الحديث
الأهمية: صَلَّيْتُ مع أبي بكر وعمر وعثمان، فلم أسمع أحدا منهم يقرأ "بسم الله الرحمن الرحيم"
থিম: রাসূলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সালাত আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন দ্বারা আরম্ভ করতেন। অপর বর্ণনায় বর্ণিত: আমি আবূ বকর, উমার ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুমের সাথে সালাত আদায় করেছি। তাদের কাউকে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়তে শুনিনি। আর সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় বর্ণিত: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বকর, উমার ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুমের পিছনে সালাত আদায় করি, তারা আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেন। তারা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কিরাতের শুরুতে এবং শেষে উল্লেখ করতেন না।

عن أَنَس بن مالك -رضي الله عنه- �أنّ النبي -صلى الله عليه وسلم- وأبا بكر وعمر -رضي الله عنهما-: كانوا يَسْتَفْتِحُونَ الصلاة بـ"الحمد لله رب العالمين"�.
وفي رواية: � صَلَّيْتُ مع أبي بكر وعمر وعثمان، فلم أسمع أحدا منهم يقرأ "بسم الله الرحمن الرحيم"�.
ولمسلم: � صَلَّيْتُ خلف النبي -صلى الله عليه وسلم- وأبي بكر وعمر وعثمان فكانوا يَسْتَفْتِحُونَ بـ"الحمد لله رب العالمين"، لا يَذْكُرُونَ "بسم الله الرحمن الرحيم" في أول قراءة ولا في آخرها�.

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সালাত আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন দ্বারা আরম্ভ করতেন। অপর বর্ণনায় বর্ণিত: আমি আবূ বকর, উমার ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুমের সাথে সালাত আদায় করেছি। তাদের কাউকে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়তে শুনিনি। আর সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় বর্ণিত: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বকর, উমার ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুমের পিছনে সালাত আদায় করি, তারা আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেন। তারা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম কিরাতের শুরুতে এবং শেষে উল্লেখ করতেন না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يذكر أنس بن مالك، -رضى الله عنه-: أنه- مع طول صحبته للنبي -صلى الله عليه وسلم- وملازمته له ولخلفائه الراشدين - لم يسمع أحداً منهم يقرأ (بسم الله الرحمن الرحيم) في الصلاة، لا في أول القراءة، ولا في آخرها، وإنما يفتتحون الصلاة بـ"الحمد لله رب العالمين"، وقد اختلف العلماء في حكم قراءة البسملة والجهر بها على أقوال، والصحيح من أقوال العلماء أن المصلي يقرأ البسملة سرا قبل قراءة الفاتحة في كل ركعة من صلاته، سواء كانت الصلاة سرية أم جهرية.
আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহচর্যে দীঘ সময় থাকা এবং তার ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সান্নিধ্যে জমে থাকা সত্বেও তাদের কারো থেকে সালাতে কিরাতের শুরুতে বা শেষে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়তে শুনেননি। তারা আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন দ্বারা সালাত আরম্ভ করতেন। আলেমগণ বিছমিল্লাহ-এর প্রচলনের বিধান এবং তা উচ্চ আওয়াজে পড়া সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। আলেমগণের বিশুদ্ধ মত হলো সালাত আদায়কারী সূরা ফাতিহার পূর্বে সালাতের প্রতি রাকা�আতে বিছমিল্লাহ নিম্ন আওয়াযে পড়বে। চাই জাহরি সালাত হোক বা আস্তে কিরাত পড়া সালাত হোক।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3327

 
Hadith   242   الحديث
الأهمية: إن من أشر الناس عند الله منزلة يوم القيامة الرجل يفضي إلى المرأة وتفضي إليه، ثم ينشر سرها
থিম: কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ সেই ব্যক্তি হবে, যে স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করে এবং স্ত্রী তার সঙ্গে মিলন করে। অতঃপর সে তার (স্ত্রীর) গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- مرفوعاً: �إِنَّ مِنْ أَشَرِّ النَّاسِ عِندَ الله مَنزِلَةً يَومَ القِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفضِي إِلَى المَرْأَةِ وَتُفْضِي إِلَيه، ثُمَّ يَنشُرُ سِرَّهَا�.

আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ সেই ব্যক্তি হবে, যে স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করে এবং স্ত্রী তার সঙ্গে মিলন করে। অতঃপর সে তার (স্ত্রীর) গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر النبي الكريم -صلى الله عليه وسلم- أن من شر الناس مرتبة عند الله يوم القيامة المتصف بهذه الخيانة، وهو الذي يعمد إلى نشر سر البيت الزوجي، الذي لا يطلع عليه إلا الزوجان، ففي هذا الحديث تحريم إفشاء الرجل ما يجري بينه وبين امرأته من أمور الاستمتاع ووصف تفاصيل ذلك، وما يجري من المرأة فيه من قول أو فعل ونحوه.
فأما مجرد ذكر الجماع، فإن لم تكن فيه فائدة، ولا حاجة فمكروه؛ لأنَّه خلاف المروءة، وقد قال -صلى الله عليه وسلم-: "من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليقل خيرًا أو ليصمت" ، وإن كان إليه حاجة، أو ترتب عليه فائدة، بأن ينكر عليه إعراضه عنها، أو تدعي عليه العجز عن الجماع، أو نحو ذلك، فلا كراهة في ذكره لوجود المصلحة في ذلك وقد دلت عليه السنة.
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দেন যে, �কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ হবে এ খিয়ানতের দোষে দোষী ব্যক্তি। অর্থাৎ যে ব্যক্তি স্বামী-স্ত্রীর ঘরের গোপন বিষয় স্বেচ্ছায় প্রকাশ করে যা স্বামী স্ত্রী ছাড়া কেউ জানে না। এ হাদীসটিতে ব্যক্তির সেসব বিষয়কে প্রকাশ করা হারাম করা হয়েছে, যেসব উপভোগ্য বিষয় ও তার বিস্তারিত বিশ্লেষণ তার মাঝে ও তার স্ত্রীর মাঝে সংঘটিত হয় এবং নারী যে কথা-কর্ম ও অঙ্গভঙ্গী প্রকাশ করে। তবে শুধু সহবাসের কথা আলোচনা করা যদি তাতে কোন উপকার বা প্রয়োজন না থাকে তাও অপছন্দনীয়। কারণ, তা রুচির পরিপন্থী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন. যে আল্লাহ ও আখিরাত দিবেসের প্রতি বিশ্বাস করে সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে। আর যদি তা বলার প্রয়োজন দেখা দেয় বা তাতে কোনো ফায়দা থাকে যেমন, তার স্ত্রী থেকে বিরত থাকাকে তিরস্কার করা হয় বা স্ত্রী তার ব্যাপারে সহবাসে অক্ষম হওয়ার দাবি করে অথবা এ জাতীয় কিছু, তখন তা বলার মধ্যে কল্যাণ থাকার কারণে কোন অসুবিধা নেই। কারণ, সুন্নাহ এর ওপর প্রমাণ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3328

 
Hadith   243   الحديث
الأهمية: لعنة الله على اليهود والنصارى، اتخذوا قبور أنبيائهم مساجد -يحذر ما صنعوا-، ولولا ذلك أبرز قبره، غير أنه خشي أن يتخذ مسجدًا
থিম: ইয়াহুদী ও খৃস্টানদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত, তারা তাদের নবীদের সমাধিসমূহকে উপাসনালয়ে পরিণত করেছে।�� তারা যা করেছে তা থেকে তিনি সতর্ক করছিলেন। যদি তা না হতো তার কবরকে প্রকাশ করা হতো। তবে তিনি আশঙ্কা করছিলেন যে, তার কবরকে সেজদার স্থান বানানো হতে পারে।

عن عائشة -رضي الله عنها-، قالت: لما نُزِلَ برسول الله -صلى الله عليه وسلم-، طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيصَةً له على وجهه، فإذا اغْتَمَّ بها كشفها فقال -وهو كذلك-: "لَعْنَةُ الله على اليهود والنصارى، اتخذوا قبور أنبيائهم مساجد -يُحَذِّرُ ما صنعوا".
ولولا ذلك أُبْرِزَ قَبْرُهُ، غير أنه خَشِيَ أن يُتَّخَذَ مسجدا.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু উপস্থিত হলে তিনি তার চেহারার ওপর চাদর ফেলতে লাগলেন। যখন তিনি বেহুশ হয়ে পড়তেন, তখন তা সরিয়ে দেওয়া হতো। তখন তিনি এ অবস্থায় বললেন, ��আল্লাহ ইয়াহুদ ও খৃস্টানদের ওপর অভিসম্পাত করুন, তারা তাদের নবীদের সমাধিসমূহকে উপাসনালয়ে পরিণত করেছে।�� তারা যা করেছেন তা থেকে তিনি সতর্ক করছিলেন।� যদি তা না হতো তার কবরকে প্রকাশ করা হতো। তবে তিনি আশঙ্কা করছিলেন যে, তার কবরকে সেজদার স্থান বানানো হতে পারে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
تخبرنا عائشة -رضي الله عنها- أنه حينما حضرت النبي -صلى الله عليه وسلم- الوفاة قال وهو في سكرات الموت: "لعن الله اليهود والنصارى"؛ وذلك لأنهم بنوا على قبور أنبيائهم مساجد. ثم استنتجت عائشة -رضي الله عنها- أنه يريد بذلك تحذير أمته من أن تقع فيما وقعت فيه اليهود والنصارى فتبني على قبره مسجدا، ثم بينت أن الذي منع الصحابة من دفنه خارج غرفته هو خوفهم من أن يتخذ قبره مسجدًا.

Esin Hadith Text Arabic


আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আমাদের সংবাদ দিচ্ছেন যে, যখন রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু উপস্থিত হলো, সে মুমুর্য অবস্থায় তিনি বললেন, ��আল্লাহ ইয়াহুদ ও নাসারাদেরকে অভিসম্পাত করুন। কারণ, তারা তাদের নবীদের সমাধিসমূহকে উপাসনালয়ে পরিণত করেছে।�� তারপর আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা ফলাফল বর্ণনা করে বলেন, তিনি এর দ্বারা তার উম্মাতকে ইয়াহুদী ও খৃস্টানরা যাতে লিপ্ত হয়েছে তাতে লিপ্ত হওয়া থেকে সতর্ক করেন, যেন তারাও তার কবরের ওপর মাসজিদ না বানায়। তারপর তিনি স্পষ্ট করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাকে তার কামরার বাহিরে কোথাও দাফন করতে সাহাবাদের যে বিষয়টি বারণ করেছে তা হলো তার কবরকে সেজদার স্থান বানানোর আশঙ্ক।
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3330

 
Hadith   244   الحديث
الأهمية: اجتنبوا السبع الموبقات
থিম: সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কী? তিনি বললেন, (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা (২) যাদু (৩) আল্লাহ তা�আলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরী�আতসম্মত কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করা (৪) সুদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের মাল গ্রাস করা (৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং (৭) সরল স্বভাবওয়ালা সতী-সাধ্বী মুমিনাদের অপবাদ দেওয়া।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: "اجتنبوا السبع المُوبِقَات، قالوا: يا رسول الله، وما هُنَّ؟ قال: الشركُ بالله، والسحرُ، وقَتْلُ النفسِ التي حَرَّمَ الله إلا بالحق، وأكلُ الرِّبا، وأكلُ مالِ اليتيم، والتَّوَلّي يومَ الزَّحْفِ، وقذفُ المحصناتِ الغَافِلات المؤمنات".

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মরফূ� হিসেবে বর্ণিত, �সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কী? তিনি বললেন, (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা (২) যাদু (৩) আল্লাহ তা�আলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরী�আতসম্মত কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করা (৪) সুদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের মাল গ্রাস করা (৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং (৭) সরল স্বভাবওয়ালা সতী-সাধ্বী মুমিনাদের অপবাদ দেওয়া।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يأمر -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- أمته بالابتعاد عن سبع جرائم مهلكاتٍ، ولما سُئل عنها ما هي؟ بيّنها بأنها الشرك بالله، باتخاذ الأنداد له من أي شكل كانت، وبدأ بالشرك؛ لأنه أعظم الذنوب، وقتلِ النفس التي منع الله من قتلها إلا بمسوغٍ شرعي، والسحر، وتناول الربا بأكلٍ أو بغيره من وجوه الانتفاع، والتعدي على مال الطفل الذي مات أبوه، والفرار من المعركة مع الكفار، ورمي الحرائر العفيفات بالزنا.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতকে সাতটি ধ্বংসকারী পাপ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো যে, সেগুলো কী? তখন তিনি তা বর্ণনা করলেন যে, সেগুলো হলো (১) যেভাবেই হোক আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করে তার সাথে শরীক করা। তিনি শির্কের দ্বারা শুরু করলেন। কেননা তা সবচেয়ে বড় গোনাহ। (২) আল্লাহ তা�আলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরী�আতসম্মত কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করা। (৩) যাদু করা (৪) সুদ গ্রহণ করা, ভক্ষণ করে হোক অথবা অন্য যে কোনো উপায়ে স্বার্থ হাসিল করে হোক। (৫) যার পিতা মারা গেছে এমন শিশুর সম্পদে সীমালঙ্গন করা (সম্পদ গ্রাস করা) (৬) কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধকালে রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং (৭) সরল স্বভাবওয়ালা সতী-সাধ্বী নারীকে যিনার অপবাদ দেওয়া।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3331

 
Hadith   245   الحديث
الأهمية: إذا أراد الله بعبده الخير عجل له العقوبة في الدنيا، وإذا أراد بعبده الشر أمسك عنه بذنبه حتى يوافى به يوم القيامة
থিম: আল্লাহ তা�আলা যখন তার কোনো বান্দার কল্যাণ চান তখন তাড়াতাড়ি দুনিয়াতে তাকে শাস্তি প্রদান করেন। আর যখন তিনি তার কোনো বান্দার অকল্যাণ চান তখন তাকে তার অপরাধের শাস্তি প্রদান থেকে বিরত থাকেন। যাতে কিয়ামতের দিন তিনি তাকে পুরাপুরি শাস্তি দেন।

عن أنس -رضي الله عنه - أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: "إذا أراد الله بعبده الخير عجل له العقوبة في الدنيا، وإذا أراد بعبده الشر أمسك عنه بذنبه حتى يُوَافِيَ به يومَ القيامة".

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ তা�আলা যখন তার কোনো বান্দার কল্যাণ চান তখন তাড়াতাড়ি দুনিয়াতে তাকে বিপদে নিক্ষেপ করে শাস্তি দেন। আর যখন তিনি তার কোনো বান্দার অকল্যাণ চান তখন তাকে তার অপরাধের শাস্তি প্রদান থেকে বিরত থাকেন। যাতে কিয়ামতের দিন তিনি তাকে পুরাপুরি শাস্তি দেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- أن علامة إرادة الله الخيرَ بعبده معاجلته بالعقوبة على ذنوبه في الدنيا حتى يخرج منها وليس عليه ذنب يوافي به يوم القيامة؛ لأن من حوسب بعمله عاجلاً خفّ حسابه في الآجل، ومن علامة إرادة الشر بالعبد أن لا يجازى بذنوبه في الدنيا حتى يجيء يوم القيامة مستوفر الذنوب وافيها، فيجازى بما يستحقه يوم القيامة.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সংবাদ দিচ্ছেন যে, আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার কল্যাণে ইচ্ছা করার নিদর্শন হচ্ছে, দুনিয়াতে নগদে তার গুনাহের ওপর শাস্তি দেয়া; যাতে সে গুনাহ থেকে পরিস্কার হয়ে যায় এবং তার কোনো গুণাহ না থাকে, যদ্বারা কিয়ামতের দিন তাকে শাস্তি দিবেন। কেননা যার আমলের হিসাব দুনিয়াতেই হবে আখেরাতে তার হিসাব হালকা হবে। আর বান্দার প্রতি কল্যাণ সাধনের নিদর্শন হচ্ছে, বান্দার গুণাহর কারণে দুনিয়াতে তাকে শাস্তি না দেওয়া। যাতে কিয়ামতের দিন সে পুরাপুরি গুণাহ নিয়ে উপস্থিত হয়। এরপর কিয়ামতের দিন তাকে তার প্রাপ্য হিসেবে প্রতিদান দেওয়া হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3332

 
Hadith   246   الحديث
الأهمية: ألا أخبركم بما هو أخوف عليكم عندي من المسيح الدجال؟ قالوا: بلى يا رسول الله، قال: الشرك الخفي، يقوم الرجل فيصلي فيزين صلاته لما يرى من نظر رجل
থিম: আমি কি তোমাদের এমন বিষয় অবহিত করবো না, যা আমার মতে তোমাদের জন্য মসীহ দাজ্জালের চেয়েও ভয়ংকর? রাবী বলেন, আমরা বললাম, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, গোপন শির্ক। মানুষ সালাত পড়তে দাঁড়ায় এবং লোকের দৃষ্টির কারণে সুন্দরভাবে সালাত আদায় করে।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- مرفوعاً: "ألا أخبركم بما هو أَخْوَفُ عليكم عندي من المسيح الدجال؟ قالوا: بلى يا رسول الله، قال: الشرك الخفي يقوم الرجل فيصلي فَيُزَيِّنُ صلاته لما يرَى من نَظَرِ رَجُلٍ".

আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �আমি কি তোমাদের এমন বিষয় অবহিত করবো না, যা আমার মতে তোমাদের জন্য মসীহ দাজ্জালের চেয়েও ভয়ংকর? বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, গোপন শির্ক। মানুষ সালাত পড়তে দাঁড়ায় এবং লোকের দৃষ্টির কারণে সুন্দরভাবে সালাত আদায় করে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان الصحابة يتذاكرون فتنةَ المسيح الدجال ويتخوفون منها، فأخبرهم -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- أن هناك محذوراً يخافه عليهم أشد من خوفِ فتنة الدجال وهو الشرك في النية والقصد الذي لا يظهر للناس، ثم فسَّره بتحسين العمل الذي يُبتغى به وجه الله من أجل رؤية الناس.
সাহাবীগণ দাজ্জালের ফিতনার আলোচনা করত এবং তাকে খুব ভয় করত। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জানিয়ে দেন যে, এখানে এমন একটি বিপদজনক বিষয় রয়েছে যাকে তিনি দাজ্জালের ফিতনার চেয়ে অধিক ভয় করেন। আর তা নিয়ত ও ইচ্ছার মধ্যে শির্ক যা একজন মানুষের নিকট স্পষ্ট নয়। তারপর তিনি তার ব্যাখ্যা করেন যে আমল দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা হয় সে আমলকে লোক দেখানোর জন্য সুন্দর করাই শির্ক।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3333

 
Hadith   247   الحديث
الأهمية: قول الله -تعالى-: فَلا تَجْعَلُوا لِلَّهِ أَنْدَادًا وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ، قال ابن عباس في الآية: الأنداد: هو الشرك، أخفى من دببيب النمل على صفاة سوداء في ظلمة الليل
থিম: আল্লাহ তা�আলার বাণী : তোমরা জেনে শোনে আল্লাহর জন্য শরীক সাব্যস্ত করো না। ইবন আব্বাস আয়াত বিষয়ে বলেন, আল-আনদাদ: অর্থ হলো শির্ক। আর শির্ক হলো গভীর অন্ধকার রাতে কালো পাথরের ওপর পিপড়ার গুণগুণ শব্দ থেকেও সুক্ষ্ম।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
قول الله -تعالى-: {فَلا تَجْعَلُوا لِلَّهِ أَنْدَادًا وَأَنْتُمْ تَعْلَمُونَ}. قال ابن عباس في الآية: "الأنداد: هو الشرك، أخفى من دَبِيبِ النمل على صَفَاةٍ سوداء في ظلمة الليل". وهو أن تقول: والله وحياتك يا فلان، وحياتي، وتقول: لولا كُلَيْبَةُ هذا لأتانا اللصوص، ولولا البط في الدار لأتانا اللصوص، وقول الرجل لصاحبه: ما شاء الله وشئت، وقول الرجل: لولا الله وفلان، لا تجعل فيها فلانا؛ هذا كله به شرك".
আল্লাহ তা�আলার বাণী: �তোমরা জেনে শোনে আল্লাহর জন্য শরীক সাব্যস্ত করো না�। ইবন আব্বাস আয়াত বিষয়ে বলেন, আল-আনদাদ: অর্থ হলো শির্ক। আর শির্ক হলো গভীর অন্ধকার রাতে কালো পাথরের ওপর পিপড়ার গুণগুণ শব্দ থেকেও সুক্ষ্ম। আর তা হলো তোমার বলা : আল্লাহর কসম এবং তোমার জীবনের কসম হে অমুক এবং আমার জীবনের কসম। এবং তোমার বলা: যদি এ কুকুর না হতো তাহলে আমাদের কাছে ডাকাত আসতো। যদি ঘরের মধ্যে হাঁস না হতো তা হলে ডাকাত আসতো। কোনো ব্যক্তির কথা তার সাথীকে উদ্দেশ্যে করে, আল্লাহ যা চেয়েছেন এবং তুমি যা চেয়েছো। এবং কোন ব্যক্তির কথা : যদি আল্লাহ না হতো এবং অমুক না হতো। তাতে (অর্থাৎ এসব কথায়) তুমি অমুককে সাব্যস্ত করো না। এগুলো সবই হলো তার সাথে শির্ক।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
قال الله -تبارك وتعالى-: {فَلاَ تَجْعَلُواْ لِلّهِ أَندَاداً وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ}، فنهى الناس أن يتخذوا له أمثالًا ونظراء يصرفون لهم شيئًا من عبادته؛ وهم يعلمون أن الله وحده الخالق الرازق؛ وأن هذه الأنداد عاجزة فقيرة ليس لها من الأمر شيء، وعرف ابن عباس -رضي الله عنه- الأنداد بالشركاء، وذكر أمثلة لاتخاذها، وهو أخفى من خفاء أثر دبيب النمل على الحجر الأملس الأسود في ظلمة الليل، ثم ذكر أمثلة على ذلك: وهو أن تحلف بغير الله، وأعظم منها أن تساوي بها الله فتقول: والله وحياتي، أو أن تنظر إلى السبب دون المسبب، ولا ترجع الأمر لله، فتقول: لولا كلب هذا يحرسنا لأتانا اللصوص، أو أنه يقول: لولا البط في الدار ينبهنا لو دخل أحد غريب لأتى اللصوص، ومن الشرك: قول الرجل لصاحبه: ما شاء الله وشئت، وقول الرجل: لولا الله وفلان، لا تجعل فيها فلانا، ثم أكد على أن ذلك كله شرك أصغر، ولو اعتقد قائله أن الرجل أو البط أو الكلب هو المؤثر بذاته دون الله فهو شرك أكبر.
আল্লাহ তা�আলা বলেন, তোমরা জেনে শুনে আল্লাহর জন্য শরীক সাব্যস্ত করো না। তিনি মানুষকে আল্লাহর জন্য এমন দৃষ্টান্ত এবং নজীর স্থাপন করতে নিষেধ করেছেন যাদের জন্য তারা তাদের ইবাদতের কিছু অংশ সমর্পন করবে। অথচ তারা জানে নিশ্চয় এক আল্লাহই হলেন স্রষ্টা, রিযিকদাতা। আর এ সব শরীক অক্ষম ও মুখাপেক্ষী তার জন্য কোন বিষয়ে কোন ক্ষমতা নেই। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু আনদাদকে শরীকসমূহ দ্বারা সংজ্ঞায়িত করেন। আর তাদেরকে শরীক সাব্যস্ত করার বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। শির্ক অন্ধকার রাতে কালো মশ্রিণ পাথরের ওপর পিপড়ার চলার শব্দ থেকেও অধিক গোপন। তারপর তিনি এর ওপর আরও বিভিন্ন দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। যেমন, তুমি গাইরুল্লাহর নামে সপথ করলে, এর চেয়েও বড় অন্যায় হলো তুমি গাইরুল্লাহকে আল্লাহর সমান সাব্যস্ত করলে। তুমি বললে, আল্লাহর কসম এবং আমার জীবনের কসম। অথবা তুমি কারণের দিকে দেখলে কিন্তু কারণের মালিকের দিকে দেখলে না এবং বিষয়কে আল্লাহর দিকে ফেরালে না। যেমন তুমি বললে, যদি এ কুকুর আমাদের পাহারা না দিত, তাহলে আমাদের ঘরে ডাকাত আসত। অথবা সে বলে, ঘরের মধ্যে হাঁস যদি আমাদের সতর্ক না করত, যদি কোন অপরিচিত লোক প্রবেশ করত, তাহলে ডাকাত আসত। আর শির্কের আরও দৃষ্টান্ত হলো, কোন লোক তার সাথীকে বলল, আল্লাহ যা চাইল এবং তুমি যা চাইলে। এবং কোন মানুষ বলল, যদি আল্লাহ এবং অমুক না হতো। তুমি এসব কথায় অমুককে সাব্যস্ত করো না। তারপর তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন যে, এ গুলো সবই ছোট শির্ক। তবে এ সব কথা যে বলে, সে যদি এ কথা বিশ্বাস করে যে, লোকটি, বা হাঁসটি, বা কুকুরটিই আল্লাহ ছাড়াই সত্বাগতভাবে প্রভাব সৃষ্টিকারী বা ক্ষমতাশীল তাহলে তা হবে বড় শির্ক।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন আবী হাতিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3334

 
Hadith   248   الحديث
الأهمية: اللهم لا تجعل قبري وثنا يُعبد، اشتد غضب الله على قوم اتخذوا قبور أنبيائهم مساجد
থিম: হে আল্লাহ! আপনি আমার কবরকে প্রতিমা বানিয়েন না যা পূজা করা হয়। আল্লাহর কঠিন রোষাণল সেই জাতির ওপর, যারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে।

عن عطاء بن يسار وأبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: "اللهم لا تجعل قبري وثنا يُعبد، اشتد غضب الله على قوم اتخذوا قبور أنبيائهم مساجد".

�আত্বা ইবন ইয়াসার ও আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে মরফূ� হিসেবে বর্ণিত, �হে আল্লাহ! আপনি আমার কবরকে প্রতিমা বানিয়েন না যা পূজা করা হয়। আল্লাহর কঠিন রোষাণল সেই জাতির ওপর, যারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
خاف -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- أن يقع في أمته مع قبره ما وقع من اليهود والنصارى مع قبور أنبيائهم من الغلو فيها حتى صارت أوثاناً، فرغِب إلى ربه أن لا يجعل قبره كذلك، ثم نبّه -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- على سبب لحوق شدة الغضب واللعنة باليهود والنصارى، أنه ما فعلوا في حق قبور الأنبياء حتى صيّروها أوثاناً تعبد، فوقعوا في الشرك العظيم المضاد للتوحيد.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশঙ্কা করেছেন যে, তাঁর কবরকে ঘিরে তাঁর উম্মতের ভেতর তেমনি ঘটবে যেমন বাড়াবাড়ি ঘটেছে ইয়াহূদী-নাসারাদের থেকে তাদের নবীদের কবরকে ঘিরে। ফলশ্রুতিতে তা মূর্তিতে পরিণত হয়েছে। তাই তিনি স্বীয় রবের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করলেন যেন তাঁর কবরকে এমন না করেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহূদী-নাসারাদের কঠিন ক্রোধ ও লা�নতে পতিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন যে, তারা নবীদের কবরকে ঘিরে সেসব কর্ম করে সেগুলোকে মূর্তিতে পরিণত করেছে ও তাওহীদের পরিপন্থী বড় শির্কে লিপ্ত হয়েছে সেটাই তার কারণ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন। - এটি মালেক বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3336

 
Hadith   249   الحديث
الأهمية: إن الله زوى لي الأرض، فرأيت مشارقها ومغاربها، وإن أمتي سيبلغ ملكها ما زوي لي منها، وأعطيت الكنْزين الأحمر والأبيض
থিম: আল্লাহ তাআলা গোটা যমীনকে একত্রিত করে আমার সামনে পেশ করলেন। তখন আমি যমীনের পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্ত দেখে নিলাম। পৃথিবীর ততটুকু স্থান আমাকে দেখানো হয়েছে আমার উম্মতের শাসন বা রাজত্ব সে পর্যন্ত বিস্তার লাভ করবে। লাল ও সাদা দু�টি ধন-ভাণ্ডার আমাকে দেওয়া হলো।

عن ثوبان -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: "إن الله زَوَى لي الأرض، فرأيت مشارقها ومغاربها، وإن أمتي سيبلغ ملكُها ما زُوِيَ لي منها. وأعطيت الكنْزين الأحمر والأبيض. وإني سألت ربي لأمتي أن لا يهلكها بسَنَةٍ بعامةٍ، وأن لا يُسَلِّطَ عليهم عدوا من سوى أنفسهم فيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ؛ وإن ربي قال: يا محمد، إذا قضيتُ قضاءً فإنه لا يُرَدُّ، وإني أعطيتك لأمتك أن لا أهلكهم بسنة عامة، وأن لا أُسَلِّطَ عليهم عدوا من سوى أنفسهم فيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ ولو اجتمع عليهم مَنْ بأقطارها، حتى يكون بعضُهم يُهْلِكُ بعضًا ويَسْبِي بعضُهم بعضًا".
ورواه البرقاني في صحيحه، وزاد: "وإنما أخاف على أمتي الأئمةَ المضلين، وإذا وقع عليهم السيف لم يرفع إلى يوم القيامة. ولا تقوم الساعة حتى يلحق حي من أمتي بالمشركين، وحتى تعبد فِئامٌ من أمتي الأوثان. وإنه سيكون في أمتي كذابون ثلاثون؛ كلهم يزعم أنه نبي، وأنا خاتم النبيين لا نبي بعدي. ولا تزال طائفة من أمتي على الحق منصورة لا يضرهم من خذلهم حتى يأتي أمر الله تبارك وتعالى".

ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, �আল্লাহ তাআলা গোটা যমীনকে একত্রিত করে আমার সামনে পেশ করলেন। তখন আমি যমীনের পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্ত দেখে নিলাম। আমাকে যমীনের যে পর্যন্ত দেখানো হয়েছে আমার উম্মতের শাসন সে পর্যন্ত বিস্তার লাভ করবে। লাল ও সাদা দু�টি ধন ভাণ্ডার আমাকে দেওয়া হলো। আমি আমার রবের কাছে আমার উম্মতের জন্য এ আরজ করলাম, তিনি যেন আমার উম্মতকে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে ধ্বংস না করেন এবং তাদের নিজেদেরকে ব্যতীত অন্য কোনো শত্রুকে তাদের ওপর ক্ষমতাসীন করেন যার ফলে শত্রু তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করবে এবং তাদের সম্পদকে হালাল মনে করবে। আমার রব আমাকে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আমি যখন কোনো ফয়সালা করে ফেলি, তখন তা পরিবর্তন হয় না। আমি তোমাকে তোমার উম্মতের জন্য এ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, আমি তাদেরকে গণ দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে ধ্বংস করবো না এবং তাদের নিজেদেরকে ছাড়া বাহিরের শ্রুকে তাদের উপর চাপেয়ে দিবো না। ফরে তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করবে। যদিও সারা বিশ্বও তাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়। তবে আমার ফয়সালা এভাবে হয়ে আছে যে, আমার উম্মতেরই একজন অন্যজনকে ধ্বংস করবে আর একে অপরকে বন্দী করবে। বারকানী তাঁর সহীহ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে উক্ত বর্ণনায় নিম্নোক্ত কথাগুলো অতিরিক্ত এসেছে, �আমি আমার উম্মতের জন্য পথভ্রষ্ট শাসকদের আশঙ্কা করছি। একবার যদি তাদের উপর তরবারি উঠে কিয়ামত পর্যন্ত তা নামবে না। আর ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না যতক্ষণ না আমার একদল উম্মত মুশরিকদের সাথে মিলিত হবে এবং যতক্ষণ না আমার উম্মতের একটি শ্রেণি মূর্তিপূজা করবে। আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশ জন মিথ্যাবাদী অর্থাৎ ভণ্ড নবীর আবির্ভাব হবে।প্রত্যেকেই নিজেকে নবী বলে দাবী করবে। অথচ আমিই হচ্ছি সর্বশেষ নবী। আমার পর কোনো নবী নেই। কিয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মতের মধ্যে এমন একটি সাহায্যপ্রাপ্ত দল থাকবে যাদেরকে কোনো অপমানকারীর অপমান ক্ষতি করতে পারবে না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذا حديثٌ جليلٌ يشتمل على أمور مهمة وأخبار صادقة، يخبر فيها الصادق المصدوق -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- أن الله سبحانه جمع له الأرض حتى أبصر ما تملكه أمته من أقصى المشارق والمغارب، وهذا خبرٌ وُجد مخبره، فقد اتسع ملك أمته حتى بلغ من أقصى المغرب إلى أقصى المشرق، وأخبر أنه أُعطي الكنزين فوقع كما أخبر، فقد حازت أمته ملكي كسرى وقيصر بما فيهما من الذهب والفضة والجوهر، وأخبر أنه سأل ربه لأمته أن لا يهلكهم بجدبٍ عامٍّ ولا يسلط عليهم عدواً من الكفار يستولي على بلادهم ويستأصل جماعتهم، وأن الله أعطاه المسألة الأولى، وأعطاه المسألة الثانية ما دامت الأمة متجنبة للاختلاف والتفرق والتناحر فيما بينها، فإذا وُجد ذلك سلط عليهم عدوهم من الكفار، وقد وقع كما أخبر حينما تفرقت الأمة.
وتخوّف -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- على أمته خطر الأمراء والعلماء الضالين المضلين؛ لأن الناس يقتدون بهم في ضلالهم. وأخبر أنها إذا وقعت الفتنة والقتال في الأمة فإن ذلك يستمر فيها إلى يوم القيامة وقد وقع كما أخبر، فمنذ حدثتِ الفتنة بمقتل عثمان رضي الله عنه وهي مستمرة إلى اليوم.
وأخبر أن بعض أمته يلحقون بأهل الشرك في الدار والديانة. وأن جماعاتٍ من الأمة ينتقلون إلى الشرك وقد وقع كما أخبر، فعُبدت القبور والأشجار والأحجار.
وأخبر عن ظهور المدّعين للنبوة -وأن كل من ادعاها فهو كاذب؛ لأنها انتهت ببعثته -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ-. وبشّر -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- ببقاء طائفة من أمته على الإسلام رغمَ وقوع هذه الكوارث والويلات، وأن هذه الطائفة مع قِلّتها لا تتضرر بكيد أعدائها ومخالفيها.
এটি একটি মহান হাদীস, যা কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং কিছু সত্য ঘটনাকে অন্তর্ভুক্ত করে। যার মধ্যে সত্যবাদী নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানাচ্ছেন যে, আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য যমীনকে একত্র করেছেন। এমনকি পূর্ব ও পশ্চিমের যে পর্যন্ত তাঁর উম্মতের শাসন পৌঁছে যাবে তাও তিনি দেখেছেন। এটি এমন সংবাদ যা বাস্তবায়ন হয়েছে। তাঁর উম্মতের রাজত্ব সম্প্রসারিত হয়ে সুদূর পূর্ব থেকে সুদূর পশ্চিম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। তাঁর সংবাদ মোতাবেক তাঁকে দু�টি গুপ্তধন দেওয়া হয়েছে। তাঁর উম্মত পারস্য ও রোমক সম্রাটের রাজত্ব দখল করেছে এবং সেখানকার স্বর্ণ, রৌপ্য ও মণি-মুক্তার ধনভাণ্ডার আয়ত্ত করে নিয়েছে। আর তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি তাঁর রবের কাছে উম্মতের জন্য চেয়েছেন, তিনি যেন তাদেরকে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ দ্বারা ধ্বংস না করেন ও কাফির শত্রুদেরকে তাদের ওপর বিজয়ী না করেন। যাতে তারা মুসলিমদের দেশসমূহকে দখল করে ফেলবে এবং তাদের জামাআতকে সমূলে ধ্বংস করবে। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রথম চাওয়াটি গ্রহণ করেছেন এবং দ্বিতীয় চাওয়াটিও গ্রহণ করেছেন। তাঁর উম্মত যতদিন মতভেদ, দলাদলি এবং পারস্পরিক ঝগড়া বর্জন করেছিল, ততদিন আল্লাহ তাদের ওপর কোনো শত্রুকে শক্তিশালী করেননি। যখন তাদের মধ্যে পারস্পরিক ঝগড়া পাওয়া যাবে, তখনই তাদের ওপর কাফির শত্রুদের শক্তিশালী করে দিবেন। আর যখন তাঁর উম্মত বিভক্ত হয়েছে, তখনই তাঁর কথা বাস্তবায়ন হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতের উপর আমীর-উমারা ও পথভ্রষ্ট আলেমদের আশঙ্কা করেছেন। কেননা মানুষ পথভ্রষ্টটায় তাদের অনুসরণ করে। আর তিনি জানিয়েছেন যে, উম্মতের মধ্যে ফিতনা ও মারামারি শুরু হলে তা কিয়ামত পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। তিনি যা বলেছেন তাই হয়েছে। উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর হত্যার মাধ্যমে যে ফিতনা শুরু হয়েছে তা আজও চালু আছে। আর তিনি সংবাদ দিয়েছেন যে, তাঁর উম্মতের কিছু লোক ঘরবাড়ি এবং দীন-ধর্মসহ মুশরিকদের সাথে মিলিত হবে। আর উম্মতের একটি দল শির্কের দিকে ধাবিত হবে। তিনি যেমন বলেছেন তেমনি হয়েছে। কবর, গাছ-পালা ও পাথরের পূজা করা হয়েছে। আর তিনি নবুওয়ত দাবীদারের আবির্ভাব সম্পর্কে সংবাদ দিয়েছেন। যারাই নবুওয়াতের দাবী করবে তারাই মিথ্যাবাদী। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে নবুওয়াত বন্ধ হয়ে গেছে। আর তিনি সুসংবাদ দিয়েছেন যে, এসব বিপর্যয় ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সংঘটিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁর উম্মতের একটি দল ইসলামের ওপর টিকে থাকার। তাদের সংখ্যা কম হওয়ার পরও শত্রুদের ষড়যন্ত্র ও বিরোধীদের চক্রান্ত দ্বারা তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন। - এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3337

 
Hadith   250   الحديث
الأهمية: إن عظم الجزاء مع عظم البلاء، وإن الله -تعالى- إذا أحب قوما ابتلاهم؛ فمن رضي فله الرضى، ومن سخط فله السخط
থিম: বিপদ যত বড় হবে, প্রতিদানও তত মহান হবে। আল্লাহ তা'আলা যখন কোনো জাতিকে ভালোবাসেন তখন তাদেরকে (বিপদে ফেলে) পরীক্ষা করেন। যে লোক তাতে (বিপদে) সন্তুষ্ট থাকে, তার জন্য রয়েছে (আল্লাহ্ তা'আলার) সন্তুষ্টি। আর যে লোক তাতে অসন্তুষ্ট হয় তার জন্য রয়েছে (আল্লাহ তা'আলার) অসন্তুষ্টি।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- أنه قال: "إن عِظَمَ الجزاءِ مع عِظَمِ البلاءِ، وإن الله -تعالى- إذا أحب قوما ابتلاهم، فمن رَضِيَ فله الرِضا، ومن سَخِطَ فله السُّخْطُ".

আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, �বিপদ যত বড় হবে, প্রতিদানও তত মহান হবে। আল্লাহ তা'আলা যখন কোনো জাতিকে ভালোবাসেন তখন তাদেরকে (বিপদে ফেলে) পরীক্ষা করেন। যে লোক তাতে (বিপদে) সন্তুষ্ট থাকে, তার জন্য রয়েছে (আল্লাহ্ তা'আলার) সন্তুষ্টি। আর যে লোক তাতে অসন্তুষ্ট হয় তার জন্য রয়েছে (আল্লাহ তা'আলার) অসন্তুষ্টি।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا النبي -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث أن المؤمن قد يحل به شيء من المصائب في نفسه أو ماله أو غير ذلك، وأن الله سيثيبه على تلك المصائب إذا هو صبر، وأنه كلما عظمت المصيبة وعظم خطرها عظم ثوابها من الله، ثم يبين -صلى الله عليه وسلم- بأن المصائب من علامات حب الله للمؤمن، وأن قضاء الله وقدره نافذان لا محالة، ولكن من صبر ورضي، فإن الله سيثيبه على ذلك برضاه عنه وكفى به ثوابا، وأن من سخط وكره قضاء الله وقدره، فإن الله يسخط عليه وكفى به عقوبة.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসে আমাদের জানাচ্ছেন যে, মুমিন ব্যক্তি কখনো মুসিবতের সম্মুখীন হয় তার নিজের ব্যাপারে, তার সম্পদের ব্যাপারে বা অন্য কোনোভাবে। আর আল্লাহ তা�আলা তাকে ঐ বিপদের বিনিময়ে সাওয়াব দান করেন যদি সে ধৈর্যধারণ করে। বিপদাপদ ও তার ভয়াবহতা যত বড় হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার সাওয়াব তত বেশি হবে। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন যে, অবশ্যই মুনিনের জন্য মুসিবত হচ্ছে আল্লাহ তা�আলার ভালোবাসার নিদর্শন। নিঃসন্দেহে আল্লাহর সিদ্ধান্ত ও ক্ষমতা উভয় বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু যে ধৈর্য ধারণ করবে এবং সন্তুষ্ট থাকবে আল্লাহ তা�আলা অচিরেই তাকে এর প্রতিদান দিবেন। আর প্রতিদান দাতা হিসেবে তিনিই যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর ফায়সালা ও কুদরতের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট থাকবে আল্লাহ তা�আলা অবশ্যই তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন। আর শাস্তিদাতা হিসেবে তিনিই যথেষ্ট।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3339

 
Hadith   251   الحديث
الأهمية: مثل القائم في حدود الله والواقع فيها، كمثل قوم استهموا على سفينة فصار بعضهم أعلاها وبعضهم أسفلها، وكان الذين في أسفلها إذا استقوا من الماء مروا على من فوقهم
থিম: আল্লাহর নির্ধারিত সীমায় অবস্থানকারী এবং ঐ সীমা লংঘনকারী উপমা হল এক সম্প্রদায়ের মত; যারা একটি দ্বিতলবিশিষ্ট পানি-জাহাজে লটারি ক�রে কিছু লোক উপর তলায় এবং কিছু লোক নিচের তলায় স্থান নিল। সুতরাং পানির প্রয়োজনে নিচের তলার লোকেরা উপর তলায় যেতে লাগল।

عن النعمان بن بشير -رضي الله عنهما- مرفوعًا: �مَثَلُ القَائِم في حُدُود الله والوَاقِعِ فيها كمَثَل قَوم اسْتَهَمُوا عَلَى سَفِينَة فصارَ بعضُهم أَعلاهَا وبعضُهم أسفَلَها، وكان الذين في أسفَلِها إِذَا اسْتَقَوا مِنَ الماءِ مَرُّوا على من فَوقهِم، فَقَالُوا: لَو أَنَّا خَرَقْنَا فِي نَصِيبِنَا خَرْقاً وَلَم نُؤذِ مَنْ فَوقَنَا، فَإِنْ تَرَكُوهُم وَمَا أَرَادُوا هَلَكُوا جَمِيعاً، وَإِنْ أَخَذُوا عَلَى أَيدِيهِم نَجَوا وَنَجَوا جَمِيعاً�.

নু�মান ইবনে বাশীর রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �আল্লাহর নির্ধারিত সীমায় অবস্থানকারী (অর্থাৎ সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে বাধাদানকারী) এবং ঐ সীমা লংঘনকারী (উক্ত কাজ ত্যাগকারীর) উপমা হল এক সম্প্রদায়ের মত; যারা একটি (দ্বিতলবিশিষ্ট) জাহাজে লটারি ক�রে কিছু লোক উপর তলায় এবং কিছু লোক নিচের তলায় স্থান নিল। সুতরাং পানির প্রয়োজনে নিচের তলার লোকেরা উপর তলায় যেতে লাগল। ফলে নিচের তলার লোকেরা বলল, �আমরা যদি আমাদের ভাগে (নিচের তলায় কোন স্থানে) ছিদ্র ক�রে নেই এবং উপর তলার লোকদেরকে কষ্ট না দেই (কত ভালো হয়)। তখন যদি উপর তলার লোকেরা তাদেরকে নিজ ইচ্ছা ও কর্মের উপর ছেড়ে দেয়, তাহলে সকলেই (পানিতে ডুবে) ধ্বংস হয়ে যায়। আর যদি উপর তলার লোকেরা তাদের হাত ধরে বাধা দেয়, তাহলে তারা নিজেরাও বেঁচে যায় এবং সকলকেই বাঁচিয়ে নেয়।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث النعمان بن بشير الأنصاري -رضي الله عنهما- في باب الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر، عن النبي -صلى الله عليه وسلم- أنه قال: "مثل القائم في حدود الله والواقع فيها" القائم فيها يعني الذي استقام على دين الله فقام بالواجب، وترك المحرم، والواقع فيها أي: في حدود الله، أي: الفاعل للمحرم، أو التارك للواجب.
"كمثل قوم استهموا على سفينة" يعني ضربوا سهما، وهو ما يسمى بالقرعة، أيهم يكون الأعلى؟.
"فصار بعضهم أعلاها، وبعضهم أسفلها، وكان الذين في أسفلها إذا استقوا الماء"، يعني إذا طلبوا الماء؛ ليشربوا منه "مروا على من فوقهم"، يعني الذين في أعلاها؛ لأن الماء لا يقدر عليه إلا من فوق.
"فقالوا لو أنا خرقنا في نصيبنا"، يعني لو نخرق خرقا في مكاننا نستقي منه، حتى لا نؤذي من فوقنا، هكذا قدروا وأرادوا وتمنوا.
قال النبي -عليه الصلاة والسلام-: "فإن تركوهم وما أرادوا هلكوا جميعا"؛ لأنهم إذا خرقوا خرقا في أسفل السفينة دخل الماء، ثم أغرق السفينة كلها.
"وإن أخذوا على أيديهم" ومنعوهم من ذلك "نجوا ونجوا جميعا"، يعني نجا هؤلاء وهؤلاء.
وهذا المثل الذي ضربه النبي -صلى الله عليه وسلم- هو من الأمثال التي لها مغزى عظيم ومعنى عال، فالناس في دين الله كالذين في سفينة في لجة النهر، فهم تتقاذفهم الأمواج، ولابد أن يكون بعضهم إذا كانوا    كثيرين في الأسفل وبعضهم في أعلى، حتى تتوازن حمولة السفينة وقد لا يضيق بعضهم بعضا، وفيه أن هذه السفينة المشتركة بين هؤلاء القوم إذا أراد أحد منهم أن يخربها فإنه لابد أن يمسكوا على يديه، وأن يأخذوا على يديه؛ لينجوا جميعا، فإن لم يفعلوا هلكوا جميعا، هكذا دين الله، إذا أخذ العقلاء وأهل العلم والدين على الجهال والسفهاء نجوا جميعا، وإن تركوهم وما أرادوا هلكوا جميعا، كما قال الله -تعالى-: (واتقوا فتنة لا تصيبن الذين ظلموا منكم خاصة واعلموا أن الله شديد العقاب).

থিম: সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ থেকে বর্ণিত নু�মান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু �আনহুমার হাদীস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �আল্লাহর নির্ধারিত সীমায় অবস্থানকারী এবং ঐ সীমা লংঘনকারী উপমা হল। অর্থাৎ, যে আল্লাহর দ্বীনের ওপর অটুট রইল এবং এর ফলে সে তার ওপর অপির্ত দায়িত্ব পালন করল এবং নিষিদ্ধ বিষয়গুলো ছেড়ে দিল। তাতে পতিত হওয়ার অর্থ আল্লাহর সীমায় পতিত হওয়া অর্থাৎ হারাম কাজ করা অথবা অর্পিত ওয়াজিব দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া। �সে সম্প্রদায়ের মত; যারা একটি দ্বিতলবিশিষ্ট জাহাজে লটারি ক�রে�। অর্থাৎ তারা লটারির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করল যে কে উপরে থাকবে? �ফলে কিছু লোক উপর তলায় এবং কিছু লোক নিচের তলায় স্থান নিল। সুতরাং নিচের তলার লোকেরা যখন পানির প্রয়োজন বোধ করত� অর্থাৎ, যখন তারা পান করার জন্য পানি তলব করত। �তখন তারা তাদের উপরের লোকদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করত�। অর্থাৎ যারা তাদের উপরে। কারণ, উপর থেকে নেওয়া ছাড়া পানি পাওয়া সম্ভব নয়। �তখন নিচের তলার লোকেরা বলল, �আমরা যদি আমাদের ভাগে ছিদ্র ক�রে দিই, অর্থাৎ,আমরা যদি আমাদের স্থান ছিদ্র করে দেই তাহলে দিব্যি আমরা তা থেকে পানি ব্যবহার করতে পারব। আর উপর তলার লোকদেরকে কষ্টও দেব না। এ ভাবেই তারা পরিকল্পনা করল এবং ইচ্ছা ও আশা করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তখন যদি উপর তলার লোকেরা তাদেরকে নিজ ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয় (এবং সে কাজে বাধা না দেয়), তাহলে সকলেই (পানিতে ডুবে) ধ্বংস হয়ে যাবে। কারণ, যখন নৌকার নিচ দিয়ে ছিদ্র করবে, তখন নৌকায় পানি প্রবেশ করবে। অতঃপর নৌকা সবাইকে নিয়ে ডুবে যাবে। পক্ষান্তরে উপর তলার লোকেরা যদি তাদের হাত ধরে (জাহাজে ছিদ্র করতে) বাধা দেয়, তাহলে তারা নিজেরাও বেঁচে যায় এবং সকলকেই বাঁচিয়ে নেয়। এরা এবং তারা সবাই বেঁচে যাবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন তাতে রয়েছে একটি উচ্চ অর্থ এবং মহান তাৎপর্য। মানুষ আল্লাহর দীনের মধ্যে সমুদ্রের মাঝের নৌকার যাত্রীর মতো। তাদেরকে সমূদ্রের টেউ এদিক সেদিক নাড়াচ্ছে। আর যখন তাদের সংখ্যা বেশি হবে তখন অবশ্যই নৌকার ভারসাম্য রক্ষা এবং যাতে পরস্পরের কষ্ট না হয় সে জন্য তারা কতক উপরে এবং কতক নিচে অবস্থান নিতে বাধ্য। এতে বলা হয় যখন নৌকার যাত্রীদের মধ্য হতে কোন যাত্রী যদি নৌকা ছিদ্র করতে চায়, তখন সবার ওপর দায়িত্ব হলো তাকে বিরত রাখা এবং তার হাত ধরা, যাতে সবাই বাঁচতে পারে। যদি তারা এ কাজটি না করে তবে তারা সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে আল্লাহর দীন। যখন জ্ঞানী, আহলে ইলম এবং দ্বীনদার লোকেরা অজ্ঞ, মুর্খদের বাঁধা দেয় তবে সবাই নাজাত পাবে। আর যদি তাদেরেকে তাদের ইচ্ছানুযায়ী ছেড়ে দেয়া হয়, তারা সবাই ধ্বংস হবে। যেমন আল্লাহ তা�আলা বলেন, তোমরা ভয় কর সেই ফিতনাকে যা শুধু যারা অন্যায় করেছে তাদেরকে ঘ্রাস করবে না। আর তোমরা জেনে রাখো আল্লাহ কঠিন শাস্তি দাতা। [সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ২৫] ইবনে উসাইমীনের রিয়াদুস সালেহীনের ব্যাখ্যা (৪৩২-২/৪৩১)
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3341

 
Hadith   252   الحديث
الأهمية: أنا أغنى الشركاء عن الشرك؛ من عمل عملا أشرك معي فيه غيري تركته وشركه
থিম: �আমি সমস্ত অংশীদারদের অংশীদারি [শিরক] থেকে মুক্ত। যদি কেউ এমন আমল করে যাতে সে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করেছে, তাহলে আমি তাকে ও তার শির্ককে বর্জন করি।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعا: "قال -تعالى-: أنا أغنى الشركاء عن الشرك؛ من عمل عملا أشرك معي فيه غيري تركتُه وشِرْكَه".

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, মহান আল্লাহ বলেন, �আমি সমস্ত অংশীদারদের অংশীদারি [শিরক] থেকে মুক্ত। যদি কেউ এমন আমল করে যাতে সে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করেছে, তাহলে আমি তাকে ও তার শির্ককে বর্জন করি।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يروي النبي -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- عن ربه عز وجل -ويسمَّى بالحديث القدسي- أنه يتبرأ من العمل الذي دخله مشاركةٌ لأحد برياءٍ أو غيره؛ لأنه سبحانه لا يقبل إلا ما كان خالصاً لوجهه.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মহামহিম রব থেকে বর্ণনা করেন- এটিকে হাদীসে কুদসী বলে নামকরণ করা হয়- নিশ্চয় তিনি এমন কাজ থেকে মুক্ত যাতে রিয়া বা অন্য কিছুর মাধ্যমে কারো অংশগ্রহণ প্রবেশ করেছে। কেননা, আল্লাহ তা�আলা যা খালেস তার সন্তুষ্টির জন্য হয় তা ছাড়া (কোনো আমল) কবুল করেন না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3342

 
Hadith   253   الحديث
الأهمية: حدثوا الناس بما يعرفون، أتريدون أن يُكذَّب اللهُ ورسولهُ
থিম: মানুষ যা বুঝে তাই তাদের নিকট বল, তোমরা কি পছন্দ কর যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মিথ্যা বলা হোক।

عن علي بن أبي طالب -رضي الله عنه- قال: "حدثوا الناس بما يعرفون، أتريدون أن يُكذَّب اللهُ ورسولهُ؟".

�আলী রাদিয়াল্লাহু �আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �মানুষ যা বুঝে তাই তাদের নিকট বল, তোমরা কি পছন্দ কর যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মিথ্যা বলা হোক।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يرشد أمير المؤمنين علي بن أبي طالب -رضي الله عنه- إلى أنه لا ينبغي أن يحدث عامة الناس إلا بما هو معروف ينفع الناس في أصل دينهم وأحكامه من التوحيد وبيان الحلال والحرام ويُترك ما يشغل عن ذلك؛ مما لا حاجة إليه أو كان مما قد يؤدي إلى رد الحق وعدم قبوله مما يشتبه عليهم فهمه، ويصعب عليهم إدراكه.
আমিরুল মুমিনীন আলী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বর্ণনা করেন যে, সাধারণ জনগণকে শুধু এটিই বলা উচিৎ যা মানুষকে তাদের দীনের মূলনীতি ও বিধিবিধানের ক্ষেত্রে উপকারী। যেমন, তাওহীদ, হালাল-হারাম বর্ণনা করা। আর যা মানুষকে তার থেকে বিরত রাখে সেগুলো পরিহার করা, যার কোনো প্রয়োজন নেই অথবা যা মানুষের নিকট কঠিন হয়ে পড়ে ও যা বুঝা তাদের জন্যে কষ্টকর হয়, (সেগুলোও না বলা) যা তাদেরকে সত্য পরিহার ও তা গ্রহণ না করার দিকে ধাবিত করে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3344

 
Hadith   254   الحديث
الأهمية: يا فلان، ما لك؟ ألم تك تأمر بالمعروف وتنهى عن المنكر؟ فيقول: بلى، كنت آمر بالمعروف ولا آتيه، وأنهى عن المنكر وآتيه
থিম: �হে অমুক! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না (আমাদেরকে) সৎ কাজের আদেশ, আর অসৎ কাজে বাধা দান করতে?� সে বলবে, �অবশ্যই। আমি (তোমাদেরকে) সৎকাজের আদেশ দিতাম; কিন্তু আমি তা নিজে করতাম না এবং অসৎ কাজে বাধা দান করতাম; অথচ আমি নিজেই তা করতাম!

عن أسامة بن زيد بن حارثة -رضي الله عنهما- مرفوعًا: �يُؤتَى بِالرَّجُل يَومَ القِيَامَة فَيُلْقَى في النَّار، فَتَنْدَلِقُ أَقْتَاب بَطْنِه فَيدُورُ بِهَا كَمَا يَدُورُ الحِمَارُ فِي الرَّحَى، فَيَجْتَمِع إِلَيه أَهلُ النَّارِ، فَيَقُولُون: يَا فُلاَنُ، مَا لَكَ؟ أَلَم تَكُ تَأمُرُ بِالمَعرُوف وَتَنْهَى عَن المُنْكَر؟ فيقول: بَلَى، كُنتُ آمُرُ بِالمَعرُوف وَلاَ آتِيهِ، وَأَنهَى عَن المُنكَر وَآتِيهِ�.

উসামাহ ইবনে যায়দ ইবনে হারেসাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �কিয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আনা হবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। সেখানে তার নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে যাবে এবং সে তার চারিপাশে এমনভাবে ঘুরতে থাকবে, যেমন গাধা তার চাক্তির চারিপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামীরা তার কাছে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, �হে অমুক! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না (আমাদেরকে) সৎ কাজের আদেশ, আর অসৎ কাজে বাধা দান করতে?� সে বলবে, �অবশ্যই। আমি (তোমাদেরকে) সৎকাজের আদেশ দিতাম; কিন্তু আমি তা নিজে করতাম না এবং অসৎ কাজে বাধা দান করতাম; অথচ আমি নিজেই তা করতাম!

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذا الحديث فيه التحذير الشديد من الرجل الذي يأمر بالمعروف ولا يأتيه، وينهى عن المنكر ويأتيه، والعياذ بالله.
   تأتي الملائكة برجل يوم القيامة فيلقى في النار إلقاء، لا يدخلها برفق، ولكنه يلقى فيها كما يلقى الحجر في البحر، فتخرج أمعاؤه من بطنه من شدة الإلقاء، فيدور بأمعائه    كما يدور الحمار في الطاحون، فيجتمع إليه أهل النار، فيقولون له: ما لك؟ أي شيء جاء بك إلى هنا، وأنت تأمر بالمعروف وتنهى عن المنكر؟ فيقول مُقِرًّا على نفسه: كنت آمر بالمعروف ولا أفعله، وأنهى عن المنكر وأفعله، فالواجب على المرء أن يبدأ بنفسه فيأمرها بالمعروف وينهاها عن المنكر؛ لأن أعظم الناس حقا عليك بعد رسول الله -صلى الله عليه وسلم- نفسك.
এ হাদীসটিতে ঐ ব্যক্তির প্রতি কঠোর হুশিয়ারী করা হয়েছে যে মানুষকে ভালো কাজের আদেশ দেয় কিন্তু সে তা করে না এবং খারাপ কাজে বাঁধা দেয় কিন্তু সে নিজে বিরত থাকে না। �কিয়ামতের দিন ফিরিশতারা এক ব্যক্তিকে আনবে। অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তাতে তারা নমনীয়তার সাথে প্রবেশ করবে না। বরং তাতে নিক্ষেপ করা হবে যেমনিভাবে নদীতে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। ফলে তার নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে যাবে এবং সে তার চারিপাশে এমনভাবে ঘুরতে থাকবে, যেমন গাধা তার চাক্তির চারিপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামীরা তার কাছে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, �হে অমুক! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না (আমাদেরকে) সৎ কাজের আদেশ, আর অসৎ কাজে বাধা দান করতে?� সে স্বীকার করে বলবে �অবশ্যই। আমি (তোমাদেরকে) সৎকাজের আদেশ দিতাম; কিন্তু আমি তা নিজে করতাম না এবং অসৎ কাজে বাধা দান করতাম; অথচ আমি নিজেই তা করতাম। অতএব ব্যক্তির করণীয় হচ্ছে নিজেকে দ্বারা শুরু করা, সে নিজেকে প্রথম সৎ কাজের আদেশ করবে ও অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে, কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর তোমার ওপর সর্বাধিক হচ্ছে তোমার নফসের।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3345

 
Hadith   255   الحديث
الأهمية: لا تتخذوا قبري عيدا، ولا بيوتكم قبورا، وصلوا علي، فإن تسليمكم يبلغني أين كنتم
থিম: তোমরা আমার কবরকে মেলায় পরিণত করো না আর তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের সালাম আমার কাছে পৌঁছে যায়।

عن علي بن الحسين: "أنه رأى رجلا يجيء إلى فُرْجَةٍ كانت عند قبر النبي -صلى الله عليه وسلم- فيدخل فيها فيدعو، فنهاه، وقال: ألا أحدثكم حديثا سمعته من أبي عن جدي عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:� لا تتخذوا قبري عيدا، ولا بيوتكم قبورا، وصلوا علي، فإن تسليمكم يبلغني أين كنتم�.

আলী ইবনুল হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি একজন লোককে দেখতে পেলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কবরের পাশে একটি ছিদ্র পথে প্রবেশ করে সেখানে দু�আ করছে। তখন তিনি ঐ লোকটিকে এ ধরণের কাজ করতে নিষেধ করলেন। তাকে বললেন, �আমি কি তোমার কাছে সে হাদীসটি বর্ণনা করবো না, যা আমি আমার পিতার কাছ থেকে শুনেছি এবং তিনি শুনেছেন আমার দাদার কাছ থেকে, আর আমার দাদা শুনেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছ থেকে? তিনি বলেছেন, �তোমরা আমার কবরকে মেলায় পরিণত করো না আর তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত করো না। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের সালাম আমার কাছে পৌঁছে যায়।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا علي بن الحسين -رضي الله عنه- بأنه رأى رجلا يدعو الله سبحانه عند قبر النبي -صلى الله عليه وسلم-، وأنه نهاه عن ذلك مستدلا بحديث النبي -صلى الله عليه وسلم- الذي ورد فيه النهي عن اعتياد قبره للزيارة، والنهي عن تعطيل البيوت من عبادة الله وذكره، وتشبيهها بالمقابر مخبرا أن سلام المسلم سيبلغه -صلى الله عليه وسلم- في أي مكان كان فيه المسلّم.
আলী ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাদের জানান যে, তিনি একজন লোককে দেখেন, সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কবরের পাশে আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ করছে। তিনি তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস দ্বারা দলীল দিয়ে তাকে তা করতে নিষেধ করেন। যাতে যিয়ারতের জন্য তার কবরকে ঈদ উৎসব স্থল বানাতে নিষেধ করেন এবং ঘরসমূহকে আল্লাহ ইবদত, তার যিকির এবং কবরসমূহের সাদৃশ করতে নিষেধ করেন। আরো সংবাদ দিয়েছেন যে, সালাম প্রদানকারী যেখানেই থাকুক না কেন তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পৌঁছে যায়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[একাধিক সনদ ও শাওয়াহেদ (সমঅর্থে আরও) হাদীস থাকার কারণে সহীহ]    ← →    এটি ইবন আবী শাইবাহ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3346

 
Hadith   256   الحديث
الأهمية: إني أبرأ إلى الله أن يكون لي منكم خليل، فإن الله قد اتخذني خليلا كما اتخذ إبراهيم خليلا، ولو كنت متخذا من أمتي خليلا لاتخذت أبا بكر خليلا
থিম: তোমাদের কাউকে খলীল (বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ করা থেকে আমি আল্লাহর কাছে মুক্ত। কেননা আল্লাহ তাআলা আমাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যেমন তিনি ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর আমি যদি আমার উম্মত থেকে কাউকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম তাহলে অবশ্যই আবু বকরকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম।

عن جندب بن عبد الله -رضي الله عنه- قال: سمعت النبي -صلى الله عليه وسلم- قبل أن يموت بخمس، وهو يقول: �إني أبرأ إلى الله أن يكون لي منكم خليل، فإن الله قد اتخذني خليلا كما اتخذ إبراهيم خليلا، ولو كنت متخذا من أمتي خليلا لاتخذت أبا بكر خليلا، ألا وإن من كان قبلكم كانوا يتخذون قبور أنبيائهم مساجد، ألا فلا تتخذوا القبور مساجد، فإني أنهاكم عن ذلك�.

