বাংলা ভাষায় হাদিস এক্সপ্লোরার مكتشف الحديث باللغة الإنجليزية
 
Hadith   58   الحديث
الأهمية: نَحَرْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ الله -صلى الله عليه وسلم- فَرَسًا فَأَكَلْنَاهُ
থিম: আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাললাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একটি ঘোড়া নহর করলাম এবং সেটি খেলাম।

عن أَسْمَاء بِنْت أَبِي بَكْرٍ-رضي الله عنهما- قالت: �نَحَرْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ الله-صلى الله عليه وسلم- فَرَسًا فَأَكَلْنَاهُ�. وَفِي رِوَايَةٍ �وَنَحْنُ بِالْمَدِينَةِ�.

আসমা বিনত আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, �আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাললাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একটি ঘোড়া নহর করলাম এবং সেটি খেলাম।� অন্য বর্ণনায় রয়েছে, �তখন আমরা মদীনায় ছিলাম।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
تُخبِرُ أَسْمَاءُ بِنْت أبي بكر الصديق -رضي الله عنهما- أنهم نَحَرُوا فَرَساً عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- وَأَكَلُوهُ، وفي ذلك دَلَالَةٌ عَلَى جَوَازِ أَكْلِ لُحُومِ الخَيْلِ، ولا يَتَوَهَم أَحَدٌ مَنْعَ أَكْلِهَا لاقْتِرَانِهَا مَعَ الحَمِيرِ والْبِغَالِ في الآية، وهي قوله تعالى: (وَالْخَيْلَ وَالْبِغَالَ وَالْحَمِيرَ لِتَرْكَبُوهَا وَزِينَةً وَيَخْلُقُ مَا لا تَعْلَمُونَ)، [ النحل : 8 ].
থিম: আসমা বিনত আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা সংবাদ দিয়েছেন যে, তারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাললাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে একটি ঘোড়া নহর করেছিলেন এবং সেটি ভক্ষণ করেছেন। এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, ঘোড়ার গোস্ত খাওয়া জায়েয। সুতরাং আল-কুরআনে গাধা ও খচ্চরের সাথে ঘোড়ার কথা উল্লেখ করায় এটি খাওয়া নিষিদ্ধ হওয়ার সন্দেহ করা যাবে না। আল্লাহ বলেছেন, �আর (তিনি সৃষ্টি করেছেন) ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা, তোমাদের আরোহণ ও শোভার জন্য এবং তিনি সৃষ্টি করেন এমন কিছু, যা তোমরা জান না।� [সূরা আন-নাহাল, আয়াত: ৮]
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3000

 
Hadith   59   الحديث
الأهمية: نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَمْشِيَ إلَى بَيْتِ الله الْحَرَامِ حَافِيَةً، فَأَمَرَتْنِي أَنْ أَسْتَفْتِيَ لَهَا رَسُولَ الله-صلى الله عليه وسلم- فَاسْتَفْتَيْتُهُ، فَقَالَ: لِتَمْشِ وَلْتَرْكَبْ
থিম: আমার বোন পায়ে হেঁটে হাজ্জ করার মানত করেছিল। আমাকে এ বিষয়ে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে ফাতাওয়া আনার নির্দেশ করলে আমি নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, পায়ে হেঁটেও চলুক, সাওয়ারও হোক।

عن عُقْبَة بْن عَامِرٍ -رضي الله عنه- قال: �نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَمْشِيَ إلَى بَيْتِ الله الْحَرَامِ حَافِيَةً، فَأَمَرَتْنِي أَنْ أَسْتَفْتِيَ لَهَا رَسُولَ الله-صلى الله عليه وسلم- فَاسْتَفْتَيْتُهُ، فَقَالَ: لِتَمْشِ وَلْتَرْكَبْ�.

�উকবাহ ইব্নু �আমির রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, �আমার বোন পায়ে হেঁটে হাজ্জ করার মানত করেছিল। আমাকে এ বিষয়ে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে ফাতাওয়া আনার নির্দেশ করলে আমি নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, পায়ে হেঁটেও চলুক, সাওয়ারও হোক�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
مِنْ طَبِيعَةِ الإنسَان أنَّه يَنْدَفِعُ أحياناً فَيُوجِبُ على نفسه مَا يَشُقُّ عليه، وقد جاء شَرْعُنا بالاعتدَال، وعدمِ المشَقَّة عَلى النَّفس في العِبادة حتى تَسْتَمِر، وفي هذا الحدِيثِ طلبت أخت عقبة بن عامر منه، أن يسأل رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أنها نذرت أن تذهب إلى البيت الحرام ماشية حافية، فرَأَى النَّبي -صلى الله عليه وسلم- أنَّ هذه المرأة تُطِيقُ شَيئاً مِن المشي، فَأمَرَها أَنْ تَمشِي مَا أَطَاقَت المشي، وأَنْ تَرْكَبَ إذا عَجَزَت عَن المشي.
মানুষের স্বভাব হলো কখনো কখনো সে আবেগ প্রবণ হয়ে তার নিজের ওপর এমন কিছু ওয়াজিব করে যা তার ওপর কষ্টকর হয়, অথচ আমাদের শরী�আত এসেছে মধ্যমপন্থা ও ইবাদত করতে গিয়ে আত্মাকে কষ্ট না দেওয়ার নীতি নিয়ে যেন তা (কিয়ামত পর্যন্ত) অব্যাহত থাকে। এ হাদীসটিতে উকবা ইবন আমেরের বোন তার কাছে চাইল, সে যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করে যে, তিনি বাইতুল্লায় খালি পায়ে হেঁটে যাওয়ার মান্নত করেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন এ মহিলা কিছু পথ হাঁটতে পারবে। তাই তিনি তাকে যতক্ষণ হাঁটতে সক্ষম ততক্ষণ হাঁটা এবং যখন অক্ষম হবে তখন সাওয়ার হওয়ার নির্দেশ দিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3001

 
Hadith   60   الحديث
الأهمية: نَهَى رَسُولُ الله عَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ إلاَّ مَوْضِعَ أُصْبُعَيْنِ، أَوْ ثَلاثٍ، أَوْ أَرْبَعٍ
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন; তবে দুই, তিন কিংবা চার অঙ্গুলি পরিমাণ ছাড়া।

عن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- أَنَّ رَسُولَ الله -صلى الله عليه وسلم- �نهى عن لُبُوسِ الحَرِيرِ إلا هكذا، ورَفَعَ لنا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أُصْبُعَيْهِ: السَّبَّابَةَ، والوُسْطَى�.
ولمسلم �نهى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن لُبْس ِالحَرِيرِ إلا مَوْضِعَ أُصْبُعَيْنِ، أو ثلاثٍ، أو أربعٍ�.

উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন, তবে এতটুকুই ছাড়া। (বর্ণনাকারী বলেন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে তাঁর মধ্যমা ও শাহাদাত অঙ্গুলি উঠান।
মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন, তবে দুই, তিন কিংবা চার অঙ্গুলি পরিমাণ।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- نهى الذكور عن لبس الحرير إلا ما استثني، والمستثنى في الحديث المتفق عليه أصبعين، وفي رواية مسلم أو ثلاث أو أربع، فيؤخذ بالأكثر؛ فلا بأس من مقدار أربعة أصابع من الحرير في اللباس.
নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষকে রেশমী পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। তবে যেটুকু তিনি বাদ দিয়েছেন। মুত্তাফাকুন আলাইহি হাদীসে বাদ দেওয়ার পরিমাণ দুই আঙ্গুল পরিমাণ। সহীহ মুসলিমের বর্ণনায় তিন কিংবা চার অঙ্গুলি পরিমাণ। সুতরাং সর্বাধিক পরিমাণ গ্রহণ করা হবে, তাই চার আঙ্গুল পরিমাণ রেশমী কাপড় পরিধান করলে কোনো দোষ নেই।
দেখুন তা�সীসুল আহকাম।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3002

 
Hadith   61   الحديث
الأهمية: أن النبيَّ -صلى الله عليه وسلم- نَهَى عن لُحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ، وأذن في لحوم الخيل
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহপালিত গাধার গোস্ত খেতে নিষেধ করেছেন এবং ঘোড়ার গোস্ত খাওয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন।

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما-: (أن النبي -صلى الله عليه وسلم- نهى عن لحوم الحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ، وأَذِنَ في لحوم الخيل).
ولمسلم وحده قال: (أكلنا زمن خيبر الخيل وحُمُرَ الوَحْشِ، ونهى النبي -صلى الله عليه وسلم- عن الحمار الأَهْلِيِّ).
عن عبد الله بن أبي أوفى -رضي الله عنه- قال: (أصابتنا مجاعة ليالي خيبر، فلما كان يوم خيبر: وقعنا في الحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ فانْتَحَرْنَاهَا، فلما غَلَتِ بها القُدُورُ: نادى مُنَادِي رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أن أَكْفِئُوا القُدُورَ، وربما قال: ولا تأكلوا من لحوم الحُمُرِ شيئا).
عن أبي ثعلبة -رضي الله عنه- قال: (حَرَّمَ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لحوم الحُمُر الأَهْلِيَّةِ).

থিম: জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহপালিত গাধার গোস্ত খেতে নিষেধ করেছেন এবং ঘোড়ার গোস্ত খাওয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন। সহীহ মুসলিমের একক বর্ণনায় বর্ণিত: আমরা খাইবারের বছর জঙ্গলি গাধা ও ঘোড়ার গোস্ত খেয়েছি। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের গৃহ পালিত গাধার গোস্ত খাওয়া থেকে নিষেধ করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবন আবূ আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: খাইবারের রাতে আমাদের ক্ষুধা পেল। যখন দিন হলো আমরা গৃহ পালিত গাধার ওপর লুটে পড়লাম। যখন পাতিলসমূহ উতরানো আরম্ভ করল তখন রাসূলের আহ্বানকারী বলল, তোমরা পাতিলসমূহ উল্টে ফেল। হয়তো বা বলল, তোমরা গাধার গোস্ত থেকে কিছুই ভক্ষণ করো না। সা�লাবা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহপালিত গাধার গোস্ত নিষিদ্ধ করেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يُخبرُ جابرُ بنُ عبدالله -رضي الله عنهما- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- نهَى عن لحُومِ الحُمُرِ الأهْلِيةِ، أي: نَهَى عَنْ أَكْلِهَا، وَأَنَّه أبَاحَ وأَذِنَ في لُحُومِ الْخَيلِ والْحِمَارِ الوَحْشِي، ويُخبر عبدالله بن أبي أوفى -رضي الله عنهما- بأنَّهم حَصَلَتْ لهم مَجَاعَةٌ في لَيَالي مَوْقِعَةِ خَيْبَر، ولما فُتِحَت انْتَحَرُوا مِنْ حُمُرِها، وأَخَذُوا مِنْ لَحْمِها وطَبَخُوهُ، ولما طَبَخُوه أَمَرَهُم النبي -صلى الله عليه وسلم- بكفْئ ِالقدورِ أي قلبها، وعَدَمِ الأَكل من ذلك اللحم.
জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সংবাদ দেন যে, গৃহপালিত গাধার গোস্ত খেতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি ঘোড়া ও গাধার গোস্ত খাওয়ার অনুমতি প্রদান করেছেন। আর আব্দুল্লাহ ইবন আবূ আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সংবাদ দেন যে, খাইবারে ঘটনার রাতে তাদের ক্ষুধা পেয়েছিল। যখন খাইবার জয় হলো, তারা তার গাধা যবেহ করলেন এবং তার গোস্ত নিলেন এবং রান্না করা আরম্ভ করলেন। তারপর যখন তারা তা রান্না করা শেষ করলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের পাতিলসমূহ উল্টে ফেলা এবং এ গোস্ত থেকে কোন কিছু না খাওয়ার নির্দেশ দিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3003

 
Hadith   62   الحديث
الأهمية: يا عبدَ الرحمَنِ بْنَ سَمُرَةَ، لا تَسْأَلْ الإِمَارَةَ؛ فَإِنَّكَ إن أُعْطِيتَها عن مسأَلَةٍ وُكِّلْتَ إليها
থিম: হে আব্দুর রহমান ইবন সামুরাহ! তুমি সরকারী পদ চেয়ো না। কারণ যদি তুমি তা চাওয়ার কারণে পাও, তাহলে তার প্রতি তোমাকে সঁপে দেওয়া হবে।

عن عَبْد الرَّحْمَنِ بْن سَمُرَةَ -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال له: �يا عبد الرحمن بن سَمُرَة، لا تَسْأَلِ الإِمَارَةَ؛ فإنك إن أُعْطِيتَها عن مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إليها، وإن أُعْطِيتَهَا عن غير مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عليها، وإذا حَلَفْتَ على يمينٍ فرأيتَ غيرها خيرًا منها، فَكَفِّرْ عن يمينك، وَأْتِ الذي هو خير�.

আব্দুর রহমান ইবনে সামুরাহ �রাদিয়াল্লাহু <�আনহু� বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, �হে আব্দুর রহমান ইবন সামুরাহ! তুমি সরকারী পদ চেয়ো না। কারণ যদি তুমি তা চাওয়ার কারণে পাও, তাহলে তার প্রতি তোমাকে সঁপে দেওয়া হবে। (এবং তাতে আল্লাহর সাহায্য পাবে না।) আর যদি তা তোমাকে চাওয়া ব্যতিরেকে দেওয়া হয় তাহলে তাতে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর যখন তুমি কোন কসম খাবে, অতঃপর তা থেকে অন্য কাজ উত্তম মনে করবে, তখন উত্তম কাজটা কর এবং তোমার কসমের কাফ্ফারা দিয়ে দাও�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
نهى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن سؤال الإمارة؛ لأنَّ مَن أعطيها عن مسألةٍ خُذِلَ وتُرِكَ لِرَغْبَتِه في الدنيا وتفضيلها على الآخرة، وأن من أُعْطِيَها عَنْ غَيْرِ مسألةٍ أعانَهُ اللهُ علَيها، وأنَّ الحَلف على شيء لا يكون مانعًا عن الخير، فإن رأى الحالفُ الخيرَ في غيرِ الحلف فلَه التَّخَلُص من الحلف بالكفارة ثم يأت الخير.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সরকারী পদ চেয়ে নেওয়া থেকে নিষেধ করেছেন। কারণ, যাকে পদ চাওয়ার কারণে তা দেওয়া হয়, লাঞ্চিত হয় এবং দুনিয়ার প্রতি আগ্রহী হওয়া এবং আখিরাতের ওপর তাকে প্রাধান্য দেওয়ার কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর যদি না চাওয়া সত্বেও তা দেওয়া হয় আল্লাহ তার ওপর তাকে সাহায্য করেন। কোন কিছুর ওপর সপথ করা কোনো কল্যাণকর কাজের জন্য বাধা হবে না। যদি কোন ব্যক্তি সপথ ভিন্ন অন্য কিছুতে কল্যাণ দেখে, তখন সে কাফফারা আদায়ের মাধ্যমে সপথ থেকে রেহাই নিবে এবং কল্যাণকর কাজটি করবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3004

 
Hadith   63   الحديث
الأهمية: ألا أُخْبِرُكُم عن النَّفَرِ الثلاثة: أما أحدهم فأَوَى إلى الله فآوَاهُ الله إليه، وأما الآخر فاسْتَحْيا فاسْتَحْيَا الله منه، وأما الآخر، فأعْرَضَ، فأعرضَ اللهُ عنه
থিম: আমি কি তোমাদেরকে তিন ব্যক্তি সম্পর্কে সংবাদ দেব ? তাদের একজন আল্লাহর দিকে এগিয়ে এসেছে, তাই আল্লাহ তাকে স্থান দিয়েছেন। অন্যজন (ভীড় ঠেলে অগ্রসর হতে অথবা ফিরে যেতে) লজ্জাবোধ করেছেন। তাই আল্লাহও তার থেকে লজ্জাবোধ করেছেন অর্থাৎ আল্লাহ তাকে রহমত থেকে বঞ্চিত করতে লজ্জাবোধ করেছেন। আর অপরজন (মজলিসে হাজির হওয়া থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই আল্লাহও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।

عن أبي واقد الحارث بن عوف -رضي الله عنه- أنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بينما هو جالس في المسجد، والناس معه، إذ أقبل ثلاثَةُ نَفَرٍ، فأقبل اثنان إلى رسول الله، -صلى الله عليه وسلم- وذهب واحد، فوقفا على رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، فأما أحدهما فرأى فُرْجَةً في الْحَلْقَةِ فجلس فيها، وأما الآخر فجلس خلفهم، وأما الثالث فأدْبَر ذاهبٍا، فلما فرغ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: �ألا أُخْبِرُكُم عن النَّفَرِ الثلاثة: أما أحدهم فأَوَى إلى الله فآوَاهُ الله إليه، وأما الآخر فاسْتَحْيا فاسْتَحْيَا الله منه، وأما الآخر، فأعْرَضَ، فأعرضَ اللهُ عنه�.

আবূ ওয়াক্বেদ হারেস ইবনে আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে বসেছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে কিছু লোকও ছিল। ইতোমধ্যে তিনজন লোক আগমন করল। তাদের মধ্যে দু�জন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে উপস্থিত হল এবং একজন চলে গেল। নবাগত দু�জন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাশে দাঁড়িয়ে রইল। তাদের একজন সভার মধ্যে ফাঁক দেখে সেখানে বসে পড়ল। আর অপরজন সভার পিছনে বসে গেল। আর তৃতীয় ব্যক্তি পিঠ ঘুরিয়ে প্রস্থান করল। যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবসর পেলেন, তখন বললেন, ��তোমাদেরকে তিন ব্যক্তি সম্পর্কে বলব না কি? তাদের একজন তো আল্লাহর কাছে আশ্রয় গ্রহণ করল, ফলে আল্লাহ তাকে আশ্রয় দান করলেন। আর দ্বিতীয়জন সে [সভার মধ্যে ঢুকে বসতে] লজ্জাবোধ করল, বিধায় আল্লাহও তাঁর ব্যাপারে লজ্জাশীলতা প্রয়োগ [করে তাকে রহম] করলেন। আর তৃতীয়-জন মুখ ফিরিয়ে নিলো, বিধায় আল্লাহও তার দিক থেকে বিমুখ হয়ে গেলেন।��

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في الحديث أنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كان جالسا في المسجد، والناس معه، إذ أقبل ثلاثَةُ رجال، فأقبل اثنان إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وذهب واحد؛ فوقفا عند حلقة رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، فأما أحدهما فرأى مكاناً فارغاً في الْحَلْقَةِ فجلس فيها، والحلقة رجال جالسون على شكل دائرة أمام النبي -صلى الله عليه وسلم- وأما الآخر فجلس خلفهم، وأما الثالث فرجع وانصرف، فلما فرغ وانتهى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- من حديثه الذي كان فيه، قال للصحابة ألا أُخْبِرُكُم عن الرجال الثلاثة: أما أحدهم فأَوَى إلى الله فآوَاهُ الله إليه أي جلس في المكان الفارغ يستمع ذكر الله فأكرمه الله بفضيلة ذلك المجلس المبارك، وأما الآخر فاسْتَحْيا فاسْتَحْيَا الله منه أي امتنع من المزاحمة؛ فجلس خلف الحلقة فلم يُمنع من بركة المجلس، وأما الآخر فأعْرَضَ، فأعرضَ اللهُ عنه أي ذهب بلا عذر فمُنع بركة المجلس.
এ হাদীসে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু �আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকজন নিয়ে মসজিদে বসেছিলেন। ইতিমধ্যে তিনজন লোক আসলেন। তন্মধ্যে দুজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিকে এগিয়ে এলেন এবং একজন চলে গেলেন। তারা দুজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের হালকায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। এরপর তাদের একজন হালকার মধ্যে কিছুটা জায়গা দেখে সেখানে বসে পড়লেন। আর হালকা হলো নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে লোকজনের গোলাকার হয়ে বসা। অন্যজন তাদের পেছনে বসলেন। আর তৃতীয় ব্যক্তি ফিরে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলোচনা শেষে সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বললেন, �আমি কি তোমাদেরকে তিন ব্যক্তি সম্পর্কে সংবাদ দেব? তাদের একজন আল্লাহর দিকে এগিয়ে এসেছে, তাই আল্লাহ তাকে স্থান দিয়েছেন। অর্থাৎ সে আল্লাহর বাণী শুনতে খালি জায়গায় বসেছেন। ফলে এ বরকমতময় মজলিশের ফযীলত দ্বারা আল্লাহ তাকে মর্যাদাবান করেছেন। অন্যজন লজ্জাবোধ করেছেন। তাই আল্লাহও তার থেকে লজ্জাবোধ করেছেন অর্থাৎ সে ভীড় ঠেলে অগ্রসর হতে লজ্জাবোধ করেছেন, তাই সে হালকার পিছনে বসেছেন। ফলে সে মজলিশের বরকত থেকে বঞ্চিত হয় নি। আর অপরজন (মজলিসে হাজির হওয়া থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই আল্লাহও তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অর্থাৎ সে বিনা ওযরে মজলিশে না বসে চলে গেছে, ফলে সে মজলিশের বরকত থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3005

 
Hadith   64   الحديث
الأهمية: قال قل: اللهم فاطِرَ السماوات والأرض عالم الغيبِ والشهادة؛ ربَّ كُلِّ شَيءٍ ومَلِيكَه، أَشْهد أن لا إله إلا أنت، أعوذ بك من شرِّ نفسي وشرِّ الشيطان وشِرْكِهِ
থিম: তিনি বলেন, �বল, হে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকর্তা, উপস্থিত ও অনুপস্থিত পরিজ্ঞাতা, প্রত্যেক বস্তুর প্রতিপালক ও অধিপতি আল্লাহ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি আমার আত্মার মন্দ হতে এবং শয়তানের মন্দ ও শির্ক হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن أبا بكر الصديق -رضي الله عنه- قال: يا رسول الله مُرني بكلمات أقُولُهُنَّ إذا أصبَحتُ وإذا أمسَيتُ، قال: �قل: اللهم فاطِرَ السماوات والأرض عالم الغيبِ والشهادة، ربَّ كُلِّ شَيءٍ ومَلِيكَه، أَشْهد أن لا إله إلا أنت، أعوذ بك من شرِّ نفسي وشرِّ الشيطان وشِرْكِهِ وأن أقترف على نفسي سوءًا أو أجرُّه إلى مسلم� قال: �قلها إذا أصبحت، وإذا أمسيت، وإذا أخذْتَ مَضْجَعَك�.

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, আবূ বাকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বললেন, �হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে কিছু বাক্য বাতলে দিন, যেগুলি সকাল-সন্ধ্যায় আমি পড়তে থাকব।� তিনি বললেন, �বল, হে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকর্তা, উপস্থিত ও অনুপস্থিত পরিজ্ঞাতা, প্রত্যেক বস্তুর প্রতিপালক ও অধিপতি আল্লাহ! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি আমার আত্মার মন্দ হতে এবং শয়তানের মন্দ ও শির্ক হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এটি সকাল-সন্ধ্যা ও শোবার সময় পাঠ করো।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذا الذكر من الأذكار التي تقال في الصباح والمساء، والذي علَّمها النبي -صلى الله عليه وسلم- أبا بكر -رضي الله عنه- حيث قال: علمني.
   فعلمه النبي -صلى الله عليه وسلم- ذكرًا ودعاءً يدعو به كلما أصبح وكلما أمسى، وأمره أن يقول: (اللهم فاطر السماوات والأرض) يعني: يا الله يا فاطر السماوات والأرض وفاطرهما، يعني أنه خلقهما عز وجل على غير مثال سبق، بل أبدعهما وأوجدهما من العدم على غير مثال سبق.
(عالم الغيب والشهادة) أي: عالم ما غاب عن الخلق وما شاهدوه؛ لأن الله تعالى يعلم الحاضر والمستقبل والماضي.
(رب كل شيء ومليكه)، يعني: يا رب كل شيء ومليكه، والله تعالى هو رب كل شيء وهو مليك كل شيء.
(أشهد أن لا إله إلا أنت): أعترف بلساني وقلبي أنه لا معبود حق إلا أنت، فكل ما عبد من دون الله فإنه باطل لا حق له في العبودية ولا حق في العبودية إلا لله وحده -عز وجل-.
قوله: أ(عوذ بك من شر نفسي)؛ لأن النفس لها شرور كما قال -تعالى-: (وما أبرئ نفسي إن النفس لأمارة بالسوء إلا ما رحم ربي)، فإذا لم يعصمك الله من شرور نفسك فإنها تضرك وتأمرك بالسوء، ولكن الله إذا عصمك من شرها وفقك إلى كل خير.
وختم النبي -عليه الصلاة والسلام- بقوله: (ومن شر الشيطان وشِرْكه) وفي لفظ وشَرَكه، يعني: تسأل الله أن يعيذك من شر الشيطان ومن شر شِركه، أي: ما يأمرك به من الشِّرك أو شَرَكه، والشَرَك: ما يصاد به الحوت والطير وما أشبه ذلك؛ لأن الشيطان له شرَك يصطاد به بني آدم إما شهوات أو شبهات أو غير ذلك، (وأن أقترف على نفسي سوءًا)، أي: أجر على نفسي سوءًا (أو أجره إلى مسلم).
فهذا الذكر أمر النبي -صلى الله عليه وسلم- أبا بكر أن يقوله إذا أصبح وإذا أمسى وإذا أخذ مضجعه.
এ যিকিরটি হলো সকাল-সন্ধ্যা পাঠ করার যিকিরসমূহের একটি যিকির। আর এটি এমন একটি যিকির যেটিকে রাসূলুল্লাহ সা. আবূ বকরকে শিখিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাকে শেখান। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এমন একটি যিকির ও দো�আ শিখিয়ে দিলেন যার দ্বারা সে প্রত্যেক সকাল ও বিকাল দো�আ করবেন। তাকে এ বলতে নির্দেশ দেন যে, �বল, হে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকর্তা, অর্থাৎ, হে আল্লাহ আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি কর্তা অর্থাৎ, তিনি এ দুটিকে পূর্বে অতিবাহিত কোন দৃষ্টান্ত ছাড়া সৃষ্টি করেছেন বরং আবিষ্কার করেছেন এবং অস্তিত্ব দান করেছেন পূর্বের কোন দৃষ্টান্ত ছাড়া। উপস্থিত ও অনুপস্থিতর পরিজ্ঞাতা, অর্থাৎ মাখলুক থেকে অনুপুস্থিত এবং তারা যা প্রত্যক্ষ করে তিনি সবকিছুরই পরিজ্ঞাতা। কারণ, আল্লাহ বর্তমান ভবিষ্যৎ ও অতীত সবই জানেন। প্রত্যেক বস্তুর রব ও অধিপতি আল্লাহ! অর্থাৎ হে প্রতিটি বস্তুর রব ও অধিপতি। আল্লাহ তা�আলা প্রতিটি বস্তুর রব ও প্রতিটি বস্তুর অধিপতি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ব্যতীত কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি আমার মুখ ও অন্তর দ্বারা স্বীকার করছি যে, তুমি ছাড়া আর কোন সত্যিকার উপাস্য নেই। তোমাকে বাদ দিয়ে যত উপাস্যের ইবাদত করা হয় তা বাতিল তার জন্য উবুদিয়্যাতের কোন অধিকার নেই এবং একক আল্লাহ ছাড়া আর কারো জন্য উবুদিয়্যাতের কোন হক নেই। তার বাণী: �আমি আমার আত্মার মন্দ হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি� কারণ, আত্মার জন্য রয়েছে খারাবীসমূহ। যেমন, আল্লাহ তা�আলা বলেন, �আমি আমার আত্মাকে নির্দোষ বলছি না, কারণ আত্মা অবশ্যই খারাপ কর্মের প্রতি আদেশকারী তবে যাকে আমার রব অনুগ্রহ করে�। যখন আল্লাহ তোমাকে তোমার আত্মার খারাবী থেকে রক্ষা না করবেন তখন তা অবশ্যই তোমার ক্ষতি করবে এবং তোমাকে মন্দ কাজের আদেশ দেবে। কিন্তু যখন আল্লাহ তার অনিষ্ট থেকে তোমাকে রক্ষা করবেন তোমাকে যাবতীয় কল্যাণের তাওফীক দান করবেন। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বলে শেষ করলেন যে, এবং শয়তানের মন্দ ও শির্ক হতে অর্থাৎ তুমি আল্লাহর নিকট চাইবে যে, তিনি যেন তোমাকে শয়তানের অনিষ্ট হতে সাহায্য করে এবং তার শির্কের খারাবী হতে সাহায্য করে। অর্থাৎ সে তোমাকে শির্ক করার যে আদেশ দেয়। আর শারাক হলো যা দ্বারা মাছ ও পাখি শিকার করা হয়। কারণ, শয়তানের রয়েছে শারাক যা দ্বারা সে আদম সন্তানদেরকে শিকার করে। তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এটি সকাল-সন্ধ্যা ও শোবার সময় পাঠ করো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ যিকিরটি আবূ বকরকে বলতে নির্দেশ দিয়েছেন যখন সে সকাল করে, বিকাল করে এবং যখন ঘুমাতে যায়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3006

 
Hadith   65   الحديث
الأهمية: خرج معاوية -رضي الله عنه- على حَلْقَةٍ في المسجد، فقال: ما أَجْلَسَكم؟ قالوا: جلسنا نذكر الله
থিম: মু�আবিয়া রাদিয়াল্লাহু <�আনহু মসজিদে একটি হালকায় আসলেন। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কিসে তোমাদের এখানে বসিয়েছে? তারা বলল, আমরা আল্লাহর যিকির করতে বসেছি।

عن أبي    سعيد الخدري �رضي الله عنه- قال: خرج معاوية -رضي الله عنه- على حَلْقَةٍ في المسجد، فقال: ما أَجْلَسَكم؟ قالوا: جلسنا نذكر الله، قال: آلله ما أجْلَسَكُم إلا ذاك؟ قالوا: ما أجلسنا إلا ذاك، قال: أما إنّي لم استَحْلِفْكُم تُهْمَةً لكم، وما كان أحد بمنزلتي من رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أقَلَّ عنه حديثاً مِنِّي: إنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- خَرَجَ على حَلْقَةٍ من أصحابه فقال: �ما أَجْلَسَكم؟� قالوا: جلسنا نذكر الله ونَحْمَدُهُ على ما هَدَانا للإسلام؛ ومَنَّ بِهِ علينا، قال: �آلله ما أجْلَسَكُم إلا ذاك؟� قالوا: والله ما أجلسنا إلا ذاك، قال: �أما إنّي لم أستحلفكم تُهْمَةً لكم، ولكنه أتاني جبريل فأخبرني أن الله يُبَاهِي بكم الملائكة�.

আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুআবিয়াহ রাদিয়াল্লাহু আনহু একবার মসজিদে [কিছু লোকের] এক হালকায় [গোল বৈঠকে] এসে বললেন, �তোমরা এখানে কি উদ্দেশ্যে বসেছ?� তারা বলল, �আল্লাহর যিকির করার উদ্দেশ্যে বসেছি।� তিনি বললেন, �আল্লাহর কসম! তোমরা একমাত্র ঐ উদ্দেশ্যেই বসেছ?� তারা জবাব দিল, �[হ্যাঁ,] আমরা একমাত্র ঐ উদ্দেশ্যেই বসেছি।� তিনি বললেন, �শোন! তোমাদেরকে [মিথ্যাবাদী] অপবাদ আরোপ করে কসম করাইনি। [মনে রাখবে] কোন ব্যক্তি এমন নেই, যে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আমার সমমর্যাদা লাভ করেছে এবং আমার থেকে কম হাদিস বর্ণনা করেছে। নিঃসন্দেহে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [একবার] স্বীয় সহচরদের এক হালকায় উপস্থিত হয়ে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, ��তোমরা এখানে কি উদ্দেশ্যে বসেছ?�� তাঁরা জবাব দিলেন, �উদ্দেশ্য এই যে, আমরা আল্লাহর যিকির করব এবং তাঁর প্রশংসা করব যে, তিনি আমাদেরকে ইসলামের পথ দেখিয়েছেন ও তার মাধ্যমে আমাদের প্রতি বড় অনুগ্রহ করেছেন।� এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ��আল্লাহর কসম! তোমরা একমাত্র এ উদ্দেশ্যেই এখানে বসেছ?�� তাঁরা বললেন, �আল্লাহর কসম! আমরা কেবল এ উদ্দেশ্যেই বসেছি।� তিনি বললেন, ��শোন! আমি তোমাদেরকে এ জন্য কসম করাইনি যে, আমি তোমাদেরকে মিথ্যাবাদী ভেবে অপবাদ আরোপ করছি। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার এই যে, জিবরীল আমার কাছে এসে বললেন, �আল্লাহ তোমাদেরকে নিয়ে ফেরেশতাদের সামনে গর্ব করছেন!��

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
هذا الحديث من الأحاديث التي تدل على فضيلة الاجتماع على ذكر الله -عز وجل-، وهو ما رواه أبو سعيد الخدري عن معاوية -رضي الله عنهما- أنه خرج على حلقة في المسجد فسألهم على أي شيء اجتمعوا، فقالوا: نذكر الله، فاستحلفهم -رضي الله عنه- أنهم ما أرادوا بجلوسهم واجتماعهم إلا الذكر، فحلفوا له، ثم قال لهم: إني لم أستحلفكم تهمة لكم وشكًّا في صدقكم، ولكني رأيت النبي -صلى الله عليه وسلم- خرج على قوم وذكر مثله، وأخبرهم أن الله -عز وجل- يباهي بهم الملائكة، فيقول مثلا: انظروا إلى عبادي اجتمعوا على ذكري، وما أشبه ذلك، مما فيه المباهاة، ولكن ليس هذا الاجتماع أن يجتمعوا على الذكر بصوت واحد، ولكن يذكرون أي شيء يذكرهم بالله -تعالى- من موعظة وذكرى أو يتذكرون نعمة الله عليهم بما أنعم عليهم من نعمة الإسلام وعافية البدن والأمن، وما أشبه ذلك، فإن ذكر نعمة الله من ذكر الله -عز وجل-، فيكون في هذا دليل على فضل جلوس الناس ليتذاكروا نعمة الله عليهم.
আল্লাহর যিকিরের উদ্দেশ্যে একত্রিত হওয়ার ফযীলত সম্পর্কে যেসব হাদীস বর্ণিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে এ হাদীসটি অন্যতম। আবূ সা�ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু মু�আবিয়া রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে, তিনি মসজিদে একটি হালকায় বের হলেন। তখন তিনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, কি কারণে তারা একত্র হয়েছে? তারা বলল, আমরা আল্লাহর যিকর করতে বসেছি। তিনি তাদেরকে আল্লাহর কসম করে বলতে বললেন যে, তারা আল্লাহর যিকির ব্যতীত আর কোন উদ্দেশ্যে এখানে বসে নি ও জড়ো হয়নি। তারা কসম করল। অতঃপর তিনি তাদের বললেন, আমি তোমাদের অপবাদ দেওয়া বা তোমাদের সততার ব্যাপারে সন্দেহ করে তোমাদের কসম করতে বলি নি, কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি তিনি সাহাবীদের একটি হালকায় প্রবেশ করলেন এবং তিনি এ রকমই জিজ্ঞেস করলেন (যেভাবে আমি তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করেছি) এবং তিনি তাদেরকে সংবাদ দিলেন যে, মহান আল্লাহ ফিরিশতাগণের কাছে তাদের নিয়ে গর্ববোধ করেন। যেমন তিন বলেন, তোমরা আমার বান্দাগণকে দেখো, তারা আমার যিকির করতে একত্রিত হয়েছে। এ ধরণের আরো কথা যাতে গর্বোবোধ ও অহংকারবোধ রয়েছে। তবে আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, উক্ত জমায়েত হওয়া সমস্বরে একই আওয়াজে জোরে জোরে যিকির করা নয়। তবে তারা আল্লাহর যে কোন যিকির করছিলো, সদুপদেশ ও নসিহতের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করছিলো অথবা আল্লাহ তাদেরকে ইসলামে দীক্ষিত করে যে নি�আমত দান করেছেন সে নি�আমতের স্মরণ করে, শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তার নি�আমত ইত্যাদি স্মরণ করে পরস্পর আল্লাহকে স্মরণ করছিলেন। কেননা আল্লাহর নি�আমতের স্মরণ করা মানে মহান আল্লাহকেই স্মরণ করা (অর্থাৎ তার জিকির করা)। সুতরাং আল্লাহর নি�আমতের কথা স্মরণ করতে লোকজন একত্রিত হওয়ার ফযীলত সম্পর্কে এ হাদীসে দলীল রয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3007

 
Hadith   66   الحديث
الأهمية: كان نبي الله -صلى الله عليه وسلم- إذا أمسى قال: أمسينا وأمسى الملك لله، والحمد لله، لا إله إلا الله وحده لا شريك له
থিম: আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভ্যাস ছিল: সন্ধ্যায় উপনীত হলে বলতেন: (অর্থ) আমরা ও সারা রাজ্য আল্লাহর জন্য সন্ধ্যায় উপনীত হলাম। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই।

عن عبد الله بن مسعود-رضي الله عنه- قال: كان نبي الله -صلى الله عليه وسلم- إذا أمسى قال: �أمسينا وأمسى الملك لله، والحمد لله، لا إله إلا الله وحده لا شريك له� قال الراوي: أَرَاهُ قال فِيهِنَّ: �له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير، ربِّ أسألك خير ما في هذه الليلة وخير ما بعدها، وأعوذ بك من شر ما في هذه الليلة وشر ما بعدها، رب أعوذ بك من الكسل، وسُوءِ الكِبَرِ، رب أعوذ بك من عذاب في النار، وعذاب في القبر�، وإذا أصبح قال ذلك أيضا �أصبحنا وأصبح الملك لله�.

ইবনে মাসঊদ রাদয়িাল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভ্যাস ছিল: সন্ধ্যায় উপনীত হলে বলতেন: (অর্থ) �আমরা ও সারা রাজ্য আল্লাহর জন্য সন্ধ্যায় উপনীত হলাম। সকল প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই�।


বর্ণনাকার বলেন, আমার মনে হয় এর সাথে তিনি আরো বলেছেন: �তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব, তাঁরই জন্য যাবতীয় প্রশংসা এবং তিনি সকল বস্তুর উপর সর্ব শক্তিমান। হে আমার রব! আমি তোমার নিকট এই রাতে যে কল্যাণ নিহিত আছে তা এবং তার পরে যে কল্যাণ আছে তাও প্রার্থনা করছি। আর আমি তোমার নিকট এই রাত্রে যে অকল্যাণ আছে তা এবং তারপরেও যে অকল্যাণ আছে তা হতে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আমার রব! আমি তোমার নিকট অলসতা এবং বার্ধক্যের মন্দ হতে পানাহ চাচ্ছি। হে আমার রব! আমি তোমার নিকট জাহান্নামের এবং কবরের সকল প্রকার আযাব হতে আশ্রয় চাচ্ছি। তিনি যখন সকালে উঠতেন তখনও এই দু�আ পাঠ করতেন; বলতেন �আসবাহনা ও আসবাহাল মুলকু লিল্লাহ------   ।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان من هديه -عليه الصلاة والسلام- عند دخول الصباح والمساء أن يقول هذه الأدعية المباركة، فقوله: (أمسينا وأمسى الملك لله) أي :دخلنا في المساء ودام الملك فيه لله مختصًا به، (والحمد لله) أي: جميع الحمد لله، أي: أمسينا وعرفنا فيه أن الملك لله وأن الحمد لله لا لغيره، (ولا إله إلا الله) أي: منفردًا بالألوهية.
قوله: (رب أسألك من خير هذه الليلة) أي ذاتها وعينها (وخير ما فيها) أي: من خير ما ينشأ ويقع ويحدث فيها وخير ما يسكن فيها، (وأعوذ بك من شرها وشر ما فيها) أي من الليالي وما فيها من شر يلحق الدين والدنيا.
(اللهم إني أعوذ بك من الكَسَل) أي التثاقل في الطاعة مع الاستطاعة، ويكون ذلك لعدم انبعاث النفس للخير مع ظهور الاستطاعة.
(وسوء الكِبَر) بمعنى الهرم والخرف وكبر السن المؤدي إلى تساقط بعض القوى وضعفها وهو الرد إلى أرذل العمر؛ لأنه يفوت فيه المقصود بالحياة من العلم والعمل، لما يورثه كبر السن من ذهاب العقل، واختلاط الرأي والتخبط فيه، والقصور عن القيام بالطاعة وغير ذلك مما يسوء الحال، وروي بإسكان الباء بمعنى البطر أي الطغيان عند النعمة والتعاظم على الناس، (وعذاب القبر) أي من نفس عذابه أو مما يوجبه.
(وإذا أصبح) أي دخل -صلى الله عليه وسلم- في الصباح (قال ذلك) أي: ما يقول في المساء (أيضًا) أي لكن يقول بدل "أمسينا وأمسى الملك لله" (أصبحنا وأصبح الملك لله) ويبدل اليوم بالليلة فيقول: اللهم إني أسالك من خير هذا اليوم، ويذكر الضمائر بعده.
সকাল সন্ধ্যায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ছিল, এ সব বরকতপূর্ণ দো�আ পড়া। তার বাণী (আমরা এবং সারা রাজ্য আল্লাহর জন্য সন্ধ্যায় উপনীত হলাম।) অর্থাৎ, আমরা সন্ধ্যায় প্রবেশ করলাম। সন্ধ্যার রাজ্য আল্লাহর জন্যই এবং তার সাথেই খাস। (আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর), আমরা এবং যাবতীয় প্রশংসা তার জন্য। অর্থাৎ, আমরা জানলাম যে, রাজ্য কেবল আল্লাহর আর প্রশংসা কেবল আল্লাহর। তিনি ছাড়া আর কারো জন্য নয়। (আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই,) ইলাহ হিসেবে তিনি একক। তার বাণী: (হে আমার রব! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করি এই রাতের কল্যাণ) অর্থাৎ স্বয়ং রাতের (এবং যে কল্যাণ নিহিত আছে তাতে) অর্থাৎ এই রাতে যে কল্যাণ সৃষ্টি করা হয় ও নাযিল হয় এবং রাতে বসবাসকারীর কল্যাণ। (এবং আমি তোমার নিকট এই রাত্রে যে অকল্যাণ আছে তা এবং তারপরেও যে অকল্যাণ আছে তা হতে আশ্রয় চাচ্ছি।) অর্থাৎ, দীন ও দুনিয়ার সাথে সম্পৃক্ত রাতসমূহের যাবতীয় অনিষ্ট থেকে। (হে আমার রব! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি অলসতা থেকে) অর্থাৎ, সক্ষম হওয়া সত্বেও আনুগত্যে অলসতা করা। আর এটি সাধারণত হয়ে থাকে সক্ষমতা থাকা সত্বেও আত্মা ভালো কর্মের প্রতি তৎপর না হওয়ার কারণে। (এবং বার্ধক্যের মন্দ হতে পানাহ চাচ্ছি।) বার্ধক্য যাতে মানুষ শক্তি হারা হয় এবং দূর্বল হয়। আর তার অর্থ নিকৃষ্ট বয়সে ফিরে যাওয়া। কারণ, তখন জীবনের মুল লক্ষ্য ইলম ও আমল ছুটে যায়। (হে আমার রব! আমি তোমার নিকট জাহান্নামরে এবং কবরের সকল প্রকার আযাব হতে আশ্রয় চাচ্ছি।) সরাসরি আযাব থেকে। অথবা যা আযাবকে অবধারিত করে। (তিনি যখন সকালে উঠতেন) অর্থাৎ, সকালে প্রবেশ করতেন। (তখনও এই দু�আ পাঠ করতেন) অর্থাৎ, সন্ধ্যায় যা বলতেন। তবে তিনি আমসাইনার যায়গায় বলতেন �আসবাহনা ও আসবাহাল মুলকু লিল্লাহ আর আল-লাইলাই এর জায়গায় আল-ইয়াওম বলতেন------   ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3008

 
Hadith   67   الحديث
الأهمية: بينما الناس بقباء في صلاة الصبح إذ جاءهم آت، فقال: إن النبي -صلى الله عليه وسلم- قد أنزل عليه الليلة قرآن، وقد أمر أن يستقبل القبلة، فاستقبلوها
থিম: একদা লোকেরা কুবা নামক স্থানে ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় তাদের নিকট এক ব্যক্তি এসে বললেন যে, এ রাতে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ হয়েছে। আর তাঁকে কা�বামুখী হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই তোমারা কা�বার দিকে মুখ কর।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- قال: �بَينَمَا النَّاس بِقُبَاء في صَلاَة الصُّبحِ إِذْ جَاءَهُم آتٍ، فقال: إِنَّ النبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- قد أُنزِل عليه اللَّيلةّ قرآن، وقد أُمِرَ أن يَستَقبِل القِبْلَة، فَاسْتَقْبِلُوهَا، وكانت وُجُوهُهُم إلى الشَّام، فَاسْتَدَارُوا إِلى الكَّعبَة�.

�একদা লোকেরা কুবা নামক স্থানে ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় তাদের নিকট এক ব্যক্তি এসে বললেন যে, এ রাতে আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ হয়েছে। আর তাঁকে কা�বামুখী হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই তোমারা কা�বার দিকে মুখ কর। তখন তাঁদের চেহারা ছিল শামের (বায়তুল মুকাদ্দাসের) দিকে। একথা শুনে তাঁরা কা�বার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
خرج أحد الصحابة إلى مسجد قباء بظاهر المدينة، فوجد أهله لم يبلغهم نسخ القبلة، ولا زالوا يصلون إلى القبلة الأولى، فأخبرهم بصرف القبلة إلى الكعبة، وأنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- قد أُنزل عليه قرآن في ذلك -يشير إلى قوله تعالى:{ قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ}، [البقرة: 144] وأنه -صلى الله عليه وسلم- استقبل الكعبة، فمن فقههم وسرعة فهمهم وصحته استداروا عن جهة بيت المقدس -قبلتهم الأولى- إلى قبلتهم الثانية، الكعبة المشرفة.
কোন এক সাহাবী মদীনার প্রান্তে কুবা মসজিদে গেল। তখন তিনি দেখতে পেলেন যে তাদের নিকট কিবলা পরিবর্তনের সংবাদ পৌঁছেনি। তারা প্রথম কিবলার দিকেই সালাত আদায় করছে। তখন তিনি তাদের কা�বার দিকে কিবলা পরিবর্তন হওয়ার সংবাদ দিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর এ বিষয়ে কুরআন নাযিল করা হয়েছে। তিনি ইঙ্গিত করছেন আল্লাহর নিম্নের বাণীর প্রতি : �আকাশের দিকে তোমার বার বার মুখ ফিরানো আমি অবশ্যই দেখছি। অতএব আমি অবশ্যই তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরাব, যা তুমি পছন্দ কর। সুতরাং তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকেই তোমাদের চেহারা ফিরাও। আর নিশ্চয় যারা কিতাবপ্রাপ্ত হয়েছে, তারা অবশ্যই জানে যে, তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য এবং তারা যা করে, সে ব্যাপারে আল্লাহ গাফিল নন�। [আল-বাকারা: ১৪৪] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও কা�বাকে কিবলা বানিয়েছেন। তাদের জ্ঞানের গভীরতা, দ্রুত বুঝ ও সংবাদের বিশুদ্ধতার কারণে তারা সাথে সাথে তাদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে ঘুরে দ্বিতীয় কিবলা কা�বা শরীফের দিকে ঘুরে যায়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3009

 
Hadith   68   الحديث
الأهمية: مر النبي -صلى الله عليه وسلم- بقبرين، فقال: إنهما ليعذبان، وما يعذبان في كبير؛ أما أحدهما: فكان لا يستتر من البول، وأما الآخر: فكان يمشي بالنميمة
থিম: একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটো কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন এবং বললেন, �ঐ দুই কবরবাসীর আযাব হচ্ছে। অবশ্য ওদেরকে কোন বড় ধরনের অপরাধ (বা কোন কঠিন কাজের) জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না।� ওদের একজন পেশাবের ছিটা থেকে বাচত না, আর অপর জন লোকের) চুগলী ক�রে বেড়াত।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- قال: مر النبي -صلى الله عليه وسلم- بقبرين، فقال: �إنهما ليُعذَّبان، وما يُعذَّبان في كبير؛ أما أحدهما: فكان لا يستتر من البول، وأما الآخر: فكان يمشي بالنميمة�.

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: �একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটো কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন এবং বললেন, �ঐ দুই কবরবাসীর আযাব হচ্ছে। অবশ্য ওদেরকে কোন বড় ধরনের অপরাধ (বা কোন কঠিন কাজের) জন্য আযাব দেওয়া হচ্ছে না।� ওদের একজন পেশাবের ছিটা থেকে বাচত না, আর অপর জন লোকের) চুগলী ক�রে বেড়াত�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
مرَّ النبي -صلى الله عليه وسلم-، ومعه بعض أصحابه بقبرين، فكشف الله -سبحانه وتعالى- له عن حالهما، وأنهما يعذبان، فأخبر أصحابه بذلك؛ تحذيراً لأمته وتخويفاً، فإنَّ صاحبي هذين القبرين، يعذَّب كل منهما بذنب    تركُه والابتعادُ عنه يسيرٌ على من وفقه الله لذلك.
فأحَدُ المعذَّبَيْن كان لا يحترز من بوله عند قضاء الحاجة، ولا يتحفّظ منه، فتصيبه النَجاسة فتلوث بدنه وثيابه ولا يستتر عند بوله، والآخر يسعى بين الناس بالنميمة التي تسبب العداوة والبغضاء بين الناس، ولاسيما الأقارب والأصدقاء، يأتي إلى هذا فينقل إليه كلام ذاك، ويأتي إلى ذاك فينقل إليه كلام هذا؛ فيولد بينهما القطيعة والخصام. والإسلام إنما جاء بالمحبة والألفة بين الناس وقطع المنازعات والمخاصمات.
ولكن الكريم الرحيم -صلى الله عليه وسلم- أدركته عليهما الشفقة والرأفة، فأخذ جريدة نخل رطبة، فشقَّها نصفين، وغرز على كل قبر واحدة، فسأل الصحابة النبي -صلى الله عليه وسلم- عن هذا العمل الغريب عليهم، فقال: لعل الله يخفف عنهما بشفاعتي ما هما فيه في العذاب، ما لم تيبس هاتان الجريدتان، أي مدة بقاء الجريدتين رطبتين، وهذا الفعل خاص به -صلى الله عليه وسلم-.

থিম: একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ক�জন সাথীসহ দুটো কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। আল্লাহ তা�আলা তার জন্য তাদের দুই জনের অবস্থা খুলে দিলেন যে, তাদের দুইজনকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তারপর তিনি উম্মতকে সতর্ক করা এবং ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে তার সাথীদের বিষয়টি জানালেন। কারণ, এ দুই কবরবাসীর প্রত্যেককে সামান্য গুনাহ যার থেকে দূরে থাকে নাই তার কারণে আযাব দেওয়া হচ্ছে। তাদের একজন এমন ছিল, সে প্রয়োজন পুরো করার সময় পেশাব থেকে বেচে থাকতো না এবং তার থেকে আত্মরক্ষা করতো না। ফলে পেশাব তার শরীর কাপড় ইত্যাদিতে লেগে তা নাপাক করে দিত এবং পেশাবের সময় গোপনীয়তা রক্ষা করতো না। আর তাদের অপর ব্যক্তি মানুষের মাঝে চোগলী করে বেড়াত। যা মানুষের মাঝে দুশমনি ও রেশারেশির কারণ হতো। বিশেষ করে আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মাঝে। সে এক বন্ধুর কাছে আসে তারপর সে তার কাছে অপর বন্ধুর কথা বলে। আবার তার কাছে গিয়ে এ বন্ধুর কথা বলে। ফলে উভয়ের মাঝে দূরত্ব এবং বিবাদ সৃষ্টি হয়। ইসলাম এসেছে মানুষের মাঝে মিল মুহাব্বত সৃষ্টি করতে এবং জগড়া বিবাদ দূর করতে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্তরে তাদের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ সৃষ্টি হলো, তিনি একটি তাজা খেজুরের ডাল নিলেন এবং দুই ভাগ করলেন। তারপর প্রতিটি টুকরাকে প্রত্যেক কবরের ওপর পুঁতে দিলেন। সাহাবীগণ এ অপরিচিত কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তিনি বললেন, হতে পারে আল্লাহ তা�আলা আমার সুপারিশের কারণে তারা যে আযাবের মধ্যে রয়েছে তা কিছুটা লাগব হবে যতক্ষণ না এ ডাল দুটি না শুকায়। অর্থাৎ, এ দুটি ডাল তাজা থাকা পর্যন্ত। এ কর্মটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বৈশিষ্ট্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3010

 
Hadith   69   الحديث
الأهمية: إذا أراد الله بالأمير خيرا، جعل له وزير صدق، إن نسي ذكره، وإن ذكر أعانه، وإذا أراد به غير ذلك جعل له وزير سوء، إن نسي لم يذكره، وإن ذكر لم يعنه
থিম: যখন আল্লাহ কোন শাসকের মঙ্গল চান, তখন তিনি তার জন্য সত্যনিষ্ঠ (শুভাকাঙ্খী) একজন মন্ত্রী নিযুক্ত ক�রে দেন। শাসক (কোন কথা) ভুলে গেলে সে তাকে তা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে। আর যখন আল্লাহ তার অন্য কিছু (অমঙ্গল) চান, তখন তার জন্য মন্দ মন্ত্রী নিযুক্ত ক�রে দেন। শাসক বিস্মৃত হলে সে তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় না এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে না।

عن عائشة -رضي الله عنها- مرفوعًا: �إِذَا أَرَادَ اللهُ بِالأمِيرِ خَيرًا، جَعَلَ لَهُ وَزِيرَ صِدقٍ، إِنْ نَسِيَ ذَكَّرَهُ، وَإِنْ ذَكَرَ أَعَانَهُ، وَإِذَا أَرَادَ بِهِ غَيرَ ذَلِكَ جَعَلَ لَهُ وَزِيرَ سُوءٍ، إِنْ نَسِيَ لَمْ يُذَكِّرهُ، وَإِنْ ذَكَرَ لَمْ يُعِنْهُ�.

