عن أَسْمَاء بِنْت أَبِي بَكْرٍ-رضي
الله عنهما- قالت: �نَحَرْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ الله-صلى الله عليه
وسلم- فَرَسًا فَأَكَلْنَاهُ�. وَفِي رِوَايَةٍ �وَنَحْنُ بِالْمَدِينَةِ�.
আসমা
বিনত
আবূ
বকর
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
থেকে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন, �আমরা
রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাললাহু
�আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
যুগে
একটি
ঘোড়া
নহর
করলাম
এবং
সেটি
খেলাম।�
অন্য
বর্ণনায়
রয়েছে, �তখন
আমরা
মদীনায়
ছিলাম।�
Hadith Explanation بيان الحديث
تُخبِرُ أَسْمَاءُ بِنْت أبي بكر الصديق
-رضي الله عنهما- أنهم نَحَرُوا فَرَساً عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ -صلى
الله عليه وسلم- وَأَكَلُوهُ، وفي ذلك دَلَالَةٌ عَلَى جَوَازِ أَكْلِ
لُحُومِ الخَيْلِ، ولا يَتَوَهَم أَحَدٌ مَنْعَ أَكْلِهَا لاقْتِرَانِهَا
مَعَ الحَمِيرِ والْبِغَالِ في الآية، وهي قوله تعالى: (وَالْخَيْلَ
وَالْبِغَالَ وَالْحَمِيرَ لِتَرْكَبُوهَا وَزِينَةً وَيَخْلُقُ مَا لا
تَعْلَمُونَ)، [ النحل : 8 ].
থিম:
আসমা
বিনত
আবূ
বকর
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
সংবাদ
দিয়েছেন
যে,
তারা
রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাললাহু
�আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
যুগে
একটি
ঘোড়া
নহর
করেছিলেন
এবং
সেটি
ভক্ষণ
করেছেন।
এ
হাদীস
দ্বারা
প্রমাণিত
যে,
ঘোড়ার
গোস্ত
খাওয়া
জায়েয।
সুতরাং
আল-কুরআনে
গাধা
ও
খচ্চরের
সাথে
ঘোড়ার
কথা
উল্লেখ
করায়
এটি
খাওয়া
নিষিদ্ধ
হওয়ার
সন্দেহ
করা
যাবে
না।
আল্লাহ
বলেছেন, �আর (তিনি
সৃষ্টি
করেছেন)
ঘোড়া,
খচ্চর
ও
গাধা,
তোমাদের
আরোহণ
ও
শোভার
জন্য
এবং
তিনি
সৃষ্টি
করেন
এমন
কিছু,
যা
তোমরা
জান
না।� [সূরা
আন-নাহাল,
আয়াত:
৮]
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3000 |
|
Hadith 59 الحديث
الأهمية: نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَمْشِيَ إلَى
بَيْتِ الله الْحَرَامِ حَافِيَةً، فَأَمَرَتْنِي أَنْ أَسْتَفْتِيَ لَهَا
رَسُولَ الله-صلى الله عليه وسلم- فَاسْتَفْتَيْتُهُ، فَقَالَ: لِتَمْشِ
وَلْتَرْكَبْ
থিম:
আমার
বোন
পায়ে
হেঁটে
হাজ্জ
করার
মানত
করেছিল।
আমাকে
এ
বিষয়ে
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
হতে
ফাতাওয়া
আনার
নির্দেশ
করলে
আমি
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-কে
বিষয়টি
সম্পর্কে
জিজ্ঞেস
করলাম।
তিনি
বললেন,
পায়ে
হেঁটেও
চলুক,
সাওয়ারও
হোক। |
عن عُقْبَة بْن عَامِرٍ -رضي الله عنه-
قال: �نَذَرَتْ أُخْتِي أَنْ تَمْشِيَ إلَى بَيْتِ الله الْحَرَامِ
حَافِيَةً، فَأَمَرَتْنِي أَنْ أَسْتَفْتِيَ لَهَا رَسُولَ الله-صلى الله
عليه وسلم- فَاسْتَفْتَيْتُهُ، فَقَالَ: لِتَمْشِ وَلْتَرْكَبْ�.
�উকবাহ
ইব্নু
�আমির
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
হতে
বর্ণিত।
তিনি
বলেন, �আমার
বোন
পায়ে
হেঁটে
হাজ্জ
করার
মানত
করেছিল।
আমাকে
এ
বিষয়ে
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
হতে
ফাতাওয়া
আনার
নির্দেশ
করলে
আমি
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-কে
বিষয়টি
সম্পর্কে
জিজ্ঞেস
করলাম।
তিনি
বললেন,
পায়ে
হেঁটেও
চলুক,
সাওয়ারও
হোক�।
Hadith Explanation بيان الحديث
مِنْ طَبِيعَةِ الإنسَان أنَّه
يَنْدَفِعُ أحياناً فَيُوجِبُ على نفسه مَا يَشُقُّ عليه، وقد جاء شَرْعُنا
بالاعتدَال، وعدمِ المشَقَّة عَلى النَّفس في العِبادة حتى تَسْتَمِر، وفي
هذا الحدِيثِ طلبت أخت عقبة بن عامر منه، أن يسأل رسول الله -صلى الله عليه
وسلم- أنها نذرت أن تذهب إلى البيت الحرام ماشية حافية، فرَأَى النَّبي
-صلى الله عليه وسلم- أنَّ هذه المرأة تُطِيقُ شَيئاً مِن المشي، فَأمَرَها
أَنْ تَمشِي مَا أَطَاقَت المشي، وأَنْ تَرْكَبَ إذا عَجَزَت عَن المشي.
মানুষের
স্বভাব
হলো
কখনো
কখনো
সে
আবেগ
প্রবণ
হয়ে
তার
নিজের
ওপর
এমন
কিছু
ওয়াজিব
করে
যা
তার
ওপর
কষ্টকর
হয়,
অথচ
আমাদের
শরী�আত
এসেছে
মধ্যমপন্থা
ও
ইবাদত
করতে
গিয়ে
আত্মাকে
কষ্ট
না
দেওয়ার
নীতি
নিয়ে
যেন
তা (কিয়ামত
পর্যন্ত)
অব্যাহত
থাকে।
এ
হাদীসটিতে
উকবা
ইবন
আমেরের
বোন
তার
কাছে
চাইল,
সে
যেন
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে
জিজ্ঞাসা
করে
যে,
তিনি
বাইতুল্লায়
খালি
পায়ে
হেঁটে
যাওয়ার
মান্নত
করেছে।
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
দেখলেন
এ
মহিলা
কিছু
পথ
হাঁটতে
পারবে।
তাই
তিনি
তাকে
যতক্ষণ
হাঁটতে
সক্ষম
ততক্ষণ
হাঁটা
এবং
যখন
অক্ষম
হবে
তখন
সাওয়ার
হওয়ার
নির্দেশ
দিলেন।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3001 |
|
Hadith 60 الحديث
الأهمية: نَهَى رَسُولُ الله عَنْ لُبْسِ
الْحَرِيرِ إلاَّ مَوْضِعَ أُصْبُعَيْنِ، أَوْ ثَلاثٍ، أَوْ أَرْبَعٍ
থিম:
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
রেশমী
পোশাক
পরিধান
করতে
নিষেধ
করেছেন;
তবে
দুই,
তিন
কিংবা
চার
অঙ্গুলি
পরিমাণ
ছাড়া। |
عن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- أَنَّ
رَسُولَ الله -صلى الله عليه وسلم- �نهى عن لُبُوسِ الحَرِيرِ إلا هكذا،
ورَفَعَ لنا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أُصْبُعَيْهِ: السَّبَّابَةَ،
والوُسْطَى�.
ولمسلم
�نهى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن لُبْس ِالحَرِيرِ إلا مَوْضِعَ
أُصْبُعَيْنِ، أو ثلاثٍ، أو أربعٍ�.
উমার
ইবনুল
খাত্তাব
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
থেকে
বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
রেশমী
পোশাক
পরিধান
করতে
নিষেধ
করেছেন,
তবে
এতটুকুই
ছাড়া। (বর্ণনাকারী
বলেন)
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
আমাদের
সামনে
তাঁর
মধ্যমা
ও
শাহাদাত
অঙ্গুলি
উঠান।
মুসলিমের
বর্ণনায়
এসেছে, �রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
রেশমী
পোশাক
পরিধান
করতে
নিষেধ
করেছেন,
তবে
দুই,
তিন
কিংবা
চার
অঙ্গুলি
পরিমাণ।�
Hadith Explanation بيان الحديث
أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- نهى
الذكور عن لبس الحرير إلا ما استثني، والمستثنى في الحديث المتفق عليه
أصبعين، وفي رواية مسلم أو ثلاث أو أربع، فيؤخذ بالأكثر؛ فلا بأس من مقدار
أربعة أصابع من الحرير في اللباس.
নবী
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
পুরুষকে
রেশমী
পোশাক
পরিধান
করতে
নিষেধ
করেছেন।
তবে
যেটুকু
তিনি
বাদ
দিয়েছেন।
মুত্তাফাকুন
আলাইহি
হাদীসে
বাদ
দেওয়ার
পরিমাণ
দুই
আঙ্গুল
পরিমাণ।
সহীহ
মুসলিমের
বর্ণনায়
তিন
কিংবা
চার
অঙ্গুলি
পরিমাণ।
সুতরাং
সর্বাধিক
পরিমাণ
গ্রহণ
করা
হবে,
তাই
চার
আঙ্গুল
পরিমাণ
রেশমী
কাপড়
পরিধান
করলে
কোনো
দোষ
নেই।
দেখুন
তা�সীসুল
আহকাম।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3002 |
|
Hadith 61 الحديث
الأهمية: أن النبيَّ -صلى الله عليه وسلم- نَهَى
عن لُحُومِ الْحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ، وأذن في لحوم الخيل
থিম:
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
গৃহপালিত
গাধার
গোস্ত
খেতে
নিষেধ
করেছেন
এবং
ঘোড়ার
গোস্ত
খাওয়ার
অনুমতি
প্রদান
করেছেন। |
عن جابر بن عبد الله -رضي الله عنهما-:
(أن النبي -صلى الله عليه وسلم- نهى عن لحوم الحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ،
وأَذِنَ في لحوم الخيل).
ولمسلم
وحده قال: (أكلنا زمن خيبر الخيل وحُمُرَ الوَحْشِ، ونهى النبي -صلى الله
عليه وسلم- عن الحمار الأَهْلِيِّ).
عن عبد
الله بن أبي أوفى -رضي الله عنه- قال: (أصابتنا مجاعة ليالي خيبر، فلما كان
يوم خيبر: وقعنا في الحُمُرِ الأَهْلِيَّةِ فانْتَحَرْنَاهَا، فلما غَلَتِ
بها القُدُورُ: نادى مُنَادِي رسول الله -صلى الله عليه وسلم- أن
أَكْفِئُوا القُدُورَ، وربما قال: ولا تأكلوا من لحوم الحُمُرِ شيئا).
عن أبي
ثعلبة -رضي الله عنه- قال: (حَرَّمَ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- لحوم
الحُمُر الأَهْلِيَّةِ).
থিম:
জাবের
ইবন
আব্দুল্লাহ
রাদিয়াল্লাহু
আনহুমা
থেকে
বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
গৃহপালিত
গাধার
গোস্ত
খেতে
নিষেধ
করেছেন
এবং
ঘোড়ার
গোস্ত
খাওয়ার
অনুমতি
প্রদান
করেছেন।
সহীহ
মুসলিমের
একক
বর্ণনায়
বর্ণিত:
আমরা
খাইবারের
বছর
জঙ্গলি
গাধা
ও
ঘোড়ার
গোস্ত
খেয়েছি।
আর
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
আমাদের
গৃহ
পালিত
গাধার
গোস্ত
খাওয়া
থেকে
নিষেধ
করেছেন।
আব্দুল্লাহ
ইবন
আবূ
আওফা
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
থেকে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন:
খাইবারের
রাতে
আমাদের
ক্ষুধা
পেল।
যখন
দিন
হলো
আমরা
গৃহ
পালিত
গাধার
ওপর
লুটে
পড়লাম।
যখন
পাতিলসমূহ
উতরানো
আরম্ভ
করল
তখন
রাসূলের
আহ্বানকারী
বলল,
তোমরা
পাতিলসমূহ
উল্টে
ফেল।
হয়তো
বা
বলল,
তোমরা
গাধার
গোস্ত
থেকে
কিছুই
ভক্ষণ
করো
না।
সা�লাবা
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
থেকে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন,
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
গৃহপালিত
গাধার
গোস্ত
নিষিদ্ধ
করেন।
Hadith Explanation بيان الحديث
يُخبرُ جابرُ بنُ عبدالله -رضي الله
عنهما- أن النبي -صلى الله عليه وسلم- نهَى عن لحُومِ الحُمُرِ الأهْلِيةِ،
أي: نَهَى عَنْ أَكْلِهَا، وَأَنَّه أبَاحَ وأَذِنَ في لُحُومِ الْخَيلِ
والْحِمَارِ الوَحْشِي، ويُخبر عبدالله بن أبي أوفى -رضي الله عنهما-
بأنَّهم حَصَلَتْ لهم مَجَاعَةٌ في لَيَالي مَوْقِعَةِ خَيْبَر، ولما
فُتِحَت انْتَحَرُوا مِنْ حُمُرِها، وأَخَذُوا مِنْ لَحْمِها وطَبَخُوهُ،
ولما طَبَخُوه أَمَرَهُم النبي -صلى الله عليه وسلم- بكفْئ ِالقدورِ أي
قلبها، وعَدَمِ الأَكل من ذلك اللحم.
জাবের
ইবন
আব্দুল্লাহ
রাদিয়াল্লাহু
আনহুমা
সংবাদ
দেন
যে,
গৃহপালিত
গাধার
গোস্ত
খেতে
নিষেধ
করেছেন
এবং
তিনি
ঘোড়া
ও
গাধার
গোস্ত
খাওয়ার
অনুমতি
প্রদান
করেছেন।
আর
আব্দুল্লাহ
ইবন
আবূ
আওফা
রাদিয়াল্লাহু
আনহুমা
সংবাদ
দেন
যে,
খাইবারে
ঘটনার
রাতে
তাদের
ক্ষুধা
পেয়েছিল।
যখন
খাইবার
জয়
হলো,
তারা
তার
গাধা
যবেহ
করলেন
এবং
তার
গোস্ত
নিলেন
এবং
রান্না
করা
আরম্ভ
করলেন।
তারপর
যখন
তারা
তা
রান্না
করা
শেষ
করলেন,
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তাদের
পাতিলসমূহ
উল্টে
ফেলা
এবং
এ
গোস্ত
থেকে
কোন
কিছু
না
খাওয়ার
নির্দেশ
দিলেন।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
মুসলিম
বর্ণনা
করেছেন। -
মুত্তাফাকুন
�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3003 |
|
Hadith 62 الحديث
الأهمية: يا عبدَ الرحمَنِ بْنَ سَمُرَةَ، لا
تَسْأَلْ الإِمَارَةَ؛ فَإِنَّكَ إن أُعْطِيتَها عن مسأَلَةٍ وُكِّلْتَ
إليها
থিম:
হে
আব্দুর
রহমান
ইবন
সামুরাহ!
তুমি
সরকারী
পদ
চেয়ো
না।
কারণ
যদি
তুমি
তা
চাওয়ার
কারণে
পাও,
তাহলে
তার
প্রতি
তোমাকে
সঁপে
দেওয়া
হবে। |
عن عَبْد الرَّحْمَنِ بْن سَمُرَةَ -رضي
الله عنه- أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال له: �يا عبد الرحمن بن
سَمُرَة، لا تَسْأَلِ الإِمَارَةَ؛ فإنك إن أُعْطِيتَها عن مَسْأَلَةٍ
وُكِلْتَ إليها، وإن أُعْطِيتَهَا عن غير مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عليها، وإذا
حَلَفْتَ على يمينٍ فرأيتَ غيرها خيرًا منها، فَكَفِّرْ عن يمينك، وَأْتِ
الذي هو خير�.
আব্দুর
রহমান
ইবনে
সামুরাহ
�রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু�
বলেন,
রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
আমাকে
বললেন, �হে
আব্দুর
রহমান
ইবন
সামুরাহ!
তুমি
সরকারী
পদ
চেয়ো
না।
কারণ
যদি
তুমি
তা
চাওয়ার
কারণে
পাও,
তাহলে
তার
প্রতি
তোমাকে
সঁপে
দেওয়া
হবে। (এবং
তাতে
আল্লাহর
সাহায্য
পাবে
না।)
আর
যদি
তা
তোমাকে
চাওয়া
ব্যতিরেকে
দেওয়া
হয়
তাহলে
তাতে
তোমাকে
সাহায্য
করা
হবে।
আর
যখন
তুমি
কোন
কসম
খাবে,
অতঃপর
তা
থেকে
অন্য
কাজ
উত্তম
মনে
করবে,
তখন
উত্তম
কাজটা
কর
এবং
তোমার
কসমের
কাফ্ফারা
দিয়ে
দাও�।
Hadith Explanation بيان الحديث
نهى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- عن
سؤال الإمارة؛ لأنَّ مَن أعطيها عن مسألةٍ خُذِلَ وتُرِكَ لِرَغْبَتِه في
الدنيا وتفضيلها على الآخرة، وأن من أُعْطِيَها عَنْ غَيْرِ مسألةٍ أعانَهُ
اللهُ علَيها، وأنَّ الحَلف على شيء لا يكون مانعًا عن الخير، فإن رأى
الحالفُ الخيرَ في غيرِ الحلف فلَه التَّخَلُص من الحلف بالكفارة ثم يأت
الخير.