জুনদুব ইবন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাঁর মৃত্যুর পাঁচ দিন পূর্বে এ কথা বলতে শুনেছি, �তোমাদের কাউকে খলীল (বন্ধু) হিসেবে গ্রহণ করা থেকে আমি আল্লাহর কাছে মুক্ত। কেননা আল্লাহ তাআলা আমাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। যেমন তিনি ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আর আমি যদি আমার উম্মত থেকে কাউকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম তাহলে অবশ্যই আবু বকরকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করতাম। সাবধান, তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিগুলো তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করতো। সাবধান, তোমরা কবরকে মসজিদে পরিণত করো না। আমি তোমাদেরকে এ কাজ করতে নিষেধ করছি।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يتحدث -صَلّى اللَّه عَلَيْهِ وَسلّمَ- قبيل وفاته إلى أمته بحديث مهمّ، فيخبر عن مكانته عند الله، وأنها بلغت أعلى درجات المحبة، كما نالها إبراهيم -عليه السلام-، ولذلك نفى أن يكون له خليلٌ غير الله؛ لأن قلبه امتلأ من محبته وتعظيمه ومعرفته، فلا يتسع لأحد، والخلة في قلب المخلوق لا تكون إلا لواحد، ولو كان له خليلٌ من الخلق لكان أبا بكر الصديق -رضي الله عنه-، وهو إشارةٌ إلى فضل أبي بكر واستخلافه من بعده، ثم أخبر عن غلو اليهود والنصارى في قبور أنبيائهم حتى صيّروها متعبدات شركية، ونهى أمته أن يفعلوا مثل فعلهم، والنصارى ليس لهم إلا نبي واحد وهو عيسى، لكنهم يعتقدون أن له قبرًا في الأرض، والجمع باعتبار المجموع، والصحيح أن عيسى -عليه السلام- رفع ولم يصلب ولم يدفن.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মৃত্যুকালে তাঁর উম্মতকে গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদীস বলেন। এতে তিনি আল্লাহর নিকট তাঁর মর্যাদা সম্পর্কে সংবাদ দেন যে, তিনি মুহাব্বাতের সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছেন। যেমন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম পৌঁছে ছিলেন। এ জন্যই আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে বন্ধু করা থেকে তিনি বিরত ছিলেন। কেননা তাঁর অন্তর আল্লাহর মুহাব্বাত, বড়ত্ব এবং তার মারেফাত দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। এজন্য অন্য কারও জন্য তাতে জায়গা ছিল না। আর খুল্লাত তথা ভালোবাসার সর্বোচ্চ স্তর কোনো সৃষ্টির অন্তরে শুধু একজনের জনই হতে পারে। সৃষ্টিকুলে যদি তাঁর কোনো বন্ধু থাকতো তাহলে অবশ্যই তিনি আবূ বকর সিদ্দীক হতেন। আর এ বিষয়টি আবূ বকরের মর্যাদা এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পর তাঁর খেলাফতের দায়িত্বের প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। অতঃপর তিনি ইয়াহূদী ও খৃষ্টানরা তাদের নবীদের কবরসমূহকে নিয়ে বাড়াবাড়ির করে সেগুলোকে যে শির্কী ইবাদতখানায় পরিণত করেছে তার সংবাদ দিলেন। আর তিনি তাঁর উম্মতকে তাদের কর্মের ন্যায় কর্ম করতে নিষেধ করলেন। বস্তুত খৃষ্টানদের ঈসা আলাইহিস সালাম ছাড়া আর কোনো নবী নেই, কিন্তু তাদের বিশ্বাস যে, পৃথিবীতে ঈসা আলাইহিস সালামের একটি কবর আছে। খৃষ্টানদের মাত্র একজন নবী ঈসা আলাইহিস সালামের কবরের ক্ষেত্রেও قبور (কবরসমূহ) শব্দটিকে ইহুদীদের নবীদের সাথে মিলিয়ে বহুবচন ব্যবহার করা হয়েছে। সঠিক মত হলো, ঈসা আলাইহিস সালামকে আকাশে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাকে শূলিতে চড়ানো হয় নি এবং দাফনও করা হয় নি।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3347

 
Hadith   257   الحديث
الأهمية: كنت رجلا مذَّاءً، فاستحييت أن أسأل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لمكان ابنته مني، فأمرت المقداد بن الأسود فسأله، فقال: يغسل ذكره، ويتوضأ
থিম: আমার অধিক পরিমাণে �মযী� বের হত। কিন্তু আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করছিলাম। কারণ, তার কন্যা আমার নিকট। তাই এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য মিকদাদকে বললাম। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তার লিঙ্গ ধৌত করবে এবং অযু করবে।

عن علي بن أبي طالب -رضي الله عنه- قال: ((كُنتُ رَجُلاً مَذَّاءً, فَاسْتَحْيَيتُ أَن أَسأَل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لِمَكَان ابنَتِهِ مِنِّي, فَأَمرت المِقدَاد بن الأسود فَسَأَله, فقال: يَغْسِل ذَكَرَه, ويَتَوَضَّأ)).
وللبخاري: ((اغسل ذَكَرَك وتوَضَّأ)).
   ولمسلم: ((تَوَضَّأ وانْضَح فَرْجَك)).

থিম: �আলী ইব্নু আবূ তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার অধিক পরিমাণে �মযী� বের হত। কিন্তু আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করছিলাম। কারণ, তার কন্যা আমার নিকট। তাই এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য মিকদাদকে বললাম। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তার লিঙ্গ ধৌত করবে এবং অযু করবে। সহীহ বুখারীর বর্ণনায় রয়েছে, তোমার লিঙ্গ ধৌত কর এবং অযু কর। আর মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছে তুমি অযু কর এবং তোমার লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দাও।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يقول علي -رضي الله عنه-: كنت رجلًا كثير المذْيِ، وكنت أغتسل منه حتى شق عليَّ الغُسل؛ لأني ظننت حكمه حكم المني، فأردت أن أتأكد من حكمه، وأردت أن أسأل النبي -صلى الله عليه وسلم-، ولكن لكون هذه المسألة تتعلق بالفروج، وابنته تحتي، استحييت من سؤاله، فأمرتُ المقداد -رضي الله عنه- أن يسأله، فسأله فقال: إذا خرج منه المذي فليغسل ذَكَرَهُ حتى يتقلص الخارج الناشئ من الحرارة، ويتوضأ لكونه خارجًا من أحد السبيلين، والخارج من أحدهما من نواقض الوضوء، فيكون -صلى الله عليه وسلم- قد أرشد السائل بهذا الجواب إلى أمر شرعي وأمر طبي.
�আলী ইব্নু আবূ তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমার অধিক পরিমাণে �মযী� বের হত। এর কারণে আমি গোসল করতাম এমনকি গোসল করা আমার জন্য কষ্টকর হলো। কারণ আমি ভাবছিলাম এর হুকুমও বীর্যের হুকুমের মতো। তাই আমি তার বিধান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইলাম এবং আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে চাইলাম। যেহেতু এ মাসআলাটি লজ্জাস্থানের সাথে সম্পৃক্ত এবং তার মেয়ে আমার অধীনে তাই আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে লজ্জাবোধ করছিলাম। তাই এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য মিকদাদকে বললাম। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যখন তার মযী বের হয় তখন সে তার লিঙ্গ ধৌত করবে। যাতে উত্তেজনা থেকে সৃষ্ট নির্গত পানির ছিটা দ্বারা নিস্তেজ হয়ে যায়। আর সে অযু করবে। কারণ এটি পায়খানা পেশাবের রাস্তা দিয়ে বের হওয়া বস্তুরই একটি যা হলো ওযু ভঙ্গের কারণ। আল্লাহর রাসূল এ উত্তর দ্বারা প্রশ্নকারীকে শর�ঈ বিধান ও ডাক্তারী বিধান উভয়টি সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। - এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3348

 
Hadith   258   الحديث
الأهمية: لا تجعلوا بيوتكم قبورا، ولا تجعلوا قبري عيدا، وصلوا عليّ فإن صلاتكم تبلغني حيث كنتم
থিম: তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবর বানাবে না এবং আমার কবরকে মেলার স্থল বানাবে না। তোমরা আমার ওপর দুরূদ পড়ো। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের দুরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �لا تجعلوا بيوتكم قبورا، ولا تجعلوا قبري عيدا، وصلوا عليّ فإن صلاتكم تبلغني حيث كنتم�.

আবূ হরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �তোমরা তোমাদের ঘরগুলোকে কবর বানাবে না এবং আমার কবরকে মেলার স্থল বানাবে না। তোমরা আমার ওপর দুরূদ পড়ো। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের দুরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
نهى -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- عن إخلاء البيوت من صلاة النافلة فيها والدعاء وقراءة القرآن فتكون بمنزلة القبور؛ لأن النهي عن الصلاة عند القبور قد تقرر عندهم فنهاهم أن يجعلوا بيوتهم كذلك، ونهى عن تكرار زيارة قبره والاجتماع عنده على وجهٍ معتاد؛ لأن ذلك وسيلةٌ إلى الشرك، وأمر بالاكتفاء عن ذلك بكثرة الصلاة والسلام عليه في أي مكان من الأرض؛ لأن ذلك يبلغه من القريب والبعيد على حدّ سواء، فلا حاجة إلى التردد إلى قبره.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নফল সালাত পড়া, দু�আ করা এবং কুরআন তিলাওয়াত থেকে ঘরসমূহকে শূণ্য রাখতে নিষেধ করেছেন। অন্যথায় তা কবরের পর্যায় চলে যায়। কেননা কবরের কাছে সালাত পড়ার নিষেধাজ্ঞাটি তাদের কাছে সাব্যস্ত ছিল, তাই তাদের ঘরগুলোকে সালাত শূণ্য রেখে কবরের মতো করতে নিষেধ করেছেন। আর তাঁর কবর বার বার যিয়ারত করতে এবং অভ্যাসগতভাবে সেখানে একত্রিত হতে নিষেধ করেছেন। কেননা এটি শির্কের মাধ্যম। এর বদলে তিনি পৃথিবীর যে কোনো স্থান থেকে তার ওপর বেশি বেশি সালাত ও সালাম প্রেরণ করার আদেশ দিয়েছেন। কেননা নিকট ও দূর থেকে সমানভাবে তাঁর কাছে তা পৌঁছে যায়। সুতরাং তাঁর কবরের কাছে বার বার আসা-যাওয়া করার প্রয়োজন নেই।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3350

 
Hadith   259   الحديث
الأهمية: يا رسول الله, إن الله لا يستحيي من الحق، فهل على المرأة من غسل إذا هي احتلمت؟ فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: نعم, إذا رأت الماء
থিম: হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ্ হক কথা প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। মহিলাদের স্বপ্নদোষ হলে কি গোসল করতে হবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �হ্যাঁ, যখন সে বীর্য দেখতে পাবে।

عن أم سلمة -رضي الله عنها- قالت: �جاءت أمُّ سُلَيمٍ امرأةُ أَبِي طَلحة إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقالت: يا رسول الله, إنَّ الله لا يَسْتَحيِي من الحَقِّ, فهل على المرأة من غُسْلٍ إِذَا هِيَ احْتَلَمَت؟ فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: نعم, إِذَا رَأَت المَاء�.

উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, �আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আবু তালহার স্ত্রী উম্মু সুলায়ম এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ্ হক কথা প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। মহিলাদের স্বপ্নদোষ হলে কি গোসল করতে হবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �হ্যাঁ, যখন সে বীর্য দেখতে পাবে�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جاءت أم سليم الأنصارية -رضي الله عنها- إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- لتسأله، ولما كان سؤالها مما يتعلق بالفروج، وهي مما يستحيا من ذكره عادة قدمت بين يدي سؤالها تمهيداً لإلقاء سؤالها؛ حتى يخف موقعه على السامعين.
   فقالت: إن الله -عز وجل- وهو الحق، لا يمتنع من ذكر الحق الذي يستحيا من ذِكره من أجل الحياء، مادام في ذكره فائدة، فلما ذكرت أم سليم هذه المقدمة التي لطفت بها سؤالها، دخلت في صميم الموضوع، فقالت: هل على المرأة غسل إذا هي تخيلت في المنام أنها تجامع؟ فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: نعم، عليها الغسل، إذا هي رأت نزول ماء الشهوة.
উম্মু সুলাইম আল-আনসারী রাদিয়িাল্লাহু আনহা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিজ্ঞাসা করার জন্য আসলেন। যেহেতু প্রশ্নটি লজ্জাস্থানের সাথে সম্পৃক্ত যে বিষয়ে প্রশ্ন করতে সাধারণত মানুষ লজ্জাবোধ করে তাই তিনি প্রশ্নটি উত্থাপন করার পূর্বে একটি ভুমিকা পেশ করেন যাতে শ্রোতাদের জন্য তার অবস্থান গোপন থাকে। তাই তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহ্ হক। তিনি হক প্রকাশ করা থেকে নিবৃত হন না, যদি তার মধ্যে কল্যাণ থাকে, যা উল্লেখ করতে সাধারণত লজ্জাবোধ করা হয়, যখন উম্মে সুলাইম এ ভুমিকা তুলে ধরলেন যার কারণে তার জিজ্ঞাসা করা সহজ হলো এবং আলোচ্য বিষয়ে গভীরে প্রবেশ করে বললেন, যখন কোন মহিলা ঘুমের ঘোরে দেখে যে সে সহবাস করছে তখন তার ওপর গোসল করা ওয়াজিব হবে কি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �হ্যাঁ, তার ওপর গোসল করা ওয়াজিব। যখন সে বীর্য / যৌনপানি নির্গত হওয়া দেখতে পাবে।�
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3351

 
Hadith   260   الحديث
الأهمية: لا تقولوا: ما شاء الله وشاء فلان، ولكن قولوا: ما شاء الله ثم شاء فلان
থিম: তোমরা বলো না যে, আল্লাহ যা চান এবং অমুক লোক যা চায়। সুতরাং তোমরা বলো, আল্লাহ যা চান, অতঃপর অমুক যা চায়।

عن حذيفة بن اليمان - رضي الله عنهما- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: �لا تقولوا: ما شاء الله وشاء فلان، ولكن قولوا: ما شاء الله ثم شاء فلان�.

হুয়ায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, �তোমরা বলো না যে, আল্লাহ যা চান এবং অমুক লোক যা চায়। সুতরাং তোমরা বলো, আল্লাহ যা চান, অতঃপর অমুক যা চায়।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
ينهى - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- أن يُعطف اسم المخلوق على اسم الخالق بالواو بعد ذكر المشيئة ونحوها؛ لأن المعطوف بها يكون مساوياً للمعطوف عليه؛ لكونها إنما وُضعت لمطلق الجمع فلا تقتضي ترتيباً ولا تعقيباً؛ وتسوية المخلوق بالخالق شركٌ، ويُجوِّز -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- عطف المخلوق على الخالق بثُمّ؛ لأن المعطوف بها يكون متراخياً عن المعطوف عليه بمهلة فلا محذور؛ لكونه صار تابعاً.
চাওয়া ইত্যাদি উল্লেখ করার পর স্রষ্টার নামের ওপর �ওয়াও� অব্যয় দ্বারা সৃষ্টির নামের সংযোজন করতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। কেননা �ওয়াও� দ্বারা সংযোজন করলে তার পরের শব্দ তার পূর্বের শব্দের সমান হয়ে যায। কারণ একাধিক বস্তুকে একই হুকুমে একত্রিত করার জন্য ওয়াও অক্ষরটি গঠন করা হয়েছে। এটি ধারাবাহিকতা ও বিলম্বের দাবি রাখে না। আর এ কথা দিবালোকের ন্যায় পরিস্কার যে, সৃষ্টিকে স্রষ্টার সমান করা শির্ক। পক্ষান্তরে সৃষ্টিকে স্রষ্টার সাথে সুম্মা (অতঃপর) দ্বারা সংযোজন করা বৈধ। কেননা ছুম্মা (অতঃপর) এর পরের শব্দকে তার পূর্বের শব্দের সাথে সংযোজন করলে সংযোজিত শব্দটি ছুম্মার পূর্বের শব্দের পরে হয়ে থাকে। অর্থাৎ ছুম্মা এর পরের শব্দটি তার পূর্বের শব্দের পরে হয়। সুতরাং তাকে কোনো দোষ নেই। কেননা এতে ছুম্মা এর পরের শব্দ তার পূর্বের শব্দের অনুগামী হয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3352

 
Hadith   261   الحديث
الأهمية: لأن أحلف بالله كاذبًا أحب إليَّ من أن أحلف بغيره صادقًا
থিম: আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে সত্য শপথ করার চেয়ে শ্রেয়।

عن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- قال: "لأن أحلف بالله كاذبًا أحب إليَّ من أن أحلف بغيره صادقًا".

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করা আমার কাছে আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে সত্য শপথ করার চেয়ে উত্তম।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يقول ابن مسعود -رضي الله عنه-: إقسامي بالله على شيء أنا كاذبٌ فيه على فرض وقوعه أحب إلي من إقسامي بغير الله على شيءٌ أنا صادقٌ فيه؛ وإنما رجح الحلف بالله كاذباً على الحلف بغيره صادقاً؛ لأن الحلف بالله في هذه الحالة فيه حسنة التوحيد، وفيه سيئة    الكذب، والحلف بغيره صادقاً فيه حسنة الصدق وسيئة الشرك، وحسنة التوحيد أعظم من حسنة الصدق، وسيئة الكذب أسهل من سيئة الشرك
থিম: ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, কোনো একটি মিথ্যা বিষয়ে আল্লাহর নামে কসম খাওয়া আমার কাছে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে সত্য কসম খাওয়ার চেয়ে উত্তম। তিনি আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করাকে অন্য কারো নামে সত্য শপথ করার উপর প্রধান্য দিয়েছেন। কেননা এখানে আল্লাহর নামে শপথের মাধ্যমে তাওহীদের সাওয়াব পাওয়া যাবে, যদিও এখানে মিথ্যার গুনাহ রয়েছে। অন্য কারো নামে সত্য শপথ করার মধ্যে সত্যবাদীতার কল্যাণ রয়েছে। কিন্তু তাতে রয়েছে শির্কের গুনাহ। তবে তাওহীদের ছাওয়াব সত্যবাদিতার ছাওয়াবের চেয়ে বেশি। আর মিথ্যাবাদিতার গুনাহ শির্কের গুনাহর চেয়ে সহজতর।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন আবী শাইবাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি আব্দুর রায্যাক বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3353

 
Hadith   262   الحديث
الأهمية: إن الله -تعالى- يغار، وغيرة الله -تعالى-، أن يأتي المرء ما حرم الله عليه
থিম: নিশ্চয় মহান আল্লাহ ঈর্ষা করেন এবং আল্লাহর ঈর্ষা হচ্ছে যখন মানুষ আল্লাহ কর্তৃক হারামকৃত কোন কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعًا: �إِنَّ الله -تَعَالى- يَغَارُ، وغَيرَةُ الله -تَعَالَى-، أَنْ يَأْتِيَ المَرء ما حرَّم الله عليه�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, �নিশ্চয় মহান আল্লাহ ঈর্ষা করেন এবং আল্লাহর ঈর্ষা হচ্ছে যখন মানুষ আল্লাহ কর্তৃক হারামকৃত কোন কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جاء الحديث ليبين أن الله يغار على محارمه، يبغض ويكره انتهاك حدوده، ومن ذلك فاحشة الزنا، فهو طريق سافل سيِّئ، ومِن ثَمَّ حرَّم الله على عباده الزنا وجميع وسائله، فإذا زنى العبد، فإنَّ الله يغار غيرة أشد وأعظم من غيرته على ما دونه من المحارم، وكذلك أيضا اللِّوَاط، وهو إتيان الذَكَر، فإِنَّ هذا أعظم وأعظم؛ ولهذا جعله الله تعالى أشدَّ في الفُحش من الزنا.
   وكذلك أيضا السرقة وشرب الخمر وكل المحارم يغار الله منها، لكن بعض المحارم تكون أشد غيرة من بعض، حسب الجُرم، وحسب المضَّار التي تترتَّب على ذلك.
এ হাদীসটি এ কথার বর্ণনা দেওয়ার জন্য বর্ণিত যে, নিশ্চয় মহান আল্লাহ তার নিষিদ্ধ বিষয়সমূহে ঈর্ষান্বিত হন এবং তার বিধান লঙ্ঘন করাকে অপছন্দ করেন। তার মধ্যে একটি ব্যবিচার করা। এটি একটি নিম্ন ও মন্দ পথ। এ কারণেই আল্লাহ তার বান্দাদের ওপর ব্যভিচার ও তার যাবতীয় উপকরণকে হারাম করেছেন। যখন বান্দা ব্যভিচার করে তখন আল্লাহ তা�আলা অন্যান্য হারামের ওপর ঈর্ষা করার চেয়ে অনেক বেশী ও কঠিন ইর্ষা করেন।অনুরূপভাবে সমকাম। আর তা হলো পুরুষে পুরুষে যৌনাচার করা। এটি বড় ও আরও বড় পাপ। এ কারণেই একে আল্লাহ তা�আলা যিনা থেকেও মারাত্মক ও জঘন্য অপরাধ সাব্যস্ত করেছেন।
অনুরূপভাবে চুরি করা, মদ পান করা ও অন্যান্য নিষিদ্ধ কাজের কারণে আল্লাহ আল্লাহ তা�আলা ক্ষুব্ধ হন। তবে অন্যায় ও তার ওপর যে ক্ষতি হয় তার বিবেচনায় কোন কোন অপরাধে কোন কোন অপরাধ থেকে বেশি ক্ষুব্ধ হন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3354

 
Hadith   263   الحديث
الأهمية: لتتبعن سنن من كان قبلكم، حذو القذة بالقذة، حتى لو دخلوا جحر ضب لدخلتموه. قالوا: يا رسول الله، اليهود والنصارى؟ قال: فمن؟
থিম: তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেদের রীতি-নীতির অনুসরণ করবে। যেমন এক পালক অন্য পালকের সমান হয়। এমনকি তারা যদি দব্ব (গুইসাঁপ সদৃশ প্রাণী) গর্তে ঢুকে, তাহলে তোমরাও প্রবেশ করবে। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কি ইয়াহূদী ও নাসারা? তিনি বললেন, আর কারা?

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- مرفوعاً: "لتتبعن سنن من كان قبلكم، حذو القذة بالقذة، حتى لو دخلوا جحر ضب لدخلتموه. قالوا: يا رسول الله، اليهود والنصارى؟ قال: فمن؟ "
থিম: আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মরফূ হিসেবে বর্ণিত, �তোমরা অবশ্যই তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেদের রীতি-নীতির অনুসরণ করবে। যেমন এক পালক অন্য পালকের সমান হয়। এমনকি তারা যদি দব্ব (গুইসাঁপ সদৃশ প্রাণী) গর্তে ঢুকে, তাহলে তোমরাও প্রবেশ করবে। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এরা কি ইয়াহূদী ও নাসারা? তিনি বললেন, তারা ব্যতীত আর কারা?�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا أبو سعيد -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أخبر بأن هذه الأمة ستقلد الأمم السابقة في عاداتها وسياساتها ودياناتها، وأنها ستحاول مشابهتهم في كل شيء، كما تشبه ريشة السهم للريشة الأخرى، ثم أكد هذه المشابهة والمتابعة بأن الأمم السابقة لو دخلت جحر ضب مع ضيقه وظلمته لحاولت هذه الأمة دخوله، ولما استفسر الصحابة -رضي الله عنهم- عن المراد بمن كان قبلهم، وهل هم اليهود والنصارى؟ أجاب بنعم.
আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাদের সংবাদ দিচ্ছেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানিয়েছেন, এই উম্মত অচিরেই পূর্ববর্তী জাতিসমূহের অভ্যাস, রাজনীতি এবং ধর্মীয় রীতি-নীতির অনুসরণ করবে। সর্বক্ষেত্রেই তারা তাদের সাথে মিল রাখতে চেষ্টা করবে। যেমন তীরের এক পাশের পালক অন্য পাশের পালকের সাথে সাদৃস্য রাখে। অতঃপর এ সাদৃশ্যতাকে জোর প্রদান করেছেন এভাবে যে পূর্ববর্তী উম্মত গুইসাপের সংকীর্ণ ও অন্ধকার গর্তে প্রবেশ করে থাকলে এই উম্মত ওখানে প্রবেশ করবে। যখন সাহাবীগণ জানতে চাইলো, এই পূর্ববর্তীরা বলতে কারা উদ্দেশ্য? তারা কি ইয়াহূদী এবং নাসারা? তখন তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3355

 
Hadith   264   الحديث
الأهمية: إذا لبستم، وإذا توضأتم، فابدأوا بأيامنكم
থিম: যখন তোমরা কাপড় পরিধান করবে ও ওযূ করবে তখন তোমরা তোমাদের ডান দিক থেকে আর   ‎ম্ভ করবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعًا: �إِذَا لَبِسْتُم، وَإِذَا تَوَضَّأتُم، فَابْدَأُوا بَأَيَامِنُكُم�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যখন তোমরা কাপড় পরিধান করবে ও ওযূ করবে তখন তোমরা তোমাদের ডান দিক থেকে আর   ‎ম্ভ করবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أكَّد حديث أبي هريرة -رضي الله عنه- موضوع استحباب التيمن في الأمور الكريمة، فروى أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:
"إذا لبستم" أي أردتم اللبس
و"إذا توضأتم" أي أردتم أعماله.
   "فابدءوا بأيامنكم" جمع أيمن وهو خلاف الأيسر، فيدخل الجانب الأيمن في نحو القميص، قبل الأيسر ويقدم اليمنى من يديه ورجليه في الوضوء، ثم اعلم أن من أعضاء الوضوء ما لا يستحب فيه التيامن، وهو الأذنان، والكفان، والخدان، بل يطهران دفعة واحدة، فإن تعذر ذلك كما في حق الأقطع ونحوه قدَّم اليمين.
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীসটি যাবতীয় ভালো কর্মে ডান দিক মুস্তাহাব হওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়। তাই তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �যখন তোমরা পরিধান কর� অর্থাৎ তোমরা পরিধান করার ইচ্ছা কর। �এবং যখন তোমরা ওযু কর� অর্থাৎ ওযু করার ইচ্ছা কর, �তখন তোমরা তোমাদের ডান দিক থেকে শুরু কর�। �আয়ামান� আইমান এর বহুবচন অর্থ বামের বিপরীত। সুতরাং জামার পরিধানে তোমরা বামের পূর্বে ডান হাতকে আগে বাড়াবে এবং ওযুর সময় হাত ও পায়ের ক্ষেত্রে ডানকে আগে বাড়াবে। বিকলাঙ্গ ব্যক্তি ওযূর সব আমলে ডানকে গ্রহন করবে। অতঃপর যেনে রাখা ভালো যে, ওযূর কতক অঙ্গ আছে যাতে ডান দিক মুস্তাহাব নয়। আর তা হলো দুই কান, কব্জি, চেহারা। বরং তা একবারেই করবে। যদি তা কষ্টকর হয়, যেমন বিকলাঙ্গের ইত্যাদির ক্ষেত্রে তখন ডানকে আগে বাড়াবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3356

 
Hadith   265   الحديث
الأهمية: من ابتلي من هذه البنات بشيء فأحسن إليهن كُنَّ له سترًا من النار
থিম: যাকে এই কন্যা সন্তান দিয়ে কোন পরীক্ষায় ফেলা হয়, তারপর যদি সে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করে, তাহলে এ কন্যারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে অন্তরাল হবে।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: دَخَلَت عَلَيَّ امرأَة ومعَهَا ابنَتَان لَهَا، تَسْأَل فَلَم تَجِد عِندِي شَيئًا غَير تَمرَة وَاحِدَة، فَأَعْطَيتُهَا إِيَّاهَا فَقَسَمتْهَا بَينَ ابنَتَيهَا وَلَم تَأكُل مِنهَا، ثُمَّ قَامَت فَخَرَجَت، فَدَخَل النبي -صلى الله عليه وسلم- علينا، فَأَخْبَرتُه فقال: �مَنْ ابْتُلِيَ مِنْ هذه البنَاتِ بِشَيءٍ فأَحْسَن إِلَيهِنَّ، كُنَّ لَهُ سِتْرًا مِن النَّار�.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আন্হা কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা তার দু�টি মেয়ে সঙ্গে নিয়ে আমার নিকট ভিক্ষা চাইল। অতঃপর সে আমার নিকট একটি খুরমা ব্যতীত কিছুই পেল না। সুতরাং আমি তা তাকে দিয়ে দিলাম। মহিলাটি তার দু�মেয়েকে খুরমাটি ভাগ ক�রে দিল এবং সে নিজে তা থেকে কিছুই খেল না, অতঃপর সে উঠে বের হয়ে গেল। ইতোমধ্যে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন। আমি তাঁকে বিষয়টি জানালাম। তখন তিনি বললেন, �যাকে এই কন্যা সন্তান দিয়ে কোন পরীক্ষায় ফেলা হয়, তারপর যদি সে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করে, তাহলে এ কন্যারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে অন্তরাল হবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
دخلت على عائشة -رضي الله عنها- امرأة ومعها ابنتان لها تسأل -وذلك لأنها فقيرة- قالت: فلم تجد عندي إلا تمرة واحدة، قالت: فأعطيتها إياها فقسمتها بين ابنَتَيها نِصفَين، وأَعطَت وَاحِدة نصف التمرة، وأعطت الأخرى نصف التمرة الآخر، ولم تأكل منها شيئا.
فدخل النبي -صلى الله عليه وسلم- على عائشة فأخبرته لأنها قصة غريبة عجيبة، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: "من ابتلي بشيء من هذه البنات فأحسن إليهن كن له سترا من النار".
   ولا يفهم من قوله -صلى الله عليه وسلم-: "من ابتلي": بلوى الشر، لكن المراد: من قُدِّر له، كما قال الله -تعالى-: (ونبلوكم بالشر والخير فتنة وإلينا ترجعون) . يعني من قُدِّر له ابنتان فأحسن إليهما كُنَّ له سِترا من النَّار يوم القيامة، يعني أن الله -تعالى- يحجِبُه عن النار بِإِحسانه إلى البنات؛ لأنَّ البِنت ضعيفة لا تستطيع التَكَسُّب، والذي يكتسب هو الرجل، قال الله -تعالى-: (الرجال قوامون على النساء بما فضل الله بعضهم على بعض وبما أنفقوا من أموالهم)    .

থিম: আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আন্হার নিকট কোনো মহিলা তার দু�টি মেয়ে সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করল। সে যেহেতু ফকীর ছিল তাই সে তার নিকট ভিক্ষা চাইল। তিনি বলেন, সে আমার নিকট একটি খুরমা ব্যতীত কিছুই পেল না। সে বলল, সুতরাং আমি তা তাকে দিয়ে দিলাম। মহিলাটি খুরমাটিকে দুই ভাগ করল। তারপর সে তার দু�মেয়েকে অর্ধেক ক�রে দিয়ে দিল এবং সে নিজে তা থেকে কিছুই খেল না। ইতোমধ্যে নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশার নিকট প্রবেশ করলেন। তিনি তাঁকে বিষয়টি জানালেন। কারণ, এটি ছিল একটি আশ্চর্য ও অভিনব ঘটনা। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বললেন, �যাকে এই কন্যা সন্তান দিয়ে কোন পরীক্ষায় ফেলা হয়, তারপর যদি সে তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করে, তাহলে এ কন্যারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে অন্তরাল হবে। এখানে পরীক্ষায় ফেলা দ্বারা এ কথা বুঝা যায় না যে, তাকে কোন খারাপ বিপদে ফেলা হবে। বরং এখানে উদ্দেশ্য হলো যাকে দুটি কন্যা সন্তান দান করা হলো এবং সে তাদের প্রতি সুন্দর আচরণ করল, তারা কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুণ থেকে অন্তরাল হবে। অর্থাৎ, সন্তানদের প্রতি দয়া করার কারণে আল্লাহ তা�আলা তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে বিরত রাখবে। কন্যা সন্তান সাধারণত দূর্বল তারা কামাই উপার্যন করতে পারে না। পুরুষরাই উপার্যন করে থাকে। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তাদের কতক কতকের ওপর ফযীলত দেওয়া এবং তারা তাদের সম্পদ থেকে খরচ করার কারণে পুরুষরা নারীদের ওপর দায়িত্বশীল। [সূরা নিসা, আয়াত: ৩৪]
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম), তবে শব্দ সহীহ বুখারীর।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3358

 
Hadith   266   الحديث
الأهمية: من حلف بغير الله قد كفر أو أشرك
থিম: �যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহর নামে শপথ করল, সে কুফুরী অথবা শির্ক করল।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- مرفوعاً: "من حلف بغير الله قد كفر أو أشرك"
থিম: আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত: �যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহর নামে শপথ করল, সে যেন কুফুরী অথবা শির্ক করল।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- في هذا الحديث خبراً معناه النهي: أن من أقسم بغير الله من المخلوقات فقد اتخذ ذلك المحلوف به شريكاً لله وكفر بالله؛ لأن الحلف بالشيء يقتضي تعظيمه، والعظمة في الحقيقة إنما هي لله وحده، فلا يُحلف إلا به أو بصفة من صفاته.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসটিতে এমন একটি সংবাদ দেন যার অর্থ নিষিদ্ধ করণ: যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাখলুকের নামে শপথ করল, সে যার দ্বারা শপথ করল তাকে আল্লাহর সাথে শরীক সাব্যস্ত করল এবং আল্লাহর সাথে কুফুরী করল। কারণ, কোনো কিছু দ্বারা শপথ করার দাবি হলো তাকে সম্মান করা। আর এ জাতীয় সম্মান একমাত্র আল্লাহর জন্য। সুতরাং আল্লাহর নাম বা তার কোনো গুণবাচক নাম ছাড়া আর কোনো কিছু দ্বারা শপথ করা যাবে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3359

 
Hadith   267   الحديث
الأهمية: من عال جاريتين حتى تبلغا جاء يوم القيامة أنا وهو كهاتين
থিম: যে ব্যক্তি দু�টি কন্যার লালন-পালন তাদের সাবালিকা হওয়া অবধি করবে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দু�টি আঙ্গুলের মত পাশাপাশি আসব।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- مرفوعاً: �مَنْ عَالَ جَارِيَتَين حتَّى تَبلُغَا جاء يَومَ القِيَامَة أَنَا وَهُو كَهَاتَين� وضَمَّ أَصَابِعَه.

আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �যে ব্যক্তি দু�টি কন্যার লালন-পালন তাদের সাবালিকা হওয়া অবধি করবে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দু�টি আঙ্গুলের মত পাশাপাশি আসব�। অতঃপর তিনি তাঁর আঙ্গুলগুলি মিলিত করে (দেখালানে)।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في هذا الحديث فضل عول الإنسان للبنات، وذلك أنَّ البنت قاصرة ضعيفة، والغالب أنَّ أهلها لا يأبَهُون بها، ولا يهتمُّون بها، فلذلك قال النبي -صلى الله عليه وسلم-: "من عال جاريتين حتى تبلغا، جاء يوم القيامة أنا وهو كهاتين" وضَمَّ إصبعيه: السبابة والوسطى، والمعنى أنه يكون رفيقا لرسول الله -صلى الله عليه وسلم- في الجنة إذا عال الجارتين، يعني الأنثيين من بنات أو أخوات أو غيرهما، أي أنه يكون مع النبي -صلى الله عليه وسلم- في الجنة، وقرن بين إصبعيه -عليه الصلاة والسلام-.
والعول في الغالب يكون بالقيام بمؤونة البدن، من الكسوة والطعام والشراب والسكن والفراش ونحو ذلك، وكذلك يكون بالتعليم والتهذيب والتوجيه والأمر بالخير والنهي عن الشر وما إلى ذلك، فيجمع القائم بمصالح البنات بالنفع العاجل الدنيوي، والآجل الأخروي.
এ হাদীসটিতে কন্যা সন্তান লালন পালনের ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে। কারণ, মেয়েরা সাধারণত কম বুদ্ধিমান ও দুর্বল। অধিকাংশই দেখা যায় তার পরিবার তার প্রতি যত্নবান হয় না এবং তাকে গুরুত্ব দেয় না। এ কারণেই নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �যে ব্যক্তি দু�টি কন্যার লালন-পালন তাদের সাবালিকা হওয়া অবধি করবে, কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দু�টি আঙ্গুলের মতো পাশাপাশি আসব।� অতঃপর তিনি তাঁর আঙ্গুলগুলি মিলিত ক�রে (দেখালেন)। অর্থাৎ, যখন দুইজন কন্যা সন্তান, বোন বা অন্য দুইজন মেয়েকে লালন-পালন করবে সে জান্নাতে রাসূলের সাথী হবে। জান্নাতে রাসূলের সাথেই থাকবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় আঙ্গুলদ্বয় একত্র করলেন। লালন পালন বলতে সাধারণত পোশাক আশাক, খানা পিনা, বাসস্থান ইত্যাদির দায়িত্ব গ্রহণকে বুঝায়। অনুরূপভাবে শিক্ষা দীক্ষা, দিক নির্দেশনা, ভালো কাজের আদেশ দেওয়া মন্দ কর্ম থেকে ফিরিয়ে রাখা ইত্যাদিকেও বুঝায়। সুতরাং যে ব্যক্তি কন্যা সন্তানদের লালন পালন করবে সে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতে লাভবান হবেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3360

 
Hadith   268   الحديث
الأهمية: قال الله -تعالى-: وجبت محبتي للمتحابين في، والمتجالسين في، والمتزاورين في، والمتباذلين في
থিম: আল্লাহ তা�আলা বলেছেন, �যারা আমার জন্যে পরম্পরকে মহব্বত করে, আমার খাতিরে পরস্পর বসে, আমার খাতিরে পরস্পর সাক্ষাৎ করে ও আমার খাতিরে একে অপরের জন্যে খরচ করে তাদের জন্য আমার মহব্বত ও ভালবাসা ওয়াজিব হয়ে গেল।

عن أبي إدريس الخولاني -رحمه الله- قال: دَخَلْتُ مَسْجِدَ دِمَشقَ، فَإِذَا فَتًى بَرَّاق الثَنَايَا وَإِذَا النَّاس مَعَه، فَإِذَا اخْتَلَفُوا فِي شَيءٍ، أَسْنَدُوهُ إِلَيهِ، وَصَدَرُوا عَنْ رَأْيِهِ، فَسَأَلْتُ عَنْهُ، فَقِيل: هَذَا مُعَاذ بْنُ جَبَلٍ -رضي الله عنه- فَلَمَّا كان مِنَ الغَدِ، هَجَّرتُ، فَوَجَدتُه قَدْ سَبِقَنِي بِالتَهْجِير، وَوَجَدتُهُ يُصَلِّي، فَانتَظَرتُهُ حَتَّى قَضَى صَلاَتَه، ثُمَّ جِئتُهُ مِن قِبَلِ وَجْهِهِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيه، ثُمَّ قُلتُ: وَالله إِنِّي لَأُحِبُّكَ لِلَّه، فَقَال: آلله؟ فَقُلتُ: آلله، فقال: آللهِ؟ فقُلْتُ: آلله، فَأَخَذَنِي بَحَبْوَةِ رِدَائِي، فَجَبَذَنِي إِلَيه، فَقَال: أَبْشِر! فَإِنِّي سَمِعتُ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: �قَالَ الله -تعَالَى-: وَجَبَت مَحَبَّتِي لِلمُتَحَابِّين فِيَّ، وَالمُتَجَالِسِينَ فِيَّ، وَالمُتَزَاوِرِينَ فِيَّ، وَالمُتَبَاذِلِينَ فِيَّ�.

আবূ ইদ্রীস খাওলানী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি দিমাশ্কের মসজিদে প্রবেশ করে এক যুবককে দেখতে পেলাম, তাঁর সামনের দাঁতগুলি খুবই চকচকে এবং তাঁর সঙ্গে কিছু লোকও (বসে) রয়েছে। যখন তারা কোন বিষয়ে মতভেদ করছে, তখন (সিদ্ধান্তের জন্য) তাঁর দিকে রুজু করছে এবং তাঁর মত গ্রহণ করছে। সুতরাং আমি তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম (যে, ইনি কে)? (আমাকে) বলা হল যে, �ইনি মু   `আয বিন জাবাল।� অতঃপর আগামী কাল আমি আগেভাগেই মসজিদে গেলাম। কিন্তু দেখলাম সেই (যুবকটি) আমার আগেই পৌঁছে গেছেন এবং তাঁকে নামাযরত অবস্থায় পেলাম। সুতরাং তাঁর সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করলাম। অতঃপর আমি তাঁর সামনে এসে তাঁকে সালাম দিলাম। তারপর বললাম, �আল্লাহর কসম! আমি আপনাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসি।� তিনি বললেন, �আল্লাহর কসম?� আমি বললাম, �আল্লাহর কসম।� পুনরায় তিনি বললেন, �আল্লাহর কসম?� আমি বললাম, �আল্লাহর কসম।� অতঃপর তিনি আমার চাদরের আঁচল ধরে আমাকে তাঁর দিকে টানলেন, তারপর বললেন, �সু-সংবাদ নাও।� কারণ, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, �আল্লাহ তা�আলা বলেছেন, �যারা আমার জন্যে পরম্পরকে মহব্বত করে, আমার খাতিরে পরস্পর বসে, আমার খাতিরে পরস্পর সাক্ষাৎ করে ও আমার খাতিরে একে অপরের জন্যে খরচ করে তাদের জন্য আমার মহব্বত ও ভালবাসা ওয়াজিব হয়ে গেল�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في هذا الحديث فضل التحابب في الله، والمراد أن فاعل كل هذه الأمور من الجانبين كما يدل عليه صيغة التفاعل إذا كان لوجه الله -تعالى- لا لعرض فانٍ، ولا لغرض فإنه تجب له محبة مولاه، وهذا أعظم الجزاء فيدل على شرف هذا، وقد ورد �من أحبّ في الله وأبغض في الله وأعطى لله ومنع لله فقد استكمل الإيمان�.
ففي قوله: "فقلت والله إني لأحبك لله قال: آلله فقلت: آلله" دليل على أن الأيمان كانت تجري على ألسنتهم على معنى تحقيق الخبر ويؤكد بتكرارها واستدعاء تأكيدها.
وقوله: "فأخذ بحبوة ردائي" يريد بما يحتبي به من الرداء وهو طرفاه.
وقوله: "وجبذني إلى نفسه" على معنى التقريب له والتأنيس وإظهار القبول لما أخبر به وتبشيره بما قاله النبي -صلى الله عليه وسلم- لمن فعل ذلك.
فقال له: "أبشر" يريد بما أنت عليه، فإني سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: قال الله -عزو جل- على معنى إضافة ما يبشره إلى خبر النبي -صلى الله عليه وسلم- وهو الصادق المصدوق عن ربه -تبارك وتعالى-، ليستيقن أبو إدريس وتتم له البشرى بهذا الخبر, حيث إنه من قول النبي -صلى الله عليه وسلم- عن ربه, لا من اجتهاد معاذ -رضي الله عنه-.
وقوله عزو جل: "وجبت محبتي" يريد ثبتت محبتي لهم.
"للمتحابين والمتجالسين فيَّ" يريد أن يكون جلوسهم في ذات الله -عزو جل- من التعاون على ذكر الله -تعالى- وإقامة حدوده والوفاء بعهده والقيام بأمره وبحفظ شرائعه واتباع أوامره واجتناب محارمه.
   وقوله -تبارك وتعالى- "والمتزاورين فيَّ": يريد -والله أعلم- أن يكون زيارة بعضهم لبعض من أجله وفي ذاته وابتغاء مرضاته من محبة لوجهه أو تعاون على طاعته.
وقوله -تبارك وتعالى-: "والمتباذلين فيَّ": يريد يبذلون أنفسهم في مرضاته من الاتفاق على جهاد عدوه وغير ذلك مما أمروا به ويعطيه ماله إن احتاج إليه.
এ হাদীসটিতে আল্লাহর জন্যে পরস্পরকে ভালোবাসার ফযীলত রয়েছে। অর্থাৎ এসব কর্ম সম্পাদনকারী দু�পক্ষের প্রত্যেকে, যেমনটি তাফঊলের ছিগা প্রমাণ করে, যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ক্ষণস্থায়ী ও দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ত্যাগ করে এসব কর্ম আঞ্জাম দেয়, তখন তার জন্যে মাওলার মহব্বত ওয়াজিব হয়ে যায়। এটি মহান প্রতিদান, যা আল্লাহর জন্য সম্পাদিত কোনো কাজের মহত্বকে প্রমাণ করে। বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্যে ভালোবাসে ও দুশমণি করে এবং যে আল্লাহর জন্যে দান করে ও বারণ করে সে ঈমান পূর্ণ করে নিল। তার বাণীতে �আমি বললাম �আল্লাহর কসম! আমি আপনাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসি। তিনি বললেন, �আল্লাহর কসম? আমি বললাম, �আল্লাহর কসম�। প্রমাণ রয়েছে যে, সংবাদকে সুদৃঢ় করার জন্যে তাদের মুখে কসমের প্রচলন ছিল। বারবার কসম খাওয়া ও তলব করা সংবাদকে আরও শক্তিশালী করে। আর তার বাণী: �অতঃপর তিনি আমার চাদরের আঁচল ধরেন�। অর্থাৎ, যে চাদর দ্বারা দেহ আবৃত করে তার দুই পাশ। তার বাণী : �আমাকে তাঁর দিকে টানলেন�। অর্থ তাকে কাছে আনা, তাকে মহব্বত করা ও তার সংবাদকে গ্রহণ করা; এবং তার মত আমলকারী ব্যক্তির জন্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সু সংবাদ প্রদান করা। তাই তিনি বললেন, �সু-সংবাদ নাও।� অর্থাৎ, তুমি যার ওপর আছো তার ওপর। কারণ, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, �আল্লাহ তা�আলা বলেছেন� আবূ ইদ্রীস যাতে পুরোপুরি বিশ্বাস করে এবং তার জন্য সুসংবাদটি পরিপূর্ণ হয়, তাই রাসূল যিনি পরম সত্যবাদী তার কথার সাথে এ কথা যোগ করেছেন যে, তিনি (রাসূল) আল্লাহর পক্ষ থেকে বলেছেন। এটি মু�আযের নিজস্ব মতামত নয়। �আমার মহব্বত ও ভালবাসা ওয়াজিব হয়ে যায়�। অর্থাৎ তাদের জন্য আমার মুহাব্বত অবধারিত হয়ে যায়। �যারা পরম্পরে মহব্বত রাখে ও একে অপরের সঙ্গে আমার সন্তুষ্টির জন্য বসে� অর্থাৎ তাদের বসার উদ্দেশ্য আল্লাহর যিকিরে, তার বিধান বাস্তবায়নে, তার ওয়াদা পূর্ণ করণে, তার নির্দেশ পালনে, তার শরী�আতের সংরক্ষণে, তার আদেশসমূহের অনুসরণ ও নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ থেকে দূরে থাকার ক্ষেত্রে একে অপরকে সাহায্য করা। আর আল্লাহ তা�আলার বাণী: �একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ কারী� এ দ্বারা উদ্দেশ্য আল্লাহ ভালো জানেন-একে অপরের সাথে সাক্ষাত করা আল্লাহর জন্যে, আল্লাহর সত্ত্বার ক্ষেত্রে ও তার চেহারার মহব্বতে তার সন্তুষ্টি কামনা করা অথবা তার আনুগত্যের ওপর একে অপরকে সহযোগীতা করা। আল্লাহর বাণী: �এবং একে অপরের জন্য খরচ করে� তারা আল্লাহর সন্তষ্টিতে তাদের জীবনকে তার দুশমনদের বিরুদ্ধে জিহাদে উৎসর্গ করে ইত্যাদি যার প্রতি তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তাকে তার সম্পদ দেয় যদি প্রয়োজন পড়ে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন। - এটি মালেক বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3362

 
Hadith   269   الحديث
الأهمية: لولا أن أشق على أمتي؛ لأمرتهم بالسواك عند كل صلاة
থিম: যদি আমি আমার উম্মতের উপর কঠিন মনে না করতাম, তাহলে প্রতি সালাতের সময় আমি তাদের মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: (لولاَ أن أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي؛ لَأَمَرتُهُم بِالسِّوَاك عِندَ كُلِّ صَلاَة).
থিম: আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যদি আমি আমার উম্মতের উপর কঠিন মনে না করতাম, তাহলে প্রতি সালাতের সময় আমি তাদের মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
من كمال نصح النبي -صلى الله عليه وسلم- ومحبته الخير لأمته، ورغبته أن يفعلوا كل فعل يعود عليهم بالنفع؛ لينالوا كمال السعادة أن حثهم على التسوك، فهو -صلى الله عليه وسلم- لما علِم من كثرة فوائد السواك، وأثر منفعته عاجلا وآجلا؛ كاد يلزم أمته به عند كل وضوء أو صلاة؛ لورود رواية: (مع كل وضوء)، ولكن -لكمال شفقته ورحمته- خاف أن يفرضه الله عليهم؛ فلا يقوموا به؛ فيأثموا؛ فامتنع من فرضه عليهم خوفاً وإشفاقاً، ومع هذا رغبهم فيه وحضَّهم عليه.
উম্মতের প্রতি রাসূলের পরিপূর্ণ হিতাকাংখিতা ও কল্যাণকে পছন্দ করা এবং তাদের উপকার হয় এমন কর্ম করে যেন তারা পরিপূর্ণ সৌভাগ্য লাভ করতে সেই প্রেরণা থেকে তিনি তাদের মিসওয়াক করার উৎসাহ দান করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আল্লাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মিসওয়াকে অসংখ্য উপকারিতা এবং দুনিয়া ও আখিরাতে তার উপকারের প্রভাব জানলেন তখন প্রতি সালাত বা ওযূর সাথে তা বাধ্যতামূলক করতে চাইলেন। কিন্তু উম্মতের প্রতি তার পরিপূর্ণ দয়া ও অনুগ্রহের কারণে তিনি আশঙ্কা করলেন যে, আল্লাহ তাদের ওপর তা ফরয করে দেবেন এবং তারা তা পালন করতে পারবে না ফলে তারা গুনাহগার হবে। তাই দয়া ও আশঙ্কার কারণে তিনি তাদের ওপর তা ফরয করা হতে বিরত রইলেন। কিন্তু সে ব্যাপারে তিনি তাদের উৎসাহ ও তারগীব দিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3364

 
Hadith   270   الحديث
الأهمية: سألت النبي -صلى الله عليه وسلم-: أي العمل أحب إلى الله؟ قال: الصلاة على وقتها. قلت: ثم أي؟ قال: بر الوالدين
থিম: আমি জিজ্ঞাসা করলাম, �হে আল্লাহর রাসূল! মহান আল্লাহর নিকট কোন্ কাজটি সর্বাধিক প্রিয়?� তিনি বললেন, �যথা সময়ে সালাত আদায় করা।� আমি নিবেদন করলাম, �তারপর কোনটি?� তিনি বললেন, �মা-বাপের সাথে সদ্ব্যবহার করা।�

عن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- قال: (سَأَلتُ النبِيَّ -صلى الله عليه وسلم-: أَيُّ العَمَلِ أَحَبُّ إلى الله؟ قال: الصَّلاَةُ عَلَى وَقتِهَا. قلت: ثم أَيُّ؟ قال: بِرُّ الوَالِدَينِ. قلت: ثم أَيُّ؟ قال: الجِهَادُ في سَبِيلِ الله. قال: حَدَّثَنِي بِهِنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- ولو اسْتَزَدْتُهُ لَزَادَنِي).
থিম: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নিবেদন করলাম, �হে আল্লাহর রাসূল! মহান আল্লাহর নিকট কোন্ কাজটি সর্বাধিক প্রিয়?� তিনি বললেন, �যথা সময়ে সালাত আদায় করা।� আমি নিবেদন করলাম, �তারপর কোনটি?� তিনি বললেন, �মা-বাপের সাথে সদ্ব্যবহার করা।� আমি আবার নিবেদন করলাম, �তারপর কোনটি?� তিনি বললেন, �আল্লাহর পথে জিহাদ করা। তিনি বলেন, এ গুলি সম্পর্কে রাসূল আমাকে সংবাদ দেন যদি আমি আরও বাড়াতাম তিনিও আমাকে বাড়াতেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سأل ابن مسعود -رضي الله عنه- النبي -صلى الله عليه وسلم- عن الطاعات لله، أيها أحب إلى الله -تعالى-؟ فكلما كان العمل أحب إلى الله، كان ثوابه أكثر.
فقال -صلى الله عليه وسلم- مبينًا: إن أحبها إلى الله -تعالى-، الصلاة المفروضة في وقتها، الذي حدده الشارع لأن فيه المبادرة إلى نداء الله تعالى وامتثال أمره، والاعتناء بهذا الفرض العظيم.
ومن رغبته -رضي الله عنه- في الخير، لم يقف عند هذا، بل سأله عن الدرجة الثانية، من محبوبات الله -تعالى- قال: بر الوالدين.
فإن الأول محض حق الله، وهذا محض حق الوالدين، وحق الوالدين يأتي بعد حق الله، بل إنه -سبحانه- من تعظيمه له يقرن حقهما وبرهما مع توحيده في مواضع من القرآن الكريم، لما لهما من الحق الواجب، مقابل ما بذلاه من التسبب في إيجادك وتربيتك، وتغذيتك، وشفقتهما وعطفهما عليك.
ثم إنه -رضي الله عنه- استزاد من لا يبخل، عن الدرجة التالية من سلسلة هذه الأعمال الفاضلة، فقال: الجهاد في سبيل الله، فإنه ذروة سنام الإسلام وعموده، الذي لا يقوم إلا به، وبه تعلو كلمة اللَه وينشر دينه.
وبتركه -والعياذ بالله- هدم الإسلام، وانحطاط أهله، وذهاب عزهم، وسلب ملكهم، وزوال سلطانهم ودولتهم.
وهو الفرض الأكيد على كل مسلم، فإن من لم يغْزُ، ولم يحدث نفسه بالغزو، مات على شعبة من النفاق.
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, কোনটি আল্লাহর নিকট বেশী প্রিয়? কারণ আমল আল্লাহর নিকট যত বেশী প্রিয় হবে তত বেশী সাওয়াব হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট করে বলেন, আল্লাহর নিকট প্রিয় আমল হলো ফরয সালাতসমূহ নির্ধারিত সময়ের প্রথম ওয়াক্তে আদায় করা। কারণ, এতে রয়েছে আল্লাহর আহ্বানে দ্রুত সাড়া দেওয়া, তার নির্দেশের বাস্তবায়ন করা এবং এ মহান ফরযের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ করা। আর তার কল্যানের প্রতি অধিক আগ্রহ থাকার কারণে এ প্রশ্ন করেই থামেন নি, বরং তিনি আল্লাহর প্রিয় দ্বিতীয় স্তরের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বললেন, �মা-বাপের সাথে সদ্ব্যবহার করা।� কারণ, প্রথমটি হলো শুধু আল্লাহর হক এবং এটি হলো শুধু মাতা-পিতার হক। আর মাতা-পিতার হককে আল্লাহর হকের পরেই আসে, বরং তাদের সম্মনার্থে আল্লাহ কুরআনের একাধিক স্থানে তাওহীদের সাথে তাদের হক ও তাদের সাথে ভালো ব্যবহারের কথা তুলে ধরেছেন। কারণ, তারা তোমাদের দুনিয়াতে আগমনের কারণ হিসেবে, তোমাদের লালন-পালন করা, কষ্ট বহন করা তোমাদের প্রতি দয়া ও মেহেরবাণী ইত্যাদি করার বিপরীতে তাদের প্রতি তোমাদের ওপর ওয়াজিব হক রয়েছে। উত্তম আমলের ধারাবাহিকতায় পরবর্তী আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে কৃপণতা না করে আবারও নিবেদন করেন। তিনি বললেন, �আল্লাহর পথে জিহাদ করা।� কারণ, এটি ইসলাম সৌর্যবীর্য এবং খুটি যা ছাড়া ইসলাম প্রতিষ্ঠা লাভ করে না। এ দ্বারা আল্লাহর বাক্য সমুন্নত থাকে এবং তার দীনের প্রসারতা লাভ হয়। আর জিহাদ ছাড়া ইসলাম ধ্বংস হয়, মুসলিমদের পতন ঘটে, তাদের মান সম্মান নষ্ট হয়, তাদের রাজত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং তাদের ক্ষমতা ও রাজত্ব হাত ছাড়া হয়। এটি প্রতিটি মুসলিমের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ফরয। যদি কেউ যুদ্ধ না করে এবং অন্তরে যুদ্ধের আগ্রহ না থাকে তাহলে নিফাকের একটি শাখার ওপর মারা যাবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3365

 
Hadith   271   الحديث
الأهمية: أثقل الصلاة على المنافقين: صلاة العشاء وصلاة الفجر، ولو يعلمون ما فيها لأتوهما ولو حبوًا، ولقد هممت أن آمر بالصلاة فتقام, ثم آمر رجلا فيصلي بالناس, ثم أنطلق معي برجال معهم حزم من حطب إلى قوم لا يشهدون الصلاة فأحرق عليهم بيوتهم بالنار
থিম: মুনাফিকদের ওপর সবচেয়ে কঠিন সালাত হলো, ইশা ও ফজরের সালাত। তারা যদি এ দুই সালাতের ফযিলত সম্পর্কে জানতো তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হতো। আর আমি ইচ্ছা করেছি যে, সালাত আদায় করার আদেশ দিব ও ইকামাত দেয়া হবে তারপর একজনকে বলব যেন সে মানুষদের নিয়ে সালাত আদায় করে। অতঃপর আমি কতক মানুষ যাদের সাথে থাকবে লাকড়ির বোঝা তাদেরকে নিয়ে সেসব লোকদের কাছে যাবো যারা সালাতে উপস্থিত হয় না এবং তাদের ওপর তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিব।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- عن    النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: �أَثقَل الصَّلاةِ على المُنَافِقِين: صَلاَة العِشَاء، وصَلاَة الفَجر، وَلَو يَعلَمُون مَا فِيها لَأَتَوهُمَا وَلَو حَبْوُا، وَلَقَد هَمَمتُ أًن آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَتُقَام، ثُمَّ آمُر رجلاً فيصلي بالنَّاس، ثُمَّ أَنطَلِق مَعِي بِرِجَال معهُم حُزَمٌ مِن حَطَب إلى قَومٍ لاَ يَشهَدُون الصَّلاَة، فَأُحَرِّقَ عَلَيهِم بُيُوتَهُم بالنَّار�.

আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �মুনাফিকদের ওপর সবচেয়ে কঠিন সালাত হলো, ইশা ও ফজরের সালাত। তারা যদি এ দুই সালাতের ফযিলত সম্পর্কে জানতো তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হতো। আর আমি ইচ্ছা করেছি যে, সালাত আদায় করার আদেশ দিব ও ইকামাত দেয়া হবে তারপর একজনকে বলব যেন সে মানুষদের নিয়ে সালাত আদায় করে। অতঃপর আমি কতক মানুষ যাদের সাথে থাকবে লাকড়ির বোঝা তাদেরকে নিয়ে সেসব লোকদের কাছে যাবো যারা সালাতে উপস্থিত হয় না এবং তাদের ওপর তাদের বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিব।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لقد كان المنافقون يراؤون الناس، ولا يذكرون الله إلا قليلا، كما أخبر الله -تعالى- عنهم، ويظهر كسلهم في صلاة العشاء وصلاة الفجر؛ لأنهما بوقت ظلام، فما يراهم الناس الذين يصلون؛ لأن َّجلَّ المنافقين نجدهم يقصرون في هاتين الصلاتين اللتين تَقَعان في وقت الراحة ولذة النوم ولا ينشط لأدائهما مع الجماعة إلا من حَدَاه داعي الإيمان بالله -تعالى-، ورجاء ثواب الآخرة، ولمَّا كان الأمر على ما ذكر كانت هاتان الصلاتان أشق وأثقل على المنافقين، ولو يعلمون ما في فعلهما مع جماعة المسلمين في المسجد من الأجر والثواب لأتوهما ولو حبوا كحبو الطفل بالأيدي والركب، وأقسم -صلى الله عليه وسلم- أنَّه قد هم بمعاقبة المتخلفين المتكاسلين عن أدائهما مع الجماعة، وذلك بأن يأمر بالصلاة فتقام جماعة، ثم يأمر رجلًا فيؤم الناس مكانه، ثم ينطلق ومعه رجال يحملون حزمًا من حطب إلى قوم لا يشهدون الصلاة فيحرق عليهم بيوتهم بالنار؛ لشدة ما ارتكبوه في تخلفهم عن صلاة الجماعة، لولا ما في البيوت من النساء والصبيان الأبرياء، الذين لا ذنب لهم، كما ورد في بعض طرق الحديث.

Esin Hadith Text Arabic


মুনাফিকরা মানুষকে দেখানোর জন্য ইবাদত করত। তারা খুব কমই আল্লাহর যিকির করতো। যেমনটি আল্লাহ তাদের বিষয়ে সংবাদ দিয়েছেন। তাদের অলসতা এশা ও ফজরের সালাতে প্রকাশ পেত। কারণ, এ দুটি সালাত অন্ধকারে আদায় করার কারণে সালাত আদায়কারী মানুষেরা তাদেরকে দেখতে পেত না। এ দুটি সালাত আরাম দায়ক ও ঘুমের সময় হওয়ায় কেবল যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান লাভ করেছেন এবং আখিরাতের সাওয়াবের আশা করেন তারা ছাড়া আর কেউ জামা�আতের সাথে আদায় করতে তৎপর হয় না। এ কারণে মুনাফিকদের দেখা যায় তারা এ দুটি সালাতে লুকোচুরি করে থাকে। এ কারণেই মুনাফিকদের ওপর এ দুটি সালাত কষ্টকর ও কঠিন। তবে তারা যদি জানত যে, এ দুটি সালাত জামাতের সাথে মসজিদে আদায় করাতে কত সাওয়াব ও বিনিময় রয়েছে, তাহলে তারা বাচ্চাদের মতো হামাগুড়ি দিয়ে হলেও মসজিদে উপস্থিত হতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শপথ করেন যে, তিনি যারা সালাতে উপস্থিত হয় না এবং জামাতের সাথে সালাত আদায় করা থেকে অলসতা করে তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন। আর তা এভাবে করতে চান যে, তিনি সালাতের ঘোষণা দিবেন এবং ইকামত দেয়া হবে আর তিনি একজনকে তাঁর জায়গায় ইমামতি করতে বলবেন। তারপর তিনি কতক লোক নিয়ে বের হবেন যাদের সাথে থাকবে লাকড়ির বোঝা। তারপর তিনি তাদের বাড়ি ঘরে যাবেন যারা সালাতে উপস্থিত হয় না তারপর তাদের ওপর তাদের ঘর বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিবেন। তারা সালাতে উপস্থিত না হয়ে যে অন্যায় করেছে তা যে কত বড় অপরাধ তা প্রমাণ করাই তার উদ্দেশ্য। যদি ঘরের মধ্যে নারী ও নির্দোষ শিশু না থাকত, যাদের কোনো গুনাহ নেই (তবে তিনি তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিতেন)। যেমনটি অন্য সনদে এসেছে।
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3366

 
Hadith   272   الحديث
الأهمية: هل تنصرون وترزقون إلا بضعفائكم؟
থিম: তোমাদের দুর্বলদের কারণেই তোমাদেরকে সাহায্য করা হয় এবং রুযী দেওয়া হয়।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
رأى سعد أنَّ له فَضلاً على مَن دُونَه، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: �هَل تُنْصَرون وتُرْزَقُون إِلاَّ بِضُعَفَائِكُم؟�.
عن أبي الدرداء عويمر -رضي الله عنه- مرفوعاً: �ابغُونِي الضُعَفَاء؛ فَإِنَّما تُنصَرُون وتُرزَقُون بِضُعَفَائِكُم�.

সা�দ ধারণা করলেন যে, তার চেয়ে নিম্নশ্রেণীর লোকের উপর তাঁর মর্যাদা রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �তোমাদেরকে দুর্বলদের কারণেই সাহায্য করা হয় এবং রুযী দেওয়া হয়।� আবূ দারদা উআইমির রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, �আমার জন্য তোমরা দুর্বলদেরকে খুঁজে আনো, কেননা তোমাদের দুর্বলদের কারণে তোমাদেরকে সাহায্য করা হয় এবং রুযী দেওয়া হয়।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في هذين الحديثين ما يدل على أنَّ الضعفاء سبب للنصر، وسبب للرزق في الأمة، فإذا حَنَّ عليهم الإنسان وعَطَف عليهم وآتاهم مما آتاه الله -عز وجل-؛ كان ذلك سبباً للنصر على الأعداء، وكان سبباً للرزق؛ لأنَّ الله -تعالى- أخبر أنَّه إِذَا أنفق الإنسان لرَبِّه نفقة فإِنَّ الله -تعالى- يُخلِفُها عليه. قال الله -تعالى-: (وما أنفقتم من شيء فهو يخلفه وهو خير الرازقين)، يُخلفه: أي يأتي بخَلَفِه وبدله.
হাদীস দুটি প্রমাণ করে যে, উম্মতের মধ্যে দুর্বলগণই সাহায্য লাভ ও রিযিকের কারণ হয়ে থাকে। যখন কোন মানুষ তাদের লালন পালন করে এবং তাদের প্রতি দয়া করে এবং আল্লাহ তা�আলা তাদেরকে যা দান করেছে তা থেকে তাদের দান করেন তা অবশ্যই দুশমণের ওপর সাহায্য লাভ ও রিযিক হাসিলের কারণ হবে। কারণ, আল্লাহ তা�আলা সংবাদ দেন যে, যখন কোন মানুষ তার রবের উদ্দেশ্যে দান করে আল্লাহ অবশ্যই তাকে তার বিনিময় দান করেন। আল্লাহ বলেন, যখন তোমরা কোন কিছু দান কর তিনিই তার বিনিময় দান করেন। আর তিনিই উত্তম রিযিক দাতা। [সূরা সাবা, আয়াত: ৩৯]
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3367

 
Hadith   273   الحديث
الأهمية: تبلغ الحلية من المؤمن حيث يبلغ الوضوء
থিম: �নিশ্চয় আমার উম্মাতকে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় ডাকা হবে, যে সময় তাদের ওযূর অঙ্গগুলো চমকাতে থাকবে�। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে তার চমক বাড়াতে চায়, সে যেন তা করে।
অপর শব্দে সহীহ মুসলিমে বর্ণিত: �আমি আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ওযূ করতে দেখেছি, তিনি তার চেহারা ধোন এবং তার দুই হাতকে বোগলের কাছাকাছি পর্যন্ত ধোন তারপর সে তার দুই পাকে ধোন এমনকি পায়ের নলা পর্যন্ত উঁচা করেন। তারপর তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, �নিশ্চয় আমার উম্মাতকে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় ডাকা হবে, যে সময় তাদের ওযূর অঙ্গগুলো চমকাতে থাকবে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে তার চমক বাড়াতে চায়, সে যেন তা করে।�
সহীহ মুসলিমে অপর শব্দে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধু সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, �(পরকালে) মু�মিনের অলংকার ততদূর হবে, যতদূর তার ওযূর (পানি) পৌঁছবে।�

عن أبي    هريرة -رضي الله عنه- قال قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: ((إن أمتي يُدْعَون يوم القيامة غُرًّا مُحَجَلِّين من آثار الوُضُوء)). فمن اسْتَطَاع منكم أن يُطِيل غُرَّتَه فَليَفعل.
وفي لفظ لمسلم: ((رأَيت أبا هريرة يتوضَّأ, فغسل وجهه ويديه حتى كاد يبلغ المنكبين, ثم غسل رجليه حتى رَفَع إلى السَّاقين, ثم قال: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: إنَّ أمتي يُدْعَون يوم القيامة غُرًّا مُحَجَّلِين من آثار الوُضُوء)) فمن استطاع منكم أن يطيل غُرَّتَه وتَحْجِيلَه فَليَفعَل.
وفي لفظ لمسلم: سمعت خليلي -صلى الله عليه وسلم- يقول: ((تَبْلُغ الحِليَة من المؤمن حيث يبلغ الوُضُوء)).