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আন্হা থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �যখন আল্লাহ কোন শাসকের মঙ্গল চান, তখন তিনি তার জন্য সত্যনিষ্ঠ (শুভাকাঙ্খী) একজন মন্ত্রী নিযুক্ত ক�রে দেন। শাসক (কোন কথা) ভুলে গেলে সে তাকে তা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে। আর যখন আল্লাহ তার অন্য কিছু (অমঙ্গল) চান, তখন তার জন্য মন্দ মন্ত্রী নিযুক্ত ক�রে দেন। শাসক বিস্মৃত হলে সে তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় না এবং স্মরণ থাকলে তারা তাকে সাহায্য করে না।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يبين رسول الله -صلى الله عليه وسلم- في هذا الحديث أنّ الله تعالى: "إذا أراد    بالأمير خيراً"، وفسِّرت هذه الخيرية لمن وُفِّق لوزير صدق من الأمراء بخيرية التوفيق لخيري الدارين، كما فسرت هذه الخيرية بالجنة.
وقوله: "جعل له وزير صدق" أي في القول والفعل، والظاهر والباطن، وأضافه إلى الصدق؛ لأنَّه الأساس في الصُحبة وغيرها.
فــ"إن نسي" أي: هذا الأمير، فإن نسي ما يحتاج إليه -والنسيان من طبيعة البشر-، أو ضلّ عن حكم شرعي، أو قضية مظلوم، أو مصالح لرعية، "ذكَّره" أي: هذا الوزير الصادق وهداه.
"وإن ذكر" الأمير ذلك، "أعانه" عليه بالرأي والقول والفعل.
وأما قوله: "وإذا أراد به غير ذلك" أي: غير الخير، بأن أراد به شرّاً، كانت النتيجة "جعل له وزير سوء" والمراد: وزير سوء في القول، والفعل، نظير ما سبق في ضده.
"إن نسي" أي: ترك مالا بد منه "لم يذكِّره" به؛ لأنه ليس عنده من النور القلبي ما يحمله على ذلك.
"وإن ذكر لم يعنه" بل يسعى في صرفه عنه؛ لشرارة طبعه، وسوء صنعه.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন আল্লাহ আমীরের ভালো চান। এখানে এরাদা (অর্থাৎ চাওয়া) দ্বারা উদ্দেশ্য ইরাদায়ে কাওনী. কাদারী (অর্থাৎ পার্থিব স্বার্থ সংশ্লিষ্ট তাকদীর)। এ কারণেই তাতে�এই চাওয়াতে� ভালো ও মন্দ একাধিক বিষয় রয়েছে। কারণ, আল্লাহ কখনো এই এরাদাকে মহব্বত করে এবং কখনো তাকে ঘৃণা করেন। ফলে এই ইরাদাহ ব্যাপকতার কারণে ইরাদায়ে শর�ঈয়াহ যাকে আল্লাহ মহব্বত করেন তাকও সামিল করে। আর এ কল্যাণকে এ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, আমীরের জন্য একজন সত্যবাদী ওযীরের তাওফীক দেওয়া যাতে দুনিয়া আখিরাত উভয় জাহানে তার কল্যাণ হয়। এমনিভাবে এর ব্যখ্যা জান্নাত দ্বারাও করা হয়ে থাকে। তার বাণী: �সত্যবাদী মন্ত্রী নিয়োজিত করেন� আল্লাহ তা�আলা তার কথা, কাজে, প্রকাশ্যে ও গোপনে একজন সত্যবাদী মন্ত্রী নিযুক্ত করেন। এখানে তাকে সততার দিকে নিসবত করা হয়েছে। কারণ, সাথী হওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে সততাই মূল। �যদি আমীর ভুলে যায়��ভুলে যাওয়া মানুষের স্বভাব�অর্থাৎ, যদি আমীর প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ভুলে যায় অথবা শর�ঈ কোন বিধানের বিষয়ে অজ্ঞ থাকে অথবা কোন অত্যাচারিত লোকের ফায়সালা অথবা জন কল্যাণকর কোন বিষয় ভুলে গেছে তা এ সৎ মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেয় এবং তাকে দিক নির্দেশনা দেয়। আর যদি আমীরের স্মরণ থাকে, তবে সে তাকে কথা, কাজ বা মতামত দিয়ে সাহায্য করে। আর যদি তার সাথে অন্য কিছু অর্থাৎ অমঙ্গল ইচ্ছা করেন, এভাবে ব্যক্ত করা দ্বারা খারাপ কর্ম থেকে বিরত থাকার প্রতি ইশারা করা হয়েছে। কারণ, যখন সে খারাপ কর্ম ঘৃণিত বা মন্দ হওয়ার কারণে তার নাম নেওয়া থেকেই বিরত থাকে, তাহলে খারাপ কর্ম থেকে বিরত থাকা আরও অধিক শ্রেয়। আর এখানে ইসম ইশারাহ যালিকা যা দূরের অর্থ বুঝায় নিয়ে আসা দ্বারা, ভালো কর্ম মহান, তার মর্যাদা উচ্চ হওয়া এবং তা তালাশ করা ও লাভ করতে স্বচেষ্ট হওয়ার প্রতি উৎসাহ প্রদানের ইশারা করা হয়েছে। ফলাফল হল, �তার জন্য অসৎ মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়�। অর্থাৎ, কথা কর্মে উল্লেখিত গুণের বিপরীত। যদি সে ভুলে যায় তখন সে প্রয়োজনীয় বিষয় ছেড়ে দেয়। সে তা তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় না। কারণ, তার অন্তরে নূর নেই যা তাকে তার ওপর উঠাবে। আর যদি স্মরণ থাকে তাকে সাহায্য করে না। বরং তার স্বভাব ও কর্ম খারাপ হওয়ার কারণে তাকে তা থেকে দূরে সরানোর চেষ্টা করে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3011

 
Hadith   70   الحديث
الأهمية: ما بعث الله من نبي، ولا استخلف من خليفة إلا كانت له بطانتان: بطانة تأمره بالمعروف وتحضه عليه، وبطانة تأمره بالشر وتحضه عليه
থিম: আল্লাহ যখনই কোন নবী প্রেরণ করেন এবং কোন খলীফা নির্বাচিত করেন, তখনই তাঁর জন্য দু�জন সঙ্গী নিযুক্ত করে দেন। একজন সঙ্গী তাঁকে ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর দ্বিতীয়জন সঙ্গী তাঁকে মন্দ কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর রক্ষা পান কেবলমাত্র তিনিই, যাকে আল্লাহ রক্ষা করেন।

عن أبي سعيد الخدري وأبي هريرة -رضي الله عنهما- مرفوعاً: "ما بعث الله من نبي ولا اسْتَخْلَفَ من خليفة إلا كانت له بطانتان: بطانة تأمره بالمعروف وتَحُضُّهُ عليه، وبطانة تأمره بالشر وتَحُضُّهُ عليه، والمعصوم من عصم الله".

আবূ সা�ঈদ ও আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ��আল্লাহ যখনই কোন নবী প্রেরণ করেন এবং কোন খলীফা নির্বাচিত করেন, তখনই তাঁর জন্য দু�জন সঙ্গী নিযুক্ত করে দেন। একজন সঙ্গী তাঁকে ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর দ্বিতীয়জন সঙ্গী তাঁকে মন্দ কাজের নির্দেশ দেয় এবং তার প্রতি উৎসাহিত করে। আর রক্ষা পান কেবলমাত্র তিনিই, যাকে আল্লাহ রক্ষা করেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر النبي -عليه الصلاة والسلام- أن الله ما بعث من نبي ولا استخلف من خليفة إلا كان له بطانتان: بطانة خير تأمره بالخير وتحثه عليه، وبطانة سوء تدله على السوء وتأمره به، والمحفوظ من تأثير بطانة الشر هو من حفظه الله -تعالى-.
থিম: নবী �আলাইহিস সালাম বলেছেন যে, আল্লাহ যাকেই নবী হিসাবে প্রেরন করেন এবং খলীফা হিসাবে নিযুক্ত করেন, তার জন্য দু�জন করে (একান্ত) সঙ্গী থাকে। একজন ভালো সঙ্গী যে তাকে ভালো কাজের নির্দেশ দেয় এবং তাকে তৎপ্রতি অনুপ্রাণিত করে। আর একজন খারাপ সঙ্গী যে তাকে মন্দ কাজের পরামর্শ দেয় এবং তৎপ্রতি উৎসাহিত করে। অকল্যাণকর সঙ্গী থেকে সেই নিষ্পাপ থাকে যাকে আল্লাহ রক্ষা করেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3012

 
Hadith   71   الحديث
الأهمية: إذا سمعتم المؤذن فقولوا مثل ما يقول
থিম: যখন তোমরা মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাও, তখন তোমরা তাই বল যা সে বলে।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �إِذَا سَمِعتُم المُؤَذِّن فَقُولُوا مِثلَ مَا يَقُول�.

আবদুল্লাহ ইবন �আমর ইবনুল �আস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: যখন তোমরা মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাও, তখন তোমরা তাই বল যা সে বলে।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
إذا سمعتم المؤذن للصلاة فأجيبوه، بأن تقولوا مثل ما يقول، جملة بجملة، فحينما يكبر فكبروا بعده، وحينما يأتي بالشهادتين، فأتوا بهما بعده، فإنه يحصل لكم من الثواب ما فاتكم من ثواب التأذين الذي حازه المؤذن، والله واسع العطاء، مجيب الدعاء.
يستثنى من الحديث لفظ: (حي على الصلاة، حي على الفلاح) فإنه يقول بعدها: لا حول ولا قوة إلا بالله.
যখন তোমরা সালাতের আযান শোন তখন তোমরা তার উত্তর দাও। যেমন সে যা বলে তোমরা একটি একটি বাক্য করে তাই বলবে। যখন মুয়াজ্জিন তাকবীর বলে তারপর তোমরা তাকবীর বল। আর যখন শাহাদাতাইন বলে তার শাহাদাতাইন বলার পর তোমরা শাহাদাতাইন বলবে। কারণ, তাতে মুয়াজ্জিন আযান দেওয়ার কারণে যে সাওয়াবের লাভ করবে তুমি আযান না দিতে পেরে সে ছুটে যাওয়া সাওয়াব হাসিল করবে। আল্লাহ তা�আলা প্রসস্থ দাতা এবং দো�আ কবুলকারী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3013

 
Hadith   72   الحديث
الأهمية: كنت مع النبي -صلى الله عليه وسلم- في سفر، فأهويت لأنزع خفيه، فقال: دعهما؛ فإني أدخلتهما طاهرتين، فمسح عليهما
থিম: আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে কোন এক সফরে ছিলাম। (উযূ করার সময়) আমি তাঁর মোজা দু�টি খুলতে চাইলে তিনি বললেন, �ও দু�টো থাক, আমি পবিত্র অবস্থায় এ দু�টি পরেছিলাম�। (এই বলে) তিনি তার উপর মাস্হ করলেন।

عن المغيرة بن شعبة -رضي الله عنه- قال: ((كُنت مع النبيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- في سَفَر، فأهْوَيت لِأَنزِع خُفَّيه، فقال: دَعْهُما؛ فإِنِّي أدخَلتُهُما طَاهِرَتَين، فَمَسَح عليهما)).
থিম: মুগীরাহ ইবন শু�বা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, �আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে কোন এক সফরে ছিলাম। (উযূ করার সময়) আমি তাঁর মোজা দু�টি খুলতে চাইলে তিনি বললেন, �এ দু�টো থাক, আমি পবিত্র অবস্থায় এ দু�টি পরেছিলাম�। (এই বলে) তিনি তার উপর মাস্হ করলেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان المغيرة -رضي الله عنه- مع النبي -صلى الله عليه وسلم- في أحد أسفاره -وهو سفره في غزوة تبوك-، فلما شرع النبي -صلى الله عليه وسلم- في الوضوء، وغسل وجهه ويديه، ومسح رأسه، أهوى المغيرة إلى خفي النبي -صلى الله عليه وسلم- لينزعهما؛ لغسل الرجلين، فقال النبي -صلى الله عليه وسلم- اتركهما ولا تنزعهما، فإني أدخلت رجلي في الخفين وأنا على طهارة، فمسح النبي -صلى الله عليه وسلم- على خفيه بدل غسل رجليه.
وكذلك الجوارب ونحوها تأخذ حكم الخفين.
মুগীরাহ ইবন শু�বা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে ছিলেন�আর সেটি ছিল তাবুক যুদ্ধ�রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উযু করা আরম্ভ করলেন, তখন তিনি চেহারা ও দুই হাত ধুইলেন এবং মাথা মাসেহ করলেন তখন মুগীরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর মোজা দু�টি খুলতে চাইলে তিনি বললেন, �এ দু�টো রেখে দাও এবং এ দুটো খুলো না, কারণ, আমি আমার পা দু�টিকে মোজা দুটিতে প্রবেশ করিয়েছি যে অবস্থায় আমি পবিত্র ছিলাম। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই পা ধোয়ার পরিবর্তে দুই মোজার ওপর মাসেহ করেন। অনুরূপভাবে জাওরাব ইত্যাদির ক্ষেত্রেও দুই মোজার মতোই বিধান।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম), তবে শব্দ সহীহ বুখারীর।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3014

 
Hadith   73   الحديث
الأهمية: إن بلالا يؤذن بليل، فكلوا واشربوا حتى تسمعوا أذان ابن أم مكتوم
থিম: বিলাল রাতে আযান দেয়, তোমরা খেতে ও পান করতে থাকবে যে পর্যন্ত ইবনে উম্মে মাকতূমের আযান না শুনবে।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنه- مرفوعاً: �إنَّ بِلالاً يُؤَذِّن بِلَيلٍ، فَكُلُوا واشرَبُوا حتَّى تَسمَعُوا أَذَان ابنِ أُمِّ مَكتُوم�.

ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �বিলাল রাতে আযান দেয়, তোমরা খেতে ও পান করতে থাকবে যে পর্যন্ত ইবনে উম্মে মাকতূমের আযান না শুনবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان للنبي -صلى الله عليه وسلم- مؤذنان: بلال بن رباح وعبد الله بن أم مكتوم -رضي الله عنهما- وكان ضريرًا، فكان بلال يؤذن لصلاة الفجر قبل طلوع الفجر؛ لأنها تقع وقت نوم ويحتاج الناس إلى الاستعداد لها قبل دخول وقتها، فكان -صلى الله عليه وسلم-    يُنَبِّه أصحابه إلى أن بلالًا -رضي الله عنه- يؤذن بليل، فيأمرهم بالأكل والشرب حتى يطلع الفجر، ويؤذن المؤذن الثاني وهو ابن أم مكتوم -رضي الله عنه- لأنه كان يؤذن مع طلوع الفجر الثاني، وذلك لمن أراد الصيام، فحينئذ يكف عن الطعام والشراب ويدخل وقت الصلاة، وهو خاص بها، ولا يجوز فيما عداها أذان قبل دخول الوقت، واختلف في الأذان الأول لصلاة الصبح، هل يكتفي به أو لابد من أذان ثان لدخول الوقت؟ وجمهور العلماء على أنه مشروع ولا يكتفى به.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুয়াজ্জিন ছিল দুইজন। বিলাল ইবন রিবাহ ও অন্ধ সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতুম। বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু ফজর উদয়ের পূর্বে ফজরের সালাতের আযান দিতেন   । কারণ, তখন ঘুমের সময় হওয়ার ফলে ওয়াক্ত প্রবেশের পূর্বেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। তাই রাসূলুল্লাহ তার সাহাবীগণকে সতর্ক করেন যে, বিলাল রাতে আযান দেয় তাই তাদেরকে তিনি খেতে ও পান করতে নির্দেশ দেন যাবত না ফজর উদয় হওয়া ও দ্বিতীয় মুয়াজ্জিন ইবন মাকতুম আযান দেয়, কারণ তিনি দ্বিতীয় ফজর উদয় হওয়ার পর আযান দিতেন। এটা সিয়াম পালনকারীর জন্যে ছিল। কারণ তখন সে খানা ও পান করা বন্ধ করে দিত ও ফজরের সালাতের সময় হতো। সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া ফজরের সাথেই খাস। এ ছাড়া অন্য সালাতে সময়ের পূর্বে আযান দেওয়া বৈধ নয়। ফজরের সালাতের প্রথম আযান নিয়ে মত প্রার্থক্য রয়েছে যে, তা সালাতের জন্য যথেষ্ট হবে নাকি ওয়াক্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়াবার আযান দিতে হবে? জমহুর আলেমদের মত হলো দ্বিতীয়বার আযান দিতে হবে প্রথম আযানে যথেষ্ট করবে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3015

 
Hadith   74   الحديث
الأهمية: ينام الرجل النومة فتقبض الأمانة من قلبه، فيظل أثرها مثل الوكت، ثم ينام النومة فتقبض الأمانة من قلبه، فيظل أثرها مثل أثر المجل
থিম: মানুষ এক ঘুম ঘুমাবে আর তার অন্তর থেকে আমানত তুলে নেওয়া হবে। তখন একটি বিন্দুর মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। পুনরায় এক ঘুম ঘুমাবে। আবারো তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেওয়া হবে। তখন আগুনের আঙ্গারার মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে।

عن حذيفة بن اليمان -رضي الله عنه- قال: حَدَثَنا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حدِيثَين قَد رَأَيتُ أَحَدَهُما وأنا أنتظر الآخر: حدثنا أنَّ الأمَانة نَزَلَت في جَذر قُلُوب الرِّجال، ثمَّ نزل القرآن فَعَلِموا مِن القرآن، وعَلِمُوا مِن السُنَّة، ثمَّ حدَّثنا عن رفع الأمانة، فقال: �يَنَامُ الرَّجُلُ النَّومَة فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ، فَيَظَلُّ أَثَرُهَا مِثلَ الوَكْتِ، ثُمَّ يَنَامُ النَّومَةَ فَتُقبَض الأَمَانَة مِن قَلْبِه، فَيَظَلُّ أَثَرُها مِثل أَثَر المَجْلِ، كَجَمْرٍ دَحْرَجْتَهُ عَلى رِجْلِكَ فَنَفِطَ، فَتَرَاهُ مُنْتَبِراً وَلَيس فِيه شَيء�، ثم أَخَذ حَصَاةً فَدَحْرَجَه على رجله �فَيَصبَح النَّاس يَتَبَايَعُون، فَلاَ يَكَاد أَحَدٌ يُؤَدِّي الأَمَانَةَ حَتَّى يُقَال: إِنَّ فِي بَنِي فُلاَن رَجُلاً أَمِيناً، حَتَّى يُقَال للرَّجُل: مَا أَجْلَدَهُ! مَا أَظْرَفَه! مَا أَعْقَلَه! وَمَا فِي قَلبِه مِثْقَالُ حَبَّة مِن خَرْدَل مِنْ إيمان�، ولَقَد أتى عَلَيَّ زَمَان وما أُبَالي أَيُّكُم بَايعت: لئِن كان مُسلِمًا لَيَرُدَنَّه عَلَيَّ دِينه، وَإِن كان نصرانيا أو يهوديا ليَرُدنَّه عَلَيَّ سَاعِيه، وأَمَّا اليوم فَمَا كُنت أَبَايِعُ مِنكُم إِلاَّ فُلاَنا وفُلاَناً�.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দু�টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার একটি আমি দেখেছি আর অপরটির অপেক্ষা করছি। তিনি আমাদেরকে বলেছেন যে, আমানত মানুষের অন্তরের অন্তঃস্তলে অবতীর্ণ হয়েছে। অতঃপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, ফলে তারা কুরআন থেকে জ্ঞানার্জন করেছে এবং হাদীস থেকেও জ্ঞানার্জন করেছে। এরপর তিনি আমাদেরকে আমানত তুলে নেওয়া সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, �মানুষ এক ঘুম ঘুমাবে আর তার অন্তর থেকে আমানত তুলে নেওয়া হবে। তখন একটি বিন্দুর মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে। পুনরায় এক ঘুম ঘুমাবে। আবারো তার অন্তর থেকে আমানত উঠিয়ে নেওয়া হবে। তখন আগুনের আঙ্গারার মত তার চিহ্ন অবশিষ্ট থাকবে, যেমন একটি আঙ্গারা তোমার পা দিয়ে মাড়িয়েছ আর তার ফলে ফোস্কা পড়েছে। তুমি ফোস্কাটি ফোলা দেখবে; কিন্তু বাস্তবে তাতে কিছুই থাকবে না।� অতঃপর (উদাহরণ স্বরূপ) তিনি একটি কাঁকর নিয়ে নিজ পায়ে গড়িয়ে দিলেন। (তারপর বলতে লাগলেন,) �সে সময় লোকেরা বেচা-কেনা করবে কিন্তু প্রায় কেউই আমানত আদায় করবে না। এমনকি লোকে বলাবলি করবে যে, অমুক বংশে একজন আমানতদার লোক আছে। এমনকি (দুনিয়াদার) ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করা হবে, সে কতই না অদম্য! সে কতই না বিচক্ষণ! সে কতই না বুদ্ধিমান! অথচ তার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও থাকবে না।� (হুযাইফা বলেন,) ইতিপূর্বে আমার উপর এমন যুগ অতিবাহিত হয়ে গেছে, যখন কারো সাথে বেচাকেনা করতে কোন পরোয়া করতাম না। কারণ সে মুসলিম হলে তার দ্বীন তাকে আমার (খিয়ানত থেকে) বিরত রাখবে। আর খ্রিষ্টান অথবা ইয়াহুদী হলে তার শাসকই আমার হক ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা হচ্ছে এই যে, আমি অমুক অমুক ছাড়া বেচা-কেনা করতে প্রস্তুত নই।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يوضح الحديث أنَّ الأمانة تزول عن القلوب شيئاً فشيئا، فإذا زال أول جزء منها زال نوره وخلفه ظلمة كالوَكْت وهو أعراض لون مخالف اللون الذي قبله، فإذا زال شيء آخر صار كالمجل وهو أثر محكم لا يكاد يزول إلا بعد مدة، وهذه الظلمة فوق التي قبلها ثم شبَّه زوال ذلك النور بعد وقوعه في القلب وخروجه بعد استقراره فيه واعتقاب الظلمة إيَّاه بجمر يدحرجه على رجله حتى يؤثر فيها ثم يزول الجمر ويبقى النفط؛ وأخذه الحصاة ودحرجته إياها أراد به زيادة البيان والإيضاح.
(فيصبح الناس) بعد تلك النومة التي رفع فيها الأمانة (يتبايعون فلا يكاد) أي: يقارب (أحد) منهم (يؤدي الأمانة) فضلاً عن أدائها بالفعل.
(حتى يقال) لعزة هذا الوصف وشهرة ما يتصف به.
(إن في بني فلان رجلاً أميناً) ذا أمانة.
(حتى يقال للرجل ما أجلده) على العمل (ما أظرفه) من الظرف (ما أعقله) أي: ما أشد يقظته وفطانته (وما في قلبه مثقال حبة من خردل من إيمان) فضلاً عن الأمانة التي هي من شعبه.
(ولقد أتى عليّ زمان وما أبالي أيكم بايعت) أي: لا أبالي بالذي بايعته لعلمي بأن الأمانة لم ترتفع وأن في الناس وفاء بالعهد، فكنت أقدم على مبايعة من لقيت غير باحث عن حاله وثوقاً بالناس وأمانتهم.
(وأما اليوم) فقد ذهبت الأمانة إلا القليل فلذا قال:
(فما كنت أبايع منكم إلا فلاناً وفلاناً) يعني أفراداً أعرفهم وأثق بهم.
হাদীসটি স্পষ্ট করে যে, আমানত ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে। যখন তার প্রথম অংশ দূর হবে তখন তার অন্তরের নূর দূর হয়ে যাবে। আর তার পরিবর্তে রেখে যাবে বিন্দুর ন্যায় অন্ধকার। এটি হচ্ছে পূর্বের রং এর বিপরীত রং। তারপর যখন আরো কিছু আমানত দূর হবে, তখন আঙ্গারার ন্যায় হয়ে যাবে। এটি কঠিন দাগ যা সহজে দূর হবে না। তবে অনেক সময় পর। এটি তার পূর্বে অন্ধকার থেকে অধিক অন্ধাকার। অন্তরে নূর ডেলে দেওয়ার পর তা দূর হয়ে যাওয়া এবং স্থান করে নেওয়ার পর তা বের হয়ে যাওয়া এবং তারপর তাতে অন্ধকার জায়গা করে নেওয়াকে তুলনা করেছেন একটি জ্বলন্ত অগ্নি কয়লার সাথে যা পায়ে পড়ে তাতে ফোস্কা সৃষ্টি করল তারপর কয়লা দূর হলো এবং ফোস্কা অবশিষ্ট থাকল। অতঃপর (উদাহরণ স্বরূপ) তিনি একটি কাঁকর নিয়ে নিজ পায়ে গড়িয়ে দিলেন। এ দ্বারা বর্ণনাটি অধিক ও স্পষ্ট করতে চাইলেন।
�সে সময় লোকেরা সে ঘুম থেকে ভোর করবে যে ঘুমের ঘরে আমানত তুলে নেওয়া হয়েছে। তারা বেচা-কেনা করবে কিন্তু তাদের কেউই আমানত আদায় করার কাছাকাছি থাকবে না, বাস্তবিকপক্ষে আদায় করবে দূরের কথা।
এমনকি এ গুনটি কম হওয়া ও তার প্রসিদ্ধির কারণে লোকেরা বলাবলি করবে যে, অমুক বংশে একজন আমানতদার লোক আছে।
এমনকি (দুনিয়াদার) ব্যক্তি সম্পর্কে মন্তব্য করা হবে, সে কতই না অদম্য! সে কতই না বিচক্ষণ! সে কতই না বুদ্ধিমান! অথচ যে আমানতদারিতা ইমানের আলামত তাতো দূরের কথা তার অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও থাকবে না।�
(হুযাইফা বলেন,) ইতিপূর্বে আমার উপর এমন যুগ অতিবাহিত হয়ে গেছে, যখন কারো সাথে বেচাকেনা করতে কোন পরোয়া করতাম না। অর্থাৎ কারো সাথে বেচা-কেনা করতে পরওয়া করতাম না কারণ আমরা জানতাম যে, আমানত তুলে নেওয়া হয়নি। মানুষের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার প্রচলন ছিল। তাই মানুষের প্রতি ভরসা রেখে এবং তাদের আমানত দারিতার প্রতি লক্ষ্য করে তার অবস্থা সম্পর্কে অনুসন্ধান না করে তার সাথে বেচা-কেনায় অগ্রসর হতাম। কিন্তু বর্তমানের অবস্থা হচ্ছে এই যে, আমি অমুক অমুক ছাড়া বেচা-কেনা করতে প্রস্তুত নই। অর্থাৎ কতক লোক যাদের আমি চিনি এবং তাদের প্রতি আস্থা রাখি। আল্লামা কিরমানি বলেন, যদি বলি আমানত তুলে নেওয়া রাসূলের যামায় প্রকাশ পেয়েছিল।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3016

 
Hadith   75   الحديث
الأهمية: إذا أحب الرجل أخاه فليخبره أنه يحبه
থিম: যখন কোনো মানুষ তার ভাইকে ভালোবাসে, তখন সে যেন তাকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে ভালোবাসে।

عن أبي كريمة المقداد بن معد يكرب -رضي الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: �إِذَا أَحَبَّ الرَّجُلُ أَخَاهُ، فَلْيُخْبِرْهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ�.

আবূ কারীমা মিকদাদ ইবন মা�দী কারিব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মার�ফু হিসেবে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �যখন কোন মানুষ তার ভাইকে ভালোবাসে, তখন সে যেন তাকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে ভালোবাসে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
دعت أحاديث كثيرة إلى التحابب في الله -تعالى-، وأخبرت عن ثوابه، وهذا الحديث يشير إلى معنى مهم يُحْدِث الأثر الأكبر في علاقة المؤمنين بعضهم ببعض، كما    ينشر المحبة، وهو أن يخبر أخاه أنه يحبه، وهذا يفيد المحافظة على البناء الاجتماعي من عوامل التفكك والانحلال؛ وهذا من خلال إشاعة المحبة بين أفراد المجتمع الإسلامي، وتقوية الرابطة الاجتماعية بالأخوة الإسلامية، وهذا كله يتحقق بفعل أسباب المحبة كتبادل الإخبار بالمحبة بين المتحابين في الله -تعالى-.
থিম: অসংখ্য হাদীস আল্লাহর জন্য পরস্পরকে ভালোবাসার দাওয়াত দিয়েছে ও তার সাওয়াবের সংবাদ প্রদান করেছে। আর এ হাদীসিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত দেয়, যা মু�মিনদের একে অপরের সম্পর্কের মাঝে বড় প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে, যেমন মহব্বতকেও ছড়িয়ে দেয়। আর তা হলো, সে তার ভাইকে জানিয়ে দিবে যে, সে তাকে মুহাব্বত করে। এটি ইসলামী সমাজের মানুষের মধ্যে মহব্বত ছড়িয়ে দিয়ে ও ইসলামী ভ্রাতৃত্ব দ্বারা সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী করে সামাজিক ভিত্তিকে ফাটল ও বিচ্ছিন্নতা থেকে রক্ষা করার নির্দেশ দেয়। আর এসব বাস্তবায়িত হয়, মহব্বতের উপকরণসমূহ বাস্তবায়ন করার দ্বারা। যেমন, আল্লাহর জন্যে একে অপরকে মহব্বতকারীর মাঝে মহব্বতের বিষয়টি জানাজানি করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3017

 
Hadith   76   الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يعجبه التيمن في تنعله، وترجله، وطهوره، وفي شأنه كله
থিম: �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত কাজে (যেমন) ওযূ করা, মাথা আঁচড়ানো ও জুতা পরা (প্রভৃতি ভাল) কাজে ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: �كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يعجبه التيمُّن في تَنَعُّلِّه, وترجُّلِه, وطُهُورِه, وفي شَأنه كُلِّه�.