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
সরকারী
পদ
চেয়ে
নেওয়া
থেকে
নিষেধ
করেছেন।
কারণ,
যাকে
পদ
চাওয়ার
কারণে
তা
দেওয়া
হয়,
লাঞ্চিত
হয়
এবং
দুনিয়ার
প্রতি
আগ্রহী
হওয়া
এবং
আখিরাতের
ওপর
তাকে
প্রাধান্য
দেওয়ার
কারণে
তাকে
ছেড়ে
দেওয়া
হয়।
আর
যদি
না
চাওয়া
সত্বেও
তা
দেওয়া
হয়
আল্লাহ
তার
ওপর
তাকে
সাহায্য
করেন।
কোন
কিছুর
ওপর
সপথ
করা
কোনো
কল্যাণকর
কাজের
জন্য
বাধা
হবে
না।
যদি
কোন
ব্যক্তি
সপথ
ভিন্ন
অন্য
কিছুতে
কল্যাণ
দেখে,
তখন
সে
কাফফারা
আদায়ের
মাধ্যমে
সপথ
থেকে
রেহাই
নিবে
এবং
কল্যাণকর
কাজটি
করবে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3004 |
|
Hadith 63 الحديث
الأهمية: ألا أُخْبِرُكُم عن النَّفَرِ الثلاثة:
أما أحدهم فأَوَى إلى الله فآوَاهُ الله إليه، وأما الآخر فاسْتَحْيا
فاسْتَحْيَا الله منه، وأما الآخر، فأعْرَضَ، فأعرضَ اللهُ عنه
থিম:
আমি
কি
তোমাদেরকে
তিন
ব্যক্তি
সম্পর্কে
সংবাদ
দেব
?
তাদের
একজন
আল্লাহর
দিকে
এগিয়ে
এসেছে,
তাই
আল্লাহ
তাকে
স্থান
দিয়েছেন।
অন্যজন (ভীড়
ঠেলে
অগ্রসর
হতে
অথবা
ফিরে
যেতে)
লজ্জাবোধ
করেছেন।
তাই
আল্লাহও
তার
থেকে
লজ্জাবোধ
করেছেন
অর্থাৎ
আল্লাহ
তাকে
রহমত
থেকে
বঞ্চিত
করতে
লজ্জাবোধ
করেছেন।
আর
অপরজন (মজলিসে
হাজির
হওয়া
থেকে)
মুখ
ফিরিয়ে
নিয়েছে,
তাই
আল্লাহও
তার
থেকে
মুখ
ফিরিয়ে
নিয়েছেন। |
عن أبي واقد الحارث بن عوف -رضي الله
عنه- أنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- بينما هو جالس في المسجد، والناس
معه، إذ أقبل ثلاثَةُ نَفَرٍ، فأقبل اثنان إلى رسول الله، -صلى الله عليه
وسلم- وذهب واحد، فوقفا على رسول الله -صلى الله عليه وسلم-، فأما أحدهما
فرأى فُرْجَةً في الْحَلْقَةِ فجلس فيها، وأما الآخر فجلس خلفهم، وأما
الثالث فأدْبَر ذاهبٍا، فلما فرغ رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: �ألا
أُخْبِرُكُم عن النَّفَرِ الثلاثة: أما أحدهم فأَوَى إلى الله فآوَاهُ الله
إليه، وأما الآخر فاسْتَحْيا فاسْتَحْيَا الله منه، وأما الآخر، فأعْرَضَ،
فأعرضَ اللهُ عنه�.
আবূ
ওয়াক্বেদ
হারেস
ইবনে
আওফ
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
হতে
বর্ণিত,
একদা
আল্লাহর
রসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
মসজিদে
বসেছিলেন
এবং
তাঁর
সঙ্গে
কিছু
লোকও
ছিল।
ইতোমধ্যে
তিনজন
লোক
আগমন
করল।
তাদের
মধ্যে
দু�জন
আল্লাহর
রসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
সামনে
উপস্থিত
হল
এবং
একজন
চলে
গেল।
নবাগত
দু�জন
ব্যক্তি
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
পাশে
দাঁড়িয়ে
রইল।
তাদের
একজন
সভার
মধ্যে
ফাঁক
দেখে
সেখানে
বসে
পড়ল।
আর
অপরজন
সভার
পিছনে
বসে
গেল।
আর
তৃতীয়
ব্যক্তি
পিঠ
ঘুরিয়ে
প্রস্থান
করল।
যখন
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
অবসর
পেলেন,
তখন
বললেন, ��তোমাদেরকে
তিন
ব্যক্তি
সম্পর্কে
বলব
না
কি?
তাদের
একজন
তো
আল্লাহর
কাছে
আশ্রয়
গ্রহণ
করল,
ফলে
আল্লাহ
তাকে
আশ্রয়
দান
করলেন।
আর
দ্বিতীয়জন
সে [সভার
মধ্যে
ঢুকে
বসতে]
লজ্জাবোধ
করল,
বিধায়
আল্লাহও
তাঁর
ব্যাপারে
লজ্জাশীলতা
প্রয়োগ [করে
তাকে
রহম]
করলেন।
আর
তৃতীয়-জন
মুখ
ফিরিয়ে
নিলো,
বিধায়
আল্লাহও
তার
দিক
থেকে
বিমুখ
হয়ে
গেলেন।��
Hadith Explanation بيان الحديث
في الحديث أنَّ رسول الله -صلى الله
عليه وسلم- كان جالسا في المسجد، والناس معه، إذ أقبل ثلاثَةُ رجال، فأقبل
اثنان إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- وذهب واحد؛ فوقفا عند حلقة رسول
الله -صلى الله عليه وسلم-، فأما أحدهما فرأى مكاناً فارغاً في الْحَلْقَةِ
فجلس فيها، والحلقة رجال جالسون على شكل دائرة أمام النبي -صلى الله عليه
وسلم- وأما الآخر فجلس خلفهم، وأما الثالث فرجع وانصرف، فلما فرغ وانتهى
رسول الله -صلى الله عليه وسلم- من حديثه الذي كان فيه، قال للصحابة ألا
أُخْبِرُكُم عن الرجال الثلاثة: أما أحدهم فأَوَى إلى الله فآوَاهُ الله
إليه أي جلس في المكان الفارغ يستمع ذكر الله فأكرمه الله بفضيلة ذلك
المجلس المبارك، وأما الآخر فاسْتَحْيا فاسْتَحْيَا الله منه أي امتنع من
المزاحمة؛ فجلس خلف الحلقة فلم يُمنع من بركة المجلس، وأما الآخر فأعْرَضَ،
فأعرضَ اللهُ عنه أي ذهب بلا عذر فمُنع بركة المجلس.
এ
হাদীসে
লক্ষ্য
করলে
দেখা
যায়
যে,
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু �আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
লোকজন
নিয়ে
মসজিদে
বসেছিলেন।
ইতিমধ্যে
তিনজন
লোক
আসলেন।
তন্মধ্যে
দুজন
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
দিকে
এগিয়ে
এলেন
এবং
একজন
চলে
গেলেন।
তারা
দুজন
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
হালকায়
কিছুক্ষণ
দাঁড়িয়ে
রইলেন।
এরপর
তাদের
একজন
হালকার
মধ্যে
কিছুটা
জায়গা
দেখে
সেখানে
বসে
পড়লেন।
আর
হালকা
হলো
নবী
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
সামনে
লোকজনের
গোলাকার
হয়ে
বসা।
অন্যজন
তাদের
পেছনে
বসলেন।
আর
তৃতীয়
ব্যক্তি
ফিরে
গেল।
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
আলোচনা
শেষে
সাহাবীগণকে
লক্ষ্য
করে
বললেন, �আমি
কি
তোমাদেরকে
তিন
ব্যক্তি
সম্পর্কে
সংবাদ
দেব?
তাদের
একজন
আল্লাহর
দিকে
এগিয়ে
এসেছে,
তাই
আল্লাহ
তাকে
স্থান
দিয়েছেন।
অর্থাৎ
সে
আল্লাহর
বাণী
শুনতে
খালি
জায়গায়
বসেছেন।
ফলে
এ
বরকমতময়
মজলিশের
ফযীলত
দ্বারা
আল্লাহ
তাকে
মর্যাদাবান
করেছেন।
অন্যজন
লজ্জাবোধ
করেছেন।
তাই
আল্লাহও
তার
থেকে
লজ্জাবোধ
করেছেন
অর্থাৎ
সে
ভীড়
ঠেলে
অগ্রসর
হতে
লজ্জাবোধ
করেছেন,
তাই
সে
হালকার
পিছনে
বসেছেন।
ফলে
সে
মজলিশের
বরকত
থেকে
বঞ্চিত
হয়
নি।
আর
অপরজন (মজলিসে
হাজির
হওয়া
থেকে)
মুখ
ফিরিয়ে
নিয়েছে,
তাই
আল্লাহও
তার
থেকে
মুখ
ফিরিয়ে
নিয়েছেন।
অর্থাৎ
সে
বিনা
ওযরে
মজলিশে
না
বসে
চলে
গেছে,
ফলে
সে
মজলিশের
বরকত
থেকে
বঞ্চিত
হয়েছে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3005 |
|
Hadith 64 الحديث
الأهمية: قال قل: اللهم فاطِرَ السماوات والأرض
عالم الغيبِ والشهادة؛ ربَّ كُلِّ شَيءٍ ومَلِيكَه، أَشْهد أن لا إله إلا
أنت، أعوذ بك من شرِّ نفسي وشرِّ الشيطان وشِرْكِهِ
থিম:
তিনি
বলেন, �বল,
হে
আকাশমণ্ডলী
ও
পৃথিবীর
সৃজনকর্তা,
উপস্থিত
ও
অনুপস্থিত
পরিজ্ঞাতা,
প্রত্যেক
বস্তুর
প্রতিপালক
ও
অধিপতি
আল্লাহ!
আমি
সাক্ষ্য
দিচ্ছি
যে,
তুমি
ব্যতীত
কোন
সত্য
উপাস্য
নেই।
আমি
আমার
আত্মার
মন্দ
হতে
এবং
শয়তানের
মন্দ
ও
শির্ক
হতে
তোমার
নিকট
আশ্রয়
প্রার্থনা
করছি। |
عن أبي هريرة -رضي الله عنه- أن أبا بكر
الصديق -رضي الله عنه- قال: يا رسول الله مُرني بكلمات أقُولُهُنَّ إذا
أصبَحتُ وإذا أمسَيتُ، قال: �قل: اللهم فاطِرَ السماوات والأرض عالم الغيبِ
والشهادة، ربَّ كُلِّ شَيءٍ ومَلِيكَه، أَشْهد أن لا إله إلا أنت، أعوذ بك
من شرِّ نفسي وشرِّ الشيطان وشِرْكِهِ وأن أقترف على نفسي سوءًا أو أجرُّه
إلى مسلم� قال: �قلها إذا أصبحت، وإذا أمسيت، وإذا أخذْتَ مَضْجَعَك�.
আবূ
হুরায়রা
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
হতে
বর্ণিত,
আবূ
বাকর
সিদ্দীক
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
বললেন, �হে
আল্লাহর
রাসূল!
আমাকে
কিছু
বাক্য
বাতলে
দিন,
যেগুলি
সকাল-সন্ধ্যায়
আমি
পড়তে
থাকব।�
তিনি
বললেন, �বল,
হে
আকাশমণ্ডলী
ও
পৃথিবীর
সৃজনকর্তা,
উপস্থিত
ও
অনুপস্থিত
পরিজ্ঞাতা,
প্রত্যেক
বস্তুর
প্রতিপালক
ও
অধিপতি
আল্লাহ!
আমি
সাক্ষ্য
দিচ্ছি
যে,
তুমি
ব্যতীত
কোন
সত্য
উপাস্য
নেই।
আমি
আমার
আত্মার
মন্দ
হতে
এবং
শয়তানের
মন্দ
ও
শির্ক
হতে
তোমার
নিকট
আশ্রয়
প্রার্থনা
করছি।
এটি
সকাল-সন্ধ্যা
ও
শোবার
সময়
পাঠ
করো।
Hadith Explanation بيان الحديث
هذا الذكر من الأذكار التي تقال في
الصباح والمساء، والذي علَّمها النبي -صلى الله عليه وسلم- أبا بكر -رضي
الله عنه- حيث قال: علمني.
فعلمه
النبي -صلى الله عليه وسلم- ذكرًا ودعاءً يدعو به كلما أصبح وكلما أمسى،
وأمره أن يقول: (اللهم فاطر السماوات والأرض) يعني: يا الله يا فاطر
السماوات والأرض وفاطرهما، يعني أنه خلقهما عز وجل على غير مثال سبق، بل
أبدعهما وأوجدهما من العدم على غير مثال سبق.
(عالم الغيب والشهادة) أي: عالم ما غاب
عن الخلق وما شاهدوه؛ لأن الله تعالى يعلم الحاضر والمستقبل والماضي.
(رب كل شيء ومليكه)، يعني: يا رب كل شيء
ومليكه، والله تعالى هو رب كل شيء وهو مليك كل شيء.
(أشهد أن لا إله إلا أنت): أعترف بلساني
وقلبي أنه لا معبود حق إلا أنت، فكل ما عبد من دون الله فإنه باطل لا حق له
في العبودية ولا حق في العبودية إلا لله وحده -عز وجل-.
قوله:
أ(عوذ بك من شر نفسي)؛ لأن النفس لها شرور كما قال -تعالى-: (وما أبرئ نفسي
إن النفس لأمارة بالسوء إلا ما رحم ربي)، فإذا لم يعصمك الله من شرور نفسك
فإنها تضرك وتأمرك بالسوء، ولكن الله إذا عصمك من شرها وفقك إلى كل خير.
وختم
النبي -عليه الصلاة والسلام- بقوله: (ومن شر الشيطان وشِرْكه) وفي لفظ
وشَرَكه، يعني: تسأل الله أن يعيذك من شر الشيطان ومن شر شِركه، أي: ما
يأمرك به من الشِّرك أو شَرَكه، والشَرَك: ما يصاد به الحوت والطير وما
أشبه ذلك؛ لأن الشيطان له شرَك يصطاد به بني آدم إما شهوات أو شبهات أو غير
ذلك، (وأن أقترف على نفسي سوءًا)، أي: أجر على نفسي سوءًا (أو أجره إلى
مسلم).
فهذا
الذكر أمر النبي -صلى الله عليه وسلم- أبا بكر أن يقوله إذا أصبح وإذا أمسى
وإذا أخذ مضجعه.
এ
যিকিরটি
হলো
সকাল-সন্ধ্যা
পাঠ
করার
যিকিরসমূহের
একটি
যিকির।
আর
এটি
এমন
একটি
যিকির
যেটিকে
রাসূলুল্লাহ
সা.
আবূ
বকরকে
শিখিয়েছেন।
তিনি
বলেন,
আমাকে
শেখান।
তখন
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তাকে
এমন
একটি
যিকির
ও
দো�আ
শিখিয়ে
দিলেন
যার
দ্বারা
সে
প্রত্যেক
সকাল
ও
বিকাল
দো�আ
করবেন।
তাকে
এ
বলতে
নির্দেশ
দেন
যে, �বল,
হে
আকাশমণ্ডলী
ও
পৃথিবীর
সৃজনকর্তা,
অর্থাৎ,
হে
আল্লাহ
আসমানসমূহ
ও
যমীনের
সৃষ্টি
কর্তা
অর্থাৎ,
তিনি
এ
দুটিকে
পূর্বে
অতিবাহিত
কোন
দৃষ্টান্ত
ছাড়া
সৃষ্টি
করেছেন
বরং
আবিষ্কার
করেছেন
এবং
অস্তিত্ব
দান
করেছেন
পূর্বের
কোন
দৃষ্টান্ত
ছাড়া।
উপস্থিত
ও
অনুপস্থিতর
পরিজ্ঞাতা,
অর্থাৎ
মাখলুক
থেকে
অনুপুস্থিত
এবং
তারা
যা
প্রত্যক্ষ
করে
তিনি
সবকিছুরই
পরিজ্ঞাতা।
কারণ,
আল্লাহ
বর্তমান
ভবিষ্যৎ
ও
অতীত
সবই
জানেন।
প্রত্যেক
বস্তুর
রব
ও
অধিপতি
আল্লাহ!