থিম: আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �নিশ্চয় আমার উম্মাতকে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় ডাকা হবে, যে সময় তাদের ওযূর অঙ্গগুলো চমকাতে থাকবে�।   সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে তার চমক বাড়াতে চায়, সে যেন তা করে।
অপর শব্দে সহীহ মুসলিমে বর্ণিত: আমি আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুকে ওযূ করতে দেখেছি, তিনি তার চেহারা ধোন এবং তার দুই হাতকে বোগলের কাছাকাছি পর্যন্ত ধোন তারপর সে তার দুই পাকে ধোন এমনকি পায়ের নলা পর্যন্ত উঁচা করেন। তারপর তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, �নিশ্চয় আমার উম্মাতকে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় ডাকা হবে, যে সময় তাদের ওযূর অঙ্গগুলো চমকাতে থাকবে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে তার চমক বাড়াতে চায়, সে যেন তা করে।�
সহীহ মুসলিমে অপর শব্দে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধু সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, �(পরকালে) মু�মিনের অলংকার ততদূর হবে, যতদূর তার ওযূর (পানি) পৌঁছবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يبشر النبي -صلى الله عليه وسلم- أمته بأن الله -سبحانه وتعالى- يخصهم بعلامة فضل وشرف يومَ القيامة، من بين الأمم، حيث ينادون فيأتون على رؤوس الخلائق تتلألأ وجوههم وأيديهم وأرجلهم بالنور، وذلك أثر من آثار هذه العبادة العظيمة، وهي الوضوء الذي كرروه على هذه الأعضاء الشريفة ابتغاء مرضاة الله، وطلبا لثوابه، فكان جزاؤهم هذه المحمدة العظيمة الخاصة. ثم يقول أبو هريرة -رضي الله عنه- : "من قدر على إطالة هذه الغرّة فليفعل"؛ لأنه كلما طال مكان الغسل من العضو طالت الغرة والتحجيل، ولكن المشروع فقط أن يكون غسل اليدين في الوضوء إلى المرفقين ويستوعب المرفق بالشروع في العضد وغسل جزء منه، وغسل القدمين إلى الكعبين يستوعب الكعبين بالشروع في الساق، ولا يغسل العضد والساق في الوضوء، وفي الرواية الخرى ينقل عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أن حلية المؤمن في الجنة تبلغ ما بلغ ماء الوضوء.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মাতকে সু-সংবাদ দেন যে, আল্লাহ সুবহানাহু তা�আলা কিয়ামাতের দিন অন্যান্য উম্মাতের মাঝে তাদের মর্যাদা ও সম্মানের বিশেষ আলামত দিয়ে বৈশিষ্টমণ্ডিত করবেন। তাদেরকে ডাকা হলে তারা সমস্ত মাখলুকের সামনে উপস্থিত হবেন তাদের চেহারা, হাত ও পা নূর দ্বারা চমকিতে থাকবে। আর এটি হলো এ মহান ইবাদত ওযূর প্রভাব। অর্থাৎ যে ওযু তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও তার থেকে সাওয়াবের আশায় এ সব অঙ্গসমূহের ওপর বার বার প্রয়োগ করেছে। তাই তাদের বিনিময় হলো এ মহা প্রশংসনীয় বৈশিষ্ট। অতঃপর আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমাদের মধ্যে যে তার চমক বাড়াতে চায়, সে যেন তা করে।কারণ, অঙ্গসমূহের ধোয়ার স্থান যত দীর্ঘ হবে, তাদের চমকের স্থানও তত দীর্ঘ হবে। কারণ, ওযূর পানি যতদূর পৌঁছবে নূরের অলংকারও ততদূর পৌঁছবে। কিন্তু ওযূতে শুধু দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধুইবে। বোগল ও তার কিছু অংশ ধোয়ার শুরুতে কনুইসহ ধুইবে। আর দুই পা ঘিরাসহ ধুইবে। নলা ধোয়া শুরুর সময় ঘিরা পুরো ধুইবে। ওযূতে নলা ও বোগল ধোয়া শরী�আত সম্মন নয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম তার দুই রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3368

 
Hadith   274   الحديث
الأهمية: إن الله -تعالى- يقول يوم القيامة: أين المتحابون بجلالي؟ اليوم أظلهم في ظلي يوم لا ظل إلا ظلي
থিম: আল্লাহ তা�আলা কিয়ামতের দিন বলবেন, �আমার মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরস্পরকে যারা ভালবেসেছিল তারা কোথায়? আজকের দিন আমি তাদেরকে আমার ছায়ায় আশ্রয় দেব, যেদিন আমার (আরশের) ছায়া ছাড়া অন্য কোন ছায়া নেই।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعًا: �إِنَّ الله تَعَالى يَقُول يَوْمَ القِيَامَة: أَيْنَ المُتَحَابُّونَ بِجَلاَلِي؟ اليَوم أُظِلُّهُم فِي ظِلِّي يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلاَّ ظِلِّي�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �আল্লাহ তা�আলা কিয়ামতের দিন বলবেন, �আমার মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরস্পরকে যারা ভালবেসেছিল তারা কোথায়? আজকের দিন আমি তাদেরকে আমার ছায়ায় আশ্রয় দেব, যেদিন আমার (আরশের) ছায়া ছাড়া অন্য কোন ছায়া নেই�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
ينادي الله -جل في علاه- يوم القيامة في أهل الموقف فيقول: (أين المتحابون بجلالي؟) والسؤال عنهم مع علمه بمكانهم وغيره من أحوالهم؛ لينادي بفضلهم في ذلك الموقف، ويُصرِّح به؛ لبيان عظمته، والمعنى: أين الذين تحابوا لجلالي وعظمتي لا لغرض سوى ذلك من دنيا أو نحوها، ثم يقول -تعالى-: (اليوم أظلهم في ظلي) وإضافة الظل إليه -تعالى- إضافة تشريف، والمراد ظل العرش، وجاء في غير رواية مسلم: "ظل عرشي" (يوم لا ظل إلا ظلي) أي لا يكون في ذلك اليوم    ظِلٌّ إلا ظِلُّ عرش الرحمن.
আল্লাহ তা�আলা কিয়ামতের দিন হাসরের মাঠে ডেকে বলবেন, �আমার মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরস্পরকে যারা ভালবেসেছিল তারা কোথায়? তাদের অবস্থান ও অন্যান্য অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়ার পরও তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হাশরের মাঠে তাদের অবস্থানকে স্পষ্ট করা ও তুলে ধরা বৈ আর কিছু নয়। এর অর্থ, যারা কেবল আমার মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরস্পরকে ভালো বাসছিল দুনিয়া বা প্রার্থিব কোন উদ্দেশ্যে নয়। তারপর আল্লাহ তা�আলা বলবেন, আজকের দিন আমি তাদেরকে আমার ছায়ায় আশ্রয় দেব, ছায়া সম্বোধন তার দিকে করা সম্মানসুচক সম্বোধন। ছায়া দ্বারা আরশের ছায়া। সহীহ মুসলিমের অপর বর্ণনায় এসেছে আমার আরশের ছায়া। যেদিন আমার (আরশের) ছায়া ছাড়া অন্য কোন ছায়া নেই। অর্থাৎ, ঐ দিন রহমানের আরশের ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া থাকবে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3369

 
Hadith   275   الحديث
الأهمية: هَذَا حَجَرٌ رُمِيَ به في النَّارِ مُنْذُ سبْعِينَ خَرِيفًا، فهو يَهْوِي فِي النَّارِ الآنَ حتى انتهى إلى قَعْرِهَا فَسَمِعْتُمْ وَجْبَتَهَا
থিম: এটি একটি পাথর, সত্তর বছর আগে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়েছে। সেটি এখনো জাহান্নামের নিচে পতিত হচ্ছে, যখন তার তলদেশে গিয়ে পৌঁছল, তোমরা তার ধপাস করে পড়ার শব্দ শুনেছ।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: كُنَّا مع رسولِ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- إِذْ سَمِعَ وَجْبَةً، فقال: �هَلْ تَدْرُونَ ما هَذَا؟� قُلْنَا: اللهُ ورسولُهُ أَعْلَمُ. قال: �هَذَا حَجَرٌ رُمِيَ به في النَّارِ مُنْذُ سبْعِينَ خَرِيفًا، فهو يَهْوِي فِي النَّارِ الآنَ حتى انتهى إلى قَعْرِهَا فَسَمِعْتُمْ وَجْبَتَهَا�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম, সহসা তিনি ধপাস শব্দ শুনলেন। তিনি বললেন, তোমরা কি জান এটি কী? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অধিক জানেন। তিনি বললেন, �এটি একটি পাথর, সত্তর বছর আগে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়েছে। সেটি এখনো জাহান্নামের নিচে পতিত হচ্ছে, যখন তার তলদেশে গিয়ে পৌঁছল, তোমরা তার ধপাস করে পড়ার শব্দ শুনেছ।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان الصحابة مع النبي -صلى الله عليه وسلم- فسمعوا سقطة، فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: هل تدرون ما هذا؟ فقالوا: الله ورسوله أعلم. فقال: هذا صوت حجر رُمي به في النار من سبعين عاما، فهو ينزل في النار الآن حين انتهى إلى قعرها؛ فسمعتم صوت اضطراب النار من نزول الحجر إليها.
সাহাবীগণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন, ইত্যবসরে তারা ধপাস শব্দ শুনলেন। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বললেন, তোমরা জান এটি কী? তারা বলল, আল্লাহ ও তার রাসূলই ভালো জানেন। তিনি বললেন, �এটি একটি পাথরের শব্দ, সত্তর বছর আগে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়েছে, সেটি এখনো নিচে পতিত হচ্ছে, যখন তার তলদেশে গিয়ে পৌঁছল, তখন তার পড়ার আঘাতে জাহান্নামের কেঁপে উঠার শব্দ তোমরা শুনেছ।�
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3370

 
Hadith   276   الحديث
الأهمية: أَنَّ رَجُلا أَكَلَ عِندَ رَسُولِ اللهِ -صَلَى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- بِشِمَالِهِ، فقالَ: كُلْ بِيَمِينِك، قال: لَا أَسْتَطِيع. قَالَ: لَا اسْتَطعْتَ، مَا مَنَعَهُ إِلَّا الكِبر فَمَا رَفَعَهَا إِلَى فيه
থিম: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বাম হাতে আহার করছিল। তিনি বললেন, তুমি তোমার ডান হাতে আহার করো। সে বললো, আমি পারবো না । তিনি বললেন, তুমি যেন না-ই পারো। একমাত্র অহংকারই তাকে বাধা দিচ্ছে। সালামা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, সে আর তার ডান হাত মুখের কাছে তুলতে পারে নি।

عن سلمة بن الأكوع -رضي الله عنه-: أن رجلا أكَلَ عند رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بشماله، فقال: �كُلْ بيمينك� قال: لا أستطيع. قال: �لا استطَعْتَ� ما مَنَعَهُ إلا الكِبْر فما رَفَعَهَا إلى فِيهِ.

সালামা ইবনুল আকওয়া� রাদিয়াল্লাহু �আনহু থেকে বর্ণিত, �এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বাম হাতে আহার করছিল। তিনি বললেন, তুমি তোমার ডান হাতে আহার করো। সে বললো, আমি পারবো না ।


তিনি বললেন, তুমি যেন না-ই পারো। একমাত্র অহংকারই তাকে বাধা দিচ্ছে। সালামা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, সে আর তার ডান হাত মুখের কাছে তুলতে পারে নি।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أكل رجل عند رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بشماله تكبرا؛ فقال له النبي -صلى الله عليه وسلم-: "كل بيمينك" فقال في عِناد: لا أستطيع. وهو غير صادق في هذا؛ فدعا عليه النبي -صلى الله عليه وسلم- بقوله: "لا استطعت". فما استطاع أن يرفع يده إلى فمه، وذلك أنها أصيبت بشلل بدعاء النبي -صلى الله عليه وسلم- عليه؛ لتكبره ورده للأمر النبوي.
এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে অহংকার বশত বাম হাতে আহার করছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, �তুমি তোমার ডান হাতে আহার করো।� লোকটি অহমিকা করে বললো, আমি ডান হাতে খাবার খেতে পারি না; অথচ সে মিথ্যাবাদী ছিলো। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এ বলে বদদো�আ করলেন, �তুমি যেন না-ই পারো।� বর্ণনাকারী বলেন, সে আর তার ডান হাত মুখের কাছে তুলতে পারে নি। কেননা সে তার অহংকার ও নবীর আদেশ অমান্য করার কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বদদো�আয় পক্ষাঘাতপ্রাপ্ত হয়ে পড়ে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3372

 
Hadith   277   الحديث
الأهمية: من دعا إلى هدى، كان له من الأجر مثل أجور من تبعه، لا ينقص ذلك من أجورهم شيئًا، ومن دعا إلى ضلالة، كان عليه من الإثم مثل آثام من تبعه، لا ينقص ذلك من آثامهم شيئًا
থিম: যে ব্যক্তি কোনো সৎপথের দিকে আহবান করবে, সে তার অনুসরণকারীদের সমান নেকী পাবে। এটা তাদের নেকীসমূহ থেকে কিছুই কম করবে না। আর যে ব্যক্তি কোনো ভ্রষ্টতার দিকে আহবান করবে, তার উপর তার সমস্ত অনুসারীদের গোনাহ চাপবে। এটা তাদের গোনাহ থেকে কিছুই কম করবে না।

عن أبي هريرة رضي الله عنه مرفوعًا: �مَن دَعَا إلى هُدى، كَان لَه مِنَ الأَجر مِثل أُجُور مَن تَبِعَه، لاَ يَنقُصُ ذلك مِن أُجُورِهِم شَيئًا، ومَنْ دَعَا إلى ضَلاَلَة، كان عَلَيه مِن الإِثْم مِثل آثَامِ مَن تَبِعَه، لاَ يَنقُصُ ذلك مِن آثَامِهِم شَيْئًا�.

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �যে ব্যক্তি কোনো সৎপথের দিকে আহবান করবে, সে তার অনুসরণকারীদের সমান নেকী পাবে। এটা তাদের নেকীসমূহ থেকে কিছুই কম করবে না। আর যে ব্যক্তি কোনো ভ্রষ্টতার দিকে আহবান করবে, তার উপর তার সমস্ত অনুসারীদের গোনাহ চাপবে। এটা তাদের গোনাহ থেকে কিছুই কম করবে না।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر أبو هريرة -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: "من دعا إلى هدى؛ كان له من الأجر مثل أجور من تبعه لا ينقص ذلك من أجورهم شيئاً"، من دعا إلى هدى: يعني بيّنه للناس ودعاهم إليه، مثل: أن يبين للناس أن ركعتي الضحى سنة، وأنه ينبغي للإنسان أن يصلي ركعتين في الضحى، ثم تبعه الناس وصاروا يصلون الضحى، فإن له مثل أجورهم من غير أن ينقص من أجورهم شيئاً؛ لأن فضل الله واسع.
أو قال للناس مثلاً: اجعلوا أخر صلاتكم بالليل وتراً، ولا تناموا إلا على وتر إلا من طمع أن يقوم من آخر الليل فليجعل وتره في آخر الليل، فتبعه ناس على ذلك؛ فإن له مثل أجرهم، يعني كلما أوتر واحد هداه الله على يده؛ فله مثل أجره، وكذلك بقية الأعمال الصالحة.
وفي قوله -صلى الله عليه وسلم-: "من دعا إلى ضلالة كان عليه من الإثم مثل آثام من تبعه لا ينقص ذلك من آثامهم شيئاً"، أي إذا دعا إلى وزر وإلى ما فيه الإثم، مثل أن يدعو الناس إلى لهو أو باطل أو غناء أو ربا أو غير ذلك من المحارم، فإن كل إنسان تأثر بدعوته فإنه يُكتب له مثل أوزارهم؛ لأنه دعا إلى الوزر.
فالدعوة إلى الهدى والدعوة إلى الوزر تكون بالقول، كما لو قال أفعل كذا أفعل كذا، وتكون بالفعل خصوصاً من الذي يقتدى به من الناس، فإنه إذا كان يَقتدي به ثم فعل شيئاً فكأنَّه دعا الناس إلى فعله، ولهذا يَحتَجُّون بفعله ويقولون فعل فلان كذا وهو جائز، أو ترك كذا وهو جائز.
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু জানান যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যে ব্যক্তি কোনো সৎপথের দিকে আহবান করবে, সে তার অনুসরণকারীদের সমান নেকী পাবে। এটা তাদের নেকীসমূহ থেকে কিছুই কম করবে না।� �যে ব্যক্তি কোনো সৎপথের দিকে আহবান করবে� অর্থাৎ, যে মানুষের জন্য সৎ পথ বলে ও তাদেরকে তার দিকে দাওয়াত দেয়, যেমন, মানুষকে বলল যে, চাশতের সময় দুই রাকা�আত সালাত সুন্নাত। চাশতের সময় দুই রাকা�আত সালাত পড়া উচিত। তারপর তার কথা শোনে মানুষ তার অনুসরণ করল এবং তারা চাশতের সালাত পড়া আরম্ভ করল। তাহলে তার জন্য তাদের মতোই সাওয়াব মিলবে তবে তাদের সাওয়াব থেকে কোন কিছুই কম করা হবে না। কারণ, আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যাপক। অথবা কোন মানুষকে সে বলল, তোমরা রাতের শেষ সালাতকে বেজোড় কর। তোমরা বেজোড় করা (বিতির) ছাড়া ঘুমাবে না। তবে যে ব্যক্তি শেষ রাতে ওঠার আশা রাখে তখন সে শেষ রাতে বিতির পড়বে। তার কথা শোনে লোকেরা তার অনুসরণ করল। তাহলে সে অবশ্যই তাদের সমান সাওয়াব পাবে। অর্থাৎ, যখনই কোন ব্যক্তি বিতির পড়ল যাকে আল্লাহ তার হাতে পথ দেখালো তার জন্য তার সমান সাওয়াব মিলবে। অনুরূপভাবে অন্যান্য নেক আমলের বিষয়ও। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: �আর যে ব্যক্তি কোনো ভ্রষ্টতার দিকে আহবান করবে, তার উপর তার সমস্ত অনুসারীদের গোনাহ চাপবে। এটা তাদের গোনাহ থেকে কিছুই কম করবে না�। অর্থাৎ, যখন কোন ব্যক্তি কোন গুনাহের দিক ডাকে অথবা গুনাহ রয়েছে এমন বস্তুর দিকে ডাকে, যেমন, মানুষকে গান বাজনা, খেল-তামাশা বা সুদ ইতাদি নিষিদ্ধ কর্মসমূহের প্রতি আহবান করল, তাহলে যারাই তার আহ্বানে প্রভাবিত হবে, তখন তার জন্য তাদের সমান গুনাহ লিপিবদ্ধ করা হবে। কারণ, সে গুনাহের দিকে আহ্বান করেছে। সৎ কর্মের দিকে আহ্বান এবং গুনাহের দিকে আহ্বান কথা দ্বারা হয় যেমন যদি বলে, তুমি এমন কর তুমি এ কাজ কর। আবার কর্মের দ্বারাও হয়, বিশেষ করে সে যদি অনুকরনীয় ব্যক্তি হয়, যাকে মানুষ অনুসরণ করে। সে যদি কোনো কর্ম করে, তাহলে প্রকারান্তরে সে মানুষকে তার দিকে আহ্বান করল। এ কারণেই মানুষ তার কর্মকে প্রমাণ হিসেবে তুলে: তারা বলে অমুক এ কর্ম করেছেন সুতরাং তা বৈধ। অথবা সে তা করেননি। সুতরাং তা ত্যাগ করা বৈধ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3373

 
Hadith   278   الحديث
الأهمية: إن من شرار الناس من تدركهم الساعة وهم أحياء، والذين يتخذون القبور مساجد
থিম: যাদের জীবনকালে কিয়ামত সংঘটিত হবে এবং যারা কবরকে মসজিদে রূপান্তরিত করবে তারা সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক।

عن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- مرفوعاً: "إن من شرار الناس من تُدركهم الساعة وهم أحياء، والذين يتخذون القبور مساجد".

ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু থেকে মারফূ হিসেবে বর্ণিত, �যাদের জীবনকালে কিয়ামত সংঘটিত হবে এবং যারা কবরকে মসজিদে রূপান্তরিত করবে তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- عمن تقوم الساعة عليهم وهم أحياءٌ أنهم شرار الناس، ومنهم الذين يصلون عند القبور وإليها ويبنون عليها القباب، وهذا تحذيرٌ لأمته أن تفعل مع قبور أنبيائهم وصالحيهم مثل فعل هؤلاء الأشرار.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানাচ্ছেন যে, যাদের জীবনকালে কিয়ামত সংঘটিত হবে তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক। আর তাদের একটি শ্রেণী হচ্ছে ঐ সকল লোক যারা কবরের কাছে এবং কবরমুখী হয়ে সালাত আদায় করে এবং কবরের উপর গম্বুজ তৈরি করে। এটি তাঁর উম্মতের জন্য সতর্কতা স্বরূপ। তারা যেন নবী ও সৎকর্মশীলদের কবরের কাছে এসব নিকৃষ্ট লোকের মতো কাজ না করে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান]    ← →    এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3375

 
Hadith   279   الحديث
الأهمية: ما فرق هؤلاء؟ يجدون رقة عند محكمه، ويهلكون عند متشابهه
থিম: এদেরকে কোন জিনিষটি বিভক্ত করল। তার সুস্পষ্ট বিষয়গুলোর সময় নমনীয় থাকে আর অস্পষ্ট বিষয়সমূহের সময় ধ্বংস হয়।

عن ابن عباس -رضي الله عنهما- أنه رأى رجلا انْتَفَضَ لما سمع حديثا عن النبي صلى الله عليه وسلم في الصفات -استنكارا لذلك� فقال: "ما فَرَقُ هؤلاء؟ يجدون رِقَّةً عند مُحْكَمِهِ، ويَهْلِكُونَ عند مُتَشَابِهِهِ" .
থিম: আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত: তিনি এক লোককে দেখলেন সে যখন সিফাত সম্পর্কীয় একটি হাদীস শুনে তার প্রতি বিরক্ত হয়ে লাপিয়ে উঠেন। তখন তিনি বললেন, এদেরকে কোন জিনিষটি বিভক্ত করল। তার সুস্পষ্ট বিষয়গুলোর সময় নমনীয় থাকে আর অস্পষ্ট বিষয়সমূহের সময় ধ্বংস হয়।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
ينكر ابن عباس -رضي الله عنهما- على أناس ممن يحضر مجلسه من عامة الناس يحصل منهم خوفٌ عندما يسمعون شيئا من أحاديث الصفات ويرتعدون استنكارا لذلك، فلم يحصل منهم الإيمان الواجب بما صح عن رسول الله -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- وعرفوا معناه من القرآن وهو حق لا يرتاب فيه مؤمن، وبعضهم يحمله على غير معناه الذي أراده الله فيهلك بذلك.
সর্ব সাধারণ লোকদের থেকে যারা ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর মজলিসে উপস্থিত হয়, তাদের কতকের ওপর তিনি ক্ষিপ্ত হন। তারা যখন সিফাতের হাদীসসমূহ শোনে ভয় পায় ও বিরক্ত হয়ে কেঁপে ওঠে। ফলে তারা রাসূলুল্লাহ থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত হাদীস এবং কুরআন থেকে তার অর্থ জানার পরও তার প্রতি তারা ঈমান আনেনি। অথচ তা সত্য কোন মু�মিন তাতে সন্দোহ পোষণ করতে পারে না। আর তাদের কতক তার এমন অর্থ করে যা আল্লাহর উদ্দেশ্য নয়, ফলে তারা এ কারণেই ধ্বংস হয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন আবী �আসেম বর্ণনা করেছেন। - এটি আব্দুর রায্যাক বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3376

 
Hadith   280   الحديث
الأهمية: كان عمر -رضي الله عنه- يُدْخِلُنِي مع أَشْيَاخِ بَدْرٍ فَكَأَنَّ بَعْضَهُم وَجَدَ في نفسه
থিম: উমার আমাকে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শায়খদের সঙ্গে (তাঁর সভায়) প্রবেশ করাতেন। তাঁদের মধ্যে কিছু লোক যেন মনে মনে ক্ষুব্ধ হলেন।

عن عبد الله ابن عباس -رضي الله عنهما- كان عمر -رضي الله عنه- يُدْخِلُنِي مع أَشْيَاخِ بَدْرٍ فَكَأَنَّ بَعْضَهُم وَجَدَ في نفسه، فقال: لم يُدْخِلُ هذا معنا ولنا أبناءٌ مثله؟! فقال عمر: إنه من حَيْثُ عَلِمْتُمْ! فدعاني ذاتَ يومٍ فأَدَخَلَنِي مَعَهُمْ فما رأيتُ أنه دعاني يَوْمَئِذٍ إلا لِيُرِيَهُم، قال: ما تقولون في قول الله:(إذا جاء نصر الله والفتح)، [الفتح: 1]، فقال بعضهم: أَمَرَنَا نَحْمَدُ اللهَ ونَسْتَغْفِرُهُ إذا نصرنا وفَتَحَ علينا، وسكتَ بعضُهُم فَلَمْ يَقُلْ شيئًا، فقال لي: أكذلك تقولُ يا ابنَ عباس؟ فقلت: لا، قال: فما تقول؟ قلت: هو أَجَلُ رسولِ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- أَعْلَمَهُ له، قال: "إذا جاء نصر الله والفتح" وذلك علامةُ أجلِكَ، "فسبح بحمد ربك واستغفره إنه كان توابا" فقال عمر -رضي الله عنه-: مَا أَعْلَمُ مِنْهَا إلَّا مَا تَقُولُ.

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন যে, উমার আমাকে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শাইখদের সঙ্গে (তার সভায়) প্রবেশ করাতেন। তাদের মধ্যে কিছু লোক যেন মনে মনে ক্ষুব্ধ হলেন। অতএব, বললেন, �এ আমাদের সঙ্গে কেন প্রবেশ করছে? এর মত (সমবয়স্ক) ছেলে তো আমাদেরও আছে।� (এ কথা শুনে) উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বললেন, �এ কে, তা তোমরা জান।� সুতরাং তিনি একদিন আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে তাঁদের সঙ্গে (সভায়) প্রবেশ করালেন। আমার ধারণা ছিল যে, এদিন আমাকে ডাকার উদ্দেশ্য হলো, তাদেরকে আমার মর্যাদা দেখানো। তিনি (পরীক্ষাস্বরূপ সভার লোককে) বললেন, �তোমরা আল্লাহর এই কথা: �যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় উপস্থিত হবে।� [সূরা আন-নাসর, আয়াত: ১] এর ব্যাখ্যার ব্যাপারে কী বল?� কিছু লোক বললেন, �আমাদেরকে এতে আদেশ দেওয়া হয়েছে যে, যখন আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য ও বিজয় দান করবেন, তখন যেন আমরা তাঁর প্রশংসা করি ও তাঁর কাছে ক্ষমা চাই।� আর কিছু লোক নিরুত্তর থাকলেন এবং কিছুই বললেন না। (ইবন আব্বাস বলেন,) অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, �হে ইবনে আব্বাস! তুমিও কি এ কথাই বল?� আমি বললাম, �না।� তিনি বললেন, �তাহলে তুমি (এর ব্যাখ্যা) কী বল?� আমি বললাম, �তা হলো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু সংবাদ, যা আল্লাহ তাঁকে জানিয়েছেন।� তিনি বলেন, �যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় সমাগত হবে।� আর সেটা হলো তোমার মৃত্যুর পূর্বলক্ষণ। �তখন তুমি তোমার রবের প্রশংসা দ্বারা তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা কর ও তাঁর কাছে স্বীয় ত্রুটির জন্য ক্ষমা চাও। নিশ্চয় তিনি তওবা গ্রহণকারী।� [সূরা আন-নাসর, আয়াত: ৩] অতঃপর উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বললেন, এর অর্থ আমি তাই জানি, যা তুমি বললে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان من هدي عمر -رضي الله عنه- أنه يشاور الناس ذوي الرأي فيما يُشكِلُ عليه، وكان يُدخل مع أشياخ بدر وكبار الصحابة عبد الله بن عباس وكان صغير السن بالنسبة لهؤلاء، فغضبوا من ذلك، كيف يُدخل ابن عباس -رضي الله عنهما- ولا يُدخل أبناؤهم، فأراد عمرُ أن يريهم مكانة عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- من العلم والذكاء والفطنة، فجمعهم ودعاه، فعرض عليهم هذه السورة: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجاً فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا}، فانقسموا إلى قسمين لما سألهم عنها ما تقولون فيها؟ قسمٌ سكت، وقسمٌ قال: إن الله أمرنا إذا جاء النصر والفتح، أن نستغفر لذنوبنا، وأن نحمده ونسبح بحمده؛ ولكن عمر -رضي الله عنه- أراد أن يعرف ما مغزى هذه السورة، ولم يرد أن يعرف معناها من حيث الألفاظ والكلمات.
فسأل ابن عباس -رضي الله عنهما- قال: ما تقول في هذه السورة؟ قال: هو أجل رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، يعني علامة قرب أجله، أعطاه الله آية: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ} يعني فتح مكة، فإن ذلك علامة أجلك؛ {فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا} فقال: ما أعلم فيها إلا ما علمت.
وظهر بذلك فضل عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما-.

থিম: উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর অভ্যাস ছিল, তিনি কোন জটিল বিষয়ে বুদ্ধিমান লোকদের থেকে পরামর্শ নিতেন। আর তিনি তার সভা কক্ষে বদরী ও বড় বড় সাহাবীদের সাথে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাসকেও প্রবেশ করাতেন। অথচ তিনি ছিলেন তাদের তুলনায় বয়সে ছোট। ফলে তারা ক্ষুব্ধ হলো এবং তারা বলাবলি করতে লাগলো কীভাবে ইবন আব্বাসকে প্রবেশ করান। অথচ তাদের সন্তানদের প্রবেশ করান না। তাই উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু মেধা, ইলম ও দূরদর্শি হিসেবে আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহর অবস্থান তাদের সামনে তুলে ধরতে চাইলেন। তিনি তাদের সবাইকে এবং তাকে একত্র করলেন। আর তাদের সামনে এ সূরা: �যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় সমাগত হবে এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,তখন আপনি আপনার রবের পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।� [সূরা আন-নাসর] পেশ করলেন। যখন তাদেরকে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন যে, তোমরা এ সূরা সম্পর্কে কী বল? তখন তারা দু�ভাগে বিভক্ত হলো, একদল চুপ থাকল। আর অপর দল বলল, �আমাদেরকে এতে আদেশ দেওয়া হয়েছে যে, যখন আল্লাহ আমাদেরকে সাহায্য ও বিজয় দান করবেন, তখন যেন আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাসবীহ পাঠ করি ও তাঁর কাছে ক্ষমা চাই। কিন্তু উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু সূরার উদ্দেশ্য সম্পকে জানতে চেয়েছেন। তিনি শাব্দিক অর্থ ও বাক্যগুলোর অর্থ জানতে চান নি। অতঃপর তিনি আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাসকে বললেন, �তুমি এ সূরা সম্পর্কে কী বল? তিনি বললেন, �তা হলো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু সংবাদ। অর্থাৎ তার মৃত্যু উপস্থিত হওয়ার আলামত। এটি আল্লাহ তা�আলা তাকে নির্দশন হিসেবে দান করেছেন। �যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় সমাগত হবে।� অর্থাৎ মক্কা বিজয়। আর সেটা হলো তোমার মৃত্যুর পূর্বলক্ষণ। �তখন তুমি তোমার রবের প্রশংসায় তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা কর ও তাঁর কাছে স্বীয় ত্রুটির জন্য ক্ষমা চাও। নিশ্চয় তিনি তাওবা গ্রহণকারী।� [সূরা আন-নাসর, আয়াত: ৩] অতঃপর উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বললেন, এর অর্থ আমি তাই জানি, যা তুমি বললে। এ ঘটনা দ্বারা আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমার ফযীলত স্পষ্ট হলো।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3377

 
Hadith   281   الحديث
الأهمية: ما مِنْ يومٍ يُصْبِحُ العِبادُ فيهِ إلا مَلَكَانِ يَنْزِلَانِ، فيقولُ أَحَدُهُمَا: اللهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، ويقولُ الآخَرُ: اللهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا
থিম: যে দিনেই বান্দারা যখন ভোর করে দু�জন ফিরিশতা অবতরণ করেন। তাদের একজন বলেন, �হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের বিনিময় দিন।� আর অপরজন বলেন, �হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস দিন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: �ما مِنْ يومٍ يُصْبِحُ العِبادُ فيهِ إلا مَلَكَانِ يَنْزِلَانِ، فيقولُ أَحَدُهُمَا: اللهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، ويقولُ الآخَرُ: اللهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক মারফু হিসেবে বর্ণিত, �যে দিনেই বান্দারা যখন ভোর করে দু�জন ফিরিশতা অবতরণ করেন। তাদের একজন বলেন, �হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের বিনিময় দিন।� আর অপরজন বলেন, �হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস দিন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لا يمر على الناس يوم إلا وملكان ينزلان، فيقول أحدهما: اللهم أعط من أنفق ماله في الخير كالطاعات وعلى العيال والضيفان عوضا، في الدنيا والآخرة، ويقول الآخر: اللهم أهلك البخيل الذي يمسك عما أوجب الله عليه من بذل المال فيه هو وماله.
মানুষের ওপর দিয়ে এমন কোনো দিন অতিবাহিত হয় না যেদিন দুইজন ফিরিশতা অবতীর্ণ হয় না। তাদের একজন বলে, হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি তার সম্পদ থেকে কল্যাণমূলক কর্মে দান করে, যেমন, ইবাদাত, পরিবার-পরিজন ও মেহমানদারী ইত্যাদিতে, তাকে আপনি দুনিয়া ও আখিরাতে বিনিময় দান করুন। অপর ফিরিশতা বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণ যে তার ওপর আল্লাহ যে সম্পদ ব্যয় করা ওয়াজিব করেছে তা থেকে বিরত থাকে আপনি তাকে ও তার সম্পদকে ধ্বংস করুন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3379

 
Hadith   282   الحديث
الأهمية: لقد تابت توبةً لو قُسِمَتْ بين سبعين من أهل المدينة لَوَسِعَتْهُم، وهل وَجَدَتْ أفضل من أن جَادَتْ بنفسها لله - عز وجل؟!
থিম: সে (নারীটি) এমন বিশুদ্ধ তওবা করেছে, যদি তা মদীনার ৭০জন লোকের মধ্যে বণ্টন করা হয় তা তাদের জন্য যথেষ্ট হবে। সে নিজের নফসকে আল্লাহর জন্য ত্যাগ করার পরিবর্তে উত্তম কিছু দেখেছে কি?

عن أبي نُجَيد عمران بن حصين الخزاعي -رضي الله عنه- أن امرأة من جهينة أتت رسول الله - صلى الله عليه وسلم - وهي حُبْلَى من الزنى، فقالت: يا رسول الله، أصبتُ حدًّا فَأَقِمْهُ عليَّ، فدعا نبيُّ الله -صلى الله عليه وسلم- وَلِيَّهَا، فقال: �أَحْسِنْ إِلَيْهَا، فإذا وَضَعَتْ فَأْتِنِي� ففعل، فأمر بها نبي الله -صلى الله عليه وسلم- فَشُدَّتْ عليها ثيابها، ثم أمر بها فَرُجِمَتْ، ثم صلى عليها. فقال له عمر: تُصَلِّي عليها يا رسول الله وقد زنت؟ قال: �لقد تابت توبةً لو قُسِمَتْ بين سبعين من أهل المدينة لَوَسِعَتْهُم، وهل وَجَدَتْ أفضل من أن جَادَتْ بنفسها لله -عز وجل-؟!�.
থিম: আবূ নুজাইদ ইমরান ইবনে হুসাইন আল-খুযায়ী থেকে বর্ণিত, জুহাইনা গোত্রের এক নারী আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে হাজির হল। সে অবৈধ মিলনে গর্ভবতী ছিল। সে বলল, �হে আল্লাহর রাসূল! আমি দণ্ডনীয় অপরাধ করে ফেলেছি তাই আপনি আমাকে শাস্তি দিন!� সুতরাং আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার আত্মীয়কে ডেকে বললেন, �তুমি একে নিজের কাছে যত্ন সহকারে রাখ এবং সন্তান প্রসবের পর একে আমার নিকট নিয়ে এসো।� সুতরাং সে তাই করল। আল্লাহর নবী তার কাপড় তার (শরীরের) উপর মজবুত করে বেঁধে দেওয়ার আদেশ দিলেন। অতঃপর তাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলার আদেশ দিলেন। অতঃপর তিনি তার জানাযার সালাত পড়লেন। উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু তাঁকে বললেন, �হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তার ওপর জানাযার সালাত পড়লেন, অথচ সে ব্যভিচার করেছে?� তিনি বললেন, সে এমন বিশুদ্ধ তাওবা করেছে, যদি তা মদীনার ৭০জন লোকের মধ্যে বণ্টন করা হয় তা তাদের জন্য যথেষ্ট হবে। সে নিজের নফসকে আল্লাহর জন্য ত্যাগ করার পরিবর্তে উত্তম কিছু দেখেছে কি?

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جاءت امرأة من جهينة إلى النبي صلى الله عليه وسلم وهي حاملٌ قد زنت رضي الله عنها، فأخبرته أنها قد أصابت شيئا يوجب عليها الحد؛ ليقيمه عليها، فدعا النبي صلي الله عليه وسلم وليها، وأمره أن يحسن إليها، فإذا وضعت فليأت بها إليه، فلما وضعت أتى بها وليها إلى النبي صلي الله عليه وسلم، فلفت ثيابها وربطت لئلا تنكشف، ثم أمر بها فرجمت بالحجارة حتى ماتت، ثم صلى عليها النبي صلى الله عليه وسلم ودعا لها دعاء الميت، فقال له عمر رضي الله عنه: تصلي عليها يا رسول الله وقد زنت؟ فأخبره النبي صلى الله عليه وسلم أنها قد تابت توبة واسعة لو قسمت على سبعين من المذنبين لوسعتهم ونفعتهم، فإنها جاءت سلمت نفسها من أجل التقرب إلى الله عز وجل والخلوص من إثم الزنى؛ فهل هناك أعظم من هذا؟.
জুহাইনাহ গোত্রের একজন গর্ভবতী মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসলেন, ইতোপূর্বে সে যেনা করেছে (রাদিয়াল্লাহু আনহা) সে তাকে জানালেন যে, সে এমন কর্ম করেছে যা তার ওপর শাস্তি/হদ ওয়াজিব করে, যাতে তিনি তার ওপর তা বাস্তবায়ন করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অভিভাবককে ডাকলেন এবং তাদের নির্দেশ দিলেন তারা যেন তার সাথে ভালো আচরণ করে। তারপর যখন সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তখন যেন তাকে নিয়ে আসে। যখন সন্তান প্রসব করল তার অভিভাবক তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট নিয়ে আসল। তারপর সে তার কাপড় তার (শরীরের) উপর মজবুত করে বেঁধে নিল, যাতে তা সে বিবস্ত্র না হয়। অতঃপর তাকে পাথর নিক্ষেপ করার আদেশ দিলেন, অবশেষে সে মারা গেল। অতঃপর তিনি তার জানাযার সালাত পড়লেন এবং তার জন্য অন্যান্য মৃত ব্যক্তির মতো দো�আ করলেন। তখন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু তাঁকে বললেন, �হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তার জানাযার সালাত পড়লেন, অথচ সে যেনা করেছে?� তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জানালেন, �এ নারী এমন বিশুদ্ধ তাওবা করেছে, যদি তা মদীনার ৭০টি অপরাধী লোকের মধ্যে বন্টন করা হয় তা তাদের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তাদের উপকার হবে। কারণ, মহিলাটি আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে এবং ব্যভিচারের গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজের জীবনকে পেশ করেছে। এখানে এর চেয়ে মহান আর কী হতে পারে?
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3380

 
Hadith   283   الحديث
الأهمية: أخوف ما أخاف عليكم: الشرك الأصغر، فسئل عنه، فقال: الرياء
থিম: আমি তেমাদের ওপর যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশী ভয় করি তা হচ্ছে ছোট শির্ক। তা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন: রিয়া (লোক দেখানো)।

عن محمود بن لبيد -رضي الله عنه- مرفوعاً: "أَخْوَفُ ما أخاف عليكم: الشرك الأصغر، فسئل عنه، فقال: الرياء".

মাহমূদ ইবন লাবীদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� সূত্রে বর্ণিত: �আমি তেমাদের ওপর যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশী ভয় করি তা হচ্ছে ছোট শির্ক। তা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন: রিয়া (লোক দেখানো)�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا النبي -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث أنه يخاف علينا، وأكثر ما يخاف علينا من الشرك الأصغر، وذلك لما اتصف به -صلى الله عليه وسلم- من كمال العطف والرحمة بأمته، والحرص على ما يصلح أحوالهم، ولما عرفه من قوة أسباب الشرك الأصغر الذي هو الرياء وكثرة دواعيه، فربما دخل على المسلمين من حيث لا يعلمون فيضر بهم؛ لذا حذرهم منه وأنذرهم.
এ হাদীসটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দেন যে, তিনি আমাদের ওপর আশংকা করেন। তিনি যেসব বিষয়ে আশংকা করেন তার একটি হলো ছোট শির্ক। আর তার এ আশংকা করা উম্মাতের প্রতি তার পরিপূর্ণ দয়া ও মেহেরবানী এবং তাদের অবস্থার সংশোধনের প্রতি অধিক আগ্রহী হওয়ার কারণে। এ ছাড়াও শির্কে আসগর অর্থাৎ রিয়া-এর কারণসমূহের ক্ষমতা ও ক্ষতিকর কু-প্রভাবসমূহ সম্পর্কে অবগত হওয়ার কারণে তিনি মুসলিমদের সতর্ক করেন এবং ভয় দেখান যাতে তা মুসলিমদের অজান্তে তাদের মধ্যে প্রবেশ করে কোন ক্ষতি করতে না পারে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3381

 
Hadith   284   الحديث
الأهمية: الطيرة شرك، الطيرة شرك، وما منا إلا، ولكن الله يذهبه بالتوكل
থিম: অশুভ লক্ষণ (বিশ্বাস করা) শেরেকী কাজ। অশুভ লক্ষণ (বিশ্বাস করা) শেরেকী কাজ। আমাদের মধ্যে অশুভ লক্ষণের ধারণা আসে, তবে আল্লাহর উপর ভরসার দ্বারা তা দূরীভূত হয়।

عن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- مرفوعاً: "الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، الطِّيَرَةُ شِرْكٌ، وما منا إلا، ولكنَّ الله يُذْهِبُهُ بالتوكل".
(وما منا إلا، ولكنَّ الله يُذْهِبُهُ بالتوكل) من قول ابن مسعود وليس مرفوعًا.

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: অশুভ লক্ষণ (বিশ্বাস করা) শেরেকী কাজ। অশুভ লক্ষণ (বিশ্বাস করা) শেরেকী কাজ। আমাদের মধ্যে অশুভ লক্ষণের ধারণা আসে, তবে আল্লাহর উপর ভরসার দ্বারা তা দূরীভূত হয়।� (আমাদের মধ্যে অশুভ লক্ষণের ধারণা আসে, তবে আল্লাহর উপর ভরসার দ্বারা তা দূরীভূত হয়।) এটি ইবন মাসউদের বাণী এবং মারফূ� হিসেবে নয়।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الرسول -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- يخبر ويكرر الإخبار؛ ليتقرر مضمونه في القلوب، أن الطيرة -وهي التشاؤم الذي يمنع الشخص من فعل أو يدفعه إليه- شرك؛ لما فيها من تعلق القلب على غير الله وسوء الظن به.
وقال ابن مسعود: وما منا من أحد إلا وقد وقع في قلبه شيء من التشاؤم، ولكن الله يُذهب هذا التشاؤم بالتوكل والاعتماد عليه، وهذا -والله أعلم- على سبيل التواضع والمبالغة، مع بيان العلاج إذا حصل ذلك.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দেন এবং একই কথা বার বার বলেন, যাতে আলোচ্য বিষয়টি অন্তরে গেঁথে যায়। কু-সংস্কার আর তা হলো অশুভ লক্ষণ যা একজন মানুষকে কোন কাজ করতে বিরত রাখে বা তাকে কাজটি করতে বাধ্য করে তা অবশ্যই শির্ক। কারণ, এতে রয়েছে গাইরুল্লাহর সাথে অন্তর সম্পৃক্ত হওয়া বা আল্লাহর প্রতি খারাপ ধারণা। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, আমাদের প্রত্যেকের অন্তরে অশুভ লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু আল্লাহ তা�আলা এ অশুভ লক্ষণ আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল ও ভরসা দ্বারা দূর করে দেন। তার এ কথার উদ্দেশ্য- আল্লাহই ভালো জানেন- বিনয় প্রকাশ করা, অশুভ লক্ষণের আধিক্য বুঝানো এবং অশুভ লক্ষণ হলে করণীয় চিকিৎসা বাতলানো।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3383

 
Hadith   285   الحديث
الأهمية: أليس يحرمون ما أحل الله فتحرمونه؟ ويحلون ما حرم الله فتحلونه؟ فقلت: بلى، قال: فتلك عبادتهم
থিম: তারা কি তা হারাম করে না আল্লাহ যা হালাল করেছেন এবং তারা কি হালাল করে না আল্লাহ যা হারাম করেছেন? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, এটিই তাদের ইবাদত।

عن عدي بن حاتم -رضي الله عنه-: "أنه سمع النبي -صلى الله عليه وسلم- يقرأ هذه الآية: "اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ وَالْمَسِيحَ ابْنَ مَرْيَمَ وَمَا أُمِرُوا إِلاَّ لِيَعْبُدُوا إِلَهًا وَاحِدًا لا إِلَهَ إِلاَّ هُوَ سُبْحَانَهُ عَمَّا يُشْرِكُونَ" فقلت له: إنا لسنا نعبدهم، قال: أليس يُحَرِّمُونَ ما أحل الله فتُحَرِّمُونَهُ؟ ويُحِلُّونَ ما حَرَّمَ الله فتُحِلُّونَهُ؟ فقلت: بلى، قال: فتلك عبادتهم".

আদী ইবন হাতিম রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ আয়াত �তারা আল্লাহকে ছেড়ে তাদের পণ্ডিত ও সংসার বিরাগীদের রব হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং মারইয়ামপুত্র মাসীহকেও। অথচ তারা এক ইলাহের ইবাদত করার জন্যই আদিষ্ট হয়েছে, তিনি ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই। তারা যে শরীক করে তিনি তা থেকে পবিত্র� [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: 31] পড়তে শুনেছেন। তারপর তিনি তাকে বললেন, আমরা তো তাদের ইবাদত করি না। তিনি বললেন, এমন কি নয় যে, আল্লাহ যা হালাল করেছেন তা তারা হারাম করে, ফলে তোমরাও তা হারাম করো? এবং আল্লাহ যা হারাম করেছেন তারা তা হালাল করে, ফলে তোমরাও তা হালাল করো? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন, এটিই তাদের ইবাদত করা।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حينما سمع هذا الصحابي الجليل تلاوة الرسول -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- لهذه الآية التي فيها الإخبار عن اليهود والنصارى: بأنهم جعلوا علماءهم وعبّادهم آلهة لهم يشرعون لهم ما يخالف تشريع الله فيطيعونهم في ذلك، استشكل معناها، لأنه كان يظن أن العبادة مقصورة على السجود ونحوه، فبين له الرسول -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- أن من عبادة الأحبار والرهبان: طاعتهم في تحريم الحلال وتحليل الحرام، خلاف حكم الله -تعالى- ورسوله -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ-.
থিম: যখন এ বিশিষ্ট সাহাবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখে এমন একটি আয়াতের তিলাওয়াত শুনলেন যে আয়াতে ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে যে, তারা তাদের পাদ্রীদের এবং আলেমদের ইলাহ সাব্যস্ত করেছে, তারা তাদের জন্য আল্লাহর বিধানের পরিপন্থী বিধান দেন যার অনুকরণ তারা করে থাকেন, তখন তার জন্য আয়াতের ব্যাখ্যাটি কঠিন হয়। কারণ, তিনি ধারণা করতেন যে, ইবাদত শুধু সাজদা করা ইত্যাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়ে দেন যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিধানের বিপরীতে হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে আলেম ও পাদ্রীদের অনুকরণ করাও তাদের ইবাদত করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3384

 
Hadith   286   الحديث
الأهمية: جاء حبر من الأحبار إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال: يا محمد، إنا نجد أن الله يجعل السماوات على إصبع، والأرضين على إصبع
থিম: ইয়াহুদীদের একজন জ্ঞানী ব্যক্তি রাসূলুল্লাহর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ, আমরা পেলাম যে, আল্লাহ আসমানসমূহ একটি আঙ্গুলের উপর, যমীনসমূহ একটি আঙ্গুলের উপর, গাছ-পালা একটি আঙ্গুলের ওপর, পানি একটি আঙ্গুলের ওপর, মাটি একটি আঙ্গুলের ওপর এবং সমস্ত মাখলুক একটি আঙ্গুলের উপর রাখবেন। তারপর তিনি বলবেন, আমিই বাদশাহ। এ বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহুদী আলেমের কথাকে স্বীকার করে হেঁসে দিলেন, যাতে তার দাঁতগুলো প্রকাশ পেল। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করেন, তারা আল্লাহকে তার সম্মান অনুযায়ী সম্মান দিতে পারেনি। কিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবী তার হাতের মুঠোর মধ্যে হবে। সহীহ মুসলিমের হাদিসে বর্ণিত: পাহাড়সমূহ ও গাছ-পালা এক আঙ্গুলের উপর থাকবে। তারপর তিনি এগুলোকে নাড়া দিয়ে বলবেন, আমিই বাদশাহ আমিই আল্লাহ। সহীহ বুখারীর একটি বর্ণনায় বর্ণিত: আসমানসমূহ এক আঙ্গুলের উপর, মাটি এক আঙ্গুলের ওপর এবং সমগ্র মাখলুক একটি আঙ্গুলের ওপর থাকবে।�

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- قال: "جاء حَبْرٌ من الأحبار إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال: يا محمد، إنا نجد أن الله يجعل السماوات على إِصْبَعٍ، والأَرَضَينَ على إِصْبَعٍ، والشجر على إِصْبَعٍ، والماء على إِصْبَعٍ، والثَّرَى على إِصْبَعٍ، وسائر الخلق على إِصْبَعٍ، فيقول: أنا الملك، فضحك النبي -صلى الله عليه وسلم- حتى بَدَتْ نَوَاجِذَهُ تَصْدِيقًا لقول الحبر، ثم قرأ: (وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ وَالأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ).
وفي رواية لمسلم: "والجبال والشجر على إِصْبَعٍ، ثم يَهُزُّهُنَّ فيقول: أنا الملك، أنا الله".
وفي رواية للبخاري: "يجعل السماوات على إِصْبَعٍ، والماء والثَّرَى على إِصْبَعٍ، وسائر الخلق على إِصْبَعٍ".

ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: ইয়াহুদীদের একজন জ্ঞানী ব্যক্তি রাসূলুল্লাহর নিকট এসে বলল, হে মুহাম্মাদ, আমরা পেলাম যে, আল্লাহ আসমানসমূহ একটি আঙ্গুলের উপর, যমীনসমূহ একটি আঙ্গুলের উপর, গাছ-পালা একটি আঙ্গুলের ওপর, পানি একটি আঙ্গুলের ওপর, মাটি একটি আঙ্গুলের ওপর এবং সমস্ত মাখলুক একটি আঙ্গুলের উপর রাখবেন। তারপর তিনি বলবেন, আমিই বাদশাহ। এ বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহুদী আলেমের কথাকে স্বীকার করে হেঁসে দিলেন, যাতে তার দাঁতগুলো প্রকাশ পেল। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করেন, তারা আল্লাহকে তার সম্মান অনুযায়ী সম্মান দিতে পারেনি। কিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবী তার হাতের মুঠোর মধ্যে হবে। সহীহ মুসলিমের হাদিসে বর্ণিত: পাহাড়সমূহ ও গাছ-পালা এক আঙ্গুলের উপর থাকবে। তারপর তিনি এগুলোকে নাড়া দিয়ে বলবেন, আমিই বাদশাহ আমিই আল্লাহ। সহীহ বুখারীর একটি বর্ণনায় বর্ণিত: আসমানসমূহ এক আঙ্গুলের উপর, মাটি এক আঙ্গুলের ওপর এবং সমগ্র মাখলুক একটি আঙ্গুলের ওপর থাকবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا ابن مسعود -رضي الله عنه- أن رجلا من علماء اليهود جاء إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- وذكر له أنهم يجدون في كتبهم أن الله -سبحانه- يوم القيامة يجعل السموات على إصبع، والأرضين على إصبع، والشجر على إصبع، والثرى على إصبع، وفي رواية: والماء على إصبع، وسائر المخلوقات على إصبع، من أصابعه -جل وعلا-، وهي خمسة كما في الروايات الصحيحة، وليست كأصابع المخلوقين، وأنه يظهر شيئا من قدرته وعظمته عزوجل فيهزهن ويعلن ملكه الحقيقي، وكمال تصرفه المطلق وألوهيته الحقة.
فضحك النبي -صلى الله عليه وسلم- حتى بدت نواجذه تصديقا لقول الحبر، ثم قرأ: {وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ وَالأَرْضُ جَمِيعاً قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ}.

থিম: ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাদের সংবাদ দেন যে, ইয়াহুদীদের একজন জ্ঞানী ব্যক্তি রাসূলুল্লাহর নিকট এসে তাকে বলল, তারা তাদের কিতাবসমূহে পেয়েছে যে, আল্লাহ কিয়ামাতের দিন আসমানসমূহ একটি আঙ্গুলের উপর, যমীনসমূহ একটি আঙ্গুলের উপর, গাছ-পালা একটি আঙ্গুলের ওপর এবং মাটি একটি আঙ্গুলের ওপর রাখবেন। অপর বর্ণনায় আছে পানি এবং তার সমগ্র মাখলুক তার আঙ্গুলসমূহের একটি আঙ্গুলের উপর থাকবে। আর তা হলো পাঁচটি। যেমনটি বিশুদ্ধ বর্ণনাসমূহে এসেছে। তবে তার আঙ্গুল মাখলুকের আঙ্গুলের মতো নয়। আর তিনি তার ক্ষমতা ও মহত্বের কিছু অংশ প্রকাশ করবেন। তিনি এ সবকে নাড়া দেবেন এবং তার সত্যিকার মালিকানা, পরিপূর্ণ ক্ষমতা এবং সত্যিকার উলুহিয়্যাতের ঘোষণা দেবেন। তারপর ইয়াহুদী আলেমের কথার সত্যতা স্বীকার করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেঁসে দিলেন, যাতে তার দাঁতগুলো প্রকাশ পেল। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করেন, তারা আল্লাহকে তার সম্মান অনুযায়ী সম্মান দিতে পারেনি। কিয়ামতের দিন সমগ্র পৃথিবী তার হাতের মুঠোর মধ্যে হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3386

 
Hadith   287   الحديث
الأهمية: يطوي الله السماوات يوم القيامة، ثم يأخذهن بيده اليمنى، ثم يقول: أنا الملك أين الجبارون؟ أين المتكبرون؟ ثم يطوي الأرضين السبع، ثم يأخذهن بشماله، ثم يقول: أنا الملك، أين الجبارون؟ أين المتكبرون
থিম: কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাঁর আকাশমণ্ডলীকে গুটিয়ে ফেলবেন। অতঃপর স্বীয় ডান দ্বারা তা ধরবেন। তারপর তিনি বলবেন, আমিই অধিপতি, প্রতাপশালীরা কোথায়? দাম্ভিকেরা কোথায়? তারপর সাত যমীনকে গুটিয়ে নিবেন। তারপর এগুলো বাম হাত দ্বারা তালুবদ্ধ করবেন। তারপর তিনি বলবেন, আমি অধিপতি, প্রতাপশালীরা কোথায়? দাম্ভিকেরা কোথায়?

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- مرفوعاً: "يَطْوِي الله السماوات يوم القيامة، ثم يَأْخُذُهُنَّ بيده اليمنى، ثم يقول: أنا الملك أين الجبارون؟ أين المتكبرون؟ ثم يَطْوِي الأَرَضِينَ السبع، ثم يأخذهن بشماله، ثم يقول: أنا الملك، أين الجبارون؟ أين المتكبرون؟".

আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাঁর আকাশমণ্ডলীকে গুটিয়ে ফেলবেন। অতঃপর স্বীয় ডান দ্বারা তা ধরবেন। তারপর তিনি বলবেন, আমিই অধিপতি, প্রতাপশালীরা কোথায়? দাম্ভিকেরা কোথায়? তারপর সাত যমীনকে গুটিয়ে নিবেন। তারপর এগুলো বাম হাত দ্বারা তালুবদ্ধ করবেন। তারপর তিনি বলবেন, আমি অধিপতি, প্রতাপশালীরা কোথায়? দাম্ভিকেরা কোথায়?

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا ابن عمر -رضي الله عنهما- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- أخبرهم بأن الله -عز وجل- سوف يطوي السموات السبع يوم القيامة ويأخذهن بيده اليمنى، ويطوي الأرضين السبع ويأخذهن بيده الشمال، وأنه كلما طوى واحدة منهن نادى أولئك الجبارين والمتكبرين مستصغرا شأنهم معلنا أنه هو صاحب الملك الحقيقي الكامل الذي لا يضعف ولا يزول، وأن كل من سواه من ملك ومملوك وعادل وجائر زائل وذليل بين يديه عزوجل، لا يسأل عما يفعل وهم يسألون.
ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জানান যে, মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন সাত আকাশ ঘুটিয়ে দিবেন এবং তার ডান হাত দ্বারা পাকড়াও করবেন। আর সপ্ত যমীন ঘুটিয়ে দিবেন এবং তা তার বাম হাতে নিবেন। আর তিনি যখনই একটি ঘুটাবেন তখন তিনি ঐ সব স্বৈরাচারী ও অহংকারীদের অপমানের সাথে প্রকাশ্যে বলবেন। তিনি প্রকৃত ও পরিপূর্ণ অধিপতি যিনি দুর্বল নন এবং শেষ হওয়ার নন। আর তিনি ছাড়া সব মুনীব, দাস, বিচারক ও অত্যাচারী নিঃশেষ এবং আল্লাহ সামনে অপধস্থ। তিনি যা করেছেন সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার কেউ নেই। আর তারা সবাই জিজ্ঞাসিত হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3387

 
Hadith   288   الحديث
الأهمية: كنت أغسل الجنابة من ثوب رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فيخرج إلى الصلاة، وإن بقع الماء في ثوبه
থিম: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় হতে বীর্যের চিহ্ন ধুয়ে দিতাম পরক্ষণে তিনি সালাতে বের হতেন যে পানির চিহ্ন তার কাপড়ে থাকত।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: ((كُنْت أَغْسِلُ الْجَنَابَةَ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَيَخْرُجُ إلَى الصَّلاةِ، وَإِنَّ بُقَعَ الْمَاءِ فِي ثَوْبِهِ)).
وَفِي رواية: ((لَقَدْ كُنْتُ أَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فَرْكاً، فَيُصَلِّي فِيهِ)).

থিম: �আয়িশাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, �আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় হতে বীর্যের চিহ্ন ধুয়ে দিতাম পরক্ষণে তিনি সালাতে বের হতেন যে পানির চিহ্ন তার কাপড়ে থাকত�। অপর বর্ণনায় বর্ণিত: �আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাপড় থেকে তা খুটতাম পরক্ষণে তিনি তাতে সালাত আদায় করতেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
تذكر عائشة -رضي الله عنها-: أنه كان يصيب ثوب رسول الله -صلى الله عليه وسلم- المني من الجنابة، فتارة يكون رطبا فتغسله من الثوب بالماء، فيخرج إلى الصلاة، والماء لم يجف من الثوب، وتارة أخرى، يكون المني يابسًا، وحينئذ تفركه من ثوبه فركًا، فيصلى فيه.
আয়িশা রাদিয়াল্লাহু <�আনহা আলোচনা করেন যে, রাসূলের কাপড়ে জানাবাতের কারণে বীর্য লাগতো। কখনো তা তরল হতো। তখন পানি দিয়ে কাপড় ধুয়ে সালাতে বের হতেন, অথচ কাপড়ের পানি এখনো শুকায়নি। আবার কখনো তা শকনো হতো। তখন তিনি তার কাপড় থেকে খুঁটে দিতেন। তারপর তাতে সে সালাত আদায় করত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3388

 
Hadith   289   الحديث
الأهمية: انطلقت في وفد بني عامر إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقلنا: أنت سيدنا، فقال السيد الله -تبارك وتعالى-
থিম: আমি বনী আমেরের দলভুক্ত হয়ে রাসূলুল্লাহর নিকট গেলাম এবং আমরা বললাম, তুমি আমাদের সরদার। তিনি বললেন, সরদার কেবল আল্লাহ তা�আলা।

عن عبد الله بن الشخير -رضي الله عنه- قال: "انطلقت في وفد بني عامر إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقلنا: أنت سيدنا. فقال السيد الله -تبارك وتعالى-. قلنا: وأَفْضَلُنَا فَضْلًا وأَعْظَمُنْا طَوْلًا. فقال: قولوا بقولكم أو بعض قولكم، ولا يَسْتَجْرِيَنَّكُمُ الشيطان".

আব্দুল্লাহ ইবন শিখ্খির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বনী আমেরের দলভুক্ত হয়ে রাসূলুল্লাহর নিকট গেলাম এবং আমরা বললাম, তুমি আমাদের সরদার। তিনি বললেন, সরদার কেবল আল্লাহ তা�আলা। আমরা বললাম, তুমি মর্যাদার দিক দিয়ে আমাদের উত্তম এবং উচ্চতার দিক দিয়ে আমাদের মহান। তারপর তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের কথা বা কিছু কথা বলো। শয়তান যেন তোমাদেরকে তার বদলা না বানায়।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لما بالغ هذا الوفد في مدح النبي -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- نهاهم عن ذلك؛ تأدبًا مع الله -سبحانه- وحماية للتوحيد، وأمرهم أن يقتصروا على الألفاظ التي لا غلوّ فيها ولا محذور؛ كأن يدعوه بمحمد رسول الله، كما سماه الله -عز وجل-، أو: نبي الله، أو: أبا القاسم، وحذرهم من أن يتخذهم الشيطان وكيلًا عنه في الأفعال التي يوسوس بها لهم.
যখন এ জামাতটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রশংসায় বাড়াবাড়ি করল, আল্লাহর সাথে আদাব রক্ষা ও তাওহীদের সংরক্ষণের সার্থে তিনি তাদের এ ধরনের কথা বলতে নিষেধ করেন। আর তাদের নির্দেশ দেন যে, তারা যেন এমন শব্দের ওপর সীমাবদ্ধ থাকেন যাতে কোন বাড়াবাড়ি বা আপত্তি নেই। যেমন, তাকে তারা আল্লাহ যেভাবে তার নাম করণ করেছেন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বলে ডাকবে। আর শয়তান যে সব কর্ম দ্বারা তাদের কুমন্ত্রণা দেন সে সব কর্মে তার পক্ষ তাদেরকে প্রতিনিধি নিয়োগ করা থেকে তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3389

 
Hadith   290   الحديث
الأهمية: إنك تأتي قوما من أهل الكتاب، فليكن أولَ ما تدعوهم إليه شهادة أن لا إله إلا الله
থিম: তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ। সুতরাং তুমি তাদেরকে সর্বপ্রথম এ দাওয়াত দিবে যে, �আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই।

عن ابن عباس -رضي الله عنهما-: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لما بعث معاذا إلى اليمن قال له: "إنك تأتي قوما من أهل الكتاب، فليكن أولَ ما تدعوهم إليه شهادة أن لا إله إلا الله" -وفي رواية: "إلى أن يوحدوا الله-، فإن هم أطاعوك لذلك فأعلمهم أن الله افترض عليهم خمس صلوات في كل يوم وليلة، فإن هم أطاعوك لذلك فأعلمهم أن الله افترض عليهم صدقة تؤخذ من أغنيائهم فَتُرَدُّ على فقرائهم، فإن هم أطاعوك لذلك فإياك وكَرَائِمَ أموالِهم، واتق دعوة المظلوم فإنه ليس بينها وبين الله حجاب".