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আন্হা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত কাজে (যেমন) ওযূ করা, মাথা আঁচড়ানো ও জুতা পরা (প্রভৃতি ভাল) কাজে ডান দিক থেকে শুরু করা পছন্দ করতেন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
تخبرنا عائشة -رضي الله عنها- عن عادة النبي -صلى الله عليه وسلم- المحببة إليه، وهى تقديم الأيمن في لبس نعله، ومشط شعره، وتسريحه، وتطهره من الأحداث، وفى جميع أموره التي من نوع ما ذكر كلبس القميص والسراويل، والنوم، والأكل والشرب ونحو ذلك.
كل هذا من باب التفاؤل الحسن وتشريف اليمين على اليسار.
وأما الأشياء المستقذرة فالأحسن أن تقدم فيها اليسار؛ ولهذا نهى النبي -صلى الله عليه وسلم- عن الاستنجاء باليمين، ونهى عن مس الذكر باليمين، لأنها للطيبات، واليسار لما سوى ذلك.
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পছন্দনীয় অভ্যাস সম্পর্কে সংবাদ দেন। আর তা হলো জুতা পরিধান করা, চুল আচড়ানো ও ছড়ানো এবং নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জন সহ যাবতীয় কাজেই তিনি ডানকে পছন্দ করেন। এ ধরনের আরও কর্ম যেমন জামা, পায়জামা পরিধান করা, ঘুম যাওয়া, খানা ও পান করা ইত্যাদি। এ গুলো সবই হলো ভালো কর্ম এবং তাতে বামের ওপর ডানকে সম্মান দেখানোই শ্রেয়। আর যে সব কর্ম ঘৃণিত তাতে উত্তম হলো বামকে অগ্রাধিকার দেওয়া। এ কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডান হাতে পবিত্রতা অর্জন করতে না করেছেন এবং ডান হাত দিয়ে লিঙ্গ স্পর্শ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ, ডান হলো পবিত্র বস্তুসমূহের জন্য আর বাম হলো অন্য বস্তুর জন্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3018

 
Hadith   77   الحديث
الأهمية: كانت يد رسول الله -صلى الله عليه وسلم- اليمنى لطهوره وطعامه، وكانت اليسرى لخلائه وما كان من أذى
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ডান হাত তাঁর ওযূ ও আহারের জন্য ব্যবহার হত এবং বাম হাত তাঁর পেশাব-পায়খানা ও কষ্টদায়ক বস্তু স্পর্শ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হত।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: "كَانَت يَدُ رسُولِ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- اليُمنَى لِطُهُورِهِ وطَعَامِهِ، وكَانَت اليُسْرَى لِخَلاَئِهِ، ومَا كَانَ مِنْ أَذَى".
عن حفصة -رضي الله عنها- "أَنَّ رَسُولَ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- كَانَ يَجْعَلُ يَمِينَهُ لِطَعَامِهِ وَشَرَابِهِ وَثِيَابِهِ، وَيَجْعَلُ يَسَارَهُ لِمَا سِوَى ذَلِك".

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ডান হাত তাঁর ওযূ ও আহারের জন্য ব্যবহার হত এবং বাম হাত তাঁর পেশাব-পায়খানা ও কষ্টদায়ক বস্তু স্পর্শ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হত।� হাফসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানাহার ও কাপড় পরার ক্ষেত্রে স্বীয় ডান হাত কাজে লাগাতেন এবং তাছাড়া অন্যান্য (নোংরা স্পর্শ ইত্যাদি) কাজে বাম হাত লাগাতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
بيَّنت عائشة -رضي الله عنها-، ما كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يستعمل فيه اليمين، وما كان يستعمل فيه اليسار، فذكرت أن الذي يستعمل فيه اليسار ما كان فيه أذى؛ كالاستنجاء، والاستجمار، والاستنشاق، والاستنثار، وما أشبه ذلك، كل ما فيه أذى فإنه تقدم فيه اليسرى، وما سوى ذلك؛ فإنه تقدم فيه اليمنى؛ تكريمًا لها؛ لأن الأيمن أفضل من الأيسر.
   وهذ الحديث داخل في استحباب تقديم اليمنى فيما من شأنه التكريم فقولها -رضي    الله عنها-.
قولها: "لطهوره": يعني إذا تطهر يبدأ باليمين، فيبدأ بغسل اليد اليمنى قبل اليسرى، وبغسل الرجل اليمنى قبل اليسرى، وأما الأذنان فإنهما عضوٌ واحدٌ، وهما داخلان في الرأس، فيمسح بهما جميعًا إلا إذا كان لا يستطيع أن يمسح إلا بيد واحدة، فهنا يبدأ بالأذن اليمنى للضرورة.
قولها: "وطَعَامِهِ": أي تناوله الطعام.
"وكانت يده اليسرى لخلائه": أي لما فيه من استنجاء وتناول أحجار وإزالة أقذار.
"وما كان من أذى" كتنحية بصاق ومخاط وقمل ونحوها.
وحديث حفصة مؤكد لما سبق من حديث عائشة، الذي جاء في بيان استحباب البداءة باليمين فيما طريقه التكريم، وتقديم اليسار فيما طريقه الأذى والقذر؛ كالاستنجاء والاستجمار وما أشبه ذلك.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব কর্মে ডান হাত এবং যে সব কর্মে বাম হাত ব্যবহার করেন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তার বর্ণনা দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, যাতে নোংরামী রয়েছে যেমন ইস্তেনজা, ঢিলা কুলুপ নাক পরিষ্কার ও মুখ পরিষ্কার ইত্যাদিতে তিনি বামকে ব্যবহার করতেন। যত কর্মে আবর্জনা রয়েছে তাতে তিনি বামকে ব্যবহার করতেন। আর বাকী সব কর্মে তিনি ডানের সম্মানার্থে ডানকে সামনে বাড়াতেন। কারণ, ডান বাম থেকে উত্তম। আর এ হাদীসটি যে সব কর্ম সম্মানিত তাতে ডান হাত বাড়িয়ে দেওয়া মুস্তাহাব হওয়ার অন্তভুর্ক্ত। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বাণী: �রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ডান হাত তাঁর ওযূ ও আহারের জন্য ব্যবহার হত এবং বাম হাত তাঁর পেশাব-পায়খানা ও নোংরা বস্তু স্পর্শ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হত। তার বাণী: পবিত্রতা জন্য: অর্থাৎ, যখন উযূ করবে তখন ডান হাত দিয়ে শুরু করবে। বাম হাতের আগে ডান হাত ধুইবে আর বাম পায়ের আগে ডান পা ধুইবে। আর দুই কান একটি অঙ্গ যা মাথার অর্ন্তভুক্ত। তাই উভয় কানকে একসাথে মাসেহ করবে। তবে যদি একসাথে দুই কান এক হাত ছাড়া মাসেহ করতে সক্ষম না হয়, তখন ডান কান দিয়ে মাসেহ করা আরম্ভ করবে। আর তার বাণী: আহার, অর্থাৎ আহার করার সময়। আর বাম হাত পেশাব-পায়খানার জন্য। অর্থাৎ, যেহেত তাতে রয়েছে পবিত্রতা অর্জন, ঢিলা ব্যবহার এবং ময়লা দূর করা। আর যাতে রয়েছে নোংরামী। যেমন, থুথু সরানো, নাকের ময়লা এবং মাথার উকুন ইত্যাদি পরিষ্কারে। হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীস পূর্বে উল্লেখিত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু <�আনহার হাদীসের সমর্থক। যাতে সম্মানসূচক কর্মে ডানকে বাড়িয়ে দেওয়া মুস্তাহাব হওয়া এবং যে সব কর্ম নোংরামী বা আবর্জনাযুক্ত রয়েছে সে সব কর্মে বামকে বাড়িয়ে দেওয়ার বর্ণনা রয়েছে। যেমন পবিত্রতা অর্জন করা, ঢিলা ব্যবহার করা এবং এ ধরনের আরো যে সব কর্ম রয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3019

 
Hadith   78   الحديث
الأهمية: يا رسول الله، أيرقد أحدنا وهو جنب؟ قال: نعم، إذا توضأ أحدكم فليرقد
থিম: হে আল্লাহর রাসূল আমাদের কারো ওপর যখন গোসল ফরয হয় সে ঘুমাতে পারে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যখন তোমাদের কেউ ওযূ করবে তখন সে ঘুমাবে।

عن عبد الله بنِ عمر -رضي الله عنهما- أن عمرَ بْن الخطاب -رضي الله عنه- قال: ((يا رسول الله، أّيَرقُدُ أَحَدُنا وهو جُنُب؟ قال: نعم، إِذَا تَوَضَّأ أَحَدُكُم فَليَرقُد)).
থিম: আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহ �আনহুমা থেকে বর্ণিত, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু �আনহু বলেন, �হে আল্লাহর রাসূল আমাদের কারো ওপর যখন গোসল ফরয হয় সে ঘুমাতে পারে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যখন তোমাদের কেউ ওযূ করবে তখন সে ঘুমাবে�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سأل عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- النبي -صلى الله عليه وسلم-: إن أصابت أحدهم الجنابة من أول الليل، بأن جامع امرأته ولو لم ينزل أو احتلم، فهل يرقد أي ينام وهو جنب؟ فأذن لهم -صلى الله عليه وسلم-    بذلك، على أن يخفف هذا الحدث الأكبر بالوضوء الشرعي؛ وحينئذ لا بأس من النوم مع الجنابة.
উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন যে, যখন রাতের প্রথমাংশে কেউ অপবিত্র হয়, যেমন স্ত্রীর সাথে সহবাস করল যদিও বীর্যপাত হয়নি অথবা স্বপ্নদোষ হলো সে কি নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে পারবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শর�ঈ ওযূ করে এ নাপাকীকে হালকা করার শর্তে তাকে ঘুমানের অনুমতি দিলেন। তখন নাপাক হওয়া সত্বেও ঘুমানোতে কোন অসুবিধা নেই।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3021

 
Hadith   79   الحديث
الأهمية: أنَّ رسول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- دخل مكة من كداء، من الثنية العليا التي بالبطحاء، وخرج من الثنية السفلى
থিম: নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাত্হায় অবস্থিত সানিয়্যা �উলয়ার কাদা নামক স্থান দিয়ে মাক্কায় প্রবেশ করেন এবং সানিয়্যা সুফলার দিক দিয়ে বের হন।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- �أنَّ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- دَخَل مكَّة مِن كَدَاٍء، مِن الثَنِيَّة العُليَا التِّي بالبَطحَاءِ، وخرج من الثَنِيَّة السُفلَى�.

আব্দুল্লাহ ইব্নু �উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাত্হায় অবস্থিত সানিয়্যা �উলয়ার কাদা নামক স্থান দিয়ে মাক্কায় প্রবেশ করেন এবং সানিয়্যা সুফলার দিক দিয়ে বের হন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حجَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- حجة الوداع، فبات ليلة دخوله بـ"ذي طوى" لأربع خلون من ذي الحجة، وفي الصباح دخل مكة من الثنية العليا؛ لأنه أسهل لدخوله؛ لأنه أتى من المدينة، فلما فرغ من مناسكه خرج من مكة إلى المدينة من أسفل مكة، وهي الطريق التي تأتي على "جرول"، ولعل في مخالفة الطريقين تكثيرا لمواضع العبادة، كما فعل -صلى الله عليه وسلم-    في الذهاب إلى عرفة والإياب منها، ولصلاة العيد والنفل، في غير موضع الصلاة المكتوبة؛ لتشهد الأرض على عمله عليها يوم تحدث أخبارها، أو لكون مدخله ومخرجه مناسبين لمن جاء من المدينة، وذهب إليها. والله أعلم.
নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায়ী হজ করেন। তিনি যে রাত মক্কায় প্রবেশ করেন সে রাতে যী-তুয়া নামী স্থানে যিল হজ মাসের চার তারিখে রাত যাপন করেন। আর সকালে তিনি সানিয়্যা �উলয়ার কাদা নামক স্থান দিয়ে মাক্কায় প্রবেশ করেন। কারণ, প্রবেশের জন্য এটিই সহজ। কারণ, তিনি মদীনা থেকে এসেছেন। আর যখন তিনি হজ কর্ম সম্পন্ন করেন মক্কা থেকে মদীনার দিকের রওয়ানা করেন মক্কার নিম্ন এলাকা দিয়ে বের হন। আর সেটি হলো জারওয়ালের পথ। রাস্তা পরিবর্তনের হিকমত এও হতে পারে যে, ইবাদতের স্থান বাড়ানো। যেমনটি তিনি আরাফায় যাওয়া আসা, সালাতুল ঈদে যাওয়া আসা এবং নফল সালাত ফরয আদায়ের ভিন্ন জায়গায় আদায় করার ক্ষেত্রে করে থাকেন। যাতে যেদিন যমীন তার সংবাদ প্রকাশ করবে সেদিন যেন সে তার উপর কৃত আমল সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়। অথবা যে ব্যক্তি মদীনা থেকে আসবে তার জন্য প্রবেশ করা ও বের হওয়ার জন্য এ পথ দুটি মুনাসিব হওয়ার কারণে তিনি সে পথ দিয়ে যান। আল্লাহই ভালো জানেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3022

 
Hadith   80   الحديث
الأهمية: رَقِيت يومًا على بيت حفصة، فرأيت النبي -صلى الله عليه وسلم- يقضي حاجته مستقبل الشام، مستدبر الكعبة
থিম: আমি একদিন হাফসাহর ঘরের ছাদে উঠলাম। তখন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে শাম-এর দিকে মুখ করে তাঁর প্রয়োজন পুরণ করছেন।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- قال: ((رَقيت يومًا على بيت حفصة، فرَأَيتُ النبيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم-يَقضِي حاجته مُسْتَقبِل الشام، مُسْتَدبِر الكعبة)).
وفي رواية: ((مُسْتَقبِلا بَيتَ المَقدِس)) .

থিম: আবদুল্লাহ্ ইব্নু �উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, �আমি একদিন হাফসাহর ঘরের ছাদে উঠলাম। তখন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে শাম-এর দিকে মুখ করে তাঁর প্রয়োজন পুরণ করছেন�। অপর বর্ণনায় এসেছে: �বায়তুল মাকদিসের দিকে মুখ করে�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
ذكر ابن عمر -رضي الله عنهما-: أنه جاء يوماً إلى بيت أخته حفصة، زوج النبي -صلى الله عليه وسلم-، فصعد فوق بيتها، فرأى النبي -صلى الله عليه وسلم-، يقضى حاجته وهو متَجه نحو الشام، ومستدبر القبلة.
وكان ابن عمر -رضي الله عنه- قال ذلك ردًّا على من قالوا: إنه لا يستقبل بيت المقدس حال قضاء الحاجة، ومن ثمَّ أتى المؤلف بالرواية الثانية: مستقبلا بيت المقدس.
فإذا استقبل الإنسان القبلة داخل البنيان فلا حرج.
ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা উল্লেখ করেন যে, তিনি একদিন তার বোন হাফসা রাসূলের স্ত্রীর বাড়িতে আসেন এবং তার বাড়ির ছাদে উঠেন। তিনি দেখলেন রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শামের দিকে মুখ করে এবং কিবলাকে পিছনে দিয়ে তার প্রয়োজন পুরণ করছেন। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এ কথা তাদের কথার উত্তরে বলতেন যারা বলেন, প্রয়োজন পুরণের সময় বাইতুল মুকাদ্দাসকে সামনে রাখা যাবে না। এ কারণেই লেখক, দ্বিতীয় বর্ণনা নিয়ে এসেছেন, যাতে বলা হয়েছে, বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3023

 
Hadith   81   الحديث
الأهمية: أنه جاء إلى الحجر الأسود، فقبَّله، وقال: إني لأعلم أنك حجر، لا تضر ولا تنفع، ولولا أني رأيت النبي -صلى الله عليه وسلم- يقبلك ما قبلتك
থিম: তিনি হাজরে আসওয়াদে এসেছেন ও তাকে চুম্বন করেছেন। আর তিনি বললেন, আমি অবশ্যই জানি তুমি একটি পাথর না উপকার করতে পার, আর না অপকার? আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তোমাকে চুম্বন করতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না।

عن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- �أنَّه جَاء إِلى الحَجَر الأَسوَدِ، فَقَبَّلَه، وقال: إِنِّي لَأَعلَم أَنَّك حَجَرٌ، لا تَضُرُّ ولا تَنفَعُ، ولَولاَ أَنِّي رَأَيتُ النبيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- يُقَبِّلُك مَا قَبَّلتُك�.

উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, �তিনি হাজরে আসওয়াদে এসেছেন ও তাকে চুম্বন করেছেন। আর তিনি বললেন, আমি অবশ্যই জানি তুমি একটি পাথর না উপকার করতে পার, আর না অপকার? আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তোমাকে চুম্বন করতে না দেখতাম, তাহলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الأمكنة والأزمنة وغيرها من الأشياء، لا تكون مقدسة معظمة تعظيم عبادةٍ لذاتها، وإنَّما يكون لها ذلك بشرع؛ ولهذا جاء عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- إلى الحجر الأسود وقبله بين الحجيج، الذين هم حديثو عهد بعبادة الأصنام وتعظيمها، وبين أنَّه ما قبل هذا الحجر وعظمه من تلقاء نفسه، أو لأن الحجر يحصل منه نفع أو مضرة؛ وإنما هي عبادة تلقَّاها من المشرِّع -صلى الله عليه وسلم-    فقد رآه يقبله فقبله؛ تأسيا واتباعا، لا رأيا وابتداعا.
শরী�আতের অনুমোদন ছাড়া সরাসরি আল্লাহর ইবাদত হিসেবে কোন স্থান বা সময় ইত্যাদি কখনোই পবিত্র বা সম্মানিত হতে পারে না। এ কারণেই উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হাজরে আসওয়াদের নিকট এসে তাকে এমন সব হাজীগণের সামনে চুম্বন করলেন যারা এখনো মুর্তি পুজা ও সম্মানের সাথে পরিচিত। আর তিনি বর্ণনা করলেন যে, তিনি এ পাথরকে তার নিজের পক্ষ থেকে চুম্বন বা সম্মান করেননি অথবা এ জন্য করেননি যে তার দ্বারা কোন উপকার বা ক্ষতি হবে। বরং তা করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিনি শরী�আত প্রণেতা তার পক্ষ থেকে ইবাদত হিসেবে। তিনি তাকে চুম্বন করতে দেখেছেন তাই তার অনুসরণ ও অনুকরণে তাকে চুম্বন করলেন। নিজের মতামত বা আবিষ্কার হিসেবে করেননি।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3024

 
Hadith   82   الحديث
الأهمية: طاف النبي في حجة الوداع على بعير، يستلم الركن بمحجن
থিম: বিদায় হাজ্জে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের পিঠে আরোহণ করে তাওয়াফ করেন। তিনি লাঠির দ্বারা হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করতেন।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- قال: �طَافَ النبيُّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ على بَعِير، يَستَلِم الرُّكنَ بِمِحجَن�.

ইব্নু �আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিদায় হাজ্জে নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের পিঠে আরোহণ করে তাওয়াফ করেন। তিনি লাঠির দ্বারা হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
طاف النبي -صلى الله عليه وسلم- في حجة الوداع، وقد تكاثر عليه الناس: منهم من يريد النظر إلى صفة طوافه، ومنهم من يريد النظر إلى شخصه الكريم؛ فازدحموا عليه، ومن كمال رأفته بأمته ومساواته بينهم: أن ركب على بعير، فأخذ يطوف عليه؛ ليتساوى الناس في رؤيته، وكان معه عصا محنية الرأس، فكان يستلم بها الركن، ويقبل العصا كما جاء في رواية مسلم لهذا الحديث.
বিদায়ী হজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাওয়াফ করেছেন এমতাবস্থায় যে, লোকেরা তার ওপর ভিড় করতেছিল। কেউ তার তাওয়াফের প্রদ্ধতি দেখতেছিল আর কেউ তাকে স্বচক্ষে দেখতেছিল। যার ফলে তারা তার আশপাশে ভিড় জমাতে লাগল। উম্মতের প্রতি তার দয়াদ্রতা ও তাদের মাঝে সমতা বঝায় রাখার জন্য তিনি একটি উটের ওপর আরোহণ করলেন। যাতে লোকেরা তাকে সমানভাবে দেখতে পায়। তার হাতে একটি লাঠি ছিল যার মাথা বাঁকা। তিনি সেটি দিয়ে হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করেন এবং লাঠিকে চুম্বন করেন। যেমনটি সহীহ মুসলিমে এ হাদীসের বর্ণনায় এসেছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3025

 
Hadith   83   الحديث
الأهمية: لم أر النبي -صلى الله عليه وسلم- يستلم من البيت إلا الركنين اليمانيين
থিম: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দুই রুকনে ইয়ামনি ছাড়া বাইতুল্লাহর আর কোন অংশকে স্পর্শ করতে দেখিনি।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- قال: �لَمْ أَرَ النبِيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم يَستَلمُ- منَ البيتِ إِلا الرُّكنَينِ اليَمَانِيَينِ�.

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দুই রুকনে ইয়ামনি ছাড়া বাইতুল্লাহর আর কোন অংশকে স্পর্শ করতে দেখিনি।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لم يكن النبي -صلى الله عليه وسلم- يستلم من الأركان الأربعة للكعبة إلا الركن الأسود والركن اليماني، فللبيت أربعة أركان، فللركن الشرقي منها فضيلتان:
1. كونه على قواعد إبراهيم.
2. وكون الحجر الأسود فيه. والركن اليماني له فضيلة واحدة، وهو كونه على قواعد إبراهيم.
وليس للشامي والعراقي شيء من هذا، فإن تأسيسهما خارج عن أساس إبراهيم حيث أخرج الحجر من الكعبة من جهتهما؛ ولهذا فإنه يشرع استلام الحجر الأسود وتقبيله، ويشرع استلام الركن اليماني بلا تقبيل، ولا يشرع في حق الركنين الباقيين استلام ولا تقبيل، والشرع مبناه على الاتباع، لا على الإحداث والابتداع، ولله في شرعه حكم وأسرار.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা�বার চার কোণের মধ্যে একমাত্র রুকনে ইয়ামনী ও রুকনে আসওয়াদ ছাড়া আর কোন কিছুকে স্পর্শ করতেন না। বাইতুল্লাহর রয়েছে চারটি রুকন। পূর্বের রুকনের রয়েছে দুটি ফযীলত: এক: ইব্রাহীমের ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকা। দুই: তাতে হাজরে আসওয়াদ স্থাপিত থাকা। আর রুকনে ইয়ামনির একটি ফযীলত। ইব্রাহীমি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকা। আর শামী ও ইরাকী রুকনের এ ধরনের কোন ফযীলত নেই। কারণ, এ দুটির ভিত্তি ইব্রাহীমি ভিত্তির অন্তর্ভুক্ত যার কারণে কা�বা থেকে হাজরে আসওয়াদ পাথরকে এ দুই দিক দিয়ে বের করা হয়। এ কারণেই হাজরে আসওয়াকে স্পর্শ করা ও চুমু দেওয়া উভয়টি শরী�আত সম্মত। আর রুকনে ইয়ামনী শুধু স্পর্শ করা যাবে চুমু দেওয়া ছাড়া। আর বাকী দুই রুকনকে চুমু দেওয়া স্পর্শ করা কোনটিই শরী�আত সম্মত নয়। আর শরী�আতের ভিত্তি হলো অনুকরণের ওপর নতুন কিছু আবিষ্কার করা বা বিদআতের ওপর নয়। আল্লাহর শরী�আতে রয়েছে প্রজ্ঞা ও রহস্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3026

 
Hadith   84   الحديث
الأهمية: إني أحبك في الله، فقال: أحبك الذي أحببتني له
থিম: হে আল্লাহর রসূল! নিঃসন্দেহে আমি একে ভালবাসি।� (এ কথা শুনে) নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, �তুমি কি (এ কথা) তাকে জানিয়েছ?� সে বলল, �না।� তিনি বললেন, �তাকে জানিয়ে দাও।� সুতরাং সে (দ্রুত) তার পিছনে গিয়ে (তাকে) বলল, �আমি আল্লাহর ওয়াস্তে তোমাকে ভালবাসি।� সে বলল, �যাঁর ওয়াস্তে তুমি আমাকে ভালবাস, তিনি তোমাকে ভালবাসুন।�

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- أنَّ رَجُلاً كَانَ عِند النَبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- فَمَرَّ رَجُلٌ بِهِ، فقال: يا رسول الله، أنِّي لَأُحِبُّ هَذَا، فَقَال لَهُ النَبِيُّ -صلى الله عليه وسلم-: �أَأَعْلَمْتَهُ؟� قال: لا. قال: �أَعْلِمْهُ�، فَلَحِقَهُ، فقال: إِنِّي أُحِبُّك فِي الله، فقال: أّحَبَّك الَّذِي أَحْبَبْتَنِي لَهُ.

আনাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত: এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট (বসে) ছিল। অতঃপর এক ব্যক্তি তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করল। (যে বসেছিল) সে বলল, �হে আল্লাহর রসূল! নিঃসন্দেহে আমি একে ভালবাসি।� (এ কথা শুনে) নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, �তুমি কি (এ কথা) তাকে জানিয়েছ?� সে বলল, �না।� তিনি বললেন, �তাকে জানিয়ে দাও।� সুতরাং সে (দ্রুত) তার পিছনে গিয়ে (তাকে) বলল, �আমি আল্লাহর ওয়াস্তে তোমাকে ভালবাসি।� সে বলল, �যাঁর ওয়াস্তে তুমি আমাকে ভালবাস, তিনি তোমাকে ভালবাসুন।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
جاء هذا الحديث النبوي الشريف تطبيقا لأمره -صلى الله عليه وسلم- بأن يُعلِم الإنسان أخاه إذا أحبَّه، لَمَّا قال له رجلٌ جالسٌ عنده: إنِّي أحب هذا الرجل. يقصد رجلًا آخر مرَّ بهما، فقال له -صلى الله عليه وسلم-: " أأعلمته" فدل هذا على أنه من السنَّة إذا أحبَّ المسلم شخصا أن يقول له: إني أحبك، وذلك لما في هذه الكلمة من إلقاء المحبة في قلبه؛ لأنَّ الإنسان إذا علم من أخيه أنَّه يحبه أحبَّه، مع أن القلوب لها تعارف وتآلف وإن لم تنطق الألسن.
وكما قال النبي -عليه الصلاة والسلام-: "الأرواح جنود مجندة ما تعارف منها ائتلف، وما تناكر منها اختلف" لكن إذا قال الإنسان بلسانه، فإن هذا يزيده محبة في القلب فيقول: إني أحبك في الله.
হাদীসটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ�কেউ যদি কাউকে ভালোবাসে সে যেন তা তাকে জানিয়ে দেয়�এর বাস্তবায়ন। এটি রাসূলুল্লাহ ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাঝে কথোপকথন। তিনি যখন বললেন, আমি এ লোকটিকে ভালোবাসি, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি কি তাকে বিষয়টি জানিয়েছ? এটি প্রমাণ করে যে, সুন্নাত হলো যখন কোন মুসলিম কোন ব্যক্তিকে ভালোবাসে সে যেন তাকে বলে, আমি তোমাকে ভালোবাসী। কারণ, এ বাক্যের মধ্যে নিহিত রয়েছে তার অন্তরেও মহব্বত ডেলে দেওয়া। কারণ, যখন কোন মানুষ জানবে যে, তার কোন ভাই তাকে মহব্বত করে সেও তাকে মহব্বত করবে। যদিও মুখে কোন কিছু না বলা সত্বেও একটি অন্তর অপর অন্তরের প্রতি ভালোবাসা ও পরিচিতি রয়েছে। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রুহসমূহ সংঘটিত সৈন্য দলের মতো। যাকে চিনবে তার সাথে মহব্বত সৃষ্টি হবে আর যাকে চিনবে না তার সাথে বিরোধ করবে। কিন্তু যদি মানুষ মুখে বলে, তখন তা অন্তরে মহব্বতকে বাড়িয়ে দেয়। তখন সে বলবে, আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3028

 
Hadith   85   الحديث
الأهمية: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يدخل الخلاء، فأحمل أنا وغلام نحوي إداوة من ماء وعنزة؛ فيستنجي بالماء
থিম: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানায় যেতেন তখন আমি ও আমার একটি ছেলে পানির পাত্র এবং �আনাযা� (এমন লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে) নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা শৌচকার্য করতেন।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: ((كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يدخل الخلاء، فأحمل أنا وغلام نَحوِي إِدَاوَةً مِن ماء وَعَنَزَة؛ فيستنجي بالماء)).
থিম: আনাস ইব্নু মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, �আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানায় যেতেন তখন আমি ও আমার একটি ছেলে পানির পাত্র এবং �আনাযা� (এমন লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে) নিয়ে যেতাম। তিনি পানি দ্বারা শৌচকার্য করতেন�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يذكر خادم النبي -صلى الله عليه وسلم- وهو أنس بن مالك -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- حينما يدخل موضع قضاء الحاجة، كان يجيء هو وغلام معه بطهوره، الذي يقطع به الأذى، وهو ماء في جلد صغير، وكذلك يأتيان بما يستتر به عن نظر الناس، وهو عصا قصيرة في طرفها حديدة، يغرزها في الأرض، ويجعل عليها شيئًا مثل: الرداء أو نحوه يقيه من نظر المارين، ويستتر به أيضًا إذا أراد أن يصلي.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খাদেম আনাস ইব্নু মালিক রাদিয়াল্লাহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন পায়খানায় যেতেন তখন তিনি এবং তার সাথে একটি ছেলে তার পবিত্রতা যার দ্বারা সে নাপাকী দূর করবেন তা নিয়ে আসতেন। আর পবিত্রতা দ্বারা উদ্দেশ্য চামড়ার পাত্রে কিছু পানি। এ ছাড়া তারা নিয়ে আসত এমন কিছু যা দ্বারা সে নিজেকে মানুষের দৃষ্টি থেকে আড়াল করতে পারে। আর তা হলো �আনাযা� বা এমন ছোট লাঠি যার মাথায় লোহা লাগানো থাকে। তাকে মাটিতে পুঁতে তার ওপর কোন চাদর বা তার মতো কোন কিছু রাখে যা তাকে অতিক্রমকারীদের দৃষ্টি থেকে আড়াল করে রাখে এবং যখন সালাতের ইচ্ছা করে তখনও তার দ্বারা তিনি আড়াল হন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3030

 
Hadith   86   الحديث
الأهمية: سووا صفوفكم، فإن تسوية الصفوف من تمام الصلاة
থিম: তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা করে নিবে, কেননা, কাতার সোজা করা সলাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �سَوُّوا صُفُوفَكُم، فإِنَّ تَسوِيَة الصُّفُوف من تَمَام الصَّلاَة�.

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা কর, কেননা, কাতার সোজা করা সালাতের পূর্ণতার অংশ।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يرشد النبي -صلى الله عليه وسلم- أمته إلى ما فيه صلاحهم وفلاحهم، فهو -هنا- يأمرهم بأن يسووا صفوفهم، بحيث يكون سمتهم نحو القبلة واحدا، ويسدوا خلل الصفوف، حتى لا يكون للشياطين سبيل إلى العبث بصلاتهم، وأرشدهم -صلى الله عليه وسلم- إلى بعض الفوائد التي ينالونها من تعديل الصف، وذلك أن تعديلها علامة على تمام الصلاة وكمالها، وأن اعوجاج الصف خلل ونقص فيها.
যে সব কর্মে কল্যাণ ও কামিয়াবী রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতকে সে সব কর্মের দিকে দিক নির্দেশা ও পথ দেখান। আর এখানে তিনি তাদেরকে কাতার সোজা করার নির্দেশ দেন যাতে তাদের সবাইর মুখ এক কিবলার দিকে হয়। আর ফাকাগুলো পুরণ করার নির্দেশ দেন যাতে শয়তানের জন্য তাদের সালাত নিয়ে খেল-তামাশা করার সুযোগ না থাকে। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাতার সোজা করার কতক উপকারিতার কথা বলেন। আর তা হলো কাতার সোজা করা সালাত সম্পন্ন হওয়া ও পরিপূর্ণতার আলামত। আর কাতার বক্র হওয়া সালাতে দূর্বলতা ও অসম্পূর্ণতা পাওয়া যাওয়ার আলামত।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3031

 
Hadith   87   الحديث
الأهمية: إن من إجلال الله -تعالى-: إكرام ذي الشيبة المسلم، وحامل القرآن غير الغالي فيه، والجافي عنه، وإكرام ذي السلطان المقسط
থিম: আল্লাহ তাআলাকে সম্মান করার এক প্রকার হচ্ছে: পাকা চুলওয়ালা বয়স্ক মুসলিম, সীমালঙ্ঘন ও অতিরঞ্জন পরিহারকারী কুরআনের বাহক (হাফেয ও আলেম) এবং ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর সম্মান করা।

عن أبي موسى الأشعري -رضي الله عنه- قَالَ: قالَ رسول اللَّه -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم-: �إِنَّ مِنْ إِجْلاَلِ الله -تَعَالَى-: إِكْرَامَ ذِي الشَّيْبَةِ المُسْلِمِ، وَحَامِلِ القُرْآنِ غَيرِ الغَالِي فِيه، وَالجَافِي عَنْه، وَإِكْرَام ذِي السُّلْطَان المُقْسِط�.

আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �আল্লাহ তাআলাকে সম্মান করার এক প্রকার হচ্ছে: পাকা চুলওয়ালা বয়স্ক মুসলিম, সীমালঙ্ঘন ও অতিরঞ্জন পরিহারকারী কুরআনের বাহক (হাফেয ও আলেম) এবং ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর সম্মান করা।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أفاد هذا الحديث أن مما يحصل به إجلال الله -سبحانه- وتعظيمه وتوقيره أمور ذكرت في هذا الحديث وهي:
(إكرام ذي الشيبة المسلم): أي تعظيم الشيخ الكبير في الإسلام بتوقيره في المجالس والرفق به والشفقة عليه ونحو ذلك، وكل هذا من كمال تعظيم الله لحرمته عند الله.
(وحامل القرآن): أي وإكرام حافظه وسماه حاملا لأنه محمول في صدره ولما تحمل من مشاق كثيرة تزيد على الأحمال الثقيلة، ويدخل في هذا الإكرام المشتغل بالقرآن قراءة وتفسيرا.
وحامل القرآن الذي جاء ذكره في هذا الحديث النبوي، جاء تمييزه بوصفين:
(غير الغالي): والغلو التشديد ومجاوزة الحد، يعني غير المتجاوز الحد في العمل به وتتبع ما خفي منه واشتبه عليه من معانيه وفي حدود قراءته ومخارج حروفه. وقيل الغلو: المبالغة في التجويد أو الإسراع في القراءة بحيث يمنعه عن تدبر المعنى.
(والجافي عنه): أي وغير المتباعد عنه المعرض عن تلاوته وإحكام قراءته وإتقان معانيه والعمل بما فيه، وقيل في الجفاء: أن يتركه بعد ما علمه لا سيما إذا كان نسيه تساهلا وإعراضا.
وآخر ما جاء الذكر النبوي بالاشتغال بإكرامه (ذي السُّلطان المقسط): أي صاحب السلطة والمنصب الذي اتصف بالعدل، فإكرامه لأجل نفعه العام وإصلاحه لرعيته.
এ হাদীসটি থেকে জানা যায় যে, আল্লাহর মহত্ব, বড়ত্ব ও সম্মান প্রকাশ পায় কয়েকটি বিষয় দ্বারা যা এ হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। সে গুলো হলো: সাদা চুল ওয়ালা মুসলিমের সম্মান করা। অর্থাৎ ইসলামের মধ্যে কোন মজলিসে বুড়োদের সম্মান করা, তার সাথে নম্র ব্যবহার করা এবং তার ওপর অনুগ্রহ করা। আর এ সবই আল্লাহকে সম্মান করার নামান্তর। কারণ, সে আল্লাহর নিকট সম্মানী। দুই: কুরআন ওয়ালা: অর্থাৎ, কুরআনের সংরক্ষণকারীর সম্মান করা। আর বহনকারী বলার কারণ হলো, কুরআন তার বক্ষে বহন-কৃত এবং তাকে অনেক কষ্ট বহন করতে হয় যা একটি ভারি বোঝা থেকেও কঠিন। এ সম্মানের অন্তর্ভুক্ত হবে যে কুরআন তিলাওয়াত ও ব্যাখ্যা প্রদানে ব্যস্ত থাকে সেও। আর কুরআন বহনকারী যার আলোচনা নববী হাদীসে এসেছে। তাকে দুইটি গুণ দ্বারা বিশেষিত করা হয়েছে: বাড়াবাড়ি কারী নয়: বাড়াবাড়ি হলো কঠোরতা অবলম্বন ও সীমা অতিক্রম করা। অর্থাৎ, আমলে এবং অস্পষ্ট ও মুতাশাবেহ আয়াতের অর্থ অনুসন্ধানে এবং কুরআনের অক্ষরের উচ্চারণে ও কুরআনের তিলাওয়াতে সীমা অতিক্রমকারী না হওয়া। আর কেউ কেউ বলেন, বাড়াবাড়ি অর্থ: তাজবীদ বিষয়ে অতিরঞ্জন করা অথবা খুব দ্রুত তিলাওয়াত করা যাতে তার অর্থ সম্পর্কে চিন্তা ফিকির করার সুযোগ না থাকে। আর �কুরআনের ব্যাপারে অবজ্ঞাকারী নয়�। অর্থাৎ, কুরআন থেকে দূরত্ব বজায়কারী নয়, যেমন কুরআন তিলাওয়াত, কুরআনের তিলাওয়াত ও তার অর্থকে সুদৃঢ় করা ও তদনুযায়ী আমল করা থেকে বিমুখ নয়। আর কেউ কেউ অবজ্ঞা সম্পর্কে বলেন, কুরআন শেখার পর তা ছেড়ে দেওয়া। বিশেষ করে যখন অলসতার কারণে সে তা ভুলে যায় বা মুখ ফিরিয়ে নেয়। আর সর্বশেষ যার সম্মান দেখানোর আলোচনা হাদীসে করা হয়েছে তা হলো ন্যায় পরায়ণ বাদশাহর সম্মান করা। অর্থাৎ, যে ক্ষমতাশীল বা উপরস্থ কর্মকর্তা ইনসাফের গুণে গুণান্বিত তার সম্মান করা। কারণ তার উপকার ব্যাপক এবং তিনি স্বীয় প্রজাদের অবস্থা সংশোধন করেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[হাসান]    ← →    এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3032

 
Hadith   88   الحديث
الأهمية: إذا توضأ أحدكم فليجعل في أنفه ماء، ثم لينتثر، ومن استجمر فليوتر، وإذا استيقظ أحدكم من نومه فليغسل يديه قبل أن يدخلهما في الإناء ثلاثا، فإن أحدكم لا يدري أين باتت يده
থিম: তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উযূ করে তখন সে যেন তার নাকে পানি দিয়ে ঝাড়ে। আর যে শৌচকার্য করে সে যেন বিজোড় সংখ্যায় ঢিলা ব্যবহার করে। আর তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগে তখন সে যেন উযূর পানিতে হাত ঢুকানোর পূর্বে তা ধুয়ে নেয়; কারণ তোমাদের কেউ জানে না যে, ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কোথায় থাকে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: �إذا توضَّأ أحدُكُم فَليَجعَل في أنفِه ماءً، ثم ليَنتَنْثِر، ومن اسْتَجمَر فَليُوتِر، وإذا اسْتَيقَظَ أَحَدُكُم من نومِه فَليَغسِل يَدَيه قبل أن يُدْخِلهُما في الإِنَاء ثلاثًا، فإِنَّ أَحدَكُم لا يَدرِي أين بَاتَت يده�.
وفي رواية: �فَليَستَنشِق بِمِنْخَرَيه من الماء�.
وفي لفظ: �من توضَّأ فَليَسْتَنشِق�.

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফু হিসেবে বর্ণিত: তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উযূ করে তখন সে যেন তার নাকে পানি দিয়ে ঝাড়ে। আর যে শৌচকার্য করে সে যেন বিজোড় সংখ্যায় ঢিলা ব্যবহার করে। আর তোমাদের কেউ যখন ঘুম থেকে জাগে তখন সে যেন ওযূর পানিতে হাত ঢুকানোর পূর্বে তা ধুয়ে নেয়; কারণ তোমাদের কেউ জানে না যে, ঘুমন্ত অবস্থায় তার হাত কোথায় থাকে। অপর বর্ণনায় এসেছে: �সে যেন পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করে�। অপর শব্দে এসেছে: �যে ওযু করে সে যেন নাক পরিষ্কার করে�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يشتمل هذا الحديث على ثلاث فقرات، لكل فقرة حكمها الخاص بها.
1.فذكر أن المتوضىء إذا شرع في الوضوء أدخل الماء في أنفه، ثم أخرجه منه وهو الاستنشاق والاستنثار المذكور في الحديث؛ لأن الأنف من الوجه الذي أُمِر المتوضىء بغسله، وقد تضافرت الأحاديث الصحيحة على مشروعيته؛ لأنه من النظافة المطلوبة شرعًا.
2.ثم ذكر أيضا أن من أراد قطع الأذى الخارج منه بالحجارة، أن يكون قطعه على وتر، أقلها ثلاث وأعلاها ما ينقطع به الخارج، وتنقي المحل إن كان وترًا، وإلا زاد واحدة، توتر أعداد الشفع.
3.وذكر أيضًا أن المستيقظ من نوم الليل لا يُدْخِلُ كفَّه في الإناء، أو يمس بها رطبًا، حتى يغسلها ثلاث مرات؛ لأن نوم الليل -غالبًا- يكون طويلا، ويده تطيش في جسمه، فلعلها تصيب بعض المستقذرات وهو لا يعلم، فشرع له غسلها للنظافة المشروعة.
হাদীসটি তিনটি অংশে বিভক্ত। প্রতিটি অংশের রয়েছে বিশেষ বিধান। এক: এতে বলা হয়, ওযূকারী যখন ওযূ করা আরম্ভ করবে তখন সে তার নাকের মধ্যে পানি প্রবেশ করাবে অতঃপর পানি বের করবে। এটি হলো হাদীসে উল্লিখিত ইন্তেনশাক ও ইস্তেনসার। কারণ, নাক চেহারারই অর্ন্তভুক্ত যাকে ধোয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর প্রচলনের বিষয়ে বিশুদ্ধ হাদীস অনেক। কারন, শর�ঈ বিধান অনুযায়ী এটি সেই পরিচ্ছন্নতা যা শরী�আতের কাম্য। দুই: তারপর উল্লেখ করেন, যে ব্যক্তি তার থেকে নির্গত নাপাকী পাথর দ্বারা পরিষ্কার করে সে যেন বেজোড় পাথর দিয়ে করে। আর তার কম সংখ্যা হলো তিনটি সবোর্চ্চ হলো যার দ্বারা বের হওয়া নাপাকী দূর হয় এবং জায়গা পরিস্কার হয় যদিও তা বেজোড় হয়। অন্যথায় একটি বৃদ্ধি করবে এবং জোড়কে বেজোড় বানাবে। তিন: যে ব্যক্তি ঘুম থেকে উঠে সে তার হাতকে তিনবার না ধোয়া পর্যন্ত পাত্রে প্রবেশ করাবে না বা ভিজা হাত দিয়ে তা ধরবে না। কারণ, রাতের ঘুম সাধারণত দীর্ঘ হয়। তার হাত তার সারা শরীরে চলাচল করে। হতে পারে অজান্তে তা অনেক সময় নাপাকীর স্থানে যেতে পারে। তাই শরী�আত সিদ্ধ পবিত্রতার জন্য তা ধোয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3033

 
Hadith   89   الحديث
الأهمية: يا أيها الناس، عليكم بالسكينة، فإن البر ليس بالإيضاع
থিম: তিনি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে আরাফার দিনে (মুযদালিফায়) ফিরছিলেন। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছন থেকে (উটকে) কঠিন ধমক ও মারধর করার এবং উঁটের (কষ্ট) শব্দ শুনতে পেলেন। তৎক্ষণাৎ তিনি তাদের দিকে আপন চাবুক দ্বারা ইশারা ক�রে বললেন, �হে লোক সকল! তোমরা ধীরতা ও স্থিরতা অবলম্বন কর। কেননা, দ্রুত গতিতে বাহন দৌড়ানোতে পুণ্য নেই।�

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- قال: دَفَعَ النبيُّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- يومَ عَرَفَة فَسَمِعَ النبيُّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- وَرَاءَهُ زَجْرًا شَدِيدًا وَضَربًا وَصَوتًا لِلإِبِل، فَأَشَارَ بِسَوطِهِ إِلَيهِم، وقال: �يَا أَيُّهَا النَّاسُ، عَلَيكُم بِالسَّكِينَةِ، فَإِنَّ البِرَّ لَيسَ بِالإيضَاعِ�.

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে আরাফার দিনে (মুযদালিফায়) ফিরছিলেন। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছন থেকে (উটকে) কঠিন ধমক ও মারধর করার এবং উঁটের (কষ্ট) শব্দ শুনতে পেলেন। তৎক্ষণাৎ তিনি তাদের দিকে আপন চাবুক দ্বারা ইশারা ক�রে বললেন, �হে লোক সকল! তোমরা ধীরতা ও স্থিরতা অবলম্বন কর। কেননা, দ্রুত গতিতে বাহন দৌড়ানোতে পুণ্য নেই।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- أفاض من عرفة فسمع وراءه صوتًا شديدًا وضربًا وزجرًا للإبل وأصواتًا للإبل، وكان هذا المشهد من الناس نتيجة ما تعودوه زمن الجاهلية؛ لأنهم كانوا في أيام الجاهلية إذا دفعوا من عرفة أسرعوا إسراعًا عظيمًا يبادرون النهار قبل أن يظلم الجو، فكانوا يضربون الإبل ضربًا شديدًا، فأشار النبي -صلى الله عليه وسلم- إليهم بسوطه، وقال: أيها الناس الزموا الطمأنينة والهدوء، فإن البر والخير ليس بالإسراع والإيضاع وهو نوع من السير سريع.
নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফা থেকে ফেরার পথে তার পিছনে একটি বিকট আওয়াজ এবং উটকে প্রহার করা ও উটের চিৎকার শুনতে পান। এ দৃশ্যটি জালিলিয়্যাতের যুগের অভ্যাসেরই ফলাফল। বস্তুত এটি মানুষেরা জাহিলি যুগে যার অভ্যস্ত হয়েছিল তারই এক দৃশ্য ছিল। কারণ, তারা জাহিলিয়্যাতের যুগে যখন আরাফা থেকে ফিরতো তখন পরিবেশ অন্ধকার হয়ে যাওয়ার আগে দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে দ্রূত চলত। ফলে তারা উটকে খুব প্রহার করত। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন চাবুক দ্বারা ইশারা ক�রে বললেন, �হে লোক সকল! তোমরা ধীরতা ও স্থিরতা অবলম্বন কর। কেননা, দ্রুত গতিতে বাহন দৌড়ানোতে পুণ্য নেই।�
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3034

 
Hadith   90   الحديث
الأهمية: ما أبكي أن لا أكون أعلم أن ما عند الله -تعالى- خير لرسول الله -صلى الله عليه وسلم-، ولكن أبكي أن الوحي قد انقطع من السماء، فهيجتهما على البكاء، فجعلا يبكيان معها
থিম: আমি এ জন্য কান্না করছি না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য আল্লাহর নিকট যা রয়েছে, তা অধিকতর উত্তম সে কথা আমি জানি না। কিন্তু আমি এজন্য কাঁদছি যে, আসমান হতে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেল।� উম্মে আইমান (তাঁর এ দুঃখজনক কথা দ্বারা) ঐ দুইজনকে কাঁদতে বাধ্য করলেন। ফলে তাঁরাও তাঁর সাথে কাঁদতে লাগলেন।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: قَال أَبُو بَكر لِعُمَر-رضي الله عنهما- بَعْدَ وَفَاةِ رَسُول الله -صلى الله عليه وسلم-: انْطَلِق بِنَا إِلَى أُمِّ أَيمَنَ -رَضِي الله عنها- نَزُورُهَا كَمَا كَانَ رَسول الله -صلى الله عليه وسلم- يَزُورُها، فَلَمَّا انتَهَيَا إِلَيهَا، بَكَت، فَقَالاَ لَهَا: مَا يُبكِيك؟ أَمَا تَعْلَمِين أَنَّ ما عِنْد الله خَيرٌ لِرَسول الله -صلى الله عليه وسلم-؟ فَقَالَت: مَا أَبْكِي أَنْ لاَ أَكُون أَعلَم أَنَّ مَا عِندَ الله -تعالى- خَيرٌ لِرَسُول الله -صلى الله عليه وسلم-، وَلَكِن أَبكِي أَنَّ الوَحي قَدْ انْقَطَع مِنَ السَّمَاء؛ فَهَيَجَتْهُمَا عَلَى البُكَاء؛ فَجَعَلاَ يَبْكِيَان مَعَهَا.

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনাবসানের পর আবূ বাকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-কে বললেন, �চলুন, আমরা উম্মে আইমানের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাই, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে যেতেন।� সুতরাং যখন তাঁরা উম্মে আইমানের কাছে পৌঁছলেন, তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। অতঃপর তাঁরা তাঁকে বললেন, �তুমি কাঁদছ কেন? তুমি কি জানো না যে, আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য (দুনিয়া থেকে) অধিক উত্তম? তিনি উত্তর দিলেন, �আমি এ জন্য কান্না করছি না যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য আল্লাহর নিকট যা রয়েছে, তা অধিকতর উত্তম সে কথা আমি জানি না। কিন্তু আমি এজন্য কাঁদছি যে, আসমান হতে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেল।� উম্মে আইমান (তাঁর এ দুঃখজনক কথা দ্বারা) ঐ দুইজনকে কাঁদতে বাধ্য করলেন। ফলে তাঁরাও তাঁর সাথে কাঁদতে লাগলেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كان الصحابة -رضي الله عنهم- أحرص الناس على متابعة الرسول -صلى الله عليه وسلم- في كل صغيرة وكبيرة، حتى إنهم يتتبعون ممشاه في حياته، ومجلسه، وموطئه، وكل فعل علموا أنه فعله.
وهذا الحديث يُؤَكِّد ذلك، ويحكي قصة أبي بكر وعمر، حيث زارا امرأة كان النبي -صلى الله عليه وسلم- يزورها، فزاراها من أجل زيارة النبي -صلى الله عليه وسلم- إياها.
فلما جلسا عندها بكت، فقالا لها: ما يبكيك؟ أما تعلمين أن ما عند الله -سبحانه وتعالى- خير لرسوله؟ أي: خير له من الدنيا.
فقالت: إني لا أبكي لذلك ولكن لانقطاع الوحي؛ لأن النبي -صلى الله عليه وسلم- لما مات انقطع الوحي، فلا وحي بعد رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، ولهذا أكمل الله شريعته قبل أن يتوفى، فقال -تعالى- {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا}، فجعلا يبكيان؛ لأنها ذكرتهما بما كانا قد نسياه.
ছোট বড় সব বিষয়ে সাহাবীগণ রাসূলের অনুসরনের ওপর অধিক আগ্রহী ছিলেন। এমনকি তারা তার চলা ফেরা উঠবস শয়ন এবং প্রতিটি কর্ম যা তারা জেনেছেন যে, তিনি করেছেন। এ হাদীসটি এটিকেই প্রমাণ করে। এখানে আবূ বকর এবং উমার রাদিয়াল্লাহুমার একটি ঘটনা আলোচনা করা হয়। তারা দুইজন একজন মহিলাকে দেখতে যান যে মহিলাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখতে যেতেন। তারা দুইজন এ জন্য দেখতে গেলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। যখন তাঁরা নিকট বসলেন তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। অতঃপর তাঁরা তাঁকে বললেন, �তুমি কাঁদছ কেন? তুমি কি জানো না যে, আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য (দুনিয়া থেকে) অধিক উত্তম? তখন সে বলল, �আমি এ জন্য কান্না করছি না। কিন্তু আমি এজন্য কাঁদছি যে, আসমান হতে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেল।� কারণ, আল্লাহর রাসূল যখন মারা গেল তখন অহী বন্ধ হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহর পর আর কোন অহী নেই। এ কারণেই আল্লাহ তা�আলা তার মৃত্যুর পূর্বে তার শরী�আতকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তা�আলা বলেছেন, আজকের দিন আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পরিপূর্ণ করেছি। আর আমি তোমাদের ওপর নে�আমতসমূহকে পূর্ণতা দান করেছি। আর তোমাদের জন্য ইসলামকে মনোনীত করেছি। [সূরা মায়েদাহ, আয়াত: ৩] তারপর তারা দু�জন কাঁদতে আরম্ভ করল। কারণ, সে তাদের এমন একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিল যা তারা ভূলে গিয়েছিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3035

 
Hadith   91   الحديث
الأهمية: جاء أعرابي فبال في طائفة المسجد
থিম: একদা জনৈক বেদুঈন এসে মাসজিদের এক পাশে পেশাব করে দিল। তা দেখে লোকজন তাকে ধমক দিতে লাগল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম তাদের নিষেধ করলেন। সে তার পেশাব করা শেষ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশে এর উপর এক বালতি পানি ঢেলে দেয়া হল।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه-قال: �جاء أعرابِيُّ، فبَالَ في طَائِفَة المَسجد، فَزَجَرَه النَّاسُ، فَنَهَاهُمُ النبِيُّ -صلى الله عليه وسلم- فَلمَّا قَضَى بَولَه أَمر النبي -صلى الله عليه وسلم- بِذَنُوب من ماء، فَأُهرِيقَ عليه�.