অর্থাৎ
হে
প্রতিটি
বস্তুর
রব
ও
অধিপতি।
আল্লাহ
তা�আলা
প্রতিটি
বস্তুর
রব
ও
প্রতিটি
বস্তুর
অধিপতি।
আমি
সাক্ষ্য
দিচ্ছি
যে,
তুমি
ব্যতীত
কোন
সত্য
উপাস্য
নেই।
আমি
আমার
মুখ
ও
অন্তর
দ্বারা
স্বীকার
করছি
যে,
তুমি
ছাড়া
আর
কোন
সত্যিকার
উপাস্য
নেই।
তোমাকে
বাদ
দিয়ে
যত
উপাস্যের
ইবাদত
করা
হয়
তা
বাতিল
তার
জন্য
উবুদিয়্যাতের
কোন
অধিকার
নেই
এবং
একক
আল্লাহ
ছাড়া
আর
কারো
জন্য
উবুদিয়্যাতের
কোন
হক
নেই।
তার
বাণী:
�আমি
আমার
আত্মার
মন্দ
হতে
তোমার
নিকট
আশ্রয়
চাচ্ছি�
কারণ,
আত্মার
জন্য
রয়েছে
খারাবীসমূহ।
যেমন,
আল্লাহ
তা�আলা
বলেন, �আমি
আমার
আত্মাকে
নির্দোষ
বলছি
না,
কারণ
আত্মা
অবশ্যই
খারাপ
কর্মের
প্রতি
আদেশকারী
তবে
যাকে
আমার
রব
অনুগ্রহ
করে�।
যখন
আল্লাহ
তোমাকে
তোমার
আত্মার
খারাবী
থেকে
রক্ষা
না
করবেন
তখন
তা
অবশ্যই
তোমার
ক্ষতি
করবে
এবং
তোমাকে
মন্দ
কাজের
আদেশ
দেবে।
কিন্তু
যখন
আল্লাহ
তার
অনিষ্ট
থেকে
তোমাকে
রক্ষা
করবেন
তোমাকে
যাবতীয়
কল্যাণের
তাওফীক
দান
করবেন।
আর
রাসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
এ
বলে
শেষ
করলেন
যে,
এবং
শয়তানের
মন্দ
ও
শির্ক
হতে
অর্থাৎ
তুমি
আল্লাহর
নিকট
চাইবে
যে,
তিনি
যেন
তোমাকে
শয়তানের
অনিষ্ট
হতে
সাহায্য
করে
এবং
তার
শির্কের
খারাবী
হতে
সাহায্য
করে।
অর্থাৎ
সে
তোমাকে
শির্ক
করার
যে
আদেশ
দেয়।
আর
শারাক
হলো
যা
দ্বারা
মাছ
ও
পাখি
শিকার
করা
হয়।
কারণ,
শয়তানের
রয়েছে
শারাক
যা
দ্বারা
সে
আদম
সন্তানদেরকে
শিকার
করে।
তোমার
নিকট
আশ্রয়
প্রার্থনা
করছি।
এটি
সকাল-সন্ধ্যা
ও
শোবার
সময়
পাঠ
করো।
রাসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
এ
যিকিরটি
আবূ
বকরকে
বলতে
নির্দেশ
দিয়েছেন
যখন
সে
সকাল
করে,
বিকাল
করে
এবং
যখন
ঘুমাতে
যায়।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
তিরমিযী
বর্ণনা
করেছেন। -
এটি
নাসাঈ
বর্ণনা
করেছেন। -
এটি
আবূ
দাঊদ
বর্ণনা
করেছেন। -
এটি
আহমাদ
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3006 |
|
Hadith 65 الحديث
الأهمية: خرج معاوية -رضي الله عنه- على حَلْقَةٍ
في المسجد، فقال: ما أَجْلَسَكم؟ قالوا: جلسنا نذكر الله
থিম:
মু�আবিয়া
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
মসজিদে
একটি
হালকায়
আসলেন।
তখন
তিনি
জিজ্ঞাসা
করলেন,
কিসে
তোমাদের
এখানে
বসিয়েছে?
তারা
বলল,
আমরা
আল্লাহর
যিকির
করতে
বসেছি। |
عن أبي
سعيد الخدري �رضي الله عنه- قال: خرج معاوية -رضي الله عنه- على
حَلْقَةٍ في المسجد، فقال: ما أَجْلَسَكم؟ قالوا: جلسنا نذكر الله، قال:
آلله ما أجْلَسَكُم إلا ذاك؟ قالوا: ما أجلسنا إلا ذاك، قال: أما إنّي لم
استَحْلِفْكُم تُهْمَةً لكم، وما كان أحد بمنزلتي من رسول الله -صلى الله
عليه وسلم- أقَلَّ عنه حديثاً مِنِّي: إنَّ رسول الله -صلى الله عليه وسلم-
خَرَجَ على حَلْقَةٍ من أصحابه فقال: �ما أَجْلَسَكم؟� قالوا: جلسنا نذكر
الله ونَحْمَدُهُ على ما هَدَانا للإسلام؛ ومَنَّ بِهِ علينا، قال: �آلله
ما أجْلَسَكُم إلا ذاك؟� قالوا: والله ما أجلسنا إلا ذاك، قال: �أما إنّي
لم أستحلفكم تُهْمَةً لكم، ولكنه أتاني جبريل فأخبرني أن الله يُبَاهِي بكم
الملائكة�.
আবূ
সাঈদ
খুদরী
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
হতে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন,
মুআবিয়াহ
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
একবার
মসজিদে [কিছু
লোকের]
এক
হালকায় [গোল
বৈঠকে]
এসে
বললেন, �তোমরা
এখানে
কি
উদ্দেশ্যে
বসেছ?�
তারা
বলল, �আল্লাহর
যিকির
করার
উদ্দেশ্যে
বসেছি।�
তিনি
বললেন, �আল্লাহর
কসম!
তোমরা
একমাত্র
ঐ
উদ্দেশ্যেই
বসেছ?�
তারা
জবাব
দিল, �[হ্যাঁ,]
আমরা
একমাত্র
ঐ
উদ্দেশ্যেই
বসেছি।�
তিনি
বললেন, �শোন!
তোমাদেরকে [মিথ্যাবাদী]
অপবাদ
আরোপ
করে
কসম
করাইনি। [মনে
রাখবে]
কোন
ব্যক্তি
এমন
নেই,
যে
আল্লাহর
রসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
নিকট
আমার
সমমর্যাদা
লাভ
করেছে
এবং
আমার
থেকে
কম
হাদিস
বর্ণনা
করেছে।
নিঃসন্দেহে
আল্লাহর
রসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম [একবার]
স্বীয়
সহচরদের
এক
হালকায়
উপস্থিত
হয়ে
তাঁদেরকে
জিজ্ঞাসা
করলেন, ��তোমরা
এখানে
কি
উদ্দেশ্যে
বসেছ?��
তাঁরা
জবাব
দিলেন, �উদ্দেশ্য
এই
যে,
আমরা
আল্লাহর
যিকির
করব
এবং
তাঁর
প্রশংসা
করব
যে,
তিনি
আমাদেরকে
ইসলামের
পথ
দেখিয়েছেন
ও
তার
মাধ্যমে
আমাদের
প্রতি
বড়
অনুগ্রহ
করেছেন।�
এ
কথা
শুনে
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বললেন, ��আল্লাহর
কসম!
তোমরা
একমাত্র
এ
উদ্দেশ্যেই
এখানে
বসেছ?��
তাঁরা
বললেন, �আল্লাহর
কসম!
আমরা
কেবল
এ
উদ্দেশ্যেই
বসেছি।�
তিনি
বললেন, ��শোন!
আমি
তোমাদেরকে
এ
জন্য
কসম
করাইনি
যে,
আমি
তোমাদেরকে
মিথ্যাবাদী
ভেবে
অপবাদ
আরোপ
করছি।
কিন্তু
প্রকৃত
ব্যাপার
এই
যে,
জিবরীল
আমার
কাছে
এসে
বললেন, �আল্লাহ
তোমাদেরকে
নিয়ে
ফেরেশতাদের
সামনে
গর্ব
করছেন!��
Hadith Explanation بيان الحديث
هذا الحديث من الأحاديث التي تدل على
فضيلة الاجتماع على ذكر الله -عز وجل-، وهو ما رواه أبو سعيد الخدري عن
معاوية -رضي الله عنهما- أنه خرج على حلقة في المسجد فسألهم على أي شيء
اجتمعوا، فقالوا: نذكر الله، فاستحلفهم -رضي الله عنه- أنهم ما أرادوا
بجلوسهم واجتماعهم إلا الذكر، فحلفوا له، ثم قال لهم: إني لم أستحلفكم تهمة
لكم وشكًّا في صدقكم، ولكني رأيت النبي -صلى الله عليه وسلم- خرج على قوم
وذكر مثله، وأخبرهم أن الله -عز وجل- يباهي بهم الملائكة، فيقول مثلا:
انظروا إلى عبادي اجتمعوا على ذكري، وما أشبه ذلك، مما فيه المباهاة، ولكن
ليس هذا الاجتماع أن يجتمعوا على الذكر بصوت واحد، ولكن يذكرون أي شيء
يذكرهم بالله -تعالى- من موعظة وذكرى أو يتذكرون نعمة الله عليهم بما أنعم
عليهم من نعمة الإسلام وعافية البدن والأمن، وما أشبه ذلك، فإن ذكر نعمة
الله من ذكر الله -عز وجل-، فيكون في هذا دليل على فضل جلوس الناس
ليتذاكروا نعمة الله عليهم.
আল্লাহর
যিকিরের
উদ্দেশ্যে
একত্রিত
হওয়ার
ফযীলত
সম্পর্কে
যেসব
হাদীস
বর্ণিত
হয়েছে
সেগুলোর
মধ্যে
এ
হাদীসটি
অন্যতম।
আবূ
সা�ঈদ
আল-খুদরী
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
মু�আবিয়া
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
থেকে
হাদীসটি
বর্ণনা
করেছেন
যে,
তিনি
মসজিদে
একটি
হালকায়
বের
হলেন।
তখন
তিনি
তাদেরকে
জিজ্ঞেস
করলেন,
কি
কারণে
তারা
একত্র
হয়েছে?
তারা
বলল,
আমরা
আল্লাহর
যিকর
করতে
বসেছি।
তিনি
তাদেরকে
আল্লাহর
কসম
করে
বলতে
বললেন
যে,
তারা
আল্লাহর
যিকির
ব্যতীত
আর
কোন
উদ্দেশ্যে
এখানে
বসে
নি
ও
জড়ো
হয়নি।
তারা
কসম
করল।
অতঃপর
তিনি
তাদের
বললেন,
আমি
তোমাদের
অপবাদ
দেওয়া
বা
তোমাদের
সততার
ব্যাপারে
সন্দেহ
করে
তোমাদের
কসম
করতে
বলি
নি,
কিন্তু
আমি
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
<�আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে
দেখেছি
তিনি
সাহাবীদের
একটি
হালকায়
প্রবেশ
করলেন
এবং
তিনি
এ
রকমই
জিজ্ঞেস
করলেন (যেভাবে
আমি
তোমাদেরকে
জিজ্ঞেস
করেছি)
এবং
তিনি
তাদেরকে
সংবাদ
দিলেন
যে,
মহান
আল্লাহ
ফিরিশতাগণের
কাছে
তাদের
নিয়ে
গর্ববোধ
করেন।
যেমন
তিন
বলেন,
তোমরা
আমার
বান্দাগণকে
দেখো,
তারা
আমার
যিকির
করতে
একত্রিত
হয়েছে।
এ
ধরণের
আরো
কথা
যাতে
গর্বোবোধ
ও
অহংকারবোধ
রয়েছে।
তবে
আমরা
ইতিপূর্বে
উল্লেখ
করেছি
যে,
উক্ত
জমায়েত
হওয়া
সমস্বরে
একই
আওয়াজে
জোরে
জোরে
যিকির
করা
নয়।
তবে
তারা
আল্লাহর
যে
কোন
যিকির
করছিলো,
সদুপদেশ
ও
নসিহতের
মাধ্যমে
আল্লাহকে
স্মরণ
করছিলো
অথবা
আল্লাহ
তাদেরকে
ইসলামে
দীক্ষিত
করে
যে
নি�আমত
দান
করেছেন
সে
নি�আমতের
স্মরণ
করে,
শারীরিক
সুস্থতা
ও
নিরাপত্তার
নি�আমত
ইত্যাদি
স্মরণ
করে
পরস্পর
আল্লাহকে
স্মরণ
করছিলেন।
কেননা
আল্লাহর
নি�আমতের
স্মরণ
করা
মানে
মহান
আল্লাহকেই
স্মরণ
করা (অর্থাৎ
তার
জিকির
করা)।
সুতরাং
আল্লাহর
নি�আমতের
কথা
স্মরণ
করতে
লোকজন
একত্রিত
হওয়ার
ফযীলত
সম্পর্কে
এ
হাদীসে
দলীল
রয়েছে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
মুসলিম
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3007 |
|
Hadith 66 الحديث
الأهمية: كان نبي الله -صلى الله عليه وسلم- إذا
أمسى قال: أمسينا وأمسى الملك لله، والحمد لله، لا إله إلا الله وحده لا
شريك له
থিম:
আল্লাহর
নবী
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
অভ্যাস
ছিল:
সন্ধ্যায়
উপনীত
হলে
বলতেন: (অর্থ)
আমরা
ও
সারা
রাজ্য
আল্লাহর
জন্য
সন্ধ্যায়
উপনীত
হলাম।
সকল
প্রশংসা
আল্লাহর।
আল্লাহ
ছাড়া
কোন
সত্য
উপাস্য
নেই,
তিনি
এক,
তাঁর
কোন
শরীক
নেই। |
عن عبد الله بن مسعود-رضي الله عنه-
قال: كان نبي الله -صلى الله عليه وسلم- إذا أمسى قال: �أمسينا وأمسى الملك
لله، والحمد لله، لا إله إلا الله وحده لا شريك له� قال الراوي: أَرَاهُ
قال فِيهِنَّ: �له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير، ربِّ أسألك خير ما
في هذه الليلة وخير ما بعدها، وأعوذ بك من شر ما في هذه الليلة وشر ما
بعدها، رب أعوذ بك من الكسل، وسُوءِ الكِبَرِ، رب أعوذ بك من عذاب في
النار، وعذاب في القبر�، وإذا أصبح قال ذلك أيضا �أصبحنا وأصبح الملك لله�.
ইবনে
মাসঊদ
রাদয়িাল্লাহু
<�আনহু
হতে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন,
আল্লাহর
নবী
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
অভ্যাস
ছিল:
সন্ধ্যায়
উপনীত
হলে
বলতেন: (অর্থ)
�আমরা
ও
সারা
রাজ্য
আল্লাহর
জন্য
সন্ধ্যায়
উপনীত
হলাম।
সকল
প্রশংসা
আল্লাহর।
আল্লাহ
ছাড়া
কোন
সত্য
উপাস্য
নেই,
তিনি
এক,
তাঁর
কোন
শরীক
নেই�।
বর্ণনাকার
বলেন,
আমার
মনে
হয়
এর
সাথে
তিনি
আরো
বলেছেন:
�তাঁরই
জন্য
সমস্ত
রাজত্ব,
তাঁরই
জন্য
যাবতীয়
প্রশংসা
এবং
তিনি
সকল
বস্তুর
উপর
সর্ব
শক্তিমান।
হে
আমার
রব!
আমি
তোমার
নিকট
এই
রাতে
যে
কল্যাণ
নিহিত
আছে
তা
এবং
তার
পরে
যে
কল্যাণ
আছে
তাও
প্রার্থনা
করছি।
আর
আমি
তোমার
নিকট
এই
রাত্রে
যে
অকল্যাণ
আছে
তা
এবং
তারপরেও
যে
অকল্যাণ
আছে
তা
হতে
আশ্রয়
চাচ্ছি।
হে
আমার
রব!
আমি
তোমার
নিকট
অলসতা
এবং
বার্ধক্যের
মন্দ
হতে
পানাহ
চাচ্ছি।
হে
আমার
রব!
আমি
তোমার
নিকট
জাহান্নামের
এবং
কবরের
সকল
প্রকার
আযাব
হতে
আশ্রয়
চাচ্ছি।
তিনি
যখন
সকালে
উঠতেন
তখনও
এই
দু�আ
পাঠ
করতেন;
বলতেন
�আসবাহনা
ও
আসবাহাল
মুলকু
লিল্লাহ------ ।
Hadith Explanation بيان الحديث
كان من هديه -عليه الصلاة والسلام- عند
دخول الصباح والمساء أن يقول هذه الأدعية المباركة، فقوله: (أمسينا وأمسى
الملك لله) أي :دخلنا في المساء ودام الملك فيه لله مختصًا به، (والحمد
لله) أي: جميع الحمد لله، أي: أمسينا وعرفنا فيه أن الملك لله وأن الحمد
لله لا لغيره، (ولا إله إلا الله) أي: منفردًا بالألوهية.
قوله: (رب
أسألك من خير هذه الليلة) أي ذاتها وعينها (وخير ما فيها) أي: من خير ما
ينشأ ويقع ويحدث فيها وخير ما يسكن فيها، (وأعوذ بك من شرها وشر ما فيها)
أي من الليالي وما فيها من شر يلحق الدين والدنيا.
(اللهم إني أعوذ بك من الكَسَل) أي
التثاقل في الطاعة مع الاستطاعة، ويكون ذلك لعدم انبعاث النفس للخير مع
ظهور الاستطاعة.
(وسوء الكِبَر) بمعنى الهرم والخرف وكبر
السن المؤدي إلى تساقط بعض القوى وضعفها وهو الرد إلى أرذل العمر؛ لأنه
يفوت فيه المقصود بالحياة من العلم والعمل، لما يورثه كبر السن من ذهاب
العقل، واختلاط الرأي والتخبط فيه، والقصور عن القيام بالطاعة وغير ذلك مما
يسوء الحال، وروي بإسكان الباء بمعنى البطر أي الطغيان عند النعمة والتعاظم
على الناس، (وعذاب القبر) أي من نفس عذابه أو مما يوجبه.
(وإذا أصبح) أي دخل -صلى الله عليه
وسلم- في الصباح (قال ذلك) أي: ما يقول في المساء (أيضًا) أي لكن يقول بدل
"أمسينا وأمسى الملك لله" (أصبحنا وأصبح الملك لله) ويبدل اليوم بالليلة
فيقول: اللهم إني أسالك من خير هذا اليوم، ويذكر الضمائر بعده.