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মু�আয রাদিয়াল্লাহু <�আনহুকে (ইয়ামানের শাসকরূপে) প্রেরণ করেন, তখন তিনি তাকে বলেছিলেন, �তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের নিকট যাচ্ছ। সুতরাং তুমি তাদেরকে সর্বপ্রথম �আল্লাহ ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল� এ কথার সাক্ষ্যদানের প্রতি দাওয়াত দেবে। যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে, আল্লাহ তাদের উপর প্রতি দিন ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তারা যদি এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তাদেরকে জানিয়ে দেবে যে, আল্লাহ তাদের সম্পদের ওপর সাদকাহ (যাকাত) ফরয করেছেন। তাদের মধ্যে যারা সম্পদশালী তাদের থেকে যাকাত উসূল ক�রে যারা দরিদ্র তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে। যদি তারা এ কথা মেনে নেয়, তাহলে তুমি (যাকাত নেওয়ার সময়) তাদের উৎকৃষ্ট মাল নেওয়া থেকে দূরে থাকবে। আর অত্যাচারিতের বদ্দুআ থেকে বাঁচবে। কারণ, তার বদ্দুআ এবং আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা নেই (অর্থাৎ, শীঘ্র কবুল হয়ে যায়)।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أن النبي -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- لما وجه معاذ بن جبل -رضي الله عنه- إلى إقليم اليمن داعيا إلى الله ومعلما، رسم له الخطة التي يسير عليها في دعوته، فبين له أنه سيواجه قوما أهل علم وجدَل من اليهود والنصارى؛ ليكون على استعداد لمناظرتهم ورد شبههم، ثم ليبدأ في دعوته بالأهم فالأهم، فيدعو الناس إلى إصلاح العقيدة أولا؛ لأنها الأساس، فإذا انقادوا لذلك أمرهم بإقام الصلاة، لأنها أعظم الواجبات بعد التوحيد، فإذا أقاموها أمر أغنياءهم بدفع زكاة أموالهم إلى فقرائهم؛ مواساة لهم وشكرا لله، ثم حذّره من أخذ جيد المال؛ لأن الواجب الوسط، ثم حثّه على العدل وترك الظلم؛ لئلا يدعو عليه المظلوم ودعوتُه مستجابة.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মু�আয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী ও শিক্ষক রূপে ইয়ামান প্রদেশে পাঠান তখন তিনি তার জন্য একটি পরিকল্পনা একেঁ দেন যাতে তিনি তার দাওয়াতী ময়দানে তার ওপর চলেন। তিনি তাকে বলেছিলেন, �তুমি এমন একটি সম্প্রদায়ের লোকদের মুখোমুখি হবে, যারা ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের থেকে আলেম ও বিতর্ককারী, যেন তিনি তাদের সঙ্গে তর্ক করতে ও তাদের সন্দেহ-সংশয় দূর করতে প্রস্তুত থাকেন। অতঃপর সে যেন অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারপর যেটি গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে দাওয়াত দিতে শুরু করেন তার দিক নির্দেশনা দেন। ফলে তিনি সর্বপ্রথম মানুষকে আকীদা সংশোধনের দিকে আহ্বান করবেন। কারণ, এটিই হলো মূল। যখন তারা এটির প্রতি আনুগত্য দেখাবে তখন তাদেরকে সালাত কায়েম করার প্রতি দাওয়াত দেবে। কারণ, তাওহীদের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব হলো সালাত। তারা যদি তা কায়েম করে, তাদের মধ্যে যারা সম্পদশালী তাদেরকে নির্দেশ দেবে যে, আল্লাহর নি�আমতের শুকরিয়া আদায় এবং গরীবদের প্রতি সহানুভুতি হিসেবে তাদের সম্পদের যাকাত তাদের দরিদ্রদের মধ্যে প্রদান করতে।তারপর তিনি তাকে উৎকৃষ্ট মাল গ্রহণ করা থেকে সতর্ক করেন। কারণ, ওয়াজিব হলো মধ্যম মাল গ্রহণ করা। তারপর তিনি তাকে ইনসাফ করা ও যুলুম না করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেন। যাতে মাযলুম ব্যক্তি তার জন্য বদ্দু�আ না করে। কারণ, তার বদ্দু�আ কবুল যোগ্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3390

 
Hadith   291   الحديث
الأهمية: ارفع رأسك وقل يُسمع، وسل تُعط، واشفع تُشفَّع
থিম: তুমি মাথা উঠাও এবং বল, তোমার কথা শোন হবে। আর তুমি চাও, তোমাকে দেওয়া হবে। আর তুমি সুপারিশ কর, তোমার সুপারিশ কবুল করা হবে।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- مرفوعاً: أخبر النبي -صلى الله عليه وسلم-: "أنه يأتي فيسجد لربه ويحمده [لا يبدأ بالشفاعة أولا]، ثم يقال له: "ارفع رأسك وقل يُسمع، وسَلْ تُعط، واشفع تُشفَّع".

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দেন যে, তিনি উপস্থিত হবেন। তারপর তার রবের জন্য সেজদা করবেন এবং তার প্রশংসা করবেন। [তিনি প্রথমেই সুপারিশ করা আরম্ভ করবেন না] অতঃপর তাকে বলা হবে: তুমি মাথা উঠাও এবং বল, তোমার কথা শোন হবে। আর তুমি চাও, তোমাকে দেওয়া হবে। আর তুমি সুপারিশ কর, তোমার সুপারিশ কবুল করা হবে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يأتي رسول الله �صلى الله عليه وسلم -    يوم القيامة فيسجد لله، ويدعو، ثم يأذن الله له في الشفاعة العظمى، ويقول له ربه: سل تعط واشفع تشفع، أي سؤالك مقبول وشفاعتك مقبولة.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামাতের দিন উপস্থিত হবেন তারপর আল্লাহর জন্য সেজদা করবেন ও তার নিকট দো�আ করবেন। তারপর আল্লাহ তাকে মহান সুপারিশের অনুমতি দেবেন। তখন তার রব তাকে বলবেন, তুমি চাও তোমাকে দেওয়া হবে। তুমি সুপারিশ কর তোমার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ তোমার চাওয়া গ্রহণ করা হলো এবং তোমার সুপারিশ গ্রহণ করা হলো।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3393

 
Hadith   292   الحديث
الأهمية: أولئكِ إذا مات فيهم الرجل الصالح أو العبد الصالح بنوا على قبره مسجدا، وصوروا فيه تلك الصور، أولئكِ شرار الخلق عند الله
থিম: উম্মু সালামাহ হাবশায় তাঁদের দেখা একটা গির্জা এবং তাতে স্থাপিত বেশকিছু মুর্তির কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন। তারপর তিনি বলেন, তাদের অবস্থা ছিল এমন যে, কোন সৎ লোক বা নেক বান্দা মারা গেলে তারা তার কবরের উপর মাসজিদ বানাতো। আর তার ভিতরে ঐ লোকের মূর্তি-ভাস্কার্য তৈরি করে রাখতো। তারাই আল্লাহর নিকট সবচাইতে নিকৃষ্ট সৃষ্টজীব।

عن عائشة -رضي الله عنها-: "أن أم سلمة ذكرت لرسول الله -صلى الله عليه وسلم- كنيسة رأتها بأرض الحبشة وما فيها من الصور، فقال: أولئك إذا مات فيهم الرجل الصالح أو العبد الصالح بنوا على قبره مسجدا، وصوروا فيه تلك الصور، أولئك شرار الخلق عند الله".

�আয়িশাহ রাদয়িাল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, �উম্মু সালামাহ হাবশায় তাঁদের দেখা একটা গির্জা এবং তাতে স্থাপিত বেশকিছু মুর্তির কথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন। তারপর তিনি বলেন, তাদের অবস্থা ছিল এমন যে, কোন সৎ লোক বা নেক বান্দা মারা গেলে তারা তার কবরের উপর মাসজিদ বানাতো। আর তার ভিতরে ঐ লোকের মূর্তি-ভাস্কার্য তৈরি করে রাখতো। তারাই আল্লাহর নিকট সবচাইতে নিকৃষ্ট সৃষ্টজীব�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أن أمّ سلمة وصفت عند النبي -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- وهو في مرض الموت ما شاهدته في معبد النصارى من صور الآدميّين، فبين -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- السبب الذي من أجله اتخذوا هذه الصور؛ وهو الغلو في تعظيم الصالحين؛ مما أدى بهم إلى بناء المساجد على قبورهم ونصب صورهم فيها، ثم بيّن حكم من فعل ذلك بأنهم شرار الناس؛ لأنهم جمعوا بين محذورين في هذا الصنيع هما: فتنة القبور باتخاذها مساجد، وفتنة تعظيم التماثيل مما يؤدي إلى الشرك.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মুমূর্ষ অবস্থায় তখন উম্মু সালামাহ খৃষ্টানদের গির্জায় মানুষের যে সব মুর্তি দেখেছিলেন তার বর্ণনা দেন। তখন তিনি যে কারণে তারা এ সব মুর্তিগুলো বানাতো তা বললেন। আর তা হলো নেককার বান্দাদের সম্মানের ক্ষেত্রে তাদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা। যা তাদের পৌঁছ দিয়েছিল তাদের কবরের ওপর মসজিদ বানানো এবং তাতে তাদের মুর্তি স্থাপন করা দিকে। তারপর তিনি এ ধরনের কর্মের বিধান বর্ণনা করেন, তারা হলো নিকৃষ্ট মানুষ। কারণ, তারা তাদের এ সব কর্মে দুটি অপরাধকে একত্র করেছে: সে দুটি হলো কবরকে মসজিদ বানানো কারণে কবরের ফিতনা। আর হলো মুর্তিকে সম্মান করার ফিতনা যা শির্কের দিকে নিয়ে যায়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3394

 
Hadith   293   الحديث
الأهمية: إياكم والغلو؛ فإنما أهلك من كان قبلكم الغلو
থিম: তোমরা বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাক। তোমাদের পূর্ববর্তীদের বাড়াবাড়িই ধ্বংস করেছে।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: "إياكم والغُلُوَّ؛ فإنما أهلك من كان قبلكم الغُلُوُّ".

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �তোমরা বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাক। তোমাদের পূর্ববর্তীদের বাড়াবাড়িই ধ্বংস করেছে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
ينهانا النبي -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث عن الغلو في الدين وهو مجاوزة الحد فيه؛ لئلا نهلك كما هلكت الأمم السابقة حينما غلو في دينهم وتجاوزوا الحد في عبادتهم.
এ হাদীসটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি করা থেকে নিষেধ করেন। আর তা হলো দীনের মধ্যে সীমালঙ্ঘন করা। যেন আমরাও ধ্বংস না হই, যেমন পূর্বের উম্মতেরা ধ্বংস হয়েছে যখন তারা তাদের দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি এবং ইবাদতে সীমালঙ্ঘন করে ছিল।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3395

 
Hadith   294   الحديث
الأهمية: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- سئل عن النُّشرة؟ فقال: هي من عمل الشيطان
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (জাহিলিয়্যাতের যুগে যাদু নষ্ট করার একটি পদ্ধতি) নুশরাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো? তিনি বললেন, তা শয়তানের কাজ।

عن جابر -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- سئل عن النُّشْرَةِ؟ فقال: هي من عمل الشيطان.

জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে (জাহিলিয়্যাতের যুগে যাদু নষ্ট করার একটি পদ্ধতি) নুশরাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো? তিনি বললেন, তা শয়তানের কাজ�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أن النبي -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- سئل عن علاج المسحور على الطريقة التي كانت تعملها الجاهلية، مثل: حل السحر بالسحر ما حكم ذلك، فأجاب -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- بأنه من عمل الشيطان أو بواسطته؛ لأنه يكون بأنواع سحرية واستخداماتٍ شيطانيةٍ، فهي شركية ومحرمة.
أما النشرة الجائزة: فهي فك السحر بالرقية أو بالبحث عنه، وفكه باليد مع قراءة القرآن أو بالأدوية المباحة.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যাদুগ্রস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা জাহিলিয়্যাতের যুগে যেভাবে করা হতো যেমন যাদুকে যাদু দ্বারা চিকিৎসা করা ইত্যাদির বিধান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, এটি শয়তানের কর্ম বা তার মাধ্যমে সংগঠিত হয়। কারণ, তা সাধারণত বিভিন্ন প্রকার যাদু এবং শয়তানী কর্ম দ্বারা হয়ে থাকে। এ গুলো সবই হলো শির্ক এবং হারাম।
আর বৈধ নুসরাহ হলো ঝার-ফুঁক দ্বারা অথবা যাদু অনুসন্ধান করে তা কুরআন পড়তে পড়তে হাত দ্বারা নষ্ট করা অথবা বৈধ ঔষুধ দ্বারা যাদুর চিকিৎসা করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3402

 
Hadith   295   الحديث
الأهمية: لا تطروني كما أطرت النصارى ابن مريم؛ إنما أنا عبد، فقولوا: عبد الله ورسوله
থিম: তোমরা আমার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যেমনটি খৃষ্টানরা ইবন মারইয়্যাম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করেছে। আমি কেবল বান্দা। তাই তোমরা বল, আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল।

عن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- قال: سمعت النبي -صلى الله عليه وسلم- يقول: �لا تُطْروني كما أَطْرت النصارى ابنَ مريم؛ إنما أنا عبده، فقولوا: عبد الله ورسوله�.

উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: �তোমরা আমার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করো না, যেমনটি খৃষ্টানরা ইবন মারইয়্যাম সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করেছিল। আমি কেবল তার বান্দা। তাই তোমরা বল, আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أن النبي -صلى الله عليه وسلم- حرصاً منه على توحيد الله -تعالى-، وخوفاً على أمته من الشرك الذي وقعت فيه الأمم السابقة، حذَّرها من الغلو فيه، ومجاوزة الحد في مدحه مثل وصفه بأوصاف الله -تعالى- وأفعاله الخاصة به، كما غلت النصارى في المسيح بوصفه بالألوهية والبنوة لله -تعالى-، فوقعت في الشرك كما قال تعالى: {لَقَدْ كَفَرَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْمَسِيحُ ابْنُ مَرْيَمَ وَقَالَ الْمَسِيحُ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ إِنَّهُ مَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَمَأْوَاهُ النَّارُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ} ثم قال: �فإنما أنا عبده، فقولوا عبد الله ورسوله� أي: فصفوني بالعبودية والرسالة كما وصفني الله -تعالى- بذلك، ولا تتجاوزوا بي حدود العبودية إلى مقام الألوهية أو الربوبية كما فعلت النصارى، فإن حق الأنبياء العبودية والرسالة، أما الألوهية فإنها حق الله وحده، ومع هذا التحذير فقد وقع بعض الناس فيما حذر منه رسول الله -صلى الله عليه وسلم- منه، فاحذر من أن تكون منهم.
আল্লাহ তা�আলার তাওহীদের ওপর আল্লাহর নবীর আগ্রহ এবং তার উম্মতের ওপর শির্কের আশঙ্কা থেকে, যাতে অতীতের উম্মতগণ পতিত হয়েছিল, তিনি স্বীয় উম্মতকে তার সম্পর্কে বাড়াবাড়ি এবং তার প্রসংশা করার ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘন করা থেকে সতর্ক করেন। যেমন, আল্লাহর গুণসমূহ এবং তাঁর বিশেষ কর্মসমূহ দ্বারা তাকে গুনান্বিত করা। যেমন খৃষ্টানরা ঈসাকে ইলাহ ও সন্তান সাব্যস্ত করে বাড়াবাড়ি করেছিল। ফলে তারা শির্কে নিপতিত হলো। যেমন, আল্লাহ তা�আলা বলেন, �যারা বলেছিল নিশ্চয় আল্লাহ হলো মাসীহ ইবন মারইয়াম তারা কুফরী করল। আর মাসীহ বলল, হে বনী ইসরাঈল তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর যিনি আমার রব এবং তোমাদের রব। আর অবশ্যই যে আল্লাহর সাথে শির্ক করে আল্লাহ তা�আলা তার ওপর জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন। আর তার ঠিকানা হলো জাহান্নাম। আর জালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই। অতঃপর তিনি বলেন, আমি কেবলই তার বান্দা। অতএব তুমি বল, মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল। অর্থাৎ, তোমরা আমাকে আল্লাহর বান্দা ও রাসূল হিসেবে আখ্যায়িত কর, যেমনিভাবে আল্লাহ তা�আলা আমাকে তা দ্বারা আখ্যায়িত করেছেন। আমার বিষয়ে তোমরা উবূদিয়্যাতের সীমা অতিক্রম করে আমাকে উলুহিয়্যাত বা রুবুবিয়্যাতের স্থানে নিয়ে যাবে না যেমনটি খৃষ্টানরা করেছিল। কারণ, নবীদের পাওনা হলো গোলামী এবং রিসালাত। আর উলুহিয়্যাহ একক আল্লাহর জন্য অধিকার। এ সতর্ক সত্বেও কতক মানুষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা থেকে ভয় দেখিয়েছেন তাতে পড়ে গেছেন। সুতরাং তুমি তাদের অর্ন্তভুক্ত হওয়া থেকে সতর্ক হও।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3406

 
Hadith   296   الحديث
الأهمية: لا عدوى ولا طيرة ولا هامة ولا صفر
থিম: রোগের সংক্রমণ, অশুভ লক্ষণ, অশুভ পেঁচা ও সফর মাসের অনিষ্ট বলতে কিছু নেই।

عن أبي هريرة    -رضي الله عنه- مرفوعاً: "لا عَدْوَى ولا طِيَرَة ولا هَامَةَ ولا صَفَرَ" أخرجاه.
   زاد مسلم "ولا نَوْءَ ولا غُولَ".

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফ� হিসেবে বর্ণিত: �রোগের সংক্রমণ, অশুভ লক্ষণ, অশুভ পেঁচা ও সফর মাসের অনিষ্ট বলতে কিছু নেই। এটি বর্ণনা করেছেন সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম। সহীহ মুসলিম আরও বাড়িয়েছেন, অশুভ নক্ষত্র এবং রাত কানা বলতে কিছু নেই।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لما كانت الجاهلية تعج بكثير من الخرافات والأوهام التي لا تستند إلى برهان، أراد الإسلام أن يقي أتباعه من تلك الأباطيل، فأنكر ما كان يعتقده المشركون في هذه الأشياء المذكورة في الحديث، فبعضها نفى وجوده أصلا كالطيرة، والبعض الآخر نفى تأثيره بنفسه؛ لأنه لا يأتي بالحسنات إلا الله، ولا يدفع السيئات إلا هو.
বিভিন্ন কু-সংস্কার ও ভিত্তিহীন অন্ধবিশ্বাসে জাহিলিয়্যাতের যুগ ছিল পরিপূর্ণ। এ কারণে ইসলাম তার অনুসারীদের এসব কু-সংস্কার থেকে রক্ষা করার ইচ্ছা করল। তাই হাদীসটিতে বর্ণিত উল্লিখিত বিষয়গুলো যা মুশরিকরা বিশ্বাস করত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ইসলাম এসে এ ধরনের কতককে পরিপূর্ণ মুলোৎপাটন করে দিল। যেমন, অশুভ লক্ষণ। আর কতকের প্রভাব প্রতিক্রিয়া নেই বলা হলো। কারণ, আল্লাহ ছাড়া কেউ কল্যাণ ভয়ে আনতে পারে না এবং তিনি ছাড়া কেউ অকল্যাণকে দূর করতে পারে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3407

 
Hadith   297   الحديث
الأهمية: لا يحل السحر إلا ساحر
থিম: যাদুকর ছাড়া কেউ যাদু খণ্ডন করতে পারে না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
ورُوي عن الحسن أنه قال: "لا يحل السحر إلا ساحر".
হাসান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যাদুকর ছাড়া কেউ যাদু খণ্ডন করতে পারে না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
النشرة حل السحر، وظاهر كلام الحسن منعه مطلقا؛ لأنه لا يقدر على حل السحر إلا من له معرفةٌ بالسحر، وهذا محمولٌ على حل السحر بسحرٍ مثله، وهو من عمل الشيطان، وقد فصل ابن القيم ما حاصله: أن علاج المسحور بأدوية مباحة وقراءة قرآن أمر جائز - وعلاجه بسحر مثله محرم.
�নুশরা<� হলো যাদু ভাঙ্গা। হাসান এর কথার বাহ্যিক অর্থ নুশরাহ নিষিদ্ধ প্রমাণ করে। কারণ, যাদুর চিকিৎসা কেবল সে ব্যক্তি করতে পারে যার কাছে যাদু বিদ্যার জ্ঞান রয়েছে। ফলে এটিই যাদুকে সমপর্যায়ের যাদু দ্বারা ভাঙ্গার নামান্তর। আর তা অবশ্যই শয়তানের কর্ম। ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বিষয়টি বিশদভাবে আলোচনা করেছেন, যার সারসংক্ষেপ হলো, যাদুর চিকিৎসা কোনো বৈধ ঔষধ ও কুরআনের তিলাওয়াতের দ্বারা করা বৈধ। আর যাদুর চিকিৎসা যাদু দ্বারা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান]    ← →    এটি ইবন আবী শাইবাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি খাত্তাবী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3408

 
Hadith   298   الحديث
الأهمية: لأعطين الراية غدا رجلا يحب الله ورسوله ويحبه الله ورسوله، يفتح الله على يديه
থিম: নিশ্চয় আমি আগামীকাল যুদ্ধের পতাকা এমন এক ব্যক্তিকে দিব, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলও তাকে ভালোবাসেন। তার হাতেই আল্লাহ বিজয় দান করবেন।

عن سهل بن سعد الساعدي -رضي الله عنه- مرفوعاً: "لأعطين الراية غدا رجلا يحب الله ورسوله ويحبه الله ورسوله، يفتح الله على يديه، فبات الناس يدوكون ليلتهم أيهم يعطاها فلما أصبحوا غدوا على رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كلهم يرجو أن يعطاها: فقال: أين علي بن أبي طالب؟ فقيل: هو يشتكي عينيه، فأرسلوا إليه فأتي به، فبصق في عينيه، ودعا له فبرأ كأن لم يكن به وجع، فأعطاه الراية فقال: انفذ على رسلك حتى تنزل بساحتهم، ثم ادعهم إلى الإسلام وأخبرهم بما يجب عليهم من حق الله -تعالى- فيه، فوالله لأن يهدي الله بك رجلا واحدا خير لك من حمر النعم".

সাহল ইবন সা�দ সায়েদী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �নিশ্চয় আমি আগামীকাল যুদ্ধের পতাকা এমন এক ব্যক্তিকে দিব, যার হাতে আল্লাহ বিজয় দান করবেন, আর সে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালোবাসে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলও তাকে ভালোবাসেন।� অতঃপর লোকেরা এই আলোচনা করতে করতে রাত কাটিয়ে দিল যে, তাদের মধ্যে কোন ব্যক্তিকে এটা দেওয়া হবে। অতঃপর সকালে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট গেল। তাদের প্রত্যেকেরই এই আকাঙ্খা ছিল যে, পতাকা তাকে দেওয়া হোক। কিন্তু তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, �আলী ইবন আবী তালিব কোথায়?� তাকে বলা হলো, �হে আল্লাহর রাসূল! তার চক্ষুদ্বয়ে ব্যথা হচ্ছে।� তিনি বললেন, �তাকে ডেকে পাঠাও।� সুতরাং তাকে ডেকে আনা হলো। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চক্ষুদ্বয়ে থুথু লাগিয়ে দিলেন এবং তাঁর জন্য দুআ করলেন। ফলে তিনি এমন সুস্থ হয়ে গেলেন; যেন তার কোনো ব্যথাই ছিল না। অতঃপর তিনি তাঁকে যুদ্ধের পতাকা দিলেন। আলী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বললেন, �হে আল্লাহর রাসূল! তারা আমাদের মতো (মুসলিম) না হওয়া পর্যন্ত কি আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়তে থাকব?� তিনি বললেন, �তুমি প্রশান্ত হয়ে চলতে থাক; যতক্ষণ না তাদের নগর-প্রাঙ্গনে অবতরণ করেছ। অতঃপর তাদেরকে ইসলামের দিকে আহ্বান কর এবং ইসলামে তাদের ওপর আল্লাহর যে জরুরী হক রয়েছে তাদেরকে সে ব্যাপারে অবগত করাও। আল্লাহর কসম! যদি আল্লাহ তাআলা তোমার দ্বারা একটি মানুষকে হিদায়াত করেন, তাহলে তা তোমার জন্য (আরবের শ্রেষ্ঠ সম্পদ) লাল উষ্ট্রী অপেক্ষাও উত্তম।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أن النبي -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- بشّر الصحابة بانتصار المسلمين على اليهود من الغد على يد رجل له فضيلةٌ عظيمة وموالاة لله ولرسوله فاستشرف الصحابة لذلك، كلٌّ يود أن يكون هو ذلك الرجل من حرصهم على الخير، فلما ذهبوا على الموعد طلب النبي -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- علياً وصادف أنه لم يحضر لِما أصابه من مرض عينيه، ثم حضر فتفل النبي -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- فيهما من ريقه المبارك فزال ما يحس به من الألم زوالاً كاملاً وسلَّمه قيادة الجيش، وأمره بالمضي على وجهه برفق حتى يقرب من حصن العدو فيطلب منهم الدخول في الإسلام، فإن أجابوا أخبرهم بما يجب على المسلم من فرائض، ثم بين -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- لعلي فضل الدعوة إلى الله وأن الداعية إذا حصل على يديه هداية رجل واحد فذلك خير له من أنفس الأموال الدنيوية، فكيف إذا حصل على يديه هداية أكثر من ذلك.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের সু-সংবাদ দিলেন যে, আগামীকাল এমন একজন মানুষের হাতে মুসলিমদের বিজয় হবে, যার রয়েছে মহা ফযীলত এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি মহব্বত। ভালো কর্মের প্রতি তারা আগ্রহী হওয়ার কারণে কথাটি শুনে সাহাবীগণ প্রতীক্ষায় রইলেন এবং প্রত্যেকেই চাচ্ছিলেন যে, সে লোকটি যেন সে হয়। তারপর যখন তারা নিজ গন্তব্যে চলে গেল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুকে তালাশ করলেন। জানা গেল যে, তিনি তার চক্ষুদ্বয়ে ব্যথার কারণে উপস্থিত হন নি। অতঃপর তাকে উপস্থিত করা হলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চক্ষুদ্বয়ে থুথু মুবারক নিক্ষেপ করলে সে যে ব্যথা অনুভব করছিল, তা সম্পূর্ণ দূরীভুত হয়ে গেল। আর তার হাতে সৈন্যদলের নেতৃত্ব সোপর্দ করা হলো। আর তাকে নির্দেশ দিলেন যেন, শত্রুদের দূর্গের নিকটে পৌঁছা পর্যন্ত সামনের দিকে খুব নমনীয়ভাবে অগ্রসর হয়। তারপর তাদের ইসলামে প্রবেশের দাওয়াত দিবে। যদি তারা তাতে সাড়া দেয়, তখন একজন মুসলিমের ওপর যা ফরয তা তাদের অবহিত করবে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুকে আল্লাহর দিকে দাওয়াতের ফযীলত বর্ণনা করেন। যদি একজন দা�ঈর হাতে একজন লোক সঠিক পথের সন্ধান পায়, তা তার জন্য দুনিয়ার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সম্পদ থেকে উত্তম। তাহলে যার হাতে একাধিক ব্যক্তি হিদায়াত লাভ করে, তার ব্যাপারটি কী হতে পারে?
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3409

 
Hadith   299   الحديث
الأهمية: لما حضرَتْ أبا طالب الوفاة جاءه رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وعنده عبد الله بن أبي أمية وأبو جهل، فقال له: يا عم قل لا إله إلا الله، كلمة أحاج لك بها عند الله
থিম: আবু তালিবের যখন মৃত্যু উপস্থিত হল তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট গেলেন, তার কাছে তখন আব্দুল্লাহ ইবন আবূ উমাইয়্যাহ ও আবু জাহিল ছিল। তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেন, চাচাজান! �লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ� কালিমা পাঠ করুন, তা হলে এর দ্বারা আমি আল্লাহর সমীপে আপনার জন্য সুপারিশ করতে পারব।

عن سعيد بن المسيب عن أبيه المسيب بن حزن -رضي الله عنه- قال: "لما حضرَتْ أبا طالب الوفاة جاءه رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وعنده عبد الله بن أبي أمية وأبو جهل، فقال له: يا عَمِّ قل لا إله إلا الله، كلمة أُحَاجُّ لك بها عند الله، فقالا له: أَتَرَغَبُ عن ملة عبد المطلب؟ فأعاد عليه النبي -صلى الله عليه وسلم-، فأعادا، فكان آخر ما قال هو على ملة عبد المطلب، وأبى أن يقول لا إله إلا الله، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: لأستغفرن لك ما لم أُنْهَ عنك، فأنزل الله: {مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قربى...} الآية"، وأنزل الله في أبي طالب: {إِنَّكَ لا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ}.
থিম: সাঈদ ইব্নু মুসাইয়্যাব সূত্রে তার পিতা মুসাইয়্যাব ইবন হুজন হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ তালিব এর মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে, আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট আসলেন। তখন সেখানে �আবদুল্লাহ্ ইব্নু আবূ উমায়্যা ও আবূ জাহাল উপস্থিত ছিল। (রাবী বলেন) তিনি তাকে বললেন, চাচাজান! �লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ� কালিমা পাঠ করুন, তা হলে এর দ্বারা আমি আল্লাহর সমীপে আপনার জন্য সুপারিশ করতে পারব। তারা দু�জন তাকে বলে উঠল, তুমি কি আবদুল মুত্তালিবের ধর্ম হতে বিমুখ হবে? পুনরায় নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট কালিমাহ পেশ করলেন, তারা দু�জনও তাদের উক্তি পুনরাবৃত্তি করল। অবশেষে আবূ তালিব তাদের সামনে শেষ কথাটি যা বলল, তা এই যে, সে আবদুল মুত্তালিবের ধর্মের উপর অবিচল রয়েছে, সে �লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ� বলতে অস্বীকার করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম! তবুও আমি আপনার জন্য মাগফিরাত কামনা করতে থাকব, যতক্ষণ না আমাকে তা হতে নিষেধ করা হয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তা�আলা নাযিল করেন: নবীর জন্য সঙ্গত নয় এবং ঈমানদারদের জন্যও সঙ্গত নয় যে,তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করবে। যদিও তারা তার নিকটাত্মীয় হয়ে থাকে। আর আল্লাহ তা�আলা আবূ তালিব সম্পর্কে নাযিল করেন যে, তুমি যাকে পছন্দ করো তাকে হিদায়াত দিতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে চান তাকেই হিদায়াত দান করেন। আর তিনি হিদায়াত প্রাপ্তদের বিষয়ে অধিক জ্ঞাত।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
عاد النبي -صلى الله عليه وسلم- أبا طالب وهو في سياق الموت وعرض عليه الإسلام؛ ليكون خاتمة حياته ليحصل له بذلك الفوز والسعادة، وطلب منه أن يقول كلمة التوحيد، وعرض عليه المشركون أن يبقى على دين آبائه الذي هو الشرك؛ لعلمهم بما تدل عليه هذه الكلمة من نفي الشرك وإخلاص العبادة لله وحده، وأعاد النبي -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- طلب التلفظ بالشهادة من عمه، وأعاد المشركون المعارضة وصاروا سبباً لصده عن الحق وموته على الشرك.
وعند ذلك حلف النبي -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- ليطلُبن له من الله المغفرة ما لم يمنع من ذلك، فأنزل الله المنع من ذلك وبيّن له أن الهداية بيد الله يتفضل بها على من يشاء؛ لأنه يعلم من يصلح لها ممن لا يصلح.
فأنزل الله -عز وجل-: {مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ}، وأنزل الله في أبي طالب: {إِنَّكَ لا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ}.

থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ তালিবকে তার মুমূর্ষ অবস্থায় দেখতে গিয়ে তার কাছে ইসলাম পেশ করেন, যাতে তার জীবনের পরিসমাপ্তি ইসলামের ওপর হয় এবং এ দ্বারা সে সৌভাগ্যবান হয় এবং সফলতা লাভ করে। তিনি তাকে তাওহীদের কালিমা উচ্চারণ করাইতে চাইলেন। আর মুশরিকরা তার কাছে তাদের বাপ-দাদার দীন অর্থাৎ শির্কের ওপর অটুট থাকা চাইলেন। কারণ, তারা জানতেন যে, এ কালিমা এমন একটি কালিমা যা শির্ককে না করে এবং এক আল্লাহর জন্য ইবাদত করা সাব্যস্ত করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাচার কাছে বার বার কালিমা শাহাদাত উচ্চারণ করা কামনা করলেন। আর মুশরিকরা বার বার তার বিরোধিতা করতে লাগল। ফলে সত্য থেকে বিরত থাকা এবং শির্কের ওপর তার মৃত্যু বরণ করার তাঁরাই কারণ ছিল। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা সপথ করেন যে, নিশ্চয় তিনি তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন যতক্ষণ না তাকে তা থেকে নিষেধ করা না হয়। তারপর আল্লাহ তা�আলা তা থেকে নিষেধ নাযিল করেন এবং তাকে জানিয়ে দেন যে, হিদায়াত কেবল আল্লাহর হাতে। তিনি যাকে চান তাকে তা দ্বারা মর্যাদাবান করেন। কারণ, তিনি জানেন কে হিদায়েতের যোগ্য আর কে যোগ্য নয়।
অতঃপর আল্লাহ তাআলা নাযিল করেন: �নবীর জন্য সঙ্গত নয় এবং ঈমানদারদের জন্যও সঙ্গত নয় যে,তারা মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করবে। যদিও তারা তার নিকটাত্মীয় হয়ে থাকে। তাদের নিকট এটা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর যে নিশ্চয় তারা প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসী�। আর আল্লাহ তা�আলা আবূ তালিব সম্পর্কে নাযিল করেন যে, �তুমি যাকে পছন্দ করো তাকে হিদায়াত দিতে পারবে না। তবে আল্লাহ যাকে চান তাকেই হিদায়াত দান করেন। আর তিনি হিদায়াত প্রাপ্তদের বিষয়ে অধিক জ্ঞাত�।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3410

 
Hadith   300   الحديث
الأهمية: ما السماوات السبع والأرضون السبع في كف الرحمن إلا كخردلة في يد أحدكم
থিম: সাত আসমান ও সাত যমীন রহমানের হাতের তালুতে, তোমাদের কারো হাতে একটি শস্য দানার মতোই তুচ্ছ।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- قال: "ما السماوات السبع والأرضون السبع في كَفِّ الرحمن إلا كَخَرْدَلَةٍ في يد أحدكم".

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, সাত আসমান ও সাত যমীন রহমানের হাতের তালুতে, তোমাদের কারো হাতে একটি শস্য দানার মতোই তুচ্ছ।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا ابن عباس -رضي الله عنهما- في هذا الأثر أن نسبة السموات السبع والأرضين السبع مع عظمهن إلى كف الرحمن، كنسبة الخَرْدَلَةِ الصغيرة إلى كف أحدنا، وذلك تشبيه للنسبة بالنسبة، وليس تشبيها للكف بالكف؛ لأن الله لا يشبه صفاته شيء كما لا يشبه ذاته شيء.
এ আসরটিতে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা আমাদের সংবাদ দেন যে, রহমানের হাতে সাত আসমান ও যমীনের তুলনা সু-বিশাল হওয়া সত্ত্বেও আমাদের কারো হাতের তালুতে একটি ছোট শস্য দানার মতো। আর এটি একটি আপেক্ষিকতার উদাহরণ। অন্যথায় এখানে হাতের তালুকে হাতের তালুর সাথে তুলনা করা হয় নি। কারণ, কোনো কিছুই তার সিফাতের সদৃশ হতে পারে না যেমনিভাবে কোনো কিছু তার সত্ত্বার সদৃশ হতে পারে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[আলবানী ইবনু তাইমিয়াহ কর্তৃক হাদীসটিকে সহীহ বলার হুকুম বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তিনি তার ত্রুটি ধরেননি।]    ← →    ইবন জারীর এটি বর্ণনা করেছেন। - এটি আয-যাহাবী �আল-উলু� কিতাবে বর্ণনা করেছেন - এটি আব্দুল্লাহ ইবনুল ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3412

 
Hadith   301   الحديث
الأهمية: ما الكرسي في العرش إلا كحلقة من حديد ألقيت بين ظهري فلاة من الأرض
থিম: কুরসী �আরশের তুলনায় যমীনের বিশাল মরুভুমির উপর একটি লোহার আংটির মতো।

عن أبي ذر الغفاري -رضي الله عنه- مرفوعاً: "ما الكرسي في العرش إلا كحلقة من حديد ألقيت بين ظهري فلاة من الأرض".

আবূ যার গিফারী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �কুরসী �আরশের তুলনায় যমীনের বিশাল মরুভুমির উপর একটি লোহার আংটির মতো।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- في حديث أبي ذرّ أن الكرسي مع سعته وعظمته بالنسبة للعرش كحلقة حديد وُضعت في صحراء واسعة من الأرض؛ وهذا يدل على عظمة خالقها وقدرته التامة.
আবূ যার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দেন যে, কুরসী প্রসস্থ ও মহান হওয়ার বিবেচনায় আরশের তুলনায় একটি লোহার আংটির মতো, যা জমিনের বিশাল মরুভুমির সামনে রাখা হয়। এটি তার স্রষ্টার মহত্ব ও তার পরিপূর্ণ কুদরতের প্রমাণ বহন করে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন আবী শাইবাহ �আল-আরশ� নামী কিতাবে বর্ণনা করেছেন। - এটি আয-যাহাবী �আল-উলু� কিতাবে বর্ণনা করেছেন]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3413

 
Hadith   302   الحديث
الأهمية: من أسعد الناس بشفاعتك؟ قال: من قال لا إله إلا الله خالصا من قلبه
থিম: আপনার সুপারিশ দ্বারা কে বেশি সৌভাগ্যবান? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি তার অন্তর থেকে একনিষ্ঠভাবে বলে লাইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই)।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قلت: يارسول الله، "من أسعد الناس بشفاعتك؟ قال: من قال لا إله إلا الله خالصا من قلبه".

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আপনার সুপারিশ দ্বারা কে বেশি সৌভাগ্যবান? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি তার অন্তর থেকে একনিষ্ঠভাবে বলে লাইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোনো ইলাহ নেই)।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سأل أبو هريرة النبي -صلى الله عليه وسلم- عن أكثر الناس سعادة بشفاعته -عليه الصلاة والسلام- وأكثرهم حظوة بها فأخبره -عليه الصلاة والسلام- بأنهم الذين قالوا هذه الشهادة وهي شهادة أن لا إله إلا الله محمدا رسول الله، خالصة من القلب لا يشوبها شرك و لا رياء.
আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু রাসূলকে জিজ্ঞেস করলেন, তার সুপারিশ দ্বারা কে বেশি সৌভাগ্যবান ও উপকারী হবে? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জানান যে, যারা এই সাক্ষী দিবে। আর সেটি হচ্ছে অন্তর থেকে একনিষ্ঠভাবে এ সাক্ষী দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ তার রাসূল, আর তার সাথে লৌকিকতা ও শির্কের মিশ্রণ ঘটাবে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3414

 
Hadith   303   الحديث
الأهمية: من ذا الذي يتألى عليَّ أن لا أغفر لفلان؟ إني قد غفرت له، وأحبطت عملك
থিম: কে আমার ওপর বড়াই করে বলে, আমি অমুককে ক্ষমা করবো না? আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তোমার আমলকে নষ্ট করে দিয়েছি।

عن جندب بن عبد الله -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: "قال رجل: والله لا يغفر الله لفلان، فقال الله: من ذا الذي يتألى عليَّ أن لا أغفر لفلان؟ إني قد غفرت له، وأحبطت عملك".
   وفي حديث أبي هريرة: أن القائل رجل عابد، قال أبو هريرة: "تكلم بكلمة أوبقت دنياه وآخرته".

জুনদাব ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক ব্যক্তি বলল, আল্লাহ অমুককে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ বললেন, কে আমার ওপর বড়াই করে বলে, আমি অমুককে ক্ষমা করবো না? আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তোমার আমলকে নষ্ট করে দিয়েছি। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর অপর একটি হাদীসে বর্ণিত, কথাটি যিনি বললেন, তিনি ছিলেন একজন ইবাদতগুজার। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বললেন, তিনি এমন একটি কথা বলেছেন, যা তার দুনিয়া ও আখিরাত উভয়টিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبر النبي -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- على وجه التحذير من خطر اللسان، أن رجلاً حلف أن الله لا يغفر لرجلٍ مذنبٍ؛ فكأنه حكم على الله وحجر عليه؛ لما اعتقد في نفسه عند الله من الكرامة والحظّ والمكانة، ولذلك المذنب من الإهانة، وهذا إدلالٌ على الله وسوءُ أدب معه، أوجب لذلك الرجل الشقاءَ والخسران في الدنيا والآخرة.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবানের বিপদ থেকে সতর্কতা অবলম্বন বিষয়ে আমাদের সংবাদ দেন যে, এক ব্যক্তি শপথ করে বলল, আল্লাহ অমুক অপরাধীকে ক্ষমা করবেন না। লোকটি যেন আল্লাহর ওপর ফয়সালা করল এবং তাকে সংকীর্ণ করে দিল। কারণ, সে অন্তরে বিশ্বাস করল যে, তার জন্যে আল্লাহর সম্মান ও বড়ত্ব রয়েছে, আর ঐ অপরাধীর জন্যে রয়েছে অসম্মান। এটিই হচ্ছে আল্লাহকে পথ দেখানো ও তার সাথে বেআদবির করার শামিল। এ কারণেই তার জন্যে দুনিয়া ও আখিরাতের হতাশা ও ক্ষতি অবধারিত হয়ে গেলো।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3415

 
Hadith   304   الحديث
الأهمية: مَن ردته الطيرة عن حاجته فقد أشرك، قالوا: فما كفارة ذلك؟ قال: أن تقول: اللهم لا خير إلا خيرك، ولا طير إلا طيرك، ولا إله غيرك
থিম: কুলক্ষণ যাকে তার প্রয়োজন থেকে ফিরিয়ে রাখল সে শির্ক করল। সাহাবীগণ বললেন, তার কাফ্ফারা কী? তিনি বললেন, এ কথা বলা: হে আল্লাহ আপনার কল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ নেই, আপনার অকল্যাণ ছাড়া কোনো অকল্যাণ নেই এবং আপনি ছাড়া কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই।

عن عبد الله بن عمرو بن العاص - رضي الله عنه- مرفوعاً: "مَن ردته الطِّيَرَة عن حاجته فقد أشرك، قالوا: فما كفارة ذلك؟ قال: أن تقول: اللهم لا خير إلا خيرك، ولا طَيْرَ إِلَّا طَيْرُكَ ولا إله غيرك".

আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন �আস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু� হিসেবে বর্ণিত, �কুলক্ষণ যাকে তার জরুরী কর্ম থেকে ফিরিয়ে দিল, সে শির্ক করল। সাহাবীগণ বললেন, তার কাফ্ফারা কী? তিনি বললেন, এ কথা বলা: হে আল্লাহ আপনার কল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ নেই, আপনার অকল্যাণ ছাড়া কোনো অকল্যাণ নেই এবং আপনি ছাড়া কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث أن من منعه التشاؤم عن المضي فيما يعتزم فإنه قد أتى نوعًا من الشرك، ولما سأله الصحابة عن كفارة هذا الإثم الكبير أرشدهم إلى هذه العبارات الكريمة في الحديث التي تتضمن تفويض الأمر إلى الله -تعالى- ونفي القدرة عمن سواه.
এ হাদীসটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আমাদের জানাচ্ছেন যে, যাকে অশুভ লক্ষণ তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন থেকে বিরত রাখল, সে এক ধরনের শির্কে লিপ্ত হলো। যখন সাহাবীগণ এ কবীরাহ গুনাহের কাফ্ফারা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তিনি তাদের হাদীসে বর্ণিত বাক্যগুলো বলার নির্দেশনা দিলেন, যাতে রয়েছে, যাবতীয় কর্ম আল্লাহর নিকট সোপর্দ করা এবং তিনি ছাড়া অন্য কিছু থেকে ক্ষমতাকে অস্বীকার করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3416

 
Hadith   305   الحديث
الأهمية: من شهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له وأن محمدا عبده ورسوله، وأن عيسى عبد الله ورسوله وكلمته ألقاها إلى مريم ورُوُحٌ منه، والجنة حق والنار حق، أدخله الله الجنة على ما كان من العمل
থিম: যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই, আর মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং ঈসা আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল, আর তাঁর বাণী যা তিনি মারইয়ামের মধ্যে নিক্ষেপ করেছেন এবং তাঁর রূহ। আর জান্নাত সত্য ও জাহান্নাম সত্য। তাকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন; তাতে সে যে কর্মই করে থাকুক না কেন।

عن عبادة بن الصامت -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- "مَنْ شهِد أنْ لا إله إلا الله وحده لا شرِيك له وأنَّ محمَّدا عبده ورسُولُه، وأنَّ عِيسى عبدُ الله ورسُولُه وكَلِمَتُه أَلقَاها إِلى مريم ورُوُحٌ مِنه، والجنَّة حَقٌّ والنَّار حقٌّ، أَدْخَلَه الله الجنَّة على ما كان مِنَ العمَل".

উবাদাহ ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই, আর মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল এবং ঈসা আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল, আর তাঁর বাণী যা তিনি মারইয়ামের মধ্যে নিক্ষেপ করেছেন এবং তাঁর রূহ। আর জান্নাত সত্য ও জাহান্নাম সত্য। তাকে আল্লাহ তাআলা জান্নাতে প্রবেশ করাবেন; তাতে সে যে কর্মই করে থাকুক না কেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا هذا الحديث أن من نطق بكلمة التوحيد وعرف معناها وعمل بمقتضاها، وشهد بعبودية محمد -صلى الله عليه وسلم- ورسالته، واعترف بعبودية عيسى ورسالته، وأنه خلق بكلمة كن من مريم، وبرأ أمه مما نسبه إليها اليهود الأعداء، واعتقد بثبوت الجنة للمؤمنين وثبوت النار للكافرين، ومات على ذلك دخل الجنة على ما كان من العمل.
এ হাদীসটি আমাদের জানাচ্ছে যে, যে ব্যক্তি তাওহীদের বাক্য উচ্চারণ করে, তার অর্থ বুঝে তার দাবি অনুযায়ী আমল করে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লামের বান্দা ও রাসূল হওয়ার সাক্ষ্য প্রদান করে, ঈসা আলাইহিস সালামের বান্দা ও রাসূল হওয়াকে স্বীকার করে ও স্বীকার করে যে, তাকে �কুন� বাক্য দ্বারা মারইয়াম থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, ইয়াহুদীরা তার মা সম্পর্কে যে অপবাদ দিয়েছে তা থেকে তার মা নিরাপরাধ হওয়াকে স্বীকার করে এবং মু�মিনদের জন্য জান্নাত ও কাফিরদের জন্য জাহান্নামকে স্বীকার করে এবং তার ওপর মারা যায় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে তার আমল যেমনই হোক না কেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3417

 
Hadith   306   الحديث
الأهمية: من لقي الله لا يشرك به شيئًا دخل الجنة، ومن لقيه يشرك به شيئًا دخل النار
থিম: যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে তার সাথে কোনো কিছুকে শরীক করা ছাড়া সে জান্নাতে প্রবেশ করবে আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে তার সাথে কোনো কিছুকে শরীক করা অবস্থায় সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: "مَنْ لَقِيَ الله لا يُشْرِك به شَيئا دخل الجنَّة، ومن لَقِيَه يُشرك به شيئا دخَل النار".

জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে তার সাথে কোনো কিছুকে শরীক করা ছাড়া সে জান্নাতে প্রবেশ করবে আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে তার সাথে কোনো কিছুকে শরীক করা অবস্থায় সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا النبي -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث أن من مات لا يشرك مع الله غيره لا في الربوبية ولا في الألوهية ولا في الأسماء والصفات دخل الجنة، وإن مات مشركا بالله -عز وجل- فإن مآله إلى النار.
এ হাদীসটিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সংবাদ দেন যে, যে ব্যক্তি এ অবস্থায় মারা যায় যে, সে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে না, না তার রুবূবিয়্যাতে, না উলূহিয়্যাতে, না নাম ও সিফাতসমূহে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করা অবস্থায় মারা যায়, তার পরিণতি হবে জাহান্নাম।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3418

 
Hadith   307   الحديث
الأهمية: من مات وهو يدعو من دون الله ندًّا دخل النار
থিম: যে ব্যক্তি এ অবস্থায় মারা গেল যে, সে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো শরীককে ডাকে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

عن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: "مَنْ مات وهو يدعُو مِنْ دون الله نِدًّا دخَل النَّار".

আব্দুল্লাহ ইবন মাস�ঊদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যে ব্যক্তি এ অবস্থায় মারা গেল যে, সে আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো শরীককে ডাকে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يخبرنا النبي -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث أن من صرف شيئا مما يختص به الله إلى غيره، ومات مصرا على ذلك فإن مآله إلى النار.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ হাদীসটিতে সংবাদ দেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে খাস এমন কোন কিছুকে গাইরুল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করে এবং এর ওপর অবিচল থাকা অবস্থায় সে মারা যায় তাহলে তার পরিণতি অবশ্যই জাহান্নাম।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3419

 
Hadith   308   الحديث
الأهمية: هلك المتنطعون -قالها ثلاثا-
থিম: সীমালঙ্ঘনকারীরা ধ্বংস হল। এটি তিনবার বলেছেন।

عن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: "هلك المُتَنَطِّعون -قالها ثلاثا-".

আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সীমালঙ্ঘনকারীরা ধ্বংস হল। এটি তিনবার বলেছেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يوضح النبي -صَلى اللّه عليه وسلّم- أن التعمُّق في الأشياء والغلو فيها يكون سبباً للهلاك، ومراده -صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- النهي عن ذلك، ومن ذلك إجهاد النفس في العبادة حتى تنفر وتنقطع، ومن ذلك التنطع في الكلام والتقعر فيه، وأعظم صور التنطُّع جُرْما، وأولاه بالتحذير منه: الغلو في تعظيم الصالحين إلى الحدِّ الذي يفضي إلى الشرك.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট করেন যে, কোন কিছুতে বাড়াবাড়ি করা এবং তার গভীরে প্রবেশ করা ধ্বংসের কারণ হয়। এ দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উদ্দেশ্য হলো তা থেকে নিষেধ করা। এ ধরনের বিষয়সমূহ হতে একটি বিষয় হলো, ইবাদাতে আত্মাকে এমনভাবে কষ্ট দেওয়া যাতে সে বিরক্ত হয় ও ছেড়ে দেয়। এ থেকে আরেকটি বিষয় হলো, কথার মধ্যে বাড়াবাড়ি করা এবং তার গভীরে প্রবেশ করা। আর অপরাধের বিবেচনায় মারাত্মক বাড়াবাড়ি এবং যার থেকে সতর্ক করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে: নেককার লোকদের সম্মান দেখানোর ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা, যা এমন পথ পর্যন্ত নিয়ে যায়, যার পরিণতি হয় শির্ক।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3420

 
Hadith   309   الحديث
الأهمية: في قول الله -تعالى-: (وَقَالُوا لا تَذَرُنَّ آلِهَتَكُمْ وَلا تَذَرُنَّ وَدًّا وَلا سُوَاعًا وَلا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسْرًا) قال ابن عباس -رضي الله عنهما-: هذه أسماء رجال صالحين من قوم نوح
থিম: আল্লাহর বাণী: (অর্থ) �তোমরা তোমাদের ইলাহগুলোকে ছেড়ো না এবং তোমরা ছেড়ো না উদ, সুয়া�, ইয়াঘূস, ইয়াউক ও নাসরকে�। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু �আনহু এ সম্পর্কে বলেন, এরা হলো নূহ সম্প্রদায়ের নেককার লোকদের নাম।

عن ابن عباس -رضي الله عنهما- في قول الله -تعالى-: (وَقَالُوا لا تَذَرُنَّ آلِهَتَكُمْ وَلا تَذَرُنَّ وَدًّا وَلا سُوَاعًا وَلا يَغُوثَ وَيَعُوقَ وَنَسْرًا) قال: "هذه أسماء رجال صالحين من قوم نوح، فلما هَلَكوا أَوحى الشَّيطان إلى قَومِهِم أنِ انْصِبُوا إلى مَجَالِسِهِم الَّتي كانوا يَجْلِسون فيها أنصَابًا، وسَمُّوها بأسمَائِهِم، فَفَعَلُوا، ولم تُعْبَد، حتَّى إِذَا هَلَك أُولئك ونُسِيَ العلم عُبِدت".

ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহ আনহুমা থেকে আল্লাহর বাণী: (অর্থ) �তোমরা তোমাদের ইলাহগুলোকে ছেড়ো না এবং তোমরা ছেড়ো না উদ, সুয়া�, ইয়াঘূস, ইয়াউক ও নাসরকে�। সম্পর্কে বলেন, এরা হলো নূহ সম্প্রদায়ের নেককার লোকদের নাম। তারা মারা যাওয়ার পর শয়তান তাদের নিকট অহী প্রেরণ করে যে, তোমরা তাদের বসার স্থানে মূর্তি বানাও এবং তাদের নামে নাম করণ করো। তারা তাই করল, কিন্তু উপাসনা করত না। তারপর যখন এরা মারা গেল এবং ইলম ভুলে গেল তখন তাদের ইবাদত করা আরম্ভ হলো।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يفسر ابن عباس -رضي الله عنهما- هذه الآية الكريمة بأن هذه الآلهة التي ذكر الله -تعالى- أن قوم نوح تواصوا بالاستمرار على عبادتها بعدما نهاهم نبيهم نوح -عليه السلام- عن الشرك بالله- أنها في الأصل أسماء رجال صالحين منهم، غلوا فيهم بتسويل الشيطان لهم حتى نصبوا صورهم، فآل الأمر بهذه الصور إلى أن صارت أصناماً تعبد من دون الله.
ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু গুরুত্বপূর্ণ এ আয়াতটির তাফসীর করেন যে, এসব ইলাহ যাদেরকে এখানে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন, নূহ আলাইহিস সালাম তার সম্প্রদায়কে আল্লাহর সাথে শিরক করা থেকে নিষেধ করা সত্ত্বেও তার সম্প্রদায় তাদের ইবাদতে লিপ্ত থাকার প্রতি একে অপরকে উপদেশ দিত। মুলত:এরা হলো তাদের মধ্য থেকে নেককারা লোকদের নাম। শয়তান তাদের কু-মন্ত্রণা দেওয়ার ফলে তারা তাদের সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করা আরম্ভ করল। এমনকি তারা তাদের প্রতিকৃতি নির্মাণ করল। এ সব প্রতিকৃতি বানানোর পরিণতি তাদেরকে এ পর্যায়ে নিয়ে গেল যে, এ গুলো তাদের মূর্তিতে পরিণত হলো, আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের ইবাদত করা হতো।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3421

 
Hadith   310   الحديث
الأهمية: لا عدوى ولا طيرة، ويعجبني الفأل. قالوا: وما الفأل؟ قال: الكلمة الطيبة
থিম: সংক্রমণ বলতে কোন কিছু নেই এবং কুলক্ষণও নেই। তবে আমকে খুশি করে ফাল (শুভ লক্ষণ)। তারা বলল, ফাল কি? তিনি বললেন, ভালো কথা।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-:    "لا عدوى وَلَا طِيَرَةَ، وَيُعْجِبُنِي الفَأْلُ. قالوا: وما الفأل؟ قال: الكلمة الطيِّبة".

আনান ইবন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: সংক্রমণ বলতে কোন কিছু নেই এবং কুলক্ষণও নেই। তবে আমকে খুশি করে ফাল (শুভ লক্ষণ)। তারা বলল, ফাল কি? তিনি বললেন, ভালো কথা।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لما كان الخير والشر كله مقدر من الله نفى النبي -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث تأثير العدوى بنفسها، ونفى وجود تأثير الطيرة، وأقر التفاؤل واستحسنه؛ وذلك لأن التفاؤل حسن ظن بالله، وحافز للهمم على تحقيق المراد، بعكس التطير والتشاؤم.
وفي الجملة الفرق بين الفأل والطيرة من وجوه، أهمها:
1- الفأل يكون فيما يسر، والطيرة لا تكون إلا فيما يسوء.
2- الفأل فيه حسن ظنٍّ بالله، والعبد مأمورٌ أن يحسن الظن بالله، والطيرة فيها سوء ظن بالله، والعبد منهيّ عن سوء الظن بالله.
যেহেতু উপকার ও ক্ষতি সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত এ কারণে হাদীসটিতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংক্রমণের প্রভাব ও অশুভ লক্ষণকে অস্বীকার করেছেন। আর তিনি শুভ লক্ষণকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তাকে তিনি ভালো বলে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ, শুভ লক্ষণ হলো কুসংস্কার ও অশুভ লক্ষণের বিপরীতে আল্লাহর প্রতি ভালো ধারণা করা এবং উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সাহসিকতার জোগানদাতা।
মোট কথা শুভ লক্ষণ ও অশুভ লক্ষণের মাঝে একাধিক পার্থক্য রয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে:
১- শুভ লক্ষণ আনন্দদায়ক বিষয়সমূহে হয়। আর অশুভ লক্ষণ কেবল এমন বিষয় সমূহে হয় যা কষ্ট দেয়।
২- শুভ লক্ষণে রয়েছে আল্লাহর প্রতি ভালো ধারণা করা। আর বান্দা আল্লাহর প্রতি ভালো ধারণা রাখতে আদিষ্ট। আর অশুভ লক্ষণে রয়েছে আল্লাহর প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ। আর আল্লাহর প্রতি খারাপ ধারণা করতে বান্দাকে নিষেধ করা হয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3422

 
Hadith   311   الحديث
الأهمية: صلاة الرجل في جماعة تضعف على صلاته في بيته وفي سوقه خمسا وعشرين ضعفًا
থিম: কোনো ব্যক্তির জামা�আতের সাথে সলাতের সওয়াব, তার নিজের ঘরে ও বাজারে আদায়কৃত সালাতের সওয়াবের চেয়ে পঁচিশ গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعًا: �صلاة الرجل في جماعة تَضعُفُ على صلاته في بيته وفِي سُوقِه خمسا وعشرين ضِعفًا، وذلك: أَنَّه إِذَا تَوَضَّأ، فَأَحسَن الوُضُوء، ثمَّ خرج إلى المسجد لاَ يُخرِجُهُ إلاَّ الصلاة؛ لَم يَخْطُ خُطوَةً إِلاَّ رُفِعَت له بِها درجة، وَحُطَّ عَنهُ بها خطيئة، فإذا صلَّى لم تزل الملائكة تُصَلِّي عليه، ما دام في مُصَلاَّه: اللهُمَّ صَلِّ عليه، اللهم اغفِر له، اللهم ارْحَمه، ولا يزال في صلاة ما انتظر الصلاة�.

আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, কোনো ব্যক্তির জামা�আতের সাথে সলাতের সওয়াব, তার নিজের ঘরে ও বাজারে আদায়কৃত সালাতের সওয়াবের চেয়ে পঁচিশ গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। এর কারণ এই যে, সে যখন উত্তমরূপে উযূ করলো, অতঃপর একমাত্র সালাতের উদ্দেশে মাসজিদে রওয়ানা করল তখন তার প্রতি কদমের বিনিময়ে একটি মর্তবা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি গুনাহ মাফ করা হয়। সালাত আদায়ের পর সে যতক্ষণ নিজ সালাতের স্থানে থাকে, মালাকগণ তার জন্য এ বলে দু�আ করতে থাকেন - �হে আল্লাহ! আপনি তার উপর রহমত বর্ষণ করুন এবং তার প্রতি অনুগ্রহ করুন।� আর তোমাদের কেউ যতক্ষণ সালাতের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে সালাতে রত বলে গণ্য হয়�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر النبي -صلى الله عليه وسلم- بأن صلاة الرجل في جماعة تزيد أجرًا وثوابًا على صلاته في بيته وفي سوقه، أي: منفرداً كما يومىء إليه مقابلته بصلاة الجماعة؛ ولأن الغالب في فعلها في البيت والسوق الانفراد، ومقدار الزيادة خمسٌ وعشرون ضعفاً، وقوله: (وذلك) إن كان المشار إليه فضل صلاة الجماعة على صلاة الفذ اقتضى اختصاص ذلك بجماعة المسجد، وقوله: (أنه) أي الشأن أو الرجل إذا توضأ فأحسن الوضوء أي أسبغه مع الإتيان بالسنن والآداب ثم خرج إلى المسجد متوجهاً إليه لا يخرجه إلا الصلاة -فإن أخرجه إليه غيرها، أو هي مع غيرها فاته ما يأتي-: لم يخط خطوة إلا رفعت له بها درجة وحط عنه بها خطيئة، أي من الصغائر المتعلقة بحق الله -تعالى-، فإذا صلى لم تزل الملائكة تصلي عليه تترحم وتستغفر له ما دام في مصلاه أي جالساً فيه، ويحتمل أن يراد ما دام مستمراً فيه ولو مضطجعاً، ما لم يحدث قول: (اللهم صل عليه اللهم ارحمه)، ولا يزال المصلي في صلاة ما انتظر الصلاة، أي: مدة انتظاره إياها.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দেন যে, নিজ ঘরে বা বাজারে সালাত আদায় করা অপেক্ষা জামা�আতে সালাত আদায় করার সাওয়াব ও বিনিময় অনেক বেশি। অর্থাৎ একা সালাত, যেমনটি বুঝে আসে তার বিপরীতে জামাতের সালাত উল্লেখ করায়। এ ছাড়াও সাধারণত ঘরে বা বাজারে সালাত আদায় একাই হয়ে থাকে। অধিকের পরিমাণ হলো পঁচিশ গুণ। আর তার বাণী: �এবং উহা� যদি উহা দ্বারা উদ্দেশ্য হয় একা সালাতের ওপর জামা�আতে আদায় করা সালাতের ফযীলত, তাহলে তা মসজিদের জামা�আতের সাথে খাস হওয়াকে দাবি করে। আর তার বাণী: �অবশ্যই তা� বিষয়টি হলো যখন কোন ব্যক্তি ওযূ করে এবং ওযূকে সে সুন্দরভাবে করে। অর্থাৎ সুন্নাত ও আদাবসহ ওযূকে পূর্ণ করে। তারপর সে মসজিদের দিকে সালাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। তাকে কেবল সালাতই বের করল। তবে যদি তাকে সালাত ছাড়া অন্য কিছু বের করল বা সালাতের সাথে অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকে তাহলে আগত সাওয়াব সে পাবে না। তখন তার প্রতি কদমের বিনিময়ে একটি মর্তবা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি গুনাহ মাফ করা হয়। অর্থাৎ, ছোট গুনাহ যা আল্লাহর হকের সাথে সম্পৃক্ত। সালাত আদায়ের পর সে যতক্ষণ নিজ সালাতের স্থানে থাকে, মালাকগণ তার জন্য রহমাত ও মাগফিরাতের দু�আ করতে থাকেন। অর্থাৎ যতক্ষণ তাতে বসে থাকে। অথবা এর অর্থ যতক্ষণ সেখানে অবস্থান করে যদিও কাত হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ওযূ না ভেঙ্গে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত মালাকগণ বলে �হে আল্লাহ! আপনি তার উপর রহমত বর্ষণ করুন এবং তার প্রতি অনুগ্রহ করুন।� আর তোমাদের কেউ যতক্ষণ সালাতের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে সালাতে রত বলে গণ্য হয়। অর্থাৎ, যত সময় তার অপেক্ষা করতে থাকে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3435

 
Hadith   312   الحديث
الأهمية: كان عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- إذا أتى عليه أمداد أهل اليمن سألهم: أفيكم أويس بن عامر؟
থিম: উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-এর নিকট যখন ইয়ামান থেকে সহযোগী যোদ্ধারা আসতেন, তখনই তিনি তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করতেন, �তোমাদের মধ্যে কি উয়াইস ইবনে আমের আছে?� শেষ পর্যন্ত (এক দলের সঙ্গে) উয়াইস (কারনী) (মদীনা) এলেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, �তুমি কি উয়াইস ইবনে আমের?� তিনি বললেন, �হ্যাঁ।� তিনি বললেন, �মুরাদ (পরিবারের) এবং কর্ন (গোত্রের)?� উয়াইস বললেন, �হ্যাঁ।� তিনি জিজ্ঞেস করলেন, �তোমার শরীরে শ্বেত রোগ ছিল, তা এক দিরহাম সম জায়গা ব্যতীত (সবই) দূর হয়ে গেছে?� উয়াইস বললেন, �হ্যাঁ।� তিনি বললেন, �তোমার মা আছে?� উয়াইস বললেন, �হ্যাঁ।� তিনি বললেন, �আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, �মুরাদ (পরিবারের) এবং কর্ন (গোত্রের) উয়াইস ইবনে আমের ইয়ামানের সহযোগী ফৌজের সঙ্গে তোমাদের কাছে আসবে। তার দেহে ধবল দাগ আছে, যা এক দিরহাম সম স্থান ছাড়া সবই ভাল হয়ে গেছে। সে তার মায়ের সাথে সদাচারী হবে। সে যদি আল্লাহর প্রতি কসম খায়, তবে আল্লাহ তা পূরণ ক�রে দেবেন। সুতরাং (হে উমার!) তুমি যদি নিজের জন্য তাকে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনার দুআ করাতে পার, তাহলে অবশ্যই করায়ো।� অতএব তুমি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থন কর। উওয়াইস তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। উমার তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি তোথায় যেতে চাও ? সে বলল, কূফা।

عن أُسَير بن عمرو، ويقال: ابن جابر قال: كَانَ عُمر بن الخطاب -رضي الله عنه- إِذَا أَتَى عَلَيه أَمْدَادُ أَهْلِ اليَمَن سَأَلَهُم: أَفِيكُم أُوَيس بنُ عَامِر؟ حَتَّى أَتَى عَلَى أُوَيس -رضي الله عنه- فقال له: أَنْت أُوَيس بنُ عَامِر؟ قال: نَعَم، قال: مِنْ مُرَادٍ ثُمَّ مِنْ قَرْنٍ؟ قَالَ: نَعَم، قَال: فَكَانَ بِكَ بَرَصٌ، فَبَرَأَتَ مِنُه إِلاَّ مَوْضِعّ دِرهَم؟ قال: نعم، قَالَ: لَكَ وَالِدة؟ قال: نعم، قال: سَمِعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: �يَأتِي عَلَيكُم أُوَيس بنُ عَامِر مَعَ أَمْدَادِ أَهْلِ اليَمَن مِنْ مُرَاد، ثُمَّ مِنْ قَرْن كَانَ بِهِ بَرَصٌ، فَبَرَأَ مِنْهُ إِلاَّ مَوضِعَ دِرْهَم، لَهُ وَالِدَة هُوَ بِهَا بَرُّ، لَوْ أَقْسَمَ عَلَى الله لَأَبَرَّه، فَإِنْ اسْتَطَعْتَ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لَكَ فَافْعَلْ� فَاسْتَغْفِرْ لِي فَاسْتَغْفَرَ لَهُ، فَقَالَ لَه عُمر: أَيْنَ تُرِيد؟ قَالَ: الكُوفَة، قال: أَلاَ أَكتُبُ لَكَ إِلَى عَامِلِهَا؟ قال: أَكُون فِي غَبْرَاءِ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيَّ، فَلَمَّا كَانَ مِنَ العَام الْمُقْبِل حَجَّ رَجُلٌ مِنْ أَشْرَافِهِم، فَوَافَقَ عُمَر، فَسَأَلَه عَنْ أُوَيس، فقال: تَرَكْتُهُ رَثَّ البَّيت قَلِيلَ الْمَتَاعِ، قال: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: �يَأْتِي عَلَيكُم أُوَيس بنُ عَامِر مَعَ أَمْدَادٍ مِنْ أَهْلِ اليَمَن مِنْ مُرَاد، ثُمَّ مِنْ قَرْن، كَانَ بِهِ بَرَص فَبَرَأَ مِنْه إِلاَّ مَوْضِعَ دِرْهَم، لَهُ وَالِدَة هُوَ بِهَا بَرٌّ لَوْ أَقْسَمَ عَلى الله لَأَبَرَّهُ، فَإِنْ اسْتَطَعْتَ أَنْ يَسْتَغْفِر لَكَ، فَافْعَلْ� فَأَتَى أُوَيسًا، فقال: اسْتَغْفِر لِي، قال: أَنْتَ أَحْدَثُ عَهْدًا بِسَفَرٍ صَالِحٍ، فَاسْتَغْفِرْ لِي، قال: لَقِيتَ عمر؟ قال: نَعَم، فاستغفر له، فَفَطِنَ لَهُ النَّاس، فَانْطَلَقَ عَلَى وَجْهِهِ.
   وفي رواية أيضا عن أُسَير بن جابر: أنَّ أَهلَ الكُوفَةِ وَفَدُوا على عمر -رضي الله عنه- وفيهم رَجُلٌ مِمَّن كان يَسْخَرُ بِأُوَيْسٍ، فقال عمر: هَل هاهُنَا أَحَدٌ مِنَ القَرَنِيِّين؟ فَجَاء ذلك الرجل، فقال عمر: إِنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قَدْ قال: �إِنَّ رَجُلاً يَأْتِيكُم مِنَ اليَمَنِ يُقَالُ لَهُ: أُوَيْسٌ، لاَ يَدَعُ بِاليَمَنِ غَيرَ أُمٍّ لَهُ، قَد كَان بِهِ بَيَاضٌ فَدَعَا الله -تعالى-، فَأَذْهَبَهُ إِلاَّ مَوضِعَ الدِّينَارِ أَو الدِّرْهَمِ، فَمَنْ لَقِيَهُ مِنْكُمْ، فَلْيَسْتَغْفِر لَكُم�.
وفي رواية له: عن عمر -رضي الله عنه- قال: إِنِّي سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: �إِنَّ خَيرَ التَّابِعِين رَجُلٌ يُقَال لَهُ: أُوَيسٌ، وَلَهُ وَالِدَةٌ وَكَانَ بِهِ بَيَاضٌ، فَمُرُوهُ، فَلْيَسْتَغْفِر لَكُم�.