আনাস ইবন মালিক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা জনৈক বেদুঈন এসে মাসজিদের এক পাশে পেশাব করে দিল। তা দেখে লোকজন তাকে ধমক দিতে লাগল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম তাদের নিষেধ করলেন। সে তার পেশাব করা শেষ করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশে এর উপর এক বালতি পানি ঢেলে দেওয়া হল।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
من عادة الأعراب، الجفاء والجهل، لبعدهم عن تعلم ما أنزل الله على رسوله -صلى الله عليه وسلم-.
فبينما كان النبي -صلى الله عليه وسلم- في أصحابه في المسجد النبوي، إذ جاء أعرابي وبال في أحد جوانب المسجد، ظناً منه أنه كالفلاة، فعظم فعله على الصحابة -رضي الله عنهم- لعظم حرمة المساجد، فنهروه أثناء بوله، ولكن صاحب الخلق الكريم، الذي بعث بالتبشير والتيسير نهاهم عن زجره، لما يعلمه من حال الأعراب، لئلا يُلوث بقعاً كثيرة من المسجد، ولئلا يلوث بدنه أو ثوبه، ولئلا يصيبه الضرر بقطع بوله عليه، وليكون أدعى لقبول النصيحة والتعليم حينما يعلمه النبي -صلى الله عليه وسلم-، وأمرهم أن يطهروا مكان بوله بصب دلو من ماء عليه.
গ্রাম্য লোকদের স্বভাবে ছিল অজ্ঞতা ও মূর্খতা। কারণ, রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর যা নাযিল হয়েছে তা শেখা থেকে তারা ছিল দূরে। একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীদের নিয়ে মসজিদে উপস্থিত ছিলেন। এ মুহুর্তে একজন গ্রাম্য লোক আসল এবং সে মসজিদের এক পাশে পেশাব করে দিল। তার ধারণা ছিল যে এটি একটি খালি জায়গার মতই। মসজিদের সম্মানের কারণে তার কর্মটি সাহাবীদের কাছে আশ্চর্য রকম মনে হলো। তখন তারা তার পেশাব করার মাঝখানে তাকে ধমক দিল। কিন্তু মহান চরিত্রের অধিকারী যাকে সু-সংবাদ ও সহজীকরণ নিয়ে পাঠানো হয়েছে তিনি তাদেরকে ধমক দিতে না করলেন। কারণ, তিনি গ্রামের লোকদের অবস্থা জানতেন। এ ছাড়াও যাতে মসজিদের অধিক জায়গায় পেশাব ছড়িয়ে না পড়ে এবং তার পেশাব বন্ধ করার কারণে তার ক্ষতি না হয় এবং যেন সে নসীহত ও তা�লীম সহজেই গ্রহণ করে নেয় যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম তাকে শিক্ষা দেবেন। আর তিনি তাদের নির্দেশ দিলেন যে, তার পেশাবের উপর এক বালতি পানি ডেলে দিয়ে তার পেশাবের জায়গাটি যেন পবিত্র করে নেয়।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3036

 
Hadith   92   الحديث
الأهمية: إذا دخل الرجل بيته، فذكر الله -تعالى- عند دخوله وعند طعامه قال الشيطان لأصحابه: لا مبيت لكم ولا عشاء، وإذا دخل فلم يذكر الله -تعالى- عند دخوله، قال الشيطان: أدركتم المبيت والعشاء
থিম: কোন ব্যক্তি যখন নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় ও আহারের সময় আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে; অর্থাৎ, (�বিসমিল্লাহ� বলে) তখন শয়তান তার অনুচরদেরকে বলে, �আজ না তোমরা এ ঘরে রাত্রি যাপন করতে পারবে, আর না খাবার পাবে।� অন্যথায় যখন সে প্রবেশ কালে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ না করে (অর্থাৎ �বিসমিল্লাহ� না বলে), তখন শয়তান বলে, �তোমরা রাত্রি যাপন করার স্থান পেলে।�

عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما- مرفوعاً: �إِذَا دَخَل الرَّجُل بَيتَه، فَذَكَرَ اللهَ -تَعَالَى- عِندَ دُخُولِهِ، وَعِندَ طَعَامِهِ، قَالَ الشَّيطَانُ لِأَصْحَابِهِ: لاَ مَبِيتَ لَكُم وَلاَ عَشَاءَ، وَإِذَا دَخَلَ فَلَم يَذْكُر الله -تَعَالَى- عِندَ دُخُولِهِ، قَالَ الشَّيطَان: أَدْرَكْتُمُ المَبِيت؛ وَإِذا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ -تَعَالَى- عِندَ طَعَامِه، قالَ: أَدرَكتُم المَبِيتَ وَالعَشَاءَ�.

জাবের রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �কোন ব্যক্তি যখন নিজ বাড়িতে প্রবেশের সময় ও আহারের সময় আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে; অর্থাৎ, (�বিসমিল্লাহ� বলে) তখন শয়তান তার অনুচরদেরকে বলে, �আজ না তোমরা এ ঘরে রাত্রি যাপন করতে পারবে, আর না খাবার পাবে।� অন্যথায় যখন সে প্রবেশ কালে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ না করে (অর্থাৎ �বিসমিল্লাহ� না বলে), তখন শয়তান বলে, �তোমরা রাত্রি যাপন করার স্থান পেলে।�� আর যখন আহার কালেও আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ না করে (অর্থাৎ, �বিসমিল্লাহ� না বলে), তখন সে তার চেলাদেরকে বলে, �তোমরা রাত্রিযাপন স্থল ও নৈশভোজ উভয়ই পেয়ে গেলে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث جابر -رضي الله عنه- جاء في موضوع أدب الطعام، حيث أخبر -رضي الله عنه- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: "إذا دخل الرجل بيته فذكر الله -تعالى- عند دخوله وعند طعامه قال الشيطان لأصحابه لا مبيت لكم ولا عشاء"؛ ذلك لأن الإنسان ذكر الله.
وذِكر الله -تعالى- عند دخول البيت أن يقول: "بسم الله ولجنا، وبسم الله خرجنا، وعلى الله ربِّنا توكلنا، اللهم إني أسألك خير المولج وخير المخرج"، كما جاء في حديث في إسناده انقطاع، وأما الذكر عند العشاء فأن يقول: "بسم الله".
فإذا ذكر الله عند دخوله البيت، وذكر الله عند أكله عند العشاء، قال الشيطان لأصحابه: "لا مبيت لكم ولا عشاء"؛ لأن هذا البيت وهذا العشاء حُمِيَ بذكر الله -عز وجل-، حماه الله -تعالى- من الشياطين.
وإذا دخل فلم يذكر الله -تعالى- عند دخوله قال الشيطان: "أدركتم المبيت"، وإذا قُدِّم إليه الطعام فلم يذكر الله -تعالى- عند طعامه قال: "أدركتم المبيت والعشاء"، أي: أن الشيطان يشاركه المبيت والطعام؛ لعدم التحصُّن بذكر الله.
   وفي هذا حث على أن الإنسان ينبغي له إذا دخل بيته أن يذكر اسم الله، وكذلك عند طعامه.
জাবের রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীস খাওয়ার আদবের আলোচনা আনা হয়েছে। তিনি জানান যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কোন ব্যক্তি যখন নিজ বাড়িতে প্রবেশ করে এবং প্রবেশ ও আহারের সময় আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে; অর্থাৎ, (�বিসমিল্লাহ� বলে) তখন শয়তান তার অনুচরদেরকে বলে, �আজ না তোমাদের এ ঘরে রাত্রি যাপন আছে, আর না খাবার আছে।� কারণ, লোকটি আল্লাহর নাম স্মরণ করেছে এবং স্বীয় ঘরে প্রবেশের সময় সে বলেছে, আল্লাহর নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহর নামে বের হলাম। আর রাতের খাবারের যিকির যেমন সে বলল, �বিছমিল্লাম�। ঘরে প্রবেশ ও রাতের খাওয়ার সময় যখন আল্লাহকে স্মরণ করে, তখন শয়তান তার সাথীদের বলে, �আজ না তোমাদের এ ঘরে রাত্রি যাপন আছে, আর না খাবার আছে।� কারণ, তখন ঘরটি এবং রাতের খাবার আল্লাহর যিকিরের দ্বারা সংরক্ষিত হলো। আল্লাহ তা শয়তান থেকে হেফাযত করলেন। আর যখন ঘরে প্রবেশ করল, আর প্রবেশের সময় আল্লাহর স্মরণ করল না, তখন বলে, �তোমরা রাত্রি যাপন করার স্থান পেলে।� আর যখন আহার তার সামনে আনা হয় এবং সে আল্লাম নাম স্মরণ না করে, তখন সে বলে, �তোমরা রাত্রিযাপন স্থল ও নৈশভোজ উভয়ই পেয়ে গেলে। অর্থাৎ, আল্লাহর যিকির দ্বারা তা সংরক্ষণ না করার কারণে শয়তান রাত যাপন ও আহার উভয়টিতে তার সাথে শরীক হলো। এ হাদীসটিতে মানুষের প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয় যে, একজন মানুষ যখন ঘরে প্রবেশ করবে সে যেন আল্লাহর নাম স্মরণ করে। এ বিষয়ে বর্ণিত দো�আ যেমন:"بسم الله ولجنا، وبسم الله خرجنا، وعلى الله ربِّنا توكلنا، اللهم إني أسألك خير المولج وخير المخرج" আল্লাহর নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহর নামে বের হলাম। হে আমাদের রব আমরা ভরসা করলাম। হে আল্লাহ আমরা উত্তম প্রবেশদ্বার এবং উত্তম বের হওয়ার পথ আপনার কাছে চাই।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3037

 
Hadith   93   الحديث
الأهمية: ما يمنعك أن تزورنا أكثر مما تزورنا؟
থিম: আপনি যতটা আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার চেয়ে বেশী সাক্ষাৎ করতে কিসে আপনাকে বাঁধা দেয়?

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ -رضي الله عنهما- قال: �قال النبي -صلى الله عليه وسلم- لجبريل: �مَا يَمْنَعُك أَنْ تَزُورَنَا أَكْثَر مِمَّا تَزُورَنَا؟� فنزلت: (وَمَا نَتَنَزَّل إِلاَّ بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُ مَا بَيْنَ أَيدِينَا وَمَا خَلْفَنَا وَمَا بَينَ ذَلِك ).
থিম: ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, �একদা নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিব্রাঈলকে বললেন, �আপনি যতটা আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার চেয়ে বেশী সাক্ষাৎ করতে কিসে আপনাকে বাঁধা দেয়?� ফলে এ আয়াত অবতীর্ণ হল, �(জিব্রাঈল বললেন,) আমরা তোমার প্রতিপালকের আদেশ ব্যাতিরেকে অবতরণ করি না। যা আমাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে এবং উভয়ের মধ্যস্থলে রয়েছে সে সকলই তাঁর মালিকানাধীন।<� [সূরা মারয়্যাম, আয়াত: ৬৪]

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يحكي الحديث شوق النبي -صلى الله عليه وسلم-    لجبريل -عليه السلام-؛ لأنَّه يأتيه من الله -عز وجل-، حيثُ أبطأ جبريل في النزول أربعين يوما فقال له النبي -صلى الله عليه وسلم- يا جبريل: (ما يمنعك أن تزورنا)؟، أي: ما نزلت حتى اشتقت إليك، وأوحى الله إلى جبريل قل له: (وما نتنزل إلا بأمر ربك) أي قال الله -سبحانه- قل يا جبريل ما نتنزل في أوقات متباعدة إلا بإذن الله على ما تقتضيه حكمته، فهو سبحانه: (له ما بين أيدينا) أي: أمامنا من أمور الآخرة، (وما خلفنا): من أمور الدنيا، وتمام الآية "وما بين ذلك" أي: ما يكون من هذا الوقت إلى قيام الساعة، أي: له علم ذلك جميعه وما كان ربك نسيا أي: ناسيا يعني تاركا لك بتأخير الوحي عنك.
فالحاصل أن هذ الحديث يدل على أنه ينبغي للإنسان أن يصطحب الأخيار، وأن يزورهم ويزوروه لما في ذلك من الخير.
হাদীসটি রাসূলের স্বীয় ভাই জিবরীলের প্রতি তার আগ্রহ বর্ণনা করছে। কারণ, সে আল্লাহর পক্ষ থেকে তার কাছে আসত। একবার সে চল্লিশ দিন পর্যন্ত দেরী করে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন হে জিবরীল! আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে তোমাকে কিসে বাঁধা দেয় ? অর্থাৎ তোমার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহী না হতে তুমি আস নি। তখন জিবরীল বললেন, আমিও তোমার প্রতি আগ্রহী, তবে আমি আদিষ্ট। আল্লাহ জিবরীলকে ওহী করলেন, তুমি মুহাম্মাদকে বল: �আমরা তোমার প্রতিপালকের আদেশ ব্যাতিরেকে অবতরণ করি না।� অর্থাৎ, আল্লাহ বলেন, হে জিবরীল তুমি বল, আমি দীর্ঘ সময় পর তোমার কাছে কেবল আল্লাহর আদেশেই তার হিকমত অনুযায়ী অবতীর্ণ হয়ে থাকি। �তার জন্য রয়েছে যা আমাদের সম্মুখে� আখিরাতের বিষয়গুলো আমাদের সামনে। �ও পশ্চাতে� দুনিয়াবী বিষয়সমূহ। আর পূর্ণাঙ্গ আয়াতের অর্থ হচ্ছে : �এবং যা উভয়ের মধ্যস্থলে রয়েছে� অর্থাৎ, বর্তমান থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যা হবে। অর্থাৎ তার সবটুকুর ইলম তার রয়েছে। আর তোমার ভুলে যান না অর্থাৎ তোমাকে ওহী প্রেরণে দেরী করে তিনি তোমাকে ত্যাগ করেন না। মোট কথা এ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, মানুষের জন্য উচিত হলো সে যেন ভালো লোকদের সাথে থাকে এবং সে যেন তাদের যিয়ারত করে ও তারাও যেন তার যিয়ারত করে। কারণ, এতে রয়েছে কল্যাণ।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3038

 
Hadith   94   الحديث
الأهمية: رأيتك تصلي لغير القبلة؟ فقال: لولا أني رأيت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يفعله ما فعلته
থিম: আমি তো আপনাকে দেখলাম কিবলাহ বিহীন দিকে সালাত আদায় করছেন? তিনি বললেন, যদি আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমন করতে না দেখতাম, তবে আমিও তা করতাম না।

عن أنس بن سيرين قال: �اسْتَقبَلنَا أَنَسًا حِين قَدِم مِن الشَّام، فَلَقِينَاه بِعَينِ التَّمرِ، فَرَأَيتُهُ يُصَلِّي على حِمَار، وَوَجهُهُ مِن ذَا الجَانِب -يعني عن يَسَارِ القِبلَة- فقلت: رَأَيتُك تُصَلِّي لِغَيرِ القِبلَة؟ فقال: لَولاَ أنِّي رَأيتُ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يَفْعَلُه ما فَعَلتُه�.

আনাস ইব্নু সীরীন (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস ইব্নু মালিক যখন সিরিয়া হতে ফিরে আসছিলেন, তখন আমরা তাঁকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিলাম। আইনুত্ তামর (নামক) স্থানে আমরা তাঁর সাক্ষাৎ পেলাম। তখন আমি তাঁকে দেখলাম গাধার পিঠে (আরোহী অবস্থায়) পার্শ্ব ফিরে সালাত আদায় করছেন। অর্থাৎ ক্বিবলাহর বা দিকে। তখন তাঁকে আমি প্রশ্ন করলাম, �আমি তো আপনাকে দেখলাম কিবলাহ বিহীন দিকে সালাত আদায় করছেন? তিনি বললেন, যদি আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমন করতে না দেখতাম, তবে আমিও তা করতাম না�।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
قدم أنس بن مالك الشام، ولجلالة قدره وسعة علمه، استقبله الناس، وهكذا رواية مسلم (قدم الشام) ولكن معناها: تلقيناه في رجوعه حين قدم الشام، وإنما حذف ذكر الرجوع؛ للعلم به؛ لأنهم خرجوا من البصرة للقائه حين قدم من الشام.
فذكر الراوي -وهو أحد المستقبلين- أنَّه رآه يصلى على حمار، وقد جعل القبلة عن يساره، فسأله عن ذلك، فأخبرهم أنه رأى النبي -صلى الله عليه وسلم- يفعل ذلك، وأنه لو لم يره يفعل هذا، لم يفعله.
আনাস ইবন মালেক সিরিয়ায় আগমন করলে তার মর্যাদার মহত্ত্ব ও ইলমের গভীরতার কারণে সিরিয়াবাসী তাকে সংবর্ধনা দিলেন। বর্ণনাকারী যিনি একজন সংবর্ধনাকারীও উল্লেখ করছেন যে, তিনি দেখলেন যে সে কিবলাকে বামে রেখে একটি গাধার উপর সালাত আদায় করছেন। তারপর সে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে সংবাদ দেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমন করতে দেখেছেন। আর যদি তিনি তাকে এমন করতে না দেখতেন তাহলে সে নিজে এ কাজ করতেন না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3039

 
Hadith   95   الحديث
الأهمية: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- كان يخرج من طريق الشجرة، ويدخل من طريق المعرس، وإذا دخل مكة، دخل من الثنية العليا، ويخرج من الثنية السفلى
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মদীনা থেকে বাইরে গমনকালে) শাজারা নামক জায়গার রাস্তা ধরে বের হতেন এবং ফিরার সময় (যুল হুলাইফার) মুআর্রাস মসজিদের পথ ধরে (মদীনায়) প্রবেশ করতেন। অনুরূপ যখন তিনি মক্কায় প্রবেশ করতেন তখন আস্-সানিয়াতুল উল্ইয়ার পথ হয়ে। আর যখন বের হতেন তখন আস্-সানিয়াতুস সুফলার পথ হয়ে বের হতেন।

عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- "أَنَّ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- كَانَ يَخرُجُ مِنْ طَرِيقِ الشَّجَرَةِ، وَيَدْخُلُ مِنْ طَرِيقِ الْمُعَرَّس، وَإِذَا دَخَلَ مَكَّةَ دَخَلَ مِنَ الثَنِيَّةِ العُلْيَا، وَيَخْرُجُ مِنَ الثَنِيَّةِ السُّفْلَى".

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু <�আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মদীনা থেকে বাইরে গমনকালে) শাজারা নামক জায়গার রাস্তা ধরে বের হতেন এবং ফিরার সময় (যুল হুলাইফার) মুআর্রাস মসজিদের পথ ধরে (মদীনায়) প্রবেশ করতেন। অনুরূপ যখন তিনি মক্কায় প্রবেশ করতেন তখন আস্-সানিয়াতুল উল্ইয়ার পথ হয়ে। আর যখন বের হতেন তখন আস্-সানিয়াতুস সুফলার পথ হয়ে বের হতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما- في موضوع استحباب مخالفة الطريق في العيد والجمعة وغيرها من العبادات.
ومعنى مخالفة الطريق: أن يذهب المسلم إلى العبادة من طريق ويرجع من الطريق الآخر؛ فمثلًا يذهب من الجانب الأيمن ويرجع من الجانب الأيسر، وهذا ثابت عن النبي -صلى الله عليه وسلم- في العيدين، كما رواه جابر -رضي الله- عنه كان النبي -صلى الله عليه وسلم- إذا كان يوم عيد خالف الطريق؛ يعني خرج من طريق ورجع من طريق آخر، وكذلك في الحديث الذي معنا.
وتنوعت أقوال العلماء في الحكمة في المخالفة في الطريق على أقوال أشهرها:
1. ليشهد له الطريقان يوم القيامة؛ لأن الأرض يوم القيامة تشهد على ما عمل فيها من خير وشر، فإذا ذهب من طريق ورجع من آخر؛ شهد له الطريقان يوم القيامة بأنه أدى صلاة العيد.
2. من أجل إظهار الشعيرة، شعيرة العيد؛ حتى تكتظ الأسواق هنا وهناك، فإذا انتشر في طرق المدينة صار في هذا إظهار لهذه الشعيرة؛ لأن صلاة العيد من شعائر الدين، والدليل على ذلك أن الناس يؤمرون بالخروج إلى الصحراء؛ إظهارًا لذلك، وإعلانًا لذلك.
3. إنما خالف الطريق من أجل المساكين الذين يكونون في الأسواق، قد يكون في هذا الطريق ما ليس في هذا الطريق، فيتصدق على هؤلاء وهؤلاء.
ولكن الأقرب والله أعلم أنه: من أجل إظهار تلك الشعيرة، حتى تظهر شعيرة صلاة العيد بالخروج إليها من جميع سكك البلد.
أما في الحج كما جاء في الحديث الذي معنا، فإن الرسول -صلى الله عليه وسلم- خالف الطريق في دخوله إلى مكة دخل من أعلاها، وخرج من أسفلها، وكذلك في ذهابه إلى عرفة، ذهب من طريق ورجع من طريق آخر.
واختلف العلماء أيضا في هذه المسألة، هل كان النبي -صلى الله عليه وسلم- فعل ذلك على سبيل التعبُّد؛ أو لأنُّه أسهل لدخوله وخروجه؟ لأنه كان الأسهل لدخوله أن يدخل من الأعلى ولخروجه أن يخرج من الأسفل.
فمَنْ قال من العلماء قال بالأول قال: إنه سنة أن تدخل من أعلاها: أي أعلى مكة وتخرج من أسفلها، وسنة أن تأتي عرفة من طريق وترجع من طريق آخر.
ومنهم من قال: إن هذا حسب تيسر الطريق، فاسلك المتيسر سواء من الأعلى أو من الأسفل.
وعلى كل حال إن تيسر للحاج والمعتمر أن يدخل من أعلاها ويخرج من أسفلها فهذا طيب؛ فإن كان ذلك عبادة فقد أدركه، وإن لم يكن عبادة لم يكن عليه ضرر فيه، وإن لم يتيسر فلا يتكلف ذلك كما هو الواقع في وقتنا الحاضر، حيث إن الطرق قد وجهت توجيهًا واحدًا، ولا يمكن للإنسان أن يخالف ولي الأمر والحمد لله الأمر واسع.
ঈদ, জুমু�আসহ বিভিন্ন ইবাদতে রাস্তা পরিবর্তন করা মুস্তাহাব হওয়া সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীস। রাস্তা পরিবর্তন করার অর্থ হলো, একজন মুসলিম ইবাদত পালনে যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে যাবে আর ফিরে আসার সময় অপর রাস্তা দিয়ে আসবে। যেমন যাওয়ার সময় ডান পাশ দিয়ে যাওয়া আর আসার সময় বাম পাশ দিয়ে আশা। এটি দুই ঈদের সালাতে রাসূলুল্লাহ থেকে প্রমাণিত। যেমনটি বর্ণনা করেছেন, যাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু। ঈদের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাস্তা পরিবর্তন করতেন। অর্থাৎ এক রাস্তা দিয়ে বের হতেন এবং অপর রাস্তা দিয়ে ফিরতেন। অনুরূপভাবে আমাদের সাথে যে হাদীসটি আছে তাতেও বর্ণিত। রাস্তা পরিবর্তনের হিকমত সম্পর্কে উলামাগণের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। প্রসিদ্ধ মত হলো�এক, কিয়ামতের দিন রাস্তা যাতে তার জন্য সাক্ষী দেয়। কারণ, যমীনের ওপর ভালো ও মন্দ যা করা হয় কিয়ামতের দিন যমীন সাক্ষী দেবে। যখন এক রাস্তা দিয়ে যাবে এবং অপর রাস্তা দিয়ে আসবে তখন উভয় রাস্তা সাক্ষী দেবে যে লোকটি ঈদের সালাত আদায় করছিল। দুই�ঈদের নির্দশন প্রকাশ করার জন্য। যাতে বাজারের অলি গলি ভরে যায়। শহরের রাস্তায় যখন বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে তখন তাতে ঈদ যে একটি নিদর্শন তা প্রকাশ পাবে। কারণ, ঈদের সালাত দীনের নির্দশন। এর প্রমাণ হলো মানুষকে মাঠে বের হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে এ দ্বারা নিদর্শনসমূহের প্রচার ও ঘোষণা হয়। গরীব মিসকীন যারা শহরে অবস্থান করে তাদের প্রতি লক্ষ্য করে রাস্তা পরিবর্তন করেন। তারা কতক এ রাস্তায় আবার কতক অন্য রাস্তায় থাকে। ফলে রাস্তা পরিবর্তন দ্বারা সব রাস্তার গরীবরা উপকৃত হয়। তবে সঠিকের কাছাকাছি হলো-আল্লাহই ভালো জানেন-এটি এ নিদর্শনকে সমুন্নত রাখার জন্য করা হয়ে থাকে। যাতে ঈদের সালাতে বের হওয়ার এ নির্দশনটি শহরের প্রতিটি রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। আর হজের ক্ষেত্রে রাস্তা পরিবর্তন করা, যেমন আমাদের এ হাদীসে এসেছে� আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় প্রবেশ এবং বের হওয়াতে রাস্তা পরিবর্তন করেছেন। তিনি যখন প্রবেশ করেন তখন উঁচা জায়গা দিয়ে এবং বের হওয়ার সময় নিম্ন অঞ্চল দিয়ে বের হন। অনুরূপভাবে আরাফায় যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে যান আর ফেরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরেন। এ মাসআলার ক্ষেত্রেও আলেমগণ একাধিক মতামত পেশ করেছেন। এটি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবাদত হিসেবে করছেন নাকি প্রবেশ করা ও বের হওয়া সহজ হওয়া হিসেবে করেছেন। কারণ, মক্কায় উঁচা এলাকা দিয়ে প্রবেশ করা এবং নিচু এলাকা দিয়ে বের হওয়া সহজ। কোন কোন আলেম বলেছেন, মক্কায় উঁচা এলাকা দিয়ে প্রবেশ করা এবং নিচু এলাকা দিয়ে বের হওয়া সুন্নাত। আর আরাফায় এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং অপর রাস্তা দিয়ে ফেরা সুন্নাত। আর তাদের কেউ কেউ বলেছেন এটি রাস্তা সহজ হওয়া হিসেবে ইবাদত হিসেবে নয়। তাই তুমি তোমার জন্য যেটি সহজ হয় সেটি অবলম্বন করবে। যদি উপর দিয়ে সহজ হয় সেটি অবলম্বন করবে এবং যদি নিম্ন অঞ্চল দিয়ে সহজ হয় সেটি গ্রহণ করবে। সুতরাং হজ ও উমরা পালনকারীর জন্য উঁচা এলাকা থেকে প্রবেশ করা এবং নীচু এলাকা দিয়ে বের হওয়া সহজ হয়। ফলে তারা তাই করবে। তবে যদি তা ইবাদত হয়ে থাকে সে তাও পেয়ে যাবে। আর যদি ইবাদত না হয় তাতে তার কোন অসুবিধা হবে না। আর যদি সুযোগ না হয় তাকে এ বিষয়ে বাধ্য করা হবে না। যেমনটি বর্তমানের বাস্তবতা হলো রাস্তা সব একমুখী। ইচ্ছা করলেও দায়িত্বশীলদের বিরোধিতা করে রাস্তা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আলহামদু লিল্লাহ বিষয়টি অবকাশযোগ্য।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3040

 
Hadith   96   الحديث
الأهمية: ارقبوا محمدًا -صلى الله عليه وسلم- في أهل بيته
থিম: তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারবর্গের মাধ্যমে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর।

عن أبي بكر الصديق -رضي الله عنه- قال: ارْقَبُوا محمَّدًا -صلَّى اللهُ عليهِ وسلَّم- فِي أَهلِ بَيتِهِ.