সকাল
সন্ধ্যায়
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
আদর্শ
ছিল,
এ
সব
বরকতপূর্ণ
দো�আ
পড়া।
তার
বাণী (আমরা
এবং
সারা
রাজ্য
আল্লাহর
জন্য
সন্ধ্যায়
উপনীত
হলাম।)
অর্থাৎ,
আমরা
সন্ধ্যায়
প্রবেশ
করলাম।
সন্ধ্যার
রাজ্য
আল্লাহর
জন্যই
এবং
তার
সাথেই
খাস। (আর
সমস্ত
প্রশংসা
আল্লাহর),
আমরা
এবং
যাবতীয়
প্রশংসা
তার
জন্য।
অর্থাৎ,
আমরা
জানলাম
যে,
রাজ্য
কেবল
আল্লাহর
আর
প্রশংসা
কেবল
আল্লাহর।
তিনি
ছাড়া
আর
কারো
জন্য
নয়। (আল্লাহ
ছাড়া
কোন
সত্য
উপাস্য
নেই,)
ইলাহ
হিসেবে
তিনি
একক।
তার
বাণী: (হে
আমার
রব!
আমি
তোমার
নিকট
প্রার্থনা
করি
এই
রাতের
কল্যাণ)
অর্থাৎ
স্বয়ং
রাতের (এবং
যে
কল্যাণ
নিহিত
আছে
তাতে)
অর্থাৎ
এই
রাতে
যে
কল্যাণ
সৃষ্টি
করা
হয়
ও
নাযিল
হয়
এবং
রাতে
বসবাসকারীর
কল্যাণ। (এবং
আমি
তোমার
নিকট
এই
রাত্রে
যে
অকল্যাণ
আছে
তা
এবং
তারপরেও
যে
অকল্যাণ
আছে
তা
হতে
আশ্রয়
চাচ্ছি।)
অর্থাৎ,
দীন
ও
দুনিয়ার
সাথে
সম্পৃক্ত
রাতসমূহের
যাবতীয়
অনিষ্ট
থেকে। (হে
আমার
রব!
আমি
তোমার
নিকট
আশ্রয়
চাচ্ছি
অলসতা
থেকে)
অর্থাৎ,
সক্ষম
হওয়া
সত্বেও
আনুগত্যে
অলসতা
করা।
আর
এটি
সাধারণত
হয়ে
থাকে
সক্ষমতা
থাকা
সত্বেও
আত্মা
ভালো
কর্মের
প্রতি
তৎপর
না
হওয়ার
কারণে। (এবং
বার্ধক্যের
মন্দ
হতে
পানাহ
চাচ্ছি।)
বার্ধক্য
যাতে
মানুষ
শক্তি
হারা
হয়
এবং
দূর্বল
হয়।
আর
তার
অর্থ
নিকৃষ্ট
বয়সে
ফিরে
যাওয়া।
কারণ,
তখন
জীবনের
মুল
লক্ষ্য
ইলম
ও
আমল
ছুটে
যায়। (হে
আমার
রব!
আমি
তোমার
নিকট
জাহান্নামরে
এবং
কবরের
সকল
প্রকার
আযাব
হতে
আশ্রয়
চাচ্ছি।)
সরাসরি
আযাব
থেকে।
অথবা
যা
আযাবকে
অবধারিত
করে। (তিনি
যখন
সকালে
উঠতেন)
অর্থাৎ,
সকালে
প্রবেশ
করতেন। (তখনও
এই
দু�আ
পাঠ
করতেন)
অর্থাৎ,
সন্ধ্যায়
যা
বলতেন।
তবে
তিনি
আমসাইনার
যায়গায়
বলতেন
�আসবাহনা
ও
আসবাহাল
মুলকু
লিল্লাহ
আর
আল-লাইলাই
এর
জায়গায়
আল-ইয়াওম
বলতেন------ ।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
মুসলিম
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3008 |
|
Hadith 67 الحديث
الأهمية: بينما الناس بقباء في صلاة الصبح إذ
جاءهم آت، فقال: إن النبي -صلى الله عليه وسلم- قد أنزل عليه الليلة قرآن،
وقد أمر أن يستقبل القبلة، فاستقبلوها
থিম:
একদা
লোকেরা
কুবা
নামক
স্থানে
ফজরের
সালাত
আদায়
করছিলেন।
এমন
সময়
তাদের
নিকট
এক
ব্যক্তি
এসে
বললেন
যে,
এ
রাতে
আল্লাহর
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
প্রতি
ওয়াহী
অবতীর্ণ
হয়েছে।
আর
তাঁকে
কা�বামুখী
হবার
নির্দেশ
দেয়া
হয়েছে।
কাজেই
তোমারা
কা�বার
দিকে
মুখ
কর। |
عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما-
قال: �بَينَمَا النَّاس بِقُبَاء في صَلاَة الصُّبحِ إِذْ جَاءَهُم آتٍ،
فقال: إِنَّ النبِيَّ -صلى الله عليه وسلم- قد أُنزِل عليه اللَّيلةّ قرآن،
وقد أُمِرَ أن يَستَقبِل القِبْلَة، فَاسْتَقْبِلُوهَا، وكانت وُجُوهُهُم
إلى الشَّام، فَاسْتَدَارُوا إِلى الكَّعبَة�.
�একদা
লোকেরা
কুবা
নামক
স্থানে
ফজরের
সালাত
আদায়
করছিলেন।
এমন
সময়
তাদের
নিকট
এক
ব্যক্তি
এসে
বললেন
যে,
এ
রাতে
আল্লাহর
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
প্রতি
ওয়াহী
অবতীর্ণ
হয়েছে।
আর
তাঁকে
কা�বামুখী
হবার
নির্দেশ
দেয়া
হয়েছে।
কাজেই
তোমারা
কা�বার
দিকে
মুখ
কর।
তখন
তাঁদের
চেহারা
ছিল
শামের (বায়তুল
মুকাদ্দাসের)
দিকে।
একথা
শুনে
তাঁরা
কা�বার
দিকে
মুখ
ফিরিয়ে
নিলেন।
Hadith Explanation بيان الحديث
خرج أحد الصحابة إلى مسجد قباء بظاهر
المدينة، فوجد أهله لم يبلغهم نسخ القبلة، ولا زالوا يصلون إلى القبلة
الأولى، فأخبرهم بصرف القبلة إلى الكعبة، وأنَّ النبي -صلى الله عليه وسلم-
قد أُنزل عليه قرآن في ذلك -يشير إلى قوله تعالى:{ قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ
وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ
وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا
وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ
أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا
يَعْمَلُونَ}، [البقرة: 144] وأنه -صلى الله عليه وسلم- استقبل الكعبة، فمن
فقههم وسرعة فهمهم وصحته استداروا عن جهة بيت المقدس -قبلتهم الأولى- إلى
قبلتهم الثانية، الكعبة المشرفة.
কোন
এক
সাহাবী
মদীনার
প্রান্তে
কুবা
মসজিদে
গেল।
তখন
তিনি
দেখতে
পেলেন
যে
তাদের
নিকট
কিবলা
পরিবর্তনের
সংবাদ
পৌঁছেনি।
তারা
প্রথম
কিবলার
দিকেই
সালাত
আদায়
করছে।
তখন
তিনি
তাদের
কা�বার
দিকে
কিবলা
পরিবর্তন
হওয়ার
সংবাদ
দিলেন।
আর
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
ওপর
এ
বিষয়ে
কুরআন
নাযিল
করা
হয়েছে।
তিনি
ইঙ্গিত
করছেন
আল্লাহর
নিম্নের
বাণীর
প্রতি :
�আকাশের
দিকে
তোমার
বার
বার
মুখ
ফিরানো
আমি
অবশ্যই
দেখছি।
অতএব
আমি
অবশ্যই
তোমাকে
এমন
কিবলার
দিকে
ফিরাব,
যা
তুমি
পছন্দ
কর।
সুতরাং
তোমার
চেহারা
মাসজিদুল
হারামের
দিকে
ফিরাও
এবং
তোমরা
যেখানেই
থাক,
তার
দিকেই
তোমাদের
চেহারা
ফিরাও।
আর
নিশ্চয়
যারা
কিতাবপ্রাপ্ত
হয়েছে,
তারা
অবশ্যই
জানে
যে,
তা
তাদের
রবের
পক্ষ
থেকে
সত্য
এবং
তারা
যা
করে,
সে
ব্যাপারে
আল্লাহ
গাফিল
নন�। [আল-বাকারা:
১৪৪]
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামও
কা�বাকে
কিবলা
বানিয়েছেন।
তাদের
জ্ঞানের
গভীরতা,
দ্রুত
বুঝ
ও
সংবাদের
বিশুদ্ধতার
কারণে
তারা
সাথে
সাথে
তাদের
প্রথম
কিবলা
বাইতুল
মুকাদ্দাস
থেকে
ঘুরে
দ্বিতীয়
কিবলা
কা�বা
শরীফের
দিকে
ঘুরে
যায়।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3009 |
|
Hadith 68 الحديث
الأهمية: مر النبي -صلى الله عليه وسلم- بقبرين،
فقال: إنهما ليعذبان، وما يعذبان في كبير؛ أما أحدهما: فكان لا يستتر من
البول، وأما الآخر: فكان يمشي بالنميمة
থিম:
একদা
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
দুটো
কবরের
পাশ
দিয়ে
অতিক্রম
করলেন
এবং
বললেন, �ঐ
দুই
কবরবাসীর
আযাব
হচ্ছে।
অবশ্য
ওদেরকে
কোন
বড়
ধরনের
অপরাধ (বা
কোন
কঠিন
কাজের)
জন্য
আযাব
দেওয়া
হচ্ছে
না।�
ওদের
একজন
পেশাবের
ছিটা
থেকে
বাচত
না,
আর
অপর
জন
লোকের)
চুগলী
ক�রে
বেড়াত। |
عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما-
قال: مر النبي -صلى الله عليه وسلم- بقبرين، فقال: �إنهما ليُعذَّبان، وما
يُعذَّبان في كبير؛ أما أحدهما: فكان لا يستتر من البول، وأما الآخر: فكان
يمشي بالنميمة�.
ইবনে
আব্বাস
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
হতে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন:
�একদা
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
দুটো
কবরের
পাশ
দিয়ে
অতিক্রম
করলেন
এবং
বললেন, �ঐ
দুই
কবরবাসীর
আযাব
হচ্ছে।
অবশ্য
ওদেরকে
কোন
বড়
ধরনের
অপরাধ (বা
কোন
কঠিন
কাজের)
জন্য
আযাব
দেওয়া
হচ্ছে
না।�
ওদের
একজন
পেশাবের
ছিটা
থেকে
বাচত
না,
আর
অপর
জন
লোকের)
চুগলী
ক�রে
বেড়াত�।
Hadith Explanation بيان الحديث
مرَّ النبي -صلى الله عليه وسلم-، ومعه
بعض أصحابه بقبرين، فكشف الله -سبحانه وتعالى- له عن حالهما، وأنهما
يعذبان، فأخبر أصحابه بذلك؛ تحذيراً لأمته وتخويفاً، فإنَّ صاحبي هذين
القبرين، يعذَّب كل منهما بذنب
تركُه والابتعادُ عنه يسيرٌ على من وفقه الله لذلك.
فأحَدُ
المعذَّبَيْن كان لا يحترز من بوله عند قضاء الحاجة، ولا يتحفّظ منه،
فتصيبه النَجاسة فتلوث بدنه وثيابه ولا يستتر عند بوله، والآخر يسعى بين
الناس بالنميمة التي تسبب العداوة والبغضاء بين الناس، ولاسيما الأقارب
والأصدقاء، يأتي إلى هذا فينقل إليه كلام ذاك، ويأتي إلى ذاك فينقل إليه
كلام هذا؛ فيولد بينهما القطيعة والخصام. والإسلام إنما جاء بالمحبة
والألفة بين الناس وقطع المنازعات والمخاصمات.
ولكن
الكريم الرحيم -صلى الله عليه وسلم- أدركته عليهما الشفقة والرأفة، فأخذ
جريدة نخل رطبة، فشقَّها نصفين، وغرز على كل قبر واحدة، فسأل الصحابة النبي
-صلى الله عليه وسلم- عن هذا العمل الغريب عليهم، فقال: لعل الله يخفف
عنهما بشفاعتي ما هما فيه في العذاب، ما لم تيبس هاتان الجريدتان، أي مدة
بقاء الجريدتين رطبتين، وهذا الفعل خاص به -صلى الله عليه وسلم-.
থিম:
একদা
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তার
ক�জন
সাথীসহ
দুটো
কবরের
পাশ
দিয়ে
অতিক্রম
করছিলেন।
আল্লাহ
তা�আলা
তার
জন্য
তাদের
দুই
জনের
অবস্থা
খুলে
দিলেন
যে,
তাদের
দুইজনকে
শাস্তি
দেওয়া
হচ্ছে।
তারপর
তিনি
উম্মতকে
সতর্ক
করা
এবং
ভয়
দেখানোর
উদ্দেশ্যে
তার
সাথীদের
বিষয়টি
জানালেন।
কারণ,
এ
দুই
কবরবাসীর
প্রত্যেককে
সামান্য
গুনাহ
যার
থেকে
দূরে
থাকে
নাই
তার
কারণে
আযাব
দেওয়া
হচ্ছে।
তাদের
একজন
এমন
ছিল,
সে
প্রয়োজন
পুরো
করার
সময়
পেশাব
থেকে
বেচে
থাকতো
না
এবং
তার
থেকে
আত্মরক্ষা
করতো
না।
ফলে
পেশাব
তার
শরীর
কাপড়
ইত্যাদিতে
লেগে
তা
নাপাক
করে
দিত
এবং
পেশাবের
সময়
গোপনীয়তা
রক্ষা
করতো
না।
আর
তাদের
অপর
ব্যক্তি
মানুষের
মাঝে
চোগলী
করে
বেড়াত।
যা
মানুষের
মাঝে
দুশমনি
ও
রেশারেশির
কারণ
হতো।
বিশেষ
করে
আত্মীয়
স্বজন
ও
বন্ধুবান্ধবের
মাঝে।
সে
এক
বন্ধুর
কাছে
আসে
তারপর
সে
তার
কাছে
অপর
বন্ধুর
কথা
বলে।
আবার
তার
কাছে
গিয়ে
এ
বন্ধুর
কথা
বলে।
ফলে
উভয়ের
মাঝে
দূরত্ব
এবং
বিবাদ
সৃষ্টি
হয়।
ইসলাম
এসেছে
মানুষের
মাঝে
মিল
মুহাব্বত
সৃষ্টি
করতে
এবং
জগড়া
বিবাদ
দূর
করতে।
তারপর
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
অন্তরে
তাদের
প্রতি
দয়া
ও
অনুগ্রহ
সৃষ্টি
হলো,
তিনি
একটি
তাজা
খেজুরের
ডাল
নিলেন
এবং
দুই
ভাগ
করলেন।
তারপর
প্রতিটি
টুকরাকে
প্রত্যেক
কবরের
ওপর
পুঁতে
দিলেন।
সাহাবীগণ
এ
অপরিচিত
কর্ম
সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা
করলেন,
তখন
তিনি
বললেন,
হতে
পারে
আল্লাহ
তা�আলা
আমার
সুপারিশের
কারণে
তারা
যে
আযাবের
মধ্যে
রয়েছে
তা
কিছুটা
লাগব
হবে
যতক্ষণ
না
এ
ডাল
দুটি
না
শুকায়।
অর্থাৎ,
এ
দুটি
ডাল
তাজা
থাকা
পর্যন্ত।
এ
কর্মটি
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
বৈশিষ্ট্য।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3010 |
|
Hadith 69 الحديث
الأهمية: إذا أراد الله بالأمير خيرا، جعل له
وزير صدق، إن نسي ذكره، وإن ذكر أعانه، وإذا أراد به غير ذلك جعل له وزير
سوء، إن نسي لم يذكره، وإن ذكر لم يعنه
থিম:
যখন
আল্লাহ
কোন
শাসকের
মঙ্গল
চান,
তখন
তিনি
তার
জন্য
সত্যনিষ্ঠ (শুভাকাঙ্খী)
একজন
মন্ত্রী
নিযুক্ত
ক�রে
দেন।
শাসক (কোন
কথা)
ভুলে
গেলে
সে
তাকে
তা
স্মরণ
করিয়ে
দেয়
এবং
স্মরণ
থাকলে
তারা
তাকে
সাহায্য
করে।
আর
যখন
আল্লাহ
তার
অন্য
কিছু (অমঙ্গল)
চান,
তখন
তার
জন্য
মন্দ
মন্ত্রী
নিযুক্ত
ক�রে
দেন।
শাসক
বিস্মৃত
হলে
সে
তাকে
স্মরণ
করিয়ে
দেয়
না
এবং
স্মরণ
থাকলে
তারা
তাকে
সাহায্য
করে
না। |
عن عائشة -رضي الله عنها- مرفوعًا:
�إِذَا أَرَادَ اللهُ بِالأمِيرِ خَيرًا، جَعَلَ لَهُ وَزِيرَ صِدقٍ، إِنْ
نَسِيَ ذَكَّرَهُ، وَإِنْ ذَكَرَ أَعَانَهُ، وَإِذَا أَرَادَ بِهِ غَيرَ
ذَلِكَ جَعَلَ لَهُ وَزِيرَ سُوءٍ، إِنْ نَسِيَ لَمْ يُذَكِّرهُ، وَإِنْ
ذَكَرَ لَمْ يُعِنْهُ�.
আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু
আন্হা
থেকে
মারফু
হিসেবে
বর্ণিত, �যখন
আল্লাহ
কোন
শাসকের
মঙ্গল
চান,
তখন
তিনি
তার
জন্য
সত্যনিষ্ঠ (শুভাকাঙ্খী)
একজন
মন্ত্রী
নিযুক্ত
ক�রে
দেন।
শাসক (কোন
কথা)
ভুলে
গেলে
সে
তাকে
তা
স্মরণ
করিয়ে
দেয়
এবং
স্মরণ
থাকলে
তারা
তাকে
সাহায্য
করে।
আর
যখন
আল্লাহ
তার
অন্য
কিছু (অমঙ্গল)
চান,
তখন
তার
জন্য
মন্দ
মন্ত্রী
নিযুক্ত
ক�রে
দেন।
শাসক
বিস্মৃত
হলে
সে
তাকে
স্মরণ
করিয়ে
দেয়
না
এবং
স্মরণ
থাকলে
তারা
তাকে
সাহায্য
করে
না।�
Hadith Explanation بيان الحديث
يبين رسول الله -صلى الله عليه وسلم- في
هذا الحديث أنّ الله تعالى: "إذا أراد
بالأمير خيراً"، وفسِّرت هذه الخيرية لمن وُفِّق لوزير صدق من
الأمراء بخيرية التوفيق لخيري الدارين، كما فسرت هذه الخيرية بالجنة.
وقوله:
"جعل له وزير صدق" أي في القول والفعل، والظاهر والباطن، وأضافه إلى الصدق؛
لأنَّه الأساس في الصُحبة وغيرها.
فــ"إن
نسي" أي: هذا الأمير، فإن نسي ما يحتاج إليه -والنسيان من طبيعة البشر-، أو
ضلّ عن حكم شرعي، أو قضية مظلوم، أو مصالح لرعية، "ذكَّره" أي: هذا الوزير
الصادق وهداه.
"وإن ذكر" الأمير ذلك، "أعانه" عليه
بالرأي والقول والفعل.
وأما
قوله: "وإذا أراد به غير ذلك" أي: غير الخير، بأن أراد به شرّاً، كانت
النتيجة "جعل له وزير سوء" والمراد: وزير سوء في القول، والفعل، نظير ما
سبق في ضده.
"إن نسي" أي: ترك مالا بد منه "لم
يذكِّره" به؛ لأنه ليس عنده من النور القلبي ما يحمله على ذلك.
"وإن ذكر لم يعنه" بل يسعى في صرفه عنه؛
لشرارة طبعه، وسوء صنعه.
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বলেছেন,
যখন
আল্লাহ
আমীরের
ভালো
চান।
এখানে
এরাদা (অর্থাৎ
চাওয়া)
দ্বারা
উদ্দেশ্য
ইরাদায়ে
কাওনী.
কাদারী (অর্থাৎ
পার্থিব
স্বার্থ
সংশ্লিষ্ট
তাকদীর)।
এ
কারণেই
তাতে�এই
চাওয়াতে�
ভালো
ও
মন্দ
একাধিক
বিষয়
রয়েছে।
কারণ,
আল্লাহ
কখনো
এই
এরাদাকে
মহব্বত
করে
এবং
কখনো
তাকে
ঘৃণা
করেন।
ফলে
এই
ইরাদাহ
ব্যাপকতার
কারণে
ইরাদায়ে
শর�ঈয়াহ
যাকে
আল্লাহ
মহব্বত
করেন
তাকও
সামিল
করে।
আর
এ
কল্যাণকে
এ
বলে
ব্যাখ্যা
করা
হয়েছে
যে,
আমীরের
জন্য
একজন
সত্যবাদী
ওযীরের
তাওফীক
দেওয়া
যাতে
দুনিয়া
আখিরাত
উভয়
জাহানে
তার
কল্যাণ
হয়।
এমনিভাবে
এর
ব্যখ্যা
জান্নাত
দ্বারাও
করা
হয়ে
থাকে।
তার
বাণী: �সত্যবাদী
মন্ত্রী
নিয়োজিত
করেন�
আল্লাহ
তা�আলা
তার
কথা,
কাজে,
প্রকাশ্যে
ও
গোপনে
একজন
সত্যবাদী
মন্ত্রী
নিযুক্ত
করেন।
এখানে
তাকে
সততার
দিকে
নিসবত
করা
হয়েছে।
কারণ,
সাথী
হওয়া
ইত্যাদি
ক্ষেত্রে
সততাই
মূল।
�যদি
আমীর
ভুলে
যায়��ভুলে
যাওয়া
মানুষের
স্বভাব�অর্থাৎ,
যদি
আমীর
প্রয়োজনীয়
বিষয়গুলো
ভুলে
যায়
অথবা
শর�ঈ
কোন
বিধানের
বিষয়ে
অজ্ঞ
থাকে
অথবা
কোন
অত্যাচারিত
লোকের
ফায়সালা
অথবা
জন
কল্যাণকর
কোন
বিষয়
ভুলে
গেছে
তা
এ
সৎ
মন্ত্রী
স্মরণ
করিয়ে
দেয়
এবং
তাকে
দিক
নির্দেশনা
দেয়।
আর
যদি
আমীরের
স্মরণ
থাকে,
তবে
সে
তাকে
কথা,
কাজ
বা
মতামত
দিয়ে
সাহায্য
করে।
আর
যদি
তার
সাথে
অন্য
কিছু
অর্থাৎ
অমঙ্গল
ইচ্ছা
করেন,
এভাবে
ব্যক্ত
করা
দ্বারা
খারাপ
কর্ম
থেকে
বিরত
থাকার
প্রতি
ইশারা
করা
হয়েছে।
কারণ,
যখন
সে
খারাপ
কর্ম
ঘৃণিত
বা
মন্দ
হওয়ার
কারণে
তার
নাম
নেওয়া
থেকেই
বিরত
থাকে,
তাহলে
খারাপ
কর্ম
থেকে
বিরত
থাকা
আরও
অধিক
শ্রেয়।
আর
এখানে
ইসম
ইশারাহ
যালিকা
যা
দূরের
অর্থ
বুঝায়
নিয়ে
আসা
দ্বারা,
ভালো
কর্ম
মহান,
তার
মর্যাদা
উচ্চ
হওয়া
এবং
তা
তালাশ
করা
ও
লাভ
করতে
স্বচেষ্ট
হওয়ার
প্রতি
উৎসাহ
প্রদানের
ইশারা
করা
হয়েছে।
ফলাফল
হল, �তার
জন্য
অসৎ
মন্ত্রী
নিয়োগ
করা
হয়�।
অর্থাৎ,
কথা
কর্মে
উল্লেখিত
গুণের
বিপরীত।
যদি
সে
ভুলে
যায়
তখন
সে
প্রয়োজনীয়
বিষয়
ছেড়ে
দেয়।
সে
তা
তাকে
স্মরণ
করিয়ে
দেয়
না।
কারণ,
তার
অন্তরে
নূর
নেই
যা
তাকে
তার
ওপর
উঠাবে।
আর
যদি
স্মরণ
থাকে
তাকে
সাহায্য
করে
না।
বরং
তার
স্বভাব
ও
কর্ম
খারাপ
হওয়ার
কারণে
তাকে
তা
থেকে
দূরে
সরানোর
চেষ্টা
করে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
আবূ
দাঊদ
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3011 |
|
Hadith 70 الحديث
الأهمية: ما بعث الله من نبي، ولا استخلف من
خليفة إلا كانت له بطانتان: بطانة تأمره بالمعروف وتحضه عليه، وبطانة تأمره
بالشر وتحضه عليه
থিম:
আল্লাহ
যখনই
কোন
নবী
প্রেরণ
করেন
এবং
কোন
খলীফা
নির্বাচিত
করেন,
তখনই
তাঁর
জন্য
দু�জন
সঙ্গী
নিযুক্ত
করে
দেন।
একজন
সঙ্গী
তাঁকে
ভাল
কাজের
নির্দেশ
দেয়
এবং
তার
প্রতি
উৎসাহিত
করে।
আর
দ্বিতীয়জন
সঙ্গী
তাঁকে
মন্দ
কাজের
নির্দেশ
দেয়
এবং
তার
প্রতি
উৎসাহিত
করে।
আর
রক্ষা
পান
কেবলমাত্র
তিনিই,
যাকে
আল্লাহ
রক্ষা
করেন। |
عن أبي سعيد الخدري وأبي هريرة -رضي
الله عنهما- مرفوعاً: "ما بعث الله من نبي ولا اسْتَخْلَفَ من خليفة إلا
كانت له بطانتان: بطانة تأمره بالمعروف وتَحُضُّهُ عليه، وبطانة تأمره
بالشر وتَحُضُّهُ عليه، والمعصوم من عصم الله".
আবূ
সা�ঈদ
ও
আবূ
হুরাইরা
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
হতে
বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, ��আল্লাহ
যখনই
কোন
নবী
প্রেরণ
করেন
এবং
কোন
খলীফা
নির্বাচিত
করেন,
তখনই
তাঁর
জন্য
দু�জন
সঙ্গী
নিযুক্ত
করে
দেন।
একজন
সঙ্গী
তাঁকে
ভাল
কাজের
নির্দেশ
দেয়
এবং
তার
প্রতি
উৎসাহিত
করে।
আর
দ্বিতীয়জন
সঙ্গী
তাঁকে
মন্দ
কাজের
নির্দেশ
দেয়
এবং
তার
প্রতি
উৎসাহিত
করে।
আর
রক্ষা
পান
কেবলমাত্র
তিনিই,
যাকে
আল্লাহ
রক্ষা
করেন।�
Hadith Explanation بيان الحديث
أخبر النبي -عليه الصلاة والسلام- أن
الله ما بعث من نبي ولا استخلف من خليفة إلا كان له بطانتان: بطانة خير
تأمره بالخير وتحثه عليه، وبطانة سوء تدله على السوء وتأمره به، والمحفوظ
من تأثير بطانة الشر هو من حفظه الله -تعالى-.
থিম:
নবী
�আলাইহিস
সালাম
বলেছেন
যে,
আল্লাহ
যাকেই
নবী
হিসাবে
প্রেরন
করেন
এবং
খলীফা
হিসাবে
নিযুক্ত
করেন,
তার
জন্য
দু�জন
করে (একান্ত)
সঙ্গী
থাকে।
একজন
ভালো
সঙ্গী
যে
তাকে
ভালো
কাজের
নির্দেশ
দেয়
এবং
তাকে
তৎপ্রতি
অনুপ্রাণিত
করে।
আর
একজন
খারাপ
সঙ্গী
যে
তাকে
মন্দ
কাজের
পরামর্শ
দেয়
এবং
তৎপ্রতি
উৎসাহিত
করে।
অকল্যাণকর
সঙ্গী
থেকে
সেই
নিষ্পাপ
থাকে
যাকে
আল্লাহ
রক্ষা
করেন।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
বুখারী
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3012 |
|
Hadith 71 الحديث
الأهمية: إذا سمعتم المؤذن فقولوا مثل ما يقول
থিম:
যখন
তোমরা
মুয়াজ্জিনের
আযান
শুনতে
পাও,
তখন
তোমরা
তাই
বল
যা
সে
বলে। |
عن أبي سعيد الخدري -رضي الله عنه- قال:
قال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: �إِذَا سَمِعتُم المُؤَذِّن فَقُولُوا
مِثلَ مَا يَقُول�.
আবদুল্লাহ
ইবন
�আমর
ইবনুল
�আস
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
থেকে
মারফূ�
হিসেবে
বর্ণিত:
যখন
তোমরা
মুয়াজ্জিনের
আযান
শুনতে
পাও,
তখন
তোমরা
তাই
বল
যা
সে
বলে।
Hadith Explanation بيان الحديث
إذا سمعتم المؤذن للصلاة فأجيبوه، بأن
تقولوا مثل ما يقول، جملة بجملة، فحينما يكبر فكبروا بعده، وحينما يأتي
بالشهادتين، فأتوا بهما بعده، فإنه يحصل لكم من الثواب ما فاتكم من ثواب
التأذين الذي حازه المؤذن، والله واسع العطاء، مجيب الدعاء.
يستثنى من
الحديث لفظ: (حي على الصلاة، حي على الفلاح) فإنه يقول بعدها: لا حول ولا
قوة إلا بالله.
যখন
তোমরা
সালাতের
আযান
শোন
তখন
তোমরা
তার
উত্তর
দাও।
যেমন
সে
যা
বলে
তোমরা
একটি
একটি
বাক্য
করে
তাই
বলবে।
যখন
মুয়াজ্জিন
তাকবীর
বলে
তারপর
তোমরা
তাকবীর
বল।
আর
যখন
শাহাদাতাইন
বলে
তার
শাহাদাতাইন
বলার
পর
তোমরা
শাহাদাতাইন
বলবে।
কারণ,
তাতে
মুয়াজ্জিন
আযান
দেওয়ার
কারণে
যে
সাওয়াবের
লাভ
করবে
তুমি
আযান
না
দিতে
পেরে
সে
ছুটে
যাওয়া
সাওয়াব
হাসিল
করবে।
আল্লাহ
তা�আলা
প্রসস্থ
দাতা
এবং
দো�আ
কবুলকারী।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3013 |
|
Hadith 72 الحديث
الأهمية: كنت مع النبي -صلى الله عليه وسلم- في
سفر، فأهويت لأنزع خفيه، فقال: دعهما؛ فإني أدخلتهما طاهرتين، فمسح عليهما
থিম:
আমি
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম -এর
সঙ্গে
কোন
এক
সফরে
ছিলাম। (উযূ
করার
সময়)
আমি
তাঁর
মোজা
দু�টি
খুলতে
চাইলে
তিনি
বললেন, �ও
দু�টো
থাক,
আমি
পবিত্র
অবস্থায়
এ
দু�টি
পরেছিলাম�। (এই
বলে)
তিনি
তার
উপর
মাস্হ
করলেন। |
عن المغيرة بن شعبة -رضي الله عنه- قال:
((كُنت مع النبيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- في سَفَر، فأهْوَيت لِأَنزِع
خُفَّيه، فقال: دَعْهُما؛ فإِنِّي أدخَلتُهُما طَاهِرَتَين، فَمَسَح
عليهما)).
থিম:
মুগীরাহ
ইবন
শু�বা
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
হতে
বর্ণিত।
তিনি
বলেন, �আমি
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম -এর
সঙ্গে
কোন
এক
সফরে
ছিলাম। (উযূ
করার
সময়)
আমি
তাঁর
মোজা
দু�টি
খুলতে
চাইলে
তিনি
বললেন, �এ
দু�টো
থাক,
আমি
পবিত্র
অবস্থায়
এ
দু�টি
পরেছিলাম�। (এই
বলে)
তিনি
তার
উপর
মাস্হ
করলেন�।
Hadith Explanation بيان الحديث
كان المغيرة -رضي الله عنه- مع النبي
-صلى الله عليه وسلم- في أحد أسفاره -وهو سفره في غزوة تبوك-، فلما شرع
النبي -صلى الله عليه وسلم- في الوضوء، وغسل وجهه ويديه، ومسح رأسه، أهوى
المغيرة إلى خفي النبي -صلى الله عليه وسلم- لينزعهما؛ لغسل الرجلين، فقال
النبي -صلى الله عليه وسلم- اتركهما ولا تنزعهما، فإني أدخلت رجلي في
الخفين وأنا على طهارة، فمسح النبي -صلى الله عليه وسلم- على خفيه بدل غسل
رجليه.
وكذلك
الجوارب ونحوها تأخذ حكم الخفين.
মুগীরাহ
ইবন
শু�বা
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
কোন
এক
সফরে
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম -এর
সঙ্গে
ছিলেন�আর
সেটি
ছিল
তাবুক
যুদ্ধ�রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
যখন
উযু
করা
আরম্ভ
করলেন,
তখন
তিনি
চেহারা
ও
দুই
হাত
ধুইলেন
এবং
মাথা
মাসেহ
করলেন
তখন
মুগীরাহ
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
তাঁর
মোজা
দু�টি
খুলতে
চাইলে
তিনি
বললেন, �এ
দু�টো
রেখে
দাও
এবং
এ
দুটো
খুলো
না,
কারণ,
আমি
আমার
পা
দু�টিকে
মোজা
দুটিতে
প্রবেশ
করিয়েছি
যে
অবস্থায়
আমি
পবিত্র
ছিলাম।
তারপর
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
দুই
পা
ধোয়ার
পরিবর্তে
দুই
মোজার
ওপর
মাসেহ
করেন।
অনুরূপভাবে
জাওরাব
ইত্যাদির
ক্ষেত্রেও
দুই
মোজার
মতোই
বিধান।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম),
তবে
শব্দ
সহীহ
বুখারীর।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3014 |
|
Hadith 73 الحديث
الأهمية: إن بلالا يؤذن بليل، فكلوا واشربوا حتى
تسمعوا أذان ابن أم مكتوم
থিম:
বিলাল
রাতে
আযান
দেয়,
তোমরা
খেতে
ও
পান
করতে
থাকবে
যে
পর্যন্ত
ইবনে
উম্মে
মাকতূমের
আযান
না
শুনবে। |
عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنه-
مرفوعاً: �إنَّ بِلالاً يُؤَذِّن بِلَيلٍ، فَكُلُوا واشرَبُوا حتَّى
تَسمَعُوا أَذَان ابنِ أُمِّ مَكتُوم�.