উসাইর ইবন আমর মতান্তরে ইবন জাবের থেকে বর্ণিত, উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-এর নিকট যখনই ইয়ামান থেকে সহযোগী যোদ্ধারা আসতেন, তখনই তিনি তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করতেন, �তোমাদের মধ্যে কি উয়াইস ইবন আমের আছে?� শেষ পর্যন্ত (এক দলের সঙ্গে) উওয়াইস-রাদিয়াল্লাহু আনহু- (মদীনা) এলেন। অতঃপর তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, �তুমি কি উওয়াইস ইবন আমের?� তিনি বললেন, �হ্যাঁ।� উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, �মুরাদ (পরিবারের) এবং কারন (গোত্রের)?� তিনি বললেন, �হ্যাঁ।� তিনি (পুনরায়) জিজ্ঞেস করলেন, �তোমার শরীরে শ্বেত রোগ ছিল, তা এক দিরহাম সম জায়গা ব্যতীত (সবই) দূর হয়ে গেছে?� উয়াইস বললেন, �হ্যাঁ।� তিনি বললেন, �তোমার মা আছে?� উয়াইস বললেন, �হ্যাঁ।� তিনি বললেন, �আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, �মুরাদ (পরিবারের) এবং কারন (গোত্রের) উয়াইস ইবন আমের ইয়ামানের সহযোগী ফৌজের সঙ্গে তোমাদের কাছে আসবে। তার দেহে ধবল দাগ আছে, যা এক দিরহাম সম স্থান ছাড়া সবই ভাল হয়ে গেছে। সে তার মায়ের সাথে সদাচারী হবে। সে যদি আল্লাহর প্রতি কসম খায়, তবে আল্লাহ তা পূরণ ক�রে দেবেন। সুতরাং (হে উমার!) তুমি যদি নিজের জন্য তাকে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনার দুআ করাতে পার, তাহলে অবশ্যই করায়ো।� তিনি (উমারের সাথে সাক্ষাতকারী কূফার লোকটি) উয়াইসের নিকট এসে বলল, আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থন কর। তিনি বললেন, �তুমি এক শুভযাত্রা থেকে নব আগমন করেছ। অতএব তুমি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।� অতঃপর তিনি বললেন, �তুমি উমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছ?� কূফার লোকটি বলল, �হ্যাঁ।� সুতরাং উয়াইস তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। (এসব শুনে) লোকেরা (উয়াইসের) মর্যাদা জেনে নিল। সুতরাং তিনি তার সামনের দিকে (অন্যত্র) চলে গেলেন।
অন্য এক বর্ণনায় উসাইর ইবন জাবের রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকেই বর্ণিত, কুফার কিছু লোক উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-এর নিকট এল। তাদের মধ্যে একটি লোক ছিল, সে উয়াইসের সাথে উপহাস করত। উমার জিজ্ঞেস করলেন, �এখানে কারন গোত্রের কেউ আছে কি?� অতঃপর ঐ ব্যক্তি এল। উমার বললেন, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �তোমাদের নিকট ইয়ামান থেকে উয়াইস নামক একটি লোক আসবে। সে ইয়ামানে কেবলমাত্র তার মা-কে রেখে আসবে। তার দেহে ধবল রোগ ছিল। সে আল্লাহর কাছে দুআ করলে আল্লাহ তা এক দীনার অথবা এক দিরহাম সম স্থান ব্যতীত সবই দূর ক�রে দিয়েছেন। সুতরাং তোমাদের কারো যদি তার সাথে সাক্ষাৎ হয়, তাহলে সে যেন তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।�
তারই অন্য এক বর্ণনায় আছে, উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, �আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট শুনেছি, তিনি বলেছেন, �সর্বশ্রেষ্ঠ তাবেঈন হল এক ব্যক্তি, যাকে উওয়াইস বলা হয়। তার মা আছে। তার ধবল রোগ ছিল। তোমরা তাকে আদেশ করো, সে যেন তোমাদের জন্য (আল্লাহর নিকট) ক্ষমা প্রার্থনা করে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان عمر بن الخطاب إذا أتى عليه جماعات الغزاة من أهل اليمن الذين يمدون جيوش الإسلام في الغزو، سألهم: أفيكم أويس بن عامر، فما زال كذلك حتى جاء أويس -رحمه الله- فقال له عمر: هل أنت أويس بن عامر؟ قال: نعم، قال عمر: هل أنت من قبيلة مراد ثم من قرن؟ قال: نعم، ثم قال له عمر: وهل كان بك برص فشُفيت منه إلا موضع درهم؟ قال: نعم، قال عمر: هل لك والدة؟ قال: نعم، فقال عمر: فإني سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: إنه سيأتي عليكم أويس بن عامر، مع جماعات الغزاة من أهل اليمن من قبيلة مراد ثم من قرن وكان به برص فشفاه الله منه إلا موضع درهم، له والدة هو بار بها، لو أقسم على الله بحصول أمر لأبرّه الله بحصول ذلك المقسم على حصوله فإن استطعت يا عمر أن يستغفر لك فافعل،
ولا يفهم من هذا أفضليته على عمر، ولا أن عمر غير مغفور له للإجماع على أن عمر أفضل منه لأنه تابعي والصحابي أفضل منه، إنما مضمون ذلك الإخبار بأن أويساً ممن يستجاب له الدعاء، وإرشاد عمر إلى الازدياد من الخير واغتنام دعاء من تُرجى إجابته، وهذا نحو مما أمرنا النبي به من الدعاء له، والصلاة عليه وسؤال الوسيلة له وإن كان النبي أفضل ولد آدم.
ثم سأله عمر أن يستغفر له فاستغفر له، ثم قال له عمر: ما هو المكان الذي سوف تذهب إليه؟ فقال: الكوفة، قال عمر: هل أكتب لك إلى أميرها ليعطيك من بيت مال المسلمين ما يكفيك؟ قال أويس: لأن أكون في عوام الناس وفقرائهم أحبّ إلي، فلما كان من العام المقبل، حج رجل من أشراف أهل الكوفة فقابل عمر فسأله عمر عن أويس فقال: تركته وبيته متواضع وأثاث بيته قليل قال عمر سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: إنه سيأتي عليكم أويس بن عامر، مع جماعات الغزاة من أهل اليمن من قبيلة مراد ثم من قرن وكان به برص فشفاه الله منه إلا موضع درهم، له والدة هو بار بها، لو أقسم على الله بحصول أمر لأبرّه الله بحصول ذلك المقسم على حصوله فإن استطعت يا عمر أن يستغفر لك فافعل.
فأتى ذلك الرجل أويساً فقال له: استغفر لي، فقال: أويس أنت أقرب عهداً بسفر صالح فاستغفر لي، فتنبه أويس أنه لعله لقي عمر،    فقال له: هل لقيت عمر؟ قال: نعم، فاستغفر أويس له فتنبه الناس لهذا الأمر فأقبلوا عليه، فخرج من الكوفة وذهب إلى مكان آخر لا يعرفه فيه الناس.
উমার ইবনুল খাত্তাবের নিকট যখনই ইয়ামান থেকে সহযোগী যোদ্ধাদের জামা�আত আসত যারা ইসলামী সৈন্যদেরকে যুদ্ধে সহযোগীতা করত, তখনই তিনি তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করতেন, �তোমাদের মধ্যে কি উয়াইস ইবনে আমের আছে?� শেষ পর্যন্ত এক দলের সঙ্গে উয়াইস রাহিমাহুল্লাহ আসলেন। তখন উমার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, �তুমি কি উয়াইস ইবন আমের?� তিনি বললেন, �হ্যাঁ।� উমার বললেন, �মুরাদ (পরিবারের) এবং কারন (গোত্রের)?� উয়াইস বললেন, �হ্যাঁ।� তিনি (পুনরায়) জিজ্ঞেস করলেন, �তোমার শরীরে শ্বেত রোগ ছিল, তা এক দিরহাম সমান জায়গা ব্যতীত (সবই) দূর হয়ে গেছে?� উয়াইস বললেন, �হ্যাঁ।� তিনি বললেন, �তোমার মা আছে?� উয়াইস বললেন, �হ্যাঁ।� উমার বললেন, �আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, �মুরাদ (পরিবারের) এবং কারন(গোত্রের) উয়াইস ইবনে আমের ইয়ামানের সহযোগী ফৌজের সঙ্গে তোমাদের কাছে আসবে। তার শ্বেত রোগ ছিল। আল্লাহ শুধু এক দিরহাম পরিমাণ জায়গা ছাড়া বাকি সব আরোগ্য দিয়েছেন। তার মা আছে। আর সে তার মায়ের সাথে সদাচারী। সে যদি কোনো বস্তু হাসিল করার জন্যে আল্লাহর প্রতি কসম খায়, তবে আল্লাহ তাকে সেই বস্তু দিয়ে তার কসম পূরণ ক�রে দেবেন। সুতরাং (হে উমার!) তুমি যদি নিজের জন্য তাকে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনার দুআ করাতে পার, তাহলে অবশ্যই করায়ো।�
এ দ্বারা উমারের ওপর তার মর্যাদা অধিক হওয়া এবং উমার ক্ষমা প্রাপ্ত নয় এ কথা বুঝা যায় না। কারণ, এ বিষয়টি সবার কাছে একমত যে, উমার তার থেকে উত্তম। কারণ, সে হলো তাবেঈ আর উমার হলো সাহাবী। আর সাহাবী তাবেঈ থেকে উত্তম। তবে এখানে আলোচ্য বিষয় হলো, এ কথা সংবাদ দেওয়া যে, উয়াইস তাদেরই একজন যার দো�আ কবুল হয়। আর উমারের প্রতি নির্দেশনা হলো কল্যাণমুলক কর্ম বাড়ানো এবং যার দো�আ কবুলের আশা করা হয়, তার থেকে দো�আ গ্রহণের সুযোগ নেওয়া। এটি এমনই যেমনটি আমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য দো�আ করতে, ওসীলা চাইতে এবং তার ওপর দরুদ পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন যদিও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদম সন্তানদের মধ্যে সর্ব উত্তম। তারপর উমার তাকে তার জন্য ক্ষমা চাইতে বললে, তিনি তার জন্য ক্ষমা চাইলেন। তারপর উমার তাকে বলল, সে জায়গা কোনটি যেদিকে আপনি যাবেন? বলল, কূফা। উমার বললেন, আমি তার আমীরের নিকট লিখে দেব যাতে মুসলিমদের বাইতুল মাল থেকে এ পরিমাণ দেয় যা আপনার যথেষ্ট হয়। উয়াইস বললেন, সাধারণ ও গরীব মানুষদের মধ্যে বসবাস করা আমার নিকট অধিক প্রিয়। পরবর্তী বছর কূফাবাসীদের সম্মানী লোকদের থেকে একজন লোক হজ করতে এলে উমার তার সাথে সাক্ষাৎ করে উয়াইস সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে, তাকে এবং তার ঘরকে আমি জীর্ণশুন্য অবস্থায় রেখে আসছি। তার ঘরের জিনিষপত্র খুবই নগন্য। উমার বলেলেন, �আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, �মুরাদ (পরিবারের) এবং কারন(গোত্রের) উয়াইস ইবনে আমের সৈন্যদের সাথে ইয়ামান থেকে তোমাদের কাছে আসবে। তার শ্বেত রোগ ছিল। আল্লাহ শুধু এক দিরহাম পরিমাণ জায়গা ছাড়া বাকি সব আরোগ্য দিয়েছেন। তার মা আছে। আর সে তার মায়ের সাথে সদাচারী। সে যদি আল্লাহর প্রতি কসম খায়, তবে আল্লাহ তা পূরণ ক�রে দেবেন। সুতরাং (হে উমার!) তুমি যদি নিজের জন্য তাকে দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনার দুআ করাতে পার, তাহলে অবশ্যই করায়ো।�
লোকটি উয়াইসের নিকট এসে বলল, আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থণা কর। তখন উয়াইস বলল, �তুমি এক শুভযাত্রা থেকে নব আগমন করেছ। অতএব তুমি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।� উয়াইস বুঝতে পারলো যে, অবশ্যই সে উমারের সাথে সাক্ষাৎ করেছে। তাই সে বলল, �তুমি উমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছ?� সে বলল, �হ্যাঁ।� সুতরাং উয়াইস তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। (এসব শুনে) লোকেরা (উয়াইসের) মর্যাদা জেনে নিল। তাই তারা তার প্রতি ঝুকলো এবং সে কূফা থেকে বের হয়ে অন্য জায়গায় চলে গেল, যাতে লোকেরা তাকে চিনে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3436

 
Hadith   313   الحديث
الأهمية: من جهز غازيا في سبيل الله فقد غزا، ومن خلف غازيًا في أهله بخير فقد غزا
থিম: যে ব্যক্তি সরঞ্জাম দিয়ে আল্লাহর পথে কোন মুজাহিদ প্রস্তুত ক�রে দিল, নিঃসন্দেহে সে জিহাদ করল। আর যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদের পরিবারে উত্তমরূপে প্রতিনিধিত্ব করল, নিঃসন্দেহে সেও জিহাদ করল।

عن زيد بن خالد الجهني -رضي الله عنه- مرفوعاً: �مَنْ جَهَّز غَازِياً فِي سَبِيلِ الله فَقَد غَزَا، وَمَنْ خَلَّف غَازِياً في أهلِه بخَير فقَد غزَا�.

যায়দ ইবনে খালিদ জুহানী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যে ব্যক্তি সরঞ্জাম দিয়ে আল্লাহর পথে কোন মুজাহিদ প্রস্তুত ক�রে দিল, নিঃসন্দেহে সে জিহাদ করল। আর যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদের পরিবারে উত্তমরূপে প্রতিনিধিত্ব করল, নিঃসন্দেহে সেও জিহাদ করল।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
إذا جهَّز الإنسان مجاهدًا براحلته ومتاعه وسلاحه فقد كتب الله له أجر الغازي؛ لأنه أعانه على الخير، ولو أنَّ الغازي أراد أن يجاهد ولكنَّه أشكل عليه أهله مَن يكون عند حاجاتهم، فدعا رجلاً من المسلمين وقال: أخلِفني في أهلي بخير، فإنَّ هذا الذي خلَّفه يكون له أجر المجاهد؛ لأنه أعانه، ويؤخذ من هذا أنَّ كُلَّ من أَعان شخصاً في طاعة الله فله مثل أجره، فإذا أُعِين طالب علم في شراء الكتب له، أو تأمين السكن، أو النفقة، أو ما أشبه ذلك، فإن له أجراً مثل أجره، من غير أن ينقص من أجره شيئاً.
যখন কোন ব্যক্তি কোন মুজাহিদকে সরঞ্জাম, অস্ত্র ও সাওয়ারী প্রস্তুত করে দিল আল্লাহ তার জন্য যুদ্ধকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব লিপিবদ্ধ করেন। কারণ, সে তাকে ভালো কাজে সহযোগীতা করেছে। যদি একজন যোদ্ধা সে জিহাদ করতে চায় কিন্তু তার পরিবারের প্রয়োজনে তার জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে সে একজন মুসলিমকে ডেকে বলল, তুমি আমার পরিবারকে ভালোভাবে দেখা শোনা করবে। তখন যাকে সে রেখে যাবে তার জন্য রয়েছে মুজাহিদের সমপরিমাণ সাওয়াব। কারণ, সে তাকে সাহায্য করেছে। এ থেকে বলা যায়, যে ব্যক্তি কোন লোককে আল্লাহর আনুগত্যে সহযোগীতা করে তার জন্য রয়েছে সমপরিমাণ সাওয়াব। যদি কোন তালেবে ইলমকে কিতাব ক্রয়ে বা থাকার ব্যবস্থা বা পড়া লেখার খরচ ইত্যাদিতে সাহায্য করা হয় প্রতিটি কর্মে তাকে তার সমপরিমান সাওয়াব দেওয়া হবে। তবে তার সাওয়াব থেকে কোন কিছুই কমানো হবে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3437

 
Hadith   314   الحديث
الأهمية: أنه -صلى الله عليه وسلم- قال في الأنصار: لا يحبهم إلا مؤمن، ولا يبغضهم إلا منافق، من أحبهم أحبه الله، ومن أبغضهم أبغضه الله
থিম: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসার সম্পর্কে বলেছেন, �তাদেরকে কেবলমাত্র মু�মিনই ভালোবাসে এবং তাদের প্রতি কেবলমাত্র মুনাফিকই বিদ্বেষ রাখে। যে ব্যক্তি তাদেরকে ভালবাসবে, আল্লাহও তাকে ভালবাসবেন। আর যে ব্যক্তি তাদের প্রতি বিদ্বেষ রাখবে, আল্লাহও তার প্রতি বিদ্বেষ রাখবেন।

عن البراء بن عازب -رضي الله عنهما- أنَّ النبيَّ -صلى الله عليه وسلم- قال في الأَنصَار: �لاَ يُحِبُّهُم إِلاَّ مُؤمِن، وَلاَ يُبْغِضُهُم إِلاَّ مُنَافِق، مَنْ أَحَبَّهُم أَحَبَّهُ الله، وَمَنْ أَبْغَضَهُم أَبْغَضَه اللَّه�.

বারা� ইবনে আযিব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসার সম্পর্কে বলেছেন, �তাদেরকে কেবলমাত্র মু�মিনই ভালোবাসে এবং তাদের প্রতি কেবলমাত্র মুনাফিকই বিদ্বেষ রাখে। যে ব্যক্তি তাদেরকে ভালবাসবে, আল্লাহও তাকে ভালবাসবেন। আর যে ব্যক্তি তাদের প্রতি বিদ্বেষ রাখবে, আল্লাহও তার প্রতি বিদ্বেষ রাখবেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر البراء بن عازب -رضي الله عنهما- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- حث على حب الأنصار، وجعله علامة الإيمان؛ وفاءً لجميل الأنصار؛ وهذا لسابقتهم في خدمة الرسالة، وما كان منهم في نصرة دين الإسلام، والسعي في إظهاره وإيواء المسلمين، وقيامهم في مهمات دين الإسلام حق القيام، وحبهم النبي -صلى الله عليه وسلم- وحبه إياهم، وبذلهم أموالهم وأنفسهم بين يديه، وقتالهم ومعاداتهم سائر الناس إيثارًا للإسلام، بل صرح الصادق المصدوق أن بغضهم لا يتصور إلا من رجل لا يؤمن بالله واليوم الآخر مغموس بالنفاق.
বারা ইবন আযেব রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সংবাদ দেন যে, আনসারীদের সুন্দর প্রতিশ্রুতি পরায়ণতার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের মহব্বত করার ওপর উৎসাহ প্রদান করেন এবং একে ঈমানের আলামত বলে সাব্যস্ত করেন। এ ছাড়াও রিসালাতের খিদমাতে তাদের অগ্রসর হওয়া, দীন ইসলামের সাহায্য করা, ইসলামের প্রচারের ক্ষেত্রে প্রাণপণ চেষ্টা করা, মুসলিমদের আশ্রয় দেওয়া এবং দীনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালন করা, রাসূলের প্রতি তাদের মহব্বত এবং তাদের প্রতি রাসূলের মহব্বত করা, তার সামনে জান-মাল কুরবানী করা, জিহাদ করা এবং ইসলামকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সব মানুষের সাথে তাদের বিরোধিতা ও যুদ্ধ করা ইত্যাদি কারণেই তাদের মহব্বতের প্রতি আল্লাহর রাসূল জোর দেন। বরং পরম সত্যবাদী স্পষ্ট করেন যে, তাদের প্রতি দুশমনি একমাত্র ঐ ব্যক্তির পক্ষ থেকেই চিন্তা করা সম্ভব যে আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান আনবে না, নিফাকের মধ্যে ডুবে থাকবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3438

 
Hadith   315   الحديث
الأهمية: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بَشَّر خديجة -رضي الله عنها- ببيت في الجنة من قصب، لا صخب فيه، ولا نصب
থিম: রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আন্হাকে জান্নাতে (তার জন্য) ফাঁপা মুক্তা নির্মিত একটি অট্টালিকার সু-সংবাদ দান করলেন; যেখানে কোন হট্টগোল ও ক্লান্তি থাকবে না।

عن عبد الله بن أبي أوفى -رضي الله عنهما- أنَّ رسول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- بَشَّرَ خَدِيجَةَ -رضي الله عنها- بِبَيتٍ فِي الجنَّة مِنْ قَصَبٍ، لاَ صَخَبَ فِيهِ، ولاَ نَصَبٍ.

আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আন্হাকে জান্নাতে (তার জন্য) ফাঁপা মুক্তা নির্মিত একটি অট্টালিকার সু-সংবাদ দান করলেন; যেখানে কোন হট্টগোল ও ক্লান্তি থাকবে না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
بشر النبي -صلى الله عليه وسلم- خديجة -رضي الله عنها- بواسطة جبريل -عليه السلام-، بقصر في الجنة من لؤلؤ مجوف ليس فيه أصوات مزعجة وليس فيه تعب، وأم المؤمنين خديجة هي أوَّل امرأة تزوجها النبي -صلى الله عليه وسلم-، تزوجها وهو -صلى الله عليه وسلم- ابن خمس وعشرين سنة، ولها أربعون سنة، وقيل ثمانية وعشرون سنة، وكانت ثيبًا، وولدت له بناته الأربع وأولاده الثلاثة أو الاثنان، ولم يتزوج عليها أحدا حتى ماتت -رضي الله عنها-، وكانت امرأة عاقلة ذكية حكيمة، لها مناقب معروفة.
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদীজা রাদিয়াল্লাহু আন্হাকে জিবরীল আলাইহিস সালামের মারফতে জান্নাতে তার জন্য ফাঁপা মণি-মুক্তা দ্বারা নির্মিত একটি অট্টালিকার সু-সংবাদ দান করলেন; যেখানে কোন বিরক্তিকর হট্টগোল ও ক্লান্তি থাকবে না। উম্মুল মু�মিনীন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা প্রথম স্ত্রী যাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পঁচিশ বছর বয়সে বিবাহ করেন যখন তার বয়স ছিল চল্লিশ। আর তিনি ছিলেন বিবাহিতা। খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘরেই তার চার মেয়ে তিন বা দুই সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার ওপর আর কাউকে তিনি বিবাহ করেন নি। তিনি ছিলেন একজন বুদ্ধিমতি, জ্ঞানী, গুণি ও মেধাবী মহিলা। তার রয়েছে অনেক প্রসিদ্ধ গুণাবলি।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3439

 
Hadith   316   الحديث
الأهمية: لم يكن النبي -صلى الله عليه وسلم- على شيء من النوافل أشد تعاهدًا منه على ركعتي الفجر
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন নফল সলাতকে ফাজরের দু�রাক�আত সুন্নাতের চেয়ে অধিক গুরুত্ব প্রদান করতেন না।

عن عائشة بنت أبي بكر الصديق -رضي الله عنهما- قالت: �لم يَكُن النبي -صلى الله عليه وسلم- على شيء من النَّوَافل أشد تَعاهُدَاً منْهُ على ركْعَتَي الفَجْرِ�.
وفي رواية: �رَكْعَتا الفَجْرِ خيرٌ منَ الدُّنيا وما فيها�.

�আয়িশাহ্ বিনত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু <�আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন নফল সলাতকে ফাজরের দু�রাক�আত সুন্নাতের চেয়ে অধিক গুরুত্ব প্রদান করতেন না। অপর বর্ণনায় এসেছে: �ফজরের দু�রাকাত দুনিয়া ও তার মধ্যবর্তী সবকিছু হতে উত্তম�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في هذا الحديث بيان لما لركعتي الفجر من الأهمية والتأكيد، فقد ذكرت عائشة -رضي الله عنها- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- أكدهما وعظم شأنهما بفعله، حيث كان شديد المواظبة عليهما، وبقوله، حيث أخبر أنهما خير من الدنيا وما فيها.
এ হাদীসটি ফজরের দুই রাকা�আত সুন্নাতের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু আলোচনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার গুরুত্ব দেন এবং তা পালন করার মাধ্যমে তার শানকে মহান বানিয়ে দেন। তিনি এ দুই রাকা�আত সালাতকে খুব কঠিনভাবে সব সময় পালন করতেন। আর তার বাণী দ্বারাও তার গুরুত্ব বাড়িয়ে দেন, যেমন তিনি বলেন, এ দুই রাকা�আত সালাত দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে তা হতে উত্তম।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3440

 
Hadith   317   الحديث
الأهمية: صلاة الجماعة أفضل من صلاة الفذ بسبع وعشرين درجة
থিম: একাকীর সালাত অপেক্ষা জামা�আতের সালাত সাতাশ গুণ উত্তম।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ: �صلاةُ الجَمَاعَة أَفضَلُ من صَلاَة الفَذِّ بِسَبعٍ وعِشرِين دَرَجَة�.

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �একাকীর সালাত অপেক্ষা জামা�আতের সালাত সাতাশ গুণ উত্তম।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يشير هذا الحديث إلى بيان فضل صلاة الجماعة على صلاة المنفرد، بأن الجماعة -لما فيها من الفوائد العظيمة والمصالح الجسيمة- تفضل وتزيد على صلاة المنفرد بسبع وعشرين مرة من الثواب؛ لما بين العملين من التفاوت الكبير في القيام بالمقصود، وتحقيق المصالح، ولاشك أنَّ من ضيَّع هذا الربح الكبير محروم.
এ হাদীসটিতে একা সালাত আদায়ের ওপর জামা�আতে সালাত আদায়ের ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে। কেননা, জামা�আতের সালাত অনেক উপকারিতা ও মহান কল্যাণের কারণে একা সালাতের ওপর সাতাশ গুণ সাওয়াব বেশি রাখে। কারণ, উদ্দেশ্য হাসিল ও কল্যাণ সাধনে দুটি আমলের মাঝখানে রয়েছে বিশাল ব্যবধান। যে ব্যক্তি এত বড় লাভকে নষ্ট করবে সে অবশ্যই বঞ্চিত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3441

 
Hadith   318   الحديث
الأهمية: من عاد مريضًا أو زار أخًا له في الله، ناداه مناد: بأن طبت، وطاب ممشاك، وتبوأت من الجنة منزلًا
থিম: যে ব্যক্তি কোন রোগীকে দেখতে যায় অথবা তার কোন ভাইকে আল্লাহর ওয়াস্তে দেখতে যায়, সে ব্যক্তিকে এক (গায়বী) আহবানকারী আহবান ক�রে বলে, �সুখী হও তুমি, সুখকর হোক তোমার যাত্রা আর জান্নাতে তোমার একটি প্রাসাদ হোক।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �مَنْ عَادَ مَرِيضًا أَو زَارَ أَخًا لَهُ فِي الله، نَادَاهُ مُنَادٍ: بِأَنْ طِبْتَ، وَطَابَ مَمْشَاكَ، وَتَبَوَّأتَ مِنَ الجَنَّةِ مَنْزِلاً�.

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �যে ব্যক্তি কোন রোগীকে দেখতে যায় অথবা তার কোন ভাইকে আল্লাহর ওয়াস্তে দেখতে যায়, সে ব্যক্তিকে এক (গায়বী) আহবানকারী আহবান ক�রে বলে, �সুখী হও তুমি, সুখকর হোক তোমার যাত্রা আর জান্নাতে তোমার একটি প্রাসাদ হোক�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
من ذهب ليعود مريضًا أو يزور أخًا له لوجه الله -عز وجل- فإن ملكًا يناديه من عند الله -تعالى- أن طهرت من الذنوب وانشرحت بما لك عند الله من جزيل الأجر، واتخذت من الجنة قصرًا تسكنه.
যে ব্যক্তি কোন রোগীকে দেখতে যায় অথবা তার কোন ভাইয়ের সাথে আল্লাহর ওয়াস্তে সাক্ষাৎ করে, আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ফিরিশতা সে ব্যক্তিকে আহবান করে বলে, তুমি গুনাহসমূহ হতে পবিত্র হয়ে গেলে এবং আল্লাহর নিকট তোমার জন্য যে বিশাল বিনিময় রয়েছে তা উম্মুক্ত করলে। আর জান্নাতের প্রাসাদ গ্রহণ করলে যাতে তুমি বসবাস করবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3442

 
Hadith   319   الحديث
الأهمية: كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يزور قباء راكبًا وماشيًا، فيصلي فيه ركعتين
থিম: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ার হয়ে ও পায়ে হেঁটে (মসজিদে) কুবার যিয়ারত করতেন। অতঃপর তাতে দুই রাকআত সালাত আদায় করতেন।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- قال: كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يزورُ قُبَاءَ راكبًا وماشيًا، فيُصَلِّي فيه ركعتين.
وفي رواية: كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يأتي مسجد قُبَاءَ كل سَبْتٍ راكبًا وماشيًا، وكان ابن عُمر يفعله.

ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, �নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ার হয়ে ও পায়ে হেঁটে (মসজিদে) কুবার যিয়ারত করতেন। অতঃপর তাতে দু� রাকআত সালাত আদায় করতেন। �অন্য এক বর্ণনায় আছে, �নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি শনিবার সওয়ার হয়ে এবং কখনো পায়ে হেঁটে মসজিদে কুবা যেতেন। আর ইবনে উমারও এরূপ করতেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
منطقة قباء التي بُنِيَ بها أول مسجد في الإسلام قرية قريبة من مركز المدينة من عواليها، فكان النبي -صلى الله عليه وسلم- يزوره راكبا وماشيا، وقوله كل سبت: حيث كان يخصص بعض الأيام بالزيارة
والحكمة في مجيئه -صلى الله عليه وسلم- إلى قباء يوم السبت من كل أسبوع، إنما كان لمواصلة الأنصار وتفقُّد حالهم وحال من تأخَّر منهم عن حضور الجمعة معه، وهذا هو السِر في تخصيص ذلك بالسبت.
কুবা মদীনার কাছাকাছি এমন একটি অঞ্চল যেখানে ইসলামের প্রথম মসজিদ নির্মাণ করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়ে হেটে বা বাহনে চড়ে তা যিয়ারত করতেন। আর তার বাণী �প্রতি শরিবার�: অর্থাৎ যিয়ারতের জন্য তিনি কোন কোন দিনকে খাস করতেন। সপ্তাহের মধ্যে শনিবারে যিয়ারত করার হিকমত হলো, আনসারদের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং তাদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া। আর যারা তার সাথে জুমু�আয় শরীক হয়নি তাদের অবস্থার খোজ খবর নেওয়া। শনিবারকে খাস করার এটিই রহস্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3443

 
Hadith   320   الحديث
الأهمية: شهدت عمرو بن أبي حسن سأل عبد الله بن زيد عن وضوء النبي -صلى الله عليه وسلم-؟ فدعا بتور من ماء، فتوضأ لهم وضوء رسول الله -صلى الله عليه وسلم-
থিম: আমি �আমর ইব্নু আবূ হাসানকে দেখেছি তিনি �আবদুল্লাহ্ ইব্নু যায়দকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উযূ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি এক পাত্র পানি আনলেন এবং তাঁদের (দেখাবার) জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মতো উযূ করলেন। তিনি পাত্র থেকে দু�হাতে পানি ঢাললেন ও তার দু�হাত তিনবার ধুলেন।

عن يحيى المازني -رحمه الله- قال: ((شَهِدتُّ عمرو بن أبي حسن سأل عبد الله بن زيد عن وُضوء النبي -صلى الله عليه وسلم-؟ فدعا بتَور من ماء، فتوضَّأ لهم وُضُوء رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، فأكفَأ على يديه من التَّورِ، فغسَل يديه ثلاثًا، ثم أدخل يدهُ في التور، فمَضْمَض واسْتَنْشَق واسْتَنْثَر ثلاثا بثلاثِ غَرَفَات، ثم أدخل يده فغسل وجهه ثلاثا، ثم أدخل يده في التور، فغَسَلَهُما مرَّتين إلى المِرْفَقَين، ثم أدخل يدَه في التَّور، فمَسَح رأسَه، فأَقْبَل بهما وأَدْبَر مرَّة واحدة، ثم غَسَل رِجلَيه)).
وفي رواية: ((بدأ بمُقَدَّم رأسه، حتى ذَهَب بهما إلى قَفَاه، ثم رَدَّهُما حتَّى رَجَع إلى المكان الذي بدأ منه)).
وفي رواية ((أتانا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فأخْرَجنا له ماء في تَورٍ من صُفْرٍ)).

থিম: ইয়াহইয়া আল-মাযনী রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমি �আমর ইব্নু আবূ হাসানকে দেখেছি তিনি �আবদুল্লাহ্ ইব্নু যায়দকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উযূ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি এক পাত্র পানি আনলেন এবং তাঁদের (দেখাবার) জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মতো উযূ করলেন। তিনি পাত্র থেকে দু�হাতে পানি ঢাললেন ও তার দু�হাত তিনবার ধুলেন। অতঃপর পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে তিন খাবলা পানি নিয়ে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিয়ে নাক ঝাড়লেন তিনবার। তারপর আবার হাত ঢুকালেন। তিনবার তাঁর মুখমণ্ডল ধুলেন। তারপর আবার হাত ঢুকিয়ে (পানি নিয়ে) দুই হাত কনুই পর্যন্ত দু�বার ধুলেন। তারপর আবার হাত ঢুকিয়ে উভয় হাত দিয়ে সামনে এবং পেছনে একবার মাত্র মাথা মাস্হ করলেন। তারপর দু� পা ধুলেন। অপর একটি বর্ণনায়: তার মাথার সামনের অংশ থেকে শুরু করে পিছন পর্যন্ত নিয়ে যান। অতঃপর হাত দুটিকে পুণরায় আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনেন যেখান থেকে সে শুরু করেন। অপর বর্ণনা: আমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন ফলে আমরা তার জন্যে পশমের একটি পাত্রে করে পানি বের করলাম।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
من أجل حرص السلف الصالح -رحمهم الله- على اتباع السنة، كانوا يتساءلون عن كيفية عمل النبي -صلى الله عليه وسلم-؛ ليتأسوا به فيها، وفي هذا الحديث يحدث عمرو بن يَحيى المازني عن أبيه: أنه شهد عمه عمرو بن أبي حسن، يسأل عبد الله بن زيد أحد الصحابة -رضي الله عنه- عن كيفية وضوء النبي -صلى الله عليه وسلم-؛ فأراد عبد الله أن يبينها له بصورة فعلية؛ لأن ذلك أسرع إدراكا، وأدق تصويرا وأرسخ في النفس، فطلب إناء من ماء، فبدأ أولا بغسل كفيه؛ لأنهما آلة الغسل وأخذ الماء، فأكفأ الإناء فغسلهما ثلاثا، ثم أدخل يده في الإناء، فاغترف منه ثلاث غرفات يتمضمض في كل غرفة ويستنشق ويستنثر، ثم اغترف من الإناء فغسل وجهه ثلاث مرات، ثم اغترف منه فغسل يديه إلى المرفقين مرتين مرتين، ثم أدخل يديه في الإناء فمسح رأسه بيديه بدأ بمقدم رأسه حتى وصل إلى قفاه أعلى الرقبة، ثم ردهما حتى وصل إلى المكان الذي بدأ منه، صنع هكذا؛ ليستقبل شعر الرأس ويستدبره فيعم المسح ظاهره وباطنه، ثم غسل رجليه إلى الكعبين، وبيَّن عبد الله بن زيد -رضي الله عنه- أن هذا صنيع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حين أتاهم، فأخرجوا له ماء في تور من صفر؛ ليتوضأ به -صلى الله عليه وسلم-، بيَّن ذلك عبد الله؛ ليثبت أنه كان على يقين من الأمر.
সুন্নাতের ইত্তেবার প্রতি সালফে সালেহীনগণ অধিক আগ্রহী হওয়ার কারণে তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলের পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন, যেন তাতে তারা তার অনুকরণ করতে পারেন। এ হাদীটিতে আমর ইবন ইয়াহইয়া আল-মাযনী রাহিমাহুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি তার চাচা �আমর ইব্নু আবূ হাসানকে দেখেছেন তিনি �আবদুল্লাহ্ ইব্নু যায়দ যিনি একজন সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উযূ সম্পর্কে প্রশ্ন করতে। তারপর আব্দুল্লাহ তার জন্য প্রাকটিকেল বর্ণনা দেওয়ার ইচ্ছা করলেন। কারণ এটি খুব দ্রুত আয়ত্ব করা যায় এবং মনের মধ্যে অতি তাড়াতাড়ি গেঁথে যায়। তিনি এক পাত্র পানি আনলেন এবং তিনি প্রথমে দুই হাতের কব্জি ধোয়ার মাধ্যমে ওযূ শুরু করলেন। কারণ, এ দুটি ধোয়া ও পানি তোলার যন্ত্র। তারপর তিনি পাত্র থেকে দু�হাতের কব্জিতে পানি ঢাললেন এবং তা তিনবার ধুইলেন। তারপর তিনি তার হাতকে পাত্রে ডুবালেন। অতঃপর পাত্রের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে তিন খাবলা পানি নিলেন। প্রতি খাবলে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিয়ে নাক ঝাড়লেন। তারপর আবার পাত্রে হাত ঢুকালেন। তারপর তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ধুলেন। তারপর আবার হাত ঢুকিয়ে (পানি নিয়ে) দুই হাত কনুই পর্যন্ত দু�বার দু�বার ধুলেন। তারপর আবার হাত ঢুকিয়ে উভয় হাত দিয়ে মাথা মাসেহ করলেন। সামনের অংশ থেকে শুরু করে গরদানের উপরি অংশের পিছন পর্যন্ত গেলেন অতঃপর হাতদ্বয়কে ফিরিয়ে এনে যেখান থেকে শুরু করলেন সেখানে এসে পৌঁছালেন। এভাবে করলেন যাতে মাথার চুলের সামনের এবং পিছনের উভয় অংশকে অন্তভুর্ক্ত করে নেয়। ফলে মাথার বাহ্যিক ও ভিতর উভয়টিকে মাসেহ সামিল করে। তারপর দু� পা টাখনু পর্যন্ত ধুলেন। আর আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বর্ণনা করেন যে, এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল ছিল যখন তিনি তাদের নিকট আগমন করেন এবং তারা তার জন্য পশমের একটি পাত্রে পানি বের করলেন। যাতে তিনি তা দ্বারা ওযূ করেন। আব্দুল্লাহ এ কথা এ জন্য বর্ণনা করেন যাতে প্রমাণিত হয় যে, সে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। - উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3444

 
Hadith   321   الحديث
الأهمية: ليس من نفسٍ تقتل ظلمًا إلا كان على ابن آدم الأول كِفْلٌ من دمها؛ لأنه كان أول من سن القتل
থিম: যে কোন প্রাণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হবে, তার পাপের একটা অংশ আদমের প্রথম সন্তান (কাবীল) এর উপর বর্তাবে। কেননা, সে হত্যার রীতি সর্বপ্রথম চালু করেছে।

عن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- مرفوعًا: �ليس مِنْ نَفْسٍ تُقْتَلُ ظُلماً إِلاَّ كَان على ابنِ آدَمَ الأَوَّل كِفْلٌ مِن دمِهَا؛ لِأَنَّه كان أوَّل مَن سَنَّ القَتْلَ�.

ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �যে কোন প্রাণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হবে, তার পাপের একটা অংশ আদমের প্রথম সন্তান (কাবীল) এর উপর বর্তাবে। কেননা, সে হত্যার রীতি সর্বপ্রথম চালু করেছে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يحكي هذا الحديث سبب تَحمُّل أحد ابني آدم تَبِعَات الدِّماء التي تُهدَر بعده، قيل: قابيل قتل أخاه هابيل حسدا له، فهما أول قاتل ومقتول من ولد آدم؛ فيتحمَّل قابيل نصيبًا من إثم الدماء التي تسفك من بعده؛ لأنه كان أول من سنَّ القتل؛ لأنَّ كل من فعله بعده مُقتدٍ به.
যে কোন প্রাণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার দায়ভার আদমের এক সন্তানের বহন করার কারণ এ হাদীসটি বর্ণনা করছে। কারণ, কাবীল তার ভাই হাবীলকে প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে হত্যা করেছে। আদম সন্তানের মধ্যে এটিই ছিল সর্ব প্রথম হত্যাকান্ড। সুতরাং কাবীল তারপর যত হত্যাকান্ড ঘটবে তার একটি গুনাহ বহন করবে। কারণ, সেই সর্ব প্রথম হত্যা করার প্রচলন করে। তারপর যারাই এ ধরনের কর্ম করবে সে তাঁরই অনুকরণ করল। যদিও (তার মাঝে ও হত্যাকারীর মাঝে) একটি মাধ্যম বা একাধিক মাধ্যম।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3445

 
Hadith   322   الحديث
الأهمية: أما علمت أن الإسلام يهدم ما كان قبله، وأن الهجرة تهدم ما كان قبلها، وأن الحج يهدم ما كان قبله؟
থিম: তুমি কি জানো না যে, ইসলাম পূর্বের সমস্ত পাপকে মিটিয়ে দেয়, হিজরত পূর্বের সমস্ত পাপকে নিশ্চিহ্ন ক�রে ফেলে এবং হজ্জ ক্ষমা ও পূর্বের পাপসমূহ ধ্বংস ক�রে দেয়?

عن ابن شماسة المهري قال: حَضَرنَا عَمرو بن العاص -رضي الله عنه- وهُو فِي سِيَاقَةِ الْمَوتِ، فَبَكَى طَوِيلاً، وَحَوَّلَ وَجهَهُ إِلَى الجِدَارِ، فَجَعَلَ ابنَهُ، يقول: يَا أَبَتَاهُ، أَمَا بَشَّرَكَ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- بكَذَا؟ أمَا بشَّركَ رسول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- بِكَذَا؟ فَأَقبَلَ بِوَجهِهِ، فقَالَ: إِنَّ أَفضَلَ مَا نُعِدُّ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ الله، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رسولُ الله، إِنِّي قَدْ كُنتُ عَلَى أَطْبَاقٍ ثَلاَثٍ: لَقَدْ رَأَيتُنِي وَمَا أَحَدٌ أَشَدَّ بُغْضًا لِرَسُولِ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- مِنِّي، وَلاَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَكُونَ قَدْ اسْتَمْكَنْتُ مِنْهُ فَقَتَلْتُهُ، فَلَوْ مُتُّ عَلَى تِلْكَ الحَالِ لَكُنْتُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، فَلَمَّا جَعَلَ اللهُ الإِسْلاَمَ فِي قَلْبِي أَتَيتُ النَبيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم-، فَقُلتُ: ابْسُطْ يَمِينَكَ فَلِأُبَايِعُكَ، فَبَسَطَ يَمِينَهُ فَقَبَضْتُ يَدِي، فقال: �مَا لَكَ يَا عَمرُو؟� قُلتُ: أَرَدْتُ أَنْ أَشْتَرِطَ، قال: �تَشْتَرِطُ مَاذَا؟� قُلتُ: أَنْ يُغْفَرَ لِي، قال: �أَمَا عَلِمتَ أَنَّ الإِسْلاَمَ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ، وَأَنَّ الهِجْرَةَ تَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهَا، وَأَنَّ الحَجَّ يَهْدِمُ مَا كَانَ قَبْلَهُ؟� وَمَا كَان أَحَدٌ أَحبَّ إِلَيَّ مِنْ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- وَلاَ أَجَلَّ فِي عَينِي مِنْهُ، وَمَا كُنْتُ أُطِيقُ أَنْ أَمْلَأَ عَينِي مِنْهُ؛ إِجْلاَلاً لَهُ، وَلَوْ سُئِلْتُ أَنْ أَصِفَهُ مَا أَطَقْتُ؛ لِأَنِّي لَمْ أَكُنْ أَمْلَأُ عَينِي مِنْهُ، وَلَوْ مِتُّ عَلَى تِلْكَ الحَالِ لَرَجَوْتُ أَنْ أَكُونَ مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ، ثُمَّ وَلِينَا أَشْيَاءَ مَا أَدْرِي مَا حَالِي فِيهَا؟ فَإِذَا أَنَا مِتُّ فَلاَ تَصْحَبْنِي نَائِحَةٌ وَلاَ نَارٌ، فَإِذَا دَفَنْتُمُونِي، فَشُنُّوا عَلَيَّ التُرَابَ شَنًّا، ثُمَّ أَقِيمُوا حَولَ قَبرِي قَدْرَ مَا تُنْحَرُ جَزُور، وَيُقْسَمُ لَحْمُهَا، حتَّى أَسْتَأْنِسَ بِكُم، وَأَنْظُر مَا أُرَاجِعُ بِهِ رُسُلَ رَبِّي.

ইবনে শিমাসাহ আল-মিহরি হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমর ইবনে আ�স রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-এর মরণো�মুখ সময়ে আমরা তাঁর নিকটে উপস্থিত হলাম। তিনি অনেক ক্ষণ ধরে কাঁদতে থাকলেন এবং দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এরূপ অবস্থা দেখে তাঁর এক ছেলে বলল, �আব্বাজান! আপনাকে কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুক জিনিসের সুসংবাদ দেননি? আপনাকে কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুক জিনিসের সুসংবাদ দেননি?� এ কথা শুনে তিনি তাঁর চেহারা সামনের দিকে ক�রে বললেন, আমাদের সর্বোত্তম পুঁজি হল, এই সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। আমি তিনটি স্তর অতিক্রম করেছি। (এক) আমার চেয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি বড় বিদ্বেষী আর কেউ ছিল না। তাঁকে হত্যা করার ক্ষমতা অর্জন করাই ছিল আমার তৎকালীন সর্বাধিক প্রিয় বাসনা। যদি (দুর্ভাগ্যক্রমে) তখন মারা যেতাম, তাহলে নিঃসন্দেহে আমি জাহান্নামী হতাম। (দুই) তারপর যখন আল্লাহ তাআলা আমার অন্তরে ইসলাম দান করলেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হয়ে নিবেদন করলাম, �আপনার ডান হাত প্রসারিত করুন। আমি আপনার হাতে বায়আত করতে চাই।� বস্তুতঃ তিনি ডান হাত বাড়িয়ে দিলেন। কিন্তু আমি আমার হাত টেনে নিলাম। তিনি বললেন, �আমর! কী ব্যাপার?� আমি নিবেদন করলাম, �একটি শর্ত আরোপ করতে চাই।� তিনি বললেন, �শর্তটি কী?� আমি বললাম, �আমাকে ক্ষমা করা হোক---শুধু এতটুকুই।� তিনি বললেন, �তুমি কি জানো না যে, ইসলাম পূর্বের সমস্ত পাপকে মিটিয়ে দেয়, হিজরত পূর্বের সমস্ত পাপকে নিশ্চিহ্ন ক�রে ফেলে এবং হজ্জ ক্ষমা ও পূর্বের পাপসমূহ ধ্বংস ক�রে দেয়?� তখন থেকে আমার নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপেক্ষা অধিক প্রিয় মানুষ আর কেউ নেই। আর আমার দৃষ্টিতে তাঁর চেয়ে সম্মানী ব্যক্তি আর কেউ নেই। তাঁকে সম্মান ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার অবস্থা এরূপ ছিল যে, তাঁর দিকে নয়নভরে তাকাতে পারতাম না। যার ফলে আমাকে কেউ যদি প্রশ্ন করে যে, �আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গঠনাকৃতি কিরূপ ছিল?� তাহলে আমি তা বলতে পারব না। এ অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয়ে যেত, তাহলে আশা ছিল যে, আমি জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম। (তিন) তারপর বহু দায়িত্বপূর্ণ বিষয়াদির খপ্পরে পড়লাম। জানি না, তাতে আমার অবস্থা কী? সুতরাং আমি মারা গেলে কোন মাতমকারিণী অথবা আগুন যেন অবশ্যই আমার (জানাযার) সাথে না থাকে। তারপর যখন আমাকে দাফন করবে, তখন যেন তোমরা আমার কবরে অল্প অল্প ক�রে মাটি দেবে। অতঃপর একটি উট যবেহ ক�রে তার মাংস বন্টন করার সময় পরিমাণ আমার কবরের পাশে অপেক্ষা করবে। যাতে আমি তোমাদের সাহায্যে নিঃসঙ্গতা দূর করতে পারি এবং আমার প্রভুর প্রেরিত ফিরিশতারা কিভাবে আমার প্রতি উত্তর করে সেটা দেখতে পারি।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
تضمن حديث عمرو بن العاص -رضي الله عنه- المتضمن لموضوع التبشير والتهنئة بالخير قصة، وخُلاصة هذه القصة العظيمة: أنَّه حضَره بعض أصحابه وهو في سياق الموت، فبكى بكاء شديدا، وحوَّل وجهه نحو الجدار -رضي الله عنه-، وهو في سياق الموت سيفارق الدنيا فقال له ابنه: علام تبكى وقد بشَّرك النبي -صلى الله عليه وسلم- بالجنة؟ فقال: يا بني إني كنت على أحوال ثلاثة، ثمَّ ذكر هذه الأحوال الثلاث: أنه كان يبغض النبي صلى الله عليه وسلم- بغضا شديدا، وأنه لم يكن على وجه الأرض أحد يبغضه كما كان يبغضه هو، وأنه يَوَدُّ أنَّه لو تمكَّن منه فقتَلَه، وهذا أشد ما يكون من الكفر، حتَّى ألقى الله الإسلام في قلبه فجاء إلى النبي -صلى الله عليه وسلم-، فقال يا رسول الله: ابسط يدك فَلِأُبَايِعُكَ علَى الإسلام، وكان النبي -صلى الله عليه وسلم- أحسن الناس خُلُقًا فمدَّ يده، ولكن عمرو بن العاص كف يده؛ ليس استكبارًا، ولكن استثباتا لما سيذكره، فقال له: "مالك؟" قال: يا رسول الله، إني أشترط -يعني على الإسلام-، قال: "ماذا تشترط؟" قال: أشترط أن يغفر الله لي ما سبق من الكفر والذنوب. هذا أكبر همِّه -رضي الله عنه-، يشترط أنَّ الله يغفر له، ظن أن الله لن يغفر له لما كان له من سابقة، فقال له النبي -صلى الله عليه وسلم-: "أما علمت أن الإسلام يهدم ما كان قبله، وأن الهجرة تهدم ما كان قبلها، وأن الحج يهدم ما كان قبله" ثلاثة أشياء.
   أما الإسلام: فإنه يهدم ما كان قبله بنص الكتاب العزيز، قال الله -عز وجل-: {قل للذين كفروا إن ينتهوا يغفر لهم ما قد سلف وإن يعودوا فقد مضت سنت الأولين}.
والهجرة: إذا هاجر الإنسان من بلده التي يعيش فيها، وهي بلد كفر هدمت ما قبلها.
والحج: يهدم ما قبله؛ لقول النبي -صلى الله عليه وسلم-: "الحج المبرور ليس له جزاء إلا الجنة".
فبايع -رضي الله عنه- وأحب النبي -صلى الله عليه وسلم- حبًّا شديدًا حتى كان أحب الناس إليه، وحتى إنه لا يستطيع أن يحد النظر فيه؛ إجلالا له -عليه الصلاة والسلام-. سبحان مقلب القلوب! بالأمس كان يبغضه بغضا شديدا، حتى يتمنى أنه يقدر عليه فيقتله، والآن ما يستطيع أن يرفع طرفه إليه؛ إجلالا له، ولا يستطيع أن يصفه؛ لأنه لا يحيط به، حيث إنه لم يدركه إدراكا جيدا؛ مهابة له -صلى الله عليه وسلم-.
يقول رضي الله عنه: إنَّه لو مات على الحال الأول؛ لكان من أهل النار، يقول: ولو مت على تلك الحال يعني الحال الثاني؛ لرجوت أن أكون من أهل الجنة. انظر الاحتياط فقد جزم أنه لو مات على الحال الأولى؛ لكان من أهل النار، أما الحال الثانية فإنه لشدة خوفه قال: لو مت على هذا الحال لرجوت أن أكون من أهل الجنة، ولم يقل: لكنت من أهل الجنة؛ لأن الشهادة بالجنة أمرها صعب.
ثم إنه بعد ذلك تولى أمورا -رضي الله عنه-، تولى إمارات وقيادات، وحصل ما حصل في قصة حرب معاوية وغيره، وكان عمرو بن العاص معروفا أنه من أدهى العرب وأذكى العرب، فيقول: أخشى من هذا الذي حدث بي بعد الحال الأوسط أن يكون أحاط بعملي.
ثم أوصى -رضي الله عنه- أنه إذا مات لا تتبعه نائحة، والنائحة: هي المرأة التي تنوح على الميت، وتبكي عليه بكاء يشبه نوح الحمام، وأمر -رضي الله عنه- إذا دفنوه أن يبقوا عند قبره قدر ما ينحر واحد من الإبل، ويقسم لحمه، حتى يراجع رسل ربه وهم الملائكة الذين يأتون إلى الميت إذا دفن، فإن الميت إذا دفن يأتيه ملكان ويجلسانه في قبره، ويسألانه ثلاثة أسئلة: يقولان من ربك؟ وما دينك؟ ومن نبيك؟.
فأمر عمرو بن العاص -رضي الله عنه- أهله أن يقيموا عليه قدر ما تنحر الجزور ويقسم لحمها؛ ليستأنس بهم، وهذا يدل على أن الميت يحس بأهله، وقد ثبت عن النبي -عليه الصلاة والسلام- أن الميت يسمع قرع نعالهم إذا انصرفوا من دفنه، قرع النعال الخفي يسمعه الميت إذا انصرفوا من دفنه.
وقد ثبت عن النبي -صلى الله عليه وسلم- في حديث حسن أنه كان إذا دفن الميت وقف عليه، وقال: "استغفروا لأخيكم، واسألوا له التثبيت؛ فإنه الآن يسأل"، فيستحب إذا دفن الميت أن يقف الإنسان على قبره ويقول: اللهم ثبته، اللهم ثبته، اللهم ثبته، اللهم اغفر له، اللهم اغفر له، اللهم اغفر له؛ لأن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان إذا سلم سلم ثلاثا، وإذا دعا دعا ثلاثًا.
الحاصل أن ابن عمرو بن العاص قال له: بشرك النبي -صلى الله عليه وسلم- بالجنة، وهذا من باب البشارة بالخير والتهنئة به.
আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস যেটি কল্যাণের প্রতি সু সংবাদ ও মুবারকবাদকে অর্ন্তভুক্ত করে তা একটি ঘটনা। এ মহান ঘটনার সারসংক্ষেপ হলো যথন তিনি মৃতু অভিমুখি তখন তার কতক সাথী তার নিকট উপস্থিত হলো। তিনি খুব কাঁদলেন এবং স্বীয় চেহারাকে দেওয়ালের দিকে ফিরিয়ে নিলেন। অথচ সে অচীরেই দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তখন তার ছেলে তাকে বলল, তুমি কেন কাঁদছো, অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে জান্নাতের সু সংবাদ দিয়েছেন? তখন তিনি বললেন, হে ছেলে আমি তিনটি অবন্থা অতিক্রক করেছি। তারপর তিনি তিনটি অবস্থার বর্ণনা দেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুব দুশমন ভাবতেন। যমীনের বুকে আর কারো সাথে তিনি এতো বেশি দুশমনি রাখতেন না যেমনটি তার সাথে রাখতেন। আর সে পছন্দ করত যে, যদি সে সুযোগ পেত তাহলে সে তাকে হত্যা করত। এটি ছিল সবচেয়ে মারাত্মক কুফর। তারপর আল্লাহ তার অন্তরে ইসলাম ডেলে দিল। তখন সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল তুমি তোমার হাত বিছিয়ে দাও যাতে আমি তোমার হাতে ইসলামের ওপর বাইয়াত গ্রহণ করি। আর রাসূল ছিল চারিত্রিক দিক দিয়ে সবার চেয়ে সুন্দর। তাই তিনি হাত বিছিয়ে দিলেন। কিন্তু আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু হাত ঘুটিয়ে নিলেন। এটি অহংকার করে নয় বরং পরবর্তী কথাকে শক্তিশালী করার জন্য। তখন তিনি তাকে বললেন, তোমার কি হয়েছে? আমি ইসলাম গ্রহণ করার জন্য শর্তারোপ করতে চাই। বললেন, কি শর্ত? অতীতের গুনাহ ও কুফরীর ক্ষমা করা শর্ত। এটি ছিল তার বড় চিন্তা। তাই তিনি শর্তারোপ করলেন যাতে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেয়। তিনি ধারণা করছিলেন যে, আল্লাহ তা�লা হয়তো তার অতীত ক্ষমা করবেন না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, �তুমি কি জানো না যে, ইসলাম পূর্বের সমস্ত পাপকে মিটিয়ে দেয়, হিজরত পূর্বের সমস্ত পাপকে নিশ্চিহ্ন ক�রে ফেলে এবং হজ্জ ক্ষমা ও পূর্বের পাপসমূহ ধ্বংস ক�রে দেয়? তিনটি বস্তু। ইসলাম পূর্বের সমস্ত পাপকে মিটিয়ে দেয় তা আল্লাহর মহান কিতাব দ্বার প্রমাণিত। আল্লাহ তা�আলা বলেন, যারা কুফরী করে তাদের বলে দিন, যদি তারা বিরত থাকে তাদের যা অতীত হয়েছে তা ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর যদি ফিরে আসে পূর্ববতীদের রীতিনীতি অতিবাহিত হয়েছে। [ সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৮] হিজরত: যখন কোন ব্যক্তি তার কুফরের এলাকা যাতে সে বসবাস করে তা ছেড়ে যায় তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর হজ অতীতের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মাবরুর হজের বিনিময় জান্নাত বৈ কি হতে পারে? তিনি বলেন, যদি প্রথম অবস্থায় মারা যেতেন তখন তিনি জাহান্নামী হতেন। আর যদি এ অবস্থায় মারা যেতাম তাহলে আশা করতাম যে, আমি জান্নাতী। দেখ সতর্কতা। তিনি নিশ্চিত যে যদি প্রথম অবস্থায় মারা যেতেন তাহলে তিনি জাহান্নামী হতেন। আর দ্বিতীয় অবস্থা অধিক ভয়ের কারণে তিনি বলেন, যদি এ অবস্থায় মারা যেতাম তাহলে আশা রাখি যে, আমি জান্নাতী হবো। কারণ জান্নাতে যাওয়ার গ্যারান্টি দেওয়া কঠিন কাজ। তারপর আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহ আনহু বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। আমীর ও নেতার দায়িত্ব পালন করেন। মুআ�বিয়্যাহ ও অন্যান্যদের সাথে সংঘটিত যুদ্ধে যা হওয়ার হয়েছে। আমর ইবনুল আস আরবের লোকদের মধ্যে সর্বাধিক মেধাবী ও বুদ্ধিমাণ হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তারপর তিনি বলেন, মাঝের অবস্থার পর যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে আমি ভয় করি যে, তা আমার আমলকে ঘ্রাস করে নিবে। তারপর তিনি উপদেশ দেন যে, তিনি যখন মারা যাবেন তখন যেন কেউ নিয়াহাহ না করে। আর নিয়াহাহ হলো, সেই নারী যে মৃত ব্যক্তির ওপর চিৎকার করে এবং কবুতরের ডাকের মতো খুব জোরে কান্নাকাটি করে। তিনি নির্দেশ দেন যে, যখন তাকে দাফন করা হয় তারা যেন তার কবরের পাশেে এ পরিমান সময় অবস্থান করে, যে পরিমাণ সময়ে একটি উট জবেহ করে তার গোস্ত বন্টন করা যায়। যাতে আাল্লাহর ফিরিশতাগণ যারা মৃতকে দাফন করার পর কবরে আসে তারা ফিরে যায়। কারণ, যখন কোন মানুষকে দাফর করা হয়, তখন দুইজন ফিরিশতা আসে, কবরের মধ্যে তাকে বসিয়ে তিনটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে। তারা দুইজন বলে তোমার রব কে? তোমার দীন কি? আর তোমার নবী কে? আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু তার পরিবারকে উট জবেহ করে তার গোস্ত বন্টন করতে যত সময় লাগে তত সময় পর্যন্ত অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে তাদের দ্বারা তিনি সহচর্যতা লাভ করেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, মৃত ব্যক্তি তার পরিবারকে কবরের মধ্যে অনুভব করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত: যখন তারা দাফন করে বাড়িতে ফিরে তখন সে তাদের খড়মের আওয়াজ শুনতে পায়। জুতার নিম্ন আওয়াজ মৃত ব্যক্তি শুনতে পায়, যখন তারা তাকে দাফন করে ফিরে। একটি হাসান হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত: তিনি যখন মৃতদের দাফন করতেন তার ওপর অবস্থান করতেন। আর তিনি বলেন, তোমরা তোমার ভাইযের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং তার জন্য ইস্তেকামাত চাও। কারণ এখন সে জিজ্ঞাসিত হবে। সুতরাং মুস্তাহাব হলো যখন মুরদা দাফন করা হয়, তখন লোকেরা তার কবরের ওপর দাঁড়াবে এবং বলবে হে আল্লাহ তাকে তুমি অটুট রাখো, হে আল্লাহ তাকে তুমি অটুট রাখো। হে আল্লাহ তুমি তাকে ক্ষমা করো. হে আল্লাহ তুমি তাকে ক্ষমা করো হে আল্লাহ তুমি তাকে ক্ষমা করো। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাম দিতেন তখন তিনি তিনবার সালাম দিতেন। আর যখন দো�আ করতেন তিনবার দো�আ করতেন। মোট কথা, আমর ইবনুল আসের জন্য বলা হলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে জান্নাতের সু সংবাদ দিয়েছেন। এটি কল্যাণের সু সংবাদ এবং তার প্রতি মুবারকবাদ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3446

 
Hadith   323;mso-yfti-lastrow:yes   الحديث
الأهمية: وجوب الثقة بالله تعالى وبيان عناية الله بأنبيائه وأوليائه
থিম: হে আবূ বকর! সে দু�জন সম্পর্কে তোমার কী ধারণা, যাদের তৃতীয়জন আল্লাহ।

عن أبي بكر الصديق رضي الله عنه قال: نَظَرت إِلى أقدام المشركين ونحن في الغار وهم على رؤُوسِنا، فقلت: يا رسول الله، لَو أنَّ أحَدَهم نظر تحت قدَمَيه لأَبصَرَنا، فقال: �مَا ظَنُّكَ يَا أَبَا بَكرٍ بِاثنَينِ الله ثَالِثُهُمَا�.

আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মুশরিকদের পায়ের দিকে তাকালাম যখন আমরা (সওর) গুহায় (লুকিয়ে) ছিলাম এবং তারা আমাদের মাথার উপরে ছিল। অতঃপর আমি বললাম, �হে আল্লাহর রাসূল! যদি তাদের মধ্যে কেউ তার পায়ের নীচে তাকায়, তবে সে আমাদেরকে দেখে ফেলবে।� নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, �হে আবূ বকর! সে দু�জন সম্পর্কে তোমার কী ধারণা, যাদের তৃতীয়জন আল্লাহ।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذه القصة كانت حينما هاجر النبي -صلى الله عليه وسلم- من مكة إلى المدينة، وذلك أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لما جهر بالدعوة، ودعا الناس، وتبعوه، وخافه المشركون، وقاموا ضد دعوته، وضايقوه، وآذوه بالقول وبالفعل، فأذن الله له بالهجرة من مكة إلى المدينة ولم يصحبه إلا أبو بكر -رضي الله عنه-، والدليل الرجل الذي يدلهم على الطريق، والخادم، فهاجر بأمر الله، وصحبه أبو بكر -رضي الله عنه-، ولما سمع المشركون بخروجه من مكة، جعلوا لمن جاء به مائتي بعير، ولمن جاء بأبي بكر مائة بعير، وصار الناس يطلبون الرجلين في الجبال، وفي الأودية وفي المغارات، وفي كل مكان، حتى وقفوا على الغار الذي فيه النبي -صلى الله عليه وسلم- وأبو بكر، وهو غار ثور الذي اختفيا فيه ثلاث ليال، حتى يخفَّ عنهما الطلب، فقال أبو بكر -رضي الله عنه-: يا رسول الله لو نظر أحدهم إلى قدميه لأبصرنا؛ لأننا في الغار تحته، فقال: "ما ظنك باثنين الله ثالثهما"، وفي كتاب الله أنه قال: (لا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا)، فيكون قال الأمرين كليهما، أي: قال: "ما ظنك باثنين الله ثالثهما"، وقال "لا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا" .
فقوله: "ما ظنك باثنين الله ثالثهما" يعني: هل أحد يقدر عليهما بأذية أو غير ذلك؟ والجواب: لا أحد يقدر؛ لأنه لا مانع لما أعطى الله ولا معطي لما مَنَع، ولا مُذِّل لمن أعز ولا معز لمن أذل، (قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ).

থিম: এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মক্কা থেকে মদীনায় যখন হিজরত করেন তখনকার ঘটনা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন প্রকাশ্যে দাওয়াত দেওয়া আরম্ভ করেন এবং লোকেরা তার দাওয়াতে সাড়া দিয়ে তার অনুসরণ করতে শুরু করে তখন মুশরিকরা তাকে ভয় করতে লাগলো এবং তার দাওয়াতের বিপক্ষে অবস্থান নিল, তাকে বয়কট করল, কথা ও কর্মের মাধ্যমে তাকে কষ্ট দিতে লাগল। তখন আল্লাহ তাকে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করার অনুমতি দিলেন। আর তিনি আবূ বকর এবং তাদের পথ দেখানো রাহবার ও খাদেম ছাড়াই কাউকে সাথে নেন নি। আল্লাহর আদেশে তিনি হিজরত করেন এবং আবূ বকর তার সাথী হন। আর মুশরিকরা যখন মক্কা থেকে তার বের হওয়ার কথা শোনেন তখন তারা যে তাকে নিয়ে আসবে তাকে দুইশ উট এবং যে আবূ বকরকে নিয়ে আসবে তাকে একশ উট পুরষ্কার হিসেবে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তারপর মানুষ এ দুই লোককে পাহাড়ে, জঙ্গলে মরুভুমিসহ প্রত্যেক যায়গায় তালাশ করতে থাকে। তালাশ করতে করতে তারা সে গর্ত পর্যন্ত পৌঁছে গেল যে গর্তে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন। এ গর্তের নাম সাওর গুহা যাতে তারা তিন রাত আত্মগোপন করেন, যেন তাদের তালাশের প্রবণতা শিথিল হয়। তখন আবূ বকর রাদিয়াল্লাহ আনহু বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, তারা যদি তাদের দুই পায়ের দিকে তাকায় তাহলে অবশ্যই আমাদের দেখে ফেলবে, কারণ আমরা তাদের দৃষ্টির নীচে গর্তে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: �দুইজন সম্পর্কে তোমার কি ধারণা যাদের তৃতীয়জন হলো আল্লাহ�। কুরআনে আল্লাহ বলেন, �তুমি চিন্তা করো না আল্লাহ আমাদের সাথে রয়েছে�। (আত-তাওবাহ : ৪০) অতএব উভয় কথাই তিনি বলেছেন: অর্থাৎ তিনি বলেছেন, �দুইজন সম্পর্কে তোমার কি ধারণা যাদের তৃতীয়জন হলো আল্লাহ� এবং তিনি আরো বলেছেন, �তুমি চিন্তা করো না আল্লাহ আমাদের সাথে রয়েছে�।
সুতরাং তার বাণী: �দুইজন সম্পর্কে তোমার কি ধারণা যাদের তৃতীয়জন হলো আল্লাহ�।   অর্থাৎ, তাদের দু�জনকে কষ্ট বা অন্য কিছু দিতে কেউ কি সক্ষম ? উত্তর হলো কেউ সক্ষম নয়। কারণ, যা আল্লাহ দান করেন তা বাধাগ্রস্ত করার কেউ নেই। আর যা তিনি বারণ করেন তাকে দান করার কেউ নেই। যাকে সম্মান দেন তাকে বে-ইজ্জত করার কেউ নেই। আর যাকে অসম্মান করেন তাকে উজ্জত দেওয়ার কেউ নেই। (আল্লাহর বাণীর অর্থ) �তুমি বল, হে আল্লাহ তুমি মুলুকের রাজা, তুমি যাকে চাও রাজত্ব দান কর এবং যার থেকে চাও রাজত্ব কেড়ে নাও। যাকে চাও ইজ্জত দান কর এবং যাকে চাও বে ইজ্জত কর। যাবতীয় কল্যাণ তোমার হাতেই। নিশ্চয় তুমি প্রতিটি বস্তুর ওপর ক্ষমতাবান�। (আলে ইমরান: ২৬)
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3447

 
Hadith   4   الحديث
الأهمية: فَلَم أَكُن لِأُفْشِي سِرَّ رسُولَ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- وَلَو تَرَكَهَا النبيُّ -صلَّى الله عليه وسلم- لَقَبِلتُهَا
থিম: যখন উমার রাদিয়াল্লাহু <'আনহু-এর কন্যা হাফসা বিধবা হলেন, তখন তিনি বললেন যে, আমি উসমান ইবনে আফ্ফান-রাদিয়াল্লাহু আনু-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং হাফসাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দিয়ে তাঁকে বললাম, 'আপনি ইচ্ছা করলে আপনার বিবাহ আমি উমারের কন্যা হাফসার সাথে দিয়ে দিচ্ছি?' তিনি বললেন, 'আমি আমার (এ) ব্যাপারে বিবেচনা করব।'

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- أَنَّ عمرَ -رضي الله عنه- حِينَ تَأَيَّمَت بِنتُهُ حَفصَة، قَالَ: لَقِيتُ عثمانَ بن عفان -رضي الله عنه- فَعَرَضتُ عَلَيه حَفصَة، فَقُلتُ: إِنْ شِئْتَ أَنكَحْتُكَ حَفصَةَ بِنتَ عُمَر؟ قَال: سَأَنظُر فِي أَمْرِي، فَلَبِثتُ لَيَالِيَ ثُمَّ لَقِيَنِي، فَقَال: قَدْ بَدَا لِي أَنْ لاَ أَتَزَوَّجَ يَومِي هَذَا، فَلَقِيتُ أَبَا بَكر -رضي الله عنه- فقُلتُ: إِنْ شِئْتَ أَنْكَحْتُكَ حَفصَةَ بِنتَ عُمَرَ، فَصَمَتَ أَبُو بَكر -رضي الله عنه- فَلَم يَرجِعْ إِلَيَّ شَيئًا! فَكُنْتُ عَلَيهِ أَوْجَدَ مِنِّي عَلَى عُثمَانَ، فَلَبِثَ لَيَالِيَ ثُمَّ خَطَبَهَا النَّبِي -صلَّى الله عليه وسلَّم- فَأَنْكَحْتُهَا إِيَّاهُ، فَلَقِيَنِي أَبُو بَكر، فقَال: لَعَلَّكَ وَجَدتَ عَلَيَّ حِينَ عَرَضْتَ عَلَيَّ حَفصَةَ فَلَمْ أرْجِع إِلَيكَ شَيئًا؟ فَقُلتُ: نَعَم، قَالَ: فَإِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أرْجِع إِلَيكَ فِيمَا عَرَضتَ عَلَيَّ إِلاَّ أَنِّي كُنتُ عَلِمْتُ أَنَّ النبِيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- ذَكَرَهَا، فَلَم أَكُن لِأُفْشِي سِرَّ رسُولَ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- وَلَو تَرَكَهَا النبيُّ -صلَّى الله عليه وسلم- لَقَبِلتُهَا.

 
Hadith   5   الحديث
الأهمية: ما بال الحائض تقضي الصوم، ولا تقضي الصلاة؟ فقالت: أحرورية أنت؟ فقلت: لست بحرورية، ولكني أسأل، فقالت: كان يصيبنا ذلك، فنؤمر بقضاء الصوم، ولا نؤمر بقضاء الصلاة
থিম: হায়েযা (ঋতুবতী) নারী সাওম কাযা করে কিন্তু সালাত কাযা করে না কেন? তিনি বললেন, তুমি কি হারূরিয়্যাহ (খারিজি)? আমি বললাম আমি হারূরিয়্যাহ নয়। তবে জিজ্ঞাসা করছি। তিনি বললেন, আমাদের (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে) ঋতু হত, তখন আমাদের সাওম কাযা করার নির্দেশ দেওয়া হত, কিন্তু সালাত কাযার নির্দেশ দেওয়া হত না।

عن مُعاذة قالتْ: سألتُ عائشةَ -رضي الله عنها- فقلتُ:   مَا بَال الحَائِضِ تَقضِي الصَّوم، ولا تَقضِي الصَّلاة؟ فقالت: أَحَرُورِيةٌ أنت؟، فقلت: لَستُ بِحَرُورِيَّةٍ، ولَكنِّي أسأل، فقالت: كان يُصِيبُنَا ذلك، فَنُؤمَر بِقَضَاء الصَّوم، ولا نُؤْمَر بِقَضَاء الصَّلاَة>.

 
Hadith   6   الحديث
الأهمية: يا رسول الله، ما كدت أصلي العصر حتى كادت الشمس تغرب، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: والله ما صليتها، قال: فقمنا إلى بطحان، فتوضأ للصلاة، وتوضأنا لها، فصلى العصر بعد ما غربت الشمس، ثم صلى بعدها المغرب
থিম: হে আল্লাহর রাসূল! আমি এখনও 'আসরের সালাত আদায় করতে পারিনি, এমন কি সূর্য অস্ত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন আল্লাহর শপথ! আমিও তা আদায় করিনি। অতঃপর আমরা উঠে বুতহানের দিকে গেলাম। সেখানে তিনি সালাতের জন্য উযূ করলেন এবং আমরাও উযূ করলাম; অতঃপর সূর্য ডুবে গেলে 'আসরের সালাত আদায় করেন, তারপর মাগরিবের সালাত আদায় করেন।

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما- <أنَّ عمر بن الخَطَاب -رضي الله عنه- جاء يَومَ الخَندَقِ بَعدَ مَا غَرَبَت الشَّمسُ فَجَعَل يَسُبُّ كُفَّار قُرَيشٍ، وقال: يا رسول الله، مَا كِدتُّ أُصَلِّي العَصرَ حَتَّى كَادَت الشَّمسُ تَغرُبُ، فَقَال النَبِيُّ -صلى الله عليه وسلم-: والله مَا صَلَّيتُهَا، قال: فَقُمنَا إلَى بُطحَان، فَتَوَضَّأ للصَّلاَة، وتَوَضَأنَا لَهَا، فَصَلَّى العَصر بعد مَا غَرَبَت الشَّمسُ، ثُمَّ صَلَّى بعدَها المَغرِب>.

 
Hadith   7   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يفرغ الماء على رأسه ثلاثًا
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাথায় তিনবার পানি ঢালতেন।

عن أبي جعفر محمد بن علي بن الحسين بن علي بن أبي طالب أَنَّه كان هو وأبوه عند جابر بن عبد الله، وعنده قوم، فسألوه عن الغسل؟ فقال: صَاعٌ يَكْفِيكَ، فقال رجل: ما يَكْفِينِي، فقال جابر: كان يَكْفِي من هو أَوفَى مِنْكَ شَعْرًا، وخَيرًا مِنكَ -يريد رسول الله- -صلى الله عليه وسلم- ثُمَّ أَمَّنَا في ثَوبٍ.
   وفي لفظ: ((كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يُفْرِغُ المَاءَ على رَأسِهِ ثَلاَثًا)).

 
Hadith   8   الحديث
الأهمية: أتيت النبي -صلى الله عليه وسلم- وهو يستاك بسواك رطب، قال: وطرف السواك على لسانه، وهو يقول: أع، أع، والسواك في فيه، كأنه يتهوع
থিম: একবার আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এলাম। তখন তাঁকে দেখলাম তিনি তাজা মিসওয়াক দ্বারা মিসওয়াক করছেন। তিনি বলেন: মিসওয়াকের কিনারা তার মুখে রেখে তিনি উ' উ' শব্দ করছেন। মিসওয়াকটি তার মুখে রেখে যেন তিনি বমি করছেন।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- قال: ((أتَيتُ النبي -صلى الله عليه وسلم- وهو يَسْتَاكُ بِسِوَاك رَطْب، قال: وطَرَفُ السِّوَاك على لسانه، وهو يقول: أُعْ، أُعْ، والسِّوَاك في فِيه، كأنَّه يَتَهَوَّع)).

 
Hadith   9   الحديث
الأهمية: إنما يكفيك أن تقول بيديك هكذا: ثم ضرب بيديه الأرض ضربة واحدة، ثم مسح الشمال على اليمين، وظاهر كفيه ووجهه
থিম: তোমার জন্য তো এটুকুই যথেষ্ট ছিল যে, তুমি তোমার হাত দ্বারা এরূপ করবে: তারপর তিনি দু' হাত মাটিতে মারলেন এবং তিনি বাম হাতকে ডান হাতের উপর মাসেহ করলেন। আর দুই হাতের কব্জির সম্মুখভাগ ও চেহারাকে মাসেহ করলেন।

عن عمار بن ياسر -رضي الله عنهما- قال:   بَعَثَنِي النبي -صلى الله عليه وسلم- في حَاجَة، فَأَجْنَبْتُ، فَلَم أَجِد المَاءِ، فَتَمَرَّغْتُ فِي الصَّعِيدِ، كَمَا تَمَرَّغ الدَّابَّةُ، ثم أَتَيتُ النبي -صلى الله عليه وسلم- فَذَكَرتُ ذلك له، فقال: إِنَّمَا يَكْفِيك أن تَقُولَ بِيَدَيكَ هَكَذَا: ثُمَّ ضَرَب بِيَدَيهِ الأَرْضَ ضَرْبَةً وَاحِدَةً، ثُمَّ مَسَحَ الشِّمَالَ عَلَى اليَمِينِ، وظَاهِرَ كَفَّيهِ وَوَجهَهُ>.

 
Hadith   10   الحديث
الأهمية: لما حضرت أحدًا دعاني أبي من الليل فقال: ما أراني إلا مقتولا في أول من يقتل من أصحاب النبي -صلى الله عليه وسلم-
থিম: উহুদের যুদ্ধ যখন সংঘটিত হয়। রাতে আমাকে আমার পিতা ডেকে বললেন, 'আমার মনে হয় যে, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহচরবৃন্দের মধ্যে যাঁরা সর্বপ্রথম শহীদ হবেন, আমিও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর, তোমাকে ছাড়া ধরাপৃষ্ঠে প্রিয়তম আর কাউকে ছেড়ে যাচ্ছি না। আমার উপর ঋণ আছে, তা পরিশোধ ক'রে দেবে। তোমার বোনদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে।'

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما-، قال: لما حضرتْ أُحُدٌ دعاني أبي من الليل، فقال: ما أراني إلا مقتولا في أول من يُقتل من أصحاب النبي -صلى الله عليه وسلم-، وإني لا أترك بعدي أعزَّ عليَّ منك غيرَ نَفْسِ رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، وإن عليَّ دَيْنًا فاقْضِ، واسْتَوْصِ بأَخَوَاتِكَ خيرًا، فأصبحنا، فكان أولَ قَتيل، ودَفَنْتُ معه آخرَ في قبره، ثم لم تَطِبْ نفسي أن أتركه مع آخر؛ فاستخرجتُه بعد ستة أشهر، فإذا هو كيوم وضعتُه غيرَ أُذنِهِ، فجعلته في قبر على حِدَةٍ.

 
Hadith   11   الحديث
الأهمية: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان إذا تكلم بكلمة أعادها ثلاثًا حتى تفهم عنه، وإذا أتى على قوم فسلم عليهم سلم عليهم ثلاثًا
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন কথা বলতেন তখন তা বুঝে নেয়ার জন্য তিনবার বলতেন। আর যখন তিনি কোন গোত্রের নিকট এসে সালাম দিতেন, তাদের প্রতি তিনবার সালাম দিতেন।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- أَنَّ النَبيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- كَان إِذَا تَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ أَعَادَهَا ثَلاَثًا حَتَّى تُفْهَمَ عَنْهُ، وَإِذَا أَتَى عَلَى قَوْمٍ فَسَلَّمَ عَلَيهِم سَلَّمَ عَلَيهِم ثَلاَثًا.

 
Hadith   12   الحديث
الأهمية: رأيت ابن عمر أتى على رجل قد أناخ بدنته، فنحرها، فقال ابعثها قياما مقيدة سنة محمد -صلى الله عليه وسلم-
থিম: আমি ইব্নু 'উমার রাদিয়াল্লাহু <'আনহু-কে দেখেছি যে, তিনি আসলেন এমন এক ব্যক্তির নিকট, যে তার উটকে নহর করার জন্য বসিয়ে রেখেছিল। ইব্নু 'উমার রাদিয়াল্লাহু <'আনহু বললেন, মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের ন্যায় সেটি উঠিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় বেঁধে নাও।

عن زياد بن جبير قال: رَأَيتُ ابنَ عُمَرَ أَتَى عَلَى رجل قد أَنَاخَ بَدَنَتَهُ، فَنَحَرَهَا، فَقَالَ: ابْعَثْهَا قِيَاماً مُقَيَّدَةً، سُنَّةَ مُحَمَّدٍ -صلَّى الله عليه وسلَّم-.

 
Hadith   13   الحديث
الأهمية: أن رجلين من أصحاب النبي -صلى الله عليه وسلم- خرجا من عند النبي -صلى الله عليه وسلم- في ليلة مظلمة ومعهما مثل المصباحين بين أيديهما
থিম: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের দু'জন সাহাবী অন্ধকার রাতে তাঁর নিকট থেকে বাইরে গমন করেন। আর তাদের সম্মুখভাগে দু'টো প্রদীপের ন্যায় আলো বিদ্যমান ছিল।

عن أنس -رضي الله عنه-: أن رجلين من أصحاب النبي -صلى الله عليه وسلم- خرجا من عند النبي -صلى الله عليه وسلم- في ليلة مظلمة ومعهما مثلُ المصباحين بين أيديهما، فلما افترقا، صار مع كل واحد منهما واحد حتى أتى أهله.

 
Hadith   14   الحديث
الأهمية: يا أبا ذر، إنك ضعيف، وإنها أمانة، وإنها يوم القيامة خزي وندامة، إلا من أخذها بحقها، وأدى الذي عليه فيها
থিম: হে আবূ যার! তুমি দুর্বল। আর এটা হচ্ছে একটা আমানত, কিয়ামতের দিন এটা (পদাধিকারীর জন্য) অপমান ও অনুতাপ; কিন্তু যে ব্যক্তি এই পদের হক যথাযথভাবে আদায় করবে এবং দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করবে তার কথা স্বতন্ত্র।

عن أبي    ذر -رضي الله عنه- قال: قُلتُ: يَا رسُولَ الله، أَلاَ تَسْتَعْمِلُنِي؟ فَضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى مَنْكِبِي، ثُمَّ قَالَ:   يَا أَبَا ذَرٍّ، إِنَّكَ ضَعِيفٌ، وَإِنَّهَا أَمَانَةٌ، وَإِنَّهَا يَوْمَ القِيَامَةِ خِزيٌ وَنَدَامَةٌ، إِلاَّ مَنْ أَخَذَهَا بِحَقِّهَا، وَأَدَّى الَّذِي عَلَيهِ فِيهَا>.

 
Hadith   15   الحديث
الأهمية: اللهم إني أحرج حق الضعيفين: اليتيم والمرأة
থিম: হে আল্লাহ! আমি দু'দুর্বলের অর্থাৎ ইয়াতীম ও নারীর অধিকার (নষ্ট করা) নিষিদ্ধ করছি ।

عن أبي شريح خويلد بن عمرو الخزاعي و أبي هريرة -رضي الله عنهما- عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   اللَّهُمَّ إِنِّي أُحَرِّجُ حَقَّ الضَعِيفَين: اليَتِيم والمَرْأَة>.

 
Hadith   16   الحديث
الأهمية: قاربوا وسددوا، واعلموا أنه لن ينجو أحد منكم بعمله، قالوا: ولا أنت يا رسول الله؟ قال: ولا أنا إلا أن يتغمدني الله برحمة منه وفضل
থিম: তোমরা সব ব্যাপারে নিকটবর্তী ও মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো। জেনে রাখো, তোমাদের কেউ আমলের দ্বারা নাজাত লাভ করতে পারবে না। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনিও না? তিনি বলেন, আমিও না, তবে আল্লাহ যদি স্বীয় রহমত ও অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে আবৃত করে নিয়েছেন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <قَارِبُوا وسَدِّدُوا، واعلَمُوا أَنَّه لَن يَنجُو أَحَد مِنكُم بِعَمَلِهِ   قالوا: ولا أنت يا رسول الله؟ قال:   ولاَ أَنَا إِلاَّ أَن يَتَغَمَدَنِي الله بِرَحمَة مِنْه وَفَضل>.

 
Hadith   17   الحديث
الأهمية: إن الناس إذا رأوا الظالم فلم يأخذوا على يديه أوشك أن يعمهم الله بعقاب منه
থিম: যখন লোকেরা অত্যাচারীকে (অত্যাচার করতে) দেখবে এবং তার হাত না ধরবে, তখন আল্লাহ তা'আলা তাদের সকলকে ব্যাপকভাবে তার শাস্তির কবলে নিয়ে নেবেন।

عن أبي بكر الصديق -رضي الله عنه- قال: يا أيُّها النَّاس، إِنَّكُم لَتَقرَؤُون هذه الآية: (يَا أَيُّها الَّذِين آمَنُوا عَلَيكُم أَنفسَكُم لاَ يَضُرُّكُم مَنْ ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيتُم) [المائدة: 105]، وَإِنِّي سمِعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   إِنَّ النَّاس إِذا رَأَوُا الظَّالِمَ فَلَم يَأْخُذُوا عَلَى يَدَيه أَوشَكَ أَنْ يَعُمَّهُمُ اللهُ بِعِقَابٍ مِنْهُ>.

 
Hadith   18   الحديث
الأهمية: ما سمعت عمر -رضي الله عنه- يقول لشيء قط: إني لأظنه كذا، إلا كان كما يظن
থিম: যখনই কোনো বিষয়ে আমি উমার রাদিয়াল্লাহু <'আনহুকে বলতে শুনতাম, 'আমার মনে হয়, এটা এই হবে' তখনই (দেখতাম) বাস্তবে তাই হত; যা তিনি ধারণা করতেন।

عن ابن عمر -رضي الله عنهما- قال: ما سمعت عمر -رضي الله عنه- يقول لشيء قَطُّ: إني لأظنه كذا، إلا كان كما يظن.

 
Hadith   19   الحديث
الأهمية: لا تصاحب إلا مؤمنًا، ولا يأكل طعامك إلا تقيٌّ
থিম: মু'মিন ব্যক্তি ছাড়া আর কারো সাথী হবে না । আর মুত্তাকী ব্যতীত অন্য কেউ যেন তোমার খাবার না খায়।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   لاَ تُصَاحِب إِلاَّ مُؤْمِنًا، وَلاَ يَأْكُل طَعَامَكَ إِلاَّ تَقِي>.

 
Hadith   20   الحديث
الأهمية: من يضمن لي ما بين لحييه وما بين رجليه أضمن له الجنة
থিম: যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (অঙ্গ জিভ) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী (অঙ্গ গুপ্তাঙ্গ) সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দিবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দিব।

عن سهل بن سعد -رضي الله عنهما- مرفوعاً:   من يضمن لي ما بين لَحْيَيْهِ وما بين رجليه أضمن له الجنة>.

 
Hadith   21   الحديث
الأهمية: من وقاه الله شر ما بين لحييه، وشر ما بين رجليه دخل الجنة
থিম: "আল্লাহ তা'আলা যে ব্যক্তিকে তার দুই চোয়ালের মধ্যস্থিত অঙ্গ (জিহ্বা) ও দু'পায়ের মাঝখানের অঙ্গ (লজ্জাস্থান) এর ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখবেন, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <من وقاه الله شر ما بين لَحْيَيْهِ، وشر ما بين رجليه دخل الجنة>.

 
Hadith   22   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يتكئ في حجري، فيقرأ القرآن وأنا حائض
থিম: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন পড়তেন অথচ আমি ঋতুবতী।

عن عَائِشَة -رضي الله عنها- قالت:   كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يَتَكِّئُ فِي حِجرِي، فَيَقرَأُ القرآن وأنا حَائِض>.

 
Hadith   23   الحديث
الأهمية: إن العبد ليتكلم بالكلمة ما يتبين فيها يزل بها إلى النار أبعد مما بين المشرق والمغرب
থিম: মানুষ বাচ-বিচার না করে এমন কথাবার্তা বলে ফেলে, যার ফলে সে জাহান্নামের ভেতর পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যবর্তী দূরত্ব থেকেও বেশি দূরত্বে গিয়ে পতিত হয়।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أَنَّهُ سَمِعَ النَّبيَّ -صلّى اللهُ عليه وسَلَّم يقول-: <إن العبد ليتكلم بالكلمة ما يتبين فيها يزلُّ بها إلى النار أبعدَ مما بين المشرق والمغرب>.

 
Hadith   24   الحديث
الأهمية: ما من نبي بعثه الله في أمة قبلي إلا كان له من أمته حواريون وأصحاب يأخذون بسنته ويقتدون بأمره، ثم إنها تخلف من بعدهم خلوف يقولون ما لا يفعلون، ويفعلون ما لا يؤمرون
থিম: আমার পূর্বে আল্লাহ যে কোন নবীকে যে কোন উম্মতের মাঝে পাঠিয়েছেন তাদের মধ্যে তাঁর (কিছু) সহযোগী ও সঙ্গী হত। তারা তাঁর সুন্নতের উপর আমল করত এবং তাঁর আদেশের অনুসরণ করত। অতঃপর তাদের পরে এমন অপদার্থ লোক সৃষ্টি হল যে, তারা যা বলত, তা করত না এবং তারা তা করত, যার আদেশ তাদেরকে দেওয়া হত না। সুতরাং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ হাত দ্বারা জিহাদ করবে সে মু'মিন, যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ অন্তর দ্বারা জিহাদ করবে সে মু'মিন এবং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ জিভ দ্বারা জিহাদ করবে সে মু'মিন। আর এর বাইরে সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান নেই।

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   ما من نبي بعثه الله في أُمَّةٍ قبلي إلا كان له من أُمَّتِهِ حَوَارِيُّونَ وأَصْحَابٌ يأخذون بسُنته ويَقْتَدُونَ بأَمره، ثم إنها تَخْلُفُ من بعدهم خُلُوفٌ يقولون ما لا يفعلون، ويفعلون ما لا يُؤْمَرُونَ، فمن جَاهَدَهُمْ بيده فهو مؤمن، ومن جَاهَدَهُمْ بقلبه فهو مؤمن، ومن جَاهَدَهُمْ بلسانه فهو مؤمن، وليس وَرَاءَ ذلك من الإيمان حَبّةُ خَرْدَلٍ>.

 
Hadith   25   الحديث
الأهمية: إنه يستعمل عليكم أمراء فتعرفون وتنكرون، فمن كره فقد برئ، ومن أنكر فقد سلم، ولكن من رضي وتابع، قالوا: يا رسول الله، ألا نقاتلهم؟ قال: لا، ما أقاموا فيكم الصلاة
থিম: অদূর ভবিষ্যতে তোমাদের উপর এমন শাসকবৃন্দ নিযুক্ত করা হবে, যাদের (কিছু কাজ) তোমরা ভালো দেখবে এবং (কিছু কাজ) গর্হিত দেখবে। সুতরাং যে ব্যক্তি (তাদের গর্হিত কাজকে) ঘৃণা করবে, সে দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে এবং যে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানাবে, সেও পরিত্রাণ পেয়ে যাবে। কিন্তু যে ব্যক্তি (তাতে) সম্মত হবে এবং তাদের অনুসরণ করবে (সে ধ্বংস হয়ে যাবে)।" সাহাবীগণ বললেন, 'হে আল্লাহর রসূল! আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না?' তিনি বললেন, "না; যে পর্যন্ত তারা তোমাদের মধ্যে সালাত কায়েম করবে।"

عن أم سلمة    هند بنت أبي أمية حذيفة -رضي الله عنها- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- أنه قال:   إِنَّه يُسْتَعمل عَلَيكُم أُمَرَاء فَتَعْرِفُون وَتُنكِرُون، فَمَن كَرِه فَقَد بَرِئ، ومَن أَنْكَرَ فَقَد سَلِمَ، ولَكِن مَنْ رَضِيَ وَتَابَعَ   قالوا: يا رسول الله، أَلاَ نُقَاتِلُهُم؟ قال:   لا، ما أَقَامُوا فِيكُم الصَّلاَة>.

 
Hadith   26   الحديث
الأهمية: ذكرتُ شيئًا من تبر عندنا فكرهت أن يحبسني، فأمرت بقسمته
থিম: আমার মনে পড়ল যে, কিছু (সোনা বা চাঁদি) আমাদের নিকট রয়ে গেছে। তাই আমাকে আল্লাহর স্বরণে সেগুলোর বাঁধা দেওয়াকে পছন্দ করলাম না, ফলে তা (দ্রুত) বন্টন করার আদেশ দিলাম।

عن عقبة بن الحارث -رضي الله عنه- قال: صليت وراء النبي -صلى الله عليه وسلم- بالمدينة العصر، فسَلَّمَ ثم قام مُسرعًا، فتَخَطَّى رِقَابَ الناس إلى بعض حُجَرِ نِسائه، فَفَزِعَ الناسُ من سُرْعَتِهِ، فخرج عليهم، فرأى أنهم قد عجبوا من سُرْعَتِهِ، قال:   ذكرت شيئاً من تِبْرٍ عندنا فكرهت أن يَحْبِسَنِي، فأمرتُ بِقِسْمَتِهِ>.
وفي رواية:   كنت خَلَّفْتُ في البيت تِبْرًا من الصدقة، فكرهت أن أُبَيِّتَهُ>.

 
Hadith   27   الحديث
الأهمية: دخل عبد الرحمن بن أبي بكر الصديق -رضي الله عنهما- على النبي -صلى الله عليه وسلم- وأنا مسندته إلى صدري، ومع عبد الرحمن -رضي الله عنهما- سواك رطب يستن به فأبده رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بصره
থিম: আব্দুর রহমান ইবন আবূ বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহুমা রাসূলুল্লাহর নিকট প্রবেশ করলেন আর তিনি আমার সীনায় হেলান দেওয়া অবস্থায় ছিলেন। আর তখন আব্দুর রহমানের সাথে তাজা একটি মিসওয়াক ছিল যা দ্বারা সে দাঁতন করতেছিল। রাসূলুল্লাহ তার দিকে তাকালো।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: ((دخل عبد الرحمن بن أبي بكر الصديق -رضي الله عنهما- على النبي -صلى الله عليه وسلم- وأنا مُسْنِدَتُه إلى صدري، ومع عبد الرحمن سِواك رَطْب يَسْتَنُّ به، فأَبَدَّه رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بَصَره، فَأَخَذْتُ السِّوَاك فَقَضَمتُه، فَطَيَّبتُه، ثُمَّ دَفَعتُهُ إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- فَاسْتَنَّ به فما رأيتُ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- استَنَّ اسْتِنَانًا أَحسَنَ منه، فَما عَدَا أن فَرَغَ رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: رَفَع يَدَه -أو إصبعه-، ثم قال: في الرفيق الأعلى -ثلاثا- ثمَّ قَضَى، وكَانت تقول: مَاتَ بَينَ حَاقِنَتِي وَذَاقِنَتِي)).

 
Hadith   28   الحديث
الأهمية: أن رجلا سأل النبي -صلى الله عليه وسلم- وقد وضع رجله في الغرز: أي الجهاد أفضل؟ قال: كلمة حق عند سلطان جائر
থিম: এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করল এমতাবস্থায় যে, তিনি (সওয়ারীর উপর আরোহণ করার জন্য) পাদানে পা রেখে দিয়েছিলেন, 'কোন্ জিহাদ সর্বশ্রেষ্ঠ?' তিনি বললেন, "অত্যাচারী বাদশাহর সামনে হক কথা বলা।"

عن طارق بن شهاب البجلي الأحمسي -رضي الله عنه- أنّ رجُلًا سأل النبي -صلى الله عليه وسلم- وقد وضَع رِجله في الغَرْزِ: أَيُّ الجهاد أفضل؟ قال:   كَلِمَةُ حَقًّ عِند سُلطَان جَائِرٍ>.

 
Hadith   29   الحديث
الأهمية: جاء رجل إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: يا رسول الله، إني أريد سفرًا، فزودني، فقال: زودك الله التقوى
থিম: একটি লোক নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে নিবেদন করল, 'হে আল্লাহর রাসূল! আমি সফরে যাব, সুতরাং আমাকে পাথেয় দিন।' তিনি উত্তরে এই দু'আ দিলেন, আল্লাহ তোমাকে তাকওয়া অবলম্বনের পাথেয় দান করুন।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: جاء رجل إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: يا رسول الله، إني أريد سَفَرًا، فَزَوِّدْنِي، فقال:   زَوَّدَكَ الله التقوى   قال: زِدْنِي قال:   وَغَفَرَ ذَنْبَكَ   قال: زِدْنِي، قال:   ويَسَّرَ لك الخيَر حَيْثُمَا كنتَ>.

 
Hadith   30   الحديث
الأهمية: إنَّ أبر البر صلة الرجل أهل وُدَّ أبيه
থিম: ব্যক্তির পিতার মহব্বতের লোকদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা তার জন্যে সবচেয়ে বড় নেকি।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأعرَاب لَقِيهَ بِطَريق مَكَّة، فَسَلَّم عَلَيه عَبد الله بنُ عمر، وَحمَلهُ على حمار كان يركَبُهُ، وَأعطَاه عِمَامَة كَانت على رأسه، قال ابن دينار: فقُلنا له: أَصْلَحَك الله، إنَّهم الأعراب وهُم يَرْضَون بِاليَسِير، فقال عبدُ الله بنَ عُمر: إِنَّ أَبَا هَذَا كَانَ وُدًّا لِعُمر بنِ الخطَّاب -رضي الله عنه- وإنِّي سَمِعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   إِنَّ أَبَرَّ البِرِّ صِلَةُ الرَّجُل أَهْلَ وُدِّ أَبِيه>.
وفي رواية عن ابن دينار، عن ابن عمر: أنَّه كان إذَا خَرَج إلى مكة كان له حمار يَتَرَوَّحُ عليه إذا ملَّ رُكُوبَ الرَّاحِلة، وَعِمَامة يَشُدُّ بها رأسه، فَبينَا هو يومًا على ذلك الحمار إِذْ مَرَّ بِهِ أَعْرَابِي، فقال: أَلَسْتَ فُلاَن بنَ فُلاَن؟ قال: بَلَى. فَأَعْطَاهُ الحِمَار، فقال: ارْكَب هَذَا، وَأَعْطَاهُ العِمَامَةَ وَقَالَ: اشْدُدْ بِهَا رَأْسَكَ، فَقَالَ لَهُ بَعض أصحَابِه: غفر الله لك أَعْطَيت هذا الأعرابي حمارا كنت تَرَوَّحُ عليه، وعِمَامَة كُنتَ تشدُّ بها رأسَك؟ فقال: إِنِّي سمِعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   إِنَّ مِنْ أَبَرِّ البِّر أَنْ يَصِلَ الرَّجُلُ أَهْلَ وُدَّ أَبِيهِ بَعْدَ أَنْ يُوَلِّيَ   وَإِنَّ أَبَاه كان صَدِيقًا لِعُمَرَ -رضي الله عنه-.

 
Hadith   31   الحديث
الأهمية: يا رسول الله، ما شأن الناس حَلُّوا من العمرة ولم تَحِلَّ أنت من عمرتك؟ فقال: إني لبدت رأسي، وقلدت هديي، فلا أَحِلُّ حتى أنحر
থিম: হে আল্লাহর রাসূল! লোকদের কী হল, তারা 'উমরাহ শেষ করে হালাল হয়ে গেল, অথচ আপনি 'উমরাহ হতে হালাল হচ্ছেন না? তিনি বললেন, আমি মাথায় আঠালো বস্তু লাগিয়েছি এবং কুরবানীর জানোয়ারের গলায় মালা ঝুলিয়েছি। কাজেই কুরবানী করার পূর্বে হালাল হতে পারি না।

عن حَفْصَة زَوْج النَّبِي -رضي الله عنها- قالت:   يَا رَسُولَ اللَّه، مَا شَأن النَّاس حَلُّوا مِنَ العُمرَة، وَلَم تَحِلَّ أنت مِنْ عُمْرَتِكَ؟ فَقَال: إنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي، وَقَلَّدتُ هَدْيِي، فَلا أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ>.

 
Hadith   32   الحديث
الأهمية: قالت أم أنس له: لا تخبرن بسر رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أحدًا، قال أنس: والله لو حدثت به أحدًا لحدثتك به يا ثابت
থিম: তিনি (আমার মা) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <'আলাইহি ওয়াসাল্লামের গোপন তথ্য কখনো কাউকে বলবে না। আনাস রাদিয়াল্লাহু <'আনহু বললেন, আল্লাহর কসম, হে সাবিত! যদি তা কাউকে বলতাম, তাহলে অবশ্যই তোমাকে বলতাম।

عن ثابت عن أنس -رضي الله عنه- قال: أتى عَلَيَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وأنا أَلْعَبُ مع الغِلْمَانِ، فَسَلَّمَ علينا، فبعثني إلى حاجة، فأَبْطَأْتُ على أمي، فلما جِئْتُ، قالت: ما حَبَسَكَ؟ فقلت: بعثني رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لحاجة، قالت: ما حاجتُه؟ قلت: إنها سِرٌّ، قالت: لا تُخْبِرَنَّ بِسِرِّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أحدًا، قال أنس: والله لو حَدَّثْتُ به أحدًا لحَدَّثْتُكَ به يا ثابت.

 
Hadith   33   الحديث
الأهمية: أعطيت خمسًا, لم يعطهن أحد من الأنبياء قبلي: نصرت بالرعب مسيرة شهر, وجعلت لي الأرض مسجدًا وطهورًا
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় দান করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে কাউকে দেওয়া হয়নি। আমাকে এমন প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে যে, একমাস দূরত্বেও তা প্রতিফলিত হয়। আর সমস্ত যমীন আমার জন্য পবিত্র ও সালাত আদায়ের উপযোগী করা হয়েছে।

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما- أنّ النبيَّ -صلى الله عليه وسلم- قال:   أُعْطِيتُ خمسا, لم يُعْطَهُنَّ أحد من الأنبياء قبلي: نُصِرْتُ بالرعب مسيرة شهر, وجُعِلَت لي الأرض مسجدا وطَهُورا, فأَيَّمَا رجل من أمتي أدركته الصلاة فَلْيُصَلِّ, وأُحِلَّت لي المغانم, ولم تحلَّ لأحد قبلي, وأُعْطِيتُ الشفاعة، وكان النبي يُبْعَثُ إلى قومه خاصة, وبُعِثتُ إلى الناس عامَة>.

 
Hadith   34   الحديث
الأهمية: من قال -يعني: إذا خرج من بيته-: بسم الله توكلت على الله، ولا حول ولا قوة إلا بالله، يقال له: هديت وكفيت ووقيت، وتنحى عنه الشيطان
থিম: যে ব্যক্তি বলল -অর্থাৎ ঘর থেকে বের হওয়ার সময়: তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, অলা হাওলা অলা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।' (আমি আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপ থেকে ফিরা ও পুণ্য করা সম্ভব নয়।) তাকে বলা হয়, 'তোমাকে সঠিক পথ দেওয়া হল, তোমাকে যথেষ্টতা দান করা হল এবং তোমাকে বাঁচিয়ে নেওয়া হল।' আর শয়তান তার নিকট থেকে দূরে সরে যায়।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- مرفوعًا:   من قال -يعني: إذا خَرج من بَيتِه-: بِسم الله تَوَكَّلتُ على اللهِ، وَلاَ حول ولا قُوَّة إِلَّا بالله، يُقَال له: هُدِيتَ وَكُفِيتَ وَوُقِيتَ، وَتَنَحَّى عَنه الشَّيطَان>.
زاد أبو داود:   فيقول -يعني: الشيطان- لِشَيطان آخر: كَيف لَك بِرَجلٍ قَد هُدِيَ وكُفِيَ ووُقِيَ؟>.

 
Hadith   35   الحديث
الأهمية: من سن في الإسلام سنة حسنة فله أجرها، وأجر من عمل بها بعده، من غير أن ينقص من أجورهم شيء، ومن سن في الإسلام سنة سيئة كان عليه وزرها، ووزر من عمل بها من بعده، من غير أن ينقص من أوزارهم شيء
থিম: যে ব্যক্তি ইসলামে ভাল রীতি চালু করবে, সে তার নিজের এবং ঐ সমস্ত লোকের সওয়াব পাবে, যারা তার (মৃত্যুর) পর তার উপর আমল করবে। তাদের সওয়াবের কিছু পরিমাণও কম করা হবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ রীতির প্রচলন করবে, তার উপর তার নিজের এবং ঐ লোকদের গোনাহ বর্তাবে, যারা তার (মৃত্যুর) পর তার উপর আমল করবে। তাদের গোনাহর কিছু পরিমাণও কম করা হবে না।

عن جرير بن عبد الله -رضي الله عنه- قال: كُنَّا في صَدرِ النَّهَار عِند رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فَجَاءه قَومٌ عُرَاةٌ مُجْتَابِي النِّمَار أَو العَبَاءِ، مُتَقَلِّدِي السُّيُوف، عَامَّتُهُم مِن مُضَر بَل كُلُّهُم مِن مُضَر، فَتَمَعَّر رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لِمَا رَأَى بِهِم مِنَ الفَاقَة، فدَخَل ثُمَّ خَرج، فأَمَر بِلاَلاً فَأَذَّن وَأَقَام، فَصَلَّى ثُمَّ خَطَب، فقال: <(يا أيها الناس اتقوا ربكم الذي خلقكم من نفس واحدة) إلى آخر (إن الله كان عليكم رقيبًا) ، والآية الأخرى التي في آخر الحشر: (يا أيها الذين آمنوا اتقوا الله ولتنظر نفس ما قدمت لغد) تَصَدَّق رَجُلٌ مِن دِينَارِهِ، مِن دِرهَمِهِ، مِن ثَوبِهِ، مِن صَاعِ بُرِّهِ، مِنْ صَاعِ تَمرِهِ -حتَّى قال- وَلَو بِشِقِّ تَمرَة   فَجَاء رَجُلٌ مِنَ الأَنصَار بِصُرَّةٍ كَادَت كَفُّهُ تَعجَزُ عَنْهَا، بل قَد عَجَزَت، ثُمَّ تَتَابَع النَّاسُ حَتَّى رَأَيتُ كَومَين مِن طَعَامٍ وَثِيَابٍ، حَتَّى رَأَيتُ وَجهَ رَسُول الله -صلى الله عليه وسلم- يَتَهَلَّلُ كَأَنَّه مُذْهَبَة.ٌ فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <مَنْ سَنَّ فِي الإِسلاَم سُنَّةً حَسَنَةً فَلَهُ أَجْرُهَا، وَأَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا بَعْدَهُ، مِنْ غَيرِ أَنْ يَنْقُصَ مِن أُجُورِهِم شَيءٌ، وَمَنْ سَنَّ فِي الإِسلاَم سُنَّةً سَيِّئَةً كَانَ عَلَيه وِزْرُهَا، وَوِزرُ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ بعدِه، من غير أن ينقُص مِن أَوزَارِهَم شيء>.

 
Hadith   36   الحديث
الأهمية: إن الشيطان يستحل الطعام أن لا يذكر اسم الله تعالى عليه، وإنه جاء بهذه الجارية؛ ليستحل بها، فأخذت بيدها، فجاء بهذا الأعرابي؛ ليستحل به، فأخذت بيده، والذي نفسي بيده، إن يده في يدي مع يديهما
থিম: যে খাবারে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়নি, শয়তান সে খাদ্যকে হালাল মনে করে। আর নিশ্চয় শয়তান এ মেয়েটিকে নিয়ে এসেছে, যাতে ওর বদৌলতে নিজের জন্য খাদ্য হালাল করতে পারে। কিন্তু আমি তার হাত ধরে ফেললাম। তারপর সে বেদুঈনকে নিয়ে এল, যাতে ওর দ্বারা খাদ্য হালাল করতে পারে। কিন্তু আমি ওর হাতও ধরে নিলাম। সেই মহান সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ আছে, শয়তানের হাত তাদের দু'জনের হাতের সঙ্গে আমার হাতে আটকা আছে।

عن حذيفة بن اليمان -رضي الله عنهما- قال: كُنَّا إِذَا حَضَرنَا مَعَ رسُولِ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- طَعَامًا، لَم نَضَع أَيدِينَا حَتَّى يَبدَأ رسول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- فَيَضَع يَدَهُ، وَإِنَّا حَضَرنَا مَعَه مَرَّةً طَعَامًا، فَجَاءَت جَارِيَةٌ كَأَنَّها تُدفَعُ، فَذَهَبَت لِتَضَعَ يَدَهَا فِي الطَّعَام، فَأَخَذَ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- بِيَدِهَا، ثُمَّ جاء أعرابي كأَنَّمَا َيُدْفَع، فَأَخَذَ بِيَدِهِ، فقال رسول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم-: <إِنَّ الشَّيطَانَ يَستَحِلُّ الطَّعَامَ أَن لاَ يُذْكَرَ اسمُ الله -تَعَالَى- عَلَيه، وَإِنَّهُ جَاءَ بِهَذِهِ الجَّارِيَة؛ لِيَستَحِلَّ بِهَا، فَأَخَذتُ بِيَدِهَا؛ فَجَاءَ بِهَذَا الأَعرَابِي؛ لِيَسْتَحِلَّ بِهِ، فَأَخَذتُ بِيَدِهِ، والَّذِي نَفسِي بِيَدِهِ، إِنَّ يَدَهُ فِي يَدِي مَعَ يَديهِمَا>، ثُمَّ ذَكَر اسمَ الله -تعَالى- وَأَكَلَ.

 
Hadith   37   الحديث
الأهمية: قال الله -عز وجل-: المتحابون في جلالي، لهم منابر من نور يغبطهم النبيون والشهداء
থিম: "আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিন বলবেন, 'আমার মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরস্পরকে যারা ভালবেসেছিল তারা কোথায়? তাদের জন্য রয়েছে নূরের মিম্বারসমূহ। যার প্রতি নবী ও শহীদগণ আগ্রহ করবে।

عن معاذ بن جبل -رضي الله عنه- عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أنه قال:   قَالَ اللهُ -عَزَّ وجَلَّ-: المُتَحَابُّون فِي جَلاَلِي، لَهُم مَنَابِرُ مِن نُورٍ يَغْبِطُهُم النَبِيُّونَ والشُهَدَاء>.

 
Hadith   38   الحديث
الأهمية: بايعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- على إقام الصلاة، وإيتاء الزكاة، والنصح لكل مسلم
থিম: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে সালাত কায়েম, যাকাত আদায় ও প্রতিটি মুসলমানের মঙ্গল কামনা করার শর্তে আমি বায়আত করেছি।'

عن جرير بن عبد الله -رضي الله عنه- قال: بَايَعْتُ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- على إِقَام الصَّلاَة، وإِيتَاء الزَّكَاة، والنُّصح لِكُلِّ مُسلم.

 
Hadith   39   الحديث
الأهمية: كان -صلى الله عليه وسلم- يصلي الظهر بالهاجرة, والعصر والشمس نقية، والمغرب إذا وجبت
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত প্রচণ্ড গরমের সময় আদায় করতেন। আর 'আসরের সালাত সূর্য উজ্জ্বল থাকতে আদায় করতেন, মাগরিবের সালাত সূর্য অস্ত যেতেই আদায় করতেন।

عن جابر بن عبد الله الأنصاري -رضي الله عنهما- قال:   كَانَ -صلى الله عليه وسلم- يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالهَاجِرَة، والعَصرَ والشَّمسُ نَقِيَّة، والمَغرِب إِذَا وَجَبَت، والعِشَاء أَحيَانًا وأَحيَانًا: إِذَا رَآهُم اجتَمَعُوا عَجَّل، وَإِذَا رَآهُم أَبْطَئُوا أًخَّر، والصُّبحُ كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يُصَلِّيهَا بِغَلَس>.

 
Hadith   40   الحديث
الأهمية: إنا والله لا نولي هذا العمل أحدا سأله، أو أحدا حرص عليه
থিম: "আল্লাহর কসম! আমরা এমন কাউকে এ দায়িত্ব দেই না যে তা (সরকারী পদ) প্রার্থনা করে অথবা তার প্রতি লোভ রাখে।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- قال: دخلتُ عَلى النَبيِّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- أنَا ورجلاَن مِنْ بَنِي عَمِّي، فَقَال أحدهما: يا رسول الله، أمرنا على بعض ما ولاك الله -عز وجل- وقال الآخر مثل ذلك، فقال:   إِنَّا وَالله لاَ نُوَلِّي هَذَا العَمَلَ أَحَدًا سَأَلَهُ، أَو أَحَدًا حَرِصَ عَلَيهِ>.

 
Hadith   41   الحديث
الأهمية: يا معاذ، والله، إني لأحبك، ثم أوصيك يا معاذ، لا تدعن في دبر كل صلاة تقول: اللهم أعني على ذكرك، وشكرك، وحسن عبادتك
থিম: হে মুআয! আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি।" অতঃপর হে মুআয আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি যে, তুমি প্রত্যেক সালাতের শেষে: (অর্থ) "হে আল্লাহ! তুমি আমাকে তোমার যিকির, শুকরিয়া (কৃতজ্ঞতা) এবং সুন্দর ইবাদত করতে সাহায্য কর।" দোআটি পড়া অবশ্যই ত্যাগ করবে না।

عن معاذ بن جبل -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   يَا مُعَاذ، واللهِ، إِنِّي لَأُحِبُّكَ، ثُمَّ أُوصِيكَ يَا مُعَاذُ، لاَ تَدَعَنَّ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَة تَقُول: اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ>.

 
Hadith   42   الحديث
الأهمية: اتقوا الله وصلوا خمسكم، وصوموا شهركم، وأدوا زكاة أموالكم، وأطيعوا أمراءكم تدخلوا جنة ربكم
থিম: তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, তোমাদের পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় কর। তোমাদের রামযান মাসের সাওম পালন কর, তোমাদের ধন-দৌলতের যাকাত আদায় কর এবং তোমাদের প্রশাসকগণের আনুগত্য কর, তবেই তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করবে।

عن أبي أمامة صُدي بن عجلان الباهلي -رضي الله عنه- قال: سَمِعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يَخطُبُ في حَجَّة الوَدَاع، فقال:   اتَّقُوا الله، وصَلُّوا خَمسَكُم، وصُومُوا شَهرَكُم، وأَدُّوا زَكَاة أَموَالِكُم، وأَطِيعُوا أُمَرَاءَكُم تَدخُلُوا جَنَّة رَبِّكُم>.

 
Hadith   43   الحديث
الأهمية: بت عند خالتي ميمونة، فقام النبي -صلى الله عليه وسلم- يصلي من الليل، فقمت عن يساره، فأخذ برأسي فأقامني عن يمينه
থিম: আমি আমার খালা মায়মুনার নিকট রাত্রি যাপন করলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে সালাতে দাঁড়ালেন, আমিও তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম, তিনি আমার মাথা ধরে তাঁর ডানপাশে দাঁড় করালেন।

عن عَبدُ اللَّهِ بنِ عَبَّاسٍ -رضي الله عنهما- قال:   بِتُّ عِندَ خَالَتِي مَيمُونَة، فَقَام النَبيَّ -صلى الله عليه وسلم- يُصَلِّي مِن اللَّيل، فَقُمتُ عَن يَسَارِه، فَأَخَذ بِرَأسِي فَأَقَامَنِي عن يَمِينِه>.

 
Hadith   44   الحديث
الأهمية: أنَّ النَّبي -صلى الله عليه وسلم- أُتِيَ بصبي, فبال على ثوبه, فدعا بماء, فأَتبَعَه إِيَّاه
থিম: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট একটি ছেলে শিশুকে আনা হল। শিশুটি তাঁর কাপড়ে পেশাব করে দিল। তিনি পানি আনালেন এবং এর উপর ঢেলে দিলেন।

عن أُمِّ قَيْسِ بِنْتِ مِحْصَنٍ الأَسَدِيَّة -رضي الله عنها- <أنَّها أتَت بابن لها صغير لم يأكل الطعام إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فأجلسه في حِجْرِه, فبال على ثوبه, فدعا بماء فَنَضَحَه على ثوبه, ولم يَغْسِله>.
عن عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِين -رضي الله عنها- <أنَّ النَّبي -صلى الله عليه وسلم- أُتِيَ بصبي, فبال على ثوبه, فدعا بماء, فأَتبَعَه إِيَّاه>.
   وفي رواية:   فَأَتْبَعَه بوله, ولم يَغسِله> .

 
Hadith   45   الحديث
الأهمية: أتيت النبي -صلى الله عليه وسلم- وهو في قُبَّةٍ له حمراء من أدم، فخرج بلال بوضوء فمن ناضح ونائل
থিম: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলাম এমতাবস্থায় যে তিনি চর্মনির্মিত লাল রঙের শিবিরে অবস্থান করছিলেন। বিলাল তাঁর ওযূর পানি নিয়ে বাইরে বের হলেন। কিছু লোক (বরকত হাসিল করার জন্য) উক্ত পানির ছিটা পেল আর কিছু সংখ্যক লোক পানি পেল।

عن أبي جُحَيْفَةَ وَهْبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ السُّوَائِيِّ -رضي الله عنه- قال:   أَتَيتُ النَبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- وهو في قُبَّةٍ لَهُ حَمرَاءَ مِن أَدَمٍ، قال: فَخَرَج بِلاَل بِوَضُوءٍ، فمن نَاضِحٍ ونَائِلٍ، قال: فَخَرَجَ النبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- عليه حُلَّةٌ حَمرَاءُ، كَأَنِّي أَنظُرُ إلى بَيَاضِ سَاقَيهِ، قال: فَتَوَضَّأ وأَذَّن بِلاَل، قال: فَجَعَلَتُ أتَتَبَّعُ فَاهُ هَهُنَا وهَهُنَا، يقول يمِينا وشِمالا: حَيَّ على الصَّلاة؛ حيَّ عَلَى الفَلاَح. ثُمَّ رَكَزَت لَهُ عَنَزَةٌ، فَتَقَدَّمَ وصلى الظُهرَ رَكعَتَين، ثُمَّ لَم يَزلَ يُصِلِّي رَكعَتَين حَتَّى رَجَعَ إِلى المَدِينَة>.

 
Hadith   46   الحديث
الأهمية: والذي نفسي بيده، لتأمرن بالمعروف، ولتنهون عن المنكر؛ أو ليوشكن الله أن يبعث عليكم عقابا منه، ثم تدعونه فلا يستجاب لكم
থিম: তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! তোমরা অবশ্যই ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে, তা না হলে শীঘ্রই আল্লাহ তা'আলা তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের উপর আযাব পাঠাবেন। অতঃপর তোমরা তাঁর কাছে দু'আ করবে; কিন্তু তোমাদের দো'আ কবুল করা হবে না।

عن حذيفة بن اليمان -رضي الله عنهما- عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أنه قال:   وَالَّذِي نَفسِي بِيَدِه، لَتَأْمُرُنَّ بِالمَعرُوف، وَلَتَنهَوُنَّ عَنِ المُنْكَر؛ أَو لَيُوشِكَنَّ الله أَن يَبْعَثَ عَلَيكُم عِقَاباً مِنْه، ثُمَّ تَدعُونَه فَلاَ يُسْتَجَابُ لَكُم>.

 
Hadith   47   الحديث
الأهمية: أي بني، إني سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: إن شر الرعاء الحطمة، فإياك أن تكون منهم
থিম: হে বৎস, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় প্রজাদের ব্যাপারে কঠোর শাসকরাই নিকৃষ্টতম শাসক। সুতরাং তুমি তাদের দলভুক্ত হবে না।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أنَّ عَائِذَ بن عَمْرو -رضي الله عنه- دَخَل على عُبَيد الله بن زياد، فقال: أي بُنَيَّ، إِنِّي سَمِعت رَسُول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   إِنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الحُطَمَةُ   فَإِيَّاك أَن تَكُون مِنهُم، فقال له: اجْلِس فَإِنَّما أَنْت مِن نُخَالَةِ أَصحَاب محمَّد -صلى الله عليه وسلم- فقال: وهل كَانَت لَهُم نُخَالَة؟! إِنَّمَا كَانَت النُخَالَة بَعدَهُم وَفِي غَيرِهِم.

 
Hadith   48   الحديث
الأهمية: إذا جلس بين شعبها الأربع، ثم جهدها، فقد وجب الغسل
থিম: যখন কোন ব্যক্তি স্ত্রীর চার শাখার মাঝে বসে, অতঃপর তার সাথে সঙ্গম করে, তাহলেই গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: ((إِذَا جَلَسَ بين شُعَبِهَا الأَربع، ثم جَهَدَهَا، فَقَد وَجَبَ الغُسْلُ)) .
   وفي لفظ ((وإن لم يُنْزِل)).

 
Hadith   49   الحديث
الأهمية: لا يقبل الله صلاة أحدكم إذا أحدث حتى يتوضأ
থিম: তোমাদের কারো যখন হাদাস হয়, আল্লাহ তার সলাত কবূল করবেন না, যতক্ষণ না সে উযূ করে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-: "لاَ يَقْبَل الله صلاَة أَحَدِكُم إِذا أَحْدَث حَتَّى يَتوضَّأ".

 
Hadith   50   الحديث
الأهمية: ويل للأعقاب من النار
থিম: পায়ের গোড়ালিগুলোর জন্য জাহান্নামের 'আযাব রয়েছে।

عن أبي هريرة وعبد الله بن عمرو وعائشة -رضي الله عنهم- عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: أنه قال: (ويلٌ للأعْقَاب من النَّار).

 
Hadith   51   الحديث
الأهمية: أعتم النبي -صلى الله عليه وسلم- بالعشاء، فخرج عمر, فقال: الصلاة , يا رسول الله، رقد النساء والصبيان، فخرج ورأسه يقطر يقول: لولا أن أشق على أمتي لأمرتهم بهذه الصلاة هذه الساعة
থিম: এক রাতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 'ইশার সালাত আদায় করতে দেরী করছিলেন, তখন 'উমার ইব্নুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু <'আনহু উঠে গিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললনে, 'আস-সালাত' হে আল্লাহর রাসূল! বাচ্চা ও নারীরা ঘুমিয়ে পড়ার উপক্রম। তারপর তিনি বের হলেন তার মাথা থেকে পানির ফোঁটা ঝরছিল। আর তিনি বলছিলেন "যদি আমার উম্মাতরে জন্য কষ্টকর হবে বলে মনে না করতাম, তাহলে তাদেরকে এ সালাত এ সময়ে আদায় করার নির্দেশ দিতাম।

عن عَبْد اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ -رضي الله عنهما- قال:   أّعْتَمَ النَبِيُّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- بِالعِشَاء، فَخَرَج عُمَر فقال: الصَّلاةَ يا رسول الله، رَقَد النِسَاءُ والصِّبيَان. فَخَرَجَ ورَأسُهُ يَقطُر يقول: لَولاَ أن أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي -أو على النَّاس- لَأَمَرتُهُم بهذه الصَّلاة هذه السَّاعَة>.

 
Hadith   52   الحديث
الأهمية: ملأ الله قبورهم وبيوتهم نارًا، كما شغلونا عن الصلاة الوسطى حتى غابت الشمس
থিম: আল্লাহ তা'আলা তাদের ঘর ও কবরসমূহ আগুন দিয়ে ভরে দিক। যেমনিভাবে তারা আমাদেরকে মধ্যবর্তী সালাত থেকে বিরত রাখছে, এমনকি সূর্য ডুবে গেল।

عن عَلِي بن أبي طالب -رضي الله عنه- أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ:   مَلَأ اللهُ قُبُورَهم وبُيُوتَهُم نَارًا، كَمَا شَغَلُونَا عن الصَّلاَة الوُسْطَى حَتَّى غَابَت الشَّمس>.
وفي لفظ لمسلم:   شَغَلُونَا عن الصَّلاَة الوُسْطَى -صلاة العصر->، ثم صَلاَّهَا بين المغرب والعشاء>.
وله عن عبد الله بن مسعود قال:   حَبَسَ المُشرِكُون رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن العصر، حَتَّى احْمَرَّت الشَّمسُ أو اصْفَرَّت، فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: شَغَلُونَا عن الصَّلاَة الوُسْطَى -صلاة العصر-، مَلَأَ الله أَجْوَافَهُم وقُبُورَهم نَارًا (أَو حَشَا الله أَجْوَافَهُم وَقُبُورَهُم نَارًا)>.

 
Hadith   53   الحديث
الأهمية: لقد كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يصلي الفجر، فيشهد معه نساء من المؤمنات، متلفعات بمروطهن ثم يرجعن إلى بيوتهن ما يعرفهن أحد، من الغلس
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <'আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফজরের সালাত আদায় করতেন। তখন মুমিন মহিলারা গায়ে চাদর জড়িয়ে তার সাথে শরীক হতেন। তারপর তারা নিজ গৃহে ফিরে যেতেন; কিন্তু অন্ধকারের কারণে তাদের কাউকে চেনা যেতো না।

عن عَائِشَة -رضي الله عنها- قالت: (لقد كان رسولُ الله -صلى الله عليه وسلم- يُصَلِّي الفَجر، فَيَشهَدُ معه نِسَاء مِن المُؤمِنَات، مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ، ثم يَرجِعْن إلى بُيُوتِهِنَّ مَا يُعْرِفُهُنَّ أحدٌ من الغَلَس).

 
Hadith   54   الحديث
الأهمية: إذا قام أحدكم من الليل فَلْيَفْتَتِحِ الصلاة بركعتين خَفِيفَتَيْن
থিম: তোমাদের কেউ যখন তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের জন্য উঠে সে যেন প্রথমে হালকা করে দু' রাকাত সালাত আদায় করে তা শুরু করে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه-: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   إذا قام أحدكم من الليل فَلْيَفْتَتِحِ الصلاة بركعتين خَفِيفَتَيْن>.
   وعن عائشة -رضي الله عنها-، قالت: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- إذا قام من الليل افتتح صلاته بركعتين خفيفتين.