আবূ বাকার সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত করেন, তিনি বলেছেন, �তোমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারবর্গের মাধ্যমে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في أثر أبي بكر -رضي الله عنه- دليل على معرفة الصحابة -رضي الله عنهم- بحق أهل بيت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وتوقيرهم واحترامهم، فمن كان من أهل البيت مستقيما على الدين مُتَّبِعًا لِسنَّة رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فله حقان: حق الإسلام وحق القرابة من رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، وفيه أن أبا بكر والصحابة كانوا يحبون آل البيت ويوصون بهم خيرًا.
আবূ বাকার রাদিয়াল্লাহু <�আনহু আসারে (হাদীস) এ কথা প্রমান করে যে, সাহাবীগণ রাসূলের পরিবারের ইজ্জত, সম্মান ও তাদের অধিকার সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ছিলেন। আহলে বাইত থেকে যে ব্যক্তি দীনের ওপর অবিচল থাকবে এবং রাসূলের সুন্নাতের অনুসারী হবে তার জন্য দুটি অধিকার রয়েছে। ইসলামের হক এবং রাসূলের আত্মীয় হওয়ার হক। এতে আরও প্রমান হয় যে, আবূ বাকার ও সাহাবীগণ আহলে বাইতকে মহব্বত করতেন এবং তাদের বিষয়ে ভালো অসিয়ত করতেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3041

 
Hadith   97   الحديث
الأهمية: من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليكرم ضيفه جائزته
قالوا: وما جائزته؟ يا رسول الله، قال: يومه وليلته، والضيافة ثلاثة أيام، فما كان وراء ذلك فهو صدقة عليه

থিম: যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই মেহমানের পারিতোষিকসহ তার সম্মান করে। লোকেরা বলল, �তার পারিতোষিক কী? হে আল্লাহর রাসূল!� তিনি বললেন, �একদিন ও একরাত (উত্তমভাবে পানাহারের ব্যবস্থা করা)। আর সাধারণতঃ মেহমানের খাতির তিন দিন পর্যন্ত। তিনদিনের অতিরিক্ত হবে মেহমানের ওপর সাদকাহ স্ব�রূপ।

عن أبي شُريح خُويلد بن عمرو الخزاعي عن النبي -صلى الله عليه وسلم- أنه قال: �مَنْ كَان يُؤمِن بِاللهِ وَاليَومِ الآخِرِ فَلْيُكْرِم ضَيفَه جَائِزَتَه�، قَالوا: وما جَائِزَتُهُ؟ يَا رسول الله، قال: �يَومُهُ ولَيلَتُهُ، والضِّيَافَةُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ، فَمَا كَانَ وَرَاءَ ذَلك فَهُوَ صَدَقَةٌ عَلَيه�.
وفي رواية: �لا يَحِلُّ لِمُسْلِمٍ أَنْ يُقِيمَ عِنْدَ أَخِيهِ حَتَّى يؤْثِمَهُ� قالوا: يَا رَسول الله، وَكَيفَ يُؤْثِمَهُ؟ قال: �يُقِيمُ عِندَهُ ولاَ شَيءَ لَهُ يُقرِيهِ بهِ�.

আবূ শুরাইহ খুয়াইলিদ ইবনে আমর আল খুযায়ী নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, �যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই মেহমানের পারিতোষিকসহ তার সম্মান করে।� লোকেরা বলল, �তার পারিতোষিক কী? হে আল্লাহর রাসূল!� তিনি বললেন, �একদিন ও একরাত (উত্তমভাবে পানাহারের ব্যবস্থা করা)। আর সাধারণতঃ মেহমানের খাতির তিন দিন পর্যন্ত। তিনদিনের অতিরিক্ত হবে মেহমানের ওপর সাদকাহ স্ব�রূপ।� মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, �কোন মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের নিকট এতটা থাকা বৈধ নয়, যাতে সে তাকে গোনাহগার করে ফেলে।� লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, �হে আল্লাহর রাসূল! তাকে কিভাবে গোনাহগার করে ফেলে?� উত্তরে তিনি বললেন, �মেহমান মেযবানের কাছে অবস্থান করতে থাকে, অথচ ওর এমন কিছু থাকে না, যার দ্বারা সে মেহমানের খাতির করতে পারে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث أبي شريح الخزاعي -رضي الله عنه- يدل على إكرام الضيف وقراه، فلقد جاء عنه أنَّ النبي -صلى الله عليه وسلَّم- قال: "من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فليكرم ضيفه"، وهذا من باب الحث والإغراء على إكرام الضيف، يعني أنَّ إكرام الضيف من علامة الإيمان بالله واليوم الآخر، ومن تمام الإيمان بالله واليوم الآخر.
ومما يحصل به إكرام الضيف: طلاقة الوجه، وطيب الكلام، والإطعام ثلاثة أيام، في الأول بمقدوره وميسوره، والباقي بما حضره من غير تكلف، ولئلا يثقل عليه وعلى نفسه، وبعد الثلاثة يُعد من الصدقات، إن شاء فعل وإلا فلا.
وأما قوله: "فليكرم ضيفه جائزته يوما وليلة والضيافة ثلاثة أيام" قال العلماء في معنى الجائزة: الاهتمام بالضيف في اليوم والليلة، وإتحافه بما يمكن من بر وخير، وأما في اليوم الثاني والثالث فيطعمه ما تيسر ولا يزيد على عادته، وأما ما كان بعد الثلاثة فهو صدقة ومعروف إن شاء فعل وإن شاء ترك.
وفي رواية مسلم "ولا يحل له أن يقيم عنده حتى يؤثمه" معناه: لا يحل للضيف أن يقيم عنده بعد الثلاث حتى يوقعه في الإثم؛ لأنه قد يغتابه لطول مقامه، أو يعرض له بما يؤذيه، أو يظن به مالا يجوز، وهذا كله محمول على ما إذا أقام بعد الثلاث من غير استدعاء من المضيف.
ومما ينبغي أن يعلم أن إكرام الضيف يختلف بحسب أحوال الضيف، فمن الناس من هو من أشراف القوم ووجهاء القوم، فيكرم بما يليق به، ومن الناس من هو من متوسط الحال فيكرم بما يليق به، ومنهم من هو دون ذلك.
আবূ শুরাইহ খুয়াইলিদ ইবনে আমর আল খুযায়ী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীস মেহমানের সম্মান ও মেহমানদারি করার প্রমাণ। তার থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন অবশ্যই মেহমানের পারিতোষিকসহ তার সম্মান করে।� এটি মেহমানের সম্মান করার ওপর উৎসাহ প্রদান ও উদ্বুদ্ধ করনের পদ্ধতি থেকে। অর্থাৎ, মেহমানের সম্মান করা আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমানের আলামত এবং আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমানের পরিপূর্ণতা। যে সব কর্ম দ্বারা মেহমানের সম্মান করা হয় যেমন: হাসি মুখ, সুন্দর কথা, তিনদিন খাওয়ানো। প্রথম দিন তার সাধ্য অনুযায়ী। আর বাকী দিন কোন প্রকার কৃত্রিমতা ছাড়া যা উপস্থিত থাকে তা দ্বারা যাতে তার ওপর এবং আত্মার ওপর বোঝা না হয়ে যায়। আর তিনদিন পর হবে সাদকা স্বরূপ, ইচ্ছা করলে করবে না হয় করবে না। আর তার বাণী: �সে যেন অবশ্যই মেহমানের পারিতোষিকসহ তার সম্মান করে। আর মেহমানদারি তিনদিন।� উলামাগণ পারিতোষিকের অর্থ সম্পর্কে বলেন, একদিন এক রাত মেহমানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া সম্ভাব্য কল্যাণকামি পদর্শন ও সৎ ব্যবহার করা। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন তাকে তাই খেতে দেবে যা তার জন্য সহজ হয়। তার সাধারণ খাদ্যের ওপর বাড়তি করতে হবে না। আর তিনদিন পর তা হবে সাদকাহ স্বরূপ ও হিতকামনা, যদি চায় করবে আর যদি না চায় করবে না। মুসলিমের বর্ণনায় বর্ণিত: �কোন মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের নিকট এতটা থাকা বৈধ নয়, যাতে সে তাকে গোনাহগার করে ফেলে�। এর অর্থ, মেহমানের জন্য তার নিকট তিনদিনের বেশি অবস্থান করা ঠিক হবে না যাতে তাকে গুনাহে ফেলে দেয়। কারণ, অনেক সময় সে লম্বা সময় অবস্থানের কারণে তার সমালোচনা করবে, তার থেকে এমন কিছু প্রকাশ পাবে যা তাকে কষ্ট দেয় অথবা তার প্রতি এমন ধারণা করবে যা অবৈধ। এ গুলো সবই তখন হয় যখন মেজবানের আকাংখা ছাড়া তিনদিনের বেশি অবস্থান করে। জানা থাকা দরকার যে, মেহমানের অবস্থা অনুযায়ী তার সম্মান করা বিভিন্ন হয়ে থাকে। কতক মানুষ আছে কাওমের সরদার এবং মুখপাত্র, তখন তার মেহমানদারি তার অবস্থান অনুযায়ী হবে। আবার কতক আছে মধ্যবৃত্ত তখন তার মেহমাদারি তার অবস্থান অনুযায়ী আবার কতক আছে নিম্ন তাকে তার অবস্থান অনুযায়ী।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3042

 
Hadith   98   الحديث
الأهمية: إني قد رأيت الأنصار تصنع برسول الله -صلى الله عليه وسلم- شيئًا آليت على نفسي أن لا أصحب أحدًا منهم إلا خدمته
থিম: আমি আনসারগণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (অনেক) কিছু করতে দেখেছি। তাই আমি শপথ করেছি যে, তাঁদের মধ্যে যাঁরই সঙ্গী হব, তাঁরই খিদমত করব।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- قال: خَرَجتُ معَ جَرِير بنِ عَبدِ الله البَجَلِي -رضي الله عنه- في سَفَرٍ، فَكَانَ يَخْدُمُنِي، فقُلتُ لَهُ: لا تفْعَل، فقَال: إِنِّي قَدْ رَأَيتُ الأَنْصَارَ تَصْنَعُ بِرَسُولِ الله -صلى الله عليه وسلم- شَيئًا آلَيتُ عَلَى نَفْسِي أَنْ لاَ أَصْحَبَ أَحدًا مِنْهُم إِلاَّ خَدَمْتُه.

আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, একদা আমি জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু-এর সাথে সফরে বের হলাম। (আমার চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ হওয়া সত্তেও) তিনি আমার খিদমত করতেন। সুতরাং আমি তাঁকে বললাম, �আপনি এমন করবেন না।� তিনি বললেন, �আমি আনসারগণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (অনেক) কিছু করতে দেখেছি। তাই আমি শপথ করেছি যে, তাঁদের মধ্যে যাঁরই সঙ্গী হব, তাঁরই খিদমত করব।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
حديث جرير بن عبد الله البجلي -رضي الله عنه- فيه أنه -رضي الله عنه- كان في سفر فجعل يخدم رفقته وهم من الأنصار، ومنهم أنس -رضي الله عنه- وهو أصغر سنًّا منه، فقيل له في ذلك، يعني: كيف تخدمهم وأنت صاحب رسول الله -صلى الله عليه وسلم-؟
فقال: إني رأيت الأنصار تصنع برسول الله -صلى الله عيه وسلم- شيئًا؛ حلفت على نفسي ألا أصحب أحدا منهم إلا خدمته، وهذا من إكرام من يكرم النبي -صلى الله عليه وسلم-، فإكرام أصحاب الرجل إكرام للرجل، واحترامهم احترام له، ولهذا جعل -رضي الله عنه- إكرام هؤلاء من إكرام النبي -صلى الله عليه وسلم-.

থিম: জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুর হাদীসে বলা হয়, একদা তিনি এক সফরে ছিলেন তখন তিনি তার সাথীদের খিদমত করতেছিলেন। তারা ছিল আনসারী সাহাবীগণ। তাদের মধ্যে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন যিনি ছিলেন বয়সের দিক দিয়ে সবার ছোট। তখন তাকে বলা হলো, আপনি কীভাবে তাদের খিদমত করেন অথচ আপনি রাসূলের সাহাবী? তিনি বললেন, �আমি আনসারগণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে (অনেক) কিছু করতে দেখেছি। তাই আমি আমার আত্মার ওপর শপথ করেছি যে, তাঁদের মধ্যে যাঁরই সঙ্গী হব, তাঁরই খিদমত করব। এটি হলো সম্মান তাদের প্রতি যারা রাসূলকে সম্মান করত। কোন মানুষের সাথীদের সম্মান করা মানে লোকটিকেই সম্মান করা। আর তাদের ইজ্জত করা মানে তাঁরই ইজ্জত করা। এ কারণেই তিনি রাদিয়াল্লাহু আনহু তাদের সম্মান করাকে রাসূলের সম্মান করা বলে গণ্য করেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3043

 
Hadith   99   الحديث
الأهمية: الكبائر: الإشراك بالله، وعقوق الوالدين، وقتل النفس، واليمين الغموس
থিম: কাবীরাহ গোনাহ হচ্ছে : আল্লাহর সাথে শির্ক করা, মাতা-পিতার অবাধ্যাচরণ করা, কোনো প্রাণ হত্যা করা ও মিথ্যা কসম খাওয়া।

عن عبد الله بن عمرو بن العاص -رضي الله عنهما- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: �الكبائر: الإشراك بالله، وعُقُوق الوالدين، وقتل النفس، واليمين الغَمُوس�.

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবন �আস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �কাবীরাহ গোনাহ হচ্ছে আল্লাহর সাথে শির্ক করা, মাতা-পিতার অবাধ্যাচরণ করা, কোনো প্রাণ হত্যা করা ও মিথ্যা কসম খাওয়া।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يتناول هذا الحديث عددًا من الذنوب التي وصفت بأنها من الكبائر، وسميت بذلك لضررها الكبير على فاعلها وعلى الناس في الدنيا والآخرة.
فأولها "الإِشرَاكُ بِالله": أي: الكفر بالله بأن، يعبد معه غيره ويجحد عبادة ربه.
   وثانيها "عُقُوقُ الوَالِدَينِ": والعقوق حقيقته: أن يفعل مع والديه أو مع أحدهما، ما يتأذى به عرفاً، كعدم احترامهما وسبهما وعدم القيام عليهما ورعايتهما عند حاجتهم إلى الولد.
وثالثها "قَتْل النَّفْس": بغير حق كالقتل ظلماً وعدواناً، أما إذا استحق الشخص القتل بحق من قصاص وغيره فلا يدخل في معنى هذا الحديث.
ثم خُتِم الحديث بالترهيب من "اليَمِين الغَمُوسُ": وسُمِيت بالغموس لأنَّها تغمس صاحبها في الإِثم أو في النار؛ لأنه حلف كاذباً على علم منه.
এ হাদীসটিতে কয়েকটি গুনাহ উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলোকে কবীরাহ বলে বিশেষিত করা হয়েছে। এই নামকরণ করার কারণ হলো, তার ক্ষতি গুনাহকারী ব্যক্তি ও সকল মানুষের উপর দুনিয়া ও আখিরাতে অনেক বড় হয়।
প্রথমটি হলো আল্লাহর সাথে শরীক করা, অর্থাৎ আল্লাহর সাথে কুফরি করা, যেমন তার সাথে অন্য কাউকে ইবাদত করা ও স্বীয় রবের ইবাদতকে অস্বীকার করা।
দ্বিতীয়টি হলো �মাতা-পিতার নাফরমানী করা�। অর্থাৎ, মাতা-পিতা বা তাদের যে কোনো একজনের সাথে এমন কোনো কর্ম করা যা তাকে কষ্ট দেয়। যেমন, তাদের সম্মান না করা, তাদের গাল দেওয়া, তাদের অধিকার আদায় না করা এবং সন্তানদের প্রতি যখন মুখাপেক্ষী হয় তখন তাদের যত্ন না নেয়া।
তৃতীয়টি হলো �নফসকে হত্যা করা� অন্যায়ভাবে ও সীমালঙ্ঘন করে। তবে কোনো ব্যক্তি যদি কাসাস ও অন্য কোনো কারণে হত্যার উপযুক্ত হয় সে এ হাদীসের অর্থের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
তারপর মিথ্যা শপথ থেকে ভয় দেখানোর মাধ্যমে হাদীসটি শেষ করা হয়। আর গুমূস (ডুবে যাওয়া) দ্বারা নামকরণ করার কারণ মিথ্যা কসমকারী পাপে অথবা জাহান্নামের আগুনে ডুবে যাবে, কারণ সে জানা স্বত্বেও মিথ্যা শপথ করেছে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3044

 
Hadith   100   الحديث
الأهمية: أفضل الجهاد كلمة عدل عند سلطان جائر
থিম: অত্যাচারী বাদশাহর নিকট হক কথা বলা সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- عن النبيِّ -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم- قَالَ: �أفضل الجهاد كلمة عَدْلٍ عند سُلْطَانٍ جَائِر�.

আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, �অত্যাচারী বাদশাহর নিকট হক কথা বলা সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يبين النبي -صلى الله عليه وسلم- أن أعظم جهاد المرء أن يقول كلمة حق عن صاحب سلطة ظالم؛ لأنه ربما ينتقم منه بسببها ويؤذيه أو يقتله، فالجهاد يكون باليد كقتال الكفار، وباللسان كالإنكار على الظلمة، وبالقلب كجهاد النفس.
নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন যে, অত্যাচারী বাদশাহর নিকট হক কথা বলা সর্বশ্রেষ্ঠ জিহাদ। কারণ হতে পারে এ কারণে সে তার থেকে প্রতিশোধ নেবে এবং তাকে কষ্ট দেবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। - এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। - এটি আবূ দাঊদ বর্ণনা করেছেন। - এটি আহমাদ বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3045

 
Hadith   101   الحديث
الأهمية: أن أم حبيبة استحيضت سبع سنين، فسألت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن ذلك؟ فأمرها أن تغتسل
থিম: উম্মু হাবীবাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহা সাত বছর পর্যন্ত ইস্তিহাযাহায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি তাঁকে গোসলের নির্দেশ দিলেন। তিনি (আয়েশা) বলেন, অতঃপর উম্মে হাবিবা প্রতি সলাতের জন্য গোসল করতেন।

عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: "إن أم حبيبة اسْتُحِيضَتْ سبع سنين، فسألت رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن ذلك؟ فأمرها أن تغتسل، قالت: فكانت تغتسل لكل صلاة".

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের-এর স্ত্রী �আয়িশাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহা থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মু হাবীবাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহা সাত বছর পর্যন্ত ইস্তিহাযাহায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি তাঁকে গোসলের নির্দেশ দিলেন। আয়েশা বলেন, অতঃপর তিনি প্রতি সলাতের জন্য গোসল করতেন।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أمر النبي -صلى الله عليه وسلم- أم حبيبة حين سألته عن ما يلزمها في استحاضتها أن تغتسل، فكانت تغتسل لكل صلاة، وقد كانت استحيضت سبع سنين، والاستحاضة أمر عارض قليل في النساء، والأصل هو الحيض الذي يكون في أيام معدودة في الشهر وتصحبه علامات يعرفها النساء.
وكانت تغتسل لكل صلاة تطوعًا منها.
উম্মে হাবীবাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহা যখন রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তার ইস্তেহাযাতে করনীয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন তখন তিনি তাকে গোসল করার নির্দেশ দেন। তখন সে প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য গোসল করতেন। আর সাত বছর ধরে সে ইস্তেহাযায় আক্রান্ত ছিলেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3046

 
Hadith   102   الحديث
الأهمية: لا يبولن أحدكم في الماء الدائم الذي لا يجري، ثم يغتسل منه
থিম: তোমাদের কেউ যেন স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে পেশাব না করে। (সম্ভবত) পরে সে আবার তাতে গোসল করবে।

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- مرفوعاً: "لا يَبُولَنَّ أحَدُكم في الماء الدَّائِم الذي لا يجْرِي, ثمَّ يَغتَسِل مِنه".
   وفي رواية: "لا يغتسل أحدكُم في الماء الدَّائم وهو جُنُب".

আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �তোমাদের কেউ যেন স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে পেশাব না করে। (সম্ভবত) পরে সে আবার তাতে গোসল করবে।� অপর বর্ণনায় বর্ণিত: �তোমাদের কেউ যেন স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে কখনো পেশাব না করে, যে অবস্থায় সে অপবিত্র।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
نهى النبي -صلى الله عليه وسلم- عن البول في الماء الراكد الذي لا يجري؛ لأن ذلك يقتضي تلوثه بالنجاسة والأمراض التي قد يحملها البول فتضر كل من استعمل الماء، وربما يستعمله البائل نفسه فيغتسل منه، فكيف يبول بما سيكون طهورًا له فيما بعد.
كما نهى عن اغتسال الجنب في الماء الراكد؛ لأن ذلك يلوث الماء بأوساخ وأقذار الجنابة.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম স্থির- যা প্রবাহিত নয় এমন পানিতে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। কারণ, এতে পানি নাপাক এবং পেশাবের জীবাণুর সাথে মিশে যাওয়ার ফলে যে এ পানি ব্যবহার করবে তার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় পেশাবকারী নিজেই তা ব্যবহার করবে, যেমন তাতে গোসল করবে। যে জিনিস তার জন্য একটু পরে পবিত্রকারী হবে তাতে সে কীভাবে পেশাব করে। যেমনিভাবে তিনি নিষেধ করেছেন স্থির পানিতে বড় নাপাকী থেকে পবিত্রার জন্য ফরয গোসল করতে। কারণ, তাতে পানির সাথে অপবিত্রতার ময়লা ও আবর্জনার সংমিশ্রণ ঘটে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3047

 
Hadith   103   الحديث
الأهمية: استوصوا بالنساء خيرا؛ فإن المرأة خلقت من ضلع، وإن أعوج ما في الضلع أعلاه، فإن ذهبت تقيمه كسرته، وإن تركته، لم يزل أعوج، فاستوصوا بالنساء
থিম: �তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও। কারণ নারীকে পাঁজরের (বাঁকা) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের সবচেয়ে বেশী বাঁকা হল তার উপরের অংশ। যদি তুমি এটাকে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে তো বাঁকাই থাকবে। তাই তোমরা নারীদের জন্য মঙ্গলকামী হও।�

عن أبي هريرة -رضي الله عنه- قال: قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �اسْتَوْصُوا بالنِّساءِ خَيْرًا؛ فَإِنَّ المرأة خُلِقَتْ مِن ضِلعٍ، وَإنَّ أعْوَجَ مَا في الضِّلَعِ أعْلاهُ، فَإنْ ذَهَبتَ تُقيمُهُ كَسَرْتَهُ، وإن تركته، لم يزل أعوج، فاستوصوا بالنساء�.
وفي رواية: �المرأة كالضِّلَعِ إنْ أقَمْتَهَا كَسَرْتَهَا، وَإن اسْتَمتَعْتَ بها، استمتعت وفيها عوَجٌ�.
وفي رواية: �إنَّ المَرأةَ خُلِقَت مِنْ ضِلَع، لَنْ تَسْتَقِيمَ لَكَ عَلَى طَريقة، فإن استمتعت بها استمتعت بها وفيها عوج، وإنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهَا كَسَرْتَها، وَكَسْرُهَا طَلاَقُهَا�.

আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �তোমরা স্ত্রীদের জন্য মঙ্গলকামী হও। কারণ নারীকে পাঁজরের (বাঁকা) হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের সবচেয়ে বেশী বাঁকা হল তার উপরের অংশ। যদি তুমি এটাকে সোজা করতে চাও, তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তাকে ছেড়ে দাও তাহলে তো বাঁকাই থাকবে। তাই তোমরা নারীদের জন্য মঙ্গলকামী হও।� অন্য এক বর্ণনায় আছে, �মহিলা পাঁজরের হাড়ের মত। যদি তুমি তাকে সোজা করতে চাও, তবে তুমি তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তুমি তার দ্বারা উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা অবস্থাতেই হতে হবে।� অপর এক বর্ণনায় আছে, �মহিলাকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সে কখনই একভাবে তোমার জন্য সোজা থাকবে না। এতএব তুমি যদি তার থেকে উপকৃত হতে চাও, তাহলে তার এ বাঁকা অবস্থাতেই হতে হবে। আর যদি তুমি তা সোজা করতে চাও, তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলবে। আর তাকে ভেঙ্গে ফেলা হল তালাক দেওয়া।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
أخبر أبو هريرة -رضي الله عنه- في معاشرة النساء أن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: اقبلوا هذه الوصية التي أوصيكم بها، وذلك أن تفعلوا خيرًا مع النساء؛ لأن النساء قاصرات في العقول، وقاصرات في الدين، وقاصرات في التفكير، وقاصرات في جميع شؤونهن، فإنهن خلقن من ضلع.
وذلك أن آدم -عليه الصلاة والسلام- خلقه الله من غير أب ولا أم، بل خلقه من تراب، ثم قال له كن فيكون، ولما أراد الله -تعالى- أن يبث منه هذه الخليقة، خلق منه زوجه، فخلقها من ضلعه الأعوج، فخلقت من الضلع الأعوج، والضلع الأعوج إن استمتعت به استمتعت به وفيه العوج، وإن ذهبت تقيمه انكسر.
فهذه المرأة أيضا إن استمتع بها الإنسان استمتع بها على عوج، فيرضى بما تيسر، وإن أراد أن تستقيم فإنها لن تستقيم، ولن يتمكن من ذلك، فهي وإن استقامت في دينها فلن تستقيم فيما تقتضيه طبيعتها، ولا تكون لزوجها على ما يريد في كل شيء، بل لابد من مخالفة، ولابد من تقصير، مع القصور الذي فيها، فإن ذهبت تقيمها كسرتها وكسرها طلاقها، ومعناه أنك إن حاولت أن تستقيم لك على ما تريد فلا يمكن ذلك، وحينئذ تسأم منها وتطلقها.
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু সংবাদ দেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের সাথে লেন-দেন করা বিষয়ে বলেছেন, আমি তোমাদের যে অসিয়ত করি তা তোমরা কবুল করো। আর তা হলো তোমরা নারীদের কল্যাকামী হও। কারণ, নারীরা জ্ঞানে দুর্বল, দীনের বিষয়ে দুর্বল, চিন্তায় দূর্বল এবং যাবতীয় সব বিষয়ে তারা দুর্বল। কারণ, তাদেরকে পাঁজরের হাঁড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর তা এভাবে যে, আল্লাহ আদম আলাইহিস সালামকে পিতা মাতা ছাড়া মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি কুন বলেছেন আর হয়ে গেছেন। আর আল্লাহ যখন তার থেকে এ সৃষ্টিকে বিস্তৃত করতে চাইলেন, তার থেকে তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করলেন। তিনি তাকে তার পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর বাঁকা হাড়ের অবস্থা হলো যদি তুমি তা থেকে বাঁকা অবস্থায় রেখে উপকার লাভ করতে চাও করতে পারবে, আর যদি তাকে তুমি সোজা করতে যাও তা ভেঙ্গে যাবে। এ সব নারীরাও তাই। বাঁকা অবস্থায় যদি মানুষ তাদের উপভোগ করতে চায়, উপভোগ করবে; যা সহজ হয় তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে। আর যদি সোজা করতে চায়, তবে তা সোজা হবে না এবং তা সম্ভব নয়। সে যদিও দীনের বিষয়ে সোজা হবে, তবে সে তার স্বভাবে চাহিদা বিষয়ে সোজা হবে না। সে প্রতিটি বিষয়ে কখনো তার স্বামী ইচ্ছা অনুযায়ী হবে না। বরং তার থেকে অনিয়ম, ও ত্রুটি হবেই। তাতে যে ত্রুটি রয়েছে তুমি তা নিয়েই তার সাথে থাকবে। তুমি যদি তাকে ঠিক করতে যাও, তাকে তুমি ভেঙ্গে ফেলবে। আর তার ভেঙ্গে ফেলা হলো তাকে তালাক দেওয়া। এর অর্থ হলো, যদি তোমার চাওয়া অনুযায়ী তাকে সংশোধন করার ইচ্ছা করো, তা সম্ভব হবে না। তখন তুমি তার কাছ থেকে কষ্ট পাবে এবং তাকে তালাক দেবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - উভয় বর্ণনা মুত্তাফাকুন আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3049