ইবনে
উমার
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
হতে
মারফূ�
হিসেবে
বর্ণিত:
�বিলাল
রাতে
আযান
দেয়,
তোমরা
খেতে
ও
পান
করতে
থাকবে
যে
পর্যন্ত
ইবনে
উম্মে
মাকতূমের
আযান
না
শুনবে।�
Hadith Explanation بيان الحديث
كان للنبي -صلى الله عليه وسلم- مؤذنان:
بلال بن رباح وعبد الله بن أم مكتوم -رضي الله عنهما- وكان ضريرًا، فكان
بلال يؤذن لصلاة الفجر قبل طلوع الفجر؛ لأنها تقع وقت نوم ويحتاج الناس إلى
الاستعداد لها قبل دخول وقتها، فكان -صلى الله عليه وسلم-
يُنَبِّه أصحابه إلى أن بلالًا -رضي الله عنه- يؤذن بليل، فيأمرهم
بالأكل والشرب حتى يطلع الفجر، ويؤذن المؤذن الثاني وهو ابن أم مكتوم -رضي
الله عنه- لأنه كان يؤذن مع طلوع الفجر الثاني، وذلك لمن أراد الصيام،
فحينئذ يكف عن الطعام والشراب ويدخل وقت الصلاة، وهو خاص بها، ولا يجوز
فيما عداها أذان قبل دخول الوقت، واختلف في الأذان الأول لصلاة الصبح، هل
يكتفي به أو لابد من أذان ثان لدخول الوقت؟ وجمهور العلماء على أنه مشروع
ولا يكتفى به.
রাসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
মুয়াজ্জিন
ছিল
দুইজন।
বিলাল
ইবন
রিবাহ
ও
অন্ধ
সাহাবী
আব্দুল্লাহ
ইবন
উম্মে
মাকতুম।
বিলাল
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
ফজর
উদয়ের
পূর্বে
ফজরের
সালাতের
আযান
দিতেন ।
কারণ,
তখন
ঘুমের
সময়
হওয়ার
ফলে
ওয়াক্ত
প্রবেশের
পূর্বেই
প্রস্তুতি
গ্রহণ
করতে
হয়।
তাই
রাসূলুল্লাহ
তার
সাহাবীগণকে
সতর্ক
করেন
যে,
বিলাল
রাতে
আযান
দেয়
তাই
তাদেরকে
তিনি
খেতে
ও
পান
করতে
নির্দেশ
দেন
যাবত
না
ফজর
উদয়
হওয়া
ও
দ্বিতীয়
মুয়াজ্জিন
ইবন
মাকতুম
আযান
দেয়,
কারণ
তিনি
দ্বিতীয়
ফজর
উদয়
হওয়ার
পর
আযান
দিতেন।
এটা
সিয়াম
পালনকারীর
জন্যে
ছিল।
কারণ
তখন
সে
খানা
ও
পান
করা
বন্ধ
করে
দিত
ও
ফজরের
সালাতের
সময়
হতো।
সময়ের
পূর্বে
আযান
দেওয়া
ফজরের
সাথেই
খাস।
এ
ছাড়া
অন্য
সালাতে
সময়ের
পূর্বে
আযান
দেওয়া
বৈধ
নয়।
ফজরের
সালাতের
প্রথম
আযান
নিয়ে
মত
প্রার্থক্য
রয়েছে
যে,
তা
সালাতের
জন্য
যথেষ্ট
হবে
নাকি
ওয়াক্ত
হওয়ার
পর
দ্বিতীয়াবার
আযান
দিতে
হবে?
জমহুর
আলেমদের
মত
হলো
দ্বিতীয়বার
আযান
দিতে
হবে
প্রথম
আযানে
যথেষ্ট
করবে
না।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3015 |
|
Hadith 74 الحديث
الأهمية: ينام الرجل النومة فتقبض الأمانة من
قلبه، فيظل أثرها مثل الوكت، ثم ينام النومة فتقبض الأمانة من قلبه، فيظل
أثرها مثل أثر المجل
থিম:
মানুষ
এক
ঘুম
ঘুমাবে
আর
তার
অন্তর
থেকে
আমানত
তুলে
নেওয়া
হবে।
তখন
একটি
বিন্দুর
মত
তার
চিহ্ন
অবশিষ্ট
থাকবে।
পুনরায়
এক
ঘুম
ঘুমাবে।
আবারো
তার
অন্তর
থেকে
আমানত
উঠিয়ে
নেওয়া
হবে।
তখন
আগুনের
আঙ্গারার
মত
তার
চিহ্ন
অবশিষ্ট
থাকবে। |
عن حذيفة بن اليمان -رضي الله عنه- قال:
حَدَثَنا رسول الله -صلى الله عليه وسلم- حدِيثَين قَد رَأَيتُ أَحَدَهُما
وأنا أنتظر الآخر: حدثنا أنَّ الأمَانة نَزَلَت في جَذر قُلُوب الرِّجال،
ثمَّ نزل القرآن فَعَلِموا مِن القرآن، وعَلِمُوا مِن السُنَّة، ثمَّ
حدَّثنا عن رفع الأمانة، فقال: �يَنَامُ الرَّجُلُ النَّومَة فَتُقْبَضُ
الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ، فَيَظَلُّ أَثَرُهَا مِثلَ الوَكْتِ، ثُمَّ
يَنَامُ النَّومَةَ فَتُقبَض الأَمَانَة مِن قَلْبِه، فَيَظَلُّ أَثَرُها
مِثل أَثَر المَجْلِ، كَجَمْرٍ دَحْرَجْتَهُ عَلى رِجْلِكَ فَنَفِطَ،
فَتَرَاهُ مُنْتَبِراً وَلَيس فِيه شَيء�، ثم أَخَذ حَصَاةً فَدَحْرَجَه
على رجله �فَيَصبَح النَّاس يَتَبَايَعُون، فَلاَ يَكَاد أَحَدٌ يُؤَدِّي
الأَمَانَةَ حَتَّى يُقَال: إِنَّ فِي بَنِي فُلاَن رَجُلاً أَمِيناً،
حَتَّى يُقَال للرَّجُل: مَا أَجْلَدَهُ! مَا أَظْرَفَه! مَا أَعْقَلَه!
وَمَا فِي قَلبِه مِثْقَالُ حَبَّة مِن خَرْدَل مِنْ إيمان�، ولَقَد أتى
عَلَيَّ زَمَان وما أُبَالي أَيُّكُم بَايعت: لئِن كان مُسلِمًا
لَيَرُدَنَّه عَلَيَّ دِينه، وَإِن كان نصرانيا أو يهوديا ليَرُدنَّه
عَلَيَّ سَاعِيه، وأَمَّا اليوم فَمَا كُنت أَبَايِعُ مِنكُم إِلاَّ
فُلاَنا وفُلاَناً�.
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
আমাদেরকে
দু�টি
হাদীস
বর্ণনা
করেছেন।
তার
একটি
আমি
দেখেছি
আর
অপরটির
অপেক্ষা
করছি।
তিনি
আমাদেরকে
বলেছেন
যে,
আমানত
মানুষের
অন্তরের
অন্তঃস্তলে
অবতীর্ণ
হয়েছে।
অতঃপর
কুরআন
অবতীর্ণ
হয়েছে,
ফলে
তারা
কুরআন
থেকে
জ্ঞানার্জন
করেছে
এবং
হাদীস
থেকেও
জ্ঞানার্জন
করেছে।
এরপর
তিনি
আমাদেরকে
আমানত
তুলে
নেওয়া
সম্পর্কে
বর্ণনা
করেছেন, �মানুষ
এক
ঘুম
ঘুমাবে
আর
তার
অন্তর
থেকে
আমানত
তুলে
নেওয়া
হবে।
তখন
একটি
বিন্দুর
মত
তার
চিহ্ন
অবশিষ্ট
থাকবে।
পুনরায়
এক
ঘুম
ঘুমাবে।
আবারো
তার
অন্তর
থেকে
আমানত
উঠিয়ে
নেওয়া
হবে।
তখন
আগুনের
আঙ্গারার
মত
তার
চিহ্ন
অবশিষ্ট
থাকবে,
যেমন
একটি
আঙ্গারা
তোমার
পা
দিয়ে
মাড়িয়েছ
আর
তার
ফলে
ফোস্কা
পড়েছে।
তুমি
ফোস্কাটি
ফোলা
দেখবে;
কিন্তু
বাস্তবে
তাতে
কিছুই
থাকবে
না।�
অতঃপর (উদাহরণ
স্বরূপ)
তিনি
একটি
কাঁকর
নিয়ে
নিজ
পায়ে
গড়িয়ে
দিলেন। (তারপর
বলতে
লাগলেন,) �সে
সময়
লোকেরা
বেচা-কেনা
করবে
কিন্তু
প্রায়
কেউই
আমানত
আদায়
করবে
না।
এমনকি
লোকে
বলাবলি
করবে
যে,
অমুক
বংশে
একজন
আমানতদার
লোক
আছে।
এমনকি (দুনিয়াদার)
ব্যক্তি
সম্পর্কে
মন্তব্য
করা
হবে,
সে
কতই
না
অদম্য!
সে
কতই
না
বিচক্ষণ!
সে
কতই
না
বুদ্ধিমান!
অথচ
তার
অন্তরে
সরিষার
দানা
পরিমাণ
ঈমানও
থাকবে
না।� (হুযাইফা
বলেন,)
ইতিপূর্বে
আমার
উপর
এমন
যুগ
অতিবাহিত
হয়ে
গেছে,
যখন
কারো
সাথে
বেচাকেনা
করতে
কোন
পরোয়া
করতাম
না।
কারণ
সে
মুসলিম
হলে
তার
দ্বীন
তাকে
আমার (খিয়ানত
থেকে)
বিরত
রাখবে।
আর
খ্রিষ্টান
অথবা
ইয়াহুদী
হলে
তার
শাসকই
আমার
হক
ফিরিয়ে
দেবে।
কিন্তু
বর্তমানের
অবস্থা
হচ্ছে
এই
যে,
আমি
অমুক
অমুক
ছাড়া
বেচা-কেনা
করতে
প্রস্তুত
নই।
Hadith Explanation بيان الحديث
يوضح الحديث أنَّ الأمانة تزول عن
القلوب شيئاً فشيئا، فإذا زال أول جزء منها زال نوره وخلفه ظلمة كالوَكْت
وهو أعراض لون مخالف اللون الذي قبله، فإذا زال شيء آخر صار كالمجل وهو أثر
محكم لا يكاد يزول إلا بعد مدة، وهذه الظلمة فوق التي قبلها ثم شبَّه زوال
ذلك النور بعد وقوعه في القلب وخروجه بعد استقراره فيه واعتقاب الظلمة
إيَّاه بجمر يدحرجه على رجله حتى يؤثر فيها ثم يزول الجمر ويبقى النفط؛
وأخذه الحصاة ودحرجته إياها أراد به زيادة البيان والإيضاح.
(فيصبح الناس) بعد تلك النومة التي رفع
فيها الأمانة (يتبايعون فلا يكاد) أي: يقارب (أحد) منهم (يؤدي الأمانة)
فضلاً عن أدائها بالفعل.
(حتى يقال) لعزة هذا الوصف وشهرة ما
يتصف به.
(إن في بني فلان رجلاً أميناً) ذا
أمانة.
(حتى يقال للرجل ما أجلده) على العمل
(ما أظرفه) من الظرف (ما أعقله) أي: ما أشد يقظته وفطانته (وما في قلبه
مثقال حبة من خردل من إيمان) فضلاً عن الأمانة التي هي من شعبه.
(ولقد أتى عليّ زمان وما أبالي أيكم
بايعت) أي: لا أبالي بالذي بايعته لعلمي بأن الأمانة لم ترتفع وأن في الناس
وفاء بالعهد، فكنت أقدم على مبايعة من لقيت غير باحث عن حاله وثوقاً بالناس
وأمانتهم.
(وأما اليوم) فقد ذهبت الأمانة إلا
القليل فلذا قال:
(فما كنت أبايع منكم إلا فلاناً
وفلاناً) يعني أفراداً أعرفهم وأثق بهم.
হাদীসটি
স্পষ্ট
করে
যে,
আমানত
ধীরে
ধীরে
হ্রাস
পাবে।
যখন
তার
প্রথম
অংশ
দূর
হবে
তখন
তার
অন্তরের
নূর
দূর
হয়ে
যাবে।
আর
তার
পরিবর্তে
রেখে
যাবে
বিন্দুর
ন্যায়
অন্ধকার।
এটি
হচ্ছে
পূর্বের
রং
এর
বিপরীত
রং।
তারপর
যখন
আরো
কিছু
আমানত
দূর
হবে,
তখন
আঙ্গারার
ন্যায়
হয়ে
যাবে।
এটি
কঠিন
দাগ
যা
সহজে
দূর
হবে
না।
তবে
অনেক
সময়
পর।
এটি
তার
পূর্বে
অন্ধকার
থেকে
অধিক
অন্ধাকার।
অন্তরে
নূর
ডেলে
দেওয়ার
পর
তা
দূর
হয়ে
যাওয়া
এবং
স্থান
করে
নেওয়ার
পর
তা
বের
হয়ে
যাওয়া
এবং
তারপর
তাতে
অন্ধকার
জায়গা
করে
নেওয়াকে
তুলনা
করেছেন
একটি
জ্বলন্ত
অগ্নি
কয়লার
সাথে
যা
পায়ে
পড়ে
তাতে
ফোস্কা
সৃষ্টি
করল
তারপর
কয়লা
দূর
হলো
এবং
ফোস্কা
অবশিষ্ট
থাকল।
অতঃপর (উদাহরণ
স্বরূপ)
তিনি
একটি
কাঁকর
নিয়ে
নিজ
পায়ে
গড়িয়ে
দিলেন।
এ
দ্বারা
বর্ণনাটি
অধিক
ও
স্পষ্ট
করতে
চাইলেন।
�সে
সময়
লোকেরা
সে
ঘুম
থেকে
ভোর
করবে
যে
ঘুমের
ঘরে
আমানত
তুলে
নেওয়া
হয়েছে।
তারা
বেচা-কেনা
করবে
কিন্তু
তাদের
কেউই
আমানত
আদায়
করার
কাছাকাছি
থাকবে
না,
বাস্তবিকপক্ষে
আদায়
করবে
দূরের
কথা।
এমনকি
এ
গুনটি
কম
হওয়া
ও
তার
প্রসিদ্ধির
কারণে
লোকেরা
বলাবলি
করবে
যে,
অমুক
বংশে
একজন
আমানতদার
লোক
আছে।
এমনকি (দুনিয়াদার)
ব্যক্তি
সম্পর্কে
মন্তব্য
করা
হবে,
সে
কতই
না
অদম্য!
সে
কতই
না
বিচক্ষণ!
সে
কতই
না
বুদ্ধিমান!
অথচ
যে
আমানতদারিতা
ইমানের
আলামত
তাতো
দূরের
কথা
তার
অন্তরে
সরিষার
দানা
পরিমাণ
ঈমানও
থাকবে
না।�
(হুযাইফা
বলেন,)
ইতিপূর্বে
আমার
উপর
এমন
যুগ
অতিবাহিত
হয়ে
গেছে,
যখন
কারো
সাথে
বেচাকেনা
করতে
কোন
পরোয়া
করতাম
না।
অর্থাৎ
কারো
সাথে
বেচা-কেনা
করতে
পরওয়া
করতাম
না
কারণ
আমরা
জানতাম
যে,
আমানত
তুলে
নেওয়া
হয়নি।
মানুষের
মধ্যে
প্রতিশ্রুতি
বাস্তবায়ন
করার
প্রচলন
ছিল।
তাই
মানুষের
প্রতি
ভরসা
রেখে
এবং
তাদের
আমানত
দারিতার
প্রতি
লক্ষ্য
করে
তার
অবস্থা
সম্পর্কে
অনুসন্ধান
না
করে
তার
সাথে
বেচা-কেনায়
অগ্রসর
হতাম।
কিন্তু
বর্তমানের
অবস্থা
হচ্ছে
এই
যে,
আমি
অমুক
অমুক
ছাড়া
বেচা-কেনা
করতে
প্রস্তুত
নই।
অর্থাৎ
কতক
লোক
যাদের
আমি
চিনি
এবং
তাদের
প্রতি
আস্থা
রাখি।
আল্লামা
কিরমানি
বলেন,
যদি
বলি
আমানত
তুলে
নেওয়া
রাসূলের
যামায়
প্রকাশ
পেয়েছিল।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3016 |
|
Hadith 75 الحديث
الأهمية: إذا أحب الرجل أخاه فليخبره أنه يحبه
থিম:
যখন
কোনো
মানুষ
তার
ভাইকে
ভালোবাসে,
তখন
সে
যেন
তাকে
জানিয়ে
দেয়
যে,
সে
তাকে
ভালোবাসে। |
عن أبي كريمة المقداد بن معد يكرب -رضي
الله عنه- عن النبي -صلى الله عليه وسلم- قال: �إِذَا أَحَبَّ الرَّجُلُ
أَخَاهُ، فَلْيُخْبِرْهُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ�.