 
Hadith   55   الحديث
الأهمية: قال الله -عز وجل-: كلُّ عَمَل ابن آدَم له إلا الصيام، فإنه لي وأنا أجْزِي به
থিম: আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ''মহান আল্লাহ বলেন, 'আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকর্ম তার জন্যই; কিন্তু সিয়াম স্বতন্ত্র, তা আমারই জন্য, আর আমিই তার প্রতিদান দেব।' সিয়াম ঢাল স্বরূপ অতএব তোমাদের কেউ যেন সিয়ামের দিনে অশ্লীল না বলে এবং হৈ-হট্টগোল না করে। আর যদি কেউ তাকে গালি-গালাজ করে অথবা তার সাথে লড়াই-ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, 'আমি সিয়াম রেখেছি।' সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে, নিঃসন্দেহে সায়িমের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা বেশী উৎকৃষ্ট। সায়িমের জন্য দু'টি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে, তখন সে আনন্দিত হয়; [১] যখন সে ইফতার করে [ইফতারের জন্য সে আনন্দিত হয়]।


আর [২] যখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, স্বীয় সিয়ামের জন্য সে আনন্দিত হবে।'' [বুখারী ও মুসলিম, এই শব্দগুলি বুখারীর] বুখারীর অন্য বর্ণনায় আছে, 'সে [সায়িম] পানাহার ও যৌনাচার বর্জন করে একমাত্র আমারই জন্য। সিয়াম আমার জন্যই। আর আমি নিজে তার পুরস্কার দেব। আর প্রত্যেক নেকী দশগুণ বর্ধিত হয়।' মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ''আদম সন্তানের প্রত্যেক সৎকর্ম কয়েকগুণ বর্ধিত করা হয়। একটি নেকী দশগুণ থেকে নিয়ে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। মহান আল্লাহ বলেন, 'কিন্তু সিয়াম ছাড়া। কেননা, তা আমার উদ্দেশ্যে [পালিত] হয়। আর আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। সে পানাহার ও কাম প্রবৃত্তি আমার [সন্তুষ্টি অর্জনের] উদ্দেশ্যেই বর্জন করে।' সায়িমের জন্য দু'টি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে। একটি আনন্দ হল ইফতারের সময়, আর অপরটি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎকালে। আর নিশ্চয় তার মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা অধিক উৎকৃষ্ট।"

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <قال الله -عز وجل-: كلُّ عَمَل ابن آدَم له إلا الصيام، فإنه لي وأنا أجْزِي به، والصيام جُنَّة، فإذا كان يوم صوم أحدِكُم فلا يَرْفُثْ ولا يَصْخَبْ فإن سَابَّهُ أحَدٌ أو قَاتَلَهُ فليَقل: إنِّي صائم، والذي نفس محمد بيده لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِم أطيب عند الله من رِيحِ المِسْكِ، للصائم فرحتان يَفْرَحُهُمَا: إذا أفطر فَرِح بفطره، وإذا لَقِي ربَّه فَرِح بِصَوْمه>. وهذا لفظ رواية البخاري.
وفي رواية له:   يَتْرُك طَعَامه، وشَرَابه، وشَهوته من أجلي، الصيام لي وأنا أَجْزِي به، والحسنة بعشر أمثالها>. وفي رواية لمسلم:   كلُّ عَمَل ابن آدم يُضَاعَف، الحَسَنة بِعَشر أمْثَالها إلى سَبْعِمِئَة ضِعْف، قال الله تعالى: إلا الصَّوم فإنه لي وأنا أجْزِي به؛ يَدَع شَهَوته وطَعَامه من أجلي، للصائم فرحتان: فَرْحَة عند فِطْره، وفَرْحَة عند لقِاء ربِّه، ولَخُلُوف فيه أطْيَب عند الله من رِيحِ المِسْكِ>.

 
Hadith   56   الحديث
الأهمية: إذا مَرِض العَبد أو سافر كُتب له مثلُ ما كان يعمل مقيمًا صحيحًا
থিম: যখন বান্দা অসুস্থ হয় অথবা সফরে থাকে, তখন তার জন্য ঐ আমলের মতই (সওয়াব) লেখা হয়, যা সে গৃহে থেকে সুস্থ শরীরে সম্পাদন করত।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <إذا مَرِض العَبد أو سافر كُتِب له مثلُ ما كان يعمل مقيمًا صحيحًا>.

 
Hadith   57   الحديث
الأهمية: فإن كانت صالحة، قالت: قَدِّمُونِي قَدِّمُونِي، وإن كانت غير صالحة، قالت: يا وَيْلها! أين تَذهبون بها
থিম: নেককার হলে বলতে থাকে, আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাও। আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাও। আর নেককার না হলে সে বলতে থাকে, হায় আফসোস! তোমরা এটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?

عن أبي سعيد -رضي الله عنه- قال: كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يقول:   إذا وُضِعت الجَنَازَة واحْتَمَلَهَا الناس أو الرجال على أَعْنَاقِهِم، فإن كانت صالحة، قالت: قَدِّمُونِي قَدِّمُونِي، وإن كانت غير صالحة، قالت: يا وَيْلها! أين تَذهبون بها؟ يسمعُ صوتها كل شيء إلا الإنسان، ولو سَمِعَه صَعِق>.

 
Hadith   58   الحديث
الأهمية: لما خلق الله آدم -صلى الله عليه وسلم- قال: اذهب فَسَلِّمْ على أولئك -نَفَرٍ من الملائكة جلوس-    فاستمع ما يُحَيُّونَكَ؛ فإنها تَحِيَّتُكَ وتحية ذُرِّيتِكَ
থিম: আল্লাহ আদাম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করে বললেন: তুমি যাও। বসে থাকা ফিরিশতাদের ঐ দলটিকে সালাম দাও এবং তারা সালামের কী জবাব দেয় তা মনোযোগ সহকারে শোন? কারণ এটাই তোমার ও তোমার বংশধরের সম্ভাষণ। তাই তিনি বললেন: 'আস্সালামু আলাইকুম'। তারা জবাবে বললেন: 'আস্সালামু আলাইকা ওয়া রাহমাতুল্লাহ। তারা তাঁর জবাবে 'ওয়া রাহমাতুল্লাহ<' বাক্যটি বাড়িয়ে বললেন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   لما خلق الله آدم -صلى الله عليه وسلم- قال: اذهب فَسَلِّمْ على أولئك -نَفَرٍ من الملائكة جلوس-    فاستمع ما يُحَيُّونَكَ؛ فإنها تَحِيَّتُكَ وتحية ذُرِّيتِكَ. فقال: السلام عليكم، فقالوا: السلام عليك ورحمة الله، فَزَادُوهُ: ورحمة الله>.

 
Hadith   59   الحديث
الأهمية: يا رسول الله، أَرَأَيتَ إن جاء رجُل يُريد أخذ مالي؟ قال: فلا تُعْطِه مالك
থিম: হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলুন, যদি কেউ আমার মাল (অবৈধভাবে) নিতে আসে তাহলে কী করতে হবে?' তিনি বললেন, "তুমি তাকে তোমার মাল দিবে না।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: جاء رجل إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال: يا رسول الله، أَرَأَيتَ إن جاء رجُل يُريد أَخْذَ مالي؟ قال:   فلا تُعْطِه مالك   قال: أَرَأَيتَ إن قَاتَلَني؟ قال:   قَاتِلْه   قال: أَرَأَيتَ إن قَتَلَنِي؟ قال:   فأنت شهيد   قال: أَرَأَيتَ إن قَتَلْتُه؟ قال:   هو في النَّار>.

 
Hadith   60   الحديث
الأهمية: أربعون خَصْلَة: أعلاها مَنيحةُ العَنز، ما من عامل يَعمل بِخَصْلة منها؛ رجاء ثوابها وتصديق مَوْعُودِها، إلا أدخله الله بها الجنة
থিম: চল্লিশটি সৎকর্ম আছে তার মধ্যে উচ্চতম হল, দুধ পানের জন্য (কোন দরিদ্রকে) ছাগল সাময়িকভাবে দান করা। যে কোন আমলকারী এর মধ্য হতে যে কোন একটি সৎকর্মের উপর প্রতিদানের আশা করে ও তার প্রতিশ্রুত পুরস্কারকে সত্য জেনে আমল করবে, তাকে আল্লাহ তার বিনিময়ে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

عن أبي محمد عبد الله بن عمرو بن العاص -رضي الله عنهما-، قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <أربعون خَصْلَة: أعلاها مَنيحةُ العَنز، ما من عامل يَعمل بِخَصْلة منها؛ رجاء ثوابها وتصديق مَوْعُودِها، إلا أدخله الله بها الجنة>.

 
Hadith   61   الحديث
الأهمية: ارْمُوا بَنِي إسماعيل، فإن أبَاكُم كان رَامِيًا
থিম: সালামাহ ইবনে আকওয়া' রাদিয়াল্লাহু 'আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তীর নিক্ষেপরত একদল লোকের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় বললেন, "হে ইসমাঈলের সন্তানেরা। তোমরা তীর নিক্ষেপ কর। কারণ, তোমাদের (আদি) পিতা (ইসমাঈল) তীরন্দাজ ছিলেন।"

عن سَلَمَة بن الأكْوَع -رضي الله عنه- قال: مَرَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- على نَفَرٍ يَنْتَضِلُون، فقال:   ارْمُوا بَنِي إسماعيل، فإن أبَاكُم كان رَامِياً>.

 
Hadith   62   الحديث
الأهمية: إن لك ما احتسبت
থিম: তুমি যে সাওয়াবের আশা করেছো তা অবশ্যই লাভ করবে।

عن أبي بن كعب -رضي الله عنه- قال: كان رجل من الأنصار لا أعلم أحدا أبعد من المسجد منه، وكانت لا تخطئه صلاة، فقيل له: لو اشتريت حمارا لتركبه في الظلماء وفي الرمضاء، قال: ما يسرني أن منزلي إلى جنب المسجد، إني أريد أن يكتب لي ممشاي إلى المسجد، ورجوعي إذا رجعت إلى أهلي. فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <قد جمع الله لك ذلك كله>

 
Hadith   63   الحديث
الأهمية: اشْفَعُوا تُؤجَرُوا، ويقضي الله على لسانِ نبيه ما أحب
থিম: তোমরা সুপারিশ কর তোমাদের সাওয়াব দেওয়া হবে, আর আল্লাহ তাঁর নবীর মুখে তাই ফায়সালা করবেন, যা তিনি পছন্দ করেন।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- كان النبي -صلى الله عليه وسلم- إذا أتاه طالب حاجة أقبل على جُلسائِه، فقال:   اشْفَعُوا تُؤجَرُوا، ويَقْضِي الله على لسانِ    نَبِيِّه ما أحب>. وفي رواية:   ما شاء>.

 
Hadith   64   الحديث
الأهمية: إذا اقترب الزَمَان لم تَكَدْ رؤيا المؤمن تكذب، ورؤيا المؤمن جُزْءٌ من ستة وأربعين جُزْءًا من النُّبُوَّةِ
থিম: যখন কিয়ামত নিকটবর্তী হবে তখন মুমিনের স্বপ্ন খুব কমই মিথ্যা হবে। আর মুমিনের স্বপ্ন নবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً:   إذا اقترب الزمان لم تَكَدْ رؤيا المؤمن تكذب، ورؤيا المؤمن جزء من ستة وأربعين جزءا من النبوة>.   
وفي رواية:   أصدقكم رؤيا، أصدقكم حديثا>.

 
Hadith   65   الحديث
الأهمية: قُومِي فأوْتِري يا عائشة
থিম: হে আয়েশা! উঠো, বিতর সালাত আদায় করো।

عن عائشة -رضي الله عنها-: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان يصلي صلاته بالليل، وهي مُعْتَرِضَةٌ بين يديه، فإذا بقي الوتر، أيقظها فأوترت. وفي رواية له: فإذا بقي الوتر، قال:   قومي فأوْتِري يا عائشة>.

 
Hadith   66   الحديث
الأهمية: أفضل الذِّكر: لا إله إلا الله
থিম: সর্বোত্তম যিকির হচ্ছে, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ

عن جابر -رضي الله عنه- قال: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   أفضل الذِّكر: لا إله إلا الله>.

 
Hadith   67   الحديث
الأهمية: أفضل الصَّدَقَات ظِلُّ فُسْطَاطٍ في سَبِيل الله ومَنِيحَةُ خَادِم في سَبِيل الله، أو طَرُوقَةُ فَحْلٍ في سَبِيل الله
থিম: সর্বোত্তম সাদকাহ আল্লাহর রাস্তায় তাঁবুর ছায়ার ব্যবস্থা করা, আর আল্লাহর রাস্তায় কোনো খাদেম দান করা। কিংবা আল্লাহর পথে উষ্ট্রী দান করা।

عن أبي أمامة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <أفضل الصَّدَقَات ظِلُّ فُسْطَاطٍ في سَبِيل الله ومَنِيحَةُ خَادِم في سَبِيل الله، أو طَرُوقَةُ فَحْلٍ في سَبِيل الله>.

 
Hadith   68   الحديث
الأهمية: سُئِل رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: أي الصلاة أفضل؟ قال: طُول القُنُوتِ
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি বললেন, "দীর্ঘ কিয়ামযুক্ত সালাত।"

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
وعن جابر -رضي الله عنه- قال: سُئِل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أي الصلاة أفضل؟ قال:   طُول القُنُوتِ>.

 
Hadith   69   الحديث
الأهمية: عَمِل قليلا وأُجر كثيرا
থিম: সে অল্প আমল করে বেশি পুরস্কার পেলো।

عن البراء -رضي الله عنه- قال: أتَى النبي -صلى الله عليه وسلم- رَجُلٌ مُقَنَّعٌ بالحَديد، فقال: يا رسول الله، أُقَاتِلُ أَوْ أُسْلِمُ؟ قال:   أَسْلِم، ثم قَاتل>، فأسْلَم ثم قاتل فَقُتِل. فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <عَمِل قليلاً وأُجر كثيراً>.

 
Hadith   70   الحديث
الأهمية: قال لي النبي -صلى الله عليه وسلم-: اقرأ عليَّ القرآن، قلت: يا رسول الله، أقرأ عليك، وعليك أنزل؟! قال: إني أُحب أن أسمعه من غيري
থিম: নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, "তুমি আমার সামনে কুরআন তিলাঅত কর।" আমি আরজ করলাম, 'আমি আপনার সামনে তিলাওয়াত করব, অথচ তা আপনার উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে?' তিনি বললেন, "আমি অন্যের কাছ থেকে তা শুনতে ভালবাসি।" অতএব তার নিকট আমি সূরা 'নিসা' তিলাওয়াত করলাম। পরিশেষে যখন আমি এ আয়াতে এসে পৌঁছলাম; যার অর্থ, "তখন তাদের কী অবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজ সাক্ষী (নবী) উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাদের সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব?" তখন তিনি আমাকে বললেন, "যথেষ্ট, এবার থাম।" আমি তাকিয়ে দেখলাম, তাঁর চক্ষু দু'টি থেকে অশ্রুধারা প্রবাহিত হচ্ছে।

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- قال: قال لي النبي -صلى الله عليه وسلم-: <اقرأ عليَّ القرآنَ>، فقلت: يا رسول الله، أقرأ عليك، وعليك أُنزل؟! قال:   إني أحب أن أسمعه من غيري   فقرأتُ عليه سورةَ النساءِ، حتى جِئْتُ إلى هذه الآية: {فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيدًا} قال:   حَسْبُكَ الآنَ   فالتفتُّ إليه، فإذا عَيْنَاهُ تَذْرِفَانِ.

 
Hadith   71   الحديث
الأهمية: أكْثَرْتُ عليكم في السِّوَاك
থিম: 'তোমাদেরকে মিসওয়াক করার জন্য খুব বেশি তাকীদ করেছি।'

عن أنس -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <أكْثَرْتُ عليكم في السِّوَاك>.

 
Hadith   72   الحديث
الأهمية: ألا أُخْبِركم بأهل الجنة؟ كلُّ ضعيفٍ مُتَضَعَّفٍ ، لو أقسم على الله لَأَبَرَّهُ ، ألا أُخْبِركم بأهل النار؟ كُلُّ عُتُلٍّ جَوَّاظٍ مُسْتَكْبِرٍ
থিম: আমি কি তোমাদেরকে অবহিত করবো না যে, কারা জান্নাতী হবে? যারা দুর্বল এবং যাদেরকে দুর্বল মনে করা হয়। যদি সে আল্লাহর ওপর কসম করে তিনি সেটা অবশ্যই বাস্তবায়ন করবেন। আমি কি তোমাদের অবহিত করবো না যে, কারা জাহান্নামী হবে? প্রত্যেক অবাধ্য, আহাম্মক ও দাম্ভিক ব্যক্তি দোযখে যাবে।

عن حارثة بن وهب -رضي الله عنه- مرفوعًا:   ألا أُخْبِركم بأهل الجنة؟ كلُّ ضعيفٍ مُتَضَعَّفٍ، لو أقسم على الله لَأَبَرَّهُ، ألا أُخْبِركم بأهل النار؟ كُلُّ عُتُلٍّ جَوَّاظٍ مُسْتَكْبِرٍ>.

 
Hadith   73   الحديث
الأهمية: ألا أدلكم على ما يَمْحُو الله به الخطايا ويرفع به الدرجات، قالوا: بلى، يا رسول الله، قال: إسباغ الوضوء على المكاره، وكثرة الخُطَا إلى المساجد، وانتظار الصلاة بعد الصلاة فذلِكُم الرِّباط
থিম: আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলব না, যার দ্বারা আল্লাহ গোনাহসমূহকে মোচন করবেন এবং (জান্নাতে) তার দ্বারা মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন?" তাঁরা বললেন, 'অবশ্যই, হে আল্লাহর রসূল!' তিনি বললেন, "(তা হচ্ছে) কষ্টকর অবস্থায় পরিপূর্ণরূপে ওযূ করা, অধিক মাত্রায় মসজিদে গমন করা এবং এক অক্তের সালাত আদায় ক'রে পরবর্তী অক্তের সালাতের জন্য অপেক্ষা করা। আর এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ। এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ।

عن أبي هريرة قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <ألا أَدُلُّكُم على ما يَمْحُو الله به الخطايا ويرفع به الدرَجات؟   قالوا: بلى، يا رسول الله، قال:   إِسْبَاغُ الوُضُوء على المَكَارِه، وكَثْرَةُ الخُطَا إلى المساجد، وانتظارُ الصلاة بعد الصلاة فذلِكُم الرِّباط>.

 
Hadith   74   الحديث
الأهمية: ألا أُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرِ أعْمَالِكُم، وأزْكَاها عند مَلِيكِكُم
থিম: আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের উত্তম আমল ও তোমাদের মালিকের নিকট সবচেয়ে পবিত্র আমলের সন্ধান দিব না?

عن أبي الدَّرْدَاء -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <ألا أُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرِ أعْمَالِكُم، وأزْكَاها عند مَلِيكِكُم، وأرْفَعِهَا في دَرَجَاتِكُمْ، وخير لكم من إنْفَاق الذهب والفضة، وخير لكم من أن تَلْقَوا عَدُوَّكُمْ فَتَضْرِبُوا أعْنَاقَهُمْ ويَضْرِبوا أعْنَاقَكُم؟   قالوا: بلى، قال:   ذكر الله -تعالى->.

 
Hadith   75   الحديث
الأهمية: يا أم حارثة إنها جِنَان في الجنة، وإن ابْنَك أصَاب الفِردَوْس الأعلى
থিম: "হে উম্মে হারেসা! জান্নাতে বিভিন্ন প্রকারের জান্নাত আছে। আর তোমার ছেলে সর্বোচ্চ ফিরদাউসে (জান্নাতে) পৌঁছে গেছে।"

عن أنس -رضي الله عنه- أن أم الرُّبيع بنت البراء وهي أم حارثة بن سُراقة، أتَت النبي -صلى الله عليه وسلم- فقالت: يا رسول الله، ألا تُحَدِّثُنِي عن حارثة -وكان قُتِل يوم بَدْرٍ- فإن كان في الجنَّة صَبَرْت، وإن كان غير ذلك اجْتَهَدْتُ عليه في البُكَاء، فقال:   يا أم حارثة، إنها جِنَان في الجنة، وإن ابْنَك أصَاب الفِردَوْس الأعلى>.

 
Hadith   76   الحديث
الأهمية: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- طَرَقَ عليا وفاطمة ليلاً، فقال: ألا تُصَلِّيَانِ
থিম: একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী ও ফাতেমার নিকট রাত্রি বেলায় গেলেন ও বললেন, "তোমরা (স্বামী-স্ত্রী) কি (তাহাজ্জুদের) সালাত পড় না?"

عن علي -رضي الله عنه-: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- طَرَقَه وفاطمة ليلاً، فقال:   ألا تُصَلِّيَانِ؟>.

 
Hadith   77   الحديث
الأهمية: إِنِّي لأعلم كلمة لو قالها لذهبَ عنه ما يجد، لو قال: أعوذ بالله من الشيطان الرجيم، ذهبَ منه ما يَجد
থিম: নিশ্চয় আমি এমন এক বাক্য জানি, যদি সে তা পড়ে, তাহলে তার ক্রোধ দূরীভূত হবে। যদি সে বলে 'আউযু বিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজীম' (অর্থাৎ আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাইছি), তাহলে তার উত্তেজনা ও ক্রোধ সমাপ্ত হবে।

عن سليمان بن صُرَدٍ -رضي الله عنه- قال: كنت جالسًا مع النبي -صلى الله عليه وسلم- ورجلان يَسْتَبَّانِ، وأحدهما قد احْمَرَّ وجْهُه، وانْتَفَخَتْ أَوْدَاجُهُ، فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <إِنِّي لأعلم كلمة لو قالها لذهبَ عنه ما يجد، لو قال: أعُوذ بالله من الشَّيطان الرجيم، ذهبَ منه ما يَجد>.
فقالوا له: إن النبي - صلى الله عليه وسلم - قال:   تَعَوَّذْ بالله من الشيطان الرجيم>.

 
Hadith   78   الحديث
الأهمية: إذا أصْبَح ابن آدَم، فإن الأعضاء كلَّها تَكْفُرُ اللِّسان، تقول: اتَّقِ الله فِينَا، فإنَّما نحن بِك؛ فإن اسْتَقَمْتَ اسْتَقَمْنَا، وإن اعْوَجَجْت اعْوَجَجْنَا
থিম: আদম সন্তান যখন সকালে উপনীত হয় তখন তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিহ্বার কাছে মিনতি প্রকাশ করে এবং বলে, আমাদের ব্যাপারে আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করো, আমরা তো তোমার দ্বারাই পরিচালিত হই। তুমি ঠিক থাকলে আমরাও ঠিক থাকি, আর তুমি বক্র হলে আমরাও বক্র হয়ে যাই।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   إذا أصْبَح ابن آدَم، فإن الأعضاء كلَّها تَكْفُرُ اللِّسان، تقول: اتَّقِ الله فِينَا، فإنَّما نحن بِك؛ فإن اسْتَقَمْتَ اسْتَقَمْنَا، وإن اعْوَجَجْت اعْوَجَجْنَا>.

 
Hadith   79   الحديث
الأهمية: لا تُلْحِفُوا في المسأَلة، فوالله لا يَسْألني أحدٌ منكم شيئًا، فَتُخْرِجَ له مسألته منِّي شيئًا وأنا له كارِهٌ، فيُبَارَك له فيما أَعْطَيتُه
থিম: তোমরা নাছোড় বান্দা হয়ে চেয়ো না। আল্লাহর কসম! তোমাদের মধ্যে যে কেউ আমার নিকট কোনো কিছু চায়, অতঃপর তার চাওয়া আমার অপছন্দ সত্ত্বেও আমার কাছ থেকে কিছু বের করে নেয়, তাহলে যা তাকে দিয়েছি তাতে বরকত হবে না।

عن معاوية بن أبي سفيان -رضي الله عنهما- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <لا تُلْحِفُوا في المسأَلة، فوالله لا يَسْألني أحدٌ منكم شيئًا، فَتُخْرِجَ له مسألته منِّي شيئًا وأنا له كارِهٌ، فيُبَارَك له فيما أَعْطَيتُه>.

 
Hadith   80   الحديث
الأهمية: الجنة أقرب إلى أحدكم من شِرَاكِ نعله، والنار مثل ذلك
থিম: জান্নাত তোমাদের কারো জুতার রশি থেকেও অতি নিকটে এবং জাহান্নামও তাই।

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- قال: قال النبي -صلى الله عليه وسلم-: <الجنة أقرب إلى أحدكُم من شِرَاكِ نَعْلِه، والنار مِثلُ ذلك>.

 
Hadith   81   الحديث
الأهمية: الحَرْبُ خَدْعَة
থিম: যুদ্ধ হচ্ছে ধোঁকা সম্বলিত কৌশল অবলম্বনের নাম।

عن أبي هريرة وجابر -رضي الله عنهما-: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   الحَرْبُ خَدْعَة>.

 
Hadith   82   الحديث
الأهمية: الخَيْل مَعقُودٌ في نَوَاصِيهَا الخَيْر إلى يوم القِيامة
থিম: কিয়ামতের দিন পর্যন্ত ঘোড়ার কপালে কল্যাণ বাঁধা।

عن ابن عمر -رضي الله عنهما-: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   الخَيْل مَعقُودٌ في نَوَاصِيهَا الخَيْر إلى يوم القِيامة>.   
وعن عروة البارقي -رضي الله عنه-: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   الخيل مَعقُودٌ في نَوَاصِيهَا الخَيْر إلى يوم القيامة: الأجر، والمَغْنَم>.

 
Hadith   83   الحديث
الأهمية: الدنيا سجن المؤمن، وجنة الكافر
থিম: দুনিয়া হলো মু'মিনের জেলখানা আর কাফিরের জান্নাত

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <الدنيا سِجنُ المؤمن، وجَنَّةُ الكافر>.

 
Hadith   84   الحديث
الأهمية: يا أبا بَطْنٍ إنما نَغْدُو من أجل السلام، فنُسَلِّمُ على من لَقيْنَاهُ
থিম: হে পেটওয়ালা, আমরা তো প্রত্যুষে বাজারে যাই কেবল সালাম করার উদ্দেশ্যে; যার সাথে সাক্ষাত হবে তাকেই সালাম দিব।

عن الطُّفَيْلَ بن أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ: أنه كان يأتي عبد الله بن عمر، فيَغْدُو معه إلى السوق، قال: فإذا غَدَوْنَا إلى السوق، لم يَمُرَّ عبد الله على سَقَّاطٍ ولا صاحب بَيْعَةٍ ، ولا مسكين، ولا أحد إلا سَلَّمَ عليه، قال الطُفيل: فجئت عبد الله بن عمر يوما، فَاسْتَتْبَعَنِي إلى السوق، فقلت له: ما تصنع بالسوق، وأنت لا تَقِف على البيع، ولا تسأل عن السِّلَعِ، ولا تَسُومُ بها، ولا تجلس في مجالس السوق؟ وأقول: اجلس بنا هاهنا نَتَحَدَثُ، فقال: يا أبا بَطْنٍ -وكان الطفيل ذا بَطْنٍ- إنما نَغْدُو من أجل السلام، فنُسَلِّمُ على من لَقيْنَاهُ.

 
Hadith   85   الحديث
الأهمية: الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ من الله، والحُلُمُ من الشيطان
থিম: ভালো স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।

عن أبي قتادة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <الرُّؤْيَا الصَّالِحَةُ -وفي رواية: الرُّؤْيَا الحَسَنَةُ- من الله، والحُلُمُ من الشيطان، فمن رأى شيئًا يَكْرَهُهُ فَلْيَنْفُثْ عن شماله ثلاثا، وَلْيَتَعَوَّذْ من الشيطان؛ فإنها لا تضره>.
   وعن جابر -رضي الله عنه- عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   إذا رأى أحدكم الرُّؤْيَا يَكْرَهُهَا، فَلْيَبْصُقْ عن يساره ثلاثا، ولْيَسْتَعِذْ بالله من الشيطان ثلاثا، ولْيَتَحَوَّلْ عن جَنْبِه الذي كان عليه>.

 
Hadith   86   الحديث
الأهمية: جاء رجل إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: السلام عليكم، فَرَدَّ عليه ثم جَلس، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: عشر، ثم جاء آخر، فقال: السلام عليكم ورحمة الله، فَرَدَّ عليه فجلس، فقال: عشرون
থিম: একটি লোক নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে এভাবে সালাম করল 'আসসালামু আলাইকুম' আর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জবাব দিলেন। অতঃপর লোকটি বসে গেলে তিনি বললেন, "ওর জন্য দশটি নেকী।" তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি এসে 'আসসালামু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহ<' বলে সালাম পেশ করল। নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালামের উত্তর দিলেন এবং লোকটি বসলে তিনি বললেন, "ওর জন্য বিশটি নেকী।

عن عمران بن الحُصَيْن -رضي الله عنهما-، قال: جاء رجل إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: السلام عليكم، فَرَدَّ عليه ثم جَلس، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: <عَشْرٌ   ثم جاء آخر، فقال: السلام عليكم ورحمة الله، فَرَدَّ عليه فجلس، فقال:   عشرون   ثم جاء آخر، فقال: السلام عليكم ورحمة الله وبركاته، فَرَدَّ عليه فجلس، فقال:   ثلاثون>.

 
Hadith   87   الحديث
الأهمية: السِّواك مَطْهَرَةٌ للْفَم مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ
থিম: মিসওয়াক করা মুখের পবিত্রতা ও রবের সন্তষ্টির কারণ।

عن عائشة -رضي الله عنها-: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   السِّواك مَطْهَرَةٌ للْفَم مَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ>.

 
Hadith   88   الحديث
الأهمية: يَغْفِرُ الله للشَّهيد كُلَّ شيءٍ إلا الدَّين
থিম: আল্লাহ শহীদকে ঋণ ব্যতীত সবকিছু ক্ষমা করে দেন।

عن عبد الله بن عمرو بن العاص -رضي الله عنهما- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   يَغْفِرُ الله للشَّهيد كُلَّ شيءٍ إلا الدَّين>.    وفي رواية له:   القَتْل في سَبِيل الله يُكَفِّر كلَّ شيءٍ إلا الدَّين>.

 
Hadith   89   الحديث
الأهمية: الصلوات الخمس، والجمعة إلى الجمعة، ورمضان إلى رمضان مُكَفِّراتٌ لما بينهنَّ إذا اجتُنبَت الكبائر
থিম: পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমু'আ থেকে আরেক জুমু'আ এবং এক রামাযান থেকে আরেক রামাযান এর মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কাফফারা হয়ে যায়, যদি কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয়।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   الصلوات الخمس، والجمعة إلى الجمعة، ورمضان إلى رمضان مُكَفِّراتٌ لما بينهنَّ إذا اجتُنبَت الكبائر>.

 
Hadith   90   الحديث
الأهمية: العِبَادَة في الهَرْجِ كَهِجْرَةٍ إليَّ
থিম: হানাহানির সময় ইবাদত করা আমার দিকে হিজরত করার সমতুল্য।

عن معقل بن يسار -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <العِبَادَة في الهَرْجِ كَهِجْرَةٍ إليَّ>.

 
Hadith   91   الحديث
الأهمية: اللهم اغفر لقومي، فإنهم لا يعلمون
থিম: ''হে আল্লাহ! তুমি আমার জাতিকে ক্ষমা করে দাও। কেননা, তারা জানে না।"

عن أبي عبد الرحمن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- قال: كَأَنِّي أَنْظُر إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يَحْكِي نَبِيًّا من الأنبياء، صلوات الله وسلامه عليهم، ضربه قومه فَأَدْمَوْهُ، وهو يمَسحُ الدَم عن وجهِهِ، يقول:   اللهم    اغفر لِقَوْمِي؛ فإنهم لا يعلمون>.

 
Hadith   92   الحديث
الأهمية: اللهم إني أَسْأَلُكَ الهُدى وَالتُّقَى والعفاف والغنى
থিম: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়াত, পরহেযগারী, অশ্লীলতা হতে পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان يقول:   اللهم إني أَسْأَلُكَ الهُدى، وَالتُّقَى، والعفاف، والغنى>.

 
Hadith   93   الحديث
الأهمية: جاء ناسٌ إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- أن ابْعَثْ مَعَنَا رجالًا يُعَلِّمُونَا القرآن وَالسُّنَّةَ، فبَعَث إليهم سَبْعِين رجلاً من الأنْصَار يقال لهم: القُرَّاء، فيهم خَالي حَرَامٌ
থিম: কতিপয় লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললো, আমাদের সঙ্গে এমন কিছু লোক দিন যারা আমাদেরকে কুরআন এবং সুন্নাহ শিক্ষা দিবেন। তখন তিনি আনসারদের সত্তর ব্যক্তিকে তাদের সাথে প্রেরণ করলেন। তাদেরকে কুররা (ক্বারী সমাজ) বলা হতো। তাদের মধ্যে আমার মামা হারাম (রাদিয়াল্লাহু 'আনহুও) ছিলেন।

عن أنس -رضي الله عنه- قال: جاء ناس إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- أن ابعث معنا رجالاً يعلمونا القرآن والسنة، فبعث إليهم سبعين رجلا ًمن الأنصار يقال لهم: القراء، فيهم خالي حَرامٌ، يقرؤون القرآن، ويتدارسون بالليل يتعلمون، وكانوا بالنهار يَجِيئُون بالماء، فيضعونه في المسجد، ويحتطبون فيبيعونه، ويشترون به الطعام لأهل الصُّفَّةِ، وللفقراء، فبعثهم النبي -صلى الله عليه وسلم- فَعَرَضُوا لهم فقتلوهم قبل أن يبلغوا المكان، فقالوا: اللهم بلَغِّ ْعَنَّا نبينا أنا قد لَقِينَاك فرضينا عنك ورَضِيتَ عَنَّا، وأتى رجلٌ حَرَاماً خال أنس من خلفه، فطعنه برُمْحٍ حتى أَنْفَذَهُ، فقال حَرَامٌ: فُزْتُ ورَبِّ الكعبة، فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <إن إخوانكم قد قُتِلُوا وإنهم قالوا: اللهم بلغ عنا نبينا أنا قد لقيناك فرضينا عنك ورضيت عنا>.

 
Hadith   94   الحديث
الأهمية: اللهم لك أَسلمت، وبك آمنت، وعليك توكلت، وإليك أنبت، وبك خَاصمت. اللهم أعوذ بِعزتك؛ لا إله إلا أنت أن تُضلَّني، أنت الحي الذي لا تموت، والجن والإنس يموتون
থিম: হে আল্লাহ! আমি নিজকে তোমার নিকট সমর্পণ করলাম, তোমার প্রতি ঈমান আনলাম, তোমারই উপর ভরসা করলাম। হে আল্লাহ! তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করলাম, তোমারই ক্ষমতায় (শত্রুর বিরুদ্ধে) বিবাদ করলাম। হে আল্লাহ! তোমার ইয্যতের অসীলায় আমি আশ্রয় চাচ্ছি---তুমি ছাড়া কেউ (সত্য) উপাস্য নেই---তুমি আমাকে পথভ্রষ্ট করো না। তুমি সেই চিরঞ্জীব, যে কখনো মরবে না এবং জিন ও মানবজাতি মৃত্যুবরণ করবে।

عن ابن عباس -رضي الله عنهما- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كان يقول:   اللَّهُمَّ لك أَسْلَمْتُ، وبِكَ آمَنتُ، وعَلَيكَ تَوَكَّلْت، وإِلَيكَ أَنَبْتُ، وبك خَاصَمْتُ، اللهم أعُوذ بِعزَّتك؛ لا إله إلا أنت أن تُضلَّني، أنت الحَيُّ الذي لا تموت، والجِنُّ والإنْسُ يَمُوتُونَ>.

 
Hadith   95   الحديث
الأهمية: اليدُ العُلْيَا خير من اليدِ السُّفْلَى، واليد العُلْيَا هي المُنْفِقَةُ، والسُّفْلَى هي السَائِلة
থিম: উপরের হাত নিচের হাত থেকে উত্তম; উপরের হাত হলো দানকারীর এবং নিচের হাত হলো যাচ্ঞাকারীর।

عن ابن عمر -رضي الله عنهما- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال وهو على المِنْبَر، وذكر الصدقة والتَّعَفُّفَ عن المسألة:   اليدُ العُلْيَا خير من اليدِ السُّفْلَى، واليد العُلْيَا هي المُنْفِقَةُ، والسُّفْلَى هي السَائِلة>.

 
Hadith   96   الحديث
الأهمية: أما إنك لو أعطيتها أخوالك كان أعظم لأجرك
থিম: তুমি যদি তোমার মামাদেরকে এটা দান করতে তাহলে তুমি অধিক সাওয়াব পেতে।

عن أم المؤمنين ميمونة بنت الحارث -رضي الله عنها-: أنها أعتقت وَليدَةً ولم تستأذن النبي -صلى الله عليه وسلم- فلما كان يَومُها الذي يَدورُ عليها فيه، قالت: أشَعَرْتَ يا رسول الله، أني أعتقت وليدتي؟ قال:   أو فعلت؟   قالت: نعم. قال:   أما إنك لو أعطيتها أخوالك كان أعظم لأجرك>.

 
Hadith   97   الحديث
الأهمية: إن الله -عز وجل- أمرني أن أقرأ عليك (لم يكن الذين كفروا)
থিম: আল্লাহ -আয্যা ওয়া জাল্লা- আমাকে নির্দেশ দেন যে, আমি যেন তোমাকে (لم يكن الذين كفروا) (সূরা আল-বাইয়্যেনাহ) পড়ে শোনাই।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لأُبَي بنِ كعْب -رضي الله عنه-: <إن الله -عز وجل- أمَرَني أن أَقْرَأَ عَلَيك: (لم يكن الذين كفروا...) قال: وسمَّاني؟ قال:   نعم   فبكى أُبي. وفي رواية: فَجَعَل أُبَي يَبكِي.

 
Hadith   98   الحديث
الأهمية: أَمْسِكْ عليك لِسَانَكَ، وَلْيَسَعْكَ بَيتُك، وابْكِ على خَطِيئَتِكَ
থিম: তুমি তোমার যবানকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখ, তোমার ঘর যেন তোমার জন্যে যথেষ্ট হয় আর স্বীয় গুনাহের জন্য ক্রন্দন কর।

عن عُقْبَة بن عامر -رضي الله عنه- قال: قلت: يا رسول الله ما النَّجَاة؟ قال:   أَمْسِكْ عليك لِسَانَكَ، وَلْيَسَعْكَ بَيتُك، وابْكِ على خَطِيئَتِكَ>.

 
Hadith   99   الحديث
الأهمية: إن العَبْد إذا نَصَح لسيِّده، وأحسن عِبَادة الله، فله أجْرُه مَرَّتَين
থিম: ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <'আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "নিঃসন্দেহে কোন গোলাম যখন তার মনিবের কল্যাণকামী হয় ও আল্লাহর বন্দেগী (যথারীতি) করে, তখন তার দ্বিগুণ সওয়াব অর্জিত হয়।" বুখারী ও মুসলিম। আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু <'আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যে অধীনস্থ গোলাম তার রবের ইবাদত সুন্দরভাবে করে এবং তার ওপর থাকা মালিকের হক, হিতকামনা ও আনুগত্য যথরীতি আদায় করে, তার জন্য দ্বিগুণ সওয়াব রয়েছে।" বুখারী

عن ابن عمر -رضي الله عنهما-: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   إن العَبْد إذا نَصَح لسيِّده، وأحسن عِبَادة الله، فله أجْرُه مَرَّتَين>.
عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <المَمْلُوك الذي يُحْسِنُ عِبَادَةَ رَبِّهِ، وَيُؤَدِّي إلى سَيِّدِهِ الذي له عليه من الحَق، والنَّصيحة، والطَّاعة، له أجْرَان>.

 
Hadith   100   الحديث
الأهمية: إن أَوْلَى الناس بالله من بَدَأَهُمْ بالسلام
থিম: নিশ্চয় আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী মানুষ সেই, যে প্রথমে সালাম দেয়।

عن أبي أمامة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <إن أَوْلَى الناس بالله من بَدَأَهُمْ بالسلام>.
وفي رواية للترمذي: قيل: يا رسول الله، الرَّجُلان يَلْتَقِيَان أَيُّهُمَا يَبْدَأُ بالسلام؟، قال:   أَوْلاهُمَا بالله تعالى>.

 
Hadith   101   الحديث
الأهمية: إنَّ في الجنَّة مائة دَرَجَة أعَدَّهَا الله للمُجاهِدين في سَبِيل الله ما بَيْنَ الدَّرَجَتَيْنِ كما بين السماء والأرض
থিম: আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু 'আনহ থেকে মারফু' সূত্রে বর্ণিত, "নিশ্চয় আল্লাহর পথে মুজাহিদদের জন্য আল্লাহ তা'আলা জান্নাতে একশটি মর্যাদার স্তর প্রস্তুত রেখেছেন। দু'টি স্তরের ব্যবধান আসমান ও যমীনের দূরত্বের ন্যায়।"

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   إنَّ في الجنَّة مائةَ دَرَجَة أعَدَّهَا الله للمُجاهِدين في سَبِيل الله ما بَيْنَ الدَّرَجَتَيْنِ كما بين السماء والأرض>.

 
Hadith   102   الحديث
الأهمية: إن في الليل لساعة، لا يُوَافِقُهَا رجُلٌ مُسلم يَسأل الله تعالى خيرًا من أمْرِ الدنيا والآخرة، إلا أعْطَاه إِياه، وذلك كُلَّ ليلة
থিম: রাত্রিকালে এমন একটি সময় রয়েছে যে সময় কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কোনো কল্যাণের প্রার্থনা করলে আল্লাহ অবশ্যই তাকে তা দান করেন। আর সে সময়টি রয়েছে প্রতি রাতে।

عن جابر -رضي الله عنه- قال: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   إن في الليل لساعة، لا يُوَافِقُهَا رجُلٌ مُسلم يَسأل الله تعالى خيرًا من أمْرِ الدنيا والآخرة، إلا أعْطَاه إِياه، وذلك كُلَّ ليلة>.

 
Hadith   103   الحديث
الأهمية: أعْطُوه، فإن خَيْرَكم أحْسَنُكُم قَضَاء
থিম: তাকে তাই দিয়ে দাও। তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোত্তম যে ঋণ পরিশোধের বেলায় উত্তম।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه-: أن رجلًا أتى النبي -صلى الله عليه وسلم- يَتَقَاضَاهُ فَأغْلَظَ له، فَهَمَّ به أصحابه، فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <دَعُوه، فإن لِصَاحب الحَقِّ مَقَالا   ثم قال:   أعْطُوهُ سِنًّا مِثْل سِنِّهِ   قالوا: يا رسول الله، لا نَجِدُ إلا أمْثَلَ مِنْ سِنِّهِ، قال:   أعْطُوه، فإن خَيْرَكم أحْسَنُكُم قَضَاء>.

 
Hadith   104   الحديث
الأهمية: إن من أعظم الفِرَى أن يَدَّعِيَ الرجل إلى غير أبيه، أو يُرِي عَيْنَهُ ما لم تَرَ، أو يقول على رسول الله -صلى الله عليه وسلم- ما لم يَقْلْ
থিম: সবচেয়ে বড় মিথ্যাসমূহের অন্যতম হলো, কোনো ব্যক্তি কর্তৃক এমন কাউকে পিতা বলে দাবী করা যিনি তার পিতা নয়, অথবা আপন চক্ষু দিয়ে (স্বপ্নে) এমন কিছু দেখার দাবি করা যা দেখতে পায়নি। অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর এমন কথা বলার দাবি করা যা তিনি বলেন নি।

عن وَاثِلَةَ بن الأَسْقَعِ ـ رضي الله عنه ـ مرفوعاً:   إن من أعظم الفِرَى أن يَدَّعِيَ الرجلُ إلى غير أبيه، أو يُرِي عَيْنَهُ ما لم تَرَ، أو يقول على رسول الله -صلى الله عليه وسلم- ما لم يَقْلْ>.

 
Hadith   105   الحديث
الأهمية: قال الله -عز وجل-: أنا عند ظن عَبدي بي، وأنا معه حيث يَذكُرني
থিম: মহান আল্লাহ বলেছেন, "আমার প্রতি বান্দার ধারণা অনুযায়ী আমি তার সঙ্গে আচরণ করি। আর আমি (জানা ও দেখার মাধ্যমে) তার সাথে থাকি যখন সে আমাকে স্মরণ করে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً:   قال الله -عز وجل-: أنا عند ظنِّ عَبدي بي، وأنا معه حيث يَذكُرني، والله، لَلَّه أَفرَحُ    بِتَوبَةِ عَبدِهِ مِنْ أَحَدِكُم يَجدُ ضَالَّتَهُ بالفَلاَة،    وَمَنْ تَقَرَّب إِلَيَّ شِبْرًا، تقرَّبتُ إليه ذِرَاعًا، ومن تقرب إلي ذِراعًا، تقربت إليه بَاعًا، وإذا أَقْبَلَ إِلَيَّ يمشي أَقْبَلْتُ إِلَيهِ أُهَرْوِلُ>. متفق عليه، وهذا لفظ إحدى روايات مسلم. وروي في الصحيحين:   وأنا معه حِينَ يَذْكُرُنِي   بالنون، وفي هذه الرواية. <حيث   بالثاء وكلاهما صحيح.

 
Hadith   106   الحديث
الأهمية: زهد أهل الصفة والصحابة عموما في الدنيا
থিম: আমি আসহাবে সুফ্ফার সত্তরজনকে দেখেছি, তাদের কারো গায়ে বড় চাদর ছিল না।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: لَقَد رَأَيت سبعين من أهل الصُّفَّةِ، مَا مِنهُم رَجُل عَلَيه رِدَاء، إِمَّا إِزَار، وإِمَّا كِسَاء، قد رَبَطوا في أعناقِهم، فمنها ما يبلغُ نصف الساقين، ومنها ما يبلغ الكعبين، فَيَجْمَعُهُ بيده كَرَاهِيَةَ أن تُرى عورَتُه.

 
Hadith   107   الحديث
الأهمية: بأي شيء كان يَبْدَأُ النبي -صلى الله عليه وسلم- إذا دخل بَيته؟ قالت: بالسِّوَاك
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <'আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে প্রবেশ করে সর্বপ্রথম কোন কাজটি করতেন? 'আয়েশা রাদিয়াল্লাহু <'আনহা বললেন, সর্বপ্রথম মিসওয়াক করতেন।

عن شريح بن هانىء، قال: قلت لعائشة رضي الله عنها: بأي شيء كان يبدأ النبي - صلى الله عليه وسلم - إذا دخل بيته؟ قالت: بالسواك.

 
Hadith   108   الحديث
الأهمية: فإن مالَه ما قدَّم ومال وارثِه ما أخَّر
থিম: নিশ্চয় মানুষের নিজের সম্পদ তা-ই, যা সে আগে পাঠিয়েছে, আর যা পিছনে ছেড়ে যাবে তা উত্তরাধিকারীর সম্পদ।

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <أيُّكم مالُ وارثِه أحَبُّ إليه من مالَه؟   قالوا: يا رسول الله، ما منَّا أحد إلا مَالُه أحَبُّ إليه. قال:   فإن مالَه ما قدَّم، ومالُ وارثِه ما أخَّر>.

 
Hadith   109   الحديث
الأهمية: بَادِرُوا الصُّبْحَ بالوِتر
থিম: সুবহে সাদিকের আগে আগেই তোমরা বিতর পড়ে নিবে।

عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   بادروا الصبح بالوتر>.

 
Hadith   110   الحديث
الأهمية: أن رجلاً أصاب من امرأةٍ قُبْلَةً، فأتى النبي -صلى الله عليه وسلم- فأخبره، فأنزل الله -تعالى-: (وأقم الصلاة طرفي النهار وزلفا من الليل إن الحسنات يذهبن السيئات)
থিম: এক ব্যক্তি এক মহিলাকে চুম্বন করে ফেলল। পরে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <'আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বিষয়টি অবগত করালো। তখন আল্লাহ তা'আলা আয়াত নাযিল করেন: "আর আপনি সালাত কায়েম করুন দিবসের দু'প্রান্তে এবং রাতের প্রথম অংশে। নিশ্চয় ভালো কাজ মন্দ কাজকে মিটিয়ে দেয়।" (সূরা হূদ, আয়াত: ১১৪)

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- مرفوعاً: أن رجلاً أصاب من امرأةٍ قُبْلَةً، فأتى النبي -صلى الله عليه وسلم- فأخبره، فأنزل الله -تعالى-: (وأقم الصلاة طَرَفَيِ النَّهَار وزُلَفًا مِنَ اللَّيلِ إِنَّ الحَسَنَاتِ يُذْهِبنَ السَّيِئَات) [هود: 114] فقال الرجل: ألي هذا يا رسول الله؟ قال:   لِجَمِيعِ أُمَّتِي كُلِّهِم>.

 
Hadith   111   الحديث
الأهمية: جاء رجل إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: يا رسول الله، أصبت حدًا، فأقمه عليَّ
থিম: এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <'আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলল, "হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ তথা শরী'আত নির্ধারিত শাস্তি পাওয়ার যোগ্য কাজ করে ফেলেছি। সুতরাং আপনি আমার ওপর তা প্রয়োগ করুন।

عن أنس -رضي الله عنه- مرفوعاً: جاء رجل إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: يا رسول الله، أصَبْتُ حدًّا، فَأَقِمْه عليَّ، وحضرت الصلاة، فصلى مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فلمَّا قضى الصلاة، قال: يا رسول الله، إني أصَبْتُ حَدًّا فأقم فيَّ كتاب الله. قال:   هل حَضَرْتَ مَعَنَا الصلاة>؟ قال: نعم. قال:   قد غُفِر لك>.

 
Hadith   112   الحديث
الأهمية: إذا أراد الله -تعالى- رحمةَ أُمَّةٍ قَبض نبيَّها قبلها، فجعلَه لها فَرطًا وسَلفًا بين يديها
থিম: আল্লাহ তা'আলা যখন কোনো উম্মাতের প্রতি রহমতের ইচ্ছা করেন, তখন তাদের নবীকে তাদের আগেই তুলে নেন এবং তাঁকে তাদের যুগের অগ্রগামী ও পূর্ববর্তী করেন।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- مرفوعاً:   إذا أراد الله تعالى رحمة أُمَّة، قَبض نبيَّها قبلها، فَجَعَلَهُ لها فَرَطًا وسَلفًا بين يديها، وإذا أراد هلَكَةً أُمَّة، عَذَّبَها ونَبِيُّهَا حَيٌّ ، فأهْلَكَها وهو حَيٌّ يَنظرُ، فأقرَّ عينَه بِهَلاَكِهَا حين كذَّبُوه وعَصَوا أمرَه>.

 
Hadith   113   الحديث
الأهمية: بَلِّغُوا عَنِّي ولو آية، وحَدِّثُوا عن بَنِي إسرائيل ولا حَرَج، ومن كَذَب عليَّ مُتَعَمِدَا فَليَتَبَوَّأ مَقْعَدَه من النَّار
থিম: আমার কথা পৌঁছিয়ে দাও, তা যদি এক আয়াতও হয়। আর বনী ইসরাঈল থেকে বর্ণনা করো। এতে কোনো দোষ নেই; কিন্তু যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ওপর মিথ্যারোপ করল সে যেনো জাহান্নামে তার ঠিকানা নির্ধারিত করে নিলো।

عن عبد الله بن عمرو بن العاص -رضي الله عنهما-: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   بلغوا عني ولو آية، وحدثوا عن بني إسرائيل ولا حرج، ومن كذب علي متعمدا فَلْيَتَبَوَّأْ مقعده من النار>.

 
Hadith   114   الحديث
الأهمية: لَك بها يوم القيامة سَبْعُمائَةِ نَاقة كُلُّهَا مَخْطُومَة
থিম: তোমার জন্য রয়েছে এর বিনিময়ে কিয়ামতের দিন সাতশত উষ্ট্রী, যেগুলো সবই হবে নাকে রশিযুক্ত।

عن أبي مسعود -رضي الله عنه- قال: جاء رجل إلى النبي -صلى الله عليه وسلم- بناقة مَخْطُومَةٍ، فقال: هذه في سبيل الله، فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <لك بها يوم القيامة سبعمائة ناقة كلها مَخْطُومَةٍ>.

 
Hadith   115   الحديث
الأهمية: أن رجلًا استأذن على النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: ائْذَنُوا له، بِئْسَ أخُو العَشِيرَة
থিম: একবার এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু <'আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আসার জন্য অনুমতি চাইল, তিনি বললেন, "তাকে অনুমতি দাও, সে উক্ত বংশের কতই না খারাপ লোক।"

عن عائشة -رضي الله عنها- أن رجلًا استأذن على النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال:   ائْذَنُوا له، بئس أخو العَشِيرَةِ؟>.

 
Hadith   116   الحديث
الأهمية: من سَرَّه أن يَنْظَر إلى رجُل من أهل الجَنَّة فَلْيَنْظر إلى هذا
থিম: "যে ব্যক্তি জান্নাতবাসীদের কোন লোক দেখতে আগ্রহী, সে যেন এই লোকটিকে দেখে।"

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن أعْرَابيًا أتَى النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال: يا رسول الله، دُلَّنِي على عمل إذا عَمِلتُه، دخلت الجنة. قال:   تَعْبُدُ الله لا تُشرك به شيئا، وتُقِيم الصلاة، وتُؤتي الزكاة المَفْرُوضَة، وتصوم رمضان   قال: والذي نفسي بيده، لا أَزِيْدُ على هذا، فلمَّا ولَّى قال النبي -صلى الله عليه وسلم-: <من سَرَّه أن يَنْظَر إلى رجُل من أهل الجَنَّة فَلْيَنْظر إلى هذا>.

 
Hadith   117   الحديث
الأهمية: لو كانت الدنيا تَعدل عند الله جَناح بَعوضة، ما سقى كافراً منها شربة ماء
থিম: দুনিয়া যদি আল্লাহর নিকট মাছির ডানার সমান হতো, তাহলে তিনি কোনো কাফেরকে তার এক ঢোক পানিও পান করাতেন না।

عن سهل بن سعد الساعدي ـرضي الله عنه- قَالَ رَسُول اللَّه -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم-: <لو كانت الدنيا تَعدل عند الله جَناح بَعوضة، ما سَقَى كافراً منها شَرْبَة ماء>.

 
Hadith   118   الحديث
الأهمية: لما قَدِم النبي -صلى الله عليه وسلم- من غَزْوة تَبُوك تَلَقَّاهُ الناس، فَتَلَقَّيتُه مع الصِّبْيَان على ثَنيَّةِ الوَدَاع
থিম: যখন নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবূক অভিযান হতে ফিরে এলেন, তখন তাঁকে মানুষেরা অভ্যর্থনা জানিয়ে আনতে গেল। আমি গেলাম বাচ্চাদের সাথে সানিয়াতুল ওদা' নামক স্থানে।

عن السَّائب بن يزيد -رضي الله عنه- قال: لما قَدِم النبي -صلى الله عليه وسلم- من غَزْوة تَبُوك تَلَقَّاهُ الناس، فَتَلَقَّيتُه مع الصِّبْيَان على ثَنيَّةِ الوَدَاع.   
ورواية البخاري قال: ذَهَبْنا نَتَلَقَّى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- مع الصِّبْيَان إلى ثَنيَّةِ الوَدَاع.

 
Hadith   119   الحديث
الأهمية: ثلاثة لهم أجْرَان: رجُلٌ من أهل الكتاب آمن بِنَبِيِّه، وآمَن بمحمد، والعَبْد المملوك إذا أَدَّى حَقَّ الله، وحَقَّ مَوَالِيه، ورَجُل كانت له أمَة فأدَّبَها فأحسن تَأدِيبَها، وَعَلَّمَهَا فأحسن تَعْلِيمَهَا، ثم أعْتَقَها فتزوجها؛ فله أجران
থিম: তিন লোকের জন্য দ্বিগুণ পুরুস্কার রয়েছে: (১) আহলে কিতাবের যে ব্যক্তি তার নবীর ওপর ঈমান এনেছে এবং মুহাম্মাদের ওপরও ঈমান এনেছে। (২) যে ক্রীতদাস আল্লাহর হক এবং তার মালিকের হক দুটিই আদায় করে। (৩) যে লোক তার বাঁদীকে সুন্দরভাবে আদব-কায়দা শিখিয়েছে এবং ভালোভাবে দীনি ইলম শিক্ষা দিয়েছে অতঃপর তাকে আযাদ করে বিয়ে করেছে; তার জন্যও দু'টি বিনিময় রয়েছে।

عن أبي موسى الأشعري-رضي الله عنه- مرفوعاً:   ثلاثة لهم أجْرَان: رجُلٌ من أهل الكتاب آمن بِنَبِيِّه، وآمَن بمحمد، والعَبْد المملوك إذا أَدَّى حَقَّ الله، وحَقَّ مَوَالِيه، ورجل كانت له أمَة فأدَّبَها فأحسن تَأدِيبَها، وَعَلَّمَهَا فأحسن تَعْلِيمَهَا، ثم أعْتَقَها فتزوجها؛ فله أجران>.

 
Hadith   120   الحديث
الأهمية: أُعطينا من الدنيا ما أُعطينا، قد خشينا أن تكون حسناتُنا عُجِّلت لنا
থিম: আমাদেরকে দুনিয়ার জীবনে যা দেওয়ার সবই দেওয়া হয়েছে। এমনকি আমরা আশংকা করছি যে, আমাদের সৎকর্মগুলো (বিনিময়) আগেই (এ দুনিয়াতে) দিয়ে দেওয়া হয় নি তো?

عن إبراهيم بن عبد الرحمن بن عوف، أن عبد الرحمن بن عوف -رضي الله عنه- أُتي بطعام وكان صائمًا، فقال: قُتِل مُصعب بن عمير -رضي الله عنه- وهو خيرٌ مني، فلم يوجد له ما يُكفَّن فيه إلا بُردة إن غُطِّيَ بها رأسه بَدَت رِجْلاه؛ وإن غُطِّيَ بها رجلاه بدا رأسه، ثم بُسِط لنا مِنَ الدنيا ما بُسِط، أو قال: أُعْطِينا من الدنيا ما أُعطِينا، قد خَشِينَا أن تكون حَسَنَاتُنا عُجِّلَت لنا، ثم جعل يبكي حتى ترك الطعام.

 
Hadith   121   الحديث
الأهمية: ما يُصيب المسلم من نَصب، ولا وصَب، ولا هَمِّ، ولا حَزن، ولا أَذى، ولا غَمِّ، حتى الشوكة يُشاكها إلا كفر الله بها من خطاياه
থিম: মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে সকল যাতনা, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানী আপতিত হয়, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে বিদ্ধ হয়, এ সবের দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।

عن أبي سعيد وأبي هريرة -رضي الله عنهما- مرفوعاً:   ما يُصيب المسلم من نَصب، ولا وصَب، ولا هَمِّ، ولا حَزن، ولا أَذى، ولا غَمِّ، حتى الشوكة يُشاكها إلا كفر الله بها من خطاياه>.

 
Hadith   122   الحديث
الأهمية: حُجِبت النار بالشهوات، وحُجبت الجنة بالمَكَاره
থিম: জাহান্নাম প্রবৃত্তি দিয়ে বেষ্টিত। আর জান্নাত বেষ্টিত দুঃখ-ক্লেশ দিয়ে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   حُجِبت النار بالشهوات، وحُجبت الجنة بالمَكَاره>متفق عليه وهذا لفظ البخاري.
وفي رواية لهما:   حُفَّت   بدل <حُجِبت>.

 
Hadith   123   الحديث
الأهمية: يا حكيمُ، إن هذا المال خَضِرٌ حُلْوٌ، فمن أخذه بِسَخاوَة نفس بُورِك له فيه، ومن أخذه بإشراف نفس لم يُبَارَك له فيه، وكان كالذي يأكل ولا يَشَبَع، واليدُ العُليا خيرٌ من اليد السُفلى
থিম: হে হাকীম, এই সম্পদ শ্যামল সুস্বাদু। যে ব্যক্তি প্রশস্ত অন্তরে (লোভ ছাড়া) তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় হয়। আর যে ব্যক্তি অন্তরের লোভসহ তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় করা হয় না। যেন সে এমন ব্যক্তির মত, যে খায় কিন্তু তার ক্ষুধা মিটে না। আর উপরের হাত নিচের হাত থেকে উত্তম।

عن حكيم بن حِزَام -رضي الله عنه- قال: سألت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فأعطاني، ثم سَألته فأعطاني، ثم سألته فأعطاني، ثم قال:   يا حكيمُ، إن هذا المال خَضِرٌ حُلْوٌ، فمن أخذه بِسَخاوَة نفس بُورِك له فيه، ومن أخذه بإشراف نفس لم يُبَارَك له فيه، وكان كالذي يأكل ولا يَشَبَع، واليدُ العُليا خيرٌ من اليد السُفلى   قال حكيم: فقلت: يا رسول الله، والذي بعثك بالحق لا أرْزَأُ أحدًا بَعدك شيئاً حتى أفارق الدنيا، فكان أبو بكر -رضي الله عنه- يَدعو حكيماً ليُعطيه العَطَاءَ، فيأبى أن يقبل منه شيئاً، ثم إن عمر -رضي الله عنه- دعاه ليُعطيه فأبى أن يَقبله. فقال: يا معشر المسلمين، أُشهدكم على حكيم أني أعْرِض عليه حقه الذي قَسَمَه الله له في هذا الفَيْء فيَأبى أن يأخذه. فلم يَرْزَأْ حكيم أحدًا من الناس بعد النبي -صلى الله عليه وسلم- حتى تُوفي.

 
Hadith   124   الحديث
الأهمية: خرجنا مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- في غزاة ونحن سِتَّةُ نَفَرٍ بَيننا بعيرٌ نَعْتَقِبُهُ، فَنَقِبَتْ أقدامُنا وَنَقِبَت قَدَمِي
থিম: এক যুদ্ধে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বের হলাম। আমরা ছিলাম ছয়জন। আমাদের একটি মাত্র উট ছিল। পালাক্রমে আমরা এর পিঠে আরোহণ করতাম। (হেঁটে হেঁটে) আমাদের পা ফেটে যায়। আমার পা দু'খানাও ফেটে গেল।

عن أبي موسى -رضي الله عنه- قال: خرجنا مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فِي غَزَاة ونحن سِتَّةُ نَفَرٍ بَيننا بعيرٌ نَعْتَقِبُهُ، فَنَقِبَتْ أقدامُنا وَنَقِبَت قَدَمِي، وسَقطت أَظْفَارِي، فكنَّا نَلُفُّ على أَرْجُلِنَا الْخِرَقَ ، فَسُمِّيَت غَزْوَة ذَاتُ الرِّقَاع لما كنَّا نَعْصِب على أرجُلنا من الخِرق، قال أبو بردة: فحدث أبو موسى بهذا الحديث، ثم كره ذلك، وقال: ما كنت أصنع بأن أَذْكُرَه! قال: كأنه كره أن يكون شيئا من عمله أفْشَاه.

 
Hadith   125   الحديث
الأهمية: لقد قُلْتِ كلِمَة لو مُزِجَت بماء البحر لَمَزَجَتْهُ!
থিম: আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললাম, 'আপনার জন্য সাফিয়ার এই এই হওয়া যথেষ্ট।' (কোন কোন বর্ণনাকারী বলেন, তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, সাফিয়া বেঁটে।) এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে) বললেন, "তুমি এমন কথা বললে, যদি তা সমুদ্রের পানিতে মিশানো হয়, তাহলে তা তার স্বাদ পরিবর্তন করে দেবে!"
আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, একদা তাঁর নিকট একটি লোকের পরিহাসমূলক ভঙ্গি নকল করলাম। তিনি বললেন, "কোন ব্যক্তির পরিহাসমূলক ভঙ্গি নকল করি আর তার বিনিময়ে এত এত পরিমাণ ধনপ্রাপ্ত হই, এটা আমি আদৌ পছন্দ করি না। এটি বর্ণনা করেছেন, আবূ দাউদ ও তিরমিযী। আর তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। আর "যদি তার সাথে মিশে যায়" এ কথার অর্থ হলো যদি পানির সাথে ভালোভাবে তা মিশে যায়, তবে তার কঠিন দুর্গন্ধ ও কদর্যতার কারণে তার স্বাদ ও ঘ্রাণ পরিবর্তন হয়ে যাবে।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: قلت للنبي -صلى الله عليه وسلم-: حَسْبُك من صفية كذا وكذا. قال بعض الرُوَاة: تَعْني قَصِيرة، فقال:   لقد قُلْتِ كلِمَة لو مُزِجَت بماء البحر لَمَزَجَتْهُ!> قالت: وحَكَيْتُ له إِنْسَانًا فقال:   ما أُحِبُّ أَني حَكَيْتُ إِنْسَانًا وإن لي كذا وكذا>.

 
Hadith   126   الحديث
الأهمية: حقُّ المُسلمِ على المُسلمِ خمسٌّ: ردُّ السلام، وعيادة المريض، واتباع الجنائز، وإجابة الدَّعوة، وتَشميتُ العاطِس
থিম: এক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের পাঁচটি অধিকার: সালামের জবাব দেওয়া, রুগীকে দেখতে যাওয়া, জানাযার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচী দাতার জবাব দেওয়া।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه-: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:<حقُّ المُسلمِ على المُسلمِ خمسٌّ: ردُّ السلام، وعِيَادَةُ المريض، واتباع الجنائز، وإجابة الدَّعوة، وتَشميتُ العاطِس>.