 
Hadith   104   الحديث
الأهمية: أن رسول الله    -صلى الله عليه وسلم- رأى رجلًا معتزلًا، لم يصل في القوم، فقال: يا فلان، ما منعك أن تصلي في القوم؟ فقال: يا رسول الله أصابتني جنابة، ولا ماء، فقال: عليك بالصعيد، فإنه يكفيك
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন যে, এক ব্যক্তি আলাদা দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি লোকদের সাথে সলাত আদায় করেন নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে অমুক! তোমাকে লোকদের সাথে সালাত আদায় করতে কিসে বিরত রাখলো? তিনি বললেন, আমার উপর গোসল ফরয হয়েছে। অথচ পানি নেই। তিনি বললেন, পবিত্র মাটি নাও (তায়াম্মুম কর), এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট।

عن عمران بن حصين -رضي الله عنهما- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- رأى رجلًا مُعتزلًا، لم يُصَلِّ في القوم، فقال: (يا فلان، ما منعك أن تصلي في القوم؟) فقال: يا رسول الله أصابتني جنابةٌ، ولا مَاءَ، فقال: (عليك بالصَّعِيدِ، فإنه يَكْفِيَكَ).
থিম: ইমরান ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন যে, এক ব্যক্তি আলাদা দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি লোকদের সাথে সলাত আদায় করেন নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে অমুক! তোমাকে লোকদের সাথে সালাত আদায় করতে কিসে বিরত রাখলো? তিনি বললেন, আমার উপর গোসল ফরয হয়েছে। অথচ পানি নেই। তিনি বললেন, পবিত্র মাটি নাও (তায়াম্মুম কর), এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
صلى النبي -صلى الله عليه وسلم- بالصحابة صلاة الصبح، فلما فرغ من صلاته رأى رجلا لم يصل معهم، فكان من كمال لطف النبي -صلى الله عليه وسلم-، وحسن دعوته إلى الله، أنه لم يعنفه على تخلفه عن الجماعة، حتى يعلم السبب في ذلك، فقال: يا فلان، ما منعك أن تصلى مع القوم؟، فشرح عذره -في ظنه- للنبي -صلى الله عليه وسلم- بأنه قد أصابته جنابة ولا ماء عنده، فأخر الصلاة حتى يجد الماء ويتطهر، فقال -صلى الله عليه وسلم- إن الله تعالى قد جعل لك -من لطفه- ما يقوم مقام الماء في التطهر، وهو الصعيد، فعليك به، فإنه يكفيك عن الماء.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করেন। যখন তিনি সালাত শেষ করলেন দেখেন এক ব্যক্তি তাদের সাথে সালাত আদায় করেনি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আল্লাহর দিকে দা�ওয়াতের সৌন্দর্য্য ও দয়াদ্রতার পরিপূর্ণতা স্বরূপ ছিল তিনি এর কারণ সম্পর্কে না জেনে তাকে জামা�আত থেকে বিরত থাকার ওপর কটাক্ষ করেননি। তাই তিনি বলেন, হে অমুক। তোমাকে জামা�আতে সালাত আদায়ে কোন জিনিষ না করেছে? তারপর সে -তার ধারণা অনুযায়ী-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পারগতার ব্যখ্যা দিয়ে বলেন যে, তার ওপর গোসল ফরয হয়েছে। তার কাছে পানি না থাকার কারণে পানি পেয়ে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত সে সালাতকে বিলম্ব করছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বললেন, আল্লাহ তা�আলা স্বীয় মেহেবানিতে পবিত্রতা অর্জনে তোমার জন্য পানির স্থলাবিষিক্ত নির্ধারণ করেছেন। আর তা হলো পবিত্র মাটি। তোমার ওপর আবশ্যক হলো তা গ্রহণ করা। কারণ, তা পানির পরিবর্তে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3051

 
Hadith   105   الحديث
الأهمية: أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أتى منى، فأتى الجمرة فرماها، ثم أتى منزله بمنى ونحر، ثم قال للحلاق: خذ، وأشار إلى جانبه الأيمن، ثم الأيسر، ثم جعل يعطيه الناس
থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনায় এসে সর্বপ্রথম জামরায় গেলেন এবং তাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন। অতঃপর তিনি মিনায় তার মানযিলে (অবস্থান করার তাবুতে) গেলেন এবং কুরবানী করলেন। অতঃপর তিনি তার মাথার প্রথমে ডানদিকে ও পরে বামদিকে ইঙ্গিত করে নাপিতকে বললেন, ধর (চুল কাটো)। অতঃপর তিনি তা (চুল) লোকদের দিতে লাগলেন।

عن أنس بن مالك -رضي الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أتى مِنَى، فأتى الجَمْرَةَ فرماها، ثم أتى منزله بمِنَى ونحر، ثم قال للحلاق: �خُذْ� وأشار إلى جانبه الأيمن، ثم الأيسر، ثم جعل يعطيه الناسَ.
وفي رواية: لما رمى الجَمْرَةَ، ونحر نُسُكَهُ وحلق، ناول الحلاق شِقَّهُ الأيمن فحلقه، ثم دعا أبا طلحة الأنصاري -رضي الله عنه- فأعطاه إياه، ثم ناوله الشِّقَّ الأَيْسَرَ، فقال: �احْلِقْ�، فحلقه فأعطاه أبا طلحة، فقال: �اقْسِمْهُ بين الناس�.

আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনায় এসে সর্বপ্রথম জামরায় গেলেন এবং তাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন। অতঃপর তিনি মিনায় তার মানযিলে (অবস্থান করার তাবুতে) গেলেন এবং কুরবানী করলেন। অতঃপর তিনি তার মাথার প্রথমে ডানদিকে ও পরে বামদিকে ইঙ্গিত করে নাপিতকে বললেন, ধর (চুল কাটো)। অতঃপর তিনি তা (চুল) লোকদের দিতে লাগলেন।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম (কুরবানীর দিন) জামরায় কঙ্কর মারলেন, কুরবানীর পশুগুলো যবেহ করলেন এবং মাথা মুণ্ডন করলেন। প্রথমে তিনি তার মাথার ডান দিক নাপিতের দিকে এগিয়ে দিলেন, সে তা মুণ্ডন করল। তিনি আবূ তালহা আনসারী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুকে ডেকে চুলগুলো তাকে দিলেন। তারপর তিনি তাঁর মাথার বাম দিক বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, মুণ্ডন করো এবং সে (নাপিত) তা মুণ্ডন করল। তারপর তিনি কাটা চুল আবূ তালহা রাদিয়াল্লাহু <�আনহুকে দিয়ে বললেন, �যাও (এ চুলগুলো) লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দাও।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
لما أتى النبي -صلى الله عليه وسلم- في حجة الوداع إلى منى يوم العيد رمى الجمرة، ثم ذهب إلى منزله ونحر هديه، ثم دعا بالحلاَّق فحلق رأسه؛ وأشار -صلى الله عليه وسلَّم- إلى الشق الأيمن فبدأ الحلاَّق بالشقِّ الأيمن، ثم دعا أبا طلحة -رضي الله عنه الأنصاري- وأعطاه شعر الشق الأيمن كله، ثم حلق بقية الرأس، ودعا أبا طلحة وأعطاه إياه، وقال: "اقسمه بين الناس" فقسمه، فمن الناس من ناله شعرة واحدة، ومنهم من ناله شعرتان، ومنهم من ناله أكثر حسب ما تيسر؛ وذلك لأجل التبرك بهذا الشعر الكريم؛ شعر النبي -صلى الله عليه وسلم-.
وهذا جائز وخاص بآثاره -صلى الله عليه وسلم-.

থিম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিদায় হজে ঈদের দিন মিনায় আসলেন তখন জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন। অতপর তিনি মিনায় তার মানযিলে (অবস্থান করার তাবুতে) গেলেন এবং তার হাদীগুলো যাবেহ করলেন। অতপর তিনি নাপিত ডেকে মাথা মুণ্ডন করলেন। প্রথমে তিনি তার মাথার ডান দিক নাপিতের দিকে এগিয়ে দিলেন, সে তা মুণ্ডন করল। তিনি আবূ তালহা আনসারী রাদিয়াল্লাহু <�আনহুকে ডেকে তাকে ডান পাশের চুলগুলো দিলেন। তারপর তিনি তাঁর মাথার অবশিষ্ট চুল মণ্ডন করলেন। তারপর তিনি কাটা চুল আবূ তালহাকে দিয়ে বললেন, এ চুলগুলো লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দাও। ফলে তিনি তা মানুষের মাঝে বণ্টন করে দিলেন। কেউ একটি চল পেল, কেউ আবার দু�টো, কেউ আবার সুযোগ মতো অনেকগুলো চুল পেলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের চুলের দ্বারা বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যে লোকজন এগুলো সংগ্রহ করলেন।
আর এটি শুধু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিদর্শনের সাথেই খাস।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম তার দুই রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3052

 
Hadith   106   الحديث
الأهمية: إن الدنيا حُلوة خَضِرَة، وإن الله مستخلفكم فيها فينظر كيف تعملون، فاتقوا الدنيا واتقوا النساء؛ فإن أول فتنة بني إسرائيل كانت في النساء
থিম: দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা�আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন যেন তিনি দেখেন তোমরা কিভাবে আমল কর। অতএব তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে। কারণ বুন ইসরাইলের প্রথম ফিতনা ছিল নারীদের ভেতর।

عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- عن النبيِّ -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم- قَالَ: �إن الدنيا حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ، وإن الله مُسْتَخْلِفُكُمْ فيها فينظرَ كيف تعملون، فاتقوا الدنيا واتقوا النساء؛ فإن أول فتنة بني إسرائيل كانت في النساء�.

আবূ সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে মারফু হিসেবে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �দুনিয়া হচ্ছে সুমিষ্ট ও সবুজ-শ্যামল এবং আল্লাহ তা�আলা তোমাদেরকে তাতে প্রতিনিধি করেছেন যেন তিনি দেখেন তোমরা কিভাবে আমল কর। অতএব তোমরা দুনিয়ার ব্যাপারে সাবধান হও এবং সাবধান হও নারীজাতির ব্যাপারে। কারণ বুন ইসরাইলের প্রথম ফিতনা ছিল নারীদের ভেতর।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
شبَّه النبي -صلى الله عليه وسلم- الدنيا بالفاكهة الحلوة الخضرة، للرغبة فيها والميل إليها، وأخبر أن الله جعلنا خلفاء يخلف بعضنا بعضا فيها؛ فإنها لم تصل إلى قوم إلا بعد آخرين، فينظر الله -تبارك وتعالى- كيف نعمل فيها هل نقوم بطاعته أم لا.
ثم أمرنا النبي -صلى الله عليه وسلم- أن نحذر فتنة الدنيا وأن لا نغتر بها ونترك أوامر الله -تعالى- واجتناب مناهيه فيها.
ولما كان للنساء النصيب الأوفر في هذا الافتتان، نبَّه -صلى الله عليه وسلم- إلى خطورة الافتتان بهن وإن كان داخلا في فتن الدنيا؛ وأخبر أن أول فتنة بني إسرائيل كانت بسبب النساء، وبسببهن هلك كثير من الفضلاء.
দুনিয়ার প্রতি আগ্রহ ও ঝুকে যাওয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াকে মিষ্টি তাজা ফলের সাথে তুলনা করেছেন। আর তিনি জানান যে, আল্লাহ আমাদের কতককে কতকের পরে প্রতিনিধি করবেন এ দুনিয়াতে। কারণ, যে সম্প্রদায়ই দুনিয়াতে আসবে তারা অবশ্যই অন্য সম্প্রদায়ের পরেই আসবেন। আল্লাহ দেখবেন যে, আমরা কেমন কর্ম করি। আমরা কি তার অনুকরণ করি, না করি না। তারপর তিনি আমাদের নির্দেশ দেন যে, আমরা যেন দুনিয়ার ফিতনা থেকে সতর্ক থাকি এবং দুনিয়ার কারণে ধোকায় না পড়ি। আমরা যেন আল্লাহর নির্দেশসমূহ ছেড়ে না দেই এবং তার নিষিদ্ধ কর্মসমূহ থেকে বিরত থাকি। যেহেতু ধোকায় পড়ার ক্ষেত্রে নারীদের ভুমিকা বেশি তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের দ্বারা ফিতনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়াবহতার প্রতি বিশেষভাবে সতর্ক করেন। যদিও তারা দুনিয়ার ফিতনাসমূহের অন্তভূর্ক্ত। আর তিনি জানান যে, বনী ঈসরাইলের মধ্যে সর্ব প্রথম ফিতনা নারীদের কারণে হয়। তাদের কারণে অসংখ্য ভালো ব্যক্তি ধ্বংস হয়েছেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3053

 
Hadith   107   الحديث
الأهمية: من حلف على يمين ثم رأى أتقى لله منها فليأت التقوى
থিম: যে ব্যক্তি কোন বিষয়ের উপর কসম খেল অতঃপর তার চেয়ে বেশী তাকওয়ার বিষয় দেখল (কসম ভঙ্গ করাতে), তার উচিত তাকওয়ার বিষয় গ্রহণ করা।�

عن أبي طَرِيف عدي بن حاتم -رضي الله عنه- مرفوعاً: �مَن حَلَف على يَمِين ثم رأى أَتقَى لله مِنها فَلْيَأت التَّقوَى�.

আবূ তারীফ আদী ইবনে হাতেম রাদিয়াল্লাহু <�আনহু কর্তৃক মারফূ� হিসেবে বর্ণিত: �যে ব্যক্তি কোন বিষয়ের উপর কসম খেল অতঃপর তার চেয়ে বেশী তাকওয়ার বিষয় দেখল (কসম ভঙ্গ করাতে), তার উচিত তাকওয়ার বিষয় গ্রহণ করা।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
في الحديث: أنَّ من حلَف على ترك شيء، أو فعله فرأى مخالفة ذلك خيرًا من الاستمرار على اليمين وأتقى، ترك يمينه وفعل ما هو خير، على الاستحباب والندب، فإن كان المحلوف عليه مما يجب فعله أو تركه كأن حلف ليتركنّ الصلاة أو ليشربنّ المسكر، وجب عليه الحنث والإتيان بما هو التقوى من فعل المأمور به، وترك المنهيّ عنه.
যে ব্যক্তি কোন কর্ম করা বা ছাড়ার শপথ করল। তারপর সে দেখল, তার বিপরীত করা শপথের ওপর অনড় থাকা অপেক্ষা উত্তম ও তাকওয়া। তখন তার মুস্তাহাব ও উত্তম হলো, শপথ ছাড়া এবং যে কর্মটি উত্তম তাই করা। যদি যার ওপর শপথ করেছে তা যদি এমন হয় যে, তা করা অথবা ছাড়া ওয়াজিব যেমন শপথ করল, সালাত ছাড়বে অথবা মদ পান করবে, তখন তার ওপর ওয়াজিব হলো শপথ ভঙ্গ করা এবং যে সব কর্ম করতে এবং ছাড়তে আদিষ্ট তাই পালন করা।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3054

 
Hadith   108   الحديث
الأهمية: الحياء لا يأتي إلا بخير
থিম: লজ্জা মঙ্গলই বয়ে আনে।

عن عمران بن حصين -رضي الله عنهما- قَالَ: قَالَ رسولُ اللَّه -صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم-: �الحَيَاءُ لاَ يَأْتِي إِلاَّ بِخَيرٍ�.
وفي رواية : �الحَيَاءُ خَيرٌ كُلُّهٌ� أو قال: �الحَيَاءُ كُلُّهُ خَيرٌ�.

ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু <�আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, �লজ্জা মঙ্গলই বয়ে আনে।� অন্য বর্ণনায় আছে, �লজ্জার সবটুকু মঙ্গলই মঙ্গল।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
الحياء صفة في النفس تحمل الإنسان على فعل ما يجمل ويزين، وترك ما يدنس ويشين، فلذلك لا يأتي إلا بالخير، وسبب ورود الحديث أن رجلًا كان ينصح أخاه في الحياء، وينهاه عن الحياء، فقال له النبي -صلى الله عليه وسلم- هذا الكلام.
লজ্জা হলো মানুষের আত্মার একটি গুণ যা মানুষকে সুন্দর ও রুচীশীল কাজ করা এবং অশ্লীল ও ঘৃণিত কাজ ছাড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। ফলে সে ভালো কর্ম ছাড়া আর কোন কর্ম করে না।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। - মুত্তাফাকুন �আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3055

 
Hadith   109   الحديث
الأهمية: اللهم لك أسلمت، وبك آمنت، وعليك توكلت، وإليك أنبت، وبك خاصمت، اللهم أعوذ بعزتك لا إله إلا أنت أن تضلني، أنت الحي الذي لا يموت، والجن والإنس يموتون
থিম: হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার নিকট সমর্পণ করলাম, আপনার প্রতি ঈমান আনলাম, আপনারই উপর তাওয়াক্কুল করলাম, আপনারই কাছে প্রত্যাবর্তন করলাম, আপনারই জন্য (দুশমনের বিরুদ্ধে) বিবাদ করলাম। হে আল্লাহ! আপনার ইজ্জতের অসীলায় আমি আশ্রয় চাচ্ছি, আপনি ব্যতীত কোনো (সত্য) ইলাহ নেই, আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করবেন না। আপনি সেই চিরঞ্জীব, যে কখনো মরবে না এবং জিন ও মানবজাতি সকলেই মারা যাবে।

عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- كان يقول: �اللهم لك أَسْلَمْتُ، وبك آمنتُ، وعليك توكلتُ، وإليك أَنَبْتُ، وبك خَاصَمْتُ، اللهم أعوذ بِعِزَّتِكَ لا إله إلا أنت أن تُضِلَّنِي، أنت الحيُّ الذي لا يموتُ، والجِنُّ والإِنْسُ يموتون�.

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, �হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার নিকট সমর্পণ করলাম, আপনার প্রতি ঈমান আনলাম, আপনারই উপর তাওয়াক্কুল করলাম, আপনারই কাছে প্রত্যাবর্তন করলাম, আপনারই জন্য (দুশমনের বিরুদ্ধে) বিবাদ করলাম। হে আল্লাহ! আপনার ইজ্জতের অসীলায় আমি আশ্রয় চাচ্ছি, আপনি ব্যতীত কোনো (সত্য) ইলাহ নেই, আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করবেন না। আপনি সেই চিরঞ্জীব, যে কখনো মরবে না এবং জিন ও মানবজাতি সকলেই মারা যাবে।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
يلتجئ النبي -صلى الله عليه وسلم- إلى ربه ويتقرب إليه في الدعاء، فيخبر -صلى الله عليه وسلم- أنه إلى ربه انقاد، وأنه فوَّض أمره كله لله ولم يعتمد على غيره، وأنه قد رجع إليه مقبلا عليه بقلبه، وأنه بقوة الله ونصره وإعانته إياه حاجج أعداء الله بما آتاه من البراهين والحجج، ثم يستعيذ النبي -صلى الله عليه وسلم- بغلبة الله ومنعته أن يهلكه بعدم التوفيق للرشاد والهداية والسداد، ويؤكد ذلك بقوله لا إله إلا أنت؛ فإنه لا يستعاذ إلا بالله، ثم يخبر النبي -صلى الله عليه وسلم- أن لربه الحياة الحقيقية التي لا يأتيها الموت بحال، وأما الإنس والجن فيموتون، وخصهما بالذكر؛ لأنهما المكلفان المقصودان بالتبليغ فكأنهما الأصل.
নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু�আয় তাঁর রবের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন এবং তাঁর নৈকট্য লাভের প্রত্যাশা করতেন। তাই নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি তাঁর রবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন, তিনি তাঁর সমস্ত ব্যাপার আল্লাহর কাছে সোপর্দ করেছেন, তিনি ব্যতীত কারো ওপর নির্ভর করেন না। তিনি তাঁর রবের কাছে সত্যিকারার্থে আন্তরিকভাবে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তিনি আল্লাহর শক্তি, সাহায্য ও সহযোগিতায় এবং আল্লাহ তাঁকে যে দলিল-প্রমাণ দান করেছেন তার দ্বারা আল্লাহর দুশমনের বিরুদ্ধে বিবাদ করেন। অতপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও অপ্রতিদ্বন্দ্বীতার অসীলা দিয়ে তাঁর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন যে, তিনি যেন তাঁকে সৎপথের নির্দেশনা, হিদায়েত ও সঠিক পথ না দেখিয়ে পথভ্রষ্ট না করেন। তিনি তাঁর এ কথা বলে তার দু�আকে শক্তিশালী করেছেন যে, তিনি (আল্লাহ) ব্যতীত কোনো সত্য ইলাহ নেই। সুতরাং তিনি ব্যতীত আর কারো আর কাছে আশ্রয় প্রার্থনার করার নেই। অতপর নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, একমাত্র তাঁর রবের রয়েছে প্রকৃত জীবন যার কখনোই কোনো মৃত্যু নেই। অন্যদিকে মানবজাতি ও জিন সকলেই মারা যাবে। তিনি জিন ও ইনসানকে বিশেষভাবে উল্লেখ করার কারণ হলো একমাত্র তারাই শরী�আতের বিধান পালনে আদিষ্ট, তারাই দীনের দাওয়াতের উদ্দিষ্ট। সুতরাং তারাই আলোচনার মূল হওয়ায় নবী সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    মুত্তাফাকুন <�আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3056

 
Hadith   110   الحديث
الأهمية: اللهم إني أسألك الهدى والتقى والعفاف والغنى
থিম: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়াত, পরহেযগারী, অশ্লীলতা হতে পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।

عن عبد الله بن مسعود -رضي الله عنه- قال: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يقول: �اللهم ِإنِّي أَسأَلُك الهُدَى، والتُّقَى، والعَفَاف، والغِنَى�.

আব্দুল্লাহ ইবন মাস�ঊদ রাদিয়াল্লাহু <�আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু�আ করতেন, �হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে হিদায়েত, তাকওয়া, বিপদমুক্ততা এবং অভাবমুক্ততা প্রার্থনা করছি।�

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
سأل النبي -صلى الله عليه وسلم- ربه العلمَ والتوفيق للحق، وأن يُوفِّقه إلى امتثال ما أمر به وترك ما نهى عنه، وأن يعفه عن كل ما حرَّم عليه فيما يتعلق بجميع المحارم التي حرَّمها -عز وجل-، وسأله كذلك الغنى عن الخلق، بحيث لا يفتقر إلى أحد سوى ربَّه -عز وجل-.
থিম: নবী সাল্লাল্লাহু <�আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রবের কাছে ইলম ও হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফিক প্রার্থনা করেছেন। তিনি যেন তাঁকে তাঁর আদেশ মান্য করতে ও নিষেধাজ্ঞা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করেন। তিনি যেন তাঁকে সমস্ত হারাম থেকে মুক্ত রাখেন, যা তিনি হারাম করেছেন। এমনিভাবে সৃষ্টির কাছ থেকে অভাবমুক্তির প্রার্থনা করেছেন যে, তিনি যেন তাঁর মহান রব ব্যতীত অন্য কারো কাছে অভাবী না থাকেন।
 

গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
 

[সহীহ]    ← →    এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।]
 
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3057

 
Hadith   111   الحديث
الأهمية: أستودع الله دينك، وأمانتك، وخواتيم عملك
থিম: তোমার দীন, তোমার সততা এবং তোমার আমলের পরিণাম আল্লাহকে সঁপে দিলাম।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كَانَ ابنُ عمرَ -رضِيَ الله عنهما- يَقُول لِلرَّجُل إِذَا أَرَادَ سَفَرًا: ادْنُ مِنِّي حَتَّى أُوَّدِعَكَ كَمَا كَان رسولُ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- يُوَدِّعُنَا، فَيقُول: �أَسْتَوْدِعُ الله دِينَكَ، وَأَمَانَتَكَ، وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ�.
وعن عبد الله بن يزيد الخطمي رضي الله عنه- قال: كَانَ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- إِذَا أَرَادَ أَنْ يُوَدِّعَ الجَيشَ، قال: �أَسْتَودِعُ الله دِينَكُم، وَأَمَانَتَكُم، وخَوَاتِيمَ أَعْمَالِكُم�.

আব্দুল্লাহ ইবনে উমার -রাদিয়াল্লাহু আনহুমা- সফরের ইচ্ছাকারী ব্যক্তিকে বলতেন, আমার নিকটবর্তী হও, তোমাকে ঠিক সেইভাবে বিদায় দেব, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বিদায় দিতেন। সুতরাং তিনি বলতেন, �আস্তাউদিউল্লা-হা দীনাকা অআমা-নাতাকা অখাওয়াতীমা আমালিক।� অর্থাৎ, তোমার দীন, তোমার সততা এবং তোমার কাজের পরিণাম আল্লাহকে সঁপে দিলাম। সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে য়্যাযীদ খাতমী রাদিয়াল্লাহু <�আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সেনাবাহিনীকে বিদায় জানাতেন, তখন এই দু�আ বলতেন, অর্থাৎ, তোমাদের দীন, তোমাদের আমানত এবং তোমাদের কর্মসমূহের পরিণাম আল্লাহকে সঁপে দিলাম।

 
Hadith Explanation بيان الحديث
 
كَانَ ابنُ عمرَ -رضِيَ الله عنهما- يَقُول لِلرَّجُل إِذَا أَرَادَ سَفَرًا: ادْنُ مِنِّي حَتَّى أُوَّدِعَكَ كَمَا كَان رسولُ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- يُوَدِّعُنَا، وهذا من ابن عمر بيان لكمال حرص الصحابة -رضي الله عنهم- على التزام هدي رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، وقوله: (إذا ودع رجلا) أي مسافرا، (أخذ بيده فلا يدعها): وهذا ما جاء في بعض الروايات، أي: فلا يترك يد ذلك الرجل من غاية التواضع ونهاية إظهار المحبة والرحمة.
   ويقول -صلى الله عليه وسلم-: أي للمودع: "أستودع الله دينك" أي أستحفظ وأطلب منه حفظ دينك.
   و"أمانتك" أي حفظ أمانتك، وهي شاملة لكل ما استحفظ عليه الإنسان من حقوق الناس وحقوق الله من التكاليف، ولا يخلو الرجل في سفره ذلك من الاشتغال بما يحتاج فيه إلى الأخذ والإعطاء والمعاشرة مع الناس، فدعا له بحفظ الأمانة والاجتناب عن الخيانة، ثم إذا انقلب إلى أهله يكون مأمون العاقبة عما يسوءه في الدين والدنيا.
وكان هذا من هديه أيضاً -صلى الله عليه وسلم- إذا أراد توديع الجماعة الخارجة للقتال في سبيل الله    يودعهم بهذا الدعاء الجامع ليكون أدعى إلى إصابتهم التوفيق والسداد والتغلب على الأعداء والحفاظ على فرائض الله في الغزو.
কোনো ব্যক্তি সফরের ইচ্ছা করলে আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলতেন, আমার নিকটবর্তী হও, তোমাকে ঠিক সেইভাবে বিদায় দেব, যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বিদায় দিতেন। ইবন উমারের এ আমল সাহাবীগণের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শকে জরুরীভাবে গ্রহণ করার আগ্রহের নমুনা। আর তার বাণী: �যখন কোন ব্যক্তি বিদায় দিতেন� অর্থাৎ কোন মুসাফিরকে। �সে তার হাত ধরতো এবং তা ছাড়তো না�। এটি এসেছে কতক বর্ণনায়। অর্থাৎ সবোর্চ্চ বিনয়, সর্বাধিক মহব্বত ও অনুগ্রহ প্রকাশার্থে তিনি লোকটির হাত ছাড়তেন না।
সুতরাং সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায়ী ব্যক্তিকে বলতেন, �আস্তাউদিউল