আবূ
কারীমা
মিকদাদ
ইবন
মা�দী
কারিব
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
হতে
মার�ফু
হিসেবে
বর্ণিত,
নবী
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বলেছেন, �যখন
কোন
মানুষ
তার
ভাইকে
ভালোবাসে,
তখন
সে
যেন
তাকে
জানিয়ে
দেয়
যে,
সে
তাকে
ভালোবাসে।�
Hadith Explanation بيان الحديث
دعت أحاديث كثيرة إلى التحابب في الله
-تعالى-، وأخبرت عن ثوابه، وهذا الحديث يشير إلى معنى مهم يُحْدِث الأثر
الأكبر في علاقة المؤمنين بعضهم ببعض، كما
ينشر المحبة، وهو أن يخبر أخاه أنه يحبه، وهذا يفيد المحافظة على
البناء الاجتماعي من عوامل التفكك والانحلال؛ وهذا من خلال إشاعة المحبة
بين أفراد المجتمع الإسلامي، وتقوية الرابطة الاجتماعية بالأخوة الإسلامية،
وهذا كله يتحقق بفعل أسباب المحبة كتبادل الإخبار بالمحبة بين المتحابين في
الله -تعالى-.
থিম:
অসংখ্য
হাদীস
আল্লাহর
জন্য
পরস্পরকে
ভালোবাসার
দাওয়াত
দিয়েছে
ও
তার
সাওয়াবের
সংবাদ
প্রদান
করেছে।
আর
এ
হাদীসিটি
একটি
গুরুত্বপূর্ণ
অর্থের
প্রতি
ইঙ্গিত
দেয়,
যা
মু�মিনদের
একে
অপরের
সম্পর্কের
মাঝে
বড়
প্রতিক্রিয়ার
সৃষ্টি
করে,
যেমন
মহব্বতকেও
ছড়িয়ে
দেয়।
আর
তা
হলো,
সে
তার
ভাইকে
জানিয়ে
দিবে
যে,
সে
তাকে
মুহাব্বত
করে।
এটি
ইসলামী
সমাজের
মানুষের
মধ্যে
মহব্বত
ছড়িয়ে
দিয়ে
ও
ইসলামী
ভ্রাতৃত্ব
দ্বারা
সামাজিক
বন্ধন
শক্তিশালী
করে
সামাজিক
ভিত্তিকে
ফাটল
ও
বিচ্ছিন্নতা
থেকে
রক্ষা
করার
নির্দেশ
দেয়।
আর
এসব
বাস্তবায়িত
হয়,
মহব্বতের
উপকরণসমূহ
বাস্তবায়ন
করার
দ্বারা।
যেমন,
আল্লাহর
জন্যে
একে
অপরকে
মহব্বতকারীর
মাঝে
মহব্বতের
বিষয়টি
জানাজানি
করা।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
তিরমিযী
বর্ণনা
করেছেন। -
এটি
নাসাঈ
বর্ণনা
করেছেন। -
এটি
আবূ
দাঊদ
বর্ণনা
করেছেন। -
এটি
আহমাদ
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3017 |
|
Hadith 76 الحديث
الأهمية: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم-
يعجبه التيمن في تنعله، وترجله، وطهوره، وفي شأنه كله
থিম: �রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
সমস্ত
কাজে (যেমন)
ওযূ
করা,
মাথা
আঁচড়ানো
ও
জুতা
পরা (প্রভৃতি
ভাল)
কাজে
ডান
দিক
থেকে
শুরু
করা
পছন্দ
করতেন। |
عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: �كان
رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يعجبه التيمُّن في تَنَعُّلِّه, وترجُّلِه,
وطُهُورِه, وفي شَأنه كُلِّه�.
আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু
আন্হা)
হতে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন, �রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
সমস্ত
কাজে (যেমন)
ওযূ
করা,
মাথা
আঁচড়ানো
ও
জুতা
পরা (প্রভৃতি
ভাল)
কাজে
ডান
দিক
থেকে
শুরু
করা
পছন্দ
করতেন।�
Hadith Explanation بيان الحديث
تخبرنا عائشة -رضي الله عنها- عن عادة
النبي -صلى الله عليه وسلم- المحببة إليه، وهى تقديم الأيمن في لبس نعله،
ومشط شعره، وتسريحه، وتطهره من الأحداث، وفى جميع أموره التي من نوع ما ذكر
كلبس القميص والسراويل، والنوم، والأكل والشرب ونحو ذلك.
كل هذا من
باب التفاؤل الحسن وتشريف اليمين على اليسار.
وأما
الأشياء المستقذرة فالأحسن أن تقدم فيها اليسار؛ ولهذا نهى النبي -صلى الله
عليه وسلم- عن الاستنجاء باليمين، ونهى عن مس الذكر باليمين، لأنها
للطيبات، واليسار لما سوى ذلك.
আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু
আনহা
আমাদেরকে
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামের
পছন্দনীয়
অভ্যাস
সম্পর্কে
সংবাদ
দেন।
আর
তা
হলো
জুতা
পরিধান
করা,
চুল
আচড়ানো
ও
ছড়ানো
এবং
নাপাকী
থেকে
পবিত্রতা
অর্জন
সহ
যাবতীয়
কাজেই
তিনি
ডানকে
পছন্দ
করেন।
এ
ধরনের
আরও
কর্ম
যেমন
জামা,
পায়জামা
পরিধান
করা,
ঘুম
যাওয়া,
খানা
ও
পান
করা
ইত্যাদি।
এ
গুলো
সবই
হলো
ভালো
কর্ম
এবং
তাতে
বামের
ওপর
ডানকে
সম্মান
দেখানোই
শ্রেয়।
আর
যে
সব
কর্ম
ঘৃণিত
তাতে
উত্তম
হলো
বামকে
অগ্রাধিকার
দেওয়া।
এ
কারণে
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
ডান
হাতে
পবিত্রতা
অর্জন
করতে
না
করেছেন
এবং
ডান
হাত
দিয়ে
লিঙ্গ
স্পর্শ
করতে
নিষেধ
করেছেন।
কারণ,
ডান
হলো
পবিত্র
বস্তুসমূহের
জন্য
আর
বাম
হলো
অন্য
বস্তুর
জন্য।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3018 |
|
Hadith 77 الحديث
الأهمية: كانت يد رسول الله -صلى الله عليه وسلم-
اليمنى لطهوره وطعامه، وكانت اليسرى لخلائه وما كان من أذى
থিম:
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
ডান
হাত
তাঁর
ওযূ
ও
আহারের
জন্য
ব্যবহার
হত
এবং
বাম
হাত
তাঁর
পেশাব-পায়খানা
ও
কষ্টদায়ক
বস্তু
স্পর্শ
করার
ক্ষেত্রে
ব্যবহার
হত। |
عن عائشة -رضي الله عنها- قالت: "كَانَت
يَدُ رسُولِ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- اليُمنَى لِطُهُورِهِ
وطَعَامِهِ، وكَانَت اليُسْرَى لِخَلاَئِهِ، ومَا كَانَ مِنْ أَذَى".
عن حفصة
-رضي الله عنها- "أَنَّ رَسُولَ الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- كَانَ
يَجْعَلُ يَمِينَهُ لِطَعَامِهِ وَشَرَابِهِ وَثِيَابِهِ، وَيَجْعَلُ
يَسَارَهُ لِمَا سِوَى ذَلِك".
আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু
আনহা
হতে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন, �রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
ডান
হাত
তাঁর
ওযূ
ও
আহারের
জন্য
ব্যবহার
হত
এবং
বাম
হাত
তাঁর
পেশাব-পায়খানা
ও
কষ্টদায়ক
বস্তু
স্পর্শ
করার
ক্ষেত্রে
ব্যবহার
হত।�
হাফসাহ
রাদিয়াল্লাহু
আনহা
হতে
বর্ণিত, �রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
পানাহার
ও
কাপড়
পরার
ক্ষেত্রে
স্বীয়
ডান
হাত
কাজে
লাগাতেন
এবং
তাছাড়া
অন্যান্য (নোংরা
স্পর্শ
ইত্যাদি)
কাজে
বাম
হাত
লাগাতেন।
Hadith Explanation بيان الحديث
بيَّنت عائشة -رضي الله عنها-، ما كان
النبي -صلى الله عليه وسلم- يستعمل فيه اليمين، وما كان يستعمل فيه اليسار،
فذكرت أن الذي يستعمل فيه اليسار ما كان فيه أذى؛ كالاستنجاء، والاستجمار،
والاستنشاق، والاستنثار، وما أشبه ذلك، كل ما فيه أذى فإنه تقدم فيه
اليسرى، وما سوى ذلك؛ فإنه تقدم فيه اليمنى؛ تكريمًا لها؛ لأن الأيمن أفضل
من الأيسر.
وهذ
الحديث داخل في استحباب تقديم اليمنى فيما من شأنه التكريم فقولها -رضي
الله عنها-.
قولها:
"لطهوره": يعني إذا تطهر يبدأ باليمين، فيبدأ بغسل اليد اليمنى قبل اليسرى،
وبغسل الرجل اليمنى قبل اليسرى، وأما الأذنان فإنهما عضوٌ واحدٌ، وهما
داخلان في الرأس، فيمسح بهما جميعًا إلا إذا كان لا يستطيع أن يمسح إلا بيد
واحدة، فهنا يبدأ بالأذن اليمنى للضرورة.
قولها:
"وطَعَامِهِ": أي تناوله الطعام.
"وكانت يده اليسرى لخلائه": أي لما فيه
من استنجاء وتناول أحجار وإزالة أقذار.
"وما كان من أذى" كتنحية بصاق ومخاط
وقمل ونحوها.
وحديث
حفصة مؤكد لما سبق من حديث عائشة، الذي جاء في بيان استحباب البداءة
باليمين فيما طريقه التكريم، وتقديم اليسار فيما طريقه الأذى والقذر؛
كالاستنجاء والاستجمار وما أشبه ذلك.
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
যে
সব
কর্মে
ডান
হাত
এবং
যে
সব
কর্মে
বাম
হাত
ব্যবহার
করেন
আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু
আনহা
তার
বর্ণনা
দেন।
তিনি
উল্লেখ
করেন
যে,
যাতে
নোংরামী
রয়েছে
যেমন
ইস্তেনজা,
ঢিলা
কুলুপ
নাক
পরিষ্কার
ও
মুখ
পরিষ্কার
ইত্যাদিতে
তিনি
বামকে
ব্যবহার
করতেন।
যত
কর্মে
আবর্জনা
রয়েছে
তাতে
তিনি
বামকে
ব্যবহার
করতেন।
আর
বাকী
সব
কর্মে
তিনি
ডানের
সম্মানার্থে
ডানকে
সামনে
বাড়াতেন।
কারণ,
ডান
বাম
থেকে
উত্তম।
আর
এ
হাদীসটি
যে
সব
কর্ম
সম্মানিত
তাতে
ডান
হাত
বাড়িয়ে
দেওয়া
মুস্তাহাব
হওয়ার
অন্তভুর্ক্ত।
আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু
আনহা
বাণী:
�রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-এর
ডান
হাত
তাঁর
ওযূ
ও
আহারের
জন্য
ব্যবহার
হত
এবং
বাম
হাত
তাঁর
পেশাব-পায়খানা
ও
নোংরা
বস্তু
স্পর্শ
করার
ক্ষেত্রে
ব্যবহার
হত।
তার
বাণী:
পবিত্রতা
জন্য:
অর্থাৎ,
যখন
উযূ
করবে
তখন
ডান
হাত
দিয়ে
শুরু
করবে।
বাম
হাতের
আগে
ডান
হাত
ধুইবে
আর
বাম
পায়ের
আগে
ডান
পা
ধুইবে।
আর
দুই
কান
একটি
অঙ্গ
যা
মাথার
অর্ন্তভুক্ত।
তাই
উভয়
কানকে
একসাথে
মাসেহ
করবে।
তবে
যদি
একসাথে
দুই
কান
এক
হাত
ছাড়া
মাসেহ
করতে
সক্ষম
না
হয়,
তখন
ডান
কান
দিয়ে
মাসেহ
করা
আরম্ভ
করবে।
আর
তার
বাণী:
আহার,
অর্থাৎ
আহার
করার
সময়।
আর
বাম
হাত
পেশাব-পায়খানার
জন্য।
অর্থাৎ,
যেহেত
তাতে
রয়েছে
পবিত্রতা
অর্জন,
ঢিলা
ব্যবহার
এবং
ময়লা
দূর
করা।
আর
যাতে
রয়েছে
নোংরামী।
যেমন,
থুথু
সরানো,
নাকের
ময়লা
এবং
মাথার
উকুন
ইত্যাদি
পরিষ্কারে।
হাফসা
রাদিয়াল্লাহু
আনহার
হাদীস
পূর্বে
উল্লেখিত
আয়েশা
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহার
হাদীসের
সমর্থক।
যাতে
সম্মানসূচক
কর্মে
ডানকে
বাড়িয়ে
দেওয়া
মুস্তাহাব
হওয়া
এবং
যে
সব
কর্ম
নোংরামী
বা
আবর্জনাযুক্ত
রয়েছে
সে
সব
কর্মে
বামকে
বাড়িয়ে
দেওয়ার
বর্ণনা
রয়েছে।
যেমন
পবিত্রতা
অর্জন
করা,
ঢিলা
ব্যবহার
করা
এবং
এ
ধরনের
আরো
যে
সব
কর্ম
রয়েছে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → এটি
আবূ
দাঊদ
বর্ণনা
করেছেন। -
এটি
আহমাদ
বর্ণনা
করেছেন।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3019 |
|
Hadith 78 الحديث
الأهمية: يا رسول الله، أيرقد أحدنا وهو جنب؟
قال: نعم، إذا توضأ أحدكم فليرقد
থিম:
হে
আল্লাহর
রাসূল
আমাদের
কারো
ওপর
যখন
গোসল
ফরয
হয়
সে
ঘুমাতে
পারে?
তিনি
বললেন,
হ্যাঁ,
যখন
তোমাদের
কেউ
ওযূ
করবে
তখন
সে
ঘুমাবে। |
عن عبد الله بنِ عمر -رضي الله عنهما-
أن عمرَ بْن الخطاب -رضي الله عنه- قال: ((يا رسول الله، أّيَرقُدُ
أَحَدُنا وهو جُنُب؟ قال: نعم، إِذَا تَوَضَّأ أَحَدُكُم فَليَرقُد)).
থিম:
আব্দুল্লাহ
ইবন
উমার
রাদিয়াল্লাহ
�আনহুমা
থেকে
বর্ণিত,
উমার
ইবনুল
খাত্তাব
রাদিয়াল্লাহু �আনহু
বলেন, �হে
আল্লাহর
রাসূল
আমাদের
কারো
ওপর
যখন
গোসল
ফরয
হয়
সে
ঘুমাতে
পারে?
তিনি
বললেন,
হ্যাঁ,
যখন
তোমাদের
কেউ
ওযূ
করবে
তখন
সে
ঘুমাবে�।
Hadith Explanation بيان الحديث
سأل عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- النبي
-صلى الله عليه وسلم-: إن أصابت أحدهم الجنابة من أول الليل، بأن جامع
امرأته ولو لم ينزل أو احتلم، فهل يرقد أي ينام وهو جنب؟ فأذن لهم -صلى
الله عليه وسلم- بذلك، على أن
يخفف هذا الحدث الأكبر بالوضوء الشرعي؛ وحينئذ لا بأس من النوم مع الجنابة.
উমার
ইবনুল
খাত্তাব
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে
জিজ্ঞাসা
করেন
যে,
যখন
রাতের
প্রথমাংশে
কেউ
অপবিত্র
হয়,
যেমন
স্ত্রীর
সাথে
সহবাস
করল
যদিও
বীর্যপাত
হয়নি
অথবা
স্বপ্নদোষ
হলো
সে
কি
নাপাক
অবস্থায়
ঘুমাতে
পারবে?
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
শর�ঈ
ওযূ
করে
এ
নাপাকীকে
হালকা
করার
শর্তে
তাকে
ঘুমানের
অনুমতি
দিলেন।
তখন
নাপাক
হওয়া
সত্বেও
ঘুমানোতে
কোন
অসুবিধা
নেই।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3021 |
|
Hadith 79 الحديث
الأهمية: أنَّ رسول الله -صلَّى الله عليه
وسلَّم- دخل مكة من كداء، من الثنية العليا التي بالبطحاء، وخرج من الثنية
السفلى
থিম:
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বাত্হায়
অবস্থিত
সানিয়্যা
�উলয়ার
কাদা
নামক
স্থান
দিয়ে
মাক্কায়
প্রবেশ
করেন
এবং
সানিয়্যা
সুফলার
দিক
দিয়ে
বের
হন। |
عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما-
�أنَّ رسُول الله -صلَّى الله عليه وسلَّم- دَخَل مكَّة مِن كَدَاٍء، مِن
الثَنِيَّة العُليَا التِّي بالبَطحَاءِ، وخرج من الثَنِيَّة السُفلَى�.
আব্দুল্লাহ
ইব্নু
�উমার
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
হতে
বর্ণিত,
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বাত্হায়
অবস্থিত
সানিয়্যা
�উলয়ার
কাদা
নামক
স্থান
দিয়ে
মাক্কায়
প্রবেশ
করেন
এবং
সানিয়্যা
সুফলার
দিক
দিয়ে
বের
হন।
Hadith Explanation بيان الحديث
حجَّ النبي -صلى الله عليه وسلم- حجة
الوداع، فبات ليلة دخوله بـ"ذي طوى" لأربع خلون من ذي الحجة، وفي الصباح
دخل مكة من الثنية العليا؛ لأنه أسهل لدخوله؛ لأنه أتى من المدينة، فلما
فرغ من مناسكه خرج من مكة إلى المدينة من أسفل مكة، وهي الطريق التي تأتي
على "جرول"، ولعل في مخالفة الطريقين تكثيرا لمواضع العبادة، كما فعل -صلى
الله عليه وسلم- في الذهاب
إلى عرفة والإياب منها، ولصلاة العيد والنفل، في غير موضع الصلاة المكتوبة؛
لتشهد الأرض على عمله عليها يوم تحدث أخبارها، أو لكون مدخله ومخرجه
مناسبين لمن جاء من المدينة، وذهب إليها. والله أعلم.