 
Hadith   127   الحديث
الأهمية: حُوسِب رجُل ممن كان قَبْلَكُمْ، فلم يُوجد له من الخَيْر شيء، إلا أنه كان يُخَالط الناس وكان مُوسِرًا، وكان يأمُر غِلْمَانَه أن يَتَجَاوَزُوا عن المُعْسِر، قال الله -عز وجل-: نحن أحَقُّ بذلك منه؛ تَجَاوزُوا عنه
থিম: তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের মধ্যে একটি লোকের হিসাব নেওয়া হয়েছিল। তার একটি মাত্র সৎকর্ম ব্যতিরেকে আর কোনো ভালো কাজ পাওয়া যায় নি। সেটি হলো এই যে, সে লোক সমাজে মিলে-মিশে থাকত। সে ছিল সচ্ছল (বিত্তশালী) ব্যক্তি। নিজ কর্মচারীদেরকে গরীব ঋণগ্রস্তদের ঋণ মওকুফ করার নির্দেশ দিত। (এসব দেখে) আল্লাহ তা'আলা বললেন, 'আমি তো তার চেয়ে বেশি ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকারী। (হে ফিরিশতাবর্গ!) তোমরা তাকে মাফ করে দাও।

عن أبي مسعود البدري -رضي الله عنه- قَال: قَالَ رَسُولُ اللَّه -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم-: <حُوسِب رجُل ممن كان قَبْلَكُمْ، فلم يُوجد له من الخَيْر شيء، إلا أنه كان يُخَالط الناس وكان مُوسِراً، وكان يأمُر غِلْمَانَه أن يَتَجَاوَزُوا عن المُعْسِر، قال الله -عز وجل-: نحن أحَقُّ بذلك منه؛ تَجَاوزُوا عنه>.

 
Hadith   128   الحديث
الأهمية: خيرُ الأصحابِ عند الله تعالى خيرُهم لصاحبه، وخيرُ الجيرانِ عند الله تعالى خيرُهم لجاره
থিম: আল্লাহ তাআলার নিকট উত্তম সঙ্গী হলো যে তার নিজ সঙ্গীর নিকট উত্তম। আল্লাহ তাআলার দৃষ্টিতে উত্তম প্রতিবেশী হলো যে তার নিজের প্রতিবেশীর নিকট উত্তম।

عن عبد الله بن عمرو -رضي الله عنهما- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <خيرُ الأصحابِ عند الله تعالى خيرُهم لصاحبه، وخيرُ الجيرانِ عند الله تعالى خيرُهم لجاره>.

 
Hadith   129   الحديث
الأهمية: خير الناس من طال عمره وحسن عمله
থিম: সর্বোত্তম ব্যক্তি হলো সে ব্যক্তি যে দীর্ঘায়ু পেয়েছে এবং উত্তম আমল করেছে।

عن عبد الله بن بُسْرٍ الأسلمي -رضي الله عنه- مرفوعاً:   خير الناس من طَال عُمُرُه، وحَسُنَ عَمَلُهُ>.

 
Hadith   130   الحديث
الأهمية: خَيْرُ يومٍ طَلَعَتْ عليه الشمس يومُ الجُمعة: فيه خُلِقَ آدَم، وفيه أُدْخِلَ الجَنة، وفيه أُخْرِجَ منها
থিম: যতদিন সূর্য উদিত হয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে জুমার দিন। তাতেই আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাতেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং তাতেই তাকে সেখান থেকে বের করা হয়েছে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً:   خَيْرُ يومٍ طَلَعَتْ عليه الشمس يومُ الجُمعة: فيه خُلِقَ آدَم، وفيه أُدْخِلَ الجَنة، وفيه أُخْرِجَ منها>.

 
Hadith   131   الحديث
الأهمية: بني سلمة، دِيارَكُم، تُكتب آثارُكُم، ديارَكُم تُكتب آثارُكُم
থিম: হে বনু সালেমা! তোমরা তোমাদের বাড়ীতেই থাক। কারণ, তোমাদের সালাতের জন্য মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপ লিপিবদ্ধ করা হয়। তোমরা তোমাদের বাড়ীতেই থাক। কারণ তোমাদের সালাতের জন্য মসজিদে আসার প্রতিটি পদক্ষেপ লিপিবদ্ধ করা হয়।

عن جابر -رضي الله عنه- قال: أراد بنو سلمة أن ينتقلوا للسكن قرب المسجد فبلغ ذلك رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال لهم:   إنه قد بلغني أنكم تُريدون أن تنتقلوا قُرب المسجد؟   فقالوا: نعم، يا رسول الله قد أردنا ذلك، فقال:   بَنِي سَلِمَة، دِيارَكُم، تُكتب آثارُكُم، ديارَكُم تُكتب آثاركُم>.   
وفي رواية:   إن بكلِّ خَطْوَة درجة>.

 
Hadith   132   الحديث
الأهمية: ذَاكَ رَجُلٌ بَاَلَ الشيطان في أُذُنَيْهِ أو قال: في أُذُنِه
থিম: সে এমন ব্যক্তি যার উভয় কানে অথবা তিনি বললেন, তার কানে শয়তান পেশাব করেছে।

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- قال: ذُكِرَ عند النبي -صلى الله عليه وسلم- رجل نام ليلة حتى أصبح، قال:   ذاك رجل بال الشيطان في أُذُنَيْهِ - أو قال: في أُذُنِه>.

 
Hadith   133   الحديث
الأهمية: رُبَّ أَشْعَثَ أغبرَ مَدْفُوعٍ بالأبواب لو أَقسم على الله لَأَبَرَّهُ
থিম: এমন অনেক আলুথালু কেশধারী ধুলো-মলিন চেহারা বিশিষ্ট, দ্বার থেকে বিতাড়িত ও নিগৃহীত ব্যক্তি রয়েছে, যারা আল্লাহর নামে শপথ করলে আল্লাহ তা সত্যে পরিণত করে দেন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: < رُبَّ أَشْعَثَ أغبرَ مَدْفُوعٍ بالأبواب لو أَقسم على الله لَأَبَرَّهُ >.

 
Hadith   134   الحديث
الأهمية: رحِم الله رَجُلا سَمْحَا إذا باع، وإذا اشترى، وإذا اقْتَضَى
থিম: আল্লাহ সে ব্যক্তির প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যে ক্রয় করতে, বিক্রয় করতে এবং পাওনা ফিরিয়ে নিতে ছাড় প্রদান নীতি অবলম্বন করে।

عن جابر -رضي الله عنه-: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   رحِم الله رَجُلا سَمْحَا إذا باع، وإذا اشترى، وإذا اقْتَضَى>.

 
Hadith   135   الحديث
الأهمية: رَحِمَ الله رجلًا قام من الليل، فَصَلى وأيْقَظ امرأته، فإن أَبَتْ نَضَحَ في وَجْهِهَا الماء، رَحِمَ الله امرأةً قامت من الليل، فَصَلَّتْ وأَيْقَظت زوجها، فإن أَبَى نَضَحَت في وجْهِه الماء
থিম: আল্লাহ তা'আলা ঐ ব্যক্তির ওপর রহম করুন যে রাত্রের কিছু অংশ জেগে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে এবং তার স্ত্রীকেও জাগিয়ে দেয়। তার স্ত্রী যদি জাগ্রত হতে না চায় তবে তার মুখমণ্ডলে পানির ছিটা দেয়। সে মহিলার ওপরও আল্লাহ তা'আলা রহম করুন, যে রাত্রের কিছু অংশ জেগে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করে। অতঃপর তার স্বামীকেও জাগিয়ে দেয়, সে যদি জাগ্রত হতে না চায় তবে তার মুখে পানির ছিটা দেওয়া।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <رَحِمَ الله رجلا ًقام من الليل، فَصَلى وأيْقَظ امرأته، فإن أَبَتْ نَضَحَ في وَجْهِهَا الماء، رَحِمَ الله امرأة قامت من الليل، فَصَلت وأَيْقَظت زوجها، فإن أَبَى نَضَحَت في وجْهِه الماء>.

 
Hadith   136   الحديث
الأهمية: رَغِمَ أنْفُ، ثم رَغِمَ أنْفُ، ثم رَغِمَ أنْفُ من أدرك أبويه عند الكِبر أحدهما أو كِليهما فلم يَدخلِ الجنة
থিম: সে ব্যক্তির নাক ধূলায় মলিন হোক, আবার সে ব্যক্তির নাক ধূলায় মলিন হোক, সে ব্যক্তির নাক ধূলায় মলিন হোক, যে ব্যক্তি তার পিতামাতা উভয়কে কিংবা একজনকে বার্ধক্যাবস্থায় পেল; অথচ সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: < رَغِمَ أنْفُ، ثم رَغِمَ أنْفُ، ثم رَغِمَ أنْفُ من أدرك أبويه عند الكِبر، أحدهما أو كِليهما فلم يدخل الجنة>.

 
Hadith   137   الحديث
الأهمية: سَبَقَ المُفَرِّدُونَ
থিম: আল্লাহর যিকিরকারীগণ অগ্রগামী হয়েছে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه-    قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <سبق المُفَرِّدُونَ   قالوا: وما المُفَرِّدُونَ ؟ يا رسول الله قال: < الذاكرون الله كثيرا والذاكراتِ>.

 
Hadith   138   الحديث
الأهمية: سَتُفْتَحُ عليكم أَرَضُونَ، ويَكْفِيكُمُ الله، فلا يَعْجِزْ أحَدُكُم أن يَلْهُوَ بِأَسْهُمِه
থিম: অচিরেই অনেক ভূখণ্ড তোমাদের জন্য বিজিত হবে। আর শত্রুদের মোকাবেলায় আল্লাহই তোমাদের জন্যে যথেষ্ট হবেন। তোমাদের কোনো ব্যক্তি যেন তীর নিক্ষেপের খেলার অভ্যাস ত্যাগ না করে।

عن عقبة بن عامر -رضي الله عنه- قال: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   سَتُفْتَحُ عليكم أَرَضُونَ، ويكفيكم الله، فلا يَعْجِزْ أحدكم أن يَلْهُوَ بِأَسْهُمِه>.

 
Hadith   139   الحديث
الأهمية: إن سِيَاحَة أُمَّتِي الجِهاد في سَبِيلِ الله -عز وجل-
থিম: নিশ্চয় আল্লাহর পথে জিহাদই আমার উম্মতের জন্য দেশভ্রমণ।

عن أبي أمامة -رضي الله عنه-: أن رجلًا، قال: يا رسول الله، ائْذَنْ لي في السِيَاحَة! فقال النبي -صلى الله عليه وسلم-: <إن سِيَاحَة أُمَّتِي الجِهاد في سَبِيلِ الله -عز وجل->.

 
Hadith   140   الحديث
الأهمية: اُغْزُوا في سبيل الله، من قَاتَل في سبيل الله فُوَاقَ نَاقَةٍ وجَبَت له الجنة
থিম: আল্লাহর পথে লড়াই করো, উটনীর দু'বার দুধ দোহনের মধ্যবর্তী সময় পরিমাণও যদি কেউ আল্লাহর পথে জিহাদ করে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: مَرَّ رجُل من أصحاب رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بِشِعبٍ فيه عُيَيْنَةٌ من ماء عَذْبَة، فأعْجَبتْه، فقال: لو اعْتَزلت الناس فَأقَمْتُ في هذا الشِّعْبِ، ولنْ أفعل حتى أسْتأذِن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فذَكر ذلك لرسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال:   لا تَفْعَل؛ فإن مُقام أحدِكم في سَبِيل الله أفضل من صلاته في بيته سَبْعِين عاماً، ألا تُحِبُّونَ أن يَغْفِر الله لكم، ويدخلكم الجنة؟ اُغْزُوا في سبيل الله، من قَاتَل في سبيل الله فُوَاقَ نَاقَةٍ وجَبَت له الجنة>.

 
Hadith   141   الحديث
الأهمية: اتقوا الله، وصلَّوا خَمْسَكُمْ، وصوموا شهركم، وأَدُّوا زكاة أموالِكم، وأطيعوا أُمَرَاءَكُمْ: تدخلوا جنة ربكم
থিম: তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, তোমাদের পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় কর। তোমাদের রামযান মাসের সাওম পালন কর, তোমাদের ধন-দৌলতের যাকাত আদায় কর এবং তোমাদের প্রশাসকগণের আনুগত্য কর, তবেই তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করবে।

عن أبي أمامة صُدَيّ بن عجلان الباهلي -رضي الله عنه- سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يخطب في حجة الوداع، فقال: < اتقوا الله وصلَّوا خَمْسَكُمْ، وصوموا شهركم، وأَدُّوا زكاة أموالِكم، وأطيعوا أُمَرَاءَكُمْ تدخلوا جنة ربكم >.

 
Hadith   142   الحديث
الأهمية: صليت مع النبي -صلى الله عليه وسلم- ذات ليلة فافتتح البقرة
থিম: আমি একরাত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <'আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সালাত আদায় করলাম। তিনি সূরা আল-বাকারাহ শুরু করলেন।

عن حذيفة بن اليمان -رضي الله عنهما- قال: صليت مع النبي -صلى الله عليه وسلم- ذات ليلة فَافْتَتَحَ البقرة، فقلت: يركع عند المئة، ثم مضى، فقلت: يصلي بها في ركعة فمضى، فقلت: يركع بها، ثم افتتح النساء فقرأها، ثم افتتح آل عمران فقرأها، يقرأ مُتَرَسِّلًا: إذا مَر بآية فيها تَسبِيحٌ سَبَّحَ، وإذا مَر بسؤال سَأل، وإذا مَر بِتَعَوُّذٍ تَعَوَّذَ، ثم ركع، فجعل يقول:   سبحان ربي العظيم   فكان ركوعه نحوًا من قِيَامِهِ، ثم قال:   سمع الله لمن حمده، ربنا لك الحمد   ثم قام طويلًا قريبا مما ركع، ثم سجد، فقال:   سبحان ربي الأعلى   فكان سجوده قريبًا من قيامه.

 
Hadith   143   الحديث
الأهمية: أين المُتَأَلِّي على الله لا يفعل المعروف
থিম: সৎকাজ করবে না বলে যে আল্লাহর নামে শক্ত কসম করেছে সে লোকটি কোথায়?

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: سمع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- صوت خُصُومٍ بالباب عاليةً أصواتُهما، وإذا أَحدُهما يَسْتَوْضِعُ الآخر وَيَسْتَرْفِقُهُ في شيء، وهو يقول: والله لا أفعل، فخرج عليهما رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال:   أين المُتَأَلِّي على الله لا يفعل المعروف؟>، فقال: أنا يا رسول الله، فله أي ذلك أحب.

 
Hadith   144   الحديث
الأهمية: أما بعد، فوالله إني    لأُعطي الرجل وأدَعُ الرجلَ، والذي أدعُ أحبُّ إلي من الذي أُعطي
থিম: আর কিছু লোককে আল্লাহ তাদের অন্তরে যে অমুখাপেক্ষিতা ও কল্যাণ রেখেছেন সে অবস্থার উপর ন্যস্ত করি। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন 'আমর ইবন তাগলিব।

عن عَمْرُو بن تَغْلِبَ ـ رضي الله عنه ـ    أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أُتِيَ بمالٍ أو سَبْيٍ فَقَسَّمه، فأعطى رجالا، وترك رجالًا، فبَلغَه أن الَّذِين تَرَك عَتَبُوا، فحمد الله، ثم أثنى عليه، ثم قال:   أما بعد، فوالله إني    لأُعطي الرجل وأدَعُ الرجلَ، والذي أدعُ أحبُّ إلي من الذي أُعطي، ولكني إنما أُعطي أقوامًا لما أرى في قلوبهم من الجَزَع والهَلَع، وَأَكِلُ أقواما إلى ما جَعَلَ الله في قُلُوبِهم من الغِنَى والخَيْر، منهم عَمْرُو بن تَغْلِبَ   قال عمرو بن تغلب: فوالله ما أُحبُّ أن لي بكلمة رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حُمْرَ النَّعَم.

 
Hadith   145   الحديث
الأهمية: عَشْرٌ من الفِطْرة: قَصُّ الشَارب، وإعْفَاء اللِّحْية، والسِّواك، وَاسْتِنْشَاقُ الماء، وقص الأظْفَار، وغَسْل البَرَاجِم، ونَتْف الإبْط، وحلق العَانة، وانْتِقَاصُ الماء
থিম: "দশটি কাজ প্রকৃতিগত আচরণ; (১) গোঁফ ছেঁটে ফেলা। (২) দাড়ি বাড়ানো। (৩) দাঁতন করা। (৪) নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা। (৫) নখ কাটা। (৬) আঙ্গুলের জোড়সমূহ ধোয়া। (৭) বগলের লোম তুলে ফেলা। (৮) গুপ্তা-ঙ্গের লোম পরিষ্কার করা। (৯) পানি দ্বারা ইস্তেঞ্জা (শৌচকর্ম) করা।"

عن عائشة -رضي الله عنها- مرفوعاً:   عَشْرٌ من الفِطْرة: قَصُّ الشَارب، وإعْفَاء اللِّحْية، والسِّواك، وَاسْتِنْشَاقُ الماء، وقص الأظْفَار، وغَسْل البَرَاجِم، ونَتْف الإبْط، وحلق العَانة، وانْتِقَاصُ الماء   قال الراوي: ونَسِيْتُ العاشرة إلا أن تكون المَضْمَضَة. قال وكِيع - وهو أحد رواته - انْتِقَاص الماء: يعني الاسْتِنْجَاء.

 
Hadith   146   الحديث
الأهمية: يَعْقِدُ الشيطان على قَافِيَةِ رأسِ أحدِكم، إذا هو نام، ثلاث عُقَدٍ، يَضْرِب على كل عُقْدَةٍ: عليك لَيلٌ طويل فَارْقُدْ
থিম: যখন তোমাদের কেউ নিদ্রা যায় তখন) তার গ্রীবাদেশে শয়তান তিনটি করে গাঁট বেঁধে দেয়; প্রত্যেক গাঁটে সে এই বলে মন্ত্র পড়ে যে, 'তোমার সামনে রয়েছে দীর্ঘ রাত, অতএব তুমি ঘুমাও।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً:   يَعْقِدُ الشيطان على قَافِيَةِ رأسِ أحدِكم، إذا هو نام، ثلاث عُقَدٍ، يَضْرِب على كل عُقْدَةٍ: عليك لَيلٌ طويل فَارْقُدْ، فإن استيقظ، فذكر الله -تعالى- انحَلَّتْ عُقْدَةٌ، فإن تَوضِّأ، انْحَلّتْ عُقدَةٌ، فإن صلى، انْحَلَّتْ عُقَدُهُ كُلُّها، فأصبح نشيطا طَيِّبَ النفس، وإلا أصبح خَبِيثَ النَّفْس كَسْلَان>.

 
Hadith   147   الحديث
الأهمية: عليك بكثرة السجود؛ فإنك لن تسجد لله سجدة إلا رفعك الله بها درجة، وحط عنك بها خطيئة
থিম: তোমার ওপর কর্তব্য হচ্ছে (আল্লাহর জন্য) বেশি বেশি সাজদাহ করা। কেননা তুমি যখনই আল্লাহর জন্য একটি সাজদাহ করবে, আল্লাহ তা'আলা এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা একধাপ বৃদ্ধি করে দিবেন এবং এর বিনিময়ে তোমার একটি গুনাহ মাফ করে দিবেন।

عن أبي عبد الله ويقال أبو عبد الرحمن ثوبان مولى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- -رضي الله عنه- قال: سمعت رسول لله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   عليك بكثرة السجود؛ فإنك لن تسجد لله سجدة إلا رَفَعَكَ الله بها دَرَجة، وحَطَّ عنك بها خَطِيئة>.

 
Hadith   148   الحديث
الأهمية: عَيْنَانِ لاَ تَمسُّهُمَا النَّار: عَيْنٌ بَكَتْ من خَشْيَة الله، عَيْنٌ بَاتَت تَحْرُسُ في سَبِيل الله
থিম: দুটি চোখ জাহান্নাম স্পর্শ করবে না, যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদে আর যে চোখ আল্লাহর পথে পাহারায় বিনিদ্র রাত যাপন করে।

عن ابن عباس -رضي الله عنهما- مرفوعاً:   عَيْنَانِ لاَ تَمسُّهُمَا النَّار: عَيْنٌ بَكَتْ من خَشْيَة الله، وعَيْنٌ بَاتَت تَحْرُسُ في سَبِيل الله>.

 
Hadith   149   الحديث
الأهمية: إذا قَام أحَدُكُم من الليل، فَاسْتَعْجَمَ القرآن على لِسَانه، فلم يَدْرِ ما يقول، فَلْيَضْطَجِع
থিম: যখন তোমাদের কেউ রাতে জাগ্রত হয় এবং কুরআন তার মুখে কঠিন ঠেকে, কী বলছে বুঝতে পারে না, সে শুয়ে পড়বে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <إذا قَام أحَدُكُم من الليل، فَاسْتَعْجَمَ القرآن على لِسَانه، فلم يَدْرِ ما يقول، فَلْيَضْطَجِع>.

 
Hadith   150   الحديث
الأهمية: إن لكل أمة فتنة، وفِتنة أُمتي: المال
থিম: নিশ্চয় প্রত্যেক উম্মতের একটি ফিতনা রয়েছে। আমার উম্মতের ফিতনা হলো ধন-সম্পদ।

عن كعب بن عياض -رضي الله عنه- قال: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   إن لكل أُمَّة فتنة، وفِتنة أُمَّتي: المال>.

 
Hadith   151   الحديث
الأهمية: زِنْ وأرْجِح
থিম: ওজন কর এবং ঝুঁকিয়ে দাও।

عن أبي صَفْوان سُوَيْدِ بن قيس -رضي الله عنه- قال: جَلَبْتُ أنا وَمَخْرَمَةُ العَبْدِيُّ بَزًّا من هَجَر، فجاءنا النبي -صلى الله عليه وسلم- فَسَاوَمَنَا بسَرَاوِيلَ، وعندي وَزَّانٌ يَزِنُ بالأَجْر، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم- للوَزَّان:   زِنْ وأرْجِح>.

 
Hadith   152   الحديث
الأهمية: إن في الجنَّة بَابَا يُقال له: الرَّيَّانُ، يدْخُل منه الصَّائِمُونَ يوم القيامة، لا يَدخل منه أحدٌ غَيرُهم، يُقَال: أين الصَّائمون؟ فيقومون لا يدخل منه أحد غَيْرُهُم، فإذا دخَلُوا أُغْلِقَ فلم يدخل منه أحَد
থিম: জান্নাতের মধ্যে এমন একটি দরজা আছে, যার নাম হল 'রাইয়ান'; সেখান   দিয়ে কেবল রোযাদারগণই কিয়ামতের দিনে প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ সেদিক দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা করা হবে, 'রোযাদাররা কোথায়?' তখন তারা দণ্ডায়মান হবে। (এবং ঐ দরজা দিয়ে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে) তারপর যখন তাদের সর্বশেষ ব্যক্তি প্রবেশ করবে, তখন দরজাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেখান দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।

عن سهل بن سعد -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: <<إن في الجنة بابا يقال له: الرَّيَّانُ، يدخل منه الصائمون يوم القيامة، لا يدخل منه أحد غيرهم، يقال: أين الصائمون؟ فيقومون لا يدخل منه أحد غيرهم، فإذا دخلوا أغلق فلم يدخل منه أحد>

 
Hadith   153   الحديث
الأهمية: حديث قصة بريرة وزوجها
থিম: বারীরাহ ও তার স্বামীর ঘটনার হাদীস

عن ابن عباس -رضي الله عنهما- في قصة بريرة وزوجها، قال: قال لها النبي -صلى الله عليه وسلم-: <لو رَاجَعْتِهِ؟   قالت: يا رسول الله تأمرني؟ قال:   إنما أشْفَع   قالت: لا حاجة لي فيه.

 
Hadith   154   الحديث
الأهمية: يَرحم الله موسى، قد أُوذي بأكثر من هذا فصبر
থিম: আল্লাহ তাআলা মূসার উপর রহম করুন। তাঁকে এর চেয়ে বেশী কষ্ট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ধৈর্য ধারণ করেছেন।"

عن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- قال: لما كان يوم حُنين آثر رسول الله -صلى الله عليه وسلم- ناسًا في القِسْمَة، فأعطى الأَقْرَع بن حَابِس مئة من الإبل، وأعطى عُيينة بن حِصن مثل ذلك، وأعطى نَاسًا من أشراف العَرب وآثَرَهُم يومئذ في القِسْمَة. فقال رجل: والله إن هذه قِسْمَة ما عُدل فيها، وما أُريد فيها وجه الله، فقلت: والله لأُخبرن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فأتيته فأخبرته بما قال، فتغير وجهه حتى كان كالصِّرفِ. ثم قال:   فمن يَعْدِل إذا لم يعدل الله ورسوله؟   ثم قال:   يَرحم الله موسى، قد أُوذي بأكثر من هذا فصبر>. فقلت: لا جَرم لا أرفع إليه بعدها حديثًا.

 
Hadith   155   الحديث
الأهمية: قُمْتُ على باب الجنَّة، فإذا عامَّة من دخلها المساكين، وأصحاب الجَدِّ مَحْبُوسُونَ
থিম: আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়িয়েছিলাম, তখন আশ্চর্য হয়ে দেখলাম, যারা তাতে প্রবেশ করেছেন তাদের অধিকাংশই হলো দরিদ্র জনগণ। আর যারা ধনী তারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে আছে।

عن أسامة -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   قُمْتُ على باب الجنَّة، فإذا عامَّة من دخلها المساكين، وأصحاب الجَدِّ مَحْبُوسُونَ، غير أن أصحابَ النَّار قد أُمِرَ بهم إلى النَّار، وقُمْتُ على باب النَّار فإذا عَامَّة من دخلها النساء>.

 
Hadith   156   الحديث
الأهمية: ما أكل أحدٌ طعامًا قط خيرًا من أن يأكل من عمل يده، وإن نبي الله داود -صلى الله عليه وسلم- كان يأكل من عمل يده
থিম: নিজের হাতের উপার্জন থেকে উত্তম খাবার কেউ কখনো খায়নি। আল্লার নবী দাঊদ আলাইহিস সালাম নিজ হাতের উপার্জন থেকে খেতেন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   كان داود -عليه السلام- لا يأكلُ إلا من عمل يده>.
   وعن المقدام بن معد يكرب -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   ما أكل أحد طعاما قط خيرا من أن يأكل من عمل يده، وإن نبي الله داود -صلى الله عليه وسلم- كان يأكل من عمل يده>.

 
Hadith   157   الحديث
الأهمية: كان رجل يُدَايِنُ الناس، وكان يقول لفَتَاه: إذا أَتَيْتَ مُعْسِرًا فَتَجَاوَزْ عنه، لعَلَّ الله أن يَتَجَاوَزَ عنَّا، فَلَقِيَ الله فتَجَاوز عنه
থিম: আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <'আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "(প্রাচীনকালে) একটি লোক লোকেদের ঋণ দিত এবং তার চাকরকে বলত যে, 'যখন তুমি ঋণ পরিশোধে অসমর্থ কোন ঋণগ্রহীতা ব্যক্তির কাছে যাবে, তাকে ক্ষমা করে দেবে। হয়তো (এর প্রতিদানে) আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। অতঃপর সে মৃত্যুর পর আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করল আল্লাহও তাকে ক্ষমা করে দিলেন।"

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً:   كان رجل يُدَايِنُ الناس، وكان يقول لفَتَاه: إذا أَتَيْتَ مُعْسِرًا فَتَجَاوَزْ عنه، لعَلَّ الله أن يَتَجَاوَزَ عنَّا، فَلَقِيَ الله فتَجَاوز عنه>.

 
Hadith   158   الحديث
الأهمية: كان زكريا -عليه السلام- نجَّارا
থিম: যাকারিয়্যা আলাইহিস সালাম ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রি

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   كان زكريا -عليه السلام- نجَّارا>.

 
Hadith   159   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يَجْتَهِدُ في رمضان ما لا يَجْتَهِدُ في غيره، وفي العَشْر الأوَاخِر منه ما لا يَجْتَهِدُ في غيره
থিম: রমযান মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আল্লাহর ইবাদতের জন্য) যত পরিশ্রম করতেন, অন্য কোনো মাসে তেমন পরিশ্রম করতেন না। (অনুরূপভাবে) রমযানের শেষ দশকে যত পরিশ্রম করতেন অন্য দিনগুলোতে তত পরিশ্রম করতেন না।

عن عائشة -رضي الله عنها-    قالت: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يَجْتَهِدُ في رمضان ما لا يَجْتَهِدُ في غيره، وفي العَشْرِ الأوَاخِرِ منه ما لا يَجْتَهِدُ في غيره.

 
Hadith   160   الحديث
الأهمية: كل أُمتي مُعَافَى إلا المُجاهرين
থিম: আমার সকল উম্মত ক্ষমা পাবে, তবে পাপ-প্রকাশকারী ব্যতীত

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   كل أُمتي مُعَافًى إلا المُجاهرين، وإنَّ من المُجَاهرة أن يعملَ الرجلُ بالليل عملًا، ثم يُصْبِح وقد سَتره الله عليه، فيقول: يا فلان، عَمِلت البَارحة كذا وكذا، وقد بَات يَسْتُره ربه، ويُصبح يَكشف سِتْرَ الله عنه>.

 
Hadith   161   الحديث
الأهمية: كنا نَرَفَعُ للنبي -صلى الله عليه وسلم- نَصِيبَهُ من اللَّبَنِ ، فَيَجِيءُ من الليل، فَيُسَلِّمُ تسليما لا يُوقِظُ نائما، ويسمع اليَقَظَانَ
থিম: আর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য তার দুধের অংশ তুলে রাখতাম। তিনি রাতে আসতেন এবং এমনভাবে সালাম দিতেন যাতে ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত না হয় আর জাগ্রত ব্যক্তি শুনতে পায়।

عن المِقْدَادُ -رضي الله عنه- في حديثه الطويل: كنا نَرَفَعُ للنبي -صلى الله عليه وسلم- نَصِيبَهُ من اللَّبَنِ ، فَيَجِيءُ من الليل، فَيُسَلِّمُ تسليما لا يُوقِظُ نائما، ويُسْمِعُ اليَقْظَانَ، فجاء النبي -صلى الله عليه وسلم- فَسَلَّمَ كما كان يُسَلِّمُ.

 
Hadith   162   الحديث
الأهمية: كُنَّا نُعِدُّ لرسول الله -صلى الله عليه وسلم- سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ، فَيَبْعَثُهُ الله ما شاء أن يَبْعَثَهُ من الليل، فَيَتَسَوَّكُ، ويتوضَّأ ويُصلي
থিম: আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য দাঁতন ও ওযূর পানি প্রস্তুত করে রাখতাম। অতঃপর আল্লাহর যখন রাতে তাঁকে জাগাবার ইচ্ছা হত, তখন তিনি জেগে উঠতেন। তারপর দাঁতন করতেন, ওযূ ক'রতেন ও সালাত আদায় করতেন।

عن عائشة -رضي الله عنها-، قالت: كُنَّا نُعِدُّ لرسول الله -صلى الله عليه وسلم- سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ، فَيَبْعَثُهُ الله ما شاء أن يَبْعَثَهُ من الليل، فَيَتَسَوَّكُ، ويتوضَّأ ويُصلي.

 
Hadith   163   الحديث
الأهمية: أَيَعْجِزُ أحَدُكم أن يَكْسِبَ في كل يوم ألف حسنة؟! فسأله سائل من جُلَسَائِه: كيف يَكْسِبُ ألف حَسَنَة؟ قال: يُسبح مائة تسبيحة؛ فيُكْتَبُ له ألف حسنة، أو يُحَطُّ عنه ألف خَطِيئة
থিম: তোমাদের কোন ব্যক্তি প্রত্যহ এক হাজার নেকী অর্জন করতে অপারগ হবে কি?" তাঁর সাথে উপবিষ্ট ব্যক্তিদের একজন জিজ্ঞাসা করল, 'কিভাবে এক হাজার নেকী অর্জন করবে?' তিনি বললেন, "একশ'বার তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) পড়বে। ফলে তার জন্য এক হাজার নেকী লেখা হবে অথবা এক হাজার গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে।

عن سعد بن أبي وقَّاص -رضي الله عنه- قال: كنا عند رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال:   أَيَعْجِزُ أحَدُكم أن يَكْسِبَ في كل يوم ألف حسنة؟!> فسأله سائل من جُلَسَائِه: كيف يَكْسِبُ ألف حَسَنَة؟ قال:   يُسبح مائة تسبيحة؛ فيُكْتَبُ له ألفُ حسنة، أو يُحَطُّ عنه ألف خَطِيئة>.

 
Hadith   164   الحديث
الأهمية: أَظُنُّكُمْ سَمِعتم أن أبا عبيدة قدم بشيءٍ من البحرين
থিম: "আমার বিশ্বাস তোমরা শুনেছ, আবূ উবাইদাহ বাহরাইন থেকে কোনো কিছু নিয়ে এসেছেন।"

عن عمرو بن عوف الأنصاري -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بعث أبا عبيدة بن الجراح -رضي الله عنه- إلى البحرين يأتي بِجِزْيَتِهَا، فَقدِم بمالٍ من البحرين، فسمعت الأنصار بقدوم أبي عبيدة، فَوَافَوْا صلاة الفجر مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فلما صلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- انصرف، فَتَعَرَّضُوا له، فتَبسَّم رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حين رآهم، ثم قال:   أَظُنُّكُمْ سَمِعتم أن أبا عبيدة قَدِم بشيءٍ من البحرين؟   فقالوا: أجل، يا رسول الله، فقال:   أبشروا وأمِّلوا ما يَسُرُّكُم، فوالله ما الفَقرَ أخشى عليكم، ولكني أخَشى أن تُبْسَط الدنيا عليكم كما بُسِطَت على من كان قبلكم، فتَنَافسوها كما تَنَافسوها، فَتُهْلِكَكُم كما أهْلَكَتْهُمْ>.

 
Hadith   165   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يُفْطِرُ من الشهر حتى نَظُنَّ أن لا يَصوم منه، ويَصوم حتى نَظُنَّ أن لا يُفْطِر منه شيئًا، وكان لا تَشَاءُ أن تَرَاه من الليل    مُصَلِّيًا إلا رَأيْتَهُ، ولا نَائِمًا إلا رأيْتَه
থিম: কোন কোন মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে রোযা ত্যাগ করতেন যে, মনে হত তিনি উক্ত মাসে আর রোযা রাখবেন না। অনুরূপভাবে কোন মাসে এমনভাবে রোযা রাখতেন যে, মনে হত তিনি ঐ মাসে আর রোযা ত্যাগই করবেন না। (তাঁর অবস্থা এরূপ ছিল যে,) যদি তুমি না চাও যে, তাকে সালাত রত অবস্থায় দেখবে, তবে অবশ্যই তাকে সেরূপ দেখতে পাবে, আর যদি তুমি না চাও যে, তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখবে, তবে অবশ্যই তাকে সেরূপ দেখতে পাবে।

عن أنس -رضي الله عنه- قال: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يُفْطِرُ من الشهر حتى نظن أن لا يصوم منه، ويصوم حتى نظن أن لا يُفْطِرَ منه شيئا، وكان لا تَشَاءُ أن تراه من الليل مُصَلِيًا إلا رأيتَه، ولا نائما إلا رأيتَه.

 
Hadith   166   الحديث
الأهمية: لا تَقُلْ عليك السلام؛ فإن عليك السلام تحيَّة المَوْتَى
থিম: তুমি 'আলাইকাস সালাম' বলো না; কারণ, 'আলাইকাস সালাম' মৃতদের সম্ভাষণ

عن أبي جُرَيٍّ الْهُجَيْمِيِّ -رضي الله عنه- قال: أتيت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقلت: عليك السلام يا رسول الله. قال:   لا تَقُلْ عليك السلام؛ فإن عليك السلام تحيَّة المَوْتَى>.

 
Hadith   167   الحديث
الأهمية: لا حَسَدَ إلا في اثنتين: رجل آتاه الله مالا، فسَلَّطَه على هَلَكَتِهِ في الحق، ورجل آتاه الله حِكْمَةً، فهو يَقضي بها ويُعَلِّمَها
থিম: কেবল দু'টি বিষয়ে ইর্ষা করা যায়: (১) যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দিয়েছেন এবং তাকে বৈধ পন্থায় অকাতরে ব্যয় করার ক্ষমতাও দিয়েছেন।(২) যাকে আল্লাহ তাআলা প্রজ্ঞা দান করেছেন। সে তার মাধ্যমে বিচার ফয়সালা করে ও তা অন্যকে শিক্ষা দেয়।

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <لا حَسَدَ إلا في اثنتين: رجل آتاه الله مالا، فسَلَّطَه على هَلَكَتِهِ في الحَقِّ، ورجل آتاه الله حِكْمَة، فهو يقضي بها ويُعَلِّمَها>.
وعن ابن عمر -رضي الله عنهما-، عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   لا حسد إلا في اثنتين: رجل آتاه الله القرآن، فهو يقوم به آناء الليل وآناء النهار، ورجل آتاه الله مالا، فهو ينفقه آناء الليل وآناء النهار>.

 
Hadith   168   الحديث
الأهمية: اللهم لا عيش إلا عيش الآخرة
থিম: হে আল্লাহ! আখিরাতের জীবন ছাড়া আর কোনো জীবন নয়

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   اللَّهُمَّ لاَ عَيْشَ إلا عَيْشَ الآخِرة>.

 
Hadith   169   الحديث
الأهمية: لا يَجزي ولدٌ والدًا إلا أن يَجده مملوكًا، فيَشتريه فيُعتِقه
থিম: কোনো সন্তান তার পিতার প্রতিদান দিতে পারে না। তবে হ্যাঁ, সে যদি তার পিতাকে ক্রীতদাস হিসেবে দেখতে পায় এবং তাকে ক্রয় করে নিয়ে স্বাধীন করে দেয়।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <لاَ يَجْزِي ولدٌ والدًا إلا أن يجده مملوكًا، فَيَشْتَرِيَهُ فَيُعْتِقَهُ>.

 
Hadith   170   الحديث
الأهمية: إنه لَيَأتي الرجلُ السَّمين العظيم يوم القيامة لا يَزِن عند الله جَناح بَعُوضة
থিম: কিয়ামতের দিন মোটা-তাজা বৃহৎ মানুষ আসবে, আল্লাহর কাছে তার ওজন মাছির ডানার সমানও হবে না।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   إنه لَيَأتي الرَّجلُ السَّمين العظيم يوم القيامة لا يَزِنُ عند الله جَناح بَعُوضة>.

 
Hadith   171   الحديث
الأهمية: لا يستُرُ عبدٌ عبدًا في الدنيا إلا سَتره الله يوم القيامة
থিম: দুনিয়াতে কোনো বান্দা যদি অপর কোনো বান্দার দোষ-ত্রুটি গোপন করে তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা তার দোষ-ত্রুটি গোপন করবেন।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   لا يَستُرُ عبدٌ عبدًا في الدنيا إلا سَتَره الله يوم القيامة>.

 
Hadith   172   الحديث
الأهمية: لا يَلِجُ النار رجل بَكى من خشية الله حتى يَعود اللَّبنُ في الضَّرْع
থিম: আল্লাহ্ তা'আলার ভয়ে যে লোক ক্রন্দন করে তার জাহান্নামে যাওয়া এরূপ অসম্ভব যেমন দোহন করা দুধ আবার পালানের মধ্যে ফিরে যাওয়া অসম্ভব।

عن أبي هريرة ـ رضي الله عنه ـ قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <لا يَلِجُ النارَ رجُل بَكى من خشية الله حتى يَعود اللَّبنُ في الضَّرْع، ولا يَجتمع غُبَارٌ في سبيل الله وَدُخَانُ جهنم>.

 
Hadith   173   الحديث
الأهمية: لا يَمُوتَنَّ أحدُكم إلا وهو يُحسنُ الظَّن بالله -عز وجل-
থিম: তোমাদের প্রত্যেকেই যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ করা অবস্থায় মারা যায়।

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما-: أنه سمع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قبل موته بثلاثة أيام، يقول:   لا يَمُوتَنَّ أحدُكم إلا وهو يُحسنُ الظَّنَّ بالله -عز وجل->.

 
Hadith   174   الحديث
الأهمية: لأَن يأخذ أحدكم أُحبُلَهُ ثم يأتي الجبل، فيأتي بِحُزْمَة من حطب على ظهره فيبيعها، فَيَكُفَّ الله بها وجهه، خيرٌ له من أن يسأل الناس، أعْطَوه أو مَنَعُوه
থিম: তোমাদের কেউ রশি নিয়ে পাহাড়ে গিয়ে পিঠে কাঠের বোঝা বয়ে আনা এবং তা বিক্রি করার মাধ্যমে আল্লাহ তার চেহারাকে যাচ্ঞা করার লাঞ্ছনা থেকে রক্ষা করা মানুষের কাছে হাত পাতার চেয়ে উত্তম। চাই তারা দিক বা না দিক।

عن الزبير بن العَوَّام -رضي الله عنه- مرفوعاً:   لأَن يأخذ أحدكم أُحبُلَهُ ثم يأتي الجبل، فيأتي بِحُزْمَة من حطب على ظهره فيبيعها، فَيَكُفَّ الله بها وجهه، خيرٌ له من أن يسأل الناس، أعْطَوه أو مَنَعُوه>.

 
Hadith   175   الحديث
الأهمية: ألا إن الدنيا مَلعونة، مَلعونٌ ما فيها، إلا ذكر الله -تعالى- وما وَالاهُ، وعالمًا ومتعلمًا
থিম: নিশ্চয় আল্লাহর যিকির এবং তাঁর সাথে সংশ্লিষ্ট সহায়ক অপরাপর আমল, আলিম এবং তালিবে ইলম ছাড়া দুনিয়া ও দুনিয়াতে যা কিছু আছে সব-ই অভিশপ্ত।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   ألا إن الدنيا مَلعُونة، مَلعُونٌ ما فيها، إلا ذكرَ الله تعالى، وما وَالاهُ، وعالما ومُتَعَلِّمَا>.

 
Hadith   176   الحديث
الأهمية: لَقِيْتُ إبراهيم ليلة أُسْرِيَ بي، فقال: يا محمد أقْرِىء أُمَّتَكَ مِنِّي السَّلام، وأَخْبِرْهُم أن الجنَّة طَيِّبَةُ التُّربَة، عَذْبَةُ الماء، وأنها قِيعَانٌ وأن غِراسَها: سُبْحَان الله، والحمد لله، ولا إله إلا الله، والله أكبر
থিম: মিরাজের রাতের সফরে ইবরাহীম 'আলাইহিস সালামের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়। তখন তিনি বললেন, হে মুহাম্মদ! আপনার উম্মতকে আমার পক্ষ থেকে সালাম জানাবেন এবং তাদের জানিয়ে দিবেন যে জান্নাতের মাটি উত্তম আর এর পানি সুমিষ্ট। তবে তা ফাঁকা ময়দান। এর ছায়া হলো সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামদু লিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার।

عن ابن مسعود -رضي الله عنه- مرفوعاً:   لَقِيْتُ إبراهيم ليلة أُسْرِيَ بي، فقال: يا محمد أقْرِىء أُمَّتَكَ مِنِّي السَّلام، وأَخْبِرْهُم أن الجنَّة طَيّبَةُ التُّربَة، عَذْبَةُ الماء، وأنها قِيعَانٌ وأن غِراسَها: سُبْحَان الله، والحمد لله، ولا إله إلا الله، والله أكبر>.

 
Hadith   177   الحديث
الأهمية: لِلْعَبْدِ المَمْلُوكِ المُصْلِحِ أجْرَان
থিম: আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <'আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "সংশোধনকারী অধীনস্থ দাসের জন্য রয়েছে দু'টি নেকী।" (আবূ হুরায়রা বলেন,) 'সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আবূ হুরায়রার জীবন! যদি আল্লাহর পথে জিহাদ, হজ ও আমার মায়ের সেবা না থাকত, তাহলে আমি পরাধীন গোলামরূপে মারা যাওয়া পছন্দ করতাম।' মুত্তাফাকুন আলাইহি।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <للعبد المملوك المصلح أجران>، والذي نفس أبي هريرة بيده لولا الجهاد في سبيل الله والحج، وبِرُّ أمي، لأحببت أن أموت وأنا مملوك.

 
Hadith   178   الحديث
الأهمية: لم يبقَ من النُّبوَّةِ إلا المُبَشِّرَاتُ
থিম: সুসংবাদ ছাড়া নবুওয়াতের কিছু বাকি নেই।

عن أبي هريرة ـ رضي الله عنه ـ قال: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   لم يبقَ من النُّبُوَّةِ إلا المُبَشِّرَاتُ   قالوا: وما المُبَشِّرَاتُ ؟ قال:   الرؤيا الصالحة>.

 
Hadith   179   الحديث
الأهمية: لو كان لي مِثْلُ أحدٍ ذهبًا، لسرني أن لا تمر عليَّ ثلاث ليالٍ وعندي منه شيءٌ إلا شيء أرْصُدُهُ لِدَيْنٍ
থিম: যদি আমার নিকট উহুদ পাহাড় সমান সোনা থাকত, তাহলে আমি এতে আনন্দিত হতাম যে, ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাকী রেখে অবশিষ্ট সবটাই তিন দিন অতিবাহিত না হতেই আল্লাহর পথে খরচ করে ফেলি।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   لو كان لي مِثْلُ أحدٍ ذهبًا، لسرني أن لا تمر عليَّ ثلاث ليالٍ وعندي منه شيءٌ إلا شيء أرْصُدُهُ لِدَيْنٍ>.

 
Hadith   180   الحديث
الأهمية: بيان حقيقة الغنى والحث على الرضا بما قسم الله تعالى
থিম: সম্পদের আধিক্য ধনাঢ্যতা নয়, প্রকৃত ধনাঢ্যতা হল অন্তরের ধনাঢ্যতা।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   ليس الغِنَى عن كَثرَة العَرَض، ولكن الغِنَى غنى النفس>.

 
Hadith   181   الحديث
الأهمية: ليس الكذاب الذي يصلح بين الناس فينمي خيرا، أو يقول خيرا
থিম: ঐ ব্যক্তি মিথ্যাবাদী নয়, যে মানুষের মধ্যে সংশোধন করার জন্যে ভালো কথা পৌঁছায় অথবা ভালো কথা বলে।

عن أم كلثوم بنت عقبة بن أبي مُعَيط -رضي الله عنها- قالت: سمعت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول:   ليس الكذاب الذي يُصلح بين الناس فَيَنْمِي خيرًا، أو يقول خيرًا>
وفي رواية مسلم زيادة، قالت: ولم أسمعه يُرَخِّصُ في شيء مما يقوله الناس إلا في ثلاث، تعني: الحرب، والإصلاح بين الناس، وحديث الرجل امرأته، وحديث المرأة زوجها.

 
Hadith   182   الحديث
الأهمية: ليس الواصل بِالمُكَافِىءِ، ولكنَّ الواصل الذي إذا قَطعت رحِمه وصَلَها
থিম: সে ব্যক্তি সম্পর্ক রক্ষাকারী নয়, যে কেবল পরিপূর্ণভাবে শোধ করে। বরং সেই তো প্রকৃত সম্পর্ক রক্ষাকারী যে ব্যক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হলে তা জোড়া লাগায়।

عن عبد الله بن عمرو بن العاص -رضي الله عنهما- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   ليس الواصل بالمُكَافِئِ ، ولكنَّ الواصل الذي إذا قَطعت رحِمه وصَلَها>.

 
Hadith   183   الحديث
الأهمية: يا سعد بن معاذ، الجنة وربِّ الكعبة إنِّي أجد ريحها من دونِ أُحُدٍ
থিম: হে সা'দ ইবন মু'আয! কা'বার রবের কসম, উহুদের দিক থেকে আমি নিশ্চিতভাবে জান্নাতের সুগন্ধ পাচ্ছি।

عن أنس -رضي الله عنه- قال: غاب عمي أنس بن النَّضْرِ -رضي الله عنه- عن قتال بدر، فقال: يا رسول الله، غِبْتُ عن أول قتال قاتلت المشركين، لئن الله أشهدني قتال المشركين    لَيُرِيَنَّ الله ما أصنع. فلما كان يوم أُحُدٍ انْكَشَفَ المسلمون، فقال: اللَّهم أعْتَذِرُ إليك مما صنع هؤلاء - يعني: أصحابه - وأبرأُ إليك مما صنع هؤلاء - يعني: المشركين - ثم تقدم فاستقبله سعد بن معاذ، فقال: يا سعد بن معاذ، الجنَّة وربِّ الكعبة إنِّي أجِدُ ريحها من دونِ أُحُدٍ. قال سعد: فما استطعت يا رسول الله ما صنع! قال أنس: فوجدنا به بِضْعَا وثمانين ضربة بالسيف، أو طعنة بِرُمْح، أو رَمْيَة بسهم، ووجدناه قد قُتل ومَثَّل به المشركون فما عَرفه أحدٌ إلا أُختُه بِبَنَانِهِ. قال أنس: كنَّا نرى أو نَظُنُّ أن هذه الآية نزلت فيه وفي أشباهه: {من المؤمنين رجال صدقوا ما عاهدوا الله عليه} [الأحزاب: 23] إلى آخرها.

 
Hadith   184   الحديث
الأهمية: خَرَجْنَا مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- في سَفَر أَصَاب الناس فيه شِدَّة
থিম: আমরা এমন এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বের হলাম, যাতে লোকজন খুব সংকটে পড়েছিল।

عن زيد بن أَرْقَم -رضي الله عنه- قال: خَرَجْنَا مع رسول الله -صلى الله عليه وسلم- في سَفَر أَصَاب الناس فيه شِدَّة، فقال عبد الله بن أُبَيٍّ: لاَ تُنْفِقُوا على من عِندَ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حتى يَنْفَضُّوا، وقال: لَئِنْ رَجَعْنَا إلى المدينة لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ منها الأَذَلَّ، فَأَتَيْتُ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فَأَخْبَرْتُه بذلك، فأَرْسَل إلى عبد الله بن أُبي، فاجْتَهَدَ يَمِينَه: ما فعل، فقالوا: كَذَب زَيْدٌ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فَوَقَعَ في نَفْسِي ممَّا قَاَلُوه شِدَّة حتَّى أَنْزَل الله تعالى تَصْدِيقِي: (إذا جاءك المنافقون) ثم دعاهُم النبي -صلى الله عليه وسلم- لِيَسْتَغْفِرَ لهم فَلَوَّوْا رُؤُوسَهُم.

 
Hadith   185   الحديث
الأهمية: لئن كنت كما قلت، فكأنما تُسِفُّهُمْ الْمَلَّ ، ولا يزال معك من الله ظهير عليهم ما دمت على ذلك
থিম: তুমি যা বললে, যদি প্রকৃত অবস্থা তাই হয় তাহলে তুমি যেন তাদের উপর জ্বলন্ত ছাই নিক্ষেপ করছ আর সর্বদা তোমার সঙ্গে আল্লাহর তরফ থেকে তাদের বিপক্ষে একজন সাহায্যকারী (ফিরিশতা) থাকবে, যতক্ষণ তুমি এ অবস্থায় বহাল থাকবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن رجلاً قال: يا رسول الله، إن لي قَرابَة أصِلهم ويقطعوني، وأحسن إليهم ويُسيئُون إليَّ، وأحْلَمُ عنهم ويجهلون عليَّ، فقال:   لئن كنت كما قلت، فكأنما تُسِفُّهُمْ الْمَلَّ، ولا يزال معك من الله ظهير عليهم ما دمت على ذلك>.

 
Hadith   186   الحديث
الأهمية: مَا أحَدٌ يَدْخُل الجنَّة يُحِبُّ أن يَرجع إلى الدنيا وله ما على الأرض من شيء إلا الشَّهيد، يَتَمَنَّى أن يَرجع إلى الدنيا، فيُقْتَل عَشْر مَرَّاتٍ؛ لما يَرَى من الكَرَامة
থিম: জান্নাতে প্রবেশের পর একমাত্র শহীদ ছাড়া আর কেউ দুনিয়ায় ফিরে আসার আকাঙ্খা করবে না, যদিও দুনিয়ার সকল জিনিস তাকে দেওয়া হয়। শহীদ দুনিয়ায় ফিরে আসার আকাঙ্খা করবে। শাহাদাতের মর্যাদা দেখে সে দশবার শহীদ হওয়ার আকাঙ্খা প্রকাশ করবে।

عن أنس -رضي الله عنه-: أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال:   مَا أحَدٌ يَدْخُل الجنَّة يُحِبُّ أن يَرجع إلى الدنيا وله ما على الأرض من شيء إلا الشَّهيد، يَتَمَنَّى أن يَرجع إلى الدنيا، فيُقْتَل عَشْر مَرَّاتٍ؛ لما يَرَى من الكَرَامة>.
   وفي رواية:   لما يَرى من فَضْل الشَّهادة>.

 
Hadith   187   الحديث
الأهمية: ما أُظُن فُلَانا وفُلَانا يَعْرِفَان من دِيِننَا شَيْئَا
থিম: আমি মনে করি না যে, অমুক ও অমুক আমাদের দীন সম্পর্কে কিছু জানে।

عن عائشة-رضي الله عنها-    قالت: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <ما أُظُن فُلَانا وفُلَانا يَعْرِفَان من دِيِننَا شَيْئَا>.
   قال اللَّيث بن سعد أحد رُواة هذا الحديث: هذان الرجلان كانا من المنافقين.

 
Hadith   188   الحديث
الأهمية: ما اغْبَرَّتْ قَدَمَا عَبْدٍ في سَبِيل الله فَتَمَسَّهُ النَّار
থিম: যে বান্দার দু'টি পা আল্লাহর পথে ধুলায় ধূসরিত হবে, তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।

عن أبي عَبْس عبد الرحمن بن جبر -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <ما اغْبَرَّتْ قَدَمَا عَبْدٍ في سَبِيل الله فَتَمَسَّهُ النَّار>.

 
Hadith   189   الحديث
الأهمية: ما الدنيا في الآخرة إلا مِثْل ما يجعل أحدكم أُصْبُعَهُ في اليَمِّ، فلينظر بِمَ يَرْجع
থিম: আখেরাতের মোকাবেলায় দুনিয়ার দৃষ্টান্ত ঐরূপ, যেমন তোমাদের কেউ সমুদ্রে আঙ্গুল ডুবায় অতঃপর দেখে তা কতটুকু পানি নিয়ে ফিরে।

عن المُسْتَوْرِد بن شَدَّاد -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <ما الدنيا في الآخرة إلا مِثْل ما يجعل أحدكم أُصْبُعَهُ في اليَمِّ، فلينظر بِمَ يَرْجع!>.

 
Hadith   190   الحديث
الأهمية: هذا خَيرٌ من مِلءِ الأرض مثل هذا
থিম: এ ব্যক্তি দুনিয়া ভর্তি ঐরূপ লোকের চেয়ে অনেক উত্তম।

عن سهل بن سعد الساعدي -رضي الله عنه- قال: مَرَّ رجلٌ على النبي -صلى الله عليه وسلم- فقال لرجل عنده جالسٌ:   ما رأيُك في هَذا؟>، فقال: رجل من أَشراف الناس، هذا والله حَرِيٌّ إن خَطب أن يُنْكَحَ، وإن شَفع أن يُشَفَّعَ، فَسكت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- ثم مرَّ رجلٌ آخر، فقال له رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <ما رأيُك في هذا؟   فقال: يا رسول الله، هذا رجلٌ من فقراء المسلمين، هذا حَرِيٌّ إن خَطب أن لا يُنْكَحَ، وإن شَفَعَ أن لا يُشَفَّعَ، وإن قال أن لا يُسمع لقوله، فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <هذا خَيرٌ من مِلءِ الأرض مثل هذا>.

 
Hadith   191   الحديث
الأهمية: ما سُئل رسول الله - صلى الله عليه وسلم- شيئا قطُّ، فقال: لا
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কোনো কিছু চাওয়া হলে তিনি কখনো না বলতেন না।

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما- قال: ما سُئل رسول الله - صلى الله عليه وسلم- شيئا قطُّ، فقال: لا.
   وعن أنس -رضي الله عنه- قال: ما سئل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- على الإسلام شيئا إلا أعطاه، ولقد جاءه رجل، فأعطاه غنما بين جبلين، فرجع إلى قومه، فقال: يا قوم، أسلموا فإن محمدا يعطي عطاء من لا يخشى الفقر، وإن كان الرجل ليسلم ما يريد إلا الدنيا، فما يلبث إلا يسيرا حتى يكون الإسلام أحب إليه من الدنيا وما عليها.

 
Hadith   192   الحديث
الأهمية: لو يَعلمُ المؤمنُ ما عند الله من العقوبة، ما طَمِع بِجَنَّته أحدٌ، ولو يَعلمُ الكافرُ ما عند الله من الرحمة، ما قَنَط من جَنَّته أحد
থিম: যদি মুমিন জানত যে, আল্লাহর নিকট কী শাস্তি রয়েছে, তাহলে কেউ তার জান্নাতের আশা করত না। আর যদি কাফের জানত যে, আল্লাহর নিকট কী করুণা রয়েছে, তাহলে কেউ তার জান্নাত থেকে নিরাশ হত না।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال:   لو يعلمُ المؤمنُ ما عند الله من العقوبة، ما طَمِع بِجَنَّتِهِ أحدٌ، ولو يَعلمُ الكافرُ ما عند الله من الرَّحمة، ما قَنَطَ من جَنَّتِهِ أحدٌ>.

 
Hadith   193   الحديث
الأهمية: ما من قَوْمٍ يَقُومُونَ من مجلس لا يَذْكُرُون الله تعالى فيه، إلا قاموا عن مثل جِيفَةِ حمار، وكان لهم حَسْرَةً
থিম: কোনো কাওম যখন কোনো মজলিস থেকে আল্লাহর যিকির করা ছাড়া ওঠে পরে তখন তারা যেন গাধার শবদেহ থেকে উঠল। আর এটি তাদের জন্য পরিতাপের কারণ হবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <ما من قوم يقومون من مجلس لا يذكرون الله -تعالى- فيه، إلا قاموا عن مثل جيفة حمار، وكان لهم حسرة>.

 
Hadith   194   الحديث
الأهمية: ما من مسلم يَغرس غَرسًا إلا كان ما أُكل منه له صدقة، وما سُرق منه له صدقة، ولا يَرْزَؤُهُ أحد إلا كان له صدقة
থিম: যে কোনো মুসলিম কোনো গাছ লাগায়, অতঃপর তা থেকে যতটা খাওয়া হয়, তা তার জন্য সাদকাহ হয়, তা থেকে যতটুকু চুরি হয়, তা তার জন্য সাদকাহ হয় এবং যে কোনো ব্যক্তি তার থেকে কিছু গ্রহণ করে, সেটাও তার জন্য সাদকাহ হয়ে যায়।

عن جابر-رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <ما من مسلم يَغرس غَرسا إلا كان ما أُكل منه له صدقة، وما سُرق منه له صدقة، ولا يَرْزَؤُهُ أحد إلا كان له صدقة>.
وفي رواية:   فلا يَغرس المسلم غَرسا فيأكلَ منه إنسان ولا دَابَة ولا طير إلا كان له صدقة إلى يوم القيامة>، وفي رواية:   لا يَغرس مسلم غرسا، ولا يزرع زرعًا، فيأكل منه إنسان ولا دَابَة ولا شيء، إلا كانت له صدقة>.

 
Hadith   195   الحديث
الأهمية: مَا يَجِدُ الشَّهيد من مَسِّ القتل إلا كما يَجِدُ أَحَدُكُمْ من مَسِّ القَرْصَةِ
থিম: তোমাদের কাউকে একবার চিমটি কাটায় যতোটুকু ব্যথা পাও শহীদ তার শাহাদাতের সময় ততোটুকুই কষ্ট পায়।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <مَا يَجِدُ الشَّهيد من مَسِّ القتل إلا كما يَجِدُ أَحَدُكُمْ من مَسِّ القَرْصَةِ>.

 
Hadith   196   الحديث
الأهمية: لئِن أنا حَيِيت حتَّى آكُل تَمَرَاتي هذه إنَّها لحياة طويلة، فَرَمَى بما كان معه من التَّمر، ثم قاتَلَهُم حتَّى قُتِل
থিম: যদি আমি এগুলো খাওয়া পর্যন্ত জীবিত থাকি, তবে এটাই তো দীর্ঘ হায়াত হবে (এত দেরি সহ্য হবে না), তাই সে তাঁর কাছে যত খেজুর ছিল, সব ফেলে দিয়ে তাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন, অবশেষে শহীদ হলেন।

عن أنس -رضي الله عنه- قال: انطلق رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وأصحابه حتى سبقوا المشركين إلى بدر، وجاء المشركون، فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <لا يقدمن أحد منكم إلى شيء حتى أكون أنا دونه>، فدنا المشركون، فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <قوموا إلى جنة عرضها السماوات والأرض   قال: يقول عمير بن الحمام الأنصاري -رضي الله عنه-: يا رسول الله، جنة عرضها السماوات والأرض؟ قال:   نعم   قال: بخ بخ ؟ فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: <ما يحملك على قولك بخ بخ؟   قال: لا والله يا رسول الله إلا رجاء أن أكون من أهلها، قال:   فإنك من أهلها   فأخرج تمرات من قرنه، فجعل يأكل منهن، ثم قال: لئن أنا حييت حتى آكل تمراتي هذه إنها لحياة طويلة، فرمى بما كان معه من التمر، ثم قاتلهم حتى قتل.

 
Hadith   197   الحديث
الأهمية: ما يَسُرُّنِي أن عندي مثل أُحُدٍ هذا ذهبًا تمضي عليَّ ثلاثة أيام وعندي منه دينارٌ، إلا شيء أرصده لِدَيْنٍ، إلا أن أقولَ به في عباد الله هكذا وهكذا وهكذا
থিম: এতে আমি খুশী নই যে, আমার নিকট এই উহুদ পাহাড় সমান স্বর্ণ থাকবে, এ অবস্থায় তিনদিন অতিবাহিত হবে অথচ তার মধ্য থেকে একটি দীনারও আমার কাছে অবশিষ্ট থাকবে। অবশ্য তা থাকবে যা আমি ঋণ আদায়ের জন্য বাকী রাখব অথবা আল্লাহর বান্দাদের মাঝে এইভাবে এইভাবে এইভাবে দান করার জন্যে রাখব।

عن أبي ذر -رضي الله عنه- قال: كنت أمشي مع النبي -صلى الله عليه وسلم- في حَرَّةٍ بالمدينة، فاستقبلنا أُحُدٌ، فقال:   يا أبا ذر   قلت: لبيك يا رسول الله. فقال:   ما يَسُرُّنِي أن عندي مثل أُحُدٍ هذا ذهبًا تمضي علي ثلاثة أيام وعندي منه دينارٌ، إلا شيء أرصده لِدَيْنٍ، إلا أن أقولَ به في عباد الله هكذا وهكذا وهكذا   عن يمينه وعن شماله ومن خلفه، ثم سار، فقال:   إن الأكثرين هم الأَقَلُّونَ يوم القيامة إلا من قال بالمال هكذا وهكذا وهكذا   عن يمينه وعن شماله ومن خَلفه <وقليل ماهم>. ثم قال لي:   مكانك لا تَبْرح حتى آتيك   ثم انطلق في سوادِ الليل حتى تَوارى، فسمعت صوتًا، قد ارتفع، فَتَخَوَّفْتُ أن يكون أحدٌ عَرض للنبي -صلى الله عليه وسلم- فأردت أن آتيه فذكرت قوله:   لا تَبْرَحْ حتى آتيك   فلم أبْرَحْ حتى أتاني، فقلت: لقد سمعت صوتًا تَخَوَّفْتُ منه، فذكرت له، فقال:   وهل سمعته؟   قلت: نعم، قال:   ذاك جبريل أتاني فقال: من مات من أُمتك لا يُشرك بالله شيئًا دخل الجنة>، قلت: وإن زنى وإن سرق؟ قال:   وإن زنى وإن سرق>.

 
Hadith   198   الحديث
الأهمية: مَثَلُ المجاهد في سَبِيل الله كمَثل الصَائم القَائم القَانت بآيات الله لا يَفْتُر من صيام، ولا صلاة، حتى يَرْجِع المجاهد في سبيل الله
থিম: আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের উদাহরণ দিনের বেলায় সিয়াম পালনকারী এবং রাতে তাহাজ্জুদ নামাযে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াতকারীর ন্যায়, যে সিয়াম পালন করে ও সালাত আদায়ে ক্লান্ত হয় না, যতক্ষণ না মুজাহিদ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা থেকে ফিরে আসে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قيل: يا رسول الله، ما يعدل الجهاد في سبيل الله؟ قال:   لا تستطيعونه   فأعادوا عليه مرتين أو ثلاثًا كل ذلك يقول:   لا تستطيعونه>! ثم قال:   مثل المجاهد في سبيل الله كمثل الصائم القائم القانت بآيات الله لا يَفْتُرُ من صيام، ولا صلاة، حتى يرجع المجاهد في سبيل الله>.
وفي رواية البخاري: أن رجلاً قال: يا رسول الله، دلني على عمل يعْدِلُ الجهاد؟ قال:   لا أجده   ثم قال:   هل تستطيع إذا خرج المجاهد أن تدخل مسجدك فتقوم ولا تفتر، وتصوم ولا تفطر>؟ فقال:   ومن يستطيع ذلك؟!





© EsinIslam.Com Designed & produced by The Awqaf London. Please pray for us