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
বিদায়ী
হজ
করেন।
তিনি
যে
রাত
মক্কায়
প্রবেশ
করেন
সে
রাতে
যী-তুয়া
নামী
স্থানে
যিল
হজ
মাসের
চার
তারিখে
রাত
যাপন
করেন।
আর
সকালে
তিনি
সানিয়্যা
�উলয়ার
কাদা
নামক
স্থান
দিয়ে
মাক্কায়
প্রবেশ
করেন।
কারণ,
প্রবেশের
জন্য
এটিই
সহজ।
কারণ,
তিনি
মদীনা
থেকে
এসেছেন।
আর
যখন
তিনি
হজ
কর্ম
সম্পন্ন
করেন
মক্কা
থেকে
মদীনার
দিকের
রওয়ানা
করেন
মক্কার
নিম্ন
এলাকা
দিয়ে
বের
হন।
আর
সেটি
হলো
জারওয়ালের
পথ।
রাস্তা
পরিবর্তনের
হিকমত
এও
হতে
পারে
যে,
ইবাদতের
স্থান
বাড়ানো।
যেমনটি
তিনি
আরাফায়
যাওয়া
আসা,
সালাতুল
ঈদে
যাওয়া
আসা
এবং
নফল
সালাত
ফরয
আদায়ের
ভিন্ন
জায়গায়
আদায়
করার
ক্ষেত্রে
করে
থাকেন।
যাতে
যেদিন
যমীন
তার
সংবাদ
প্রকাশ
করবে
সেদিন
যেন
সে
তার
উপর
কৃত
আমল
সম্পর্কে
সাক্ষ্য
দেয়।
অথবা
যে
ব্যক্তি
মদীনা
থেকে
আসবে
তার
জন্য
প্রবেশ
করা
ও
বের
হওয়ার
জন্য
এ
পথ
দুটি
মুনাসিব
হওয়ার
কারণে
তিনি
সে
পথ
দিয়ে
যান।
আল্লাহই
ভালো
জানেন।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3022 |
|
Hadith 80 الحديث
الأهمية: رَقِيت يومًا على بيت حفصة، فرأيت النبي
-صلى الله عليه وسلم- يقضي حاجته مستقبل الشام، مستدبر الكعبة
থিম:
আমি
একদিন
হাফসাহর
ঘরের
ছাদে
উঠলাম।
তখন
দেখলাম,
রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
কিবলার
দিকে
পিঠ
দিয়ে
শাম-এর
দিকে
মুখ
করে
তাঁর
প্রয়োজন
পুরণ
করছেন। |
عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما-
قال: ((رَقيت يومًا على بيت حفصة، فرَأَيتُ النبيَّ -صلَّى الله عليه
وسلَّم-يَقضِي حاجته مُسْتَقبِل الشام، مُسْتَدبِر الكعبة)).
وفي
رواية: ((مُسْتَقبِلا بَيتَ المَقدِس)) .
থিম:
আবদুল্লাহ্
ইব্নু
�উমার
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
হতে
বর্ণিত।
তিনি
বলেন, �আমি
একদিন
হাফসাহর
ঘরের
ছাদে
উঠলাম।
তখন
দেখলাম,
রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
কিবলার
দিকে
পিঠ
দিয়ে
শাম-এর
দিকে
মুখ
করে
তাঁর
প্রয়োজন
পুরণ
করছেন�।
অপর
বর্ণনায়
এসেছে:
�বায়তুল
মাকদিসের
দিকে
মুখ
করে�।
Hadith Explanation بيان الحديث
ذكر ابن عمر -رضي الله عنهما-: أنه جاء
يوماً إلى بيت أخته حفصة، زوج النبي -صلى الله عليه وسلم-، فصعد فوق بيتها،
فرأى النبي -صلى الله عليه وسلم-، يقضى حاجته وهو متَجه نحو الشام، ومستدبر
القبلة.
وكان ابن
عمر -رضي الله عنه- قال ذلك ردًّا على من قالوا: إنه لا يستقبل بيت المقدس
حال قضاء الحاجة، ومن ثمَّ أتى المؤلف بالرواية الثانية: مستقبلا بيت
المقدس.
فإذا
استقبل الإنسان القبلة داخل البنيان فلا حرج.
ইবন
উমার
রাদিয়াল্লাহু
আনহুমা
উল্লেখ
করেন
যে,
তিনি
একদিন
তার
বোন
হাফসা
রাসূলের
স্ত্রীর
বাড়িতে
আসেন
এবং
তার
বাড়ির
ছাদে
উঠেন।
তিনি
দেখলেন
রাসূলুল্লাহু
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
শামের
দিকে
মুখ
করে
এবং
কিবলাকে
পিছনে
দিয়ে
তার
প্রয়োজন
পুরণ
করছেন।
ইবনু
উমার
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
এ
কথা
তাদের
কথার
উত্তরে
বলতেন
যারা
বলেন,
প্রয়োজন
পুরণের
সময়
বাইতুল
মুকাদ্দাসকে
সামনে
রাখা
যাবে
না।
এ
কারণেই
লেখক,
দ্বিতীয়
বর্ণনা
নিয়ে
এসেছেন,
যাতে
বলা
হয়েছে,
বাইতুল
মুকাদ্দাসের
দিকে
মুখ
করে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3023 |
|
Hadith 81 الحديث
الأهمية: أنه جاء إلى الحجر الأسود، فقبَّله،
وقال: إني لأعلم أنك حجر، لا تضر ولا تنفع، ولولا أني رأيت النبي -صلى الله
عليه وسلم- يقبلك ما قبلتك
থিম:
তিনি
হাজরে
আসওয়াদে
এসেছেন
ও
তাকে
চুম্বন
করেছেন।
আর
তিনি
বললেন,
আমি
অবশ্যই
জানি
তুমি
একটি
পাথর
না
উপকার
করতে
পার,
আর
না
অপকার?
আমি
যদি
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-কে
তোমাকে
চুম্বন
করতে
না
দেখতাম,
তাহলে
আমি
তোমাকে
চুম্বন
করতাম
না। |
عن عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- �أنَّه
جَاء إِلى الحَجَر الأَسوَدِ، فَقَبَّلَه، وقال: إِنِّي لَأَعلَم أَنَّك
حَجَرٌ، لا تَضُرُّ ولا تَنفَعُ، ولَولاَ أَنِّي رَأَيتُ النبيَّ -صلَّى
الله عليه وسلَّم- يُقَبِّلُك مَا قَبَّلتُك�.
উমার
ইবনুল
খাত্তাব
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
হতে
বর্ণিত, �তিনি
হাজরে
আসওয়াদে
এসেছেন
ও
তাকে
চুম্বন
করেছেন।
আর
তিনি
বললেন,
আমি
অবশ্যই
জানি
তুমি
একটি
পাথর
না
উপকার
করতে
পার,
আর
না
অপকার?
আমি
যদি
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম-কে
তোমাকে
চুম্বন
করতে
না
দেখতাম,
তাহলে
আমি
তোমাকে
চুম্বন
করতাম
না�।
Hadith Explanation بيان الحديث
الأمكنة والأزمنة وغيرها من الأشياء، لا
تكون مقدسة معظمة تعظيم عبادةٍ لذاتها، وإنَّما يكون لها ذلك بشرع؛ ولهذا
جاء عمر بن الخطاب -رضي الله عنه- إلى الحجر الأسود وقبله بين الحجيج،
الذين هم حديثو عهد بعبادة الأصنام وتعظيمها، وبين أنَّه ما قبل هذا الحجر
وعظمه من تلقاء نفسه، أو لأن الحجر يحصل منه نفع أو مضرة؛ وإنما هي عبادة
تلقَّاها من المشرِّع -صلى الله عليه وسلم-
فقد رآه يقبله فقبله؛ تأسيا واتباعا، لا رأيا وابتداعا.
শরী�আতের
অনুমোদন
ছাড়া
সরাসরি
আল্লাহর
ইবাদত
হিসেবে
কোন
স্থান
বা
সময়
ইত্যাদি
কখনোই
পবিত্র
বা
সম্মানিত
হতে
পারে
না।
এ
কারণেই
উমার
ইবনুল
খাত্তাব
রাদিয়াল্লাহু
আনহু
হাজরে
আসওয়াদের
নিকট
এসে
তাকে
এমন
সব
হাজীগণের
সামনে
চুম্বন
করলেন
যারা
এখনো
মুর্তি
পুজা
ও
সম্মানের
সাথে
পরিচিত।
আর
তিনি
বর্ণনা
করলেন
যে,
তিনি
এ
পাথরকে
তার
নিজের
পক্ষ
থেকে
চুম্বন
বা
সম্মান
করেননি
অথবা
এ
জন্য
করেননি
যে
তার
দ্বারা
কোন
উপকার
বা
ক্ষতি
হবে।
বরং
তা
করেছেন
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
যিনি
শরী�আত
প্রণেতা
তার
পক্ষ
থেকে
ইবাদত
হিসেবে।
তিনি
তাকে
চুম্বন
করতে
দেখেছেন
তাই
তার
অনুসরণ
ও
অনুকরণে
তাকে
চুম্বন
করলেন।
নিজের
মতামত
বা
আবিষ্কার
হিসেবে
করেননি।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3024 |
|
Hadith 82 الحديث
الأهمية: طاف النبي في حجة الوداع على بعير،
يستلم الركن بمحجن
থিম:
বিদায়
হাজ্জে
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
উটের
পিঠে
আরোহণ
করে
তাওয়াফ
করেন।
তিনি
লাঠির
দ্বারা
হাজরে
আসওয়াদ
স্পর্শ
করতেন। |
عن عبد الله بن عباس -رضي الله عنهما-
قال: �طَافَ النبيُّ -صلَّى الله عليه وسلَّم- فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ على
بَعِير، يَستَلِم الرُّكنَ بِمِحجَن�.
ইব্নু
�আব্বাস
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহু
হতে
বর্ণিত।
তিনি
বলেন,
বিদায়
হাজ্জে
নবী
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
উটের
পিঠে
আরোহণ
করে
তাওয়াফ
করেন।
তিনি
লাঠির
দ্বারা
হাজরে
আসওয়াদ
স্পর্শ
করতেন।
Hadith Explanation بيان الحديث
طاف النبي -صلى الله عليه وسلم- في حجة
الوداع، وقد تكاثر عليه الناس: منهم من يريد النظر إلى صفة طوافه، ومنهم من
يريد النظر إلى شخصه الكريم؛ فازدحموا عليه، ومن كمال رأفته بأمته ومساواته
بينهم: أن ركب على بعير، فأخذ يطوف عليه؛ ليتساوى الناس في رؤيته، وكان معه
عصا محنية الرأس، فكان يستلم بها الركن، ويقبل العصا كما جاء في رواية مسلم
لهذا الحديث.
বিদায়ী
হজে
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তাওয়াফ
করেছেন
এমতাবস্থায়
যে,
লোকেরা
তার
ওপর
ভিড়
করতেছিল।
কেউ
তার
তাওয়াফের
প্রদ্ধতি
দেখতেছিল
আর
কেউ
তাকে
স্বচক্ষে
দেখতেছিল।
যার
ফলে
তারা
তার
আশপাশে
ভিড়
জমাতে
লাগল।
উম্মতের
প্রতি
তার
দয়াদ্রতা
ও
তাদের
মাঝে
সমতা
বঝায়
রাখার
জন্য
তিনি
একটি
উটের
ওপর
আরোহণ
করলেন।
যাতে
লোকেরা
তাকে
সমানভাবে
দেখতে
পায়।
তার
হাতে
একটি
লাঠি
ছিল
যার
মাথা
বাঁকা।
তিনি
সেটি
দিয়ে
হাজরে
আসওয়াদ
স্পর্শ
করেন
এবং
লাঠিকে
চুম্বন
করেন।
যেমনটি
সহীহ
মুসলিমে
এ
হাদীসের
বর্ণনায়
এসেছে।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3025 |
|
Hadith 83 الحديث
الأهمية: لم أر النبي -صلى الله عليه وسلم- يستلم
من البيت إلا الركنين اليمانيين
থিম:
আমি
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে
দুই
রুকনে
ইয়ামনি
ছাড়া
বাইতুল্লাহর
আর
কোন
অংশকে
স্পর্শ
করতে
দেখিনি। |
عن عبد الله بن عمر -رضي الله عنهما-
قال: �لَمْ أَرَ النبِيَّ -صلَّى الله عليه وسلَّم يَستَلمُ- منَ البيتِ
إِلا الرُّكنَينِ اليَمَانِيَينِ�.
আব্দুল্লাহ
ইবন
উমার
রাদিয়াল্লাহু
<�আনহুমা
থেকে
বর্ণিত,
তিনি
বলেন,
আমি
রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লামকে
দুই
রুকনে
ইয়ামনি
ছাড়া
বাইতুল্লাহর
আর
কোন
অংশকে
স্পর্শ
করতে
দেখিনি।
Hadith Explanation بيان الحديث
لم يكن النبي -صلى الله عليه وسلم-
يستلم من الأركان الأربعة للكعبة إلا الركن الأسود والركن اليماني، فللبيت
أربعة أركان، فللركن الشرقي منها فضيلتان:
1. كونه على قواعد إبراهيم.
2. وكون الحجر الأسود فيه. والركن
اليماني له فضيلة واحدة، وهو كونه على قواعد إبراهيم.
وليس
للشامي والعراقي شيء من هذا، فإن تأسيسهما خارج عن أساس إبراهيم حيث أخرج
الحجر من الكعبة من جهتهما؛ ولهذا فإنه يشرع استلام الحجر الأسود وتقبيله،
ويشرع استلام الركن اليماني بلا تقبيل، ولا يشرع في حق الركنين الباقيين
استلام ولا تقبيل، والشرع مبناه على الاتباع، لا على الإحداث والابتداع،
ولله في شرعه حكم وأسرار.
নবী
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
কা�বার
চার
কোণের
মধ্যে
একমাত্র
রুকনে
ইয়ামনী
ও
রুকনে
আসওয়াদ
ছাড়া
আর
কোন
কিছুকে
স্পর্শ
করতেন
না।
বাইতুল্লাহর
রয়েছে
চারটি
রুকন।
পূর্বের
রুকনের
রয়েছে
দুটি
ফযীলত:
এক:
ইব্রাহীমের
ভিত্তির
ওপর
প্রতিষ্ঠিত
থাকা।
দুই:
তাতে
হাজরে
আসওয়াদ
স্থাপিত
থাকা।
আর
রুকনে
ইয়ামনির
একটি
ফযীলত।
ইব্রাহীমি
ভিত্তির
ওপর
প্রতিষ্ঠিত
থাকা।
আর
শামী
ও
ইরাকী
রুকনের
এ
ধরনের
কোন
ফযীলত
নেই।
কারণ,
এ
দুটির
ভিত্তি
ইব্রাহীমি
ভিত্তির
অন্তর্ভুক্ত
যার
কারণে
কা�বা
থেকে
হাজরে
আসওয়াদ
পাথরকে
এ
দুই
দিক
দিয়ে
বের
করা
হয়।
এ
কারণেই
হাজরে
আসওয়াকে
স্পর্শ
করা
ও
চুমু
দেওয়া
উভয়টি
শরী�আত
সম্মত।
আর
রুকনে
ইয়ামনী
শুধু
স্পর্শ
করা
যাবে
চুমু
দেওয়া
ছাড়া।
আর
বাকী
দুই
রুকনকে
চুমু
দেওয়া
স্পর্শ
করা
কোনটিই
শরী�আত
সম্মত
নয়।
আর
শরী�আতের
ভিত্তি
হলো
অনুকরণের
ওপর
নতুন
কিছু
আবিষ্কার
করা
বা
বিদআতের
ওপর
নয়।
আল্লাহর
শরী�আতে
রয়েছে
প্রজ্ঞা
ও
রহস্য।
গ্রেড এবং রেকর্ড التعديل والتخريج
[সহীহ] ← → মুত্তাফাকুন
<�আলাইহি (বুখারী
ও
মুসলিম)।]
তথ্যসূত্র: হাদিস বিশ্বকোষ @ 3026 |
|
Hadith 84 الحديث
الأهمية: إني أحبك في الله، فقال: أحبك الذي
أحببتني له
থিম:
হে
আল্লাহর
রসূল!
নিঃসন্দেহে
আমি
একে
ভালবাসি।� (এ
কথা
শুনে)
নবী
সাল্লাল্লাহ
আলাইহি
ওয়াসাল্লাম
তাকে
বললেন, �তুমি
কি (এ
কথা)
তাকে
জানিয়েছ?�
সে
বলল, �না।�
তিনি
বললেন, �তাকে
জানিয়ে
দাও।�
সুতরাং
সে (দ্রুত)
তার
পিছনে
গিয়ে (তাকে)
বলল, �আমি
আল্লাহর
ওয়াস্তে
তোমাকে
ভালবাসি।�
সে
বলল, �যাঁর
ওয়াস্তে
তুমি
আমাকে
ভালবাস,
তিনি
তোমাকে
ভালবাসুন।� |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|